Tag: protest

protest

  • Nabanna Aabhiyan: নবান্ন অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার, অবস্থান বিক্ষোভ শুভেন্দুর, সাঁতরাগাছিতে জ্বলল আগুন

    Nabanna Aabhiyan: নবান্ন অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার, অবস্থান বিক্ষোভ শুভেন্দুর, সাঁতরাগাছিতে জ্বলল আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Aabhiyan) ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি কলকাতার পার্কস্ট্রিটে। পুলিশের মারে জখম শতাধিক আন্দোলনকারী। শাঁখা ভাঙল আরজিকরকাণ্ডে নিহত তরুণী চিকিৎসকের মায়ের। নবান্ন অভিযানে বাধা পেয়ে পার্কস্ট্রিটেই অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ক্ষোভ উগরে দেন পুলিশের বিরুদ্ধে। বলেন, “অনুব্রত ঠিকই বলেছিল।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যখন জনগণের ন্যায়বিচারের দাবি দমন করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে (Nabanna Aabhiyan), তখন বোঝা যায় অনুব্রত মণ্ডলের কথার মধ্যে কিছু সত্যি ছিল।”

    আরজিকর কাণ্ডের বর্ষপূর্তি (Nabanna Aabhiyan)

    আরজিকর কাণ্ডের বর্ষপূর্তি ৯ অগাস্ট। এখনও বিচার পাননি নির্যাতিতার পরিবার। এরই প্রতিবাদে এদিন ডাক দেওয়া হয়েছিল নবান্ন অভিযানের। এই অভিযানে ছিলেন নির্যাতিতা প্রয়াত চিকিৎসকের মা-বাবা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা। ছিলেন প্রচুর সাধারণ মানুষ। ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও। এদিনের অভিযানে দলীয় ঝান্ডা ছাড়াই যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জায়েন্ট কিলার (বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতাকে হারানোয় রাজ্যে এই নামেই পরিচিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা) শুভেন্দু অধিকারীও।

    ব্যারিকেড ভেঙে নবান্নের দিকে যাত্রার চেষ্টা

    নবান্ন চত্বরে জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা (আগে এটাই ছিল ১৪৪ ধারা)। তাই সেখানে কোনও আন্দোলন করা যাবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। আন্দোলনকারীরা যাতে নবান্নের কাছ অবধি পৌঁছতে না পারে, তাই ত্রিস্ত্ররীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছিল পুলিশ। তবে পুলিশের কথায় কান না দিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে নবান্নের দিকে যাত্রার চেষ্টা করেছে একের পর এক মিছিল। হাওড়া ময়দান, সাঁতরাগাছি, পার্কস্ট্রিট, ডোরিনা ক্রসিং সর্বত্রই পুলিশ আটকে দিয়েছে মিছিলের গতি। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙেও কোথাও কোথাও এগিয়েছে মিছিল। সাঁতরাগাছিতে লোহার ব্যারিকেডগুলি বাঁধা ছিল শেকল দিয়ে। সেই ব্যারিকেডের ওপরই উঠে পড়েন আন্দোলনকারীদের অনেকে। পুলিশের তরফে বিভিন্ন জায়গায় ‘শান্তি বজায় রাখুন’, ‘ডোন্ট ক্রস লাইন’ লেখা ব্যানার থাকলেও, সে-সবের তোয়াক্কা না করেই চলতে থাকে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা।

    লাঠিচার্জ পুলিশের

    এদিন নবান্ন অভিযানের শুরুতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে বাধা দেয় পুলিশ। বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ বিধানসভা থেকে তিনি সরাসরি চলে যান ডোরিনা ক্রসিংয়ে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল, সাংসদ অর্জুন সিং-সহ অন্য (Nabanna Aabhiyan) নেতারা। মিছিল রানি রাসমণি অ্যাভেনিউতে পৌঁছতেই শুভেন্দুর পথ আটকায় পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। খানিকক্ষণ বচসার পরে মিছিলের রুট বদল করে জওহরলাল নেহরু রোড ধরে নবান্ন অভিমুখে যাত্রা করে শুভেন্দুর নেতৃত্বে মিছিল। মিছিল যখন পার্কস্ট্রিটে পৌঁছয়, তখনই এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের লাঠির ঘায়ে জখম হন শতাধিক বিক্ষোভকারী। এঁদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। পুলিশের লাঠির আঘাতেই ভেঙে যায় নিহত তরুণী চিকিৎসকের মায়ের হাতের শাঁখা। এরই প্রতিবাদে পার্কস্ট্রিটেই অবস্থানে বসে পড়েন শুভেন্দু, অগ্নিমিত্রা এবং বিক্ষোভকারীদের একটা বড় অংশ।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় তাঁর সঙ্গীদের মারধর করা হয়েছে। জখম হয়েছেন বিধায়করা। নির্যাতিতার মা-বাবাকেও মারা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পার্কস্ট্রিট মোড়ে এক পুলিশের লাঠির ঘায়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন নিহত তরুণী চিকিৎসকের মা। ভেঙে গিয়েছে তাঁর হাতের শাঁখাও। বস্তুত, এদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন (Suvendu Adhikari) নির্যাতিতার মা ও বাবা। তাঁরা ছিলেন পার্কস্ট্রিটের মিছিলে। সেখানে বাধা পেয়ে জনা তিরিশেক সমর্থক নিয়ে তাঁরা রেসকোর্সের পাশ দিয়ে এগোতে থাকেন দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে। সেখানে ফের আটকানো হয় তাঁদের। মাথায় চোট লাগায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে।

