Tag: Puri

Puri

  • Vande Bharat: হাওড়া থেকে আরও একটি রুটে বন্দে ভারত, ৫ থেকে ৬ ঘণ্টাতেই পুরী?

    Vande Bharat: হাওড়া থেকে আরও একটি রুটে বন্দে ভারত, ৫ থেকে ৬ ঘণ্টাতেই পুরী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শৈলশহর দার্জিলিং, ডুয়ার্স বা গ্যাংটকের পর্যটকদের জন্য মুশকিল আসান হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat)। বেড়াতে বেরিয়ে পর্যটকদের কাছে পাহাড়, কাঞ্চনজঙ্ঘা  বা বনজঙ্গলের মতোই সমান আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের মধ্যে চলাচলকারী এই হাই স্পিড এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলার নয়া আইকনও বলা চলে। উল্লেখ্য, এটিই হল রাজ্যের প্রথম এবং একমাত্র বন্দে ভারত। পর্যটকদের জন্য আরও একটি উপহার আসতে চলেছে কেন্দ্রের তরফে। শীঘ্রই অন্য একটি রুটে দেখা যাবে বন্দে ভারতকে। সম্ভবত দ্বিতীয় বন্দে ভারতটি চলবে বাঙালির চিরকালের পছন্দের পর্যটন কেন্দ্র পুরী রুটে। সেক্ষেত্রে হয়তো পাঁচ-ছয় ঘণ্টার মধ্যেই হাওড়া থেকে পৌঁছে যাওয়া যাবে জগন্নাথ ধামে। যদিও অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন রেকটি হাওড়া থেকে রাঁচি রুটেও চলতে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে পুরীর পাল্লাই ভারী।

    সাঁতরাগাছিতে হাজির বন্দে ভারতের নতুন রেক

    বুধবার রাতে সাঁতরাগাছিতে এসে পৌঁছেছে বন্দে ভারতের (Vande Bharat) নতুন একটি রেক। আর তারপরই একে ঘিরে সাধারণ মানুষের উৎসাহ ও উদ্দীপনা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব সম্ভবত এই সপ্তাহেই এর ট্রায়াল রান হবে। সকাল ৬ টা ১০ মিনিটে হাওড়া থেকে ছেড়ে বন্দে ভারত পুরী পৌঁছবে ১২ টা ৩৫ মিনিটে। পুরী থেকে ফের ১ টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে ট্রেনটি হাওড়া পৌঁছাবে রাত ৮ টা ৩০ মিনিটে। আপাতত যে সমস্ত জায়গায় ট্রেনটি দাঁড়াবে, তার মধ্যে অবশ্যই থাকবে খড়্গপুর, কটক এবং ভুবনেশ্বর। এই ট্রেনটিতে ১৬ টি কামরা থাকবে এবং ক্যাটারিং-এর সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে এই সূচি চূড়ান্ত নয়, যে কোনও সময় পরিবর্তন হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে। 

    রুটের কথা খোলসা করল না রেল

    অন্যদিকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বন্দে ভারতের একটি রেক (Vande Bharat) এসেছে, এ কথা ঠিক। তবে কোন রুটে চলবে, সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে চাননি। তিনি জানান, এ ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে রেলমন্ত্রক। তারা ওই সংক্রান্ত ঘোষণা করলে তবেই তাঁরা রুটের ব্যাপারে বিশদ জানাতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandanyatra Utsav: অক্ষয় তৃতীয়ার দিন চন্দনযাত্রা উৎসব শুরু হয় পুরীতে! জানুন এর মাহাত্ম্য

    Chandanyatra Utsav: অক্ষয় তৃতীয়ার দিন চন্দনযাত্রা উৎসব শুরু হয় পুরীতে! জানুন এর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈশাখ মাসের শুক্লাপক্ষের তৃতীয়া তিথি অক্ষয় তৃতীয়া নামে প্রসিদ্ধ। ভক্তদের কাছে, এই দিনটির গুরুত্ব দীপাবলীর থেকে কোনও অংশে কম নয়। ব্যবসায়ীরা হালখাতা পুজো, লক্ষ্মী-গণেশের আরাধনা করেন এদিন। তাছাড়াও বাংলার ঘরে ঘরে বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে দিনটির। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পালিত হয় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের। এদিন থেকেই জগন্নাথ মন্দিরে শুরু হয় চন্দনযাত্রা উৎসবের (Chandanyatra Utsav)। 

    কী এই চন্দনযাত্রা উৎসব (Chandanyatra Utsav)

