Tag: PM Modi

PM Modi

  • Asian Games 2023: এবার লক্ষ্য প্যারিস অলিম্পিক! এশিয়ান গেমসে পদক জয়ীদের সঙ্গে সাক্ষাত প্রধা‌নমন্ত্রীর

    Asian Games 2023: এবার লক্ষ্য প্যারিস অলিম্পিক! এশিয়ান গেমসে পদক জয়ীদের সঙ্গে সাক্ষাত প্রধা‌নমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) পদক জয়ী অ্যাথলিটদের সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানম‌ন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার বিকেলে একটি অনুষ্ঠানে এশিয়াডে পদক জয়ী অ্যাথলিটদের সঙ্গে মিলিত হলেন মোদি। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। ২০২৩ এশিয়া‌ন গেমসে ভারতের অভিযান সমাপ্ত হয়েছে শনিবার। চিনের মাটিতে দাঁড়িয়েই ১০০ পদকের লক্ষ্যপূরণ হয়েছে ভারতের। এখনও পর্যন্ত এশিয়ান গেমসে এটাই ভারতের সেরা সাফল্য। এবারের গেমসে ভারত ২৮টি সোনা, ৩৮টি রুপো, ৪১টি ব্রোঞ্জ সহ মোট ১০৭টি পদক জিতেছে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    এই অনুষ্ঠা‌নে পদকজয়ীদের উদ্দেশ্য মোদি বলেন, ‘১৪০ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে আমি আপনাদের (অ্যাথলিটদের) সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনার কঠোর পরিশ্রম ও অর্জনের কারণে সারাদেশে উৎসবের পরিবেশে মুখরিত হয়েছে। আমাদের দেশে কখনই প্রতিভার অভাব ছিল না কিন্তু বিভিন্ন বাধার কারণে আমাদের ক্রীড়াবিদরা তাঁদের প্রতিভাকে পদকে রূপান্তর করতে পারেননি।’

    সরকারের পদক্ষেপ

    বর্তমান সরকার  ক্রীড়াবিদদের জন্য বিশেষ কী কী প্রকল্প নিয়েছে সেটাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অ্যাথলিটদের সেরাটা নিশ্চিত করতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এইবার আমরা ১০০টি পদক জিতেছি। পরের বার, আমরা এই রেকর্ডটি অতিক্রম করব। প্যারিস অলিম্পিকের জন্য আপনারা সর্বোত্তম প্রচেষ্টা বজায় রাখুন।’ মোদি উল্লেখ করেন, ‘অ্যাথলিটরা তাদের সেরাটা দেওয়ার সবসময় চেষ্টা করেছে। ভারতে প্রতিভার অভাব ছিল না। জেতার ইচ্ছা সবসময় ছিল। তারা আগেও ভাল করত, কিন্তু তাদের পথে অনেক বাধা-বিপত্তি ছিল। কিন্তু ২০১৪ এর পরে, ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা বিদেশে সেরা প্রশিক্ষণ, সুবিধা পাচ্ছেন। খেলো ইন্ডিয়া, টপসের মতো প্রকল্প চালু করা হয়েছে।’

    মিশন প্যারিস

    একইসঙ্গে মোদি জানান, ‘এই এশিয়ান গেমসে আমরা যে ইভেন্টেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি, আমরা সেখানেই পদক জিতেছি। পদকের সংখ্যা বাড়ছে, যা ভারতের জন্য একটি ভালো ইঙ্গিত। আপনারা নতুন পথ খুলে দিয়েছেন, যা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। এই পারফরম্যান্স প্যারিস অলিম্পিকের জন্যও নতুন প্রেরণা দেবে।’ 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: ‘দোস্ত’কে ফোন নেতানিয়াহুর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি?

    Israel Hamas War: ‘দোস্ত’কে ফোন নেতানিয়াহুর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপদের দিনে (Israel Hamas War) ‘দোস্ত’কেই স্মরণ করলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার ফোন করে ইজরায়েলের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ২০১৭ সালে ইজরায়েল সফরের সময় থেকেই মোদি-নেতানিয়াহুর সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ‘দোস্ত’ বলেও প্রকাশ্যে সম্বোধন করেছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। ‘বিপ্লবী নেতা’ বলেও সম্বোধন করেছেন। পরের বছর যখন নেতানিয়াহু ভারতে আসেন, তখন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের অঙ্গীকার করেছিল ভারত-ইজরায়েল।

    ইজরায়েলের ওপর হামলা

    শনিবার ভোরে আচমকাই ইজরায়েলের (Israel Hamas War) ওপর হামলা চালায় হামাসরা। ঘন ঘন রকেট হামাল চালানো হয় ইহুদিদের দেশে। এর পরেই যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েল। দু’ পক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে হাজার দেড়েক মানুষের। জখম হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এমতাবস্থায় ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি এবং ব্রিটেন। ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া তো ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল আগেই।

    কী বললেন মোদি?

