Tag: protest

protest

  • Murshidabad: সিপিএম, সিপিআই  এবং কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের টিকিট?

    Murshidabad: সিপিএম, সিপিআই এবং কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের টিকিট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট না পেয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি থানার অন্তর্গত কুমারষণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়া মোড়ে রীতিমতো রাস্তায় নেমে, এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধের আন্দোলন করতে দেখা যায়। প্রতিবাদীদের একটাই দাবি, কেন তৃণমূল কর্মীদের টিকিট না দিয়ে সিপিএম, সিপিআই এবং কংগ্রেস কর্মীদের টিকিট দেওয়া হল।

    কী ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দিতে

    কান্দির (Murshidabad) দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার যাঁদের মনোনয়ন করার কথা ছিল, সকালে হঠাৎ তাঁরা জানতে পারেন, নাম বাদ গিয়েছে। আর তার পরিবর্তে সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট বিক্রি করেছেন কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার। সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই অভিযোগ করেন কান্দি ব্লক মাদার তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক হাবিবুর রহমান। তিনি আরও বলেন, এই এলাকায় বর্তমান বিধায়ক এবং তাঁর ভাই মিলে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। টিকিট না পেয়ে আরেক প্রতিবাদী তৃণমূল কর্মী বলেন, আমরা এই এলাকায় ২০০১ সাল থেকে তৃণমূল দল করি। অত্যাচার সহ্য করে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, এই এলাকা থেকে সিপিএমকে উৎখাত করেছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমাদের নেতা বগবুল হোসেন। আজ পুরাতন তৃণমূল কর্মী হওয়ায় আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই এলাকার তৃণমূল নেতা বগবুল হোসেনের অনুগামী হওয়ার জন্য আমাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।

    কেন এই দ্বন্দ্ব?

    বগবুল হোসেন বলেন, আমার অনুগত কেউ নন, সবাই আমরা দলের অনুগত। কে বা কারা বিক্ষোভ করছেন, আমার জানা নেই। তবে সবাইকে বলব, দলের হাত শক্ত করুন। অপরদিকে পাশেই রয়েছে ভরতপুর (Murshidabad) বিধানসভা এবং বিধায়ক হলেন হুমায়ন কবীর। উল্লেখ্য, অঞ্চলে ভোটের আগেই প্রায় ৪১ জনকে নিয়ে একটি বিশেষ অঞ্চল কমিটি গঠন করেন বিধায়ক হুমায়ন কবীর। কিন্তু কান্দি তৃণমূল ব্লক সভাপতি বগবুল হোসেন এবং তাঁর অনুগামীদের কাউকেই কমিটিতে রাখা হয়নি। ফলে কীভাবে নির্বাচন হবে এবং কারা দলের হয়ে কাজ পাবেন, তাও স্পষ্ট হয় এই কিমিটিতে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট না পাওয়াটা দলের অন্দরে কোন্দলেরই ফল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Agitation: নিয়োগ দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই! পথে চাকরিপ্রার্থীদের মহাজোট

    SSC Agitation: নিয়োগ দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই! পথে চাকরিপ্রার্থীদের মহাজোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের যোগ্যতায় প্রাপ্য চাকরি দিতেই হবে। নিয়োগ দুর্নীতিতে হস্তক্ষেপ করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্য মর্যাদা দিতে হবে। এই দাবিতে আজ আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের ‘মহাজোট’পথে নামল। সোমবার ৯টি সংগঠনের জোট মঞ্চ পথে নামে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই এই মহামিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। মহামিছিল থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন চাকরি প্রার্থীরা। এই মিছিলের ফলে শিয়ালদহ থেকে মৌলালি পর্যন্ত রাস্তা একেবারে অবরুদ্ধ হয়ে যায়।

