Tag: PM Modi

PM Modi

  • National Science Day 2025: বিজ্ঞান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই লক্ষ্য! জেনে নিন জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের ইতিহাস

    National Science Day 2025: বিজ্ঞান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই লক্ষ্য! জেনে নিন জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতে অত্যন্ত উৎসাহ ও গর্বের সঙ্গে পালন করা হয় জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day 2025)। ভৌত বিজ্ঞানে নোবেলজয়ী ভারতীয় বিজ্ঞানী সিভি রামন আবিষ্কৃত রামন এফেক্টের আবিষ্কারকে চিরস্মরণীয় করে রাখতেই এই বিশেষ দিনটিকে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং শিক্ষার্থী, বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের অনুপ্রাণিত করা হল জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের উদ্দেশ্য। এই দিনটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুরুত্ব বোঝার এবং সমাজে এর অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার সুযোগ দেয়।

    জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের উদ্দেশ্য

    জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day 2025) উদযাপনের মূল উদ্দেশ্য হল বিজ্ঞানের গুরুত্ব এবং এর প্রয়োগের বার্তা জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। এটি প্রতি বছর ভারত প্রধান বিজ্ঞান উৎসব হিসেবে পালিত হয়। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বৈজ্ঞানিক প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরা। মানবজাতির কল্যাণে বিজ্ঞানের ব্যবহার করা। বিজ্ঞানের উন্নয়ন এবং নতুন প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহারে নাগরিকদের উৎসাহিত করাই হল জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের লক্ষ্য। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমিউনিকেশন ও ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির যৌথ উদ্যোগে প্রতি বছর ন্যাশনাল সায়েন্স ডে উদযাপিত হয়। মূলত দেশের বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান ও রিসার্চ ল্যাবরেটরিগুলিতে এই দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করা হয়। জনগনের উদ্দেশে ভাষণ, রেডিও ও টেলিভিশন প্রোগ্রাম, বিজ্ঞানের সিনেমা, বিজ্ঞান প্রদর্শনী ও ডিবেট ও কুইজের মাধ্যমে এই দিনটি উদযাপন করা হয়।

    জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের থিম

    ২০২৫ সালের জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের (National Science Day 2025) থিম হল বৈজ্ঞানিক সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জগুলির উপর ভিত্তি তৈরি করা। এই থিমটি বিজ্ঞান এবং সমাজের মধ্যে সংযোগ জোরদার করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। প্রতি বছর নতুন থিমের মাধ্যমে পালন করা হয় জাতীয় বিজ্ঞান দিবস। বৈজ্ঞানিক সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জগুলির উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং সমাজে বিজ্ঞানের ভূমিকা তুলে ধরার জন্য তৈরি করা হয় সেই বছরের থিম। এই বছরের জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের থিম হল ‘উন্নত ভারতের বিজ্ঞান উদ্ভাবনে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বের জন্য ভারতীয় যুবসমাজের ক্ষমতায়ন’।

    প্রথম কবে পালন করা হয়

    জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day 2025) প্রথমবার পালন করা হয় ১৯৮৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। এই দিনে, স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন, যিনি সিভি রামন নামে পরিচিত, ‘রমন এফেক্ট’ আবিষ্কার করেছিলেন৷ রামন এফেক্ট আবিষ্কারের জন্য ১৯৩০ সালে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় তাঁকে। রামন এফেক্ট আবিষ্কারকে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ভারতের একটি বড় অর্জন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

    সিভি রামন ওরফে স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন

    স্যর চন্দ্রসেখর ভেঙ্কট রামন ছিলেন একজন পদার্থবিদ। মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্বাবধানে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে তিনি ১৯১৭ সালে মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন ৷ ১৯২৮ সালে তিনি রামন এফেক্ট আবিষ্কার করেন। এই কারণে ১৯৩০ সালে তিনি পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পান। ১৯৩৩ সালে তিনি বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স তৈরি করেন। সেখানকার পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব সামলান। ১৯৪৭ সালে তাঁকে রামন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টরের দায়িত্বভার দেওয়া হয়। ১৯৫৪ সালে, ভারতের সর্বচ্চ নাগরিক সম্মান, ভারত রত্নে ভূষিত করা হয় সিভি রামনকে।

    রামন এফেক্ট আবিষ্কার

    ফোটন কণার অস্থিতিস্থাপক বিকিরণকে বলা হয় রামন এফেক্ট। আলো যখন কোনও স্বচ্ছ পদার্থের মধ্যে দিয়ে যায়, তখন সেটির তরঙ্গদৈর্ঘ্য পরিবর্তনের ব্যখ্যা দেয় এই রামন এফেক্ট। অর্থাৎ সহজ কথায়, আলো ভেঙে যে বিচ্ছুরণ ঘটে, তারই ব্যখ্যা রামন এফেক্ট। ১৯২১ সালে জাহাজে চেপে ইউরোপ যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরের জলে নীল আলোর বিচ্ছুরণ দেখে তাঁর মধ্যে কৌতুহল জাগে ৷ সেটির কারণ খঁজতে গিয়েই ল্যাবরেটরিতে বসে তিনি মার্কারি ল্যাম্প ও বরফের টুকরো দিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন। এই পরীক্ষার ফল ‘রামন এফেক্ট বা রামন ক্রিয়া’ আবিষ্কার৷ দীর্ঘ সাত বছরের গবেষণার পর ১৯২৮ সালে কলকাতার ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স’-এ এই আবিষ্কারটি করেছিলেন সি ভি রামন।

