Tag: Prime minister Narendra Modi

Prime minister Narendra Modi

  • Mahakumbh Mela 2025: রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মোদি অমৃত স্নানে যোগদান করবেন, জানালেন যোগী

    Mahakumbh Mela 2025: রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মোদি অমৃত স্নানে যোগদান করবেন, জানালেন যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর উত্তরপ্রদেশে বিশ্বের সর্ববৃহৎ হিন্দু মেলার মহা আয়োজনে মহাপুণ্যস্নান অংশগ্রহণ করছেন ভারত সহ বিশ্বের সনাতনী সমাজের বহু মানুষ। এই অমৃত স্নানের মূল উদ্দেশ্য হল গঙ্গা, যমুনা (পৌরাণিক) সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে মোক্ষলাভ। পুরাণে কথিত আছে,  গঙ্গায় সমুদ্রমন্থনের ফলে উৎপন্ন অমৃতের কুম্ভ থেকে মহামুক্তির অমৃতের ফোঁটা পড়েছিল প্রয়াগরাজের এই নদীসঙ্গমে। তাই পবিত্র গঙ্গায় ডুব দিয়ে সকল পাপের স্খলন হয় এবং জগত-জীবন সব কিছুর পরিবর্তন হয়। এই মাহেন্দ্রক্ষণে সূর্য মকরে প্রবেশ করে এবং বৃহস্পতি ভালো জায়গায় অবস্থান করে, ফলে জগতবাসীর কল্যাণ হয়। সকল অশুভ শক্তির পরাজয় হয় এবং শুভ শক্তির উদয় হয়। এবার এই মহাকুম্ভের পুণ্যতিথিতে কোটি কোটি ভক্তদের সঙ্গে অমৃত স্নান যাত্রায় (Mahakumbh Mela 2025) অংশগ্রহণ করবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই কথা জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে।

    ব্যবস্থায় কমতি রাখা নিয়ে আপোশ করবেন না যোগী (Mahakumbh Mela 2025)

    ইতিমধ্যে ১৪ জানুয়ারি পৌষ পূর্ণিমা এবং ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তিতে আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং সৌদি আরব থেকে অনেক ভক্ত অমৃতস্নানে (Mahakumbh Mela 2025) অংশ নিয়েছেন। রাশিয়ার সনাতনী ভক্ত অনর্গল বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ করে মহাকুম্ভের আধ্যাত্মিক ভাবকে বিশ্বের কাছে আরও ছড়িয়ে দিয়েছেন। আগামী ২৯ জানুয়ারি রয়েছে মৌনী অমাবস্যা এবং ৩ জানুয়ারি বসন্ত পঞ্চমীর অমৃত স্নান। এদিন মুখ্যমন্ত্রী যোগী জানিয়েছেন, আনুমানিক ৮-১০ কোটি পুণ্যার্থী পবিত্র গঙ্গায় স্নান করবেন। তাই যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে মেলার পরিষেবায় কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী। ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং প্রয়োজনীয় যাতায়াতের বিশেষ নজর রেখেছেন তিনি। রবিবার মেলায় একটি স্থানে আকস্মিক আগুন লাগার ঘটনায় সঠিক তদন্তের নির্দেশ দিয়ে প্রশাসনের উচ্চ আধিকারিকদের মেলার ব্যবস্থাকে আরও কড়া ভাবে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কট্টর মৌলবাদীরা আগেই কুম্ভকে টার্গেট করার হুমকি দিয়েছিল। তাই কোনও ব্যবস্থায় খামতি নিয়ে কোনও আপোশ করবেন না বলে সাফ নির্দেশ দিয়েছেন যোগী।

    রাজ্যের মন্ত্রীসভার বৈঠক ২২ জানুইয়ারি মেলাপ্রাঙ্গণে

    এদিন প্রশাসনিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Yogi Adityanath) বলেন, “বিশেষ দিনে ভালো ভিড় ব্যবস্থাপনার জন্য পন্টুন সেতুতে চলাচল একমুখী রাখতে হবে। মৌনী অমাবস্যা ও বসন্ত পঞ্চমীতে পুরো মেলা এলাকাকে নো-ভেহিক্যাল জোন ঘোষণা করতে হবে। ভক্তদের অনুভূতিকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে এবং কর্মকর্তাদের অবশ্যই প্রয়োজনে কাউকে সহায়তা করতে হবে। প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি যথা সময়ে শেষ করতে হবে। একই ভাবে রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠক আগামী ২২ জানুয়ারি এই মেলাপ্রাঙ্গণেই (Mahakumbh Mela 2025) অনুষ্ঠিত হবে।”

