Tag: power ministry

  • Undersea Power Link: সমুদ্রতল দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সবুজ বিদ্যুৎ রফতানি করবে ভারত! ৯০,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ

    Undersea Power Link: সমুদ্রতল দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সবুজ বিদ্যুৎ রফতানি করবে ভারত! ৯০,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর (UAE) সঙ্গে সমুদ্রতলের সবুজ বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর জানান, প্রায় ১,৭০০ কিমি দীর্ঘ সাবমেরিন কেবল সৌদি আরবে এবং ১,৪০০ কিমি দীর্ঘ কেবল আমিরশাহী-তে হাইড্রোজেন থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য স্থাপন করা হবে। অতীতে তেল-গ্যাস আমদানির জন্য মধ্যপ্রাচ্যের উপর নির্ভর করত ভারত। আর এখন সেই মধ্যপ্রাচ্যে ভারত বিদ্যুৎ রফতানির প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাও আবার সমুদ্রতলের নিচে কেবল বসিয়ে। এটিই এক নতুন শক্তিশালী ভারতের পরিচয়, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    এক সূর্য, এক বিশ্ব, এক গ্রিড

    বিশ্বের প্রথম আন্ডারসি (Undersea Power Link) পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প হল একটি বড় পরিকল্পনা। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে বিদ্যুতের বিনিময় সহজ করা। এটি “এক সূর্য, এক বিশ্ব, এক গ্রিড” ধারণার প্রথম অফশোর উপাদান, যা প্রধানমন্ত্রী মোদি আন্তর্জাতিক সৌর জোটের উদ্বোধনী সমাবেশে প্রস্তাব করেছিলেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারত ও সৌদি আরব বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পারবে এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে পারবে। বিদ্যুৎমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বলেন, “সৌদি আরব ও আমিরশাহী-তে ২ গিগাওয়াট করে হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ রফতানির জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সৌদি আরব পর্যন্ত সাবমেরিন কেবলের প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭,০০০ কোটি টাকা এবংআমিরশাহী পর্যন্ত কেবলের জন্য ব্যয় হতে পারে ৪৩,৫০০ কোটি টাকা।” এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হতে ছয় বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এই প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে বিদ্যুতের একটি শক্তিশালী আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে।

    প্রকল্পের মূল বৈশিষ্ট্য:

    ভারত-সৌদি আরব আন্ডারসি পাওয়ার কেবল
    দৈর্ঘ্য: প্রায় ১,৭০০ কিমি
    ব্যয়: ৪৭,০০০ কোটি টাকা
    ক্ষমতা: ২ গিগাওয়াট

    ভারত-আমিরশাহি আন্ডারসি পাওয়ার কেবল
    দৈর্ঘ্য: প্রায় ১,৪০০ কিমি
    ব্যয়: ₹৪৩,৫০০ কোটি টাকা
    ক্ষমতা: ২ গিগাওয়াট

    এই প্রকল্পের স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব

    বিশ্বের প্রথম আন্ডারসি পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পগুলির (Undersea Power Link) মধ্যে অন্যতম – যা এক দেশ থেকে আরেক দেশের মধ্যে বিশাল জলসীমা পেরিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।
    ভারতের সবুজ জ্বালানির (Green Energy) আন্তর্জাতিক রফতানির সূচনা – সৌদি আরব ও আমিরশাহীর মতো তেলনির্ভর দেশ এখন ভারতের থেকে বিদ্যুৎ নিতে রাজি।
    “এক সূর্য, এক বিশ্ব, এক গ্রিড” (‘One Sun, One World, One Grid’) উদ্যোগের বাস্তবায়ন – ভারত এই বৈশ্বিক শক্তি-গ্রিড ধারণার নেতৃত্বে রয়েছে।
    প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ – গভীর সমুদ্রে এত দীর্ঘ ও উচ্চ ক্ষমতার সাবমেরিন কেবল বসানো প্রযুক্তিগত দিক থেকে চ্যালেঞ্জিং, এবং ভারত এটি নিজেই করতে যাচ্ছে।
    স্ট্র্যাটেজিক সফট পাওয়ার বৃদ্ধি – শক্তি রফতানির মাধ্যমে ভারতের কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি আরও প্রসারিত হচ্ছে।

