Tag: rain

rain

  • Mumbai hoarding collapse: ঝড়ে বিশালাকায় হোর্ডিং ভেঙে বিপত্তি মুম্বইয়ে, মৃত ১৪, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা শিন্ডের

    Mumbai hoarding collapse: ঝড়ে বিশালাকায় হোর্ডিং ভেঙে বিপত্তি মুম্বইয়ে, মৃত ১৪, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা শিন্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ঝড়ে বিধ্বস্ত মুম্বই। সাংঘাতিক ধুলো ঝড়ে বিলবোর্ড উপড়ে (Mumbai hoarding collapse) পড়ে মৃত্যু হয় অনেকের। মুম্বাইয়ের ঘাটকোপর এলাকার এই ঝড়ে এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে৷ জখম অন্তত ৭০।  

    কী ঘটেছিল? (Mumbai hoarding collapse) 

    সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ হঠাৎই আকাশ কালো করে তীব্র ঝড় ওঠে মুম্বইয়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হয় ধুলো ঝড়। সেই ঝড়ের ধাক্কায় ঘাটকোপর এলাকায় ছেদ্দানগর জংশনে একটি পেট্রল পাম্পে উপড়ে যায় প্রায় ১০০ ফুট উঁচু বিলবোর্ড। এর জেরে বেশি কিছু গাড়ি ওই পেট্রল পাম্পের মধ্যেই আটকে পড়ে। অনেকেই প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে ছুটতে শুরু করে। ফলে ভেঙে পড়া সেই বিলবোর্ডের (Mumbai hoarding collapse) নীচে চাপা পড়েন অনেকেই। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে পুলিশ। খবর দেওয়া হয় এনডিআরএফকে। বিলবোর্ড সরিয়ে একে একে বের করা হয় মৃতদেহ।

    কোম্পানির বিরুদ্ধে এফআইআর  

    এই ঘটনায় পুলিশ বিলবোর্ড প্রস্তুতকারী সংস্থা মেসার্স ইগো মিডিয়া এবং এর মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। হোর্ডিং মালিক ভাবেশ ভিন্ডে এবং অন্যদের বিরুদ্ধে আইপিসির(Indian Penal Code-IPC) ৩০৪, ৩৩৮, ৩৩৭ ধারার অধীনে পন্ত নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং গোটা ঘটনার ওপর ভিত্তি করে তদন্ত করা হচ্ছে। 

    শিন্ডের বার্তা 

    অন্যদিকে বিধ্বংসী এই ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি (Mumbai hoarding collapse) পরিদর্শন করতে ঘাটকোপর এলাকায় পৌঁছেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। সেখানে গিয়ে তিনি আধিকারিকদের বেশ কিছু নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “মানুষের প্রাণ বাঁচানোই আমাদের অগ্রাধিকার। এ ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আমি মুম্বইতে এই ধরনের সমস্ত হোর্ডিং অডিট করার জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছি।”  

    আরও পড়ুন: ‘মা গঙ্গা ডেকেছেন, বারাণসীর সঙ্গে আত্মিক-যোগ’, মনোনয়নের সকালে আবেগঘন পোস্ট মোদির

    দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতির (Draupadi Murmu)

    একই সঙ্গে ঘাটকোপরের এই দুর্ঘটনায় (Mumbai hoarding collapse) শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে তিনি (Draupadi Murmu) লিখেছেন, শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের সাফল্য কামনা করছি। পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় জগদীপ ধনখড়ও আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন এবং উদ্ধারকার্যের সাফল্য কামনা করেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Weather: স্বস্তির দিন ফুরিয়ে আসছে! আবার গরমে নাজেহাল হবে বাংলা

