Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi in Foreign Tour: রামমন্দিরের রেপ্লিকা, মধুবনী শিল্পকর্ম! মোদির উপহারে বরাবরই ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র ঝলক

    PM Modi in Foreign Tour: রামমন্দিরের রেপ্লিকা, মধুবনী শিল্পকর্ম! মোদির উপহারে বরাবরই ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র ঝলক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চদেশীয় সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Foreign Tour)। ঘানা, ত্রিনিদাদ-টোবাগো, আর্জেন্টিনা ঘুরে পৌছে গিয়েছেন ব্রাজিলে। যোগ দিয়েছেন ব্রিকস সম্মেলনে। দেখা হল। কথা হল। ব্রিকস বৈঠকে একসঙ্গে কথাবার্তা বললেন রাষ্ট্রনেতারা। কখনও বা নরেন্দ্র মোদি আলাদা ভাবে মুখোমুখি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে। গুরুগম্ভীর কথাবার্তা যেমন ছিল, তেমনই ছিল সৌজন্যের প্রীতি বিনিময়, কিছু ব্যক্তিগত আদানপ্রদানও। প্রীতির সঙ্গে উপহারও ছিল। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী খালি হাতে যাননি মোদি। ভারতীয় রীতি মেনে বিভিন্ন দেশের নেতার হাতে তুলে দিয়েছেন বিশেষ উপহার। প্রতিটি উপহারই ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র ঝলক তুলে ধরেছে বিশ্বের দরবারে।

    ত্রিনিদাদা ও টোবাগোয় মোদির উপহার

    নয়াদিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিনিদাদা ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসরকে মোট দু’টি উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Foreign Tour)। প্রথমটি হল অযোধ্যার সরযূ নদীর জল। এই নদীর উল্লেখ রয়েছে পুরাণেও। সেই পবিত্র নদীর জল একটি কলসি ভরে তা ওই দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন মোদি। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, ত্রিনিদাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছে বিহার-যোগ। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাঁর পরিবার একেবারে বিহারের বক্সার এলাকার মানুষ ছিলেন। এক কথায় ‘ভারত কি বেটি’ তিনি। কলস হিন্দু ধর্মে পবিত্রতা, কল্যাণ এবং আধ্যাত্মিক অনুগ্রহের প্রতীক। এই কলসি ছাড়াও শুদ্ধতা, ধর্ম, ও সাংস্কৃতিক গর্বের প্রতীক হিসেবে তাঁর হাতে রামমন্দিরের একটি ছোট প্রতিরূপও তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    আর্জেনটিনায় মোদির উপহার

    এই ত্রিনিদাদ সফর সেরে, মোদি যান মারাদোনার দেশ আর্জেন্টিনা। সেদেশের প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলেইয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi in Foreign Tour)। বৈঠক শেষে সৌজন্য ও বন্ধুত্বের খাতিরে তাঁকে একটি উপহার দেন মোদি। আর্জেটিনার প্রেসিডেন্টকে রাজস্থানে তৈরি হওয়া সিংহের মূর্তি দিয়েছেন তিনি। একখণ্ড ফুকসাইট পাথরের উপর হাতে খোদাই করা রুপোর সিংহ, সাহস ও নেতৃত্বের প্রতীক। মোদির উপহারের তালিকা থেকে বাদ পড়েন না উপ-রাষ্ট্রপতিও। আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টোরিয়া ভিয়াররুয়েলকে এক টুকরো বিহারের ছোঁয়া দিয়ে আসেন তিনি। তাঁর হাতে তুলে দেন মধুবনী শিল্প দ্বারা তৈরি সূর্যের ছবি। সূর্যকে জীবনের শক্তি ও ইতিবাচকতার প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়। এটি ঘিরে থাকা ফুলেল মোটিফ মিথিলার মধুবনী শিল্পের এক অনন্য নিদর্শন।

    ঘানায় মোদির উপহার

    পঞ্চ দেশীয় সফরে সবার প্রথম ঘানায় গিয়েছিলেন মোদি (PM Modi in Foreign Tour)। সেখানে ঘানার প্রেসিডেন্ট জন মাহামার জন্য কর্নাটকে তৈরি বিদরি শিল্পের একটি ফুলদানি নিয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দস্তা-তামা দিয়ে এই ফুলদানিগুলি তৈরি হয় কর্নাটকের প্রান্তিক এলাকায়। যার মূল উপাদান বিদরি শিল্প। ভারতের এক টুকরো শিল্পের অংশকেই আপাতত ঘানার রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সূচনা ঘটান তিনি। শুধু রাষ্ট্রপতিই নয়। তাঁর স্ত্রীর জন্য একটি রুপোর কাজ করা হাতব্যাগ নিয়ে গিয়েছিলেন মোদি। যা ওড়িশার কটকের তারাকাশি হস্তশিল্পের প্রতীক। গত ৫০০ বছর ধরে রুপো দিয়ে নানা রকম সামগ্রী তৈরি হয় কটকের একটি গ্রামে। মোদির দেওয়া উপহারে রয়ে গেল সেই চিহ্নটাও। এছাড়াও, ঘানার উপরাষ্ট্রপতির জন্য কাশ্মীর থেকে বিশেষ উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরি উল দিয়ে তৈরি বিখ্যাত পাশমিনা শাল দক্ষিণ আফ্রিকার ওই দেশের উপরাষ্ট্রপতিকে উপহার হিসাবে দিয়ে এসেছেন মোদি। ঘানার সংসদের অধ্যক্ষকে বাংলায় তৈরি হওয়া শ্বেতপাথরের হাতি উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদি-লুলা দ্বিপাক্ষিক আলোচনা

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Foreign Tour) সোমবার রাতে রিও ডি জেনেইরোতে ১৭তম ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর ব্রাসিলিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ১৯৬৮ সালের পর এটি প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসিলিয়া সফর। এই রাষ্ট্রীয় সফরে মোদি ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন, যেখানে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, শক্তি, মহাকাশ, প্রযুক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্য এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার মতো পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলোতে ভারত-ব্রাজিল কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রসারের উপর জোর দেওয়া হবে। ভারত ও ব্রাজিলের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব ২০০৬ সাল থেকে ক্রমশ শক্তিশালী হয়েছে, এবং এই সফর এই সম্পর্ককে আরও গভীর করবে। মোদির ব্রাজিল সফর ভারতের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ভারত-ব্রাজিল বাণিজ্য ২০২৩-২৪ সালে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে, এবং এই সফরে নতুন বাণিজ্য চুক্তি এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সফর শেষে মোদি ৯ জুলাই নামিবিয়া যাবেন।

  • India: ১৮তম ব্রিকস সম্মেলন হবে ভারতে, রাষ্ট্রসংঘে ভারতের অন্তর্ভুক্তিতে জোরালো সওয়াল

