Tag: Punjab

Punjab

  • Fiscal Health: বাংলা সহ অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য দুর্বল! বলছে গবেষণা

    Fiscal Health: বাংলা সহ অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য দুর্বল! বলছে গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সস্তায় ভোট কুড়োতে খয়রাতি চালু করেছে বাংলার শাসক দল। এতে ঝুলি পূর্ণ হচ্ছে ঘাসফুলের। তবে ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে আর্থিক স্বাস্থ্য (Fiscal Health)। কেবল বাংলা নয়, একই অবস্থা পঞ্জাব এবং কেরলেরও। বলা বাহুল্য, এই তিনটি রাজ্যই শাসন করছে বিজেপি বিরোধী দল। ইএসি-পিএম ও ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের তথ্যে ধরা পড়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি পরিচালিত রাজ্যগুলির কঙ্কালসার দশার ছবি।

    খয়রাতির রাজনীতি

    ফি বার নির্বাচনের আগে নানা রকম প্রতিশ্রুতি দেয় রাজনৈতিক দলগুলি। ভোটের পরে সেগুলি পূরণ করার একটা দায়বদ্ধতা থাকে। আর তা করতে গিয়েই ফতুর হয়ে যায় রাজকোষ। স্বাভাবিকভাবেই দুর্বল হয় আর্থিক স্বাস্থ্য। পশ্চিমবঙ্গের কথাই ধরা যাক। এখানে লক্ষ্মীর ভান্ডারে অনুদান পান মহিলারা। দুর্গাপুজো করতে ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়া হয় মোটা টাকা। এসব করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারের কর্মীদের ডিএ দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। কোনও রাজ্য আবার ভর্তুকিযুক্ত গ্যাস সিলিন্ডার দেয়। নিখরচায় জল, বিদ্যুৎও দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কোনও কোনও রাজ্য। সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও খয়রাতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস। এই সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হলে বিস্তর খরচ করতে হয়। ফাঁকা হয়ে যায় রাজকোষ (Fiscal Health)। বিভিন্ন সময় এই খয়রাতি রাজনীতির কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তাই বিজেপি এই জাতীয় প্রতিশ্রুতি না দিলেও, পদ্ম-বিরোধী দলগুলি দেয়।

    কী বলছে গবেষণা?

    ইএসি-পিএম (প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটি)-এর সদস্য শমিকা রবি ও ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের মুদিত কাপুর ‘ভারতে রাজ্যের বিজেট: ১৯৯০-২০২০ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণমূলক সময়ের প্রবণতা বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এক গবেষণাপত্রে ভারতের রাজ্যগুলির আর্থিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের একমাত্র রাজ্য হিসেবে বিহারের প্রবৃদ্ধির হার ক্রমশ কমেছে। বিহারের প্রকৃত মাথাপিছু আয় ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত অপরিবর্তিত ছিল।

    আরও পড়ুুন: ‘গীতাপাঠ’-এর পোস্টারে গেরুয়া বসনে মোদি, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

    কোনও রাজ্য উন্নয়নমূলক ব্যয় বেশি করলে সেই রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্য ভাল ধরে নেওয়া হয়। ওই গবেষণাপত্র থেকে জানা গিয়েছে, ১৯৯০ সালে উন্নয়ন ব্যয় ছিল প্রায় ৭০ শতাংশ। ২০২০ সালে সেটাই নেমে এসেছে প্রায় ৬০ শতাংশে। পঞ্জাব ও কেরলে উন্নয়ন ব্যয়ের অংশ ৫০ শতাংশেরও কম। অথচ অন্য রাজ্যগুলিতে এটি ৫০ শতাংশের বেশি।

    কেরল ও পঞ্জাবে গত এক দশকে সুদের অর্থ প্রদান ও ঋণ পরিষেবার অংশও বেড়েছে। কেরলে এর পরিমাণ ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ শতাংশ। আর পঞ্জাবে ৩০ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ব্যয়ের সুদ পরিশোধ ও ঋণ দেওয়ার পরিমাণ সর্বভারতীয় স্তরের চেয়ে বেশি। রবির মতে, পঞ্জাব ও কেরলের এই প্রবণতা (উন্নয়ন ব্যয় কমে যাওয়া) তাদের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধ ও বিকাশের জন্য ভাল ইঙ্গিত নয় (Fiscal Health)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Moga: রোগীর পেটের ভিতর থেকে উদ্ধার বাদাম-তার-ইয়ারফোন-সেফটি পিন-রাখি! কপালে চোখ চিকিৎসকদের!

