Tag: PM Modi

PM Modi

  • Ram Janmabhoomi: রাম মন্দির আন্দোলনের ‘প্রথম করসেবক’ কামেশ্বর চৌপাল প্রয়াত, শোক প্রকাশ মোদির

    Ram Janmabhoomi: রাম মন্দির আন্দোলনের ‘প্রথম করসেবক’ কামেশ্বর চৌপাল প্রয়াত, শোক প্রকাশ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Janmabhoomi) ট্রাস্টি কামেশ্বর চৌপাল প্রয়াত হলেন। দীর্ঘদিন কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। অবশেষে ৬৮ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন তিনি। রিপোর্ট অনুযায়ী , চৌপাল দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের এক্স মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘এক অনন্য রামভক্ত ছিলেন কামেশ্বর চৌপাল (Kameshwar Chaupal), তাঁর প্রয়াণে আমি দুঃখিত।’’ প্রসঙ্গত, কামেশ্বর চৌপালকে ‘প্রথম করসেবক’ হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৯৮৯ সালে তিনি রাম জন্মভূমিতে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য প্রথম ইট স্থাপন করেছিলেন বলে জানা যায়। তিনি বিহারের প্রাক্তন এমএলসি ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে এদিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক্স হ্যান্ডেলে শোক প্রকাশ (Ram Janmabhoomi) করা হয়। শোক প্রকাশ করেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

    কামেশ্বর চৌপাল বিহারের সুপৌল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন

    সূত্রের খবর, চৌপালের মেয়ে তাঁকে আগে একটি কিডনি দান করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিস্থাপন ফলপ্রসূ হয়নি (Ram Janmabhoomi)। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সকালে মারা গেলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ১৯৫৬ সালের ২৪ এপ্রিল কামেশ্বর চৌপাল বিহারের সুপৌল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন বলে জানা যায়। তিনি একজন বিশিষ্ট সমাজকর্মী ছিলেন। এর পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বনবাসী কল্যাণ কেন্দ্র, আরএসএস এবং এবিভিপি সহ সঙ্ঘ পরিবারের একাধিক সংগঠনে কাজ করেন তিনি।

    শোক প্রকাশ অমিত শাহের

    প্রসঙ্গত, কামেশ্বর চৌপালের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন অমিত শাহ। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Ram Janmabhoomi) লিখেছেন, ‘‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের স্থায়ী সদস্য এবং বিজেপির সিনিয়র নেতা কামেশ্বর চৌপাল জি’র প্রয়াণ অত্যন্ত দুঃখজনক। শ্রীরাম জন্মভূমি আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। সামাজিক কাজ ও বঞ্চিতদের কল্যাণের জন্য বিশেষ কাজ করেছিলেন কামেশ্বর চৌপাল। প্রভু শ্রীরাম তাঁর আত্মাকে শ্রীচরণে স্থান দিন এবং তাঁর শোকগ্রস্ত পরিজনদের মানসিক শক্তি প্রদান করুন।’’

  • Mahakumbha 2025: মহাকুম্ভে তৈরি হওয়ার পথে চার-চারটে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড, জানেন কী কী?

    Mahakumbha 2025: মহাকুম্ভে তৈরি হওয়ার পথে চার-চারটে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড, জানেন কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ। বিগত ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে কুম্ভমেলা (Mahakumbha 2025) চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ১৪৪ বছর পরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ। বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে মাঘী পূর্ণিমার আগেই ভক্তদের সংখ্যা সেখানে ৪০ কোটি পৌঁছে যাবে। প্রথম ২৪ দিনেই কুম্ভ মেলায় ভক্ত সংখ্যা ছুঁয়েছে ৩৮.২৯ কোটি। কুম্ভ মেলা যেন সব কিছুকেই এক করে দিয়েছে। সাধারণ ভক্ত থেকে রাষ্ট্রনেতা থেকে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। পুণ্য অর্জনের লক্ষ্যে পবিত্র স্নান সারছেন। এমন ঘটনা বিশ্বের কোথাও আর দেখা যায় না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী গত বুধবার মাঘী অষ্টমী বা ভীষ্ম অষ্টমী তিথিতে পুণ্যস্নান সেরেছেন। স্নান করেছেন ভুটানের রাজাও। মহাকুম্ভ (Guinness World Records) পৃথিবীর সবথেকে বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে। এই আবহে আরও উল্লেখযোগ্য খবর সামনে এসেছে।

    মহাকুম্ভে (Mahakumbha 2025) তৈরি হচ্ছে ৪ নয়া রেকর্ড

    মহাকুম্ভে (Mahakumbha 2025) তৈরি হতে চলেছে চারটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। এর মধ্যে প্রথমটি হল ১৫ হাজার সাফাই কর্মী একসঙ্গে মহাকুম্ভের ঘাটগুলি পরিষ্কার করবেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি এই নয়া রেকর্ড তৈরি হতে চলেছে মহাকুম্ভে। এর আগে ২০১৯ সালের অর্ধ কুম্ভে এমন চিত্রই দেখা গিয়েছিল। সে সময় দশ হাজার সাফাই কর্মী একসঙ্গে ঘাট পরিষ্কার করেছিলেন। অর্থাৎ ভারত তার নিজের রেকর্ডই ভাঙছে। ২০১৯ সালে অর্ধকুম্ভের যে রেকর্ড তৈরি করেছিলেন সাফাই কর্মীরা, তাঁরাই আবার নিজেদের রেকর্ড ভাঙছেন ২০২৫ সালে। মহাকুম্ভে এই ঘটনা অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।

    দ্বিতীয় ও তৃতীয় রেকর্ড (Mahakumbha 2025)