    সাঁতরাগাছিতে জ্বলল আগুন

    এদিকে (Nabanna Aabhiyan), ডোরিনা ক্রসিংয়ে বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। হাওড়ার সাঁতরাগাছিতেও ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। বিক্ষোভকারীদের গতিরোধ করতে ব্যারিকেডের ওপারে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস নিয়ে তৈরিই ছিল পুলিশ। ‘দফা এক, দাবি এক – মমতার পদত্যাগ’ এই স্লোগান দিতে দিতে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। যদিও হাজার চেষ্টা করেও সেই ব্যারিকেড ভাঙতে পারেননি তাঁরা। জানা গিয়েছে, এদিনের নবান্ন অভিযান রুখতে সাঁতরাগাছি-সহ যেসব জায়গায় ব্যারিকেড করা হয়েছিল, সেগুলি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট, লোহার বিম এবং মোটা লোহার রড। তাই আটকানো গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, এর আগে একবার বিজেপির ডাকা নবান্ন অভিযানের সময় গলিপথ ধরে নবান্নের প্রায় দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতেই এবার আঁটোসাঁটো করা হয়েছিল নিরাপত্তার ঘেরাটোপ। সেই ঘেরাটোপ ভাঙতে না পেরে সাঁতরাগাছিতে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা।

    কী বললেন শুভেন্দু

    পার্কস্ট্রিটে শুভেন্দুর নেতৃত্বে মিছিল আটকাতেই পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, “অনুব্রত ঠিকই বলেছিল।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যখন জনগণের ন্যায়বিচারের দাবি দমন করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে (Nabanna Aabhiyan), তখন বোঝা যায় অনুব্রত মণ্ডলের কথার মধ্যে কিছু সত্যি ছিল।” তিনি বলেন, “নির্যাতিতার মা-বাবাকেও রেহাই দেয়নি পুলিশ।” তাঁর দাবি, আজ ৫০ হাজার লোক হয়েছে। পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে, ১০০ জনেরও বেশি জখম হয়েছেন। তিনি বলেন, “আজকের লড়াই বাংলা বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই। তাই নির্যাতিতার বাবা-মা যতক্ষণ চাইবেন, এই অবস্থান চলবে।” শুভেন্দু বলেন, “একটাও বিজেপির ঝান্ডা নেই। অথচ ১৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে রেলের হাসপাতালে (Suvendu Adhikari)।” বিজেপি নেতা কৌস্তুভ বাগচি বলেন, “কাকিমার (নির্যাতিতার মায়ের) শাঁখা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। আগে মেয়েকে মেরেছে। এবার শাঁখা ভেঙে দিয়েছে। এটাই পুলিশের চরিত্র (Nabanna Aabhiyan)।”

  • Bangladesh Crisis: এবার হাসিনাকে তাড়ানোর ‘মূল কারিগর’ মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবি বাংলাদেশে

    Bangladesh Crisis: এবার হাসিনাকে তাড়ানোর ‘মূল কারিগর’ মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবি বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির কালো মেঘ ঘনাচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) আকাশে। এবার শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম (Mahufuj Alam) ও শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্র বিক্ষোভকারীরা। এদিন তাঁরা বাংলাদেশ সচিবালয়ের গেট ভেঙে ঢুকে পড়েন শিক্ষা দফতরে। তার পরেই দাবি করা হয় ওই দু’জনের পদত্যাগ। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার নেপথ্যে মূল ষড়যন্ত্রী এই মাহফুজই। তারই ‘পুরস্কার’ স্বরূপ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের জমানায় তাঁকেই বসানো হয় শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টার পদে।

    মাহফুজের পদত্যাগ দাবি (Bangladesh Crisis)

    জানা গিয়েছে, এদিন ছাত্ররা সচিবালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে জড়ো হন। তাঁরা মাহফুজ ও জোবায়েরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। ভাঙচুর করা হয় সেখানে থাকা বেশ কয়েকটি যানবাহন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট। উন্মত্ত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ছাত্র বিক্ষোভকারীদের সাফ কথা, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষা উপদেষ্টা এবং শিক্ষা সচিব পদত্যাগ না করলে তাঁরা আরও তীব্র আন্দোলনে নামবেন। সম্প্রতি এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের শিক্ষা দফতর। এই সিদ্ধান্তে হতবাক হয়ে পড়েন পড়ুয়ারা। এর জেরেই শুরু হয় ছাত্র বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন। সূত্রের খবর, পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিতে অন্তত ১৫ জন জখম হয়েছেন। আন্দোলনকারীদের (Bangladesh Crisis) দাবি মেনে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকে। ফেসবুকে করা এক পোস্টে মাহফুজ লেখেন, “শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।” তবে তিনি শিক্ষা উপদেষ্টা পদে ইস্তফা দেননি।