    Moga: রোগীর পেটের ভিতর থেকে উদ্ধার বাদাম-তার-ইয়ারফোন-সেফটি পিন-রাখি! কপালে চোখ চিকিৎসকদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাবের মোগায় (Moga) এক রোগীর পেটের ভেতর থেকে বাদাম, তার, ইয়ারফোন, সেফটি পিন উদ্ধার করেছেন ডাক্তাররা। মানুষের পেটের ভিতরে এই সব হাজারো ধাতব শক্ত জিনিস! ডাক্তাররাও অপারেশন করে রীতিমতো আশ্চর্য! এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে চিকিৎসক মহলে। এই সব জিনিস পেটে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন রোগী। অবশেষে অপারেশনে আরোগ্য পেলেন। 

    রোগীর সঙ্গে ঘটনা কী ঘটেছিল (Moga)?

    ঘটনাটা গল্পের মতন শুনতে মনে হলেও, এটাই সত্য যে একজন ৪০ বছরের এক রোগীর পেট থেকে রহস্য জনক ধাতব জিনিস উদ্ধার হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে পাঞ্জাবের মোগার (Moga) মেডিসিটি হাসপাতালে। এই উদ্ধার হওয়ার বিষয় নিয়ে রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। উদ্ধার হওয়া জিনিসের মধ্যে ছিল, বাদাম, তার, ইয়ারফোন, সেফটি পিন, লকেট, স্ক্রু, এবং রাখি। সূত্রে জানা গেছে, গত দুই দিন আগে শরীরে তীব্র জ্বর এবং পেটে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এই রোগী। প্রথমে ডাক্তাররা তাঁকে নিরীক্ষণে রাখেন। এরপর পেটের যে জায়গায় ব্যাথা রয়েছে, সেই জায়গাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন। এরপর রোগীর যন্ত্রণা ও সমস্যার কথা ভেবে ডাক্তার বাবুরা পেটের এক্স-রে করান। এই পরীক্ষার পর রিপোর্ট দেখে ডাক্তারদের চক্ষু, একেবারে চড়কগাছে পরিণত হয়। মানুষের পেটে এই সামগ্রী কীভাবে? পরিস্থিতি বেগতিক এবং ভয়াবহ বুঝে, ডাক্তাররা প্রায় তিন ঘণ্টার ধরে পেটের অপারেশনে এই জনিস গুলি উদ্ধার করেন। বোঝাই যাচ্ছিল বিষয়গুলি কতটা প্রাণঘাতী হতে পারত।

    ডাক্তারের বক্তব্য

    রোগীর পেটের পাকস্থলী থেকে এই ভাবে অপারেশনের ঘটনায় সকলেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। পাঞ্জাবের মুগার (Moga) মেডিসিটি হাসপাতালের ডাক্তার আজমে কালরা বলেন, “আমি আমার জীবদ্দশায় এই ধরণের ঘটনার প্রথম সম্মুখীন হলাম। রোগী প্রায় দুই বছর ধরে এই পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন। খুব ভালো হল যে এই মারণঘাতী জিনিস গুলি থেকে তাঁকে বাঁচানো সম্ভবপর হয়েছে। এই জিনিস গুলি তাঁর পেটে অনেক দিন ধরে জমে থাকায় শারীরিক ভাবে অসুস্থতা বৃদ্ধি পাচ্ছিল।”

    পরিবারের বক্তব্য

    রোগীর (Moga) পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আমরাও পেটের ভিতর থেকে উদ্ধার হওয়া নিয়ে জিনিস নিয়ে বিস্মিত। অনেকদিন ধরে যন্ত্রণার কথা বলে বেশ কিছু ডাক্তারের কাছে আগে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। তবে এখন যন্ত্রণা থেকে রোগী অনেকেটাই আরোগ্য লাভ করেছেন বলে জানা গেছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Punjab: স্বাধীনতা দিবসের আগে পঞ্জাব পুলিশের জালে জঙ্গি মডিউল, ধৃত ৩