    অন্যদিকে, দ্বিতীয় যে রেকর্ড হতে চলেছে হতে চলেছে সেটি ১৫ ফেব্রুয়ারি সবার নজরে আসবে। ওইদিন তিনশোর বেশি মানুষ একসঙ্গে ত্রিবেণী সঙ্গমের জলকে পরিষ্কার করবেন। এমনভাবেই ওই তিনশো কর্মী গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে মহাকুম্ভকে স্থান দেবেন। এরপরে ১৬ ফেব্রুয়ারি ফের নয়া একটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলবে মহাকুম্ভ। জানা গিয়েছে, ওই দিন ১০০০-এরও বেশি ই-রিকশা হাজির হবে কুম্ভের প্রাঙ্গণে। এরপরে তারা প্যারেড করবে। এটিও একটি নয়া ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। দেখা যাচ্ছে ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ৫০০ বাস প্যারেড করেছিল অর্ধকুম্ভে। তার নিয়ন্ত্রণকর্তা ছিল উত্তরপ্রদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন। সেই সময় উত্তরপ্রদেশ সরকারের এমন উদ্যোগ নয়া গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড স্থাপন করে, ‘ লার্জেস্ট প্যারেড অফ বাসেস’। এবার সেটি হতে চলেছে লার্জেস্ট প্যারেড অফ ই-রিস্কা। প্রসঙ্গতই বাসগুলি চলে ছিল ৩.২ কিলোমিটার এক সঙ্গে। এর আগে বাসের প্যারেডের রেকর্ড ছিল আবুধাবিতে। সেটি ২০১০ সালে তৈরি হয়েছিল এবং সে সময় ৩৯০টি বাস একসঙ্গে চলেছিল।

    তৃতীয় রেকর্ড

    প্রসঙ্গত, এর পরের রেকর্ডটি তৈরি হতে চলেছে ১৭ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন ১০ হাজার লোক একসঙ্গে নয়া ওয়ার্ল্ড রেকর্ড তৈরি করবেন। জানা গিয়েছে, ১০,০০০ লোক একসঙ্গে হ্যান্ড প্রিন্টিং করবেন আট ঘণ্টা ধরে, গঙ্গা প্যান্ডেলের মধ্যে। বর্তমানে এই ওয়ার্ল্ড রেকর্ড রয়েছে কুম্ভের নামেই। ২০১৯ সালে একসঙ্গে বসে ৭,৬৬৪ জন হ্যান্ড পেইন্টিং করেছিলেন। ৬ বছর আগে অর্ধকুম্ভের প্রয়াগরাজে যে রেকর্ড তৈরি হয়েছিল, তা এবার ভাঙছে ২০২৫ সালে। এই রেকর্ড নতুন ভাবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পাচ্ছে।

    কী বলছেন আধিকারিক?

    মহাকুম্ভের গোটা ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখছেন উচ্চপদস্থ আমলা বিজয় কিরণ আনন্দ। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘চারটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে মহাকুম্ভ নাম তুলতে চলেছে। এটি সত্যিই খুব আনন্দের এবং যার শুরু হতে চলেছে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে। প্রথমটি স্বচ্ছতায়। পরেরটি নদী পরিষ্কার করাতে, এরপরে একটি ই-রিক্সার ক্ষেত্রে এবং সর্বশেষটি হ্যান্ড প্রিন্টিং-এর ক্ষেত্রে।’’ এই সমস্ত ইভেন্টগুলির প্রস্তুতিপর্ব ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজয় কিরণ আনন্দ।

    বিদেশি ভক্তদেরও আকর্ষণের কেন্দ্রে মহাকুম্ভ

    ১৪৪ বছর পরে হওয়া এই মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) পর্যটকদের জন্য একটি প্রধান আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠেছে। পর্যটক বলতে আধ্যাত্মিক পর্যটক, যাদের আমরা তীর্থযাত্রীও বলতে পারি। এখনও পর্যন্ত, ৩৮ কোটির বেশি পুণ্যার্থী সঙ্গমে স্নান করেছেন। পবিত্র স্নানের উদ্দেশেই ভক্তরা এখানে সমবেত হচ্ছেন। বিশ্বাস, কুম্ভের ডুব জীবনে আনে অপার শান্তি ও সুখ। মহাকুম্ভে এই ব্যাপক পরিমাণে ভক্তদের আগমন শুধুমাত্র ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে না, অর্থাৎ ভারতীয়রা শুধুমাত্র যে প্রয়াগরাজে হাজির হচ্ছেন এমনটা নয়। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বিপুল পরিমাণে তীর্থযাত্রী ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিতে প্রয়াগরাজের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন। পরিসংখ্যান বলছে যে, আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করার ৪৮ শতাংশ ভিসা মহাকুম্ভের (Mahakumbh 2025) দিকেই যাচ্ছে।

  • Modi in Rajya Sabha: পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ, দেশে নয়া মডেল! রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণে কী কী বললেন মোদি?

    Modi in Rajya Sabha: পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ, দেশে নয়া মডেল! রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণে কী কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘কংগ্রেসের নীতি হল, পরিবার প্রথম৷’’ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদজ্ঞাপন বক্তৃতায় স্বভাব-সিদ্ধ ভঙ্গিতেই কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi in Rajya Sabha) ৷ রাজ্যসভায় তাঁর আক্রমণ শুরু হয় বিজেপি সরকারের ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ মডেল দিয়ে৷ জবাবি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানান দেশবাসী ২০১৪ সালের পরে একটা নতুন মডেল পেয়েছে, আদর্শ পেয়েছে। যা নিয়ে অমৃতকালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। তিনি বিজেপি সরকারের সাফল্যের কথাও বলেন।