    প্রতিবছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিন পুরীর জগন্নাথধামে চন্দনযাত্রা উৎসবের (Chandanyatra Utsav) সূচনা হয়। অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ দিনটিকেই এই রথ নির্মাণের কাজ শুরুর জন্য বেছে নেয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। এদিন থেকেই জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার জন্য তিনটি বড় মালা বয়ে আনেন তিনজন সেবায়েত। সব মিলিয়ে কার্যত উৎসবের মেজাজ ধরা পড়ে এদিন জগন্নাথদেবের মন্দিরে।

    ইংরেজি মাস হিসেবে ধরলে জুলাই এবং বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আষাঢ় মাসে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে রথযাত্রা উৎসব। ওই দিন মন্দিরে তৈরি এই রথে চেপেই মাসির বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রা। অগণিত মানুষের ঢল নামে সেই দিন পুরীতে। রথের পবিত্র দড়ি একবার স্পর্শ করার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে জগন্নাথ ভক্তরা ভিড় জমান পুরীতে। চন্দনযাত্রা উৎসব শেষে এই রথযাত্রা উৎসবের সূচনা হয়। এই সময়টা অত্যন্ত ব্যস্ততার সঙ্গেই কাটে মন্দিরের সেবায়েতদের।

     শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত অনুযায়ী চন্দনযাত্রার (Chandanyatra Utsav) ব্যাখা

    শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে দেখা যায়, বৃন্দাবনে পরম বৈষ্ণব শ্রীমাধবেন্দ্র পুরীকে স্বপ্নে তাঁর আরাধ্য শ্রীগোপাল বলছেন, “আমার শরীরের তাপ জুড়োচ্ছে না। মলয় প্রদেশ থেকে চন্দন নিয়ে এসো এবং তা ঘষে আমার অঙ্গে লেপন কর, তা হলে তাপ জুড়োবে।” তার পর বৃদ্ধ মাধবেন্দ্র পুরীপাদ পূর্বভারতে নীলাচলে জগন্নাথধাম পুরীতে এসে রাজার কাছে পূর্ব স্বপ্নগত সমস্ত কথা বললেন। রাজা গোপালের জন্য এক মণ মলয়জ চন্দন, ২০ তুলা কর্পূর এবং এই চন্দন বহে নিয়ে আসার জন্য দুইজন সেবকের ব্যবস্থা করেদিলেন। মাধবেন্দ্র পুরীপাদ রাজার কাছে মলয়জ চন্দন ও কর্পূর নিয়ে বৃন্দাবনে ফিরছিলেন। পথে রেমুণাতে শ্রীগোপীনাথ মন্দিরে আসেন। সেই রাত্রে সেখানে শয়ন কালে স্বপ্ন দেখেন, গোপাল এসে বলছেন, “হে মাধবেন্দ্র পুরী, আমি ইতিমধ্যেই সমস্ত চন্দন ও কর্পূর গ্রহণ করেছি। এখন কর্পূর সহ এই চন্দন ঘষে ঘষে শ্রীগোপীনাথের অঙ্গে লেপন কর। গোপীনাথ ও আমি অভিন্ন। গোপীনাথের অঙ্গে চন্দন লাগালেই আমার অঙ্গ শীতল হবে।” সকালে শ্রীমাধবেন্দ্র পুরিপাদ পূজারীর নিকট রাত্রের স্বপ্নের সমস্ত কথা বলিলেন। পূজারী প্রভু শুনে খুব খুশি হলেন এবং কর্পূর আর চন্দন ঘষে শ্রীগোপীনাথের শ্রীঅঙ্গে লেপন করলেন। দীর্ঘ ২১ দিন ধরে এইভাবে প্রত্যহ পূজারী প্রভু গোপীনাথের শ্রীঅঙ্গে লেপন করলেন। ভক্তদের মতে, সেইদিন থেকেই চন্দন যাত্রা শুরু হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Puri Flight: পুরীতে হচ্ছে বিমানবন্দর! এক ঘণ্টায়ই যাওয়া যাবে জগন্নাথ দর্শনে

    Kolkata Puri Flight: পুরীতে হচ্ছে বিমানবন্দর! এক ঘণ্টায়ই যাওয়া যাবে জগন্নাথ দর্শনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র এক ঘণ্টা লাগবে জগন্নাথ দর্শনে যেতে। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই হতে চলেছে। পুরীতে (Kolkata Puri Flight) শ্রী জগন্নাথ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা করেছে ওড়িশা সরকার। প্রয়োজনীয় জমির ছাড়পত্র দিয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক। গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্টস নীতি, ২০০৮ অনুযায়ী বিমানবন্দর তৈরির ছাড়পত্র চেয়েছিল মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে। বছরখানেক আগে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও জমা দিয়েছিল ওড়িশা সরকার। সম্প্রতি সেই ছাড়পত্র মিলেছে। আগামী দু’ বছরের মধ্যে গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরের স্টিয়ারিং কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ডিপিআর সহ আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