    Punjab: স্বাধীনতা দিবসের আগে পঞ্জাব পুলিশের জালে জঙ্গি মডিউল, ধৃত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের ঠিক একদিন আগে পঞ্জাব (Punjab) পুলিশের জালে ধরা পড়ল একটি জঙ্গি মডিউল। যেখানে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি পিস্তল। পঞ্জাবের (Punjab) ডিজি গৌরব যাদব বলেন, ‘‘এই জঙ্গি মডিউলটি চেক রিপাবলিক থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হতো। নিয়ন্ত্রণ করতেন গুরুদেব সিং জইসেল। কানাডা ভিত্তিক একটি জঙ্গি সংগঠনের নেতা লাখভির সিং-এর নামও উঠে এসেছে। পাশাপাশি নাম উঠে এসেছে সাতবির সিং এবং আলিয়া সাত্তার নামের আরও দুইজনের।’’ জানা গিয়েছে সারহালে পুলিশ স্টেশন আক্রমণে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ মদত ছিল এবং উপরোক্ত নেতারা প্রত্যেকেই বিভিন্ন পাচার কাজে যুক্ত।

    গ্রেফতার হওয়া  তিন জঙ্গির পরিচয় 

    যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের পরিচয় হল অস্মাপ্রীত সিং, প্রদীপ সিং এবং সুখমন। জানা গিয়েছে, পিস্তলের পাশাপাশি এই দলের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৩৭,৫০০ টাকা। পঞ্জাব (Punjab) পুলিশের ডিজি একটি বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘‘বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে যে জঙ্গি সংগঠনের প্রধান গুরুদেব সিং জইসেল নতুন মডিউল খোলার কাজে অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পাঞ্জাবে এরকমই একটি গোপন খবর পেয়ে পুলিশে এদিন মাজার অঞ্চলে অপারেশন চালায়। সেখানেই গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে।’’

    কোন কোন ধারায় মামলা দায়ের? 

    সিনিয়র পুলিশকর্তা গুরমিত সিং চৌহান বলেন,‘‘গুরুদেব সিং জয়সেইলের সঙ্গে এই জঙ্গি মডিউলের সদস্যদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তার নির্দেশেই কাজ করত এরা। চেক প্রজাতন্ত্র থেকে যে নির্দেশ আসতো ফোনে, সেটাকেই পালন করত জঙ্গিরা। পঞ্জাবের (Punjab) শান্তি সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করা ছিল এদের উদ্দেশ্য।’’ অন্যদিকে পঞ্জাবের (Punjab) ডিজি আরও জানিয়েছেন যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই জয়সেইলের নির্দেশ মতো বিভিন্ন লোকের কাছে টাকা তুলত এবং অস্ত্র সংগ্রহ করত। এই জঙ্গি মডিউলের সঙ্গে কাদের কাদের যোগাযোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পঞ্জাব (Punjab) পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮৪, ৩৮৫, ৩৮৬, ৩৮৭, ১১৫, ১২০ (বি) তে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া ২৫(৬), ২৭(৭) অস্ত্র আইনের মামলাও রজু করা হয়েছে। এছাড়াও বেআইনি কার্যকলাপের ১৩, ১৬, ১৭, ১৮, ১৮ (বি), ২০ এবং ৪০ নম্বর ধারা লাগু করা হয়েছে। এনডিপিএস আইনের ২১ এবং ২৯ নম্বর ধারাও দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amritpal Singh: অমৃতপালের বিরুদ্ধে কার্যকর হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা আইন, জানাল পঞ্জাব পুলিশ

    Amritpal Singh: অমৃতপালের বিরুদ্ধে কার্যকর হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা আইন, জানাল পঞ্জাব পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃতপালের (Amritpal Singh) বিরুদ্ধে এদিন থেকেই কার্যকর হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (NSA)। রবিবার একথা জানালেন পঞ্জাব (Punjab) পুলিশের ইনসপেক্টর জেনারেল, হেডকোয়ার্টার সুখচেইন সিংহ। রবিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় ওয়ারিস দে পঞ্জাবের নেতা অমৃতপাল সিংহকে। তারপর বেলার দিকে সাংবাদিক বৈঠক করেন সুখচেইন। তিনি বলেন, অমৃতপালের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছিল। এদিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপর থেকেই সেই আইন কার্যকর হয়েছে।

    অমৃতপালের (Amritpal Singh) বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?

    এদিন ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ পঞ্জাবের ভিলেজ রোড এলাকায় গ্রেফতার করা হয় অমৃতপালকে। অমৃতপাল স্বঘোষিত ধর্মগুরু। খালিস্তানের দাবিতে সম্প্রতি সুর চড়িয়েছেন তিনি। তাঁকে ধরতে যৌথভাবে তল্লাশি চালায় পঞ্জাব পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখা। তিনি বলেন, অমৃতপালকে অসমের ডিব্রুগড়ে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। তিনি বলেন, যাঁরা দেশের শান্তি ও ঐক্য বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছেন, তাঁদেরও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অমৃতসর পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখার যৌথে উদ্যোগে তল্লাশি চালানো হয়। তারপরেই এদিন সকালে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে (Amritpal Singh)।