    আরও পড়ুনঃ মহাকুম্ভে অগ্নিকাণ্ডের পরে ত্রিবেণী সঙ্গম পরিদর্শন যোগীর, দিলেন একগুচ্ছ নির্দেশিকা

    ট্রাফিক ব্যবস্থা এবং পার্কিং ব্যবস্থার দিকে সজাগ নজর

    আবার মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) একটি প্রশাসনিক যোগী বৈঠকে বলেন, “প্রায় দেড় কোটি ভক্ত বর্তমানে মেলার মাঠে উপস্থিত রয়েছেন এবং ৭ কোটিরও বেশি মানুষ ইতিমধ্যেই ত্রিবেণীতে পবিত্র অমৃত স্নান করেছেন। প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রচুর জনসমাগম প্রত্যাশা করা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুদৃঢ় ব্যবস্থা করা হবে। আগত তীর্থযাত্রীদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ, পরিচ্ছন্ন শৌচাগারের যথাযথ ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। ভ্রম্যমান সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ এবং একটি সুপরিকল্পিত ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাপনার জন্য প্রশাসনিক কর্তাদের বিশেষ নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দর্শনার্থীদের ভালোভাবে পরিচালনার জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থা এবং পার্কিং ব্যবস্থার দিকে নজর রাখার উপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

    মিডিয়া, পুলিশ এবং ভক্তদের মধ্যে সমন্বয় রাখা

    যোগী (Yogi Adityanath) মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবাগুলি উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন একই ভাবে। সেই সঙ্গে উল্লেখ করেছেন যে মিডিয়া, পুলিশ এবং ভক্ত সহ সকলের সঙ্গে সংযোগকে নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হবে। মেলার টাওয়ারগুলি থেকে সব দিকে নজরদারি ঠিক করে রাখতে হবে। মেলার প্রচার প্রসারকে সঠিক ভাবে আগত ভক্তদের কাছে তুলে ধরতে হবে। জরুরি পরিষেবাগুলিকে আরও বেশি করে জনমুখী করে দিতে হবে। ভক্তরা যাতে কাছের ঘাটগুলিতে স্নান করতে পারেন এবং হাঁটার জন্য প্রয়োজনীয় দূরত্ব কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। হারিয়ে যাওয়া এবং খুঁজে পাওয়া কেন্দ্রগুলির সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য স্থানীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

    রেলকে বিশেষ ভাবে সক্রিয় থাকার বার্তা

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Yogi Adityanath) রেল কর্তৃপক্ষকে ২৫ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে বিশেষ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের অনুরোধ বলেছেন। ট্রেনের সময়সূচি এবং প্ল্যাটফর্ম নম্বর সম্পর্কে নিয়মিত ঘোষণার গুরুত্বের উপর জোর দেন। একটি প্ল্যাটফর্মে যদি রেলের ঘোষণা করে দেওয়া হয় বা বরাদ্দ করা হয় তাহলে তা যেন অপরিবর্তিত থাকে। নয়তো ভিড় আর অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। স্নান করার পরে, ভক্তরা তাঁদের গন্তব্যে দ্রুত ফিরে যেতে পারেন তাই ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে রেলের আধিকারিকদের পরিষেবাকে অতি সক্রিয় রাখার অনুরোধ করেন। দৈনিক ট্রেন, মেলা (Mahakumbh Mela 2025) স্পেশাল ট্রেনের জন্য আলাদা স্টেশনগুলিকে সচল রাখার উপদেশও দিয়েছেন।

         

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbha Mela 2025: মহাকুম্ভে শাহি স্নান সারলেন ৬০ লক্ষ ভক্ত, পুণ্যার্থীদের বার্তা মোদি-যোগীর

    Mahakumbha Mela 2025: মহাকুম্ভে শাহি স্নান সারলেন ৬০ লক্ষ ভক্ত, পুণ্যার্থীদের বার্তা মোদি-যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে প্রথম শাহি স্নান নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় হয়ে উঠেছে। সোমবার প্রবল শৈত্যপ্রবাহ এবং ঠান্ডা উপেক্ষা করেই মহাকুম্ভে শাহি স্নান সারলেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত। দেশ-বিদেশ থেকে আসা বহু পুণ্যার্থী দলে দলে প্রয়াগরাজে (Mahakumbh Mela 2025) পৌঁছেছেন। আজ সোমবার থেকে এই মেলা শুরু হয়েছে। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলার শুরুর দিন অন্তত ৬০ লক্ষ মানুষ ত্রিবেণী সঙ্গমে শাহি স্নান সেরেছেন বলে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

    ভক্তদের শুভেচ্ছা জানালেন মোদি (Mahakumbh Mela 2025)