    পরিবারতন্ত্র নিয়ে কটাক্ষ

    এদিন জবাবি ভাষণে দেশের সবচেয়ে পুরনো জাতীয় দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী (Modi in Rajya Sabha) বলেন, “কংগ্রেসের থেকে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ আশা করাই উচিত নয়। এটা যেমন ওদের ধারণার বাইরে, ঠিক তেমনই ওদের দলের আর্দশের মধ্য়ে পড়ে না। কারণ গোটা দলটাই টিকে আছে পরিবারতন্ত্রের উপর ভিত্তি করে।” জরুরি অবস্থার সময়ে দেশের পরিস্থিতির কথা স্মরণ করিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ওই সময় দেশবাসীর বাক্‌স্বাধীনতা হনন এবং সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হয়েছিল। বেশ কিছু উদাহরণও তুলে ধরে মোদির অভিযোগ, শিল্পীদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি সেই সময়। জরুরি অবস্থাকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানাতে রাজি না হওয়ায় দেবানন্দের সিনেমা দূরদর্শনে সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তোলেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা এখন সংবিধানের কথা বলছেন, তাঁরা বছরের পর বছর সংবিধানকে নিজেদের পকেটে ঢুকিয়ে রেখে দিয়েছিলেন।”

    আম্বেদকরকে স্মরণ

    আম্বেদকর-প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী (Modi in Rajya Sabha) বলেন, “কংগ্রেস সরকার বিআর আম্বেদকরকে ভারতরত্ন দেয়নি ৷ তাঁকে ভারতরত্নের যোগ্য মনেই করা হয়নি ৷ কিন্তু আজ তারা ‘জয় ভীম’ বলতে বাধ্য হচ্ছে৷ ভীমরাও আম্বেদকরের প্রতি কংগ্রেসের ঘৃণা, রাগের কথা ইতিহাসে খুব ভালোভাবেই নথিবদ্ধ রয়েছে৷ তাঁর প্রতিটি কথায় কংগ্রেস বিরক্ত হয়ে যেত। এর সব তথ্য রয়েছে। বাবাসাহেবকে দু’বার নির্বাচনে হারানোর জন্য তারা কী করেনি! তবে দেশবাসী আম্বেদকরের ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই আজ বাধ্য হয়ে কংগ্রেসকে জয় ভীম বলতে হয়। এ কথা বলতে গিয়ে তাদের গলা শুকিয়ে আসে।”

    সংরক্ষণ ইস্যুতে কংগ্রেসকে তোপ

    মোদির (Modi in Rajya Sabha) বক্তৃতায় উঠে আসে আদিবাসী, দলিত, তফশিলি জাতি, জনজাতি এবং অন্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রসঙ্গ। তাঁর সরকার যে সাধারণ শ্রেণির গরিব মানুষদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ এনেছে, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উঠে আসে বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য সুবিধা, তৃতীয় লিঙ্গকে আইনি স্বীকৃতির কথাও। মোদি বলেন, “গত বেশ কয়েকবছর ধরে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর আওতাভুক্ত সাংসদরা দাবি করছেন, যেন ওবিসি কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া হয়। কিন্তু বারংবারই সেই আবেদন খারিজ হয়ে এসেছে। অবশেষে আমরা সেই সম্প্রদায়ের দাবিকে সম্মান জানিয়ে তাদের আবেদন রাখতে চলেছি।”

    দেশে এক নয়া মডেল

    প্রধানমন্ত্রী (Modi in Rajya Sabha) দাবি করেন, কংগ্রেস আমলে জাতপাত প্রচারেরও চেষ্টা হয়েছে৷ তিনি বলেন, “জাতপাতের বিষ ছড়ানোর চেষ্টাও হয়েছে৷ সংরক্ষণের বিষয়টি যখনই সামনে এসেছে, তখনই দেশে একটা ঝড় উঠেছে৷ আমরা প্রথম বার, একটা মডেল দিয়েছি দেশকে৷ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকা শ্রেণিকে আমরা ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছি। তাদের কাছ থেকে কিছু ছিনিয়ে না নিয়েই আমরা সংরক্ষণের এই মডেল দিয়েছি৷ এসসি, এসটি, ওবিসি-রা তাকে স্বাগত জানিয়েছে৷ কারও কোনও সমস্যা হয়নি৷ এর আগে বিশেষত কংগ্রেসের সময় তোষণ ছিল সবকিছু ৷ সেটাই রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল৷ এতে কয়েকটি ছোট দলের অনেক সুবিধা হয়েছে৷ কিন্তু অন্যরা বঞ্চিত হয়েছে৷ নির্বাচনের সময় তারা মিথ্যা আশা জাগিয়েছিল৷ মানুষকে বোকা বানানোর রাজনীতি করেছে ওরা।”

    এনডিএ সরকারের উদ্যোগ

    বিজেপি দেশের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের দিকে লক্ষ্য রেখেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী (Modi in Rajya Sabha) ৷ তিনি বলেন, “আমরা সম্পৃক্তকরণের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছি ৷ চেয়েছি, প্রকল্পগুলির একশো শতাংশই রূপায়িত হোক৷ কেউ যেন বঞ্চিত না হয়, কাউকে যেন হতাশার দিকে ঠেলে দেওয়া না হয়৷ বিগত দশকগুলিতে প্রতিটি স্তরে আমরা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ কার্যকর করার চেষ্টা চালিয়েছি৷ এখন তার ফলাফল দেখতে পাচ্ছি ৷” তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প এবং উদ্যোগের কারণে দরিদ্র শ্রেণির মানুষকে মধ্যবিত্তের পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। দরিদ্র থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে উঠে আসা মানুষদেরই তিনি ব্যাখ্যা করছেন ‘নব্য মধ্যবিত্ত’ বলে। মোদির কথায়, “কেন্দ্রীয় সরকার মধ্যবিত্ত এবং নব্য মধ্যবিত্তের পাশে সব সময় রয়েছে। আমরা মধ্যবিত্তদের একটি বড় অংশের জন্য আয়কর শূন্য করে দিয়েছে। ২০১৩ সালে (মোদি জমানা শুরুর আগে) বার্ষিক ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর ছাড় ছিল। আজ আমরা বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপরে করে ছাড় দিয়েছি।”

