Tag: President

President

  • Draupadi Murmu: সকালে বেলুড়মঠে, দুপুরে শান্তিনিকেতনে রাষ্ট্রপতি! কড়া নিরাপত্তা কলকাতা থেকে বোলপুরে

    Draupadi Murmu: সকালে বেলুড়মঠে, দুপুরে শান্তিনিকেতনে রাষ্ট্রপতি! কড়া নিরাপত্তা কলকাতা থেকে বোলপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, মঙ্গলবার শান্তিনিকেতন (Santiniketan) যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। সেখানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। তবে তার আগে মঙ্গলবার সকালে বেলুড় মঠে যেতে পারেন তিনি। রাষ্ট্রপতির বেলুড় মঠ সফরের আগেই বালি বেলুড় অঞ্চল সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।

    বেলুড় মঠ থেকে শান্তিনিকেতন

    বেলুড় মঠ সূত্রে খবর, ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মূল মন্দির, মা সারদা দেবীর মন্দির সহ স্বামীজি ও ব্রহ্মান্দজীর মন্দির পরিদর্শন করবেন রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি অধ্যক্ষ মহারাজের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করার সম্ভাবনা রয়েছে। সকাল ন’টা থেকে সাড়ে ন’টা পর্যন্ত মঠেই থাকার কথা রাষ্ট্রপতির। এরপর শান্তিনিকেতনের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। কলকাতা থেকে বিশেষ নিরাপত্তায় এদিন বেলা ১২টা নাগাদ শান্তিনিকেতনে পৌঁছবেন রাষ্ট্রপতি (President Draupadi Murmu)। এরপর ঘুরে দেখবেন রবীন্দ্রনাথের বাড়ি। মধ্যাহ্নভোজনে রাষ্ট্রপতির জন্য বিশেষ বাঙালি পদের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    কড়া নিরাপত্তা

    আজ, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) ঐতিহ্যবাহী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)।  তাঁর নিরাপত্তা (security) সুনিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার যখন নামবে, মঙ্গলবার সেইসময় বা তার আগে আশেপাশের সমস্ত বাড়িতে ছাদে ওঠা যাবে না। জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় এই নির্দেশ নিয়ে বলেন, “কেবলমাত্র হেলিপ্যাড সংলগ্ন বাড়িগুলির ছাদে কাপড় মেলতে বা সেখানে গিয়ে কাউকে দাঁড়াতে বারণ করা হয়েছে। কারণ, কোনওভাবে যদি হাওয়ায় কাপড় উড়ে গিয়ে হেলিকপ্টারে লেগে যায়, তাহলে বড়সড় অঘটন ঘটতে পারে। তাই রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার খাতিরে এই নির্দেশ মানতে বলা হয়েছে। শান্তিনিকেতনের মানুষজন নিশ্চয়ই আমাদের এ বিষয়ে সহযোগিতা করবেন।”

    আরও পড়ুন: তিহাড় জেলের হাসপাতালে ভর্তি কেষ্ট, সিবিআইয়ের তলব বীরভূমের চালকল মালিককে

    বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি

    প্রশাসন সূত্রে খবর, বিশ্বভারতীর বিনয় ভবন মাঠেই মঙ্গলবার নামবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হেলিকপ্টার। ইতিমধ্যে সেখানে একটি অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহরকে। চতুর্দিকে অসংখ্য সিসি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে। শুরু হয়েছে নজরদারিও। আজ, শান্তিনিকেতনে পৌঁছনোর পর প্রথমে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। মেনুতে থাকছে ভাত, দেশি ঘি, পোস্তর বড়া, কয়েক রকমের ভাজা। এছাড়া মুগের ডাল, সবজি, পনির, মাশরুম, পাঁপড়…পুরোটাই নিরামিষ। এছাড়া বিদেশি কিছু নিরামিষ পদেরও আয়োজন করা হয়েছে। তারপর আড়াইটে নাগাদ রবীন্দ্র ভবনের উদয়ন, কোর্নাক, শ্যামলী, পুনশ্চ, উদীচি— রবীন্দ্রনাথের এই পাঁচটি বাড়ি পরিদর্শনের পর কলাভবন ঘুরে দেখবেন তিনি। দুপুর ৩টেয় আম্রকুঞ্জের জহরবেদিতে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। এদিনের সফরে তাঁর সঙ্গে থাকবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • West Bengal DA: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এবার চিঠি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীকে, ডাক কর্মবিরতিরও

