Tag: PM Modi

PM Modi

  • BJP Attacks Nitish: বিজেপি বিরোধী জোট সুযোগ সন্ধানীদের, নীতীশকে নিশানা গেরুয়া শিবিরের

    BJP Attacks Nitish: বিজেপি বিরোধী জোট সুযোগ সন্ধানীদের, নীতীশকে নিশানা গেরুয়া শিবিরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে উদ্যোগী হয়েছেন বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তাকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বুধবার গেরুয়া শিবিরের তরফে বিষয়টিকে সুযোগ সন্ধানীদের জোট (Opportunistic Alliance) বলে নিশানা করা হয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে দেশ। তাই বিরোধীদের উদ্যোগ দানা বাঁধবে না বলেই মনে করে গেরুয়া শিবির।

    বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেস এবং লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়েন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। তার পরেই তিনি উদ্যোগী হয়েছেন বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে। বিহারে গিয়ে নীতীশের সঙ্গে দেখা করেছেন কেসিআর। দিন কয়েক আগে দিল্লি এসে নীতীশ দেখা করেছেন বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে।

    নীতীশ যখন বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে চলেছেন, তখন বিহার ঘুরে এসে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, খরায় জর্জরিত বিহার। খুন জখমের ঘটনা সেখানে প্রতিদিনের ঘটনা। বিহারের কুর্সিতে নীতীশ রয়েছেন দীর্ঘ দিন। কখনও বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে, কখনও বা অন্য কোনও দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে। সেই তিনিই ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দলের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা সেরেছেন। নীতীশের দাবি, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে।

    আরও পড়ুন : লক্ষ্য ২০২৪, মেগা বৈঠকে বিজেপি, কী আলোচনা হল জানেন?

    রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, উনি (নীতীশ) বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে একজোট করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে দেশ এই সুযোগ সন্ধানী জোটকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। এবং এদের আর কেউ বিশ্বাস করবে না। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের পর দেশে স্থায়ী সরকার এসেছে। মোদির নেতৃত্বে আশা-আকাঙ্খা পূরণ হয়েছে জনতার। সমাজে উন্নয়নযজ্ঞ চলছে। তিনি বলেন, মোদি বিশ্বে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে দেশকে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত করেছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে নীতীশ সবার শেষে বলেও মন্তব্য করেন রবিশঙ্কর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kuno National Park: চিতা বাঁচাতে কুনো ন্যাশনাল পার্ক এলাকায় হাজার কুকুরকে অ্যান্টি র‌্যাবিস প্রতিষেধক   

    Kuno National Park: চিতা বাঁচাতে কুনো ন্যাশনাল পার্ক এলাকায় হাজার কুকুরকে অ্যান্টি র‌্যাবিস প্রতিষেধক   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কের (Kuno National Park) আশপাশের হাজারেরও বেশি কুকুরকে দেওয়া হল অ্যান্টি র‌্যাবিস প্রতিষেধক (Anti Rabies Vaccine)। এই পার্কেই আগামী সপ্তাহে আফ্রিকা থেকে চিতা (cheetah) নিয়ে আসা হচ্ছে। ইন্ডিয়াজ অ্যাম্বিসাস প্রোজেক্টে আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে ওই চিতাগুলিকে। নবাগত অতিথিরা যাতে সংক্রমিত না হয়, সেই কারণেই কুকুরদের দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টি র‌্যাবিস প্রতিষেধক।      

    অগাস্টের ১৭ তারিখে আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে আসা হচ্ছে ৮টি চিতা। এগুলির মধ্যে পাঁচটি পুরুষ, তিনটি স্ত্রী। সেদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিতা পুররুদ্ধার প্রোগ্রামের সূচনা করবেন। ঘটনাচক্রে এই দিনটি আবার প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনও।

    আরও পড়ুন : নিজের জন্মদিন মধ্যপ্রদেশের জাতীয় উদ্যানে কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী, ছাড়া হবে ৫টি চিতা