    কেন্দ্রের একগুচ্ছ প্রকল্প

    রাজ্যসভায় মোদির (Modi in Rajya Sabha) বক্তৃতায় উঠে আসে আয়ুষ্মান যোজনা, আবাস যোজনার মতো প্রকল্পগুলির কথাও। আয়ুষ্মান যোজনায় সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধদের চিকিৎসা বিমা দেয় কেন্দ্র। মোদির দাবি, এই প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন দেশের মধ্যবিত্ত প্রবীণেরাই। পাশাপাশি, মধ্যবিত্তদের জন্য কেন্দ্রের তরফে ৪ কোটি বাড়িও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশের পর্যটন প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মধ্যবিত্তেরা উপকৃত হচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, অতীতে বিদেশিরা ভারত বলতে দিল্লি, মুম্বই বা বেঙ্গালুরুকেই চিনতেন। তবে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে জি-২০ বৈঠক আয়োজন করানোর ফলে এখন বিশ্ববাসী ভারতকে নতুন করে চিনেছেন। দেশীয় পর্যটনেও আকর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটনের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসাও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মধ্যবিত্তেরাই এর সুবিধা পাচ্ছেন বলে মত প্রধানমন্ত্রীর।

  • Central Government: ৩০ হাজার টাকায় আজীবন টোল পাস! বড় ভাবনা মোদি সরকারের, কতটা সুবিধা হবে?

    Central Government: ৩০ হাজার টাকায় আজীবন টোল পাস! বড় ভাবনা মোদি সরকারের, কতটা সুবিধা হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়মিত যাঁরা ভ্রমণ করেন বা প্রতিনিয়ত দূর-দূরান্তে যাত্রা করেন, তাঁদের জন্য বড় উদ্যোগ নিতে চলেছে মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government), এক নতুন প্রকল্প আনছে যেখানে আজীবন টোল পাস ব্যবস্থা চালু হবে। এর পাশাপাশি একটি গোটা বছরের জন্য টোল পাস ব্যবস্থা চালু থাকবে। মনে করা হচ্ছে এর ফলে দূর দূরান্তে ভ্রমণকারীদের খুবই সুবিধা হবে।

    দুটি বিকল্প কী কী (Central Government)?

    জানা গিয়েছে, গাড়ির মালিক অথবা যাঁরা প্রায়ই দূরদূরান্তে যাতায়াত করেন সেই সমস্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দুটি বিকল্প দেওয়া হবে। একটি হল বার্ষিক পাস, অপরটি ১৫ বছরের জন্য বৈধ থাকবে, এটি হবে আজীবন টোল পাস। বার্ষিক টোল পাসের জন্য প্রদান করতে হবে ৩,০০০ টাকা এবং আজীবন টোল পাসের জন্য প্রদান করতে হবে ৩০ হাজার টাকা এককালীন অর্থ। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক (Central Government) এই প্রস্তাবগুলি নিয়ে ইতিমধ্যে একটি খসড়া রচনা করে ফেলেছে এবং তা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। যে কোনওদিনই এই নিয়ে ঘোষণা করা হতে পারে।

    বর্তমানে কী ব্যবস্থা চালু রয়েছে?

    বর্তমানে যে ব্যবস্থা চালু রয়েছে সেখানে মাসিক এবং বার্ষিক এই দুইভাবে টোলপাস নেওয়া যায়। মাসিক টোল পাসের (Highway Toll Pass) জন্য দিতে হয় ৩৪০ টাকা। অন্যদিকে যাঁরা দূরদূরান্তে সারা বছর ধরে যাতায়াত করেন, তাঁদের জন্য বার্ষিক টোল পাসের পরিমাণ হল ৪,০৮০ টাকা। এই জায়গা থেকেই কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক (Central Government) দেশজুড়ে একটি বার্ষিক পাস চালু করার কথা বিবেচনা করছে। যার জন্য দিতে হবে তিন হাজার টাকা। এর মাধ্যমে কোনও গাড়ির মালিক বা ভ্রমণকারী সারা দেশেই ভ্রমণ করতে পারবেন। অনেকেই মনে করছেন নতুন যে নীতি চালু হতে চলেছে তা যথেষ্ট সাশ্রয়ী এবং অনেকের কাছে এটি অত্যন্ত পছন্দের এবং আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়করি সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে যাত্রীরা শীঘ্রই সড়ক মাধ্যমে টোল ট্যাক্সে ছাড় পাবেন।

  • Maha Kumbh 2025: মাঘী পূর্ণিমার আগেই মহাকুম্ভে ভক্ত সংখ্যা ছাড়াবে ৪০ কোটি!