    আরও পড়ুুন: কার্গিল যুদ্ধে জীবন বলিদান দিয়েছিলেন বাবা, এবার শহিদ হলেন ছেলে কুলওয়ান্ত

    পবিত্রতা বজায় রাখতে এদিন পুলিশ গুরুদ্বার সাহিবে প্রবেশ করেনি। জাতীয় নিরাপত্তা আইনে এদিন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ডিব্রুগড়ে। অমৃতপালকে গ্রেফতার করার পরে তাঁকে নিয়ে আসা হয় ভাতিন্ডায় বায়ুসেনা স্টেশনে। সেখান থেকেই বিমানে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ডিব্রুগড়ে। প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল অমৃতপালের সঙ্গী পাপালপ্রীত সিংহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে। অমৃতপালকে গ্রেফতারের পরে পরেই পঞ্জাব পুলিশের তরফে মোগার বাসিন্দাদের কাছে আবেদন জানানো হয় শান্তি ও ঐক্য বজায় রাখতে। ভুয়ো খবর ছড়ানো থেকেও তাঁদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, শনিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অমৃতপালের (Amritpal Singh) গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, যে কোনও সময় গ্রেফতার করা হতে পারে। এক সময় তিনি মুক্তভাবে সর্বত্র ভ্রমণ করতে পারতেন। কিন্তু এখন আর তিনি ওই সব কাজ করতে পারবেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Sikhs for Justice: দিল্লি বিমানবন্দরে ওড়ানো হবে খালিস্তানি ঝান্ডা, হুমকি নিষিদ্ধ শিখ সংগঠনের

    Sikhs for Justice: দিল্লি বিমানবন্দরে ওড়ানো হবে খালিস্তানি ঝান্ডা, হুমকি নিষিদ্ধ শিখ সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে খালিস্তান সমস্যা। খালিস্তানপন্থী সংগঠন শিখস ফর জাস্টিস (Sikhs for Justice) নিষিদ্ধ করা হয়েছে অনেক আগেই। সোমবার এই সংগঠনেরই প্রতিষ্ঠাতা গুরপন্তওয়ান্ত সিং পান্নুন (Gurpatwant Singh Pannun) হুমকি দিয়েছেন, জি-২০’র বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের সময় হামলা করা হবে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ওড়ানো হবে খালিস্তানের ঝান্ডা। 

    শিখস ফর জাস্টিস (Sikhs for Justice)…

    সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পঞ্জাব (Punjab) ভারত নয় স্লোগান লেখা হয়েছে এসডিও অফিস কমপ্লেক্সে। পঞ্জাবের মোগা জেলার রোড ভিলেজে বাঘাপূর্ণা অ্যান্ড গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক কলেজের দেওয়ালেও লেখা হয়েছে ওই স্লোগান। শিখস ফর জাস্টিসের তরফে দাবি করা হয়েছে দেওয়ালের ওই স্লোগান লিখেছে তারাই। উল্লেখ্য যে, খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী জার্নেল সিং ভিন্দ্রেওয়ালা এই রোড ভিলেজেরই বাসিন্দা ছিলেন।

    পান্নুন (Sikhs for Justice) বলেন, এই বার্তা দেওয়া হয়েছে জি-২০’র বিদেশমন্ত্রীদের। পঞ্জাব ভারত নয়। শিখস ফর জাস্টিস নিউ দিল্লি এয়ারপোর্ট আক্রমণ করবে। সেখানে উড়িয়ে দেবে খালিস্তানি ঝান্ডা। তিনি বলেন, এই হচ্ছে সময় যখন আপনারা (জি-২০-র বিদেশমন্ত্রীরা) আমাদের খালিস্তানের দাবি সমর্থন করবেন। শিখদের আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবিকে আপনারা সমর্থন করবেন। ভারত ভূখণ্ডকে আপনারা চিনতে পারবেন না। কারণ ভারত কোনও দেশ নয়, শর্তসাপেক্ষে কতগুলো রাজ্যের ইউনিয়ন। তিনি বলেন, যদি মানুষ এই ইউনিয়নে থাকতে না চায়, তাহলে তাদের ভোটের অধিকার রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: রাজার হালে ইতি, এখন থেকে জেলের মেঝেতে শুয়েই রাত কাটাবেন পার্থ!

