Tag: POK

POK

  • Pakistan: ইস্তফা দিচ্ছে জওয়ানরা, সৈন্য খুঁজতে শশব্যস্ত পাকিস্তান, দৈনিক রোজে চলছে আম আদমি নিয়োগ

    Pakistan: ইস্তফা দিচ্ছে জওয়ানরা, সৈন্য খুঁজতে শশব্যস্ত পাকিস্তান, দৈনিক রোজে চলছে আম আদমি নিয়োগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান। এই আবহে টানা ১০ দিন ধরে বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণ রেখায় গুলিও চালিয়ে যাচ্ছে পাক সেনারা (Pakistan)। পাল্টা জবাবও দিচ্ছে ভারত। এবার পাকিস্তানের কার্যকলাপের আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আম জনতাকে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তান। বেতন নয়, দৈনিক রোজের ভিত্তিতেই এদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই এনিয়ে কটাক্ষের সুরে বলছেন, এবার কি তবে ১০০ দিনের কাজের মতো জওয়ান নিয়োগ করবে পাকিস্তান? প্রসঙ্গত, রবিবারই ফাঁস হয়েছিল পাকিস্তানের সেনা প্রধানকে পাঠানো একটি গোপন চিঠি। যেখানেই উঠে আসে পাক সেনার অভাবের চিত্র। সেনার হাত খরচ থেকে খাদ্য এমনকি অস্ত্র ভাণ্ডারেও ঘাটতি রয়েছে বলে সেনা প্রধানকে সেই চিঠিতে জানিয়েছিলেন এক সেনাকর্তা।

    অধিকৃত কাশ্মীরের সুধানৌতি এলাকায় সাধারণ মানুষকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাক সেনা

    জানা যাচ্ছে, অধিকৃত কাশ্মীরে (Pakistan) অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু করে দিল পাক সেনা। সূত্রের খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সুধানৌতি এলাকায় চলছে এই অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ। তদারকি করছে পাক সেনাবাহিনী। যুদ্ধের আবহে একেবারে সাধারণ মানুষকে দেওয়া হচ্ছে এই প্রশিক্ষণ। তাও আবার দৈনিক রোজের লোভ দেখিয়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতীয় সীমান্তের পাখতুনখাওয়া সহ পার্বত্য অংশের সীমান্তের দায়িত্বে থাকা একাধিক ফ্রন্টিয়ার থেকে একাধিক সেনা জওয়ান ইস্তফা দিয়েছে বলে খবর। সেনা খুঁজতে তাই শশব্যস্ত পাকিস্তান। তাই নিয়োগ নয়, একেবারে স্থানীয় এলাকা থেকেই লোক টানতে চাইছে পাকিস্তান (Pakistan)। নিয়োগের শর্তে পাকিস্তান জানিয়ে দিয়েছে, এই নিয়োগ আসলে চুক্তিভিত্তিক। কোনও স্থায়ীপত্র পাওয়া যাবে না। সম্প্রতি, মানসিক চাপ ও অন্যান্য কারণ দেখিয়ে পাক সেনা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বা ছুটিতে গিয়েছেন এমন জওয়ানের সংখ্যা কয়েক হাজার। এই জওয়ানদের ধরে রাখতে আবার ১৯৫২ সালের সেনা আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছে পাকিস্তান। এবার সেনার ঘাটতি মেটাতে সাধারণ মানুষকেই যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছে পাকিস্তান। সামান্য টাকার বিনিময়ে।

    ভারতের ভয়ে খাদ্য মজুদ করছে পাকিস্তান (Pakistan)

    ভারত যে প্রত্যাঘাত করবেই একথা একেবারে বুঝে গিয়েছে পাকিস্তান। ভারতের যুদ্ধ মহড়া থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদির তরফ থেকে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া- এসব কিছু থেকেই ভয়ঙ্কর প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা করছে পাকিস্তান (Pakistan Army)। এই আবহে অধিকৃত কাশ্মীরের ‘প্রধানমন্ত্রী’ চৌধরি আনোয়ার-উল হকের সরকার বেজায় চাপে পড়েছে। অর্থসংকটে ভোগা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই মাসের জন্য খাবারের জোগান রাখার কথা বলে দিয়েছে। একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ারুল হক নিজে বিধানসভায় জানিয়েছেন, ১৩টি নির্বাচনী এলাকায় দুই মাসের জন্য খাদ্য মজুত রাখতে হবে। জানা যাচ্ছে, এর জন্য এক অর্থ কোটি টাকার জরুরি তহবিলও গঠন করা হয়েছে।

    ভীত পাকিস্তান, অধিকৃত কাশ্মীরে বন্ধ হাজারের বেশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

    পাকিস্তানের (Pakistan) প্রতিরক্ষামন্ত্রীর গলাতেও ভেসে এসেছে যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগের সুর। একাধিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কাছে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ আছে যে ভারত আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে এতটাই ভয় পেয়েছে পাকিস্তান যে পিওকে-র কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার ১ মে থেকে ১০০০-এর বেশি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০ দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। দেশে খাদ্য সংকট, ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়, সেনার অভাব এগুলি তো রয়েছেই। একইসঙ্গে রয়েছে পাকিস্তানের ফাঁকা আওয়াজ। সম্প্রতি, সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। পাক সেনাপ্রধান এনিয়েই হুমকি দিচ্ছে, ভারত যদি সিন্ধুর জল আটকাতে কোনও কিছু নির্মাণ করে, তবে পাল্টা আক্রমণ করবে পাকিস্তান। পাক সেনা প্রধানের আরও হুমকি, ভারতের কোনও সেনা যদি দুঃসাহস করে, তাহলে নাকি কড়া জবাব দেওয়া হবে পাকিস্তানের তরফ থেকে।

    বিলাবলের ফাঁকা আওয়াজ

    একই সুরে প্রাক্তন পাক বিদেশমন্ত্রীর গলাতেও শোনা গিয়েছে ভারত বিদ্বেষী সুর। সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে পাকিস্তানের সংশ্রবের বিষয়টি মেনে নিয়ে বিলাবল জারদারি ভুট্টো বলেছেন, ‘‘যদি ওরা (ভারত) সিন্ধুতে হামলা করে, ওরাও জানে, হয় এই সিন্ধু দিয়ে জল বয়ে যাবে, নইলে রক্ত বইবে।’’ বিলাবলের হুঁশিয়ারি, ‘‘ধমকি দিলে আমরাও যুদ্ধের জন্য তৈরি। তার জন্য চরম সীমায় যেতেও প্রস্তুত।’’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘অতীতে প্রতিটা যুদ্ধতেই ভারতের কাছে গোহারা ভাবে হেরেছে পাকিস্তান (Pakistan)। সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে ভারতের বিরুদ্ধে ছায়া যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। সরাসরি যুদ্ধের হিম্মত তাদের নেই। নেতা-মন্ত্রীরা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন অন্যদিকে সেনা ইস্তফা দিচ্ছে। যুদ্ধের ময়দানে অসামরিক নাগরিকদের ঠেলে দিচ্ছে পাকিস্তান।’’

  • India Pakistan Relation: পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত, বিরাট ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    India Pakistan Relation: পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত, বিরাট ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে আরও এক পদক্ষেপ ভারতের। পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত (India Pakistan Relation)। বুধবার রাতে নয়াদিল্লির তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত সরকারের এই ঘোষণার জেরে এখন থেকে পাক সংস্থার কোনও বিমান (Pakistani Flights) আর ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। কেন্দ্রের তরফে এদিন একটি ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’ জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে নথিভুক্ত বিমান বা পাকিস্তান দ্বারা পরিচালিত কোনও বিমান ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। সামরিক বিমানের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে।

    পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! (India Pakistan Relation)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলিম যুবককেও। এর পরেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত-সহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। বুধবার কেন্দ্রের এই ঘোষণা সেই তালিকায় নয়া সংযোজন। ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার পরপরই পদক্ষেপ করে পাকিস্তানও। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ভারতের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া। বলা হয়েছিল, ভারতের কোনও বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। পাক সরকারের সেই ঘোষণার ছ’দিনের মধ্যেই একই পদক্ষেপ করল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’

    বুধবার রাতে ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জারি করে ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’। এটি প্রযোজ্য হবে ২৩ মে পর্যন্ত। বিমানবন্দরের এক কর্তার মতে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’ হল একটি নোটিশ যাতে বিমান পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে। আর এক কর্তা জানান (India Pakistan Relation), পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই সিদ্ধান্তের কথা জানাল ভারত। পাকিস্তানে নিবন্ধিত বিমানের পাশাপাশি পাকিস্তান বিমান সংস্থা এবং অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত, মালিকানাধীন বা লিজ নেওয়া বিমানগুলির জন্য ভারতীয় আকাশসীমা উপলব্ধ থাকবে না (Pakistani Flights)।