    West Bengal DA: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এবার চিঠি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীকে, ডাক কর্মবিরতিরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (West Bengal DA) দাবিতে ১০ দিন ধরে ধর্মতলায় ধর্নায় বসেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তার পরেও সুরাহা না হওয়ায় এবার মঞ্চের তরফে চিঠি দেওয়া হল রাষ্ট্রপতি (President) ও প্রধানমন্ত্রীকে (Prime Minister)। শুধু তাই নয়, মঞ্চের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের সমস্ত ট্রেউ ইউনিয়ন, কর্মী ইউনিয়নকেও। ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, এই ডিএ সরকারি কর্মীদের সাংবিধানিক অধিকার। তা যেন দিয়ে দেওয়া হয়। তার পরেও রাজ্য সরকার গড়িমসি করে চলেছে। নিয়োগে স্বচ্ছতার দাবিও তোলা হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে।

    কর্মবিরতি…

    ইতিমধ্যেই মঞ্চের তরফে দু ঘণ্টার জন্য সমস্ত সরকারি দফতরে কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে মঞ্চের তরফে। তবে জরুরি পরিষেবা সচল রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি দু ঘণ্টার কর্মবিরতি পালিত হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজ না করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে মঞ্চের তরফে। এসবেও কাজ না হওয়ায় এবার রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করল মঞ্চ। প্রসঙ্গত, শহিদ মিনার ময়দানে ২৭ জানুয়ারি থেকে ধর্নায় বসেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সরকারি কর্মী, আধা সরকারি কর্মী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ডাক্তার, নার্স, পুরসভার কর্মী সহ আদালতের কর্মী, পঞ্চায়েত কর্মী বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্ব করছে এরকম ২৮টি সংগঠনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে এই মঞ্চ। যদিও পরে আরও একাধিক সরকারি কর্মী সংগঠনও যুক্ত হয়েছে এই মঞ্চে।

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, ফের বাড়ছে ৪ শতাংশ ডিএ, কবে থেকে জানেন?

    এদিকে আন্দোলন আরও জোরালো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মঞ্চ (West Bengal DA)। ৭ ফেব্রুয়ারি সরকারি কর্মীদের ওই ধরনা মঞ্চে ডাকা হবে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের। ৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্যজুড়ে ‘দাবি ব্যাজ’ পরে ক্লাস নেবেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা। ১০ ফেব্রুয়ারি শহিদ মিনারে হবে নাগরিক কনভেনশন। উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ১৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হবে কর্মবিরতি। এদিকে, ডিএ (West Bengal DA) মামলায় সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, হাইকোর্টের রায়ের বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কর্মীদের বর্ধিত হারে ডিএ দিলে আর্থিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। প্রসঙ্গত, তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চেরে সেই রায় বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Draupadi Murmu: ‘৩৭০ ধারা থেকে তিন তালাক বাতিল…, আমার সরকার নির্ভীক সরকার’, বললেন রাষ্ট্রপতি

    Draupadi Murmu: ‘৩৭০ ধারা থেকে তিন তালাক বাতিল…, আমার সরকার নির্ভীক সরকার’, বললেন রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সার্জিক্যাল স্ট্রাইক থেকে সন্ত্রাসবাদ দমনে কড়া পদক্ষেপ, লাইন অফ কন্ট্রোল থেকে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল, ৩৭০ ধারা থেকে তিন তালাক বাতিল, এসব কাজ করে আমার সরকার পরিচিত হয়েছে নির্ভীক সরকার হিসেবে। মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনের শুরুতে সংসদে ভাষণ দিতে গিয়ে এ কথাই বললেন রাষ্ট্রপতি (President) দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। গোটা বিশ্ব ভারতের (India) দিকে তাকিয়ে রয়েছে বলেও জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য এমন এক ভারত তৈরি করা যেখানে মানুষ প্রকৃত অর্থেই আত্মনির্ভর হবেন।

