Tag: port news

port news

  • Indian Pressure: চাবাহার বন্দর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল আমেরিকা, ভারতের চাপেই নতি স্বীকার!

    Indian Pressure: চাবাহার বন্দর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল আমেরিকা, ভারতের চাপেই নতি স্বীকার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ভারতের চাপের (Indian Pressure) কাছে নতি স্বীকার করল ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা! তুলে নিল ইরানের কৌশলগত চাবাহার (Chabahar) বন্দরের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা। এর ফলে আঞ্চলিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ পরিকল্পনার জন্য নয়াদিল্লির একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ পুনরুদ্ধার হল। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ভারতের একটি বড় কূটনৈতিক জয়। কারণ এই বন্দরের নির্মাণ ও পরিচালনায় ইতিমধ্যেই মোটা অঙ্কের লগ্নি করে ফেলেছে ভারত। বন্দরটি সম্পূর্ণভাবে রয়েছে ভারতের নিয়ন্ত্রণেই।

    নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার (Indian Pressure)

    ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে অবস্থিত চাবাহার একটি গভীর সমুদ্রবন্দর। এটি পাকিস্তানকে এড়িয়ে ভারতকে সরাসরি আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করে। গত মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বন্দরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তার জেরে ভারত সাময়িকভাবে কাজকর্ম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল। ভারত সব সময়ই দাবি করে এসেছে যে, চাবাহার বন্দর আফগানিস্তানের জন্য একটি মানবিক ও অর্থনৈতিক জীবনরেখা। এটি খাদ্যশস্য, ওষুধ-সহ নানা জরুরি পণ্য পরিবহণে সাহায্য করে। নয়াদিল্লির বক্তব্য, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং স্থলবেষ্টিত দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য এই বন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জানা গিয়েছে, ভারতের লাগাতার কূটনৈতিক চাপের জেরে ওয়াশিংটন (আমেরিকার রাজধানী) এখন আগামী বছরের শুরু পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় দিয়েছে। এর ফলে চাবাহার বন্দরে ফের জোর কদমে কাজকর্ম শুরু করবে ভারত।

    আঞ্চলিক কৌশলের কেন্দ্রে চাবাহার

    চাবাহার বন্দরটি দীর্ঘদিন ধরে ভারতের আঞ্চলিক কৌশলের কেন্দ্রে রয়েছে (Indian Pressure)।  ২০১৮ সালে আমেরিকা প্রথমবারের মতো ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তখন ভারতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জেরে চাবাহার বন্দরের ওপর সেই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হয়নি। এই ছাড়ের ফলে নয়াদিল্লি তেহরানের সঙ্গে তার যোগাযোগ বজায় রাখতে পারে, পারে এই এলাকায় সংযোগমূলক প্রকল্পগুলিকে এগিয়ে নিতে যেতে (Chabahar)। ২০১৬ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তেহরান সফরের সময় ভারত–ইরান–আফগানিস্তান ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের পর চাবাহার বন্দর নিয়ে ভারত আরও বেশি করে মনোযোগ দেয়। এই চুক্তির উদ্দেশ্যই ছিল চাবাহারের মাধ্যমে একটি আন্তর্জাতিক পরিবহণ করিডর তৈরি করা, যা আফগানিস্তান এবং তার বাইরের বাজারগুলির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়াবে। ২০১৮ সালে ভারত ‘ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেডে’র মাধ্যমে শাহিদ বেহেশতি টার্মিনালের কাজকর্মের দায়িত্ব নেয়। এর ফলে চাবাহারে ভারতের উপস্থিতি আরও মজবুত হয়। ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষের বাজেটে ভারত চাবাহার বন্দর সম্প্রসারণের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর এই বিনিয়োগ আপাতত নিরাপদ (Chabahar)।

    বড় পরিকল্পনা ভারতের

    চাবাহার বন্দরের পরিকাঠামো এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ নিয়ে বড় পরিকল্পনা করেছে ভারত। বর্তমানে এই বন্দরের পণ্য পরিচালন ক্ষমতা ১ লাখ টিইইউ (২০ ফুটের ইউনিট)। অর্থাৎ, ২০ ফুটের এক লক্ষ ইউনিট। একে বাড়িয়ে ৫০ লাখ টিইইউতে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। ইরানের ভিতর দিয়ে চলা ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রেললাইনও নির্মাণ করা হচ্ছে, যার ফলে উন্নত হবে আফগানিস্তান, মধ্য এশিয়া এবং রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ (Indian Pressure)। প্রসঙ্গত, বন্দর ও রেল দুটি প্রকল্পই ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে চালু হওয়ার কথা। এটি ভারতের আঞ্চলিক বাণিজ্যিক প্রভাবকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।

    চাবাহার বন্দরের কৌশলগত গুরুত্ব

    ভারতের কাছে চাবাহার বন্দরের কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। ওমান উপসাগরের তীরে অবস্থিত এই বন্দর পাকিস্তানের চিন নিয়ন্ত্রিত গদর বন্দর থেকে মাত্র ১৪০ কিলোমিটার দূরে। চিন ও পাকিস্তান যেখানে চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডরের অধীনে গদরের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে, সেখানে ভারতের চাবাহার বন্দরের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ সেই আধিপত্যকে ভারসাম্যপূর্ণ করে বলেও দাবি কূটনীতিবিদদের একাংশের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জেরে এক সময় ভারতের আঞ্চলিক প্রভাব কিছুটা দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে আরব সাগরের বুকে স্থিতিশীল ও প্রভাবশালী একটি শক্তি হিসেবে আবারও প্রতিষ্ঠিত হল ভারত (Indian Pressure)।