    মিছিল থেকে দাবি

    এক আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীর কথায়, ‘রাজনীতিতে যদি মহাজোট হতে পারে, তাহলে যারা চাকরি পাচ্ছে না, তাদের কেন মহাজোট হবে না ? দেখিয়ে দেব বঞ্চিতদের কতটা শক্তি। সাদা খাতা দিয়ে কীভাবে চাকরি, টাকার বিনিময়ে?’উল্লেখ্য, কেউ গান্ধী মূর্তির পাদদেশে, তো কেউ মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাশে, যোগ্য প্রার্থী হয়েও স্কুলে চাকরি না মেলার অভিযোগে, মাসের পর মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন এঁরা। এবার আর আলাদা আলাদা নয়, একজোট হয়ে পথে নামলেন চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনকারীদের ৯টি মঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের সম্মতি নিয়ে, সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় শিয়ালদহ থেকে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের মহামিছিল শুরু হয়। মিছিল যায় ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত। তাতে সামিল  ৬০০ দিনের উপর আন্দোলন চালিয়ে আসা SLST-র চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা ছাড়াও মিছিলে যোগ দেন, ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ, SSC-র গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীরা-সহ অন্যান্য মঞ্চ। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি রাউস অ্যাভেনিউ আদালতের

    সুবিশাল মিছিলের জন্য আটকে পড়েন বহু যাত্রী। যদিও, এক বাস যাত্রী বলেন,“আমাদের অসুবিধা হচ্ছে ঠিকই। তবে তাঁরাও দীর্ঘদিন ধরে চাকরির জন্য লড়ছেন। তাঁদের দাবি ন্যায্য। মুখ্যমন্ত্রীর দেখা উচিত।” অপরদিকে কীতর্ন করতে দেখা যায় কয়েকজন চাকরি প্রার্থীদের। তাঁদের দাবি হরিনামের মাধ্যমে সরকারের কাছে নিজেদের আর্তনাদ তুলে ধরতে চাইছেন তাঁরা। এই মিছিলের ফলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে মধ্য কলকাতা। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে ধীরে ধীরে জমায়েত শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনের জেরে শহরের ট্র্যাফিক পরিষেবা একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Birbhum: নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দলীয় সভায় ব্যাপক বিক্ষোভ, ফাটল আরও স্পষ্ট

    Birbhum: নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দলীয় সভায় ব্যাপক বিক্ষোভ, ফাটল আরও স্পষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার নাম ঘোষণা হতেই কোন্দল স্পষ্ট। চরম বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বীরভূমে (Birbhum) কেষ্টমণ্ডলের গড়ে রাজ্যের মন্ত্রীর সামনেই তুমুল বিক্ষোভ দলীয় কর্মীদের লক্ষ্য করা যায়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেষ্ট এবং কাজল শেখের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের কথা অনেক দিন ধরেই আলোচনার শীর্ষে ছিল। কেষ্ট মণ্ডল গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে। অপরে কাজল শেখের গুরুত্ব অপেক্ষাকৃত জেলায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও অনুষ্ঠানিক ভাবে দলের জেলা সভাপতিত্বের পদ থেকে সরানোনি। ফলে বীরভূমের শাসক দলের অন্দরে ফাটল স্পষ্ট।

    “জনগর্জন সভা”য় গোষ্ঠী কোন্দল (Birbhum)

    রাজ্যের মন্ত্রীর সামনে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল। এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। সোমবার ছিল তৃণমূলের দলীয় কর্মীদের সভা। আজ সোমবার, আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূলের “জনগর্জন সভা”র একটি প্রস্তুতি সভা ছিল বীরভূমের (Birbhum) মুরারই পশুহাটে। এখানেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বস্ত্র, ক্ষুদ্র, কোটির শিল্প দফতরের মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সাহা। এই সভায় মুরারই-১ নম্বর ব্লকের ডুমুরগ্রাম অঞ্চল কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসাবে কাজী আশরাফুল ইসলাম ওরফে নবাবের নাম ঘোষণা করেন তৃণমূলে সংখালঘু সেলের নেতা রাজ্য সম্পাদক আলি রেজা খান। নাম ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয় একংশের মধ্যে বিক্ষোভ। এমনকী তৃণমূল জেলা কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি ত্রিদিব ভট্টাচার্য পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু তবুও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ কর্মীরা সভা ছেড়ে চলে যান।

