Tag: Punjab

Punjab

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, পাঞ্জাব-গুজরাট-রাজস্থানে জারি হাই অ্যালার্ট

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, পাঞ্জাব-গুজরাট-রাজস্থানে জারি হাই অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র (Operation Sindoor) পর কমপক্ষে তিনটি সীমান্তবর্তী রাজ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে (Air Defence)। এই রাজ্যগুলি হল পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাট। এই রাজ্যগুলিতে সব সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে স্পর্শকাতর বিভিন্ন এলাকায়।

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। এই যে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে ভারত হামলা চালিয়েছে, সেগুলির মধ্যে কয়েকটি সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাডও রয়েছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে জৈশ-ই-মহম্মদ ও মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে  টার্গেট করে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত।

    পাঞ্জাবে সতর্কতা জারি (Operation Sindoor)

    ৫৩২ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্তবিশিষ্ট পাঞ্জাব প্রথম থেকেই কড়া সতর্কতার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার মন্ত্রী অমান আরোরা ঘোষণা করেন, সমস্ত সীমান্তবর্তী জেলাকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে এবং সাবধানতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকারি অনুষ্ঠান-সহ সব ধরনের জনসমাবেশ বাতিল করা হচ্ছে। বিবৃতি জারি করে তিনি বলেন, “পাঞ্জাবের মানুষ সেনার পিছনে একজোট হয়ে রয়েছে। জাতির অখণ্ডতা যখনই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে, পাঞ্জাবিরা জীবন দিতেও পিছপা হয় না।”

    পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এসবিএস নগর ও জলন্ধরে তাঁর নির্ধারিত মাদকবিরোধী কর্মসূচি বাতিল করেছেন। এদিকে, পাঞ্জাব পুলিশকে দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা সারি হিসেবে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। কোনও আকস্মিক ঘটনার মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাঞ্জাব সমন্বয় রেখে চলছে বলেও জানান প্রশাসনের কর্তারা। আরোরা বাসিন্দাদের প্রতি সরকারি নির্দেশ সাবধানে মেনে চলতে এবং বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়ানো এড়াতে অনুরোধ করেছেন (Air Defence)।

    ধ্বংসাবশেষ মিলেছে পাঞ্জাবের গ্রামে

    এদিকে, পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। এর পরপরই ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা সন্দেহভাজন পাকিস্তানি প্রজেক্টাইলগুলিকে সফলভাবে প্রতিহত করেছে। পাক ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষগুলি পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী গ্রামে এসে পড়েছে। প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব রাজ্যটি পাক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার একেবারে গোড়ায় অবস্থিত। ফলে, এখানে হামলার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

    ছুটি বাতিল

    এদিকে, রাজ্য পুলিশ সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে পাঞ্জাব। রাজ্য সরকার ছ’টি সীমান্তবর্তী জেলায় স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী ৬টি জেলা – ফিরোজপুর, পাঠানকোট, ফাজিলকা, অমৃতসর, গুরুদাসপুর এবং তারন তারানের সমস্ত স্কুল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে (Operation Sindoor)। রাজস্থানে, পাকিস্তানের সঙ্গে ১,০৩৭ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে রাজ্য প্রশাসন জরুরি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ১০ মে পর্যন্ত কিশানগড় ও যোধপুর বিমানবন্দর বন্ধ রাখার পাশাপাশি বিএসএফের শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সক্রিয় করা হয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট (Air Defence)।

    ৪ ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাকআউট

    বারমের, জয়সলমির, যোধপুর, বিকানের ও শ্রী গঙ্গানগর জেলার সব স্কুল, অঙ্গনওয়াডি ও কোচিং সেন্টার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জয়সলমিরে মধ্যরাত থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাকআউট করা হয়। এদিনের সমস্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে এবং সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে সদর দফতরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। রাজ্যের হাসপাতালগুলিকে রক্ত ও জরুরি ওষুধ মজুত রাখতে বলা হয়েছে। জ্বালানি স্টেশনগুলিকে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামগুলি খালি করার পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা কালেক্টরদের সীমান্তবর্তী সংবেদনশীল স্থান চিহ্নিত করে সুরক্ষিত করতে এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখতে বলা হয়েছে (Operation Sindoor)।

    গুজরাটেও জারি হাই অ্যালার্ট

    গুজরাটের কচ্ছ জেলা-সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ভুজ ও রাজকোট বিমানবন্দর থেকে সব অসামরিক বিমান পরিষেবা তিনদিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এবং এখন কেবলমাত্র সামরিক বিমান ব্যবহার করছে এই এয়ারবেসগুলি। জামনগর, হালার সৈকত এবং অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় মেরিন পুলিশ, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ, টাস্কফোর্স কমান্ডোদের মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি স্পর্শকাতর এলাকায় চলছে নিরাপত্তা তল্লাশি (Operation Sindoor)। আহমেদাবাদ রেল স্টেশনেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রেলওয়ে প্রোটকশন ফোর্স, সরকারি রেল পুলিশ এবং কুইক রিঅ্যাকশন টিম যৌথ টহল দিচ্ছে। লাগেজ স্ক্রিনিং, অ্যান্টি-সাবোটাজ ড্রিল এবং ফ্ল্যাগ মার্চ চালানো হয়েছে (Air Defence)।

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরকে ভারতের একটি কৌশলগত সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এর জেরে দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চরম সতর্কতা বজায় রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার (Operation Sindoor)।

