Tag: Rabindranath Tagore

Rabindranath Tagore

  • Vande Mataram: জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গণ মন’ এর মতো জাতীয় গীত বন্দেমাতরমকেও বিশেষ সম্মান জানানোর পক্ষে সওয়াল কেন্দ্র সরকারের

    Vande Mataram: জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গণ মন’ এর মতো জাতীয় গীত বন্দেমাতরমকেও বিশেষ সম্মান জানানোর পক্ষে সওয়াল কেন্দ্র সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় গান বন্দেমাতরমকেও (Vande Mataram) এবার বিশেষ মর্যাদা দেবার জন্য দেশের নাগরিকদের নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শনিবার দিল্লি হাইকোর্টে একটি হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্র সরকার। অর্থাৎ দুটো সঙ্গীতকেই সমান মর্যাদার পক্ষে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, জাতীয় সঙ্গীত বাজানো বা গাওয়ার ক্ষেত্রে সংবিধানে নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ভারতের জাতীয় গান বন্দেমাতরমের ক্ষেত্রে তেমন কোনও নিয়ম বা তা অমান্য করলে শাস্তিমূলক বিধান নেই।
    বিশিষ্ট আইনজীবী ও বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায় দিল্লি হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই দিল্লী হাইকোর্টে হলফনামায় এই নির্দেশিকা দেয় অমিত শাহের দপ্তর। কেন্দ্রের তরফে দিল্লি হাইকোর্টে জানানো হয়েছে, দেশের শীর্ষ আদালতে এই বিষয়ে একটি মামলা উঠেছিল। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে বা রায় জানাতে অস্বীকার করে। কারণ হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, আদালতে জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় গানের বিষয়ে কোনও উল্লেখ নেই। সেই কারণে এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কোনও মন্তব্য করতে পারে না। পরবর্তীকালে উচ্চ আদালতের তরফে বন্দে মাতরম গান বাজানোর নির্দেশিকার আবেদন করে একটি পিটিশন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ‘বন্দে মাতরম’ ও ‘জন গণ মন’-এর মধ্যে কোনও বিরোধ থাকতে পারে না। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ কেন্দ্র মেনে চলে।

    প্রসঙ্গত, বন্দেমাতরম হল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আনন্দমঠ উপন্যাসের একটি কবিতা। ১৮৯৬ সালে প্রথমবার গানটি গাওয়া হয় কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের সঙ্গেও এই গানটি ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। তবে যখন জাতীয় সঙ্গীত নির্বাচনের বিষয় আসে, তখন বন্দে মাতরমের পরিবর্তে জনগণমনকেই বেছে নেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে সিদ্ধান্ত হয় জনগণমনর মতো একই মর্যাদা দেওয়া হবে বন্দে মাতরমকেও। সেই মতো ১৯৫০-এর ২৪ জানুয়ারি জনগণমনকে (National Anthem) জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করার পাশাপাশি বন্দেমাতরমকে জাতীয় গান (National Song Of India) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

    অপরদিকে,কবিগুরুর রচিত জনগণমন গানটি প্রথম গাওয়া হয়েছিল ১৯১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর কলকাতায় আয়োজিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ২৬তম বার্ষিক অধিবেশনে। আর তার ঠিক পরের দিন দ্য বেঙ্গলি পত্রিকায় গানটির ইংরেজি অনুবাদসহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯১২ সালের জানুয়ারি মাসে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় ভারত-বিধাতা নামে প্রকাশিত হয় গানটি। তারও পরে গানটির ইংরেজি অনুবাদ করেন রবীন্দ্রনাথ। পরবর্তীকালে ১৯৩৭ সালে প্রথম সুভাষচন্দ্র বসু (Subhas Chandra Bose) জনগণমন-কে জাতীয় সঙ্গীত করার প্রস্তাব করেন।