    এহেন আবহে এদিন মোদির কাছে এল নেতানিয়াহুর ফোন। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন করে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানোর জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ দিয়েছি। জানিয়েছি, এই কঠিন সময়ে ভারতবাসী দৃঢ়ভাবে পাশে রয়েছে ইজরায়েলের। ভারত দ্ব্যর্থহীনভাবে সমস্ত ধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করছে।” ভারত যে ইজরায়েলের পাশে রয়েছে এক্স হ্যান্ডেলে তা আগেও জানিয়েছিলেন মোদি।

    তিনি লিখেছিলেন, “ইজরায়েলের ওপর জঙ্গি আক্রমণ হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি বিস্মিত। নিরীহ যাঁদের প্রাণ গিয়েছে, তাঁদের পরিবারের জন্য আমাদের প্রার্থনা রইল। এই কঠিন সময়ে আমরা ইজরায়েলের পাশে রয়েছি।”

    ভারতকে ফোন করার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইজরায়েলের (Israel Hamas War) তরফে পোস্ট করা হয়েছে হুঁশিয়ারি দিয়ে। লেখা হয়েছে, “আমরা এখন যুদ্ধের মধ্যে। আমরা আমাদের নাগরিকদের রক্ষা করব। সন্ত্রাসের সামনে আমরা মাথা নত করব না। যারা নিরপরাধ মানুষের ক্ষতি করছে, তাদের যাতে এর বড় মূল্য চোকাতে হয়, সেটা আমরা নিশ্চিত করব।”

    আরও পড়ুুন: পার্থর পুজো কাটবে জেলেই, বাইরে চিকিৎসার ছাড়পত্র মিললেও অর্পিতাকে থাকতে হবে গারদেই

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi:  স্বপ্নপূরণে পাশে সরকার! এশিয়ান গেমসের সফল ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে কাল প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত

    PM Modi: স্বপ্নপূরণে পাশে সরকার! এশিয়ান গেমসের সফল ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে কাল প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলছে ক্রিকেটের বিশ্বযুদ্ধ। বাইশগজে ভারতের ব্লু-ব্রিগেডের আধিপত্য সকলেরই জানা। কিন্তু ক্রিকেট ছাড়াও অন্য খেলার ময়দানেও ভারত যে নিজেদের দাপট দেখাতে পারে তা প্রমাণ করতে মরিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্র সরকারের অনুপ্রেরণাতেই এশিয়াতে খেলাধুলোয় নিজেদের শক্তিপ্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদেরা। ভারতকে খেলাধুলোর দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর মোদি সরকার। গত কয়েক বছর ধরেই কেন্দ্রীয় বাজেটে খেলাধুলোয় বরাদ্দ বাড়ছে। বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করে সেখানে ক্রীড়াবিদদের যুক্ত করা হচ্ছে। তারই ফল স্বরূপ সদ্য শেষ হওয়া ১৯তম এশিয়ান গেমসে ভারত মোট  ১০৭টি পদক জিতেছে। যার মধ্যে রয়েছে ২৮টি সোনা। ৩৮টি রুপো এবং ৪১টি ব্রোঞ্জ। পদক তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। 

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা

    আগামীকাল, ১০ অক্টোবর দেশের সফল প্রতিযোগীদের অভ্যর্থনা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “আমি ১০ তারিখে আমাদের এশিয়ান গেমস কন্টিনজেন্টের আয়োজন করার এবং আমাদের ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে আলাপচারিতার জন্য উন্মুখ।” চিনে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার ১৯তম সংস্করণে ৬৬১জন ক্রীড়াবিদ পাঠিয়েছিল ভারত।



    ক্রীড়া জগতে বিশ্বে দাপট দেখানোর আগে এশিয়া সেরা হয়ে উঠতে হবে। এশিয়ায় ভারত যে কারও থেকে কম যায় না, সেটা বোঝানোর জন্যে এশিয়াডের থেকে ভাল মঞ্চ আর হয় না। তাই প্রচারের শুরুটা হয়েছিল এশিয়ান গেমস থেকেই। এশিয়ান গেমস শুরুর অনেক আগে থেকেই সম্প্রচারকারী চ্যানেলের তরফে প্রচার শুরু করে দেওয়া হয়েছিল, যার স্লোগান ছিল, ‘ইস্ বার ১০০ পার’। অর্থাৎ এ বার ১০০ পদকের গণ্ডি পেরিয়ে যাবে ভারত। সেই প্রচার অবশেষে প্রাণ পেল।

