Tag: PM Modi

PM Modi

  • Lok Sabha Election 2024: এক্সিট পোলে এনডিএ-র জয়জয়কার, দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানালেন মোদি

    Lok Sabha Election 2024: এক্সিট পোলে এনডিএ-র জয়জয়কার, দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই শেষ হয়েছে সপ্তম দফার নির্বাচন। ১৬ মার্চ নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়েছিল, তারপর থেকে একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হল আজ। ভোট (Lok Sabha Election 2024) শেষ হতেই সামনে এসেছে বিভিন্ন এক্সিট পোলের সমীক্ষা। প্রতিটিতেই এনডিএ জোটের জয়জয়কার দেখা যাচ্ছে। এই আবহে ভোটারদের ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘ভারত ভোট দিল। যাঁরা নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে, তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাঁরা যে সক্রিয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, সেটা আমাদের গণতন্ত্রের ভিত্তিপ্রস্তর।’’

    তুলোধনা ইন্ডি জোটকে 

    এরই সঙ্গে ইন্ডি জোটের নেতাদেরও একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে এদিন তিনি ইন্ডি জোটকে সুবিধাবাদী বলে আক্রমণ শানান। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘তারা হল জাতপাতের রাজনীতির সমর্থক, সাম্প্রদায়িক এবং দুর্নীতিগ্রস্ত।’’ মোদির আরও সংযোজন, ‘‘এই জোট দেশকে পিছনে নিয়ে যাওয়ার রাজনীতি করে। মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।’’

    ক্ষমতায় আসছে এনডিএ (Lok Sabha Election 2024)

    রিপাবলিক ভারত ও ম্যাট্রিজের সমীক্ষা অনুযায়ী (Lok Sabha Election 2024) এনডিএ পেতে পারে ৩৫৩-৩৬৮টি আসন। ‘ইন্ডি’ জোট পেতে পারে ১৫৪টি কেন্দ্রের রাশ। বাকিদের ঝুলিতে যেতে পারে ৪৩-৪৮টি আসন। রিপাবলিক টিভি-পি মার্কের সমীক্ষা অনুযায়ী, এনডিএ পেতে পারে ৩৫৯টি আসন। ‘ইন্ডি’ জোট পেতে পারে ১৫৪টি আসন। ৩০টি আসন পেতে পারে অন্যরা। ম্যাট্রিজের বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, এনডিএ পাবে ৩৫৩-৩৬৮টি আসন। ‘ইন্ডি’ জোটের দখলে যেতে পারে ১১৮-১৩৩টি আসনের রাশ।

    কী বলছে সমীক্ষা?

    ‘জন কি বাতে’র সমীক্ষায় প্রকাশ, এনডিএ পেতে পারে ৩৬২-৩৯২টি আসন। ‘ইন্ডি’ জোট পেতে পারে ১২৫টি আসন। অন্যদের হাতে যেতে পারে ৪৭টি আসনের রাশ। বিজেপির নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-ই যে ফের বসতে চলেছেন দিল্লির মসনদে, তা জানিয়েছে এনডি টিভির সমীক্ষাও। তাদের দাবি, এনডিএ পাবে ৩৫০টি আসন। ‘ইন্ডিয়া’ ব্লকের দখলে যেতে পারে ১২৫-১৫০টি আসনের রাশ।

    সমীক্ষার ফল যা-ই বলুক না কেন, ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে আশাবাদী ‘ইন্ডি’ জোট। এদিনই বৈঠক বসেছিল ‘ইন্ডি’ জোটের। এই বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, “জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে যে তথ্য উঠে আসছে তাতে নিশ্চিতভাবে বলতে পারি ২৯৫টি আসন পেতে চলেছে ইন্ডি জোট। এর চেয়ে কম হবে না, বরং বেশিই হবে।” রিপাবলিক পিএমএআরকিউয়ের সমীক্ষায় প্রকাশ, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ পেতে পারে ৩৫৯টি, ‘ইন্ডি’ জোটের দখলে যেতে পারে ১৫৪টি, অন্যরা পেতে পারে ৩০টি আসন।

    ইন্ডিয়া নিউজ-ডি ডাইনামিক্সের সমীক্ষায় দাবি, এনডিএ পাবে ৩৭১টি আসন, ‘ইন্ডি’ জোট পাবে ১২৫টি আসন, অন্যরা পাবে ৩০টি। স্কুল অফ পলিটিক্সের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এনডিএ পাবে ৩৬৭-৪০৩টি আসন। ‘ইন্ডি’ জোটের ঝুলিতে যেতে পারে ১২৯-১৬১টি আসন। অন্যরা পেতে পারে ৭-১৮টি আসন (Lok Sabha Election 2024)।