    বিজ্ঞানী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    সম্প্রতি, জাতীয় বিজ্ঞান দিবসকে (National Science Day 2025) স্মরণ করে দেশবাসীকে ‘এক দিনের জন্য বিজ্ঞানী’ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মহাকাশে ভারতের সাফল্যের কথা শোনা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে। মোদি বলেন, ‘‘ইসরো একের পর এক সাফল্য অর্জন করেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মহাকাশে আমাদের অর্জনের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। তা উৎক্ষেপণ যান তৈরি করা হোক, কিংবা বিভিন্ন ভারতীয় মহাকাশযানের সাফল্য।’’ তার পরই মোদি প্রত্যেক দেশবাসীকে ‘এক দিনের জন্য বিজ্ঞানী’ হওয়ার কথা বলেছেন। বছরের যে কোনও দিনই তা হতে পারে। সেই নির্দিষ্ট দিনে বিভিন্ন বিজ্ঞানমূলক কাজের অংশ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

  • Sikh Riot: ‘মোদির কারণেই মিলেছে বিচার’, সজ্জন কুমারের যাবজ্জীবনে মত শিখ হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের

    Sikh Riot: ‘মোদির কারণেই মিলেছে বিচার’, সজ্জন কুমারের যাবজ্জীবনে মত শিখ হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৮৪ সালে দিল্লির শিখ বিরোধী হিংসায় (Sikh Riot) কংগ্রেস নেতা সঞ্জন কুমারের যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে আদালত। মঙ্গলবারই এই সাজা ঘোষণা হয়েছে। জোড়া খুনের মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী সজ্জনের (Sajjan Kumar) মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে সওয়াল করেছিল। কিন্তু বিচারক তা খারিজ করেছেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের খবর সামনে আসতেই শিখ হিংসায় (Sikh Riot) ভুক্তভোগী পরিবারগুলি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কারণেই তাঁরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। এর পাশাপাশি দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতিও তাঁরা আস্থা দেখিয়েছেন।

    মোদির কারণেই মিলেছে বিচার

    শিখ বিরোধী হিংসায় (Sikh Riot) ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য কুলদীপ কৌর বলেন, ‘‘এই রায় আমাদের পক্ষে নয়। আমরা সজ্জন কুমারের ফাঁসি চেয়েছিলাম। কংগ্রেসের অধীনে তাঁকে (সজ্জন কুমার) সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যে তিনি শাস্তি নিশ্চিত করেছেন। মোদি সরকারের কারণেই এই ন্যায়বিচার পাওয়া গিয়েছে। তবে আমরা আরও কঠোর শাস্তির জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। সজ্জন কুমারের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত আদালতে লড়াই চলবে।’’ আরেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য লক্ষ্মী কৌর বলেন, ‘‘আমার পরিবারের দুই সদস্যকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেস সরকারের নৃশংসতা আমরা কখনও ভুলতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে আমরা ন্যায়বিচার পাব ভেবেছিলাম। কংগ্রেসের ওপর এই কালো দাগ কখনও মুছে যাবে না।’’

    কী বলছেন আতর কৌর?

    সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শিখ দাঙ্গায় (Sikh Riot) ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য আতর কৌর বলেন, ‘‘কংগ্রেস দল অন্যায় করেছে। আমাদের বাড়ির পুত্রবধূ এবং মেয়েদের ওপর বীভৎস নির্যাতন চালানো হয়। আমার আত্মীয় গুরদীপ কৌরকে চোখের সামনেই হত্যা করা হয়েছিল। শিখদেরকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে এই হত্যালীলা চালানো হয়।’’ রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগে আতরের আরও দাবি, ‘‘তিনি (রাহুল গান্ধী) তাঁর ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার কথা বলেন, কিন্তু আমাদের যন্ত্রণা বুঝতে পারেন না? দাঙ্গার স্মৃতি এখনও আমাদের তাড়া করে বেড়ায়। সজ্জন কুমারকে ফাঁসি দেওয়া উচিত ছিল।’’

  • PM Modi: ‘‘ঐক্যের মহাকুম্ভে শোনা গেল যুগ পরিবর্তনের ধ্বনি’’, নিজের ব্লগে লিখলেন মোদি

    PM Modi: ‘‘ঐক্যের মহাকুম্ভে শোনা গেল যুগ পরিবর্তনের ধ্বনি’’, নিজের ব্লগে লিখলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, সম্পন্ন হয়েছে মহাকুম্ভ। শিবরাত্রির অমৃত স্নানের মাধ্যমে সমাপন হয় দেড় মাস ধরে চলা মহাকুম্ভের। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) মহাকুম্ভকে নিয়ে তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করলেন। নিজের ব্লগ পোস্টে প্রধানমন্ত্রী এই বিশ্বের বৃহত্তম ইভেন্টকে ঐক্যের মহাকুম্ভ ও যুগ পরিবর্তনের ধ্বনি বলে অভিহিত করেন। তিনি (PM Modi) লেখেন, ‘‘ঐক্যের মহাকুম্ভে শোনা গেল যুগ পরিবর্তনের ধ্বনি!’’