    কেন্দ্রীয় সরকারের প্রয়াস

    কেন্দ্রীয় সরকারের মদতে সম্প্রচারকারী সংস্থা প্রচার শুরু করে দেওয়ার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু সেটা যে নিছক ফাঁকা আওয়াজ ছিল না তা বোঝা গিয়েছে এখন। আগের মোট পদকের থেকে ৩০টিরও বেশি পদক জিতে এশিয়াডে ‘সেঞ্চুরি’ করে ফেলেছে ভারত। চার বছরের ব্যবধানে যে ৩০টিরও বেশি পদক যোগ করা যাবে তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। মোদি অবশ্য প্রচার আগে থেকেই শুরু করে দিয়েছিলেন। ৭০টি পদক পেরনোর পরেই তিনি ট্যুইট করে ১০০ পদকের স্বপ্ন উসকে দেন। জাকার্তার পদকসংখ্যা টপকে যেতেই শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় ক্রীড়াবিদেরাও হতাশ করেননি।

    আরও পড়ুন: বিরাটের ক্যাচ ফস্কানোই কাল! মানছেন কামিন্স, দাপুটে জয়ের পরও চিন্তায় রোহিত

     লক্ষ্য অলিম্পিক

    ভারত যে এশিয়ার অন্যতম সেরা শক্তি হয়ে উঠছে এবারের এশিয়ান গেমস তার প্রমাণ। শ্যুটিং এবং অ্যাথলেটিক্সের মতো খেলাধুলোয় ক্রমশ জোর দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। প্রতিদিন উন্নতি করছে তারা। টার্গেট অলিম্পিক্স পোডিয়াম স্কিম (টপ্‌স) চালু করেছে কেন্দ্র। সেটাই এখন কাজে দিচ্ছে। ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার সভাপতি পিটি ঊষা সম্প্রতি বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছেতেই ভারত আগামী দিনে খেলাধুলোয় অন্যতম শক্তি হয়ে উঠবে। তার জন্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। ক্রীড়াবিদদের পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। বিদেশি কোচেদের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। তিন-চার বছর আগে এটা শুরু হয়েছে। এখন একটা জায়গায় চলে এসেছে তারা। তার ফলাফলও দেখতে পাচ্ছি আমরা।” শুধু কেন্দ্রীয় সরকার নয়, বেসরকারি সংস্থাগুলিও এখন ক্রীড়াবিদদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে। অন্তত দশ বছর আগেও যা ভাবা যেত না। ক্রীড়াবিদদের গ্যাঁটের কড়ি খরচা করে বিদেশে প্রতিযোগিতা খেলতে যেতে হত। এখন অনেকেরই সেই চিন্তা আর নেই। দুয়ারেই রয়েছে স্পনসর।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Games 2023: স্বপ্নপূরণ প্রধানমন্ত্রীর! এশিয়ান গেমসে শত পদক, ভারতের খেলাধুলোয় ইতিহাস 

    Asian Games 2023: স্বপ্নপূরণ প্রধানমন্ত্রীর! এশিয়ান গেমসে শত পদক, ভারতের খেলাধুলোয় ইতিহাস 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রীড়াজগতে স্বপ্নপূরণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এশিয়ান গেমসের (Asian Games 2023) স্লোগান ছিল ‘ইস্ বার ১০০ পার’। সত্যিই চলতি এশিয়ান গেমসে ১০০ পদক পেরিয়ে গেল ভারত। এটি সর্বকালীন রেকর্ড। এর আগে কোনও দিন ১০০ পদক ছোঁয়া তো দূর, তার ধারেকাছেও যেতে পারেননি অ্যাথলিটেরা। সোনা পাওয়ার ব্যাপারেও এ বার রেকর্ড হয়েছে। মোদি-জমানার আগে ক্রীড়াজগতে এই উন্নতির কথা ভাবতেও পারেনি দেশবাসী। ভারতকে খেলাধুলোর দেশ প্রমাণ করতে বদ্ধপরিকর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্বে দাপট দেখানোর আগে এশিয়া সেরা হয়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়েই চলছে ভারত। এশিয়ায় ভারত যে কারও থেকে কম যায় না, সেটা বোঝানোর জন্যে এশিয়াডের থেকে ভাল মঞ্চ আর হয় না। তাই প্রচারের শুরুটা হয়েছিল এশিয়ান গেমস থেকেই। সেখানেই অভূতপূর্ব সাফল্য মিলল। 

    কবাড্ডিতে সোনা

    কবাড্ডিতে সোনা জিতে ভারতকে শততম পদক এনে দিলেন ভারতীয় মহিলা দল। চিন তাইপেকে ফাইনাল ম্যাচে ২৬-২৪ স্কোরলাইনে হারাল ভারতীয় মহিলা কবাড্ডি দল (Indian Women’s Kabaddi Team)। ভারতের শততম পদক জয়ের পরই প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘সব খেলোয়াড়দের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। তাঁদের পরিশ্রমই ভারতকে এই ঐতিহাসিক মাইল ফলকে পৌঁছতে সাহায্য করেছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী ১০ অক্টোবর ওই বিজয়ী অ্যাথলিটদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

