Tag: PM Modi

PM Modi

  • Narendra Modi: “ছোট বয়সে একটা ঝোলা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম”, জীবন-যুদ্ধের কাহিনি শোনালেন মোদি

    Narendra Modi: “ছোট বয়সে একটা ঝোলা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম”, জীবন-যুদ্ধের কাহিনি শোনালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিক সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিয়ে থাকেন। কিন্তু বারাসতের সভায় নিজের পরিবার নিয়ে মুখ খুললেন, প্রকাশ করলেন আসল সত্য। সারা দেশের মানুষ তাঁর পরিবার, একথা তিনি এর আগেও একাধিকবার বলেছেন। তবে, কেন সারা দেশের ১৪০ কোটি মানুষ তাঁর পরিবার, বারাসতের সভা থেকে সেই কারণও ব্যাখ্যা করেছেন মোদি।

    গোটা দেশবাসী কেন মোদির পরিবার? (Narendra Modi)

    বারাসতের সভা থেকে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, কিছু মানুষের মনে হয়, কোনও রাজনৈতিক নেতা আমাকে গালি দিয়েছে, তাই আপনাদের সবাইকে নিজের পরিবার বলছি। আসলে আজ সত্যিটা বলছি। আমি অনেক ছোট বয়সে ঘর থেকে একটা ঝোলা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম। পরিবার ছেড়ে দেশের কোণায় কোণায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। কিছু খোঁজার চেষ্টা করছিলাম। আমার পকেটে কখনও এক পয়সাও ছিল না। অনেক জায়গার ভাষাও আমি জানতাম না। কিন্তু, আপনার জেনে গর্ব হবে, আমার পকেটে পয়সা ছিল না, না কোনও মাথার ওপর ছাদ ছিল। শুধু আমার কাঁধে ঝোলা ছিল। কোনও না কোনও মা-বাবা, কোনও বোন, আমাকে প্রশ্নটা করেই ফেলত, ‘বাবা তুমি কি কিছু খেয়েছো?’ আমি আজ বলছি, সালের পর সাল আমি পরিবার ছেড়ে ছিলাম। আমার পকেটে পয়সাও ছিল না। কিন্তু আমি এক দিনও খালি পেটে থাকিনি। সেই সময় আমার কোনও পরিচয় ছিল না। কাঁধে ঝোলা নিয়ে ঘুরতে থাকা এক যুবক ছিলাম আমি। সেই সময় দেশের অনেক গরিব পরিবারও আমার চিন্তা করেছে। আর তাই আজ আমি দেশের গরিব, মা-বোনেদের জন্য কাজ করছি। কারণ, আমি সেই ঋণ শোধ করছি। তাই আমি বলি, এটাই আমার পরিবার। ১৪৪ কোটি দেশবাসী আমার পরিবার।

    ‘আমার জন্য বাংলার মা-বোনেরা দুর্গার মতো উঠে দাঁড়ায়’

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, ‘আমার জন্য বাংলার মা-বোনেরা দুর্গার মতো উঠে দাঁড়ায়। আজকে দেশের সব পরিবার নিজেদের মোদির পরিবার হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। আজকে দেশের সব গরিব বলছে, আমরা মোদির পরিবার।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘সন্দেশখালির ঝড় সারা বাংলায় আছড়ে পড়বে’, বারাসতে বললেন মোদি

    Narendra Modi: ‘সন্দেশখালির ঝড় সারা বাংলায় আছড়ে পড়বে’, বারাসতে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা-বোনেদের সঙ্গে অত্যাচার করে তৃণমূল ঘোর পাপ করেছে। সন্দেশখালিতে যা যা হয়েছে, তাতে যে কারোর মাথা লজ্জায় ডুবে যাবে। সন্দেশখালির ঝড় সারা বাংলায় আছড়ে পড়বে। বারাসতের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সন্দেশখালি ইস্যুতে তৃণমূলকে এই ভাষাতেই কড়া আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তিনি বলেন, আপনাদের দুঃখে তৃণমূলের সরকারের কিছু যায় আসে না। বাংলার তৃণমূল সরকার দোষীদের বাঁচাতে পুরো শক্তি লাগিয়েছে। কিন্তু, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য।