    মন্ত্রীর বক্তব্য

    বোলপুর (Birbhum) বিধায়ক তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা অবশ্য দলের কর্মীদের সভায় বিক্ষোভ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, “নির্বাচনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। সেই কারণে কর্মী সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল। সকলে অপেক্ষা করে আছেন কবে ভোট। আমরা বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হব। দল একটি সমষ্টি গত রূপ। এক কর্মী ভুল করলে অন্য কর্মী তাঁকে ঠিক করে দেবেন। কোনও কোন্দল নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Farmers Delhi Chalo Protest: ফের পথে কৃষকরা, দুর্ভেদ্য ঘাঁটিতে পরিণত দিল্লি

    Farmers Delhi Chalo Protest: ফের পথে কৃষকরা, দুর্ভেদ্য ঘাঁটিতে পরিণত দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালের পর ফের ২০২৪। আবারও পথে নেমেছেন কৃষকরা। ডাক দিয়েছেন দিল্লি চলো অভিযানের (Farmers Delhi Chalo Protest)। চার বছর আগে কৃষকরা পথে নেমেছিলেন তিন কৃষি আইন বাতিল ও কৃষির ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে। এবার তাঁদের আন্দোলনের প্রস্তুতি লখিমপুর খেড়িতে কৃষক খুনের তদন্ত সহ একগুচ্ছ দাবিতে।

    কৃষকদের দাবি

    বিদ্যুৎ আইন, কৃষিঋণ মকুব, লখিমপুর খেড়িতে কৃষক হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির শাস্তিরও দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। মৃত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতেও সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা। ২০২০ সালে আন্দোলনের সময় বেশ কয়েকজন কৃষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই সব মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিলেও, তা করা হয়নি বলে অভিযোগ। সেই মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানানো (Farmers Delhi Chalo Protest) হয়েছে।

    অশান্তির আশঙ্কায় কড়া প্রহরা

    এদিকে, কৃষক বিক্ষোভের জেরে অশান্তির আশঙ্কায় বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি সীমানায় ব্যবস্থা করা হয়েছে কড়া প্রহরার। জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে রাজ্যজুড়ে জারি হওয়া ১৪৪ ধারা চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত। দিল্লি পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরা বলেন, “একমাস ধরে রাজধানীতে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে যে কোনও বড় জমায়েতে। ট্রাক্টর নিয়েও প্রবেশ করা যাবে না দিল্লিতে। ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করলেই করা হবে গ্রেফতার।”

    আরও পড়ুুন: উত্তরাখণ্ডের পর এবার অসম, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পেশ হচ্ছে বিধানসভায়

    কৃষকদের আন্দোলন থেকে বিরত করতে চেষ্টার কম কসুর করেনি সরকার। সোমবার মধ্যরাতে চণ্ডীগড়ে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা ও কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তার পরেও আন্দোলনে অনড় কৃষকরা। মঙ্গলবার সাত সকালে পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে দুশোটিরও বেশি কৃষক সংগঠন রওনা দেয় দিল্লির উদ্দেশে। অন্তত ২০ হাজার কৃষক শামিল হয়েছেন এই অভিযানে।

    আন্দোলনকারীরা যাতে দিল্লিতে ঢুকতে না পারেন, তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে পুলিশের তরফে। গাজিপুর, সিংগু, টিকরি সহ পুরো সীমানা রূপান্তরিত করা হয়েছে সেনানিবাসে। গাজিপুর সীমানায় যানবাহন চলছে শ্লথ গতিতে। কুরুক্ষেত্র, আম্বালা, কাইথাল, জিন্দ, হিসার, ফতেহাবাদ ও সিরসায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার পর্যন্ত (Farmers Delhi Chalo Protest)। এদিকে, পঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যবর্তী সীমানায় কৃষকদের গতি রুদ্ধ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশ ও প্রতিবাদী কৃষকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়। 

       

  • Recruitment Case: চেয়েছিলেন চাকরি, বদলে চাকরিপ্রার্থীদের কপালে জুটল জেল হেফাজত!