    পবিত্র এই সময় (Mahakumbh Mela 2025) পুণ্যার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তিনি লেখেন, “পৌষ পূর্ণিমায় পবিত্র স্নানের মধ্য দিয়ে প্রয়াগরাজের পবিত্র স্থানে মহাকুম্ভ শুরু হয়েছে। বিশ্বাস এবং সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত এই অনুষ্ঠানে আমি সমস্ত ভক্তকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই। ভারতীয় আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত এই উৎসব সকলের জীবনে নতুন শক্তি ও উদ্দীপনা জোগাবে।” শুধু তাই নয়, প্রয়াগরাজে পুণ্যার্থীরা যেভাবে ভিড় জমাচ্ছেন, স্নান সারছেন তা দেখে তিনি যে আপ্লুত এবং আবেগপ্রবণ তাও এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    শুভেচ্ছা বার্তা যোগীর

    শাহি স্নান নিয়ে বার্তা দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শুভেচ্ছা (Mahakumbh Mela 2025) জানিয়েছেন পৌষ পূর্ণিমার। তিনি লিখছেন, “সোমবার থেকে তীর্থরাজ প্রয়াগরাজে শুরু হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক সমাবেশ ‘মহাকুম্ভ’। মেলায় আসা সমস্ত ভক্ত এবং পুণ্যার্থীদের শুভেচ্ছা জানাই।” এদিকে কুম্ভমেলা উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রয়াগরাজজুড়ে। লক্ষ লক্ষ ভক্তের নিরাপত্তায় কয়েকশো পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে ত্রিবেণী সঙ্গমে। প্রসঙ্গত, সোমবার প্রথম শাহি (Mahakumbh Mela 2025) স্নান। এরপর ধাপে ধাপে আরও কয়েকটি স্নান আছে। ১৪ জানুয়ারি রয়েছে মকর সংক্রান্তির স্নান। সেদিন আরও মানুষ আসবেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় এক কোটি মানুষ মকর সংক্রান্তিতে স্নান করবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই মতো সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tirupati Temple:  তিরুপতি মন্দিরে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    Tirupati Temple: তিরুপতি মন্দিরে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরে (Tirupati Temple) পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬। গুরুতর আহতের সংখ্যা ১৫। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। বৃহস্পতিবার আহতদের সঙ্গে দেখা করতে তিরুপতি যাচ্ছেন তিনি। 

    বৈকুণ্ঠদ্বার দর্শনের সুযোগ (Tirupati Temple)

    বৈকুণ্ঠ একাদশীর দিন বৈকুণ্ঠদ্বার দর্শনের সুযোগ পান ভক্তরা। তিরুপতি মন্দিরের বৈকুণ্ঠদ্বার দর্শনের জন্য আগে থেকে টিকিট কাটতে হয়। বুধবার সকাল থেকে ওই টিকিট জোগাড় করতে ভিড় করেন প্রচুর মানুষ। সন্ধ্যায় বৈরাগী পট্টিতা পার্কে টিকিট বিলির আগে কাউন্টারের সামনে অন্ততপক্ষে সাড়ে চার হাজার মানুষ ভিড় করেছিলেন। কাউন্টার খুলতেই শুরু হয়ে যায় টিকিট পেতে হুড়োহুড়ি। ভিড়ের চোটে মাটিতে পড়ে যান অন্তত ৬০ জন। অনেকে উঠে দাঁড়াতে পারলেও, পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় অন্তত ছজনের। মৃতের সংখ্যা আরও বড়তে পারে বলেই খবর। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর রামনারায়ণ রুইয়া হাসপাতালে (Tirupati Temple)।

    আরও পড়ুন: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে ইউনূসের! তাই কি ক্ষুব্ধ খালেদার বিএনপি?

    শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    ঘটনায় শোক জ্ঞাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, তিরুপতিতে পদদলিত হয়ে অনেক ভক্তের প্রাণহানির খবর শুনে আমি মর্মাহত। শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।

    শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার রাতে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে লেখা হয়েছে, ‘তিরুপতির (Tirupati Temple) ঘটনায় শোকাহত। নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার সব রকম সাহায্যের জন্য প্রস্তুত (Andhra Pradesh)।’

    ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “তিরুপতির ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত। নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। মৃতদের আত্মা শান্তি পাক। এই ঘটনা কীভাবে ঘটল, তা ভেবেই আমি হতবাক। আহতরা যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন এই প্রার্থনা করছি।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Elections: মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের চালক কে? মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী সভায় বিরোধীদের প্রশ্ন মোদির