    West Bengal Weather: স্বস্তির দিন ফুরিয়ে আসছে! আবার গরমে নাজেহাল হবে বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : স্বস্তির দিন ফুরিয়ে আসছে। আবার বাড়বে গরম। নাজেহাল হবে বাংলা। এপ্রিলের শুরু থেকেই অসহ্য গরমে বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো প্রতীক্ষায় ছিল মানুষ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর অবশ্য পূর্বাভাস দিয়েছিল গত সপ্তাহ থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। সেই মতোই নামে বৃষ্টি। ফলে তীব্র দহনের পর স্বস্তি এনে দিয়েছিল সেই বৃষ্টি। গত কয়েক দিনে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির প্রায় সর্বত্রই কমবেশি ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। যার প্রভাবে একধাক্কায় কমেছে অনেকটা তাপমাত্রা। কিন্তু বৃষ্টির এই স্বস্তি সাময়িক ছিল। আলিপুর আহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামীকাল সোমবার ১৩ মে থেকে আহাওয়ার (West Bengal Weather) কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে।  ধীরে ধীরে চড়তে শুরু করবে পারদ। সর্বত্রই তিন থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে নীচেই রয়েছে তাপমাত্রা। বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে কিছু কিছু জায়গায়। 

    কোথায় কোথায় বৃষ্টির পূর্বাভাস? (West Bengal Weather) 

    দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ অংশেই হলুদ সতর্কতা থাকছে। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। রাজ্যের (West Bengal Weather) বাকি জেলাগুলিতেও থাকছে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে সেখানে ঝোড়ো হাওয়ার গতি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার থাকবে। তবে কলকাতা (Kolkata Weather), হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে রবিবারের পর আর ঝড়বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই।
    অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও রয়েছে ঝড়বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা। উত্তরবঙ্গে বজ্রপাতের তীব্রতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া কোনও কোনও জায়গায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় কিছু কিছু স্থানে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে। সেকারণে ওই জেলাগুলিতে জারি থাকছে হলুদ সতর্কতা।  

    আরও পড়ুন: অনুব্রতের বাড়িতে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা! কটাক্ষ বিরোধীদের

    কলকাতার আবহাওয়া (Kolkata Weather)

    রবিবার সকাল থেকেই কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ। যদিও বেলা বাড়লে সম্পূর্ণ মেঘলা আকাশের দেখা মিলেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে বিকেলের দিকে শহরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইবে। এরপর সোমবার থেকে আবার ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হবে তাপমাত্রার পারদ। তবে রবিবারে শহর কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি কম। আর দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩.৭ ডিগ্রি কিম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বৃষ্টিতে ভিজবে শহর, পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের

    Weather Update: বৃষ্টিতে ভিজবে শহর, পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে তীব্র গরম থেকে মুক্তির অপেক্ষায় রাজ্যবাসী। রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পরশুর পর থেকে তাপপ্রবাহের কবলের বাইরে চলে যাবে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। দহনজ্বালা থেকে মুক্তি পাবে দক্ষিণবঙ্গ। এতদিনে স্বস্তির খবর দিল আবহাওয়া (Weather Update) দফতর। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সোমবার রাজ্যের সব জেলায় বৃষ্টির (Rain fall) সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনায় আগামিকাল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। রবিবার কলকাতাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। 

    কোথায় কোথায় বৃষ্টির পূর্বাভাস? (Weather Update) 

    সোমবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি মাত্রায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি চলতে পারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও শনিবার থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update) দেওয়া হয়েছে। হাওড়া, হুগলি ছাড়াও পশ্চিমের জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার থেকেই হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে রাজ্যের উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তর ২৪ পরগনায়। 

    দহনজ্বালা থেকে মুক্তি দক্ষিণবঙ্গে 

    আবহাওয়া দফতর মনে করছে, এই বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা এক ধাক্কায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামতে পারে। তবে এখনই নিস্তার মিলবে না ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও বীরভূমে। শনিবার পর্যন্ত চলবে তীব্র তাপপ্রবাহ। কিন্তু রবিবারের পর গোটা রাজ্যেই ৪০ ডিগ্রির নীচে নামবে পারদ (Weather Update)। এমনই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। 

    আরও পড়ুন: গিলগিট বালতিস্তানে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! খাদ থেকে বাস গড়িয়ে মৃত ২০, আহত ২১

    শহরের আবহাওয়ার আপডেট (Weather Update) 