    Recruitment Case: চেয়েছিলেন চাকরি, বদলে চাকরিপ্রার্থীদের কপালে জুটল জেল হেফাজত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন সেই নাকের বদলে নরুন পাওয়ার গল্প! চেয়েছিলেন চাকরি। চাকরি (Recruitment Case) তো হলই না, তার বদলে জুটল জেল হেফাজত। ধৃত চারজনকে রাত কাটাতে হচ্ছে জেলেই। ঘটনাটি তাহলে খুলেই বলা যাক। শুক্রবার চাকরির দাবিতে হাজরা মোড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা। পরে তাঁরা ঢুকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায়। পথ আটকে দেয় পুলিশ। শুরু হয় চাকরিপ্রার্থী-পুলিশ বচসা, ধস্তাধস্তি। তার জেরে গ্রেফতার করা হয় ৫৯ চাকরিপ্রার্থীকে। তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা, সরকারি কর্মীকে নিগ্রহ, অবৈধ জমায়েত ও জোর করে আটকে রাখার মামলা রুজু করে পুলিশ।  

    জেল হেফাজতে ৪ 

    শনিবার আদালতে তোলা হলে ৫৫ জন মহিলা চাকরিপ্রার্থীকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন বিচারক। বাকি ৪ জনের হয়েছে জেল হেফাজত। যদিও ‘বড় পরিকল্পনার চেষ্টা রয়েছে, জানতে হবে’ বলে দাবি করে পুলিশ। এই (Recruitment Case) দাবিতে আদালতে ধৃতদের সাত দিনের হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ। পুলিশের সেই দাবি নস্যাৎ করে ধৃত চারজনকে দেওয়া হয়েছে জেল হেফাজত। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুলিশ জোর করে প্রিজন ভ্যানে তোলে তাঁদের। প্রসঙ্গত, চাকরির দাবিতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শহিদ মিনারে আন্দোলন করছেন আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা। শুক্রবার ছিল সেই আন্দোলনের ৫৫৫তম দিন। এদিনই হাজরায় জমায়েত করেন তাঁরা।

    পুলিশের ‘আবদার’

    শুনানির সময় আদালতে সরকারি আইনজীবী বলেন, “ধর্নার ব্যানার সামনে রেখে বিক্ষোভকারীরা অপরাধমূলক কাজ করেছেন। পুলিশ কর্মীদের ওপর চড়াও হয়েছেন। ওই ঘটনায় ৯ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন।” এর পরেই ধৃতদের সাত দিনের হেফাজতে চায় পুলিশ। বিচারকের প্রশ্ন, “পুলিশ হেফাজত চাইছেন কেন?” তদন্তকারী অফিসারের সওয়াল, “বড় পরিকল্পনার চেষ্টা করছে। জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা রয়েছে। বারবার এরকম হলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হবে।”

    আরও পড়ুুন: হাইকোর্টের গুঁতোয় টনক নড়েছে, তাই কি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা টেটে?

    এই সময় ধৃতদের আইনজীবী বলেন, “পুলিশের ওপর হামলা হয়নি। আসলে চাকরি পেতে গেলে পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়। এসব করে ভয় দেখাতে চাইছে, যাতে চাকরি জীবনে দাগ লাগানো যায়। এসএসসিতে দেখেছেন, মন্ত্রী থেকে অনেকেই জেলে রয়েছেন। আর যাতে কাউকে জেলে যেতে না হয়, তাই ভয় দেখানো হচ্ছে।” দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে ধৃত চারজনকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বাকিদের দেওয়া হয় জামিন (Recruitment Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত-হিংসার আঁচ সংসদেও! অভিনব প্রতিবাদ বাংলার বিজেপি সাংসদদের

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত-হিংসার আঁচ সংসদেও! অভিনব প্রতিবাদ বাংলার বিজেপি সাংসদদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা নিয়ে এবার দিল্লিতে সোচ্চার বাংলার বিজেপি সাংসদরা। সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদশে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। বাংলার ভোটে হিংসার দায় শাসকদল তৃণমূলের কাঁধে চাপিয়ে সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ, এসএস আলুওয়ালিয়ারা সোচ্চার হলেন। একই সঙ্গে এদিন ট্যুইটারে বাংলায় তৃণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে সোচ্চার হন  বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে সীমাহীন সন্ত্রাস