    এই পার্ক লাগোয়া এলাকায় বসতি রয়েছে। তাই অনেকের বাড়িতেই রয়েছে পোষ্য কুকুরও। কুনো ন্যাশনাল পার্কের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার পিকে ভার্মা বলেন, এক হাজারের বেশি পোষ্য এবং রাস্তার কুকুরকে অ্যান্টি র‌্যাবিস প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই অভিযান হয়েছে। চিতা সহ এই পশু সংরক্ষণ কেন্দ্রের অন্য প্রাণীরা যাতে নিরাপদে থাকে, তাই এই ব্যবস্থা। চিতা কুকুর শিকার করতে পারে ভেবে তাদের প্রতিষেধক দেওয়া হয়নি বলেই জানান তিনি। ভার্মা বলেন, সাধারণত একটি চিতা কোনও শিকার হত্যা করলে তার অর্ধেকটা খেয়ে চলে যায়। পরে খিদে পেলে ফের আসে বাকিটা খেতে। ইতিমধ্যে কোনও পাগলা কুকুর যদি ওই মৃত আধখাওয়া পশুর দেহ খায়, তাহলে পরে ওই পশুর দেহ খেলে সংক্রমিত হতে পারে চিতা। এভাবেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে গোটা জঙ্গলে। ভার্মা বলেন, যদি কোনও পাগলা কুকুর জঙ্গলের আশপাশের গবাদি পশুকে কামড়ায়, ওই গবাদি পশুদের যদি কোনও চিতা শিকার করে, তাহলে ওই চিতারাও সংক্রমিত হয়ে পড়বে। সেই একটি চিতার থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে বাকি চিতাদের মধ্যে। তিনি জানান, এপ্রিলে শুরু হওয়া প্রতিষেধকদান অভিযান প্রায় শেষের মুখে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Modi-Hasina Meet: হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠকে মোদি-হাসিনা, নজরে জলবণ্টন, সীমান্ত সুরক্ষা

    Modi-Hasina Meet: হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠকে মোদি-হাসিনা, নজরে জলবণ্টন, সীমান্ত সুরক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার হায়দ্রাবাদ হাউসে (Hyderabad House) বৈঠকে বসেছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Sheikh Hasina ) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তার আগে হাসিনা যান রাজঘাটে। সেখানে শ্রদ্ধা জানান তিনি। রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে দেওয়া হয় সংবর্ধনা। ভারতে আসতে পেরে তিনি যে খুশি, এদিন তা গোপন করেননি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। যখনই আমি ভারতে আসি, তখনই মনে করি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা। আমাদের একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করে চলেছি।

    এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে হাসিনাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদির সঙ্গে করমর্দন করেন তিনি। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। চার দিনের সফরে দিল্লি এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সোমবারই তিনি বৈঠক করেছেন জয়শঙ্করের সঙ্গে। আলোচনা করেছেন দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে। এদিন তিনি নিজামউদ্দিন আউলিয়া দরগা পরিদর্শনে যান। মঙ্গলবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। যে সব ইস্যু নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা, তার মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সহযোগিতা, আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার মতো বিষয়ও রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পঞ্চাশে পা দিয়েছে ২০২১ সালে। তার পর ভারতে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের এই প্রথম বৈঠক। গত বছর ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর। ওই বছরই জন্ম শতবর্ষ ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন নরেন্দ্র মোদি। তার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১২ বার বৈঠকে বসেছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। গত বছরই বাংলাদেশে গিয়েছিলেন মোদি। তার পর এই এলেন হাসিনা। বসলেন মোদির সঙ্গে বৈঠকে।  

    আরও পড়ুন :’২৪ সালে মানুষ নরেন্দ্র মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন, দাবি সুশীল মোদির

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • INS Vikrant: এক ভাসমান দুর্গ যার নাম ‘আইএনএস বিক্রান্ত’

    INS Vikrant: এক ভাসমান দুর্গ যার নাম ‘আইএনএস বিক্রান্ত’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত (INS Vikrant)। শুক্রবার, এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশকে এই বিশালকায় যুদ্ধজাহাজ উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। 

    নৌসেনায় আইএনএস বিক্রান্তের যুক্ত হওয়া অনেক দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, এটিই হল ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী (Indigenous Aircraft Carrier)। এই জাহাজের ৭৬ শতাংশ দেশে তৈরি। দেশের ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় তৈরি হয়েছে এর যন্ত্রাংশ। এটা জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এর ফলে, ভারতের সামরিক সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেল। বিশ্বের হাতে গোনা দেশ রয়েছে, যারা বিমাণবাহী রণতরী ব্যবহার করে। তৈরি করাটা অনেক দূরের ব্যাপার। সেই দিক দিয়ে, ভারত নিজের বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করে আত্মনির্ভরতা (Atmanirbhar Bharat) ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। 