    শিখস ফর জাস্টিসের (Sikhs for Justice) ভারত-বিরোধী কাজকর্ম প্রকাশ্যে এসেছে দীর্ঘদিন। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন লালকেল্লায় খালিস্তানি পতাকা ওড়াতে পারলে আড়াই লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়ার কথা তারা ঘোষণা করেছিল ২০২১ সালে। তখন পান্নুন বলেছিলেন, ২৬ জানুয়ারি আসছে। লালকেল্লায় ভারতের তিরঙ্গা পতাকা উড়বে। ২৬ জানুয়ারি ওই পতাকা সরিয়ে টাঙিয়ে দাও খালিস্তানি পতাকা। দিন কয়েক আগে আর এক খালিস্তানপন্থী অমৃতপাল সিং হুমকি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। তিনি বলেছিলেন, খালিস্তানি আন্দোলন দমন করতে গেলে অমিত শাহের পরিণতি হবে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মতো। তিনি বলেছিলেন, খালিস্তানের দাবি অধিকারের। এর অর্থ, শিখরা তাদের জমি ফেরত পেতে চায়। তাঁদের এই দাবিকে কেউ ছিনতাই করতে পারে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Punjab Farmers Agitation: হাইওয়েতে ট্রাক্টর-ট্রলি নিয়ে কৃষক আন্দোলন নয়, জানাল আদালত

    Punjab Farmers Agitation: হাইওয়েতে ট্রাক্টর-ট্রলি নিয়ে কৃষক আন্দোলন নয়, জানাল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রাক্টর ও ট্রলি নিয়ে হাইওয়েতে আন্দোলন করতে পারবেন না কৃষকরা (Punjab Farmers Agitation)। মোটর ভেহিক্যালস অ্যাক্ট অনুযায়ীই এটা করতে পারেন না তাঁরা। মঙ্গলবার এই মর্মে রায় দিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। আদালত এও জানিয়েছে, প্রত্যেকেই জানেন তাঁদের মৌলিক অধিকারের বিষয়টি। আন্দোলনকারী কৃষকদের সাংবিধানিক কর্তব্যটিও মনে করিয়ে দেয় আদালত।

    আন্দোলনে কৃষকরা

    ২৩টি শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। কৃষকরা যাতে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ান, সেজন্য সরকার পক্ষের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকও হয়েছে। তার পরেও মেলেনি রফাসূত্র। যার জেরে আজ, বুধবার থেকে ফের আন্দোলন শুরু করেছেন কৃষকরা। ট্রাক্টর, ট্রলি নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। যদিও যেসব জায়গায় ব্যারিকেড দেওয়া রয়েছে, সেসব তাঁরা ভাঙবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

    কী বলছে আদালত?

    তবে হাইওয়েতে ট্রাক্টর, ট্রলি নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোয় আন্দোলনকারী কৃষকদের ভর্ৎসনা করে (Punjab Farmers Agitation) পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। মোটর ভেহিক্যাল অ্যাক্ট অনুযায়ী হাইওয়েতে ট্রাক্টর, ট্রলি যে চালানো যায় না, তাও মনে করিয়ে দিয়েছে আদালত। মামলার শুনানি চলছে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জিএস সান্ধাওয়ালিয়া ও বিচারপতি লপিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। কেন পঞ্জাব সরকার হাইওয়েতে ট্রাক্টর নিয়ে কৃষকদের বিক্ষোভের অনুমতি দিল, সে প্রশ্নও তুলেছে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: হাজার কোটির সাইবার ‘প্রতারণা’! ‘কিংপিন’ কুণালের একাধিক ডেরায় হানা ইডির

    প্রসঙ্গত, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে রাস্তা বন্ধ করে ট্রাক্টর, ট্রলি নিয়ে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী উদয় প্রতাপ সিং। আন্দোলনকারী কৃষকরা যাতে এক সঙ্গে অনেকেই জড়ো হতে না পারেন, সেই বিষয়টি দেখতে পঞ্জাব সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সান্ধাওয়ালিয়া। আদালত এও জানিয়েছে, কৃষকদের আন্দোলন করার অধিকার নিশ্চয়ই রয়েছে, তবে সেজন্য তাঁদের কিছু রেস্ট্রিকশন মানতে হবে।

    এদিকে, হাইকোর্টের রায়ের পরেও হাইওয়েতে ট্রাক্টর, ট্রলি নিয়ে মিছিল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কৃষকরা। আন্দোলনকারী কৃষকদের নেতাদের সাফ কথা, কৃষকদের আন্দোলনের অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। আন্দোলন হবে, এমএসপি আইন চাই। কেন্দ্র আইন না করলে, ট্রাক্টর, ট্রলি নিয়েই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা (Punjab Farmers Agitation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modis Security Breach: প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ, পঞ্জাবে সাসপেন্ড ৭ পুলিশ কর্মী