    এবারের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে সীমাহীন সন্ত্রাস দেখেছে বাংলা। জেলায়-জেলায ভোট-হিংসার বলি হয়েছেন শাসকদল তৃণমূল থেকে শুরু করে বিরোধী বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, আইএসএফ-সহ অন্য দলের কর্মীরা। ভোটের নামে লুঠতরাজ চলেছে বহু বুথে। শাসকদল তৃণমূলের মদতেই বাংলার ভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাস হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বুধবার কলকাতায় পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার প্রতিবাদে মিছিল করেছে রাজ্য বিজেপি। এবার প্রতিবাদ খাস রাজধানীতে। সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা বৃহস্পতিবার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে একত্রিত হয়ে বাংলার তৃণমূল সরকারকে উচ্ছেদের ডাক দিয়েছেন।

    এদিনের এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের নির্দেশে যেভাবে বিডিও ও থানার আইসিরা ভোট লুঠ করেছেন সেটা মানা যায় না। তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনেই ভোট লুঠ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৫ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন পশ্চিমবঙ্গে। এই মৃত্যুর জন্যও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী। ওঁর অঙ্গুলিহেলনেই সমস্ত ঘটনা ঘটেছে। তাই আজ দিল্লিতে বিজেপির সংসাদরা তৃণমূল সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন।’

    আরও পড়ুন: ফের রাজভবন-নবান্ন সংঘাত! বিধানসভার বাদল অধিবেশন নিয়ে প্রশ্ন রাজ্যপালের

    নাড্ডার ট্যুইট বার্তা

    অন্যদিকে, পঞ্চায়েতের হিংসায় বাংলায় মহিলারাও আক্রান্ত বলে অভিযোগ ওঠে ৷ সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গে মহিলা সাংসদদের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল বিজেপি ৷ সেই প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট পেশ করে ৷ ওই রিপোর্ট দেখে ট্যুইটারে নাড্ডার হুঁশিয়ারি, বাংলার জনগণের উপর তৃণমূলের অত্যাচার বিজেপি সহ্য করবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Purba Bardhaman: হাঁটু সমান কাদায় হেঁটে দেখুন বিধায়ক, কেমন লাগে? কেন বললেন ভাতারের গ্রামবাসীরা

    Purba Bardhaman: হাঁটু সমান কাদায় হেঁটে দেখুন বিধায়ক, কেমন লাগে? কেন বললেন ভাতারের গ্রামবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট চাইতে এসে বিপাকে এলাকার বিধায়ক। এক হাঁটু কাদায় নামিয়ে হাঁটালেন গ্রামবাসীরা। ভাতারের (Purba Bardhaman) বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীকে এমনই ভাবে এলাকার উন্নয়নের চিত্র পরিদর্শন করালেন। বেশ কয়েক মিটার ভাঙা রাস্তা হাঁটলেন বিধায়ক নিজে। গ্রামবাসীরা বললেন, হাঁটু কাদায় বিধায়ক হেঁটে দেখুক কেমন লাগে?

    কী হয়েছে ঘটনা (Purba Bardhaman )?

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামের মূল রাস্তার বেহাল দশা। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকে গেছে, পঞ্চায়েত ভোটে প্রচার ও জোর কদমে চলছে। শনিবার সকালে, ভাতারের (Purba Bardhaman) কালুরচট্ট গ্রামের প্রচারে যান বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির ৯ নম্বর আসনের প্রার্থী আব্দুর রউকের সমর্থনে মূলত প্রচার করতে যান। গ্রামের মানুষের কাছে ভোট চাইতে গেলে তিনি বিপত্তিতে পড়েন বলে জানা গেছে। গ্রামবাসীরা বলেন, আজকে এই মুহূর্তে এই এক হাঁটু কাঁদার রাস্তায় আপনাকে হাঁটতে হবে! আর তাতেই বেহাল কাদামাখা রাস্তায় হাঁটতে হল বিধায়ককে। কার্যত স্বীকার করে নিলেন বিধায়ক যে রাস্তা খারাপ! তিনি তারপর বলেন – ভোটের জন্য কাজ দেরি হচ্ছে, ভোটের পরেই শুরু হবে রাস্তা তৈরীর কাজ। বর্ষা এলে কাদা ও জলে হাঁটা দায় হয়ে ওঠে এলাকাবাসীদের। গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। অবিলম্বে এই রাস্তা মেরামত করতে হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন বিধায়ক।