    বিশেষ নজরদারি

    পহেলগাঁওকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকেই দুষছে নয়াদিল্লি। তবে ইসলামাবাদ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে তাদের হাত নেই। মুখে এ কথা বললেও, ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁটা পাকিস্তান। ভারত যে কোনও দিন তাদের বিরুদ্ধে সামরিক কোনও অভিযান করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আশঙ্কায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে পাকিস্তানের আকাশসীমায়। ভারতের বিমান তো সেখানে নিষিদ্ধই, তবে ভারতের আকাশসীমা দিয়ে যদি কোনও বিদেশি বিমানও পাক আকাশে প্রবেশ করে, তাতেও বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। অনুমতি ছাড়া পাক আকাশে কোনও বিমান প্রবেশ করতে পারবে না বলেই জানানো হয়েছে (India Pakistan Relation)। বুধবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সব বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

    গোদের ওপর বিষফোঁড়া

    মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ওশিয়ানিয়ার দেশগুলিতে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানের বিমান যাতায়াত করে ভারতের ওপর দিয়ে। সেই পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিরাট সমস্যায় পড়তে হবে ইসলামাবাদকে। কারণ ওই বিমানগুলিকে অনেকটা ঘুরে পৌঁছতে হবে গন্তব্যে। যাত্রাপথ দীর্ঘ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিমানে জ্বালানিও লাগবে আগের চেয়ে ঢের বেশি। সেই সঙ্গে লাগবে বেশি সময়ও। তাই বাড়তে পারে টিকিটের দাম। কমে যেতে পারে যাত্রী সংখ্যা। এমনিতেই পাক অর্থনীতির হাঁড়ির হাল।  অধিকাংশ ফ্লাইট মধ্যপ্রাচ্য বা মালয়েশিয়ায় যায়। ভারতীয় আকাশসীমা বন্ধ হওয়ায় মালয়েশিয়াগামী বিমানগুলিকে হয় চিন নয়তো শ্রীলঙ্কা হয়ে যেতে হবে। তাই এই সময় (Pakistani Flights) গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে পড়েছে ইসলামাবাদ (India Pakistan Relation)। প্রসঙ্গত, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি কোনও বিমান চলাচল করে না।

    অর্থনৈতিক যুদ্ধ!

    অবসরপ্রাপ্ত এক ভারতীয় কূটনীতিকের মতে, “এটি শান্তিপূর্ণ উপায়ে অর্থনৈতিক যুদ্ধ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও ভারত পাকিস্তানের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করেছিল। এবার পাকিস্তানের বিপর্যস্ত অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি আরও বেশি।” ইউরোপীয় এভিয়েশন সেফটি এজেন্সির নিষেধাজ্ঞার (চার বছর পর গত বছর প্রত্যাহার করা হয়) মধ্যেই সঙ্কটে থাকা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) সামনে এখন নতুন অস্তিত্ব সঙ্কট। সর্বসাকুল্যে মাত্র ৩২টি বিমান রয়েছে পিআইএ-র। সেখানে ভারতের সব মিলিয়ে হাজারের বেশি। এক বিমান বিশেষজ্ঞের মন্তব্য, “এটি পিআইএ-র কফিনে শেষ পেরেক হয়ে উঠতে পারে (Pakistani Flights)।”

    পাকিস্তানের বড় ক্ষতি

    পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে আগে সপ্তাহে ৮০০-এরও বেশি ভারতীয় ফ্লাইট চলাচল করত, যার মাধ্যমে তারা দৈনিক প্রায় ১,২০,০০০ মার্কিন ডলার আয় করত। এটি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রার উৎস ছিল। কিন্তু তাদেরই প্রতিশোধমূলক নিষেধাজ্ঞায় এখন এই আয় বন্ধ হয়েছে। এক ভারতীয় ঊর্ধ্বতন বিমান কর্তৃপক্ষের কথায়, “ভারতীয় এয়ারলাইন্স বন্ধের পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারার শামিল। এখন তাদের আরও বড় ধাক্কার জন্য প্রস্তুত হতে হবে (India Pakistan Relation)।”

  • Indus Water Treaty: সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তানের দশা দেখে থরহরি কম্প বাংলাদেশও, কেন?

    Indus Water Treaty: সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তানের দশা দেখে থরহরি কম্প বাংলাদেশও, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওকাণ্ডের পর পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Water Treaty) স্থগিত করে দিয়েছে ভারত। তার জেরে ভরা গ্রীষ্মে প্লাবিত হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশ (Bangladesh)। ভারতের এহেন পদক্ষেপের জেরে ভীত বাংলাদেশ সরকারও।

    বিপজ্জনক খেলা (Indus Water Treaty)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশকে ভারতের নিরাপত্তাকে হুমকি দেওয়ার বিপজ্জনক খেলা বন্ধ করতে হবে। পাকিস্তানের আইএসআইকে মুক্ত হস্তে কাজ করতে দেওয়া এবং ভারতের শিলিগুড়ি করিডর ও সুন্দরবনের মংলা বন্দরের কাছাকাছি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে চিনকে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানানো থেকে ঢাকাকে সরে আসতে হবে। নাহলে দিল্লি ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল কিংবা আরও কয়েকটি পরিকাঠামো প্রকল্প বন্ধ করার চেয়েও ঢের বেশি কঠোর পদক্ষেপ করার কথা ভাবতে পারে। ৬৫ বছরের পুরনো সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তানের দশা দেখে বাংলাদেশ সহ নিম্নাঞ্চলের দেশগুলিতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এই চুক্তি তিনটি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ (কার্গিল সহ) এবং ২০০৮-এর মুম্বই হত্যাকাণ্ডের মতো একাধিক জঙ্গি হামলা সহ্য করেছিল। তাই এই উদ্বেগ যুক্তিসঙ্গত, বিশেষত যখন আগামী বছর ৩০ বছরের পুরানো গঙ্গা জল চুক্তি নবীকরণের কথা রয়েছে।

    ভারতের শতাধিক নদী বাংলাদেশে গিয়েছে

    গঙ্গার বাইরে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র-সহ বারাক, ফেনির মতো শতাধিক নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ২০১৯ সালে ভারত ফেনি নদীর জল বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করে। অন্যান্য নদীর ক্ষেত্রে কোনও চুক্তি নেই। যদিও তাতে উদ্বেগ কমেনি। ভারত ঢাকার সঙ্গে সঠিক সময়ে আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য, বন্যা সতর্কতা আদানপ্রদান করে। এই তথ্য প্রবাহে সামান্য বিঘ্নও বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে (Indus Water Treaty)। দিল্লি জল বা আবহাওয়াকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতেই পারে। কারণ উত্তর ভারতের বেশিরভাগ প্রধান নদীর উৎপত্তিই হয়েছে তিব্বতে। যখনই রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়, তখনই বেজিং থেকে তথ্যপ্রবাহ ধীর হয়ে যায়। সৌভাগ্যবশত, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রসহ এই নদীগুলির প্রধান জলাধার রয়েছে ভারতেই। তাছাড়া, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভারত সতর্কও রয়েছে। অতিরিক্ত সতর্কতা হিসাবে, দিল্লি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিশাল জলাধার সহ একাধিক বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করছে। এগুলি উজানের প্রবাহে অপ্রত্যাশিত ওঠানামা মোকাবিলায় সাহায্য করবে (Bangladesh)।

    ঢাকা ভারতের উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে

    আসল কথা হল, বাংলাদেশকে বুঝতে হবে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি কানাডা ও মেক্সিকোর মতো দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য সহযোগীর ওপরও পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করতে পারে, তবে কোনও সম্পর্ক বা চুক্তিই যাচাই-বাছাইয়ের ঊর্ধ্বে নয়। ভারত কঠোর শক্তি ব্যবহার এড়িয়ে চলে কারণ সে তার উন্নয়নের গতিপথ থেকে বিচ্যুত হতে চায় না। ১৯৯১ সালে উদারীকরণের পর থেকে ৬ শতাংশেরও বেশি গড় প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম (Indus Water Treaty)। ভারতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিনিময়ে ঢাকা ভারতের উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে। কিন্তু পাকিস্তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে তার চরম মূল্য দিতে হবে ইউনূসের দেশকে। শেখ হাসিনা এটি বুঝতে পেরেছিলেন বলেই তিনি ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছিলেন। এর সুবিধা শুধু এই অঞ্চলেই নয়, সমগ্র বিমস্টেক উপঅঞ্চলেও বিস্তৃত হয়েছিল। ২০১৫ সালে গঠিত এই গোষ্ঠীটি দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বা সার্কের অকার্যকর প্রক্রিয়া এড়িয়ে অগ্রগতির লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছিল।