    আইএনএস বিক্রান্ত শুধুমাত্র ভারতে তৈরি হওয়া প্রথম বিমানবাহী রণতরী নয়। এটা এখনও পর্যন্ত ভারতে তৈরি হওয়া সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে জটিল রণতরী। আইএনএস বিক্রান্ত নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা। ৪৩ হাজার টনের এই বিমানবাহী রণতরী দৈর্ঘ্যে ২৬২ মিটার। অর্থাৎ, দুটো ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। চওড়া ৬২ মিটার। উচ্চতা ৫৯ মিটার। মোট ১৪টি ডেক রয়েছে। জাহাজে রয়েছে ২৩০০-র বেশি কম্পার্টমেন্ট। অফিসার ও নাবিক মিলিয়ে প্রায় ১৭০০ জন ক্রু-র থাকার সংস্থান রয়েছে। এরমধ্যে মহিলা অফিসারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।

    আইএনএস বিক্রান্তের ডেক থেকে উড়বে নৌসেনার মিগ-২৯কে (MiG-29K) যুদ্ধবিমান। একইসঙ্গে থাকবে রুশ নির্মিত কামোভ-৩১ (Kamov-31) আর্লি ওয়ার্নিং এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিকর্সকি নির্মিত এমএইচ-৬০আর (MH-60R) মাল্টি রোল হেলিকপ্টার। এছাড়াও, থাকবে দেশে তৈরি হ্যাল নির্মিত অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (HAL ALH)। পরবর্তীকালে, এই জাহাজের স্কি-জাম্প (Ski Jump) বা STOBAR ডেক থেকে উড়তে দেখা যেতে পারে ফরাসি রাফাল-এম (Rafale-M) অথবা মার্কিন এফ/এ-১৮ ই/এফ সুপার হর্নেট (F/A-18 E/F Super Hornet) যুদ্ধবিমানের একটিকে। সব মিলিয়ে অন্তত ৩০টি যুদ্ধবিমানকে বহন করতে পারে এই বিক্রান্ত। তার মধ্যে ১৭টি নীচের হ্যাঙ্গারে থাকবে ও বাকি ১৯টি ফ্লাইট ডেকে থাকবে।

    আরও পড়ুন: বিরাট বিক্রান্ত! প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আজই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্তি দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরীর

    আইএনএস বিক্রান্তের চালিকা শক্তি জোগায় চারটি এলএম-২৫০০ গ্যাস টার্বাইন। এই টার্বাইন থেকে ৯০ মেগাওয়াট শক্তি উৎপন্ন করে। জাহাজের সর্বোচ্চ গতি ২৮ নট (ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি)। স্বাভাবিক গতি ১৮ নট। এই গতিতে প্রায় একটানা ৭,৫০০ নটিক্যাল মাইল চলতে সক্ষম এই জাহাজ। জাহাজ নির্মাণের সঙ্গে জড়িত এক নৌসেনা কর্মী জানিয়েছেন, জাহাজে যা পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার হবে, তা দিয়ে অর্ধেক কোচি শহরের আলো জ্বালিয়ে রাখা যায়। জাহাজে ব্যবহৃত মোট তারের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৬০০ কিলোমিটার। জাহাজ নির্মাণে মোট ২১ হাজার ৫০০ টন দেশে তৈরি বিশেষ ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে। এই পরিমাণ ইস্পাত তিনটে আইফেল টাওয়ারের সমান। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Modi Hasina Meeting: স্বাক্ষরিত কুশিয়ারা জল বণ্টন চুক্তি, সাতটি মউ, বৈঠকে আশাবাদী মোদি-হাসিনা

