Tag: PM Modi

PM Modi

  • T20 World Cup: দেশে ফিরলেন বিশ্বজয়ীরা, আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত বিরাট-রোহিতদের

    T20 World Cup: দেশে ফিরলেন বিশ্বজয়ীরা, আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত বিরাট-রোহিতদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে বাধা-বিঘ্ন কাটিয়ে ঘরে ফিরল সোনার ছেলেরা। টি২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup) নিয়ে দেশে ফিরল ভারতীয় ক্রিকেট দল (Team India)। আজ, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা নাগাদ রোহিতরা দেশের মাটি ছুঁতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে ভারতীয় ক্রিকেট অনুরাগীরা। এদিন সকাল ১১টার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করার কথা বিশ্বজয়ীদের। প্রধানমন্ত্রী নিজে তাঁদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এরপর সারাদিন উৎসবের পালা। তারপর ঘরে ফিরে বিশ্রাম।

    আবেগে ভাসল ভক্তরা (T20 World Cup)

    ঘরের মাটিতে ভারতের বিশ্বকাপ (T20 World Cup) হাত ছাড়ার আক্ষেপ হয়তো সবে ভুলতে বসেছিল ক্রিকেটপ্রেমীরা। ঠিক তখনই ভারতকে বিশ্বকাপ এনে দিল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপ ঘরে তুলল রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ব্রিগেড। মাঝরাত থেকেই দিল্লি বিমানবন্দর চত্বর ছেয়ে গিয়েছিল ভারতীয় দলের জার্সি পরা, জাতীয় পতাকা গায়ে জড়ানো সমর্থকের ভিড়ে। বিরাট-রোহিতদের পোস্টারও থিকথিক করছিল। ১৭ বছর পরে দেশে এসেছে টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের ট্রফি। ফলে উচ্ছ্বাসের মাত্রাও বেশি। এদিন টিম ইন্ডিয়া বিমানবন্দর থেকে বেরোতেই বাঁধ ভেঙে যায় সমর্থকদের। সামাল দিতে হিমসিম খেতে হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। সমর্থকদের উদ্দেশে হাতও নাড়েন বিরাট। 

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত

    রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬টার কিছু পরেই দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করে রোহিতদের চার্টার্ড উড়ান। সেই বিমানে করেই দেশে ফিরেছেন ক্রিকেটারদের পরিবার, বিসিসিআই কর্তা এবং ক্যারিবিয়ানে আটকে পড়া ভারতীয় সাংবাদিকরা। এরপর পৌনে ৭টা নাগাদ রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে টিম (Team India) বাসে উঠে পড়েন। আজ বিশ্বজয়ী এই ভারতীয় ক্রিকেট দলের দেখা করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। বিসিসিআই সূত্রের খবর, আজ সকাল ১১টা নাগাদ ‘মেন ইন ব্লু’ দেখা করতে যাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। তিনি তাঁদের সকলকে নিজের বাসভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

    রোহিতদের সারাদিন (T20 World Cup)

    বিসিসিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দিল্লিতে টিম (Team India) হোটেলে পৌঁছেছে ভারতীয় দল, সেখানেই রোহিতদের জন্য বিশেষ কেকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত সেরে দিল্লি থেকে ক্রিকেটাররা বিকেলের বিমানে পৌঁছবেন মুম্বই। সেখানে কার্যত জনপ্লাবন হবে। কারণ মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্ট থেকে বিজয়যাত্রা করার কথা টিম ইন্ডিয়ার। হুডখোলা বাসে বিশ্বকাপ (T20 World Cup) ট্রফি নিয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম পর্যন্ত হবে এই বিজয় প্যারেড। সেই প্যারেডে অংশ নেওয়ার জন্যে ক্রিকেটপ্রেমীদের আহ্বান জানান খোদ বিশ্বজয়ী অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সন্ধ্যায় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে হবে বিশেষ অনুষ্ঠান। বিশ্বজয়ীদের দেওয়া হবে সংবর্ধনা, আর্থিক পুরস্কার। 

