Tag: President

President

  • Waqf Amendment Bill: স্বাক্ষর করলেন রাষ্ট্রপতি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আইনে পরিণত ওয়াকফ সংশোধনী বিল

    Waqf Amendment Bill: স্বাক্ষর করলেন রাষ্ট্রপতি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আইনে পরিণত ওয়াকফ সংশোধনী বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আইনে পরিণত হল ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill)। শনিবার রাতে বিলটিতে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। তার পরেই বিলটি পরিণত হয় আইনে। বুধবার দীর্ঘ বিতর্কের পর গভীর রাতে লোকসভায় ৫৬ ভোটের ব্যবধানে পাশ হয়েছিল ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫। বিলের পক্ষে পড়েছিল ২৮৮টি ভোট, আর বিপক্ষে ২৩২টি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজ্যসভায়ও পাশ হয়ে যায় বিলটি। তার পরেই বিলটি পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। শনিবার তাতে সই করেন তিনি। এর পরেই বিলটি পরিণত হয় আইনে।

    ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ (Waqf Amendment Bill)

    ভারত সরকারের গেজেটিয়রে প্রকাশিত হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিজ্ঞপ্তি। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, “ওয়াকফ শব্দের অর্থ ঐক্যবদ্ধ ওয়াকফ ব্যবস্থাপনা, ক্ষমতায়ন, দক্ষতা ও উন্নয়ন।” নতুন আইন অনুযায়ী, তাই কোনও জমি ওয়াকফ কিনা, সেই সম্পর্কিত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাককরা। বোর্ডে এবার থেকে থাকতে পারবেন অমুসলিম প্রতিনিধিরাও। নিয়ন্ত্রণ থাকবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারেরও।

    ওয়াকফ সম্পত্তি কী

    মুসলিম আইনে যে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি দলিলের মাধ্যমে ধর্মীয় বা দাতব্যের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়, তাই হল ওয়াকফ। এই সম্পত্তিকে বলা হয় ওয়াকফ সম্পত্তি। এই সম্পত্তি মূলত সেবামূলক কাজে ব্যবহার করা হয়। এই সম্পত্তি কখনও হস্তান্তর করা যায় না। মূলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান, মসজিদ এবং দরিদ্রদের আশ্রয় দেওয়ার মতো কল্যাণকর কাজে ব্যবহার করা হয় এই জমি। সম্পত্তির দেখভাল করে ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Amendment Bill)।

    এই বোর্ডের বিরুদ্ধেই বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ করেছিলেন মুসলমানদেরই একাংশ। তার জেরেই ওয়াকফ বিল আনে কেন্দ্র। এদিন সেটি পরিণত হল আইনে। কেন্দ্রের দাবি, এর ফলে সার্বিকভাবে উন্নতি হবে মুসলিমদের। ক্ষমতায়ন হবে মুসলিম মহিলাদের। নয়া আইন অবশ্য মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসে হস্তক্ষেপ করবে না। তবে ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে অস্বচ্ছতা দূর হবে। নয়া আইন মুসলিম মহিলাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির দিশা দেখাবে। মুসলিম ছাত্রীদের বৃত্তি, মহিলাদের স্বাস্থ্য ও মাতৃত্বকালীন সুবিধা, দক্ষতা বৃদ্ধি, মহিলা উদ্যোগীদের জন্য ঋণের ব্যবস্থার পাশাপাশি (Waqf Amendment Bill) বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের রাস্তা খুলে দেবে নয়া আইন (Droupadi Murmu)। উন্নত করবে দরিদ্রদের জীবনযাপনের মান।

  • Mahmud Abbas: এবার গাজা রক্ষায় হামাসকে অনুরোধ প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্টের