    বিমানবন্দর নির্মাণে ব্যয়

    বিমানবন্দরের জন্য পুরী জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই ব্রহ্মগিরি তহসিলের অধীনে সিপাসরুবালি ও সন্ধ্যাপুরে ৬৮ একর বনভূমি ও ২২১.৪৮ একর ব্যক্তিগত জমি সহ প্রায় ১,১৬৪ একর জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। যেহেতু প্রস্তাবিত জমিতে কোথাও বসতি নেই, তাই পুনর্বাসন দিতে হবে না। বিমানবন্দরটি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৫ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা। 

    সাইট ক্লিয়ারেন্সে ছাড়পত্র

    বিমানবন্দর প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এক কর্তা বলেন, “বিমানবন্দর গড়ে তোলার জন্য উপযুক্ত জমি বাছাইয়ের পর প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রেও অনুমতি নেওয়া হয়েছে জমির মালিকদের কাছ থেকে। কিছু সরকারি জমিও কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সাইট ক্লিয়ারেন্সে ছাড়পত্র মেলায় কাজের গতি এবার বাড়বে।”

    আরও পড়ুুন: ইজরায়েলের হানায় হত নুখবার শীর্ষ কমান্ডার, এবার হামাসের ঘরে ঢুকে জঙ্গি নিধন!

    প্রতিদিন (Kolkata Puri Flight) দেশের বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই, বিদেশ থেকেও বহু পুণ্যার্থী আসেন জগন্নাথ দর্শনে। এখন তাঁদের যেতে হয় ট্রেন কিংবা বাসে করে পুরী স্টেশন। সেখান থেকে ছোট গাড়ি ধরে যেতে হয় দেব দর্শনে। আর যাঁরা দূর-দুরান্ত কিংবা বিদেশ থেকে আসেন, আকাশ পথে তাঁরা এসে নামেন ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে। তার পর গাড়ি ধরে আসতে হয় পুরী। এতে পয়সা এবং পরিশ্রম দুইই খরচ হয় বেশি। সেই কারণেই পুরীর কাছাকাছি কোনও এলাকায় বিমানবন্দর গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছিল ওড়িশা সরকার। সেই মতো জমা দেওয়া হয় কাগজপত্র। জানা গিয়েছে, কলকাতা-পুরী (Kolkata Puri Flight) রুটে বিমান চলাচল শুরু হলে ঘণ্টাখানেক সময় ব্যয় করলেই পৌঁছে যাওয়া হবে শ্রীক্ষেত্র পুরীতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।    

  • Rath Yatra 2023: ‘জয় জগন্নাথ’ ধ্বনিতে মুখরিত পুরী, রথযাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

    Rath Yatra 2023: ‘জয় জগন্নাথ’ ধ্বনিতে মুখরিত পুরী, রথযাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, রথযাত্রা (Rath Yatra 2023)। লোকারণ্য পুরীতে। রথে চড়ে মাসির বাড়ি যাত্রা করলেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। পুণ্যার্থীর ঢল সৈকত শহরে (Puri)। নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। নিয়ম মেনে রথের রশিতে টান দিলেন ভক্তরা। রথযাত্রা উপলক্ষে দেশের মানুষকে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    পুরীতে রথের রশিতে টান

    রথযাত্রা (Rath Yatra 2023) উপলক্ষে পুরীতে এবারও লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়। দেশের নানা প্রান্তের মানুষের সঙ্গে ভিড় জমিয়েছেন বহু বিদেশি পযর্টক৷ সকাল থেকেই রীতিনীতি মেনে শুরু হয় পূজার্চনা। শোনা যাচ্ছে জয় জগন্নাথ ধ্বনি। সকালে মঙ্গলারতি দিয়ে সূচনা হয়েছে। এরপর রথযাত্রার মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে। গর্ভগৃহ থেকে ২২ ধাপে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে নামিয়ে আনা হবে। ২২ ধাপের তৃতীয় ধাপে শিবের দর্শন নেন জগন্নাথ। এরপর দুলিয়ে দুলিয়ে বাজনা বাজিয়ে বিগ্রহকে তোলা হবে রথে, যা পহন্ডি নামে পরিচিত। জগন্নাথদেবের রথের নাম নন্দীঘোষ, বলরামের তালধ্বজ আর সুভদ্রার রথের নাম দর্পদলন বা পদ্মধ্বজ।

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার রথযাত্রা! জেনে নিন জগন্নাথদেবের পুজোবিধি