    কলকাতায় (Kolkata) শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে যা ৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ডিগ্রি বেশি। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ৩০ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

    তবে এই বৃষ্টি তাপপ্রবাহ কে পরবর্তী কতদিন ঠেকিয়ে রাখতে পারবে সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে উষ্ণ এবং জলীয় হাওয়ার সংঘাতে কতটা ঘন মেঘ তৈরি হচ্ছে তার ওপর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Storm: ১০ মিনিটের ঝড়ে তছনছ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা, ব্যাহত যান চলাচল, হল শিলাবৃষ্টিও

    Storm: ১০ মিনিটের ঝড়ে তছনছ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা, ব্যাহত যান চলাচল, হল শিলাবৃষ্টিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলার নানা প্রান্তে ঝড়বৃষ্টির (Storm) পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার বেলা গড়াতেই আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস সত্যি প্রমাণিত হল। মাত্র ১০ মিনিট ধরে চলে ঝড়। আর তাতেই লন্ডভন্ড হয়ে যায় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। কোথাও রাস্তার ওপর গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কোথাও আবার শপিং মলের ছাউনি উড়ে যায়। জলমগ্ন হয়ে পড়ে এলাকা। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে।

    ঝড়ে (Storm) বারাকপুর-বারাসত রোড, বেলঘরিয়ায় যান চলাচল ব্যাহত

    কিছুক্ষণের ঝড়ের (Storm) তাণ্ডবে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি হয় বারাকপুর-বারাসত রোডের। বারাসতের আগে একটি বেসরকারি কলেজের সামনে রাস্তার ওপর বিশাল গাছ উপড়ে রাস্তার ওপর পড়ে যায়। যার জেরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এলাকায়। হঠাৎ ঘটা এই বিপত্তিতে রীতিমতো সমস্যায় পড়েন অফিস ফেরত যাত্রীরা। অবশেষে স্থানীয় বাসিন্দা ও যান চালকদের সহায়তায় গাছ কেটে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। অন্যদিকে, বেলঘরিয়া ফিডার রোডে ২৩৪ বাসস্ট্যান্ডের কাছে অল্প হাওয়াতেই বিরাট গাছ পড়ে ফিডার রোডের যান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। পরে, পুলিশ-প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

    দুর্গাপুরে শিলাবৃষ্টি!

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝড় (Storm) আর শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় দুর্গাপুর শহর। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলে ঝড়ের দাপট। ঝড়ের দাপটে দুর্গাপুর জংশন মলের সামনের অংশের ছাউনি উড়ে যায়। মল সংলগ্ন বেশ কিছু স্টলের ছাউনিও উড়ে গিয়েছে। দুর্গাপুর শহরের বিভিন্ন ব্যস্ততম রাস্তায় গাছ পড়ে জনজীবন ব্যাহত হয়। খানিকক্ষণের শিলাবৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে একাধিক এলাকা। শহরের বেশ কিছু এলাকায় ঘণ্টাখানেক ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জেলা প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জনজীবন স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: তিন মিনিটের ঝড়ে তছনছ! উড়ল বাড়ির চাল, ভাঙল মণ্ডপ, বজ্রাঘাতে মৃত্যু এক

    Burdwan: তিন মিনিটের ঝড়ে তছনছ! উড়ল বাড়ির চাল, ভাঙল মণ্ডপ, বজ্রাঘাতে মৃত্যু এক

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়ে পূর্ব বর্ধমান (Burdwan) জেলার একাধিক এলাকা। বাজ পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অনেকেই। মাটির বাড়ির খড়ের ছাউনি উড়ে গিয়েছে। জেলার বহু জায়গায় সরস্বতী পুজো মণ্ডপ ভেঙে গিয়েছে। সবমিলিয়ে জেলায় তান্ডব চালিয়েছে ক্ষণিকের ঝড়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Burdwan)