    এরপর কেটে যায় আরও অনেকগুলো বছর। ১৯৪৭-এ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কোনও একটি অনুষ্ঠানে বাজানোর জন্য জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতীয় প্রতিনিধিদের থেকে জাতীয় সংগীতের একটি রেকর্ড চাওয়া হয়। তাঁরা বিষয়টি ভারত সরকারকে জানান এবং জনগণমন-কেই (Jana Gana Mana) বাজানোর পক্ষে মত দেন। এরপর সরকারের অনুমতি অনুসারে জাতিসংঘের অর্কেস্ট্রাবাদনের একটি রেকর্ড সেই অনুষ্ঠানে বাজানো হয়। আরও পরে অন্যান্য বিশেষজ্ঞরাও এই গানটিকেই দেশের জাতীয় সঙ্গীত করার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন। যার জেরে ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি জনগণমনকেই দেশের জাতীয় সঙ্গীত (National Anthem) হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

  • Visva-Bharati: ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির সহায়ক ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করল বিশ্বভারতী

    Visva-Bharati: ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির সহায়ক ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করল বিশ্বভারতী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন একটি উপকারী ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করল বিশ্বভারতীর উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ (Visva-Bharati)। এই ব্যাকটেরিয়া মূলত ধান চাষের অত্যন্ত সহায়ক৷ ব্যাকটেরিয়াটির নামকরণ করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ও রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে। এখনও পর্যন্ত লিভিং কোনও কিছুর নাম কবি ও কবিপুত্রর নামে হয়নি। ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর এই আবিষ্কারকে স্বীকৃতি দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অফ মাইক্রোবায়োলজিস্টস অফ ইণ্ডিয়া (এএমআই)। কৃষিকাজকে সমৃদ্ধ করতে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কৃষি গবেষণার উপর জোর দিয়েছিলেন৷ তাই তিনি শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন৷ এমনকী, নিজের ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কৃষিবিদ্যা পাঠ নিতে বিদেশেও পাঠিয়েছিলেন৷ পরবর্তীতে বিশ্বভারতীর প্রথম উপাচার্য হন রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ তাঁর হাত ধরে শুরু হয় কৃষি গবেষণার নানা কাজ।

    কীভাবে সন্ধান মিলল? (Visva-Bharati)

    কৃষিক্ষেত্রে ফলন বৃদ্ধিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম। এই তিনটি উপাদানকে একত্রে বলে এনপিকে৷ মাটি থেকে উদ্ভিদ এই উপাদান সংগ্রহ করে৷ কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রে মাটিতে এর জোগান কম থাকলে বাজার থেকে উপাদানগুলি কিনে দিতে হয় চাষিদের৷ বিশ্বভারতীর উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ একটু নতুন প্রজাতির উপকারী ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেছে। নাম ‘প্যান্টোইয়া টেগোরী’ ( Pantoea Tagorei )। উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অণুজীববিদ্যার অধ্যাপক ডঃ বুম্বা দাম তাঁর ৫ পড়ুয়া রাজু বিশ্বাস, অভিজিৎ মিশ্র, অভিনব চক্রবর্তী, পূজা মুখোপাধ্যায় ও সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে এই ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেন৷ মূলত ধান চাষের অত্যন্ত সহায়ক অণুজীব। এছাড়া, লঙ্কা ও মটর চাষের পক্ষেও উপকারী এই ব্যাকটেরিয়া। এটি মাটি থেকে অতি সহজেই পটাশিয়াম সংগ্রহ করে উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে৷ ৬ জনের এই দল গবেষণা করতে করতে শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি, পরে ঝাড়খণ্ডের ঝরিয়া কয়লাখনি অঞ্চলের মাটি থেকে এই ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পান৷ কৃষিক্ষেত্রে তাঁদের ভাবনা, অবদানকে স্মরণ করে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে ব্যাকটেরিয়াটির নামকরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) এই আবিষ্কারকে স্বীকৃতি দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অফ মাইক্রোবায়োলজিস্টস অফ ইণ্ডিয়া (এএমআই)।

    কী বলছেন গবেষকরা? (Visva-Bharati)