  • FBI Arrested Punjab Terrorist: এফবিআইয়ের জালে পাঞ্জাবে গ্রেনেড হামলার চক্রী খালিস্তানি জঙ্গি হরপ্রিত সিং

    FBI Arrested Punjab Terrorist: এফবিআইয়ের জালে পাঞ্জাবে গ্রেনেড হামলার চক্রী খালিস্তানি জঙ্গি হরপ্রিত সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি হরপ্রিত সিং (Harpreet Singh) ওরফে হ্যাপি পাসিয়াকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে আমেরিকা (FBI Arrested Punjab Terrorist)। পাঞ্জাবে গত ৬ মাসে অন্তত ১৪টি গ্রেনেড হামলার চক্রী হ্যাপি কানাডা থেকে অবৈধভাবে আমেরিকায় ঢুকেছিল। তাকে খুঁজছিল এনআইএ-ও। অবশেষে সেই হ্যাপি পাসিয়াকে গ্রেফতার করেছে আমেরিকার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট। এনআইএ সূত্রে খবর, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় পাঞ্জাবে হামলা চালিয়েছিল হরপ্রীত সিং। তাকে ধরার জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এই গ্যাংস্টার সম্পর্কে কোনও তথ্য দেওয়া হলেই ওই টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছিল এনআইএ।

    হরপ্রিত সিং এর পরিচয়

    পাঞ্জাবের অমৃতসরের আজনালা তহসিলের বাসিন্দা হরপ্রিত সিং (Harpreet Singh) ওরফে হ্যাপি। ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর, একটি মামলায় তাকে ফেরার আসামি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এদেশে তার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা চলছে। তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ, মাদক আইন ও অবৈধ অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, পাসিয়া পাকিস্তানি গ্যাংস্টার থেকে জঙ্গি হওয়া হরবিন্দর সিং সাঁধু ওরফে রিন্ডার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার সঙ্গে পাক চর সংস্থা আইএসআই এবং নিষিদ্ধি জঙ্গি সংগঠন বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের যোগাযোগ ছিল। তাদের হয়েও বেশ কয়েকটি অপারেশন চালিয়েছিল পাসিয়া। গোড়ার দিকে ছিল গ্যাংস্টার, পরে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয় পাসিয়া।

    বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক

    বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল (বিকেআই) খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত একটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন, যারা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে। এই সংগঠনটি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮০-এর দশকে পাঞ্জাবে জঙ্গি কার্যকলাপে সক্রিয় ছিল। ১৯৮৫ সালে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৮২-এর বোমা হামলা, যাতে ৩২৯ জন নিহত হয়েছিল, বিকেআই-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল। সংগঠনটি বর্তমানে পাকিস্তান, আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপে সক্রিয় এবং পাকিস্তানের আইএসআই-এর সমর্থনে কাজ করে।

    পাঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে শত্রুতা

    ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে চণ্ডীগড়ে এক অবসরপ্রাপ্ত পাঞ্জাব পুলিশ অফিসারের বাড়িতে গ্রেনেড হামলায় অভিযুক্ত ছিল পাসিয়া। হরপ্রিত এবং রিন্ডা মিলে এই গ্রেনেড হামলার লজিস্টিক সহযোগিতা, তহবিল এবং অস্ত্র সরবরাহ করেছে। এছাড়াও পাঞ্জাবে পুলিশের উপরেও একাধিক হামলা চালানোর অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। ওই হামলা করার পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে তার দায় স্বীকার করত হ্যাপি পাসিয়া। পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে অমৃতসর এবং অন্যান্য এলাকায় পুলিশ এবং পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত বাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়। সেখানে কোথাও গ্রেনেড হামলা হয়। আবার, একাধিক থানার সামনে গ্রেনেড বিস্ফোরণও হয়। এই হামলার পিছনে হরপ্রীত সিং আছে বলে জানতে পারে পুলিশ। তখন থেকেই তার খোঁজ করতে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী।

    পাঞ্জাবে আরও বড় হামলার হুঁশিয়ারি

    গত মার্চ মাসেই অমৃতসরে একটি মোটর সাইকেল লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে দুই জন। তাদের মধ্যে একজন পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে মারা যায়। পাঞ্জাবের এক বিজেপির নেতার বাড়ি ছাড়াও এক ইউটিউবারের বাড়ি লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। এর সঙ্গেও ওই গ্যাংস্টার জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। আগামী দিনে পাঞ্জাবে আরও বড় হামলা এবং বিস্ফোরণ ঘটানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল হ্যাপি।

    এফবিআই-এর উদ্যোগ

    এফবিআই-এর (FBI Arrested Punjab Terrorist) সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলা হয়েছে, “আজ, ভারতের পাঞ্জাবে জঙ্গি হামলার জন্য অভিযুক্ত জঙ্গি হরপ্রীত সিংকে এফবিআই এবং ইআরও স্যাক্রামেন্টোতে গ্রেফতার করেছে। দুটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সে অবৈধভাবে আমেরিকা প্রবেশ করেছিল এবং ধরা এড়াতে বার্নার ফোন ব্যবহার করছিল।” বার্নার ফোন মূলত আত্মগোপনের কাজে ব্যবহৃত অত্যন্ত পুরনো ধাঁচের ফোন। আমেরিকা সহ সারা বিশ্বের আত্মগোপনকারী গুপ্তচর, জঙ্গি, পাচারকারীরা এই ধরনের ফোন ব্যবহার করে থাকে। এই ফোনের কয়েকটি বিশেষত্ব হল, এতে ডিটাচেবল ব্যাটারি থাকে। ফলে ব্যাটারি খুলে নিলে এই ফোনকে ট্র্যাক করা যায় না। এছাড়াও সুইচ বন্ধ করে রাখলেও লোকেশন বোঝা যায় না। ব্যক্তিগত কোনও তথ্যও এতে সংগৃহীত থাকে না।