    আগেও উঠেছে এই দাবি

    এবারই প্রথম নয়, এর আগেও মাহফুজের পদত্যাগের দাবি উঠেছে বাংলাদেশে। ২০২৫ সালের মে মাসে ইসলামি আলেম এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ব্যঙ্গ করার অভিযোগে গণঅধিকার পরিষদ মাহফুজের পদত্যাগ দাবি করে। একই দাবি করে বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি-ও। বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিনের ছাত্র বিক্ষোভের পর পূর্ণ হল মাহফুজের জীবনের একটি বৃত্ত। ছাত্র বিক্ষোভের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। দেশের রাশ যায় ইউনূসের হাতে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর প্রধান পরিকল্পনাকারী বলে ঘোষণা করেন।

    হাসিনাকে সরানোর মাথা মাহফুজই!

    ইউনূসকে বলতে (Bangladesh Crisis) শোনা গিয়েছে, “সে (মাহফুজ আলম) বারবার অস্বীকার করে যে আমি না, আরও অনেকেই আছে। কিন্তু পুরো ব্যাপারটার পেছনে সে-ই মাথা। এই অসাধারণভাবে সুচিন্তিত ও সূক্ষ্মভাবে পরিকল্পিত কাজের মূল পরিকল্পনাকারী।” তিনি (Mahufuj Alam) এও বলেছিলেন, “এটি হঠাৎ করে হয়নি। বরং একটি একটি খুবই সুচিন্তিতভাবে পরিকল্পিত। আপনি বুঝতেই পারবেন না কে নেতা…তাই কাউকে ধরে বলাও যাবে না যে সব শেষ।” ঘটনাচক্রে, একদিন এই মাহফুজই হাসিনার পতনের মূল কান্ডারি ছিলেন, সে-ই তিনিই এখন নিজেই ছাত্রদের পদত্যাগের দাবির মুখোমুখি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদিও আপাতত সচিবকে বলির পাঁঠা করে বিপদ এড়াতে পেরেছেন মাহফুজ, তবে শেষ পর্যন্ত হয়তো তাঁকে নতি স্বীকার করতেই হবে সেই ছাত্র আন্দোলনকারীদের দাবির কাছে (Bangladesh Crisis)।

    প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

    গত বছরের ১০ নভেম্বর মাহফুজ ইউনূস সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। তবে প্রথমে তিনি কোনও মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন না। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার ২০ দিনের মাথায় ২৮ অগাস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁকে। মাহফুজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের স্নাতক। গত জুলাই-অগাস্ট মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনিই। পরে তাঁকে বসানো হয় শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টার পদে।

    মাহফুজের ভারত-বিদ্বেষ

    প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ম্যাপ পোস্ট করেছিলেন এই মাহফুজ। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের একাংশ, অসম এবং ত্রিপুরাকে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত দেখিয়েছিলেন। যা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় নয়াদিল্লি। তার পরেই রাতারাতি পোস্টটি সরিয়ে নিয়েছিলেন মাহফুজই। এই মাহফুজই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক সহযোগীর দায়িত্বে ছিলেন। অভ্যুত্থানের পরে ছাত্র, নাগরিক (Mahufuj Alam) ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার জন্য বৈষম্যবিরোধীদের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়কও ছিলেন তিনি। একাধিকবার ভারত বিদ্বেষী নানা কথাও বলতে শোনা গিয়েছে মাহফুজকে (Bangladesh Crisis)। বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহারির সঙ্গে যুক্ত থাকার একাধিক অভিযোগও রয়েছে মাহফুজের বিরুদ্ধে। তাই তাঁকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব দেওয়ায় নানা প্রশ্ন উঠেছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলেই (Mahufuj Alam)।

  • Bangladesh Crisis: কুমিল্লায় হিন্দু বধূকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশ

    Bangladesh Crisis: কুমিল্লায় হিন্দু বধূকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লায় হিন্দু বধূকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় বিএনপি নেতা ফজর আলির গ্রেফতারির দাবিতে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) পড়ুয়ারা। ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে উত্তাল বাংলাদেশের রাজধানী। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরাসরি পদক্ষেপের দাবিতে সরব হয়েছেন প্রতিবাদীরা। ঘটনার প্রতিবাদে রবিরার রাতে মশাল হাতে মিছিল করেন তাঁরা।

    দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি (Bangladesh Crisis)

