Tag: Putin

Putin

  • Narendra Modi: মোদির জন্মদিনে পুজো বা কেক কাটা নয়  আজ  থেকে সেবাপক্ষ শুরু বিজেপির

    Narendra Modi: মোদির জন্মদিনে পুজো বা কেক কাটা নয় আজ থেকে সেবাপক্ষ শুরু বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১৭ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)জন্মদিন। একাত্তর পূর্ণ করে বাহাত্তর বছরে পা দিচ্ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে পুরীর সৈকতে সুদর্শন পট্টনায়েকের (Sudarsan Pattnaik) শিল্পকলায় বালিতেই মূর্ত হয়ে উঠেছে নরেন্দ্র মোদির অবয়ব। পাশেই রয়েছে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা।

    শনিবার, জন্মদিনের আগে শুক্রবার সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের পার্শ্ববৈঠকে মোদির মুখোমুখি হয়েছিলেন রাশিয়ার প্রসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের বন্ধু দেশ রাশিয়া। বহুবার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সেই সম্পর্কের পরীক্ষা হয়েছে। কোনওবারই ভারতকে হতাশ হতে হয়নি। পালটা,ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মার্কিন চাপ সত্ত্বেও বন্ধুরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। কিন্তু,তারপরও উজবেকিস্তানে হওয়া দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানাননি রুশ প্রেসিডেন্ট। কিন্তু কেন তিনি এমন করলেন? আসলে রাশিয়ার প্রথা মতে কাউকে জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানানো হয় না। তাই বিষয়টি মনে থাকলেও মোদিকে শুভেচ্ছা জানাননি পুতিন। তিনি বলেন, “আমি জানি, কাল আমার বন্ধুর কাছে একটি বিশেষ দিন। জন্মদিনে নানান কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি।” 

    আরও পড়ুন: ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়, বন্ধু…’’, পুতিনকে যখন এই কথা বললেন মোদি

    মোদির জন্মদিনটি এবার একটু অন্যভাবে পালন করতে চলেছেন বিজেপি (BJP) কর্মীরা। শোনা গিয়েছে, জন্মদিনে কেক কাটবেন না মোদি। হবে না কোনও যজ্ঞ। তার বদলে দান-ধ্যানের আয়োজন থাকছে বিভিন্ন জায়গায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন উপলক্ষে শনিবার থেকে ১৫ দিনের সেবাপক্ষ শুরু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে দিল্লির কনট প্লেসের এক রেস্তরাঁ তৈরি করেছে ৫৬ ইঞ্চির বিশেষ থালি। মোদিকে সম্মান জানিয়ে ৫৬ রকম পদের আয়োজন করা হয়েছে ওই বিশেষ থালিতে। শনিবার চেন্নাইয়ের একটি সরকারি হাসপাতালে জন্ম নেওয়া সব নবজাতককে সোনার আংটি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে তামিলনাড়ু বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে নমো অ্যাপে থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ukraine war: ইউক্রেনে যুদ্ধাস্ত্র পাঠালে নতুন টার্গেটে হামলা, পশ্চিমকে হুঁশিয়ারি পুতিনের

    Ukraine war: ইউক্রেনে যুদ্ধাস্ত্র পাঠালে নতুন টার্গেটে হামলা, পশ্চিমকে হুঁশিয়ারি পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকা (America) যদি ইউক্রেনকে (Ukraine) দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র (long  range missiles) সরবরাহ বন্ধ না করে, তাহলে রাশিয়া (Russia) নয়া লক্ষ্যে আঘাত হানবে। পশ্চিমের দেশগুলিকে এই মর্মে সতর্ক করল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir putin)। রাশিয়ার এক সংবাদসংস্থা সূত্রেই এখবর মিলেছে। তিনি বলেন, “ইউক্রেনের যেসব জায়গায় আমরা এখনও আঘাত করিনি, সেসব জায়গায় এবার আঘাত করব।”

    চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia war)। প্রথম দিকে ইউক্রেনকে কিছুটা চেপে ধরলেও, পরে রাশিয়ার সঙ্গে সমানে টক্কর নিচ্ছে ইউক্রেন। যার জেরে একশো দিন পেরিয়ে গেলেও যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকা সহ ন্যাটোর (NATO) অন্যান্য দেশের সাহায্য পাচ্ছে ইউক্রেন। তারই জেরে অব্যাহত লড়াই। সেই কারণেই এবার নাম না করে পশ্চিমের দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Russian President)। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইলের জোগান দেওয়া হলে রাশিয়া নয়া লক্ষ্যে আঘাত করবে।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    দিনকয়েক আগেই আমেরিকা জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনকে হিমার (M142 HIMARS) মাল্টিপল রকেট লঞ্চ সিস্টেম (Multiple Rocket Launch Systems (MLRS)) পাঠাবে। আশি কিলোমিটার দূরের কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়াও কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র সাহায্য করছে আমেরিকা। এই অস্ত্র সাহায্যেই ক্ষুব্ধ মস্কো (Moscow)।

    আন্তর্জাতিক যুদ্ধ বিশারদদের মতে, আমেরিকার হিমার চেয়ে রাশিয়ার হাতে থাকা সিস্টেমের পাল্লা কম। তাই হিমার দিয়ে ইউক্রেন বাহিনী কিভে (Kyiv) বসেই রুশ সেনাঘাঁটিতে হামলা চালাতে পারবে অনায়াসে। সেই কারণেই চিন্তিত ক্রেমলিন (Kremlin)। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) দাবি, তাঁরা এমন কোনও অস্ত্র ইউক্রেনকে দেবেন না, যাতে রাশিয়ার কোনও ক্ষতি হয়। পুতিনও স্বীকার করেছেন, আমেরিকা এমন কোনও নয়া অস্ত্র ইউক্রেনকে দিচ্ছে না। সোভিয়েত যুগে (Soviet era) তৈরি হিমারের মতো অস্ত্র ইউক্রেনের কাছে ছিল। পুতিন বলেন, আমেরিকার আসল উদ্দেশ্য যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করা।

    আরও পড়ুন : ভারতের ওপর কি ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে রাশিয়া?

    যদিও টোকিওতে কোয়াড (QUAD) সম্মেলনের মঞ্চে পুতিনকে তোপ দেগে বাইডেন বলেছিলেন, আমরা ইতিহাসের একটি অন্ধকার অধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ। এটি একটি মানবিক বিপর্যয়। যা শুধু মাত্র ইউরোপের (Europe) সমস্যা নয়, গোটা বিশ্বের সমস্যা। তিনি বলেন, এমনটা নয় যে রাশিয়া কেবল ইউক্রেনের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে। তারা ইউক্রেনের প্রতিটি স্কুল, প্রতিটি গির্জাকে তাদের অস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু করছে। বিশ্বের সমস্ত শান্তিকামী দেশকে এর মোকাবিলা করতে হবে।

     

  • Putin on Food Crisis: নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেই খাদ্যসঙ্কট মোচনে মদত, পশ্চিমকে ‘শর্ত’ পুতিনের

    Putin on Food Crisis: নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেই খাদ্যসঙ্কট মোচনে মদত, পশ্চিমকে ‘শর্ত’ পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষেধাজ্ঞা তুলতে পশ্চিমের দেশগুলিকে চাপ দিল রাশিয়া (russia)!

    পশ্চিমের দেশগুলি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেই বিশ্বব্যাপী খাদ্যসঙ্কট (Global food crisis) এড়াতে মস্কো (Moscow) উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে প্রস্তুত। একথা জানিয়ে দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির (Mario Draghi) সঙ্গে ফোনে কথা বলেন পুতিন। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, সেই সময়ই পুতিন মারিওকে জানিয়ে দেন একথা।

    ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর ক্রেমলিনের (Kremlin) পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আজভ (Sea of Azov) ও কৃষ্ণসাগরে (Black Sea) জাহাজ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফোনে কথা বলার সময় পুতিন আজভ ও কৃষ্ণসাগরে অসামরিক জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার নিশ্চয়তায় গৃহীত পদক্ষেপের কথাও জানিয়েছেন মারিওকে। তিনি সেখানে এসব জাহাজ চলাচলে নিয়মিত মানবিক করিডর চালু রাখার কথাও উল্লেখ করেন।

    রাশিয়ার তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ান ফেডারেশন শস্য ও সার রফতানির মাধ্যমে খাদ্যসঙ্কট কাটিয়ে উঠতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে যে প্রস্তুত ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে তা জানানো হয়েছিল। তবে সেজন্য পশ্চিমের দেশগুলি থেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করতে হবে।