    Mahmud Abbas: এবার গাজা রক্ষায় হামাসকে অনুরোধ প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গাজা রক্ষায় হামাসকে (Hamas) অনুরোধ প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের (Mahmud Abbas)। শনিবার আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলন তাদের ইসলামিস্ট প্রতিদ্বন্দ্বী হামাসকে গাজা উপত্যকায় প্যালেস্তাইনিদের অস্তিত্ব রক্ষায় ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ফাতাহ মুখপাত্র মুনথের আল-হায়েক গাজা থেকে এক বার্তায় বলেন, “হামাসকে গাজা, এর শিশু, নারী ও পুরুষদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে হবে।”

    ফাতাহ মুখপাত্রের অনুরোধ (Mahmud Abbas)

    তিনি হামাসকে শাসন থেকে সরে দাঁড়াতে এবং সম্পূর্ণভাবে স্বীকার করতে বলেছেন যে যদি তারা গাজায় ক্ষমতায় থাকে তাহলে আগামী লড়াইয়ে প্যালেস্তাইনিদের অস্তিত্বের অবসান ঘটবে। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে হামাস ফাতাহ-নিয়ন্ত্রিত প্যালেস্তাইন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গাজার ক্ষমতা দখল করে। পরবর্তী কালে একাধিকবার সমঝোতার চেষ্টা হলেও, তা ব্যর্থ হয়।

    প্রতিশোধ নিতে গাজায় হামলা

    ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ও অন্যান্য প্যালেস্তাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামলা চালায় ইজরায়েলে। এরই প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় হামাসের ডেরায় হামলা চালায় ইজরায়েলি সেনা। তার জেরে বিধ্বস্ত হয়েছে গাজা উপত্যকা। হামাস বারবার বলেছে, যুদ্ধ শেষ হলে তারা গাজায় ক্ষমতা ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। যদিও অস্ত্র ত্যাগ করতে রাজি নয় তারা (Mahmud Abbas)।

    হামাস মুখপাত্র আব্দুল লতিফ আল-কানু শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা প্রশাসন সংক্রান্ত যে কোনও চুক্তি মেনে নিতে প্রস্তুত, যদিও চুক্তিতে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী নই।” তিনি বলেন, “জাতীয় ঐক্যই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, হামাস যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা পরিচালনা ও পুনর্গঠন তদারকির জন্য পেশাদার ও প্রযুক্তিবিদদের একটি স্বাধীন কমিটি গঠনে মিশরের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে।

    আব্বাস বলেন, ওই কমিটিকে রামাল্লাভিত্তিক প্যালেস্তাইন অথরিটিকে রিপোর্ট করতে হবে, যা তাঁর মতে গাজা শাসনের একমাত্র বৈধ সত্তা, কিন্তু ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার এটি প্রত্যাখ্যান করেছে। উল্লেখ্য যে, গাজা যুদ্ধে ১৯ জানুয়ারির যুদ্ধবিরতি পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে মতবিরোধের পর, ইজরায়েল মঙ্গলবার ফের বিমান হানা শুরু (Hamas) করে। তার পরের দিন শুরু হয় স্থল অভিযান (Mahmud Abbas)।

  • BJP: বিজেপিতে নাড্ডার উত্তরসূরী কে? জাতীয় সভাপতি পদে ‘দক্ষিণের সুষমা স্বরাজ’!

    BJP: বিজেপিতে নাড্ডার উত্তরসূরী কে? জাতীয় সভাপতি পদে ‘দক্ষিণের সুষমা স্বরাজ’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে (BJP) শেষ হতে চলেছে নাড্ডা জমানা। চলতি মাসের ১৫ বা ১৬ তারিখে ঘোষণা হতে পারে পদ্ম-পার্টির নয়া জাতীয় সভাপতির নাম। নাড্ডার উত্তরসূরি (New President) কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই। জানা গিয়েছে, এবার কোনও পুরুষ নন, বিজেপির জাতীয় সভাপতি হতে পারেন কোনও মহিলা।

    দৌড়ে দুই মহিলা (BJP)

