Tag: Punjab

Punjab

  • CAG Report: দেনায় ডুবে যাচ্ছে তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বলছে ক্যাগের রিপোর্ট

    CAG Report: দেনায় ডুবে যাচ্ছে তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বলছে ক্যাগের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খয়রাতির রাজনীতি করতে গিয়ে দেনায় ডুবে যাচ্ছে তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal)। ঋণের বোঝার বহর দিনের পর দিন চাপছে পাঞ্জাবের আপ পরিচালিত সরকারের ঘাড়ে। ভারতের দ্য কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ) সম্প্রতি এক অভিনব রিপোর্ট (CAG Report) প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্য কীভাবে তাদের আর্থিক ব্যবস্থা পরিচালনা করছে। শুক্রবার রাজ্যের অর্থসচিব সম্মেলনে সিএজি কে সঞ্জয় মূর্তি এই রিপোর্ট প্রকাশ করেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত এক দশকে ভারতের ২৮টি রাজ্যের মোট সরকারি ঋণ তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩-১৪ সালে যেখানে এই দেনার পরিমাণ ১৭.৫৭ লাখ কোটি টাকা, সেখানে ২০২২-২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯.৬০ লাখ কোটি টাকায়। ভারতের রাজ্যগুলির ঋণ থেকে রাজ্যের জিডিপির (GSDP) অনুপাত সবচেয়ে বেশি। এর অর্থ হল ওই রাজ্যগুলির অর্থনীতির আকারের তুলনায় ঋণের বোঝা ভয়ঙ্করভাবে বড়।

    পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা (CAG Report)

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত আটটি রাজ্যের সরকারি ঋণের দায় তাদের জিএসডিপির ৩০ শতাংশেরও বেশি ছিল। ছটি রাজ্যের ক্ষেত্রে এই দায় জিএসডিপির ২০ শতাংশের কম ছিল। আর বাকি ১৪টি রাজ্যের ক্ষেত্রে সরকারি ঋণের দায় তাদের নিজ নিজ জিএসডিপির ২০ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে ছিল।” রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ভয়াবহ। এ রাজ্যে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার। রাজ্যের ঋণ-টু-জিএসডিপির অনুপাত এখন ৩৩.৭ শতাংশে পৌঁছেছে, যা দেশের সর্বোচ্চগুলির মধ্যে একটি (CAG Report)। পশ্চিমবঙ্গের মতো অবস্থা আর এক অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য পাঞ্জাবেরও।

    করুণ অবস্থা পাঞ্জাবের

    দীর্ঘ দিন ধরেই পাঞ্জাব সীমিত রাজস্বভিত্তি এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের সঙ্গে লড়াই করে চলেছে। সিএজির রিপোর্টে নিশ্চিত করা হয়েছে যে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। পাঞ্জাব এমন এক রাজ্য যেখানে ইতিমধ্যেই বেকারত্ব, কৃষিক্ষেত্রে সঙ্কট, এবং শিল্পোন্নয়নের কম সুযোগ রয়েছে। তার ওপর এত বিপুল ঋণ উন্নয়নে লগ্নি করার ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে পঙ্গু করে দিচ্ছে (West Bengal)। মূলধনী ব্যয়, যেমন পরিকাঠামো নির্মাণ, যা ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধি সৃষ্টি করে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার বদলে পাঞ্জাব এখন বাধ্য হচ্ছে ঋণ করা অর্থের বড় অংশ শুধু দৈনন্দিন খরচ চালাতে। প্রায় একই দশা পশ্চিমবঙ্গেরও। গত দশকে পশ্চিমবঙ্গের ঋণের বোঝা দারুনভাবে বেড়েছে। পাঞ্জাবের মতো পশ্চিমবঙ্গও সেই ১১টি রাজ্যের মধ্যে পড়ে, যারা ঋণ করে জোগাড় করা অর্থ ব্যবহার করছে দৈনন্দিন খরচ চালাতে। এর মধ্যে রয়েছে বেতন, ভর্তুকি ও প্রশাসনিক খরচ। অথচ এই টাকা খরচ করা যেতে পারত দীর্ঘমেয়াদে রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে (CAG Report)।

    রাজস্ব প্রাপ্তি

    রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “গড়ে রাজ্যগুলির সরকারি ঋণ তাদের রাজস্ব প্রাপ্তি বা মোট অঋণ প্রাপ্তির প্রায় ১৫০ শতাংশ। একইভাবে, সরকারি ঋণ রাজ্যগুলির মোট রাজ্য ডোমেস্টিক উৎপাদনের ১৭ থেকে ২৫ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করেছে এবং গড়ে জিএসডিপির ২০ শতাংশ হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে জিএসডিপির ২১ শতাংশ থেকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ২৫ শতাংশে ৪ শতাংশ বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল ২০২০-২১ সালে কোভিড অতিমারি পর্বের কারণে জিএসডিপির পতন হয়। ২০২০-২১ থেকে ২০২২-২৩ সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণ বৃদ্ধির পেছনে মূল কারণ ছিল ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণ, যা রাজ্যগুলিকে পুঁজি ব্যয়ের জন্য দেওয়া বিশেষ সহায়তা ও জিএসটি ক্ষতিপূরণের ঘাটতির পরিবর্তে ছিল (CAG Report)।”

    ঋণের অর্থ ব্যয় হয়েছে ঘাটতি পূরণেই

    সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও নাগাল্যান্ডের। তবে অধিকাংশ অন্যান্য রাজ্যও খুব বেশি পিছিয়ে নেই। উল্টো দিকে, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের মতো কিছু রাজ্য তাদের ঋণের অনুপাত তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে, যা আর্থিক শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে একেবারেই উল্টো একটি ছবি তুলে ধরে (West Bengal)। রিপোর্টে উত্থাপিত আর একটি উদ্বেগজনক সূচক হল, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও নাগাল্যান্ড-সহ ১১টি রাজ্যে পুঁজি ব্যয় তাদের নিট ঋণের চেয়ে কম ছিল। উদাহরণস্বরূপ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পাঞ্জাবে যথাক্রমে তাদের নিট ঋণের মাত্র ১৭ শতাংশ এবং ২৬ শতাংশ ছিল পুঁজি ব্যয়। এর মানে হল, ঋণ নেওয়া অধিকাংশ অর্থ নতুন সম্পদ তৈরিতে (West Bengal) নয়, বরং ব্যয় হয়েছে ঘাটতি পূরণেই (CAG Report)।

  • Punjab: পাঞ্জাবে তরুণীকে উত্যক্ত করায় দোষী সাব্যস্ত আপ বিধায়ক-সহ ১২জন

    Punjab: পাঞ্জাবে তরুণীকে উত্যক্ত করায় দোষী সাব্যস্ত আপ বিধায়ক-সহ ১২জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক তরুণীকে বিয়ের অনুষ্ঠানে উত্যক্ত ও আক্রমণ করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হল পাঞ্জাবের (Punjab) আম আদমি পার্টির (আপ) বিধায়ক (AAP MLA) মনজিন্দর সিং লালপুর এবং আরও ১১জনকে। বুধবার তরণ তারণ অ্যাডিশনাল সেশনস জজ প্রেম কুমার খাদুর সাহিব তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করেন। মামলাটি ১২ বছর আগের। ১২ সেপ্টেম্বর দোষীদের সাজা ঘোষণা করবে আদালত। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর  পুলিশ মনজিন্দর সিং লালপুরা সহ সকলকে হেফাজতে নিয়েছে। তবে লালপুরার আইনজীবীরা বলেন, “আমাদের আইনি লড়াই চলবে”।

    ভিডিও প্রমাণ-সহ থানায় তরুণী (Punjab)