    বিশ্বভারতীর উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডঃ বুম্বা দাম বলেন, “এই ব্যাকটেরিয়া চাষের পক্ষে খুবই উপকারী। আমরা আগে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করে দেখেওছি৷ সদ্য শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। তাই আমরা এই ব্যাকটেরিয়ার নাম গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিশ্বভারতীর প্রথম উপাচার্য রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে রেখেছি। লিভিং কোনও অর্গানিজমের নাম টেগরের নামে। আমার গবেষক পড়ুয়ারাও (Visva-Bharati) খুব মন দিয়ে কাজ করেছে এক্ষেত্রে।” গবেষক পড়ুয়াদের মধ্যে রাজু বিশ্বাস ও অভিজিৎ মিশ্র বলেন, “এটা বিশ্বভারতীর আবিষ্কার। এই ব্যাকটেরিয়া ব্যাবহারের ফলে চাষিরা উপকৃত হবে৷ সারের খরচ অনেকগুণ কমবে৷ এই ব্যাকটেরিয়া মাটি থেকে সহজেই পটাশিয়াম সংগ্রহ করে উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করতে পারে৷ আমরা ঝরিয়ার কয়লা খনি অঞ্চল থেকে এই ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rabindranath Tagore: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শশীভিলাকে হেরিটেজ ঘোষণার দাবি

    Rabindranath Tagore: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শশীভিলাকে হেরিটেজ ঘোষণার দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) স্মৃতি বিজড়িত বরানগরের শশীভিলা চরম অবহেলায় অনাদরে পড়ে রয়েছে। প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশ এই বাড়িতে দীর্ঘদিন বসবাস করতেন। এখানেই ঘটা করে বিশ্বকবির দু-দুবার জন্মদিন পালন করা হয়েছিল। একসময়ের প্রচারের আলোয় ছিল এই বাড়ি। কিন্তু, জাতীয় সংগীতের স্রষ্টার স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িটি সংস্কার করার বিষয়ে কোনও হেলদোল নেই। ফলে, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বাড়িটি এখন ভেঙে ভেঙে পড়ছে। ২৫ বৈশাখ কবিগুরুর (Rabindranath Tagore) ১৬৩ তম জন্মদিবস। তার আগেই এই বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে সোমবার হেরিটেজ কমিশনের কাছে লিখিত আবেদন জানাল বরানগর নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চের সদস্যরা।

    বিশ্বকবির (Rabindranath Tagore) দুবার জন্মদিন পালিত হয়েছিল এই শশীভিলাতে

    বরানগরের গোপাললাল ঠাকুর রোডে এই বাড়িটি রয়েছে। বাড়িটির ভিতরে মূক ও বধিরদের একটি স্কুল রয়েছে। বাড়ির সংলগ্ন সুন্দর বাগানও ছিল। এই বাড়িতে ১৯৩১ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত এই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে প্রশান্তচন্দ্র মহালানবীশ বসবাস করতেন। মহালানবীশের বিভিন্ন লেখাতেই এই বাড়ির বর্ণনা রয়েছে। বিশ্বকবির (Rabindranath Tagore) এই বাড়িতে থাকার কথাও তিনি তাঁর লেখায় তুলে ধরেছেন। প্রশান্তবাবু এক জায়গায় লিখেছেন, বরানগরের এই বাড়িতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) থাকতেন খুব ছোট একটি কোণের ঘরে। সামনে একটি বড় জানলা দিয়ে পূর্ব-দক্ষিণ কোণে দেখা যেত পুকুর ঘাট, আম, সুপুরির বাগান। ছোট কোণের ওই ঘরটার নাম দিয়েছিলেন নেত্রকোণা। এই ঘরে লেখার টেবিল রাখতেন জানলার কাছে থেকে সরিয়ে এক কোণে। দুপাশে দেওয়াল রয়েছে, সামনে কিছু দেখা যায় না, এমন জায়গায় টেবিলটি রাখা হত। কবি বলতেন, খোলা জানলার কাছে বসলে আমার আর লেখা হবে না। আমার মন ঘুরে বেড়াবে বাইরে দূরে। যখন কাজকর্ম শেষ হয়ে যেত, তখন জানলার সামনে ইজিচেয়ারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরের দিকে তিনি তাকিয়ে থাকতেন। এই বাড়িতেই বিশ্বকবি স্নান সমাপন, নীহারিকা, মাতা, দ্বৈত, শেষ প্রহরে সহ বেশ কিছু কবিতা লিখেছিলেন। কবির ৭০ তম এবং ৭৫ তম জন্মবার্ষিকী উত্সব এই বাড়িতেই পালিত হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের প্রচুর অতিথি এই বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন।

    কী বললেন নাগরিক মঞ্চের সদস্য?

