Tag: puri jagannath temple

puri jagannath temple

  • Puri Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদের মূল্য একলাফে বেড়ে ৩ গুণ! ভক্তমহলে অসন্তোষ

    Puri Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদের মূল্য একলাফে বেড়ে ৩ গুণ! ভক্তমহলে অসন্তোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর শ্রী জগন্নাথ মহাপ্রভুর (Puri Jagannath Temple) মহাপ্রসাদের দাম এক লাফে তিন গুণ বৃদ্ধি বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, অনেক দিন ধরেই মহাপ্রভুর প্রসাদের দাম বৃদ্ধি করা হবে বলে জানা যাচ্ছিল। কিন্তু এবার এই প্রসাদের দাম বৃদ্ধি হয়েছে। এই নিয়ে ভক্ত মহলের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে। তবে অধিকাংশ ভক্ত মহলে নতুন দাম নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে, বলে এমনটাই জানা গিয়েছে।

    প্রভু জগন্নাথের প্রসাদের নতুন মূল্য কত?

    পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে (Puri Jagannath Temple) প্রসাদের দাম নিয়ে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। জগন্নাথ মন্দিরে গত সপ্তাহেও মহাপ্রসাদের প্লেট পিছু দাম ছিল ১০০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে সেই প্রসাদের মূল্য হয়েছে ৩০০ টাকা। ফলে প্লেট পিছু প্রসাদের দাম বৃদ্ধি হল এক লাফে ৩ গুণ। অপর দিকে মহাপ্রভু জগন্নাথের স্পেশাল মহাপ্রসাদের মূল্য ছিল ৩০০ টাকা। এবার তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াল ৫০০ টাকা। স্পেশাল প্লেটের প্রসাদের মধ্যে থাকত ভাত, ডাল, ডালমা, বেসর, মহুরা ও সাগা।

    জগন্নাথ ভক্তের প্রতিক্রিয়া (Puri Jagannath Temple)

    জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আক্ষেপের বহিঃপ্রকাশ করেন জগন্নাথ ভক্তরা। কটক থেকে আগত এক ভক্ত বলেন, “প্রভুর প্রসাদের দাম এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে আমি আগে কখনও দেখিনি। দরিদ্র ভক্তদের পক্ষে এতো মূল্য দিয়ে প্রসাদ গ্রহণ করা কীভাবে সম্ভব? সবার তো আর আর্থিক অবস্থা সমান নয়। প্রসাদের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে আরও ভাবনাচিন্তা করা প্রয়োজন।” অপর দিকে জয়পুর থেকে আগত এক জগন্নাথ ভক্ত, প্রসাদের মূল্য বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

    সেবায়েত সংগঠনের বক্তব্য

    জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Jagannath Temple) মহাপ্রসাদের বিষয় নজরে রাখেন মহাসুয়া নিজোগ বা সেবায়েত সংগঠন। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে সচিব নারায়ণ মহাসুয়া বলেন, “মহাপ্রসাদের দাম বাড়ানো হয়েছে এটা ঠিক। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছ থেকে প্রসাদ কিনে ভক্তদের অতিরিক্ত দামে বিক্রি করে। আর তাই এই দাম, তারাই ধার্য করেছে। তবে মন্দির কমিটিকে এই বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।” দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মন্দির সংলগ্ন পুরীর আনন্দ বাজারে মহাপ্রসাদ বিক্রির প্রবাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Puri Jagannath Temple:  হাতাকাটা জামা পরে পুরীর মন্দিরে প্রবেশ নয়! জানুন কবে থেকে নতুন পোশাকবিধি

    Puri Jagannath Temple:  হাতাকাটা জামা পরে পুরীর মন্দিরে প্রবেশ নয়! জানুন কবে থেকে নতুন পোশাকবিধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনেকেই মন্দির-উপযোগী পোশাক পরছেন না। সমুদ্র সৈকতের পোশাক পরেই চলে আসছেন মন্দিরে। এমনটাই দাবি পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের।  তাই নতুন পোশাকবিধি আনতে চলেছেন তাঁরা। কোন ধরনের পোশাক পরে পুরীর মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

    কেন চালু পোশাকবিধি

    সেবায়েতদের জন্য আগেই পোশাকবিধি চালু হয়েছিল। এবার ভক্তদের জন্যও পোশাকবিধি (Dress code) চালু করল জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। এই বিধি অনুসারে আর টর্ন জিন্স, বারমুডা, স্লিভলেস পোশাক পরে মন্দিরে (jagannath temple) প্রবেশ করা যাবে না। মন্দিরে প্রবেশের জন্য পরতে হবে সভ্য পোশাক। ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। ছেঁড়া জিন্স, হাফ প্যান্ট পরে সমুদ্র সৈকতে ঘোরা যায়, কিন্তু মন্দিরে ওই পোশাক পরে আসা যায় না, অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