    মিছিল থেকে ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়ার আওয়াজ ওঠে। মিছিল শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে। শাহবাগ প্রদক্ষিণ করে মিছিল শেষ হয় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে। কেন্দ্রীয় ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সলমান সিদ্দিকি বলেন, “বিগত আওয়ামি লিগের আমলে তনু, খাদিজা-সহ অসংখ্যা নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের বিচার হয়নি। আমরা আশা করেছিলাম, ৫ অগাস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার নারীদের সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কিন্তু এই সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরেও দেখলাম নারীরা ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপদ নন।” ইউনূস সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এই সরকারের আমলেও আছিয়া, লামিয়া এবং কুমিল্লার মুরাদনগরের ঘটনা-সহ অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে।” সিদ্দিকি বলেন, “এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”

    ধর্ষণে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা

    প্রসঙ্গত, কুমিল্লার রামচন্দ্রপুর পচকিট্টা গ্রামের বাসিন্দা তথা স্থানীয় বিএনপি নেতা ফজর আলির বিরুদ্ধে অভিযোগ সে এক হিন্দু তরুণী বধূকে বাড়িতে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণ করে। দুই সন্তানের মা ওই বধূর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে ফজরকে ধরে ফেলে। যদিও পরে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় সে। পরে সায়েদাবাদ এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে (Bangladesh Crisis)। এই ঘটনার পর কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফজর-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে তিনজন ঘটনার ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বাংলাদেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও (Dhaka University) এই ঘটনার প্রতিবাদে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভের আগুন। ঘটনায় মুখ খুলেছে ভারত সরকারও (Bangladesh Crisis)।

  • Waqf Bill Protest: ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে অবরুদ্ধ পার্কসার্কাস, আন্দোলনের নেপথ্যে তৃণমূলের ভোট-অঙ্ক?

    Waqf Bill Protest: ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে অবরুদ্ধ পার্কসার্কাস, আন্দোলনের নেপথ্যে তৃণমূলের ভোট-অঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ও রাজ্যসভা – সংসদের উভয় কক্ষেই পাশ হয়ে গিয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Bill Protest) ২০২৫। সেই বিল পাশ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুসলমানদের একটা বড় অংশ। অথচ, এই বিলের প্রতিবাদেই শুক্রবার পার্কসার্কাসে হল মিছিল। শুক্রবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ওয়াকফ সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে মুসলিম অধ্যুষিত পার্ক সার্কাসের দখল কার্যত চলে গিয়েছিল মুসলিমদের বিভিন্ন সংগঠনের হাতে। পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টস অবরুদ্ধ করেন বিক্ষোভকারীরা।

    ‘শক্তিপরীক্ষা’ (Waqf Bill Protest)

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রবিবার রামনবমী (Ramnavami)। তার আগে বস্তুত ‘শক্তিপরীক্ষা’ করে নিল মুসলিম সংগঠনের আড়ালে তৃণমূল। বছর ঘুরলেই এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের শাসক দল ওয়াকফ বিল তাস খেলে দিয়ে মুসলিম ভোটকে ঘাসফুলের ঝুলিতে ফেলতে চাইছে। এটা সম্ভব হলে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ফের একবার গদি নিশ্চিত হয়ে যাবে তৃণমূল সুপ্রিমোর।

    জমায়েতের পিছনে তৃণমূলের ‘মস্তিষ্ক’!

    শুক্রবার জুম্মাবার। সেদিনই জমায়েতের পিছনে তৃণমূলের ‘মস্তিষ্ক’ কাজ করছে বলে ধারণা ভোট বিশেষজ্ঞদের। যদিও এদিনের সমাবেশে কোথাও তৃণমূলের নাম ছিল না, ছিল না তৃণমূলের কোনও সংগঠনের ব্যানার কিংবা ফেস্টুন। তবে পার্ক সার্কাসের ওই জমায়েতে দেখা গিয়েছে তপসিয়া, কসবা, তিলজলা এবং বেকবাগান এলাকার তৃণমূল নেতাদের। তৃণমূলের এক প্রবীণ নেতা বলেন, “হয়তো দলের সরাসরি নির্দেশে কোনও কর্মসূচি পালিত হয়নি। কিন্তু রামনবমীর আগে এমন জমায়েত উত্তেজনা প্রশমনের বদলে বাড়াতেই সাহায্য করবে (Waqf Bill Protest)।”

    ইদের দিনে রেড রোডে নমাজ আদায়ের জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি নমাজ আদায়ও করেন। ওই জমায়েতেই তিনি বলেছিলেন, ‘কাউকে গন্ডগোল করতে দেবেন না।’ তার পরেও জুম্মাবারে যেভাবে শক্তিপ্রদর্শন হল, তাতে অশান্তির আশঙ্কা করছে তৃণমূলেরই একাংশ।

    ২০২৩ সালে রামনবমীর মিছিলে হামলা হয়েছিল হাওড়ায়। সেদিন মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ছাদ থেকে ইট-পাটকেল-বোতল ছোড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। অশান্তি হয়েছিল হুগলির শ্রীরামপুর-সহ আরও কয়েকটি জায়গায়। এবারও সেই সব স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে অশান্তির আশঙ্কা করছে প্রশাসনেরই একাংশ (Ramnavami)। তার আগে পার্কসার্কাসে যেভাবে ব-কলমে জমায়েত করল তৃণমূল (!), তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন প্রশাসনেরই বড় কর্তারা (Waqf Bill Protest)।