    বিমান-বিতর্ক

    প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য বার্বাডোজেই আটকে পড়েছিলেন বিশ্বজয়ীরা (T20 World Cup)। ক্যারিবিয়ান থেকে রোহিতদের (Team India) দেশে ফেরাতে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান নিউ ইয়র্ক থেকে গিয়েছিল বার্বাডোজে। এবার তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল। দাবি করা হয়, সেই বিমানটি নিউ ইয়র্ক-দিল্লির উড়ানের জন্যে নির্ধারিত ছিল। এই আবহে সেই উড়ান বাতিল করে এই বিমানটি বার্বাডোজ থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। এনিয়ে বুধবার এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে রিপোর্ট তলব করে দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA)। উল্লেখ্য, উড়ান বাতিল ডিজিসিএ-র অসামরিক বিমান পরিবহণ বিধির গুরুতর লঙ্ঘন। এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল এক বিমান আধিকারিক বলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিমান বাতিল করতে হয়েছিল, যার পরে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। তখনই বি৭৭৭-কে বার্বাডোজে পাঠানো হয়। এয়ার ইন্ডিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়, উড়ান বাতিলের বিষয়ে যাত্রীদের আগে থেকে অবগত করা হয়েছিল এবং এর জন্যে বিকল্প ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নিট প্রশ্ন ফাঁসকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: নিট প্রশ্ন ফাঁসকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিট বিতর্কে (NEET Controversy) মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বুধবার রাজ্যসভায় দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তব্যে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা উল্লেখ করেছেন। আমি আশাকরি, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে গোটা হাউস এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। এটা দেশের ভবিষ্যতের জন্য খুবই উদ্বেগের।” রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাব পর্ব চলছে রাজ্যসভায়। এই সভায়ই বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তি দেওয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “আমি আমার দেশের তরুণদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে এই সরকার তাদের রেয়াত করবে না যারা আপনাদের প্রতারণা করেছে, কেলেঙ্কারিতে যুক্ত রয়েছে।” তিনি বলেন, “যারা আমাদের দেশের তরুণ ভবিষ্যৎকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে তাদের জবাবদিহি করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা কঠোর আইন লাগু করেছি এবং পুরো ব্যবস্থাটাই নিশ্চিদ্র করার ব্যবস্থা করছি।”

    ছাত্রদরদি সরকার

    তাঁর সরকার যে ছাত্রদরদি, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সরকার এমন একটা পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে, যেখানে পড়ুয়ারা মন দেবে কেবল পড়াশোনায়, পরীক্ষার কোনও ভীতি তাদের থাকবে না।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আমাদের দেশের তরুণদের আশ্বস্ত করছি এই বলে যে, যারা আপনাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে (NEET Controversy), এই সরকার তাদের রেয়াত করবে না।”

    আর পড়ুন: “এর থেকে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?”, চোপড়াকাণ্ডে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    ডাক্তারিতে ভর্তি হতে গেলে পাশ করতে হয় নিট ইউজি পরীক্ষা। এই পরীক্ষায়ই প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতিও হয়েছে বলে অভিযোগ। তার জেরে ব্যাপক হইচই হয় দেশজুড়ে। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে আইন আনে সরকার। নির্দেশ দেয় সিবিআই তদন্তের। রাতারাতি সরিয়ে দেওয়া হয় (PM Modi) এনটিএ-র (এই সংস্থাই পরীক্ষাটি নেয়) ডিরেক্টরকে। এদিকে, এদিনই এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান লেখেন, “ইন্ডি জোটের উদ্দেশ্যই হল মিথ্যা ও জল্পনার আশ্রয় নিয়ে আসল ইস্যু থেকে নজর ঘোরানো। এটা দেশ বিরোধী এবং শিক্ষার্থীদেরও বিরোধী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “এর থেকে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?”, চোপড়াকাণ্ডে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “এর থেকে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?”, চোপড়াকাণ্ডে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এর থেকে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে? বড়া বড় নেতারাও গতকাল থেকে এই বিষয়ে (চোপড়াকাণ্ডে) দুঃখ প্রকাশ করেননি। যাঁরা নিজেদের অত্যন্ত প্রগতিশীল নেত্রী মনে করেন, তাঁরাও চুপ করে রয়েছেন কারণ এটা তাঁদের রাজনৈতিক জীবন বা দল কিংবা রাজ্যের সঙ্গে জড়িত।” বুধবার চোপড়াকাণ্ডে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। 

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    এদিন রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের জবাবি ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, “যেহেতু বিষয়টি রাজনৈতিক জীবন বা দল কিংবা রাজ্যের সঙ্গে জড়িত, তাই মহিলাদের কষ্ট উপেক্ষা করা হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি যে যখন বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এই সব বিষয় এড়িয়ে যান, তা দেশকে বেদনা দেয়। কষ্ট সহ্য করতে হয় আমাদের মা-বোনেদের।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এটা দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় যে সংবেদনশীল বিষয়গুলিতেও যখন রাজনীতি জড়িয়ে পড়ে, তখন জনগণকে কষ্ট ভোগ করতে হয়, বিশেষ করে মহিলাদের। মহিলাদের প্রতি অত্যাচার নিয়ে বিরোধীদের এই বাছাই করা মনোভাব অত্যন্ত উদ্বেগের।”

    ভিডিও করায় উষ্মা

    চোপড়ায় যুগলকে যেভাবে মারধর করা হচ্ছিল, কেউ তার প্রতিবাদ না করে ভিডিও করায় উষ্মা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “কোনও রাজ্যের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট করে কিছু বলছি না। রাজনৈতিক ফয়দা নেওয়ার জন্যও কিছু বলছি না। কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া পশ্চিমবঙ্গের একটা ভিডিও দেখলাম। একজন মহিলাকে সকলের সামনে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হচ্ছে। বোনটা চিৎকার করছিল। কিন্তু ওখানে দাঁড়িয়ে থাকা কেউ তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। ভিডিও বানাতে ব্যস্ত ছিলেন।” সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটছে, তার ছবি দেখলে শিউরে উঠতে হয়। এর থেকে বড় লজ্জাজনক ও দুঃখজনক বিষয় আর কিছু হতে পারে না।”