    India: ১৮তম ব্রিকস সম্মেলন হবে ভারতে, রাষ্ট্রসংঘে ভারতের অন্তর্ভুক্তিতে জোরালো সওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশতম ব্রিকস সম্মেলন হবে ভারতে (India)। ব্রাজিলে সপ্তদশতম ব্রিকস সম্মেলনেই (BRICS Summit) এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। রিও ডি জেনেইরোয় রবিবার ব্রিকস সম্মেলনের শেষে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই খবর জানানো হয়েছে। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মজবুত শাসনের জন্য গ্লোবাল সাউথ সহযোগিতা জোরদার করা শীর্ষক এই বিবৃততে ২০২৮ সালে ৩৩তম রাষ্ট্রসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন আয়োজনের জন্য ভারতের আয়োজনের উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। ভারতের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ব্রিকস নেতারা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের পক্ষে ফের সওয়াল করেন। যৌথবিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালের বেইজিং এবং ২০২৩ সালের জোহানেসবার্গ-২ সম্মেলনের ঘোষণাপত্র স্মরণ করে চিন ও রাশিয়া, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে, রাষ্ট্রসংঘ-সহ নিরাপত্তা পরিষদে বৃহত্তর ভূমিকা রাখার জন্য ব্রাজিল ও ভারতের আকাঙ্ক্ষার প্রতি তাঁদের সমর্থন জোরালো করেছে।”

    ভারতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি (India)

    ভারতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নেতৃত্বকেও জোরালোভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ব্রিকস নেতারা ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ব্রিকস স্টার্টআপ ফোরামের সূচনা এবং একটি ব্রিকস স্টার্টআপ নলেজ হাব প্রতিষ্ঠার প্রশংসা করেন। এই উদ্যোগগুলির লক্ষ্য হল সদস্য দেশগুলির মধ্যে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে সহযোগিতা আরও গভীর করা (India)। বিবৃতিতে ডিজিটাল রূপান্তর বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি অধিবেশনের আয়োজনের জন্য ভারতের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সাইড ইভেন্ট হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়। শুধু তাই নয় ব্রিকসজুড়ে এই ধরনের উদ্যোগ আরও উৎসাহিত করার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    পরিবেশ, সিওপি ৩০ ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য বিষয়ে এক অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “ভারতের ব্রিকস সভাপতিত্বে আমরা ব্রিকসকে একটি নতুন রূপ দিতে কাজ করব।” তিনি বলেন, “ব্রিকসের অর্থ হবে বিল্ডিং রেসিলিয়েন্স অ্যান্ড ইননোভেশন ফর কো-অপারেশন অ্যান্ড সাসটেনেবিলিটি। যেমন করে আমরা জি২০-এর সভাপতিত্বের সময় গ্লোবাল সাউথের বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলাম, তেমনি ব্রিকসের সভাপতিত্বেও আমরা এই ফোরামকে এগিয়ে নিয়ে যাব।” পরিবেশ (BRICS Summit) সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ব্রিকস ভারত সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেছে, বিশেষ করে বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি সংরক্ষণের লক্ষ্যে গঠিত ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাটস অ্যালায়েন্সের প্রতিষ্ঠাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ব্রিকস নেতারা বাঘ-সহ বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং যৌথ প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছেন (India)।

  • PM Modi: ব্রাজিলে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী, পরিবেশিত নৃত্যের থিম ‘অপারেশন সিঁদুর’

    PM Modi: ব্রাজিলে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী, পরিবেশিত নৃত্যের থিম ‘অপারেশন সিঁদুর’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে শেষমেশ ব্রাজিলে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এর আগে তিনি সফর করেছেন তিন দেশ। ব্রাজিল (Brazil) হল চতুর্থ দেশ। ভারতে ফেরার পথে তিনি আসবেন নাবিমিয়া হয়ে। ব্রাজিলে পৌঁছে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ব্রাজিলের ভারতীয় সম্প্রদায়ের সদস্যরা রিও ডি জেনেইরোয় খুবই উজ্জ্বল ও উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। তাঁরা কীভাবে এখনও ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এবং ভারতের উন্নয়ন নিয়ে এতটাই আগ্রহী — তা সত্যিই বিস্ময়কর!”

    নৃত্যের থিম নেওয়া অপারেশন সিঁদুর থেকে (PM Modi)

    ব্রাজিলে পৌঁছানোর পর ভারতীয় সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এক প্রাণবন্ত অভ্যর্থনা পান প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল একটি সাংস্কৃতিক নৃত্য পরিবেশনা, যার থিম অপারেশন সিঁদুর থেকে নেওয়া। এদিন রিও ডি জেনেইরোর হলঘরটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় নৃত্য ও লোকসঙ্গীতের ছোঁয়ায়। প্রধানমন্ত্রী নিজেও প্রশংসা ও করতালির মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানান। পরে তিনি নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে ছবিও তোলেন এবং তাঁদের উৎসাহিত করেন। এই নৃত্যশিল্পীদের মধ্যে ছিলেন রেখাও। তিনি বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্য একটি আধা-ধ্রুপদী নৃত্যের পরিকল্পনা করেছিলাম। এটি অপারেশন সিঁদুরকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছিল এবং আমাদের সাহসী সৈন্যদের প্রতি আন্তরিকভাবে উৎসর্গ করা হয়েছিল।”

    কী বলছেন স্থানীয়রা?

    আর একজন অংশগ্রহণকারী স্নেহা বলেন, “আমি আমাদের পরিবেশনায় অপারেশন সিঁদুরের একটি চিত্রকর্ম অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম। মহিলা শিল্পী হিসেবে আমরা এটি প্রধানমন্ত্রী মোদীর পাশাপাশি শক্তি এবং অনুপ্রেরণার প্রতিনিধিত্বকারী ব্যোমিকা সিং এবং সোফিয়া কুরেশিকে উৎসর্গ (PM Modi) করেছি।” উত্তেজনা কেবল শিল্পীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, ব্রাজিলের বাসিন্দারাও প্রধানমন্ত্রীর আগমনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফর দেখে আমি রোমাঞ্চিত। এটা ব্রাজিলের জন্য সত্যিই সম্মানের।” আর একজন বলেন, “এটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো মনে হচ্ছে। আমরা খুব ভাগ্যবান যে তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছি। আমরা কতটা গর্বিত তা প্রকাশ করার কোন ভাষা নেই।”

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী রিও ডি জেনিরোয় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। এই সম্মেলন হবে ৬-৭ জুলাই। এই সফরে তিনি ব্রাজিলের (Brazil) রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভারের সঙ্গে বৈঠক করবেন। শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তিনি কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকও করতে পারেন বলে খবর (PM Modi)।

  • PM Modi: ফের বঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী, ১৮ জুলাই জনসভা দুর্গাপুরে

    PM Modi: ফের বঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী, ১৮ জুলাই জনসভা দুর্গাপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই ফের বাংলায় আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ১৮ জুলাই তিনি সভা করতে পারেন দক্ষিণবঙ্গের দুর্গাপুরে। ২১ জুলাই তৃণমূলের সমাবেশ হবে ধর্মতলায় (Samik Bhattacharya)। তার ঠিক তিন দিন আগেই প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে এ রাজ্যে সভা করিয়ে তৃণমূলকে মাত দিতে চাইছে মোদি-শাহের দল। বাংলার নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে পাশে নিয়েই ওই সভা করতে পারেন মোদি। বিহারে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার আগেই দুর্গাপুরে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। বিহার যাওয়ার পথে দুর্গাপুর ছুঁয়ে যাওয়া নিয়ে দিল্লি থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে। তখনই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বাংলায় একটি সভা করতে চান প্রধানমন্ত্রী। সভা সেরে তিনি চলে যাবেন বিহারে। তার আগেই তিনি সভা করবেন দুর্গাপুরে।