    গেরুয়া শিবিরের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, “যা প্রত্যাশিত, পার্টি এই শীর্ষ পদে একজন মহিলাকে নিয়োগ করতে চায়। দক্ষিণ ভারত থেকেই কাউকে বেছে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এতে দক্ষিণী রাজ্যগুলির জনগণের কাছে শক্তিশালী সাংগঠনিক বার্তা দেওয়া যাবে।” যদি দক্ষিণ ভারত থেকে কোনও মহিলাকে বেছে নেওয়া হয় জাতীয় সভাপতি পদে, তাহলে ওই পদে বসতে পারেন অন্ধ্রপ্রদেশ বিজেপি প্রধান দগ্গুবতী পুরন্দেশ্বরী। বিজেপির মহিলা মোর্চার জাতীয় সভাপতি তথা কোয়েম্বাটুরের বিধায়ক বনাথি শ্রীনিবাসনও রয়েছেন জাতীয় সভাপতি পদের দৌড়ে।

    দায়িত্ব সামলাচ্ছেন নাড্ডা

    জাতীয় সভাপতি পদে নাড্ডার মেয়াদ শেষ হয়েছে আগেই। তার পরেও দলের দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন তিনি। বিজেপির সাংগঠনিক নিয়মবিধি অনুযায়ী, যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের কাজ শেষ হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের কাজে হাত দেওয়া যাবে না। জানা গিয়েছে, দেশের অন্তত ৫০ শতাংশ রাজ্যে সভাপতি নির্বাচনের পরেই ঘোষণা করা হবে সর্বভারতীয় সভাপতির নাম। পার্টি সূত্রে খবর, জেপি নাড্ডার উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত অভ্যন্তরীণ ঐক্যমত্য গড়ে তুলেই নেওয়া হবে।

    পদ্ম-পার্টি (BJP) সূত্রে খবর, জাতীয় সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন পুরন্দেশ্বরী। বছর ছেষট্টির পুরন্দেশ্বরী ২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ বিজেপির প্রধান। তিনি ‘দক্ষিণের সুষমা স্বরাজ’ নামে পরিচিত। তিনি বাগ্মী। পাঁচটি ভাষায় সাবলীলভাবে বক্তৃতা দিতে পারেন তিনি। বিজেপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাও তুঙ্গে।

    দৌড়ে রয়েছেন বনাথি শ্রীনিবাসনও। বিজেপির এক নেতার কথায়, “তাঁর নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি জনসংযোগ কর্মসূচি সফল হয়েছে। তিনি দলের কৌশলবিদও। তাঁর ওপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।” বিজেপির এক প্রবীণ নেতার কথায়, যদি কোনও মহিলা প্রার্থী জাতীয় সভাপতি পদে নির্বাচিত না হন, তাহলে (New President) দৌড়ে রয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান, ভূপেন্দ্র যাদব এবং বিনোদ তাওড়ে। তবে ঠিক কে হবেন নাড্ডার উত্তরসূরি, তা জানা যাবে আর সপ্তাহ দুয়েক পরেই (BJP)।

  • Manipur: অশান্ত মণিপুরে বিদেশি ইন্ধন, ঠান্ডা করতেই জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন!

    Manipur: অশান্ত মণিপুরে বিদেশি ইন্ধন, ঠান্ডা করতেই জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরকে (Manipur) ঠান্ডা করতে শেষমেশ জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন। দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন এন বীরেন সিং। তার পরেই সিদ্ধান্ত হয় উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে জারি করা হবে রাষ্ট্রপতি শাসন (Presidents Rule)। সেই মতো বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় চিত্রাঙ্গদার দেশে।

    রাষ্ট্রপতি শাসন জারি (Manipur)

    বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বয়ানে লেখা হয়েছে, ‘আমি মণিপুরের রাজ্যপালের থেকে রিপোর্ট পেয়েছি। ওই রিপোর্ট দেখে ও অন্য তথ্যগুলির ভিত্তিতে আমার মনে হয়েছে, সংবিধান অনুসারে সেখানে সরকার চালানো সম্ভব হচ্ছে না।’