    এখন এই বাড়ির হাল অত্যন্ত বেহাল। বিল্ডিংয়ের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। এই বাড়ির ইতিহাস না জানলে এটা পৌরবাড়ি ছাড়া কিছু মনে হবে না। বরানগর নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চের পক্ষ থেকে এই বাড়িটিকে হেরিটেজ করার বিষয়ে উদ্যোগী হয়। নাগরিক মঞ্চের সদস্য তথা বরানগর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন শিক্ষক দীনেশচন্দ্র ভট্টাচার্য বলেন, শশীভিলাকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। কোনও সরকারই এই বাড়িটিতে হেরিটেজ ঘোষণার বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি। আমরা এর আগে বরানগরের সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে গণস্বাক্ষর করেছিলাম। এবার হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জানালাম। শশীভিলাকে হেরিটেজ করার জন্য আমরা সবরকমের আন্দোলন করতে প্রস্তুত।

    কী বললেন হেরিটেজ কমিশনের সেক্রেটারি?

    হেরিটেজ কমিশনের সেক্রেটারি অম্লানজ্যোতি সাহা বলেন, এই প্রথম কেউ ওই বাড়িটি হেরিটেজ করার দাবি জানিয়ে আমাদের কাছে আবেদন করেছে। আমরা তাদের দাবির বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Currency Notes: এবার ব্যাঙ্কনোটে দেখা যাবে রবীন্দ্রনাথ, কালামের ‘ওয়াটার মার্ক’?

    Indian Currency Notes: এবার ব্যাঙ্কনোটে দেখা যাবে রবীন্দ্রনাথ, কালামের ‘ওয়াটার মার্ক’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মুদ্রায় শুধুই কেন মহাত্মা গান্ধীর ছবি? কেন নেতাজির বা অন্য কোনও মনীষীর ছবি নেই সেই প্রশ্ন উঠেছে বার বার। সামাজিক মাধ্যমেও এনিয়ে বিস্তর ঝড় উঠেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে কোনও সবুজ সংকেত আসতে দেখা যায়নি। কিন্তু এবার আসতে চলেছে সেই সবুজ সংকেত। মন বদলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। 

    ছাপা হচ্ছে নতুন টাকা। সেখানে শুধু মহাত্মা গান্ধী নন, দেখা যাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore), দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ‘মিসাইল ম্যান’ ডঃ এপিজে আব্দুল কালামের (Dr. APJ Abdul Kalam) ‘ওয়াটার মার্ক’। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India) ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, আগামী দিনে নোটের ই-সিরিজে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ডঃ এপিজে আব্দুল কালামের ছবি ব্যবহার করতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

    আরও পড়ুন: ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস

    জানা গিয়েছে,  রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড মিন্টিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (SPMCI) ওয়াটারমার্ক নির্বাচনের জন্য মহাত্মা গান্ধী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং এপিজে আবদুল কালামের নমুনার দুটি সেট আইআইটি-দিল্লির ইমেরিটাস অধ্যাপক দিলীপ টি সাহনির কাছে পাঠিয়েছে। এর পর এই প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মুদ্রা নোটে একাধিক ব্যক্তিত্বের ছবি অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।

    মার্কিন ডলারে জর্জ ওয়াশিংটন, বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন, টমাস জেফারসন, অ্যান্ড্রু জ্যাকসন, আলেকজান্ডার হ্যামিল্টন এবং আব্রাহাম লিঙ্কন সহ ১৯ শতকের কিছু রাষ্ট্রপতির ছবি রয়েছে। এবার সেই পথেই হাঁটবে আরবিআই।  

    আরও পড়ুন: এবার কার্ড ছাড়াই ATM থেকে তোলা যাবে টাকা! কীভাবে, জেনে নিন

    ১৯৬৯ সালে সর্বপ্রথম রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ১০০ টাকার কাগজের নোটে গান্ধীর ছবি বসায়। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত আর অন্য কোনও মনীষীর ছবি স্থান পায়নি ভারতীয় মুদ্রায়। প্রাথমিকভাবে রবীন্দ্রনাথ এবং এপিজে আব্দুল কালামের ছবি ব্যবহার করলেও, পরবর্তীতে অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবিও ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ছাপার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষেই এই উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। 

LinkedIn
Share