    দেশে মজবুত বিদ্যুৎ পরিকাঠামো

    বিদ্যুৎমন্ত্রী এদিন আরও জানান, স্টোরেজ প্রকল্পগুলোর জন্য ইন্টার-স্টেট ট্রান্সমিশন সিস্টেম (ISTS) চার্জের ছাড় ৩০ জুন ২০২৮ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, “যেসব পাম্পড স্টোরেজ প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং যেসব ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম এই সময়ের মধ্যে কমিশন হবে, তারা এই সুবিধা পাবে।” ২০২৫ সালের ৯ জুন, ভারত সর্বোচ্চ ২৪১ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা সফলভাবে মেটাতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই অর্জন দেশের মজবুত বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর প্রমাণ। যেখানে কোনও পিক বিদ্যুৎ ঘাটতি ছিল না।”

    বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি

    ট্রান্সমিশন লাইনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও রাইট অব ওয়ে (RoW) সমস্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিপূরণ বাড়িয়েছে। টাওয়ার বসানোর জন্য জমির মূল্য ৮৫% থেকে বাড়িয়ে ২০০% করা হয়েছে এবং রাইট অব ওয়ে করিডরের জন্য ১৫% থেকে ৩০% পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ বাড়ানো হয়েছে, যা এখন বাজার মূল্যের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।” তিনি জানান, জমি ও অনুমতির জটিলতার কারণে ট্রান্সমিশন প্রকল্পের অগ্রগতিতে অনেক সময় নষ্ট হয়, কারণ এগুলো বনভূমি, প্রতিরক্ষা এলাকা, ব্যক্তিগত বা কৃষিজমি অতিক্রম করে। তাঁর দাবি, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারত সর্বোচ্চ ৩৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা যুক্ত করেছে, যার মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তি থেকেই এসেছে ২৯.৫ গিগাওয়াট। দেশের মোট স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমানে ৪৭২.৫ গিগাওয়াট, যা ২০১৪ সালে ছিল ২৪৯ গিগাওয়াট।

  • Power consumption: তাপপ্রবাহের শঙ্কা, ঘরে ঘরে এসি! এ বছর দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ৯-১০ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা

    Power consumption: তাপপ্রবাহের শঙ্কা, ঘরে ঘরে এসি! এ বছর দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ৯-১০ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরম এখনও সেভাবে পড়েনি। রাতে আর ভোরের দিকে গরম একেবারেই নেই। তবে এপ্রিল থেকে গরমে নাভিশ্বাস উঠবে ভারতবাসীর। দিল্লি থেকে কলকাতা, জয়পুর থেকে চেন্নাই প্রবল গরম পড়বে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। এরই ফলে দেশে বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা। এই গরমে ভারতে ৯-১০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা (Power consumption) বাড়বে, বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। কারণ আগামী কয়েক মাস তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হতে চলেছে ভারতবাসী। এর জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

    কোথায় বিদ্যুতের পরিমাণ কী রকম

    গত বছর, ৩০ মে সারা দেশের পিক বিদ্যুৎ চাহিদা ২৫০ গিগাওয়াট অতিক্রম করেছিল, যা পূর্বাভাসের তুলনায় ৬.৩ শতাংশ বেশি ছিল। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপ প্রবাহ বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, দাবি বিশেষজ্ঞদের। বর্তমানে দেশে শিল্পের জন্য ৩৩ শতাংশ, গৃহস্থালির জন্য ২৮ শতাংশ এবং কৃষির জন্য ১৯ শতাংশ বিদ্যুত ব্যবহৃত হয়। গত দশকে গার্হস্থ্য বিদ্যুতের চাহিদা দ্রুত বেড়েছে, বলেন দিল্লি ভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারের রিনিউয়েবল সিনিয়র প্রোগ্রাম লিড দিশা আগরওয়াল। ২০১২-১৩ সালে গার্হস্থ্য বিদ্যুৎ ব্যবহার ছিল ২২ শতাংশ, যা ২০২২-২৩ সালে ২৫ শতাংশে পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই বৃদ্ধির বেশিরভাগই অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে শীতলীকরণের প্রয়োজনীয়তা থেকে এসেছে।