    রাষ্ট্রপতি উবাচ…

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, আজ দেশে একটি স্থায়ী, নির্ভীক সরকার রয়েছে। যা বড় স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে সহায়ক। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ, তিন তালাক রদের মতো সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমার সরকার বড় সিদ্ধান্ত নিতে অকারণ কালক্ষেপ করেনি। তিনি বলেন, সব চেয়ে বড় বদল এসেছে প্রতিটি ভারতীয়ের মানসিকতায়। তাঁরা আজ আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, এই কারণেই ভারত সম্পর্কে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মূল্যায়নও বদলে গিয়েছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান ভারত আত্মবিশ্বাসী। দেশকে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে সারা বিশ্ব। আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধানও করছে ভারত। তিনি বলেন, নির্ভয় ও শক্তিশালী সরকারের হাত ধরেই নতুন স্বপ্ন দেখছে ভারত। সমস্যা মেটাতে শর্টকার্ট নয়, স্থায়ী সমাধান করেছে এই সরকার।

    আরও পড়ুুন: অযোধ্যায় রামলালার বিগ্রহ তৈরির পাথর আসছে নেপাল থেকে! জানেন এই শীলার মাহাত্ম্য?

    রাষ্ট্রপতি বলেন, কোভিডের সময় সারা বিশ্ব যেখানে সংকটের মধ্যে পড়েছে কিন্তু ভারত এই সমস্যার মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। বিশ্বব্যাপী দারিদ্রের মধ্যেও দেশবাসীর হাতে ২৭ লক্ষ কোটি টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে, যেন অতিমারির সময় তাঁদের খাদ্য সংকটে পড়তে না হয়। তিনি (Draupadi Murmu) বলেন, সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্তভাবে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে এই সরকার দারিদ্রমুক্ত ভারত গড়বে বলেও জানান রাষ্ট্রপতি। গত ন বছরে একাধিক ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে ভারত উঠে এসেছে বলেও জানান তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা গিয়েছে। ওই দেশগুলি নানা সমস্যায় জর্জরিত। কিন্তু আমার সরকার দেশবাসী স্বার্থে এমন সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত ভাল জায়গায় রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Akhil Giri: ‘বেফাঁস মন্তব্যে’র জের, এবার অখিলের বিরুদ্ধে দিল্লিতে অভিযোগ দায়ের লকেটের

    Akhil Giri: ‘বেফাঁস মন্তব্যে’র জের, এবার অখিলের বিরুদ্ধে দিল্লিতে অভিযোগ দায়ের লকেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি (President) সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করায় রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরির (Akhil Giri) বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় দায়ের হয়েছিল এফআইআর (FIR)। এবার খোদ রাজধানী দিল্লিতে অখিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন হুগলির সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। রবিবার সকালে রাজধানীর নর্থ অ্যাভিনিউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অবিলম্বে তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করে অখিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও পুলিশকে জানান লকেট।

    কী বললেন লকেট?

    থানা থেকে বেরিয়ে লকেট সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, দেশের রাষ্ট্রপতিকে যেভাবে অখিল গিরি (Akhil Giri) অপমান করেছেন, তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। সব চেয়ে বড় কথা, নন্দীগ্রামের ওই সভায় অখিলের পাশেই ছিলেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, এটা কেবল রাষ্ট্রপতিকে অপমান নয়, পুরো আদিবাসী সমাজকে অপমান করা এবং মহিলাদের অপমান করা। লকেট বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা হয়ে একজন মহিলার অপমানের পরেও কোনও স্টেটমেন্ট নেই তাঁর। ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেল। হুগলির সাংসদ বলেন, যখন উত্তর প্রদেশে কিছু হয়, তখন মমতা নেতাদের দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিবৃতি দেওয়ান। বুদ্ধিজীবীরা সঙ্গে সঙ্গে মোমবাতি নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। সাংসদরা সঙ্গে সঙ্গে উত্তর প্রদেশের সেই স্পটে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মমতার কোনও বুদ্ধিজীবী, নেতা, মন্ত্রীর কোনও বিবৃতি নেই। লকেট বলেন, আমরা চাই, মমতা অখিল গিরিকে বরখাস্ত করুন এবং বিবৃতি দিন। তাঁর দাবি, অখিল গিরিকে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে বসে রাষ্ট্রপতির পায়ে হাত দিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের জের, বিজেপির আন্দোলনে উত্তাল রাজ্য

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে নন্দীগ্রামের গোকুলনগরের এক সভায় ভাষণ দিতে উঠে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri) নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেন মন্ত্রী মশাই। এর পরেই অখিলকে বলতে শোনা যায়, আমরা রূপ বিচার করি না। রাষ্ট্রপতির পদকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার (শুভেন্দু অধিকারী) রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা? অখিলের এই মন্তব্যের জেরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় রাজ্যজুড়ে। বিক্ষোভ-প্রতিবাদে ফেটে পড়ে বিজেপি। এই প্রতিবাদেরই অঙ্গ হিসেবে এদিন অখিলের (Akhil Giri) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন লকেট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Diwali 2022: দেশবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি, কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী? 

