Tag: police

police

  • Calcutta High Court: মিলল হাইকোর্টের ছাড়পত্র, মঙ্গলবারেই মহেশতলায় যাচ্ছেন শুভেন্দু

    Calcutta High Court: মিলল হাইকোর্টের ছাড়পত্র, মঙ্গলবারেই মহেশতলায় যাচ্ছেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শর্তসাপেক্ষে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) মহেশতলা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কেবল শুভেন্দুই নন, তাঁর সঙ্গে যেতে পারবেন আরও দু’জন। সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য।

    রাজ্যকে প্রশ্ন (Calcutta High Court)

    এদিন এই মামলার শুনানিতে শুভেন্দুর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী সূর্যনীল দাস। আদালতে তিনি জানান, এসপির কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। রবীন্দ্রনগর থানায়ও জানানো হয়েছে। ওই এলাকায় ভারতীয় সংহিতার ১৬৩ (পূর্বতন ১৪৪) ধারা জারি রয়েছে। আজ, সোমবার পর্যন্ত এই ধারা জারি থাকবে। শুভেন্দুর আইনজীবীর কাছ থেকে এই তথ্য জানার পরেই বিচারপতি রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, “আজ যদি উঠে যায়, তাহলে কীসের অসুবিধা? যদি আদালত অনুমতি দেয়, তাহলে কী আশঙ্কা করছেন?”

    ‘উনি আদালতে এলেন কেন?’

    বিচারপতির প্রশ্ন শুনে রাজ্যের তরফে এজি বলেন, “যেখানেই কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটে, বিরোধী দলনেতা সেখানেই কেন যেতে চান? উনি আদালতে এলেন কেন? নিজেই তো চলে যেতে পারতেন!” এর পরেই বিচারপতির উদ্দেশে এজি বলেন, “আদালতকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহৃত হতে দেবেন না।” এদিন আদালতের হাজির ছিলেন আইনজীবী তথা তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতা আসলে পাবলিসিটি পেতে চান (Calcutta High Court)।” এজির প্রশ্ন শুনে পাল্টা প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতাকে যদি আটকে দেন, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে?” এর পরেই তিনি নির্দেশ দেন, মঙ্গলবার মহেশতলায় যাবেন শুভেন্দু। তবে কোনও সমাবেশ কিংবা মিছিল করা যাবে না। করা যাবে না বিতর্কিত মন্তব্যও।

    প্রসঙ্গত, গত ১১ জুন মহেশতলার আক্রা সন্তোষপুর এলাকায় একটি ফলের দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে শুরু হয় অশান্তি। প্রথমে বচসা, পরে শুরু হয় সংঘর্ষ। দুই গোষ্ঠীর এই সংঘর্ষের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এলাকার বেশ (Suvendu Adhikari) কয়েকটি বাড়ি এবং দোকানদানি। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে জখম হন কয়েকজন পুলিশ কর্মীও (Calcutta High Court)।

  • Kolkata Police: দিল্লি থেকে আইনের ছাত্রীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ, কেন জানেন?

    Kolkata Police: দিল্লি থেকে আইনের ছাত্রীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে আপত্তি করেছিলেন আইনের এক ছাত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর করা পোস্ট একটি মুসলমান সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে অভিযোগ (Kolkata Police)। তার জেরে শুক্রবার রাতে গুরুগ্রাম থেকে আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে  গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ (Law Student Arrest)।

    অবমাননাকর মন্তব্য! (Kolkata Police)

    পুলিশ সূত্রে খবর, শর্মিষ্ঠা ইনস্টাগ্রামে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। সেই ভিডিওতে তিনি বিশেষ একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকজনকে নিশানা করে অবমাননাকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। ভিডিওটি প্রচুর ভাইরাল হয়। সেই ভিডিও দেখে কলকাতার একটি থানায় শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। কলকাতা পুলিশও ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। জানা গিয়েছে, গত ১৪ মে এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন ওই ছাত্রী। ওই ভিডিওতে ইসলাম ও মহানবী হজরত মহম্মদকে নিয়ে আপত্তিকর ও উসকানিমূলক মন্তব্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকেই পানোলিকে প্রাণনাশ এবং ধর্ষণের হুমকি দিতে শুরু করে। এক্স হ্যান্ডেলে অ্যারেস্ট শর্মিষ্ঠা হ্যাসট্যাগটি ট্রেন্ড হতে শুরু করে। মুসলমান ইউজাররা পানোলির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানান।

    ক্ষমা প্রার্থনা করে পোস্ট

    পরের দিনই দুঃখ প্রকাশ করে পানোলি বলেন, “আমি নিঃশর্তভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি যা কিছু বলেছিলাম, তা ছিল আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি, এবং আমি ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে আঘাত দিতে চাইনি। যদি কেউ এতে আঘাত পেয়ে থাকেন, তবে আমি তার জন্য দুঃখিত। আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করি। আগামীতে আমি আমার প্রকাশ্য পোস্টে আরও সতর্ক থাকব। আবারও অনুগ্রহ করে আমার এই ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ করুন।” ক্ষমা প্রার্থনার পাশাপাশি তিনি বিতর্কিত ভিডিওটি মুছে ফেলেন। একটি আলাদা পোস্টে দেশপ্রেমের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, মেরে লিয়ে মেরা দেশ পহলে আতা হ্যায়” (আমার জন্য আমার দেশই সবার আগে)।