    উত্তপ্ত মণিপুর

    গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তপ্ত মণিপুর। ২০২৩ সালে মে মাসে প্রথম মেইতেই ও কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। মাঝে কিছুদিনের জন্যে শান্ত ছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। গত সেপ্টেম্বর মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে (Manipur) নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অসংখ্য ঘরবাড়ি। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং এবং রাজ্যের বেশ কয়েকজন বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা।

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের বেশ কয়েকটি জেলায় কার্ফু জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সূত্রের খবর, মণিপুরে এ পর্যন্ত কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন আরও অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের দুই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পরে সাময়িক বিরতি হয় অশান্তিতে। কিছুদিন পরেই ফের তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। রাজ্যবাসীকে সংযত হওয়ার অনুরোধও করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। আশ্বাস দিয়েছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে রাজ্যে। তার পরেও (Presidents Rule) অশান্তির আগুনে পুড়েছে রাজ্য।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মণিপুরে লাগাতার অশান্তি জিইয়ে রাখতে সেখানকার বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে ইন্ধন জোগাচ্ছিল বিদেশি শক্তি। নির্বাচিত সরকার থাকলে ওই বিদ্রোহীদের দমন করা যায় না। সেই কারণেই রাষ্ট্রপতি শাসন (Manipur) জারি করে মণিপুরের রাশ হাতে নিতে চাইল সরকার।

  • Manipur: অশান্ত মণিপুরকে ঠান্ডা করতে জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন

    Manipur: অশান্ত মণিপুরকে ঠান্ডা করতে জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরকে (Manipur) ঠান্ডা করতে শেষমেশ জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন। দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন এন বীরেন সিং। তার পরেই সিদ্ধান্ত হয় উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে জারি করা হবে রাষ্ট্রপতি শাসন (Presidents Rule)। সেই মতো বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় চিত্রাঙ্গদার দেশে।

    মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি (Manipur)

    বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বয়ানে লেখা হয়েছে, ‘আমি মণিপুরের রাজ্যপালের থেকে রিপোর্ট পেয়েছি। ওই রিপোর্ট দেখে ও অন্য তথ্যগুলির ভিত্তিতে আমার মনে হয়েছে, সংবিধান অনুসারে সেখানে সরকার চালানো সম্ভব হচ্ছে না।’

    মণিপুরের পরিস্থিতি

    গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে উতপ্ত মণিপুর। ২০২৩ সালে মে মাসে প্রথম মেইতেই ও কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। মাঝে কিছুদিনের জন্যে শান্ত ছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। গত সেপ্টেম্বর মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে (Manipur) নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অসংখ্য ঘরবাড়ি। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং এবং রাজ্যের বেশ কয়েকজন বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা।

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের বেশ কয়েকটি জেলায় কার্ফু জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সূত্রের খবর, মণিপুরে এ পর্যন্ত কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন আরও অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের দুই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পরে সাময়িক বিরতি হয় অশান্তিতে। কিছুদিন পরেই ফের তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। রাজ্যবাসীকে সংযত হওয়ার অনুরোধও করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। আশ্বাস দিয়েছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে রাজ্যে। তার পরেও (Presidents Rule) অশান্তির আগুনে পুড়েছে রাজ্য। তার জেরেই জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন (Manipur)।

  • Chhattisgarh: প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ছত্তিশগড়ের বাইগারা, কী বলছেন ‘পিছিয়ে পড়া’রা?