    মামলাটি দায়ের হয়েছিল ২০১৩ সালের ৩ মার্চ। লালপুরা-সহ দোষীরা তরণ তারণের উস্মা এলাকার গোবিন্দওয়াল রোডের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করেছিলেন। ওই তরুণীর বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী। বাবা এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওই তরুণীও। সেখানে কয়েকজন ট্যাক্সি চালক তাঁকে উত্ত্যক্ত করে। প্রতিবাদ করায় তাঁর পরিবারকে আক্রমণ ও মারধর করা হয়। পুরো ঘটনাটি একজন ফটোগ্রাফার ভিডিও করেছিলেন। পরের দিন ওই তরুণীর পরিবার ভিডিও প্রমাণ-সহ সিটি পুলিশ স্টেশন, তরণ তারণে পৌঁছয়। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। যার জেরে সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত নোটিশ গ্রহণ করে এবং ওই তরুণীর বাড়ির সামনে প্যারামিলিটারি ফোর্স মোতায়েন করে সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। পরে সিটি পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের করা হয়। ট্যাক্সি চালক হরবিন্দর সিং শোশি এবং সাহবা বর্তমানে খাদুর সাহিব বিধায়ক মনজিন্দর সিং লালপুরার নামে এফআইআর-ও দায়ের করা হয়। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আটজন পুলিশকর্মীও। তাঁদের মধ্যে একজন হেড কনস্টেবল পরমজিৎ সিংয়ের মৃত্যু হয় বিচার চলাকালীনই (Punjab)।

    কাঠগড়ায় আপের ৫ বিধায়ক

    প্রসঙ্গত, খাদুর সাহিবের বিধায়ক হলেন পাঞ্জাবে আটক হওয়া আপের পঞ্চম বিধায়ক, যাঁকে রাজ্য পুলিশ ও ভিজিল্যান্স ব্যুরো গ্রেফতার করেছে। এর আগে ভিজিল্যান্স ব্যুরো মানসা এমএলএ এবং প্রাক্তন স্বাস্থ্য মন্ত্রী বিজয় সিঙ্গলাকে ২০২২ সালের মে মাসে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। বাথিন্দা রুরালের আপ বিধায়ক অমিত রতন কোটফাট্টাকে ২০২৩ সালের (AAP MLA) ২৩ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছিল ভিজিল্যান্স ব্যুরো। গত ২৪ মে ভিজিল্যান্স ব্যুরো জলন্ধর সেন্ট্রালের বিধায়ক রামন অরোরাকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি মামলায়। সনাউরের আপ বিধায়ক হারমীত সিং পথানমজরাও গত ২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন ধর্ষণের অভিযোগে। যদিও পরে তিনি পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে যান (Punjab)।

  • Pakistan Floods: ‘বন্যার জল আল্লার আশীর্বাদ, বাড়িতে সংরক্ষণ করুন’! আজব তত্ত্ব পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

    Pakistan Floods: ‘বন্যার জল আল্লার আশীর্বাদ, বাড়িতে সংরক্ষণ করুন’! আজব তত্ত্ব পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুন থেকে লাগাতার বৃষ্টি ও দফায়-দফায় বন্যার জেরে বিধ্বস্ত পাকিস্তান (Pakistan Floods)। বিশেষত জলের তলায় পাক-পাঞ্জাব প্রদেশ। রাস্তায় জল থইথই করছে। অন্তত এক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বন্যা কবলিত হয়ে কার্যত ঘরছাড়া অন্তত ২০ লক্ষ নাগরিক। আবহাওয়া দফতরও পরিবেশ বদলের সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারছে না। তবে, ভয়াবহ এই বন্যা পরিস্থিতিকে ‘আল্লার আর্শীর্বাদ’ বলে মন্তব্য করলেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ (Khawaja Asif)। তাঁর মতে, বন্যার জল ধরে বাড়িতে সংরক্ষণ করে রাখা উচিত।

    বন্যার জল সংরক্ষণ, উপহাস পাকমন্ত্রীর

    স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় আসিফের কাছে পাকিস্তানের বন্যা (Pakistan Floods) পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। সেই প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিতে গিয়েই বন্যার জলকে ‘আশীর্বাদ’ বলে বর্ণনা করেন আসিফ (Khawaja Asif)। তিনি বলেন, ‘‘আমি তো বলব দেশবাসীর উচিত এই বন্যাকে আল্লার মেহেরবানি হিসেবে ধরে নেওয়া। গোটা বিশ্ব যখন জলের জন্য হাহাকার করছে, তখন পাকিস্তানের এই বন্যা তো শুভ ব্যাপার। কোনও ভাবেই একে বিপর্যয় বলা যায় না। আল্লার কৃপা না-থাকলে এটা হয় না।’’ শুধু তা-ই নয়, বন্যার জল নিয়ে কী করা যায়, তারও সমাধানের খোঁজ দিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায়, ‘‘এই জলকে ধরে রাখা উচিত।’’ বন্যার কারণে বেহাল দশার প্রতিবাদে অনেকেই রাস্তায় নেমেছেন। প্রতিবাদ চলছে পাকিস্তানের দিকে দিকে। সেই সব প্রতিবাদীদের উদ্দেশে আসিফ বলেন, ‘‘যাঁরা রাস্তা আটকে বসে আছেন, তাঁদের উচিত জমা জল বাড়িতে নিয়ে যাওয়া এবং তার পরে সেটা কোনও জায়গায় মজুত করে রাখা।’’ পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মতে, বন্যার জল সংরক্ষণ করে সেটাকে পরে কাজে লাগানোর জন্য পরিকল্পনা করা উচিত।

    কটাক্ষের মুখে পাক সরকার

    বন্যার (Pakistan Floods) দায় জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে মন্ত্রীর আরও দাবি, ‘ওরাই নদী তীরবর্তী জায়গা জবরদখল করে বসতি গড়েছে। নদী বাধ্য হচ্ছে গতিপথ বদলাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বন্যা তো হবেই!’ স্বাভাবিক ভাবেই মন্ত্রীর মন্তব্য ও আজব সাজেশনে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের তীব্র কটাক্ষের মুখে পাকিস্তান সরকার। পরিকাঠামোগত খামতির কথা স্বীকার করে নিয়েই অবশ্য পাক মন্ত্রী বলেন, ‘অতিরক্ত জল সঞ্চয় করার জন্য আমাদের বড় বাঁধের প্রয়োজন। কিন্তু সেটা এখনই করা সম্ভব নয়। সেই কারণেই জনগণকে জল জমিয়ে রাখার কথা বলছি।’ যে হেতু সরকারের কাছে বন্যা রোখার কোনও প্রযুক্তি নেই, তাই সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও অমূলক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান

    বন্যার (Pakistan Floods) জেরে শয়ে শয়ে মানুষের মৃত্যুর মাঝে পাক মন্ত্রীর এহেন মন্তব্য সামনে আসায় জনগণের ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও তীব্র করছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে খোদ পাক সরকারের রিপোর্ট বলছে, গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে পাকিস্তান। অজস্র গ্রাম চলে গিয়েছে জলের নিচে। হাজার হাজার একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। দুর্যোগের জেরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে খাইবার পাখতুনখোয়ায়। শুধুমাত্র এই প্রদেশে হড়পা বান ও অন্যান্য দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৪০৬ জনের। টানা বর্ষণের জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকায়। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পাঞ্জাব প্রদেশের। শুধু তা-ই নয়, প্রভাব পড়েছে লাহোরেও।

  • Heavy Rains in Himachal-Jammu: শ্রীনগরে ফুঁসছে ঝিলম, মানালিতে বিয়াস! প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর থেকে পাঞ্জাব-হিমাচল