    সারা বাংলায় আছড়ে পড়বে সন্দেশখালির ঝড় (Narendra Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, গরিব, দলিত আদিবাসী মহিলাদের তৃণমূলের নেতারা জায়গায় জায়গায় অত্যাচার করছে। কিন্ত, তৃণমূল সরকারের ভরসা রয়েছে অত্যাচারী নেতার ওপর, বাংলার মা-বোনেদের ওপর এই সরকারের কোনও ভরসা নেই। এই কারণেই বাংলার মেয়েরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। মহিলাদের সেই আক্রোশ শুধু সন্দেশখালি পর্যন্তই সীমিত নেই, সারা বাংলাতেই সন্দেশখালির ঝড় আছড়ে পড়বে। আমি দেখছি তৃণমূলের মাফিয়ারাজ ধ্বংস করতে বাংলার নারীশক্তি জেগে উঠবে। তুষ্টিকরণ আর তোলাবাজদের জন্য রয়েছে তৃণমূল সরকার। এই সরকার মা-বোনেদের রক্ষা করবে না। সন্দেশখালির মহিলারাই দেখিয়েছেন, তাঁদের আওয়াজ শুনবে কেবল বিজেপি। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে সন্দেশখালির মানুষ বারাসতের সভায় এসেছিলেন। সন্দেশখালি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কড়া বক্তব্য শুনে তাঁরা খুশি। সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের হয়ে মোদি তৃণমূলকে আক্রমণ করায় বেজায় খুশি হয়েছেন নির্যাতিতারা।

    মহিলাদের জন্য হেল্পলাইন রাজ্যে চালু হতে দিচ্ছে না তৃণমূল সরকার

    তৃণমূলকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, তোলাবাজদের হয়ে কাজ করা তৃণমূল সরকার মেয়েদের কথা শুনবে না। কেন্দ্রীয় সরকার ধর্ষণের মতো অভিযোগের জন্য ফাঁসির সাজার ব্যবস্থা করেছে। মহিলারা যাতে অভিযোগ জানাতে পারে, তাই মহিলা হেল্পলাইন বানিয়েছে। কিন্তু এখানে এই সুবিধা লাগু হতে দিচ্ছে না। তৃণমূল সরকার মহিলা বিরোধী। মহিলাদের ভালো করতে পারে না এই সরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘কেউ বারণ করলেও প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাব’, বললেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা

    Sandeshkhali: ‘কেউ বারণ করলেও প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাব’, বললেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার বারাসতে সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সভায় রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে মহিলারা অংশগ্রহণ করবেন। আর ভার্চুয়ালি দেশের কোটি কোটি মহিলাদের অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। বারাসত থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। প্রধানমন্ত্রীর সভায় নির্যাতিতারা যাবেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের কথা জানাবেন বলে ঠিক করেছেন।

    কী বললেন নির্যাতিতা? (Sandeshkhali)

    প্রায় দু’মাস ধরে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) উত্তপ্ত ছিল। জমি দখল, বাড়ি ভাঙচুর, মহিলাদের ধর্ষণ, শ্লীলতাহানিসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। ঝাঁটা হাতে পথে নেমেছিলেন গ্রামের মেয়েরা। কখনও রাজ্যপালের কাছে, কখনও মহিলা কমিশন বা এসসি-এসটি কমিশনের কাছে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে পারেন তাঁরা। আগামী ৬ মার্চ বুধবার বারাসতে সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সন্দেশখালির পাঁচজন নির্যাতিতাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বারাসতের সভায় নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে, গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই পরিকল্পনা বানচাল করতে চাইছে তৃণমূল। যদিও সে কথা উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সন্দেশখালির এক নির্যাতিতা বলেন, “এতদিন মুখ বুঝে অত্যাচার সহ্য করেছি। থানায় গিয়েছি, আমাদের অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের জেলায় প্রধানমন্ত্রী আসছেন। সেই সুযোগ হাতছাড়া করব না।” আরও এক নির্যাতিতা জানালেন, “প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাব। কেউ বারণ করলেও যাব। এমনকী আমাদের কাছে চাপ এলেও যাব। এত বছর ধরে আমাদের মতো মহিলাদের সঙ্গে কী কী হয়েছে তা প্রধানমন্ত্রীকে বলব।”

    আরও পড়ুন: কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বারাসত পর্যন্ত ১১ কিমি রোড শো করবেন মোদি