  • VHP: তেজাজি মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর, বিক্ষোভে বিশ্বহিন্দু পরিষদ, বজরং দল

    VHP: তেজাজি মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর, বিক্ষোভে বিশ্বহিন্দু পরিষদ, বজরং দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তেজাজি মন্দিরে (Tejaji Temple) ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখাল বিশ্বহিন্দু পরিষদ (VHP) এবং বজরং দল। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার জয়পুরের টঙ্ক রোড অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিও জানান তাঁরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভিড়ও বাড়তে থাকে মন্দির চত্বরে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মৃদু বল প্রয়োগ করে পুলিশ। কয়েকজনকে আটক করে রাস্তা অবরোধমুক্ত করা হয়।

    মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর (VHP)

    শনিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই মন্দির চত্বরে ভিড় জমে যায়। চলে আসেন বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের সদস্যরা। রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির কর্মীদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভে যোগ দেয় এবং ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। এদিন বিক্ষোভকারীরা টায়ার পুড়িয়ে ব্যস্ত টঙ্ক রোড অবরোধ করে। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থার আশ্বাস দিলেও, প্রতিবাদ চলতে থাকে। শেষে পুলিশি হস্তক্ষেপে ছত্রভঙ্গ হয় জনতা।

    কী বলছে পুলিশ

    অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার বিনোদ শর্মা জানান, পুলিশের দিয়ে ভিড় ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে এবং রাস্তা ফের খুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “কয়েকজন আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়েছে।” বিশ্বহিন্দু পরিষদের মুখপাত্র অমিতোষ পারিক বলেন, “গত রাতে কয়েকজন অসমাজিক লোকজন মূর্তি ভাঙচুর করায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে রোষ ছড়িয়ে পড়ে।” তিনি বলেন, “এটি তেজাজি মহারাজের অবমাননা। আমরা বিষয়টিতে জড়িত অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছি।

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) ও বজরং দল মাঠে নামতেই আসরে নেমে পড়ে কংগ্রেসও। ঘটনার নিন্দা করে তারাও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তিকারাম জুলি বলেন, “মূর্তি ভাঙার ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি শুধু একটি মূর্তি নয়,  এটি আমাদের বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের ওপর হামলা, যা কখনওই সহ্য করা হবে না। সরকারের উচিত দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং তাদের গ্রেফতার করা (Tejaji Temple)।” প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেন, “এমন ঘটনার মাধ্যমে মানুষের অনুভূতি ও বিশ্বাসে আঘাত দেওয়া কখনওই মেনে যায় না (VHP)।”

  • Bangladesh Crisis: হিন্দুদের প্রতিবাদ সভায় হামলা পুলিশের, রণক্ষেত্র বাংলাদেশ

    Bangladesh Crisis: হিন্দুদের প্রতিবাদ সভায় হামলা পুলিশের, রণক্ষেত্র বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের প্রতিবাদ (Hindus Protesting) সভায় হামলা বাংলাদেশ পুলিশের (Bangladesh Crisis)। ফাটানো হল টিয়ার গ্যাসের সেল। করা হল লাঠিচার্জও। এদিন দুপুরে প্রথমে ঘটনাটি ঘটে রাজধানী ঢাকায়। পরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় চট্টগ্রামেও। এদিনই হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করেছিল ভারত। সেই আর্জির পর চব্বিশ ঘণ্টাও কাটেনি, মঙ্গলবার হামলা হল হিন্দুদের প্রতিবাদ সভায়।

    শান্তিপূর্ণ সমাবেশে লাঠিচার্জ (Bangladesh Crisis)

    সোমবারই গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ওরফে চিন্ময় প্রভুকে। তিনি ইসকনের সঙ্গে যুক্ত। ঢাকা থেকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আদালতে তোলা হলে জামিনও মেলেনি চিন্ময়ের। চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে এদিন ঢাকা এবং চট্টগ্রামে জমায়েত করেন বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা। অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ ওই সমাবেশে নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে জনতাকে।

    উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের

    এদিন জামিন খারিজ হওয়ার পর চিন্ময়কে যখন আদালত থেকে ফের জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরেন বাংলাদেশের হাজার দুয়েক হিন্দু। ঘণ্টা দুয়েক ধরে রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। যদিও বাংলাদেশ পুলিশের এক কর্তা বলেন, ওরা (প্রতিবাদীরা) উন্মত্ত আচরণ করছিল। আমাদের দিকে ইট ছুঁড়ছিল। ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে আমাদের টিয়ার গ্যাস ছুড়তে হয়েছিল। কেউ গুরুতর আহত হয়নি। তবে আমাদের এক কনস্টেবল জখম হয়েছেন। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দেওয়ার আর্জি জানায় সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুঃখজনক বিষয় হল, যখন এসব ঘটনার অপরাধীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে, তখন শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে বৈধ দাবি উপস্থাপনকারী এক ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি, বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন অফিস ঘেরাও করবে বিজেপি