    তীরন্দাজিতে সাফল্যের ধারা অব্যাহত

    এশিয়ান গেমসের (Asian Games 2023)  শেষ দিনটা দুরন্ত শুরু করেছিল ভারত মহিলাদের তিরন্দাজির কম্পাউন্ড ব্যক্তিগত বিভাগে সোনা জিতলেন জ্যোতি সুরেখা ভেন্নাম। ফাইনালে কোরিয়ার প্রতিপক্ষকে হারিয়ে সোনা জেতেন জ্যোতি। ম্যাচের ফলাফল জ্যোতি ১৪৯, এবং চিয়েউন ১৪৫। তিরন্দাজির একই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জেতেন অদিতি স্বামী। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ফের একবার তিরন্দাজিতে আরেকটি সোনা এল ঘরে। কমপাউন্ড তিরন্দাজিতে পুরুষদের সিঙ্গেলসে সোনা জিতলেন ওজাস দেওতালে (Ojas Deotale)। স্বদেশীয় অভিষেক ভার্মাকেই (Abhishek Verma) ১৪৯-১৪৭ স্কোরলাইনে হারালেন তিনি। ফলে সোনার পাশাপাশি রুপোও এল ভারতের ঘরে।


    আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স সংস্থার সভাপতি পিটি ঊষা সম্প্রতি বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছেতেই ভারত আগামী দিনে খেলাধুলোয় অন্যতম শক্তি হয়ে উঠবে। তার জন্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। ক্রীড়াবিদদের পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। বিদেশি কোচেদের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। তিন-চার বছর আগে এটা শুরু হয়েছে। এখন একটা জায়গায় চলে এসেছে তারা। তার ফলাফলও দেখতে পাচ্ছি আমরা।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “রাজস্থানে ২৪ ঘণ্টা কুরসির খেলা চলতে থাকে”, কংগ্রেস সরকারকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর  

    PM Modi: “রাজস্থানে ২৪ ঘণ্টা কুরসির খেলা চলতে থাকে”, কংগ্রেস সরকারকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গত পাঁচ বছরে কংগ্রেস সরকার এক কদমও এগোয়নি। এখানে চব্বিশ ঘণ্টা কুরসির খেলা চলতে থাকে।” ভোটমুখী রাজস্থানে গিয়ে সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে এই ভাষায়ই নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার রাজস্থানের যোধপুরে সরকারি এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই হাতিয়ার করেন সে রাজ্যের কংগ্রেসের দুর্নীতিকে।

    লাল ডায়েরির প্রসঙ্গ

    তিনি বলেন, “লাল ডায়েরির কথা শুনেছেন? লোকে বলে যে ওই ডায়েরিতে কংগ্রেসের দুর্নীতির সব কথা লেখা রয়েছে। আমাকে বলুন, ডায়েরির গোপনীয়তা কি প্রকাশ্যে আসা উচিত নয়? …অসাধুদের কি শাস্তি দেওয়া উচিত নয়? …কংগ্রেস সরকার কি ডায়েরির গোপনীয়তা প্রকাশ্যে আসতে দেবে? সত্য প্রকাশ্যে আনতে গেলে আপনাদের বিজেপি সরকার গঠন করতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজস্থানের উন্নয়নের জন্য তাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। কিন্তু এখানকার অবস্থা বেদনাদায়ক…দুর্নীতি ও হিংসার ক্ষেত্রে কংগ্রেস রাজস্থানকে দেশের শীর্ষে নিয়ে এসেছে। নারী ও দলিতদের প্রতি অত্যাচারের ক্ষেত্রে রাজস্থানকে এক নম্বরে পরিণত করেছে। কংগ্রেস মাদক ব্যবসাকে ছাড় দিয়েছে।”

    ‘স্বাস্থ্যই রয়েছে অগ্রাধিকারের তালিকায়’

    তিনি বলেন, “বিজেপি সরকারের কাছে আপনার স্বাস্থ্যই রয়েছে অগ্রাধিকারের তালিকায়। একদিকে আমরা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে দরিদ্র পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা দিচ্ছি এবং অন্য দিকে আমরা রেকর্ড সংখ্যায় আধুনিক হাসপাতাল তৈরি করছি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণের প্রতি কংগ্রেসের কোনও আগ্রহ নেই। তারা কেবল ভালবাসে ভোটব্যাঙ্ক।” তিনি বলেন, “রাজস্থানকে উন্নয়নশীল দেশের ইঞ্জিন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিজেপি। পর্যটনে রাজস্থানকে ১ নম্বর রাজ্য করার অঙ্গীকার করছে বিজেপি। বিজেপি যদি রাজস্থানে সরকার গড়ে, তাহলে পর্যটনে রাজ্যটি হবে এক নম্বর।”

    এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। সরকারি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “মোদির ওপর ওঁর অনেক ভরসা রয়েছে। সেজন্য ওঁর মনে হয়েছে, মোদি আসছেন, সব হয়ে যাবে। আমিও ওঁকে বলছি, আপনি বিশ্রাম করুন। এবার আমরা সামলে নেব।”

    আরও পড়ুুন: সাত লক্ষে টাইপিস্ট, ৪ লাখে ড্রাইভার! জানেন পুরসভায় চাকরি বিক্রির রেট?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • PM Modi: দেশ পাচ্ছে আরও একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তেলঙ্গনায় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: দেশ পাচ্ছে আরও একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তেলঙ্গনায় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ পেতে চলেছে আরও একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার ভোটমুখী তেলঙ্গনার মহবুব নগরে একথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কেন্দ্রীয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে ‘সম্মক্কা সরাক্কা সেন্ট্রাল ট্রাইবাল ইউনির্ভাসিটি’। উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের পরম শ্রদ্ধার দেবী সম্মাক্কা ও সরাক্কা। তাঁদের নামেই হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি গড়ে উঠবে মুলুগু জেলায়।

    কেন্দ্রীয় উপজাতি বিশ্ববিদ্যালয়

    এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মুলুগু জেলায় কেন্দ্রীয় সরকার একটি কেন্দ্রীয় উপজাতি বিশ্ববিদ্যালয় গড়বে। যার নাম হবে উপজাতিদের দেবী সম্মক্কা ও সরাক্কার নামে। এজন্য ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তাঁদের ভালবাসার জন্য তেলঙ্গনাবাসীকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই।” এর পাশাপাশি নিজামাবাদে একটি ন্যাশনাল টারমারিক বোর্ড গঠনের কথাও ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার আরও বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পেরও উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেন তিনি।

    ট্রেন যাত্রার সূচনা

    এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) একটি ট্রেনের যাত্রার সূচনাও করেন। ট্রেনটি চলবে হায়দ্রাবাদ-রাইচুর-হায়দ্রাবাদ রুটে। কৃষ্ণ স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়বে। এই ট্রেনটির মাধ্যমে মহবুবনগর এবং নারায়ণপেত জেলার সংযোগ স্থাপন হবে। ট্রেনটি চালু হলে ছাত্রছাত্রী, নিত্যযাত্রী, কর্মী এবং স্থানীয় হ্যান্ডলুম ইন্ডাস্ট্রির কর্মীদের সুবিধা হবে। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কোভিড অতিমারির পরে হলুদ সম্পর্কে জনসচেতনতা বেড়েছে। বিশ্ববাজারেও হলুদের চাহিদা বেড়েছে। সেই কারণে হলুদের দিকে আমাদের বেশি করে নজর দিতে হবে।

    আরও পড়ুুন: ২০২৯ সালেই কার্যকর হবে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতি!

    উৎপাদন থেকে রফতানি সব দিকেই নজর দিতে হবে। হলুদ চাষিদের প্রয়োজন ও ভবিষ্যৎ সুযোগের কথা ভেবে কেন্দ্র জাতীয় হলুদ বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী এদিন নাগপুর-বিজয়ওয়াড়া ইকনমিক করিডরের শিলান্যাসও করেন। অনুষ্ঠানে মহিলা সংরক্ষণ বিলের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “উৎসবের ঋতু শুরু হয়ে গিয়েছে। নবরাত্রি উৎসব দোরগোড়ায়। সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করে আমরা শক্তিপূজার যাথার্থতাকেই মান্যতা দিয়েছি।” হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি বিল্ডিংয়েরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: স্বচ্ছতা অভিযানে ঝাঁটা হাতে নামলেন প্রধানমন্ত্রী, পথে নামলেন শাহ-যোগী-নাড্ডাও

    PM Modi: স্বচ্ছতা অভিযানে ঝাঁটা হাতে নামলেন প্রধানমন্ত্রী, পথে নামলেন শাহ-যোগী-নাড্ডাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে এক ঘণ্টার স্বচ্ছতা অভিযানে অংশ নিতে দেশবাসীকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। রবিবাসরীয় সকালে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত নিজেই যোগ দিলেন স্বচ্ছতা অভিযানে। রাত পোহালেই গান্ধী জয়ন্তী। তার আগের দিন স্বচ্ছ ভারত অভিযানে কোমর কষে নেমে পড়েছিলেন তিনি।

