Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi: “গ্রিন হাইড্রোজেনের ক্ষেত্রে আমরা ভারতকে বৈশ্বিক কেন্দ্র করব,” অঙ্গীকার মোদির

    PM Modi: “গ্রিন হাইড্রোজেনের ক্ষেত্রে আমরা ভারতকে বৈশ্বিক কেন্দ্র করব,” অঙ্গীকার মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন, ব্যবহার ও রফতানির জন্য ভারতকে একটি বৈশ্বিক হাবে পরিণত করতে চাই।” কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বুধবার দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক গ্রিন হাইড্রোজেন (Green Hydrogen) সম্মেলনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি গ্রিন হাইড্রোজেন ক্ষেত্রের নীতি গঠনে পরামর্শ দেওয়ার জন্য বিশ্বের বিজ্ঞানী সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি বিশ্বের বিজ্ঞানী সম্প্রদায়কে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন দিক অন্বেষণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকরা জননীতিতে পরিবর্তনের প্রস্তাব দিতে পারেন, যা গ্রিন হাইড্রোজেন খাতকে সহায়তা করতে পারে।” এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ভারতকে গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন, ব্যবহার ও রফতানির জন্য একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।” তিনি বলেন, “গোটা বিশ্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাই জ্বালানি পরিবর্তন ও সাসটেনেবিলিটির দিকে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।”

    গ্রিন এনার্জি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গ্রিন এনার্জি সম্পর্কিত প্যারিস চুক্তির প্রতিশ্রুতি পূরণের ক্ষেত্রে ভারত জি-২০ দেশগুলোর মধ্যে প্রথম।” তিনি (PM Modi) বলেন, “এই প্রতিশ্রুতিগুলি ২০৩০ সালের লক্ষ্য থেকে ন’বছর আগে পূরণ করা হয়েছে। ভারতে নন-ফাইনান্সিয়াল জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষমতা গত ১০ বছরে প্রায় ৩০০ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে আমাদের সৌরশক্তির ক্ষমতা তিন হাজার শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।” তিনি বলেন, “আমরা এখানেই থেমে নেই। যেসব সমাধান রয়েছে, সেগুলিকে শক্তিশালী করতে আমরা ফোকাস করছি।”

    আরও পড়ুন: “বিশ্বে ব্যবহৃত প্রতিটি ডিভাইসে থাকবে ভারতে তৈরি চিপ”, বললেন মোদি

    গ্রিন হাইড্রোজেনের উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যেসব শিল্পের ক্ষেত্রে বিদ্যুতায়ন করা কঠিন, সেই সব শিল্পকে কার্বনমুক্ত করতে সাহায্য করে এটি। গ্রিন হাইড্রোজনের ফলে উপকৃত হবে রিফাইনারি, সার, ইস্পাত, ভারী পরিবহণ এবং এ ধরনের অনেক ক্ষেত্র।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত ইতিমধ্যেই জাতীয় সবুজ হাইড্রোজেন মিশন চালু করেছে, যা উদ্ভাবন, পরিকাঠামো ও বিনিয়োগকে ত্বরান্বিত করছে। আমরা উন্নত গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ (Green Hydrogen) করছি।” তিনি (PM Modi) বলেন, “শিল্প ও শিক্ষাক্ষেত্রের মধ্যে অংশীদারিত্ব গঠন করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “বিশ্বে ব্যবহৃত প্রতিটি ডিভাইসে থাকবে ভারতে তৈরি চিপ”, বললেন মোদি

    PM Modi: “বিশ্বে ব্যবহৃত প্রতিটি ডিভাইসে থাকবে ভারতে তৈরি চিপ”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্বের প্রতিটি ডিভাইসে থাকবে ভারতে তৈরি চিপ। এটা আমাদের স্বপ্ন।” কথাগুলি বললেন স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নয়াদিল্লির উপকণ্ঠে চলছে সেমিকন ২০২৪ (Semicon 2024) সম্মেলন। এই সম্মেলনেই ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    তিনি বলেন, “করোনা অতিমারি সাপ্লাই চেনের গুরুত্ব দেখিয়েছে। যে কোনও রকম বিপত্তি এড়িয়ে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সাপ্লাই চেনের স্থিতিস্থাপকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই কাজটাই সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে ভারত।” করোনাকালে বিশ্ব সাক্ষী ছিল এই সাপ্লাই আতঙ্কের। চিন থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল (PM Modi) করোনা ভাইরাস। তার জেরে বেঘোরে প্রাণ যায় লাখ লাখ মানুষের। এর প্রভাব পড়ে বিভিন্ন শিল্প এবং সেক্টরে, বিশেষত যারা আমদানি করে। চিপ সেক্টরেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। এই চিপ-ই প্রতিটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের জটিল অংশ গঠন করে।