    আমেদাবাদে রথযাত্রার সূচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    পুরীর রথযাত্রা (Puri Rath Yatra) দেশ-বিদেশে প্রসিদ্ধ। তবে সারা দেশেই মহাসমারোহে পালিত হয় এই উৎসব। প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই জগন্নাথ মন্দির থেকে রথ বেরোয় এবং সেই রথের রশিতে টান দিতে উৎসুক সাধারণ মানুষ। চিরাচরিত রীতি মেনে এদিন সকালেই রথযাত্রার সূচনা হয়ে গিয়েছে গুজরাটের আমেদাবাদে (Ahmedabad)। আমেদাবাদে জগন্নাথ মন্দিরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) মঙ্গল আরতির পরই রাস্তায় বেরিয়েছে জগন্নাথদেব, বলভদ্র এবং দেবী সুভদ্রার তিনটি পৃথক রথ।

    জামালপুর এলাকায় প্রসিদ্ধ জগন্নাথ মন্দির থেকে প্রতি বছরই তিনটি রথ বেরোয়। প্রথম রথে জগন্নাথদেব, দ্বিতীয় রথে বলভদ্র ও তৃতীয় রথে দেবী সুভদ্রার বিগ্রহ থাকে। এই রথযাত্রা ঘিরে আমেদাবাদ শহরে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। এদিন ভোরে জগন্নাথ মন্দিরে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রথ বেরোনোর আগে মন্দিরে পুজো দিয়ে জগন্নাথদেব, বলভদ্র ও দেবী সুভদ্রার মঙ্গল আরতিতে অংশগ্রহণ করেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagannath Puri: মঙ্গলবার রথযাত্রা, কেন পালিত হয় এই উৎসব?

    Jagannath Puri: মঙ্গলবার রথযাত্রা, কেন পালিত হয় এই উৎসব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রথযাত্রা। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, এদিন রথে করে জগন্নাথ (Jagannath Puri), বলরাম ও সুভদ্রা মাসির বাড়ি বেড়াতে যান। এই দিনেই পথে নামেন ভক্তের ভগবান। কাছ থেকে ঈশ্বর দর্শন করতে রাস্তায় নামেন ভক্তও। পথি মধ্যেই মিলন হয় ভক্তের সঙ্গে ভগবানের। জগন্নাথ হলেন ভগবান বিষ্ণুরই এক রূপ। এদিন পুরী সহ দেশের নানা প্রান্তে পালিত হয় রথযাত্রা উৎসব। রথের রশি ছুঁয়ে পূণ্যার্জন করতে ছোটেন পুণ্যলোভাতুরা। 

    কেন কাষ্ঠনির্মিত মূর্তি?

    হিন্দুদের মূর্তি সচরাচর তৈরি হয় মাটি, পাথর কিংবা ধাতু দিয়ে। কেবল জগন্নাথের মূর্তি তৈরি হয় কাঠের। (ইদানিং অবশ্য কেউ কেউ কাঠের কালীমূর্তিও তৈরি করে পুজো করছেন।) তাই জগন্নাথের আর এক নাম দারুব্রহ্ম। জগন্নাথের মূর্তি কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়। কারণ ভগবান বিষ্ণু নৃসিংহ অবতারে কাঠের খুঁটি থেকে বেরিয়েই বধ করেছিলেন হিরণ্যকশিপুকে। যেহেতু জগন্নাথ বিষ্ণুরই অবতার, তাই তাঁর বিগ্রহ কাষ্ঠ নির্মিত।

    পুরীর জগন্নাথের গুরুত্ব

    পুরীর জগন্নাথ ক্ষেত্র (Jagannath Puri) শাক্ত, বৈষ্ণব এবং শৈবদেরও তীর্থক্ষেত্র। জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন মন্দির রয়েছে মা বিরজার। হিন্দুদের বিশ্বাস, এই বিরজা সতীর অংশ বিশেষ। যেহেতু প্রতিটি সতীপীঠে ভৈরব থাকেন, তাই পুরীতে মা বিমলার ভৈরব জগন্নাথ। জগন্নাথ যেহেতু স্বয়ং বিষ্ণু, তাই এটি বৈষ্ণবদেরও তীর্থক্ষেত্র। জগন্নাথকে স্বয়ং শিব বলে মনে করেন শৈবরা। তাই শিব-ভক্তদের কাছেও পুরীর জগন্নাথ ক্ষেত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। বৌদ্ধদের কাছেও শ্রীক্ষেত্রের গুরুত্ব কম নয়। বৌদ্ধদের বিশ্বাস, শ্রীক্ষেত্রেই রয়েছে ভগবান তথাগতের দাঁত। জৈনদের কাছেও পুরীর গুরুত্ব অপরিসীম। তাঁদের বিশ্বাস, জগন্নাথ তীর্থঙ্কর স্বরূপ। কারণ নাথ বলা হয় জৈন তীর্থঙ্করদের। তাছাড়া জগন্নাথ শব্দটিও এসেছে জৈন থেকে। অনেকে মনে করেন, জগন্নাথ উপজাতিদের দেবতা। শবরা গোপনে পুজো করতেন নীলমাধবের। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। প্রতিষ্ঠা করা হয় পুরীধামে। তাই তিনি উপজাতিদেরও আরাধ্য।