    সার্কের ব্যর্থতা

    দুর্ভাগ্যবশত, মহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই এই ধারাকে উল্টে দেন। তিনি কখনও বিবিআইএন (BBIN)-এর উল্লেখ করেননি। বরং বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ককে মজবুত করার দিকে ঝুঁকেছেন। মাত্র আট মাসের মধ্যে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছায় – এমনকি ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগ উপেক্ষা করে বাংলাদেশ পাকিস্তানি পণ্য পরিবহণের শক্তি যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তাও বাতিল করে দেয় (Bangladesh)। সার্কের ব্যর্থতা ও এর পিছনের কারণগুলি সকলেই জানেন। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কে বাংলাদেশ বা এই অঞ্চলের লাভকে উপেক্ষাই করা যায়। তবুও ইউনূস ইসলামাবাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে রাজনীতিকীকরণের লক্ষ্যেই কেবল সার্ককে সমর্থন করছেন (Indus Water Treaty)। এটি একটি দশক প্রাচীন পরিকল্পনা, যা বর্তমান ভূ-রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক, যেখানে ভারত বৈশ্বিক মহাশক্তির অবস্থান জোগাড় করতে তৎপর। বুধবার, মোদি পাকিস্তানের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। সকল পাক নাগরিককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানিদের জন্য সার্ক ভিসা ছাড়ের স্কিমও বাতিল করা হয়েছে।

    ইউনূসের দায়িত্ব গ্রহণ

    ইউনূস দায়িত্ব নিয়েছিলেন উত্তর-পূর্ব ভারতে ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংবেদনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে। সম্প্রতি তিনি দিল্লিকে স্টেকহোল্ডার না করে উত্তর-পূর্ব ভারতীয় বাজার দখলের লক্ষ্যে বাংলাদেশে চিনা বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সন্ত্রাসের সঙ্গে খেলাধুলা করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে বাংলাদেশের। একসময় উত্তর-পূর্বের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। ২০০৪ সালের ১০ ট্রাক অস্ত্রের মামলা আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসকে সমর্থনের একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। ইউনূস প্রশাসন সেই মামলায় অভিযুক্ত সকলকেই মুক্তি দিয়েছে (Bangladesh)। মারণাত্মক সন্ত্রাসী সংগঠন আনসারুল্লাহ্ বাংলা টিমের প্রধান এখন মুক্ত। নিষিদ্ধ হিজবুত তাহরিরের পোস্টার বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে আছে। আল-কায়েদার পতাকা চোখে পড়ে ঢাকার যত্রতত্র। এগুলো কি ইউনূসের ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার পরিকল্পনার অংশ?

    ভারতের সন্ত্রাস বিষয়ক মনোভাবের পরিবর্তন

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলি ভারতের সন্ত্রাস বিষয়ক মনোভাবের পরিবর্তন নির্দেশ করে। এই পরিবর্তন শুরু হয় ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর। কাশ্মীর হামলা এই দৃঢ়সংকল্পকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। আশা করা যায়, বাংলাদেশ এটি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করছে (Indus Water Treaty)। প্রসঙ্গত, মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের আলোচনার ধারা নিয়ন্ত্রণে আনতে এক অভিনব কৌশল নিয়েছে। প্রচলিত মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা তাদের রুটিন কাজের অংশ হলেও, আসল দক্ষতা দেখিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রাধান্য দিয়ে। সরকারের প্রায় সবাই ফেসবুকে নিজেদের দফতরের দায়িত্বের সীমানা ছাড়িয়ে গিয়ে জটিল ও বিস্তারিত মতামত শেয়ার করছে। যে রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য জবাবদিহিতা ছাড়াই এই পরিকল্পনাটি সযত্নে পরিকল্পিত করা হয়েছে, তা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এগুলোর মুখোমুখি হলে তারা পোস্ট মুছে দিয়ে নিজেদের দোষ ঢাকবে। তবে স্ক্রিনশটের মাধ্যমেই আলোচনা চলতে থাকে। একজন শীর্ষ মন্ত্রী ভারতের উত্তর-পূর্বকে ছিনিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করার পর ঠিক এমনটাই ঘটেছিল। কাশ্মীর হামলার পরেও তারা একই কাজ করেছিল।

    কাশ্মীর হত্যাকাণ্ডের পেছনের ষড়যন্ত্রকারী

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন আইন অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে সাধারণত জুলাই মাসের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রেরণা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে তিনি ইউনূস মন্ত্রিসভার একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী। ২৩ এপ্রিল তিনি মোদি সরকারকে কাশ্মীর হত্যাকাণ্ডের পেছনের ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে বর্ণনা করে কলকাতাভিত্তিক এক কংগ্রেস সমর্থকের একটি পোস্ট শেয়ার করেন (Indus Water Treaty)। পোস্টটির ভূমিকায় নজরুল লিখেছিলেন, “আমি এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করছি। তবে কে এর পেছনে আছে জানতে এই পোস্টটি পড়ুন।” নজরুলের এই বক্তব্য দ্রুত ডিজিটাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। দৈনিক ইনকিলাবের মতো পাক-সমর্থিত ইসলামিস্ট মিডিয়া একে লিড নিউজ করে। পরে তিনি পোস্টটি মুছে দেন (Bangladesh)। তারপর থেকে বাংলাদেশকে কিছু কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ একটি নিম্ন অববাহিকার দেশ। ফলে ভারতের ছোটখাট কোনও সিদ্ধান্তেরও চড়া মাশুল গুণতে হতে পারে বাংলাদেশকে (Indus Water Treaty)।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলায় হামাসের হাত!

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলায় হামাসের হাত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Attack) হামাসের হাত! এই হামাসই (Hamas) প্রথমে আক্রমণ করেছিল ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর। সেই হামাস এবং অন্যান্য সংস্ত্রাসবাদী সংগঠনকে নিয়ে জঙ্গি-জাল তৈরি করছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। এই নেটওয়ার্কই বাংলাদেশকে অস্থির করে তুলেছে। চালাচ্ছে হিন্দুনিধন যজ্ঞ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই জঙ্গি-জাল অবিলম্বে ছিন্ন করতে না পারলে কিংবা জঙ্গিদের সমূলে বিনাশ করতে না পারলে, তামাম বিশ্বের পক্ষেই তা হবে সাক্ষাৎ যমদূত স্বরূপ। গত মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলার বলি হন এক নেপালি সহ মোট ২৮ জন। এঁদের মধ্যে আবার দুজন বাদে বাকি ২৬ জনই হিন্দু। জঙ্গি হামলায় একমাত্র যে মুসলিম ধর্মাবলম্বীর মৃত্যু হয়েছে, তিনি এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিয়ে পর্যটকদের বাঁচাতে গিয়েছিলেন বলে। এছাড়া, এক খ্রিস্টান পর্যটকেরও মৃত্যু হয়েছে।

    বিস্ফোরক সব তথ্য (Pahalgam Attack)

    পহেলগাঁওকাণ্ডে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ভারত। তার পরেই উঠে এসেছে একের পর এক বিস্ফোরক সব তথ্য। এই তদন্তেই জানা যায়, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের নয়া নেটওয়ার্ক সম্পর্কে। হামাস একটি মুসলিম জঙ্গি সংগঠন। মুসলিম অধ্যুষিত প্যালেস্তাইনের গাজায় তাদের প্রধান ঘাঁটি। সেখান থেকেই ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায় হামাস। পরে প্রত্যাঘাত করে ইজরায়েলও। বছর দুয়েক আগে যে কায়দায় হামাস হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েলে, তার সঙ্গে পহেলগাঁওকাণ্ডের যথেষ্ট মিল খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, পাকমদতপুষ্ট জঙ্গিদের সঙ্গে যেভাবে হামাসের নয়া সমীকরণ গড়ে উঠেছে, তা গোটা বিশ্বের কাছেই উদ্বেগের।

    হামসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আইএসআই!

