Tag: protests

protests

  • Anti India Parade: কানাডায় ফের ভারত-বিরোধী প্যারেড খালিস্তানপন্থীদের, কড়া বার্তা দিল নয়াদিল্লি

    Anti India Parade: কানাডায় ফের ভারত-বিরোধী প্যারেড খালিস্তানপন্থীদের, কড়া বার্তা দিল নয়াদিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একে ভারত-বিরোধী প্যারেড (Anti India Parade)। তায় আবার যোগ দিলেন খোদ কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী। প্যারেডে দেশ থেকে হিন্দুদের ভারতে নির্বাসনের দাবি ওঠে। তার পরেই প্রশ্ন উঠছে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে পূর্বসূরি জাস্টিন ট্রুডোর পথেই হাঁটছে কানাডা? ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে ভারত। সোমবার ভারত নয়াদিল্লিতে কানাডার হাইকমিশনের কাছে টরন্টোর ওই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। এই প্যারেডে একটি ট্রাকর ওপর জেলের আদলে কারা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের খাঁচাবদ্ধ কুশপুতুল রাখা হয়েছিল। বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী ৮ লাখ হিন্দুকে ভারতে ফেরত পাঠানোর দাবিও জানানো হয় ওই প্যারেডে। দিন কয়েক আগে কানাডার টরন্টোর মাল্টন গুরুদ্বারে আয়োজিত হয়েছিল হিন্দু বিরোধী একটি কুচকাওয়াজ। সেখানেই ওঠে কানাডা থেকে হিন্দু বিতাড়নের দাবি। জানা গিয়েছে, কানাডায় বসবাসকারী খালিস্তানপন্থীরা এই প্যারেডের আয়োজন করেছিল।

    কানাডাক কড়া বার্তা ভারতের (Anti India Parade)

    সূত্রের খবর, এদিন ভারতের তরফে কানাডার হাইকমিশনকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, “আমরা আবারও কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষকে ভারত-বিরোধী উপাদানগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যারা ঘৃণা ছড়ায় এবং চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী অ্যাজেন্ডাকে সমর্থন করে।” কানাডার সাংবাদিক ড্যানিয়েল বোর্ডম্যান বলেন, “জিহাদিরা আমাদের রাস্তায় তাণ্ডব চালাচ্ছে, ইহুদিদের হুমকি দিচ্ছে, সামাজিক কাঠামোর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করছে।” তিনি (Canada) বলেন, “খালিস্তানিরা সমাজের জন্য সব চেয়ে ঘৃণ্য বিদেশি অর্থায়নের হুমকির বিরুদ্ধে তাদের অর্থের জন্য ভালো সুযোগ করে দিচ্ছে।” এর পরেই তাঁর প্রশ্ন, “মার্ক কার্নির কানাডা কি জাস্টিন ট্রুডোর থেকে আলাদা হবে?” কানাডার ওই সাংবাদিক শন বিন্দা নামে এক ইউজারের একটি এক্স পোস্টের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিলেন। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, খালিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী হিন্দু বিরোধী ঘৃণা থেকে এই প্রতিবাদ করেছে।

    টরন্টোর মাল্টন গুরুদ্বার

    এক্স হ্যান্ডেলে বিন্দা লিখেছেন, “টরন্টোর মাল্টন গুরুদ্বারার কে-গ্যাং নির্লজ্জভাবে ৮ লাখ হিন্দুকে – যারা ত্রিনিদাদ, গায়ানা, সুরিনাম, জামাইকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, কেনিয়া ও তার বাইরেও বিস্তৃত – তাদের হিন্দুস্তানে নির্বাসিত করার দাবি করছে। এটি ভারত সরকারের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিবাদ নয়, এটি কানাডার সব চেয়ে মারাত্মক হামলার জন্য কুখ্যাত একটি খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীর স্পষ্ট হিন্দু বিরোধী ঘৃণা, তবুও অহংকার করে থাকার অধিকার দাবি করছে।” এর পরেই তিনি হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন, “খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদ (Anti India Parade)।”

    হুমকিমূলক ভাষা প্রয়োগ

    ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, “টরন্টোতে আয়োজিত এক প্যারেডে আমাদের নেতৃত্ব এবং কানাডায় বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে অগ্রহণযোগ্য চিত্র ও হুমকিমূলক ভাষা ব্যবহারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত কানাডীয় হাই কমিশনের কাছে আমরা জোরালো ভাষায় আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।”  বিদেশমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, “আমরা কানাডীয় কর্তৃপক্ষের কাছে ভারতবিরোধী সেইসব শক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবারও আহ্বান জানাই, যারা বিদ্বেষ, চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মসূচি প্রচার করে চলেছে।” টরন্টোর মাল্টন গুরুদ্বারে একটি হিন্দুবিরোধী প্যারেড হয়। প্যারেডের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনাটি কানাডায় শিখ গুরুদ্বার ও একটি হিন্দু মন্দিরে খালিস্তানপন্থী গ্রাফিতি এঁকে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে (Canada)।

    বার বার বিতর্কিত প্যারেড

    কানাডার এক হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা ভিডিওটি অনলাইনে পোস্ট করে এটিকে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীর দ্বারা প্রচারিত প্রকট হিন্দুবিরোধী বিদ্বেষ বলে নিন্দা করেন (Anti India Parade)। প্রসঙ্গত, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ও ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করার কয়েকদিন পরেই টরন্টোতে হিন্দু বিরোধী প্যারেড হয়। কানাডার জাতীয় নির্বাচনটি নির্ধারিত সময়ের আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কারণ কার্নি নয়া ম্যান্ডেট পেতে সংসদ ভেঙে দিয়েছিলেন। তিনি জাস্টিন ট্রুডোর কাছ থেকে দায়িত্ব নিয়েছিলেন, যিনি তাঁর দলের মধ্যে সমর্থন হারানোর পরে তাঁর মেয়াদের শেষের দিকে পদত্যাগ করেছিলেন (Canada)।

