Tag: POK

POK

  • Siachen Glacier: সিয়াচেনের কাছে পাক-অধিকৃত ভূখণ্ডে সড়ক-সুড়ঙ্গ নির্মাণ করছে চিন, উদ্বিগ্ন ভারত

    Siachen Glacier: সিয়াচেনের কাছে পাক-অধিকৃত ভূখণ্ডে সড়ক-সুড়ঙ্গ নির্মাণ করছে চিন, উদ্বিগ্ন ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রকাশ্যে এল সিয়াচেনের (Siachen Glacier) পাক-অধিকৃত অংশে সড়ক ও সুড়ঙ্গ নির্মাণের চিনা সেনার কর্মকাণ্ড। সম্প্রতি পাওয়া উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, পাক অধিকৃত ভারতীয় ভূখণ্ড শাকসগাম এলাকায় কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে চিনা লিবারেশেন আর্মি। কয়েক বছর আগেও উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছিল, প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ তীরজুড়ে সেতু নির্মাণে তৎপর চিনা ফৌজ।

    লাল ফৌজের তৎপরতা (Siachen Glacier)

    পরে অন্য একটি উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছিল, এলএলসি লাগোয়া আকসাই চিন এলাকায় স্থায়ী বাঙ্কার ও বড় সুড়ঙ্গ তৈরি করছে লাল ফৌজ। ভবিষ্যতে সংঘাতের পরিস্থিতির মোকাবিলা করতেই ড্রাগনের দেশের এই পদক্ষেপ বলে ধারণা ভারতের। ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে সেনার পাশাপাশি অস্ত্রশস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ রসদ মজুত রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে বলেই ধরা পড়েছিল গত বছর তোলা উপগ্রহ চিত্রেও। ১৯৪৮ সালে জম্মু-কাশ্মীরের শাকসগাম এলাকা (Siachen Glacier) দখল করেছিল পাক সেনা।

    বেল্ট অ্যান্ড রোড’ কর্মসূচি

    ছয়ের দশকে সিয়াচেন হিমবাহের পূর্ব প্রান্তের ওই এলাকা চিনের হাতে তুলে দিয়েছিল পাকিস্তান। সেখানেই নতুন রাস্তা ও সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে বেজিং। পশ্চিম চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় থেকে দক্ষিণ পাকিস্তানের গ্বদর বন্দর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে কারাকোরাম হাইওয়ে। এটি গিয়েছে শাকসগাম উপত্যকার অদূরে। ১৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ চিন-পাকিস্তান এই অর্থনৈতিক করিডর চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ কর্মসূচির অঙ্গ। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দ্রুত সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম পরিবহনের লক্ষ্যেই শাকসগাম থেকে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর সংযোগকারী রাস্তা তৈরি করছে বেজিং। ভারতের উদ্বেগের কারণ এটাই।

    আরও পড়ুুন: ইভিএমের সঙ্গে ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট যাচাইয়ের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    ভারতীয় সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাকেশ শর্মা বলেন, “এই রাস্তাটি (চিন যে নয়া রাস্তা তৈরি করছে) অবৈধ। ভারত অবশ্যই এ ব্যাপারে কূটনৈতিকভাবে প্রতিবাদ জানাবে।” এক্স হ্যান্ডেলে ইন্দো-টিবেটিয়ান ফ্রন্টিয়ার অবজার্ভার লিখেছেন, “গুরুত্বপূর্ণ ডেভেলপমেন্ট হল চিনের নয়া রাস্তা আগলি পাশ পর্যন্ত চলে এসেছে। কাশ্মীরের লোয়ার সাকসগাম উপত্যকায় পৌঁছে গিয়েছে। সড়কপথে সিয়াচেন থেকে  এখানকার দূরত্ব ৩০ মাইলেরও কম।” কিছুদিন আগেই ভারতের অরুণাচল প্রদেশের একাধিক জায়গার নাম বদলে দিয়ে খবরের শিরোনামে চলে এসেছিল চিন। সেবারও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ভারত। এবার তারা রাস্তা করছে পাক অধিকৃত ভারত ভূখণ্ডে।