    আরও পড়ুন : মোদি-মাক্রঁর বৈঠক, উঠল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও

    রাশিয়ার অবস্থানকে ব্ল্যাকমেল হিসেবে বর্ণনা করেছে ইউক্রেন (Ukraine)। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ বিদেশ সচিব লিজ ট্রাস বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট খাদ্যসঙ্কটকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে বিশ্বকে ব্ল্যাকমেল করতে চাইছেন পুতিন। কিভের দাবি, ইউক্রেনের বন্দর আটকে রেখেছে রাশিয়া। যে কারণে, সেখান দিয়ে কোনও শস্য় পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। মস্কোর পাল্টা দাবি, বন্দরগুলিতে মাইন বিছিয়ে রেখেছে ইউক্রেন। 

    বিশ্ববাজারে ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে খাদ্যসঙ্কট। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শস্য, রান্নার তেল, জ্বালানি ও সারের মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটকে উসকে দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। তার জেরে ভারতের কড়া সমালোচনা করেছে জি-৭ (G-7) ভুক্ত দেশগুলি। তারা ভারতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আরজিও জানিয়েছে। অবশ্য গম রফতানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে প্রতিবেশী দেশ চিন (China)।

    পর্যবেক্ষকদের মতে, বিশ্বের ক্রমবর্ধমান খাদ্য সঙ্কটের জন্য পশ্চিমের দেশগুলির ওপর দায় চাপাতে চাইছে ক্রেমলিন। ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষের (Ukraine Russia Crisis) কারণে লক্ষ লক্ষ টন খাদ্যশস্য ও অন্যান্য কৃষিপণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে পাঠাতে পারছে না ইউক্রেন।

    আরও পড়ুন : চিন নিয়ে সহমত, রাশিয়া প্রসঙ্গে বিভেদ কোয়াডে

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine War) জেরে বিশ্ববাজারে দাম বেড়েছে খাদ্যশস্য, ভোজ্যতেল, জ্বালানি এবং সারের। দেখা দিয়েছে খাদ্যসঙ্কটও। যদিও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, অসামরিক জাহাজগুলি এখন নিরাপদে ইউক্রেনের মারিউপোলের (Mariupol) আজভ সাগর বন্দর ব্যবহার করতে পারে। এই বন্দরে ছটি বিদেশি শুকনো পণ্যবাহী জাহাজ এখন ছাড়ার জন্য প্রস্তুত। এই জাহাজগুলি বুলগেরিয়া, ডোমিনিকা, লাইবেরিয়া, পানামা, তুরস্ক এবং জামাইকা থেকে এসেছে।

    জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের কৃষকদের উৎপাদিত দু’কোটি টনের বেশি খাদ্যশস্য আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। দেশটিতে নতুন করে ফসল কাটার সময়ও চলে এসেছে। এমতাবস্থায় পুতিনের ‘শর্তে’ বিশ্বনেতারা রাজি হন কিনা, এখন সেটাই দেখার।

     

  • Ukraine-Russia War: রুশ সেনাদের হাতে প্রায় বন্দি হয়ে গিয়েছিলেন পরিবার-সহ জেলেনস্কি

    Ukraine-Russia War: রুশ সেনাদের হাতে প্রায় বন্দি হয়ে গিয়েছিলেন পরিবার-সহ জেলেনস্কি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রুশ সেনারা প্রায় ধরেই ফেলেছিলেন, অল্পের জন্য বেঁচে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম দিকের কথা স্মরণ করে ইয়ারমাক জানান, রুশ সেনারা প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের সদস্যদের বন্দি করার খুব কাছে চলে এসেছিলেন।  

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ অভিযান ঘোষণার পরের দিন জেলেনস্কি আর তাঁর স্ত্রী  ওলেনা জেলেনস্কার ঘুম ভেঙে গেলে তাঁদের ১৭ বছর বয়সী মেয়ে ও ৯ বছর বয়সী ছেলে জানায় যে বোমাবর্ষণ শুরু হয়ে গেছে। সেদিন খুব জোরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল বলে সাক্ষাৎকারে দাবি করা হয়েছে। শীঘ্রই জেলেনস্কি বুঝতে পারেন যে তিনিই হামলার লক্ষ্য এবং প্রেসিডেন্টের অফিস আর  নিরাপদ নয়। জেলেনস্কি বলেন, তাঁকে জানানো হয়েছিল যে একটি রাশিয়ান দল তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে হত্যা বা বন্দি করার জন্য কিয়েভে নামছে।