    Maharashtra Elections: মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের চালক কে? মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী সভায় বিরোধীদের প্রশ্ন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে ভোট প্রচারে (Maharashtra Elections) গিয়ে বিরোধী জোটের অভ্যন্তরীণ কলহকে হাতিয়ার করলেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর কথায় মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের নেতা কে? জোটের চালক কে, তাই ঠিক করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বিরোধী শিবির। মহারাষ্ট্রের উন্নতি তাদের পক্ষে অসম্ভব। 

    পদের লোভ বিরোধীদের

    মহারাষ্ট্রে বিরোধী (Maharashtra Elections)  জোটে শরিকি সমস্যা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে দুই শিবিরের মধ্যে ইতিমধ্যেই একপ্রস্থ বিবাদ দেখা গিয়েছে। মহা বিকাশ আঘাড়ির (MVA) তিন প্রধান শরিক কংগ্রেস, এনসিপির শরদ পাওয়ার এবং শিব সেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবির। উদ্ধব শিবির চাইছে বিধানসভায় তাঁদের দলের নেতাকেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে এগনো হোক। কংগ্রেস এবং এনসিপি সেটার পক্ষে নয়। তাঁদের নীতি, যে দল সবচেয়ে বেশি আসন পাবে তাঁদের শিবির থেকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। আসন সমঝোতা নিয়েও বিরোধী জোটে মহা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। জোটের সেই কলহকে উস্কে দিয়ে মোদির প্রশ্ন, জোটের চালকের আসন নিয়ে নিজেদের মধ্যেই খেয়োখেয়ি করছে আঘাড়ি। এরা মহারাষ্ট্রের উন্নতি কীভাবে করবে? চালকের আসনে কে বসবে, সেই নিয়েই ওদের যত ঝামেলা। এই ধরনের জোট যখন ক্ষমতায় আসে ওরা সরকারি নীতিকে স্লথ করে দেয়। উন্নয়নের কাজে বাধা হিসাবে উঠে আসে। আপনারা আগেও আড়াই বছর ওদের সহ্য করেছেন।”

    বিভাজন তৈরিই লক্ষ্য

    ধুলের সভা (Maharashtra Elections) থেকে কংগ্রেসকে নিশানা করে মোদির (PM Modi) বক্তব্য, “সমাজে যাবতীয় বিভেদ তৈরির কাজটা কংগ্রেস করে। ওরা মানুষে মানুষে বিভাজন তৈরি করে ভোটে জেতার চেষ্টা করে।” দেশভাগের দুঃসহ স্মৃতিও তুলে ধরেন মোদি। তিনি বলেন, “ধর্মের নামে মানুষের বিভাজন সৃষ্টি করে কংগ্রেস দেশটাকেই দুটুকরো করে দিয়েছিল।” শুক্রবার মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন ‘আমরা ক্ষমতার লোভে রাজনীতিতে আসিনি। এসেছি মানুষের স্বার্থে কাজ করতে। বিরোধীরা রাজনীতি করে পদের লোভে।’ কাশ্মীরে বিরোধীরা ক্ষমতায় এসেই উন্নয়নের ধারা আটকাতে চাইছে বলেও এদিন দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। উপত্যকায় ফের ৩৭০ ধারা লাগু করার চেষ্টা করছে তারা। যা কাশ্মীরকে ফের অন্ধকারের পথে নিয়ে যাবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi-Xi Jinping Meeting: গালওয়ান সংঘর্ষের পর প্রথম, আজ চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি 

    PM Modi-Xi Jinping Meeting: গালওয়ান সংঘর্ষের পর প্রথম, আজ চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত সীমান্তরেখায় নজরদারি নিয়ে ভারত-চিন ঐক্যমতে পৌঁছানোর পর প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (PM Modi-Xi Jinping Meeting)। আজ, বুধবার ব্রিকস সম্মেলনের (BRICS Summit) ফাঁকে আলোচনায় বসবেন দুই দেশের রাষ্ট্রনেতা। বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি একথা জানিয়েছেন। গত পাঁচ বছরের মধ্য়ে প্রথমবার, ব্রিকস সামিটের সাইডলাইনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই মিটিং হবে বলে খবর। 