    Heavy Rains in Himachal-Jammu: শ্রীনগরে ফুঁসছে ঝিলম, মানালিতে বিয়াস! প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর থেকে পাঞ্জাব-হিমাচল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু ও কাশ্মীর। শ্রীনগরে ফুঁসছে ঝিলম নদী। জলস্তর বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। মঙ্গলবারের ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বৈষ্ণোদেবী যাত্রা। প্রবল বৃষ্টি এবং ভূমিধসে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশের জনজীবন। একটানা বৃষ্টি ও ভূমিধসের (Heavy Rains in Himachal-Jammu) জেরে রাজ্যের একাধিক জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। হিমাচল প্রদেশ রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের (SDMA) তথ্য অনুসারে, এখনও পর্যন্ত উত্তর ভারতের ২ রাজ্য ও ১টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ৩৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুগুলির মধ্যে, বৃষ্টিপাতজনিত ঘটনা যেমন- ভূমিধস, হড়পা বান, মেঘভাঙা বৃষ্টি, ডুবে যাওয়া, বজ্রপাত, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া এবং অন্যান্য আবহাওয়াজনিত কারণে হয়েছে। শুধু প্রাণহানিই নয়, বহু টাকার সম্পত্তিও নষ্ট হয়েছে। বৃষ্টিতে ভাসছে পাঞ্জাবও। দিল্লি-কাটরা বন্দেভারত-সহ ১৮টি ট্রেন স্থগিত করা হয়েছে।

    বৈষ্ণোদেবী যাত্রা বন্ধ, ২৪ জনের দেহ শনাক্ত

    দুর্যোগে জম্ম-কাশমীরে অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই পুণ্যার্থী। বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার জম্মুর রেইসি জেলায় অর্ধকুঁয়ারীতে ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয়ের কাছে ধস নামে। ওই ধসের জেরে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া জম্মুর ডোডা জেলায় বৃষ্টি এবং হড়পা বানের জেরে চার জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বৈষ্ণোদেবীর পথে ধসে নিহতদের দেহ কাটরা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে জম্মুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঞ্জাব, দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা রয়েছেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য বৈষ্ণোদেবী যাত্রা বন্ধ রয়েছে।

    নিহতদের পরিবারপিছু ৯ লক্ষ আর্থিক সহায়তা

    ধস নেমে পূণ্যার্থীদের মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বুধবার এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে মোদি লেখেন, ‘বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাওয়ার পথে ভূমিধসে প্রাণহানির ঘটনা দুঃখজনক। শোকাহত পরিবারগুলির প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতরা দ্রুত আরোগ্য লাভ করুক। প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত সকলকে সহায়তা করছে। সকলের নিরাপত্তা ও মঙ্গল কামনা করি।’ কাটরার এক হাসপাতালে ১৩ জন আহত পুণ্যার্থী ভর্তি রয়েছেন। বুধবার তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যান জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিং। আহতদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন তিনি। তাঁদের পরিবারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দেন। এ ছাড়া নিহতদের পরিবারপিছু ৯ লক্ষ আর্থিক সহায়তারও ঘোষণা করেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর।

    জম্মুতে রেকর্ড বৃষ্টি

    জম্মুতে গত ১১৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে মঙ্গলবার। আধিকারিক সূত্রে খবর, জম্মুতে মঙ্গলবার ৩৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ১৯১০ সালে জম্মুতে বৃষ্টিপাত পরিমাপের ব্যবস্থা শুরু হয়। তার পর থেকে সেখানে ২৪ ঘণ্টায় এত বৃষ্টি দেখা যায়নি। এর আগে ১৯৮৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ২৭০.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল জম্মুতে। জম্মুতে তাওয়ি নদীর উপর এক সেতু হড়পা বানে ভেঙে গিয়েছে। শ্রীনগরে ঝিলম নদী প্রায় কানায় কানায় ভরে গিয়েছে। নদীর জলস্তর বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কাশ্মীরে ২০১৪ সালের বন্যার কথা মাথায় রেখে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করছে শ্রীনগরের প্রশাসনও।

    উদ্ধারে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী

    হড়পা বান এবং ভূমিধসের কারণে জম্মু-পাঠানকোট, জম্মু-শ্রীনগর এবং বাতোতে-ডোডা-কিশ্তওয়ার সংযোগকারী জাতীয় সড়কেও কিছু কিছু অংশে যান চলাচলও সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছে। গত তিন দিনের ভারী বর্ষণের জেরে জম্মুর বেশ কিছু জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলা এবং উদ্ধার অভিযানে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল, পুলিশ এবং সেনা। আটকে পড়া মানুষদের নৌকায় করে উদ্ধার করা হচ্ছে। জম্মুর বিভিন্ন নীচু এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কাশ্মীরের সব স্কুল-কলেজও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    হিমাচলে হাহাকার

    এ বছর দেশের সর্বত্রই বৃষ্টি হয়েছে ভয়ঙ্করভাবে। প্রবল বৃষ্টি এবং ভূমিধসে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশের জনজীবন। একটানা বৃষ্টি ও ভূমিধসের জেরে রাজ্যের একাধিক জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি রাজ্যে রাজ্যে। মানালিতে প্রবল বর্ষণ, বন্যা পরিস্থিতি বিয়াসে। চরম বৃষ্টির জেরে দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে। হাইওয়ে সব গিলে খেয়েছে নদী। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক ব্যবস্থা। কোথাও ভেঙে পড়েছে পাহাড়ের একাংশ। কোথাও দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে পাহাড়। হিমাচল প্রদেশ রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে খবর, সে রাজ্যের প্রায় ৩৭৪টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি, ৫২৪টি ট্রান্সফরমার এবং ১৪৫টি জল সরবরাহের পাইপলাইন অকেজো হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও, ভূমিধসের কারণে ৩০৫ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং ৫ নম্বর জাতীয় সড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।

    চলবে বৃষ্টি

    উত্তর ভারতে বৃষ্টির জেরে নানা ভাবে চলতি বছরে ৩৬৯ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এই দুর্যোগে সরকারি সম্পত্তির মোট আনুমানিক ক্ষতি ২.৪৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। ব্যক্তিগত সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, ৩২৪টি বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৩৯৬টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হাজার হাজার দোকান, গোয়ালঘর এবং অন্যান্য কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রিপোর্টে ১,৮৪৬টিরও বেশি গবাদি পশু এবং ২৫,৭৫৫টি হাঁস-মুরগির ক্ষতির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী দুই তিন দিন মানালি ছাড়াও আবহাওয়া দফতর কাংরা উপত্যকা, চাম্বা ও লাহুল-স্পিতি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়াও উনা, হামিরপুর, বিলাসপুর, সোলান, মান্ডি, কুলু ও শিমলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজ্যের অন্য প্রান্তে জারি রয়েছে হলুদ সতর্কতা।

  • Canada: কার্নি জমানায় কানাডাভূমে আস্ত দূতাবাস খুলে ফেলল খালিস্তানপন্থীরা!