    সীমান্তে উত্তেজনা জিইয়ে রাখাই কি একমাত্র কাজ শি জিনপিংয়ের দেশের (Siachen Glacier)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে নেহরুকেই কাঠগড়ায় তুললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে নেহরুকেই কাঠগড়ায় তুললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ভারতভূমের যে সব অংশ চিন দখল করে রেখেছে, সেজন্যও নেহরুই দায়ী বলে দাবি তাঁর।

    কী বললেন জয়শঙ্কর? (S Jaishankar)

    বিদেশমন্ত্রী বলেন, “দীর্ঘদিন আগেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার মুখে দাঁড়িয়েছিল ভারত। কিন্তু তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন যে ভারতের আগে চিনকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়া উচিত।” নেহরুর চিন ফার্স্ট নীতির কারণে এখনও রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য না হলেও, অচিরেই ভারত সেই মর্যাদা পাবে বলেও প্রত্যয়ী বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)।

    প্যাটেল সতর্ক করেছিলেন নেহরুকে!

    মঙ্গলবার আমেদাবাদে গুজরাট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর বলেন, “১৯৫০ সালে চিন নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেহরুকে সতর্ক করেছিলেন সর্দার প্যাটেল (তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল)। নেহরুকে প্যাটেল বলেছিলেন, আগে এই প্রথমবার আমাদের দুদিকেই (পাকিস্তান ও চিন) একটি পরিস্থিতি উদ্ভূত হয়েছে। যা আগে কখনও হয়নি। সেই সঙ্গে নেহরুকে প্যাটেল বলেছিলেন যে চিনারা যা বলছেন, তাতে তাঁর ভরসা নেই। কারণ ওঁদের উদ্দেশ্যটা অন্য কিছু ছিল এবং আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।”

    আরও পড়ুুন: “থানায় চা-টোস্ট আনতেন শাহজাহান”, দাবি করলেন বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর

    জয়শঙ্কর বলেন, “সেই সময় নেহরু প্যাটেলকে বলেছিলেন যে আপনি অহেতুক চিনাদের নিয়ে সন্দেহ করছেন। তাছাড়া হিমালয়ের ওপার থেকে আমাদের ওপর হামলা চালানো অসম্ভব।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “কয়েক বছর পরে রাষ্ট্রসংঘে ভারতকে স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেই সময় নেহরু বলেছিলেন, আমরা স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু চিন যাতে আগে স্থায়ী সদস্যপদ পায়, সেটা প্রথমে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।” জয়শঙ্কর বলেন, “আজ আমরা ইন্ডিয়া ফার্স্ট বলছি। একটা সময় ছিল, যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী চিন ফার্স্ট বলতেন।”

    তিনি বলেন, “আজও যখন সীমান্ত নিয়ে কথা হয়, কেউ কেউ বলেন সীমানা পুনর্বিন্যাস হোক। তবে একটা কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, আমাদের সীমানা আমাদেরই রয়েছে। এনিয়ে আমাদের সন্দেহ কোনওকালেই ছিল না (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jammu And Kashmir: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গুলিতে খতম কুখ্যাত লস্কর জঙ্গি

    Jammu And Kashmir: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গুলিতে খতম কুখ্যাত লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) মসজিদের ভিতরে গুলিতে ঝাঁঝরা হল লস্কর-ই-তৈবার এক জঙ্গি। নিহতের নাম কমান্ডার রিয়াজ আহমেদ আবু কাসিম। জানা গিয়েছে, মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল এই সন্ত্রাসবাদীর নাম। শুক্রবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) রাওয়ালকোটে একটি স্থানীয় মসজিদে নমাজ পড়তে আসে লস্কর জঙ্গি রিয়াজ আহমেদ। এই সময়ে একদল অজ্ঞাত পরিচিত বন্দুকবাজরা তার উপর হামলা করে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এই সন্ত্রাসবাদীর।