    কেন বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা

    ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে, ঘরে ঘরে এসি মেশিনের (Power consumption) ব্যবহার বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এয়ার কন্ডিশনারের বিক্রি ৪০-৫০ শতাংশ বেড়েছে। দিশা বলেন, “ভারতকে এখন দীর্ঘস্থায়ী তাপপ্রবাহ এবং পিক বিদ্যুৎ চাহিদায় ৯-১০ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। তবে আমাদের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে যে, এই পিক চাহিদা শুধুমাত্র একটি স্বল্প সময়ের জন্য থাকবে।” তাঁর কথায়, ভারতের বিদ্যুৎ ব্যবহার ২০২০-২১ সাল থেকে প্রতিবছর প্রায় ৯ শতাংশ বাড়ছে, যা গত দশকের ৫ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অনুমান ছিল যে ২০২২ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ চাহিদা প্রতিবছর ৬ শতাংশ বাড়বে।

    বাড়ছে এসি কেনার প্রবণতা

    বিশ্বব্যাঙ্কের দক্ষিণ এশিয়ার, নীতি ও অর্থ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ আভাস ঝা বলেছেন, “ভারতের তাপপ্রবাহের সংখ্যা তিন গুণ বেড়ে যাবে। তাই ভারত শীঘ্রই বিশ্বের সবচেয়ে বড় এয়ার কন্ডিশনার বাজারে পরিণত হবে। প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একটি এয়ার কন্ডিশনার বিক্রি হচ্ছে। ভারতের এয়ার কন্ডিশনার প্রবৃদ্ধি বর্তমানে ৮ শতাংশ।” তিনি জানান, “ভারতের এসি প্রবৃদ্ধি বাড়ছে, কিন্তু সমস্যা হল, বেশিরভাগ এসি মেশিনগুলি খুব বেশি শক্তি খরচ করে, যা আমাদের বিদ্যুৎ চাহিদা বৃদ্ধি করতে সহায়ক।” আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা পূর্বাভাস দিয়েছিল যে, ২০৫০ সাল নাগাদ এয়ার কন্ডিশনারের জন্য শক্তি চাহিদা তিন গুণ বেড়ে যাবে, যা আগামী ৩০ বছরে প্রতি সেকেন্ডে ১০টি নতুন এয়ার কন্ডিশনার যোগ করার সমান।

    সবার জন্যই বিদ্যুত চাই

    অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারত সেন্টারের গবেষক রিশিকা খোসলা বলেন, “২০৫০ সালে, তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ানোর পর, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শীতলীকরণ চাহিদা ভারতের হবে। তারপর চিন, নাইজিরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, ফিলিপিন্স এবং যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এটি নিশ্চিত করতে হবে যে সবার জন্য তাপগত আরাম নিশ্চিত করা যায়, এবং পরিবেশের ক্ষতি ছাড়াই এটি সম্ভব। এর জন্য প্যাসিভ কুলিং পদ্ধতি, শক্তি দক্ষতা এবং ক্ষতিকর রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসগুলির ব্যবহার কমাতে হবে।”

    গরমের আশঙ্কা

    সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০২৫ সালের গরমে সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা (Power consumption) ২৭০ গিগাওয়াট ছুঁয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চলতি বছর মার্চ মাসে বিদ্যুতের চাহিদা এবং ব্যবহার ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে। এই বছর দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে মানুষের ফ্যান, কুলার এবং এসি-র ব্যবহার বাড়বে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, চলতি বছর ভারতে মার্চে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম পড়তে পারে, তার সঙ্গে চলবে তাপপ্রবাহ। দেশের বেশিরভাগ অংশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৪ সালে, ৫ এপ্রিল ওড়িশায় প্রথম তাপপ্রবাহ দেখা দেয়, কিন্তু ২০২৫ সালে, কঙ্কন এবং উপকূলীয় কর্নাটকের কিছু অংশে ২৭-২৮ ফেব্রুয়ারিতে তাপপ্রবাহ দেখা গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এই বছরের গ্রীষ্মে মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে দেশের অধিকাংশ অংশে সাধারণত উষ্ণতম তাপমাত্রা থাকবে। ১৯০১ সালের পর থেকে দেশ ২০২৫ সালে সবচেয়ে উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি অনুভব করেছে, যেখানে গড় তাপমাত্রা ছিল ২২.০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক ২০.৭০ ডিগ্রির চেয়ে ১.৩৪ ডিগ্রি বেশি। মৌসম ভবন আরও বলেছে, ২০২৫ সালের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব ভারত, উত্তর ভারতে টানা তাপপ্রবাহ হতে পারে।

LinkedIn
Share