    Diwali 2022: দেশবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি, কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার দীপাবলি (Diwali 2022)। দেশবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ট্যুইটারের মাধ্যমে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই উৎসব দেশবাসীর জীবনে আনন্দ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসুক বলেও কামনা করেন মোদি। ট্যুইট-বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেককে শুভ দীপাবলির (Diwali 2022) শুভেচ্ছা জানাই। দীপাবলি উৎসব উজ্জ্বলতা ও প্রভার সঙ্গে জড়িত। এই শুভ উৎসব আমাদের জীবনে আনন্দ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক। আমি আশা করি, পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আপনাদের দীপাবলি ভাল কাটছে।

    দীপাবলি (Diwali 2022) দেশবাসীর জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক, কামনা করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, দেশবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা। এই পবিত্র আলো ও আনন্দ উৎসবের দিনে চলুন চেষ্টা করা যাক যাঁদের জীবনে জ্ঞান ও শক্তির প্রদীপ জ্বালানো প্রয়োজন, তাঁদের জীবনে সুখ নিয়ে আসার। এই মহান উৎসবের দিনে প্রত্যেক দেশবাসীর জীবন ভরে উঠুক সুখ ও সমৃদ্ধিতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লিখেছেন, প্রত্যেক দেশবাসীকে জানাই শুভ দীপাবলি (Diwali 2022)। এই আলোর উৎসব প্রত্যেকের জীবনে নিয়ে আসুক সুখ, সুস্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লিখেছেন, প্রত্যেককে জানাই দীপাবলির শুভেচ্ছা। এই উৎসব আপনাদের জীবনে আনন্দ, সুস্বাস্থ্য এবং সম্পদ নিয়ে আসুক।

    আরও পড়ুন: দেশের সুরক্ষা যাদের কাঁধে, প্রথা মেনে তাঁদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করতে কার্গিলে মোদি

    দেশবাসীকে দীপাবলির (Diwali 2022) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারও। তিনি বলেন, অন্ধকার ও জীবনের নঞর্থক দিকগুলি সরিয়ে দিওয়ালির আলোক সর্বত্র ছড়িয়ে দিক সদর্থকতার আলোক। আপনার জীবন ভরে উঠুক সাফল্য, খ্যাতি, সুখ এবং সমৃদ্ধিতে। আপনার জীবন বিকশিত হোক। প্রত্যেককে শুভ দীপাবলি ও লক্ষ্মীপুজোর অভিনন্দন জানাই। দেশবাসীকে দীপাবলির (Diwali 2022) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্সের সহ সভাপতি ওমর আবদুল্লাও। ট্যুইট বার্তায় ফারুক আবদুল্লার পুত্র লেখেন, শুভ দীপাবলি। সমস্ত প্রদীপের আলোক আপনাদের জীবন ভরে তুলুক সুখ, সুস্বাস্থ্য, শান্তি এবং সমৃদ্ধিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sri Lanka: শ্রীলঙ্কা ফিরলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া, কেমন সংবর্ধনা পেলেন জানেন?

    Sri Lanka: শ্রীলঙ্কা ফিরলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া, কেমন সংবর্ধনা পেলেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় সাত সপ্তাহ পরে শুক্রবার দেশে ফিরলেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ (Gotabaya Rajapaksa)। দেউলিয়া অর্থনীতির জেরে প্রেসিডেন্ট (President) বদলের দাবিতে যখন উত্তাল হয়ে উঠেছিল দ্বীপরাষ্ট্র, তখনই রাতের অন্ধকারে শ্রীলঙ্কা ছেড়েছিলেন গোতাবায়া। ফিরলেন প্রায় দু মাস বাদে। এদিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফুলের মালা পরিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান মন্ত্রী এবং রাজনীতিকরা। সরকারি এক আধিকারিক বলেন, বিমান থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে সরকার পক্ষের রাজনীতিকরা ফুলের মালা পরিয়ে স্বাগত জানান দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে (Former President)।

    দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে। এমতাবস্থায় দেশকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন দ্বীপরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ। এর পরে খেপে যায় জনতা। রাজাপক্ষ গো ব্যাক ধ্বনিতে মুখরিত হয় শ্রীলঙ্কার আকাশ বাতাস। হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী ঘিরে ধরে রাজাপক্ষের পৈত্রিক ভিটে। লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় দ্বীপরাষ্ট্রের পুলিশ। এর পরেই জুলাই মাসের মাঝামাঝি সেনা পরিবৃত হয়ে রাতের অন্ধকারে দেশ ছাড়েন রাজাপক্ষ। জানা গিয়েছিল, সেনা বিমানে চড়ে রাজাপক্ষ চলে গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুর। পরে সেখান থেকে উড়ে যান থাইল্যান্ড। সিঙ্গাপুর থেকেই তিনি তাঁর ইস্তফাপত্রটি প্রেরণ করেন। শুক্রবার ফিরলেন থাইল্যান্ড থেকেই। রাজাপক্ষ প্রেসিডেন্ট পদে ইস্তফা দেওয়ার পর শ্রীলঙ্কার সংসদে হয় ভোটাভুটি। সেখানে জিতে রাষ্ট্রপতি পদে বসেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ রনিল বিক্রমসিংহে। সূত্রের খবর, তাঁকেই দেশে ফেরানোর আবেদন করেন রাজাপক্ষ।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা ছেড়ে গেল চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, হাঁফ ছাড়ল ভারতও

    এদিন ব্যাংকক ভায়া সিঙ্গাপুরের একটি বাণিজ্যিক বিমানে চড়ে দেশে ফেরেন বছর তিয়াত্তরের রাজাপক্ষ। গত ৫২ দিন ধরে তিনি ছিলেন স্বেচ্ছা নির্বাসনে। তার পর এদিন এলেন প্রকাশ্যে। রাজাপক্ষের পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ায় বর্তমান রাষ্ট্রপতি বিক্রম সিংহকে দুষছেন বিরোধী দলের রাজনীতিকরা। যদিও শ্রীলঙ্কার সংবিধানই নিশ্চিত করে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কয়েকজন দেহরক্ষী, একটি গাড়ি এবং বাড়ি পাবেন। সেই মোতাবেকই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষ, তাঁর দাদা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা এই সুবিধা পাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • VP Election: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন মায়াবতীর  

    VP Election: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন মায়াবতীর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি (President) নির্বাচনে তিনি সমর্থন করেছিলেন এনডিএ-র (NDA) প্রার্থী বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu)। উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) নির্বাচনেও বহুজন সমাজবাদী পার্টি (BSP) সুপ্রিমো মায়াবতী (Mayawati) জানিয়ে দিলেন, এবারও তাঁর দল এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়কেই (Jagdeep Dhankhar ) সমর্থন করবে। বৃহত্তর জনস্বার্থের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত বলেও জানান তিনি।

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র প্রার্থী ছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। ওই নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা। ওই নির্বাচনে যশবন্ত নন, মায়াবতীর দল সমর্থন করেছিলেন এনডিএ প্রার্থীকেই। এক ট্যুইট বার্তায় মায়াবতী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ পদ রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে ঐক্যমত্যের অভাবের কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এখন একই অবস্থার কারণে আগামী ৬ অগাস্ট উপরাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনও হতে চলেছে। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে বৃহত্তর জনস্বার্থ ও নিজস্ব আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসপি উপরাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে শ্রী জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এই কথা ঘোষণা করছি।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদীকে কেন তিনি সমর্থন করেছিলেন, তাও তখন জানিয়েছিলেন বিএসপি নেত্রী। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা যশবন্ত সিনহাকে মনোনীত করার সময় তাঁর দলকে উপেক্ষা করেছিলেন। তাই তিনি দ্রৌপদীকে সমর্থন করেছেন। ধনখড়কে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেলেগু দেশম পার্টিও। টিডিপি সুপ্রিমো এন চন্দ্রবাবু নাইডু জানান, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁর দল সমর্থন করবে ধনখড়কে। উপরাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ-র প্রার্থী জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজু জনতা দলও। এদিকে, ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয়ের আনন্দে মাতল বাংলাদেশও

    প্রসঙ্গত, উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন হবে ৬ অগাস্ট। ওই পদে বেঙ্কাইয়া নাইডুর মেয়াদ শেষ হবে ১০ অগাস্ট। উপরাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের প্রার্থী কংগ্রেসের মার্গারেট আলভা। তা সত্ত্বেও উপরাষ্ট্রপতি পদে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনখড়ের জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