    জনসভা হবে দুর্গাপুরে (PM Modi)

    দিল্লির কথা শুনে রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হবে ১৮ জুলাই, দুর্গাপুরে। এজন্য দু’টি মাঠ পছন্দ হয়েছে পদ্ম নেতৃত্বের। এর মধ্যেই চূড়ান্ত করা হবে একটি (PM Modi)। দমদম বিমানবন্দর থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত মেট্রো রেলের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে। এটি উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু নানা কারণে বার বার পিছিয়ে গিয়েছে সেটি। এই সমাবেশ থেকেই যাতে প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন, সেজন্য তৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।

    পঞ্চবাণে বিদ্ধ করেছিলেন তৃণমূলকে

    এর আগে ২৯ মে রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে হিংসা, অরাজকতা, নারীর নিরাপত্তাহীনতা, বেকারত্ব, দুর্নীতি এবং গরিবের অধিকার হরণ – এই পঞ্চবাণে বিদ্ধ করেছিলেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে। সেদিন তিনি বলেছিলেন, “আজ বাংলা এক সঙ্গে একাধিক সঙ্কটে। প্রথম সঙ্কট সমাজে হিংসা ও অরাজকতা। দ্বিতীয় সঙ্কট মা-বোনেদের নিরাপত্তাহীনতা (PM Modi), তাঁদের বিরুদ্ধে ঘটে চলা জঘন্য অপরাধ। তৃতীয় সঙ্কট, তরুণ সমাজের মধ্যে বাড়তে থাকা বেকারত্ব ও হতাশা। চতুর্থ সঙ্কট দুর্নীতি। এখানে সিস্টেমের ওপর বিশ্বাস কমেছে। আর পঞ্চম সঙ্কট হল গরিবের হক ছিনিয়ে নেওয়ার শাসক দলের স্বার্থের রাজনীতি।” ১৮ জুলাই ফের রাজ্যে এসে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের শাসক দলকে কোনও তিরে বিদ্ধ করেন, এখন তা-ই দেখার।

    শমীককে নিয়ে সভা!

    ৩ জুলাই রাজ্য বিজেপির নয়া সভাপতি হয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। বিজেপি সূত্রের খবর, তাঁকে পাশে নিয়েই দুর্গাপুরে জনসমাবেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির এই সভার প্রস্তুতির জন্য ইতিমধ্যেই সাত সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের সমাবেশ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার আগেই প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে জনসভা করিয়ে তৃণমূলকে খানিকটা হলেও ব্যাকফুটে ঠেলে দিতে চাইছে পদ্ম শিবির।

    জনসভার প্রস্তুতিপর্ব দেখলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা

    গেরুয়া শিবিরের খবর, ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রস্তুতি দেখতে শনিবার দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সতীশ ধন্ড, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিজেপির লক্ষ্ণণ ঘোড়ুই, বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি, বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিৎ তা, সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর-সহ পদ্ম শিবিরের অন্যান্য নেতৃত্ব। এদিন ওই স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন বিজেপির যুব নেতা পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায়, জেলা মুখপাত্র সুমন্ত মণ্ডল, সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত-সহ অন্যরা। সেখান থেকে তাঁরা গিয়েছিলেন এএসপি স্টেডিয়ামেও (Samik Bhattacharya)।

    তৃণমূলকে উৎখাত করতে পদ্ম শিবিরে নয়া রথী

    ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করতে পদ্ম শিবির বেছে নিয়েছে বাগ্মী তথা লড়াকু নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে (PM Modi)। কলকাতার সায়েন্স সিটির মঞ্চে বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব নিয়েই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, “এবার আর দু’শো পার নয়, তৃণমূলের পরপার নিশ্চিত।” তিনি বলেন, “একদিন বাংলায় বিজেপি অপাঙক্তেয় ছিল। আমাদের ভোট এক শতাংশেরও নীচে ছিল। আর আজ বাংলার মানুষ তৃণমূলকে হঠিয়ে বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের জন্য তৈরি হচ্ছেন।” শমীক বলেছিলেন, “মমতার বিকল্প মুখ কোথায়? বাংলার মানুষ স্থির করে নিয়েছেন, ছাব্বিশের ভোটে তৃণমূলকে তাঁরা বিদায় দেবেন। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সততার প্রতীক আর কাজে লাগছে না। দুর্নীতির সরকারকে হঠাতে মানুষ এখন বদ্ধপরিকর।”

    মাসখানেক আগে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ১৮ জুলাই জনসভা করবেন দক্ষিণবঙ্গে। সেই সভায় প্রধানমন্ত্রী প্রচারের কী সুর বেঁধে দেন, সেদিকেই তাকিয়ে বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। সেই সুর ধরেই (Samik Bhattacharya) কোমর কষে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়বেন পদ্ম নেতারা (PM Modi)।

  • PM Modi: লিথিয়াম ট্রায়াঙ্গল-এর অন্যতম দেশ আর্জেন্টিনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন তাৎপর্যপূর্ণ এই সফর?

    PM Modi: লিথিয়াম ট্রায়াঙ্গল-এর অন্যতম দেশ আর্জেন্টিনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন তাৎপর্যপূর্ণ এই সফর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের সফরে আর্জেন্টিনায় পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভারতীয় সময় শনিবার সকালে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয় এজেইজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Argentina)। ৫৭ বছর পরে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী পা রাখলেন ওই দেশে। ২০১৮ সালে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতেও আর্জেন্টিনায় গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি।

    প্রধানমন্ত্রীর পোস্ট (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, দু’দিনের এই সফরে মোদি আর্জেন্টিনার শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ভারতের যে সহযোগিতা চলছে, তা নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। আলোচনা করবেন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির উপায় নিয়ে। এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আর্জেন্টিনার সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর আলোকপাত করে দ্বিপাক্ষিক সফরের জন্য বুয়েনোস আইরেসে পৌঁছেছি। আমি রাষ্ট্রপতি জাভিয়ের মিলের সঙ্গে দেখা করতে এবং তাঁর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করতে আগ্রহী।” এই পর্বে প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি দেশ সফর করবেন। এটি তাঁর তৃতীয় গন্তব্য। এদিন হোটেলে পৌঁছানোর পর প্রবাসী ভারতীয়রা ‘মোদি মোদি’ স্লোগান দেন। চিৎকার করেন ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলেও। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে একটি নৃত্যও পরিবেশন করা হয় প্রবাসী ভারতীয়দের তরফে।