    কলকাতা পুলিশের তৎপরতা

    ক্ষমা (Kolkata Police) চাওয়ার পরেও ২০ মে মহারাষ্ট্র পুলিশ পানোলির বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করে। এই মামলা আরও গুরুত্ব পায় যখন অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM)-এর নেতা ওয়ারিস পাঠান প্রকাশ্যে তাঁর গ্রেফতারির দাবি জানান এবং বলেন, “আমাদের নবীর সম্পর্কে অপমানজনক বক্তব্য কোনও মুসলমানই সহ্য করবে না (Law Student Arrest)।” ওই পোস্ট দেখেই গত ৩০ মে দিল্লিতে পানোলির বাসভবনে পৌঁছে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। গ্রেফতারির সময় বা তার আগে ওই ছাত্রীকে কোনও আইনি নোটিশ কিংবা পরোয়ানা জারি করা হয়নি। এই গ্রেফতারির প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব থাকায় অনেকে একে অবৈধ বলছেন। নেটিজেনদের একাংশের বক্তব্য, একজন ছাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে জঙ্গির সঙ্গে যেমন ব্যবহার করা হয়, তেমন করে। তাঁদের বক্তব্য, এই প্রক্রিয়া আইনি প্রোটোকল লঙ্ঘন করেছে। দিল্লি হাইকোর্ট গত নভেম্বরে একটি রায়ে বলেছিল, কাউকে গ্রেফতারের আগে তাঁকে লিখিত কারণ প্রদর্শন করতে হবে, যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তি আইনি সহায়তার সুযোগ পেতে পারে।

    ছাত্রী গ্রেফতারে ব্যাপক বিতর্ক

    পানোলির গ্রেফতারিতে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। ভিজিল্যান্ট হিন্দুত্ব এবং দেবদেবাঙ্কসের যুক্তি, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় দেশপ্রেমমূলক অনুভূতি প্রকাশ করায় তাঁকে অন্যায়ভাবে টার্গেট করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, তাঁর ক্ষমা চাওয়া ও ভিডিওটি মুছে ফেলাই যথেষ্ট ছিল। দেবদেবাঙ্কসের অভিযোগ, এই গ্রেফতার একটি চক্রান্ত, যার উদ্দেশ্য জাতীয়তাবাদী কণ্ঠরোধ করা। এদিকে, ইন্ড-স্পিকমুসলিম এবং ইএলিটমেলের মতো ব্যবহারকারীরা পানোলির গ্রেফতারিকে ন্যায়ের বিজয় আখ্যা দিয়েছেন। তাঁরা জোর দিয়ে বলেন, ধর্মের অবমাননা এবং ঘৃণাভাষণ কোনওভাবেই সহ্য করা যায় না (Law Student Arrest)।

    কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়াই উচিত

    পানোলির পরিবার আদালতে মামলা করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, দেশের পাশে দাঁড়ানোর মূল্য দিচ্ছেন পালোনি। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি প্রমাণ হয় যে গ্রেফতারের সময় যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি, বিশেষ করে আগে থেকে কোনও নোটিশ না দেওয়া এবং তাড়াতাড়ি করে ট্রানজিট রিমান্ডের কারণে, তাহলে এটি আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। মামলাটি বাকস্বাধীনতা, ধর্মীয় সংবেদনশীলতা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক ছড়ানোর ভূমিকা নিয়ে বৃহত্তর টানাপড়েনকে সামনে এনেছে। পানোলির সমর্থকদের মতে, তাঁর মন্তব্যগুলি আপত্তিকর হলেও, তা উসকানির প্রতিক্রিয়ায় করা হয়েছিল এবং তিনি ক্ষমা চাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়াই উচিত (Kolkata Police)।

  • Delhi Police: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস, গ্রেফতার কিংপিন চাঁদ মিঞা

    Delhi Police: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস, গ্রেফতার কিংপিন চাঁদ মিঞা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন রাজ্যে সক্রিয় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladeshi Infiltration) বিস্তৃত নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস করল দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) দক্ষিণ-পূর্ব জেলা অ্যান্টি নারকোটিকস স্কোয়াড। গত কয়েকদিন ধরে অভিযান চালিয়ে এই স্কোয়াডই গ্রেফতার করে সব মিলিয়ে মোট ৫২ জনকে। এর মধ্যে ৪৭ জন বাংলাদেশি। আর পাঁচজন তাদের ভারতীয় সহযোগী। এই সিন্ডিকেটের নেতা চাঁদ মিঞাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চাঁদ মিঞা গত প্রায় ১২ বছর ধরে পলাতক ছিল।

    ভারতে অনুপ্রবেশ (Delhi Police)

    ২০২৫ সালের ১২ মার্চ সূত্র মারফত দিল্লি পুলিশ জানতে পারে বাংলাদেশি নাগরিক আসলাম ওরফে মাসুন ওরফে মাহমুদ সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। সে লুকিয়ে রয়েছে তৈমুর নগরে। অভিযান চালিয়ে পুলিশ দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশের টানা জেরায় আসলাম কবুল করে, সে বাংলাদেশের নোয়াখালি জেলার বাসিন্দা। তার কাছ থেকে একটি জাল আধার কার্ড ও বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    মূল হোতা চাঁদ মিঞা

    আসলামকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে এই অনুপ্রবেশ চক্রের মূল হোতা চাঁদ মিঞা। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে জানা যায়, চেন্নাইতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে ৩৩ জন বাংলাদেশি। অভিযান চালিয়ে তাদেরও গ্রেফতার করে পুলিশ। এই অভিযান সংক্রান্ত পৃথক এফআইআর দায়ের হয় দিল্লি ও চেন্নাইয়ে। পুলিশ এই অনুপ্রবেশ চক্রের সঙ্গে জড়িত পাঁচ ভারতীয় এজেন্টকেও গ্রেফতার করেছে। এরা দিল্লিতে সাইবার ক্যাফে এবং আধার সেবা কেন্দ্র চালাত। এরাই অনুপ্রবেশকারীদের জাল আধার কার্ড, জন্ম সংক্রান্ত শংসাপত্র এবং জাতিগত শংসাপত্র-সহ নকল পরিচয়পত্র তৈরি করতে সাহায্য করত (Bangladeshi Infiltration)।

    বাজেয়াপ্ত জাল আধার কার্ড

    তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ (Delhi Police) বাজেয়াপ্ত করেছে ১১টি ভুয়ো আধার কার্ড, বাংলাদেশি পরিচয়পত্র, একটি ল্যাপটপ ও চারটি হার্ড ডিস্ক, একটি কালার প্রিন্টার, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও রেটিনা স্ক্যানার, জাল জাতি ও জন্ম সার্টিফিকেট, ৯টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ১৯ হাজার ১৭০ টাকা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, এই সিন্ডিকেটটি পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয় হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের মধ্যে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারে সাহায্য করত। এজন্য জনপ্রতি তারা নিত ২৫ হাজার টাকা করে। চাঁদ মিঞা ব্যক্তিগতভাবে এক সঙ্গে ৮ থেকে ১০ জন অনুপ্রবেশকারীকে নিয়ে যেত। ভারতে প্রবেশের পর অনুপ্রবেশকারীরা প্রথমে অসমে পৌঁছত। সেখান থেকে লুকমান নামের আর এক হ্যান্ডলারের সাহায্যে চলে যেত দিল্লি বা ভারতের অন্যান্য শহরে।