    গত জানুয়ারিতে রিয়াজের নেতৃত্বে হামলা হয় কাশ্মীরে, নিহত হন ৭ গ্রামবাসী

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরে জানুয়ারি মাসেই কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) রাজৌরি জেলায় জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল। সাতজন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয় এতে। ১৩ জন গ্রামবাসী জখম হন। ওই ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রী ছিল ছিল লস্কর-ই-তৈবার কমান্ডার রিয়াজ আহমেদ (Jammu And Kashmir)। এরপর থেকে তার সন্ধান পেতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী।

    কীভাবে নিহত হল রিয়াজ

    সেখানকার স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বন্দুক বাজরা মসজিদ চত্বরেই অপেক্ষা করছিল। রিয়াজ নমাজ পড়তে মসজিদের চত্বরে ঢুকলেই, আর কালবিলম্ব করেনি বন্দুকাবাজরা (Jammu And Kashmir)। খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করা হয়। মাথায় গুলি লাগে রিয়াজের। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এই মুহূর্তে চলছে ব্যাপক পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন। পাকিস্তান বিরোধী এই আন্দোলনে দমন-পীড়নও চালাচ্ছে সেদেশের সেনা। সেই আবহেই খুন হল লস্কর জঙ্গি।

    রিয়াজের পরিচয়

    জানা গেছে নিহত জঙ্গি জম্মু অঞ্চলের (Jammu And Kashmir) বাসিন্দা। ১৯৯৯ সালে সে পাকিস্তানে পালিয়ে যায়। পুঞ্চ এবং রাজৌরি জেলায় যাবতীয় সন্ত্রাসবাদের কাজে সে অন্যতম অভিযুক্ত ছিল। সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটে চলে আসে সে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের পাশাপাশি সংগঠনের জন্য অর্থেরও ব্যবস্থা করত এই জঙ্গি। এখনও পর্যন্ত পাকিস্তান রিয়াজের মৃত্যুর খবর স্বীকার করেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: সরকারের নির্দেশের অপেক্ষা! পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করবে ভারতীয় সেনা

    Indian Army: সরকারের নির্দেশের অপেক্ষা! পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করবে ভারতীয় সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারের সবুজ সংকেত পেলেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে ভারতীয় সেনা। মঙ্গলবার পুঞ্ছে সেনার এক অনুষ্ঠানে এমনই দাবি করলেন নর্দান কম্যান্ডের জেনারেল অফিসার কম্যান্ডিং-ইন-চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ পেলেই তা কার্যকর করা হবে।

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর প্রসঙ্গ

    সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই পাক অধিকৃত কাশ্মীর প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, পাকিস্তান পিছনে ছুরি মেরেছে। জোর করে কাশ্মীর দখল করেছে। আর সেখানকার বাসিন্দাদের উপর অত্যাচার করছে। ভারত প্রয়োজন বোধ করলে পাক অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধার করতে দ্বিধা করবে না। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধার করাই ভারতের লক্ষ্য। ১৯৯৪ সালে ২২ ফেব্রুয়ারি সংসদেও সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়। জম্মু-কাশ্মীরে মঙ্গলবার রুটিন সাংবাদিক সম্মেলনে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “ভারতীয় সেনাবাহিনী কেন্দ্র থেকে নির্দেশ পেলেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে। আমরা কেন্দ্রের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছি।” একই সঙ্গে  তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তান অস্ত্র-বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করলে ভারত হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। প্রতিবেশী রাষ্ট্র যেন কোনওভাবেই ভারতকে দুর্বল না ভাবে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা রীতিমতো সমস্যায় রয়েছে, বলে জানান জেনারেল দ্বিবেদী। তিনি বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে অর্ধেকের বয়স ২৫ বছর। সেনাবাহিনীতে তাদের নিয়োগ করে প্রশিক্ষণ দিয়ে পাকিস্তান পাঠালে পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করতে খুব বেশি সময় লাগবে না।

    আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা এক পাকিস্তানির! গুলি করে মারল বিএসএফ, ধৃত আরও ১

