Tag: PM Modi

PM Modi

  • BJP: সংবিধান সংশোধন বিজেপির, জরুরি অবস্থায় দলের সভাপতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংসদীয় বোর্ড

    BJP: সংবিধান সংশোধন বিজেপির, জরুরি অবস্থায় দলের সভাপতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংসদীয় বোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) সাংগঠনিক বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল গেরুয়া শিবির। রবিবারই দলের সংবিধানে সংশোধনী আনা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচন বা যে কোনও ধরনের ‘জরুরি পরিস্থিতিতে’ দলের সভাপতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার গুরুদায়িত্ব এবার দেওয়া হল বিজেপির সংসদীয় বোর্ডকে। দলের সভাপতির মেয়াদ বৃদ্ধির মতো সিদ্ধান্তও এবার থেকে নিতে পারবে বিজেপির সংসদীয় বোর্ড। উল্লেখ্য, বিজেপিতে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ইউনিট হল এই সংসদীয় বোর্ড। এদিন বিজেপির সংবিধান সংশোধনটি আনেন দলের সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল।

    মেয়াদ বৃদ্ধি জেপি নাড্ডার

    প্রসঙ্গত, বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে জেপি নাড্ডার মেয়াদ আগামী জুন মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে বিজেপির জাতীয় কাউন্সিলের বৈঠকে। আগামী জুন মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে তাঁর মেয়াদ। অর্থাৎ, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জেপি নাড্ডার নেতৃত্বেই লড়াই চালাবে। দলের জাতীয় কাউন্সিল সেই মেয়াদ বৃদ্ধিতে সিলমোহর দিয়েছে। এরই পাশাপাশি জেপি নাড্ডাকে স্বাধীনভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। নাড্ডাতেই আপাতত ভরসা বজায় রাখলেন মোদি-শাহরা।

    সংবিধান সংশোধন করার পথে হাঁটল বিজেপি

    উল্লেখ্য, গেরুয়া শিবিরের (BJP) দলীয় সংবিধান অনুযায়ী, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে বেছে নেওয়া হয় সাংগঠনিক নির্বাচনের মাধ্যমে। রাজ্য সংগঠনগুলির মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ ইউনিটের নির্বাচন সংগঠিত হওয়ার পরে জাতীয় সভাপতি বেছে নেওয়ার নির্বাচন করা হয়। এদিকে রাজ্য ইউনিটগুলির ওপর দায়িত্ব থাকে যাতে জেলা স্তরে সাগঠনিক নির্বাচন সংগঠিত হয়। তবে লোকসভা ভোটের আগে দলের অভ্যন্তরে সাংগঠনিক নির্বাচন করাল না বিজেপি। কারণ এই সময় প্রচারের কাজে বেশি ব্যস্ত থাকবেন নেতা-কর্মীরা। তাই সংবিধান সংশোধন করার পথে হাঁটল বিজেপি। 

    বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

    এদিকে রবিবার বিজেপি (BJP) শাসিত সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হাজির ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলকে ৩৭০টি আসনে জেতানোর লক্ষ্যে রূপরেখা তৈরির পরিকল্পনা করা হয় সেই বৈঠকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “আয়েগা তো মোদি হি”, প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “আয়েগা তো মোদি হি”, প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আয়েগা তো মোদি হি।” রবিবার দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় অধিবেশনে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তৃতীয়বারের জন্য যে তিনি কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরছেন, তা ভালোই জানেন প্রধানমন্ত্রী। আগেও নানা সময় কেন্দ্রে বিজেপি সরকার গড়বে, এমন কথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। ৪০০-র বেশি আসন নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরবে বলেও আশাবাদী তিনি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন দলের জাতীয় অধিবেশনেও সেই প্রত্যয়ীই ধরা পড়ল তাঁর। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচন হতে এখনও বাকি। কিন্তু এখনই অন্য দেশগুলো থেকে আমায় আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। জুলাই, অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে আমাকে বিদেশে ডাকছে। এর অর্থ কী দাঁড়ায়? তার মানে বিশ্বের নানা প্রান্তের সমস্ত দেশের মানুষ জানেন, কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। তাঁরা জানেন, আয়েগা তো মোদি হি।”