    Canada: কার্নি জমানায় কানাডাভূমে আস্ত দূতাবাস খুলে ফেলল খালিস্তানপন্থীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলেছে জমানা। বদলায়নি কানাডা (Canada)। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর শাসনে সে দেশে বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল খালিস্তানপন্থীদের (Khalistan Board)। ট্রুডোর পরে কাডানার কুর্সিতে বসেছেন মার্ক কার্নি। তার পরেও একটুও বদলায়নি কানাডায় খালিস্তানপন্থীদের হম্বিতম্বির ছবিটা।

    রিপাবলিক অফ খালিস্তান’ (Canada)

    ফেরা যাক খবরে। এবার কানাডার সারে শহরে ‘শিখস ফর জাস্টিস’(SFJ) নামক খালিস্তানপন্থী সংগঠন এবং গুরু নানক শিখ গুরুদ্বারের সহযোগিতায় স্থাপন করা হয়েছে ‘খালিস্তানের দূতাবাস’। এজন্য ‘রিপাবলিক অফ খালিস্তান’ লেখা একটি সাইনবোর্ড-সহ এই তথাকথিত দূতাবাসটি গুরুদ্বার চত্বরে একটি ভবনের ভিতরে খোলা হয়েছে। এই ভবনটি আবার ব্যবহৃত হয় কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের স্থানীয়রা জানান, যে ভবনে দূতাবাসটি স্থাপন করা হয়েছে, সেটি ব্রিটিশ কলাম্বিয়া সরকারের অর্থে নির্মিত। তাঁরা এও বলেন, সম্প্রতি ব্রিটিশ কলাম্বিয়া সরকার ওই ভবনে লিফট বসানোর জন্য ১,৫০,০০০ মার্কিন ডলার দিয়েছে।

    কী বলেছিল কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা

    চলতি বছরের জুন মাসে কানাডার শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (CSIS) প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে যে খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা এখনও কানাডার মাটি ব্যবহার করছে তাদের প্রচার, অর্থ সংগ্রহ এবং হিংসার পরিকল্পনা করার ঘাঁটি হিসেবে, যার প্রধান টার্গেট ভারত। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ, “খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা এখনও কানাডাকে একটি ঘাঁটি হিসেবেই ব্যবহার করছে—প্রচার, অর্থ সংগ্রহ এবং মূলত ভারতে হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালানোর জন্য।” সংবাদ মাধ্যমের এই প্রতিবেদনের আগেই (Khalistan Board) কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস তাদের সর্বশেষ বাৎসরিক প্রতিবেদনের একটি অংশে বলেছিল, কানাডার অভ্যন্তরে বিদেশি হস্তক্ষেপ এবং চরমপন্থী কার্যকলাপ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষত ভারতের সঙ্গে তাদের সংবেদনশীল কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে (Canada)।

    খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীদের কার্যকলাপে উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরেই ভারত কানাডার মাটি থেকে পরিচালিত খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীদের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। আটের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে কানাডায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সহিংস চরমপন্থার হুমকি মূলত প্রকাশ পেয়েছে কানাডাভিত্তিক খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীদের মাধ্যমে। এরাই ভারতের পাঞ্জাবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ‘খালিস্তান’ গঠনের লক্ষ্যে সহিংস পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল। ইন্ধন জোগাচ্ছিল ওই আন্দোলনে। পাঞ্জাবের শিখ তরুণদের মগজধোলাইও করা হচ্ছিল। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সহিংস চরমপন্থা এমন একটি মতবাদ, যা নয়া রাজনৈতিক ব্যবস্থা বা বিদ্যমান ব্যবস্থার মধ্যে নতুন কাঠামো বা নিয়ম কায়েমের জন্য হিংসায় উৎসাহ দেয়। এই মতবাদে বিশ্বাসীরা বিশ্বজুড়ে হামলার পরিকল্পনা করে। জোগাড় করে অর্থ। কাজ করে নয়া রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে (Canada)।

    ট্রুডোর আমল বনাম কার্নির জমানা

    ট্রুডোর আমলে মাথাচাড়া দিলেও, কানাডার কার্নি সরকারের আমলেই ‘দূতাবাস’ খুলে বসেছে খালিস্তানপন্থীরা। নাম দেওয়া হয়েছে ‘রিপাবলিক অফ খালিস্তান’। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন গোয়েন্দা স্থংস্থা এই দূতাবাসের ওপর কড়া নজর রাখছে। কারণ এটি যারা খুলেছে, তারা ভারতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন শিখস ফর জাস্টিসের সদস্য। এই প্রতীকী ‘দূতাবাস’ আবার হরদীপ সিং নিজ্জরকে প্রকাশ্যে সমর্থন করছে। কিছুদিন আগেই শিখ গণভোট আয়োজনের কথা জানিয়েছিল শিখস ফর জাস্টিস। তার আগেই কানাডাভূমে তৈরি হয়ে গেল আস্ত একটা ‘দূতাবাস’ (Khalistan Board), এবং তাও আবার কোনও অজ গাঁয়ে নয়, কানাডা প্রশাসনের নাকের ডগায়। খালিস্তানপন্থীদের এহেন কার্যকলাপের ওপর কড়া নজর রাখছে স্থানীয় ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি।

    ভারতবিরোধী কাজকর্ম খালিস্তানপন্থীদের

    কার্নির আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ট্রুডো। তাঁর জমানায় খালিস্তানপন্থীরা সে দেশে ব্যাপকভাবে ভারতবিরোধী কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল। এর মধ্যে ছিল বিতর্কিত কুচকাওয়াজ, হিন্দুদের মন্দিরে তাণ্ডব চালানো, মন্দিরের গায়ে ভারত এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর বিভিন্ন স্লোগানও লেখা হচ্ছিল। করা হয়েছিল ভারতীয় জাতীয় পতাকার অবমাননাও। আর কার্নি জমানায় খুলে ফেলা হল আস্ত একটা ‘দূতাবাস’। প্রকাশ্যে আসা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, খালিস্তানপন্থীরা গুরুদ্বারে ঢোকার ঠিক পাশেই টাঙিয়েছে ‘রিপাবলিক অফ খালিস্তান’ লেখা বোর্ড (Canada)।

    ২০২৩ সালের ১৮ জুন ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের এই সারে শহরেই (Khalistan Board) খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে খুন করে অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীরা। বছর পঁয়তাল্লিশের নিজ্জর কানাডায় শিখস ফর জাস্টিসের প্রধান ছিলেন। ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। সংসদে দাঁড়িয়ে ওই ঘটনায় ভারতকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন ট্রুডো স্বয়ং। অভিযোগ অস্বীকার করেছিল নয়াদিল্লি। এদিকে, ২০২৪ সালের মে মাসে কানাডা পুলিশ নিজ্জর খুন এবং তাকে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার করে তিন ভারতীয়কে। সেই মামলার শুনানি এখনও চলছে কানাডার আদালতে। এই আবহেই তৈরি হয়ে গেল ‘দূতাবাস’ (Canada)।

  • An Unsung Indian: নাৎসিদের হাত থেকে ইহুদিদের বাঁচাতে কুন্দনলালের অবদান সম্পর্কে জানেন?

    An Unsung Indian: নাৎসিদের হাত থেকে ইহুদিদের বাঁচাতে কুন্দনলালের অবদান সম্পর্কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তোমায় একটা গোপন কথা বলি। তোমার দাদু নাৎসিদের হাত থেকে ইহুদি পরিবারগুলিকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন।” মায়ের মুখ থেকে শোনা এই একটিমাত্র বাক্যই বিনয় গুপ্তকে ঠেলে দিয়েছিল তাঁর দাদুর অতীত খুঁজে বের করার কাজে হাত দিতে। শেষমেশ (An Unsung Indian) তিনি যা আবিষ্কার করেন, তা কল্পনার চেয়েও বেশি নাটকীয় — এক ভারতীয় ব্যবসায়ীর অজানা বীরত্বগাথা, যিনি ইউরোপের সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে (Austrian Jews) অপরিচিত মানুষদের প্রাণ বাঁচাতে বাজি রেখেছিলেন নিজের সব কিছু।

    ঝুঁকি এবং দৃঢ় সংকল্পের গল্প (An Unsung Indian)