    ভুয়ো কাগজপত্র

    দিল্লিতে পৌঁছনর পর ভারতীয় এজেন্টরা তাদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে ভুয়ো কাগজপত্র তৈরি করত। বেশিরভাগ অনুপ্রবেশকারীকেই প্রথমে আবর্জনা কুড়ানো বা অন্যান্য ছোটখাট কাজে নিয়োজিত করা হত, যাতে তারা কর্তৃপক্ষের নজর এড়াতে পারে (Bangladeshi Infiltration)। ডিসিপি রবি কুমার সিং জানান, ইন্সপেক্টর বিষ্ণু দত্তের নেতৃত্বে এএনএস দিল্লি, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু-সহ বিভিন্ন শহরে যৌথভাবে অভিযান চালিয়েছে। এই গোষ্ঠীটি দিল্লিকে জাল কাগজপত্র তৈরির মূল কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করত। পুলিশের ধারণা, এটি কেবল হিমশৈলের চূড়ামাত্র। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে ১০০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক ও তাদের একাধিক ভারতীয় সহযোগী। কর্তৃপক্ষ তদন্তের পরিধি বাড়িয়ে এই নেটওয়ার্কের বাকি শাখাগুলির টিকি ছোঁয়ার চেষ্টা করছে (Delhi Police)। কয়েক বছর আগেও এই ধরনের চারটি অবৈধ অনুপ্রবেশ চক্র ধ্বংস করেছে পুলিশ। তাতে গ্রেফতার হয়েছিল ৪০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক ও তাদের ভারতীয় এজেন্ট।

    কে এই চাঁদ মিঞা

    জানা গিয়েছে, পঞ্চান্ন বছর বয়সি চাঁদ মিঞা বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার মুদ্দু বরিশালের বাসিন্দা। গত ১০-১২ বছর ধরে সে মানব পাচার করছিল। চার বছর বয়সে সে নিজেই ভারতে অনুপ্রবেশ করে। তারা প্রথমে দিল্লির সীমাপুরী ও পরে তৈমুর নগরে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করে। বছরের পর বছর ধরে চাঁদ চেন্নাইতে তার ঘাঁটি স্থানান্তরিত করে। তার পর সে এমন একটি নেটওয়ার্ক পরিচালনা করতে শুরু করে যার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বেনাপোল এলাকা এবং মেঘালয়ের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের এদেশে অনুপ্রবেশের কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। এ পর্যন্ত চাঁদ মিঞার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শনাক্ত হওয়া ১৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে এফআরআরও-র সাহায্যে বহিষ্কার করা হয়েছে (Delhi Police)।

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই দিল্লির পাহাড়গঞ্জ এলাকায় অবৈধভাবে বসবাসকারী আরও পাঁচজন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হল মিম আখতার, মিনা বেগম, শেখ মুন্নি, পায়েল শেখ, সোনিয়া আখতার এবং তানিয়া খান। পুলিশের দাবি (Bangladeshi Infiltration), এদের কারও কাছে বৈধ অভিবাসন সংক্রান্ত কোনও নথিপত্র নেই (Delhi Police)।

  • Gujarat High Court: গোধরাকাণ্ডে ৯ রেলপুলিশ কনস্টেবলের বরখাস্তের নির্দেশ বহাল রাখল গুজরাট হাইকোর্ট

    Gujarat High Court: গোধরাকাণ্ডে ৯ রেলপুলিশ কনস্টেবলের বরখাস্তের নির্দেশ বহাল রাখল গুজরাট হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগের (Godhra Carnage) ঘটনায় রেল পুলিশের ন’জন কনস্টেবলের বরখাস্তের নির্দেশ বহাল রাখল গুজরাট হাইকোর্ট (Gujarat High Court)। সম্প্রতি এ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নানাবতীর নেতৃত্বাধীন কমিশনের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে সহমত পোষণ করে এই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

    কমিশনের পর্যবেক্ষণ (Gujarat High Court)

    ২০০২ সালের ওই ঘটনার দিন সবরমতী এক্সপ্রেসে ডিউটি ছিল ন’জন পুলিশ কনস্টেবলের। ট্রেনটি ছ’ঘণ্টা দেরিতে চলায় তাঁরা সবরমতী এক্সপ্রেসে না উঠে অন্য একটি ট্রেনে করে আহমেদাবাদে ফিরে গিয়েছিলেন। এ বিষয়ে তাঁর উষ্মা গোপন করেনি নানাবতী কমিশন। কমিশন তার পর্যবেক্ষণে বলেছিল, “ওই পুলিশকর্মীরা যদি সেই দিন তাঁদের কর্তব্য পালন করতেন, তা হলে এত বড় ঘটনা (সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগ) এড়ানো সম্ভব হত।” নানাবতী কমিশনের ওই রিপোর্টের ভিত্তিতেই বরখাস্ত করা হয় অভিযুক্ত ৯ পুলিশ কনস্টেবলকে।

    হাইকোর্টের বক্তব্য

    আদালত জানিয়েছে, বরখাস্ত হওয়া পুলিশকর্মীরা যদি তাঁদের কর্তব্যে অবহেলা ও অসাবধান না হতেন, তাহলে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি এড়ানো যেত। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “রেলওয়ে পুলিশ বাহিনীর ওই ন’জন কর্মীর সেই দুর্ভাগ্যজনক দিনে দাহোদ থেকে সবরমতী এক্সপ্রেসের ওঠার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা তা করেননি। ট্রেনটি ছ’ঘণ্টা দেরিতে চলায় তাঁরা সেটির পরিবর্তে রাজিস্টারে মিথ্যা এন্ট্রি করে শান্তি এক্সপ্রেসে করে আমেদাবাদে ফিরে আসেন।”

