Tag: Plane Crash

Plane Crash

  • Amazon: বিমান দুর্ঘটনার ২ সপ্তাহ পর! আমাজনের জঙ্গল থেকে জীবিত উদ্ধার চার শিশু

    Amazon: বিমান দুর্ঘটনার ২ সপ্তাহ পর! আমাজনের জঙ্গল থেকে জীবিত উদ্ধার চার শিশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই ঘটনা কোনও চিত্রনাট্যকেও হার মানায়। কথায় বলে, ‘রাখে হরি তো মারে কে!’ এই ঘটনা তারই নমুনা। আমাজনে প্লেন ভেঙে (Plane Crash) পড়ার দু সপ্তাহ পর চার শিশুকে জীবন্ত উদ্ধার করা হল। কলম্বিয়ায় আমাজনের (Amazon) ঘন জঙ্গল থেকে তাদের বার করে আনা হয়৷ এই ঘটনায় কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো জানিয়েছেন এ হল সারা দেশের কাছে এক আনন্দ মুহূর্ত৷ সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনা শেয়ার করেছেন প্রেসিডেন্ট পেত্রো (Gustavo Petro) ৷ তিনি জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর চিরুনি তল্লাশির পর বন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে শিশুদের৷

    আমাজন থেকে উদ্ধার

    গত ১ মে কলম্বিয়ার আমাজনে (Amazon) ভেঙে পড়ে একটি চার্টার্ড বিমান। তাতে পাইলট-সহ তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু খোঁজ মিলছিল না ১১ মাস থেকে ১৩ বছরের চারটি শিশুর। তাদের খুঁজতে ১০০ সেনাকর্মী এবং গোয়েন্দা কুকুর নামানো হয়। তন্ন তন্ন করে খোঁজার পর চারটি শিশুর খোঁজ মিলেছে বলে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো। যদিও এ নিয়ে সংশয় দানা বেঁধেছে। কারণ, কলম্বিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দাবি করেছে, শিশু উদ্ধারের কোনও খবর তাদের জানা নেই। ফলে প্রেসিডেন্ট যা বললেন, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘বাংলা সরকার অসহিষ্ণু’’! ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র উপর নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    আমাজন জঙ্গলে অনুসন্ধান

    উদ্ধারকারীদের বিশ্বাস ছিল, দুর্ঘটনার পর আমাজন (Amazon) জঙ্গলের দক্ষিণে ক্যাকেটা অঞ্চল দিয়ে হাঁটতে থাকে শিশুরা৷ তাদের কোলেই ছিল ১১ মাসের শিশু৷ বুধবার তাদের তৈরি ডালপালার অস্থায়ী আস্তানা ধরা পড়ে সন্ধানকারীদের চোখে৷ তাছাড়া জঙ্গলের গাছপালার ডালে এবং অন্যত্র উদ্ধার হয় কাঁচি এবং চুলের ফিতে৷ তখনই সেনাবাহিনী নিশ্চিত হয় ঘন জঙ্গলেই আছে মানুষের উপস্থিতি৷ সন্ধানপর্বে খুঁজে পাওয়া যায় বাচ্চাদের বোতল এবং আধখাওয়া ফলও৷ সেই সূত্র ধরেই শিশুদের উদ্ধার করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nepal Plane Crash: বাবাকে দেওয়া কথা রাখতে পারলেন না মেয়ে! কী বলেছিলেন বিমান দুর্ঘটনায় মৃত ওশিন?

    Nepal Plane Crash: বাবাকে দেওয়া কথা রাখতে পারলেন না মেয়ে! কী বলেছিলেন বিমান দুর্ঘটনায় মৃত ওশিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার নেপালের পোখরা বিমানবন্দরে অবতরণের ঠিক কয়েক সেকেন্ড আগে ভেঙে পরে নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমান। সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে ভারতীয় যুবক সোনুর ফেসবুক লাইফ থেকে। সেদিন ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ওই বিমানে ছিলেন বিমান সেবিকা ওশিন আলে মাগার। সেদিন ২৪ বছরের এই তরুণীও প্রাণ হারিয়েছেন ভয়াবহ দুর্ঘটনায়। জানা গিয়েছে, তাঁকে ওইদিন তাঁর বাবা বলেছিলেন, সেদিনের মত কাজে না গিয়ে বাড়ির উৎসবে অংশ নিতে। কিন্তু ওশিন বলেছিলেন, ফ্লাইটটি শেষ করেই তিনি ফিরে আসবেন। কিন্তু বাবাকে দেওয়া কথা রাখতে পারলেন না তিনি।