    ভারতের স্বপ্ন

    এর পরেই তিনি বলেন, “বিশ্বের প্রতিটি ডিভাইসে থাকবে ভারতে তৈরি চিপ। এটা আমাদের স্বপ্ন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতকে একটি সেমিকন্ডাক্টর পাওয়ার হাউস করার জন্য যা যা প্রয়োজন, আমরা তা করব।” ভারতে সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং বাড়ানোর জন্য তাঁর সরকার যেসব পদক্ষেপ করেছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভয় কেটে গিয়েছে’’, ভাঙা হাত নিয়ে আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে মিঠুন

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকের ভারত বিশ্বে আস্থা জাগায়। যখন চিপের জোগান কমে যায়, তখন আপনি ভারতের ওপর বাজি ধরতে পারেন।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে ইতিমধ্যেই দেড় লক্ষ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। অনেক (Semicon 2024) প্রকল্প পাইপলাইনেও রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayushman Bharat Yojana: উপকৃত ৬ কোটি প্রবীণ নাগরিক, আয়ুষ্মান ভারত বিমার আওতায় সব সত্তরোর্ধ্ব

    Ayushman Bharat Yojana: উপকৃত ৬ কোটি প্রবীণ নাগরিক, আয়ুষ্মান ভারত বিমার আওতায় সব সত্তরোর্ধ্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্যবিমা (Ayushman Bharat Yojana) প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হল ৭০ বছরের বেশি বয়স্ক সমস্ত প্রবীণ নাগরিককে। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কেন্দ্রে তৃতীয়বার মোদি সরকার গঠনের পর সেই কথা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে ৬ কোটি প্রবীণ নাগরিক উপকৃত (Health Insurance Scheme) হবেন। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।

    মোদি মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত

    কেন্দ্র জানিয়েছে, আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Bharat Yojana) প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার (AB PM-JAY) অধীনে এবার ৭০ বছর কিংবা তার বেশি বয়সিরা বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমা (Health Insurance Scheme) পাবেন। প্রায় সাড়ে চার কোটি পরিবারের ৬ কোটি প্রবীণ নাগরিক এর আওতায় আসবেন। প্রকল্পের জন্য মোট বরাদ্দ হয়েছে ৩,৪৩৭ কোটি টাকা। এখন জনসংখ্যার দরিদ্রতম ৪০ শতাংশ পরিবার আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার সুবিধে পেয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লি বাদে বাকি সব রাজ্যেই মোদি সরকারের এই প্রকল্পে যোগ দিয়েছে। এদিন কেন্দ্রের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আর্থ-সামাজিক অবস্থা যাই হোক না কেন, দেশের সমস্ত প্রবীণ নাগরিক আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সুবিধা পাবেন। তাঁদের জন্য আলাদা কার্ড দেওয়া হবে।

    কারা কীভাবে এই সুবিধা পাবেন

    যে সব পরিবার ইতিমধ্যেই আয়ুষ্মান ভারতের (Ayushman Bharat Yojana) আওতায় রয়েছে, সেই পরিবারের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বছরে অতিরিক্ত ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা থাকবে। পরিবারে একাধিক সত্তরোর্ধ্ব প্রবীণ মানুষ থাকলে সকলের জন্য মিলিয়ে ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা খরচ মিলবে। যে সব পরিবার আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় নেই, তাদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রবীণ নাগরিকরা এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন। অবসরপ্রাপ্ত রেল, প্রতিরক্ষা বা অন্য সরকারি কর্মীরা তাঁদের জন্য চালু সিজিএইচএসের মতো স্বাস্থ্যবিমা (Health Insurance Scheme) প্রকল্প ছেড়ে এই প্রকল্পের সুবিধে নিতে পারবেন। ইএসআই বা বেসরকারি স্বাস্থ্যবিমার আওতায় থাকা প্রবীণরাও বাড়তি সুবিধে হিসেবে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে চিকিৎসা খরচ নিতে পারেন। কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই এই প্রকল্প আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হবে। বয়স্ক নাগরিকদের এতে আবেদন করার অনুরোধ করছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Swami Vivekananda’s Speech: যখন মোদিকে আত্মানুসন্ধানে সাহায্য করেছিল স্বামী বিবেকানন্দের বাণী