    হরপ্রীত-এর গ্রেফতারির গুরুত্ব

    ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বিশ্বাস করে যে হরপ্রীত সিং-এর (Harpreet Singh) গ্রেফতার বিকেআই-এর আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করতে পারে। হরপ্রীত সিং-এর গ্রেফতার খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের চলমান লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। পাঞ্জাবে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা এবং আইএসআই-এর সমর্থনে বিকেআই-এর ক্রিয়াকলাপ ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই গ্রেফতার ভারত-আমেরিকার সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতাকে শক্তিশালী করবে এবং পাঞ্জাবে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।

    ভারতে ফেরানোর তোড়জোড়

    এফবিআইয়ের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হ্যাপি পাঞ্জাবে জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ। ভারতের তরফে এনআইএ এবং পাঞ্জাব পুলিশ তার বিরুদ্ধে জঙ্গি হামলার মামলা করে। আমেরিকাকে জানানো হয় যে, সে কানাডা হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপন করে আছে। অপরাধে অভিযুক্ত হিসেবে তার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিসও বের হয়। গ্রেফতারির পর ইন্টারপোলের সাহায্য নিয়ে পাসিয়াকে ভারতে ফেরানোর তোড়জোড় শুরু হবে।

  • Farmers Protest Punjab: কৃষক আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার, নামল বুলডোজার-ক্রেন! কেন এই পদক্ষেপ পাঞ্জাব পুলিশের?

    Farmers Protest Punjab: কৃষক আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার, নামল বুলডোজার-ক্রেন! কেন এই পদক্ষেপ পাঞ্জাব পুলিশের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষকদের আন্দোলন ঘিরে ফের উত্তেজনা ছড়াল পাঞ্জাবে। আন্দোলনে (Farmers Protest Punjab) নেতৃত্ব দেওয়া কৃষক নেতাদের আটক করল পুলিশ। মাঝরাতে নামানো হল বুলডোজারও। যে অস্থায়ী শিবিরে রাত কাটছিল কৃষকদের, তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। দাবিদাওয়া পূরণ না হওয়াতেই নতুন করে আন্দোলনের পথ বেছে নেন কৃষকরা। কিন্তু তাঁদের আন্দোলন গায়ের জোরে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে পাঞ্জাবের আপ সরকারের বিরুদ্ধে।

    কড়া পদক্ষেপ পাঞ্জাব পুলিশের

    ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি ও ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে কৃষকদের টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। আন্দোলনস্থল খালি করতে গিয়ে কৃষকদের (Farmers Protest Punjab) সঙ্গে বর্বরোচিত আচরণের অভিযোগ সামনে আসছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এর পর রাতে আন্দোলনস্থলে ক্রেন, বুলডোজার নামানো হয়। ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে দেখা যায় অস্থায়ী নির্মাণগুলিকে। আন্দোলনস্থল খালি করে দেওয়া হয়। পঞ্জাব এবং হরিয়ানার সংযোগস্থল, শম্ভু ও খানাউরি সীমানায় (Shambhu Border Farmers Protest) আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন কৃষকরা। সেই আবহেই বুধবার চণ্ডীগড়ে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে বৈঠক ছিল তাঁদের প্রতিনিধিদের। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে সেই বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্রেতা-গ্রাহক বিভাগের মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূস গোয়েলও। পাঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী হরপাল সিং চিমা এবং রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী গুরমীত সিং খুড্ডিয়াও বৈঠকে যোগ দেন।

    আটক বহু কৃষক নেতা

    ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য-সহ একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে ওই বৈঠক হয়। বৈঠক থেকে বেরিয়ে শিবরাজ জানান, দু’পক্ষের মধ্যে ইতিবাচক কথা হয়েছে। ৪ মে ফের একদফা আলোচনা হবে। কিন্তু এদিনই বিকেলে মোহালিতে কৃষক নেতা গুরমীত সিং মঙ্গত, সরওয়ান সিং পান্ধের, জগজিৎ ডাল্লেওয়াল-সহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে পাঞ্জাব পুলিশ। সেই নিয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় কৃষকদের। এর পর আটক করা হয় কৃষক নেতা অভিমন্যূ কোহার, কাকা সিং কোতড়াদের। প্রথমে প্রায় ২০০ কৃষককে আটক করা হয় বলে জানা যায়, পরে জানা যায় সংখ্যাটা ৫০০-৭০০। শম্ভু এবং খানাউরি সীমানায় তাঁদের যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