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাত বলেন, এখন প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যাওয়ার জন্য বিজেপি যদি চাপ দেয়, তাহলে তাঁরা যাবেন। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আমরা কোনও ভয় দেখাইনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: মোদির বারাসতের সভাকে জাতীয় কর্মসূচি বানানোর লক্ষ্য বিজেপি-র, হল ভূমি পুজো

    Narendra Modi: মোদির বারাসতের সভাকে জাতীয় কর্মসূচি বানানোর লক্ষ্য বিজেপি-র, হল ভূমি পুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী আগামী ৬ মার্চ উত্তর ২৪ পরগনায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বারাসতের কাছারি ময়দানে সভা করবেন তিনি। সেই সভার মঞ্চ তৈরির আগেই সোমবারব ভূমি পুজোর মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের মঙ্গল কামনা করে শুরু হল প্রস্তুতিপর্ব।

    প্রস্তুতি বৈঠক করা হয় (Narendra Modi)

    সভাস্থলে বোম্ব স্কোয়াড ও পুলিশ কুকুর দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। বারাসত থানার পক্ষ থেকে গোটা কাছারি মাঠটিকে সিসি ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ইতিমধ্যে দু-দিনের বঙ্গ সফর করেছেন নরেন্দ্র মোদি। ১ তারিখ আরামবাগ ও ২ তারিখ কৃষ্ণনগরে সভা করেন তিনি। ৬ মার্চ বুধবার বারাসতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন তার প্রস্তুতি বৈঠকে মহিলা মোর্চার কেন্দ্রীয় ইনচার্জ বৈজয়ন্ত পান্ডা, রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, রাজ‍্য মহিলা মোর্চার সভাপতি ফাল্গুনি পাত্র সহ একাধিক মহিলা সংগঠকরা ছিলেন। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সভার আগে বারাসত কাছারি ময়দানে খতিয়ে দেখেন রাজ্য নেতৃত্ব। মহিলাদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে যে সব প্রকল্প রয়েছে  সেই বিষয়ে সভায় আলোচনা হবে বলে জানালেন  মহিলা মোর্চার কেন্দ্রীয় ইনচার্জ বৈজয়ন্ত পান্ডা। সাংবাদিক সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল বক্তৃতার মাধ্যমে দেশের কয়েক কোটি মহিলাদের বিশেষ আর্থিক সুবিধার কথা জানাবেন বলে দাবি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের।

     প্রধানমন্ত্রী এসে কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন কর্মীরা (Narendra Modi)

    বারাসতের পাশের লোকসভা বসিরহাট। বসিরহাট কেন্দ্রের মধ্যেই রয়েছে সন্দেশখালি। এই সন্দেশখালির মাটিতে শাহজাহান বাহিনী তাণ্ডব চালিয়েছিল। সুন্দরী মহিলাদের পার্টি অফিসে ডেকে নির্যাতন চালানো হত। বুধবারে প্রধানমন্ত্রী বারাসতে সভা করতে এসে সন্দেশখালি নির্যাতিতা মহিলাদের জন্য কী বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন। নির্যাতিতাদের অনেকে সভায় আসতে পারেন বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। গত ১০ বছরে রাজ্যের পাশাপাশি গোটা দেশে মহিলাদের যে উন্নয়ন হয়েছে। সেই বিষয় তুলে ধরা হবে। একইসঙ্গে রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে মহিলারা এই সমাবেশে যোগ দেবেন। ভার্চুয়ালি সারা দেশের মহিলারা যুক্ত হবেন এই সভায়। তাই, মহিলাদের জন্য মোদি কী বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয়ে মহিলা মোর্চার কেন্দ্রীয় ইনচার্জ বৈজয়ন্ত পান্ডা বলেন, গত ১০ বছরে মোদিজীর নেতৃত্বে মহিলাদের জন্য যা কাজ করা হয়েছে, এর আগে কোনওদিন হয়নি। ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’, ‘লাখপতি দিদি’-মতো অভিনব প্রকল্প রয়েছে। সন্দেশখালির ঘটনা অত্যন্ত নিন্দাজনক। এই রাজ্যের মহিলাদের কাছে আবেদন এই সভায় সকলেই আসার অনুরোধ রইল। ভার্চুয়ালি কোটি কোটি মহিলা এই সভায় যোগ দেবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে স্বাধীনতার পর প্রথম কোনও দূরপাল্লার ট্রেন চালু হল