    গোয়েন্দারা জেনেছেন, হামসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে (Pahalgam Attack) পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। পহেলগাঁওয়ে যে চার জঙ্গি হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ, তাদের মধ্যে দুজন পাকিস্তানের নাগরিক, বাকি দুজন কাশ্মীরের। এরা প্রত্যেকেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। সূত্রের খবর, সেখানেই লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনের পরিকাঠামো ব্যবহার করে আইএসআইয়ের মদতে তরুণদের জঙ্গি হওয়ার প্রশিক্ষণও দিচ্ছে হামাস (Hamas)। কেন্দ্রের এক সূত্রের দাবি, যুদ্ধ বিরতির শর্ত মেনে ইজরায়েল যে হামাস নেতাদের সম্প্রতি মুক্তি দিয়েছিল, পাক সরকারের আমন্ত্রণে তারাই আসে পাকিস্তানে। তার পরেই তাদের রীতিমতো এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া হয় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। সেখানেই লস্কর ও জৈশ জঙ্গিদের সঙ্গে বৈঠক করে হামাসের ওই নেতারা।

    জঙ্গিদের রীতিমতো জামাই আদর

    সূত্রের খবর, পাকিস্তান হামাস জঙ্গিদের রীতিমতো জামাই আদর করেছে। হামাস জঙ্গিরা পাকভূমে পা দেওয়ার পরে রাওয়ালকোট থেকে শোভাযাত্রা সহকারে তাদের নিয়ে যাওয় হয় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। সেই শোভাযাত্রায় হামাস নেতাদের ঘোড়ার পীঠে চাপিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীর তকমা দেওয়া হয়। শোভাযাত্রায় যাদের ঘোড়ায় চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তারা হল হামাস মুখপাত্র খালিদ কোয়াদ্দৌমি এবং নাজি জাহির। হামাসের দুই শীর্ষ নেতা মুফতি আজম এবং বিলাল আলসাল্লাতকেও পাকিস্তানের তরফে দেওয়া হয়েছিল ওই রাজকীয় অভ্যর্থনা। এই শোভাযাত্রায়ই ছিল লস্কর ও জইশের একাধিক শীর্ষ কমান্ডার এবং মাথারাও। সেই শোভাযাত্রা থেকেই বার্তা দেওয়া হয়েছিল, প্যালেস্তাইনের মতোই কাশ্মীরও একই ধরনের ইসলামিক জেহাদের অংশ (Pahalgam Attack)। ভারত এবং ইজরায়েলকে একই বন্ধনীভুক্ত করে এই দুই দেশের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার ডাক দেওয়া হয় জঙ্গিদের ওই শোভাযাত্রায়।

    কী বলছেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত

    ভারতীয় গোয়েন্দাদের প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে মিল রয়েছে ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত রুভেন আজারের। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে গণহত্যা চালায় হামাস। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গিরা হামলা করে ২২ এপ্রিল। গোয়েন্দাদের মতোই এই দুই হামলার কৌশলের মধ্যে অদ্ভূত মিল খুঁজে পেয়েছেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত। রুভেন আজার বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত আমাদের স্বীকার করতে হবে যে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি একে অপরকে অনুপ্রাণিত করছে। পহেলগাঁও হামলা এবং ৭ অক্টোবর (২০২৩) ইজরায়েলে যা ঘটেছিল, তার মধ্যে মিল রয়েছে। তাতে বহু সাধারণ মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। ঠিক সেইভাবেই সময় বেছে পর্যটকে ভরা বৈসরন উপত্যকায় হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা।” তিনি বলেন, “সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের সঙ্গে দেখা করেছে হামাস প্রতিনিধিরা (Hamas)। তার পরেই পহেলগাঁওয়ে এহেন হত্যালীলা।” তাঁর মতে, এর সঙ্গে বছর দুয়েক আগে ইজরায়েলে হামাস আক্রমণ ও পহেলগাঁওয়ের হত্যালীলা একই ষড়যন্ত্রের এপিঠ-ওপিঠ।

    মোদির প্রশংসা

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, “তীব্র নিন্দার পাশাপাশি ভারত সরকারের নেওয়া কঠোর পদক্ষেপে আমি খুবই সন্তুষ্ট। ঘটনার প্রতিবাদে গোটা দেশ এখন জবাব দিতে মরিয়া।” তিনি বলেন, “এই অবস্থায় ভারতবাসীকে প্রধানমন্ত্রী মোদি যেভাবে আশ্বস্ত করেছেন, এবং জঙ্গিদের ওপর চরম আঘাত হানার বার্তা দিয়েছেন, তা বর্তমান পরিস্থিতিতে অবশ্যই দরকার ছিল।” ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত বলেন, “বহু দেশই টাকা, অস্ত্র, ইন্টেলিজেন্স সরবরাহ করে জঙ্গিদের (Pahalgam Attack) মদত দিয়ে যাচ্ছে। জঙ্গিদের মদত খুব বড় অপরাধ। তাই এবার জবাব দিতেই হবে।”

    বাংলাদেশেও হামাসের হাত!

    শুধু পাকিস্তান কিংবা পাক অধিকৃত কাশ্মীর নয়, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়ও হামাস নেতারা পা রেখেছে বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা। গত ৫ অগাস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ওই দিনই বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো। তার পরে পরেই কয়েকজন হামাস নেতাকে নিয়ে ঢাকায় পৌঁছন আইএসআইয়ের কর্তারা। উদ্দেশ্য, হামাসের ভাবধারা বাংলাদেশেও ছড়িয়ে দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টি করা। ঢাকায় ওই সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ইসলামিক সংগঠন আল মারকাজুল ইসলামি। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মুফতি শহিদুল ইসলাম চরমপন্থী ইসলামি হিসেবেই পরিচিত। আল কায়দার সঙ্গেও যোগ রয়েছে তার। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, হামাসের একটি দল সম্প্রতি বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর পরিদর্শন করে। দলটি পাক সেনার নয়া উদ্বোধন করা পাকিস্তান আর্মি ফেসিলিটিও পরিদর্শন করে। এখানেই রয়েছে পাকিস্তানের যুদ্ধ সিমুলেশন কেন্দ্র।

    পাকিস্তান দাদা!

    হামাস দলটি যে অঞ্চলটি পরিদর্শন করেছিল, সেখানেই রয়েছে বাহাওয়ালপুর কোর। রাজস্থান সীমান্তের কাছে হওয়ায় এই সামরিক গঠনটির প্রধান দায়িত্ব হল সীমান্ত রক্ষা ও দ্রুত সেনা মোতায়েন। গোয়েন্দারা জেনেছেন, গত বছর জানুয়ারিতে হামাসের মুখপাত্রকে পাক সংসদে ভাষণ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই সময় এক পাকিস্তানি আইনপ্রণেতা ভারত ও ইজরায়েলের পরিকল্পিত ইন্ডিয়ান মিডল ইস্ট ইউরোপিয়ন করিডরের উল্লেখ করে মন্তব্য করেন, “গাজার ধ্বংসস্তূপের নীচে এখন সেই পরিকল্পনা চাপা পড়েছে।” জানা গিয়েছে, যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী ১৫ জন প্যালেস্তাইন বন্দিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে হামাসের (Hamas) মুখপাত্র। পাকিস্তানকে ‘দাদা’ হিসেবেও সম্বোধন করে তিনি।

    সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনার উপযুক্ত জবাব দিতে সামরিক প্রস্তুতি চালাচ্ছে ভারত। এর পাশাপাশি তারা সমস্ত তথ্য প্রমাণ দেখিয়ে কূটনৈতিক দিক দিয়ে গোটা বিশ্বের সমর্থন আদায়ের চেষ্টাও শুরু করেছে নয়াদিল্লি (Pahalgam Attack)।

  • Terror Infrastructure: জম্মু-কাশ্মীরের চোখ ধাঁধানো উন্নতিই কাল হয়েছে! তাই কি পহেলগাঁওয়ে হামলা পাক-জঙ্গিদের?

    Terror Infrastructure: জম্মু-কাশ্মীরের চোখ ধাঁধানো উন্নতিই কাল হয়েছে! তাই কি পহেলগাঁওয়ে হামলা পাক-জঙ্গিদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতির উন্নতি ও গত বছর রেকর্ড ২৯ লক্ষ পর্যটকের আগমন পাকিস্তানকে (Pakistan) ক্ষুব্ধ করে তুলেছে।’ তার জেরেই পহেলগাঁওয়ে এই হামলা বলে মনে করছেন সেনাকর্তারা। মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার (Terror Infrastructure) পরে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছে মূলচক্রী লস্কর নেতা সইফুল্লা। ভারতের সেনা কর্তারা জানান, পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি পরিকাঠামো সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে। প্রধান প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ এলাকায় রয়েছে। তবে লঞ্চ প্যাড এখনও সক্রিয় লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর।

    পাক সেনা প্রধানের উসকানিমূলক বক্তব্য (Terror Infrastructure)

    এই হত্যালীলার দিন কয়েক আগেই পাক সেনা প্রধান আসিম মুনির কাশ্মীরকে ইসলামাবাদের ঘাড়ের শিরা বলে দাবি করেছিলেন। দ্বি-জাতি তত্ত্বের উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, “আমাদের অবস্থান একদম স্পষ্ট। এটা (কাশ্মীর) আমাদের ঘাড়ের শিরা ছিল, থাকবেও, আমরা তা ভুলব না। আমরা আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের তাদের সংগ্রামে একা ছাড়ব না।” মঙ্গলবার ঘটনার পরে পরেই সেনাবাহিনীর এক প্রবীণ কর্তা বলেছিলেন, “৭৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এলওসি বরাবর শক্তিশালী অন্তঃপ্রবেশ-রোধ জাল থাকায় জঙ্গিরা এখন জম্মু-কাশ্মীরে ঢোকার জন্য অন্য পথ ব্যবহার করছে। গত বছর এলওসিতে ১০টি অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে। খতম হয়েছে ২৫ জন জঙ্গি।”

    বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করতেই হামলা!