    Maha Kumbh 2025: মাঘী পূর্ণিমার আগেই মহাকুম্ভে ভক্ত সংখ্যা ছাড়াবে ৪০ কোটি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) ভক্ত সংখ্য ৪০ কোটিতে পৌঁছাবে। ১২ ফেব্রুয়ারি রয়েছে মাঘী পূর্ণিমার অমৃত স্নান। মনে করা হচ্ছে তার আগেই চল্লিশ কোটির গণ্ডি অতিক্রম করে যাবে মহাকুম্ভ। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভ শুরু হওয়ার পরে বিগত ২৪ দিনে পবিত্র স্নান সেরেছেন ৩৮.২৯ কোটি ভক্ত। হিসেব বলছে, ৫ ফেব্রুয়ারি, বুধবার দুপুর দুটো নাগাদ পবিত্র সঙ্গমে ভক্ত সংখ্যা ছুঁয়ে যায় ৫৯.২৪ লক্ষে। হিসেব বলছে, প্রতি দুই ঘণ্টায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ ভক্ত স্নান করছেন। এভাবেই মহাকুম্ভ একটি রেকর্ড স্থাপন করেছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে। একইসঙ্গে কুম্ভমেলার যে অভূতপূর্ব্যবস্থা সেটারও প্রশংসা ঝরে পড়ছে ভক্তদের মুখে, তীর্থযাত্রীদের মুখে (Magha Purnima)। তাঁরা যোগী ও মোদি- এই দুই সরকারেরই প্রশংসা করছেন।

    লখনউ থেকে এসেছিলেন প্রমেশ্বর ত্রিপাঠী

    লখনউ থেকে এসেছিলেন প্রমেশ্বর ত্রিপাঠী। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্নানের কারণে কোনওরকমের বিঘ্ন ঘটেনি। সবকিছুই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ভক্তদেরকে প্রটোকলের নামে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। অন্যদিকে, মুম্বই থেকে আগত ভক্ত অদিতি শ্রীবাস্তব এবং তাঁর পরিবার প্রশংসায় ভরিয়ে তোলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। এর পাশাপাশি, প্রশাসনেরও ব্যাপক প্রশংসা করেন। তাঁরা জানান, কোনও ভিভিআইপি আসছেন বলে তাঁদেরকে কোথাও থামানো হয়নি। কোনও সমস্যার সম্মুখীন তাঁরা হননি (Maha Kumbh 2025)। অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সবকিছু সম্পন্ন হচ্ছে।

    মাদুরাই থেকে এসেছিলেন ভক্ত রঙ্গনাথন

    মাদুরাই থেকে এসেছিলেন ভক্ত রঙ্গনাথন। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান যে, ভুটানের রাজা এসেছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী এসেছেন, কূটনীতিক আধ্যাত্মিক সন্ন্যাসী- সকলেই এই মহাকুম্ভে স্নান করেছেন। এটা কেবলমাত্র ভারতেই ঘটছে। মোদি-যোগীর কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি পুলিশকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। তার কারণ তিনি সঙ্গে এনেছিলেন ৭২ বছর বয়সি মাকে। তিনি হাঁটতে পারছিলেন না। তাই পুলিশ ট্রাই সাইকেলের মাধ্যমে তাঁকে পবিত্র স্নান করিয়েছেন। প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025) শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি, ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রির পর্যন্ত তা চলবে।

  • PM Modi: ‘‘সনাতন ধর্মের প্রসারে আন্তরিক প্রধানমন্ত্রী মোদি’’, মত মহাকুম্ভের সন্ন্যাসীর

    PM Modi: ‘‘সনাতন ধর্মের প্রসারে আন্তরিক প্রধানমন্ত্রী মোদি’’, মত মহাকুম্ভের সন্ন্যাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্ম প্রচার ও পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভূয়সী প্রশংসা করলেন গীতা মণিষী মহামণ্ডলেশ্বরের স্বামী জ্ঞাননন্দজি মহারাজ। প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) পবিত্র স্নান করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ নিয়ে এই স্বামী জ্ঞাননন্দজি মহারাজ জানিয়েছেন, এভাবেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি সনাতন ধর্মের প্রচার এবং পালন করছেন। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী জ্ঞাননন্দজি মহারাজ প্রয়াগরাজের পবিত্র কুম্ভে প্রধানমন্ত্রীর স্নান (Modi Kumbh Holy Dip) ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘‘এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। মহাকুম্ভে প্রধানমন্ত্রীর পবিত্র স্নানে (MahaKumbh Holy Dip) সনাতন ধর্ম ধর্মাবলম্বীরা গর্বিত হয়েছেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বার্তাও দিয়েছেন যে সনাতন ধর্মের প্রচারে এবং প্রসারে তিনি ঠিক কতটা আন্তরিক। পবিত্র স্নান করতে তিনি আলাদা কোনও সুযোগ নেননি। তাঁর এই পবিত্র স্নানে প্রতিফলন দেখা গিয়েছে হয়ে প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের।’’

    সনাতন ধর্মের সকল গুণ রয়েছে মোদির (PM Modi) মধ্যে

    স্বামী জ্ঞাননন্দজি মহারাজ, এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) আন্তরিকতা, মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভক্তিরও প্রশংসা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে সেই সমস্ত গুণগুলি আছে যেগুলি একজন সনাতনীর মধ্যে থাকা প্রয়োজন। স্বামী জ্ঞাননন্দজি মহারাজ আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী পবিত্র স্নান (Mahakumbh 2025) করতে হাজির হয়েছেন, অন্তরের গভীর ভক্তির সঙ্গে। সাধারণ তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে তিনি স্নান করেছেন। এত বড় উচ্চপদে অধিষ্ট যিনি, তাঁর মধ্যেও সনাতন ধর্মের প্রতি এমন গভীর আস্থা লক্ষ্য করা গিয়েছে।’’