    Modi Hasina Meeting: স্বাক্ষরিত কুশিয়ারা জল বণ্টন চুক্তি, সাতটি মউ, বৈঠকে আশাবাদী মোদি-হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি (Teesta Water Sharing Treaty) স্বাক্ষরিত হয়নি। তবে মঙ্গলবার মোদি (PM Modi)-হাসিনা (PM Hasina) বৈঠকে স্বাক্ষরিত হয়েছে কুশিয়ারা নদীর (Kushiyara River) জল বণ্টন সংক্রান্ত চুক্তি। যে চুক্তির ফলে লাভবান হবে ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশই। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ৫৪টি নদী প্রবাহিত হয়ে চলেছে। দুই দেশের মানুষের জীবন জীবিকার সঙ্গে যুক্ত এই নদীগুলি। এই আবহে আজ আমরা কুশিয়ারা নদীর জল বণ্টন সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। তিস্তা জল বণ্টন চুক্তি সমস্যাও যে দ্রুত মিটবে, সে ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এদিন ভারত (India) ও বাংলাদেশ (Bangladesh) দুই দেশের মধ্যে সাতটি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে উন্মোচন করেছেন মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের ইউনিট-১এর আবরণ। তাঁরা ৫.১৩ কিমি দীর্ঘ রূপসা রেল ব্রিজেরও উদ্বোধন করেন। এদিনের আলোচনা যে ফলপ্রসূ হয়েছে, তা জানিয়েছেন হাসিনা। তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতার আবহে এদিন আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

     

     

    আরও পড়ুন :হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠকে মোদি-হাসিনা, নজরে জলবণ্টন, সীমান্ত সুরক্ষা

    মোদিও বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যু নিয়েও। কোভিড-১৯ অতিমারি থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। বিশ্বে এই মুহূর্তে যা ঘটছে, তা নিয়েও। এবং অবশ্যই পোক্ত করতে হবে আমাদের অর্থনীতির ভিত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি বন্যা নিয়ন্ত্রণে। রিয়েল টাইম ডেটা শেয়ার করেছি। সন্ত্রাসবাদ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমাদের দুই দেশকেই অনেক প্রতিকূল শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে। মোদি বলেন, বাংলাদেশ আমাদের সর্ব বৃহৎ ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। এই অঞ্চলে আমাদের বৃহত্তম ব্যবসায়িক পার্টনারও। ভারত বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা দিন দিন বাড়ছে বলেও জানান মোদি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sheikh Hasina: ভারত সফর শুরুর আগেই মোদির ভূয়সী প্রশংসা হাসিনার গলায়, কেন জানেন?

    Sheikh Hasina: ভারত সফর শুরুর আগেই মোদির ভূয়সী প্রশংসা হাসিনার গলায়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভূয়সী প্রশংসা করলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Hasina)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) শুরুর দিকে ভারত যেভাবে তাঁর দেশের পড়ুয়াদেরও উদ্ধার করেছে, তারও প্রশংসা শোনা গিয়েছে হাসিনার গলায়।

    ৫ অগাস্ট, সোমবার মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন হাসিনা। তার আগে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মোদির প্রশংসা করেন হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর সময় বিশেষ বিমান পাঠিয়ে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারত ও বাংলাদেশের পড়ুয়াদের দেশে ফিরিয়েছিলেন মোদি। এদিন তার প্রশংসা করার পাশাপাশি কোভিড মোকাবিলায় ভারতের অবদানের কথাও শোনা গিয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখে। প্রসঙ্গত, কোভিডের সময় ভ্যাকসিন মৈত্রী প্রোগ্রামের অধীনে বাংলাদেশে টিকা পাঠিয়েছিল ভারত।

    ভারত বাংলাদেশ এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন আরও দৃঢ় হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন হাসিনা। তিনি বলেন, মতানৈক্য থাকতেই পারে, তবে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে নিতে হবে। এভাবে যে অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে, তাও মনে করিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। হাসিনা বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের সময় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে তাঁদের দেশের পড়ুয়াদের পাশাপাশি আমাদের দেশের পড়ুয়াদেরও দেশে ফিরিয়ে এনেছেন, সেজন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। প্রকৃতই আপনি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর পরেই কোভিড ভ্যাকসিনের প্রসঙ্গ তোলেন হাসিনা। তাঁর দেশে ৯০ শতাংশ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে বলেও জানান তিনি। ভারত যে তাঁদের প্রকৃত বন্ধু, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন তিনি। বলেন, ভারতকে যেদিন বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল, সেই সময়ই ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রথম ১৯৭১ সালে। তার পর আরও অনেকবার।

    আরও পড়ুন : ভয়াল বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান, মৃত্যু হাজার পার, সমবেদনা জানালেন মোদি

    বাংলাদেশ যে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, এদিন তাও জানান হাসিনা। বলেন, আমরা যতদিন ক্ষমতায় রয়েছি, ততদিন ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর জোর দিয়েছি। সংখ্যালঘুদের বলেছি, আপনারাও দেশের নাগরিক। তবে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থাও নিই। তবে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা কেবল বাংলাদেশে নয়, ভারতেও ঘটে। প্রসঙ্গত, চারদিনের ভারত সফরে আসছেন হাসিনা। দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে। প্রতিরক্ষামূলক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা নিয়েও আলোচনা হতে পারে মোদি-হাসিনার মধ্যে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Economy: আগামী সাত বছরেই বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩ নম্বরে ভারত?