    বিতর্কিত এই প্যারেডটি হয়েছে ঠিক কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টির জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভের কয়েক দিন পরেই। অনেকেই আশা করেছিলেন যে তাঁর নেতৃত্বে ভারতের সঙ্গে উন্নত হবে কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক (Anti India Parade)। এপ্রিল মাসে সারে শহরে বার্ষিক খালসা দিবস বৈশাখী মিছিলেও খালিস্তানপন্থী পতাকা ও ভারতবিরোধী ছবি দেখা গিয়েছিল (Canada)। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও অমিত শাহের ছবিসহ ‘ওয়ান্টেড’ পোস্টার প্রদর্শনের ঘটনায় সেই মিছিলটি নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হয় (Anti India Parade)।

  • Murshidabad Unrest: মুর্শিদাবাদকাণ্ডের নেপথ্যে বাংলাদেশিদের হাত! চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রের রিপোর্টে

    Murshidabad Unrest: মুর্শিদাবাদকাণ্ডের নেপথ্যে বাংলাদেশিদের হাত! চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রের রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে অশান্তির আগুনে জ্বলছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Unrest) বিস্তীর্ণ অংশ। এই হিংসার নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। বিস্ফোরক এই তথ্য উঠে এল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রাথমিক তদন্তে। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, হিংসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বাংলার পুলিশ। যদিও সরকারিভাবে এই রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কিছু বলা হয়নি।

    উসকানিমূলক বক্তব্য (Murshidabad Unrest)

    এর আগে ৯ এপ্রিল সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইন বিরোধী সমাবেশে বেশ কিছু উসকানিমূলক বক্তব্য রাখা হয়। তার কিছু ভিডিও এসে পৌঁছায় ওই সংবাদ মাধ্যমের কাছে। জঙ্গিপুরের পিডব্লুডি মাঠে এই সমাবেশ হয়েছিল। আয়োজক ছিল ইমাম মোয়াজ্জিন অ্যাসোসিয়েশন। তাকে সমর্থন করেছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্ট অফ ইন্ডিয়া-সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।

    এসডিপিআইয়ের জড়িত থাকার ইঙ্গিত

    সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তদন্তকারীরা বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন। তাতে মুর্শিদাবাদের হিংসায় এসডিপিআইয়ের জড়িত থাকার ইঙ্গিত মিলেছে। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, এসডিপিআইয়ের সদস্যরা গত বেশ কয়েকদিন ধরে ওয়াকফের নামে এলাকার মুসলিম যুবকদের উসকানি দিচ্ছিল। এসডিপিআইয়ের সদস্যরা প্রত্যন্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে যুবক ও কিশোরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে বলছিলেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবক ও কিশোরদের বলা হয় যে, সরকার ওয়াকফের নামে মুসলমানদের কাছ থেকে সব কিছু কেড়ে নেবে। ফলে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করতে হবে। শনিবার মুর্শিদাবাদের এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় ইজাজ আহমেদের। বিক্ষোভ চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তাঁর পরিবারেরও দাবি, মুর্শিদাবাদে উসকানিমূলক প্রচার চালাচ্ছে এসডিপিআই।

    পিএফআইয়ের প্রভাব!

    পুলিশের মতে, এক সময় পশ্চিমবাংলায় সিমির ঘাঁটি ছিল এই মুর্শিদাবাদই। সিমির যোগ ছিল জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে। সিমির লোকজন অবশ্য পরে কট্টরপন্থী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ায় যোগ দেয়। তার পর বদলে যায় মুর্শিদাবাদের ছবি। বস্তুত, পিএফআইয়ের ঘাঁটিতে পরণিত হয় মুর্শিদাবাদ। ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইউএপিএর অধীনে পাঁচ বছরের জন্য পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সূত্রের খবর, এই সিমি ও পিএফআইয়ের এই লোকজনও এসডিপিআইয়ের সঙ্গে জড়িত। মুর্শিদাবাদে এসডিপিআই বেশ শক্তিশালী। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে দুস্কৃতীরা প্রাথমিকভাবে সহায়তা পেয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তারা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA) পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Unrest) ও অন্যান্য সংবেদনশীল জেলার কার্যকলাপের ওপর কড়া নজর রাখছে।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন ১২ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজির সঙ্গে কথা বলেন। সেই সময় সম্ভাব্য সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়। তিনি রাজ্য প্রশাসনকে অন্যান্য সংবেদনশীল জেলাগুলোয়ও কঠোর নজরদারি বজায় রাখার এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শও দেন। তার পর থেকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব ও পুলিশের ডিজির সঙ্গে নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এছাড়াও, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মুর্শিদাবাদে বিএসএফের প্রায় ন’কোম্পানি, অর্থাৎ কমপক্ষে ৯০০ জন সদস্য মোতায়েন করেছে। এই ন’টি কোম্পানির মধ্যে ৩০০ বিএসএফ সদস্য স্থানীয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন। রাজ্য সরকারের অনুরোধে পরে অতিরিক্ত কোম্পানিগুলিও পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি আগেই জানিয়েছিলেন, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ, তবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ডিজিপি আরও উল্লেখ করেন, স্থানীয়ভাবে মোতায়েন থাকা বিএসএফের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে এবং এ পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    উত্তেজনা অব্যাহত

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে মুর্শিদাবাদের মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভের সময় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এই বিক্ষোভের জেরে মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় অগ্নিসংযোগ, পাথর ছোড়া এবং সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটে। আধিকারিকদের বক্তব্য, হিংসাকবলিত এলাকাগুলিতে উত্তেজনা অব্যাহত থাকলেও, নতুন করে কোনও ঘটনা ঘটেনি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা (Murshidabad Unrest)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মুর্শিদাবাদের তিনটি সীমান্তবর্তী এলাকায় সাম্প্রতিক হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সতর্কতামূলকভাবে অতিরিক্ত আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে। প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত মিলেছে, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সহায়তায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের জড়িত থাকার বিষয়টি, পরে যাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় ঘাসফুল নেতৃত্ব।

    এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের কাছ থেকে জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় ব্যর্থতা, রেলওয়ে সম্পত্তিতে হামলা এবং হিংসার প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছে (Murshidabad Unrest)।

  • Anti Waqf Protests: ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই কি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে জ্বালানো হয়েছে অশান্তির আগুন?