    সক্রিয় জঙ্গিরা

    জম্মু-কাশ্মীরে এই মুহূর্তে প্রায় ৩০০ জঙ্গি সক্রিয় রয়েছে বলে দাবি করেন লেফট্যানেন্ট উপেন্দ্র দ্বিবেদী। সীমান্ত এলাকায় জঙ্গি লঞ্চ প্যাড রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। সুযোগ পেলেই জঙ্গিরা ভারতে প্রবেশ করে হামলা চালাতে পারে বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায়, সব দিক বিবেচনা করে সীমান্ত এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে সেনাবাহিনীর তরফে। জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর টহলদারি ও তল্লাশি আরও বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Amit Shah: “হিন্দু হোক বা মুসলিম, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা ভারতীয়”, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “হিন্দু হোক বা মুসলিম, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা ভারতীয়”, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ভারতের অংশ এবং এখানকার জনগণ হিন্দু হোক বা মুসলিম তাঁরা ভারতীয়ই। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা তাঁদের ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ভারতীয়ই, বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে শুক্রবার এই দাবি করেন শাহ। 

    প্রসঙ্গ সিএএ

    ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের জন্য এ দেশে আসা সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই দেশগুলি থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি সিএএ-তে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এই আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা বলা হয়নি, এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “তিনটি দেশই ইসলামিক রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং মুসলমানরা নিপীড়নের মুখোমুখি হতে পারে না।” 

    সকলেই ভারতীয়

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, দেশভাগের সময় প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সহ কংগ্রেস নেতারা বলেছিলেন যে, পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের ভারতে স্বাগত জানানো হবে। দেশভাগের সময় পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা ২৩ শতাংশ ছিল। সেখান থেকে কমে এখন ৩.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে, ১৯৫১ সালে বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা ২২ শতাংশ ছিল। ২০১১ সালে তা কমে ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯২ সালে আফগানিস্তানে শিখ ও হিন্দুদের সংখ্যা ২ লাখ ছিল। আজ মাত্র ৫০০-তে ঠেকেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশ্ন, কোথায় গেলেন বাকিরা? ভারতে তো তাঁরা আসেননি। অর্থাৎ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ হয়েছে। কংগ্রেস নেতারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদি সরকার তা পূরণ করেছে। কিন্তু পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) ক্ষেত্রে এই বিষয়টি খাটে না বলেও মত দেন শাহ। তিনি বলেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর হামারা হ্যায়। ওটা ভারতের, তাই ওখানকার সকল বাসিন্দা, হিন্দু হোক বা মুসলিম তাঁরা সকলেই ভারতীয়।”

    আরও পড়ুন: আরএসএস-এর শিবিরগুলির প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে এল বেশ কিছু পরিবর্তন

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর প্রসঙ্গ

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গে অতীতে একাধিকবার শোনা গিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের কথায়। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ২৪টি আসনও সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে গত কয়েক বছর ধরেই আন্দোলন চলছে। এমনকি বালুচিস্তানেও এ ধরনের একাধিক প্রতিবাদ হয়েছে। পাকিস্তান নয় ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবিও উঠেছে পিওকে থেকে। ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর কাশ্মীরে পরিস্থিতির যে উন্নতি হয়েছে, সে কথাও স্মরণ করিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তার জন্য আতঙ্কবাদকে কোনও ভাবেই রেয়াত না করার কথা শোনা গিয়েছে শাহের বক্তব্যে। ভারতের ক্ষতি করার কেউ চেষ্টা করলে পাল্টা জোরাল জবাব দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gilgit Baltistan: চার দিনে পড়ল বাল্টিস্তানবাসীর প্রতিবাদী আন্দোলন, কী বলছেন তাঁরা?