    Swami Vivekananda’s Speech: যখন মোদিকে আত্মানুসন্ধানে সাহায্য করেছিল স্বামী বিবেকানন্দের বাণী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সালটা ১৮৯৩। তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর। আজ থেকে ঠিক ১৩১ বছর আগে শিকাগোতে বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে আলোড়ন তুলেছিল স্বামী বিবেকানন্দের বাণী (Swami Vivekananda’s Speech)। তাঁর কথাগুলি শুধুমাত্র যে ভারতের সমৃদ্ধ আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য সম্পর্কে বিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল তাই নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অগণিত ব্যক্তিকে অনুপ্রাণিত করেছিল। তাঁর শিকাগোর বাণী আকর্ষিত করেছে দেশের হাজার হাজার যুবক-যুবতীকে। যাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন ১৭ বছর বয়সি নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    প্রধানমন্ত্রীর জীবনে প্রভাব

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জীবনের নানা অজানা দিক তুলে ধরে মোদি আর্কাইভ। বুধবার নরেন্দ্র মোদির একটি পুরানো ছবি শেয়ার করে স্বামী বিবেকানন্দের বক্তৃতা প্রধানমন্ত্রীর তরুণ, মুগ্ধ মনের উপর কী প্রভাব ফেলেছিল সে সম্পর্কে জানায় মোদি আর্কাইভ। নরেন্দ্র মোদি এত অল্প বয়সে স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda’s Speech) শিক্ষার দ্বারা এতটাই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন যে তিনি তাঁর বাড়ি ছেড়ে হিমালয়ের উদ্দেশে আত্ম-আবিষ্কারের যাত্রায় চলে যান। প্রধানমন্ত্রীর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ডক্টর বসন্তভাই পারিখের কাছ থেকে স্বামী বিবেকানন্দের কথা জানতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বারবার তাঁর জীবনে স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষার প্রভাব সম্পর্কে বলেছেন। নিত্য দিন তাঁর জীবনে স্বামীজিকে যাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই বছর, লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদি কন্যাকুমারীর স্বামী বিবেকানন্দ স্মৃতিসৌধে পাথরের উপর ধ্যান করে দুই দিন কাটিয়েছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দের ভারত সফরের পর সেখানে ধ্যান করতে বসার কারণে স্মৃতিসৌধটির নামকরণ করা হয়েছিল। এখানে কন্যাকুমারীতেই স্বামী বিবেকানন্দ আধুনিক ভারতের দর্শন পেয়েছিলেন বলে বিশ্বাস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Israel Relation: ভারতে বড় লগ্নি করবে ইজরায়েল, জানালেন নয়া রাষ্ট্রদূত

    India Israel Relation: ভারতে বড় লগ্নি করবে ইজরায়েল, জানালেন নয়া রাষ্ট্রদূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপদের সময় পাশে দাঁড়ানোর প্রতিদান পেতে চলেছে ভারত! ইজরায়েল (India Israel Relation) থেকে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভারতে আসছে বড় বিনিয়োগ। সেমিকন্ডাক্টর খাতে এই বিনিয়োগ হবে বলে জানিয়েছেন ইজরায়েলের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত।

    কী বললেন রাষ্ট্রদূত? (India Israel Relation)

    সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রদূত রিউভেন আজার বলেন, “আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সেমিকন্ডাক্টর সম্পর্কে বড় খবর পাব আশা করছি। আমাদের পরিকল্পনায় কিছু রয়েছে। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের কোম্পানি টাওয়ার সেমিকন্ডাক্টর, যা ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট তৈরিতে বিশেষজ্ঞ, ভারতে কয়েক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে চলেছে।” ইজরায়েলের কোম্পানির তরফে এখনও কিছু ঘোষণা হয়নি। এ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে, ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমি ঘোড়ার সামনে গাড়ি রাখতে চাই না। কিছু বেসরকারি ক্ষেত্রের লোকজন এই বিনিয়োগ করবে। তারাই এ ব্যাপারে ঘোষণা করবে।”

    সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে ভারতের লক্ষ্য

    সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে বৈশ্বিক নেতা হওয়ার লক্ষ্যে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে ভারত। ভারত সেমিকন্ডাক্টর কেন্দ্রে পরিণত হতে চলেছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। এই লক্ষ্য পূরণে ভারত (India Israel Relation) সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জার্মানির মতো দেশের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে অংশীদারিত্ব খুঁজছে। সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলিকে রাজ্যে টানতে নানা পদক্ষেপ করেছে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য। গুজরাট, অসম ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে ইতিমধ্যেই সেমিকন্ডাক্টর কারখানা গড়ে উঠতে শুরু করেছে। বিনিয়োগ টানতে উত্তরপ্রদেশে চলতি মাসে হবে সেমিকন ইন্ডিয়া অনুষ্ঠান।

    আরও পড়ুন: “সাইবার নিরাপত্তা ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তাও অসম্ভব”, বললেন শাহ

    নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জানান, ইজরায়েল পরিকাঠামো প্রকল্পগুলিতে ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজধানী তেল আভিভ এলাকায় একটি নয়া মেট্রো সিস্টেম এবং নয়া বিমানবন্দর তৈরি। তিনি বলেন, “আমাদের দুর্দান্ত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা রয়েছে। আমরা একটি নয়া ক্ষেত্র প্রবর্তন করতে চাই। সেটা হল ভারতীয় পরিকাঠামো কোম্পানিগুলিকে আকৃষ্ট করা।” এর পরেই তিনি বলেন, “পরিকাঠামো খাতে আমরা ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছি। আমাদের ইজরায়েলে ভারতীয় কোম্পানি ও ভারতীয় (India Israel Relation) কর্মশক্তির প্রয়োজন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রতি বছর ৬০ হাজারেরও বেশি শিশুর জীবন বাঁচিয়েছে মোদির স্বচ্ছ ভারত মিশন, বলছে গবেষণা

    PM Modi: প্রতি বছর ৬০ হাজারেরও বেশি শিশুর জীবন বাঁচিয়েছে মোদির স্বচ্ছ ভারত মিশন, বলছে গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই ২০১৪ সালে ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সূচনা করেন স্বচ্ছ ভারত মিশন। সম্প্রতি, একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, নরেন্দ্র মোদির শুরু করা স্বচ্ছ ভারত মিশন বছরে ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার শিশুর জীবন বাঁচাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সম্প্রতি নেচার পত্রিকায় এই সংক্রান্ত সমীক্ষাটি প্রকাশিত হয়েছে। সমীক্ষাটির শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘স্বচ্ছ ভারত মিশনের (Swachh Bharat Mission) অধীনে টয়লেট নির্মাণ এবং ভারতে শিশু মৃত্যু’। এই সমীক্ষাটি করেছেন সুমন চক্রবর্তী, সোয়ার্জ গুনে, টিএমএ ব্রুকনার, জুলি স্ট্রোমিগার এবং পার্বতী সিংরা। এখানেই দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুরু করা এই কর্মসূচি অত্যন্ত সফল এবং তা শিশুদের জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।

    ব্যতিক্রমী কর্মসূচি বলছে গবেষণা

    নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত ওই সমীক্ষায় স্বচ্ছ ভারতকে একটি ব্যতিক্রমী কর্মসূচি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ওই সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘এমন মিশনের মাধ্যমে শুধুমাত্র যে মোদি (PM Modi) সরকার টয়লেট নির্মাণ করেছে তাই নয়, এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শিক্ষাদানও করা হয়েছে এবং খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করলে তা নানা রোগ জীবাণুকে বহন করে- একথাও সচেতনতা মূলক কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।’’ সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, ‘‘স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণের জীবনধারাকে পরিবর্তন করতেও বলা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য সম্মত জীবন পেতে নীরোগভাবে বাঁচতে কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে তাও বলা হয়েছে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে।’’ সাম্প্রতিক যে সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে ভারতবর্ষের জেলাগুলিতে স্বচ্ছ ভারত মিশনের অধীনে ৩০ শতাংশ পরিবার টয়লেট পেয়েছে এবং এর মাধ্যমে প্রতি হাজার জন জীবিত শিশুতে মৃত্যুর হার ৫.৩ শতাংশ কমেছে এবং কম বয়সিদের মৃত্যুর হার কমেছে ৬.৮ শতাংশ। প্রসঙ্গত, খোলা জায়গায় মল-মূত্র ত্যাগ করার ফলে নানা রকমের রোগ ছড়াতে পারে। ডায়রিয়ার মত সংক্রমণও দেখা যায় এরফলে, যা মারাত্মক ক্ষতি করে শিশু এবং বাচ্চাদের মধ্যে, এমনটাই উঠে এসেছে গবেষণায়।

