Tag: PIB Fact Check

  • PIB Fact Check: ট্যারিফ-কাণ্ডের জেরে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত! ‘ভুয়ো খবর’ বলল পিআইবি

    PIB Fact Check: ট্যারিফ-কাণ্ডের জেরে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত! ‘ভুয়ো খবর’ বলল পিআইবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনার আবহে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভুয়ো খবরকে খণ্ডন করল ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB)। ওই খবরে বলা হয়েছিল, ভারত সরকার নাকি আমেরিকার (India-US Tariff) সঙ্গে থাকা দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলি পর্যালোচনা বা স্থগিত করার পরিকল্পনা করছে। এ প্রসঙ্গে পিআইবি-র (PIB Fact Check) ফ্যাক্ট চেক ইউনিট এক স্পষ্ট বিবৃতিতে জানায়, “বিদেশ মন্ত্রক এমন কোনও বিবৃতি দেয়নি। বিভ্রান্তিকর তথ্য থেকে সতর্ক থাকুন এবং সরকারের বিশ্বাসযোগ্য সূত্র ছাড়া কোনও খবর শেয়ার করবেন না।”

    ভুয়ো খবর থেকে সাবধান

    ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য নিয়ে গুজব (PIB Fact Check) ছড়িয়ে পড়েছিল একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। যেখানে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য নিয়ে বিদেশ মন্ত্রক উদ্বিগ্ন বলে প্রচার করা হয়। এতে বলা হয়, ভারতের বিরুদ্ধে আমেরিকার ‘চড়া শুল্ক, নয়া অর্থনৈতিক নীতি’র প্রতিক্রিয়ায় দিল্লি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করতে চলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৩০ জুলাই ঘোষণা করেন যে ভারতের রফতানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, যা ১ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। মূলত ভারতীয় বস্ত্র, রত্ন ও গয়না, ইলেকট্রনিক্স ও পোশাক খাত এই শুল্কের আওতায় পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ভারত “অন্যায্য বাণিজ্যনীতি” অনুসরণ করছে এবং রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি চুক্তি বজায় রাখার ফলেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

    ভারতীয় ব্যবসায়ী মহলে উদ্বেগ

    এই শুল্কবৃদ্ধির ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ী (India-US Tariff) মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষত ভারতীয় দ্রব্য রফতানি ও আমেরিকায় চাকরির ওপর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে জল্পনা চলছে। কিন্তু বিদেশ মন্ত্রকের একজন মুখপাত্র ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, “ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বিষয়ে আলোচনা চলছে। কোনও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি পর্যালোচনা বা স্থগিত করার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা একটি সুষম বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে চলেছি।” সাউথ ব্লক সূত্রে খবর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চান, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৃষি এবং দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার খুলে দিক নয়াদিল্লি। কিন্তু, কেন্দ্রের মোদি সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, এ দেশের কৃষক এবং দুগ্ধশিল্পের সঙ্গে জড়িতদের লোকসান করে কোনও সমঝোতা সম্ভব নয়। তাই বিকল্প পথের সন্ধানেই দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।

  • Indian Airspace: ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলা মার্কিন বোমারু বিমানের? সত্য প্রকাশ পিআইবি-র

    Indian Airspace: ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলা মার্কিন বোমারু বিমানের? সত্য প্রকাশ পিআইবি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের আকাশসীমা (Indian Airspace) ব্যবহার করে ইরানের ওপর হামলা চালিয়েছিল আমেরিকা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই দাবিকে ‘মিথ্যে’ বলে আখ্যা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’-এর সময় ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে হামলা চালানোর যে খবর ছড়ানো হচ্ছে চা ভিত্তিহীন বলে বিবৃতি দিয়েছে পিআইবি।

    পিআইবি-র বিবৃতি

    সরকারি তথ্য প্রচার দফতর পিআইবি (PIB) এক বিবৃতিতে জানায়, “কয়েকটি সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্ট দাবি করছে যে অপারেশন মিডনাইট হ্যামারের সময় মার্কিন বাহিনী ভারতীয় আকাশপথ ব্যবহার করেছে। এই দাবি পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো।” পিআইবি-র ফ্যাক্ট চেক ইউনিট জানায়, এই অপারেশনের পর যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, অভিযানে ব্যবহৃত মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলি অন্য রুটে গিয়েছে এবং ভারতীয় আকাশসীমা কোনওভাবেই ব্যবহার করা হয়নি।