    দৈনিক ভাস্করের সমীক্ষা বলছে, এনডিএ পেতে পারে ২৮১-৩৫০টি আসন, ইন্ডি জোট পেতে পারে ১৪৫-২০১টি আসন। অন্যরা পেতে পারে ৩৩-৪৯টি আসন। টাইমস নাও-বুলস আইয়ের সমীক্ষায় প্রকাশ, এনডিএ পেতে পারে ৩৫৩-৩৬৮টি আসন, ইন্ডি জোট পেতে পারে ১১৮-১৩৩টি আসন, অন্যরা পেতে পারে ৪৩-৪৮টি আসন। নিউজ নেশনের সমীক্ষায় দাবি, এনডিএ পেতে পারে ৩৪০-৩৭৮টি আসন, ইন্ডি জোট পেতে পারে ১৫৩-১৬৯টি আসন, অন্যরা পেতে পারে ২১-২৩টি আসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Economy: জিডিপি বৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশ, ‘‘এটা তো ট্রেলার’’, ট্যুইট উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রীর

    Indian Economy: জিডিপি বৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশ, ‘‘এটা তো ট্রেলার’’, ট্যুইট উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় ক্রমশই এগিয়ে চলেছে দেশ। শেষ দফার ভোটগ্রহণে সেই তথ্য আবারও সামনে এল। দেশের মোট আভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপির হার (Indian Economy) সমস্ত পূর্বাভাসকে ছাপিয়ে পৌঁছেছে ৮.২ শতাংশে। ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষের নিরিখে এই পরিসংখ্যান সামনে আসতেই উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘এটা তো ট্রেলার’’। এর পাশাপাশি তিনি দেশের পরিশ্রমী মানুষদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ভারতের জিডিপির এই বৃদ্ধি নিয়ে তাঁর মত, আগামীদিনে বৃদ্ধির এই চাকা আরও দ্রুত গড়াবে।

    কী বললেন নির্মলা সীতারামান

    অন্যদিকে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামান লিখেছেন, মোদি সরকারের তৃতীয় পর্যায়েও এই বৃদ্ধির (Indian Economy) গতি বহাল থাকবে। তিনি জানিয়েছেন যে উৎপাদন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে এবং সেখানে বৃদ্ধির হার ৯.৯ শতাংশ, ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষে। বাংলার অন্যতম অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ সুপর্ণ মৈত্র বলেন, ‘‘এই বৃদ্ধি অর্থনীতি নিয়ে শিল্পকে ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। বিশ্ব জুড়ে ভূ-রাজনৈতিক জটিলতা এবং জোগান-শৃঙ্খলের সমস্যার মধ্যে দাঁড়িয়েও ভারতের এমন উন্নতি তাদের আরও উৎসাহিত করবে।’’

    ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসের দেওয়া তথ্য

    ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি (Indian Economy) ৮.২ শতাংশ হারে বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৭ শতাংশ। এদিকে, ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসের পূর্বাভাস ছিল, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৭ শতাংশে পৌঁছাবে। তবে তা ছাপিয়ে গেল এদিন। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী চিন। তাদের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে ছিল ৫.৩ শতাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: শেষ দফায় মোদির বারাণসী কেন্দ্র সহ দেশের ৫৭ আসনে ভোটগ্রহণ আজ

    Lok Sabha Election 2024: শেষ দফায় মোদির বারাণসী কেন্দ্র সহ দেশের ৫৭ আসনে ভোটগ্রহণ আজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ মার্চ দেশের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়েছিল কমিশন। ভোট শুরু হয় ১৯ এপ্রিল। তারপর থেকে ৬ দফায় ভোট সম্পন্ন হয়েছে। আজ শেষ তথা সপ্তম দফার ভোট। এই দিন ভোট হবে সাতটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ে। রাজ্যগুলির মধ্যে, উত্তরপ্রদেশে ১৩টি আসনে ভোট চলছে। এর পাশাপাশি, পাঞ্জাবে ১৩টি, পশ্চিমবঙ্গের ৯টি, বিহারে ৮টি, ওড়িশায় ৬টি, হিমাচল প্রদেশে ৮টি, ঝাড়খণ্ডে ৩টি এবং চণ্ডীগড়ের একটি আসনে ভোট হচ্ছে আজ। অর্থাৎ মোট ৫৭টি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হচ্ছে আজ। নির্বাচনের ফলাফল বের হবে আগামী ৪ জুন। প্রসঙ্গত, বারাণসী লোকসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই কেন্দ্রেও ভোট (Lok Sabha Election 2024) চলছে আজকে। অন্যান্য দফার মতো সপ্তম দফাতেও সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত।