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের বক্তব্য

    এক্স হ্যান্ডেলে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল লিখেছেন, “আমাদের দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী বন্ধুত্ব অর্জন করছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি সরকারি সফরে আর্জেন্টিনার প্রাণবন্ত শহর বুয়েনোস আইরেসে অবতরণ করেছেন। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়। ৫৭ বছরের মধ্যে এটি কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর আর্জেন্টিনা সফর, যা ভারত-আর্জেন্টিনা সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।” বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁর সফরকালে মোদি প্রতিরক্ষা, কৃষি, খনি, তেল ও গ্যাস নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ-সহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে ভারত-আর্জেন্টিনা (Argentina) অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে রাষ্ট্রপতি মিলের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা করবেন (PM Modi)। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক সফর ভারত ও আর্জেন্টিনার মধ্যে বহুমুখী কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করবে।”

    আর্জেন্টিনার খনিজ সম্পদ

    দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা লিথিয়াম, তামা এবং শেল গ্যাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। যা এই দেশটিকে ভারতের জন্য একটি সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি অংশীদার করে তুলছে। বিশেষ করে এমন একটা সময়ে যখন ভারত তার জ্বালানির উৎস বিস্তৃত ও বৈচিত্র্যময় করার চেষ্টা করছে। আর্জেন্টিনায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শেল গ্যাসের মজুত রয়েছে। এর বেশিরভাগই এখনও অনুসন্ধান করা হয়নি। এই দেশে রয়েছে চতুর্থ বৃহত্তম শেল তেলের ভান্ডার। এছাড়াও দেশটিতে রয়েছে প্রচলিত তেল ও গ্যাসেরও বিপুল ভান্ডার।

    লিথিয়াম ট্রায়াঙ্গেলের একটি

    মনে রাখতে হবে, আর্জেন্টিনা লিথিয়াম ট্রায়াঙ্গেলের তিনটি দেশের একটি। বাকি দু’টি দেশ হল – বলিভিয়া ও চিলি। লিথিয়াম ট্রায়াঙ্গেল হল একটি অঞ্চল যা আন্দিজ পর্বতমালায় অবস্থিত এবং দক্ষিণ আমেরিকার এই তিনটি দেশের সীমান্তে বিস্তৃত। এই অঞ্চল লিথিয়াম সম্পদের জন্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। লিথিয়াম ভারতবর্ষের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ইলেকট্রিক যানবাহন ও গ্রিড স্টোরেজের রিচার্জেবল ব্যাটারিতে ব্যবহৃত হয়। ভারতের পরিচ্ছন্ন জ্বালানির লক্ষ্যের জন্য এটি অত্যাবশ্যক (Argentina)। ভারত ইতিমধ্যেই আর্জেন্টিনার লিথিয়াম সংগ্রহের দিকে একটি পদক্ষেপ করেছে। খনিজ বিদেশ ইন্ডিয়া লিমিটেড (ভারত সরকারের একটি যৌথ উদ্যোগ) আর্জেন্টিনার ক্যাটামার্কা প্রদেশে লিথিয়ামের ভান্ডারের খোঁজ চালানোর অধিকার পেয়েছে। আর্জেন্টিনা একটি বৃহৎ তরল প্রাকৃতিক গ্যাস প্রকল্প, ‘আর্জেন্টিনা এলএনজি’, বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল এখনও পর্যন্ত অপ্রচলিত থাকা ভাকা মুইর্তা শেল গঠনের সম্ভাবনা অনুসন্ধান করা। এটি আর্জেন্টিনার নিউকেন অববাহিকায় অবস্থিত একটি বিশাল শেল গঠন, যা বিপুল পরিমাণ অপ্রথাগত তেল ও গ্যাসের জন্য পরিচিত (PM Modi)।

    এলএনজি রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্য

    জানা গিয়েছে, আর্জেন্টিনা ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ৩০ মিলিয়ন টন পর্যন্ত এলএনজি রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে ধাপে ধাপে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছে। দেশটি আন্তর্জাতিকভাবে এলএনজি রফতানি বাড়ানোর কথাও ভাবছে এবং ভারতের উৎপাদন-পূর্ব খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আগ্রহ দেখিয়েছে (Argentina)। প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার সঙ্গে সঙ্গে ভারত ধীরে ধীরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির ওপর জ্বালানি সরবরাহ নির্ভরতা কমাতে চাইছে। বাজারের ওঠানামা এড়াতেও তার জ্বালানি সরবরাহকে বৈচিত্র্যময় করতে চাইছে। আর্জেন্টিনা-সহ পাঁচটি দেশে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর সেই দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

    বিকল্প জ্বালানির খোঁজ

    গত কয়েক বছরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যখন যুদ্ধভেরী বাজছে, সেই সময় ভারত উপলব্ধি করেছে যে জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো বিকল্প হল একাধিক বিকল্প থাকা। আমেরিকার হুমকি সত্ত্বেও, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের পর সস্তায় রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল আমদানি করার ভারতের সিদ্ধান্ত, তার জ্বালানি সরবরাহকে বৈচিত্র্যময় করার ভারতের কৌশলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এটি দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই মোদি সরকার এমন দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপনের (Argentina) জন্য কাজ করছে যারা ভারতের সম্ভাব্য জ্বালানি অংশীদার হতে পারে (PM Modi)।

  • PM Modi in Trinidad and Tobago: নারী শক্তির প্রশংসা, লারা-নারাইনের গল্প! ত্রিনিদাদ-টোবাগোর সংসদে অকপট মোদি

    PM Modi in Trinidad and Tobago: নারী শক্তির প্রশংসা, লারা-নারাইনের গল্প! ত্রিনিদাদ-টোবাগোর সংসদে অকপট মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের ভক্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয়রাও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের সমর্থক। শুধু যখন শচিন বনাম লারা খেলা হতো তখন বিষয়টা আলাদা। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবারের এই ঐতিহাসিক ভাষণে মোদি কূটনৈতিক বন্ধুত্বের পাশাপাশি ক্রিকেটপ্রেমের উল্লেখ করে বলেন, “আমাকে বলতেই হবে, ভারতীয়রা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম উৎসাহী সমর্থক। আমরা তাদের জন্য মনপ্রাণ দিয়ে গলা ফাটাই — শুধু তখন নয়, যখন তারা ভারতের বিরুদ্ধে খেলছে।”

    ভারতীয় স্পন্দনের সঙ্গে ক্যারিবিয়ান ছন্দ

    ক্রিকেটের মাধ্যমে ভারত ও ক্যারিবিয়ান দেশের বন্ধুত্বের উষ্ণতা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর মজার মন্তব্যে অধিবেশনকক্ষে হাসি ও করতালির রোল পড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বক্তব্যে ভারত ও ত্রিনিদাদ-টোবাগোর ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও গণতান্ত্রিক বন্ধনের উল্লেখ করেন। তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানান ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রবাসীদের প্রতি, যাঁরা ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তিনি বলেন, “প্রায় ১৮০ বছর আগে দীর্ঘ ও কষ্টকর সমুদ্রযাত্রার পর ভারতীয়রা এই দেশে এসে পৌঁছেছিলেন। সেই ভারতীয় স্পন্দন আজ ক্যারিবিয়ান ছন্দের সঙ্গে একাকার হয়ে গিয়েছে। রাজনীতি থেকে কবিতা, ক্রিকেট থেকে বাণিজ্য—সব ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান আজ গর্বের বিষয়।”