    Indian Economy: আগামী সাত বছরেই বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩ নম্বরে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনকে (UK) হারিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় পাঁচ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে মোদির (PM Modi) ভারত (India)। তবে আর কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের ঠাঁই হবে আরও ওপরের দিকে। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (SBI) এক রিপোর্টেই এই তথ্য উঠে এসেছে। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চলতি দশকেরই শেষের দিকে ভারত হারাবে বিশ্বের আরও দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দুই দেশকে। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার ইকনোমিক রিসার্চ ডিপার্টমেন্ট আগাম জানিয়েছিল ২০২৭ এর মধ্যে ভারত বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানিকে (Germany) এবং ২০২৯ সালের মধ্যে জাপানকে (Japan) টপকে তিন নম্বরে চলে আসতে পারে।

    ২০১৪ সালে ওই তালিকায় দেশের ঠাঁই হয়েছিল ১০ নম্বরে। রিপোর্ট বলছে, সাতটি দেশকে টপকে অচিরেই মোদির ভারত চলে আসবে তিন নম্বরে। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার গ্রুপ চিফ ইকনোমিক অ্যাডভাইজার সৌম্যকান্তি ঘোষ বলেন, যে কোনও মানদণ্ডেই মাপা হোক না কেন, এই তথ্য একটা একটা মনে রাখার মতো প্রাপ্তি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ব্লুমবার্গ। সেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, শেষ তিন মাসে ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে সামনে চলে এসেছে ভারত। যে হিসেবের সাপেক্ষে প্রকাশ্যে এসেছে এই ফল, সেটির মানদণ্ড হল মার্কিন ডলার। রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন ডলারের নিরিখে ভারতীয় রুপির তুলনায় দাম কমেছে ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ডের। ভারতীয় মুদ্রার তুলানায় ৮ শতাংশ কমেছে পাউন্ডের দর।

    আরও পড়ুন : ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে উঠে এল ভারত

    প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভারতের আগে রয়েছে মাত্র চারটি দেশ। এগুলি হল, আমেরিকা, চিন, জাপান এবং জার্মানি। এদের মধ্যে আমেরিকা প্রথম, চিন দ্বিতীয়, জাপান তৃতীয় এবং চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হল জার্মানি। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ’২৩ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি রেট ৬.৭ শতাংশ থেকে ৭.৭ শতাংশ হবে, এটা অবাস্তব। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এটা ঘোরাফেরা করবে ৬ শতাংশ থেকে ৬.৫ শতাংশের মধ্যে। বৃদ্ধির এই হার নিউ নর্মাল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Shehbaz Sharif: মোদির ট্যুইটের জবাব দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী, কী লিখলেন জানেন?

    Shehbaz Sharif: মোদির ট্যুইটের জবাব দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী, কী লিখলেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াল বন্যায় ভাসছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। মৃতের সংখ্যা হাজার পার। তা দেখে চুপ করে থাকতে পারেননি ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন সমবেদনা। এবার প্রত্যুত্তর মিলল পাকিস্তানের তরফেও। মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)।  

    দেশের দক্ষিণাংশে সপ্তাহভর প্রবল বর্ষণের জেরে বানভাসি হয়েছে পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ অংশ। মৃতের সংখ্যা বারোশোর কাছাকাছি। মৃত্যু হয়েছে বহু অবোলা পশুর। প্রতিবেশী দেশের বিপদের দিনে সমবেদনা জানিয়ে ট্যুইট করেন মোদি। তিনি লেখেন, পাকিস্তানের বন্যায় আমি দুঃখিত। বন্যায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, জখম হয়েছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। আশাকরি শীঘ্রই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে পাকিস্তান।