    একভারত-শ্রেষ্ঠ ভারতের প্রতিবিম্ব গড়ে উঠেছে মহাকুম্ভে

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) মহাকুম্ভ সফলভাবে সম্পন্ন হওয়াতে তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, ‘‘এই মহাকুম্ভে দিব্যতা ও ভব্যতার মেলবন্ধন যেমন দেখা গিয়েছে, তেমনি একভারত-শ্রেষ্ঠ ভারতের প্রতিবিম্বও গড়ে উঠেছে।’’ প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, ‘‘আমি সেই মুখগুলো কখনও ভুলব না, যেগুলো পূর্ণ সন্তুষ্টি এবং আনন্দে পরিপূর্ণ ছিল। নারী, বৃদ্ধ বা শারীরিকভাবে অক্ষম সবাই তাঁদের সাধ্য অনুযায়ী সঙ্গমে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন।’’

    তরুণ প্রজন্ম বড় সংখ্যায় প্রয়াগরাজে উপস্থিত হয়েছেন

    প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) কেন্দ্র করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিপুল উৎসাহ দেখা গিয়েছে। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) লেখেন, ‘‘আজকের তরুণ প্রজন্ম বড় সংখ্যায় প্রয়াগরাজে উপস্থিত হয়েছেন। এটা খুবই আনন্দজনক। এটি একটি বড় বার্তা দেয় যে, ভারতীয় যুব সমাজ আমাদের মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতির উত্তরাধিকার বহন করে, তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব উপলব্ধি করে। তাঁরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’’ উত্তরপ্রদেশ সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী মহাকুম্ভে পবিত্র স্নান সেরেছেন ৬৬ কোটি ভক্ত। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘আমেরিকার জনসংখ্যার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি লোক পবিত্র স্নান করতে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রয়াগরাজের সঙ্গমে। যা এক নয়া অধ্যায় রচনা করতে পেরেছে। এখানেই লেখা থাকবে, ভারতীয়রা তাঁদের শিকড়কে আজও ধরে রয়েছেন।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতে, মহাকুম্ভের (Mahakumbh) ব্যবস্থাপনা, রাজনৈতিক এবং আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে থাকা মানুষদের কাছে গবেষণার বিষয় হয়ে উঠতে পারে। ৪৫ দিন ধরে ‘একতার মহাযজ্ঞ’ পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে।

  • PM Modi: ওয়াকফ সংশোধনী বিলে অনুমোদন মোদি মন্ত্রিসভার, সংসদে পেশ কবে?

    PM Modi: ওয়াকফ সংশোধনী বিলে অনুমোদন মোদি মন্ত্রিসভার, সংসদে পেশ কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪’-এ অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (PM Modi)। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠকে সিলমোহর দেওয়া হল সংশোধিত ওয়াকফ বিলে (Waqf Amendment Bill)। যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রস্তাবিত একাধিক সংশোধনের পর বিলটি আসে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য। সেই বিলই অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সূত্রের খবর, বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে পাসের জন্য সংসদে সংশোধিত বিলটি পেশ করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, ১০ মার্চ শুরু হবে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব।

    যৌথ সংসদীয় কমিটির সুপারিশ (PM Modi)

    সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বিজেপি নেতা জগদম্বিকা পালের নেতৃত্বাধীন যৌথ সংসদীয় কমিটির (JPC) সুপারিশ করা বেশিরভাগ পরিবর্তনই অন্তর্ভুক্ত করেছে সংশোধনী বিলে। গত সপ্তাহে ভারতীয় বন্দর বিলের সঙ্গে এই বিলটিও অনুমোদিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, বাজেট অধিবেশনের বাকি অংশে সরকারের আইনপ্রণয়ন সংক্রান্ত কার্যসূচির অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হয়েছে এই বিলটিকে। ইসলামিক রীতি অনুযায়ী, ওয়াকফ হল মুসলমানদের উন্নয়নের স্বার্থে তৈরি সম্পত্তি। এই সম্পত্তি বিক্রি বা অন্য কোনও উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার নিয়ম নেই। ওয়াকফ সম্পত্তির সিংহভাগই মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও অনাথ আশ্রম তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।

    প্যানেল অনুমোদন

    জানা গিয়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি প্যানেল অনুমোদন করে এই বিলটি (PM Modi)। বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের সদস্যদের প্রস্তাবিত ১৪টি পরিবর্তন গ্রহণ করে। যৌথ সংসদীয় কমিটির ৬৫৫ পাতার রিপোর্টটি সংসদের উভয় কক্ষে জমা দেওয়া হয় ১৩ ফেব্রুয়ারি। প্যানেলের বিরোধী দলের সাংসদদের অভিযোগ, তাদের ভিন্নমত নোটের কিছু অংশ জমা দেওয়া নথি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। বিরোধীদের এমনতর অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেন্দ্র। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সনের অধিকার ছিল কমিটির ওপর অপবাদ দেওয়ার অংশগুলি সরিয়ে ফেলার। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যে নোটগুলি নিয়ে মতদ্বৈততা রয়েছে, সেগুলি তাদের আসল রূপে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সব মিলিয়ে মোট ৬৬টি সংশোধনীর প্রস্তাব জমা পড়েছিল।

    এনডিএর সাংসদরা

    এর মধ্যে শাসক জোট এনডিএর সাংসদরা দিয়েছিলেন ২৩টি। আর বিরোধী দলের সাংসদরা দিয়েছিলেন ৪৪টি। কমিটির চেয়ারপার্সন বলেন, “৪৪টি সংশোধনী নিয়ে আলোচনা করা হয়। ছ’মাস ব্যাপী বিশদ আলোচনার সময় আমরা সব সদস্যের (Waqf Amendment Bill) কাছ থেকে সংশোধনী চেয়েছিলাম। এটি ছিল আমাদের চূড়ান্ত বৈঠক। ১৪টি সংশোধনী সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে গ্রহণ করেছে কমিটি (PM Modi)।” বিলটি ওয়াকফ আইনগুলিতে ৪৪টি পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছে। এগুলি দেশে মুসলিম ধর্মীয় দাতব্য সম্পত্তির ব্যবস্থাপনার নিয়ম নির্ধারণ করে। জানা গিয়েছে, বিরোধী দলের সংশোধনীগুলি প্রত্যাখ্যান করা হয়। এর কারণ হল কমিটির সদস্যরা দলীয় লাইনে ভোট দিয়েছেন। এই কমিটিতে বিজেপি ও তাদের সহযোগী দলের মোট ১৬ জন সাংসদ রয়েছেন। আর বিরোধী দলের সাংসদ রয়েছেন মাত্র ১০ জন।