    Siliguri: শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে স্বাধীনতার পর প্রথম কোনও দূরপাল্লার ট্রেন চালু হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর প্রথম কোনও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী চালু হল ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সে যোগবাণী থেকে শিলিগুড়ি (Siliguri) টাউন এক্সপ্রেস চালু করেন। সোমবার থেকে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন পর্যন্ত এই ট্রেনটির বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হল যোগবাণী থেকে। সপ্তাহে পাঁচদিন সোম, মঙ্গল বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার করে চলবে এই ট্রেন। যোগবাণী থেকে সকাল ৫:৪০ মিনিটে ছেড়ে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনে পৌঁছবে দুপুর দেড়টায়। ওইদিনই শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে বিকেল ৪ :৫০ মিনিটের ছেড়ে যোগবাণীতে পৌছবে রাত্রি ১২ টা ১৫ মিনিটে। 

    স্বামী বিবেকানন্দ, বিশ্বকবির স্মৃতি বিজড়িত শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন (Siliguri)

    শিলিগুড়ি (Siliguri) তথা উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রেলপথে যোগাযোগের দার্জিলিং মেল স্বাধীনতার আগে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে চলত। ১৮৮১ থেকে দার্জিলিং মেল চালু হয়। তখন থেকেই দেশ বিদেশের স্বনামধন্য অনেক মানুষ এই শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনে এসেছেন। ওয়েটিং রুমে কিছু সময় কাটিয়ে টয়ট্রেনে চেপেছেন। কে নেই সেই তালিকায় কোচবিহারের মহারাজা থেকে শুরু করে নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  এই স্টেশনে অনেকবার এসেছেন বিশ্বকবি। আমেরিকার বিশ্ব বরেণ্য সাহিত্যিক মার্ক টোয়েন, স্বামী বিবেকানন্দ, ভগিনী নিবেদিতা, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, বাঘাযতীন এই স্টেশন দিয়েই দার্জিলিং ও কার্শিয়াঙে গিয়েছেন। গান্ধীজীও এসেছেন। এই তালিকা আরও দীর্ঘ।

    অবহেলায় ছিল টাউন স্টেশন!

    অনেক বরেণ্য ব্যক্তির স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই স্টেশনের সঙ্গে। কিন্তু, দীর্ঘ উপেক্ষা ও অবহেলায় সেই কৌলিন্য হারিয়ে টাউন স্টেশন চত্বর দুষ্কৃতী ও নেশাখোরদের মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠে। শহরের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ভ্রমণ লেখক গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, যে স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে তাতে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনের এই ভগ্নদশা দু:খজনক। অনেকেই প্রতিশ্রুতি দিয়েও টাউন স্টেশনকে হেরিটেজ ও সংরক্ষণ করতে পারেননি। যোগবাণী- শিলিগুড়ি (Siliguri) টাউন স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন চালু হওয়ায় আমরা আলো দেখতে পাচ্ছি। এবার হয়ত এই ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত স্টেশন তার কৌলিন্য ফিরে পাবে।

    কী বলছে বিজেপি?

    শিলিগুড়ির (Siliguri) বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন জবর দখলে ধুঁকছে। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা এই স্টেশনের কথা ভাবেননি। বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর উত্তরবঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ ও পরিষেবার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে রেল মন্ত্রক শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনকে বিশেষভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে এই স্টেশনটি মহিলা পরিচালিত হয়েছে ২০১৯ সালে। এবার দূরপাল্লার ট্রেন চলবে এখান থেকে। আগামীতে আরও উন্নতি হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: মোদির সভায় যাওয়ার জন্য বিজেপি কর্মীর বিছানায় আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Nadia: মোদির সভায় যাওয়ার জন্য বিজেপি কর্মীর বিছানায় আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষ্ণনগরে নরেন্দ্র মোদির জনসভায় যাওয়ার কারণে রাতের বেলা ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানায় আগুন ধরিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছে পরিবার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) চাকদা থানার শিমুরালি এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম জয়ন্তী দাস। তাঁর বাড়ি নদিয়ার (Nadia) শিমুরালি ঘোষপাড়া এলাকায়। শনিবার কৃষ্ণনগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় গিয়েছিলেন। এরপর প্রতিদিন রাতের মতোই নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। ওই গৃহবধূর ঘুমন্ত অবস্থায় থাকাকালীন বিছানায় রাতের অন্ধকারে জানলার ফাঁক দিয়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। সেই আগুনে পুড়ে যায় মশারির বেশ খানিকটা অংশ। পাশাপাশি এই গৃহবধূর গায়ে আগুন লাগে এবং চুল পড়ে যায়। ঘটনার পর থেকে যথেষ্টই আতঙ্কিত দাস পরিবার। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী জয়ন্তী দাস বলেন, মোদির সভায় যাওয়া অপরাধ হয়েছে। তৃণমূল কর্মীরা তা মেনে নিতে পারেনি। তাই, আমার বিছানায় আগুন দিয়ে আমাকে প্রাণে মেরে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কোনওরকমে আমি প্রাণে বেঁচে গিয়েছি।