    পহেলগাঁও অঞ্চলে সেনাবাহিনীর কোনও বড়ো অংশ মোতায়েন ছিল না। তবে স্থানীয় রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি বিশেষ বিপ্লব-বিরোধী ইউনিট দুপুরে নৃশংসতার খবর পাওয়া মাত্র কয়েকটি কলাম পাঠায়। সেনাকর্তাদের মতে, এই “স্বল্পখরচে, উচ্চপ্রভাব” হামলাটি সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্সের ভারত সফর এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সৌদি আরব সফরের সময় ঘটানো হয়েছে। তামাম বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করতেই (Terror Infrastructure) এটা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সৌদি আরব বিশ্বের সবচেয়ে প্রমিনেন্ট ইসলামিক দেশ।

    সেনাকর্তাদের মতে, গত দু’বছরে জম্মু-কাশ্মীরে ১৪৪ জন জঙ্গি নিকেশ হওয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি তাদের অস্তিত্ব জানান দিতে বড় ধরনের হামলার ছক কষেছিল। এক সেনাকর্তা বলেন, “পাকিস্তান ও পিওকেতে জঙ্গি পরিকাঠামো, যেখানে লস্কর-ই-তৈবা(LeT), জইশ-ই-মোহাম্মদ(JeM), ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিল(UJC), আল-বদরের মতো জঙ্গি সংগঠনের কৌশলগত অস্ত্র, জিহাদি সেমিনার ও মাদ্রাসা নেটওয়ার্ক এখনও সক্রিয়।” তিনি বলেন, “জেনারেল মুনিরের সম্প্রতি ভারত-বিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য (Pakistan) থেকে স্পষ্ট, জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতির উন্নতি ও গত বছর রেকর্ড ২৯ লক্ষ পর্যটকের আগমন পাকিস্তানকে ক্ষুব্ধ করেছে (Terror Infrastructure)।” প্রসঙ্গত, মোদি জমানায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের। তার জেরে ফি বছর বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেটাই চোখ টাটিয়েছে পাক সেনার।

  • Rajnath Singh: ‘‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরিরা শীঘ্রই চাইবেন ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে’’, বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: ‘‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরিরা শীঘ্রই চাইবেন ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে’’, বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (Pak Occupied Kashmir) বাসিন্দারাই খুব শীঘ্র ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইবে। মোদি সরকারের সাফল্যে ভারতে এখন ‘আচ্ছে দিন’। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) লখনউয়ে এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “ভারতের অর্থনীতি এখন বিশ্বের মধ্যে দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলোর একটি। আগে বিশ্বে ভারতের পরিচয় ছিল দরিদ্র দেশ হিসেবে, কিন্তু আজ এই চিত্র বদলে গিয়েছে। ভারতের অর্থনীতি এখন বিশ্বে পঞ্চম স্থানে, যা এক সময় একাদশ স্থানে ছিল। আগামী দুই বছরের মধ্যে ভারত শীর্ষ তিন অর্থনীতির মধ্যে স্থান পাবে বলে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলি দাবি করছে।”

    ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা

    লখনউয়ের মহর্ষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সভায় রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, “১১ বছর আগে ভারতে মাত্র দুটি মোবাইল ফোন কারখানা ছিল, আর আজ তা বেড়ে হয়েছে ২৭০টি। এছাড়াও, ডিজিটাল লেনদেনে ভারত এখন বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে। লখনউ থেকেই এক সময় মুসলিম লিগ পাকিস্তান গঠনের দাবি তুলেছিল। আর আজ সময় এসেছে এখান থেকেই ভারতের সঙ্গে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সংযুক্তিকরণের দাবি তোলার। আমি বিশ্বাস করি, খুব শীঘ্রই পিওকে-র মানুষ নিজেরাই বলবে— ‘‘আমাদের ভারতেই যুক্ত করে দিন।’’

    জন সংলাপ কর্মসূচিতে রাজনাথ

    লখনউয়ের এই সভায় কেশব নগরে একটি সড়ক নির্মাণের দাবি উঠলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট বিধায়ক ডঃ নীরজ বোরাকে নির্দেশ দেন সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে। এই অনুষ্ঠানে উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেন, “এক সময় ফৈজুল্লাগঞ্জ সংক্রামক রোগে ভোগা একটি এলাকা ছিল। সেখান থেকেই রাজ্য সরকার সংক্রামক রোগ বিরোধী অভিযান শুরু করেছিল। আজ আমরা বলতে পারি, এই রোগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।” এই জন সংলাপ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নগর সভাপতি আনন্দ দ্বিবেদী, এমএলসি মুকেশ শর্মা, রামচন্দ্র প্রধান, দিবাকর ত্রিপাঠী, পুষ্কর শুক্লা, ত্রিলোক অধিকারী, মিডিয়া ইনচার্জ প্রবীণ গার্গ, ঘনশ্যাম আগরওয়াল, শৈলেন্দ্র শর্মা অতল, মণ্ডল সভাপতি শৈলেন্দ্র মৌর্য, কাউন্সিলর রশ্মি সিং, প্রদীপ শুক্লা, প্রিয়াঙ্কা বাজপেয়ী, রামদাস কনৌজিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নগর সহ-সভাপতি ডঃ বিবেক সিং তোমর।

    প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে আত্মনির্ভর

    প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে ক্রমশ আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে ভারত। শুধু আত্মনির্ভরই হচ্ছে না। বিদেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানিও বেড়েছে। আর কয়েক বছরের মধ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকার গণ্ডী পার করবে বলে আশাবাদী প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ২০১৪ সালের পর থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি বেড়েছে। বর্তমানে বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করা হয়। তিনি আশাবাদী, ২০২৯-৩০ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি বেড়ে ৫০ হাজার কোটি টাকা হবে। প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ২৩ হাজার ৬২২ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করেছে ভারত।

    পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের জমিতে সন্ত্রাসের আখড়া

    ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর (Rajnath Singh) সাফ কথা, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (Pak Occupied Kashmir) জমি সন্ত্রাসবাদের ব্যবসা চালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প, সীমার কাছে লঞ্চ প্যাড যে রয়েছে তার খবর ভারত সরকারের কাছে রয়েছে। রাজনাথ সিং বলেন,’ জম্মু ও কাশ্মীর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ছাড়া অসম্পূর্ণ। ভারতের মাথার মুকুটমণি সেটি। আর তাছাড়াও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর পাকিস্তানের কাছে একটি বিদেশি এলাকা ছাড়া আর কিছুই নয়।’ উল্লেখ্য, পাক অধিকৃত কাশ্মীর জম্মু ও কাশ্মীরেরই অংশ, দেশ তো বটেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার এ কথা জানিয়ে এসেছে ভারত। এই ইস্যুতে মামলাও চলছে আন্তর্জাতিক আদালতে। সম্প্রতি কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করেছিলেন পাক সেনাপ্রধান।

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর অধিবাসীদের দাবি

    কাশ্মীর নাকি পাকিস্তানের ‘জুগুলার ভেইন’ অর্থাৎ প্রধান শিরা! পাক সেনাপ্রধানের বিস্ফোরক মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কড়া জবাব দেয় নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের হুঁশিয়ারি, “বেআইনিভাবে দখল করে রাখা অধিকৃত কাশ্মীর আগে খালি করুন। বিদেশি সম্পত্তি কী করে আপনার দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হতে পারে?” “কোনও বিদেশি জিনিস কীভাবোজনাথের দাবি আপনার প্রধান শিরা বা ‘জুগুলার ভেইন’ হতে পারে? এটা ভারতের একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। আর কাশ্মীরে পাকিস্তানের একটাই কাজ, সেটা হল বেআইনিভাবে দখল করে থাকা অংশটা ফাঁকা করে দেওয়া। সেখানকার বাসিন্দারাও ভারতের সঙ্গে জুড়তে চায়। তাঁদের দাবি, এই অঞ্চলের মাটিকে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ বা প্রক্সি ওয়ার চালাচ্ছে পাক সরকার। কিন্তু কাশ্মীর বাসীরা এই অঞ্চলের মাটিকে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য পাকিস্তান সরকার ও সেনাকে ব্যবহার করতে দিতে চান না। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কথায় এখানকার সাধারণ মানুষ খুব শীঘ্রই ভারতের সঙ্গে এক হতে চাইবে।