    সরকারের পাশাপাশি (Bangladesh Crisis) ভারতের শাসক দল বিজেপির তরফেও চিন্ময় প্রভুকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে। পদ্ম-পার্টির তরফে জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তারা যেন চিন্ময় প্রভুকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়। তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত মিথ্যা মামলাও সরিয়ে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে গেরুয়া পার্টি।   

    বাংলাদেশের সমস্ত হিন্দু এবং হিন্দু মন্দির যেন সুরক্ষিত থাকে এবং সংখ্যালঘুদের যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতেও অনুরোধ করা (Hindus Protesting) হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Doctor’s Protest: দাবি পূরণ হয়নি, ঘড়ির কাঁটায় রাত সাড়ে ৮টা বাজতেই অনশন শুরু ডাক্তারদের

    Doctor’s Protest: দাবি পূরণ হয়নি, ঘড়ির কাঁটায় রাত সাড়ে ৮টা বাজতেই অনশন শুরু ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘড়ির কাঁটা রাত সাড়ে আটটা ছুঁতেই শুরু হয়ে গেল জুনিয়র (Doctor’s Protest) ডাক্তারদের অনশন (Hunger Strike)। শুক্রবারই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, দাবি পূরণ না হলে শনিবার রাত্রি সাড়ে ৮টা থেকে অনশনে বসবেন তাঁরা। সেই মতো এদিন রাত সাড়ে আটটায় সাংবাদিক বৈঠক করে আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিলেন, অনশনে বসছেন ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার।

    কী বললেন অনশনকারীরা (Doctor’s Protest)

    তাঁরা বলেন, “এই মুহূর্ত থেকে আমরণ অনশনে বসতে চলেছি। তবে কাজে ফিরছি। অবশ্য খাবার খাব না।” এদিন প্রথম দফায় যে ছ’জন অনশনে বসেছেন, তাঁরা হলেন অর্ণব মুখোপাধ্যায়, এসএসকেএম, নেফরো বিভাগ, পিডিটি, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, এন্ডোক্রিনোলজি, প্রথম বর্ষ, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, প্যাথলজি, পিজিটি, কেপিসি কলেজ, পুলস্ত্য আচার্য, প্রথম বর্ষ, অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগ, এনআরএস, তনয়া পাঁজা, এসআর, ইএনটি, এমসিকে এবং স্নিগ্ধ হাজরা, রেডিও থেরাপি এসআর, এমসিকে। যাঁরা অনশনে শামিল হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আরজি করের কোনও জুনিয়র ডাক্তার নেই বলেই জানান আন্দোলনকারীরা।

    স্বচ্ছতা বজায় রাখতে মঞ্চে সিসি ক্যামেরা

    তাঁরা বলেন, “দাবি পূরণ না হলে বা মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে। যাঁরা অনশনে বসেছেন, তাঁরা নিজেদের ওপর আত্মবিশ্বাসী। তবে তাঁদের কিছু হলে তার দায় রাজ্য সরকারের। আজ যাঁরা অনশনে বসেছেন, তাঁদের মধ্যে আরজি করের কেউ নেই।” অনশনে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে মঞ্চে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। মঞ্চে কী হচ্ছে, তা সবাই দেখতে পাবেন বলেই এই ব্যবস্থা। আন্দোলনকারীরা বলেন, “আমরা তো বারবার (Doctor’s Protest) রাজ্য সরকারের কাছে স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলেছি। অনশনের প্রশ্নেও স্বচ্ছতা বজায় রেখে চলব। অনশন মঞ্চে সিসিটিভি বসাবো। সবাই দেখতে পাবেন অনশন মঞ্চ কী হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে ‘ইন্ডি’ জোটের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে বিজেপি!

    তাঁরা বলেন, “আমাদের আশা এরপর যখন আমরা খাবার মুখে তুলব, তখন সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষ ভয়ের রাজনীতি নিয়ে সোচ্চার হবেন। জনস্বাস্থ্যের প্রশ্নে রাজ্যের প্রতিটি মানুষ মৌলিক প্রশ্ন করবেন। হাসপাতালে যখন কোনও রোগী বেড পান না, তার জন্য আসলে দায়ী কারা? আমরা আশা (Hunger Strike) রাখব, এই প্রশ্নগুলি মানুষ পাড়ায় পাড়ায় ছড়িয়ে দেবেন (Doctor’s Protest)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য”, ডাক্তারদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য”, ডাক্তারদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য।” ১ অক্টোবর ডাক্তারদের মিছিলে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার প্রেক্ষিতেই কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে কেউ যদি যেচে (Mamata Banerjee) চড় খেতে চায়, তো খাবে। সুপ্রিম কোর্ট তো আগেই বলে দিয়েছিল, ডাক্তারদের কেন, যে কোনও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বাধা দিতে পারবে না সরকার।”