    ভারত জুড়ে ১০ কোটিরও বেশি পরিবারে শৌচাগার নির্মাণ করতে পেরেছে মোদি সরকার (PM Modi)

    উল্লেখযোগ্যভাবে, এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচি এদেশে শিশু এবং পাঁচ বছর বয়সের কম বাচ্চাদের মৃত্যুর হার অনেকটাই কমিয়ে এনেছে। কারণ স্বচ্ছ ভারত মিশনের (Swachh Bharat Mission) আওতায় দেশজুড়ে গ্রামগুলিতে টয়লেট নির্মাণ শুরু করে মোদি সরকার। ২০১৪ সালের ক্ষমতা আসার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারত জুড়ে ১০ কোটিরও বেশি পরিবারে শৌচাগার নির্মাণ করতে পেরেছে বলে জানা গিয়েছে এই সমীক্ষায়। এভাবেই খোলা মাঠে মলমূত্র ত্যাগ করার যে প্রবণতা তা বহু অংশে কমে গিয়েছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত ভারতের অঙ্গরাজ্যগুলি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত ৬৪০টি জেলায় স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচি কার্যকর হয়েছে।

    সফল স্বচ্ছ ভারত মিশন

    প্রসঙ্গত, প্রতিটি দেশই স্যানিটেশন ব্যবস্থাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়, কারণ এর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে জনস্বাস্থ্যের। কিন্তু ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্যের নানা দিক, স্যানিটেশন নিয়ে অবহেলা করতে দেখা গিয়েছে পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকে। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এসে এই বিষয়ে উদ্যোগ নেন। ২০১৪ সালে ২ অক্টোবর নতুন দিল্লির রাজঘাটে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেছিলেন, ‘‘২০১৯ সালে যখন ভারত মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে, তখন স্বচ্ছ ভারতই হবে তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য।’’ তারপরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। তৃতীয়বার মোদি সরকার তৈরি হয়েছে ২০২৪ সালে। ১০ বছর আগে তাঁর শুরু করা স্বচ্ছ ভারত মিশন যে সম্পূর্ণ সফল তাতেই সিলমোহর দিল নেচার প্রত্রিকায় প্রকাশিত এই সাম্প্রতিক গবেষণা।

    স্বচ্ছ ভারত মিশনের সূচনা

    ২০১৪ সালের পর থেকে পরিচ্ছন্নতার গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে স্বচ্ছ ভারত অভিযান। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং দিল্লির মন্দির মার্গ থানা এলাকায় এই কর্মসূচির সূচনা করেন। আবর্জনা পরিস্কার করতে হাতে ঝাড়ু তুলে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছ ভারত অভিযান নিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন – ‘‘নোংরা করবেন না, করতে দেবেন না।” তিনি মন্ত্রের মতো উচ্চারণ করেন – “না গন্দগি করেঙ্গে, না করনে দেঙ্গে।’’ বলিউডের খ্যাতনামা চিত্রতারকা থেকে শুরু করে টেলিভিশনের অভিনেতারা এগিয়ে এসে সেসময় সামিল হন প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে। অমিতাভ বচ্চন, আমির খান, কৈলাশ খের, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতো বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা স্বচ্ছ ভারতের প্রচার শুরু করেন। সচিন তেন্ডুলকর, সাইনা নেহওয়াল এবং মেরি কমের মতো বহু বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদও সামিল হন এই মিশনের প্রচারে। ১০ বছরে এই মিশন যে সফল তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ভারতে বড় লগ্নি, মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে ইঙ্গিত সিঙ্গাপুরের শিল্পপতিদের

    PM Modi: ভারতে বড় লগ্নি, মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে ইঙ্গিত সিঙ্গাপুরের শিল্পপতিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-সিঙ্গাপুর বাণিজ্য নিয়ে উদ্যোগী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দেশের মধ্যে মৈত্রী আরও জোরদার করা নিয়েও আশাবাদী তিনি। দু’দিনের সফরে গিয়ে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী, সেদেশের শিল্পপতি এবং তাবড় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন মোদি। মোদির সঙ্গে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং-এর বৈঠকে ছিলেন মন্ত্রী লি সিয়েন লুং, গোহ চোক টং এবং দেশের শিল্প-বাণিজ্য কর্তারাও। ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও।