    করসেবকদের পুড়িয়ে মারার ঘটনা

    প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে করসেবকদের পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে। ওই ট্রেনটির এস-৬ কোচে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৫৯ জনের। এঁদের অধিকাংশই ছিলেন করসেবক, ফিরছিলেন অযোধ্যা থেকে। ওই ঘটনার পরেই গুজরাটজুড়ে শুরু হয় হিংসা। সেই হিংসার বলি হন হাজারেরও বেশি মানুষ। ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। গুজরাট সরকারের (Gujarat High Court) তরফেও গঠন করা হয় একাধিক কমিশন। তার মধ্যে ছিল নানাবতী কমিশনও। যে কমিশন জানিয়েছিল, ওই পুলিশকর্মীরা যদি সেই দিন তাঁদের কর্তব্য পালন করতেন, তা হলে এত বড় ঘটনা (সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগ) এড়ানো সম্ভব হত। কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে বরখাস্ত করা হয় ওই ৯ অভিযুক্তকে।

    হাইকোর্টের দ্বারস্থ বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবলরা

    এর বিরুদ্ধে গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবলরা। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “যদি আবেদনকারীরা আমেদাবাদে পৌঁছনোর জন্য সবরমতী এক্সপ্রেস ট্রেনে করেই রওনা দিতেন, তাহলে গোধরায় ঘটে যাওয়া ঘটনাটি ঘটত না। ঘটনাটি রোধ করা যেত। আবেদনকারীরা তাঁদের কর্তব্য অবহেলা ও অসাবধানতা প্রদর্শন করেছেন (Godhra Carnage)। উল্লিখিত অভিযোগগুলি প্রমাণিত হয়েছে।” আদালত রায় দিয়েছে, ২০০৫ সালে ওই পুলিশ কর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা ন্যায্য ছিল। রায়ে আরও বলা হয়েছে, “সবরমতী এক্সপ্রেসে তাঁদের উপস্থিতি ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি যা ঘটেছিল, তাতে পরিবর্তন আনতে পারত।”

    নানাবতী-মেহতা কমিশন গঠন

    গোধরাকাণ্ডের (Gujarat High Court) তদন্তে গুজরাট সরকার গঠন করে নানাবতী-মেহতা কমিশন। কমিশনের বক্তব্য ছিল, ট্রেনটির ওই কোচে আগুন লাগার ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নয়। এর নেপথ্যে ছিল ষড়যন্ত্র। ২০০২ সালে গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসের ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২০১১ সালের ১ মার্চ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। তাদের মধ্যে ১১ জনের ফাঁসির সাজা হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় ২০ জনের। মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ৬৩ জন অভিযুক্তকে। শাস্তির রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিরা একাধিক মামলা দায়ের করে গুজরাট হাইকোর্টে (Godhra Carnage)। ২০১৭ সালের অক্টোবরে গুজরাট হাইকোর্ট ১১ জনের ফাঁসির সাজা রদ করে যাবজ্জীবন জেলের সাজা দিয়েছিল। ২০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছিল।

    গুজরাটজুড়ে শুরু হয় হিংসা

    সবরমতীকাণ্ডের পরে পরে গুজরাটজুড়ে শুরু হয় হিংসা। সেই সময় মেহসানার বিজাপুর তহসিলের সর্দারপুরা গ্রামে সংখ্যালঘুদের ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীদের একটি দল। ভয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে পাড়ারই একটি পাকাবাড়িতে আশ্রয় নেন অসহায় কিছু মানুষ। সেই বাড়িটিরই চারপাশে পেট্রল ঢেলে বাড়িটিকেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তাদের মৃত্যু হয় ২২ জন মহিলা-সহ মোট ৩৩ জনের (Gujarat High Court)। ওই ঘটনায় মোট ৭৬জনকে গ্রেফতার করেছিল বিশেষ তদন্তকারী দল। ২০০৯ সালের জুনে তাঁদের মধ্যে থেকে ৭৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। ২০১২ সালে তাঁদের মধ্যে থেকে ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। তার চার বছর পর ওই ৩১ জনের মধ্যে ১৪ জনকে বেকসুর খালাস (Godhra Carnage) করে দেয় গুজরাট হাইকোর্ট (Gujarat High Court)।

  • Sukanta Majumdar: “চোর কি কখনও নিজের চুরির তদন্ত করতে পারে?” প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “চোর কি কখনও নিজের চুরির তদন্ত করতে পারে?” প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চোর কি কখনও নিজের চুরির তদন্ত করতে পারে?” শনিবার এমনই প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বালুরঘাটের সাংসদ বিজেপির সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের নিশানা করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা (Pakistan PMs Offer)। ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেসিস্টেন্স ফ্রন্ট।

    সুকান্তর প্রশ্ন (Sukanta Majumdar)

    ওই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তাঁর সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন সুকান্ত এবং জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। পাক প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রস্তাবকে সুকান্ত ‘মুখ রক্ষার হতাশাপূর্ণ চেষ্টা’ বলে অভিহিত করেন। এর পরেই পাক প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে সুকান্ত বলেন, “এরা কী তদন্ত করবে? চোর কি কখনও নিজের চুরির তদন্ত করতে পারে?” কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ভয়ে একথা বলেছেন। এই ভয় ভালো। তাঁর এই ভয় থাকা উচিত। যখন পাকিস্তান প্রস্তুত থাকবে না, ঠিক তখনই আমরা তাদের আঘাত করব। আর সেটা হবে প্রবল আঘাত।”

    কী বললেন ওমর

    এদিকে, রামবান থেকে পাক প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রস্তাব সম্পর্কে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, “প্রথমত পহেলগাঁওয়ে কিছু ঘটেছে বলেই তারা স্বীকার করনি। শুরুতে তারা বলেছিল যে এর পেছনে ভারতের হাত আছে।” তিনি বলেন, “যারা শুরুতেই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল, তাদের ব্যাপারে এখন কিছু বলা কঠিন। আমি তাদের বক্তব্যকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই না।”