    ৬ দফায় ভোটদানের হার

    নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রথম দফায় (Lok Sabha Election 2024) দেশে ভোট পড়েছিল ৬৬.১৪ শতাংশ। দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছিল ৬৬. ৭১ শতাংশ, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফায় ভোটদানের হার ছিল যথাক্রমে ৬৫.৬৮ শতাংশ, ৬৯.১৬ শতাংশ, ৬২.২০ শতাংশ ও ৬৩.৩৭ শতাংশ।

    কোন কোন আসনে ভোট আজ (Lok Sabha Election 2024)

    বিহার: নালন্দা, পাটনা সাহেব, পাটলিপুত্র, আররাহ, বক্সার, সাসারাম, কারাকাট, জাহানাবাদ

    হিমাচল প্রদেশ: কাংড়া, মান্ডি, হামিরপুর, সিমলা

    ঝাড়খণ্ড: রাজমহল, দুমকা, গোড্ডা

    ওড়িশা: ময়ূরভঞ্জ, বালাসোর, ভদ্রক, জাজপুর, কেন্দ্রপাড়া, জগৎসিংহপুর

    পাঞ্জাব: গুরুদাসপুর, অমৃতসর, খাদুর সাহেব, জলন্ধর, হোশিয়ারপুর, আনন্দপুর সাহেব, লুধিয়ানা, ফতেহগড় সাহেব, ফরিদকোট, ফিরোজপুর, বাথিন্দা, সাংগুর, পাতিয়ালা

    উত্তরপ্রদেশ: মহারাজগঞ্জ, গোরখপুর, কুশি নগর, দেওরিয়া, বাঁশগাঁও, ঘোসি, সালেমপুর, বালিয়া, গাজিপুর, চান্দৌলি, বারাণসী, মির্জাপুর, রবার্টসগঞ্জ

    পশ্চিমবঙ্গ: দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা উত্তর

    চণ্ডীগড়: চণ্ডীগড় আসনে ভোট

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP slams INDI Alliance: মোদির ধ্যানকে কটাক্ষ করায় ইন্ডি-জোটকে ধুয়ে দিল বিজেপি, কী বলল?

    BJP slams INDI Alliance: মোদির ধ্যানকে কটাক্ষ করায় ইন্ডি-জোটকে ধুয়ে দিল বিজেপি, কী বলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচার শেষে কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রকে ধ্যানে (PM Modi’s meditation) বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেই ঘটনাকে ইস্যু তৈরি করেছে কংগ্রেস এবং ইন্ডি-জোট। আর এবার কংগ্রেস এবং ইন্ডি-জোটের এই আচরণের নিন্দা (BJP slams INDI Alliance) করলেন বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “কংগ্রেস এবং ইন্ডি-জোটের সমস্যাটা কি? প্রধানমন্ত্রী যদি কিছু বলেন, তাতে তাদের সমস্যা হয়। তিনি যদি কিছু না বলে ধ্যানের জন্য বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে যান, তাহলেও তাদের সমস্যা হয়।” 

    ইন্ডি-জোটের অভিযোগ 

    আসলে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন রাজ্যের ৫৭ আসনের ভোট রয়েছে আগামী ১ জুন। আর তার আগে লোকসভা ভোটের প্রচারপর্ব শেষ করে কন্যাকুমারীতে ধ্যানে (PM Modi’s meditation) বসেছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও বিরোধীরা মনে করছেন, ভেবেচিন্তেই মোদি ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাতে শেষ পর্বের ভোট গ্রহণের সময়ও তিনি প্রচারের আলোয় থাকতে পারেন। কংগ্রেস মনে করছে, এটা হলে প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গ করবেন (BJP slams INDI Alliance)। কারণ, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, ৩০ মে সন্ধ্যা থেকেই শুরু হচ্ছে নীরবতা পর্ব বা সাইলেন্স পিরিয়ড। ওই সময়টুকু দেওয়া হয় প্রচার শেষে ভোটাররা যাতে ভোটদান নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ইন্ডি জোটের দাবি,  মোদি ধ্যান বসলে দেশের সব টেলিভিশন তা নিয়ে হইচই করবে। প্রত্যক্ষ না হলেও সেটা হবে পরোক্ষ প্রচার। তাতে ভোটাররা প্রভাবিত হবেন। চিন্তা করার অবকাশ পাবেন না। উল্লেখ্য মোদি নিজেই এবারের পর্বে বারানসিতে প্রার্থী। সেখানকার ভোটও হবে শেষ দফায়। কাজেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত হবেন। 

    আরও পড়ুন: রাজ্যে আরও ২৮ জন বিজেপি নেতাকে ‘এক্স’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা! অনুমোদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    পুনাওয়ালার মন্তব্য