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    তিনি বলেন, “এর আগে ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানও আটকাতে গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট তা শোনেইনি। ডিভিশন বেঞ্চও তো তা গ্রাহ্য করেনি। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকার এসব করতে যায়। যদি লেগে যায়। ফাটকা খেলতে যায় আর কি!” তৃণমূল সুপ্রিমোকেও নিশানা করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “আরজি কর, সাগর দত্ত, তারপর ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারদের ওপর নিগ্রহ হয়েছে। সব সমস্যার মূলে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “ওঁকে প্রাক্তন করা না হলে, কোনও সমস্যা মিটবে না। কারণ পুলিশের যে কাজ করার কথা, সেটা তারা করে না। পুলিশ দলের কাজ করে, টাকা তোলে।”

    মিছিলের ডাক চিকিৎসকদের

    আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে আজ, ১ অক্টোবর বিকেল ৫টায় মিছিলের ডাক দিয়েছে চিকিৎসকদের ৫৫টি সংগঠন। উদ্যোক্তা জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। মিছিল হবে কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত। চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এই মিছিলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে উদ্যোক্তাদের তরফে। মিছিলের জন্য অনুমতি চাওয়া হলেও, পুলিশ তা দেয়নি। এর পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন উদ্যোক্তারা।

    আরও পড়ুন: মাওবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক! নজরে দুই মহিলা, পানিহাটিসহ রাজ্যের সাত জায়গায় এনআইএ হানা

    শর্ত সাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি দেয় আদালত। আদালতের শর্ত হল, নির্দিষ্ট রুটেই মিছিল হবে। নামাতে হবে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকও। রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ বলেন, “এক কাজ করুন। গোটা শহরেই আপনারা ১৪৪ ধারা জারি করুন (Mamata Banerjee)।” আদালতের এহেন মন্তব্য প্রসঙ্গেই ‘যেচে চড়’ খাওয়ার উপমা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

       

  • RG Kar Protest: মেডিক্যাল কলেজে কায়েম ‘থ্রেট কালচার’, জানুন এই সংস্কৃতি সম্পর্কে

    RG Kar Protest: মেডিক্যাল কলেজে কায়েম ‘থ্রেট কালচার’, জানুন এই সংস্কৃতি সম্পর্কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Protest) পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তার মধ্যে একটা দাবি একটু অন্য রকম। সেটা হল ‘থ্রেট কালচার’ (Threat Culture) শেষ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে ‘দাদাগিরি’। আন্দোলনকারীদের এই দাবি থেকেই স্পষ্ট, রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে দিব্যি চলছে ‘থ্রেট কালচার’, ‘দাদাগিরি’।

    ‘থ্রেট কালচার’ (RG Kar Protest)

    এই কালচারের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সকলরেই মাথায় রয়েছে শাসক দলের ছাতা। যে কারণে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা, মেদিনীপুর সর্বত্রই চলছে তৃণমূলের চিকিৎসক সংগঠনের ছত্রছায়ায় থাকা কোনও কোনও ‘দাদা’র দাদাগিরি। এই ‘দাদা’রা আবার নাড়া বেঁধে রেখেছেন তৃণমূলের ওপরতলার কোনও চিকিৎসক নেতার কাছে। তার জেরে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে কায়েম রয়েছে ‘থ্রেট কালচার’।

    তৃণমূল জমানায় জন্ম

    এবং এই সংস্কৃতি শুরু হয়েছে তৃণমূল জমানায়। ডাক্তারি পড়ুয়াদের একটা বড় অংশের দাবি, ২০২০-২১ সাল থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে মাথা তুলতে শুরু করে থ্রেট কালচার। আনুগত্য লাভের ইচ্ছে, জুনিয়রদের কাছে সমীহ আদায় করা এবং নিজেকে কেউকেটা বলে জাহির করার উদ্দেশ্যেই এই সংস্কৃতির জন্ম। কৌশলে শাসকদলের সংগঠন বাড়ানো এবং তোলাবাজিও এই দাদারা করত বলে অভিযোগ। কখনও হুমকি (RG Kar Protest) দিয়ে তোলা আদায়, কখনও আবার অন্য কোনও কৌশলে টাকা আদায় করে এই স্বঘোষিত ‘দাদা’রা।

    আরও পড়ুন: উঠল ধর্না, শুক্রবার মিছিল, শনি থেকে জরুরি পরিষেবায় জুনিয়র ডাক্তাররা

    জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, দাদারা যাঁদের আনুগত্য আদায় করতে পারত না, তাঁদের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হত। ফল রিভিউ করার সুযোগও নেই। ইন্টার্নশিপ করার সময় বিভিন্নভাবে সমস্যার সৃষ্টি করা হত। ইন্টার্নশিপের শংসাপত্র দেওয়া হত না। যে সিনিয়র ডাক্তারের অধীনে ওই জুনিয়র ডাক্তার ইন্টার্নশিপ করতেন, তাঁকেও হুমকি দেওয়া হত। আর যাঁরা দাদার আনুগত্য লাভ করতেন, ডিগ্রি পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকতেন তাঁরা। ফলে পড়াশোনা করার চেয়ে তাঁরা বেশি ব্যস্ত থাকেন দাদাদের চামচামি করতেই।