    উন্নত রাষ্ট্র হবে ভারত

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “যদি নিজের ঘরের কথা ভাবতাম তাহলে দেশের কোটি কোটি মানুষের জন্য ঘর বানাতে পারতাম না। ভারতের জন্য আগামী পাঁচ বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময়ের মধ্যেই উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে ভারত।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনেকে আমায় বলেন, আপনি তো নিজের সময়কালে অনেক সাফল্য অর্জন করে ফেলেছেন। তাহলে আর খাটছেন কেন? আসলে গোটা দেশ বিশ্বাস করে ১০ বছরে দেশকে সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি ও দারিদ্রতা থেকে মুক্তি দিয়েছি। মধ্যবিত্তকে নতুন জীবন দিয়েছি।”

    আরও পড়ুুন: মুখ থুবড়ে পড়ল ইংল্যান্ড, রাজকোট টেস্টে জয়ী রোহিতের ভারত

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ক্ষমতা দখলের জন্য বিজেপির তৃতীয় টার্ম চাইছি না। কোটি কোটি মা-বোন গরিবদের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে আমি সংকল্প নিয়েছি। সেটা পূরণ করতে আমরা সবাই সেবা করার মনোভাব নিয়ে দিনরাত এক করে কাজ করছি। ১০ বছরে অর্জন করেছি, তা একটি মাত্র ধাপ ছিল। লক্ষ্যে পৌঁছনোর একটি বিশ্বাস। এবার আমাদের দেশের জন্য কোটি কোটি ভারতবাসীর জন্য প্রত্যেকের জীবন বদলানোর জন্য অনেক কিছু হাসিল করার স্বপ্ন রয়েছে। আজ, বিজেপি, যুবশক্তি, নারীশক্তি, গরিব ও কৃষকদের জন্য বিকশিত ভারতের শক্তি হিসেবে তৈরি করছি। আগে মানুষের মনে হত, সরকার বদলালেও নিয়ম বদলায় না। কিন্তু সেই পুরানো মানসিকতা থেকে দেশকে বের করে এনেছি। আমিই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যে লালকেল্লা থেকে মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং মহিলাদের জন্য শৌচালয় নির্মাণ নিয়ে সরব হয়েছিলাম (PM Modi)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sukanta Majumdar: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সুকান্ত, আজই যেতে পারেন দিল্লি

    Sukanta Majumdar: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সুকান্ত, আজই যেতে পারেন দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। চলতি সপ্তাহের বুধবার, সরস্বতী পুজোর দিনই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। শনিবার সকালে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সুকান্তবাবু বের হতেই পুষ্পবৃষ্টি শুরু করেন অনুরাগীরা। এদিন ছুটি পাওয়ার পর হুইল চেয়ারে করে বের হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বের হতেই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা স্লোগান তোলেন। রাজ্য সভাপতি ধরে গাড়িতে তোলা হয়। দেখা যায় সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়েই এদিন গাড়িতে ওঠেন সুকান্ত।

    বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে সুকান্তর। সেসময় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ চলাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। শনিবার থেকেই দিল্লিতে বসছে বিজেপির দু’দিনের রাষ্ট্রীয় অধিবেশন। আজ শনিবার এবং আগামীকাল রবিবার হবে বিশেষ অধিবেশন। মূলত, দিল্লিতে দলের রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে যোগ দেওয়ার প্রবল ইচ্ছের কারণেই চিকিৎসকদের কাছে ছুটির আবেদন জানিয়েছিলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)।  বিজেপি সূত্রে খবর, শনিবারেই বিমান ধরে দিল্লি রওনা যেতে পারেন তিনি।

    বুধবার প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে

    বুধবার প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। পরে সন্ধ্যায় সুকান্তবাবুকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। বিজেপির রাজ্য নেতারা তাঁকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে আসেন। রাজ্যপালও হাজির হন সেখানে সুকান্তকে (Sukanta Majumdar) দেখতে। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও হাজির হন হাসপাতালে। প্রসঙ্গত, প্রথমদিন তাঁকে নিউরো আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ডে-কেয়ার বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে (Sukanta Majumdar)।

    বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশন

    সারা দেশের প্রতিটি রাজ্য থেকে দলের সাংসদ বিধায়ক-সহ জেলা ও রাজ্যস্তরের পদাধিকারীরা যোগ দিচ্ছেন দিল্লিতে। বাংলা থেকেও বিধায়ক সাংসদ-সহ বিভিন্ন দলীয় নেতৃত্ব ও কয়েকশো পদাধিকারী যোগ দিতে ইতিমধ্যে রওনা হয়েছেন দিল্লি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও শনিবারই পৌঁছে যাবেন দিল্লিতে, এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমেত গেরুয়া শিবিরের প্রথম সারির মুখরাও উপস্থিত থাকবেন দলের এই বিশেষ অধিবেশনে। রবিবার বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী সুর বেঁধে দেবেন লোকসভা ভোটের প্রচারের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024:  লোকসভা ভোটের লক্ষ্যে দিল্লিতে শুরু বিজেপির নীতি নির্ধারক কমিটির বৈঠক

    Loksabha Election 2024: লোকসভা ভোটের লক্ষ্যে দিল্লিতে শুরু বিজেপির নীতি নির্ধারক কমিটির বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন ২০২৪। আজ শনিবার থেকে দিল্লিতে শুরু হচ্ছে বিজেপির নীতি নির্ধারক কমিটির অধিবেশন। দু দিন ধরে চলবে সেই অধিবেশন। গোটা দেশের প্রায় ১১৫০০ প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকের শুরুতেই ভাষণ দেবেন জে পি নাড্ডা আর রবিবার সমাপ্তি বক্তৃতা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ন্যাশনাল কাউন্সিলের সব সদস্য, গোটা দেশের সব জেলার বিজেপি সভাপতি, লোকসভার কনভেনার, ফিনান্স কমিটি, মিডিয়া সেলের কনভেনার, আইটি সেলের কর্মী- সহ সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা।

    বাংলাকে গুরুত্ব

    সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সব রাজ্যে বিজিপির মাটি শক্ত করার লক্ষ্যেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। লোকসভা ভোট নিয়ে রণকৌশল চূড়ান্ত করা হতে পারে এই বৈঠকে। দিল্লির ভারত মণ্ডপমে হবে এই বৈঠক। বৈঠকে উঠে আসতে পারে সন্দেশখালি-সহ বাংলার সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ। বৈঠকে থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি রাজ্য সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। থাকবেন বাংলার সাংসদ ও বিধায়কেরাও। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ভাল ফল করতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। বাংলায় শাসকের অরাজকতা দূর করার জন্য সবরকম প্রয়াস চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে বিজেপির তরফে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির অশান্তির আবহে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী! মার্চের প্রথম সপ্তাহে বারাসতে সভা?

    লোকসভায় ৩৭০ আসন

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি সংসদে ঘোষণা করেছিলেন যে ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি ৩৭০ টি আসন জিতবে এবং এনডিএ ৪০০টি আসন পাবে। তাই নীতি নির্ধারক কমিটির বৈঠকে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জনের জন্য দলীয় নেতা ও কর্মীদের একটি রোডম্যাপ প্রদান করা হবে বলে অনুমান রাজনীতিকদের। বিজেপি সূত্রের খবর, দু’দিনের অধিবেশনে দু’টি রেজোলিউশন পাস করা হবে। রেজোলিউশনের প্রথমটি হতে পারে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে। আর দ্বিতীয়টি হতে পারে দেশের আর্থিক পরিস্থিতিতে বিজেপির অবস্থান প্রসঙ্গে। সে ক্ষেত্রে সংসদে পেশ হওয়া ইউপিএ জামানার আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে শ্বেতপত্রের উপর জোর দেওয়া হবে। এছাড়াও আলোচনা হতে পারে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালির অশান্তির আবহে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী! মার্চের প্রথম সপ্তাহে বারাসতে সভা?