    নিশানায় পাঞ্জাব সরকার

    এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, পটিয়ালার ডিজি মনদীপ সিং সিধুর নেতৃত্বে খানাউরি সীমানায় ৩০০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে শম্ভু সীমানাতেও। সবমিলিয়ে ৫০০ থেকে ৭০০ কৃষককে আটক করা হয়েছিল বলেও দাবি সামনে এসেছে। ডিজি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারই আন্দোলনকারীদের (Farmers Protest Punjab) সরিয়ে রাস্তা খালি করতে নির্দেশ দিয়েছে। খানাউরি সীমানা এবং সংলগ্ন সাঙ্গরুর ও পটিয়ালায় ইন্টারনেট পরিষেবাো বন্ধ রাখা হয়েছে বলে খবর। পাঞ্জাবে কৃষক আন্দোলনে পুলিশ ও প্রশাসনের বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবনীত সিং বিট্টু মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের তীব্র সমালোচনা করেছেন। পুলিশের এই পদক্ষেপের নিন্দা করে তিনি বলেন, “আমি পাঞ্জাব সরকারের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানাই। তারা আপনাকে (আপ সরকার) ভোট দিয়েছে এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে লজ্জিত করা উচিত। তারা (আপ সরকার) চায়নি যে কেন্দ্রীয় সরকার এবং কৃষকদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের হোক। লুধিয়ানা পশ্চিম উপনির্বাচনে জয়লাভের জন্য আপনারা কৃষকদের আটক করেছেন। পাঞ্জাবের জনগণ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে কোনও গ্রামে প্রবেশ করতে দেবে না।”

  • USA: ‘‘শিকলে বাঁধা ছিল হাত-পা’’, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত দলজিৎ সিং শোনালেন অভিজ্ঞতা

    USA: ‘‘শিকলে বাঁধা ছিল হাত-পা’’, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত দলজিৎ সিং শোনালেন অভিজ্ঞতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতেই আমেরিকা (USA) থেকে অমৃতসরে পৌঁছায় সে দেশ থেকে বিতাড়িতদের বিমান। এই বিমানেই ছিলেন একজন। তাঁর নাম দলজিৎ সিং। রবিবার তিনি বিস্ফোরক দাবি করেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে। তিনি জানান যে আমেরিকা (USA) থেকে নিয়ে আসার সময় তাঁদের হাত ও পা শিকল দিয়ে বাঁধা ছিল। পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে নেমে সাংবাদিকদের এই কথাগুলো বলেন দলজিৎ সিং।

    হোশিয়ারপুর জেলার কুড়ালা কালাম গ্রামের বাসিন্দা দলজিত সিং

    জানা গিয়েছে পাঞ্জাবের (Punjab) হোশিয়ারপুর জেলার কুড়ালা কালাম গ্রামের বাসিন্দা দলজিত সিং। প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার রাতে অবৈধ বসবাসের অভিযোগে ১১৬ জন ভারতীয়কে নিয়ে একটি বিমান নামে অমৃতসরে এবং সেই বিমানেই ছিলেন দলজিৎ সিং। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে তাঁকে বেআইনি পথ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (USA)। অন্যদিকে দলজিৎ সিং-এর স্ত্রী কমলপ্রীত কৌর অভিযোগ করেছেন যে তাঁর স্বামীকে একজন ট্রাভেল এজেন্ট প্রতারিত করেছিল। ওই এজেন্ট তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়ে কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরিবর্তে তাঁকে বেআইনিভাবেই সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এতে তাঁর (দলজিৎ সিং) কোনও দোষ নেই বলেই জানিয়েছেন কমলপ্রীত। জানা গিয়েছে, গ্রামের একজন বাসিন্দা দলজিৎকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ট্রাভেল এজেন্ট এর সাহায্য নিয়ে আমেরিকা (USA) গেলে সুবিধা হবে। গ্রামের ওই ব্যক্তি ট্রাভেল এজেন্টের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল দলজিতকে। ট্রাভেল এজেন্ট দলজিৎ সিংকে বৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু জানা যায় তাঁকে সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র না নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন জায়গা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই দলজিৎ তাঁর যাত্রার বৈধতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি করেন।

    কোন কোন রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন বিমানে

    শনিবার রাত ১১:৩৫ নাগাদ অবতরণ করে সি১৭ বিমান। সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে ফেরে। এরপরে রবিবার ভোর সাড়ে চারটা নাগাদ পাঞ্জাব (Punjab) পুলিশের গাড়িতে করে বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। হরিয়ানার যে সমস্ত বাসিন্দা আমেরিকাতে ছিলেন, অবৈধ অভিবাসীরূপে, তাঁদেরও পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়। শনিবার রাতে যে বিমান নামে, সেখানে ৬৫ জন পাঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার, আটজন গুজরাটের, দুইজন উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের এবং একজন করে হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা ছিলেন। বেশিরভাগেরই বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর। আজ রবিবার ১৫৭ জন ভারতীয়কে নিয়ে তৃতীয় বিমানটি অমৃতসর বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • NIA: পাঞ্জাবে হিন্দুত্ববাদী নেতা খুনের ঘটনায় চার্জশিট জমা এনআইয়ের, নাম ২ খালিস্তানি জঙ্গির

    NIA: পাঞ্জাবে হিন্দুত্ববাদী নেতা খুনের ঘটনায় চার্জশিট জমা এনআইয়ের, নাম ২ খালিস্তানি জঙ্গির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল শুক্রবার পাঞ্জাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) এক নেতার খুনের ঘটনায় চার্জশিট পেশ করল এনআইএ (NIA)। পাঞ্জাবের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা বিকাশ প্রভাকর ওরফে বিকাশ বাগ্গার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠন বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল বা বিকেআইয়ের দুই সন্ত্রাসবাদীর বিরুদ্ধে এই চার্জশিট জমা করা হয়েছে। এই দুই সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে একজনের নাম ধর্মিন্দার কুমার ওরফে কুনাল এবং অপরজন হলেন পলাতক আসামী হরবিন্দর কুমার। এই জঙ্গি বর্তমানে দুবাইয়ে রয়েছেন বলে এনআইএ (NIA) সূত্রে খবর। এই দুজনের বিরুদ্ধেই বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন, ভারতীয় দণ্ডবিধি আইপিসির বিভিন্ন ধারা এবং অস্ত্র আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে এনআইএ একথা জানিয়েছে।