    স্বচ্ছতা অভিযানে প্রধানমন্ত্রী 

    এদিন ঘণ্টাখানেক বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এক্স হ্যান্ডেলে সেই ভিডিও পোস্টও করেছেন তিনি। ক্যাপশনে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আজ ভারতের লক্ষ্য স্বচ্ছতা।” ওই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, হাতে গ্লাভস পরে সাফাই অভিযানে নেমে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ঝাড়ু হাতে নিয়ে ঝাঁটও দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। একটি বাগানে তাঁর সঙ্গে স্বচ্ছতা অভিযানে দেখা গিয়েছে ফিটনেস বিশেষজ্ঞ অঙ্কিত বাইয়ানপুরিয়াকে।

    প্রধানমন্ত্রীর বার্তা 

    চার মিনিট একচল্লিশ সেকেন্ডের ওই ভিডিও-র ক্যাপশনে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আজ যেহেতু ভারতের লক্ষ্য স্বচ্ছতা, তাই অঙ্কিত বাইয়ানপুরিয়া ও আমি একই কাজ করেছি। কেবল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই নয়, আমরা ফিটনেস ও সুস্থতাকেও মিশ্রিত করেছি। সবটাই স্বচ্ছ ও সুস্থ ভারতের ভাবনা।” গত রবিবার মন কি বাতের অনুষ্ঠান থেকেই ১ অক্টোবর ‘স্বচ্ছতা হি সেবা’ অভিযান কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি জানিয়েছিলেন, মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই অভিযানে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

    স্বচ্ছতায় এক ঘণ্টা শ্রম দিয়ে নিজের এলাকার নদনদী, নালা-জলাশয় পরিষ্কারের মাধ্যমে গান্ধীজিকে ‘স্বচ্ছাঞ্জলি’ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই মতো এদিন সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার স্বচ্ছতা অভিযানে যোগ দেন তিনি। এদিনের অভিযানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ অন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সাংসদরাও শামিল হন। গুজরাটের আমেদাবাদে স্বচ্ছতা অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন অমিত শাহ।

    আরও পড়ুুন: ‘দিল্লি চলো’ হুঙ্কার ছেড়ে নিজের রাজ্যেই ক্লাবের অনুদান বন্ধ করলেন মমতা!

    আর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এই কর্মসূচি পালন করেছেন দিল্লিতে। সীতাপুরে এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) পদে আসীন হন মোদি। তার পর থেকে ফি বছর ১ অক্টোবর স্বচ্ছ অভিযান কর্মসূচি পালন করে চলেছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • MS Swaminathan: ‘সবুজ বিপ্লবে’র জনক! কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথন ছিলেন উদ্ভাবনী ক্ষমতার ভরকেন্দ্র

    MS Swaminathan: ‘সবুজ বিপ্লবে’র জনক! কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথন ছিলেন উদ্ভাবনী ক্ষমতার ভরকেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে দুর্ভিক্ষ রোখার জন্য এবং কৃষিক্ষেত্রে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে ছয়ের দশকের শেষ দিক থেকে ভারত সরকার যে ‘সবুজ বিপ্লব’-এর সূচনা করে, তার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন এম এস স্বামীনাথন। ষাটের দশকে ভারতে উদ্ভূত খাদ্য সঙ্কট এবং খাদ্যশস্যের জন্য বিদেশি রাষ্ট্রনির্ভরতা যে অনেকাংশে কমানো গিয়েছিল, তার পিছনে বড় অবদান ছিল প্রখ্যাত কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথনের। বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ের বাড়িতে জীবনাবসান হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। 

    প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা

    স্বামীনাথনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল সাইটে শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “কৃষিতে বৈপ্লবিক অবদানের বাইরেও ডক্টর স্বামীনাথন ছিলেন উদ্ভাবনী ক্ষমতার ভরকেন্দ্র। বহু মানুষের পথপ্রদর্শক ছিলেন তিনি। গবেষণার প্রতি তাঁর সঙ্কল্প বহু বিজ্ঞানী এবং গবেষককে অনুপ্রাণিত করেছিল।”

    স্বামীনাথনের বড় হওয়া

    স্বামীনাথনের জন্ম ১৯২৫ সালের ৭ অগস্ট, তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলায়। ১১ বছর বয়সে হারিয়েছেন বাবাকে। জেনারেল সার্জেন এমকে সাম্বসিবনের ছেলে স্বামীনাথন ১৫ বছর বয়সে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। তাঁর উচ্চশিক্ষা শুরু হয় জুলজির হাত ধরে কেরলে। পরবর্তীতে তিনি মাদ্রাজ, দিল্লি ও আরও পরে নেদারল্যান্ডস, ইউকে, আমেরিকা থেকে একের পর এক ডিগ্রি সঞ্চয় করেন ও উচ্চশিক্ষা এগিয়ে নিয়ে যান।