    মেয়েকে সেদিন আটকাতে না পেরে আক্ষেপ বাবার

    রবিবার ছিল মাঘে সংক্রান্তি উৎসব। মকর সংক্রান্তির দিনটিকে এই নামেই উদযাপন করেন নেপালের মানুষ। উৎসবের দিনে মেয়েকে কাজে যেতে নিষেধ করেছিলেন ওশিনের বাবা মোহন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী মোহন আলে মাগার। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, রবিবার তাঁর কেমন যেন মনে হয়েছিল। তাই তিনি তাঁর মেয়ে ওশিনকে খুব সকালে বলেছিলেন, কাজে যাওয়ার দরকার নেই। বরং সে যেন বাড়ির অনুষ্ঠানে আসে। কিন্তু ওশিন বলেছিলেন, দুটি ফ্লাইট শেষ করেই তিনি উৎসবে যোগ দেবেন। বাবার কথা না রাখতে পারলেও বাবাকে ওশিন কথা দিয়েছিলেন, তিনি ফিরে এসে মাঘে সংক্রান্তি উদযাপন করবেন। কিন্তু নিয়তি তা হতে দিল না।

    ওশিনের বাবা আরও জানিয়েছেন, বাড়িতে যখন উৎসবের আয়োজন চলছিল, ঠিক সেই সময় এই বিমান দুর্ঘটনার খবর পান তাঁরা। ফলে সেদিন তাঁর মেয়েকে আটকাতে না পারার আক্ষেপ তো রয়েছেই, সঙ্গে মেয়েকে হারিয়ে শোকে আকুল তিনি। ওশিনের বাবা-মায়ের শুধু মনে হচ্ছে, সেদিন ছুটি নিলে তাঁদের মেয়ে আজ বেঁচে থাকত।

    মৃত্যুর আগের টিকটক ভিডিও ভাইরাল

    প্রকাশ্যে এসেছে বিমানসেবিকা ওশিনের টিকটক ভিডিও। গতকাল থেকেই তাঁর মৃত্যুর আগে করা ভিডিওটি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। সেদিন বিমানযাত্রা শুরুর আগেই বিমানের ভিতর থেকে ভিডিও বানিয়ে নিজেকে ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন তিনি। সেখানে তাঁকে হাসিমুখে ভিডিও করতে দেখা যায়। ভিডিওটি পোস্টও করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিওই এখন নেটপাড়ায় ভাইরাল, যা দেখে চোখে জল নেটিজেনদের।

    চিতওয়ানের মাদির বাসিন্দা তাঁরা। ওশিন কাঠমাণ্ডুতে থেকে পড়াশোনা করেছেন। নেপালের অক্সফোর্ড কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন তিনি। তাঁর উচ্চশিক্ষা ভারতে। স্নাতক হয়ে সাহারা এয়ার হোস্টেস অ্যাকাডেমি থেকে পাশ করেন। দু’বছর হল বিয়ে হয়েছে ওশিনের। তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে ব্রিটেনে থাকেন। দুই বোন এবং এক ভাই আছে ওশিনের। মোহন জানিয়েছেন, মেয়ের অনেক স্বপ্ন ছিল। কেরিয়ারে অনেক এগিয়ে যেতে চেয়েছিলেন ওশিন। সব শেষ হয়ে গেল। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছে ওশিনের পরিবার। তাঁর বাবা এবং মা গিয়ে মেয়ের মৃতদেহ শনাক্ত করে এসেছেন।

  • Nepal Plane Crash: মানত করে পুত্রলাভ! পশুপতিনাথে পুজো দিতে গিয়ে আর ফেরা হল না উত্তরপ্রদেশের সোনুর

    Nepal Plane Crash: মানত করে পুত্রলাভ! পশুপতিনাথে পুজো দিতে গিয়ে আর ফেরা হল না উত্তরপ্রদেশের সোনুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালের পোখরা বিমানবন্দরে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান পাঁচ ভারতীয় যুবক। এই পাঁচ ভারতীয় যুবকের মধ্যে একজন ছিলেন গাজিপুরের সোনু জয়সওয়াল, যিনি এই দুর্ঘটনা ঘটার আগে ভিডিও করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিল তিন বন্ধুও। তবে জানেন কি সোনু কেন গিয়েছিলেন নেপাল? এবার তাঁর নেপাল যাওয়ার পিছনের কারণও প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, সোনু ও তাঁর তিন বন্ধু কাঠমাণ্ডুর পশুপতিনাথ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। ছেলে হলে পুজো দেবেন। নেপালের পশুপতিনাথ মন্দিরে এমনই মানসিক করে এসেছিলেন উত্তর প্রদেশের গাজিপুরের বাসিন্দা সোনু জয়সওয়াল। কিন্তু তাঁর আর বাড়ি ফেরা হল না।