    এর পরেই পাল্টা ট্যুইট করেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির জেরে সমবেদনা জানানোর জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই। ইনশাল্লাহ, কিন্তু পাকিস্তানবাসীর চারিত্রিক দৃঢ়তা জেরে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় আমরা কাটিয়ে উঠব। জীবন এবং জাতিকে পুনর্গঠিত করব। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল জানিয়েছিলেন, ভারত থেকে শুল্কমুক্ত শাক-সবজি আনার পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান। কেবল আনাজ নয়, ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীও নিয়ে আসার পরকল্পনা করছে সরকার। তিনি জানান, মুদ্রাস্ফীতির ওপর যাতে ক্ষতিকারক প্রভাব না পড়ে তাই এই পরিকল্পনা।

    এর পরিপ্রেক্ষিতে কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তুলেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। আমরা যুদ্ধ চাই না। দারিদ্র দূরীকরণে আমাদের সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। কিন্তু আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারব না এই সব (কাশ্মীর) ইস্যুগুলির সমাধান না করে। ক্ষমতায় এসে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করেছেন মোদি। দিন দুয়েক আগে তার সমালোচনাও করেছিলেন শাহবাজ। কূটনৈতিক মহলের মতে, এছাড়া শাহবাজের কাছে আর কোনও রাস্তা ছিল না। কারণ ঘরোয়া  রাজনীতিতে তাঁর ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দেশীয় রাজনীতির বাধ্যবাধ্যকতাও রয়েছে। সেই কারণেই ভয়াল বন্যার পরিস্থিতিতেও কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তুলেছেন শাহবাজ। 

    আরও পড়ুন : বন্যায় ভাসছে দেশ, মোদির সমবেদনার পরেও পাক প্রধানমন্ত্রীর মুখে সেই কাশ্মীর!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • INS Vikrant: বিমানবাহী রণতরী ঠিক কী? নৌবাহিনীতে এর তাৎপর্য কোথায়?

    INS Vikrant: বিমানবাহী রণতরী ঠিক কী? নৌবাহিনীতে এর তাৎপর্য কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনায় (Indian Navy) ‘কমিশন্ড’ করা হল দেশে তৈরি এখনও পর্যন্ত সর্ববৃহৎ তথা প্রথম বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রান্ত’ (INS Vikrant)। শুক্রবার, কোচিতে এক অনুষ্ঠানে এই বিশাল জাহাজকে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। এই প্রেক্ষিতে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের আত্মনির্ভরতার প্রতীরক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে বিক্রান্ত।

    আসুন জেনে নেওয়া যাক বিমানবাহী রণতরী ঠিক কী?

    একটি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার বা বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier) হল একটি বিশাল জাহাজ যা যুদ্ধবিমান বহন করতে সক্ষম। এতে একটি দীর্ঘ, সমতল পৃষ্ঠ থাকে যেখান থেকে বিমানগুলি ওঠানামা করতে পারে। এই রণতরীগুলো এতটাই বড় যেহেতু এখান থেকে যুদ্ধবিমান ওঠানামা করতে পারে, তাই এদের ‘ফ্লোটিং এয়ারবেস’ বা ভাসমান বিমানঘাঁটি বলে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। বিমানবাহী রণতরীতে যে পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ফ্লাইট ডেক থাকে, সেখান থেকে যুদ্ধবিমান টেক-অফ, ল্যান্ডিং ও রিকভারি করতে পারে।

    আরও পড়ুন: আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিফলন বিক্রান্ত! যুদ্ধবিমানবাহী দেশে তৈরি প্রথম রণতরীর উদ্বোধনে গর্বিত প্রধানমন্ত্রী

    বিমানবাহী রণতরীগুলি যুদ্ধ এবং শান্তির সময়ে একটি নৌবহরের ‘কমান্ড এবং কন্ট্রোল’ কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে। বিমানবাহী রণতরী হল যে কোনও নৌবাহিনীর কাছে ‘কোহিনূর’-এর সমতুল্য। কারণ, ঘাঁটি বা দেশের সীমা থেকে দীর্ঘ দূরত্বে সমুদ্রে বায়ুশক্তি প্রদান করার ক্ষমতা একমাত্র রয়েছে এই বিশেষ জাহাজের। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই একে রক্ষার জন্য সর্বদা থাকে অন্য জাহাজ। কোনও সময়ই বিমানবাহী রণতরী একলা থাকে না। প্রত্যেক বিমানবাহী রণতরীক ঘিরে তৈরি হয় একটি ক্যারিয়ার ব্যাটল গ্রুপ। 