    ভারতে বিপুল বিনিয়োগের আশ্বাস

    সিঙ্গাপুরের একাধিক শিল্পপতি এবং সংস্থার সিইও-দের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী মোদির।  যেখানে অর্থনৈতিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। দীর্ঘ এই বৈঠক শিল্পপতিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতে বেশ কিছু সংস্কার হচ্ছে, যা বিনিয়োগে উৎসাহ দেবে। জানা গিয়েছে, বৈঠকে আগামীদিনে ভারতে বিপুল বিনিয়োগের আশ্বাস দেন সিঙ্গাপুরের শিল্পপতিরা। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ব্ল্যাকস্টোন সিঙ্গাপুর, টেমাসেক হোল্ডিংস, সেম্বকর্প ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ক্যাপিটাল্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, এসটি টেলিমিডিয়া গ্লোবাল ডেটা সেন্টার এবং সিঙ্গাপুর এয়ারওয়েজের সিইও।

    বৈঠক নিয়ে উচ্ছ্বসিত মোদি

    বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘ভারত এবং সিঙ্গাপুর দুই দেশই অদূর ভবিষ্যতে আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাবে। সিঙ্গাপুর প্রতিটি উন্নয়নশীল দেশের কাছে অনুপ্রেরণা। আমরা ভারতে অনেক ‘সিঙ্গাপুর’ তৈরি করতে চাই।’’ বৃহস্পতিবার সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে অংশীদারিত্বের পাশাপাশি আলোচনা হয়েছে ডিজিটাল অর্থনীতি নিয়েও। সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপ্রধান এবং শিল্প-বাণিজ্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সেমিকন্ডাক্টর, ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক চারটি মউ তথা সমঝোতা (এমওইউ) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেগুলি হল— ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা, ভারত, সিঙ্গাপুর সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম পার্টনারশিপ, স্বাস্থ্য ও ওষুধের ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং শিক্ষাগত সহযোগিতা এবং দক্ষতা উন্নয়ন।

    প্রসঙ্গত, গত ১০ বছরে দু’দেশের বিনিয়োগ প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। চালু হয়েছে ডিজিটাল মাধ্যমে দ্রুত অর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা। সেমিকন্ডাক্টর সেক্টর দুই দেশকে এক সুতোয় বাঁধতে পারে বলে মনে করেন মোদি।

    লি সিয়েন লুংয়ের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে মোদি

    সিঙ্গাপুরে প্রবীণ মন্ত্রী লি সিয়েন লুংয়ের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত-সিঙ্গাপুর কূটনৈতিক অংশীদারিত্বের উন্নয়নে তাঁর অবদানের প্রশংসাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ লি সিয়েন লুং, মোদির সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছিলেন৷ সেই ভোজে অংশ নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “আমার বন্ধু এবং সিঙ্গাপুরের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং-এর সঙ্গে দেখা করা সবসময়ই আনন্দের। তিনি সবসময় ভারত-সিঙ্গাপুরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের একজন শক্তিশালী অংশ হিসাবে কাজ করেছেন ৷ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর অন্তর্দৃষ্টিও খুব সমৃদ্ধ। আমাদের দেশগুলি কীভাবে সবুজ শক্তি, ফিনটেক, ইত্যাদিতে একসঙ্গে কাজ করতে পারে সে সম্পর্কে আমরা একটি সুন্দর আলোচনা করেছি ৷”

    মোদির সফরের লক্ষ্য

    মোদির দু’দিনের সফরের সঙ্গে ভারত ও সিঙ্গাপুর তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কূটনৈতিক অংশীদারিত্বে বেশ কিছুটা উন্নীত করেছে বলেই মনে করছে বিদেশ মন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের লক্ষ্য দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্ব, কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থেকে বিনিয়োগ আকর্ষণ করা। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী ও লরেন্স উয়ং একটি বৈঠক করেছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের পার্টনারশিপের বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। ডিজিটাইজেশন, স্বাস্থ্য, ওষুধ সহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে সেই বৈঠকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: টোকিওকে টেক্কা প্যারিসের! প্যারালিম্পিক্সে রেকর্ড পদক ভারতের, আবেগে ভাসলেন মোদি

    PM Modi: টোকিওকে টেক্কা প্যারিসের! প্যারালিম্পিক্সে রেকর্ড পদক ভারতের, আবেগে ভাসলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যারিসে প্যারালিম্পিক্সের (Paralympics 2024) আসরে টোকিওকে টেক্কা দিল ভারতীয় অ্যাথলিটরা। ইতিমধ্যেই প্যারিসে ইতিহাস রচনা করে ফেলেছে ভারত। এবার সবচেয়ে বেশি পদক জিতেছে তারা।  দু’দিনের সিঙ্গাপুর সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বুধবার সিঙ্গাপুরে পৌঁছানোর পর তাঁকে জমকালো অভ্যর্থনা জানানো হয়। এর আগে ব্রুনাই সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই প্যারালিম্পিক্সের মঞ্চে ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের সাফল্যকে কুর্নিশ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    আবেগাপ্লুত মোদি