    Chhattisgarh: প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ছত্তিশগড়ের বাইগারা, কী বলছেন ‘পিছিয়ে পড়া’রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৬ জানুয়ারি নয়াদিল্লির কর্তব্য পথে প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day) উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রস্তুত বাইগা সম্প্রদায়ের ৬ প্রতিনিধি। এঁরা ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিশেষভাবে দুর্বল আদিবাসী গোষ্ঠীগুলির একটি। যে ছ’জন, এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন, তাঁরা প্রত্যেকেই কবিরধাম জেলার বাসিন্দা।

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নৈশভোজ (Chhattisgarh)

    প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন জগতিন বাই বাইগা ও তাঁর স্বামী ফুল সিং বাইগা। এঁরা পানডারিয়া ব্লকের কাডওয়ানি পঞ্চায়েতের পাটপারি গ্রামের বাসিন্দা। আমন্ত্রণ পেয়েছেন বালি বাই বাইগা ও তাঁর স্বামী সোনু রাম বাইগা, তিতরি বাই বাইগা ও তাঁর স্বামী বুধ সিং বাইগা। এঁরা টেলিয়াপানি গ্রামের বাসিন্দা। এই প্রথম তাঁরা দেশের রাজধানীতে যাবেন। সেখানে এঁরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আয়োজিত নৈশভোজেও যোগ দেবেন। তাঁরা রাষ্ট্রপতি ভবন, সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করবেন।

    গ্রামে এসেছে আলো

    কবীরধামের দুর্গম অঞ্চলে বসবাসকারী এই গ্রামবাসীরা (Chhattisgarh) ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বিদ্যুতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। তবে, জেলা কালেক্টর গোপাল ভার্মা ছত্তিসগড় রাজ্য নবীকরণযোগ্য শক্তি উন্নয়ন সংস্থার কর্তাদের নির্দেশ দেন, পাটপারি গ্রামের ২৫টি বাড়িতে দ্রুত বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ সম্পন্ন করতে। তার পরেই শুরু হয় কাজ। তড়িঘড়ি প্রতিটি বাড়িতে ৩০০ মেগাওয়াট সোলার হোম লাইটিং সিস্টেম ইনস্টল করা হয়। গ্রামবাসীরা প্রথমবারের মতো বিদ্যুতের সুবিধা পান। এই বিদ্যুত ব্যবহারের জন্য তাঁদের পয়সা দিতে হয় না।

    আরও পড়ুন: গোধরা হত্যাকাণ্ড মামলার আপিলের শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    গ্রামে উন্নয়ন ও রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ পেয়ে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসীরা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আমন্ত্রণ পেয়েছেন জগতিন বাই। তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতিকে দেখার কথা আমরা কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি। আমাদের গ্রাম ছিল অন্ধকারে ঢাকা। এখন তা আলোকিত হয়ে উঠেছে। এ সবই সরকার ও কালেক্টর স্যারের কারণে।’’ রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ডাক পেয়েছেন তিতরি বাইও। তিনি বলেন, ‘‘এটি আমাদের জীবনের (Republic Day) সবচেয়ে বড় সুযোগ। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশ নেওয়া আমাদের এবং আমাদের গ্রামের জন্য গর্বের (Chhattisgarh)।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hush Money Case: পর্নস্টারকে ঘুষ মামলায় নিঃশর্ত রেহাই ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের, কী বলল আদালত?

    Hush Money Case: পর্নস্টারকে ঘুষ মামলায় নিঃশর্ত রেহাই ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের, কী বলল আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মসনদে বসার দিন দশেক আগে বড় স্বস্তি পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পর্নস্টারকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টার মামলায় (Hush Money Case) নিঃশর্ত রেহাই পেলেন আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট। পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি (Donald Trump)। তার পরেই শুরু হয়েছিল আদালত কী সাজা দেয় ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে, তা নিয়ে জল্পনা। শেষমেশ স্বস্তির শ্বাস ফেললেন রিপাবলিকান পার্টির এই নেতা।

    কী বলল আদালত? (Hush Money Case)