    Anti Waqf Protests: ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই কি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে জ্বালানো হয়েছে অশান্তির আগুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে (Anti Waqf Protests) কার্যত জ্বলছে বাংলার (West Bengal) একটা অংশ। বিশেষ করে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে হিন্দুদের ওপর বেনজির আক্রমণ চালানো হচ্ছে। অভিযোগ, এতে ইন্ধন জুগিয়েছে রাজ্যের এক মন্ত্রীর বক্তব্য এবং খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়! তার জেরেই অশান্ত হয়ে উঠেছে মুসলিম অধ্যুষিত ওই এলাকাগুলি। অথচ, মুসলিম অধ্যুষিত কেরল, তেলঙ্গানা কিংবা বিহারের বিভিন্ন অংশে কিন্তু এভাবে প্রতিবাদের নামে আগুন জ্বালানো হয়নি। বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি মিটিং-মিছিল হয়েছে, কিন্তু এভাবে বাংলাদেশি কায়দায় হিন্দুদের খুন করা হয়নি, ঘরছাড়াও করা হয়নি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এভাবে হিংসার আগুন ছড়িয়ে দিয়ে জনতা-জনার্দনের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। নিয়োগ কেলেঙ্কারির কারণে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন এ রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার মানুষ। ওই একই কারণে চাকরি খোয়াতে পারেন আরও প্রায় ৬০ হাজার জন। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যখন বিরোধীরা হাতে অস্ত্র পেয়ে গেলেন, চাকরিহারারা যখন পথে নামলেন তখনই ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের একাংশে জ্বালিয়ে দেওয়া হল অশান্তির আগুন! ব্যস, জনতার দৃষ্টি গেল ঘুরে! ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এটা চলতেই থাকবে। কারণ ক্ষমতার চিটে গুড়ে যে পা আটকে গিয়েছে শাসকের!

    হিংসায় মদত শাসকের! (Anti Waqf Protests)

    ফেরা যাক খবরে। জানা গিয়েছে, (সু)পরিকল্পিত এই হিংসায় মদত জুগিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী দিন কয়েক আগে বলেছিলেন, “জেলাগুলি ফিক্স করার পর মুসলিমরা কলকাতার প্রধান সড়কগুলি অবরোধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘেরাও করবে।” জমিয়ত উলেমা-ই হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লার এই বক্তব্যের পরেই হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা শুরু হয় বলে অভিযোগ। অন্যান্য কয়েকজন মুসলিম ধর্মীয় নেতাও উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করেন, যা মুসলিমদের হিন্দুদের ওপর নৃশংস হামলা চালাতে উদ্বুদ্ধ করে। অভিযোগ, তার পরেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয় হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দির-বিগ্রহ। হিংসা কবলিত এলাকাগুলির স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, হিন্দু মহিলাদের ওপর যৌন হয়রানির ঘটনাও ঘটেছে। প্রাণ ভয়ে রাতের অন্ধকারে জেলা ছেড়ে ভিন জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন হিন্দুরা। আক্ষরিক অর্থেই, নিজভূমে পরবাসী হয়েছেন তাঁরা।

    ইসলামিস্টদের তাণ্ডব

    মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জের জাফরাবাদে শুক্রবার সন্ধে (West Bengal) থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় ইসলামিস্টরা। কুপিয়ে খুন করা হয় (Anti Waqf Protests) প্রতিমাশিল্পী হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর পুত্র চন্দনকে। মুর্শিদাবাদেরই ধুলিয়ানেও ছড়িয়ে পড়ে হিংসার আগুন। শতাধিক হিন্দু বাড়ি ও দোকান আক্রমণ ও ধ্বংস করা হয়। শতাধিক হিন্দু পরিবার নৌকায় করে গঙ্গা পার হয়ে পড়শি জেলা মালদায় আশ্রয় নেয়। রাজ্যের অন্যান্য অংশেও হিন্দুদের ওপর হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পূর্বপরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে, ইসলামিস্ট জনতা অন্যান্য কিছু জেলার মুসলিম-অধ্যুষিত অঞ্চলেও হিন্দুদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে বলে খবর। পুলিশ প্রথমে দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল। তারপর বোধহয় ওপরতলার নির্দেশে নড়েচড়ে বসে। এর পর ইসলামিস্টরা রেয়াত করেনি পুলিশকেও। পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়, তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকজন পুলিশকর্মীকে মসজিদেও আশ্রয় নিতে হয়েছে বলে খবর।

    কাঠগড়ায় তোষণের রাজনীতি

    যে পুলিশ সুপরিকল্পিত হিংসা হচ্ছে দেখেও, ঢাল-তরোয়াল নিয়ে বসেছিল, সেই পুলিশই চাকরিহারাদের মিছিলে লাঠি চালিয়েছিল। সদ্য চাকরি খোয়ানো এক শিক্ষককে লাথিও মারতে দেখা গিয়েছে এক পুলিশ কর্মীকে (West Bengal)। এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ধেয়ে আসে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে একের পর এক ট্যুইট-বাণ। নেটিজেনদের সিংহভাগের বক্তব্যের নির্যাস, এই সব ঘটনার জন্য দায়ী মমতার তোষণমূলক রাজনীতি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তো বলেই দিয়েছেন, “এই শক্তি প্রদর্শন তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের জোরদারকরণ এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদের ঘোষণা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুসলিম তোষণের ফলে মুসলিমরা আইনের কব্জা থেকে রেহাই পেয়েছে বলে মনে করছে (Anti Waqf Protests), আর হিন্দুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।”

    কী বলছেন দিলীপ ঘোষ

    বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার বলেন, “মুসলিম গোষ্ঠীর হিংসা, হিন্দু ও পুলিশের ওপর তাদের হামলা, এবং মুসলিমদের দ্বারা উস্কানি মূলক স্লোগান—এই সবকিছু পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশের থেকে আলাদা করা কঠিন করে তুলেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মুসলিম আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা উৎসাহিত হয়েছে, যার ফলস্বরূপ হিন্দুরা বাংলায় নিরাপদ নয়। এটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলি থেকে হিন্দুদের তাড়ানোর পরিকল্পনারই অংশ।” তিনি আরও বলেন, “গত সপ্তাহান্তে মুসলিমদের দ্বারা হিন্দুদের ওপর হামলা হিন্দুদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। যদি বাংলার হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ না হয়, তবে যে কোনও দিন বাংলা বাংলাদেশের অংশ হয়ে যাবে। সেই দিন আর খুব বেশি দূরে নেই। তখন হিন্দুদের আর বাংলায় কোনও জায়গাই থাকবে না (Anti Waqf Protests)।”