    এদিকে, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর উপত্যকায় জঙ্গিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। আটক করা হয়েছে ১৭৫ জনেরও বেশি সন্দেহভাজনকে। পহেলগাঁওয়ের এই হামলাকে সমর্থন (Sukanta Majumdar) করায় অসমে গ্রেফতার করা হয়েছে ১০জনকে।

    পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী ও পীযূষ গোয়েল। তাঁরা বলেন, “পাকিস্তানকে (Pakistan PMs Offer) এর ভারী মূল্য চোকাতে হবে।” পুরী পাকিস্তানকে “চূড়ান্ত পতনশীল এক দুশ্চরিত্র রাষ্ট্র” বলে আখ্যা দিয়েছেন (Sukanta Majumdar)।

  • Pahalgam Attack: জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে দুই কাশ্মীরি তরুণ গ্রেফতার

    Pahalgam Attack: জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে দুই কাশ্মীরি তরুণ গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাঁও থেকে (Pahalgam Attack) শনিবার গ্রেফতার করা হল দুই কাশ্মীরি তরুণকে। ধৃতদের নাম বিলাল আহমেদ ভাট এবং মহম্মদ ইসমাইল ভাট। দুজনেই কুলগাঁও জেলার বাসিন্দা। কুলগাঁও জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত (Jammu Kashmir Police) দুই তরুণের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, ২৫ রাউন্ড গুলি এবং দুটি ম্যাগাজিন পাওয়া গিয়েছে।

    দুই কাশ্মীরি তরুণ ধৃত (Pahalgam Attack)

    পহেলগাঁওকাণ্ডের পর কাশ্মীর উপত্যকাজুড়ে জঙ্গিদের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ চেক পয়েন্টগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এই তল্লাশি অভিযানেই কুলগাঁওয়ের কাইমো শহরের ঠোকেরপোরা এলাকায় একটি চেক পয়েন্টে আটক করা হয় দুই কাশ্মীরি তরুণকে। তারা জঙ্গিদের সাহায্য করত বলে অভিযোগ।

    ১৪ জন জঙ্গি চিহ্নিত!

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরে প্রায় ১৪ জন স্থানীয় জঙ্গিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, এরা এখনও সক্রিয়। এই জঙ্গিদের বয়স ২০-৪০ বছরের মধ্যে। পাক জঙ্গিদের সাহায্য করার ক্ষেত্রে কাশ্মীরের এই জঙ্গিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

    এদিকে, পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে এদিন উত্তর কাশ্মীরের সেদোরি নালা মুস্তাকবাদ মছিলের জঙ্গলেও অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এই অভিযানে কেউ গ্রেফতার না হলেও, উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ। এদিন যেসব আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেগুলি হল, পাঁচটি একে ৪৭ রাইফেল, আটটি একে ৪৭ ম্যাগাজিন, একটি পিস্তল, একটি পিস্তল ম্যাগাজিন, একে ৪৭ এর ৬৬০টি কার্তুজ এবং এম৪ বন্দুকের ৫০টি কার্তুজ (Pahalgam Attack)। অন্যদিকে, পহেলগাঁওকাণ্ডে এক সন্দেহভাজন জঙ্গি আটক। বান্দিপোরা থেকে ইজাজ আহমেদ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া ছবির সঙ্গে মিল থাকায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাকে।

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসারণে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। বেছে বেছে হিন্দু পুরুষদের গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। সব মিলিয়ে নিহত হয়েছেন ২৮ জন। এঁদের মধ্যে একজন নেপালি। একজন স্থানীয় মুসলিমও রয়েছেন। তিনি এক জঙ্গির কাছ থেকে বন্দুকটা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এই হামলায় যুক্ত থাকার সন্দেহে চার জঙ্গির ছবি প্রকাশ করেছে এনআইএ। যদিও হামলাকারীদের কেউই শনিবার সন্ধে পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। সেই কারণেই জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir Police) বিভিন্ন জেলায় চলছে সেনাবাহিনীর চিরুনি তল্লাশি (Pahalgam Attack)।

  • West Bengal Police: মমতা সরকারের তাঁবেদারি করছে পুলিশ! বিজেপির শান্তির আবেদনকে বিদ্বেষের তকমা!

    West Bengal Police: মমতা সরকারের তাঁবেদারি করছে পুলিশ! বিজেপির শান্তির আবেদনকে বিদ্বেষের তকমা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা সরকারের তাঁবেদারি করছে পুলিশ! মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনায় স্থানীয়দের কাছে এলাকায় শান্তি বজায় রাখার আবেদন (Peace Appeal) জানানো হয়েছিল বিজেপি-আরএসএসের তরফে। এই শান্তির আবেদন নাকি হিংসায় ইন্ধন জোগাচ্ছে! অন্তত এমনই দাবি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের (West Bengal Police)।

    ব্যাপক হিংসা মুর্শিদাবাদে (West Bengal Police)

    সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মৌলবাদী ইসলামি গোষ্ঠীগুলি স্থানীয় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করেছে বলে অভিযোগ। দুই হিন্দু প্রতিমা শিল্পী, যাঁরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে, তাঁদের ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে খুন করা হয় বলেও অভিযোগ। প্রাণভয়ে রাতের অন্ধকারে নদী পার হয়ে হিন্দুরা আশ্রয় নেন মালদায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ধীর পদক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ। মুর্শিদাবাদের মতো ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ বাহিনীকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে বলেও খবর।

    বিজেপির সমালোচনা

    সমালোচকদের দাবি, সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি রোধ বা সহিংসতায় ঘরছাড়া মানুষদের সহায়তায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। এদের মধ্যে অনেকে প্রতিবেশী মালদা জেলায় পালিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ বাহিনীর রাজনীতিকীকরণ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠা করতেই তৎপর পুলিশ। গত ২০ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি ‘শান্তির আবেদন’ শেয়ার করে। সমালোচকদের যুক্তি, চার পাতার এই আবেদনে কেবল শান্তির আহ্বান জানানো হয়নি, রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির সমালোচনাও করা হয়েছে (West Bengal Police)।