    প্রত্যেক ব্যাটল গ্রুপের মাথায় থাকে একটি করে বিমানবাহী রণতরী। এছাড়া গ্রুপের বাকি সদস্যদের মধ্যে থাকে ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট, সাবমেরিন, ট্যাঙ্কার এবং আকাশে চক্কর কাটতে থাকা বিশেষ নজরদারি বিমান। এদের প্রত্যেকের কাজ হল বিমানবাহী রণতরীকে চারদিকে থেকে এসকর্ট বা পাহারা দেওয়া, যাতে কোনওভাবে এই এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারের কোনও ক্ষতি না হয়। এর থেকেই অনুমেয়, একটি নৌসেনার কাছে তাদের বিমানবাহী রণতরী কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

    আরও পড়ুন: এক ভাসমান দুর্গ যার নাম ‘আইএনএস বিক্রান্ত’

    ভারতে বর্তমানে একটিই মাত্র অপারেশনাল বিমানবাহী রণতরী রয়েছে— আইএনএস বিক্রমাদিত্য। রুশ নির্মিত এই যুদ্ধজাহাজও আবার বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আইএনএস কারোয়ার ঘাঁটিতে বসে রয়েছে। জলে নামতে অন্ততপক্ষে জানুয়ারি। অন্যদিকে, চিনের বর্তমানে দুটি বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। তৃতীয়টির উদ্বোধন হয়েছে সম্প্রতি। ফলে, ভারতীয় মহাসাগরে, চিনের মোকাবিলা করতে নতুন বিমানবাহী রণতরী থাকা ভারতের কাছে কৌশলগত ও সামরিক দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে আইএনএস বিক্রান্ত-এর অন্তর্ভুক্তি অনেকটাই আত্মবিশ্বাস জোগাবে। 

    আরও পড়ুন: ‘বিক্রান্ত’ নামের কী মাহাত্ম্য? নৌসেনায় তাৎপর্যই বা কী? ফিরে দেখা ইতিহাস

    আইএনএস বিক্রান্ত অনেক দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, এটিই হল ভারতে তৈরি প্রথম রণতরী। এই জাহাজের ৭৬ শতাংশ দেশে তৈরি। দেশের ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় তৈরি হয়েছে এর যন্ত্রাংশ। এটা জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এর ফলে, ভারতের সামরিক সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেল। এই নির্মাণ ভারতকে বিশ্বের হাতেগোনা রাষ্ট্রের একটি এলিট তালিকায় বসিয়ে দিল। বিশ্বের হাতে গোনা দেশ রয়েছে, যারা বিমাণবাহী রণতরী ব্যবহার করে। তৈরি করাটা অনেক দূরের ব্যাপার। সেই দিক দিয়ে, ভারত নিজের বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করে আত্মনির্ভরতা ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে।

    বিমানবাহী রণতরী থাকার তাৎপর্য

    বর্তমানে, বিশ্বের প্রধান সামরিক শক্তিধর দেশগুলির কাছে বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। প্রায় প্রত্যেকটি দেশ— মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে চিন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও ব্রিটেন— সকলেই নিজ দেশে বিমানবাহী রণতরী (Indigenous Aircraft Carrier) নির্মাণ করে থাকে। সেই তালিকায় সংযোজিত হল ভারত। বলা বাহুল্য, এক এলিট গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হল ভারতীয় নৌবাহিনী। যে কোনও দেশের সামরিক বাহিনীতে বিশেষ করে নৌসেনায় বিমানবাহী রণতরীর তাৎপর্য অপরিসীম। এটি সেই সকল দেশের কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ যাদের বিস্তৃত জলসীমা রয়েছে। যেমন ভারত। আফ্রিকার পূর্ব সীমান্ত থেকে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর— সমগ্র ভারত মহাসাগর অঞ্চলে নিজেদের নৌ-শক্তি ও জলসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবাহী রণতরী অপরিহার্য। এক কথায় দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার্থে আস্তিনে বিমানবাহী রণতরী থাকা ও না থাকার মধ্যে ফারাকটা বিস্তর। এধরণের আস্ত বিমানঘাঁটি মাঝ-সমুদ্রে ভেসে বেড়ালে, শক্তিশালী শত্রুও যে কোনও আগ্রাসনের আগে দশবার ভাববে। আর ভারতের জলসীমা বা সমুদ্র অঞ্চল এতটাই বিস্তৃত যে, তৃতীয় (দ্বিতীয় দেশীয়) বিমানবাহী রণতরীর নির্মাণ নিয়ে মোদি সরকারের শীর্ষস্তরে ইতিমধ্যেই জোর আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। 