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    এ বিষয়ে সাংসদ তথা রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, এই ঘটনা নতুন কিছু নয়, সন্দেশখালিতে যেভাবে তৃণমূল অত্যাচার চালিয়েছে, ঠিক সেইরকম গোটা রাজ্য জুড়েই সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। সেই কারণেই নরেন্দ্র মোদির জনসভায় যাওয়ার কারণে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। প্রশাসন কত দূর পদক্ষেপ নেবে তা আমাদের জানা নেই। তবে, আমরা ওই গৃহবধূর বাড়িতে যাব এবং গোটা বিজেপি তাঁর সঙ্গে রয়েছে সেই আশ্বাস দিয়ে আসবো।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নদিয়া দক্ষিণের জেলা সভাপতি সনৎ চক্রবর্তী বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এবারের রানাঘাট কেন্দ্রে বিজেপি অনেকটাই ব্যাকফুটে রয়েছে। সেই কারণে দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এই ধরনের অভিযোগ করছে। এটা পুরোটাই ভিত্তিহীন, বিজেপির নাটক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘যান, জিতে আসুন, শিগগিরই আপনাদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে’’, মন্ত্রিসভার বৈঠকে বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘যান, জিতে আসুন, শিগগিরই আপনাদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে’’, মন্ত্রিসভার বৈঠকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘যান, জিতে আসুন, শিগগিরই আপনাদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে’, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সহকর্মীদের উদ্দেশে এমন বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।‘তৃতীয়বার-মোদি সরকার’, বিজেপির এই নির্বাচনী স্লোগান যে বাস্তব রূপ নিতে চলেছে, সেই ইঙ্গিতই যেন ধরা দিল মন্ত্রিসভায় নরেন্দ্র মোদির ভাষণে। আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছেন তিনি। ক্ষমতায় ফেরা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ভোট ঘোষণার আগেই প্রায় ১৯৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি, তারপর এদিন প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) আত্মবিশ্বাসে ভরা ভাষণ, এতে বেশ ব্যাকফুটে ইন্ডি জোট। মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এদিন প্রায় ১ ঘণ্টা হাইভোল্টেজ ভাষণ দেন।

    মন্ত্রীদের ভোটের সময় সতর্ক থাকতে বলেন মোদি 

    এর পাশাপাশি মন্ত্রীদের সতর্ক থাকতেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ভোটের আগে অপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করতে নিষেধ করেছে নমো। এছাড়া, বিতর্ক এড়িয়ে চলার এবং ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তি থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মাস কয়েক আগে ডিপফেকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর গড়বা নাচের ভুয়ো ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। মন্ত্রীদের তিনি জানান, বর্তমানে ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কণ্ঠ সমেত অনেক কিছু পরিবর্তন করা যায়। তাই, কোনও বিবৃতি দেওয়ার আগে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

    ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’

    মোদি সরকার (PM Modi) বিগত ২ বছর ধরে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা করে, ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’- নীল নকশা তৈরি করেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশগুলির তালিকায় তুলে আনার পরিকল্পনা করে সাজানো হয়েছে এই নথি। এদিনের বৈঠকে মূল আলোচনার বিষয় ছিল ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত গোটা দেশে ২৭০০টিরও বেশি ছোটবড় বৈঠক হয়েছে এই বিষয়ে। সেই বৈঠকগুলি থেকে উঠে এসেছে ৪৫০টি প্রস্তাব। যা ভেবেচিন্তে দেখছে কেন্দ্র। আগামী মে মাসে নতুন সরকার গঠনের পরই যাতে পরিকল্পনাগুলির দ্রুত বাস্তবায়িত হয়, সেকারণে ১০০ দিনের একটি পৃথক পরিকল্পনাও তৈরি করেছে মন্ত্রিসভা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তা দেখে রাজা রামমোহন রায়ের আত্মাও কাঁদছে”, তোপ মোদির