    কী বলছে পুলিশ

    পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল দ্বারা ইংরেজি ও বাংলায় শেয়ার করা এই ‘শান্তির আবেদনে’ বিজেপি এবং আরএসএসের সমালোচনা করে তাদের ‘আক্রমনাত্মক’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে এবং রাজ্যে ‘মিথ্যা প্রচার’ চালানোর অভিযোগও তোলা হয়েছে (Peace Appeal)। পুলিশের ওই আবেদনে দাবি করা হয়, কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে বিভাজনমূলক রাজনীতি উসকে দিচ্ছে এবং ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ পলিশি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে, যা ‘অশুভ’ বলে দাবি করা হয়েছে।

    ‘আগুন নিয়ে খেলা’

    প্রমাণ না দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও দাবি করেছিলেন যে বিজেপি এবং আরএসএস রাম নবমীতে ‘আগুন নিয়ে খেলা’র পরিকল্পনা করছে। সমালোচকদের মতে, নতুন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে তাঁর মুসলিম সমর্থক গোষ্ঠী দ্বারা সংঘটিত বলে কথিত হিংসা থেকে জনতার দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতেই এমন মন্তব্য করা হয়েছে। তিনি বিজেপি ও তাদের মিত্রদের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা চালানোর জন্য ‘সনাতন হিন্দুধর্মকে কলঙ্কিত’ করার অভিযোগও তোলেন। বিতর্কিত এই বক্তব্যের পরেও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাদের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলের মাধ্যমে এই বার্তা শেয়ার ও প্রসার করতে থাকে (West Bengal Police)।

    প্রমাণ ছাড়াই একাধিক অভিযোগ

    পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ ছাড়াই একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “বিজেপি ও তাদের মিত্ররা মিথ্যা ও সংকীর্ণ কথাবার্তা ছড়াচ্ছে। তাদের বক্তব্য ভুল উদ্ধৃতির ওপর গড়ে তোলা মিথ্যার স্তূপ। তাদের বিশ্বাস করবেন না। তারা দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে, যা সবার ক্ষতির কারণ হতে পারে (Peace Appeal)।” মুর্শিদাবাদের হিংসায় স্থানীয় মুসলিমদের একাংশের হাত রয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা প্রায় সকলেই মুসলমান। দুই প্রতিমা শিল্পী খুনে মূল চক্রী জিয়াউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পরেও মুসলিম ভোটব্যাংকে যাতে ফাটল ধরে, তাই আওড়েছেন মেকি ধর্মনিরপেক্ষতার বাণী। তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, দাঙ্গা হিন্দু বা মুসলমান কারও দ্বারা সৃষ্টি হয় না—দাঙ্গা সৃষ্টি করে অপরাধীরা।” সমালোচকদের মতে, এটি তাঁর তোষণমূলক রাজনীতিরই বহিঃপ্রকাশ (West Bengal Police)।

    ভোটব্যাংকের স্বার্থেই তোষণের রাজনীতি!

    এই ভোটব্যাংকের স্বার্থেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দেন, মুর্শিদাবাদের এই অশান্তির জন্য দায়ী স্থানীয়রা নয়, বহিরাগতরা। তিনি বলেন, “দাঙ্গা সৃষ্টিকারীরা সর্বদা বাইরে থেকে এসে চলে যায়। কিছু বহিরাগতকে বিশ্বাস করবেন না যারা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করে নিজেদের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে দাঙ্গা সৃষ্টি করে।” অথচ ঘটনা হল, মূল চক্রী জিয়াউল বাইরের কেউ নন, তিনি মুর্শিদাবাদেরই বাসিন্দা। তৃণমূল সুপ্রিমোর এই ভোটব্যাংকের রাজনীতির কূট চাল ধরে ফেলেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। তাঁদের সাফ কথা, মুর্শিদাবাদে হিংসার মূল হোতা ছিল স্থানীয় মুসলিমরাই। মুখ্যমন্ত্রীর বিতর্কিত এই মন্তব্য ও এই বৈপরীত্য সত্ত্বেও, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে তাঁর ‘শান্তির আবেদন’ শেয়ার করে তা আরও প্রচার করে (Peace Appeal)।

    দলদাস পুলিশের (West Bengal Police) কবে সম্বিত ফিরবে? প্রশ্ন বিরোধীদের।

  • Mothabari Allegations: ‘‘শাঁখা-পলা পরবেন না, কালো কাপড়ে মুখ ঢাকুন’’, হিন্দুদের বলছে পুলিশ! মোথাবাড়ি যাচ্ছে মহিলা কমিশন

    Mothabari Allegations: ‘‘শাঁখা-পলা পরবেন না, কালো কাপড়ে মুখ ঢাকুন’’, হিন্দুদের বলছে পুলিশ! মোথাবাড়ি যাচ্ছে মহিলা কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু মহিলাদের এয়োতির চিহ্ন মুছে ফেলতে বলছে পুলিশ! শাঁখা-পলা পরতে বারণ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ (Mothabari Allegations)! কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে ঘুরতে বলা হচ্ছে হিন্দু মহিলাদের! হিন্দু মহিলাদের (NCW) এমনই অভিযোগে তপ্ত মোথাবাড়ি। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার জানান, তাঁদের কাছে এ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। মহিলা কমিশন এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে চলেছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিষবৃক্ষে এবার ফল ধরতে শুরু করেছে! ওপার বাংলায় হিন্দু নির্যাতনের রেশ আছড়ে পড়েছে এবার বাংলার মোথাবাড়িতেও। এমনই আবহে আজ, সোমবার রেড রোডে ইদের নমাজে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, “কেউ গোলমাল পাকাতে এলে মনে রাখবেন, দিদি আছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, দিদির এহেন মন্তব্য যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মুসলমান ভোট ব্যাংক অটুট রাখা, তা পরিষ্কার। এই মুসলমানদের ভোটের জেরেই এ রাজ্যে টানা ১৪ বছর ধরে চলছে দিদি-রাজ!