    ২০২৪ সালের ১৩ এপ্রিলের ঘটনা (NIA)

    জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালে ১৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের রূপনগর জেলায় অন্য দিনের মতোই নিজের মিষ্টির দোকানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা বিকাশ প্রভাকর। সেই সময়ে ওই দুই খালিস্থানপন্থী জঙ্গি তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। জানা গিয়েছে, বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল নামের এই খালিস্থানপন্থী জঙ্গি সংগঠনের প্রধানের নাম হল ওয়াধাওয়া সিং। তিনি বর্তমানে পাকিস্তানে রয়েছেন। তাঁরই নির্দেশে এই ঘটনা ঘটানো হয় বলে জানিয়েছে এনআইএ (NIA)। অন্যদিকে এই ঘটনায় আরও একজন সন্ত্রাসবাদীর নাম উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, ওই খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনের নেতার নাম হারজিত সিং ওরফে লাড্ডি। তিনি বর্তমানে জার্মানিতে অবস্থান করছেন।

    ২০২৪ সালের ৯ মে তদন্তভার নেয় এনআইএ (NIA)

    গত বছরের অর্থাৎ ২০২৪ সালের ৯ মে পাঞ্জাব পুলিশের কাছ থেকে এই মামলার তদন্তভার নেয় এনআইএ। এরপরে এই চার্জশিট পেশ করা হল গতকাল অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি। এনআইএ-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে লাড্ডি বা হারজিত সিংয়ের কাজ হল এই সংগঠনে জঙ্গি নিয়োগ করা এবং তহবিল সংগ্রহ করা। এর পাশাপাশি অস্ত্র সরবরাহের কাজও তিনি করতেন। জার্মানিতে বসেই লাড্ডি এই কাজগুলো করে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। জানা গিয়েছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা খুনে অভিযুক্ত ধর্মিন্দার কুমার ওরফে কুনাল আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এই অভিযুক্ত মধ্যপ্রদেশের একজনের কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করেছিল। এনআইএ এই তদন্তে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিদেশি যোগ এবং এই মামলায় এক অস্ত্র ব্যবসায়ীর ভূমিকাও সামনে এনেছে।

  • US Military Aircraft: ১০৪ অবৈধ অভিবাসী নিয়ে অমৃতসরে এল মার্কিন সামরিক বিমান, এরপর কী?

    US Military Aircraft: ১০৪ অবৈধ অভিবাসী নিয়ে অমৃতসরে এল মার্কিন সামরিক বিমান, এরপর কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০৪ জন অবৈধ অভিবাসী নিয়ে অমৃতসরের (Amritsar) শ্রী গুরু রামদাসজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করল একটি মার্কিন সামরিক বিমান (US Military Aircraft)।

    অবতরণ করল মার্কিন সামরিক বিমান (US Military Aircraft)

    বুধবার ১.৫৫ মিনিটে বিমানটি অবতরণ করেছে। এদিন যাদের ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৩০ জন পাঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার ও গুজরাটের। মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশে তিনজন করেও রয়েছেন। রয়েছেন চণ্ডীগড়ের দুজনও। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রশাসন তাদের পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় নিজেদের বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছে। এদিন যাঁদের ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাঁদের পরিবারের কেউই তাঁদের নিতে বিমানবন্দরে আসেননি।

    ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগ

    প্রসঙ্গত, মার্কিন সামরিক বিমান সি-১৭-তে করে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতে ফেরত পাঠাল প্রথম দফার অবৈধ অভিবাসীদের। ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেন ট্রাম্প। তার পরেই দেশটির আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা শুরু করে। অনেক পাঞ্জাবি, যারা লাখ লাখ টাকা খরচ করে “ডাঙ্কি রুট” বা অন্যান্য অবৈধ উপায়ে আমেরিকায় প্রবেশ করেছিলেন, মূলত তাঁদেরই তাড়াচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    অপরাধের রেকর্ড থাকলে পাঠানো হচ্ছে ডিটেনশন সেন্টারে

    জানা গিয়েছে, পাঞ্জাব পুলিশ ও ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো যৌথভাবে পরীক্ষা চালাচ্ছে। যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক অতীত বা রেকর্ড নেই, তাঁদেরকে সঙ্গে সঙ্গেই চলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে (US Military Aircraft)। তবে, যাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে, পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে ডিটেনশন সেন্টারে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের যাচাই প্রক্রিয়া চলছে। আমেরিকা থেকে যাঁদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাঁদের অফিসিয়াল নিশ্চিতকরণের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এর আগে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, মার্কিন সামরিক বিমানে করে ভারতে পাঠানো হচ্ছে ২০৫ জন অবৈধ অভিবাসী। আমেরিকা থেকে ভারতে এই প্রথম পাঠানো হল অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ব্যাচ।