  • India Slams Pakistan: “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে এবং থাকবেও,” রাষ্ট্রসংঘে ফের বলল ভারত

    India Slams Pakistan: “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে এবং থাকবেও,” রাষ্ট্রসংঘে ফের বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir) সব সময় ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।” রাষ্ট্রসংঘের আলোচনা সভায় পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা জম্মু-কাশ্মীর (India Slams Pakistan) নিয়ে মন্তব্য করলে, তার প্রতিবাদে এ কথা বলেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পর্বতানেনি হরিশ। জম্মু-কাশ্মীরের কিছু অংশকে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে ইসলামাবাদ। অবিলম্বে ওই অংশ ছাড়তে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন নয়াদিল্লির দূত। দেশের সার্বভৌমত্ব প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নয়াদিল্লির অবস্থান ফের একবার স্পষ্ট করে দিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগও তোলেন তিনি।

    পাকিস্তানের মন্তব্য অযৌক্তিক (India Slams Pakistan)

    জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের মন্তব্যকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে দাবি করে ভারতীয় এই কূটনীতিক বলেন, “বার বার এই ধরনের কথা বললে তাদের (পাকিস্তানের) অবৈধ দাবি বৈধতা পেয়ে যায় না। তাদের রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদকেও বৈধতা দেয় না।” রাষ্ট্রসংঘে হরিশ জানান, পাকিস্তান এখনও জম্মু-কাশ্মীরের একটি বড় অংশ অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। পাকিস্তান যাতে ওই অংশ ছেড়ে দেয়, তা নিয়েও সুর চড়ান ভারতীয় এই কূটনীতিক। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ওই আলোচনা সভায় মূল আলোচ্য বিষয় ছিল শান্তিরক্ষা বাহিনীর ভবিষ্যৎ। সেখানেই পাকিস্তানের দূত সৈয়দ তারিক ফতেমির বক্তৃতায় উঠে আসে জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গ। তার পরেই বলতে উঠে পাকিস্তানকে তুলোধনা করেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি।

    কী বললেন ভারতের রাষ্ট্রদূত

    ভারতের রাষ্ট্রদূত বলেন, “ভারত বাধ্য হয়ে লক্ষ্য করেছে যে পাকিস্তানের প্রতিনিধি আবারও ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর সম্পর্কে অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করেছে। এ ধরনের মন্তব্য বার বার করে তারা তাদের অবৈধ দাবিকে বৈধতা দেয় না, না তাদের রাষ্ট্র-পৃষ্ঠপোষকতায় সীমান্ত-পার সন্ত্রাসবাদের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করে। এর পরেই তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীর সব সময় ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে এবং থাকবেও।” হরিশ বলেন, “পাকিস্তান অবৈধভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের একাংশ দখল করে রেখেছে, যা তাদের ছেড়ে দিতে হবে। আমরা পাকিস্তানকে পরামর্শ দেব যে এই ফোরামের মনোযোগ তাদের সংকীর্ণ ও বিভেদমূলক অ্যাজেন্ডা চালানোর জন্য অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা না করতে। ভারত আরও বিস্তারিত উত্তর দেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকবে।”  তিনি বলেন, “ভারতের ব্যাপারে নাক গলিয়ে কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে আলটপকা মন্তব্য করছেন পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা। তাই ভারত বলতে বাধ্য হচ্ছে, পাকিস্তানের এ ধরনের মন্তব্যে তাদের দাবিদাওয়া মান্যতা পাবে না। এমনকী, রাষ্ট্রের মদতে সীমান্তে যে সন্ত্রাসবাদ পাকিস্তান কায়েম করতে চাইছে, তাও কোনওভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে না (Jammu Kashmir)।”

    আগেই একহাত নিয়েছিলেন জয়শঙ্কর

    এ মাসের শুরুতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পাকিস্তান-দখলকৃত কাশ্মীরকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে দীর্ঘতম সময় ধরে অন্য একটি দেশের অবৈধ উপস্থিতি ও দখলদারিত্ব বলে উল্লেখ করেছিলেন। রাইসিনা ডায়লগ ২০২৫-এ ভাষণ দিতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের ভুল ব্যাখ্যা এবং আগ্রাসনকে বিবাদ হিসেবে চিহ্নিত করার সমালোচনা করেছিলেন। জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “আমরা রাষ্ট্রসংঘে গিয়েছিলাম। যে ঘটনাটি আদতে একটি আগ্রাসন, তাকে বিরোধে পরিণত করা হয়েছিল। আক্রমণকারী ও শিকারিকে একই সারিতে দাঁড় করানো হয়েছিল। অপরাধী পক্ষগুলি কারা? ব্রিটেন, কানাডা, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (India Slams Pakistan)?”

    পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ফিরে পাওয়াই বাকি

    এর আগে, জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে জম্মু কাশ্মীরের সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান অর্জনের জন্য এখন শুধু পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) ফিরে পাওয়াই বাকি রয়েছে। লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে বক্তৃতা দেওয়ার সময় জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “কাশ্মীরে আসলে আমরা বেশ ভালো কাজ করেছি। বেশিরভাগ সমস্যারই সমাধান হয়েছে বলে আমি মনে করি। ধারা ৩৭০ বাতিল করা ছিল আমাদের প্রথম পদক্ষেপ। তারপর, কাশ্মীরে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুদ্ধার এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা ছিল দ্বিতীয় পদক্ষেপ। তৃতীয় পদক্ষেপ হিসেবে উচ্চ ভোটদানের সঙ্গে নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে। আমি মনে করি, এখন আমরা শুধু কাশ্মীরের চুরি হয়ে যাওয়া অংশ—যা পাকিস্তান অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে — সেটি ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। যখন সেটি সম্পন্ন হবে, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে (India Slams Pakistan)।”

    সম্প্রতি আমেরিকান পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ কূটনৈতিক শীতলতা নিয়েও মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানিয়েছেন, ভারত সব সময় শান্তি চেয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান তার বদলে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ওই সাক্ষাৎকারে এও জানিয়েছেন, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় ২০১৪ সালে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন যাতে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্পর্ক নতুনভাবে শুরু করা যায় (Jammu Kashmir)। কিন্তু শান্তি ফেরানোর প্রতিটি চেষ্টার বদলে অপর প্রান্ত থেকে বিরোধিতা ও বিশ্বাসঘাতকতা মিলেছে বলেও জানান তিনি (India Slams Pakistan)।

  • S Jaishankar: ‘‘পাকিস্তানের চুরি করা অংশ জুড়তে পারলেই সমাধান হবে কাশ্মীর সমস্যার’’, স্পষ্ট কথা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘পাকিস্তানের চুরি করা অংশ জুড়তে পারলেই সমাধান হবে কাশ্মীর সমস্যার’’, স্পষ্ট কথা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীর যদি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় তবেই মিটে যাবে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ সংঘাত! ব্রিটেন সফরে গিয়ে এমনই দাবি করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তাঁর মন্তব্য, ‘‘পাকিস্তানের চুরি করা অংশটুকু জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে জুড়ে দিতে পারলেই সমস্যার সমাধান হবে।’’ অর্থাৎ পাকিস্তানই যে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কাশ্মীর সমস্যাকে জিইয়ে রেখেছে। এদিন আন্তর্জাতিক মঞ্চে সে কথাই ঘোষণা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    পাক-অধিকৃত কাশ্মীর কি ফেরত আসছে?