    রাহুল সিনহার বক্তব্য

    বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। মুসলিমরা দায়মুক্তি নিয়ে হিন্দুদের আক্রমণ ও হত্যা করছে। তারা পুলিশকে আক্রমণ করছে, থানা ও যানবাহনে আগুন দিচ্ছে, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে এবং আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিম ভোটারদের হারাতে চান না বলে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর ফলে মুসলিম সমাজের অপরাধী ও মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি সাহস পেয়েছে (West Bengal)।”

    দিলীপের কটাক্ষ

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি “শান্তি বজায় রাখার” নরম আবেদনকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু ও পুলিশের ওপর হামলা, সম্পত্তি ধ্বংস এবং দাঙ্গা চালানো মুসলিমদের বিরুদ্ধে কঠোর ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে এবং বাংলা হিন্দুদের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হবে।” তিনি বলেন, “কিন্তু এটাও ঠিক, এবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কঠোর ব্যবস্থা নেবেন না। কারণ তিনি জানেন, তা করলে তাঁর সরকার পড়ে যাবে। তিনি তো প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন যে মুসলিম সমর্থনের জোরেই তিনি ক্ষমতায় আছেন। তিনি মুসলিমদের কাছে ঋণী (Anti Waqf Protests)।”

    সেলিমের ধরি মাছ না ছুঁই পানি!

    কংগ্রেস হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক মহাম্মদ সেলিম বিতর্কের মুখে পড়েছেন এই অভিযোগে যে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়েই দাঙ্গার জন্য দায়ী। তাঁর দাবি, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের, যাঁকে তিনি “দাঙ্গার মস্তিষ্ক” বলে উল্লেখ করেছেন। শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবি জানালেও, সেলিম সাহেব সিদ্দিকুল্লার মন্তব্য নিয়ে অদ্ভুতভাবে নীরব! হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় সরব হয়েছেন কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী। হিংসার জন্য তিনি দায়ী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে, সুপ্রিম কোর্টের ২৬,০০০ সরকারি স্কুল কর্মী বরখাস্তের আদেশ সৃষ্ট সঙ্কট থেকে মনোযোগ সরাতে হামলা উস্কে দেওয়ার জন্য। তবে তিনি একবারও হিন্দুদের আক্রমণকারী মুসলিমদের নাম নেননি।

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

    এহেন আবহে হিন্দুদের আশ্বস্ত করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমরা হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করতে এবং হিন্দুদের রাজনৈতিকভাবে সংহত করতে আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করব। বাংলার হিন্দুদের এটা বোঝাতে হবে যে সম্প্রদায়টি একটি গুরুতর অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি হয়েছে, এবং হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ না হলে বাংলা আর একটি বাংলাদেশে পরিণত হবে। বাঙালি হিন্দুরা পড়ে থাকবে (West Bengal) কোনও স্বদেশ ছাড়াই! তাই হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট বিভাজন রুখতে হবে (Anti Waqf Protests)।”

  • BJP: এবার বারে ‘চাকরি’ করতে পারবেন মহিলারাও, প্রতিবাদে শামিল বিজেপি

    BJP: এবার বারে ‘চাকরি’ করতে পারবেন মহিলারাও, প্রতিবাদে শামিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে হা-চাকরি দশা। অথচ দুয়ারে ভোট (২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন)। ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে যেন-তেন প্রকারে। অতএব, ব্যবস্থা করতে হবে কর্মসংস্থানের (Protests)। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ এবং যাবতীয় ‘শ্রী’-র টোপ দিয়ে ভোট কুড়োনো নাও যেতে পারে (BJP)। তাই মহিলাদের ক্ষমতায়নের নামে মদের দোকানে চাকরির ব্যবস্থা করতে চলেছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার! তার প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে কলেজ স্কোয়ার থেকে বউবাজার পর্যন্ত মিছিল করলেন বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।

    ঢালাও দেওয়া হয়েছে মদের দোকানের লাইসেন্স (BJP)

    রাজ্যজুড়ে ঢালাও দেওয়া হয়েছে মদের দোকানের লাইসেন্স। তার জেরে অলিগলিতে খুলেছে ‘অফ শপ’ এবং ‘অন শপ’। এই সব শপে এতদিন কাজ করতেন পুরুষরা। এবার থেকে কাজ করতে পারবেন মহিলারাও। সেজন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বেঙ্গল এক্সাইজ অ্যাক্টে নয়া সংশোধনী নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বেঙ্গল এক্সাইজ অ্যাক্ট, ১৯০৫ এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্যে প্রধান হল, এবার থেকে ‘অন শপ’ (চলতি কথায় বার)-এ কাজ করতে পারবেন মহিলারা। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতেই এদিন কলকাতায় মিছিল করে পদ্ম শিবির। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে ছিলেন বিজেপি (BJP) নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালও। তিনি বলেন, “মহিলাদের ক্ষমতায়ন করতে হলে তাঁদের মদের দোকানে কাজ করতে বলা কি ক্ষমতায়ন? মহিলারা মদ পরিবেশন করে ক্ষমতাবান হবেন? আমরা এই ধরনের ক্ষমতায়ন চাই না।”

    মর্যাদা হানির চেষ্টা করছে তৃণমূল!