    PM Modis Security Breach: প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ, পঞ্জাবে সাসপেন্ড ৭ পুলিশ কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিঘ্নিত হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরাপত্তা (PM Modis Security Breach)। তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা চলে আসেন প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে। বছর দুয়েক আগের সেই ঘটনার জেরে সাসপেন্ড করা হল পঞ্জাবের এসপি গুরবিন্দর সিংহকে। কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগেই সাসপেন্ড করা হয়েছে পঞ্জাব পুলিশের এই কর্তাকে।

    নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন গুরবিন্দর

    গত বছর ৫ জানুয়ারি পঞ্চাবে একটি নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে একটি ফ্লাইওভারে প্রায় ২০ মিনিটে আটকে পড়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। কৃষকদের বিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে আটকে থাকতে হয় পুরো সময়টা। ঘটনার জেরে বিজেপি নেতারা তৎকালীন চরণজিৎ সিং চান্নি সরকারকে (কংগ্রেস) নিশানা করেন। ওই সময় ফিরোজপুরে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন গুরবিন্দর। তিনি তখন ফিরোজপুরের এসপি ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।

    কী বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট

    দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরাপত্তার গলদ বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। এর ফলে আন্তর্জাতিক মহলে লজ্জার মুখে পড়তে হতে পারে ভারতকে। কেন প্রধানমন্ত্রীর কনভয় (PM Modis Security Breach) থামাতে হল, কীভাবেই বা বিক্ষোভকারীরা তাঁর কনভয়ের সামনে চলে এল, সে ব্যাপারে তদন্তের জন্য কমিটিও গঠন করে দেশের শীর্ষ আদালত। দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে তদন্ত চলার পর ১৮ নভেম্বর রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরে রিপোর্ট পেশ করেন পঞ্জাবের ডিজিপি। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই দিন তিনেক আগে সাসপেন্ড করা হয় গুরবিন্দরকে। যদি খবরটি প্রকাশ্যে আসে শনিবার। উল্লেখ্য, বর্তমানে গুরবিন্দর কর্মরত ছিলেন পঞ্জাবের বাথিন্ডা জেলায়।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল পার্টি অফিসের পিছনে বোমা বিস্ফোরণ! উড়ল কিশোরের হাতের আঙুল

    গত বিধানসভা নির্বাচনে পঞ্জাবে গোহারা হারে কংগ্রেস। ক্ষমতায় আসে ভগবন্ত মানের নেতৃত্বে আপ সরকার। কর্তব্যে গাফিলতির জন্য আরও ছজন পুলিশকর্মীকেও সাসপেন্ড করেছে মান সরকার। গুরবিন্দর ছাড়াও যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁরা হলেন, ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার পারসন সিংহ এবং জগদীশ কুমার, ইনসপেক্টর যতীন্দর সিং এবং বলবিন্দর সিংহ, সাব ইনসপেক্টর যশবন্ত সিংহ এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনসপেক্টর রমেশ কুমার। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরই এঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এই সাত পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করার পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে পেশ করা হয়েছে চার্জশিটও (PM Modis Security Breach)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistani Terrorists Threat: “১৯ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চড়বেন না”, হুমকি খালিস্তানপন্থী জঙ্গি পান্নুনের

    Khalistani Terrorists Threat: “১৯ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চড়বেন না”, হুমকি খালিস্তানপন্থী জঙ্গি পান্নুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সব শিখদের বলছি আগামী ১৯ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চড়বেন না। ওই দিন বিশ্বজুড়ে অবরোধ হবে। ১৯ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে করে যাতায়াত করবেন না, নাহলে আপনার প্রাণের ঝুঁকি থাকতে পারে।” ভারতকে এই হুমকি-বার্তা দিয়েছে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গুরুপতওয়ান্ত সিং পান্নুন (Khalistani Terrorists Threat)।