    ভারতের এই পারফরম্যান্সে দেশবাসীর মতোই উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)। তিনি একাধিক ট্যুইট করে নিজের উচ্ছ্বাস জাহির করেছেন। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘ভারতের খেলাধূলার ইতিহাসে প্যারিস প্যারালিম্পিক্স (Paralympics 2024) বরাবরের জন্য আলাদা একটি জায়গা করে নিল। এই সাফল্য সব ভারতীয়র মনে সারা জীবনের মতো গেঁথে থাকবে। পরবর্তী প্রজন্মের অ্যাথলিটদের এই সাফল্য উদ্বুদ্ধ করবে।’’ প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, ‘‘যে রেকর্ড সংখ্যক ভারত পদক জিতেছে, তাতে আমাদের মন খুশিতে ভরে গিয়েছে। আমি সেই সঙ্গে কোচেদের, সাপোর্ট স্টাফেদের এবং প্লেয়ারদের পাশে সব সময়ে থাকার জন্য তাঁদের পরিবারকেও বাহবা জানাব।’’

    প্যারিসে সাফল্য

    বুধবারের শেষে ভারতের ঝুলিতে যোগ হয়েছে ২৪টি পদক। এফ ৫১ ক্লাব থ্রো ইভেন্টে সোনা জিতেছিলেন ধরমবীর। একই ইভেন্টে রুপো পেয়েছেন ভারতের প্রণব সুরমা। এই দুজনের পদক জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের পদক সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ২৪। যার মধ্যে পাঁচটি সোনা রয়েছে। আর্চারি প্রথমবার সোনা জমিতেছেন হরবিন্দর সিং। টোকিওর ১৯ পদক ছাপিয়ে এটিই ভারতের সেরা প্যারালিম্পিক্স (Paralympics 2024)। বুধবার ইতিহাস গড়লেন মারিয়াপ্পান থাঙ্গাভেলু। ২০১৬ সালে রিও প্যারালিম্পিক্সে সোনা জিতেছিলেন তিনি। টোকিওয় এসেছিল রুপো। এবার প্যারিসে ব্রোঞ্জ জিতে প্রথম ভারতীয় প্যারালিম্পিয়ান হিসাবে নাগাড়ে তিন প্যারালিম্পিক্সে তিন পদক জিতলেন মারিয়াপ্পান। হাই জাম্পের টি৬৩ বিভাগে ১.৮৫ মিটার লাফিয়ে জিতে নিলেন ব্রোঞ্জ। তবে সেই একই বিভাগে মারিয়াপ্পনকে ছাপিয়ে গেলেন স্বদেশীয় শরদ কুমার। অলিম্পিক্স হোক বা প্যারিলিম্পিক্স, জ্যাভলিন থ্রোয়ে ভারতীয়দের দৌরাত্ম্য অব্যাহত। প্যারিস অলিম্পিক্সে নাগাড়ে দ্বিতীয়বার অলিম্পিক্স পদক জিতেছেন নীরজ চোপড়া। প্যারালিম্পিক্সে ইতিমধ্যেই জ্যাভিলন ছুড়ে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতে নিয়েছেন সুমিত আন্টিল। এই অ্যাথলিটদে লড়াকু মনোভাবকে সম্মান জানিয়েছন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Modi Government: লগ্নি ৩৩০০ কোটি টাকা, দেশের পঞ্চম সেমিকন্ডাক্টর ইউনিটকে অনুমোদন কেন্দ্রের

    Modi Government: লগ্নি ৩৩০০ কোটি টাকা, দেশের পঞ্চম সেমিকন্ডাক্টর ইউনিটকে অনুমোদন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরে গুজরাটের সানন্দ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi Government) এই রাজ্যে নয়া সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট (Semiconductor Factory) খুলছে কেন্স কোম্পানি। পুরো নাম কেন্স সেমিকন প্রাইভেট লিমিটেড। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আয়োজিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। এই ইউনিটটি হবে ভারতের পঞ্চম সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট। এটি তৈরি হলে মজবুত হবে ভারতের সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম।