    দেশের প্রয়োজন মোদির (PM Modi) মতো নেতা

    তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের এখন সত্যিই প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো নেতা। যাঁর মধ্যে এমন মানবতা দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে। তার সঙ্গে সঙ্গে যার মধ্যে থাকবে আধ্যাত্মিকতা এবং বিশেষত ভারতবর্ষের সনাতন ঐতিহ্য-পরম্পরার প্রতি আস্থা (Mahakumbh 2025)। এর পাশাপাশি জয়া বচ্চনের বিতর্কিত মন্তব্যেরও উত্তর দিয়েছেন জ্ঞাননন্দজি মহারাজ। জয়া বচ্চন সম্প্রীতি মন্তব্য করেন যে কুম্ভে পদপৃষ্টের ঘটনায় বহু দেহকে গঙ্গা জলে ফেলে গায়েব করা হয়েছে। এ নিয়ে জ্ঞাননন্দজি মহারাজ বলেন, ‘‘পদপিষ্টের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা সত্যিই গভীর দুঃখ পেয়েছি। যে সমস্ত ভক্তরা নিহত হয়েছেন তাঁদের জন্য। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।’’

  • PM Modi: মহাকুম্ভে মোদি, গেরুয়া পোশাকে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্য-ডুব প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: মহাকুম্ভে মোদি, গেরুয়া পোশাকে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্য-ডুব প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে রুদ্রাক্ষের মালা, শরীরে গেরুয়া পোশাক, মহাকুম্ভে এলেন মোদি (PM Modi)। গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতী নদীর সঙ্গমে পুণ্যস্নান সারলেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার সকালে মহাকুম্ভে পৌঁছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে বোটে করে সঙ্গমে যান তিনি। দিল্লি ভোটের দিনই প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্নান সেরে সূর্য প্রণাম করে প্রার্থনাও করলেন প্রধানমন্ত্রী (Modi in Maha Kumbh)।

    কেন এদিন স্নান

    মকর সংক্রান্তি, মৌনী অমাবস্যা এবং বসন্ত পঞ্চমীতে ‘অমৃত স্নান’ সেরেছেন অসংখ্য মানুষ। সামনে আসছে মাঘী পূর্ণিমার ‘অমৃত স্নান’-ও। তার পরিবর্তে বুধবার যে প্রধানমন্ত্রী ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান সারলেন, সেটার নেপথ্যে বিশেষ মাহাত্ম্য আছে বলে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, আজ মাঘী অষ্টমী তিথি পড়েছে। মহাভারতের কাহিনী অনুযায়ী, আজকের দিনেই প্রাণত্যাগ করেছিলেন ভীষ্ম। সেজন্যই পুণ্যস্নানের জন্য আজকের দিনটা বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও বিরোধীদের দাবি, হিন্দু ধর্মীয় ভাবাবেগে টোকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধির জন্য দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের দিনই মহাকুম্ভে গেলেন মোদি (PM Modi)। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষের ভিড় হচ্ছে কুম্ভে। তাই ভিড় এড়াতে শাহি স্নানের দিন বাদ দিয়ে একটি বিশেষ দিনকে বেছে নেন প্রধানমন্ত্রী (Modi in Maha Kumbh)। এমনিতে এবার কুম্ভমেলার বিশেষ গুরুত্ব আছে। কারণ ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, ইতিমধ্যে মহাকুম্ভে দেশ ও বিদেশ থেকে ৩৮ কোটি মানুষ এসেছেন। সেরেছেন পুণ্যস্নান। শেষপর্যন্ত পুণ্যার্থীর সংখ্যা ৪০ কোটি পেরিয়ে যাবে বলে দাবি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

    মোদির সঙ্গী যোগী

    বুধবার সকালে প্রয়াগরাজে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। এরপর স্পিড বোডে করে সঙ্গম স্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মোদির জন্য প্রয়াগরাজে উপচে পরেছে ভক্তদের ঢল। প্রধানমন্ত্রী মোদি (Modi in Maha Kumbh) প্রয়াগরাজে আসেন সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে। ডিপিএস হেলিপ্যাড-এ নামেন তিনি। সকাল ১১টার সময় তিনি নিষাদরাজ ক্রুজে ভিআইপি জেটি থেকে যাত্রা করেন, তাঁর সঙ্গে একই জলযানে দেখা গেল যোগীকে। এরপরই পূর্ব নির্ধারিত সময় মেনেই ত্রিবেণী সঙ্গমে আসেন মোদি।

  • India Defence: শক্তি বাড়ছে ‘পিনাকা’ সিস্টেমের, ১০ হাজার কোটি দিয়ে বিশেষ রকেট কিনছে ভারত

    India Defence: শক্তি বাড়ছে ‘পিনাকা’ সিস্টেমের, ১০ হাজার কোটি দিয়ে বিশেষ রকেট কিনছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তি বাড়তে চলেছে ভারতীয় সেনায় বিপুল জনপ্রিয় দেশে তৈরি পিনাকা মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চারের (Pinaka MBRL System)। বিশ্বের নজর টানা এই আর্টিলারি রকেট সিস্টেমকে আরও ক্ষমতাশালী করতে সম্প্রতি ২টি বড় প্রতিরক্ষা চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস। এই এক জোড়া চুক্তির মোট মূল্য প্রায় ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর ফলে, পিনাকা সিস্টেমের ধার ও ভার উভয়ই প্রভূত পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে (India Defence)।

    দু’ধরনের রকেট উৎপাদনের চুক্তি

    প্রথম চুক্তির মূল্য ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। চুক্তিটি করা হয়েছে ৪৫ কিলোমিটার পাল্লা সম্পন্ন হাই-এক্সপ্লোজিভ প্রি-ফ্র্যাগমেন্টেড রকেট অ্যামুনিশন কেনার জন্য। দ্বিতীয় চুক্তির মূল্য ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এই চুক্তির আওতায় ৩৭ কিলোমিটার পাল্লার এরিয়া ডিনাইয়াল অ্যামুনিশন কেনা হবে, যেগুলি ব্যবহার করা হবে ভারতীয় সেনার ১০টি পিনাকা রেজিমেন্টের জন্য। এরিয়া ডিনাইয়াল মুনিশনের বিশেষত্ব হল এটি ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ও মাইন-বিধ্বংসী হিসেবেও অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধক্ষেত্রে এই বিশেষত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে (India Defence)।

