Tag: postal department

postal department

  • DIGIPIN: ডিজিটাল ইন্ডিয়ার পথে আরও এক ধাপ, এবার চালু হচ্ছে ডিজিপিন

    DIGIPIN: ডিজিটাল ইন্ডিয়ার পথে আরও এক ধাপ, এবার চালু হচ্ছে ডিজিপিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেই ভারতকে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ সালের পর থেকে দেশ একের পর এক ধাপ এগিয়েছে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার পথে (DIGIPIN)। এবার ভারতীয় ডাক বিভাগও চালু করে দিল দুটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। একটি হল ‘নো ইয়োর ডিজিপিন’ এবং অন্যটি হল ‘নো ইয়োর পিনকোড’ (Postal Department)। যোগাযোগ মন্ত্রকের এই পদক্ষেপ দেশের ঠিকানা ব্যবস্থাপনা এবং ভূ-স্থানিক অবস্থান ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মগুলি ২০২২ সালের জাতীয় ভূস্থানিক নীতির অংশ হিসেবে চালু করা হয়েছে, যার লক্ষ্য হল ভারতকে ভূ-স্থানিক খাতে একটি বৈশ্বিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।

    ডিজিপিন কী? (DIGIPIN)

    প্রশ্ন হল ডিজিপিন কী? ডিজিপিন হল ডাক বিভাগের একটি প্রকল্প, যা তাদের ‘অ্যাড্রেস অ্যাজ এ সার্ভিস’ দৃষ্টিভঙ্গীর অংশ। এই পরিষেবার লক্ষ্য হল ঠিকানা সংক্রান্ত ডেটা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ব্যবহারকারী, সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি সংস্থাগুলির মধ্যে নিরাপদ ও কার্যকর যোগাযোগ নিশ্চিত করে। জানা গিয়েছে, ডাক বিভাগ দেশের জন্য একটি উপযুক্ত এবং জিওকোডেড ঠিকানা কাঠামো তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল, ঠিকানা শনাক্তকরণ সহজ করা এবং নগর-কেন্দ্রিক সরকারি ও বেসরকারি পরিষেবার কার্যকর ডেলিভারি করা। এই প্ল্যাটফর্মটি ভারতীয় ডাক বিভাগ, আইআইটি হায়দরাবাদ, ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-এর যৌথ উদ্যোগে উন্নয়ন করা হয়েছে।

    জাতীয় ভূ-স্থানিক নীতি

    জাতীয় ভূ-স্থানিক নীতি ২০২২ এর অধীনে ঠিকানা সংক্রান্ত থিম্যাটিক ওয়ার্কিং গ্রুপ কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যালোচিত ও গৃহীত ডিজিপিন এখন সমস্ত মন্ত্রক, রাজ্য সরকার, প্রতিষ্ঠান সমূহের কাজকর্মে সংযুক্তির জন্য ও ব্যক্তিগত ব্যবহারকারীদের ব্যবহারের জন্য উপলব্ধ। ডিজিপিন হল একটি ওপেন সোর্স, ইন্টার অপারেবল, জিও-কোডেড, গ্রিড-ভিত্তিক ডিজিটাল ঠিকানা ব্যবস্থা। এটি একটি জায়গার অবস্থান নির্ণয়কে অনায়াস করে তোলে (Postal Department)। কারণ এটি ভারত-ভূখণ্ডকে ৪×৪ মিটার আকারের নির্দিষ্ট ইউনিটে ভাগ করে এবং প্রতিটি গ্রিডের জন্য একটি অনন্য ১০-অক্ষরের আলফানিউমেরিক কোড নির্ধারণ করে, যা দ্রাঘিমাংশ ও অক্ষাংশের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি একটি স্থায়ী ডিজিটাল ঠিকানা, যা রাস্তাঘাট, পাড়া বা স্থানের নাম পরিবর্তিত হলেও পরিবর্তন হবে না (DIGIPIN)। এই প্ল্যাটফর্মটি বিশেষভাবে উপকারী হবে এমন জায়গাগুলোর নির্দিষ্ট অবস্থান নির্ধারণে, যেগুলো অগঠিত, বারবার পরিবর্তিত হচ্ছে বা যেখানে কোনও আনুষ্ঠানিক ঠিকানা নেই—যেমন গ্রামীণ এলাকা, বনাঞ্চল ও মহাসাগর।