    প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর থেকেই মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে উদ্যোগী হয়েছেন ট্রাম্প। এই অভিবাসীদের চিহ্নিত করে ধরপাকড়ও শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় (Amritsar) বসবাসকারী বেশ কয়েকটি দেশের অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে আমেরিকা। তার মধ্যে রয়েছে ভারতও (US Military Aircraft)।

  • Republic Day 2025: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে স্কুলগুলিকে হুমকি খালিস্তানিদের, পাঞ্জাবে জারি হাই অ্যালার্ট

    Republic Day 2025: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে স্কুলগুলিকে হুমকি খালিস্তানিদের, পাঞ্জাবে জারি হাই অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবসকে (Republic Day 2025) কেন্দ্র করে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য তৎপর পাঞ্জাব (Punjab)। রাজ্যের আনাচে-কানাচে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তল্লাশি ৷ জানা গিয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবসে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিখ ফর জাস্টিস (SFJ) প্রধান গুরপতবন্ত সিং পন্নুন পাঞ্জাবের একাধিক স্কুলকে হুমকি পাঠিয়েছেন, যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের ঘরে থাকতে এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2025) অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    কী বলা হয়েছে হুমকি মেলে

    পাটিয়ালার (Punjab) কিছু স্কুলে সম্প্রতি একটি ইমেল পাঠানো হয়েছিল, যা পান্নুনের নামে পাঠানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে “বাচ্চারা ঘরে থাকুন – নিরাপদ থাকুন… অভিভাবকরা, এটা একটি কঠোর পরামর্শ: আপনার সন্তানদের পাটিয়ালা পোলো গ্রাউন্ডে প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2025) অনুষ্ঠানে পাঠাবেন না। শিখ ফর জাস্টিস (SFJ) ২৬ জানুয়ারি পাটিয়ালায় উপস্থিত থাকবে।” এরপরেই পাটিয়ালা-সহ সমগ্র পাঞ্জাবে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

    পাঞ্জাবে (Punjab) সক্রিয় শিখস ফর জাস্টিস

    প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের আগে খালিস্তানি সংগঠনগুলি বিশেষভাবে পাঞ্জাবে সক্রিয় হয়েছে। ফরিদকোট শহরের প্রধান প্রবেশদ্বারে এবং নেহরু স্টেডিয়ামের কাছে খালিস্তানি পতাকা এবং গ্রাফিটি পাওয়া গিয়েছে, যা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সতর্ক করেছে যে এই উপাদানগুলি প্রজাতন্ত্র দিবসের সময় উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। এর আগে প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2025) অনুষ্ঠান ফারিদকোট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেখানকার প্রধান প্রবেশদ্বারে খালিস্তানি গ্রাফিটি পাওয়া যাওয়ার পর অনুষ্ঠানটি পাটিয়ালার পোলো গ্রাউন্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে সরকারের দাবি, অনুষ্ঠানস্থল পরিবর্তন কোনো হুমকির কারণে নয়, বরং উড়ান পরিস্থিতির কারণে।

    পাঞ্জাব (Punjab) সরকারকে হুমকি

    ফের ভারত-বিরোধী হুমকি শোনা গিয়েছে খালিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত পান্নুনের মুখে। ২৬ জানুয়ারি (Republic Day 2025) পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা ভগবন্ত মান ও পাঞ্জাব পুলিশের ডিজি গৌরব যাদবকে সরাসরি খুনের হুমকি দিয়েছেন পান্নুন। ২৬ জানুয়ারিই তাঁদের উপর হামলা চালানো হবে বলে ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন এই জঙ্গি নেতা। প্রজাতন্ত্র দিবসে তাঁর গোলমাল পাকানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। সেই কাজের জন্য পাঞ্জাবের (Punjab) গ্যাংস্টারদের একত্র হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সম্প্রতি এই ভিডিও বার্তাটি গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক বার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত-বিরোধী হুমকির সুর শোনা গিয়েছে শিখ ফর জাস্টিস প্রতিষ্ঠাতা পান্নুনের মুখে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় পতাকা ছেড়ে পান্নুন খালিস্তানের পতাকা তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।

    মার্কিন মুলুকে পান্নুনের উপস্থিতি

    মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে (Gurpatwant Singh Pannun) সম্প্রতি দেখা গিয়েছিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। সেই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। গত ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের (US President Trump) অভিষেক অনুষ্ঠানের সময় লিবার্টি হলে উপস্থিত ছিলেন পান্নুন। দাবি করা হয়েছে, সরকারের তরফ থেকে পান্নুন আমন্ত্রিত ছিল না। তবে নিজের টাকা খরচ করে অনুষ্ঠানের টিকিট কিনতে সমর্থ হয়েছিলেন পান্নুন (Gurpatwant Singh Pannun)।

    এদিকে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, লিবার্টি হলে অনুষ্ঠান চলাকালীন খালিস্তানের সমর্থনে স্লোগান তুলছিল পান্নুন। এরপরই ফের একবার আন্তর্জাতিক স্তরে খালিস্তান নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল (Randhir Jaiswal) বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করবে ভারত। যেখানেই ভারত বিরোধী কার্যকলাপ হচ্ছে, আমরা বিষয়টি নিয়ে মার্কিন সরকারকে অবগত করব। যে যে ক্ষেত্রে ভারত-বিরোধী অ্যাজেন্ডা আছে, এবং যেখানে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার ওপর প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে মুখ খুলবে ভারত।’’

     