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল

    গত বছরের অগাস্ট মাসে কেন্দ্রীয় সরকার ওয়াকফ সংশোধনী বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পর্যালোচনার জন্য পাঠায়। কারণ এই বিলের বিরুদ্ধে বিরোধী পক্ষ আপত্তি তোলে। এই বিলটি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল এবং রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলির একটি প্রস্তাব তৈরি করে। ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪ ওয়াকফ আইনের বেশ কয়েকটি ধারা বাতিল করার প্রস্তাব দেয়। এগুলি ওয়াকফ বোর্ডগুলির কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে। এটি বর্তমান আইনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনকে সমর্থন করে। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য ওয়াকফ সংস্থাগুলিতে মুসলিম নারীদের এবং অ-মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার বিষয়টিও (PM Modi)।

    জেলার কালেক্টরের ক্ষমতা

    সংশোধিত বিলটি জেলার কালেক্টরকে এই ক্ষমতা দেয় যে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ নাকি সরকারি, সে বিষয়ে কোথাও কোনও বিরোধ দেখা দিলে, তা নিষ্পত্তি করবেন। বিলটি ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনে সংশোধন আনার প্রস্তাব দেয়। এবং অ-মুসলিম প্রধান এক্সিকিউটিভ কর্মকর্তাকে নিয়োগের অনুমতি দেয়। বিরোধীদের মতে, এই সংশোধনীগুলি ওয়াকফ বোর্ডগুলির ইচ্ছে মতো কর্তৃত্ব হ্রাস করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। বর্তমানে যে ওয়াকফ আইন চালু রয়েছে, সেই আইন বোর্ডগুলিকে বাধ্যতামূলক যাচাই ছাড়াই যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসেবে দাবি করার সুযোগ দেয়।

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪-কে ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিসিয়েন্সি, ডেভেলপমেন্ট তথা উমিদ বিলে নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। সংশোধনী প্রস্তাবে যৌথ সংসদীয় কমিটি জানায়, ওয়াকফ সংশোধনী বিলের (Waqf Amendment Bill) উদ্দেশ্য ওয়াকফ বোর্ডের কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি ও সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ (PM Modi)।

  • PM Modi: ইজরায়েলের মুখে মোদি-প্রশস্তি, কী বললেন তেল আভিভের রাষ্ট্রদূত?

    PM Modi: ইজরায়েলের মুখে মোদি-প্রশস্তি, কী বললেন তেল আভিভের রাষ্ট্রদূত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের মুখে মোদি-প্রশস্তি। ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত (Israel Ambassador) রেউভেন আজার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, “গত বছরের ৭ অক্টোবর জঙ্গি সংগঠন হামাসের দ্বারা ইজরায়েলে জঙ্গি হামলার পরে তিনিই প্রথম ফোন করেছিলেন।” আইএএনএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আজার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি গত দেড় বছর ধরে ইজরায়েলের পাশে ছিলেন। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মোদির বন্ধুত্বকে অত্যন্ত মূল্য দেন। ভবিষ্যতে ভারত ও ইজরায়েল অনেক বিষয়ে এক সঙ্গে কাজ করবে।”

    মোদির বন্ধুত্ব আমাদের কাছে মূল্যবান (PM Modi)

    তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের সাফল্যের প্রতি ইজরায়েল গভীর প্রশংসার দৃষ্টিতে তাকায়। তাঁর বন্ধুত্ব আমাদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান। আমরা দেখেছি, ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর তিনিই প্রথম আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। আমরা দেখেছি, কীভাবে তিনি গত দেড় বছর ধরে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরা জানি যে, অনেক বিষয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা একরকম। আমরা একইভাবে বিভিন্ন বিষয়কে দেখি। আমাদের চ্যালেঞ্জও অনেকটা একরকম। তাই আমি আত্মবিশ্বাসী যে, আসন্ন বছরগুলিতে আমরা একসঙ্গে আরও অনেক কিছু করতে সক্ষম হব।” তিনি ভারত ও ভারতের বাইরের নেতাদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “তাঁরা যেন ইজরায়েলকে সাহায্য করেন। একটি শান্তিপূর্ণ ও হিংসামুক্ত বিশ্ব গঠনের প্রচেষ্টায় এই সাহায্যের প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা (Israel Ambassador) যে, যে কোনও শান্তিপ্রিয় নেতা বা দল, তারা যেখানেই থাকুন না কেন — ভারতে হোক বা ভারতের বাইরে — তাঁরা আমাদের সঙ্গে এই হিংসামুক্ত, উন্নত বিশ্ব গড়ার এই প্রচেষ্টায় যোগ দেবেন।”

    ট্রাম্প ও বাইডেনের তুলনা

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নবগঠিত ট্রাম্প সরকারের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, “ইজরায়েলের পূর্ববর্তী ট্রাম্প শাসনের সঙ্গে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এ কথা বলা যায় ইজরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মধ্যে আব্রাহাম চুক্তি স্বাক্ষরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল (PM Modi) আমেরিকা।” ট্রাম্প ও বাইডেন প্রশাসনের মধ্যে পার্থক্য করতে গিয়ে আজার বলেন, “ইজরায়েলের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের কিছু মতবিরোধ ছিল। কারণ তারা রাফাহ অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু অস্ত্র ইজরায়েলকে দিতে অস্বীকার করেছিল।” তিনি বলেন, “আমাদের সব সময়ই যে কোনও আমেরিকান প্রশাসনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গেও ছিল। তবে হামাসের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করার সংগ্রামের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে কিছু মতবিরোধ ছিল। বাইডেন প্রশাসন আমাদের রাফাহ অভিযান থেকে বিরত থাকতে বলেছিল এবং যুদ্ধের জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় কিছু অস্ত্রও আটকে রেখেছিল (PM Modi)।”

    ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর আস্থা

    বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে আজার বলেন, “ইজরায়েল এই প্রশাসনের অধীনে কোনও সীমাবদ্ধতার মুখে পড়বে না। কারণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইজরায়েলকে (Israel Ambassador) আত্মরক্ষার প্রচেষ্টায় প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি ভারতের জন্য এফ-৩৫ ফাইটার জেট সরবরাহে ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রশংসাও করেন। বলেন, “উন্নত সামরিক প্রযুক্তি প্রতিপক্ষের ওপর কৌশলগত সুবিধা সৃষ্টি করতে গুরুত্বপূর্ণ।”

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হামাসের বৈঠকে উদ্বেগ

    কিছুদিন আগে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বৈঠকে বসেছিলেন প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতারা। সেখানে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের কয়েকজনও হাজির ছিল বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত আজার। তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত জঙ্গি সংগঠনগুলো নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করে এবং অনেক সময় তারা একে অপরকে সমর্থন করার উপায় খুঁজে পায়। এটি শুধু আমাদের অঞ্চল নয়, অনেক দেশের জন্যই ক্ষতিকারক।” এর পরেই তিনি বলেন, “উদাহরণস্বরূপ, মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণাধীন কাশ্মীরের এলাকায় হামাস নেতাদের একটি বৈঠক হয়েছিল। এটি দেখায়, এই জঙ্গি সংগঠনগুলো কীভাবে একে অপরকে অনুপ্রাণিত করছে এবং তারা স্পষ্টতই তাদের সাধারণ লক্ষ্য অর্জনের জন্য সহযোগিতা করছে, যা আমাদের এবং আপনাদের আতঙ্কিত করে।”

    ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত আল জাজিরা এবং বিবিসির মতো গণমাধ্যমকে চরমপন্থী ইসলামিদের হয়ে প্রচার চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের গণমাধ্যম অমুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে ন্যায়সঙ্গত করার মূল্যবোধ প্রচার করে সভ্য বিশ্বের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।”

    প্রসঙ্গত, ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ চলেছে প্রায় ১৫ মাস। মুসলিম জঙ্গি সংগঠন হামাস প্রথমে হামলা চালায় ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলে। তার পরেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে তেল আভিভ(ইজরায়েলের রাজধানী)। সম্প্রতি স্বাক্ষরিত হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি (Israel Ambassador)। এমন আবহে ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূতের এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বই কি (PM Modi)!

  • Mahakumbh: দেড়মাস পরে সম্পন্ন মহাকুম্ভ, ৬৬ কোটি ভক্তের অংশগ্রহণে গড়ল নয়া ইতিহাস

    Mahakumbh: দেড়মাস পরে সম্পন্ন মহাকুম্ভ, ৬৬ কোটি ভক্তের অংশগ্রহণে গড়ল নয়া ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালে প্রয়াগরাজে (Prayagraj) আয়োজিত হয় মহাকুম্ভ (Mahakumbh)। গতকাল বুধবার মহা শিবরাত্রিতে তা শেষ হল। ১৪৪ বছর পরে অনুষ্ঠিত হওয়া এই মহাকুম্ভ শুধুমাত্র যে আধ্যাত্মিকতার দিক থেকে নয়া শিখর স্পর্শ করেছে এমনটাই নয়। উপরন্ত বিশ্বজুড়ে একাধিক রেকর্ডও স্থাপন করেছে হিন্দু ধর্মের এই পবিত্র উৎসব। গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় মহাকুম্ভ। শেষ হয়েছে ২৬ ফেব্রুয়ারি। চলেছে টানা ৪৫ দিন অর্থাৎ দেড়মাস। ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ সরকার তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে মহাকুম্ভে (Mahakumbh) অংশগ্রহণ করেছেন ৬৬ কোটি ভক্ত। এঁরা প্রত্যেকেই পুণ্যস্নান সেরেছেন। পবিত্র ডুব দিয়েছেন ত্রিবেণী সঙ্গমে। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতাই মহাকুম্ভকে এতটা সফল করতে পেরেছে বলেই মনে করছেন অনেকে। কেউ কেউ এমনটাও দাবি করছেন মহাকুম্ভের এত সুন্দর ও অভূতপূর্ব ব্যবস্থাপনা এর আগে কখনও দেখা যায়নি।

    ব্যতিক্রমী হয়ে উঠেছিল মহাকুম্ভ (Mahakumbh)

    প্রসঙ্গত, এবারের মহাকুম্ভ (Mahakumbh) যেন আক্ষরিক অর্থেই ব্যতিক্রমী হয়ে উঠেছিল। পাড়ায় পাড়ায় থেকে বাস-গাড়ি ভাড়া করে সকলেই পুণ্য স্নানের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। ভারতের প্রত্যেকটি পাড়া-মহল্লায় যেন মহাকুম্ভমুখী হয়ে উঠেছিল। এই মহাকুম্ভে বিদেশি রাষ্ট্রনেতা থেকে কূটনীতিক, বলিউড থেকে ক্রীড়াবিদ- প্রত্যেকেই স্নান করেছেন। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরালও হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কথায় বারবার উঠে এসেছে যে এ হল একতার মহাকুম্ভ।