    বিধায়কের বক্তব্য

    যদিও তৃণমূল বিধায়ক (Purba Bardhaman) মানগোবিন্দ অধিকারী গ্রামবাসীদের ক্ষোভের প্রসঙ্গে বলেন, “তৃণমূল বলেই এটা সম্ভব, গ্রামের রাস্তা নিয়ে মানুষের ক্ষোভ ছিল। আজ প্রচারে ওই গ্রামে যাওয়ায় মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে আমায় হেঁটে যেতে বলেন। আমরা মানুষকে সঙ্গে নিয়েই, মানুষের জন্য রাজনীতি করি। সুবিধা, অসুবিধা শুনি, দেখি আবার সমাধানও করি। গ্রামের মানুষের আবদার মেনেই জল কাদা রাস্তায় হেঁটেছি। ভোট মিটলেই এই রাস্তা পঞ্চায়েত থেকে তৈরি করে দেওয়ার কথা দিয়েছি। তাতেও যদি না হয়, আমি আমার বিধায়ক তহবিল থেকে এই রাস্তা তৈরি করে দেবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বালুরঘাটে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার, সরব বিজেপি

    Balurghat: বালুরঘাটে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামী প্রায়ই বাড়িতে থাকেন না। বালুরঘাটে এক (Balurghat) বস্তি বাড়িতে একাই থাকতেন এক গৃহবধূ। আর এই সুযোগ বুঝে, এলাকার তিন যুবক দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, মদ্যপ অবস্থার ওই যুবকেরা বধূকে মদ্যপান করতে বাধ্য করে। সেই মদ ঢেলে দেওয়া হয় যৌনাঙ্গেও। চলতে থাকে পাশবিক অত্যাচার। থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করল বিজেপি।

    বালুরঘাটে (Balurghat) কেমন করে ঘটল এই ঘটনা!

    তিনদিন আগের ঘটনা হলেও, ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে গতকাল। ওই গৃহবধূর বয়ান অনুযায়ী, বালুরঘাট (Balurghat) শহরের একটি বস্তি এলাকায় থাকেন তিনি। তিনি পেশায় কুলফি বিক্রেতা। কাজের জন্য স্বামী প্রায়ই বাড়িতে থাকতেন না। দিন তিনেক আগে ওই গৃহবধূ যখন একাই বাড়িতে ছিলেন, ওই সময় এলাকার তিন প্রতিবেশী যুবক তাঁর ঘরে ঢুকে তাঁকে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণের পরও চলতে থাকে পাশবিক অত্যাচার। ওই গৃহবধূর আরও অভিযোগ, তিনি চিৎকার করলেও এলাকার কেউই তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। ধর্ষণের পর তিনি নিজেই বালুরঘাট থানার দিকে পায়ে হেটে যেতে শুরু করলে, পথে এক জায়গায় মাথা ঘুরে বসে পড়েন। এরপর সেখান থেকে খবর যায় বালুরঘাট থানায়। বালুরঘাট থানার পুলিশ এসে, ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে, বালুরঘাট সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। এরপর তিনি সুস্থ হয়ে এই হৃদয়বিদারক ঘটনার কথা বালুরঘাট থানায় জানান।

    ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা

    ধর্ষণের তিনদিন পর তিনি বালুরঘাট (Balurghat) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে তল্লাশি শুরু করেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, ওই গৃহবধূ কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। অভিযুক্ত প্রতিবেশীদের সঙ্গে পুরোনো পারিবারিক গোলমাল রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ফলে গণধর্ষণের অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত কি না, তা যেমন খতিয়ে দেখা হচ্ছে, ঠিক তেমনই ওই গৃহবধূর অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