    Gilgit Baltistan: চার দিনে পড়ল বাল্টিস্তানবাসীর প্রতিবাদী আন্দোলন, কী বলছেন তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভর্তুকিযুক্ত গমের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চলছে আন্দোলন। শনিবার পাক অধিকৃত গিলগিট-বাল্টিস্তানের (Gilgit Baltistan) এই আন্দোলন পড়ল চারদিনে। গত চারদিন ধরে এই আন্দোলন করছে ‘অল পার্টি অ্যালায়েন্স’। ইদগার চকে প্রতিবাদ আন্দোলনের পাশাপাশি শুক্রবার স্কার্দু এলাকার জামিয়া মসজিদ চত্বরে সমাবেশও হয়েছে।

    আন্দোলনকারীদের দাবি

    হাড়হিম করা ঠান্ডা উপেক্ষা করে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন বহু মানুষ। কেবল স্কার্দু এলাকায় নয়, প্রতিবাদ আন্দোলন হচ্ছে গ্যাঞ্চে শিঘার এবং খারমুং এলাকার রাস্তায় রাস্তায়ও। গমের মূল্য কমানো না হলে সাহারা বাল্টিস্তান এলাকা বন্ধের হুমকিও দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে ‘অল পার্টি অ্যালায়েন্সে’র প্রধান গুলাম হুসেন আথার বলেন, “গমের মূল্যবৃদ্ধির এই প্রতিবাদ আন্দোলন তুলে নিতে বলে আমাদের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে। আন্দোলন তুলে নিলে ফেডারেশন আমাদের ১৫ বিলিয়ন পাক মুদ্রার প্যাকেজ দেবে, বলেছে।”

    বোকা বানানো হচ্ছে!

    তিনি বলেন, “সাড়ে চার বিলিয়ন দেওয়া উচিত ছিল। অথচ তারা বলছে ১৫ বিলিয়ন দেবে। এটা আমাদের বোকা বানানোর একটা কৌশল।” আথার বলেন, “আমরা যাতে গমের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এই আন্দোলন থেকে সরে আসি, তাই আমাদের বিভিন্ন ধরনের অফার দেওয়া হচ্ছে। আমাদের আকর্ষণীয় ইনসেনটিভও দেওয়া হচ্ছে। আমরা কখনও বিক্রি হয়ে যায়নি। আর কোনওদিন বিক্রিও হব না। কারণ সমস্যাটা আমাদের প্রত্যেকের কাছেই এক।”

    আরও পড়ুুন: রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কারা আমন্ত্রিত, আসছেনই বা কে?

    জানা গিয়েছে, প্রাদেশিক সরকার গমের মূল্য বাবদ দরিদ্রদের দিতে ৩ হাজার ৬০০ পাক মুদ্রা দিয়েছিল আন্দোলনকারীদের। যদিও সেই টাকা প্রত্যাখান করেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, গিলগিট-বাল্টিস্তান অ্যাসেম্বলি এবং মুখ্যমন্ত্রীর স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিনিধিত্ব করার কোনও যোগ্যতাই নেই। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা ইসলামাবাদের পে-রোলে রয়েছেন। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, গিলগিট-বাল্টিস্তান অ্যাসেম্বলি জনগণের মুখপাত্র নয়। তারা সুবিধাভোগী শ্রেণি। তাদের সাফ কথা, সরকার যতক্ষণ না গমের মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত কোনও নোটিশ দেবে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। প্রসঙ্গত, ভর্তুকিযুক্ত গমের দাম বাড়িয়ে দিন কয়েক আগে নোটিশ জারি করেছিল পাকিস্তান সরকার। তার প্রতিবাদেই আন্দোলন করছেন গিলগিট-বাল্টিস্তান (Gilgit Baltistan) এলাকার বাসিন্দারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • VK Singh: “শীঘ্রই ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর”, দাবি প্রাক্তন সেনা প্রধানের

    VK Singh: “শীঘ্রই ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর”, দাবি প্রাক্তন সেনা প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শীঘ্রই নিজে থেকেই ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর।” রাজস্থানের দৌসায় এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সেনা প্রধান ভিকে সিংহ (VK Singh)। চলতি বছরই রয়েছে রাজস্থান বিধানসভার নির্বাচন। সেই উপলক্ষে রাজস্থানে এসেছেন মন্ত্রী। এখানেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “শীঘ্রই নিজে থেকেই ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর। একটু অপেক্ষা করুন।”