    লোকসভা ভোটের সময় থেকেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর ইস্যুতে জোর চর্চা শুরু হয়। ২০২৪ সালের মে মাসে দুদিন জয়শঙ্করকে এনিয়ে মন্তব্য করতে শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘‘আশা করব দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলই মনে করেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অংশ এবং তা আমাদের কাছে ফের আসা উচিত।’’ সেসময় একাধিক জনসভায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে মন্তব্য করতেও শোনা যায়, অধিকৃত কাশ্মীর খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে ভারতে। এই আবহে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাক অধিকৃত কাশ্মীর (Kashmir) নিয়ে জয় শঙ্করের এমন মন্তব্যে ফের একবার চর্চা শুরু হয়েছে এই ইস্যুতে। মোদি সরকার পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফেরত আনতে কোনও পদক্ষেপ শুরু করে কিনা সেটাই এখন দেখার। গতকাল বুধবার ব্রিটেনে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) সাফ জানান, পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) থেকে পাকিস্তান সরে গেলেই কাশ্মীর সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান হবে। গতকাল বুধবার লন্ডন-থিঙ্কট্যাঙ্ক অনুষ্ঠানে এক অতিথির প্রশ্নের জবাবে তিনি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে এই মন্তব্য করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    ব্রিটেনে কী প্রশ্ন করা হয়েছিল বিদেশমন্ত্রীকে (S Jaishankar)

    বুধবার বিদেশমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন? এর উত্তরে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আমি মনে করি, যে অংশটির জন্য আমরা অপেক্ষা করছি তা হল কাশ্মীরের অধিকৃত হওয়া অংশের প্রত্যাবর্তন, যা অবৈধভাবে পাকিস্তান দখল করে রেখেছে। যখন এই সমস্যা সমাধান হবে, আমি আপনাকে আশ্বস্ত করছি যে, কাশ্মীর সমস্যারও সমাধান করা হবে।’’

    বিদেশমন্ত্রীর জবাবে উঠে এল ৩৭০ ধারার প্রসঙ্গ

    কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘‘৩৭০ ধারা বাতিল করা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের আয়োজন সেই প্রক্রিয়ারই অঙ্গ।’’ ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) আরও জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন প্রশাসন বহুমুখীতার দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যা ভারতের স্বার্থের ক্ষেত্রে খুবই অনুকূল ৷ দুই দেশই ইতিমধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সম্মত হয়েছে ৷

    জয়শঙ্করের মন্তব্যকে সমর্থন বিজেপি-কংগ্রেসের

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেনে এস জয়শঙ্করের এমন মন্তব্যের পরেই বিজেপি এবং কংগ্রেস- এই দুই দলই এই মন্তব্যের সমর্থন করেছে। প্রত্যেক দলই দাবি করেছে যে পাক অধিকৃত কাশ্মীর হল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিজেপির নেতা মুক্তার আব্বাস নখভি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ভারতীয় সংসদ ১৯৯৪ সালে সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে যে জম্মু-কাশ্মীর এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর এই দুটোই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রায় কুড়ি বছর আগে পাশ হওয়া এই প্রস্তাবটি আজও একটি ভিত্তিপ্রস্তর এবং এখানেই ভারতের অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।’’ এই আবহে মোদি সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপগুলিকেও তুলে ধরেন তিনি। বিশেষত জম্মু কাশ্মীরের সীমানা নির্ধারণ ও রাজ্যের বিধানসভায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য ২৪টি আসন সংরক্ষণের কথা বলেন তিনি। একই কথা শোনা গিয়েছে বিজেপি বিধায়ক বিক্রম রান্ধোয়ার গলাতে। তিনিও বলেন যে কাশ্মীরের যে অংশ বর্তমানে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তা আমাদের ছিল আছে এবং থাকবে। অন্যদিকে কংগ্রেসের বিধায়ক রিজওয়ান আরশাদ বিদেশমন্ত্রীর দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত হয়েছেন এবং তাঁর বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন।

    অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘ভারতের উত্থান এবং বিশ্বে ভূমিকা’

    প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় লন্ডনের চ্যাথাম হাউস থিঙ্ক ট্যাঙ্কে ‘ভারতের উত্থান এবং বিশ্বে ভূমিকা’ শীর্ষক একটি সম্মেলনেই বক্তব্য রাখেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রসঙ্গত, ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডে ছয় দিনের সফরে রয়েছেন জয়শঙ্কর ৷ অতিথিদের করা প্রশ্নে চিন সম্পর্কেও মন্তব্য করেন বিদেশমন্ত্রী। চিনের সম্পর্ক বলতে গিয়ে তিনি ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে তিব্বতে কৈলাস পর্বত তীর্থযাত্রার পথ খোলা-সহ বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।

    ব্রিটেন সফরে জয়শঙ্কর বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে

    ব্রিটেন সফরে গিয়ে বুধবার সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আলোচনা হয় দু’দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, জনগণের মধ্যে আদান-প্রদান বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে হওয়া ওই বৈঠকে ছিলেন সে দেশের বিদেশসচিব ডেভিড ল্যামি এবং অন্যান্য বর্ষীয়ান নেতা। বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি আলোচনায় রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।

  • Hamas: পাক জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মেলাল হামাস, কাশ্মীরকে অশান্ত করার ছক?

    Hamas: পাক জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মেলাল হামাস, কাশ্মীরকে অশান্ত করার ছক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পাক জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মেলাল প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস (Hamas)! বুধবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) পালিত হয়েছে ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’। সেখানে আয়োজন করা হয়েছিল ভারত-বিরোধী এক জঙ্গি সম্মেলনেরও। অভিযোগ, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন যোগ দিয়েছিল ওই সম্মেলনে। জানা গিয়েছে, সম্মেলনে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তইবার নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন হামাসের প্রবীণ নেতারাও।

    কাশ্মীর সংহতি দিবস (Hamas)

    এদিন রাওয়ালকোটের শহিদ সাবির স্টেডিয়ামে কাশ্মীর সংহতি ও হামাস অপারেশন আল আকসা বন্যা শীর্ষক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথিদের মধ্যে ছিলেন জইশের প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই তালহা সইফ, জইশের কমান্ডার আসগর খান কাশ্মীরি ও মাসুদ ইলিয়াস। লস্করের শীর্ষ স্থানীয় নেতারাও ছিলেন। এই সম্মেলনেই যোগ দিয়েছিলেন ইরানে হামাসের প্রতিনিধি খালিদ আল কাদুমি।

    জইশ এবং লস্কর

    বৈঠকে খালিদ ছাড়াও হামাসের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজন প্যালেস্তাইনি নেতাও উপস্থিত ছিলেন। এই জঙ্গি নেতারা আলাদা করে বৈঠক করেন জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলামের প্রধান মওলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গেও। ভারতের (Hamas) মাটিতে বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ এবং লস্করের সদস্যরা। ভারত-বিরোধী এই সব জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হামাস নেতাদের বৈঠকে ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ। এই হামাসই অতীতে একাধিকবার কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিল। সেই সময় জল্পনা ছড়িয়েছিল, দক্ষিণ এশিয়ার জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে হামাসের যোগসূত্র থাকতে পারে। কাশ্মীর সংহতি দিবসের এই অনুষ্ঠানই ফের উস্কে দিল সেই জল্পনাই।

    কাশ্মীর সংহতি দিবস পালনের সূচনা

    ১৯৯১ সালে কাশ্মীর সংহতি দিবস পালনের সূচনা করেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। সেই থেকে ফি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি দিনটি পালন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। পাকিস্তানের (POK) সব সরকারি প্রতিষ্ঠানেও ছুটি থাকে এদিন। সাম্প্রতিক অতীতে দিনটিকে ভারত বিরোধী প্রচারের কাজে ব্যবহার করছেন পাকিস্তানের রাজনীতির কারবারিরা। প্রতিবারই আপত্তি জানিয়ে আসছে ভারত। ভারতের সেই আপত্তি অগ্রাহ্য করে এবারও কাশ্মীর সংহতি দিবস পালন করেছে পাকিস্তানের সরকার। ভারতের হাতে নিপীড়িত কাশ্মীরবাসীর পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Hamas)।

    ‘আল আকসা ফ্লাড’-এর ব্যানারে সম্মেলন

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এবার যে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল, তা করা হয়েছিল ‘আল আকসা ফ্লাড’-এর ব্যানারে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর এই নামেই ইজরায়েলে অপারেশন চালিয়েছিল হামাস। প্যালেস্তাইনের এই জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে সেদিন প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭০০ জন নিরীহ মানুষ। আল আকসা হল জেরুজালেমের এক মসজিদ। এই মসজিদের ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব দাবি করেছে একই সঙ্গে মুসলিম ও ইহুদি দু’পক্ষই। হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যে লড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলেছিল তার অন্যতম নেপথ্য কারণ এটিও। ইজরায়েল ইহুদি রাষ্ট্র। আর হামাস মুসলিম। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আল আকসা ফ্লাডের ব্যানারে সম্মেলন হওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত। কারণ এই নামকে হাতিয়ার করেই মুসলিম ভাবাবেগকে উস্কে দিতে চাইছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেটাকে কাজে লাগিয়েই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঘাঁটি গাড়ছে বিভিন্ন দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলি (Hamas)।