    কীভাবে প্রেসিডেন্টের গার্ড কম্পাউন্ডটি সুরক্ষিত করার চেষ্টা করেছিলেন তা জানিয়েছেন জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক। তিনি বলেন, “সেই রাতের আগে, আমরা কেবল সিনেমাতেই এসব দেখেছি।” পিছনের প্রবেশদ্বারের একটি গেট পুলিশ ব্যারিকেড এবং প্লাইউড বোর্ডের স্তূপ দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। রাশিয়ান আক্রমণের প্রথম রাতে, লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং কম্পাউন্ডের ভেতরের রক্ষীরা জেলেনস্কি এবং তাঁর সহযোগীদের জন্য বুলেটপ্রুফ ভেস্ট এবং অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে আসেন। ওই রাতে রাশিয়ান সেনারা দুইবার কম্পাউন্ডের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। সে সময়  জেলেনস্কি এবং তাঁর স্ত্রী-সন্তান ভেতরেই ছিলেন বলে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ওলেক্সি আরেস্তোভিচ জানিয়েছেন। 

    প্রসঙ্গত, রাশিয়ার আক্রমণের মুখে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছেন জেলেনস্কি। রুশ আগ্রাসন শুরুর পর দেশ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেছিলেন তিনি। 

  • Putin Health: ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন পুতিন, জল্পনা বিভিন্ন মহলে

    Putin Health: ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন পুতিন, জল্পনা বিভিন্ন মহলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। এ জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার করাতে সাময়িকভাবে তিনি অন্য একজনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে যাচ্ছেন। জানা গিয়েছে, পুতিন তাঁর ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি নিকোলাই পেত্রুশেভের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চলেছেন। এমনই দাবি করেছে আমেরিকার একটি অনলাইন সংবাদ সংস্থা। যদিও পুতিনের অসুস্থতা সংক্রান্ত সবরকম দাবি নাকচ করেছে ক্রেমলিন। 

    ওই সংবাদ সংস্থার দাবি, পুতিন থাইরয়েডের ক্যনসারে আক্রান্ত। রোগটির চিকিৎসা এপ্রিলেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুতিনই নাকি চাননি অস্ত্রোপচার করাতে। কেন অস্ত্রোপচার করাতে চাননি পুতিন? ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ তার কারণ কি না বা যুদ্ধ পরবর্তী রুশ অর্থনীতির বেহাল দশার জন্য পুতিনের এমন সিদ্ধান্ত কি না তা স্পষ্ট নয়। তবে ওই চ্যানেল ক্রেমলিনের ওই সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ৯ মে-র আগে অস্ত্রোপচার হচ্ছে না। পুতিন নিজেই তারিখ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। ওই চ্যানেলটির দাবি, পুতিনের রোগের পরিস্থিতি সম্ভবত খুব গুরুতর নয়। তবে তার অস্ত্রোপচারে বিশেষ দেরি করা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

    সাধারণত, দেশের প্রেসিডেন্ট অসুস্থ হলে প্রধানমন্ত্রীর হাতেই ক্ষমতা আসার কথা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। ক্রেমলিন সূত্রে ওই চ্যানেলটিকে বলা হয়েছে, পুতিন ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি ছিলেন না। বদলে তিনি চেয়েছিলেন যে অল্প সময় তিনি নিয়ন্ত্রণে থাকবেন না, তখন কাউকে সাময়িক দেখাশোনার ভার দেওয়া হোক যিনি দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতিকে অভিজ্ঞ হাতে সামলাতে পারবেন।নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান ৭০ বছরের পাত্রুশেভ এককালে রাশিয়ান চরদের প্রধান ছিলেন। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রাথমিক লেখচিত্রও তাঁরই করা। তাঁকে এই ভার দিতে রাজি হওয়ার আগে পুতিন দু’ঘণ্টা একান্তে কথা বলেন পাত্রুশেভের সঙ্গে। ফলে, মনে করা হচ্ছে পেত্রুশেভের কাছে পুতিন দু-তিন দিনের জন্য ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারেন। তবে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, তাঁরা পুতিন সংক্রান্ত এমন কিছু খবর পাননি।

LinkedIn
Share