    আর ইন্ডি-জোটের এই মন্তব্যের পরেই এদিন পুনাওয়ালা বলেন, “এটি বিরোধীদের হতাশা এবং “সনাতন বিরোধী” (BJP slams INDI Alliance) মানসিকতার পরিচয়। এই বিরোধীরা রাম মন্দিরেরও বিরোধিতা করেছিল, বলেছিল যে এখানে ভগবান রামের কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই।” পাশাপাশি এদিন তিনি আরও জানান যে, প্রধানমন্ত্রী কেবলমাত্র ধ্যানেই (PM Modi’s meditation) বসেছেন। না তো কোনও রাজনৈতিক প্রচার করছেন না তো জনসংযোগ করছেন। সুতরাং তাঁর এই ধ্যানে বসাকে কেন্দ্র করে ইন্ডি-জোটের দাবিগুলি স্পষ্টতই “সনাতন বিরোধী” মানসিকতার পরিচয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA:  “ভগবানতুল্য মোদি সরকার”, নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে বললেন ঠাকুরনগরের শান্তিলতা

    CAA: “ভগবানতুল্য মোদি সরকার”, নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে বললেন ঠাকুরনগরের শান্তিলতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে অন্য দেশ থেকে ভারতে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী ভোটের প্রচারে বাংলায় এসে প্রকাশ্য সভায় বার বার ঘোষণা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে সিএএ-তে (CAA) আবেদন করেছিলেন শরনার্থীরা। শেষ দফা ভোটের আগেই বাংলায় ৮ জনকে নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। আর এই সিএএ নিয়ে বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর জোর সওয়াল করেছিলেন। এবার নাগরিকত্বের শংসাপত্র পাওয়ার তালিকায় বনগাঁর ঠাকুরনগরের একজন রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে চরম খুশি পরিবারের সদস্যরা।

    কথা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী, ভগবানতুল্য মোদি সরকার (CAA)

    নিয়ম অনুযায়ী, ‘ধর্মীয় শরণার্থী’ বলে ভারতে আশ্রয়প্রার্থী হলে তবেই সিএএ (CAA) মারফত নাগরিকত্ব পাওয়ার কথা। সেই মতো নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটার ঠাকুরনগরের শান্তিলতা বিশ্বাস। তাঁর স্বামী তারক বিশ্বাস মাস দেড়েক আগে হৃদয়পুরের এক সাইবার ক্যাফে থেকে অনলাইন আবেদন করেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের বাংলাদেশের খুলনায় বাড়ি। তারকবাবু বলেন, “হিন্দুদের ওপর সেখানে অত্যাচার হত। হিন্দু মেয়েদের কোনও নিরাপত্তা ছিল না। স্বাধীনভাবে আমরা চলাফেরা করতে পারতাম না। আমাদের বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে। চরম আতঙ্কে ছিলাম। মুসলিমদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে ৩৭ বছর আগে আমরা খুলনা ছেড়ে ভারতে চলে আসি। মোদিজির ভাষণ শুনে দেড় মাস আগে পোর্টালে আবেদন করি। বারাসত মুখ্য ডাকঘরে শুনানি হয়। আমার স্ত্রী শংসাপত্র পেলেও আমি এখনও তা পাইনি। আসলে শুনানির সময়ে অফিসার বলেছেন, বাংলাদেশে জন্মের নথি জমা দিলেই নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে যাব। সেটা জমা দেওয়ার চেষ্টা করছি।” নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পেয়ে শান্তিলতা বিশ্বাস বলেন, “এতদিন আমরা উদ্বেগে ছিলাম। মোদিজি কথা রেখেছেন। ভগবানতুল্য মোদি সরকার। আমার মতো যারা বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছে তাঁদের সকলকে আবেদন করতে বলব।”

    আরও পড়ুন: প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে! শনিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়

    কী বললেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি?

    অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা বিদায়ী কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, “উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়া জেলার অনেক উদ্বাস্তু মানুষ ইতিমধ্যে নাগরিকত্বের (CAA) শংসাপত্র পেয়েছেন। বাকিরাও পাবেন। প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দেন, তা পালন করেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “মোদির বিদেশনীতিই ভারতকে খ্যাতি এনে দিয়েছে”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “মোদির বিদেশনীতিই ভারতকে খ্যাতি এনে দিয়েছে”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার মোদি-স্তুতি শোনা গেল বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar) গলায়। তিনি জানালেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যে বিদেশনীতি নিয়েছে ভারত, তা দেশকে খ্যাতি দিয়েছে। এই বিদেশনীতির কারণেই তামাম বিশ্বে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে নয়াদিল্লি। শিমলায় বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে আলাপচারিতার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। সেখানেই তিনি মোদির উচ্চকিত প্রশংসা করেন।

    মোদির বিদেশনীতি (S Jaishankar)

    বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যে বিদেশনীতি ভারত গ্রহণ করেছে, তা আমাদের দেশকে সম্মান দিয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে ভারত বিশ্বগুরুর ভূমিকা পালন করবে।” গত কয়েক বছর ধরে ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে যে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, এদিনের অনুষ্ঠানে তা মেনে নিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তবে সীমান্তের নিরাপত্তার বেষ্টনী যে আগের চেয়ে অনেক আঁটসাঁট, অত্যাধুনিক পরিকাঠামোয় সুসজ্জিত, তাও মনে করিয়ে দেন বিদেশমন্ত্রী।

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    তিনি বলেন, “মোদি সরকার চিন সীমান্তের পরিকাঠামোর উন্নয়ন খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়ে দিয়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। ৩ হাজার কোটি টাকা থেকে এটা বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। চিন সীমান্তে থাকা সমস্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চওড়া এবং অল-ওয়েদার রাস্তা এবং সুড়ঙ্গ বানিয়েছি। দ্রুত যাতে সীমান্তে পৌঁছানো যায়, তাই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।” বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সময় যখন ভারত রাশিয়া থেকে সস্তায় অপরিশোধিত জ্বালানি কেনার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন বিশ্বের নানা অংশের চাপ আমাদের ওপর ছিল। কিন্তু আমরা সেগুলোর তোয়াক্কা করিনি। আমরা যখন কোয়াড গোষ্ঠীতে যোগ দিলাম, তখনও একই চাপ আসছিল চিনের কাছ থেকে। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমাদের দেশের স্বার্থের কথা ভেবে। তাতে আমরা সফলও হয়েছি।” এর পরেই তিনি বলেন, “এসবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে।”

    সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। তাই দেশবাসীর দায় একটা স্থায়ী সরকার নির্বাচন করার। এভাবে বিশ্ববাসীকে একটা বার্তা দিতে হবে।” দশ বছর আগের ভারতের সঙ্গে ‘বিকশিত ভারতে’র তুলনাও টেনেছেন বিদেশমন্ত্রী। বলেন, “দশ বছর আগে আমার মতো যাঁরা বিদেশ যেতেন, তাঁদের অনেক কথা শুনতে হত। আর আজ, বিশ্ববাসীর কাছে আমাদের একটা নয়া ইমেজ তৈরি হয়েছে। উন্নয়নের নিরিখেই এই ইমেজ তৈরি হয়েছে। ‘বিকশিত ভারতে’র জন্যই এই ইমেজ আমাদের তৈরি হয়েছে (S Jaishankar)।”

    আর পড়ুন: ‘পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কোটা গিলে খেয়েছে কংগ্রেস’, দাবি বিজেপির বিজ্ঞাপনী ভিডিওয়

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বিরোধীদের ‘ব্রহ্মাস্ত্রে’ই তাঁদের ঘায়েল করলেন প্রধানমন্ত্রী, কীভাবে জানেন?

    PM Modi: বিরোধীদের ‘ব্রহ্মাস্ত্রে’ই তাঁদের ঘায়েল করলেন প্রধানমন্ত্রী, কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করেছিলেন বিরোধীরা। তবে অস্ত্র প্রয়োগের সঠিক কৌশল না জানলে যে সেটি বুমেরাং হয়ে ফিরতে পারে, তা বোধহয় জানা ছিল না ইন্ডি জোটের নেতাদের! বিরোধীদের সেই ব্রহ্মাস্ত্রকেই হাতিয়ার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুধু হাতিয়ারই করলেন না, বিধোধীদের অস্ত্রেই কুপোকাত করলেন তাঁদের। হেঁয়ালি ছেড়ে আসা যাক খবরে।

    ‘ইন্ডি’র হাতিয়ার (PM Modi)

    দেশে চলছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছিল ভোটগ্রহণ-পর্ব। সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন হবে পয়লা জুন। এই নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছে পদ্ম-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম ‘ইন্ডি’। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই জোটের নেতারাই বিভিন্ন জনসভায় দাবি করেছেন, কেন্দ্রে ফের মোদি সরকার এলে বিপন্ন হবে সংবিধান। এই সংবিধান রক্ষার্থেই ইন্ডিয়া ব্লককে ভোট দেওয়া প্রয়োজন বলে গলা ফাটিয়েছিলেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী, তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ইন্ডি জোটের বিভিন্ন নেতা।

    পাল্টা বাণ মোদির

    বিরোধীদের এই ব্রহ্মাস্ত্রকেই হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) সেটি পাল্টা ছুড়েছেন বিরোধীদের দিকেই। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আপনারা যদি প্রকৃতই সংবিধান বাঁচাতে চান, গণতন্ত্র রক্ষা করতে চান, চান ওবিসিদের সংরক্ষণ, তাহলে আপনাদের উচিত বিজেপিকে ভোট দেওয়া।” কর্নাটকে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাকেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, “কীভাবে সংবিধানের বিধি লঙ্ঘন করে ধর্মের ভিত্তিতে মুসলমানদের সংরক্ষণের আওতায় আনা হল?”

    কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বড় খোলসা

    প্রধানমন্ত্রীর দাবি যে নিছক কথার কথা নয়, তার প্রমাণ মেলে কলকাতা হাইকোর্কের রায়েই। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীনই ২০১০ সালের পর পশ্চিমবঙ্গে যাঁদের ওবিসি শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে, সেগুলিকে ‘অবৈধ’ তকমা সেঁটে দিয়ে তা বাতিল করে দেয় উচ্চতর আদালত। আদালতের এই রায়কেও হাতিয়ার করে বিজেপি। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেসের চেয়ারম্যান হংসরাজ আহির জানান, রাজ্যের ওবিসি তালিকায় ১৭৯টি শ্রেণির নাম রয়েছে। এর মধ্যে ১১৮টি শ্রেণিই মুসলমান সম্প্রদায়ভুক্ত।

    আর পড়ুন: ফের ইডির জেরার মুখে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা, এবার তলব রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে

    রাহুল যখন বিজেপির বিরুদ্ধে সংবিধানকে দুর্বল করে দেওয়ার কথা বলছেন, তখনও তাকেই ‘বাণ’ হিসেবে বিরোধীদের দিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “ওরা (কংগ্রেস) ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে সংবিধানকে অপমান করতে চায়। কিন্তু আমি তাদের বলতে চাই, যতদিন আমি বেঁচে থাকব, আমি তাদের দলিত, এসসি-এসটি এবং ওবিসিদের সংরক্ষণের ভাগ কমিয়ে মুসলমানদের দিতে দেব না। ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ করতে দেব না।”

    উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের এক জনসভায়ও প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “বিরোধীরা মুসলমানদের সংরক্ষণের আওতায় আনতে সংবিধান বদলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” অন্যত্র তিনি বলেছিলেন, “ইন্ডি জোটের নেতারা সংবিধান বদলে দেবে। তারা আবার নতুন করে সংবিধান লিখবে। ভারতে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi:  “তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না,” বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির

    Narendra Modi: “তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না,” বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সপ্তম দফা ভোটের আগে বাংলায় শেষ সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের কাকদ্বীপের জনসভা থেকে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন মোদি। সেই সভায় বিজেপির প্রার্থী হিসাবে মথুরাপুরের অশোক পুরকাইত, জয়নগরের অশোক কান্ডারি এবং ডায়মন্ড হারবারের অভিজিৎ দাস উপস্থিত ছিলেন।

    তৃণমূলের একটাই অস্ত্র এটা হতে দেবো না‘ (Narendra Modi)

    তৃণমূল এবং জোট ‘ইন্ডিয়া’ কে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, “তৃণমূল এবং জোট ‘ইন্ডিয়া’ বাংলাকে উল্টো দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিজেপির প্রতি বাংলার ভালবাসা তৃণমূল সহ্য করতে পারছে না। সেই জন্য ওরা ক্ষেপে গিয়েছে। কী সব বলে। বাংলার প্রতি তৃণমূলের ঘৃণা দেখতে পাওয়া যায়। ওদের কাছে একটাই অস্ত্র – ‘এটা হতে দেবো না’। উন্নয়নের জন্য মোদি যা করে, তৃণমূল হতে দেব না বলে বাধা দেয়।

    বাচ্চাদের মিড-ডে মিলেও কাটমানি চায় তৃণমূলের

    তৃণমূলকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, ‘‘আমরা সত্তরোর্ধ্বদের জন্য আয়ুষ্মান প্রকল্প এনেছি। কিন্তু তৃণমূল বলছে, ‘‘বাংলায় এটা হতে দেবো না’। কেন্দ্র সরকার মৎস্যজীবীদের এত যোজনা চালাচ্ছে। কত টাকা দিয়েছি। কিন্তু তৃণমূল সেই সব যোজনা হতে দেয়নি। তৃণমূলের মানুষের জন্য কোনও সহানুভূতি নেই। শুধু তোলাবাজ এবং কাটমানি নিয়েই ওদের যত ভাবনা। এই তৃণমূলকে কি সাজা দেবেন না? মথুরাপুরে নদী কাটা বন্ধ করতে কেন্দ্র টাকা পাঠায়। তৃণমূল সেই টাকা খেয়ে নিয়েছে। তৃণমূল সব কাজে কাটমানি চায়। বাচ্চাদের মিড-ডে মিলেও কাটমানি চাই ওদের।’’