  • Sukhbir Singh Badal: স্বর্ণমন্দিরে অকালি প্রধান সুখবীর সিং বাদলকে লক্ষ্য করে চলল গুলি, ধৃত হামলাকারী

    Sukhbir Singh Badal: স্বর্ণমন্দিরে অকালি প্রধান সুখবীর সিং বাদলকে লক্ষ্য করে চলল গুলি, ধৃত হামলাকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সাত সকালে গুলির শব্দে কেঁপে উঠল পঞ্জাবের স্বর্ণমন্দির চত্বর। গুলি ছোড়া হল শিরোমণি অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদলকে (Sukhbir Singh Badal) লক্ষ্য করে। যদিও বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন সুখবীর। গুলি লাগেনি তাঁর গায়ে।

    আততায়ী ধৃত (Sukhbir Singh Badal)

    মন্দিরে উপস্থিত লোকজন ধরে ফেলেন হামলাকারীকে। তাঁকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর পিস্তলটি। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে স্বর্ণমন্দিরে ঢুকছিলেন সুখবীর। সেই সময় ধীর পায়ে তাঁর দিকে এগিয়ে আসেন ওই প্রৌঢ়। তার পরেই পোশাকের নীচে লুকিয়ে রাখা পিস্তলটি বের করে গুলি ছোড়েন সুখবীরকে লক্ষ্য করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত প্রৌঢ়ের নাম নারায়ণ সিং চৌরা। তিনি গুরুদাসপুর জেলার বাসিন্দা। কী কারণে পঞ্জাবের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ওই ব্যক্তি গুলি ছুড়লেন, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    সেবাদারের কাজ করতে গিয়েছিলেন মন্দিরে

    বছর বাষট্টির সুখবীর ‘সেবাদারে’র কাজ করতে এদিন গিয়েছিলেন স্বর্ণমন্দিরে। তিনি যখন পঞ্জাবের উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন কিছু ‘ভুল’ করেছিলেন। সেই ‘ভুলে’র কারণে তাঁকে ‘তঙ্খা’ (ধর্মীয় শাস্তি) দেওয়া হয়। শাস্তি হিসেবে তাঁকে সেবাদারের ভূমিকা পালন করার নিদান দেয় শিখদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংগঠন অকাল তখত। সেই নিদান মেনেই এদিন তিনি (Sukhbir Singh Badal) হুইল চেয়ারে বসে সেবাদারের কাজ করতে গিয়েছিলেন মন্দিরে। তখনই হামলা চালান ওই প্রৌঢ়। সূত্রের খবর, হামলাকারী বাব্বর খালসার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৮৪ সালে তিনি পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। পঞ্জাবে অস্ত্র ও বিস্ফোরক চোরাচালানেও তিনি যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ। গেরিলা যুদ্ধ এবং রাষ্ট্রদ্রোহী সাহিত্যের ওপর তিনি একটা বইও লিখেছেন বলে জানা গিয়েছে। বুড়াইল জেল ভাঙার মামলার আসামিও ছিলেন তিনি। এজন্য একবার জেলও খেটেছেন ওই প্রৌঢ়।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবীশ, উপমুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের ছেলে?

    শিরোমণি অকালি দলের প্রাক্তন সাংসদ নরেশ গুজরাল বলেন, “আমাদের দল বার বার বলে এসেছে পঞ্জাবের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। দেখতেই পাচ্ছেন স্বর্ণমন্দিরে কীভাবে হামলা চালানো হয়েছে! ঈশ্বরকে ধন্যবাদ সুখবীর (Sukhbir Singh Badal) সিং বাদলের কোনও ক্ষতি হয়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Punjab: পঞ্জাবে ধান সংগ্রহে গুদামের ঘাটতি নেই, কৃষকদের আশ্বস্ত করলেন প্রহ্লাদ জোশী

    Punjab: পঞ্জাবে ধান সংগ্রহে গুদামের ঘাটতি নেই, কৃষকদের আশ্বস্ত করলেন প্রহ্লাদ জোশী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্জাবে (Punjab) ধান সংগ্রহে গুদামের (Paddy Storage) ঘাটতি রয়েছে। সম্প্রতি এমনই কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে সংবাদ মাধ্যমের একাংশে। এই প্রতিবেদনগুলিকে ভুল তথ্য বলে উড়িয়ে দিল কেন্দ্র। সরকারের দাবি, এর পিছনে নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে। রবিবার কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানান, পর্যাপ্ত গুদাম তৈরি করা সরকারের দায়িত্ব।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    তিনি বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে গুদাম তৈরি করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা এ ব্যাপারে যত্নবান।” মন্ত্রী যে সময় সাংবাদিকদের সামনে এসব বলছেন, সেই সময় খাদ্য সচিব সঞ্জীব চোপড়া এবং এফসিআই চেয়ারম্যান বণিতা রত্ন শর্মাও উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, বর্তমানে পঞ্জাবে ১৪ লাখ টন ধান মজুত করার ক্ষমতা রয়েছে। নভেম্বরের ১ তারিখের মধ্যে এটি উন্নীত হবে ১৬ লাখ টনে। বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে অতিরিক্ত ৩১ লাখ টন সঞ্চয় ক্ষমতা তৈরি করা হচ্ছে।