    লাস্ট-মাইল ডেলিভারি

    এর ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সঠিকভাবে লাস্ট-মাইল ডেলিভারি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, যেসব এলাকা সাধারণভাবে ঠিকানা ছাড়াই থাকে এবং খুঁজে পাওয়া কঠিন। ডিজিপিন একটি ফিজিক্যাল লোকেশনের জন্য একটি ডিজিটাল উপস্থাপন দেয় এবং সেই সঙ্গে একটি স্থিতিশীল অবস্থান শনাক্তকরণ করার ব্যবস্থা করে দেয়। এটি বর্তমান ব্যবস্থাকে আরও নির্ভুল এবং স্থায়িত্ব দেয়। কোনও জায়গার জন্য ডিজিপিন জানতে হলে ‘নো ইয়োর ডিজিপিন’ পোর্টালে যেতে হয়, যা একটি নির্দিষ্ট স্থানাঙ্ক ব্যবহার করে একটি ১০-অক্ষরের পিন তৈরি করে। এই পোর্টালটি কোনও ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করে না (Postal Department)। ফলে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সুরক্ষিত থাকে। ডিজিপিন বিভিন্ন খাতে সঠিক পরিষেবা দিতে সাহায্য করবে এবং জরুরি পরিষেবা দেওয়ার সময় কমিয়ে দেবে। যেহেতু এটি একটি ওপেন-সোর্স প্রযুক্তি, তাই ডিজিপিনের সমস্ত কারিগরি ডকুমেন্টেশন ও সোর্স কোড জিটহাবে পাওয়া যায় (DIGIPIN)।

    আপনার পিনকোড জানুন

    ১৯৭২ সাল থেকে ব্যবহৃত ৬ সংখ্যার পিনকোড ব্যবস্থা আধুনিকায়নের লক্ষ্যে, ডাক বিভাগ সারা দেশে একটি জাতীয় জিও-ফেন্সিং কাজকর্ম পরিচালনা করে। যার মাধ্যমে দেশের সমস্ত পিনকোড সীমানা ভৌগোলিকভাবে চিহ্নিত করা হয়। এই কারণেই ‘নো ইওর পিন কোড’ নামক একটি পোর্টাল চালু করে, যা গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম-ভিত্তিক অবস্থান নির্ধারণ প্রযুক্তির সাহায্যে ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট অবস্থানের সঠিক পিনকোড শনাক্ত করতে পারে। এই পোর্টালে ব্যবহারকারীরা তাদের মতামতও দিতে পারেন, যাতে ডেটাসেটটি নিয়মিতভাবে উন্নত করা যায়। দেশের সমস্ত জিও-ফেন্স করা পিনকোড সীমানার (Postal Department) ডেটা ওপেন গভর্নমেন্ট ডেটা প্ল্যাটফর্মে ‘অল ইন্ডিয়া পিন কোড বাউন্ডারি জিও-ইসন’ শিরোনামে প্রকাশ করা হয়েছে (DIGIPIN)।

    জাতীয় ভূ-স্থানিক নীতি ২০২২

    এই নীতিটি ভারত সরকার ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে চালু করে। এই নীতির দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হল ভূ-স্থানিক তথ্যের প্রবেশাধিকার উদার ও গণতান্ত্রিক করা, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা এবং প্রশাসন, ব্যবসা ও শিক্ষাক্ষেত্রে এর ব্যাপক (Postal Department) ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়া। এই নীতির উদ্দেশ্য হল, সরকারি অর্থে প্রস্তুত করা ভূ-স্থানিক তথ্যভান্ডার সকলের জন্য সহজলভ্য করা (DIGIPIN)।

     

  • Siliguri: টোটো জনজাতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে উদ্যোগ শিলিগুড়ি ডাক বিভাগের, কী করা হচ্ছে?