    মুসলিমদের ভুয়ো ওবিসি সার্টিফিকেট দিচ্ছে তৃণমূল

    এদিনের সভা থেকে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করে মোদি (Narendra Modi) বলেন, “তৃণমূল রামমন্দিরকে অপবিত্র বলে। এমন দল বাংলার সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারবে না। তুষ্টিকরণের জন্য সংবিধানের ওপরও হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। আমাদের সংবিধান দলিতদের সংরক্ষণ দিয়েছে। কিন্তু, বাংলায় তার লুট হয়েছে। মুসলিমদের ভুয়ো ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে।”

    তৃণমূল বাংলার অস্তিত্ব নষ্ট করতে চায়

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, “তৃণমূল মঠ এবং সন্তদের অপমান করে। রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম এবং ইসকনের মতো প্রতিষ্ঠানের সন্তদের অপমান করে গালিগালাজ দেই। তৃণমূলের গুণ্ডা এই সব মঠে হামলা চালাচ্ছে। মোদি আরও বলেন, “ভারত বিশ্বের পঞ্চম বড় অর্থনীতি থেকে তৃতীয় বড় অর্থনীতি হতে চলেছে। বিকশিত ভারতের জন্য বিকশিত বাংলা হওয়ার প্রয়োজন। চার জুন থেকেই বিকশিত ভারত নির্মাণ হবে। এই জন্য বাংলা থেকে বিজেপি প্রার্থীদের জেতাতে হবে। এই জন্য আপনাদের আশীর্বাদ চাই।”

    এই নির্বাচন আলাদা!

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, “এই নির্বাচনে বাংলায় এটা আমার শেষ সভা। এরপর আমি ওড়িশা, পঞ্জাবে চলে যাব। আমার শেষ সভায় এই পবিত্র মাটিতে আসার সুযোগ পেয়েছি। এই নির্বাচন আলাদা এবং অদ্ভুত। মানুষ ১০ বছরের উন্নতি এবং ৬০ বছরে দুর্দশা দেখেছে। ভারতে অনাহারের ছিল। যে দেশ আমাদের থেকে ছোট ছিল, তারা কোথায় পৌঁছে গিয়েছে। আমাদের কাছে যুব সম্প্রদায় এবং এত বুদ্ধিমত্তা থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশ পিছিয়ে ছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। সারা বিশ্বে ভারতের গুণগান হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নির্বাচনী প্রচার শেষে তিনদিনের জন্য কন্যাকুমারীতে ধ্যানে বসবেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: নির্বাচনী প্রচার শেষে তিনদিনের জন্য কন্যাকুমারীতে ধ্যানে বসবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মাস দুয়েক ধরে কার্যত চষে বেড়িয়েছেন গোটা দেশ। শেষ তথা সপ্তম দফার নির্বাচন হবে পয়লা জুন। তার আটচল্লিশ ঘণ্টা আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে প্রচার। ভোটের ফল বের হবে ৪ জুন। মাঝের এই সময়টাকেই কন্যাকুমারীতে ধ্যানের জন্য বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    কেন কন্যাকুমারীকে বাছলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, ৩০ মে থেকে তিনদিনের জন্য এখানে ধ্যান করবেন প্রধানমন্ত্রী। কন্যাকুমারীতে একটি পাথর রয়েছে। হিন্দুদের বিশ্বাস, ভগবান শিবকে পতি হিসেবে পাওয়ার জন্য এই পাথরের ওপর এক পায়ে ঠায় দাঁড়িয়ে তপস্যা করেছিলেন কুমারী পার্বতী। তাই এই এখানকার নাম কন্যাকুমারী। ১৮৯২ সালে এই প্রস্তরখণ্ডের ওপর বসে তিনদিন ধরে তপস্যা করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দও। মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তাল সমুদ্র সাঁতরে তিনি গিয়েছিলেন ওই পাথরে। পরবর্তীকালে এই প্রস্তরখণ্ডের নাম হয় বিবেকানন্দ রক। ভারতের দক্ষিণতম বিন্দু এটি (PM Modi)। এবার সেই একই পাথরের ওপর বসে তিনদিন ধ্যান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। 

    প্রধানমন্ত্রী ধ্যান করেছেন আগেও

    ২০১৪ সালের প্রচার শেষেও (এই বছরই কেন্দ্রের কুর্সিতে বসে মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার) প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন শিবাজির প্রতাপগড়ে। এখানেই শিবাজির সঙ্গে যুদ্ধ হয়েছিল আফজল খাঁর। উনিশের নির্বাচনের প্রচারের শেষে তিনি গিয়েছিলেন কেদারনাথের এক গুহায় ধ্যান করতে। এবার যাবেন তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীতে।