    পশুপতিনাথ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন সোনু

    উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর জেলার চক জিনাব গ্রামের বাসিন্দা সোনু। একটি মদের দোকান চালাতেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আরও তিন বন্ধু নেপালে গিয়েছিলেন। চক জিনাব গ্রামের প্রধান বিজয় জয়সওয়াল জানান, সম্প্রতি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন সোনুর স্ত্রী। ৬ মাস আগে তাঁর কোল আলো করে এসেছে পুত্র। সোনুর দুই মেয়ে ছিল। তৃতীয় বার পুত্র সন্তান কামনা করেছিলেন। মানসিক ছিল, পুত্র সন্তান ঘরে এলে পশুপতিনাথের মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে আসবেন। সেই মতই বন্ধুদের সঙ্গে পাড়ি দিয়েছিলেন হিমালয়ের উদ্দেশে।

    আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার মুহূর্তে ফেসবুক লাইভ করছিলেন এক ভারতীয় যাত্রী! দেখুন সেই ভিডিও

    গত ১০ জানুয়ারি নেপালের উদ্দেশে রওনা দেন সোনুরা। মঙ্গলবারই ফেরার কথা ছিল। কিন্তু নিয়তি তাঁর জন্য অন্য কিছু লিখেছিল, জানান গ্রামপ্রধান। তাঁর কথায়, “সোনুদের অন্য একটি বাড়ি আছে। ওর স্ত্রী এবং সন্তানেরা সেখানেই রয়েছেন। তাঁদের এখনও এই দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়নি।”

    এছাড়াও জানা গিয়েছে, সোনু ও তাঁর বন্ধুদের পোখরা ঘুরতে যাওয়ারও পরিকল্পনা ছিল। পোখরার টুরিস্ট হাবে প্যারাগ্লাইডিং করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তাঁরা। দক্ষিণ নেপালের এক বাসিন্দা অজয় কুমার শাহ জানিয়েছেন, পোখরা পর্যটন সমৃদ্ধ জায়গা। চারজনই সেখানে প্যারাগ্লাইডিংয়ের জন্য যাচ্ছিলেন। পশুপতিনাথ মন্দিরের কাছে তাঁরা ছিলেন। তারপর তাঁরা পোখরার জন্য বেরিয়ে যান। পোখরা থেকে গোরক্ষপুর হয়ে তাঁদের ভারতে ফেরার কথা ছিল। প্রসঙ্গত, সোনুর সঙ্গে আরও যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা হলেন অভিষেক কুশওয়াহা, বিশাল শর্মা এবং অনিল কুমার রাজভর। সোনুরা চার জন ছাড়া পঞ্চম ব্যক্তিকে সঞ্জয় জয়সওয়াল নামে শনাক্ত করা গিয়েছে।  

  • Nepal Plane Crash: দুর্ঘটনার মুহূর্তে ফেসবুক লাইভ করছিলেন এক ভারতীয় যাত্রী! দেখুন সেই ভিডিও

    Nepal Plane Crash: দুর্ঘটনার মুহূর্তে ফেসবুক লাইভ করছিলেন এক ভারতীয় যাত্রী! দেখুন সেই ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃত্যুর আগেও এক যাত্রী ভিডিও করে গেলেন, আর সেই ভয়াবহ দৃশ্যই দেখতে পেল গোটা বিশ্ব। বিমানের ভিতরে থাকা সহযাত্রীদের শেষ মুহূর্ত ক্যামেরিবন্দি করেছেন এক জন যাত্রী।  নেপালের বিমান দুর্ঘটনার সেই চাঞ্চল্যকর মুহূর্তই সামনে এল এবার। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে হাসি মুখে এক ভারতীয় যাত্রী ফেসবুক লাইফ করছিলেন। কিন্তু পরক্ষণেই সেই দৃশ্য বদলে গেল কান্না-চিৎকারে। ভিডিওতে মনে হয়েছে, হঠাৎ এক ঝাঁকুনিতে সেই ফোনটি পড়ে যায় ও শেষ মুহূর্তে দেখা যায় ভয়াবহ আগুন। 

    বিমান ভেঙে পড়ার কিছু ভিডিও মাটি থেকেও নেওয়া হয়েছিল। সেই ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বিমান আকাশেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল। তারপরই মুহূর্তের মধ্যে আছড়ে পড়ে মাটিতে। বিকট আওয়াজ করে মাটিতে আছড়ে পড়ে এটি। সেই ক্লিপে দেখা যায় কীভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে আছড়ে পড়ে বিমান। এর পর আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ভেঙে পড়া ফ্লাইটটি থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে, আর দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। 

    মৃত্যুর আগের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি!