    আদালত জানিয়ে দিয়েছে, জেল কিংবা জরিমানা, কিছুই হচ্ছে না তাঁর। ট্রাম্পকে যে জেলে যেতে হবে না, এক একপ্রকার জানাই ছিল। কারণ মার্কিন আইন অনুয়ায়ী, ট্রাম্পের কারাদণ্ডের সম্ভাবনা প্রায় ছিলই না। তবে আর্থিক জরিমানা হওয়ার আশঙ্কা করছিলেন ট্রাম্পের অনুগামীদের একাংশ। শেষ পর্যন্ত নিঃশর্ত রেহাই মেলায় স্বস্তির শ্বাস ফেললেন ট্রাম্প ও তাঁর অনুগামীরা। শুক্রবার ফ্লোরিডা থেকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজিরা দেন ট্রাম্প। জানান, তিনি নির্দোষ (Hush Money Case)। এর পরেই বিচারক জুয়ান মার্চান বলেন, “এই আদালত নির্ধারণ করেছে যে, দেশের সর্বোচ্চ পদের ওপর হস্তক্ষেপ না করেই রায় বা দোষী সাব্যস্ত হওয়ার একমাত্র আইনসঙ্গত শাস্তি হল নিঃশর্ত অব্যাহতি।”

    স্টর্মিকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ

    ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে স্টর্মিকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। গত মে মাসে নিউ ইয়র্কের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাতে অবশ্য ট্রাম্পের রাজনৈতিক কেরিয়ারের কোনও ক্ষতি হয়নি। কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সাজা ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল আদালত (Hush Money Case)। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের দলের প্রার্থীকে কার্যত ধরাশায়ী করে জয়ী হন ট্রাম্প।

    আরও পড়ুন: “হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে এখানেও বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন”, বার্তা শুভেন্দুর

    এর পরেই মামলার (Hush Money Case) শাস্তি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। ভাবী প্রেসিডেন্টের সেই আর্জি খারিজ করে আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, প্রেসিডেন্ট পদে বসলেও, রক্ষাকবচের কোনও প্রশ্নই নেই। তার পরেই গুঞ্জন ছড়ায়, তাহলে কি দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে বসার আগেই অস্বস্তিতে পড়তে চলেছেন ট্রাম্প। শুক্রবার সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিল আদালত। স্বস্তি পেলেন ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, আগামী ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প (Donald Trump)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Syrian President: হত্যা করা হয়েছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে!

    Syrian President: হত্যা করা হয়েছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হত্যা করা হয়েছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে (Syrian President)! আস্ত বিমান-সহ অদৃশ্য হয়ে গিয়েছেন তিনি (Plane Crash)। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দাবি, হত্যা করা হয়েছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে। গৃহযুদ্ধের জেরে অশান্ত গোটা দেশ। তার জেরে পতন হয়েছে সিরিয়া সরকারের। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-হাসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। তবে তিনি কোথায় যাচ্ছিলেন, এর কোনও তথ্য মেলেনি। তাঁর বিমান র‌্যাডারের বাইরে চলে যায়। এর পরেই রয়টার্স দাবি করে, হত্যা করা হয়েছে প্রেসিডেন্টকে।

    ফ্লাইট র‌্যাডারের তথ্য (Syrian President)

    ফ্লাইট র‌্যাডারের তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ার বিদ্রোহী সংগঠনের কিছু সদস্য দামাসকাস বিমানবন্দর থেকে সিরিয়ার একটি বিমান নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, সেই বিমানে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্টকেও। বিমান নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সিরিয়ার উপকূল অঞ্চলের দিকে। আচমকাই ইউটার্ন নেয় বিমান। আর র‌্যাডারে ধরা পড়েনি বিমানের অস্তিত্ব। বিমান অদৃশ্য হতেই ছড়ায় জল্পনা। সংবাদ সংস্থার দাবি, সিরিয়ার দুটি সূত্র তাদের জানিয়েছে, হঠাৎ করে বিমানকে র‌্যাডারের বাইরে নিয়ে যাওয়ায় জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