    পান্নুনের হুমকি

    তাঁর দাবি, ১৯ নভেম্বর দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে এবং এই বিমানবন্দরের নামও বদলে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ১৯ তারিখেই রয়েছে আইসিসি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। খেলা হবে আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হুমকি দিয়েছিলেন এই খালিস্তানপন্থী জঙ্গি। ভারতে নিষিদ্ধ ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র প্রধান পান্নুন ১০ অক্টোবর বলেছিলেন, ‘ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ থেকে ভারত যেন শিক্ষা নেয়, নাহলে একই অবস্থা হবে এ দেশেরও।’ ভাইরাল হওয়া ওই দিনের ভিডিওয় পান্নুনকে বলতে শোনা যায়, ‘বেআইনিভাবে অধিকৃত পঞ্জাব থেকে প্যালেস্তাইনের জনগণ জেগে উঠেছে। তাঁরা প্রত্যাঘাত শানাবেন। হিংসা শুধুই হিংসার জন্ম দেয়।’ সেদিন আঙুল উঁচিয়ে গুলি ছোড়ার মতো ভঙ্গি করতেও দেখা যায় খালিস্তানপন্থী এই জঙ্গিকে (Khalistani Terrorists Threat)।

    ঘোষিত অপরাধী পান্নুন

    পঞ্জাবের অমৃতসরে জন্ম পান্নুনের। পরে চলে যায় আমেরিকায়। গ্রহণ করে মার্কিন নাগরিকত্ব। বর্তমানে সে রয়েছে কানাডায়। ২০১৯ সাল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের এই নেতা চলে আসে এনআইএর স্ক্যানারে। তার বিরুদ্ধে পঞ্জাবে হামলা চালানোর জন্য অর্থ সংগ্রহ করা, তরুণদের সন্ত্রাসবাদে দীক্ষিত করা সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পান্নুনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করে এনআইএ আদালত। গত বছর তাকে ঘোষণা করা হয় ঘোষিত অপরাধী।

    প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন কানাডায় প্রকাশ্যে খুন হয় খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার পর থেকেই বাড়বাড়ন্ত পান্নুনের (Khalistani Terrorists Threat)।

    আরও পড়ুুন: ভোটের মুখে মাওবাদীদের হাতে খুন ছত্তিশগড়ের বিজেপি নেতা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

      

     

  • Khalistani Terrorist: জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ শুরু এনআইএ-র, বাজেয়াপ্ত পান্নুর জমিজমা

    Khalistani Terrorist: জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ শুরু এনআইএ-র, বাজেয়াপ্ত পান্নুর জমিজমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মসূত্রে তিনি ভারতীয়। পরে অবশ্য নাগরিকত্ব নিয়েছেন আমেরিকার। কানাডায় গিয়ে ইন্ধন জোগাচ্ছেন খালিস্তানি আন্দোলনে। এহেন খালিস্তানপন্থী জঙ্গি (Khalistani Terrorist) গুরুপাতয়ান্ত সিং পান্নুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)।

    বাজেয়াপ্ত পান্নুর জমি

    বুধবার এনআইএ যে মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি ও বিচ্ছন্নতাবাদীর তালিকা প্রকাশ করেছিল, তার ওপরের দিকে নাম রয়েছে ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র প্রধান পান্নুর। তাঁর নামে ২২টি অপরাধমূলক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে আবার তিনটি অভিযোগ রয়েছে দেশদ্রোহিতার। শনিবার পান্নুর চণ্ডীগড়ের বাড়িতে হানা দেয় এনআইএ। পঞ্জাবের অমৃতসরে তাঁর নামে থাকা জমিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। এনআইএ জানিয়েছে, অমৃতসরের খানকটে ৪৬টি জমি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চণ্ডীগড়ে তাঁর নামে থাকা জমিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    পান্নুর হুমকি 

    জুন মাসে কানাডায় খুন হন খালিস্তানপন্থী মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি (Khalistani Terrorist) হরদীপ সিং নিজ্জর। সেই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে কানাডা। দিন কয়েক আগে সংসদে দাঁড়িয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরাসরি ভারতকেই নিশানা করেন। তার জেরে অক্সিজেন পেয়ে যায় কানাডায় ঘাঁটি গেড়ে থাকা খালিস্তানপন্থীরা। কানাডায় বসবাসকারী হিন্দুদের হুমকি দেয় পান্নু। ভিডিও-বার্তায় বলে, “ইন্দো-কানাডিয়ানরা দেশে ফিরে যাও। তোমাদের গন্তব্য ভারত, কানাডা নয়। খালিস্তানপন্থীরা বরাবারই কানাডার প্রতি বিশ্বাসভাজন থেকেছে। তারা সর্বদা কানাডার পক্ষ নিয়েছে। তারা আইন-শৃঙ্খলা ও সংবিধান মেনে চলেছে।” এর পাশাপাশি পান্নু ২৯ অক্টোবর কানাডিয়ান শিখদের ভ্যাঙ্কুভারে জড়ো হওয়ার আবেদন জানিয়েছে। সেখানে ইন্ডিয়ান হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মা নিজ্জর খুনে জড়িত কিনা তা নিয়ে ভোটাভুটি হবে।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানে গিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয় নিজ্জর, ছক ভারতে হামলারও, চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের

    এনআইএ জানিয়েছে, পান্নুর সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ তরুণদের মগজধোলাই করছে। তাদের দিয়ে জঙ্গি (Khalistani Terrorist) কার্যকলাপ করাচ্ছে। পান্নুই ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র মূল চালিকাশক্তি। সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণ করে সে-ই। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ভারত সরকার পান্নুর সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ২০২০ সালের জুলাই মাসে পান্নুকে জঙ্গি ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ২০২১ সালে তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় ওয়ারেন্ট জারি করে এনআইএ কোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kashmir: করছে সরকারি চাকরি! তিন দশক ধরে গা ঢাকা দেওয়া আট জঙ্গি গ্রেফতার কাশ্মীরে

    Kashmir: করছে সরকারি চাকরি! তিন দশক ধরে গা ঢাকা দেওয়া আট জঙ্গি গ্রেফতার কাশ্মীরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার উদ্দেশে, জম্মু ও কাশ্মীরের তদন্ত সংস্থা এসআইএ সন্ত্রাস সংক্রান্ত মামলায় পলাতক সকলকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সমাজে সাধারণ মানুষের মধ্যে গা-ঢাকা দেওয়া এই জঙ্গিদের খুঁজে বের করে তাদের আদালতে হাজির করার জন্য একটি বিশেষ অভিযান শুরু করা হয়েছে। তাতেই মিলল সাফল্য। তিন দশক ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার পর গ্রেফতার হয়েছে আট জঙ্গি। বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের ডোডা জেলা থেকে তদন্ত সংস্থা এসআইএ এবং সিআইডির আধিকারিকরা তাঁদের গ্রেফতার করেছেন। 

    ধৃতদের মধ্যে এক জন সরকারি চাকুরিজীবী

    পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে এক জন সরকারি চাকরিজীবী ছিল। ধৃতেরা বিচারব্যবস্থার চোখ এড়িয়ে বিগত কয়েক দশক ধরে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিল বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ধৃত আট জঙ্গির নাম আদিল ফারুক ফরিদি, মহম্মদ ইকবাল ওরফে জাভেদ, মুজাহিদ হুসেন ওরফে নিসার আহমদ, তারিক হুসেন, ইশতিয়াক আহমদ, আজাজ আহমদ, জামিল আহমদ এবং ইশফাক আহমদ। এঁদের মধ্যে ফরিদি জম্মুর শিক্ষা দফতরের কর্মী ছিল। অন্য দিকে, ইশফাক ডোডা কোর্টে মুহুরির কাজ করত। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের সকলের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তদের শীঘ্রই জম্মুর আদালতে পেশ করা হবে।

    আরও পড়ুন: ফের অশান্ত মণিপুর, চলতি সপ্তাহে হিংসায় নিহত ৬, আহত ১৩

    কাশ্মীরকে সন্ত্রাসমুক্ত করার বিশেষ অভিযান

    কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, সেই রাজ্যকে সন্ত্রাসশূন্য করার লক্ষ্যে লাগাতার তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। ৩২৭টি সন্ত্রাসবাদী ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ৭৩৪ জন নিখোঁজ অপরাধীর তালিকা রয়েছে এসআইএ-র হাতে। যার মধ্যে ৩৬৯ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই ৩৬৯ জনের মধ্যে ১২৭ জন পলাতক, ৮০ জন মারা গিয়েছেন এবং ৪৫ জন পাকিস্তান-সহ অন্যান্য দেশে গা ঢাকা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

    পাঞ্জাবে গ্রেফতার পাক জঙ্গির ৬ শাকরেদ

    অন্যদিকে, পাঞ্জাব পুলিশের অ্যান্টি গ্যাংস্টার ফোর্স (Punjab Police’s AGTF) ও মোহালি পুলিশের (Mohali Police) যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হল আইএসআই-এর মদতপুষ্ট পাকিস্তানি জঙ্গি হরবিন্দার সিংয়ের (Harwinder Sing) ৬ সঙ্গী। ধৃতদের মধ্যে একজন গত এপ্রিল মাসে পাতিয়ালায় (Patiala) জোড়া খুনে অভিযুক্ত। খুনের পর থেকেই পলাতক ছিল সে। ধৃতদের কাছ থেকে ৫টি পিস্তল ও ২০টি তাজা কার্তুজ বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share