    পাক চেষ্টা ব্যর্থ

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই চাইছে জম্মু-কাশ্মীরের ইস্যুকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরতে। যদিও সেই মঞ্চে মিথ্যাচার চালিয়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি ইসলামাবাদ। এবার হামাস কমান্ডারকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিয়ে এসে পাক (POK) প্রশাসন বিশ্বের দরবারে এই বার্তাই পৌঁছে দিতে চাইছে, প্যালেস্তাইন এবং কাশ্মীরের সমস্যা একই। মধ্য প্রাচ্যে গাজার মতোই কাশ্মীরে চলছে মুসলমানদের ওপর অত্যাচার। কাশ্মীর ইস্যুতে বিশ্বের মুসলমান দেশগুলিকে পাশে পেতে বহু কাঠখড় পুড়িয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। তবে বেশিরভাগ মুসলিম দেশই রয়েছে ভারতের সঙ্গে। সৌদি আরব, ইউএই, কাতার এবং কুয়েত তো রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর ইস্যুতে বরাবর ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক ও মালয়েশিয়া।

    তিনটি জঙ্গি সংগঠনের মাথারা

    বুধবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যে সম্মেলন হয়েছে, সেখানে জড়ো হয়েছিলেন তিনটি জঙ্গি সংগঠনের মাথারা। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এই তিন জঙ্গি সংগঠনকে একত্রিত করে জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় নাশকতার ছক কষছে পাক সেনাবাহিনী এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। মোদি জমানায় শান্ত হয়েছে ভূস্বর্গ কাশ্মীর। সেই কাশ্মীরেই জেহাদের স্বপ্ন ফেরি করে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি ফের রক্তাক্ত করে তুলতে চাইছে কাশ্মীরকে। সেই কারণেই সীমান্তের ওপারের জঙ্গি ঘাঁটিগুলির ওপর কড়া নজর রাখছে ভারত। সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।

    ঘটনাচক্রে, এদিন যখন সম্মেলন চলছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে, ঠিক তখনই মুজফফরাবাদে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ভাষণ শেষে তিনি স্লোগান দেন, ‘কাশ্মীর বনেগা পাকিস্তান’। আরও একধাপ এগিয়ে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির আহমেদ দাবি করেন, একদিন গোটা কাশ্মীর হবে পাকিস্তানের অংশ (POK)। পাক সেনা কাশ্মীরের স্বাধীনতা লড়াইয়ের সঙ্গেই আছে বলেও জানান তিনি (Hamas)।

  • POK: ভারতের মাথার মুকুটমণি! পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে দখলমুক্ত করতে প্রস্তুতি শুরু, ইঙ্গিত রাজনাথের

    POK: ভারতের মাথার মুকুটমণি! পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে দখলমুক্ত করতে প্রস্তুতি শুরু, ইঙ্গিত রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশি শত্রুর দখলে যাওয়া নিজ জমি পুনর্দখল করতে গোপনে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারত। তাহলে কি অধিকৃত কাশ্মীরকে পাকিস্তানের দখলমুক্ত করতে গোপনে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে মোদি সরকার? প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর ইঙ্গিত তেমনই, মনে করছে কূটনৈতিক মহল। পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর (POK) সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর আগেও এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও  (Rajnath Singh) পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য সওয়াল করলেন।

     

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) ইতিহাস

    ভারত ক্রমাগত স্পষ্ট করছে যে, জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ একীকরণ, যেটা দেশ ভাগের সময়কার মতো ছিল, তা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে হওয়া উচিত। একত্রীভূত জম্মু ও কাশ্মীর ছিল একটি বৃহৎ রাজ্য, যার আয়তন ছিল প্রায় ২,১৮,৭৭৯ বর্গকিলোমিটার। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের সময়, জম্মু ও কাশ্মীরের শাসক মহারাজা হরি সিং ছিলেন হিন্দু, তবে কাশ্মীর উপত্যকা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। রাজ্যের সীমান্তে আরও নানা সংস্কৃতি ও ধর্মীয় গোষ্ঠী ছিল, যার মধ্যে ছিল লাদাখের বৌদ্ধরা, গিলগিট-বালতিস্তানের শিয়া ও ইসমাইলি মুসলিমরা।

     

    ভারতের সঙ্গে চুক্তি হরি সিংয়ের

    কাশ্মীরের ভারতের সঙ্গে যুক্তির ইতিহাসও অনেক পরিচিত। ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতার পর, জম্মু ও কাশ্মীরের শাসক মহারাজা হরি সিং স্বাধীনতার জন্য চেষ্টা করেন, কিন্তু পাকিস্তান কাশ্মীরকে (POK) তাদের অংশ হিসেবে দাবি করে এবং এর পরপরই পাকিস্তানী সেনারা কাশ্মীরে আক্রমণ শুরু করে। ১৯৪৭ সালের ২৪ অক্টোবর পাকিস্তানি সেনা এবং ট্রিবাল বাহিনী কাশ্মীরের বন্দরমুল্লা পর্যন্ত পৌঁছায়। এই আক্রমণের ফলে পরিস্থিতি সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে, এবং ২৬ অক্টোবর মহারাজা হরি সিং ভারতের সঙ্গে ‘ইনস্ট্রুমেন্ট অফ অ্যাকসেশন’ স্বাক্ষর করেন। এরপর ভারতীয় সেনা ২৭ অক্টোবর কাশ্মীরে এসে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও যুদ্ধ অব্যাহত ছিল, ১৯৪৮ সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রসংঘের শান্তি প্রস্তাবের পর, কাশ্মীরের সীমান্তে একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয়। এর ফলে ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের বেশ কিছু অংশ হারায়, বিশেষ করে পাকিস্তান-অধিকৃত উত্তরাঞ্চল, যাকে পাকিস্তান ‘আজাদ কাশ্মীর’ হিসেবে দাবি করে। পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (POK) আয়তন প্রায় ১৩,২৯৭ বর্গ কিলোমিটার, এবং সেখানে বসবাসকারী জনসংখ্যার প্রায় ৯৫% মুসলিম। এটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত।

     

    ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ

    গত ১২ জানুয়ারি সোনামার্গ টানেল উদ্বোধনের সময় জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের সবচেয়ে বড় সংযুক্ত রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাশ্মীরের উভয় পাশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা একীভূত হওয়ার জন্য ইচ্ছুক, যদিও এই অনুভূতি এখনও প্রকাশ্যে স্পষ্ট নয়। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়, যেখানে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছিল যে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ পুরোপুরি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে ভারতের রাজনৈতিক অবস্থান দৃঢ় হয়, যদিও জনগণের মধ্যে পুনঃএকীকরণের ব্যাপারে বড় কোনও বিতর্কের সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু, পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে কাশ্মীর-ভূমে অস্থিরতা এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর ফলে কাশ্মীর ইস্যুতে শান্তি প্রতিষ্ঠা আরও জটিল হচ্ছে। ভারত এই সংকটের সমাধান করার ক্ষেত্রে শক্তি ও ঐক্যবদ্ধতার পথে এগিয়ে যাচ্ছে, বলে জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ।

     

    সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প চলছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK)

    সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অধিবাসীদের ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বার্তা দেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “পাকিস্তান আপনাদের সঙ্গে বিদেশির মতো আচরণ করে। আমরা তা করব না। আমরা আপনাদের আপন করে নেব।” রাজনাথ জানান, পিওকে ছাড়া জম্মু ও কাশ্মীর অসম্পূর্ণ। রাজনাথ সিং বলেন, “অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অভিন্ন অঙ্গ। পাকিস্তান নিজেও জানে এই অংশ আসলে তাদের কাছে বিদেশের মাটি। তাই এই মাটিকে তারা সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করে। অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) ওরা জঙ্গি তৈরির কারখানা খুলেছে। সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প চলছে ওখানে।”

     

    ভারতের মাথার মুকুটমণি

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) জম্মু ও কাশ্মীরেরই অংশ, দেশ তো বটেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার এ কথা জানিয়ে এসেছে ভারত। এই ইস্যুতে মামলাও চলছে আন্তর্জাতিক আদালতে। সাম্প্রতিক সময়ে বারবার বিজেপি নেতাদের মুখে শোনা গিয়েছে অধিকৃত কাশ্মীরকে পাক দখলমুক্ত করার বার্তা। ভারতের দাবি, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) জমি সন্ত্রাসবাদের ব্যবসা চালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প, সীমার কাছে লঞ্চ প্যাড যে রয়েছে তার খবর ভারত সরকারের কাছে আছে। জম্মু ও কাশ্মীর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ছাড়া অসম্পূর্ণ। ভারতের মাথার মুকুটমণি এই অঞ্চল।

LinkedIn
Share