     

  • INS Vikrant: ‘বিক্রান্ত’ নামের কী মাহাত্ম্য? নৌসেনায় তাৎপর্যই বা কী? ফিরে দেখা ইতিহাস

    INS Vikrant: ‘বিক্রান্ত’ নামের কী মাহাত্ম্য? নৌসেনায় তাৎপর্যই বা কী? ফিরে দেখা ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy), বা বলা ভাল সামরিক ইতিহাসে “বিক্রান্ত” শব্দটার মাহাত্ম্য অন্যরকম। এর আগে, ভারতের (India) প্রথম যে বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier) ছিল, তার নামই ছিল আইএনএস বিক্রান্ত (INS Vikrant)। ১৯৬১ সালে ব্রিটেনের থেকে কেনা হয়েছিল ওই যুদ্ধজাহাজ। ১৯৯৭ সালে তাকে ডিকমিশন্ড করা হয়। অর্থাৎ, নৌবাহিনী থেকে অবসর নেয় বিক্রান্ত। তবে তার আগে, ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধে (1971 Indo Pak War) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল ওই জাহাজটি। 

    সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে, ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরীর (First Indigenous Aircraft Carrier) নামকরণও দেশের প্রথম বিমানবাহী রণতরীর নামে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালে এর নকশা তৈরি হয়। নৌসেনার অধিনস্থ ডিরেক্টরেট অফ নেভাল ডিজাইন (Directorate of Naval Design)-এর নকশা করে। কিন্তু, নির্মাণ কাজ শুরু হয় এক দশক পর অর্থাৎ ২০০৯ সালে। এরপরও দফায় দফায় নির্মাণ ব্যাহত হওয়ায় সময় নষ্ট হয়েছে। অবশেষে, ২০১৩ সালে একে জলে ভাসানো হয়। অবশেষে ২০২২ সালে, নৌসেনার হাতে আসছে আইএনএস বিক্রান্ত। অর্থাৎ, নির্মাণ করতে সময় লেগেছে প্রায় ১৩ বছর। জাহাজটি তৈরি করেছে কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড (Cochin Shipyard Limited)।

    আরও পড়ুন: এক ভাসমান দূর্গ যার নাম ‘আইএনএস বিক্রান্ত’

    আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) উপস্থিতিতে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হল প্রথম ইন্ডিজেনাস এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারের। আজ থেকে নামকরণ হল ‘আইএনএস বিক্রান্ত’। এই যুদ্ধজাহাজ অনেক দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, এটিই হল ভারতে তৈরি প্রথম রণতরী। বিশ্বের হাতে গোনা দেশ রয়েছে, যারা বিমাণবাহী রণতরী ব্যবহার করে। তৈরি করাটা অনেক দূরের ব্যাপার। সেই দিক দিয়ে, ভারত নিজের বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করে আত্মনির্ভরতা ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চিন ও ফ্রান্সের পর ভারত হল বিশ্বের ষষ্ঠ দেশ যারা নিজেরা বিমানবাহী রণতরী তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। 

    এই জাহাজের ৭৬ শতাংশ দেশে তৈরি। দেশের ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় তৈরি হয়েছে এর যন্ত্রাংশ। এটা জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এর ফলে, ভারতের সামরিক সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেল। এই বিমানবাহী রণতরী দৈর্ঘ্যে ২৬২ মিটার। অর্থাৎ, দুটো ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। চওড়া ৬২ মিটার। উচ্চতা ৫৯ মিটার। মোট ১৪টি ডেক রয়েছে। জাহাজে রয়েছে ২৩০০-র বেশি কম্পার্টমেন্ট। অফিসার ও নাবিক মিলিয়ে প্রায় ১৭০০ জন ক্রু-র থাকার সংস্থান রয়েছে। এর মধ্যে মহিলা অফিসারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share