    PM Modi: “সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তা দেখে রাজা রামমোহন রায়ের আত্মাও কাঁদছে”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের একজন নেতা মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নির্বিকার। বাবা ভোলেনাথে নগরী ভগবান শিব এবং আরামবাগের মাটির মহান সুপুত্র রাজা রামমোহন রায়কে স্মরণ করে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, এই মাটি থেকে রাজা রামমোহন রায় নারী সম্মানের জন্য লড়াই শুরু করেছিলেন। সেই বাংলার মাটিতে মা বোনের ইজ্জত এবং সম্মান লঙ্ঘিত হচ্ছে। সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তা দেখে রাজা রামমোহন রায়ের আত্মাও কাঁদছে। গোটা দেশ ক্ষোভ প্রকাশ করছে। তৃণমূল নেতারা সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে যা করেছে, দুঃসাহসের সব সীমা পার করে ফেলেছেন তাঁরা। বাংলায় এসে সন্দেশখালি ইস্যুতে এই ভাষাতেই তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    শাহজাহানকে দুমাস সুরক্ষা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন মোদির (PM Modi)

    হুগলি আরামবাগ সভা থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সন্দেশখালি ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে বাংলার মমতা সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে বলেন, প্রায় দুমাস ধরে মহিলাদের সম্মান এবং ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা তৃণমূল নেতা বেপাত্তা ছিল। তাঁকে এতদিন কে সুরক্ষা দিচ্ছিল সেই প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি বলেন, মা বোনের আন্দোলন এবং বিজেপির চাপে বাংলার পুলিশ নতিস্বীকার করে তাকে (শেখ শাহজাহান) ধরতে বাধ্য হল। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, বাংলার উন্নয়নের জন্য বাংলার গরিব, চাষি, যুবসমাজ এবং মহিলাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকাআর্জুন খাড়গে কে একহাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, যখন বাংলার সন্দেশখালিতে মা বোনের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছিল তখন এই ইন্ডি জোটের নেতারা কী করছিলেন? কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি বলেছেন, বাংলায় এইরকম ছোটখাট ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে।

     সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তার বদলা নেবেন তো?

    শুক্রবার আরামবাগে জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। মঞ্চে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মোদি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্য চেয়ে সন্দেশখালির মহিলারা কী পেয়েছেন? সেই প্রশ্নও তুলেছেন মোদী। শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার কৃতিত্ব যে আসলে বিজেপির, সে কথাও উল্লেখ করেন মোদি। তিনি বলেন, “বিজেপি নেতারা সন্দেশখালির মা-বোনেদের জন্য দিন-রাত লড়েছেন। মার খেয়েছেন। বিজেপি নেতাদের চাপে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে।  শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার কৃতিত্ব যে আসলে বিজেপির, সে কথাও উল্লেখ করেন মোদি। তিনি বলেন, বিজেপি নেতারা সন্দেশখালির মা-বোনেদের জন্য দিন-রাত লড়েছেন। মার খেয়েছেন। বিজেপি নেতাদের চাপে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে। সাধারণ মানুষের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তার বদলা নেবেন তো?’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ৩৭ বছর পর আরামবাগে দেশের প্রধানমন্ত্রী! মোদিকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন কর্মী-সমর্থকরা

    PM Modi: ৩৭ বছর পর আরামবাগে দেশের প্রধানমন্ত্রী! মোদিকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন কর্মী-সমর্থকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৩৭ বছর পর আরামবাগের ভূমিতে পা পড়ল দেশের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন কর্মী-সমর্থকরা। অনেকে আবার মোদির ছবি দেওয়া মুখোশ পরেও সভায় হাজির হয়েছিলেন। সভায় উপস্থিত সকলকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। অন্যান্য নেতাদের থেকে তিনি যে আলাদা সেটা বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন নরেন্দ্র দামোদর ভাই মোদি। আর প্রত্যুত্তরে মো… দি , মো… দি গগনফাটা আওয়াজে আরামবাগবাসী বুঝিয়ে দিলেন তাদের কাছে এই প্রধানমন্ত্রী কতটা আপন।