    গালওয়ান সংঘর্ষের পর ফের সাক্ষাত

    ২০২০ গালওয়ান সংঘর্ষের পর আর মুখোমুখি হননি দু’জন। গত কয়েক বছর ধরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর টহল ব্যবস্থার বিষয়ে একাধিকবার ওঠা-নামার সম্মুখীন হয়েছে দুই দেশের সম্পর্ক। এই পরিস্থিতিতে মোদি-জিনপিং বৈঠক (PM Modi-Xi Jinping Meeting) ভারত-চিন সম্পর্কে নতুন দিশা দেখাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২০-র গালওয়ান সংঘর্ষের পর একবারই সাধারণ সাক্ষাৎ হয়েছিল মোদি ও জিনপিংয়ের মধ্যে। সেটা ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনের সাইডলাইনে। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি২০ সম্মেলন চলাকালীনও সাক্ষাত হয় তাঁদের মধ্যে। কিন্তু কখনওই একান্ত আলোচনা সারেননি দুই রাষ্ট্রনেতা।

    আরও পড়ুন: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

    দুই রাষ্ট্রনায়কই এখন ব্রিকস সম্মেলনে (BRICS Summit) যোগ দিতে রাশিয়ার কাজানে রয়েছেন। যেখানে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ব্রাজিলের লুলা ডা সিলভা ও দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিল রামাফোসা। ইতিমধ্যেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ২০২০ সালের মে মাসের আগে যেমন দুই দেশের সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নজরদারি চালাত, সেই অবস্থা ফিরছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, দেপসাং সমতল এলাকা এবং দেমচকে নজরদারি চালানো নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে ভারত ও চিন। দুই দেশের সেনাই সেখানে টহল দেবে। দুই দেশের এই ঐক্যমতের ফলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় দুই দেশের সেনার মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এরপরই আলোচনায় বসতে চলেছেন মোদি-জিনপিং (PM Modi-Xi Jinping Meeting)। সেখানে সীমান্ত নিয়ে কোনও আলোচনা হয় কি না, তার দিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। দুই রাষ্ট্রনেতার এই বৈঠকের নির্যাস কী হবে, তার উপর নির্ভর করছে ভারত-চিন আগামী সম্পর্ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়া পাড়ি মোদির, আজ বৈঠকের সম্ভাবনা চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে

    PM Modi: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়া পাড়ি মোদির, আজ বৈঠকের সম্ভাবনা চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) মঙ্গলবারই তাঁর দুই দিনের সফরে রাশিয়া পাড়ি দিলেন। সেখানে ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদির রাশিয়া সফরের আগে, গত রবিবারই সে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান পুতিন প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। মোদিকে রাশিয়ার অত্যন্ত ভালো বন্ধু বলে উল্লেখ করেন পুতিন। রাশিয়া উড়ে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছি। ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেব।’’ ব্রিকস (BRICS) সম্মেলনের সঙ্গে ভারতের নিবিড় সম্পর্ক বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এবং তিনি আরও জানিয়েছেন, বিভিন্ন ইস্যুতে বিস্তৃত আলোচনা হবে এখানে। বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্র নেতারাও উপস্থিত থাকবেন। আজকে অর্থাৎ মঙ্গলবার সারা দুনিয়ার দৃষ্টি রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে চিনের রাষ্ট্রপতি জিনপিং-র বৈঠকের দিকে। যদিও ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে এই বিষয়ে এখনও কিছু আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। শেষবারের মতো এই দুই রাষ্ট্র প্রধানের বৈঠক হয়েছিল ২০২৩-এর অগাস্টে সাউথ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে।

    জুলাই মাসের পর ফের রাশিয়া সফরে মোদি (PM Modi)

    নিজের পোস্টে প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘‘ভারতের গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে ব্রিকস সম্মেলনে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মঞ্চ যেখানে আমরা আমাদের আলোচনা এবং কথোপকথন চালাতে পারি, বিশ্বের উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রভৃতি ইস্যুতে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুলাই মাসেই মস্কো সফরে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তারপরে ঠিক তিন মাসের মাথায় ফের আবার রাশিয়া সফরের উদ্দেশে রওনা হলেন প্রধানমন্ত্রী। জুলাই মাসেই বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে বৈঠক হয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। শুধু তাই নয় সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাশিয়া সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানেও ভূষিত করে মস্কো।

    ব্রিকস তৈরি হয়েছিল ২০০৬ সালে (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, ব্রিকস (BRICS) তৈরি করা হয়েছিল ২০০৬ সালে। রাশিয়া ভারত এবং চিন- এই তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা ২০০৬ সালেই জি এইট সম্মেলনে এই গ্রুপ তৈরি করেন। প্রথমবারের জন্য ব্রিকস সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল ২০০৯ সালে এবং তা রাশিয়াতেই হয়েছিল। এখন ব্রিকস অনেকটাই বড় হয়েছে। মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী রয়েছে জোটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • J.P. Nadda: “প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের আস্থার পরিচয় হল এই জয়”, হরিয়ানায় হ্যাটট্রিকের পর বললেন নাড্ডা