    কবে থেকে পোশাকবিধি

    সোমবার পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের নীতি আয়োগ সাব-কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই অশালীন পোশাক পরে ভক্তদের মন্দিরে প্রবেশের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তারপরই ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে ভক্তদের জন্য পোশাক বিধি জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের (SJTA) প্রধান রঞ্জন কুমার দাস বলেন, “মন্দিরের ঐতিহ্য ও পবিত্রতা বজায় রাখা আমাদের দায়িত্ব। দুর্ভাগ্যবশত, অনেককে অন্যের ধর্মের ভাবাবেগের তোয়াক্কা না করেই মন্দিরে প্রবেশ করেন।” তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছর ১ জানুয়ারি থেকেই দর্শনার্থীদের পোশাকের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম প্রযোজ্য হবে। কড়া ভাবে সেই নিয়ম যাতে পালন করা হয়, তা নিশ্চিত করবেন কর্তৃপক্ষ। 

    আরও পড়ুন: ন’টি তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবীর আরাধনায় ব্রতী সারা মল্লভূমবাসী

    কেমন পোশাক পরতে হবে

    রঞ্জন বলেছেন, ‘‘মন্দিরের পবিত্রতা বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য। আজকাল অনেকেই মন্দিরে আসছেন ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা না ভেবেই। হাফ প্যান্ট, হাতাকাটা জামা পরে অনেককে মন্দিরে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। যেন তাঁরা সমুদ্রের ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মন্দির দেবস্থান, কোনও বিনোদনের জায়গা নয়।’’ জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশের জন্য কী ধরনের পোশাক পরতে হবে তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের প্রধান। তিনি জানান, শাড়ি, সালোয়ার কামিজের মতো শালীন পোশাক পরেই মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে। কেবল ১২ বছরের নীচে শিশুরা হাফ প্যান্ট পরে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Puri Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দির লাগোয়া চত্বরে খোঁড়াখুঁড়িতে সায় সুপ্রিম কোর্টের

    Puri Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দির লাগোয়া চত্বরে খোঁড়াখুঁড়িতে সায় সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দির করিডর প্রকল্পে (Jagannath temple corridor project) সায় দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই প্রকল্পে আপত্তি জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দায়ের করা জনস্বার্থের মামলাকে ‘ফালতু’ বলেও উল্লেখ করেছে শীর্ষ আদালত।

    বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ এদিন জনস্বার্থ মামলা নিয়ে মন্তব্য করেছে, জনস্বার্থ রক্ষার নামে মামলা করে জনস্বার্থকেই জলাঞ্জলি দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কোনও কোনও ক্ষেত্রে। প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগে দিল্লিতে এমনই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি এমএন রামানাও। কথায় কথায় জনস্বার্থ মামলা করার প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। 

    আরও পড়ুন : ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    পুরীর জগন্নাথ মন্দির লাগোয়া এলাকায় সৌন্দর্যায়নে জগন্নাথ টেম্পল (Jagannath Temple) করিডর হাতে নিয়েছে ওড়িশা (Odisha) সরকার। গত বছর ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Naveen Patnaik) ওই প্রকল্পের শিলান্যাসও করেন।

    ৮০০ কোটি টাকার ওই প্রকল্প নিয়ে আপত্তি তোলে জগন্নাথ মন্দির লাগোয়া বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, মন্দির লাগোয়া এলাকায় খোঁড়াখুঁড়ি হলে ক্ষতি হবে আটশো বছরের পুরানো ওই মন্দিরের কাঠামোর। এই বক্তব্য তুলে ধরে নিম্ন আদালত ও ওড়িশা হাইকোর্টে বর্তমানে চলছে গুচ্ছ মামলা। সেই সব মামলায় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (ASI) পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওড়িশা সরকার এই প্রকল্প নিয়ে এগোতে পারে।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার জলাধার সুরক্ষিত করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাসকয়েক আগেই উদ্বোধন হয়েছে বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Viswanath Temple) করিডরের। উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। সেই সময়ই ওড়িশা সরকার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেরও রূপ বদলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। তখন থেকেই মন্দিরের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে শুরু হয়ে যায় চর্চা। আদালতে দায়ের হয় একের পর এক মামলা। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আটশো বছরের পুরানো মন্দির। তখনই সরকার জানিয়ে দিয়েছিল, মন্দিরের ক্ষতি হবে এমন কোনও প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়নি।

    এদিন সরকারের সঙ্গে সহমত পোষণ করে সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দেয়, তারা মনে করে জনস্বার্থেই এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে ওড়িশা সরকার। প্রসঙ্গত, করিডরের কাজ শেষ হলে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে শ্রীক্ষেত্র।

     

LinkedIn
Share