    Sandeshkhali: সন্দেশখালির অশান্তির আবহে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী! মার্চের প্রথম সপ্তাহে বারাসতে সভা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। ঠির এই আবহে মার্চের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রধানমন্ত্রী মোদি ৬ মার্চ বাংলায় এসে বারাসতে সভা করবেন। তাঁর ভাষণে উঠে আসবে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলা নিগ্রহের ঘটনাগুলিও। রাজ্যে এসে প্রধানমন্ত্রী সন্দেশখালি ইস্যুতে কড়া বার্তা সামনে আনুন, এমনটাই চাইছে বঙ্গ বিজেপি। 

    শাহের সফরে সাংগঠনিক বৈঠক 

    মোদির সফরের আগে রাজ্যে আসার কথা রয়েছে অমিত শাহের। চলতি মাসের ২৯ তারিখ রাজ্যে আসার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। সব ঠিক থাকলে ওই দিন মায়াপুরে ইসকনের মন্দিরে যেতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, রানাঘাট-সহ আশপাশের কয়েকটি লোকসভার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকেও বসার কথা শাহের। তবে অমিত শাহ কোনও জনসভা করতে পারবেন না। কারণ সেসময়ও রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিক চলবে। প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে মায়াপুরের ইসকনে এসেছিলেন তিনি। সব ঠিক থাকলে শাহের সফরের ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় রাজ্যে পা পড়তে পারে নরেন্দ্র মোদির। 

    সন্দেশখালি ইস্যুতে চড়ছে পারদ

    প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) নিয়ে ক্রমশই চড়ছে রাজনীতির পারদ। বিজেপির অভিযোগ, রাতের বেলা মেয়েদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অত্যাচার করতো ফেরার তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ ও তাঁর দলবদল। গ্রামবাসীদের একাংশ তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। শাহজাহান বাহিনীর হাতে নিগৃহীত মহিলাদের কথা শুক্রবারই পৌঁছেছে রাষ্ট্রপতি ভবনে। তফশিলি কমিশন সন্দেশখালি ঘুরে জমা করছে রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে— রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার মতো পরিস্থিতি রয়েছে।

    রাজ্যে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম

    অন্যদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে শুক্রবারই সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বিজেপির ৬ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। সন্দেশখালিতে পৌঁছে পরিস্থিতি অনুসন্ধান করার কথা ছিল। কিন্তু রামপুরের কাছেই নস্কর পাড়ায় আটকে দেওয়া হয় তাদের। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। পরে, রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত তথ্য পেশ করেন দলের সদস্যরা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “যাঁরা রামকে কাল্পনিক বলতেন, তাঁরাই জয় সিয়ারাম বলছেন”, বললেন মোদি

    PM Modi: “যাঁরা রামকে কাল্পনিক বলতেন, তাঁরাই জয় সিয়ারাম বলছেন”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যাঁরা ভগবান রামকে কাল্পনিক বলতেন, তাঁরাই এখন জয় সিয়ারাম বলছেন।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন হরিয়ানার রেউড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি নিশানা করেন কংগ্রেসকে। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ এবং এক পদ এক পেনশন নীতির প্রসঙ্গও উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে।

    ‘তাঁরাও এখন সিয়ারাম গাইছেন’

    তিনি বলেন, “দেশ চেয়েছিল অযোধ্যায় রামের একটি মন্দির নির্মাণ হোক। আজ গোটা দেশ দেখছে, মনোরম রাম মন্দিরে বসে রয়েছেন রামলালা। কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা যাঁরা ভাবতেন রাম একটি কাল্পনিক চরিত্র, যাঁরা কোনওদিনই চাইতেন না রাম মন্দির নির্মাণ হোক, তাঁরাও এখন সিয়ারাম গাইছেন।” দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। এদিন প্রধানমন্ত্রী তারই প্রচার শুরু করলেন রেউড়ি থেকে। মনে রাখতে হবে, ২০১৩ সালে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে এখানেই প্রথম সভা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই এদিন সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। বক্তৃতা শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) রেউড়িতে ৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার একাধিক প্রজেক্টের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন তিনি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিছুক্ষণ আগেই আমার সুযোগ হয়েছিল হরিয়ানায় ১০ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্টের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করার। এর মধ্যে রেউড়ি এইমসও রয়েছে। রয়েছে নয়া রেল লাইন, মেট্রো লাইন এবং একটি মিউজিয়াম। ভগবান রামের ইচ্ছেয় আমি এখন বিভিন্ন জায়গায় এসব পবিত্র কর্মের সঙ্গে যুক্ত হতে পারছি।” আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ ৪০০ আসন পাবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সন্দেশখালি গিয়েই ছাড়ব’’, রাজভবনে রিপোর্ট দিল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম

    তিনি বলেন, “যদি জি২০ সম্মেলন সফল হয়, তার কারণ আপনাদের আশীর্বাদ। যেখানে কেউ এখনও যেতে পারেনি, চাঁদের সেই দক্ষিণ মেরুতেও প্রথম পা রেখেছি আমরা। এসবই হয়েছে আপনাদের আশীর্বাদে। গত দশ বছরে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় এগারো নম্বর স্থান থেকে পাঁচে উঠে এসেছে ভারত। আমার তৃতীয় টার্মে আপানাদের আশীর্বাদে দেশকে আমি ওই তালিকার তিন নম্বরে নিয়ে যাব।” কংগ্রেসকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “যারা ইন্ডি জোটটাই ঠিকঠাক করে গড়ে তুলতে পারল না, তারা দেশ চালাবে!”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: কেন দলে দলে কংগ্রেস ত্যাগ করছেন নেতারা? আসল কারণ খোলসা করলেন মোদি

    PM Modi: কেন দলে দলে কংগ্রেস ত্যাগ করছেন নেতারা? আসল কারণ খোলসা করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “স্বজনপোষণ ও পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির চক্রব্যূহে আটকে পড়েছিলেন আপনারা। তাই কংগ্রেস ছাড়ছেন।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকজন কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন তাঁরা কংগ্রেস-সঙ্গ ত্যাগ করছেন, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়েই গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির স্বজনপোষণ ও পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিকে কাঠগড়ায় তোলেন প্রধানমন্ত্রী।

    বিকশিত ভারত

    এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে রাজস্থানের জয়পুরে ‘বিকশিত ভারত, বিকশিত রাজস্থান’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন করেন ১৭ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের। এই অনুষ্ঠানেই কংগ্রেসকে নিশানা করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের একমাত্র লক্ষ্যই হল মোদির বিরোধিতা করা।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ওদের (কংগ্রেসের) মোদির প্রতি এত ঘৃণা যে তা সমাজে বিভাজন তৈরি করে। এটাই হয় যখন কেউ স্বজনপোষণ ও পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির চক্রব্যূহে আটকে পড়ে। আজ সবাই কংগ্রেস ছেড়ে দিচ্ছেন। একমাত্র একটি পরিবারই কংগ্রেসে রয়েছে।”

    কংগ্রেসকে নিশানা মোদির 

    তিনি বলেন, “কংগ্রেসের সব চেয়ে বড় সমস্যা হল এদের দূরদর্শিতা ও ইতিবাচক নীতি গঠনের অভাব। কংগ্রেস ভবিষ্যতও দেখতে পায় না। আর তাদের কাছে ভবিষ্যতের কোনও রোডম্যাপও নেই।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস বিকশিত ভারত নামটা পর্যন্ত গ্রহণ করেনি। কারণ এতে কাজ করছে মোদি। কংগ্রেস মেড ইন ইন্ডিয়াকেও সমর্থন করেনি। সমর্থন করেনি ভোকাল ফর লোকালকেও। কারণ মোদি একে সমর্থন করে।”  

    বিকশিত ভারত প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা শুধু একটা শব্দ নয়, বরং আবেগ। এই প্রকল্প প্রতিটি পরিবারের সকলের জীবনকে সমৃদ্ধ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। গরিবি দূর করবে এই প্রকল্প। যুব প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থান ও দেশে আধুনিক পরিষেবা চালু করার লক্ষ্যে কাজ করছে এই প্রকল্প।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘মণিপুর-ধাঁচে হোক তদন্ত’’! সন্দেশখালি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই যে ভারত উন্নত দেশে পরিণত হবে, এদিন আরও একবার তা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, “ভারতকে উন্নত দেশ তৈরি করতে সরকার চারটি ক্ষেত্রকে মজবুত করছে – যুব প্রজন্ম, মহিলা, কৃষক ও গরিব। আমাদের কাছে এরাই সব থেকে বড় শ্রেণি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Modi in Doha: উপচে পড়া ভিড়! ভারত-কাতার বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করতে দোহায় প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Modi in Doha: উপচে পড়া ভিড়! ভারত-কাতার বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করতে দোহায় প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ভারত ও কাতারের বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে দোহায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বুধবার দোহায় পৌঁছে কাতারের  প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির (Sheikh Mohammed bin Abdulrahman Al Thani) সঙ্গে সাক্ষাত করেন মোদি (Modi in Doha)। যেখানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্বালানি, অর্থের মতো ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা হয়। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে দুই নেতার মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