    প্রসঙ্গত, বুধবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হওয়া বেঙ্গল ফাইন্যান্স বিল ২০২৫-এ এই সংশোধনী পাশ হয়। আগে ‘অন শপ’ লেখা মদের দোকানে কাজ করতে পারতেন না মহিলারা। সেখানে মহিলাদের কাজ করা নিষিদ্ধ ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞাই তুলে দিল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। বিজেপির অভিযোগ, মহিলাদের ক্ষমতায়ন নামক ঢাল দিয়ে আদতে তাঁদের মর্যাদা হানি করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

    প্রসঙ্গত, দোলের দিন (BJP) গন্ডগোলের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে শুক্রবার তমলুকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মিছিল হয়। কর্মসূচি শেষে পদ্ম-নেতা শুভেন্দু বলেছিলেন, “বাংলার সনাতনী সমাজ মুক্তি পাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন হলে। শপথ নিন, আমরা দেব ১৬ (পূর্ব মেদিনীপুরে ১৬টি বিধানসভা আসন), রাজ্যে হবে অন্তত ১৮০ এবং মমতাকে প্রাক্তন করব।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যে যে বিজেপি ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে, তা আঁচ করতে পারছেন শাসক দলের ভোট ম্যানেজাররাও। তাঁদের ‘পরামর্শে’ই এবার মহিলাদের দলে টানার চেষ্টা করছে (Protests) তৃণমূল। সেই কারণেই মহিলাদের বারে কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত তৃণমূল সরকারের (BJP)।

  • Doctors Protests: মানববন্ধনে মন্ত্রীর গাড়ি, সুজিতের গাড়িতে চড়থাপ্পড় উত্তেজিত জনতার

    Doctors Protests: মানববন্ধনে মন্ত্রীর গাড়ি, সুজিতের গাড়িতে চড়থাপ্পড় উত্তেজিত জনতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুনিয়র চিকিৎসকদের (Doctors Protests) মানববন্ধন চলছিল। সেই সময় পুজো কার্নিভাল শেষে গাড়িতে করে ফিরছিলেন (Sujit Bose) রাজ্যের মন্ত্রী তথা শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের কর্তা সুজিত বসু। সুজিতকে গাড়িতে দেখেই ক্ষোভ উগরে দেয় মানববন্ধনে দাঁড়ানো জনতা। কয়েকশো লোক মন্ত্রীর গাড়ির দিকে তেড়ে যায়। ঘটনার জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় ধর্মতলার মোড়ে।

    মন্ত্রীর গাড়িতে চড়থাপ্পড় (Doctors Protests)

    মন্ত্রীর গাড়ি অবশ্য থামেনি। সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউ ধরে এগিয়ে যেতে থাকে সুজিতের গাড়ি। চলন্ত গাড়িতেই চড়থাপ্পড় মারতে থাকে উত্তেজিত জনতা। সুজিতের অভিযোগ, তাঁর গাড়িতে বোতলও ছোড়া হয়েছে। মন্ত্রী চলে যাওয়ার খানিকক্ষণ বাদে সেখানে আসেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। সেখানে তাঁকে ঘিরে ধরেও বিক্ষোভ দেখায় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া জনতা। তাঁকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগানও দেয় জনতা। আন্দোলনকারীদের (Doctors Protests) দাবি, মানববন্ধন হচ্ছে দেখেও, মানুষের প্রায় ঘাড়ের ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছিল সুজিতের গাড়ি। এক আন্দোলনকারী বলেন, “মন্ত্রী বলে কি মানুষকে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে দেবেন!ওঁর গাড়ি যেভাবে গিয়েছে, তাতে এক সুতোর এ দিক- ওদিক হলেই আমার পা পিষে যেত।”

    আরও পড়ুন: ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডে ধৃত সিভিক ছাড়া আর কে কে জড়িত? তদন্ত চলছে, শীর্ষ আদালতে জানালো সিবিআই

    পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

    আরজি করকাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবি-সহ একাধিক দাবিতে মঙ্গলবার মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়। জুনিয়র, সিনিয়র চিকিৎসকদের পাশাপাশি বহু সাধারণ মানুষও যোগ দেন এই মানববন্ধনে। জনতার এই ঢলে আচমকাই ঢুকে পড়ে বেশ কয়েকটা গাড়ি। গাড়িতে ছিলেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায় তাঁদের। তাঁদের দাবি, মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিঘ্ন ঘটাতেই ইচ্ছে করে এমনটা করা হয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এদিনের মানববন্ধনে যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। প্রায় সকলেরই হাতে রয়েছে প্ল্যাকার্ড। মুখে স্লোগান, ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’। এদিকে, ‘দ্রোহের কার্নিভালে’ এসেছেন অভিনেত্রী (Sujit Bose) অপর্ণা সেন, চৈতি ঘোষাল, উষসী চক্রবর্তী প্রমুখরাও (Doctors Protests)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Sikh Group Protests: রাহুল-সোনিয়ার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শিখ সংগঠনের

    Sikh Group Protests: রাহুল-সোনিয়ার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শিখ সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুল ও সোনিয়া গান্ধীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শিখ সংগঠনের (Sikh Group Protests)। বিরোধী দলনেতা রাহুলকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে, এই দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় শিখ সংগঠন। সম্প্রতি আমেরিকা সফরে গিয়ে ভারতে শিখ ধর্মাচরণের অধিকার নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে (Sonia Gandhi) বুধবার রাহুলের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান ওই সংগঠনের সদস্যরা। কেবল রাহুল নন, বিক্ষোভ দেখানো হয় সনিয়া গান্ধীর বাড়ির সামনেও।

    শিখ সংগঠনে বিক্ষোভ (Sikh Group Protests)

    জানা গিয়েছে, বিজেপির শিখ সংগঠন প্রকোষ্ঠের সদস্যরা এদিন বিক্ষোভ দেখান।পুলিশ ব্যারিকেড করে তাঁদের আটকায়। এই সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সামান্য ধস্তাধ্বস্তিও হয়। বিজেপি নেতা আরপি সিং বলেন, “রাহুল গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে হবে। ভারতের মুখে কালি মাখাতে তিনি সব সময় বিদেশের মাটিকে ব্যবহার করেন। ভারতে শিখদের পাগড়ি কিংবা কড়া (বালা) পরতে দেওয়া হবে না বলে তিনি যা বলছেন, তা সর্বৈব মিথ্যে বলছেন।“