    এটি শুধুমাত্র সহানুভূতি কুড়নোর কোনও গল্প নয়, বরং একটি পরিকল্পনা, ঝুঁকি এবং দৃঢ় সংকল্পের গল্প। ভারতে ফিরে এসে কুন্দনলাল ইহুদিদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন, তাঁদের মাথা গোঁজার জন্য ঘর বানিয়ে দিয়েছিলেন। এরপরেই ব্রিটিশরা তাঁদের ‘শত্রু বিদেশি’ বলে ঘোষণা করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতেই আটক করা হয় তাঁদের। কুন্দনলালের জীবনটা যেন একটা আস্ত মহাকাব্য। লুধিয়ানার এক হত দরিদ্র ছেলের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় মাত্র ১৩ বছর বয়সে। সংসার চালাতে তিনি কাঠ, নুন থেকে শুরু করে পরীক্ষাগার সরঞ্জাম ও বলগাড়ির চাকা পর্যন্ত সব কিছু বিক্রি করেন। পরে কাপড়ের ব্যবসা এবং একটি দেশলাই কারখানাও চালান। লাহোরে ক্লাসে ফার্স্ট হয়ে ২২ বছর বয়সে ঔপনিবেশিক সিভিল সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলেন। পরে সব ছেড়েছুড়ে দিয়ে যোগ দেন স্বাধীনতা আন্দোলনে। নিজেকে নিয়োজিত করেন শিল্প গড়ার কাজে।

    “আ রেসকিউ ইন ভিয়েনা”

    “আ রেসকিউ ইন ভিয়েনা” নামে এক পারিবারিক স্মৃতিচারণে বিনয় আবিষ্কার করেন বিদেশের মাটিতে তাঁর দাদুর এই অসাধারণ উদ্ধার অভিযানের কাহিনি। ১৯৩৮ সালে হিটলারের অস্ট্রিয়া দখলের ছায়ায়, পাঞ্জাবের লুধিয়ানা শহরের মেশিন টুল প্রস্তুতকারী কুন্দনলাল গোপনে ইহুদিদের ভারতে চাকরির অফার দেন, যাতে তাঁরা জীবনরক্ষাকারী ভিসা পেতে পারেন। তিনি তাঁদের কাজ দেন, জীবিকার ব্যবস্থা করেন, এমনকি তাঁদের জন্য ভারতে ঘরও বানিয়ে দেন। সব মিলিয়ে কুন্দনলাল মোট ৫টি পরিবারকে উদ্ধার করেছিলেন। ফ্রিট্‌জ ওয়েইস একজন বছর তিরিশের ইহুদি আইনজীবী। প্রাণ বাঁচাতে অসুস্থতার ভান করে তিনি লুকিয়েছিলেন একটি হাসপাতালে। অসুস্থতার কারণে সেখানে ভর্তি ছিলেন কুন্দনলালও। নাৎসিরা যখন ওয়েইসকে বাধ্য করেছিল নিজের বাড়ির সামনের বিভিন্ন রাস্তা পরিষ্কার করতে, তখন কুন্দনলাল তাঁকে (Austrian Jews) “কুন্দন এজেন্সিজ” নামের এক কাল্পনিক প্রতিষ্ঠানে চাকরির অফার দেন। এই অফারের পেতেই ওয়েইস ভারতে ভিসা পান (An Unsung Indian)।

    কুন্দনলালের সঙ্গে সাক্ষাৎ

    আলফ্রেড ভাখ্‌সলার দক্ষ কাঠের কারিগর। এই ইহুদি যুবকও হাসপাতালে গিয়ে কুন্দনলালের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর পরিবারও চলে আসেন ভারতে। হান্স লোশ ছিলেন টেক্সটাইল প্রযুক্তিবিদ। একটি অস্ট্রিয়ান পত্রিকায় কুন্দনলালের দেওয়া বিজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে লুধিয়ানায় তাঁর কাল্পনিক “কুন্দন ক্লথ মিলসে” চাকরি দেওয়া হয় তাঁকে। নবজীবন লাভ করেন এই ইহুদিও। আলফ্রেড শাফ্‌রানেক নিজেই একসময় ৫০ জন কর্মচারীর একটি প্লাইউড কারখানার মালিক ছিলেন। কুন্দনলালের কাছে নিজের দক্ষতার কথা জানান তিনি। তার পরেই ভারতের সবচেয়ে আধুনিক প্লাইউড ইউনিট তৈরির কাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পান আলফ্রেড। তাঁর পুরো পরিবারও একইভাবে রক্ষা পেয়েছিল নাৎসিদের হাত থেকে।

    ত্রাতার ভূমিকায় কুন্দনলাল

    সিগমুন্ড রেটার ব্যবসা করতেন যন্ত্র সরঞ্জামের। তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ হয় কুন্দনলালের। নাৎসি শাসনে ব্যবসা লাটে উঠলে কুন্দনলাল তাঁর ভারতে আসার ব্যবস্থা করে দেন। এসবই শুরু হয়েছিল অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার একটি হাসপাতালের বিছানা থেকে। এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন (Austrian Jews) থাকার সময়ই কুন্দনলাল জানতে পারেন ইহুদিদের বিরুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বাড়তে থাকা হিংসা ও জীবনজীবিকা ধ্বংসের কথা (An Unsung Indian)। পরবর্তী কয়েক মাসে তিনি আরও কিছু মানুষের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের বাঁচাতে ফের দক্ষ কর্মী চাই বলে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেন কুন্দনলাল। সেই বিজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে যাঁরা ভারতে এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন ওয়াখ্সলার, লসচ, শাফ্রানেক এবং রেটারও। কুন্দনলাল এঁদের প্রত্যেককে চাকরি, আর্থিক নিশ্চয়তা এবং ভারতীয় ভিসা পেতে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন।

    বিনয় গুপ্তর বক্তব্য

    বিনয় লেখেন, “এই সব পরিবারগুলির জন্য কুন্দনলালের এত জটিল পরিকল্পনার একটি বিস্ময়কর দিক ছিল তাঁর গোপনীয়তা — তিনি সব সময় এটিকে ভারতের প্রযুক্তি স্থানান্তরের একটি প্রচেষ্টা বলে তুলে ধরতেন। তিনি তাঁর ইচ্ছা বা পরিকল্পনার কথা কোনও ভারতীয় বা ব্রিটিশ আধিকারিকের সঙ্গে শেয়ার করেননি। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও তা জানতে পারেন কুন্দনলাল বাড়ি ফিরে এলে (An Unsung Indian)।” ১৯৩৮ সালের অক্টোবরে লসচ ছিলেন কুন্দনলালের ডাকা প্রথম ব্যক্তি যিনি লুধিয়ানায় পৌঁছন। বিনয় লেখেন, তাঁকে কুন্দনলালের (Austrian Jews) বাড়িতে স্বাগত জানানো হয়। কিন্তু ইহুদি কোনও সমাজ না থাকায়  এবং কুন্দনলালের বস্ত্রকলের বিপর্যস্ত দশা দেখে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই লসচ তৎকালীন বোম্বেয় চলে যান। ওয়েইস টিকেছিলেন দুমাসেরও কম। তাঁর জন্য যে কোম্পানিটি তৈরি করা হয়েছিল, ‘কুন্দন এজেন্সি’, সেটি কোনওদিন চালুই হয়নি। তিনিও দ্রুত বোম্বে চলে যান। তাঁরা চলে যাওয়ার পরেও কুন্দনলালের কোনও ক্ষোভ ছিল না। বিনয় লেখেন, “আমার পিসি আমায় বলেছিলেন, বরং কুন্দনলাল লজ্জিত ছিলেন এই ভেবে যে তিনি ভিয়েনার মতো জীবনধারা বা সামাজিক পরিবেশ দিতে পারেননি, এবং তিনি মনে করতেন যদি দিতে পারতেন, তাহলে এই দুই ব্যক্তি হয়তো লুধিয়ানায়ই থেকে যেতেন।”