    জনতার মন জয় করলেন মোদি (PM Modi)

    সকাল থেকেই বিজেপির পতাকায় মুড়ে যায় সমগ্র আরামবাগ। সভাস্থল ছিল ত্রিবেণী সঙ্গমে। অর্থাৎ পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মানুষ খুব সহজেই আসতে পারবেন সেখানে। সকাল থেকেই লোক আসা শুরু হয়েছিল। কয়েক লক্ষ জনসমাগম। এমনকী হাওড়া স্টেশন থেকেও আরামবাগ লোকালে শয়ে শয়ে সমর্থকরা  ওঠেন মোদীজিকে (PM Modi) দেখবার আশায়। দুটি মঞ্চ। একটিতে সরকারি অনুষ্ঠান, অন্যটিতে প্রকাশ্য জনসভা। একদিকে দক্ষ প্রশাসক অন্যদিকে জনমোহিনী জননেতা। তিনি এলেন, দেখলেন এবং তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করলেন। করতালি দিয়ে তা জানিয়ে দিলেন জনতা। এদিন আরামবাগ কালিপুর স্পোর্টস কমপ্লেক্স ময়দানে জনসভা করে গেলেন ভারতবর্ষের ১৮ তম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

     ৩৭ বছর পর আরামবাগের ভূমিতে দেশের প্রধানমন্ত্রীর

    দীর্ঘ ৩৭ বছর পর আরামবাগের ভূমিতে পা পড়লো দেশের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)। এর আগে ১৯৮৭ সালের মে মাসে আরামবাগের গরবাড়ী ময়দানে রাজনৈতিক সভা করতে এসেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। সূত্র অনুসারে আরামবাগ মহকুমায় এর আগে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইন্দিরা গান্ধীকেও দেখেছিলেন আরামবাগ ব্লকের অধিবাসীরা। কিন্তু, ৮৭ সালের পর আর কোনওদিন কোনও প্রধানমন্ত্রী আরামবাগে আসেননি। সেদিক থেকে মোদির আগমণকে ঘিরে আরামবাগের মানুষের মনে উৎসাহের সীমা ছিলনা। একজন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শপথে অটল দৃঢ়চেতা প্রধানমন্ত্রী। যিনি এখানে এসে ৭২০০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিল্যান্যাস করলেন।  পাশাপাশি রাজ্যে ৬২ টি প্রকল্পের উদ্বোধন। ৬২ টি প্রকল্পের উদ্বোধন। সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের পর অনতিদূরে খোলা মাঠে জনসভা। যেখানে মোদি নিজেকে উপস্থাপিত করলেন একজন জননেতা হিসেবে। খুলে দিলেন তৃণমূলের দুর্নীতির ভান্ডার। তীক্ষ্ণ বক্তৃতায় বুজিয়ে দিলেন বাংলার সমস্ত দুর্নীতির খবর তাঁর হাতের মুঠোয় এবং সেই দুর্নীতি রুখতে তিনি  কোন আপস করতে রাজি নন। ভাষা সংযত। পরিমিত। কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়। লড়াই দুর্নীতি ও দুর্নীতিকারীদের বিরুদ্ধে। আর এই লক্ষ্য নিয়েই আগামী লোকসভায় বিজেপি ভোটের ময়দানে নামতে চলেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi in Bengal: ২ দিনের বঙ্গ-সফরে মোদি, সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস সহ রয়েছে জোড়া সভা

    PM Modi in Bengal: ২ দিনের বঙ্গ-সফরে মোদি, সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস সহ রয়েছে জোড়া সভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই দু’দিনের বঙ্গ সফরে রাজ্যে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bengal)। দুপুরে হুগলির আরামবাগের সরকারি মঞ্চ থেকে ২২ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন মোদি। এর পাশাপাশি রঘুনাথপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী৷ রেল, সড়ক, হলদিয়া-বারাউনি তেলের পাইপ লাইন-সহ বাংলার জন্য একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।