    কী বলছেন পুরী

    রাহুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, তাঁর (রাহুলের) কথার সঙ্গে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি পান্নুনের দাবি মিল রয়েছে। উনি কি পান্নুনের সঙ্গেও (Sikh Group Protests) দেখা করেছেন, প্রশ্ন পুরীর। বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “কংগ্রেস আবার জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। পাগড়ি নিয়ে তাঁর মন্তব্যে দেশের শিখদের মধ্যে কোনও প্রভাব পড়েনি। তবে বিদেশে লুকিয়ে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠনগুলির সুবিধা হয়ে গিয়েছে। ওরা সমর্থন করছে রাহুল গান্ধীর বক্তব্যকে।

    আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে গিয়ে ওমরের সঙ্গে সাক্ষাৎ, রাহুলকে নিশানা বিজেপির

    শিখরা ধর্ম কাণ। মাথায় রঙিন পাগড়ি পরেন। পাগড়ি পরে তাঁরা গুরুদ্বারে যেতে পারেন। পঞ্চ ক ধারণ করা শিখ ধর্মে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এহেন শিখ সম্প্রদায়ই নেমেছে অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে। জানা গিয়েছে, রাহুলের ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, এদিনের (Sonia Gandhi) সভায় খালিস্তানপন্থীরাও উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং আবার রাহুলের লোকসভার সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: রাতে রাজপথে জনস্রোত! ‘তিলোত্তমা’র স্মৃতিতে আলো নিভিয়ে বাতি জ্বালাল কলকাতা

    RG Kar Incident: রাতে রাজপথে জনস্রোত! ‘তিলোত্তমা’র স্মৃতিতে আলো নিভিয়ে বাতি জ্বালাল কলকাতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘড়িতে তখন রাত ৯টা। হঠাতই আঁধার নামল কলকাতায়। পাড়ায়, পাড়ায়, আবাসনে, বাড়িতে, দোকানে আলো বন্ধ। আলো নিভল ভিক্টোরিয়াতে। আলো নিভল রাজভবনেও। প্রতিবাদী কলকাতা। বিপ্লবের শহর ফের সরব। আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে সকলে সামিল। রাত নামতেই এক অদৃশ্য মানবশৃঙ্খল তৈরি হল সিঁথির মোড়, টালা, শ্যামবাজার, কলেজ স্কোয়্যার, যাদবপুর-সহ গোটা শহরের নানা প্রান্তে। হাতে হাত রেখে হাজার কণ্ঠে ধ্বনিত হলো, ‘তোমার স্বর আমার স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর’।

    বেনজির প্রতিবাদ

    বুধবার রাত ৯টা (RG Kar Incident) বাজতেই পাড়ায়, পাড়ায়, আবাসনে, বাড়িতে, দোকানে লাইট বন্ধ হয়ে যায়। বারান্দায় ব্যালকনিতে জ্বলে ওঠে প্রতিবাদের মোমবাতি। অন্ধকার রাত ঢেকে দেওয়ার জোরালো এবং ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা হল প্রতিবাদের সেই আলো জ্বালিয়ে। ৯টা বাজলেই বাড়ির আলো বন্ধ করে, মোমবাতি জ্বালিয়ে মানুষ যেন প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে পড়েন। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে জনমানসকে আহ্বান জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতায় এহেন প্রতিবাদ অভিনব শুধু নয়, অভূতপূর্বও বটে। রাজনৈতিক দল বা মঞ্চের ডাকে বাংলায় প্রতিবাদ, আন্দোলন, বিক্ষোভ অতীতে বহু হয়েছে। সেই জন্যই তো  কলকাতা মিছিল নগরী বলেও পরিচিত। তবে রাজনৈতিক রঙের ঊর্ধ্বে উঠে এ ধরনের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ কলকাতা তথা বাংলায় বেনজির। 

    ফের রাত দখল

    আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদে এর আগে গত ১৪ অগস্ট রাত দখলে নেমে পড়েছিলেন শহরবাসী। সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ থেকে স্কুল পড়ুয়া শিশু— কেউই বাকি ছিলেন না সেই জমায়েতে। বুধবার রাতে অনেকটা সেভাবেই প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে পড়লেন হাজার হাজার শহরবাসী। আরজি কর হাসপাতালের সামনে, যাদবপুরে ৮বি বাসস্ট্যান্ডে, বিশ্ববাংলা মোড়ে রাত ৮টা থেকেই জমায়েত শুরু হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি করের শুনানির কথা মাথায় রেখে বুধবার ফের রাত দখলের আহ্বান জানানো হয়। পরে যদিও জানা যায় শুনানির দিন পিছিয়ে গিয়েছে। তাতে কী? দ্রুত বিচারের দাবিতে এক হওয়ার আওয়াজ উঠল রাজপথে। আট থেকে আশি— সন্ধ্যা থেকে পথে। বর্ষীয়ানরা নিজেদের মেয়ে, নাতনির মুখ মনে করে জয়ামেতে এসেছেন বলে জানিয়েছেন। মোমবাতির সঙ্গে চলেছে পথে আঁকা, বার্তা লিখন। 

    আরও পড়ুন: ৫২ বাড়িয়ে ৮০! কার চাপে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে বাড়ানো হত নম্বর?

    ঋতুপর্ণাকে ‘গো-ব্যাক

    এই ভিড়ে মিশে বিচার চেয়েছেন টলিপাড়ার অনেকেই। উপস্থিত ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, তথাগত মুখোপাধ্যায়, দেবলীনা দত্ত, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়, সোহম মজুমদার, সোলাঙ্কি রায়, ঋষভ বসু, রাতাশ্রী দত্তরা। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে ঋতুপর্ণা জমায়েতে উপস্থিত হতেই ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। চার পাশ থেকে উলু ধ্বনি এবং শঙ্খ বাজিয়ে ব্যঙ্গ করা হয় অভিনেত্রীকে। কিছুক্ষণ পর গাড়িতে উঠে শ্যামবাজার ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন ঋতুপর্ণা। অন্য দিকে, দক্ষিণ কলকাতায় সন্ধ্যা থেকেই রাস্তায় জমায়েত বড় হতে শুরু করে। ঢাকুরিয়া, লেক গার্ডেন্স, গড়িয়া মোড়-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদে শামিল হন মানুষ। তবে সব থেকে বেশি ভিড় লক্ষ করা যায় যাদবপুরে ৮বি বাসস্ট্যান্ডে। সেখানে আন্দোলনকারীরা (RG Kar Incident) গান, কবিতা এবং নাটকের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Violence: উত্তাল বাংলাদেশ, ভারতের আর কোন পড়শির বাড়িতে লেগেছে অশান্তির আগুন?