     

  • Draupadi Murmu: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    Draupadi Murmu: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি (President) হিসেবে শপথ নিলেন দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। সংসদের সেন্ট্রাল হলে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা (NV Ramana)। শপথ নেওয়ার আগে এদিন সকালে রাজঘাটে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান দ্রৌপদী। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। পরে কোবিন্দের সঙ্গেই সংসদ ভবনে পৌঁছান দ্রৌপদী। তাঁকে স্বাগত জানান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তেরঙ্গা শাড়ি পরে শপথ নেন দ্রৌপদী। শপথ গ্রহণের পর প্রথা মেনে তাঁকে একুশবার তোপধ্বনি দিয়ে সম্মান জানানো হয়।

    দ্রৌপদী দেশের সর্ব কনিষ্ঠ রাষ্ট্রপতি। শপথ নেওয়ার পর সংসদের সেন্ট্রাল হলে ভাষণ দেন তিনি। বলেন, সকলের আশীর্বাদে আমি দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছি। একটি প্রগতিশীল দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছি। নিজেকে খুব সৌভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। ভারতের নয়া রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল। আর স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছরে আমি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পেয়েছি। দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়া আমার ব্যক্তিগত প্রাপ্তি নয়। এটি ভারতের প্রতিটি দরিদ্র মানুষের প্রাপ্তি। আমার রাষ্ট্রপতি হওয়া প্রমাণ করে যে ভারতের দরিদ্র মানুষরা শুধু স্বপ্নই দেখেন না, সেই স্বপ্ন পূরণও করতে পারেন।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিন সেনাবাহিনীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দ্রৌপদী বলেন, ২৬ জুলাই দিনটি কার্গিল বিজয় দিবস। দিনটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্বের প্রতীক। কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে আমি দেশের সশস্ত্র বাহিনী ও দেশবাসীকে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এদিকে, রবিবার রাত থেকেই উৎসব শুরু হয়েছে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের উপরবেদা গ্রামে। সোমবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন দ্রৌপদীর প্রায় ৬০ জন নিকট আত্মীয়।

    আরও পড়ুন : নারীর ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল উদাহরণ দ্রৌপদী, বলছে ওড়িশার রায়রংপুর

    পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএর প্রার্থী ছিলেন বিজেপির দ্রৌপদী। বিজেপি বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা। যশবন্তকে বিপুল ভোটে পরাস্ত করে রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা হলেন দ্রৌপদী।

     

  • Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয়ের আনন্দে মাতল বাংলাদেশও

    Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয়ের আনন্দে মাতল বাংলাদেশও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি (President) পদে শপথ নিয়েছেন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। প্রত্যাশিতভাবেই উৎসবে মেতেছেন উত্তর ও দক্ষিণের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলির মানুষ। গঙ্গার এপারে যেমন চলছে উৎসব, তেমনি উৎসব হয়েছে পদ্মার ওপারেও। এদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সংসদের সামনে ধামসা মাদল নিয়ে নাচে গানে মেতে ওঠেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ।

    সোমবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে দ্রৌপদীকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা (NV Ramana)। শপথ নেওয়ার আগে রাজঘাটে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান দ্রৌপদী। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। পরে কোবিন্দের সঙ্গেই সংসদ ভবনে পৌঁছান দ্রৌপদী। তার পরেই নেন শপথ।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএর প্রার্থী ছিলেন বিজেপির দ্রৌপদী। বিজেপি বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা। যশবন্তকে বিপুল ভোটে পরাস্ত করে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা হলেন ময়ূরভঞ্জের প্রত্যন্ত এক গ্রামের দ্রৌপদী। দ্রৌপদী রাইসিনা হিলসে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হল আরও একটি ইতিহাস। তিনিই ভারতের প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা, যিনি হলেন দেশের এক নম্বর নাগরিক।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিঞা অ্যাভেনিউতে জড়ো হন আদিবাসী ও জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষ। জয়েনশাহি আদিবাসী ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল, ঢাকা ওয়াংলা সেলিব্রেশন কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি জনজাতি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরাও যোগ দেন এদিনের উৎসবে।  বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব ড্রং বলেন, জনজাতি সম্প্রদায়ের কোনও মহিলার রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করা ভারতের পক্ষে ভালো খবর। কেবল ভারত নয়, বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের পক্ষেও এটি একটি সুখবর। এটি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষেও গর্বের বিষয়। দ্রৌপদীকে সে দেশে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারকেও অনুরোধ করেন তিনি।

    এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মেসবাহ কামাল। তিনি বলেন, দ্রৌপদী মুর্মুর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় নিপীড়িত, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের জন্য এটি একটি আনন্দের দিন। এটি নিঃসন্দেহে সমাজের দুর্বল শ্রেণির মানুষের প্রতি রাষ্ট্রের আইন প্রণেতা ও পরিচালকদের দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টাতে ভূমিকা পালন করবে।

     

  • Draupadi Murmu: ভারতের রাষ্ট্রপতির বেতন কত জানেন? সুযোগ সুবিধাই বা পান কী কী?

    Draupadi Murmu: ভারতের রাষ্ট্রপতির বেতন কত জানেন? সুযোগ সুবিধাই বা পান কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন এনডিএ প্রার্থী বিজেপি-র দ্রৌপদী মুর্মু। বিজেপি বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে হারিয়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি ভবনের বাসিন্দা হতে চলেছেন তিনি। এবার দেখে নেওয়া যাক রাষ্ট্রপতি হিসেবে কী কী সুবিধা পেতে চলেছেন রাইসিনা হিলসের নয়া বাসিন্দা।

    ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবন বিশ্বের সব চেয়ে বড় রাষ্ট্রপতি ভবন। ১৯২৯ সালে ব্রিটিশ আমলে নির্মাণ করা হয়েছিল এই ভবন। ৩২০ একর জমির ওপর তৈরি হয়েছিল দিল্লির রাইসিনা হিলসের এই রাষ্ট্রপতি ভবন। রাইসিনা হিলসের মূল ভবনে ঘর রয়েছে ৩৪০টি। রাষ্ট্রপতি ছাড়াও রাইসিনা হিলসে রয়েছে তাঁর আধিকারিকনিবাস, স্বাগত কক্ষ, অতিথিশালা এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। ভবনের বাইরে রয়েছে বিশাল আকারের বাগান, কর্মচারীদের থাকার ব্যবস্থা। রয়েছে আস্তাবলও। রাষ্ট্রপতি ভবনের মধ্যেই রয়েছে মুঘল গার্ডেন, মিউজিয়াম। মুঘল গার্ডেনে রয়েছে ময়ূরও। টিকিট কেটে এগুলি ঘুরে দেখতে পারেন সাধারণ মানুষ।

    আরও পড়ুন : জয়ী দ্রৌপদী, মমতা ব্যর্থ, তৃণমূলনেত্রীকে কটাক্ষ বিজেপির

    আগামী পাঁচ বছরের জন্য এখানকারই বাসিন্দা হতে চলেছেন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বেড়ে ওঠা দ্রৌপদী। রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রতি মাসে বেতন বাবদ তিনি পাবেন ৫ লক্ষ করে টাকা। জানা গিয়েছে, ১৯৫১ সালের আইন মোতাবেক নির্ধারিত হয় রাষ্ট্রপতির মাসিক বেতন ও পেনশনের পরিমাণ। রাষ্ট্রপতির জন্য দুটি ভ্যাকেশন রিট্রিটের ব্যবস্থাও রয়েছে। বছরে দু বার ছুটি কাটাতে যেতে পারেন তিনি। তাঁর জন্য ব্যবস্থা থাকে সিমলার দ্য রিট্রিট বিল্ডিং ও হায়দরাবাদের রাষ্ট্রপতি নিলয়মে। সফরের যাবতীয় খরচ বহন করে ভারত সরকার।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    এ তো গেল রাষ্ট্রপতি পদে থাকাকালীন সুযোগ সুবিধা। অবসরের পরেও বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা পান ভারতীয় রাষ্ট্রপতি। ফি মাসে রাষ্ট্রপতি পেনশন পান দেড় লক্ষ টাকা। রাইসিনা হিলস ছেড়ে গেলেও, রাষ্ট্রপতির থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয় সুসজ্জিত বাংলোর। এজন্য কোনও টাকা দিতে হয় না তাঁকে। পাঁচজন কর্মচারীও রাখতে পারেন রাষ্ট্রপতি। এই কর্মচারীদের বেতন দেয় ভারত সরকার। জীবনভর বিনা মূল্যে ট্রেন এবং বিমানে ভ্রমণের সুযোগও পান অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি।

     

LinkedIn
Share