    দামাসকাসে ঢুকে পড়ে বিদ্রোহীরা

    শনিবার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু বিদেশ গণ মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। রবিবার সকালেই দামাসকাসে ঢুকে পড়ে বিদ্রোহীরা। তার পরেই খবর ছড়ায় রাজধানী ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট। তবে তিনি কোথায় গিয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। গত কয়েক দিন ধরেই সিরিয়ার একের পর এক শহর দখল করতে শুরু করে সিরিয়ার দুই বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শাম ও তাদের সহযোগী জইশ আল ইজ্জার যৌথবাহিনী (Syrian President)। তার পরেই নিখোঁজ হয়ে যান প্রেসিডেন্ট। অনেকের দাবি, গুলি করে নামানো হয় প্রেসিডেন্টের বিমান। তবে এ খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি প্রেসিডেন্টের তরফে কিংবা বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তরফে।

    আরও পড়ুন: হিন্দু নির্যাতনের মাশুল! বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ ত্রিপুরার হোটেলের দ্বার

    এদিকে, দামাসকাসকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করল সে দেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এদিনই সকালে রাজধানীতে ঢুকে পড়ে বিদ্রোহীরা। প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ গাজি জালালিও (Plane Crash) জানান, তিনি ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত (Syrian President)।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • US President Election 2024: জয়ী হতে চলেছেন ট্রাম্প, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস

    US President Election 2024: জয়ী হতে চলেছেন ট্রাম্প, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (US President Election 2024) জয়ী হতে চলেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস জিতলে ভালো, তবে ট্রাম্প জিতলে বাংলাদেশের কপালে দুঃখ আছে। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দুই দলের পদস্থ নেতাদের সঙ্গেই মহম্মদ ইউনূসের সম্পর্ক ভালো। তাই এই নির্বাচনের ফলের কোনও প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়বে না।” 

    হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন ট্রাম্প (US President Election 2024)

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন ট্রাম্প। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, “আমি বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বর্বর হিংসার তীব্র নিন্দা করছি। তাদের আক্রমণ করেছে উন্মত্ত জনতা, লুটপাট করেছে। সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আমি ক্ষমতায় থাকলে এটা ঘটত না। কমলা (কমলা হ্যারিস) এবং জো (জো বাইডেন) সারা বিশ্বের এবং আমেরিকার হিন্দুদের উপেক্ষা করছে। ইজরায়েল থেকে ইউক্রেন, এমনকী আমাদের দক্ষিণ সীমান্তেও বিপর্যয় নেমে এসেছে। কিন্তু আমরা আমেরিকাকে আবার শক্তিশালী করব এবং শক্তির মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনব।”

    ট্রাম্প-ইউনূস সম্পর্ক

    ট্রাম্পের সঙ্গে ইউনূসের সম্পর্কও (US President Election 2024) ভালো নয়। ২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তখন প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ইউনূস বলেছিলেন, “এই জয় একটি সূর্যগ্রহণ…অন্ধকার দিন, যা আমাদের ধ্বংস করতে বা আমাদের মনোবল শুষে নিতে পারবে না।” হিন্দুদের ওপর নির্যাতন এবং ইউনূসের এই তির্ষক মন্তব্যের জেরে বঞ্চিত হতে পারে বাংলাদেশ। দেশ পুনর্গঠনের জন্য আমেরিকার কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছে ইউনূস সরকার। বাইডেন প্রশাসন তা দেবে বলে আশ্বাসও দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘আসুন জনগনের উন্নতির জন্য কাজ করি’’, ‘বন্ধু’ ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা মোদির

    উন্নয়নমূলক প্রকল্পে সাহায্যের পাশাপাশি নানা খাতে ২০ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায়ও ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছিলেন বাইডেন। বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস জিতলে মার্কিন-বাংলাদেশ সুসম্পর্ক বজায় থাকত। কিন্তু আগামী চার বছরের জন্য হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হতে চলেছেন ট্রাম্প। এই পর্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক খুব একটা ভালো হবে না বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে বাংলাদেশকে অর্থ সাহায্য দিতে আগ্রহী (Bangladesh) হবেন না বলেই আন্তর্জাতিক মহলের একটা বড় অংশের ধারণা (US President Election 2024)। সেই কারণেই প্রমাদ গুণছে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: হোয়াইট হাউসে ফিরছেন ট্রাম্প, “আমেরিকাকে আবার শ্রেষ্ঠ করব”, প্রতিশ্রুতি ভাবী-প্রেসিডেন্টের