    J.P. Nadda: “প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের আস্থার পরিচয় হল এই জয়”, হরিয়ানায় হ্যাটট্রিকের পর বললেন নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) রাজনৈতিক ঐতিহ্যের পরিবর্তন করেছেন।” হরিয়ানাতে তৃতীয় বার বিজেপির অভূতপূর্ব জয়ের পর বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J.P. Nadda)। একই ভাবে জম্মু-কাশ্মীরে একক ভাবে বিরোধী দলের স্বীকৃতি পেয়ে বিরাট চমক দিয়েছে বিজেপি। মঙ্গলবার, দিল্লিতে ভোটের ফলাফলে, নবরাত্রির শুভলগ্নের আনন্দঘন পরিবেশে অত্যন্ত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

    কংগ্রেসের মিথ্যা প্রচারে কান দেয়নি  মানুষ (J.P. Nadda)

    ৯০ বিধানসভা আসনে বিজেপি পেয়েছে ৪৮টি আসন। এককভাবে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে রাজ্যে নয়া নজির গড়েছে বিজেপি। এই শুভক্ষণে দলের হয়ে নড্ডা (J.P. Nadda), পরিবর্তনের কাণ্ডারি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) কৃতিত্বের শিরোপা দিয়েছেন। এদিন সদর দফতরে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের আস্থার পরিচয় হল এই জয়। হরিয়ানাতে বিরাট জয় এসেছে এবং জম্মু-কাশ্মীরেও আমাদের ভোট বেড়েছে। কংগ্রেস সব সময় মিথ্যা প্রচার করেছে। জনগণ তাদের কোথায় কোনও কান দেয়নি। দেশের মতো হরিয়ানায়ও তৃতীয় বারের মতো সরকার গড়বে বিজেপি।”

    আরও পড়ুনঃ হরিয়ানায় খাতাই খুলতে পারল না ‘আপ’, হাজার বাধার মুখেও অপ্রতিরোধ্য বিজেপি

    কংগ্রেস দুর্নীতিগ্রস্ত দল

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J.P. Nadda) কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, “কংগ্রেস এখন দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অপরাধীদের দল হিসেবে বিরাট স্বীকৃতি লাভ করেছে। কংগ্রেস স্বজনপোষণ এবং জাতপাতের রাজনীতি করে। সমাজে কীভাবে বিভাজন বাড়বে এবং মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা তৈরি হবে, সেই চেষ্টাই করে থাকে।” একই ভাবে আম আদমি পার্টির তীব্র সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, “আপ হরিয়ানায় কোনও আসন পায়নি। তাদের দুর্নীতির প্রতিফল হিসেবে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। অপর দিকে আমাদের গত বারের তুলনায় ভোটের শতাংশ বেড়েছে।” নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বাকি ৯০ আসনের মধ্যে হরিয়ানাতে কংগ্রেস পেয়েছে ৩৭টি আসন, আইএনএলডি পেয়েছে ২টি আসন এবং নির্দলীয় ভাবে মোট ৩টি আসন পেয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UNESCO World Heritage Centre: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারে ১০ লাখ ডলার দেবে ভারত! ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

    UNESCO World Heritage Centre: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারে ১০ লাখ ডলার দেবে ভারত! ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের (UNESCO World Heritage Centre) জন্য এক মিলিয়ন ডলার দেবে ভারত। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন যে, ভারত, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলিতে ঐতিহ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারে এক মিলিয়ন ডলার দান করবে। এদিন নয়াদিল্লিতে ভারত মণ্ডপে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪৬ তম অধিবেশনের উদ্বোধনে বক্তৃতার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, ”ভারত বিশ্ব ঐতিহ্য সংরক্ষণকে তার দায়িত্ব বলে মনে করে। তাই শুধুমাত্র ভারতেই নয় বরং ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য ভারত গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোতেও সহায়তা প্রদান করছে।”  

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য (PM Modi) 

    এদিন বক্তৃতার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”ভারত কম্বোডিয়ার আঙ্কোর ওয়াট, ভিয়েতনামের চাম মন্দির এবং মায়ানমারের বাগান স্তূপের মতো অনেক ঐতিহ্যের সংরক্ষণে সহায়তা করছে।” এরপরেই মোদি বলেন, ”আমি ঘোষণা করছি, ভারত ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারে (UNESCO World Heritage Centre) এক মিলিয়ন ডলার দান করবে। এই অনুদানটি সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলির সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হবে।” এদিন একে অপরের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবাইকে একত্রিত হওয়ারও আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী। 