    Bangladesh Violence: উত্তাল বাংলাদেশ, ভারতের আর কোন পড়শির বাড়িতে লেগেছে অশান্তির আগুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে উত্তাল (Protests) বাংলাদেশ। তার জেরে সোমবারই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন (Bangladesh Violence) শেখ হাসিনা। বোনকে নিয়ে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। হাসিনার পদত্যাগের খবর জানান সে দেশের সেনা প্রধান ওয়াকের-উজ-জামান। রাজধানী ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। লাঠিচার্জ করেও তাদের নিরস্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ প্রশাসন। তার জেরেই সপ্তাহখানেক ধরে অশান্তির আগুনে পুড়ছে ভারতের প্রতিবেশী এই দেশ। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মাঝ-জুলাইয়ের এই আন্দোলনে অন্তত ৯১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ডামাডোলের বাজারে চলছে হিন্দু নিধন যজ্ঞও।

    ‘দক্ষযজ্ঞ’ শ্রীলঙ্কায়

    বাংলাদেশের মতো এমন আন্দোলন বছর দুয়েক আগে দেখেছিল দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাও। ঘটনাচক্রে সেটাও ছিল জুলাই মাস। দেশে (Protests) অথনৈতিক সঙ্কট চরমে। ব্ল্যাক আউট করে বিদ্যুৎ সঙ্কটের সমাধানের চেষ্টা করছে সরকার। খাবার এবং জ্বালানির অভাবে দ্বীপরাষ্ট্রবাসীর প্রাণ ওষ্ঠাগত। দেশকে দেউলিয়া ঘোষণা করে দেয় সরকার। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই পথে নেমে পড়েন শ্রীলঙ্কাবাসী। তাঁরা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের সরকারি বাসভবনে হামলা চালান। জনরোষের আঁচ পেয়ে তার আগেই অবশ্য দেশ ছেড়ে ভিন দেশে পালিয়ে বাঁচেন রাজাপক্ষে।

    পাকিস্তানে অশান্তি

    ব্যাপক অশান্তি দেখেছে ভারতের আর এক পড়শি দেশ পাকিস্তানও। দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট যখন চরমে, তখনই সরিয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রধান ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে। সেটাও দু’বছর আগে। তবে মাসটা ছিল এপ্রিল। আস্থা ভোটে হেরে যাওয়ায় সরানো হয় ইমরানকে। জোট সরকারের নেতৃত্ব দেন শাহবাজ শরিফ। ওই বছরই (Bangladesh Violence) নভেম্বর মাসে পঞ্জাব প্রদেশে এক প্রতিবাদ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় ইমরানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তিনটি গুলি লাগে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর পায়ে। প্রাণে বেঁচে যান ইমরান। তবে কলঙ্কের দাগ লাগে পাক রাজনীতির গায়ে।

    আন্দোলনের আঁচ সর্বত্র

    তোষাখানা মামলা-সহ একাধিক মামলায় গ্রেফতার করা হয় ইমরানকে। ২০২৩ সালের মে মাসের ওই ঘটনার আগে পরে ব্যাপক আন্দোলন হয় পাকিস্তানে। প্রতিবাদী এই আন্দোলনের ঢেউ গিয়ে আছড়ে পড়ে আর্মি হেডকোয়ার্টার এবং আইএসআইয়ের হেডকোয়ার্টারে। তবে বন্দিদশা ঘোচেনি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের। একের পর এক মামলা চলায় জেলের ঘানি টানছেন পাকিস্তানের এই ক্রিকেট তারকা-রাজনীতিক। চলতি বছরের মার্চে পাকিস্তানের মসনদে বসেন শরিফ। দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হন তিনি। শাসক বদলেছে। তবে দুঃখ ঘোচেনি পাকিস্তানের। দেনার দায়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার জোগাড় দেশটার। দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হালের দশা কাটাতে ২৩ মার্কিন বিলিয়ন ডলার ঋণ করার পরিকল্পনা করেছে পাক সরকার। অর্থ সাহায্যের জন্য দোরে দোরে হাত পেতেছে শরিফের দেশ। আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার থেকেও সাহায্য মেলেনি। সব মিলিয়ে বেসামাল দশা পাক অর্থনীতির।

    অশান্তির আগুন মায়ানমারেও

    অশান্তির আগুনে পুড়েছে ছবির মতো সাজানো দেশ মায়ানমারও। সে দেশের জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছেন মায়ানমারবাসী। সরকারের সঙ্গে সাধারণ মানুষের এই লড়াইয়ে কখনও পিছু হটেছে সেনা, কখনও আবার পিছু হটেছেন আন্দোলনকারীরা। ২৫ জুলাই মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (সামরিক শাসক বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জোট) ঘোষণা করে, জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে (Bangladesh Violence) জয় পেয়েছে তারা। টানা ২৩ দিনের লড়াই শেষে লাসিওর দখল নিয়েছে মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি। পুরোপুরি স্বাধীন হয়েছে লাসিও।

    আরও পড়ুন: অর্থ সংগ্রহ করতে আরএসএসের ভরসা গুরুদক্ষিণা!