    গতকাল, রবিবার সকাল ১০টা ৩২ মিনিটে কাঠমাণ্ডু থেকে ৬৮ জন যাত্রী নিয়ে পোখরার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটি। বিমানে ৪ জন বিমানকর্মীও ছিলেন। রবিবার সকালে পোখরা বিমানবন্দরে নামার ঠিক আগেই ৭২ জনকে নিয়েই মাটিতে আছড়ে পড়ে ইয়েতি বিমান সংস্থার একটি এটিআর-৭২ বিমান। ভেঙে পড়া সেই বিমানের ধ্বংসাবশেষের কাছ থেকে একটি মোবাইল খুঁজে পেয়েছেন উদ্ধারকারীরা। আর তাতেই প্রকাশ্যে এসেছে বিমান ভেঙে পড়ার ঠিক আগের মুহূর্ত। সেই ভিডিওই প্রমাণ যে, কিছু সেকেন্ডের মধ্যেই কত কিছুই না ঘটে যেতে পারে। সেই ভিডিও দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে, সেটি কতটা অসহনীয়! কতটা যন্ত্রনার!

    মৃত্যু ভারতীয়দের

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ফেসবুক লাইভ করা সেই ব্যক্তির নাম সোনু জয়সওয়াল। তিনি উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর জেলার চক জিনাব গ্রামের বাসিন্দা। সোনু ছাড়াও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন যে চার ভারতীয় যুবক, তাঁরা হলেন – অনিল রাজভর, বিশাল শর্মা, অভিষেক কুশওয়া, সঞ্জয় জয়সওয়াল। জানা গিয়েছে, গত ১৩ জানুয়ারি তাঁরা নেপালে বেড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বিমান মাটিতে আছড়ে পড়ার আগে তিনি ফেসবুক লাইফ করছিলেন। লাইফ করার প্রথমে তাঁর হাসি মুখ দেখা গেলেও সেই লাইফ শেষ হয় যাত্রীদের চিৎকার-কান্না ও আগুনের লেলিহান শিখায়। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সোনু সহ পাঁচ ভারতীয় যুবকের। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৭২ জন যাত্রীর মধ্যে সকলেই মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৬৮টি দেহ উদ্ধার। তবে, কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ভীষণই ক্ষীণ বলে জানিয়েছে নেপাল সেনা। 

     

  • Air Disasters: গত পাঁচ বছরে বিমান দুর্ঘটনার খতিয়ান, জেনে নিন মৃত্যুর পরিসংখ্যানও

    Air Disasters: গত পাঁচ বছরে বিমান দুর্ঘটনার খতিয়ান, জেনে নিন মৃত্যুর পরিসংখ্যানও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারের বারবেলায় নেপালে (Nepal) ভেঙে পড়েছে আস্ত একটি বিমান। মৃত্যু হয়েছে ৬৮ জনের। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক গত কয়েক বছরে কোথায় কোথায় বিমান দুর্ঘটনা (Air Disasters) ঘটেছে, মৃত্যুই বা হয়েছে কতজনের। 

    বিমান দুর্ঘটনা…

    গত বছর মে মাসে নেপালের মুস্তাং এলাকায় ভেঙে পড়ে তারা এয়ারের একটি বিমান। জীবন্ত দগ্ধ হন বিমানে থাকা ২২ জনই। চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ভেঙে পড়ে ওই বছরেরই মার্চে। গুয়াংশি পাহাড়ের ওপর ভেঙে পড়ে বিমানটি। মৃত্যু হয় ১৩৩ জনের। ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি জাভা সমুদ্রে ভেঙে পড়ে বোয়িং ৭৩৭। জাকার্তা থেকে ওড়ার পরে পরেই সমুদ্রে ভেঙে পড়ে বিমানটি। সাত শিশু, দুই সদ্যোজাত সহ মৃত্যু হয় ৬২ জনের।  

    ২০২০ সালের ৭ অগাস্ট কালিকটে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান (Air Disasters)। দুবাই থেকে আসা বিমানটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়। যাত্রী ছিলেন ১৮৬ জন। তার মধ্যে চালক, সহকারি চালক সহ মৃত্যু হয় ২১ জনের। ওই বছরেরই ২২ মে ভেঙে পড়ে পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। মৃত্যু হয় ১০৫ জনের। ওই বছরেরই ৮ জানুয়ারি ভেঙে পড়ে ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। মৃত্যু হয় ১৭৬ জনের। ২০১৯ সালের ১০ মার্চ ভেঙে পড়ে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। মৃত্যু হয় ১৫৭ জনের। এর মধ্যে ছিলেন তিরিশটি দেশের যাত্রী।