    ৬৬ কোটি ভক্তের আগমন, অনেক দেশের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি

    প্রসঙ্গত, ৬৬ কোটিরও বেশি ভক্ত এই মহাকুম্ভে (Mahakumbh) অংশগ্রহণ করেছেন এবং তাঁরা নয়া ঐতিহাসিক রেকর্ড তৈরি করেছেন। পৃথিবীজুড়ে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও ইভেন্ট নেই যেখানে এত পরিমাণ মানুষ একসঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রসঙ্গত, ৬৬ কোটি মানুষ মানে গোটা ভারতবর্ষের অর্ধেক জনসংখ্যা। আবার এমন অনেক দেশ আছে পৃথিবীতে যেখানকার জনসংখ্যা ৬৬ কোটি মানুষের থেকে অনেক কম। অর্থাৎ ভাবাই যাচ্ছে মহাকুম্ভ কতটা সফল এবং ঠিক কী কী রেকর্ড তৈরি করতে পেরেছে। ২০২৫ সালের মহকুম্ভে ১৩টি আখরা অংশগ্রহণ করেছিল। এই প্রতিটি আখরার সাধু-সন্তরা নিয়ম মেনে অমৃতস্নানে অংশগ্রহণ করেছেন।

    মহাকুম্ভের খুঁটিনাটি (Mahakumbh)

    প্রসঙ্গত, যোগী আদিত্যনাথ সরকার মহাকুম্ভকে সাফল্যমণ্ডিত করতে চেষ্টার কোনও ত্রুটিই করেনি। মহাকুম্ভ নগর তৈরি করা হয়েছিল ৪,০০০ হেক্টর অঞ্চলজুড়ে। এর পাশাপাশি মহাকুম্ভকে ভাগ করা হয়েছিল ২৫টি সেক্টরে। শুধু তাই নয় ১২ কিমি জুড়ে তৈরি করা হয়েছিল শুধু স্নানের ঘাট। ১,৮৫০ হেক্টর জায়গা জুড়ে তৈরি ছিল গাড়ি পার্কিং-এর ব্যবস্থা। এর পাশাপাশি মহাকুম্ভ নগরীজুড়ে ছিল ৬৭ হাজার স্ট্রিট লাইট। দেড় লাখেরও বেশি টয়লেট গড়ে তোলা হয়েছিল। ২৫ হাজারেরও বেশি অস্থায়ী আবাস তৈরি করা হয়েছিল মানুষজনের থাকার জন্য।

    অমৃত স্নানগুলিতে কত মানুষ অংশগ্রহণ করেন?

    উত্তরপ্রদেশ সরকার ৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল এই ইভেন্টের জন্য। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় মহাকুম্ভে বরাদ্দ করা হয়েছিল ১৫ হাজার কোটি টাকা। ৪৫ দিনব্যাপী চলা মহাকুম্ভে ছটি অমৃতস্নানের আয়োজন করা হয়। ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় পৌষ পূর্ণিমার অমৃত স্নান। ওই দিন অংশগ্রহণ করেন ১ কোটি ৭০ লাখ ভক্ত। মকর সংক্রান্তির অমৃতস্নান (Mahakumbh) অনুষ্ঠিত হয় ১৪ জানুয়ারি। ওই দিন অংশগ্রহণ করেন সাড়ে ৩ কোটি ভক্ত। এর পরের অমৃতস্নান অনুষ্ঠিত হয় মৌনী অমাবস্যায়। ওই দিন অর্থাৎ ২৯ জানুয়ারিতে অংশগ্রহণ করেন ৭ কোটি ৬৪ লাখ ভক্ত। বসন্ত পঞ্চমীর অমৃত স্নান যা অনুষ্ঠিত হয় ৩ ফেব্রুয়ারি। সেদিন অংশগ্রহণ করেন ২ কোটি ৫৭ লাখ ভক্ত। মাঘ পূর্ণিমার অমৃতস্নান যা অনুষ্ঠিত হয় ১২ ফেব্রুয়ারি, ওই দিন অংশগ্রহণ করেন ২ কোটি ৪ লাখ ভক্ত। মহা শিবরাত্রির অমৃতস্নান ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন অংশগ্রহণ করেন ১ কোটি ৫৩ লাখ ভক্ত।

    মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) কেন্দ্র করে বেড়েছে অর্থনীতি

    ১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হওয়া মহাকুম্ভের অর্থনৈতিক দিকটিও সামনে এসেছে। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) একটি সমীক্ষা চালিয়েছে এবং সেখানে জানানো হয়েছে যে পৃথিবীর বৃহত্তম এই যে ধর্মীয় সমাবেশ অর্থাৎ মহাকুম্ভ এখানেই বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে ও পরিষেবা দিয়ে আনুমানিক তিন লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা হয়েছে।

  • Make in India: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া মেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’! ভারত থেকে অত্যাধুনিক কামান কিনবে ট্রাম্পের আমেরিকা