    আরও পড়ুুন: বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক মার, আক্রান্ত মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, অভিযুক্ত তৃণমূল

    রথযাত্রার দিনে জগন্নাথ (Jagannath Puri), বলরাম ও সুভদ্রা এই তিন শ্রীবিগ্রহকে তোলা হয় রথে। বছরের এই একটি দিনেই ভক্তদের কোলে চড়ে রথারোহণ করেন জগতের নাথ। তাঁর সঙ্গে রথে চড়ে মাসির বাড়ি যান দাদা বলরাম ও বোন সুভদ্রা। পুরীর এই তিন শ্রীবিগ্রহ রথে চড়ে যান দু কিলোমিটার দূরের গুন্ডিচা মন্দিরে। সাত দিন এখানেই পুজো-ভোগ নিবেদন হয় দেবতার। উল্টো রথের দিন ফের শ্রীমন্দিরে ফেরেন ভক্তের ভগবান।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: প্রবল ঝড়ে ভেঙে পড়ল গাছ, মাঝপথে আটকে গেল পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস

    Vande Bharat: প্রবল ঝড়ে ভেঙে পড়ল গাছ, মাঝপথে আটকে গেল পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল ঝড়ে বিপত্তির মুখে পড়ল পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। রবিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে যেটুকু জানা গিয়েছে, কালবৈশাখীর প্রবল ঝড়ের দাপটে একটি বড় গাছ এসে পড়ে ট্রেনের উপরে। তার জেরে ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে যায়। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ। ইঞ্জিনের কাচেও নানা জায়গায় চিড় ধরে যায়। কয়েকটি কামরায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। রেল জানিয়েছে, যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে মেরামতের কাজ চলছে। তা সম্পন্ন হলেই ট্রেন ছাড়বে। তবে গোটা কাজ শেষ হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের আধিকারিক জানিয়েছেন, ভদ্রকের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময় দুপুর ১ টা ৫০ মিনিটে পুরী স্টেশন থেকে ছেড়েছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ওড়িশায় ট্রেনটি বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। ঝড়ের গতিবেগ এতটাই তীব্র ছিল যে একটি গাছ উড়ে এসে ট্রেনের ওপর পড়ে। তাতেই বিপর্যয় ঘটে।

    সকালেও দুর্ঘটনা

    অন্যদিকে, শনিবার রাতে অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় হাওড়া-পুরী সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস। চলন্ত ট্রেন থেকে কাপলিং খুলে আলাদা হয়ে যায় ইঞ্জিন ও দুটো বগি। বেশ কিছুদূর এগিয়ে যায় ইঞ্জিন সহ বগি দুটি। জানা গেছে, সেই সময় ট্রেনের ভিতরে ঘুমিয়ে ছিলেন যাত্রীরা। আচমকাই ঝাঁকুনিতে শোরগোল পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের আধিকারিকদের। ওই দুটি বগিকে মেরামতি না করতে পারায় নতুন করে দুটি বগি লাগানো হয় ট্রেনের সঙ্গে। যাত্রীদের নামিয়ে নতুন বগি লাগিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুরীর উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি। শনিবার রাত ১.০৫ নাগাদ ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুরের নেকুরসেনি স্টেশনের কাছে। তবে ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat Express: বৃহস্পতিবার চালু হচ্ছে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস! ভাড়া কত? জেনে নিন সময়সূচি

    Vande Bharat Express: বৃহস্পতিবার চালু হচ্ছে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস! ভাড়া কত? জেনে নিন সময়সূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরী বাঙালির অতি প্রিয়। বহু বাঙালি পরিবার বছরে অন্তত একবার পুরী যাত্রা করেন। জগন্নাথ ধামের আকর্ষণে বাঙালি ছোটে বারবার। হাওড়া থেকে পুরী এবার আরও কম সময়ে যাওয়া যাবে। ১৮ মে, বৃহস্পতিবার থেকেই চালু হচ্ছে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। ওই দিন পুরী থেকে যাত্রা শুরু করবে এই ট্রেন। ২০ মে, শনিবার থেকে নিয়মিত চলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। হাওড়া থেকে পুরী ৫০২ কিমি পথ অতিক্রম করতে সময় লাগবে সাড়ে ৬ ঘণ্টা। 