    নজরকাড়া সম্বর্ধনা

    এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কাতার সফরে (Modi in Doha) গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৬ সালের জুনে তিনি প্রথম কাতার সফর করেন। সেখানে পৌঁছালে মোদিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোলতান বিন সাদ আল-মুরাইখি। সেখানে মোদিকে দেখতে ভিড় করে প্রচুর প্রবাসী ভারতীয়রা। পরে তিনি কাতারের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছেন যে ভারত-কাতারের বন্ধুত্বকে আরও মজবুত করতে আশাবাদী তিনি। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ভারত ঘোষণা করে, কাতারের রাজধানী সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। কাতারে জেলবন্দি ভারতীয় নৌবাহিনীর আট সদস্যের মধ্যে সাতজন দেশে ফেরার পর এই ঘোষণা করা হয়। 

    কাতারের রাজার সঙ্গে সাক্ষাত

    দুইদিনের সফরে তিনি কাতারের (Modi in Doha) এমির বা রাজা শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত করতে কাতারের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সম্প্রতিই কাতার থেকে নৌসেনার প্রাক্তন ৮ কর্তার মুক্তিকে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও ভারত সরকারের বিরাট কূটনৈতিক জয় বলেই দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abu Dhabi Hindu Temple: আবুধাবিতে প্রথম হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন! আবেগে ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Abu Dhabi Hindu Temple: আবুধাবিতে প্রথম হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন! আবেগে ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে (UAE) প্রথম হিন্দু মন্দির উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বুধবার বসন্ত পঞ্চমীর সন্ধ্যায় আবু ধাবির হিন্দু মন্দিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান স্বামী ব্রমহ্মভিহরিদাস। মন্দিরের উদ্বোধনের পর ভগবান স্বামী নারায়ণের কাছে পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর আরতিতেও অংশ নেন তিনি। প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনা করতে দেখা যায় তাঁকে। 

    মন্দিরের নানা কথা

    বিজ্ঞানসম্মত ভাবে প্রাচীন বিভিন্ন মন্দিরের আদল একত্রিত করে এই মন্দির বানানো হয়েছে। চাপ, তাপ, সিসমিক মুভমেন্ট মাপার জন্য মন্দিরের প্রত্যেক স্তরে রয়েছে উচ্চ প্রযুক্তির সেন্সর। সেই সেন্সর সব সময় তথ্য পাঠাবে। এই এলাকা ভূমিকম্প প্রবণ। তার থেকে মন্দিরকে সুরক্ষিত করতেই নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে। এই মন্দির তৈরিতে কোনও ধাতুর ব্যবহার করা হয়নি বলেও জানা গিয়েছে। রাজস্থান থেকে ২০ হাজার টন পাথর আবুধাবিতে নিয়ে আসা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সাল থেকেই এই মন্দির তৈরির কাজ চলছিল। 

    কী বললেন মন্দির

    ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয় এই মন্দিরের। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসেই শুরু হয় মন্দিরের নির্মাণ কাজ। মন্দির উদ্বোধনের সময় মোদিকে বলেন, ”আমার কাছে বিএপিএস মন্দির ভারতের প্রতি আপনাদের ভালোবাসার প্রতিফলন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতি আপনাদের দূরদৃষ্টি। আপনাদের সমর্থন ছাড়া এটা হওয়াই সম্ভব ছিল না। আমাদের প্রথম বৈঠকের দিনই আমি একটা সাধারণ অনুরোধ করেছিলাম যদি এই বিষয়ে কিছু করা যায়। এবং আপনারা তাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেন। আমাকে বলা হয়েছিল যেখানেই আপনার আঙুল রাখবেন সেটাই আপনার হবে।”