    বিজেপি রাজ্য সভাপতির বক্তব্য

    গণধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘শুধু বালুরঘাটেই (Balurghat) নয়, সারা রাজ্য জুড়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় অপরাধ বেড়েই চলেছে। নানা ভয়ানক ঘটনা একেবারে আড়াল করে ফেলা হচ্ছে, কোনও কেসই হয়না। সেগুলির রেকর্ড রাখা হয়না।’ তিনি আরও বলেন, রাজ্যের শাসক দলের নির্দেশে এমন সুন্দর করে পুলিশ রেকর্ড তৈরি করে যে সেরার পুরস্কার পেয়ে যায় থানাগুলি। এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর পুলিশ সুপার রাহুল দে জানিয়েছেন, ঘটনার অভিযোগ পেয়েই মামলা শুরু করা হয়েছে এবং বর্তমানে তদন্ত চলছে। গণধর্ষণের পিছনের দোষীরা কবে ধরা পরবে, তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: রেল লাইনের সম্প্রসারণে গায়েব হচ্ছে গ্রামের আস্ত একটি পাড়া

    Balurghat: রেল লাইনের সম্প্রসারণে গায়েব হচ্ছে গ্রামের আস্ত একটি পাড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট-হিলি (Balurghat) রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য গায়েব হতে যেতে চলেছে গ্রামের আস্ত একটি পাড়া। এর ফলে ওই গ্রামের প্রায় ২৫টি পরিবার গৃহহীন হয়ে যেতে বসেছে। জমির দলিল বা পাট্টা না থাকায়, তাঁরা কেউ ক্ষতিপূরণও পাবেন না বলে জানা গেছে। ফলে আচমকা এই পরিবারগুলির ওপরে নেমে এসেছে আশঙ্কার কালো ছায়া। স্থানীয়রা ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবি তুলেছে। সরব হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিও। এই পাড়াকে ঘিরে আন্দোলন তৈরী হচ্ছে বালুরঘাটে।

    কোথায় চলছে রেলের জন্য জমি (Balurghat) অধিগ্রহণ

    বালুরঘাটের (Balurghat) চকভৃগু থেকে ভাটপাড়া, অমৃতখণ্ড হয়ে হিলির দিকে চলে গিয়েছে রেললাইন। দীর্ঘ টালবাহানার পর সম্প্রতি রেলের কাজের জন্য রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ শুরু করেছে। জমি চিহ্নিতকরণ করে খুঁটি বসানো হয়েছে। ঠিক সেই সময় অমৃতখণ্ড পঞ্চায়েতের ডুমইর গ্রামের চক আমোদ পাড়াটি পুরোটাই পড়েছে রেলের চিহ্নিত করা জমির মধ্যে। দীর্ঘ সময় ধরে এই জমিতে বসবাস করছিল ওই কয়েকটি পরিবার। ওই পরিবারগুলিকে কেন্দ্র করেই এলাকায় গড়ে উঠেছিল পাড়াটি। এবার জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হতেই প্রায় ২৫টি বাড়ি ও দৌল্লা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তাবিত রেললাইনের মধ্যে পড়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু এলাকার বাসিন্দাদের জমির কোনও দলিল বা পাট্টা না থাকায়, তাঁরা কোনও ক্ষতিপূরণ পাবেন না বলে জানা গেছে। ফলে গ্রামবাসীদের বক্তব্য, গরিব মানুষের বাড়িঘর চলে গেলে তাঁরা কোথায় থাকবেন?

    গ্রামের (Balurghat) মানুষের প্রতিক্রিয়া

    গ্রামের (Balurghat) বাসিন্দা বৃদ্ধা মুক্তিরানি সরকার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে বসবাস করছি। আমাদের বাড়ি, স্কুল সবই রেলের জমির মধ্যে পড়ে গিয়েছে। তাই সরকারের কাছে আবেদন, আমাদের অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করে দিন। আবার স্থানীয় গৃহবধূ গৌরী বর্মন বলেন, আমাদের পাড়ার প্রায় সবাই গরিব। সকলেরই প্রায় দিন এনে দিন খাওয়া পরিবার। রেল তার জমি চিহ্নিত করে গিয়েছে। সরে যেতে বলেছে আমাদের। কিন্তু আমাদের অন্যত্র জমি কেনার ক্ষমতা নেই! কী করব বুঝতে পারছি না !