    ট্রেনের খুঁটিনাটি

    ভারতীয় রেল জানিয়েছে, হাওড়া থেকে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে ছাড়বে ২২৮৯৫ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। পুরী পৌঁছবে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে। পুরী থেকে ওই দিন দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ছাড়বে বন্দে ভারত। হাওড়া পৌছবে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। ১৬ কামরার এই ট্রেন হাওড়া থেকে পুরী যাওয়ার পথে থামবে খড়্গপুর, বালেশ্বর, ভদ্রক, জাজপুর, কেওনঝড়, কটক, ভুবনেশ্বর, খুরদা রোড স্টেশনে। বুধবার থেকে এই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। শুধু বৃহস্পতিবার চলবে না এই ট্রেন। যদিও উদ্বোধনের পরেই রেলের তরফে অফিসিয়ালি বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে। আইআরসিটিসি-র অ্যাপে এখনও ভাড়া নিয়ে কোনও আপডেট দেওয়া হয়নি। জল্পনা এই বন্দে ভারতের ভাড়াও হতে চলেছে হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারতের মতোই। যতদূর জানা গেছে, ভাড়া হবে এইরকম-চেয়ার কার ১২৬৫ টাকা, এগজিকিউটিভ ২৪২০ টাকা। এই ট্রেনে ৯২৬টি চেয়ার কার আসন এবং ৮৬টি এগজিকিউটিভ আসন থাকবে।

    আরও পড়ুন: ‘ওয়াই’ থেকে ‘জেড’ ক্যাটেগরি! সৌরভের নিরাপত্তা বাড়াল নবান্ন, কেন?

    রেল সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটির উদ্বোধন করবেন। এটি ওড়িশা রাজ্যের প্রথম বন্দে ভারত (Vande Bharat Express) হতে চলেছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের জন্য এটি হতে চলেছে দ্বিতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ওড়িশার পাশাপাশি কলকাতার রেলপ্রেমীদের কাছেও এটি যে অন্যতম সেরা আকর্ষণ হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকছে হাওড়ার উপরেই। ইতিমধ্যেই রেলের তরফে হাওড়া-পুরী রুটে বন্দে ভারতের ট্রায়াল রান হয়ে গিয়েছে। ট্রায়াল রানের দিন হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্স থেকে ট্রেনটি ছেড়েছিল পুরীর উদ্দেশে। এবার পুরী থেকেই শুরু হবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: হাওড়া পুরী রুটে ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, কবে থেকে জানেন?

    Vande Bharat: হাওড়া পুরী রুটে ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একটা বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেস পেতে চলেছে বাংলা। আগেরটি চলছে হাওড়া (Howrah) নিউ জলপাইগুড়ি রুটে। এবার চলবে হাওড়া পুরী (Puri) রুটে। শুক্রবার শুরু হবে মহড়া যাত্রা। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রেই এমন খবর মিলেছে। আগামী রবিবার হাওড়া থেকে ওড়িশার ভদ্রক পর্যন্ত আরও একটি ট্রায়াল রান হবে ওই বন্দে ভারতের। জানা গিয়েছে, মহড়া যাত্রায় সময় লাগবে সাড়ে ছ ঘণ্টা।

    বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসের ট্রায়াল রান…

    খড়্গপুর ডিভিশনের সিনিয়র ডিসিএম রাজেশ কুমার জানান, ট্রায়াল রান সফল হলে খুব শীঘ্রই পুরোদমে ট্রেন পরিষেবা শুরু হবে। তবে যাত্রী পরিষেবা কবে থেকে শুরু হবে, সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই জানান তিনি। এদিকে, বুধবার রাতেই বন্দে ভারতের (Vande Bharat) একটি রেক এসেছে হাওড়ায়। ওড়িশার বালেশ্বর হয়ে সাঁতরাগাছি কারশেডে এসে পৌঁছায় ১৬ কামরার ওই রেকটি। রেল সূত্রে খবর, মহড়া যাত্রায় শুক্রবার সকাল ৬টি ১০ মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়বে বন্দে ভারতের ওই রেকটি। দুপুর ১২টি ৩৫ মিনিটে সেটি পৌঁছাবে পুরী। মাঝে ২ মিনিটের জন্য ট্রেনটি দাঁড়াবে খড়্গপুরে। ফিরতি পথে ট্রেনটি পুরী ছাড়বে ১টা ৫০ মিনিটে। হাওড়ায় পৌঁছবে রাত্রি সাড়ে ৮টায়। খড়্গপুর ছাড়াও আরও ৬টি স্টেশনে দাঁড়ানোর কথা বন্দে ভারতের।