    মন্ত্রীর পরিসংখ্যান

    রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে এদিন মন্ত্রী জানান, ৩ হাজার ৮০০ ধানকল মালিক ধান মজুতের জন্য আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ৩ হাজার ২৫০ জনকে ইতিমধ্যেই ধান থেকে চাল করার জন্য স্টক বরাদ্দ করা হয়েছে। সরকার ৯,৮১৯.৮৮ কোটি টাকা ক্লিয়ার করে দিয়েছে। এর মধ্যে আবার ৭ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা কৃষকদের কাছে পৌঁছেও গিয়েছে (Punjab)। জোশী জানান, এফসিআই চেয়ারম্যানের অধীনে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি ফি সপ্তাহে মজুত ক্ষমতা ও মুভমেন্ট প্ল্যান পর্যবেক্ষণ করবে।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে ফের তৃণমূলকে গোল দিলেন শুভেন্দু, সমবায়ে জয়ী বিজেপি

    তিনি জানান, অক্টোবরে ন্যাশনাল মুভমেন্ট লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে ৩৪.৭৫ লাখ টন। এর মধ্যে পাঞ্জাবকে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪০ শতাংশ। মন্ত্রী বলেন, “সরকার পিডিএসের মাধ্যমে ও চাহিদার ভিত্তিতে তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলিতে চাল বিতরণ করছে।” তিনি বলেন, “২০১৬ সাল থেকে পিআর-১২৬ ধানের জাতটি কোনও সমস্যা ছাড়াই চাষ করা হচ্ছে। জাতের পার্থক্য (Paddy Storage) সত্ত্বেও জাতীয় ওটিআর (আউট-টার্ন রেশিও) মান ৬৭ শতাংশই রয়ে গিয়েছে (Punjab)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Goldy Brar: কুখ্যাত গ্যাংস্টার গোল্ডির খোঁজে ১০ লাখি ইনাম ঘোষণা এনআইএ-র

    Goldy Brar: কুখ্যাত গ্যাংস্টার গোল্ডির খোঁজে ১০ লাখি ইনাম ঘোষণা এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুখ্যাত গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার (Goldy Brar) ও আর এক দুষ্কৃতীর মাথার দাম ১০ লাখ টাকা ঘোষণা করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ। শুক্রবার এনআইএর তরফে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। কানাডায় ঘাঁটি গেড়ে থাকা গোল্ডির খোঁজ দিলেই মিলবে নগদ পুরস্কার।

    গোল্ডির খোঁজে পুরস্কার

    চলতি বছরের ৮ মার্চ গোল্ডি ও তার ওই সাগরেদ চণ্ডীগড়ে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করেছিল বলে অভিযোগ। তার পরেই গোল্ডি পালিয়ে যায় কানাডায়। ইউএপিএ-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয় পাঞ্জাবের আদেশনগরের বাসিন্দা গোল্ডির (Goldy Brar) বিরুদ্ধে। গোল্ডির সাগরেদ গুরপ্রীত সিং ওরফে গোল্ডি ধিঁলোর খোঁজেও হন্যে এনআইএর আধিকারিকরা। তাদের টিকি ছুঁতে না পারায় শেষমেশ ঘোষণা করা হল ১০ লাখি ইনাম।

    গোল্ডি-খালিস্তানপন্থী যোগ!

    পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা খুনেও অভিযুক্ত গোল্ডি। মাসখানেক আগে গুজব ছড়ায় আমেরিকায় গুলি করে খুন করা হয়েছে কুখ্যাত পাঞ্জাবি গ্যাংস্টার গোল্ডিকে। যদিও পরে জানা যায়, খবরটি নিছকই ভুয়ো। এই গোল্ডির বিরুদ্ধের অভিনেতা সলমান খানকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। ভারতের অনুরোধে গোল্ডির বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করেছিল ইন্টারপোল। কানাডার ‘মোস্ট ওয়ান্টেডে’র তালিকায়ও নাম রয়েছে গোল্ডির। ভারতের দাবি, গোল্ডির সঙ্গে যোগ রয়েছে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের।

    আর পড়ুন: বিপাকে কেজরিওয়াল, তিনদিনের সিবিআই হেফাজতে আপ সুপ্রিমো

    পঞ্জাবের এক পুলিশ কর্মীর ছেলে গোল্ডির প্রকৃত নাম সতিন্দরজিৎ সিং। সে প্রথমে স্থানীয় অপরাধী বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। পরে জড়িয়ে পড়ে বড় ধরনের অপরাধ চক্রের সঙ্গে। আরও পরে নিজেই বনে যায় গ্যাংস্টার। গোয়েন্দাদের দাবি, কানাডা থেকে গোল্ডিই তোলাবাজি ও অস্ত্র পাচারের কারবার নিয়ন্ত্রণ করত। সিধু মুসেওয়ালা খুনের পর গোল্ডি দাবি করে, মুসেওয়ালাকে খুনের নির্দেশ দিয়েছিল সে-ই। কারণ মুসেওয়ালা লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সহযোগী ভিকি মিদুখেরার হত্যায় জড়িত ছিল। এহেন গোল্ডির খোঁজেই ঘোষণা করা হয়েছে ইনাম।

    এনআইএর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে দুজনকে গ্রেফতারে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের খোঁজ যিনি দেবেন, তাঁর পরিচয় গোপন রাখা হবে। ওই দুজনের তথ্য জানাতে হবে এনআইএর সদর দফতরের ফোন নম্বর – ০১১-২৪৩৬৮৮০০, হোয়াটসঅ্যাপ/ টেলিগ্রাম: ৯১-৮৫৮৫৯৩১১০০, ইমেল আইডি: ডিও.এনআইএ@গভ.ইন-এ (Goldy Brar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share