    ২৫ বছর আগের ঘটনা

    ক্রিকেটে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে সুগভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী মোদি সেখানে পৌঁছনোর পরে ক্রিকেটারদের কথাও উল্লেখ করেন। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে ক্রিকেট খুব জনপ্রিয়। এখান থেকে অনেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার এসেছেন। যাঁদের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার ব্রায়ান লারাও রয়েছেন। তাঁকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একটি ঘটনাও শোনান। তিনি বলেন, “২৫ বছর আগে যখন আমি এখানে এসেছিলাম, তখন সবাই লারার পুল শট, তাঁর কাট শটের প্রশংসা করতে ক্লান্ত হতো না।” প্রধানমন্ত্রী এর পরে পুরান এবং নারাইনেরও প্রশংসা করেন, এই দুজনেই ভারতে হওয়া বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট লিগ, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (IPL) খেলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ সুনীল নারাইন এবং নিকোলাস পুরান আমাদের যুবকদের মধ্যে উৎসাহ জোগান, সেই থেকে এখনও পর্যন্ত আমাদের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে।”

    নেতৃত্বে নারী শক্তি

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর নেতৃত্বে নারী শক্তির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই দেশের জনগণ দু’জন অসাধারণ নারী নেত্রীকে তাদের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচিত করেছেন — রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী। তাঁরা নিজেদের ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে গর্বের সঙ্গে পরিচয় দেন।” ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সংসদে নারীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতিতেও খুশি হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই সংসদে এত নারী সদস্য দেখে আমি আনন্দিত। ভারতে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, সংস্কৃতির অন্তর্গত। আমাদের পবিত্র স্কন্দ পুরাণেও বলা হয়েছে — একটি কন্যা সন্তান দশটি পুত্র সন্তানের সমান আনন্দ বয়ে আনে। আমরা আধুনিক ভারতের নির্মাণে নারী শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করছি।” তিনি আরও বলেন, “অন্তরীক্ষ থেকে ক্রীড়া, স্টার্টআপ থেকে বিজ্ঞান, শিক্ষা থেকে উদ্যোগ, বিমান চলাচল থেকে সশস্ত্র বাহিনী — সর্বত্র নারীরা ভারতের ভবিষ্যৎ নির্মাণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।”

    গণতন্ত্রের জয়গান

    এদিন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “ভারতের কাছে গণতন্ত্র শুধু একটি রাজনৈতিক মডেল নয়, বরং একটি জীবনধারা। আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে। এখানে উপস্থিত বহু সংসদ সদস্যের পূর্বপুরুষ বিহার থেকে এসেছিলেন, যা ছিল মহাজনপদের — প্রাচীন প্রজাতন্ত্রের — কেন্দ্র।” তিনি যোগ করেন, “আমাদের দুই দেশই ঔপনিবেশিক শাসনের ছায়া থেকে উঠে এসে সাহসের কালি ও গণতন্ত্রের কলমে নিজেদের গল্প নিজেরাই লিখেছে।”

    মোদিকে বিশেষ সম্মান

    উত্তর অতলান্তিক সাগরের ছোট্ট দু’টি দ্বীপ! আর তা নিয়েই ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, একটা রাষ্ট্র। সেখান থেকেই বিশেষ সম্মানেও ভূষিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘অর্ডার অফ দ্য রিপাবলিক অফ ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো’ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। তিনি হলেন দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রথম বিদেশি নেতা, যিনি এই মর্যাদা পেলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির ঝুলিতে এখন ২৫টি আন্তর্জাতিক সম্মাননা। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর রাষ্ট্রপতি ক্রিস্টিন কাঙ্গালু প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার প্রদান করেছেন। পুরস্কার গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমি এই সম্মান ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে গ্রহণ করছি। এই পুরস্কার দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের বন্ধনের প্রতীক।” তিনি আরও বলেন, “এই সম্পর্কের মূলে রয়েছে আমাদের যৌথ ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, যা ১৮০ বছর আগে এই দেশে আগত ভারতীয়দের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে।” প্রধানমন্ত্রী মোদির এই ঐতিহাসিক সফরের মাধ্যমে ভারত ও ত্রিনিদাদ-টোবাগোর সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলেই আশাবাদী দুই দেশ।

  • PM Modi in Trinidad and Tobago: ভারতীয় শিকড়ের প্রশংসা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিহারের মেয়ে’ বললেন মোদি

    PM Modi in Trinidad and Tobago: ভারতীয় শিকড়ের প্রশংসা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিহারের মেয়ে’ বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মিকভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত ভারত ও ত্রিনিদাদ। ক্যারিবিয়ান এই দ্বীপপুঞ্জে ৪০ শতাংশ মানুষই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসারকে বিহারের মেয়ে বলে সম্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Trinidad and Tobago)৷ তাঁর জন্য উপহার হিসেবে সরযু নদী এবং মহাকুম্ভের পবিত্র জলও নিয়ে এসেছেন বলে জানালেন মোদি৷ পাঁচটি দেশ সফরের দ্বিতীয় ধাপে বৃহস্পতিবার ত্রিনিদাদ ও টোবাগো পৌঁছছেন ভারতের মোদি। পিয়ারকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ-বিসেসর। তাঁকে ঘিরেই আয়োজন করা হয়েছিল এক জাঁকজমকপূর্ণ আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা ও গার্ড অফ অনার।

    বিহারের মেয়ে কমলা

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Trinidad and Tobago) সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ-বিসেসরকে “বিহারের মেয়ে” বলে অভিহিত করেন। স্থানীয় ভারতীয় সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, কমলা প্রসাদ-বিসেসরের পূর্বপুরুষরা বিহারের বক্সার জেলা থেকে এসেছিলেন এবং তিনিও সেই স্থান পরিদর্শন করেছেন। মোদি বলেন, “আমরা শুধু রক্ত বা পদবিতে নয়, আত্মিকভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত। ভারত তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, তোমাদের সাদরে স্বাগত জানায়। কমলা জির পূর্বপুরুষরা বিহারের বক্সার থেকে এসেছিলেন। তিনি নিজেও সেখানে গিয়েছেন। মানুষ তাঁকে বিহারের মেয়ে বলে মনে করে।” তাই কমলার জন্য মোদি উপহার হিসেবে নিয়ে গিয়েছেন মহাকুম্ভের পবিত্র জল এবং রাম মন্দিরের একটি প্রতিরূপ। প্রধানমন্ত্রী নিজের হাতে উপহার তুলে দিয়েছেন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসারের হাতে। এদিন কমলা প্রসাদ বিসেসারের সঙ্গে বৈঠকও করেন মোদি। এই বৈঠক দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