    মাইলফলক জয়

    যদি প্রতিবাদীদের দাবি সত্য হয়, তাহলে তা হবে টানা তিন বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের একটা মাইলফলক জয়। জুন্টা সরকার যেভাবে সাধারণ মানুষের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছিল, তার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন মায়ানমারবাসী। সেখানেই ঘোষিত হয়েছে জনতা জনার্দনের জয়। তবে সেজন্য কম খেসারত দিতে হয়নি মায়ানমারবাসীকে। প্রচুর প্রাণের বিনিময়ের পাশাপাশি ভিটে ছাড়া হয়েছেন ৩ মিলিয়নের বেশি মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাসিও জয়ের ভিডিও পোস্ট করেছে মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি। তাতে দেখা যাচ্ছে, সর্বত্রই অ্যালায়েন্স আর্মির ভিড়। রেলস্টেশন, কারাগার, ব্রডকাস্ট স্টেশন কোথায় নেই তারা! মায়ানমারের সামরিক সরকার সোমবার স্বীকার করেছে যে তারা উত্তর-পূর্বে একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সেনা দফতরের কমান্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে (Bangladesh Violence) পারছেন না।

    জনগণ খেপে গেলে কীই (Protests) না হয়!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: যাঁদের ঘর রয়েছে, তাঁদেরই আবাস যোজনার বাড়ি! শতাব্দীর সামনে প্রবল বিক্ষোভ

    Birbhum: যাঁদের ঘর রয়েছে, তাঁদেরই আবাস যোজনার বাড়ি! শতাব্দীর সামনে প্রবল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে ‘দিদির দূত’ হয়ে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। এবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বেরিয়েও ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তৃণমূলের এই নেত্রীকে। বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের বড়গ্রামের ঘটনা। মেজাজ হারালেন শতাব্দী! এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা।

    কী ঘটেছে (Birbhum)?

    রবিবার সকালে সিউড়িতে (Birbhum) প্রচারে বের হন তৃণমূলের এই তারকা সাংসদ। সেই সময় কয়েকজন মহিলা এসে ঘিরে একের পর এক অভিযোগ করতে শুরু করেন তাঁকে। আবাস দুর্নীতি থেকে শুরু হয় অভিযোগের তালিকা। তারপর রাস্তা খারাপ থেকে শুরু করে পানীয় জলের সমস্যা, প্রতিটি বিষয় তাঁরা তুলে ধরেন শতাব্দীর সামনে। চলে বিক্ষোভ। অধিকাংশ মানুষ বলেন, যাঁদের ঘর রয়েছে তাঁদেরকেই আবাসের বাড়ি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ত্রিপল চাইলেও তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের কাছে পাওয়া যায় না। বৃষ্টির জল যাওয়ার জন্য নেই ড্রেন, জমা জলে এলাকায় দারুণ সমস্যা। আসছে বর্ষা, কীভাবে সমস্যার সমাধান হবে জানতে চান এলাকার মানুষ।

    তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রেগে গিয়ে বীরভূমের এই তৃণমূল সাংসদ (Birbhum) বলেন, বিক্ষোভ কাকে বলে? মিডিয়া জোর করে দেখাচ্ছে! বিরোধীদের কোনও প্রশ্নের উত্তর আমি দেব না। দিতে বাধ্য নই। এলাকার মানুষের মধ্যে এক-দুজন কিছু বললে সেটাকে বিক্ষোভ বলা যাবে না। জনজোয়ারে কোথাও বিক্ষোভ হয়েছে বলতে পারবেন? সুতরাং বিরোধীরা কখনই বলবেন না শতাব্দী রায় ভালো কাজ করছে। তাই কোনও উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না আমি। পরে অবশ্য এলাকাবাসীকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন শতাব্দী। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “সরকারের নির্দিষ্ট বাজেট থাকে। একটি পরিবারের একাধিক ছেলে। তাঁদের পৃথক পৃথক বাড়ি চাওয়া হচ্ছে। সে কারণেই এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।”

    রাজ্যপাল সম্পর্কে মন্তব্য

    রাজ্যপাল সম্পর্কে শতাব্দী রায় (Birbhum) বলেন, রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ বেশি করছেন। নিজের প্রটোকল ভেঙে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন তিনি। বিজেপির কর্মীদের মৃত্যু হলেই রাজ্যপাল পৌঁছে যাচ্ছেন। উনি মনে প্রাণে একজন বিজেপি কর্মী, এমনটাই মন্তব্য করেন শতাব্দী রায়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: আবাস যোজনায় ঘর না পেয়ে অভিষেকের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ

    Abhishek Banerjee: আবাস যোজনায় ঘর না পেয়ে অভিষেকের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনায় ঘর না পেয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ। রোড শো এর পরেই বিক্ষোভের মুখে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবাস যোজনার বাড়ি না পেয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করলেন স্থানীয়রা। যোগ্য প্রাপকদের দিকে নজর দিন, উঠল দাবি।   

    কোথায় ক্ষোভের মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)?

    উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে, চন্দ্রকোণা রোড এলাকায় রোড শো-তে অংশ নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এরপরই স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। নিচুতলার সংগঠনের উপর জোর দিন! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমনই উপদেশ দিতে দেখা যায় স্থানীয় মহিলাদের।  

    জনজোয়ার যাত্রায় কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের?

    জনজোয়ার যাত্রায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) গাড়িকে লক্ষ্য করে স্থানীয় মানুষের দাবি, আমাদের ঘর নেই, ঘর দরকার! গাড়ি ঘিরে ধরে তাঁদের দাবি, এলাকার অনেকের ঘর ফেটে গেছে, খুব অসহায়বোধ করছি আমরা। কিছু কিছু মানুষের ঘর প্রায় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। তাই এই অবস্থায় আমাদের সরকারি সাহায্য একান্ত প্রয়োজন। এলাকার মানুষের আরও অভিযোগ, আমরা গাড়ির সামনে যেতে পারলেও নিরপত্তারক্ষীরা (Abhishek Banerjee) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে যেতে দেননি। তাঁরা বলেন, আমরা আমাদের অসুবিধার কথা বলার সময় পর্যন্তও পেলাম না। যাঁদের ঘর পাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে, তাঁরাই পাচ্ছেন না। যাঁদের আছ্‌ তাঁরা আরও পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন এলাকার মহিলারা। এক স্থানীয় মাহিলার দাবি, আমি তো ভোট দিয়ে থাকি, তাহলে আমার কথা কেন শুনলেন না উনি? এখানে যাঁদের তিনতলা বাড়ি রয়েছে, তাঁরাই ঘর পাচ্ছে, আমরা কিছুই পাচ্ছি না। আমাদের কথা শোনার মতো সময় নেই নেতাদের। এলাকার মানুষের একটাই আক্ষেপ, নেতারা যদি আমাদের কথাই না শোনেন, তাহলে ভোট দিয়ে কী লাভ? পঞ্চায়েত ভোট সামনে, তাই আর কবে তৃণমূলের নেতারা এই এলাকার মানুষের কথা শুনবেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share