    মোদির বঙ্গ সফরেই বাজতে চলেছে লোকসভা ভোটের দামামা, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। রাজ্য জুড়ে দুর্নীতি-সন্ত্রাস ইস্যুতে বেশ ব্যাকফুটে রয়েছে শাসক দল। এই আবহে প্রধানমন্ত্রীর সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ইতিমধ্যেই বাংলায় ৪২ টি আসনের মধ্যে ৩৫ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরামবাগে বিজেপির জনসভা মঞ্চ থেকে কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। 

    প্রধানমন্ত্রীর ২ দিনের কর্মসূচি

    কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচিও প্রকাশ করেছে। সূচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ১মার্চ আরামবাগে ও ২ মার্চ কৃষ্ণনগরে সভা করবেন। রাত্রিবাস করবেন রাজভবনে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত সফরসূচি অনুযায়ী, ১ মার্চ সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে বিশেষ বিমানে দিল্লি থেকে দুর্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হবেন মোদি (PM Modi in Bengal)। বেলা ১০টা ১০ মিনিটে দুর্গাপুর বিমানবন্দরে নামবেন তিনি। সকাল সওয়া ১০টায় হেলিকপ্টারে চেপে রওনা দেবেন ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশে। সেখানে কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। কর্মসূচি সেরে বেলা পৌনে ২টোয় ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ হেলিপ্যাড থেকে কপ্টারে চেপে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ২টো ৫০ মিনিটে তাঁর পৌঁছানোর কথা আরামবাগ হেলিপ্যাডে। দুপুর ২টো ৫৫ মিনিটে আরামবাগ হেলিপ্যাড থেকে সড়কপথে যাবে তাঁর কনভয়। ৩টের সময় পৌঁছবেন আরামবাগের সরকারি অনুষ্ঠানস্থলে। জানা গিয়েছে, সেখানে আধঘণ্টার সেই অনুষ্ঠানে বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ৩টে ৩৫ মিনিটে জনসভার জন্য সড়কপথে রওনা দেবেন মোদি। ৩টে ৪০ মিনিটে তাঁর পৌঁছানোর কথা জনসভার মঞ্চে। সেখানে পৌনে ৪টে থেকে সাড়ে ৪টে পর্যন্ত সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi in Bengal)। বিকেল পৌনে ৫টায় কপ্টারে চড়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি। সাড়ে ৫টায় তাঁর পৌঁছানোর কথা রাজভবনে। এদিন সেখানেই রাত্রিবাস করবেন তিনি। শনিবার ২ মার্চ সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে রাজভবন থেকে বের হবেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষ্ণনগরের পৌঁছবেন ১০টা ২০ মিনিটে। এরপর আধঘণ্টার অনুষ্ঠানে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন তিনি। তাঁর জনসভা রয়েছে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত। এরপর কপ্টারে চড়ে যাবেন পানাগড়ে। ১টা নাগাদ পানাগড় বিমানবন্দর থেকেই বিহারের গয়ার উদ্দেশে উড়ানে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদি ম্যাজিকের অপেক্ষায় বঙ্গ বিজেপি

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী (PM Modi in Bengal) আসছেন। উনি রাত্রিবাসও করবেন। ১ এবং ২ তারিখ এখানে সভা তাঁর। ১ তারিখ আরামবাগে সভা করবেন। দুপুর ৩টে থেকে সেই সভার সময় দেওয়া আছে। পরদিন সকালে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে সভা আছে প্রধানমন্ত্রীর। আমার কাছে যা খবর উনি আবার ৫ তারিখে আসবেন। কলকাতায় রাত্রিবাস করতে পারেন। ৬ তারিখ বারাসতে সভা।” গত লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগ আসনটিতে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে সামান্য কিছু ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন বিজেপি প্রার্থী। ৩৫টি আসনের যে টার্গেটকে সামনে রেখে এগোচ্ছে বঙ্গ বিজেপি, তার মধ্যে আরামবাগ আসনটিও রয়েছে। এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে সুকান্ত বলেন, “আগের বার অল্পের জন্য আরামবাগ ফস্কে গিয়েছে। এবার লক্ষাধিক ভোটে জিতে এই কেন্দ্র উপহার দেব নরেন্দ্র মোদিকে। শুক্রবার আপনারা দেখবেন ম্যাজিক কাকে বলে। এর নাম মোদি ম্যাজিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share