    স্বামী বিবেকানন্দের ভক্ত 

    বিদেশে পড়াশোনায় একটা বড় সময় কাটালেও স্বামী বিবেকানন্দের ভক্ত স্বামীনাথনকে নাড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৪৩ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষ। দেশের মানুষের মুখে খাবার যোগাতে তিনি কৃষি গবেষণায় মন দেন। উন্নত বীজ, জলসেচের মাধ্যমে দেশের পশ্চিম অংশ, মূলত পাঞ্জাবে তিনি আমূল পরিবর্তন আনেন। কৃষিবিজ্ঞানী হিসাবে উচ্চফলনশীল ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। 

    স্বামীনাথনের গবেষণা

    দীর্ঘদিন কৃষি গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এম এস স্বামীনাথন। মূলত মিশ্র চাষ, চাষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার, ফসলে শংকর প্রজাতির ব্যবহার নিয়ে বিস্তৃত গবেষণা করেছেন তিনি। ধানের নতুন নতুন প্রজাতি আবিষ্কারের জন্য গোটা বিশ্বে স্বীকৃত স্বামীনাথন। তিনি আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা সংস্থার ডিরেক্টর হিসাবেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন যোজনা কমিশনের সঙ্গেও। প্ল্যান্ট জেনেটিক্সের ক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজই ভারতের কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছিল। টেকসই কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্য সুরক্ষা বাস্তবায়িত হয়েছিল দেশে। এই সাফল্য তাঁকে এনে দিয়েছিল বিশ্বব্যাপী পরিচিতি। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতীয় কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের প্রধান পদে ছিলেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি গবেষণা এবং শিক্ষা দফতরের সচিবের দায়িত্বও সামলান।

    আরও পড়ুন: কম বয়সেও হার্ট অ্যাটাক! বিশ্ব হার্ট দিবসে জানুন হৃদযন্ত্র ভাল রাখার সহজ কিছু উপায়

    স্বামীনাথনকে সম্মান

    কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ১৯৭১ সালে রমন ম্যাগসাইসাই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় স্বামীনাথনকে। পদ্মশী, পদ্মভূষণ এবং পদ্মবিভূষণ পুরস্কারেও ভূষিত হন তিনি। ২০০৭ এবং ২০১৩ সালে পর পর দু’বার রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেওয়া হয় তাঁকে। ১৯৮৬ সালে পেয়েছেন অ্যালবার্ট আইস্টাইন অ্যাওয়ার্ড। কর্মজীবন থেকে অবসরগ্রহণের পরেও দেশ-বিদেশের একাধিক পরিবেশগত এবং কৃষি সংক্রান্ত সংস্থায় পরামর্শদাতা কিংবা সদস্য হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 6G Technology: মোদির ৬জি প্রযুক্তির প্রস্তাবে স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক সংস্থার, কী লাভ হল জানেন?

    6G Technology: মোদির ৬জি প্রযুক্তির প্রস্তাবে স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক সংস্থার, কী লাভ হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নত প্রযুক্তির সুবিধা নিতে হবে বলে বিভিন্ন সময় মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি নিজেও টেক-স্যাভি। ৬জি (6G Technology) টেলিকমিউনিকেশন পরিষেবা গড়ে তোলার বিষয়েও তিনি যে বিশেষ আগ্রহী, তাও বিভিন্ন সময় প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গীকে মান্যতা দিল রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্ত সংস্থা আইটিইউ (ITU)। এই সংস্থার স্টাডি গ্রুপের বৈঠকে ভারতের ৬জি টেলিকমিউনিকেশন যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃষ্টিভঙ্গীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আইটিইউয়ের স্টাডি গ্রুপের এই স্বীকৃতিতে ৬জি প্রযুক্তি স্থাপনের খরচ কমাতে এবং ভারতকে ৬জি মানের সংজ্ঞা নির্ধারণে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ করে দেবে।

    ৬জি ভিশন নথি

    তামাম বিশ্বের মোবাইল টেলিকমিউনিকেশনের মান নির্ধারণ করে থাকে আইটিইউ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ৬জি (6G Technology) ভিশন নথি প্রকাশ করেছেন, তাতে ৬জি প্রযুক্তির বাস্তবায়ন সাশ্রয়ী, টেকসই এবং সর্বজনীন হওয়া উচিত বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। স্টাডি গ্রুপের আগের বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দল আইএমটি২০৩০ কাঠামোয় ৬জি সর্বজনীন সংযোগকে ব্যবহারের দৃশ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্থ সংস্থা আইটিইউয়ের স্টাডি গ্রুপের বৈঠকে।