    বিহার থেকে নতুন সম্ভাবনার সূচনা

    কমলা প্রসাদ-বিসেসরের রাজনৈতিক জীবন বহু ঐতিহাসিক প্রথমের সাক্ষী। ১৯৮৭ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন কমলা। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিরোধী দলনেত্রী হন তিনি। এছাড়া তিনি কমনওয়েলথ নেশনসের প্রথম মহিলা চেয়ারপার্সন। ভারত ও উপমহাদেশের বাইরের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী তিনি। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “বিহারের ঐতিহ্য ভারতের গর্ব, সারা বিশ্বের গর্ব… বিহার বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পৃথিবীকে পথ দেখিয়ে এসেছে। ২১শ শতাব্দীতেও বিহার থেকে নতুন সম্ভাবনার সূচনা হবে।” উল্লেখ্য, ২০১২ সালে বিহারের বক্সারের ভেলপুরের গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ৷

    গিরমিতিয়া সম্প্রদায়ের কথা

    ত্রিনিদাদে প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে আলাদা করে গিরমিতিয়া সম্প্রদায়ের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ উনিশ ও বিশ শতাব্দীতে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে বহু শ্রমিককে ব্রিটেন অধীনে থাকা কয়েকটি দেশে নিয়ে গিয়েছিল ব্রিটিশরা ৷ সেই সূত্র ধরেই অন্য আরও কয়েকটি জায়গার মতো ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোয় ভারতীয়দের আসা ৷ এ প্রসঙ্গ তুলে ধরে মোদি বলেন, “প্রবাসী ভারতীয় দিবসে আমি গিরমিতিয়া সম্প্রদায়কে সম্মান জানাতে উদ্যোগ নিয়েছি ৷ তাঁদের জন্য যা যা করা দরকার সেটা আমি করেছি ৷” তাঁর মতে, এ দেশে ভারতীয় আসা এবং তারপর নিজের যোগ্যতায় দেশের উন্নতিতে সামিল হওয়ার নেপথ্যে আছে লড়াকু মানসিকতা ৷

    ভারতীয় পোশাকে স্বাগত মোদি

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে পৌঁছনোর পর সেখানকার প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসার ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাকে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে সম্মান জানানোর জন্য ত্রিনিদাদ ও টোবাগো তাদের সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার ‘দ্য অর্ডার অফ দ্য রিপাবলিক অফ ত্রিনিদাদ ও টোবাগো’ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় নরেন্দ্র মোদিকে। হোটেলে পৌঁছনোর পরে প্রবাসী ভারতীয়রা তাঁকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ও ‘মোদি, মোদি’ ধ্বনিতে স্বাগত জানান। এক অর্কেস্ট্রা পারফরম্যান্সের পর পরিবেশিত হয় ভজন। এই সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর রাষ্ট্রপতি ক্রিস্টিন কার্লা কাংগালুর সঙ্গেও বৈঠক করবেন। সে দেশের সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ারও কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির।

    বেনারস, পাটনা, কলকাতা ও দিল্লির নামে রাস্তা ত্রিনিদাদে

    প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর ২৫ বছর আগের ত্রিনিদাদ সফরের স্মৃতিও স্মরণ করেন এবং বলেন, সেই সময় থেকে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে। তিনি দুই দেশের সাংস্কৃতিক সংযোগের কথাও উল্লেখ করেন, জানিয়ে দেন ত্রিনিদাদে বেনারস, পাটনা, কলকাতা ও দিল্লির নামেও রাস্তার নামকরণ হয়েছে। মোদি বলেন, “এই দ্বীপে নবরাত্রি, মহাশিবরাত্রি ও জন্মাষ্টমী উৎসাহ, শ্রদ্ধা ও গর্বের সঙ্গে পালন করা হয়। চৌতাল ও বৈঠক গান এখানেও সমানভাবে জনপ্রিয়। আমি এখানে অনেক পরিচিত মুখ দেখতে পাচ্ছি।” বৃহস্পতিবার মোদির ত্রিনিদাদ আগমনে তাঁকে রাজকীয় অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। পিয়ারকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ-বিসেসর, সঙ্গে ছিলেন ৩৮ জন মন্ত্রী ও চারজন সংসদ সদস্য। তাঁকে গার্ড অফ অনারও প্রদান করা হয়।

    ত্রিনিদাদে ভারতের ছোঁয়া

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রায় ৪০% মানুষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় ৫,৫৬,৮০০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষ বসবাস করেন। এর মধ্যে প্রায় ১,৮০০ জন এনআরআই, বাকিরা স্থানীয় নাগরিক যাদের পূর্বপুরুষরা ১৮৪৫ থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক হিসেবে ভারতে থেকে সেখানে গিয়েছিলেন। যদিও ত্রিনিদাদ ও টোবাগো আয়তনে ভারতের জোধপুর থেকেও ছোট, তবুও দেশটির সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে ভারতীয় সম্প্রদায়ের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের খাবার, সংগীত, ভাষা ও ধর্মীয় উৎসবে এখনও স্পষ্টভাবে ভারতীয় ঐতিহ্যের ছাপ দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন ঘোষণা করেন, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে বসবাসরত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ষষ্ঠ প্রজন্মকেও এবার থেকে ওভারসিজ সিটিজেন অব ইন্ডিয়া (OCI) কার্ড প্রদান করা হবে।

    ত্রিনিদাদে হিন্দুত্বের বিকাশ

    এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রথম ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সফর এবং ১৯৯৯ সালের পর প্রথমবার কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সফরে এই দেশে এলেন। মোদির কথায়, “ভারত এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর বন্ধুত্ব আগামী দিনে আরও ভাল জায়গায় পৌঁছক, এই কামনা করি।” ত্রিনিদাদের প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে মোদি বলেন, “শ্রী রামের প্রতি আপনাদের বিশ্বাসের কথা জানি। ভগবান রামের পবিত্র শহর এত সুন্দর যে তার মহিমা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। আমি নিশ্চিত যে আপনারা সকলেই রামলালার অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তনকে অত্যন্ত আনন্দের সাথে স্বাগত জানিয়েছেন। আপনারা অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের সময় পবিত্র জল এবং শিলা পাঠিয়েছিলেন, তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।” এরপরই মোদি বলেন, “আপনারা সকলেই জানেন, এ বছরের শুরুর দিকে মহাকুম্ভ মেলা হয়েছিল ৷ আমার সৌভাগ্য আমি সেই জল আপনাদের জন্য নিয়ে আসতে পেরেছি ৷”

  • PM Modi in Ghana: ঘানার জাতীয় সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত মোদি, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর

    PM Modi in Ghana: ঘানার জাতীয় সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত মোদি, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার মোদি ম্যাজিক ঘানায়। তিন দশকে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘানায় পা রেখেছেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Ghana)। সে দেশের দ্বিতীয় জাতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানও পেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বুধবার পঞ্চদেশ সফরের প্রথমে ঘানা গিয়েছেন তিনি। এটি পশ্চিম আফ্রিকায় তাঁর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। আক্রার কোটোকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে ২১টি তোপধ্বনির মাধ্যমে কুর্নিশ জানানো হয়। ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ স্তোত্র গেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে হোটেলে স্বাগত জানান ঘানার কচিকাঁচারা।