    চিকিৎসক দ্বৈপায়ন মজুমদার বলেন, “মেডিক্যাল কলেজগুলিতে দীর্ঘদিন নির্বাচন না হওয়াটা থ্রেট কালচার জাঁকিয়ে বসার কারণ। নির্বাচন না হওয়ায় কারও দায়িত্ব নেই। অথচ সকলে দায়িত্বহীন ক্ষমতা ভোগ করতে চাইতেন (Threat Culture)। তাই হুমকি দিয়ে কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করা হত (RG Kar Protest)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: উঠল ধর্না, শুক্রবার মিছিল, শনি থেকে জরুরি পরিষেবায় জুনিয়র ডাক্তাররা

    RG Kar Protest: উঠল ধর্না, শুক্রবার মিছিল, শনি থেকে জরুরি পরিষেবায় জুনিয়র ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ১১ দিনের মাথায় ধর্না প্রত্যাহার করতে চলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (RG Kar Protest)। আজ, শুক্রবারই উঠে যাচ্ছে ধর্না। এদিন স্বাস্থ্য ভবন থেকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত বিকেল তিনটের সময় মিছিল করবেন তাঁরা (Junior Doctors)। তার পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে উঠে যাবে ধর্না। শনিবার থেকে জরুরি পরিষেবায় যোগ দেবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে, জরুরি পরিষেবায় যোগ দিলেও ওপিডি-কোল্ড ওটি’র ক্ষেত্রে কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে এদিন স্পষ্টতই জানিয়ে দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে ফের দেওয়া হয়েছে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারিও।

    কী বলছেন চিকিৎসকরা? (RG Kar Protest)

    আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বলেন, “আংশিক জয়ের জন্য শনিবার থেকে আমরা কাজে যোগ দিচ্ছি। আমাদের লড়াই শেষ হয়নি। আংশিকভাবে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের মাধ্যমে সদিচ্ছা যে আছে, তা দেখাতে চাইছি। তবে এই লড়াই জারি থাকবে। স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ নিয়ে সময় চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমরা নজর রাখছি।” তাঁরা বলেন, “সিবিআইয়ের কাছে আমাদের কণ্ঠস্বর পৌঁছে দেওয়ার জন্য আপনাদের সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি। আগামীকাল থেকে বন্যা কবলিত এলাকায় আমরা পৌঁছে যাব। আমাদের আন্দোলন যে সাধারণ মানুষের আন্দোলন, তা প্রমাণে বন্যা কবলিত এলাকায় ক্লিনিক খোলা হবে। আমরা যে রাজনীতি করতে আসিনি, ন্যায় বিচারের জন্য এসেছি, তা প্রমাণেই এই সিদ্ধান্ত।”

    দাবি পূরণ না হলে…

    তবে দাবি পূরণ না হলে তাঁরা যে ফের পূর্ণ কর্মবিরতিতে যাবেন (RG Kar Protest), তাও জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বলেন, “জরুরি পরিষেবায় যোগ দিলেও ওপিডি-কোল্ড ওটি’র ক্ষেত্রে কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। আমাদের সকল দাবি পূরণ না হলে আবার আমরা পূর্ণ কর্মবিরতিতে যাব।” আন্দোলনকারীদের তরফে দেবাশিস হালদার বলেন, “আমরা শুক্রবার মিছিলের পর নিজের নিজের কলেজে ফিরে গিয়ে বিভাগ ভিত্তিক এসওপি তৈরি করব। যেখানে যেখানে খুব প্রয়োজন, সেগুলি চিহ্নিত করা হবে। শুধু সেই অতি প্রয়োজনীয় জায়গাগুলিতেই আমরা কাজে যোগ দেব। বাকি জায়গায় আমাদের কর্মবিরতি চলবে।” তিনিও বলেন, “প্রয়োজনে আমরা ফের পূর্ণ কর্মবিরতিতেও ফিরতে পারি।”

    আরও পড়ুন: নিলামে প্রধানমন্ত্রীর উপহার, রোজগারের টাকা ব্যয় হবে নমামি গঙ্গে প্রকল্পে

    প্রসঙ্গত, হাসপাতালে চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মীদের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের বিচার-সহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বুধবার সেই দাবি নিয়েই নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছিলেন তাঁরা হতাশ। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে চিঠি দেন মুখ্যসচিব। হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন ও চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুচ্ছ পদক্ষেপ করে রাজ্য সরকার। তার পরেই কাটে জট। জানা যায় জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors) সিদ্ধান্তের কথা (RG Kar Protest)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share