    আরও পড়ুুন: রামনবমী কাণ্ডে তদন্তভার এনআইএ-র হাতে যেতেই মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দু-সুকান্তর

    জানা গিয়েছে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের রেক চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল ফ্যাক্টরি থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সাঁতরাগাছি স্টেশনে ওই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হবে। মে মাসের প্রথম দিকেই উদ্বোধন করা হতে পারে হাওড়া পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। তবে ঠিক কবে উদ্বোধন হবে, তা জানা যায়নি। রাজেশ কুমার বলেন, বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসের একটি রেক বুধবার রাতে এসেছে। খড়্গপুর হয়ে সেটা সাঁতরাগাছি কারশেডে পৌঁছেছে। কোন রুটে, কবে থেকে ট্রেন চলবে সেটা এখনও জানানো হয়নি। বুধবার রাতে ট্রেনটি বালেশ্বর হয়ে এসেছিল খড়্গপুর। ৫ মিনিট পর সেটি সাঁতরাগাছি চলে গিয়েছে। ট্রায়াল রান শুরু হবে কয়েক দিনের মধ্যে। তবে কবে থেকে চালু হবে, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Vande Bharat: বঙ্গে ফের বন্দে ভারত! ফেব্রুয়ারিতেই ছুটবে হাওড়া পুরী রুটে?

    Vande Bharat: বঙ্গে ফের বন্দে ভারত! ফেব্রুয়ারিতেই ছুটবে হাওড়া পুরী রুটে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat)! তবে এবার ট্রেনে পাথর ছোড়ার ঘটনার জন্য নয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়ার জন্যও নয়, সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন কারণে বঙ্গবাসীর চর্চায় চলে এসেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কারণটি হল, হাওড়া (Howrah) নিউ জলপাইগুড়ির পর এবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছুটতে পারে হাওড়া পুরীর (Puri) মধ্যে। রেলের একটি সূত্রেই এ খবর মিলেছে। এও জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাস থেকেই হাওড়া থেকে নীলাচলের দিকে রওনা দিতে পারে সেমি হাইস্পিড এই ট্রেন।

    বন্দে ভারত…

    নববর্ষের প্রাক্কালে বঙ্গবাসীকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে চলতি বছরের প্রথম দিকে, হাওড়া থেকে ছেড়ে ট্রেনটি পৌঁছায় নিউ জলপাইগুড়ি। উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে চালু করা হয় ট্রেনটি। মাত্র আট ঘণ্টায় হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছায় এই ট্রেন। বোলপুরের পাশাপাশি ট্রেনটি দাঁড়াচ্ছে মালদহ টাউন ও বারসোই স্টেশনে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বিশ্বমানের যে কোনও ট্রেনকে টক্কর দিতে প্রস্তুত। ট্রেনটির পুরোটাই এসি চেয়ারকার। প্রতিটি আসনই ঘোরে ৩৬০ ডিগ্রি। ট্রেনের মধ্যেই রয়েছে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা।

    আরও পড়ুুন: বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’! অস্বস্তি এড়াতে পাশ কাটিয়ে গেলেন বিধায়ক

    হাওড়া থেকে ট্রেনটি (Vande Bharat) কখন ছাড়বে, পুরীই বা পৌঁছবে ক’টায়, তা এখনও জানা যায়নি। তবে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, পাঁচ থেকে ছ ঘণ্টার মধ্যেই হাওড়া থেকে পুরী পৌঁছানো যাবে। হাওড়া থেকে ছেড়ে ট্রেনটির প্রথম স্টপেজ হতে পারে ভুবনেশ্বর। এছাড়াও আরও একটি স্টেশনে দাঁড়াতে পারে সেমি হাইস্পিড এই ট্রেন। বঙ্গবাসীর জগন্নাথ দর্শন আরও অনায়াস  করতেই এই ব্যবস্থা।

    এদিকে, শুক্রবার ফের হামলার শিকার হয় হাওড়া নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেস। এদিন সব মিলিয়ে মোট তিনবার হামলা হয়েছে ট্রেনটিতে। দুষ্কৃতীদের নাগাল পেতে তৎপর আরপিএফ। হাওড়া পুরী রুটের ট্রেনে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেদিকে রেল বিশেষ নজর দিচ্ছে বলেও সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুুন: মোষের গাড়িতে কয়লা পাচার! পুলিশ দেখেই অন্ধকারে মিলিয়ে গেল চালকরা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Setting Guru Daitapati: কয়লা-গরু পাচারে সন্ধান ‘সেটিং গুরু’ দয়িতাপতির,  খোঁজ নিচ্ছে ইডি-সিবিআই