    আবুধাবির এই মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে বাপস বিশ্বের ১২০০টি হিন্দু মন্দিরে আরতির আয়োজন করেছিল। আবুধাবিতে মন্দির উদ্বোধনের পর সেখানেও আরতি করেছেন তিনি। অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসবের মতো সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর এই অনুষ্ঠানেও হাজিরা ভারতের একঝাঁক তারকা। আবু ধাবির হিন্দু মন্দির উদ্বোধনে পৌঁছে গিয়েছে অভিনেতা অক্ষয় কুমরা, বিবেক ওবেরয়, সংগীতশিল্পী শংকর মহাদেবন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India UAE Relation: মোদির আমিরশাহি সফরে স্বাক্ষরিত হল ১০ চুক্তি, জানেন কী কী?

    India UAE Relation: মোদির আমিরশাহি সফরে স্বাক্ষরিত হল ১০ চুক্তি, জানেন কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ নিয়ে গত ক’মাসে তিনি প্রায় পাঁচ বার গেলেন সেদেশে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী পৌঁছন আবু ধাবিতে। সেটিকে তিনি তাঁর ঘর বলেই মনে করেন, জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন বিদেশ সচিব?

    বুধবার বিদেশ সচিব বিনয় কোয়েত্রা বলেন, “ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির (India UAE Relation) মধ্যে ১০টি বিষয়ে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। শক্তি, পরিকাঠামো, লগ্নি এবং আর্কাইভাল ম্যানেজমেন্টের মতো জটিল ক্ষেত্রগুলিতে দুই দেশের সহযোগিতা আরও বাড়াতেও সম্পাদিত হয়েছে চুক্তি। মঙ্গলবার সে দেশে পৌঁছেই প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই সম্পাদিত হয়েছে চুক্তি এবং মউ। দুই দেশের বাণিজ্য যাতে মসৃণ গতিতে চলে এবং শক্তি নিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত হয়, তাই দুই দেশের (India UAE Relation) মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে মউ।

    করিডর তৈরির কাজে জোর

    বিদেশমন্ত্রকের সচিব বলেন, “ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট-ইউরোপ ইকনমিক করিডর এবং ইন্টার গভর্নমেন্টাল ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট নিয়েও আলোচনা হবে দুই দেশের মধ্যে। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে উপকৃত হবে দুই দেশই। ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মধ্যে যে লজিস্টিক প্লাটফর্মে আরও বেশি করে বোঝাপড়া প্রয়োজন, এই করিডর তৈরির জন্যও যে দুই দেশের সহযোগিতা প্রয়োজন, তাও জানান বিদেশ মন্ত্রকের সচিব। দুই দেশের মধ্যে সাপ্লাই চেনও বজায় রাখতে হবে। বাল্ক কনটেনার্স এবং লিক্যুইড গুডসই যে দুই দেশের  আলোচনার অন্যতম ভরকেন্দ্র, তার ওপরও জোর দিয়েছেন ভারতের বিদেশ সচিব। তিনি জানান, ভারতের লক্ষ্য দ্রুত ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট-ইউরোপ ইকনমিক করিডর তৈরির কাজ শেষ করা এবং এই করিডরের সঙ্গে যেসব দেশ জড়িত, তাদের সঙ্গে শক্তপোক্ত সম্পর্ক গড়ে তোলা।

    আরও পড়ুুন: ফের ভাঙল কংগ্রেস, বিজেপিতে যোগ দিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি

    প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে হয় জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। সেখানেই ওই করিডর গড়ে তোলার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। এই করিডর তৈরির কাজ শেষ হলে এক সুতোয় বাঁধা পড়বে ভারত, সংযুক্ত আরব আমির শাহি, সৌদি আরব, জর্ডন, ইজরায়েল এবং ইউরোপ। ভারত-সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সম্পর্ক যাতে আরও শক্তিশালী হয় তাই ডিজিটাল ইনফ্রাকস্ট্রাকচার প্রজেক্ট নিয়েও মউ স্বাক্ষরিত হবে দুই দেশের মধ্যে। দুই দেশের মধ্যে দক্ষতা, প্রযুক্তিগত জ্ঞান এবং এক্সপার্টাইজও শেয়ার করা হবে (India UAE Relation)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share