    শিয়া মুসলিমদের দাবি

    নির্বাচনমুখী রাজস্থানে ‘পরিবর্তন সঙ্কল্প যাত্রা’র আয়োজন করা হয়েছে বিজেপির তরফে। এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও। সেই কারণেই দৌসায় এসেছিলেন মন্ত্রী। উল্লেখ্য, শিয়া মুসলমানরা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছেন লাদাখের কারগিল চেকপোস্ট খুলে দেওয়ার। সেই প্রসঙ্গেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভারতে মিশে যাওয়ার কথা বলেন মন্ত্রী (VK Singh)। জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জনসংখ্যা ৪৫ লাখের কাছাকাছি। এর ৯৭ শতাংশই মুসলিম। বাকি তিন শতাংশ হিন্দু সহ অন্যান্য ধর্মের।

    চিনা আগ্রাসন নিয়ে জবাব মন্ত্রীর

    কেবল পাকিস্তান নয়, চিনা আগ্রাসন নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন বিদেশ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী। মানচিত্রের নয়া সংস্করণে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চিনকে নিজেদের এলাকা বলে দেখিয়েছে বেজিং। এদিন সে প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “এটা চিনের পুরনো অভ্যাস। শুধুমাত্র ভারতের কিছু অংশ নিয়ে মানচিত্র প্রকাশ করে ওরা কিছু করতে পারবে না। এতে কিছু বদলাবে না। কোন এলাকাগুলি আমাদের, আমাদের সরকার তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। অবান্তর দাবি করলেই অন্য লোকের এলাকা আপনার হয়ে যায় না।”

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইডি দফতরে পৌঁছলেন অভিষেক, শুরু জিজ্ঞাসাবাদ

    প্রসঙ্গত, নয়াদিল্লি বরাবরই দাবি করে আসছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের। অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। মে মাসে গোয়ায় অনুষ্ঠিত এসসিও-র বিদেশমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টোও। তাঁর সামনেই অবৈধভাবে দখল করা এলাকা তাঁরা কখন ফাঁকা করে দেবেন, এ প্রশ্নও তুলেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    কংগ্রেস সরকারের আমলে রাজস্থানে যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, এদিন তাও জানিয়েছেন মন্ত্রী (VK Singh)। বছর কয়েক আগে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়ে পাক ভূখণ্ডে থাকা বেশ কিছু জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছিল ভারত। তার পর থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতে নিয়ে আসার আশ্বাস দিচ্ছেন বিজেপির বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রী। অখণ্ড কাশ্মীরের স্বপ্ন যে অচিরেই পূরণ হতে চলেছে, এদিন প্রাক্তন সেনা প্রধানের কথায়ই তা স্পষ্ট।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • POK: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা, সুখে রয়েছেন কাশ্মীরবাসী  

    POK: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা, সুখে রয়েছেন কাশ্মীরবাসী  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। কাজের সুযোগ নেই। পেট পুরে খাবার জোটে না দু’ বেলা। দু’ বেলা অন্নের সংস্থানে পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ছেড়ে কাজের খোঁজে ভিন দেশে পাড়ি দিচ্ছেন দলে দলে মানুষ। সম্প্রতি গ্রিসে শরণার্থী বোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কয়েক শো পাক নাগরিকের। ওই নৌকার ডেকের নীচে জোর করে যেতে বলা হয়েছিল পাক শরণার্থীদের।

    নৌকাডুবি

    নৌকাটিতে কমপক্ষে ৪০০ জন পাক নাগরিক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন ১২ জন পাকিস্তানি। যাঁরা নৌকাডুবির কবলে পড়েছেন, তাঁদের সিংহভাগই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটলি জেলার বাসিন্দা ছিলেন। মিরপুরের পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল খালিদ মহম্মদ চৌহান জানান, গ্রিসে নৌকাডুবিতে ভেসে গিয়েছেন ১৬৬ জন। তিনি জানান, আগে যোগাযোগ করেছিল ৫০টি পরিবার। সোমবার যোগাযোগ করেছে আরও ৭০টি পরিবার (POK)।