    গত ১০ বছরে ভারতের উন্নয়ন 

    এদিন বক্তৃতায় মোদির (PM Modi) সময়কালে ভারতের উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”গত ১০ বছরে ভারত আধুনিক উন্নয়নের নতুন মাত্রা স্পর্শ করেছে। সে কাশীর বিশ্বনাথ করিডোর হোক কিংবা অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ বা প্রাচীন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ক্যাম্পাস, সারা দেশে এমন অসংখ্য কাজ হচ্ছে। আজ, আয়ুর্বেদের উপকারিতা সমগ্র বিশ্বে পৌঁছেছে, কিন্তু এটি ভারতের বৈজ্ঞানিক ঐতিহ্য। তাই ভারতের ঐতিহ্য শুধু ইতিহাস নয়, বিজ্ঞানও।”      
    প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, বিশ্বে ঐতিহ্যের বিভিন্ন স্থান রয়েছে, কিন্তু ভারত এতই প্রাচীন যে বর্তমানের প্রতিটি বিন্দু একটি গৌরবময় অতীতের ঘটনা বর্ণনা করে। বিশ্ব দিল্লিকে ভারতের রাজধানী হিসাবে জানে, তবে এই শহরটি হাজার বছরের ঐতিহ্যের কেন্দ্রও। এখানে, প্রতিটি পদক্ষেপে আপনি ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের সাক্ষী হবেন। এখান থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে কয়েক টন ওজনের একটি লোহার স্তম্ভ। এই লোহার স্তম্ভটি ২০০০ বছর ধরে খোলা আকাশের নীচে রোদ, ঝড়, জল মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, তবুও এখনও পর্যন্ত এতে কোনও জং বা মরচে পড়েনি। ফলে এর থেকেই বোঝা যায় সেই সময়েও ভারতের ধাতুবিদ্যা কতটা উন্নত ছিল।   

    আরও পড়ুন: “বিজেপি করে বলেই পিটিয়ে খুন করেছে তৃণমূল”, দাবি পরিবারের

    আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে ‘মায়দাম’

    একইসঙ্গে এদিন প্রধানমন্ত্রী জানান যে উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি ঐতিহাসিক স্থানকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের (UNESCO World Heritage Centre) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন যে, উত্তর পূর্ব ভারতের ঐতিহাসিক ‘মায়দাম’ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি হবে ভারতের ৪৩ তম বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং উত্তর পূর্ব ভারতের প্রথম ঐতিহ্যবাহী স্থান যা সাংস্কৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা পাবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: শিক্ষায় দখলের অভিযোগ খড়্গের! পাল্টা তোপ ধনখড়ের

    RSS: শিক্ষায় দখলের অভিযোগ খড়্গের! পাল্টা তোপ ধনখড়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় দিনেও রাজ্যসভায় শাসক বিরোধী তরজা অব্যাহত। এদিন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের মধ্যে প্রথমে মজার ছলে কথোপকথন শুরু হয়। কিন্তু খাড়গে তাঁর বক্তব্য আরএসএস (RSS) কেন্দ্রিক করতেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় দুজনের মধ্যে। নিটের বিষয়ে আলোচনা ইস্যুতে আরএসএসকে অহেতুক জড়িয়ে তির্যক মন্তব্য করেন কংগ্রেস সভাপতি। পাল্টা জবাব দিতে সময় নষ্ট করেননি জগদীপ ধনখড়।  

    ঠিক কী হয়েছিল?

    এদিন রাজ্যসভায় মল্লিকার্জুন খাড়গে অভিযোগ করেন, নিটের ৭০ টি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সাত বছরে লিক হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, সবকিছু জেনেও চুপ থেকেছে মোদি সরকার। এর সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের লোকেরা (RSS) দেশের পঠন-পাঠন সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি সংস্থায় ঢুকে পড়েছে। তাঁর অভিযোগ এনসিইআরটি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে আরএসএস-এর লোকেরা বসে আছেন।

    জগদীপ ধনখড়ের পাল্টা জবাব (RSS)

    পাল্টা জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) প্রশ্ন করেন, আরএসএস করা কি অপরাধ? আরএসএস করলে কি কোনও ব্যক্তির কোনও সংস্থার প্রবেশাধিকার নষ্ট হয়ে যায়। আরএসএসের (RSS) প্রশংসা করে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “আরএসএস রাষ্ট্রের অগ্রগতির জন্য দায়বদ্ধ। রাষ্ট্রের উন্নয়নে স্বয়ংসেবকদের অবদান অনস্বীকার্য।” সোমবার কংগ্রেস সভাপতি আরও অভিযোগ করে বলেন, রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ ভাষণের প্রস্তাবের আড়ালে সরকার তাদের ব্যর্থতা লুকোতে চাইছে। রাষ্ট্রপতির ভাষণে গরীব, দলিত ও সংখ্যালঘুদের কথা উল্লেখ করা হয়নি। বিরোধীরা যখন সাধারণ মানুষের কথা বলছে, সেই সময় মোদি শুধু মন কি বাত করে যাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: ইভিএম নিয়ে ভুয়ো খবর, মিড ডে-র রিপোর্টার সহ একাধিক ব্যক্তির নামে এফআইআর