    সেনায় আরও গুরুত্ব পিনাকা-কে

    জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা মুনিশনস ইন্ডিয়া লিমিটেডের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই বিশেষ রকেট ও অস্ত্রগুলি উৎপাদন করবে নাগপুরস্থিত বেসরকারি সংস্থা সোলার গ্রুপ। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এই মর্মে দুপক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। বর্তমানে ভারতীয় সেনায় ৪টি পিনাকা রেজিমেন্ট রয়েছে। এর একাংশ বর্তমানে দুর্গম চিন সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে। নতুন আরও ৬টি রেজিমেন্ট গড়ে তোলা হচ্ছে। সেই প্রক্রিয়া চলমান।

    পিনাকা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ভারতের

    কেন্দ্রীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পিনাকা সিস্টেমে (Pinaka MBRL System) ব্যবহৃত রকেটের একাধিক সংস্করণ তৈরি করেছে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। কোনওটার পাল্লা ৪৫ কিলোমিটার তো কোনওটার ৭৫ কিমি পর্যন্ত। অধিক দীর্ঘ পাল্লার (৭৫ কিমি) রকেটগুলি গাইডেড প্রকৃতির। তবে, এখানেই থামতে রাজি নয় ডিআরডিও। ভবিষ্যতে, এই রকেটের পাল্লা আরও বৃদ্ধি করে প্রথমে ১২০ কিমি এবং আরও পরে ৩০০ কিমি পর্যন্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর মতে, একবার এই পাল্লা ভারতের হাতে চলে এলে, পিনাকা হয়ে উঠবে বাহিনীর অন্যতম প্রধান অস্ত্র (India Defence)।

    কারগিলে জাত চিনিয়েছিল পিনাকা

    পুরাণ মতে, দেবাদিদেব মহাদেবের ধনুকের নাম ‘পিনাক’। সেই অনুসারে এই রকেটের নামকরণ করা হয় ‘পিনাকা’। সাবেক সোভিয়েত আমলের ‘গ্রাদ বিএম-২১’ রকেট লঞ্চারের বিকল্প হিসেবে তৈরি করা হয় পিনাকা। প্রথম এটি ব্যবহার করা হয়েছিল কারগিল যুদ্ধে। সেখানেই নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছিল এই দেশীয় রকেট সিস্টেম। কারগিল যুদ্ধের সময় দুর্গম এলাকায় এই পিনাকা ব্যবহার করে পাক ফৌজকে পর্যুদস্ত করেছিল ভারতীয় সেনা (India Defence)। সেই সময় পাক সেনার ওপর মুহুর্মুহু আঘাত হেনেছিল পিনাকা রকেট। কার্যত রকেটের বর্ষণ হয়েছিল, যা পাক হামলার মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিল। এখন পিনাকা মোতায়েন রয়েছে চিন সীমান্ত লাগোয়া দুর্গম অঞ্চলে।

    পিনাকায় মজেছে পশ্চিমি দুনিয়া

    বর্তমানে পিনাকা বিশ্বের অন্যতম সেরা আর্টিলারি সিস্টেম (India Defence)। কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে ১২টি রকেট নিক্ষেপ করা যায় এই সিস্টেমের দৌলতে। এখন এই সিস্টেমের সর্বাধিক পাল্লা ৬০ কিমি। দুর্গম এলাকার লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম পিনাকা। যে কারণে, পাশ্চাত্য দেশেও এটি ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে। আরমেনিয়া ইতিমধ্যে এই সিস্টেম কিনেছে এবং চুক্তি মোতাবেক প্রথম ব্যাচ তাজের হাতে পৌঁছে গিয়েছে। ফ্রান্স সহ বিশ্বের একাধিক দেশ পিনাকা (Pinaka MBRL System) কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

  • Delhi Assembly Election 2025: ৭০ আসনে ভোট শুরু দিল্লিতে, ভোটারদের বিশেষ আর্জি প্রধানমন্ত্রীর

    Delhi Assembly Election 2025: ৭০ আসনে ভোট শুরু দিল্লিতে, ভোটারদের বিশেষ আর্জি প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হল দিল্লির ভোটগ্রহণ পর্ব (Delhi Assembly Election 2025)। বুধবার সকাল ৭টা থেকেই বুথে-বুথে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ৭০টি বিধানসভা আসনে ৬৯৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ আজ। রাজধানীর ক্ষমতার রাশ কার হাতে থাকবে আজ তা ঠিক করছেন দিল্লিবাসী। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই বুধ সকালে দিল্লিবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে সকলকে গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হওয়ার বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেছেন, ‘আগে ভোট দান, তারপর বিশ্রাম।’

    প্রধানমন্ত্রী মোদির বার্তা

    হাইভোল্টেজ প্রচার শেষে নির্ধারিত সময়ে ভোট শুরু হয়েছে রাজধানীতে। সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ৮ শতাংশ। দিল্লির (Delhi Assembly Election 2025) মোট ১৪ হাজার বুথে চলছে ভোটগ্রহণ। মোট ৭০ টি আসনের ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে। ফলাফল জানা যাবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম দিল্লির রাজনীতি। আক্রমণ, বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ সবমিলিয়ে জমে উঠেছে দিল্লির লড়াই। এদিন ভোটদান প্রক্রিয়া শুরুর ঠিক আগে দিল্লির ভোটারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) লেখেন, ‘‘আজ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের সব আসনে ভোটগ্রহণ হবে। আমি দিল্লির ভোটারদের পূর্ণ উদ্যম নিয়ে গণতন্ত্রের এই উৎসবে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি । তাঁরা যেন নিজেদের মূল্যবান ভোট দেন। প্রথমবার ভোটে দিতে যাওয়া যুব প্রজন্মের সকলকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, প্রথমে ভোটদান, তারপর বিশ্রাম।’’