    ইসলামাবাদের উদ্বেগ

    এদিকে, সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বালুচিস্তানের পাশনি এলাকায় একটি নতুন বন্দর নির্মাণ করবেন বলে। চাবাহার থেকে এই এলাকার দূরত্ব মাত্র ১৫০ কিলোমিটার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তানের এই উদ্যোগ ভারতের পুনরুজ্জীবিত কৌশলগত সুবিধা নিয়ে ইসলামাবাদের উদ্বেগকেই প্রতিফলিত করে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন এখনও পাকিস্তানের এই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। এ থেকে স্পষ্ট, ওয়াশিংটন ভারতের ক্রমবর্ধমান কৌশলগত ভূমিকা সম্পর্কে যথেষ্টই ওয়াকিবহাল (Chabahar)।

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্প সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত শুধু ভারতের অর্থনৈতিক স্বার্থকেই সুরক্ষিত করে না, বরং ভারত মহাসাগর ও মধ্য এশিয়ার যোগাযোগপথে আঞ্চলিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার এক নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে ভারতের অবস্থানকেও শক্তিশালী করে (Indian Pressure)।

  • Vizhinjam Port: ভিজিঞ্জাম বন্দরে যাওয়ার রাস্তা আটকানো যাবে না, নির্দেশ কেরল হাইকোর্টের

    Vizhinjam Port: ভিজিঞ্জাম বন্দরে যাওয়ার রাস্তা আটকানো যাবে না, নির্দেশ কেরল হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিজিঞ্জাম বন্দরে (Vizhinjam Port) যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে কষ্ট দেওয়া যাবে না রাজ্য এবং রাজ্যবাসীকে। সম্প্রতি এই মর্মে রায় দিয়েছে কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। দ্রুত এই রায় কার্যকর করার নির্দেশও দিয়েছে কেরলের এই আদালত। বিচারপতি অনু শিবরামণ এও বলেন, এই আন্দোলন নিয়ে কাউকেই রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। প্রসঙ্গত, কেরল (Kerala) থিরুভানানথাপুরম জেলার মুল্লুরে একটি মাল্টি-পারপাস সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ চলছে। তার জেরেই অশান্তির সূত্রপাত। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানিই এই বন্দরটি গড়ছেন। কিন্তু অতিকায় এই মাল্টি পারপাস সমুদ্র বন্দরের প্রবেশপথই আটকে দিয়েছেন স্থানীয় খ্রিস্টান মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের মানুষ। যার জেরে মাঝপথে থমকে গিয়েছে বন্দর নির্মাণের কাজ।

    কারা বাধা দিচ্ছে?

    জানা গিয়েছে, ৯০০ মিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পটি গৌতম আদানির স্বপ্নের প্রকল্প। দেশের প্রথম কন্টেনার ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হতে চলেছে ভিজিঞ্জামের এই বন্দরটিই (Vizhinjam Port)। আদানির সেই স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের আন্দোলন। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে এখানে তৈরি হয়েছে ১২০০ বর্গফুটের একটি শেল্টার। শেল্টারের ছাদ লোহার তৈরি। সেখানেই ঝোলানো হয়েছে ব্যানার। চলছে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিবাদ আন্দোলন। লোহার এই শেডের নীচে পাতা রয়েছে শ’ খানেক প্লাস্টিকের চেয়ার। এই চেয়ারেই বসে রয়েছেন প্রতিবাদীরা। অশান্তি এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    আরও পড়ুন: ‘‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই দুর্নীতির ফল ভুগবে’’, গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য বিচারপতির

    কেরল হাইকোর্ট বারবার নির্মাণকাজ শুরু করতে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও, এখনও পর্যন্ত পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরানোর কোনও চেষ্টা করেনি। এদিকে, আগামী শুক্রবারই বন্দরে (Vizhinjam Port) ভারী যান পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে গৌতম আদানির সংস্থা। চলতি সপ্তাহেই আদালত নির্দেশ দিয়েছে, কোনওভাবেই ওই এলাকায় যান চলাচলে বাধা দেওয়া যাবে না। তার পরেই বন্দর এলাকায় যান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদানি গ্রুপ।

    আদানি গ্রুপের তরফে জানানো হয়েছে, আদালতের  একাধিক নির্দেশ সত্ত্বেও বন্দরে (Vizhinjam Port) যাওয়ার রাস্তা অবরোধমুক্ত হয়নি। পরিস্থিতিরও কোনও পরিবর্তন হয়নি। সরানো হয়নি শেল্টার শেডও। যদিও প্রতিবাদীদের দাবি, আলোচনা চলছে, পরিস্থিতিরও উন্নতি হচ্ছে। আদালত জানিয়েছে, আলোচনা চলছে ভাল কথা। তবে এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। এর পরেই আদালত বলে, বন্দরে যাওয়ার রাস্তায় অবরোধ অনুমোদন করা যায় না। রাজ্য এবং রাজ্যবাসীকে কোনওভাবেই আটকানো যায় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share