    আর পড়ুন: “আলোচনার কোনও সীমাবদ্ধতা নেই”, মোদির রাশিয়া সফর নিয়ে বলল মস্কো

    প্রসঙ্গত, রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) দেখা যায়, এক তরুণীকে রাস্তায় ফেলে মারছেন একজন। মারধর করা হচ্ছে এক তরুণকেও। অভিযোগ, যিনি মারছেন, তিনি তৃণমূল নেতা তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Russia Relation: “আলোচনার কোনও সীমাবদ্ধতা নেই”, মোদির রাশিয়া সফর নিয়ে বলল মস্কো

    India Russia Relation: “আলোচনার কোনও সীমাবদ্ধতা নেই”, মোদির রাশিয়া সফর নিয়ে বলল মস্কো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আলোচনার কোনও সীমাবদ্ধতা নেই।” ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (India Russia Relation) বৈঠকের আগে এমনই বললেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

    রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী (India Russia Relation)

    ৮ জুলাই রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের (Modi Putin Meet) এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেই আলোচনার সীমাবদ্ধতা নেই বলেই জানিয়ে দিল মস্কো। তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমেই রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি মস্কোভা নদীর পাড়ের শহরে গিয়েছিলেন পাঁচ বছর আগে, ২০১৯ সালে। ২০২১ সালে ভারতে এসেছিলেন পুতিন (India Russia Relation)। এবার ফের রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

    আলোচ্যসূচি কী জানেন?

    আধিকারিকদের মতে, মোদি এবং পুতিন বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সুরক্ষা, বাণিজ্য এবং আরও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। পেসকভ বলেন, “আমরা (রাশিয়া ও ভারত) যৌথভাবে একীকরণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিই। তাই আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়, আঞ্চলিক সুরক্ষা এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা সর্বদাই আলোচ্যসূচির ওপরের দিকে থাকে। এছাড়াও, আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক ইন্টারঅ্যাকশনও থাকবে আলোচ্যসূচিতে।”

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। রাশিয়া থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনা বন্ধ করে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের কিছু দেশ। এহেন আবহে রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাই বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে ক্রেমলিন। পুতিন সরকারের ওই আধিকারিক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মস্কো ও নয়াদিল্লির মধ্যে রয়েছে মিউচুয়াল পলিটিক্যাল উইল। সেই কারণেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাড়বে দুই দেশের সহযোগিতা।”

    আর পড়ুন: “রাষ্ট্রপতি-রাজ্যপালকে অমান্য করা বাংলার ট্র্যাডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে”, তোপ সৌমিত্রর

    পেসকভ বলেন, “রাষ্ট্রপতি পুতিন ও প্রধানমন্ত্রী মোদির মধ্যে সম্পর্কের খুব বিশ্বাসযোগ্য জায়গা রয়েছে। আমরা আশা করতে পারি, আলোচ্যসূচিতে থাকা সমস্ত বিষয়েই মত বিনিময় হবে।” তিনি বলেন, “এই সফর (মোদির) সম্পর্কে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করব পরে। আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনার পরেই এ বিষয়ে জানাব। তবে একটা কথা বলতে পারি, মোদির রাশিয়া সফরের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারা।”

    প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি মোতাবেক দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা (Modi Putin Meet) বছরে একবার করে বৈঠক করার কথা। ২০১৯ সাল পর্যন্ত একবারের জন্যও অন্যথা হয়নি এই চুক্তির (India Russia Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hathras Stampede Incident: হাথরসের ঘটনায় মৃত শতাধিক, শোকস্তব্ধ দেশ, যোগীর সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রীর

    Hathras Stampede Incident: হাথরসের ঘটনায় মৃত শতাধিক, শোকস্তব্ধ দেশ, যোগীর সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাথরসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট (Hathras Stampede Incident) হয়ে মৃতের সংখ্যা শতাধিক। বুধবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১২১। বহু মানুষ গুরুতর আহত অবস্থায় সে রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনায় দেশ জুড়ে শোকের ছায়া। শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সহ সমাজের একাধিক ব্যক্তিত্ব। এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

    ঘটনার উচ্চপর্যায়ে তদন্ত (Hathras Stampede Incident) 

    এটার পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিং বলেন, “হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। কেন এবং কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনাটির খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন আগ্রার অতিরিক্ত ডিজি। ঘটনার খবর পেয়ে মুঘলাগড়ি গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধরী এবং সন্দীপ সিং। রাজ্য পুলিশের ডিজিও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা

    হাথরসের ঘটনায় (Hathras Stampede Incident) শোকস্তব্ধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গোটা পরিস্থিতির উপর কেন্দ্রীয় সরকার নজর রাখছে বলে জানান তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গেও কথা বলেন। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

    ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।  শোক জানিয়েছেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং সহ একাধিক শীর্ষ নেতা। শোক জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনা খুবই দুঃখজনক। মৃতদের পরিজনের প্রতি সমবেদনা।

    হাথরসে কী ঘটেছিল (Hathras Stampede Incident) 

    মঙ্গলবার মুঘলাগড়ির ফুলরাই গ্রামে, ভোলে বাবা নামে একজন ধর্মগুরু সৎসঙ্গের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে প্রায় ৮০ হাজার ভক্ত ভিড় জমান। মঞ্চের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর যখন সৎসঙ্গ (Hathras Satsang) প্রচারক মঞ্চ থেকে নামছিলেন, ঠিক সেই সময়ই ভক্তদের ভিড় তাঁর দিকে এগোতে শুরু করে। এভাবে হুড়োহুড়ি করে’বাবাকে’ ছুঁতে গিয়েই নিজেদের জীবন শেষ করে দিলেন ভক্তরা।  সেবায়েতরা ভিড় সামলাতে গেলে  বহু মানুষ পদদলিত হন। ছোট জায়গায় এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে গিয়েই সমস্যা, বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।

    কোথায় সেই স্বঘোষিত ধর্মগুরু

    ঘটনার (Hathras Stampede Incident) পর রাত পেরিয়ে সকাল হয়ে গেলেও, এখনও দেখা নেই ঘটনার কেন্দ্রে থাকা সেই স্বঘোষিত ধর্মগুরু সাকার বিশ্ব হরি ভোলে বাবা’র । মঙ্গলবার বিকেলে উত্তর প্রদেশের হাথরাসে একটি ‘সৎসঙ্গ’ তথা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বহু মানুষ। অনুষ্ঠান শেষে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক তথা ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ইতিমধ্যেই। পুলিশের অনুমান, ফুলরাই গ্রাম, অর্থাৎ যেখানে ওই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে অন্তত ১০০ কিলোমিটার দূরে মাইনপুরীর আশ্রমে রয়েছেন ‘ভোলেবাবা’। হাথরসে এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। নামানো হয়েছে ডগ স্কোয়াড। ফরেনসিক পরীক্ষাও চলছে। একযোগে কাজ করছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ, এনডিআরএফ। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানান,  রাজ্য সরকার এই ঘটনার তদন্ত করছে । এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র আছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবেন না”, রাহুলের ‘হিন্দু’-মন্তব্য প্রসঙ্গে বললেন মোদি

    PM Modi: “মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবেন না”, রাহুলের ‘হিন্দু’-মন্তব্য প্রসঙ্গে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবেন না।” মঙ্গলবার এই ভাষায়ই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবারই লোকসভায় হিন্দুদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ওয়েনাড়ের সাংসদ। তার জেরেই এদিন তিনি চলে আসেন প্রধানমন্ত্রীর চাঁদমারিতে। রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুর ভাষণের ওপর চলছে মোশন অফ থ্যাংকস।

    ‘ঈশ্বরের ছবি দেখানোয় দেশবাসী আঘাত পেয়েছেন’ (PM Modi)

    এই প্রসঙ্গেই লোকসভায় বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, “শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবেন না…হিন্দুরা সহনশীল। সেই হিন্দুদের মিথ্যে অভিযোগে অভিযুক্ত করতে ষড়যন্ত্র চলছে। বলা হচ্ছে, হিন্দুরা হিংস্র।” তিনি বলেন, “এটা আপনার চরিত্র, মননে এবং ঘৃণায়।” সংসদে ঈশ্বরের ছবি দেখানোয় দেশবাসী আঘাত পেয়েছেন বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “তাঁরা আমাদের ঈশ্বরদের অপমান করেছেন। জিনকে দর্শন হোতে হ্যায়, উনকে প্রদর্শন নহি হোতে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গতকালের ঘটনা দেখে হিন্দুদের ভাবতে হবে এটা (লোকসভায় শিবের ছবি দেখানো) কী কাকতালীয় না কি পূর্বপরিকল্পিত।”

    রাহুলকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর

    রাহুলকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সহানুভূতি কুড়োনোর একটা প্রবণতার সৃষ্টি হয়েছে। আমি একটি শিশুর সম্পর্কে বলতে চাই যে স্কুল থেকে ফিরে মাকে বলছে স্কুলে তাকে মারধর করা হয়েছে। শিশুটি তার মাকে বলল না যে স্কুলে সে একজনকে গালি দিয়েছে, একটি শিশুর বই ছিঁড়ে দিয়েছে এবং একজনের টিফিন চুরি করেছে। গতকাল আমরা সংসদে একটি শিশুসুলভ আচরণ দেখেছি। এটা করা হয়েছিল স্রেফ সহানুভূতি কুড়োতে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাইহোক, গোটা দেশ জানে এই ব্যক্তি একটি দুর্নীতি মামলায় জামিনে ছাড়া পেয়েছেন, একজন ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষকে চোর বলায় সাজা পেয়েছেন, বীর সাভারকরকে অপমান করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।”

    আর পড়ুন: নিট-পিজিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে অভিনব বন্দোবস্ত, কী হচ্ছে জানেন?