    এই স্বীকৃতির গুরুত্ব অপরিসীম

    ভারতের এই স্বীকৃতি কেবল একটি প্রযুক্তিগত সাফল্য নয়, কূটনৈতিক সাফল্যও। খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে কানাডার জাস্টিন ট্রুডো সরকার। যদিও এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কাউকে পাশে পায়নি ট্রুডোর দেশ। এহেন আবহে ভারতের এই স্বীকৃতির গুরুত্ব যে অপরিসীম, তা মানছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশও।

    ৬জি প্রযুক্তি (6G Technology) সূচনা করবে নয়া যুগের। এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলে সুবিধা মিলবে হাইস্পিডের ইন্টারনেটের। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য প্রযুক্তির জন্যও তৈরি হবে নয়া সুযোগ। ডিজিটাল অর্থনীতিতে ভারতের ভূমিকা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে এই প্রযুক্তি। আইটিইউয়ের স্টাডি গ্রুপের বৈঠকে ভারতের এই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় মোদির দেশ যে ক্রমেই প্রযুক্তিগত আলোচনায় উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করছে, তা বলাই বাহুল্য।

    আরও পড়ুুন: জয়শঙ্কর-ব্লিঙ্কেন বৈঠকে উঠলই না নিজ্জর খুনের প্রসঙ্গ, হতাশ ট্রুডোর দেশ!

    আইটিইউয়ের এনজিএন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ গ্রুপের সদস্য সত্য গুপ্তা বলেন, “স্বীকৃত প্রস্তাবগুলি প্রযুক্তি কীভাবে বিবর্তন হবে, তা নির্ধারণ করে। ভারতের ৬জি প্রস্তাব গ্রহণ দেশের ভিশনকে একটি বিশ্বব্যাপী স্তরে নিয়ে এসেছে এবং ৬জি মান গঠনে অংশ নেওয়ার জন্য দেশকে সুযোগ দেয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • MS Swaminathan Passes Away: প্রয়াত সবুজ বিপ্লবের জনক এমএস স্বামীনাথন, শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    MS Swaminathan Passes Away: প্রয়াত সবুজ বিপ্লবের জনক এমএস স্বামীনাথন, শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত ভারতের সবুজ বিপ্লবের জনক কৃষিবিজ্ঞানী এমএস স্বামীনাথন (MS Swaminathan Passes Away)। বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিংবদন্তি কৃষিবিজ্ঞানী স্বামীনাথন ১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চের চেয়ারম্যান হিসেবে।

    পুরস্কার ও সম্মাননা

    তিনি ধানের একটি নয়া জাতের উদ্ভাবন করেছিলেন। কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৯৭২ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মান দেওয়া হয়। ১৯৬৭ সালেই পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন স্বামীনাথন। পদ্মবিভূষণ পুরস্কার পান ১৯৮৯ সালে। ১৯৭২ সালে পান রামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার। বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার পেয়েছিলেন ১৯৮৭ সালে।

    দেশ-বিদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ও সাম্মানিক ডিগ্রি দিয়েছেন তাঁকে (MS Swaminathan Passes Away)। ১৯২৫ সালের ৭ অগাস্ট ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির কুম্বাকোনামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন স্বামীনাথন। অল্প বয়সে পিতৃহারা হন। তার পর থেকে থাকতেন এক কাকার কাছে। ছোট থেকেই কৃষিতে আগ্রহ ছিল স্বামীনাথনের। বাংলায় পঞ্চাশের মন্বন্তর দেখে কৃষিতে মনোনিবেশ করেন তিনি। পরে বিপ্লব ঘটান কৃষিক্ষেত্রে।

    প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা 

    স্বামীনাথনের (MS Swaminathan Passes Away) প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন, “ডঃ এমএস স্বামীনাথনজির মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। আমাদের দেশের ইতিহাসের একটি অত্যন্ত সঙ্কটময় সময়ে কৃষিতে তাঁর যুগান্তকারী কাজ লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে বদলে দিয়েছে এবং আমাদের দেশের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিল। কৃষিতে তাঁর বৈপ্লবিক অবদানের বাইরেও ডঃ স্বামীনাথন ছিলেন উদ্ভাবনের শক্তিশালা এবং অনেকের জন্য একজন লালন-পালনকারী পরামর্শদাতা। গবেষণা ও পরামর্শদানের প্রতি তাঁর অটল প্রতিশ্রুতি অগণিত বিজ্ঞানী এবং উদ্ভাবকের ওপর একটি অমোঘ চিহ্ন রেখে গিয়েছে।” স্বামীনাথনের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ‘পুণ্যার্থীর ছদ্মবেশে ভিখিরি পাঠানো বন্ধ করো’, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি সৌদি আরবের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share