    প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচনের সময় বিভাজনমূলক বক্তব্য রাখার জন্য অভিযুক্ত করে খাড়গে বলেন, “এর আগে দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রী এ কাজ করেননি।” কংগ্রেস পার্টির ম্যানিফেস্টোকে যেভাবে ধর্মের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল তা অবাঞ্ছিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Veer Savarkar jayanti 2024: “তুষ্টিকরণের বিরোধী ছিলেন সাভারকর”, বললেন শাহ

    Veer Savarkar jayanti 2024: “তুষ্টিকরণের বিরোধী ছিলেন সাভারকর”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাতৃভূমির প্রতি সাভারকরের কর্তব্যের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর প্রতি ছবিতে মাল্যদানের  পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাভারকরের প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৮৮৩ সালে এদিনই জন্ম নিয়েছিলেন বিনায়ক দামোদর সাভারকর (Veer Savarkar jayanti 2024)।

    “তুষ্টিকরণ নীতির বিরোধিতা করেছিলেন” বললেন শাহ

    অন্য কোনও স্বাধীনতা সংগ্রামীকে নিয়ে এতটা বিতর্ক হয়নি যতটা তাঁকে নিয়ে। কারণ সাভারকর স্বাধীনতা সংগ্রামের পাশাপাশি হিন্দুদের অধিকার রক্ষা সরব ছিলেন। সেই কারণে কংগ্রেস ও কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে অন্য দলে তৈরি করা নেতাদের চক্ষুশূল ছিলেন তিনি। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এবং বিজেপির মতাদর্শগত সান্নিধ্যের কারণে সাভারকর থেকে অনুপ্রাণিত হন। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও অমিত শাহ সাভারকরের প্রশংসা করেন। “বীর সাভারকর জি, (Veer Savarkar) তাঁর শক্তিশালী চিন্তাধারা দিয়ে, কোটি যুবকদের মধ্যে দেশপ্রেমের শিখা জ্বালিয়েছিলেন এবং এক জাতি, এক সংস্কৃতির অনুভূতিকে শক্তিশালী করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: “যতদিন বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন…”, সংরক্ষণ নিয়ে কী বললেন নাড্ডা?

    তিনি জাতীয়তাবাদের মন্ত্রকে আত্মস্থ করেছিলেন এবং তুষ্টিকরণ নীতির তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতা আন্দোলন করার সময় অসংখ্য অত্যাচারের শিকার হন। তাঁর কালাপানির সাজা হয়। বন্দি ছিলেন আন্দমানের সেল্যুলার জেলে। ব্রিটিশরা তাঁর মাতৃভূমির প্রতি সংকল্পকে টলাতে পারেনি। যিনি তাঁর জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত দেশের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন, একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক এবং একজন মহান স্বপ্নদর্শী বীর সাভারকরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন” অমিত শাহ (Amit Shah) এক্স- হ্যান্ডেলে লেখেন।

    “স্বাধীনতা সংগ্রামী, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং লেখক” সাভরকর

    বিনায়ক দামোদর সাভারকর, যিনি বীর সাভারকর নামে পরিচিত, ১৮৮৩ সালের ২৮ মে নাসিকে জন্মগ্রহণ (Veer Savarkar jayanti 2024) করেন। সাভারকর ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং লেখক এবং ‘হিন্দুত্ব’ শব্দটি জনপ্রিয় করার কাজ শুরু করেছিলেন তিনিই। ‘হিন্দু মহাসভা’-তেও সাভারকর ছিলেন একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব। হাইস্কুলের ছাত্র থাকাকালীনই সাভারকর স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ শুরু করেন এবং পুনের ফার্গুসন কলেজে পড়ার সময়ও তিনি তা চালিয়ে যান। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী লোকমান্য তিলক দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত ছিলেন। ব্রিটেনে আইনের পড়াশুনা করার সময় তিনি ইন্ডিয়া হাউস এবং ফ্রি ইন্ডিয়া সোসাইটির মত স্বাধীনতাকামী দলগুলির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি এমন বইও প্রকাশ করেছিলেন যা সমগ্র ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বিপ্লবী পদ্ধতির প্রচার করেছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share