    পুলিশের বক্তব্য

    এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় অনেকেই প্রকাশ্যে আসতে চাইছেন না আইনের ভয়ে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতি প্রশাসনের আর্জি, তাঁদের ছেলেমেয়ে যারা নৌকায় ছিল, তাদের সম্বন্ধে জানাতে। কারণ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হবে তাদের পরিবারের। পুলিশ আধিকারিক বলেন, নিখোঁজ কয়েকজন এখনও গ্রিসের জেলে বন্দি রয়েছেন। কয়েকজনের খোঁজে চলছে তদন্ত। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার কবলে পড়া নৌকাটিতে যাত্রী ছিলেন ৭০০-রও বেশি। এঁদের মধ্যে সিংহভাগই এসেছিলেন পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) থেকে। সিরিয়া, ঈজিপ্ট এবং প্যালেস্টাইনের বাসিন্দারাও ছিলেন ওই নৌকায়।

    আরও পড়ুুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    দুর্ঘটনাগ্রস্ত নৌকায় ছিলেন হাসান নামে একজন। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। বলেন, ১৫ জন নাবিক সহ নৌকাটিতে ছিলেন প্রায় ৭০০ যাত্রী। আমাকেও ডেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ডেক থেকে ওপরে ওঠার জন্য আমাকে ১০ ইউরো দিতে হয়েছিল ওই নাবিকদের একজনকে। ডেকে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল বলেই আমি ওপরে উঠে আসি।

    কাজের খোঁজে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) বাসিন্দাদের যখন ভিন দেশে যেতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হচ্ছে বেঘোরে, তখন দিব্যি রয়েছেন কাশ্মীরের বাসিন্দারা। মোদি সরকার কাশ্মীর থেকে বাতিল করেছে ৩৭০ ধারা। তার পরেই হাল ফিরেছে ভূস্বর্গের। পাতা হচ্ছে রেললাইন। হচ্ছে শিল্পও। সম্প্রতি শ্রীনগরে হয়ে গেল জি-২০ সম্মেলন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিদেশের প্রতিনিধিরাও। কাশ্মীরের উন্নতির জন্য মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন তাঁরাও।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।      

     

  • Yogi Adityanath: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাও চাইছেন ভারতের অংশ হতে,” দাবি যোগীর

    Yogi Adityanath: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাও চাইছেন ভারতের অংশ হতে,” দাবি যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান কপর্দকশূন্য। তাই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) বাসিন্দারা চাইছেন ভারতের অংশ হতে।” মঙ্গলবার এই দাবি করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। উত্তর প্রদেশের আম্বেদকরনগরে প্রায় ১২১২ কোটি টাকার ২৩৩৯টি প্রকল্পের সূচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ ভারতের আইনেই কাশ্মীরকে (Kashmir) শাসন করা হচ্ছে। একটা নতুন শান্তি আর উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে চলেছে কাশ্মীর। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাও চাইছেন ভারতের মধ্যে চলে আসতে। কেউই আর পাকিস্তানে থাকতে চাইছেন না।”

    ৩৭০ ধারা রদ

    কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়া প্রসঙ্গে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ন’ বছর আগে কেউ কি ভেবেছিলেন যে ৩৭০ ধারা বাতিল করা সম্ভব? কেউ ভাবতে পারেননি। এবং আপনারা দেখলেন ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হল ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে।”

    শ্যামাপ্রসাদের স্বপ্ন পূরণ 

    আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, “আজ কাশ্মীরে কোনও হিংসা নেই। সেই কারণেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের লোকজনও ভারতের অংশ হতে চাইছেন। আসলে দরিদ্র পাকিস্তানের সঙ্গে কেউই থাকতে রাজি নন।” তিনি বলেন, “সেই ১৯৫২ সালে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন দুজন প্রধান, দুটো পতাকা এবং দুটো বিধান এক দেশে থাকতে পারে না। সেই কারণে তাঁকে জীবন বলি দিতে হয়েছিল। শ্যামাপ্রসাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।”