    Donald Trump: হোয়াইট হাউসে ফিরছেন ট্রাম্প, “আমেরিকাকে আবার শ্রেষ্ঠ করব”, প্রতিশ্রুতি ভাবী-প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছর আগে তিনিই ছিলেন মার্কিন প্রশাসনের দণ্ডমুন্ডের কর্তা। ছিলেন হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, ফের চার বছরের (US President Election 2024) জন্য হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। নিজের জয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর ফ্লোরিডার পাম বিচে প্রথম বিজয় ভাষণ দিলেন তিনি। তাঁর দলও ম্যাজিক ফিগার পার করেছেন বলে খবর।

    “আমেরিকাকে আবার শ্রেষ্ঠ করব” (Donald Trump)

    সমর্থকদের শোনালেন পুরানো সেই স্লোগান – “আমেরিকাকে আবার শ্রেষ্ঠ করব।” ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “সব সমস্যার সমাধান করব। আমরা আবার আমেরিকার সোনালি যুগ ফিরিয়ে আনব।” এদিন ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মেলানিয়াও। ছিলেন পরিবারের অন্য সদস্যরাও। ছিলেন আমেরিকার হবু ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেডি ভ্যান্সও। নিজের রাজনৈতিক সাফল্যের জন্য পরিবার বিশেষত স্ত্রী মেলানিয়াকে ধন্যবাদ জানান ট্রাম্প।

    অনুপ্রবেশ বন্ধের প্রতিশ্রুতি

    এদিন ট্রাম্পের বক্তৃতাজুড়ে ছিল নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের গল্প। আমেরিকায় অনুপ্রবেশ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। এদিন বিজয়-বক্তৃতায় আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা সীমান্ত বন্ধ করব। অনুপ্রবেশ বন্ধ করব।” আবেগতাড়িত কণ্ঠে তিনি (Donald Trump) বলেন, “আমি প্রতিটি দিন আপনার জন্য, আপনার পরিবারের জন্য এবং আপনার ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করব। আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসের সঙ্গে আমি আপনাদের হয়ে লড়াই করব।” ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকার স্বর্ণযুগের সূচনা হতে চলেছে। আমি আপনাদের নিরাশ করব না।” তিনি বলেন, “যতদিন না আমি নিরাপদ, সুরক্ষিত ও সমৃদ্ধশালী আমেরিকা তৈরি করতে পারি, ততদিন আমি বিশ্রাম নেব না। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত প্রতিদিন আমি আপনাদের অধিকার নিয়ে লড়ব।”

    আরও পড়ুন: আমেরিকায় লাল-বিপ্লব! ৪ বছর পর মার্কিন সেনেটও রিপাবলিকানদের দখলে

    ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমেরিকা আমায় অপরিসীম ক্ষমতা দিয়েছে। এটা আমেরিকানদের জয়। এই মতাদেশ দেশকে সাহায্য করবে। আমাদের দেশের সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা সীমান্তে সংস্কার করব। দেশে যা যা প্রয়োজন, সব কিছু ঠিক করব। আমরা অবিশ্বাস্য রাজনৈতিক সাফল্য অর্জন করেছি।” ট্রাম্প বলেন, “এমন বাধা-বিপত্তি পার করে এসেছি, যা কেউ কোনওদিন সম্ভব নয় বলেই ভেবেছিল। এটা সর্বকালের সেরা একটি রাজনৈতিক সাফল্য।” নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে প্রাণঘাতী হামলার প্রসঙ্গও (US President Election 2024) টানেন ট্রাম্প। বলেন, “ঈশ্বর এই কারণেই আমার প্রাণ রক্ষা করেছেন (Donald Trump)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

LinkedIn
Share