    বিরাট বিনিয়োগ

    জানা গিয়েছে, কোম্পানিটি সানন্দের এই ইউনিটে বিনিয়োগ করবে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এই ইউনিটে প্রতিদিন ৬০ লাখ চিপ উৎপাদন হবে। বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হবে এই চিপগুলি। এর মধ্যে রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিস্টেম, অটোমোটিভ টেকনোলজি, ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল, কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, টেলিকম ইক্যুপমেন্ট এবং মোবাইল ফোন।

    সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট

    ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর হয় প্রোগ্রাম ফর ডেভেলপমেন্ট অফ সেমিকন্ডাক্টর্স অ্যান্ড ডিসপ্লে ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম ইন ইন্ডিয়া। এই প্রোগ্রামের টোটাল বাজেট ছিল ৭৬ হাজার কোটি টাকা। সানন্দে দেশের প্রথম সেমিকন্ডাক্টর ইউনিটটি খোলে ২০২৩ সালের জুন মাসে। তার পরের তিনটি ইউনিট অনুমোদন পায় ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে। টাটা ইলেকট্রনিক্স ঢোলেরায় সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব সেটিং তৈরি করেছে। এই চারটি সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট দ্রুত তৈরি হচ্ছে। যার জেরে এই এলাকায় দ্রুত সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম গড়ে উঠছে। এই ইউনিটগুলি সব মিলিয়ে টানবে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ। সব ইউনিটগুলি মিলিয়ে দৈনিক উৎপাদন (Modi Government) হবে ৭ কোটি চিপ।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে মোদি-বাইডেনের, স্বীকার আমেরিকার

    কৃষিক্ষেত্রে ১৩ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকার প্যাকেজ

    এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে কৃষিক্ষেত্রে ১৩ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকার প্যাকেজও অনুমোদিত হয়েছে। দেশে যাতে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় থাকে, তাই এই প্যাকেজ অনুমোদন। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানান, সব মিলিয়ে সাতটি প্রকল্পকে এদিন সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “কৃষকদের জীবনের মানোনয়ন ও তাঁদের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। প্রথমটি হল, ডিজিট্যাল কৃষি মিশন। এটি কৃষিক্ষেত্রে ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “মোট ২০ হাজার ৮১৭ কোটি টাকার (Semiconductor Factory) বিনিয়োগে ডিজিটাল কৃষি মিশন স্থাপন করা হবে (Modi Government)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে মোদি-বাইডেনের, স্বীকার আমেরিকার

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে মোদি-বাইডেনের, স্বীকার আমেরিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের মানুষের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। নয়াদিল্লির বক্তব্যকে মান্যতা দিয়ে এ কথা জানাল আমেরিকা। বুধবার আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত অন্যতম উপদেষ্টা জন কিরবি সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis) নিয়েও কথা বলেছিলেন বাইডেন।

    কী বললেন কিরবি (Bangladesh Crisis)

    আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত অন্যতম উপদেষ্টা বলেন, “প্রেসিডেন্ট (বাইডেন) বাংলাদেশের মানুষের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে নিজের ধারাবাহিক উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। সে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়েও নিজের মনোভাব জানিয়েছেন।” ২৬ অগাস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রেও জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে।

    কী লিখেছিলেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, “বাইডেনের সঙ্গে আজ ফোনে কথা হয়েছে। ইউক্রেন পরিস্থিতি-সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আমাদের বিশদে মত বিনিময় হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছি। দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছি। জোর দিয়েছি, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর।”

    আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় দুই জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর, ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’, বললেন শাহ

    হোয়াইট হাউসের তরফেও জারি করা হয়েছিল বিবৃতি (Bangladesh Crisis)। তাতে বলা হয়েছিল, “প্রেসিডেন্ট জোসেফ আর বাইডেন আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক পোল্যান্ড এবং ইউক্রেন সফরের পাশাপাশি আলোচনায় এসেছে সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের প্রসঙ্গও।” এই বিবৃতিতে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ ছিল না। তা নিয়ে চড়ে জল্পনার পারদ। সেই জল্পনায়ই জল ঢেলে দিল কিরবির বিবৃতি।

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। অশান্তির সুযোগে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। হিন্দু পদাধিকারীদের জোর করে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়। হিন্দু নারীদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও ওঠে। ধর্ষণের অভিযোগেও তপ্ত হয় বাংলাদেশ। ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর পরিস্থিতি চরমে ওঠে। এই ঘটনায় মোদির পাশাপাশি (Bangladesh Crisis) উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাইডেনও (Joe Biden)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share