    প্রতিশ্রুতির বন্যা

    ভোট গ্রহণ (Delhi Assembly Election 2025) শুরু হতেই আপ-এর বিদায়ী বিধায়ক ও ওখলার প্রার্থী আমানাতুল্লাহ খানের বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণ বিধি ভাঙার অভিযোগ ওঠে। অন্য দিকে, আপ-এর অন্য এক বিদায়ী বিধায়ক দীনেশ মোহানিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় সঙ্গম বিহার থানায়। এক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ তোলেন। এবারের ভোটে কংগ্রেস, বিজেপি, আপ— সকলেই নিজেদের ইস্তেহারে ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আম আদমি পার্টি ঘোষণা করেছে, তাদের সরকার জিতে হ্যাটট্রিক করলে প্রতি মাসে মহিলাদের ২ হাজার ১০০ টাকা করে দেওয়া হবে। পড়ুয়াদের নিখরচায় বাস যাত্রা এবং মেট্রোর ভাড়ায় ছাড় দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, পুরোহিত ও গ্রন্থীদের মাসে ১৮ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথাও বলেছে আপ। বিজেপির প্রতিশ্রুতি, কোনও চালু সরকারি প্রকল্প বন্ধ হবে না। মহিলাদের মাসে আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। গরিবদের জন্য ৫০০ টাকায় রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার, হোলি ও দিওয়ালিতে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস দেওয়া হবে। কংগ্রেস আবার যুবদের চাকরি ছাড়াও, মহিলা ও বয়স্কদের জন্য নানা ঘোষণা করেছে।

  • PM Modi: কংগ্রেসের অস্ত্রেই কংগ্রেস বধ মোদির, খোঁচা রাহুলকেও

    PM Modi: কংগ্রেসের অস্ত্রেই কংগ্রেস বধ মোদির, খোঁচা রাহুলকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের অস্ত্রেই কংগ্রেস বধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)! নিহত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মন্তব্যকে অস্ত্র করেই দুর্নীতি নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামাজিক উন্নয়নের প্রশ্নে রাহুল গান্ধীর দলকে খোঁচা দিলেন নিহত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর স্লোগানের প্রসঙ্গ তুলে (Budget Session)।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন (PM Modi)

    ১৯৮৫ সালে রাজীব বলেছিলেন, দিল্লির সরকার যদি মানুষের কল্যাণে ১ টাকা বরাদ্দ করে, শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, গরিব মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে মাত্র ১৫ পয়সা। মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনের প্রথমার্ধে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা নিয়ে জবাবি ভাষণে রাজীবের সেই মন্তব্যের উল্লেখ করে কংগ্রেস সাংসদদের বেঞ্চের দিকে চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, “তখন তো দিল্লি থেকে পঞ্চায়েত পর্যন্ত এঁদেরই রাজত্ব ছিল। বাকি পয়সা কোথায় যেত?” প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন নিজেই – “ভুল হাতে যেত।” সেই হাত কংগ্রেসের, সে দিকে ইঙ্গিত করে তাঁর মন্তব্য – “আমি হাতের কথা বলেছি। কার হাত বলিনি।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    ‘গরিবি হটাও’ স্লোগান দিয়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষীর হাতে খুন হওয়া প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। এদিন সেই অস্ত্রও প্রয়োগ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, “পাঁচ দশক আগে থেকে দেশবাসী গরিবি হটাও স্লোগান শুনেছেন। আর এখন ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার কবল থেকে মুক্তি পেয়েছেন।” তিনি বলেন, “আমরা শুধু জমির অধিকারের কথা বলিনি, মানুষকে জমির অধিকার দিয়েছি। এর জন্য- দূরদৃষ্টির প্রয়োজন।” রাহুলের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, “কিন্তু কিছু মানুষের সেটা নেই।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা গরিব বাড়ি গিয়ে ফোটোশেসন করেন, সংসদে গরিবদের উন্নয়নের কথা তাঁদের কাছে পানসে লাগবে।”

    ‘একুশ শতকের ভারত’ গড়ার স্লোগান দিয়েছিলেন রাজীব। এদিন তাকেও ‘অস্ত্র’ করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, “আমাদেরই একজন প্রধানমন্ত্রী কথায় কথায় বিশ শতক, একুশ শতক বলতেন। প্রয়াত আরকে লক্ষ্মণ তা নিয়ে চমৎকার একটি কার্টুন এঁকেছিলেন – ঠেলার ওপর রয়েছে একটি বিমান। বিমানে বসে রয়েছেন এক পাইলট (প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে বিমান চালাতেন রাজীব)। কেন পাইলট, তা আমি বলতে পারব না। কিন্তু সেই ঠেলাটিকে নিয়ে চলেছেন এক শ্রমিক। ঠেলার গায়ে লেখা রয়েছে একুশ শতক! আসলে ওই প্রধানমন্ত্রী বিংশ শতাব্দীর চাহিদাই বুঝে উঠতে পারেননি।” তুষ্টিকরণের রাজনীতির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা সংবিধান বুকে নিয়ে ঘোরেন, তাঁরা মুসলিম মহিলাদের দুর্দশা দেখতে পেতেন না। আমরা তিন তালাক প্রথা বাতিল করে মুসলিম মহিলাদের স্বস্তি দিয়েছে।” মহাত্মা গান্ধীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “যাঁরা পিছিয়ে রয়েছে, তাঁদের দিকে প্রথমে নজর (Budget Session) দিতে হবে।” বিজেপি বিষের রাজনীতি করে না বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

LinkedIn
Share