    Setting Guru Daitapati: কয়লা-গরু পাচারে সন্ধান ‘সেটিং গুরু’ দয়িতাপতির, খোঁজ নিচ্ছে ইডি-সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা-গরু পাচার (Cattle-Coal smuggling scam) কাণ্ডে চাঞ্চল্যকরভাবে নাম জড়াচ্ছে পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) এক দয়িতাপতির (Daitapati)। তিনি নাকি তৃণমূলী মহলে ‘সেটিং গুরু’ (TMC Setting Guru) নামে পরিচিত। অতীতে সিবিআই-ইডি-আয়করের (ED-CBI-Income Tax) নোটিস এলেই তৃণমূলের (TMC) অনেক নেতাই এই সেটিং গুরুর কাছে হাজির হতেন। তিনি নাকি তাঁর ভক্তকূলের মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থায় কাজ করেন এমন অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতেন। বলাই বাহুল্য কিঞ্চিত দক্ষিণার মাধ্যমে।

    কিন্তু সেই সেটিং গুরুর যাবতীয় কারবার নাকি এখন আর কাজ করছে না। তৃণমূলের অন্দরের চর্চা, সম্প্রতি যে কজন বড় মাথা সিবিআই, ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তাঁরাও সেটিং গুরু দয়িতাপতির শরণাপন্ন হয়েছিলেন। এবার অগ্রিম দক্ষিণাও দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও শেষ রক্ষা হয়নি। তৃণমূলের লোকজন এখন সেই সেটিং গুরুর চ্যালা চামুণ্ডাদের খুঁজতে শুরু করেছেন। এমনই একজন বিপদ বুঝে পূরী পালিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: সাত মাসে তিন বার দুবাই যাত্রা অভিষেকের, ফিসফিসানি দলের অন্দরেই

    কে এই সেটিং গুরু?

    তৃণমূলের অন্দরের খবর, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দয়িতাপতির ওড়িশার চেয়েও কলকাতায় ভক্ত সংখ্যা বেশি। তিনি কলকাতায় এলে ডেরা বাঁধেন গড়িয়াহাটের কাছে। সেখানেই তৃণমূলের হেভিওয়েটরা তাঁর কাছে ভিড় করেন। কারণ, কালীঘাট চত্বরে বছরে দু-তিনবার মহাযজ্ঞ করে থাকেন তিনি। ফলে সর্বোচ্চস্তরে এক ফোনেই নানা কাজ করিয়ে দেওয়া নাকি তাঁর বাঁ হাতের খেলা। তৃণমূলের বহু নেতাকে টিকিট দেওয়া, কাউন্সিলারকে চেয়ারম্যান বানানো, বিধায়ককে মন্ত্রী বানানোর হাতযশ তাঁর রয়েছে। সেই সূত্রেই সেটিং গুরুর কাছে ভিড়ও হয়।

    এবারও ইডি-সিবিআইয়ের নোটিস পাওয়া ভারী নেতারা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। দক্ষিণ শহরতলির কোনও এক কাঞ্জিলালের কাছে দক্ষিণাও পৌঁছে দিয়েছিলেন তাঁরা। এমনকি সিবিআই-ইডি ম্যানেজ হয়ে গিয়েছে বলেও সেটিং গুরু দাবি করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, এবার ইডি-সিবিআই বেশি সক্রিয়। অন্যান্যবার সিবিআই জেরার জন্য ডেকে গ্রেফতার করত। এবার রীতিমতো বাড়ি গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলে ভারী নেতাদের গ্রেফতার করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আরও কিছু নেতা ও পুলিশ কর্তা সেই তালিকায় আছে বলে শোনা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: গরু পাচারের ৪২ ঘাটে যুক্ত ৬২ আইসি-ওসি এবার সিবিআইয়ের আতসকাচে

    কিন্তু সেটিং গুরুর কাছে দক্ষিণা পৌঁছে যাওয়ার পরও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সক্রিয়তা না কমায় তৃণমূল নেতারা কাঞ্জিলালের সন্ধান শুরু করেছে। শোনা যাচ্ছে দিন কয়েক আগে ওই ব্যক্তি রাজ্য ছেড়ে শ্রীক্ষেত্রের উদ্দেশে পালিয়েছে। কিন্তু তৃণমূল নেতাদের আফসোসের শেষ নেই। এই খবর সিবিআই-ইডির কাছেও পৌঁছেছে। ফলে সেটিং গুরুর কারবার নিয়ে নজরদারিও শুরু করেছে তারা।   

LinkedIn
Share