    Siliguri: টোটো জনজাতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে উদ্যোগ শিলিগুড়ি ডাক বিভাগের, কী করা হচ্ছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিলুপ্ত প্রায় টোটো জনজাতি ও তাঁদের সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে  তুলে ধরতে এগিয়ে এল ভারতীয় ডাক বিভাগ। তাঁরা টোটোদের ইতিহাস ও জীবনযাত্রা নিয়ে প্রকাশ করল স্পেশাল কোস্টাল কভার। শুক্রবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির (Siliguri) প্রধান ডাকঘরে এটি প্রকাশ করেন উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের পোস্ট মাস্টার জেনারেল অখিলেশ কুমার পাণ্ডে। উপস্থিত ছিলেন টোটো সম্প্রদায়ের সমাজ কর্মী ধনিরাম টোটো। এই স্মরণীয় মুহুর্তের সাক্ষী থাকতে আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ব্লকের ছোট্ট গ্রাম থেকে টোটো সম্প্রদায়ের অনেকে এসেছিলেন।

    কেন শিলিগুড়ির (Siliguri) প্রধান ডাকঘরের উদ্যোগে স্পেশাল কোস্টা কভার?

    শিলিগুড়ির (Siliguri) প্রধান ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার জেনারেল বলেন, ডাক টিকিট সংগ্রহ করার মতো এই কোস্টাল কভারও সংগ্রহ করা হয়। এর আন্তর্জাতিক চাহিদা রয়েছে। সেকারণেই টোটো জনজাতিকে নিয়ে এই কভার করা হয়েছে যাতে বিশ্বের দরবারে বিলুপ্তপ্রায় এই জনজাতি পৌঁছে যেতে পারে। এর মধ্য দিয়ে টোটো সংস্কৃতির ব্যাপক পরিচিতি ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নও ঘটবে। এই স্পেশাল কভারে টোটো জনজাতির ছবি, তাঁদের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রা তুলে ধরা  রয়েছে।

    কেমন আছে টোটোপাড়া?

    আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ব্লকের এই দূর্গম এলাকায় টোটোপাড়া। মোট ৪১০ টি পরিবার রয়েছে। মোট জনসংখ্যা ১৬৪০।  এর মধ্যে ৮৪০জন পুরুষ। ধনিরাম টোটো বলেন, অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও টোটোপাড়ার মূল সমস্যার সমাধান হয়নি। রাস্তাঘাট নেই। টোটো জনজাতির ইতিহাস সংরক্ষণেরও কোনও উদ্যোগ নেই। এজন্য টোটো জনজাতি নিয়ে একটা মিউজিয়াম তৈরি করাটা খুব জরুরি। স্কুলেরও প্রয়োজন রয়েছে।

     ভারতীয় ডাক বিভাগের এই উদ্যোগ নিয়ে কী বলছে টোটোপাড়া?

    ধনিরাম টোটো বলেন, এটা আমাদের অত্যন্ত গর্বের বিষয়। শিলিগুড়ির (Siliguri) প্রধান ডাকবিভাগের এই উদ্যোগে টোটোপাড়া ও আমাদের সম্পর্কে গোটা বিশ্বের মানুষ আরও  ব্যাপকভাবে জানতে পারবে। কেননা সবাই আমাদের টোটোপাড়ায় যায় না। আমাদের সব থেকে বড় সমস্যা রাস্তাঘাট নেই। পাহাড়ের দুর্গম এলাকা দিয়ে আমাদের চলাফেরা করতে হয়। শিক্ষার ক্ষেত্রে স্কুলের সমস্যা রয়েছে। রাস্তা ও স্কুলের ব্যাপারে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। বড় সেতু তৈরি করে রাস্তা কেন্দ্রীয় সরকারই তৈরি করতে পারবে। টোটোপাড়ায় হিন্দি ও ইংরেজিতে একলব্য স্কুল করার জন্যও প্রস্তাব দিয়েছি। টোটো জনজাতির ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য একটি মিউজিয়াম তৈরির কথাও বলেছি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share