    লুধিয়ানায় ইহুদি পরিবার

    আলফ্রেড এবং লুসি ভ্যাক্সলার তাঁদের ছোট ছেলেকে নিয়ে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে শেষমেশ লুধিয়ানায় এসে পৌঁছন। তাঁরা ওঠেন একটি বিরাট বাড়িতে, যেটি কুন্দনলাল তাঁদের জন্য বানিয়েছিলেন। পাশেই আর একটি বাড়ি যেটি তৈরি হয়েছিল শাফরানেক পরিবারের জন্য। ১৯৩৯ সালের মার্চ মাসে অস্ট্রিয়া থেকে আলফ্রেড শাফরানেক, তাঁর ভাই সিগফ্রিড এবং তাঁদের পরিবার নিয়ে লুধিয়ানায় পৌঁছন। তাঁরা চালু করেন ভারতের অন্যতম প্রাচীন প্লাইউড কারখানা (An Unsung Indian)। ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরে হিটলার পোল্যান্ড আক্রমণ করেন। এর ক’দিনের মধ্যেই ব্রিটেন জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। আর ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভারতকে সেই যুদ্ধে জোরপূর্বক টেনে নিয়ে যায়। এই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ২৫ লাখেরও বেশি ভারতীয়, যাঁদের মধ্যে ৮৭ হাজার জন আর ফিরে আসেননি।

    বন্দি শিবিরে জার্মানরা

    ১৯৪০ সালের মধ্যে নয়া নিয়মে সব জার্মান নাগরিককে পাঠানো হয় বন্দি শিবিরে। ওয়াখসলার ও শাফরানেকের পরিবারকে জোর করে পুনার (বর্তমান পুণে) নিকটবর্তী পুরানধর ইন্টার্নমেন্ট ক্যাম্পে স্থানান্তরিত করা হয়। করাচিতে চাকরি পাওয়ায় ওয়াখসলার পরিবার ১৯৪২ সালে ক্যাম্প ছাড়েন। ১৯৪৮ সালে আলফ্রেড ওয়াখসলারের এক খুড়তুতো ভাই তাঁদের পরিবারের জন্য আমেরিকায় শরণার্থী ভিসার ব্যবস্থা করেন। তার পরেই চিরতরে ভারত ছেড়ে চলে যান তাঁরা। শাফরানেক পরিবার ১৯৪৭ সালে চলে যান অস্ট্রেলিয়ায়। বিনয় লেখেন, “মাত্র ১০ বছর বয়সে মার্কিন (Austrian Jews) যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালেও, আজ তাঁর বয়স আশির কোঠায়, অ্যালেক্স ওয়াখসলার এখনও ভারতের জীবনকে গভীরভাবে মিস করেন, ভারতীয় রেস্তোরাঁয় খেতে ভালোবাসেন, ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করে খুশি হন এবং উর্দু ভাষায় তাঁর জ্ঞান দিয়ে তাঁদের চমকে দেন (An Unsung Indian)।”

    মেয়েদের জন্য স্কুল

    লুধিয়ানায় কুন্দনলাল তাঁর মেয়েদের জন্য বাড়িতেই একটি স্কুল তৈরি করেছিলেন। সেই স্কুলে বর্তমানে ৯০০ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। ১৯৬৫ সালে ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় কুন্দনলালের স্ত্রী সরস্বতীর। এর ঠিক এক বছর পরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কুন্দনলাল। বিনয় লেখেন, “‘নীরব দর্শক’ হওয়া কুন্দনলালের চরিত্রে ছিল না। যদি তিনি কিছু দেখতেন বা কারও যার যত্নের প্রয়োজন, তিনি তৎক্ষণাৎ এগিয়ে আসতেন। সমস্যা তাঁকে কখনও ভয় দেখাতে পারেনি (An Unsung Indian)।”

     

  • Indus River: পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানায় ব্যবহার হবে সিন্ধুর জল! ১১৩ কিমি খাল তৈরি করবে কেন্দ্র

    Indus River: পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানায় ব্যবহার হবে সিন্ধুর জল! ১১৩ কিমি খাল তৈরি করবে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পরেই সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে ভারত সরকার। এর পরেই এই নদীর জলকে (Indus River) কীভাবে দেশের কাজে আরও বেশি করে লাগানো যায়, সে পরিকল্পনাই করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে এনিয়ে একাধিক পদক্ষেপও গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে দিল্লিকে। এই আবহে আরও এক পরিকল্পনার কথা সামনে এসেছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, এবার পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে সিন্ধু নদের জলকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে চাইছে ভারত সরকার। এজন্য ১১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি খাল তৈরি করার পরিকল্পনা চলছে। এ নিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। এই খালটি চেনাব নদীকে সিন্ধুর অন্যান্য উপনদীর সঙ্গে যুক্ত করবে।

    কী বলছেন অমিত শাহ?

    এই প্রকল্পের (Indus River) লক্ষ্য হল সিন্ধুর জলকেব্যাপকভাবে কাজে লাগানো এবং পাকিস্তানে অতিরিক্ত জলপ্রবাহ রোধ করা। শনিবারই রাজস্থানে বিজেপির একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই তিনি এই পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে এই খালের মাধ্যমে রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরে সিন্ধুর জল নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি আরও জানান, পাকিস্তান সিন্ধুর প্রতিটি বিন্দু জলের জন্য আকুলভাবে প্রার্থনা করবে।

    অন্যান্য ১৩টি খালের সঙ্গে যুক্ত করা হবে (Indus River)

    প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, এই প্রস্তাবিত খাল জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থান জুড়ে বিস্তৃত অন্যান্য ১৩টি খালের সঙ্গে যুক্ত হবে। মনোহর পারিক্কর ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালিসিস-এর একজন সিনিয়র ফেলো উত্তম সিনহা এই বিষয়ে বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনশীলতা এবং পরিবর্তিত বৃষ্টিপাতের ধরন মোকাবিলায় এই খাল কার্যকরী হবে। একইসঙ্গে ওই বিশেষজ্ঞ আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) এমন উদ্যোগের ফলে আঞ্চলিক যে বৈষম্যতা তাও দূর হবে। জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার রণবীর খালের দৈর্ঘ্য ৬০ কিলোমিটার থেকে ১২০ কিলোমিটার (Indus River) করার কথাও ভাবনা-চিন্তা করছে।

  • Golden Temple: স্বর্ণমন্দির লক্ষ্য করে মিসাইল-ড্রোন হামলা পাকিস্তানের! কীভাবে রুখল ভারত, ভিডিও প্রকাশ সেনার

    Golden Temple: স্বর্ণমন্দির লক্ষ্য করে মিসাইল-ড্রোন হামলা পাকিস্তানের! কীভাবে রুখল ভারত, ভিডিও প্রকাশ সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃতসরের বিখ্যাত স্বর্ণমন্দির (Golden Temple) ধ্বংসের লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ঐতিহাসিক এই মন্দিরের গায়ে একটি আঁচড়ও লাগেনি। কারণ পাক মিসাইল আর ড্রোন হামলার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। অপারেশন সিঁদুরের জবাবে ভারতে পাল্টা হামলার ছক কষেছিল পাকিস্তান। ড্রোন হামলার চেষ্টা হয়েছিল স্বর্ণ মন্দিরেও। গত ৮ মে ভোররাতে পাকিস্তান ড্রোন ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালায়। তবে ভারতীয় সেনা আগে থেকেই প্রস্তুত থাকায় তা প্রতিহত হয়। ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা বলয় এক ইঞ্চিও ক্ষতি হতে দেয়নি পবিত্র এই ধর্মস্থানের।