    আর পড়ুন: “শুধু তাজমহলই ভারত নয়, এদেশে আরও অনেক পর্যটনস্থল রয়েছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মূল ভূখণ্ড থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের মধ্যে রয়েছে এই বিশেষ পাথর। পাথরটির চারদিকে খেলা করছে ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরের ঊর্মিমালারা। সেখানেই রয়েছে ‘ধ্যান মণ্ডপম’। এই মণ্ডপেই ধ্যানমগ্ন হবেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁকে দিয়ে কোনও বিশেষ কাজ করাতে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন পরমাত্মা। কীভাবে সেই কাজ তাঁকে দিয়ে করিয়ে নিচ্ছেন, তা তিনি জানেন না।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই পরমাত্মার সঙ্গে যোগসাধন করতেই ধ্যানমগ্ন হবেন ‘ঋষি’-প্রধানমন্ত্রী। কন্যাকুমারীতেই মিশেছে ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলও। রাজনৈতিক মহলের মতে, ধর্মীয় তাৎপর্যের পাশাপাশি এই জায়গায় ধ্যানমগ্ন হয়ে দেশবাসীকে ঐক্যের বার্তাও দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: তিলোত্তমায় প্রথম রোড-শো প্রধানমন্ত্রীর, কলকাতা দেখল গণ-উন্মাদনা

    PM Modi: তিলোত্তমায় প্রথম রোড-শো প্রধানমন্ত্রীর, কলকাতা দেখল গণ-উন্মাদনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় প্রথম রোড-শো করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গল-সন্ধ্যায় শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করে সূচনা হয়েছিল যে যাত্রার, সেই যাত্রাই শেষ হল আড়াই কিলোমিটার দূরে স্বামীজির বাড়ির সামনে গিয়ে, বিবেকানন্দকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী তাপস রায়ের সমর্থনে এদিন রোড-শো করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ফুলেল রাস্তার বুক চিরেই চলল প্রধানমন্ত্রী যান (PM Mod)

    রাজ্যের আরও আটটি আসনের সঙ্গে এই কেন্দ্রেও নির্বাচন হবে পয়লা জুন, সপ্তম তথা শেষ দফায়। রোড-শো শুরুর সময় প্রধানমন্ত্রীর দু’পাশে বঙ্গ বিজেপির দুই প্রধান সৈনিক – রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন দমদমের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত-ও। রোড-শো শুরু হতেই তাপসকে এগিয়ে দিয়ে পিছনে চলে যান শুভেন্দু। যাত্রা পথের (PM Modi) পুরোটা জুড়েই ছিল ফুল ছড়ানো। সেই ফুলেল রাস্তার বুক চিরেই ধীর লয়ে এগিয়ে চলে প্রধানমন্ত্রীর যান। প্রধানমন্ত্রীকে এক ঝলক দেখতে রাস্তার দু’ধারে ভিড় করেছিলেন লাখো জনতা। তাঁরা কেউ স্লোগান দিয়েছেন জয় শ্রীরাম, কাউকে আবার বলতে শোনা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি জিন্দাবাদ। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে হাতজোড় করে প্রণামও করতে দেখা গেল একজনকে।

    প্রধানমন্ত্রীর উদারতা

    রোড-শো শুরুর আগে বাগবাজারে সারদা দেবীর বাড়িতে গিয়ে প্রার্থনা করেন প্রধানমন্ত্রী। দেখা করেন মহারাজদের সঙ্গে। এখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় প্রসাদী শাল, ধুতি, চাদর, বই, সারদা মায়ের ছবি এবং নির্মাল্য। প্রধানমন্ত্রী তাঁর হয়ে সভা করতে আসায় যারপরনাই খুশি তাপস। বলেন, “এ হল প্রধানমন্ত্রীর উদারতা। এত বড় নেতা, দেশের নেতা, উনি আমার জন্য প্রচার করতে এসেছেন।” রোড-শোয়ের আগে এদিন নির্বাচনী সভা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    সেখানে বলেন, “আগে আপনাদের বলেছিলাম না, না খায়ুঙ্গা, না খানে দুঙ্গা। কথা রেখেছি। গত দশ বছরে কেন্দ্রে কোনও দুর্নীতি হতে দিইনি। আর এবার পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বলছি, যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের বের করে দেব। আর যাদের থেকে খেয়েছে, তাদের সব ফিরিয়ে দেব।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তৃণমূলের নেতাদের কাছে যে নোটের পাহাড় দেখা গিয়েছে, সেই সব টাকার হিসেব হবে। কীভাবে ফেরত পাবেন, তা আমি দেখছি। আইন তৈরি করে সেই টাকা ফেরত দেব (PM Modi)।”

    আর পড়ুন: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি”, সপ্তম দফার আগেই জানিয়ে দিলেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share