    প্রসঙ্গত, সংসদে বক্তৃতা দিতে গিয়ে রাহুল (Rahul Gandhi) বলেছিলেন, “হিন্দুরা কখনওই হিংসা ছড়ায় না। কিন্তু বিজেপি গোটা দেশে হিংসা এবং ঘৃণা ছড়িয়ে চলেছে। যদিও আমাদের মনে রাখতে হবে যে বিজেপি এবং আরএসএসই সম্পূর্ণ হিন্দু সম্প্রদায় নয়।” ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি ভগবান শিবের ছবিও দেখিয়েছিলেন। এদিন লোকসভায় তারই জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “লোকসভায় রাহুল গান্ধীর মতো আচরণ করবেন না”, এনডিএ-র বৈঠকে বললেন মোদি

    PM Modi: “লোকসভায় রাহুল গান্ধীর মতো আচরণ করবেন না”, এনডিএ-র বৈঠকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “লোকসভায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মতো আচরণ করবেন না।” মঙ্গলবার এনডিএ-র (NDA) পার্লামেন্টারি বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর এই প্রথম এনডিএর সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মোদি। সেখানেই লোকসভায় কী রকম আচরণ করতে হয়, নয়া সাংসদদের সেই বিষয়ে পরামর্শ দিতে গিয়ে রাহুলের প্রসঙ্গ টানেন প্রধানমন্ত্রী।

    বিরোধীদের কটাক্ষ মোদির (PM Modi)

    একজন চা-বিক্রেতা কীভাবে পর পর তিনবার প্রধানমন্ত্রী পদে বসলেন, কীভাবেই বা তিনি ছুঁয়ে ফেললেন স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহরুর রেকর্ড, এদিনের বৈঠকে সেই কাহিনিও শোনান নব নির্বাচিত এনডিএ সাংসদদের। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “বিরোধীপক্ষের সদস্যদের পূর্বপুরুষ (নিশানায় নেহরু-গান্ধী পরিবার) প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাই তাঁরা নিজেদের বৃত্তের বাইরের লোকজনকে খুব একটা মান্যতা দেন না।”

    সাংসদদের কী পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী?

    তিনি বলেন, “আপনারা সবাই পড়াশোনা করে এসে যে কোনও বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলুন, আলোচনায় অংশ নিন।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “সাংসদদের তাঁদের এলাকায় জনসাধারণের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।” জনকল্যাণে কেন্দ্রীয় সরকার যেসব প্রকল্প চালু করেছে, সেগুলি সম্পর্কেও জনগণকে অবহিত করার পরামর্শও দেন প্রধানমন্ত্রী। কোনও না কোনও ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের পরামর্শও এনডিএ (NDA) সাংসদদের দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণের পর সংসদের উভয় কক্ষে ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। এরই মাঝে এনডিএর সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।

    আর পড়ুন: রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন মোদি, আমেরিকাকে ঠিক কোন বার্তা দিতে চাইছে ভারত?

    বৈঠকের শেষে, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সাংসদদের অনেক পরামর্শ দিয়েছেন।” তিনি বলেন, “পার্লামেন্টে রাহুল গান্ধীর ভাষা ঠিক ছিল না। তাই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সংসদে আমাদের এমন আচরণ করা উচিত নয়।” তিনি বলেন, “নিয়ম মেনে প্রত্যেক সাংসদকে হাউসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের কাজকে বেশি করে গুরুত্বও দিতে বলেছেন তিনি।”

    রিজিজু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আজ আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্র দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশের সেবা করতেই জনগণ নির্বাচন করেছেন সাংসদদের। তাই দলমত নির্বিশেষে দেশের কাজকেই তাঁদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত।” পরিবেশ, সমাজ, রাজনীতি – যাঁর যে বিষয়ে আগ্রহ, তাঁর সেই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন মোদি, আমেরিকাকে ঠিক কোন বার্তা দিতে চাইছে ভারত?