    কীভাবে প্রতিহত হল হামলা

    পাক সেনার ছক প্রতিহত করেছে ভারত। ভারতের প্রত্যাঘাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে লাহোরের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ভয় পেয়েছে ইসলামাবাদ। ৫১তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং পদে থাকা মেজর জেনারেল কার্তিক সি শেষাদ্রি জানান, “আমরা জানতাম পাকিস্তান নির্দিষ্ট কোনও টার্গেট পাবে না হামলা চালানোর জন্য। তাই ওরা ভারতীয় সেনার ঘাঁটি এবং জনবসতিতে হামলা করবে। জনবসতির মধ্যে থাকা ধর্মস্থানেও পাক হামলার প্রবল সম্ভাবনা ছিল। ধর্মস্থানের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত স্বর্ণমন্দির (Golden Temple)। তাই ৮ মে অমৃতসর লক্ষ্য করে হামলা শুরু হতেই আমরা স্বর্ণমন্দির সুরক্ষিত রাখতে একটি ছাতা গড়ে তুলি।” মেজর জেনারেল শেষাদ্রি আরও জানান, মূলত ড্রোন এবং দূরপাল্লার মিসাইলের মাধ্যমে ওইদিন হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেটা রুখতে পুরোপুরি তৈরি ছিল সেনা। তাঁর কথায়, “আমাদের সাহস এবং সতর্কতা পাক সেনার জঘন্য ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে। পাকিস্তানের প্রত্যেকটি ড্রোন এবং মিসাইলকে গুলি করে নামানো হয়েছে। স্বর্ণমন্দিরের কোনও ক্ষতি হয়নি।”

    ভিডিও প্রকাশ সেনার

    কীভাবে পাক হানা রুখে দেওয়া হল, তার বিশদ বিবরণ দিয়ে সোমবার একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয় সেনার তরফে। সেখানে আকাশ মিসাইল সিস্টেম, এল-৭০ এয়ার ডিফেন্স গানের ব্যবহার দেখানো হয়েছে। অমৃতসর-সহ পাঞ্জাবের অন্যান্য শহরগুলিকে রক্ষা করেছিল এই সিস্টেমই। কীভাবে পাক হামলার সামনে দুর্ভেদ্য প্রাচীর গড়েছে সেনা, তুলে ধরা হয়েছে সেনার প্রকাশিত এই ভিডিওতে। পাকিস্তান মূলত ড্রোন, লয়টারিং মিউনিশন ও দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালায়। কিন্তু ভারতের প্রতিরক্ষা গঠনতন্ত্র ২৪ ঘণ্টা নজরদারি ও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে সক্ষম হওয়ায় সব ধরনের হুমকিকে আগেভাগেই ধ্বংস করে দেয়। ভারতের ৩৬ জায়গায় হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। প্রতি বারই পাকিস্তানের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে ভারতীয় বাহিনী। ৩০০ থেকে ৪০০ বার ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে সেই হামলা প্রতিহত করেছে ভারতীয় সেনা। বেশ কয়েকটি পাক ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, পাঞ্জাব-গুজরাট-রাজস্থানে জারি হাই অ্যালার্ট

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, পাঞ্জাব-গুজরাট-রাজস্থানে জারি হাই অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র (Operation Sindoor) পর কমপক্ষে তিনটি সীমান্তবর্তী রাজ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে (Air Defence)। এই রাজ্যগুলি হল পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাট। এই রাজ্যগুলিতে সব সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে স্পর্শকাতর বিভিন্ন এলাকায়।

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। এই যে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে ভারত হামলা চালিয়েছে, সেগুলির মধ্যে কয়েকটি সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাডও রয়েছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে জৈশ-ই-মহম্মদ ও মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে  টার্গেট করে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত।

    পাঞ্জাবে সতর্কতা জারি (Operation Sindoor)

    ৫৩২ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্তবিশিষ্ট পাঞ্জাব প্রথম থেকেই কড়া সতর্কতার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার মন্ত্রী অমান আরোরা ঘোষণা করেন, সমস্ত সীমান্তবর্তী জেলাকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে এবং সাবধানতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকারি অনুষ্ঠান-সহ সব ধরনের জনসমাবেশ বাতিল করা হচ্ছে। বিবৃতি জারি করে তিনি বলেন, “পাঞ্জাবের মানুষ সেনার পিছনে একজোট হয়ে রয়েছে। জাতির অখণ্ডতা যখনই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে, পাঞ্জাবিরা জীবন দিতেও পিছপা হয় না।”

    পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এসবিএস নগর ও জলন্ধরে তাঁর নির্ধারিত মাদকবিরোধী কর্মসূচি বাতিল করেছেন। এদিকে, পাঞ্জাব পুলিশকে দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা সারি হিসেবে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। কোনও আকস্মিক ঘটনার মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাঞ্জাব সমন্বয় রেখে চলছে বলেও জানান প্রশাসনের কর্তারা। আরোরা বাসিন্দাদের প্রতি সরকারি নির্দেশ সাবধানে মেনে চলতে এবং বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়ানো এড়াতে অনুরোধ করেছেন (Air Defence)।

    ধ্বংসাবশেষ মিলেছে পাঞ্জাবের গ্রামে

    এদিকে, পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। এর পরপরই ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা সন্দেহভাজন পাকিস্তানি প্রজেক্টাইলগুলিকে সফলভাবে প্রতিহত করেছে। পাক ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষগুলি পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী গ্রামে এসে পড়েছে। প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব রাজ্যটি পাক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার একেবারে গোড়ায় অবস্থিত। ফলে, এখানে হামলার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

    ছুটি বাতিল

    এদিকে, রাজ্য পুলিশ সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে পাঞ্জাব। রাজ্য সরকার ছ’টি সীমান্তবর্তী জেলায় স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী ৬টি জেলা – ফিরোজপুর, পাঠানকোট, ফাজিলকা, অমৃতসর, গুরুদাসপুর এবং তারন তারানের সমস্ত স্কুল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে (Operation Sindoor)। রাজস্থানে, পাকিস্তানের সঙ্গে ১,০৩৭ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে রাজ্য প্রশাসন জরুরি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ১০ মে পর্যন্ত কিশানগড় ও যোধপুর বিমানবন্দর বন্ধ রাখার পাশাপাশি বিএসএফের শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সক্রিয় করা হয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট (Air Defence)।

    ৪ ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাকআউট

    বারমের, জয়সলমির, যোধপুর, বিকানের ও শ্রী গঙ্গানগর জেলার সব স্কুল, অঙ্গনওয়াডি ও কোচিং সেন্টার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জয়সলমিরে মধ্যরাত থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাকআউট করা হয়। এদিনের সমস্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে এবং সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে সদর দফতরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। রাজ্যের হাসপাতালগুলিকে রক্ত ও জরুরি ওষুধ মজুত রাখতে বলা হয়েছে। জ্বালানি স্টেশনগুলিকে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামগুলি খালি করার পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা কালেক্টরদের সীমান্তবর্তী সংবেদনশীল স্থান চিহ্নিত করে সুরক্ষিত করতে এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখতে বলা হয়েছে (Operation Sindoor)।

    গুজরাটেও জারি হাই অ্যালার্ট

    গুজরাটের কচ্ছ জেলা-সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ভুজ ও রাজকোট বিমানবন্দর থেকে সব অসামরিক বিমান পরিষেবা তিনদিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এবং এখন কেবলমাত্র সামরিক বিমান ব্যবহার করছে এই এয়ারবেসগুলি। জামনগর, হালার সৈকত এবং অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় মেরিন পুলিশ, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ, টাস্কফোর্স কমান্ডোদের মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি স্পর্শকাতর এলাকায় চলছে নিরাপত্তা তল্লাশি (Operation Sindoor)। আহমেদাবাদ রেল স্টেশনেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রেলওয়ে প্রোটকশন ফোর্স, সরকারি রেল পুলিশ এবং কুইক রিঅ্যাকশন টিম যৌথ টহল দিচ্ছে। লাগেজ স্ক্রিনিং, অ্যান্টি-সাবোটাজ ড্রিল এবং ফ্ল্যাগ মার্চ চালানো হয়েছে (Air Defence)।