    ভারত ও ঘানার মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের ভিত্তি

    ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর আগেই বুধবার ঘানা গিয়েছেন তিনি। এদিন ঘানার প্রেসিডেন্ট জন মাহামা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘অফিসার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য স্টার অফ ঘানা’ (Officer of the Order of the Star of Ghana) প্রদান করেন। রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন,‘‘ঘানার জাতীয় সম্মানে ভূষিত হওয়া আমার জন্য অত্যন্ত গর্ব ও সম্মানের বিষয়। আমি প্রেসিডেন্ট মাহামা, ঘানা সরকার এবং ঘানার জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ১৪০ কোটি ভারতীয়ের পক্ষ থেকে আমি বিনীতভাবে এই সম্মান গ্রহণ করছি। এই সম্মান আমাদের তরুণদের আকাঙ্ক্ষা, তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতি, আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্যের প্রতি এবং ভারত ও ঘানার মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রতি উৎসর্গ করছি।’’ এরই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই সম্মানের ফলে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর দায়িত্ব আরও বৃদ্ধি পেল।

    উষ্ণতার আলিঙ্গন

    আক্রায় পা রেখেই এদিন ঘানার প্রেসিডেন্ট জন মাহামাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে আলিঙ্গন করেন ঘানার প্রেসিডেন্টও। সেখানে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে। স্থানীয় রীতি মেনেও অভ্যর্থনা করা হয় তাঁকে। বিমানবন্দর থেকে হোটেলে পৌঁছতেই মোদিকে ঘিরে ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ স্তোত্র গাইতে শুরু ঘানার বাচ্চারা। হাসিমুখে তাদের গান শোনেন প্রধানমন্ত্রী, সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ঘানার মাটিতে উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বলেন প্রেসিডেন্টের বিমানবন্দরে আসা তাঁর জন্য অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। যৌথ বিবৃতি জারি করার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘ভারত-ঘানা বন্ধুত্বের মূলে রয়েছে আমাদের ভাগ করা মূল্যবোধ, সংগ্রাম এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য স্বপ্ন। যা অন্যান্য দেশগুলিকেও অনুপ্রাণিত করেছে।’’

    গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা

    বুধবারই ঘানার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত-ঘানা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আর্থিক-প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দুই দেশের আদানপ্রদান নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে। তিনি ঘানাকে একটি প্রাণবন্ত গণতন্ত্র এবং পশ্চিম আফ্রিকার “আশার আলো” হিসেবে প্রশংসা করেছেন। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘আজ আমরা ঘানার জন্য আইটেক (ITEC) এবং আইসিসিআর (ICCR) স্কলারশিপ দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তরুণদের বৃত্তিমূলক শিক্ষার জন্য একটি দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা হবে। কৃষি খাতে, আমরা প্রেসিডেন্ট মহামার ফিড ঘানা কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে পেরে খুশি হব।’’ এর পাশাপাশি, জন ঔষধি কেন্দ্রের মাধ্যমে ঘানার নাগরিকদের সাশ্রয়ী মূল্যের এবং নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের প্রস্তাব দেন মোদি। ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়।

    দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে জোড়

    প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেভারত-ঘানা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে।  মোদি বলেন, “ভারত শুধু ঘানার উন্নয়নের অংশীদার নয়, সহযাত্রী। ভারতীয় সংস্থাগুলি ঘানায় ৯০০টির বেশি প্রকল্পে প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। আজ আমরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছি।” ফিনটেক (FinTech) খাতে, ঘানার সঙ্গে ভারতের ইউপিআই ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন মোদি। এছাড়াও, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান ও খননের ক্ষেত্রেও ভারতীয় সংস্থাগুলি ঘানার সঙ্গে কাজ করবে বলে জানান তিনি। ভারতের জি২০ সভাপতিত্বকালে আফ্রিকান ইউনিয়নের স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করাকে “গর্বের বিষয়” বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ঘানা, পশ্চিম আফ্রিকার দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি, ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। ভারতের কাছে ঘানার প্রধান রফতানি পণ্য সোনা। ঘানা বর্তমানে একটি বড় অর্থনৈতিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এবং মোদি এই বিষয়ে ঘানাকে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

    সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই

    সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঘানার সহযোগিতার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) বলেন যে, দুই দেশ সন্ত্রাসবাদ দমনে সহযোগিতা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্কারের ক্ষেত্রেও দুই দেশে দৃষ্টিভঙ্গি এক। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে। মোদি বলেন, “সন্ত্রাসবাদ মানবতার শত্রু। এই প্রেক্ষাপটে আমরা সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” “ঐক্যের মাধ্যমে নিরাপত্তা” মন্ত্রে দুই দেশ এগিয়ে যাবে বলে জানান মোদি। এই খাতে সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সরবরাহ ও সাইবার নিরাপত্তায় সহযোগিতা বাড়ানো হবে। ঘানা থেকে আজ, বৃহস্পতিবার ত্রিনিদাদ, টোবাগোর উদ্দেশে রওনা দেবেন মোদি। আগামী শনিবার সেখান থেকে পৌঁছবেন আর্জেন্টিনায়। তারপর ব্রাজিলে আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সবশেষে নামিবিয়া সফরে যাবেন তিনি।

  • PM Modi: এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ বিদেশ সফরে রওনা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, যাবেন ৫ দেশ

    PM Modi: এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ বিদেশ সফরে রওনা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, যাবেন ৫ দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ বিদেশ সফরে রওনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি মোট পাঁচটি দেশ সফর করবেন। যা শুরু হচ্ছে আজ, ২ জুলাই থেকে। আট দিনের এই সফরে প্রধানমন্ত্রী অংশগ্রহণ করবেন ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে। এর পাশাপাশি তিনি ঘানা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, আর্জেন্টিনা ও নামিবিয়া সফর করবেন। এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির দ্বিতীয় দীর্ঘতম বিদেশ সফর। এর আগে, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে তিনি টানা আট দিনের জন্য বিদেশে ছিলেন, সেই সময় তিনি রাশিয়া ও মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশ সফর করেছিলেন।

    ২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মোদি পৌঁছাবেন ঘানা

    ২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) পৌঁছাবেন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানায় এবং ৩ জুলাই পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করবেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই প্রথম তিনি আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলে সফর করছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, বিগত ৩০ বছরে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ঘানা সফর করেননি। ঘানার পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, যেখানে তিনি ভারত-ঘানা সম্পর্কের ঐতিহাসিক গুরুত্ব, বাণিজ্য এবং উন্নয়নমূলক নানা সহযোগিতা নিয়ে কথা বলবেন। এছাড়াও তিনি বৈঠক করবেন ঘানার রাষ্ট্রপতি জন মহামা-র সঙ্গে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ভারত সফরে এসে ইন্ডিয়া-আফ্রিকা ফোরাম সামিটে অংশগ্রহণ করেছিলেন জন মহামা।

    ঘানা পশ্চিম আফ্রিকার অন্যতম দ্রুত উন্নয়নশীল দেশ এবং সোনা রফতানিতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। বর্তমানে ভারত ঘানা থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা আমদানি করে। দুই দেশের মধ্যে এই সফরে অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা, শক্তি এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সফর