    আরও পড়ুুন: আবার ভাঙন শাসকদলে! সুকান্তর হাত ধরে দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    মোদি জমানায় যে দেশের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, এদিন তাও জানান আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, “ভারতের পরিকাঠামো উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ ও বাইরের পরিকাঠামোর উন্নতি করা, সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ সহ সকলের উন্নতির জন্য বিগত বছরে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে মোদি সরকার।” তিনি বলেন, “মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গি কার্যকলাপ, মাওবাদী, নকশালদের হিংসার ঘটনা ছিল। দেশের মধ্যে ১১৫টি জেলায় ছড়িয়ে ছিল তারা। এখন সেটা কমে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে ৩ থেকে ৪টি জেলায়।” প্রধানমন্ত্রীকে ‘সংকটমোচন’ বলেও উল্লেখ করেন আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তিনি বলেন, “বর্তমানে কোনও দেশ বিপদে পড়লে ভারতের শরণ নেয়। প্রধানমন্ত্রী অবতীর্ণ হন সংকটমোচনের ভূমিকায়। ভারত বদলে গিয়েছে। তামাম বিশ্বেরই মূল্যায়ন এটি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • POK: ‘ভারতীয় ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত’, বললেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা

    POK: ‘ভারতীয় ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত’, বললেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) বাসিন্দারা ভারতীয় (India) ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত। এই  উক্তি যিনি করেছেন, তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা আমজাদ আয়ুব মির্জা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। সেই প্রসঙ্গেই মঙ্গলবার একথা বলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা আমজাদ। বিদেশি ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। দশা হয়েছে শ্রীলঙ্কার মতো। পাকিস্তানে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। এমতাবস্থায় পাকিস্তান পুড়ছে বাসিন্দাদের ক্ষোভের আগুনে। সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন গিলগিট বাল্টিস্তানের বাসিন্দারা।

    মির্জা বলেন…

    মির্জা বলেন, দেশে খাদ্য সংকট তীব্র। খাবার সংগ্রহ করতে পথে নেমেছেন বাসিন্দারা। বাজারে অমিল আটা-গম-ময়দা। তিনি বলেন, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে এক দিনে গমের মূল্য বেড়েছে ১২০০ টাকা। দেশবাসী ক্ষোভে ফুঁসছেন। সরকার ময়দার ডিপোগুলো তালা দিয়ে রেখেছে। সেখানে ময়দাও নেই। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রায় প্রতিটি শহরে লোকজন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। সেই বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন ছাত্র, আইনজ্ঞ, নাগরিক সমাজ মায় মহিলারাও।

    জানা গিয়েছে, গত বেশ কয়েক দিন ধরে পাক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন বাল্টিস্তানবাসী (POK)। গম সহ নানা খাদ্যশস্যের ওপর ভর্তুকির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। লোডশেডিং ও অবৈধভাবে জমি দখলের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তাঁরা। পাকিস্তান সেনা অবৈধভাবে ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গা দখল করছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। পাক সেনা ও সরকারের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

    মির্জা বলেন, পাকিস্তানের যুব সমাজ আওয়াজ তুলেছে ভাঙা সম্পর্ক (ভারতের সঙ্গে) জোড়া লাগাও। তাঁরা চাইছেন, ঋণের ফাঁদে পড়ে থাকা দেশ থেকে বেরিয়ে লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে যোগ দিতে। গিলগিট বাল্টিস্তানে বসানো হয়েছে খালসা সরকার ট্যাক্স। তার জেরেও আন্দোলন হয়েছে আরও তীব্র।

    আরও পড়ুুন: ভারতের আকাশে ফের পাক ড্রোন, গুলি করে নামাল বিএসএফ, উদ্ধার চিনের তৈরি অস্ত্র

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share