    PM Modi: রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন মোদি, আমেরিকাকে ঠিক কোন বার্তা দিতে চাইছে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে ‘আক্রমণাত্মক খেলতে’ চাইছে নরেন্দ্র মোদির সরকার (PM Modi)। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের সিংহভাগের মতে, সেই কারণেই তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়েই রাশিয়া (Russia) সফরে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি।

    ভারত-রাশিয়ার পুরানো বন্ধুত্ব (PM modi)

    রাশিয়া ভারতের দীর্ঘদিনের পুরানো বন্ধু। ঠান্ডা যুদ্ধের যুগে যে বন্ধুত্বের সূচনা হয়েছিল, সেই বন্ধুত্ব আজও অটুট। অথচ এই সময়ের মধ্যে বদলেছে বিশ্বের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি। পরিবর্তন হয়েছে বৈশ্বিক রাজনীতির প্রেক্ষাপট। শুরু হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভর করে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে রাশিয়ার অর্থনীতি, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় সেই তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে পাশ্চাত্যের বহু দেশ। ভারত যাতে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল না কেনে, সে চেষ্টাও করেছিল জো বাইডেনের দেশ।

    অপ্রতিরোধ্য মোদির ভারত!

    অবশ্য তার পরেও রোখা যায়নি নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভারতকে। বিপদের সময় স্বার্থপরের মতো ছেড়ে দেয়নি মস্কোর বন্ধুত্বের হাত। বরং আমেরিকার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিয়মিত তেল কিনে গিয়েছে নয়াদিল্লি। এবং এখনও তেল কিনে চলেছে। যার জেরে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়েছে আরও মজবুত। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই তৃতীয়বার দিল্লির কুর্সিতে বসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাচ্ছেন রাশিয়া সফরে। এতে এক ঢিলে অনেকগুলি পাখি মারার চেষ্টা করছেন পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ নরেন্দ্র মোদি। তাঁর এই রাশিয়া সফরে এক দিকে যেমন বার্তা দেওয়া যাবে আমেরিকাকে, তেমনি রাশিয়াকে বুঝিয়ে দেওয়া যাবে ফিকে হয়ে যায়নি ভারত-রাশিয়ার সম্পর্কও।

    ভারতকে পাশে পেতে মুখিয়ে সবাই

    মোদি জমানায় ভারত (PM Modi) হয়ে উঠেছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্রশক্তি। তাই মোদির ভারতকে পাশে পেতে মুখিয়ে বিশ্বের বহু দেশ। ভারতের মজবুত অর্থনীতি, এ দেশের বিশাল বাজার, তরুণ কর্মশক্তির প্রতুলতা এবং অবশ্যই উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে বর্তমানে ভারতকে সমঝে চলতে শুরু করেছে বিশ্বের বহু দেশ। এহেন আবহেই তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হয়েই মোদি ছুটছেন মস্কোয়। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হয়েও মোদি গিয়েছিলেন রাশিয়ায়। বৈঠক করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। আগামী ৮ জুলাই আবারও রাশিয়া সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। মস্কোভা নদীর (Russia) পাড়ে ফের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে মোদি-পুতিনের।

    নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ক তলানিতে

    উনিশে মোদির রাশিয়া সফরের পরেই ভারতের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ঘনিষ্ঠ হয়েছিল বন্ধুত্ব। প্রেসিডেন্ট পদে বাইডেন বসার পরে মজবুত হয়েছিল সেই বন্ধুত্বও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই পর্বে আমেরিকা ও রাশিয়া দুই দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রেখে চলেছিল নয়াদিল্লি। তাল কাটল মাস কয়েক আগে। খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গুরুপতবন্ত সিং পান্নুনকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ভারতের দিকে আঙুল তোলে আমেরিকা। পান্নুনকে হত্যার পরিকল্পনা কারা করেছিল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে বাইডেন প্রশাসন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক ভারতীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলার চার্জশিটে তদন্তকারীরা ভারত সরকারের এক পদস্থ আধিকারিকের কথাও উল্লেখ করেছেন। যদিও নাম না করে চার্জশিটে তাঁকে সিসি-১ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই সিসি-১ এর পরিচয় প্রকাশ না করে ভারতকে চাপে রাখতে চাইছে ওয়াশিংটন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এমতাবস্থায় শপথ নিয়েই প্রথমে রাশিয়া সফরের সিদ্ধান্ত নিয়ে বাইডেন প্রশাসনকে বার্তা দিল নরেন্দ্র মোদির সরকার (PM Modi)।

    ‘বন্ধুত্বে’র চুক্তি!

    ২০০০ সালে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি বছর একবার করে দেখা করবেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। ২০১৯ সাল পর্যন্ত একবারের জন্যও ব্যত্যয় হয়নি এই চুক্তির। অতিমারীর কারণে ২০২০ সালে এই বৈঠক হয়নি। তবে তার পরের বছরই ভারত সফরে এসেছিলেন পুতিন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন মোদি-পুতিন। তার পরেই ছেদ পড়ে এই প্রথায়। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, পান্নুনকাণ্ডের জেরে যখন ভারতকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন, তখন রাশিয়া সফরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ওয়াশিংটনকে পাল্টা চাপে রাখতে চাইছে মোদি সরকার। এর পাশাপাশি ভারত যে নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক নীতির পক্ষেই সেই বার্তাও দিয়ে দিল নয়াদিল্লি।

    আর পড়ুন: এবছর জগন্নাথ ধামে হবে না ‘নব যৌবন’ দর্শন, বিকেলে গড়াবে রথের চাকা, কেন জানেন?