    ৩ জুলাই মোদি (PM Modi) পৌঁছাবেন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে। এই সফর দুই দিন চলবে। ১৯৯৯ সালের পর এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এই দ্বীপরাষ্ট্র সফর করছেন। এই দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দুজনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত, এবং তাঁরা মোদিকে রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান।

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে প্রচুর ভারতীয় বংশোদ্ভূত জনগণের বাস বলে জানা যায়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি অংশগ্রহণ করবেন একটি যৌথ সংসদ অধিবেশনে। এর পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিশ্বেশ্বর-এর সঙ্গে।

    বৈঠকে ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, ডিজিটাল পরিকাঠামো, কৃষি, দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ইত্যাদি ইস্যুতে আলোচনা হবে। ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ভারতের ইউপিআই (UPI) পেমেন্ট প্রযুক্তি ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছে, যা দুই দেশের ডিজিটাল সহযোগিতার নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।

    আর্জেন্টিনা সফর

    ৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) পৌঁছাবেন আর্জেন্টিনা, যেখানে তিনি বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলায়ে-র সঙ্গে। আর্জেন্টিনা ও ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের অন্যতম স্তম্ভ হল পেট্রোলিয়াম পণ্য, অ্যাগ্রোকেমিক্যাল, অর্গানিক কেমিক্যাল, দুই চাকার যানবাহন এবং খনিজ সম্পদ।

    এই সফরে আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে থাকবে, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, টেলিমেডিসিন, পরিকাঠামো উন্নয়ন, খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা। আর্জেন্টিনার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দক্ষিণ আমেরিকায় ভারতের অবস্থানকে আরও মজবুত করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    ব্রাজিল সফরে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন

    ৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মোদি পৌঁছাবেন ব্রাজিল, যেখানে তিনি অংশগ্রহণ করবেন ১৭তম ব্রিকস (Brics Summit) সম্মেলনে। এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে রিও ডি জেনেইরোতে। ব্রিকস শুরু হবে ৫ জুলাই থেকে চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত।

    ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদি বক্তব্য রাখবেন জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক নিরাপত্তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক কাঠামো নিয়ে। মোদি তাঁর বক্তৃতায় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও তুলে ধরবেন বলে মনে করা হচ্ছে। পহেলগাঁও হামলার মতো ঘটনা ও ভারতের অপারেশন সিঁদুর উঠে আসবে তাঁর ভাষণে।

    ব্রাজিলে মোদি বৈঠক করবেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা-র সঙ্গে (Brics Summit)। প্রতিরক্ষা, মহাকাশ প্রযুক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য ও শক্তি সম্পদের উপর আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা চলে সয়াবিন তেল, চিনি, তুলো, কাঠ, কেমিক্যাল এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য নিয়ে। এবারের ব্রাজিল সফর আরও একটি দিক দিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ। এবার প্রধানমন্ত্রী মোদি ব্রাজিলে স্টেট ভিসিট বা রাষ্ট্রীয় সফর করবেন।

    মোদির নামিবিয়া সফর

    ৮ জুলাই সফরের শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি পৌঁছাবেন নামিবিয়া, যেখানে তিনি বৈঠক করবেন রাষ্ট্রপতি নেতুঙ্গ নন্দি-র সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানাবেন নামিবিয়ার প্রতিষ্ঠাতা নেতা ড. স্যাম নজোমা-কে এবং বক্তব্য রাখবেন সে দেশের সংসদে। নামিবিয়া সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে বলে জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। নামিবিয়া থেকে ভারত সবচেয়ে বেশি হীরা (ডায়মন্ড) আমদানি করে এবং রপ্তানি করে রিফাইনড পেট্রোলিয়াম। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২২ সালে নামিবিয়া থেকে ভারতে আনা হয়েছিল আটটি চিতা, যাদের মধ্যপ্রদেশের একটি অভয়ারণ্যে ছাড়া হয়।

  • Welfare Revolution: সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল নরেন্দ্র মোদির ভারত

    Welfare Revolution: সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল নরেন্দ্র মোদির ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল নরেন্দ্র মোদির ভারত। এক দশকেরও কম সময়ে এই কভারেজ বেড়েছে তিনগুণেরও বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস ন্যাশনাল ইন্ডিকেটর ফ্রেমওয়ার্কের অগ্রগতি (Social Security Coverage) রিপোর্ট ২০২৫-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। এই তথ্য উপস্থাপিত করেছে পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রক (Welfare Revolution)।

    সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা (Welfare Revolution)

    প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার আওতা ২০১৬ সালে যেখানে ছিল মাত্র ২২ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪.৩ শতাংশে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কোনও বড় গণতান্ত্রিক দেশের অন্যতম বৃহত্তম কল্যাণমূলক সাফল্য। এই বিপুল বৃদ্ধি ভারত সরকারের একটি সুস্পষ্ট নীতিগত পরিবর্তন নির্দেশ করে, যেখানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নিরাপত্তা-নির্ভর উন্নয়ন মডেল গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। এর লক্ষ্য হল সমাজের দুর্বল শ্রেণিগুলির ক্ষমতায়ন এবং বৈষম্য হ্রাস করা, যা সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস ১ (SDG 1) অর্থাৎ, “সর্বত্র ও সকল মাত্রায় দারিদ্র্য দূরীকরণ”-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

    গুরুত্বপূর্ণ জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি

    ভারত গত এক দশকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি শুরু করেছে, যা সামাজিক নিরাপত্তা কভারেজের দ্রুত সম্প্রসারণে সহায়ক হয়েছে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল নগদ হস্তান্তর, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, পেনশন কভারেজ, খাদ্য নিরাপত্তা এবং বিমা প্রকল্পসমূহকে একটি বিস্তৃত নিরাপত্তা নেটওয়ার্কের আওতায় এনে নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি (PM-KISAN) প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রতি বছর ৬,০০০ টাকা সরাসরি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে চালু হওয়া আয়ুষ্মান ভারত (Social Security Coverage) প্রধানমন্ত্রীর জন আরোগ্য যোজনা (AB-PMJAY) প্রকল্পে প্রতি পরিবারকে বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য কভার দেওয়া হয় (Welfare Revolution)। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন, যা ২০১৩ সালে কার্যকর হয়েছিল, এবং সাম্প্রতিক কিছু প্রকল্প যেমন প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় (PMGKAY) বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করে খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করেছে।

    ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় বার্ধক্য পেনশন যোজনা (IGNOAPS) এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মানধন যোজনার মাধ্যমে ভারত অসংগঠিত খাতের শ্রমিক, বৃদ্ধ ও বিধবাদের জন্য পেনশন ব্যবস্থার পরিধি বাড়িয়েছে। ২০১৪ সালে চালু হওয়া প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা (PMJDY) ৫০ কোটিরও বেশি অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ তৈরি করেছে। প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা (Social Security Coverage) বিমা যোজনার মতো স্বল্প খরচের জীবন ও দুর্ঘটনা বিমা প্রকল্পগুলি লাখ লাখ দরিদ্র মানুষের কাছে বিমা সুরক্ষা পৌঁছে দিয়েছে (Welfare Revolution)।

LinkedIn
Share