    শান্ত থাকার আহ্বান ভারতের

    ভারতীয় সময় রবিবার ভোরে ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ওই হামলার জন্য সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বি-২ স্পিরিট বোমারু বিমান ব্যবহার করেছে আমেরিকা। এর মধ্যেই খবর ছড়ায়, ইরানে ‘মিডনাইট হ্যামার’ মিশনে ভারতীয় আকাশসীমাকে ব্যবহার করেছে ওয়াশিংটন। যা সম্পূর্ণত ভুয়ো খবর। কেন্দ্র সরকার এই গুজব পুরোপুরি নাকচ করে দিয়ে জানায়, ভারত নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনা থেকে সরে এসে সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

    মোদির বার্তা

    ইরানে মার্কিন হামলার পরই সেখানকার রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেন। মোদি এই প্রসঙ্গে লেখেন, “ইরানের রাষ্ট্রপতি পেজেস্কিয়ানের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সম্প্রতি উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। অবিলম্বে উত্তেজনা কমানো, আলোচনা এবং কূটনৈতিক সমাধানের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে দ্রুত শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীল হোক পরিস্থিতি এই দাবি জানিয়েছি।”

    আমেরিকার হামলা নিয়ে বিতর্ক

    গত ২০ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে ইরানে হামলা চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আমেরিকা। কার্যক্ষেত্রে বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে (ভারতীয় সময় রবিবার ভোরে) ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল ওয়াশিংটন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের নাতান্‌জ, ফোরডো এবং ইসফাহান পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলা চালাতে ‘বাঙ্কার বাস্টার’ এবং ‘বি ২ বম্বার’ কাজে লাগানো হয়েছে। ২১ জুন রাতের দিকে পরিচালিত ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ ছিল সাম্প্রতিক দশকের অন্যতম জটিল ও বৃহৎ বিমান হামলা। ইরানের পরমাণুকেন্দ্র ধ্বংস করতে আমেরিকা ব্যবহার করেছে জিবিইউ-৫৭ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর। এই বোমার ওজন ১৩ হাজার কেজির বেশি। কনক্রিটের ১৮ মিটার ভিতরে এবং মাটির ৬১ মিটার নীচে গিয়ে হামলা চালাতে পারে এই বোমা। যদিও ফরদোয় ইরানের পরমাণুকেন্দ্র মাটির ৮০ থেকে ৯০ মিটার নীচে অবস্থিত বলে জানা গিয়েছে বিভিন্ন সূত্র মারফত। তাই আমেরিকার এই বোমা আদৌ ইরানের পরমাণুকেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস করেছে কিনা সে ব্যাপারে এখনও কিছু নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তবে ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আমেরিকার এই বোমা হামলা ‘সফল’ বলে দাবি করেছেন।এর মধ্যেই ভুয়ো খবর ছড়ায়, মার্কিন বোমারু বিমানগুলি নাকি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের গুয়াম দ্বীপ থেকে উড়ান দিয়েছিল। আন্দামান সাগর অতিক্রম করে আরব সাগর হয়ে ইরানের ‘স্ট্রাইক জোনে’ পৌঁছায় সেগুলি। স্বভাবতই ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার নিয়ে কথা বিতর্ক শুরু হয়। জল্পনা ছড়ায় যে ভারত হয়তো এই অভিযানের অনুমতি দিয়েছে।

    সত্য জানাল দিল্লি

    ভারত অবশ্য প্রথম থেকেই এই দাবি খারিজ করে দেয়। ফ্যাক্ট চেকের পর দেখা গিয়েছে, ভারত আদৌ তাদের আকাশসীমা (Indian Airspace) ব্যবহার করতে দেয়নি মার্কিন সেনাকে। তাছাড়া সেই প্রশ্নই ওঠে না, কারণ, গুয়াম থেকে মার্কিন বিমান বাহিনী ইরানে হামলা চালায়নি। মনে করা হচ্ছে, ভারতের শত্রুপক্ষই আকাশসীমা ব্যবহার নিয়ে বাজারে মিথ্যে খবর ছড়াচ্ছে। মার্কিন জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কাইন আমেরিকার হামলার পর যে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন, সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন কোন রুট ব্যবহার করে ইরানে ঢুকেছিল মার্কিন বোমারু বিমান। সেখানে কোথাও ভারতের এয়ারস্পেস ব্যবহার করার কথা বলা হয়নি।

LinkedIn
Share