    Make in India: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া মেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’! ভারত থেকে অত্যাধুনিক কামান কিনবে ট্রাম্পের আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের বিরাট সাফল্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্পের সফল রূপায়ণ ঘটছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। প্রতিরক্ষাতেও সেই ছবি ধরা পড়েছে। শুধু দেশীয় উৎপাদন নয়, ভারতের সমরাস্ত্রের চাহিদা এখন বিশ্ববাজারেও হু হু করে বাড়ছে। আর্মেনিয়া থেকে ফিলিপাইন্স, ফ্রান্স থেকে ভিয়েতনাম— সকলেই ভারত থেকে অস্ত্র কিনছে ও কেনার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। বিগত কয়েক বছরে ভারতের প্রতিরক্ষা রফতানি বিপুল হারে বেড়েছে। যা মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া, মেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ (Make in India Made For The World) নীতির পালে হাওয়া দিয়েছে। এবার সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। জানা গিয়েছে, ভারত থেকে উন্নত আর্টিলারি গান বা কামান কিনতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশীয় সংস্থা ভারত ফোর্জের সহযোগী প্রতিষ্ঠান কল্যাণী স্ট্র্যাটেজিক সিস্টেমস লিমিটেড (KSSL) এবং এএম জেনারেলের সঙ্গে চুক্তি করেছে ট্রাম্পের আমেরিকা। আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী আইডিএক্স ২০২৫ (IDEX 2025) এ আবু ধাবিতে একটি ইচ্ছাপত্র (Letter of Intent) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    মোদি-ট্রাম্প সাক্ষাতের পর চুক্তি!

    প্রতিরক্ষা খাতে মেক-ইন-ইন্ডিয়া উদ্যোগে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। প্রথমবার ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আর্টিলারি গান সরবরাহ করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে সম্প্রতি একটি দ্বিপাক্ষীয় বৈঠকে ইউএস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে সুরক্ষা সহযোগিতার অঙ্গীকার করা হয়। দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আলোচনায় বেশ কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট গত জানুয়ারিতেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে বড় কিছু পদক্ষেপ করতে চলেছেন তিনি। একই সঙ্গে এটাও জানিয়েছিলেন যে, ভারতকে তাঁর দেশ আরও বেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করতে প্রস্তুত। অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছিলেন, ভারতের প্রতিরক্ষাকে আরও মজবুত করতে আমেরিকা ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ নিতে চলেছে। এই আবহেই ভারত থেকে আমেরিকার কামান কেনার কথা সামনে এল।

    চুক্তি থেকে আশা

    কল্যাণী স্ট্র্যাটেজিক সিস্টেমস লিমিটেড সম্প্রতি এএম জেনারেলের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে, যার মাধ্যমে তারা আগামী প্রজন্মের আর্টিলারি সমাধানগুলি, যেমন মাউন্টেড, টোড এবং অতিক্ষুদ্র গানের সিস্টেমগুলি ১০৫ মিমি এবং ১৫৫ মিমি ক্যালিবারে তৈরি করবে। এএম জেনারেল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য উন্নত আর্টিলারি সমাধান খুঁজে বের করতে কাজ করছে। কেএসএসএল এক ঘোষণায় জানিয়েছে, “এই ইচ্ছাপত্রে স্বাক্ষর আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্প্রসারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেএসএসএল-এর প্রমাণিত আর্টিলারি সক্ষমতা এবং আমাদের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে একত্রিত করে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য উন্নত আর্টিলারি সমাধান নিয়ে আসার বিশাল সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।”

  • PM Modi: রাশিয়ার বিজয় দিবসে অংশ নেবেন মোদি! কবে মস্কো যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: রাশিয়ার বিজয় দিবসে অংশ নেবেন মোদি! কবে মস্কো যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাশিয়া সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আগামী ৯ মে মস্কোর রেড স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত হবে ‘গ্রেট প্যাট্রিয়টিক ওয়ার’ বা মহান দেশপ্রেমিক যুদ্ধের ৮০তম বিজয় দিবস (Victory Day Parade)। সেই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিতে রাশিয়ায় যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

    তাসের প্রতিবেদন (PM Modi)

    বুধবার রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাশিয়া সফরের ভীষণ সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৯ মে রেড স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত প্যারেডে অংশগ্রহণ করার পরিকল্পনা করছেন। এটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময়, এবং এটি হবে বলেই মনে হচ্ছে।” সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সান্ধ্য সামরিক দলও এই প্যারেডে অংশ নেবে। এই দলটি অন্তত এক মাস আগে মস্কো পৌঁছে যাবে। সেখানেই চলবে প্যারেডের জন্য প্রস্তুতি।

    মস্কোর অনুষ্ঠানে ভারতের সেনা

    জানা গিয়েছে, ভারতের সেনা কর্মীদের রাশিয়ায় পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে আলোচনা চলছে। ভারতের সামরিক প্রতিনিধিরা রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের অংশগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত করছেন। এর আগে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছেন যে, বেশ কিছু দেশ ইতিমধ্যেই মস্কোর অনুষ্ঠানে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাংবাদিক সম্মেলনে (PM Modi) দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “সিআইএস (কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস)-এর বাইরে অন্য দেশগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।” তিনি আরও বলেন, “যাঁরা বিজয় দিবসের গুরুত্ব উপলব্ধি করেন, রাশিয়া তাঁদের সবাইকে মস্কোয় স্বাগত জানাবে।”

    মোদির এই সফর কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফর বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। কারণ তিনি যে সময় রাশিয়ায় যাচ্ছেন, সেই সময় ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি সৌদি আরবে প্রথম দফার আলোচনায় অংশ নেন রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। সেখানেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শান্তির পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন। রাশিয়া সফরের সময় তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি উভয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন (Victory Day Parade)। তিনি যে যুদ্ধ নয়, শান্তির পক্ষেই, সেই অবস্থানও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন (PM Modi)।

  • Veer Savarkar: ‘জাতি কখনওই ভুলতে পারবে না তাঁর অবদান’, সাভারকরের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