    রাজনৈতিক দলের প্রতিক্রিয়া

    একইভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি গ্রামবাসীদের (Balurghat) পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন। বিজেপির তরফে জেলা শাসকের কাছে ওই এলাকার মানুষদের পুনর্বাসনের দাবি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন দলের জেলা সম্পাদক বাপি সরকার। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বসবাস করেও জমির দলিল বা পাট্টা না থাকায় এতদিন সরকারি কোনও সুযোগসুবিধা পাননি ওই পাড়ার বাসিন্দারা। রেলের তরফেও কোনও ক্ষতিপূরণ পাবেন না তাঁরা। তাই তাঁদের পুনর্বাসনের দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের আন্দোলন চলবে। দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে বসবাস করা মানুষের পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ নিয়ে, সরকার কিছু ভাবেন কি না, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: ৭ দফা দাবি নিয়ে বিজেপির শিক্ষক সেলের বিকাশ ভবন অভিযান

    DA Protest: ৭ দফা দাবি নিয়ে বিজেপির শিক্ষক সেলের বিকাশ ভবন অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে ৭ দফা দাবি নিয়ে রাস্তায় নামল বিজেপির শিক্ষক সেল (BJP Teachers Cell)। মঙ্গলবার দুপুরে বিকাশ ভবন অভিযান করেন তাঁরা। মিছিলের শুরুতেই করুণাময়ী মোড়ে আন্দোলনকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। গার্ড রেল ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করতে শুরু করে আন্দোলনকারীরা (DA Protest)। পুলিশ প্রাণপণে বাধা দেয় তাদের। তাতেই পুলিশের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায় আন্দোলনকারীদের।

    বিজেপির অভিযান

    নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদ-সহ ৭ দফা দাবিতে মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির শিক্ষক সেলের বিকাশ ভবন অভিযান শুরু করে দুপুরে। করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড থেকে বিকাশ ভবনের দিকে মিছিল এগোতে শুরু করে। নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদ ছাড়াও, স্বচ্ছ নিয়োগ ও বকেয়া ডিএ-র দাবি জানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, অন্যায্য ভাবে যোগ্যরা বঞ্চিত হচ্ছে। দুর্নীতির পথ ধরে যাদের নিয়োগ হয়েছে, সেইরকম ৩২ হাজার জনের চাকরি অবৈধ হয়ে গিয়েছে। তার বদলে যোগ্যদের নিয়োগ করতে হবে। আর এই ৩২ হাজারের মধ্যে যদি কেউ কেউ যোগ্য থাকে, তাদের নিয়োগ করতে হবে। শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের হেলথ স্কিম চালু করতে হবে, শিক্ষকদের বকেয়া ডিএ দিতে হবে, ইত্যাদি দাবি নিয়ে পথে নামে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: “অপদার্থ সরকারের নিজে থেকে পদত্যাগ করা উচিত”, কেন বললেন সুকান্ত?

    সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আন্দোলন

    আগামী কাল, ২৪ মে-ও সল্টলেক করুণাময়ীতে এক কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা (DA Protest)। সেদিন বেলা ১টায় সংগ্রামী যৌথমঞ্চের এক সমাবেশ হওয়ার কথা। সংগঠনের তরফে জানানো হয়,  বিকাশ ভবনে ২৪ মে ডেপুটেশন দেবেন তাঁরা। প্রয়োজনে আইনের পথে হাঁটবেন বলেও এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। শনিবার নবান্নের তরফে সরকারি কর্মচারিদের অফিসে হাজিরা সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, অফিসে কর্মসংস্কৃতি ঠিক রাখতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এবার থেকে আগেভাগে না জানিয়ে কেউ ছুটি নিতে পারবে না। সরকারি হুঁশিয়ারি থাকলেও তাতে দমতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। সরকারি নির্দেশিকা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। প্রয়োজনে টিফিন পিরিয়ডে তাঁরা আন্দোলনে বসবেন, বলে জানিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share