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরকে ভারতের একটি কৌশলগত সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এর জেরে দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চরম সতর্কতা বজায় রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার (Operation Sindoor)।

  • FBI Arrested Punjab Terrorist: এফবিআইয়ের জালে পাঞ্জাবে গ্রেনেড হামলার চক্রী খালিস্তানি জঙ্গি হরপ্রিত সিং

    FBI Arrested Punjab Terrorist: এফবিআইয়ের জালে পাঞ্জাবে গ্রেনেড হামলার চক্রী খালিস্তানি জঙ্গি হরপ্রিত সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি হরপ্রিত সিং (Harpreet Singh) ওরফে হ্যাপি পাসিয়াকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে আমেরিকা (FBI Arrested Punjab Terrorist)। পাঞ্জাবে গত ৬ মাসে অন্তত ১৪টি গ্রেনেড হামলার চক্রী হ্যাপি কানাডা থেকে অবৈধভাবে আমেরিকায় ঢুকেছিল। তাকে খুঁজছিল এনআইএ-ও। অবশেষে সেই হ্যাপি পাসিয়াকে গ্রেফতার করেছে আমেরিকার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট। এনআইএ সূত্রে খবর, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় পাঞ্জাবে হামলা চালিয়েছিল হরপ্রীত সিং। তাকে ধরার জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এই গ্যাংস্টার সম্পর্কে কোনও তথ্য দেওয়া হলেই ওই টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছিল এনআইএ।

    হরপ্রিত সিং এর পরিচয়

    পাঞ্জাবের অমৃতসরের আজনালা তহসিলের বাসিন্দা হরপ্রিত সিং (Harpreet Singh) ওরফে হ্যাপি। ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর, একটি মামলায় তাকে ফেরার আসামি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এদেশে তার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা চলছে। তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ, মাদক আইন ও অবৈধ অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, পাসিয়া পাকিস্তানি গ্যাংস্টার থেকে জঙ্গি হওয়া হরবিন্দর সিং সাঁধু ওরফে রিন্ডার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার সঙ্গে পাক চর সংস্থা আইএসআই এবং নিষিদ্ধি জঙ্গি সংগঠন বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের যোগাযোগ ছিল। তাদের হয়েও বেশ কয়েকটি অপারেশন চালিয়েছিল পাসিয়া। গোড়ার দিকে ছিল গ্যাংস্টার, পরে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয় পাসিয়া।

    বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক

    বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল (বিকেআই) খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত একটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন, যারা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে। এই সংগঠনটি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮০-এর দশকে পাঞ্জাবে জঙ্গি কার্যকলাপে সক্রিয় ছিল। ১৯৮৫ সালে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৮২-এর বোমা হামলা, যাতে ৩২৯ জন নিহত হয়েছিল, বিকেআই-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল। সংগঠনটি বর্তমানে পাকিস্তান, আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপে সক্রিয় এবং পাকিস্তানের আইএসআই-এর সমর্থনে কাজ করে।

    পাঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে শত্রুতা

    ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে চণ্ডীগড়ে এক অবসরপ্রাপ্ত পাঞ্জাব পুলিশ অফিসারের বাড়িতে গ্রেনেড হামলায় অভিযুক্ত ছিল পাসিয়া। হরপ্রিত এবং রিন্ডা মিলে এই গ্রেনেড হামলার লজিস্টিক সহযোগিতা, তহবিল এবং অস্ত্র সরবরাহ করেছে। এছাড়াও পাঞ্জাবে পুলিশের উপরেও একাধিক হামলা চালানোর অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। ওই হামলা করার পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে তার দায় স্বীকার করত হ্যাপি পাসিয়া। পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে অমৃতসর এবং অন্যান্য এলাকায় পুলিশ এবং পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত বাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়। সেখানে কোথাও গ্রেনেড হামলা হয়। আবার, একাধিক থানার সামনে গ্রেনেড বিস্ফোরণও হয়। এই হামলার পিছনে হরপ্রীত সিং আছে বলে জানতে পারে পুলিশ। তখন থেকেই তার খোঁজ করতে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী।

    পাঞ্জাবে আরও বড় হামলার হুঁশিয়ারি

    গত মার্চ মাসেই অমৃতসরে একটি মোটর সাইকেল লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে দুই জন। তাদের মধ্যে একজন পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে মারা যায়। পাঞ্জাবের এক বিজেপির নেতার বাড়ি ছাড়াও এক ইউটিউবারের বাড়ি লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। এর সঙ্গেও ওই গ্যাংস্টার জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। আগামী দিনে পাঞ্জাবে আরও বড় হামলা এবং বিস্ফোরণ ঘটানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল হ্যাপি।

    এফবিআই-এর উদ্যোগ

    এফবিআই-এর (FBI Arrested Punjab Terrorist) সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলা হয়েছে, “আজ, ভারতের পাঞ্জাবে জঙ্গি হামলার জন্য অভিযুক্ত জঙ্গি হরপ্রীত সিংকে এফবিআই এবং ইআরও স্যাক্রামেন্টোতে গ্রেফতার করেছে। দুটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সে অবৈধভাবে আমেরিকা প্রবেশ করেছিল এবং ধরা এড়াতে বার্নার ফোন ব্যবহার করছিল।” বার্নার ফোন মূলত আত্মগোপনের কাজে ব্যবহৃত অত্যন্ত পুরনো ধাঁচের ফোন। আমেরিকা সহ সারা বিশ্বের আত্মগোপনকারী গুপ্তচর, জঙ্গি, পাচারকারীরা এই ধরনের ফোন ব্যবহার করে থাকে। এই ফোনের কয়েকটি বিশেষত্ব হল, এতে ডিটাচেবল ব্যাটারি থাকে। ফলে ব্যাটারি খুলে নিলে এই ফোনকে ট্র্যাক করা যায় না। এছাড়াও সুইচ বন্ধ করে রাখলেও লোকেশন বোঝা যায় না। ব্যক্তিগত কোনও তথ্যও এতে সংগৃহীত থাকে না।

    হরপ্রীত-এর গ্রেফতারির গুরুত্ব

    ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বিশ্বাস করে যে হরপ্রীত সিং-এর (Harpreet Singh) গ্রেফতার বিকেআই-এর আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করতে পারে। হরপ্রীত সিং-এর গ্রেফতার খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের চলমান লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। পাঞ্জাবে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা এবং আইএসআই-এর সমর্থনে বিকেআই-এর ক্রিয়াকলাপ ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই গ্রেফতার ভারত-আমেরিকার সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতাকে শক্তিশালী করবে এবং পাঞ্জাবে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।

    ভারতে ফেরানোর তোড়জোড়

    এফবিআইয়ের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হ্যাপি পাঞ্জাবে জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ। ভারতের তরফে এনআইএ এবং পাঞ্জাব পুলিশ তার বিরুদ্ধে জঙ্গি হামলার মামলা করে। আমেরিকাকে জানানো হয় যে, সে কানাডা হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপন করে আছে। অপরাধে অভিযুক্ত হিসেবে তার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিসও বের হয়। গ্রেফতারির পর ইন্টারপোলের সাহায্য নিয়ে পাসিয়াকে ভারতে ফেরানোর তোড়জোড় শুরু হবে।

LinkedIn
Share