    Veer Savarkar: ‘জাতি কখনওই ভুলতে পারবে না তাঁর অবদান’, সাভারকরের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক দামোদর সাভারকরের (Veer Savarkar) মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ, ২৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার প্রধানমন্ত্রী মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অমূল্য অবদানের কথা জাতি কখনওই ভুলতে পারবে না। তিনি লেখেন, “সমস্ত দেশবাসীর পক্ষ থেকে বীর সাভারকরজিকে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি। তপস্যা, ত্যাগ, সাহস ও সংগ্রামে ভরা স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অমূল্য অবদান কৃতজ্ঞ জাতি কখনও ভুলতে পারবে না।”

    বীর সাভারকর (PM Modi)

    ১৮৮৩ সালে ২৮ মে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বীর সাভারকর (Veer Savarkar)। খুব অল্প বয়সেই তিনি শুরু করেছিলেন তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বদেশি ভাবনা ও বিদেশি পণ্যের বর্জন, শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং বিপ্লবী চেতনার বিকাশ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব সাভারকর ছিলেন একজন আইনজীবী, লেখক ও সমাজকর্মী। তিনি বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর লেখা ‘হিন্দুত্ব: হু ইজ আ হিন্দু?’ বইটির জন্য তিনি বিশেষ খ্যাতি লাভ করেন।

    কারাদণ্ড ভোগ

    মর্লে-মিন্টো সংস্কারের বিরোধিতা করায় সাভারকরকে (Veer Savarkar) ১৯১১ সালে আন্দামানের সেলুলার জেলে ৫০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে ১৯২৪ সালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর,  তিনি রত্নগিরিতে অস্পৃশ্যতা দূর করার লক্ষ্যে কাজ করেন। পরে সাভারকর হন হিন্দু মহাসভার সভাপতি। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বিরোধিতা করেন তিনি। ভারতের (PM Modi) বিভাজন মেনে নেওয়ার জন্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসেরও সমালোচনা করেছিলেন এই দেশপ্রেমিক।

    সাভারকরকে (Veer Savarkar) শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, তিনি ছিলেন একজন গতিশীল চিন্তক, জাতীয়তাবাদী ভাবনার ধারক এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “… সাভারকরজি তাঁর জীবনের মাধ্যমে দেখিয়েছিলেন কীভাবে মাতৃভূমি, নিজের সংস্কৃতি এবং জাতির জন্য ত্যাগ ও নিবেদনের শিখরে পৌঁছানো যায়। জাতীয় ঐক্যের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করে সমাজকে জাত-পাতের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করেছিলেন যে সাভারকরজি (Veer Savarkar), তাঁর জীবনগাথা মাতৃভূমির সেবার পথে ধ্রুবতারার মতো অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাবে (PM Modi)।”

  • PM Modi: “যারা পশুখাদ্যও খেয়ে ফেলে, তারা দেশের কৃষকদের কল্যাণ করতে পারে না,” বললেন মোদি

    PM Modi: “যারা পশুখাদ্যও খেয়ে ফেলে, তারা দেশের কৃষকদের কল্যাণ করতে পারে না,” বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যারা পশুর জন্য তৈরি খাদ্যও খেয়ে ফেলে, তারা দেশের কৃষকদের কল্যাণ নিয়ে ভাবতে পারে না।” সোমবার বিহারের ভাগলপুরের এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ঠিক এই ভাষায়ই রাষ্ট্রীয় জনতা দল সুপ্রিমো তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে (Lalu Yadav) নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন অবশ্য লালুর নাম মুখেও আনেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে তাঁর চাঁদমারি যে লালুই, তা বুঝতে বাকি থাকেনি উপস্থিত দর্শকদের।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্র ও বিহার উভয় জায়গায়ই এনডিএ সরকার সর্বদা কৃষকদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেয়। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সারা দেশের আমার কৃষক ভাইবোনেরা প্রধানমন্ত্রী কিষান নিধির সুবিধা পেতেন না। গত ছ’বছরে কিষান প্রকল্পের প্রতিটি পাই-পয়সা সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।” এর পরেই লালুকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “যারা পশুখাদ্যও খেয়ে ফেলে, তারা এ দেশের কৃষকদের কল্যাণ সম্পর্কে ভাবতে পারে না।”

    কৃষি রফতানি বেড়েছে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতের কৃষি রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ভালো দাম পেতে পারছেন। এ বছরের বাজেটে সরকার একটি মাখানা বোর্ড তৈরির কথা ঘোষণা করেছে, যা শীঘ্রই বাস্তবায়িত হবে।” মহাকুম্ভ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন লালু। তিনি বলেছিলেন, “ফালতু হ্যায় কুম্ভ।” এদিন তারও তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “যাঁরা জঙ্গলরাজে বিশ্বাসী, তাঁরা আমাদের ঐতিহ্য ও বিশ্বাসকে ঘৃণা করেন।”

    তিনি বলেন, “আমি আশাবাদী, প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যকারীদের বিহারবাসী কখনও ক্ষমা করবেন না।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইউরোপের মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি মানুষ এই মহাকুম্ভ পবিত্র স্নান করেছেন। কিন্তু জঙ্গলরাজের প্রতিনিধিরা এই পবিত্র অনুষ্ঠানের সমালোচনা করছেন। যারা রাম মন্দিরের বিরোধী, তারা মহাকুম্ভকে অপমান করার প্রতিটি সুযোগ নিচ্ছে। আমি নিশ্চিত যে বিহারের জনগণ এই পবিত্র অনুষ্ঠানের বিরোধীদের কখনও ক্ষমা করবেন না।” তিনি বলেন, “বর্তমানে প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐক্যের মহাকুম্ভ (Lalu Yadav)। এটি ভারতের বিশ্বাস, ঐক্য ও সম্প্রীতির সর্ববৃহৎ উদযাপনকে উপস্থাপন করে (PM Modi)।”

LinkedIn
Share