    আরও পড়ুুন: মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পাক সংবাদমাধ্যম

    সাম্প্রতিক অতীতে সব চেয়ে বেশি বিমান দুর্ঘটনা (Air Disasters) ঘটেছে ২০১৮ সালে। ২৯ অক্টোবর লায়ন এয়ারের একটি বিমান ভেঙে পড়ে জাভা সমুদ্রে। মৃত্যু হয় ১৮৯ জনের। ১৮ মে ভেঙে পড়ে বোয়িং ৭৩৭। মৃত্যু হয় ১১২ জনের। বরাত জোরে বেঁচে যান এক যাত্রী। এপ্রিল মাসে আলজিরিয়ায় ভেঙে পড়ে একটি সামরিক বিমান। মৃত্যু হয় ২৫৭ জনের। ১২ মার্চ নেপালে ভেঙে পড়ে একটি বিমান। সব মিলিয়ে বিমানে ছিলেন ৭১ জন। তার মধ্যে মৃত্যু হয় ৫০ জনেরও বেশি মানুষের। ১৮ ফেব্রুয়ারি ইরানের জাগ্রোস পর্বতে ভেঙে পড়ে একটি বিমান। মৃত্যু হয় ৬৬ জনের। ওই মাসেরই ১১ তারিখে ভেঙে পড়ে একটি রাশিয়ান যাত্রিবাহী বিমান। মৃত্যু হয় ৭১ জনের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Ukraine: বিমানে বিস্ফোরক! রানওয়েতে প্রবেশের আগেই গ্রিসে ভেঙে পড়ল ইউক্রেনের কার্গো বিমান

    Ukraine: বিমানে বিস্ফোরক! রানওয়েতে প্রবেশের আগেই গ্রিসে ভেঙে পড়ল ইউক্রেনের কার্গো বিমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রিসে (Greece) ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা (Plane Crash)। বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রিসের কাছে ভেঙে পড়ল ইউক্রেনের (Ukraine) কার্গো বিমান। খবরসূত্রে জানা যায়, অ্যান্টোনোভ (Antonov) কার্গো বিমানটি গ্রিসের কাভালা (Kavala) নামক জায়গায় ভেঙে পড়ে। ঘটনাটি শনিবারের। গ্রিসের রাষ্ট্রীয় টিভি ইআরটি (ERT) জানিয়েছে, অ্যান্টোনোভ কার্গো (Antonov cargo) বিমানটির মালিক ইউক্রেনীয় একটি কোম্পানি। গ্রিক অসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ (Greek Civil Aviation Authority) থেকে জানানো হয়েছে, বিমানটি সার্বিয়া (Serbia) থেকে জর্ডন (Jordan) যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। যদিও এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি যে, ওই বিমানে কতজন ছিলেন। তাঁদের কেউ বেঁচে আছেন কি না সেব্যাপারেও কোনও খবর মেলেনি।  

    আরও পড়ুন: ১৮৫ বিমানযাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে এখন ‘হিরো’, কে এই ক্যাপ্টেন মণিকা?

    গ্রিসের অসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বিমানের একটি ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিলে পাইলট আগেই বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে বার্তা পাঠায়। এরপরেই গ্রিসের কাভালা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেন পাইলট। কিন্তু রানওয়েতে পৌঁছানোর আগেই সেটি ভেঙে পড়ে। কাভালার এয়ারপোর্টের ৪০ কিমি আগেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয় বিমানটিতে। দেখা যায় এক  আগুনের গোলা।  চারিদিক ঢেকে যায় ধোঁয়ায়।

    তবে একের পর এক বিস্ফোরণের কারণে কাছাকাছি যেতে সময় লাগে কর্মীদের। কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। দুর্ঘটনা নিয়ে ইউক্রেন, সার্বিয়া বা জর্ডানের তরফ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। স্থানীয় একজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমে বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে সাতটি অগ্নিনির্বাপক গাড়ি দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। তবে বিস্ফোরণের কারণে সেখানে গাড়িগুলো পৌঁছাতে পারছিল না। বিমানে বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়ার খবর ও এর দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রিসের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে কার্গোটিতে বিপজ্জনক কিছু পণ্য ছিল বলেই ধারণা করছে সবাই। গ্রিস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।

    আরও পড়ুন: “মনে হচ্ছিল আকাশেই উল্টে যাবে বিমান…”, এখনও আতঙ্কে দুর্ঘটনাগ্রস্ত স্পাইসজেটের যাত্রীরা 

LinkedIn
Share