    শাঁখা-পলা খুলে ফেলার নিদান (Mothabari Allegations)

    ফেরা যাক খবরে। দিন কয়েক আগে মালদার মোথাবাড়িতে গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়। ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করার চেষ্টা করে প্রশাসন। গ্রেফতার করা হয় ৬১ জনকে। ইদ এবং রামনবমীর আবহে প্রমাদ গোণে প্রশাসন। বিশাল বাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্ত্ব আনার চেষ্টা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং পুলিশমন্ত্রী। তাঁর হাতেই রয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরের রশি। এই পুলিশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মোথাবাড়ির হিন্দু মহিলারা। তাঁদের দাবি, পুলিশ হিন্দু মহিলাদের বলছে শাঁখা-পলা খুলে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে ঘুরতে। মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর অভিযোগ, রাতের বেলায় লুকিয়ে থেকে অত্যাচার করা হচ্ছে, হিন্দুদের বাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হচ্ছে ঢিল। সভানেত্রীর অভিযোগ, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।

    শুধু হিন্দুদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে!

    মোথাবাড়িতে (Mothabari Allegations) যে ৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সবাই হিন্দু বলে অভিযোগ বিজেপির। পদ্ম শিবিরের আইনজীবী নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনায় একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানে অপর সম্প্রদায়ের একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “মালদার মোথাবাড়ি ঘটনা: পুলিশের নিরপেক্ষতা কোথায়? মালদার মোথাবাড়িতে সাম্প্রতিক ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করেছে যে পশ্চিমবঙ্গের বিচার ব্যবস্থা একতরফা হয়ে গিয়েছে। পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করছে, আমি সেই তালিকায় তথাকথিত দুধ দেওয়া গরুদের দেখতে ব্যর্থ। মনে হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিশেষ জাতের গরুর দুধ পান করেন, কিন্তু সাধারণ হিন্দুরা কেন তাদের আগ্রাসনের শিকার হবেন?”

    হিন্দুরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক!

    তিনি আরও লিখেছেন, “অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একটি তালিকা, অ্যাডভোকেট রিঙ্কি চ্যাটার্জির প্রোফাইল থেকে আমি পেয়েছি। সেখানে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে, হিন্দু সম্প্রদায় পক্ষপাতদুষ্ট নীতির শিকার হয়েছে। যারা ফেসবুক লাইভে প্রকাশ্যে দোকান ভাঙচুর করেছে, এবং হিংসাত্মক হামলা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কারণ তারা ক্ষমতাসীন দলের বিশেষ ভোট ব্যাংকের অন্তর্ভুক্ত। তিনি লেখেন, এই ঘটনাটি আরও একবার হাইলাইট করে যে পশ্চিমবঙ্গের আইন (NCW) প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি নিরপেক্ষতা বজায় রাখার পরিবর্তে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের (Mothabari Allegations) প্রতি অগ্রাধিকারমূলক মনোভাব নিয়ে কাজ করছে। এমনকী যখন হিন্দুদের ওপর হামলা হয়, তখন অপরাধীদের বদলে গ্রেফতার করা হচ্ছে ভুক্তভোগীদেরই। প্রশাসন কি তাহলে হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দেখে? এই বৈষম্যমূলক অবস্থান কি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়সঙ্গত? আর এটাই কি পশ্চিমবঙ্গের নতুন বাস্তবতা?”

    জাতীয় মহিলা কমিশনের বক্তব্য

    একটি খবরের চ্যানেলের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, মোথাবাড়িতে পুলিশ গিয়ে হিন্দু মহিলাদের শাঁখা-পলা পরতে বারণ করছে। সেই প্রতিবেদনের ক্লিপিং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তরুণজ্যোতি। এরই সঙ্গে জাতীয় মহিলা কমিশনকে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছিলেন। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘‘এটা মারাত্মক অভিযোগ। হিন্দু মহিলারা শাখা পলা পরতে পারবেন না?’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘জাতীয় মহিলা কমিশনের উচিত এই বিষয়টা দেখা এবং ওখানে টিম পাঠিয়ে বিষয়টা নিয়ে তদন্ত করা’’ গেরুয়া শিবিরের আইনজীবী-নেতার পোস্টটি শেয়ার করে অর্চনা মজুমদার লেখেন, “জাতীয় মহিলা কমিশন মালদার মোথাবাড়ি থেকে একাধিক অভিযোগ পেয়েছে। সেই সব অভিযোগ নিয়ে সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ করার প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। একটি দল ৪ এপ্রিল ঘটনাস্থলে যাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। ন্যায়বিচার আমাদের অগ্রাধিকার (Mothabari Allegations)।”

    এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, মোথাবাড়ির হিংসার ঘটনায় রুজু হয়েছে ১৯টি মামলা। গ্রেফতার (NCW) করা হয়েছে ৬১ জনকে। এলাকায় জারি হয়েছে ১৬৩ ধারা (Mothabari Allegations)।

  • Passport Scam: পাসপোর্ট জালিয়াতিতে নজরে রাজ্যের আরও ৪ পুলিশকর্মী, সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে সব ভূত?

    Passport Scam: পাসপোর্ট জালিয়াতিতে নজরে রাজ্যের আরও ৪ পুলিশকর্মী, সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে সব ভূত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাসপোর্ট জালিয়াতি (Passport Scam) কাণ্ডে ধরা পড়েছেন এক প্রাক্তন পুলিশকর্মী। এবার তদন্তকারীদের নজরে কলকাতা পুলিশের (Police) আরও ৪ জন কর্মী। এমনই দাবি করা হচ্ছে রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের নজরে থাকা পুলিশকর্মীদের মধ্যে আছেন দুই অফিসার, এক কনস্টেবল এবং একজন হোমগার্ড। এই চারজনের কাছ থেকে পাসপোর্ট কাণ্ডে সক্রিয় থাকা চক্রের আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাহলে সর্ষের মধ্যেই কি লুকিয়ে রয়েছে সব ভূত?

    পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে গ্রেফতার কত? (Passport Scam)

    জানা গিয়েছে, তদন্তকারীদের নজরে (Passport Scam) থাকা পুলিশ অফিসারদের একজন একটি থানায় কর্মরত ছিলেন। এদিকে অপর অফিসার ছিলেন সিকিউরিটি কন্ট্রোল রুমে। এছাড়া যে পুলিশ কনস্টেবলের ওপর সিটের নজর আছে, তিনিও সিকিউরিটি কন্ট্রোলরুমেই কর্মরত ছিলেন। এই তিন পুলিশকর্মী সহ হোমগার্ডকে আপাতত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে এই চার পুলিশকর্মীর ভূমিকা কতটা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দিন দুয়েক আগেই পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে এক প্রাক্তন পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম আবদুল হাই। কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সাব ইন্সপেক্টর তিনি। কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোলের অফিসেও কাজ করেছেন। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থেকে ধরা হয়েছিল তাঁকে। আড়াই বছর কাজ করেছেন পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন অফিসার হিসেবে। সবমিলিয়ে পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে এখনও ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    পাসপোর্ট পিছু ২৫ হাজার টাকা!

    জানা গিয়েছে, পাসপোর্টের কারবারের (Passport Scam) সূত্রেই সমরেশের সঙ্গে পরিচয় হয় আবদুলের। কিছুদিন পর আবদুলকে টাকার টোপ দেন সমরেশ। সেই টোপ গিলেও নেন আবদুল হাই। তার পরই শুরু হয় জালিয়াতির কারবার। পাসপোর্ট কাণ্ডের অন্যতম চক্রী সমরেশ বিশ্বাসের অ্যাকাউন্ট থেকে আবদুল হাইয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গত কয়েক বছরে গিয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। পাসপোর্ট পিছু ২৫ হাজার টাকা করে নিতেন এই আবদুল হাই। এই আবহে ধৃতকে জেরা করে আর কোন কোন আধিকারিক এই দুর্নীতিতে যুক্ত তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে ১৫০ জনেরও বেশি অনুপ্রবেশকারীকে ভারতীয় পাসপোর্ট করিয়ে বিদেশে পাঠিয়েছে সমরেশ। তার মধ্যে ৫০টির বেশি পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে আবদুল হাইয়ের হাত ধরে। এদিকে পাসপোর্ট জালিয়াতির তদন্তে এই নিয়ে মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই চক্রের জাল আরও দূর পর্যন্ত ছড়ানো বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে পাসপোর্টকাণ্ডে ধৃত মূল চার অভিযুক্তের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫টি মোবাইল ফোন। সেই ফোনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। সেই তথ্য ফিরে পেতে ফোনগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষা করাতে চান তাঁরা। গোয়েন্দাদের অনুমান, ওই ফোনগুলির তথ্য পাওয়া গেলে ধৃতদের সঙ্গে আর কার কার যোগাযোগ ছিল তা জানা যাবে। পাশাপাশি এই চারজনের কাছ থেকে গোটা চক্রের আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘প্রিন্স অফ ক্যামাক স্ট্রিটের” সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বলেই কি পুলিশের রদবদল? বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘প্রিন্স অফ ক্যামাক স্ট্রিটের” সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বলেই কি পুলিশের রদবদল? বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশে বড় রদবদল। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে গোয়েন্দা প্রধান রাজাশেখরনকে। কলকাতা পুলিশে একাধিক রদবদল হচ্ছে। হাওড়া পুলিশেও এই বদলির ইস্যু বাদ পড়েনি। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বড় দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শাসক দলের অন্দরে কোন্দল কতটা রয়েছে তা তিনি এই বদলি ঘটনাতেই স্পষ্ট বলে জানিয়ে দিলেন।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার? (Sukanta Majumdar)

    বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুদার (Sukanta Majumdar) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন, আর তুলে ধরলেন রাজনৈতিক তত্ত্ব। রাজ্য পুলিশের রদবদলের নির্দেশিকার পরই সুকান্ত লিখলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ কয়েকটি সিদ্ধান্তে বোঝা যাচ্ছে তৃণমূল অন্দরে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুর পরিবর্তন হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘আরজি করের ঘটনার তদন্তে নেমে সরকারের পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আনুগত্য দেখানোর সীমা লঙ্ঘন করেছিল। তারপরও তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত পুলিশ একাধিক সমালোচনার মুখে পড়ে। কারণ তারা দলের নেতা এবং কাউন্সিলরদের সুরক্ষা দিতে পারেনি। তাই অজানা কিছু শক্তির চাপেই রদবদল হল।”

    ‘‘প্রিন্স অফ ক্যামাক স্ট্রিটের” সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বলেই পুলিশের রদবদল

    সম্প্রতি, নবান্ন সভাঘরের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য পুলিশ ও সিআইডি-র একাংশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। সেদিনই ডিজি-কে বলে দিয়েছিলেন, শীঘ্রই তিনি সিআইডি-তে বদল আনবেন। তারপরই এদিন রাজ্য পুলিশে বদলের নির্দেশিকা। সব থেকে উল্লেখ্যযোগ্য চারটে পদে বদল। সরিয়ে দেওয়া হল গোয়েন্দা প্রধানকেই। আর এই ইস্যুতে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে  বলেন, ‘‘প্রিন্স অফ ক্যামাক স্ট্রিটের প্রভাবে পুলিশ ফোর্স এতদিন বিরোধীদের কণ্ঠস্বর দাবিয়ে রাখত। প্রিন্সের ঘনিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিকের বদলি এটা বুঝিয়ে দিল মুখ্যমন্ত্রী এখন গোটাটাই একা হাতে নিয়ন্ত্রণ করবেন। প্রশাসন ও দল দুটোই।’’ সুকান্ত খোঁচা দিয়ে লিখলেন, ‘‘এরপরও বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের অন্তর্দ্বন্দ্ব আর কতটা প্রতীয়মান হবে?’’

    মমতাকে তোপ

    বেলডাঙ্গা, শ্যামপুর, রাজাবাজারের অশান্তির ঘটনা নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে আক্রমণ করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । তাঁর অভিযোগ, তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে সীমা ছাড়িয়ে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এইসব জায়গার অশান্তির ঘটনা তাঁর চোখে পড়ে না। শাসক দলের হয়ে কু-কাজ করা নেতাদের সুরক্ষা না দিতে পারায় পুলিশের বদলি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হলে সরকার চুপ। সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্ন, এটাই কি গণতন্ত্রের ছবি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share