    এই সফরেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন মোদি-পুতিন। দুই দেশই চাইছে প্রতিরক্ষা ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রসারিত হোক বাণিজ্যিক সম্পর্ক। জ্বালানি, ওষুধপত্র, পরিকাঠামো এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও দুই দেশই বাড়াক সহযোগিতার হাত। এমন ব্যবস্থা হোক, যাতে সুরক্ষিত হয় ভারত-রাশিয়া দুই দেশেরই স্বার্থ। মোদির এ বারের রাশিয়া সফরে আরও একটি বিষয় প্রাধান্য পেতে পারে। রাষ্ট্রসংঘে স্থায়ী সদস্যপদের দাবিদার ভারত। তবে চিনের ‘ভেটো’ প্রয়োগের জেরে বারংবার বাড়া ভাতে ছাই পড়ছে ভারতের। অথচ রাশিয়া চাইছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক নয়াদিল্লি। এই বিষয়েও এবার আলোচনা হতে পারে দুই দেশের। আলোচনায় উঠতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার সিকিউরিটি এবং স্পেস টেকনোলজি নিয়েও। এই সব বিষয়ে ভারত-রাশিয়া (Russia) সহযোগিতার হাত বাড়ালে তা যে আমেরিকার চক্ষুশূল হবে, তা বলাই বাহুল্য। কারণ মস্কোর পাশাপাশি ওয়াশিংটনও যে মোদির (PM Modi) হাত ধরতে ব্যাকুল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: মস্কো সফরের পরেই ভিয়েনা যাওয়ার পরিকল্পনা মোদির! কেন জানেন?

    PM Modi: মস্কো সফরের পরেই ভিয়েনা যাওয়ার পরিকল্পনা মোদির! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে অস্ট্রিয়া (Austria) যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। প্রস্তাবিত মস্কো সফরের পর ভিয়েনা (Vienna) যেতে পারেন বলে খবর। অর্থাৎ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক সেরেই ইউরোপীয় দেশটির রাজধানী ভিয়েনায় (Vienna) যাবেন তিনি। একদিন সেখানে থাকবেন। সেই সফরে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামারের সঙ্গে নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন নমো। প্রায় চার দশক ধরে ইউরোপের এই দেশটিতে পা রাখেননি ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী। ১৯৮৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী শেষবার অস্ট্রিয়া গিয়েছিলেন। আর তারপর প্রায় ৪১ বছর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি অস্ট্রিয়া যাচ্ছেন। 

    এই সফরের লক্ষ্য কী? (PM Modi) 

    কূটনৈতিক সূত্রে খবর, মোদি সে দেশে গেলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সমন্বয় নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি ভারতের স্টার্ট আপ, উৎপাদন ক্ষেত্র, তথ্যপ্রযুক্তি সহ একাধিক ক্ষেত্রে অস্ট্রিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানো সফরের অন্যতম লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীর। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে মোট ৩৫টি ভারতীয় প্রযুক্তি সংস্থা রয়েছে অস্ট্রিয়ায়। ভারতে বিশেষ করে প্রযুক্তির শহর বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রিয়ার লগ্নির জন্য মোদির (PM Modi) এই সফর গুরুত্বপূর্ণ। যদিও অস্ট্রিয়া নেটো’র সদস্য রাষ্ট্র নয়। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে তারাও রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্য সম্পর্ক বহাল রেখেছে। তবে তারা প্রকাশ্যে রাশিয়াকে ভৎর্সনাও করেছে, একতরফা ভাবে ইউক্রেনের উপর হামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য। পাশাপাশি রাজনৈতিক সমাধানও খুঁজছে যুদ্ধ বন্ধের। বিশ্বের রণকৌশলগত খেলায় কিছুটা সংযোগ রয়েছে ভারত এবং অস্ট্রিয়ার। 

    ইন্দিরা গান্ধীর অস্ট্রিয়া সফর

    প্রসঙ্গত, ভারত ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১০ নভেম্বর, ১৯৪৯ সালে। এরপর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ১৯৮৩ সালে অস্ট্রিয়া সফর করেছিলেন, এবং ১৯৮৪ সালে তৎকালীন অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর, ফ্রেড সিনোওয়াটজ ভারত সফর করেছিলেন। যদিও অস্ট্রিয়ার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হেইঞ্জ ফিশার, ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে একটি রাষ্ট্রীয় সফরের প্রতিদান দিয়েছিলেন। তারপরের রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলও ২০১১ সালে ৪-৭ অক্টোবর অস্ট্রিয়াতে একটি রাষ্ট্রীয় সফর করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘সব শয়তান এখানে এসে গিয়েছে’’, আজ চোপড়া যাচ্ছেন উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল

    উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি হবে মস্কোতে মোদির (PM Modi) প্রথম সফর। শেষবার ২০১৯ সালে তিনি রাশিয়া সফর করেছিলেন। তবে ২০০০ সাল থেকে ভারতীয় ও রাশিয়ান নেতাদের মধ্যে বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠকের আদলে এটি একটি স্বতন্ত্র সফর হবে। মোদি এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে শেষ ব্যক্তিগত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে উজবেকিস্তানের সমরকন্দে হয়েছিল। যদিও ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তাদের শেষ বার্ষিক সম্মেলনের পর থেকে আড়াই বছরে, মোদি এবং পুতিন অন্তত ১০টি টেলিফোন কথোপকথনের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রেখেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Modi vs Rahul Gandhi: সংসদে রাহুল-মোদি বাকযুদ্ধ! বিরোধী দলনেতার ‘হিন্দুত্ব’ মন্তব্যে পাল্টা জবাব প্রধানমন্ত্রীর

    Modi vs Rahul Gandhi: সংসদে রাহুল-মোদি বাকযুদ্ধ! বিরোধী দলনেতার ‘হিন্দুত্ব’ মন্তব্যে পাল্টা জবাব প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা হিসেবে প্রথমবার অষ্টাদশ লোকসভায় ভাষণ রাহুল গান্ধীর। কিন্তু বিরোধী দলনেতার প্রথম ভাষণেই তুলকালাম বাঁধল লোকসভায়। এদিন নিজের ভাষণে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) মন্তব্য করেন, ”হিন্দুরা কখনই হিংসা ছড়ায় না। কিন্তু বিজেপি গোটা দেশে হিংসা এবং ঘৃণা ছড়িয়ে চলেছে। যদিও আমাদের মনে রাখতে হবে যে বিজেপি এবং আরএসএসই সম্পূর্ণ হিন্দু সম্প্রদায় নয়।” আর কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যের পরেই পাল্টা জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)।   

    রাহুল গান্ধীর মন্তব্য (Modi vs Rahul Gandhi) 

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতেই সংসদে (Lok Sabha) ঝড় তুললেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সাংসদ এদিন গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ”ভারতের ধারণা, সংবিধানকে বিজেপি আক্রমণ করেছে।” তিনি আরও বলেন, ”ভারতের ধারণা, সংবিধান এবং বিজেপির প্রস্তাবিত ধারণার বিরোধী লক্ষ লক্ষ লোকের উপর নিয়ম মাফিক আক্রমণ করা হচ্ছিল। আমার ওপরেও আক্রমণ শানানো হয়েছে। আমাদের বিরোধীদের অনেকের ওপরই ব্যক্তিগতভাবে হামলা হয়েছে। যারা যারা ক্ষমতা, সম্পদের কেন্দ্রীভূত করার বিরোধিতা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানো হয়েছে এবং যারা দরিদ্র, দলিত, সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন, তাদেরও নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছে। লোকজনকে জেলে ঢোকানো হয়েছে এবং হুমকি দেওয়া হয়েছে।” এরপর রাহুল গান্ধী বলেন, ”আমাদের সমস্ত মহাপুরুষরা অহিংসার কথা বলেছেন। কিন্তু, যারা নিজেদেরকে হিন্দু বলে দাবি করে, তারা শুধু হিংসা, ঘৃণা, অসত্যের কথা বলে… আপনারা হিন্দুই না।” 

    কী জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী?   

    এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাঁড়িয়ে উঠে বলেন, ”গোটা হিন্দু সমাজকে এভাবে হিংসত্মক বলে দাবি করা হচ্ছে। এটা খুবই গুরুতর বিষয়।” এরপর রাহুল (Modi vs Rahul Gandhi) পাল্টা জবাবে বলেন, ”নরেন্দ্র মোদি সমগ্র হিন্দু সমাজ নন। বিজেপি পুরো হিন্দু সমাজ নয়। আরএসএস সমগ্র হিন্দু সমাজ নয়। এটা বিজেপির কোনও চুক্তি নয়।” 

    আরও পড়ুন: কোচবিহার-চোপড়া নিয়ে চাপে রাজ্য, বিধানসভায় ধর্না বিজেপির, রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    প্রসঙ্গত, এদিন প্রথম থেকেই সংসদে (Lok Sabha) আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন রাহুল গান্ধী। নিজের ভাষণ দেওয়ার সময় রাহুল গান্ধী শিবঠাকুরের একটি ছবি তুলে ধরেন। এরপর তাঁর হিন্দু মন্তব্যের জেরে সংসদে হট্টোগোল শুরু হয়। যদিও সেসময় রাহুলকে বাধা দিয়ে স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, ”সংসদে কোনও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের নিয়ম নেই।” বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের মাঝেই আসরে নামেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি রাহুলের হিন্দু মন্তব্যের বিরোধিতা করেন। বিজেপির বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগের প্রতিবাদ করেন তিনি। বলেন, এভাবে কোনও দলকে দোষারোপ করা যায় না। এমনকি এদিন বিরোধী দলনেতাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share