    পূর্ব বর্ধমান জুড়েই বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে বজ্রবিদ্যুৎ- সহ বৃষ্টি হয়েছে। বর্ধমান (Burdwan) শহরে বেশ কিছু ক্ষণের জন্য ভারী বৃষ্টি হয়। জেলার নানা প্রান্ত থেকে ক্ষয়ক্ষতির খবর এসেছে। বিকেলে আচমকা ঝাড়বৃষ্টি শুরু হয় বর্ধমানের বেশ কিছু এলাকায়। কালনায় ওই ঝড় মিনিট তিনেক স্থায়ী হয়েছিল। ঝড়ের দাপটে ওই তিন মিনিটেই ভেঙে পড়ে সরস্বতী পুজোর একাধিক মণ্ডপ এবং অস্থায়ী তোরণ। গাছ ভেঙে বন্ধ হয়ে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। কালনার বৈদ্যপুরে মণ্ডপের তোরণ ভেঙে গুরুতর জখম হন দু’জন। ঠাকুর দেখতে গিয়ে মণ্ডপের তোরণ ভেঙে পড়ে এই বিপত্তি হয়। জখমদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে, গলসির বোমপুরে বজ্রাঘাতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম সজনী মুর্মু। তিনি ক্ষেত মজুরের কাজ করতেন। ঝড়ের সময় তিনি মাঠেই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডব চলেছে রায়না, খণ্ডঘোষ, মেমারিতেও। খণ্ডঘোষের বেড়ুগ্রামে একাধিক মাটির বাড়ির খড়ের চাল উড়ে গিয়েছে। অনেক গাছ ভেঙে পড়েছে রাস্তার ওপর। রায়না থানা এলাকার আস্তিকুরে ঝড়ের সময় গাছের ডাল ভেঙে আহত হন এক ব্যক্তি। ডাল ভেঙে তাঁর গায়ে পড়ে। ওই ব্যক্তির নাম অনন্ত পোড়েল।

    স্থানীয় এক বাসিন্দা কী বললেন?

    কালনার এক বাসিন্দা বলেন, আমরা সরস্বতী মণ্ডপের পাশেই দাঁড়িয়েছিলাম। দুপুর থেকে মেঘলা আবহাওয়া ছিল। বিকেলের পর আচমকা ঝড় ওঠে। সামান্য কিছুক্ষণ ছিল। আর তাতেই সব কিছুই তছনছ করে দিয়েছে। মণ্ডপ ভেঙে গিয়েছে। আমার এক বন্ধু জখম হয়েছে। ঝড়ের সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলাম না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বছরের প্রথম দিনেও শীতের সেই দাপট নেই, কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা!

    Weather Update: বছরের প্রথম দিনেও শীতের সেই দাপট নেই, কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের প্রথম দিনেও শীতের (Weather Update) দাপট কম। নেপথ্যে সেই ঘূর্ণাবর্ত। এমনকী, চলতি সপ্তাহের শেষেই দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও রয়েছে। দক্ষিণে যেখানে বৃষ্টির ভ্রুকুটি, সেখানে উত্তরবঙ্গের শৈলশহর দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অপরদিকে, শীতে জবুথবু উত্তর ভারত। প্রবল ঠান্ডায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অনেক জায়গায় স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত।

    কেমন কলকাতার আবহাওয়া (Weather Update)?

    নববর্ষের দিনে শহর কলকাতায় শীতের (Weather Update) দেখা নেই। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি। কবে থেকে কনকনে ঠান্ডা পড়বে তা এখনও স্পষ্ট নয়। আবার সপ্তাহের শেষেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি প্রথম দিনে কলকাতার তাপমাত্রা হল ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। গত নয় দিনের তুলনায় আজ তাপমাত্রা এক ডিগ্রি কম। তবে আকাশ পরিষ্কার থাকলে সকাল-সন্ধ্যায় কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা থাকবে। দিনের তাপমাত্রা ২৫ এবার রাতের দিকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে বলে জানা গিয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

    আবার বাংলাদেশ এবং বঙ্গোপসাগরে বায়ুমণ্ডলের (Weather Update) উপরিভাগে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি রয়েছে। পূর্বদিক থেকে বাতস ঢুকছে রাজ্যে। ফলে বাতাসে জলীয়বাস্পের পরিমাণ বাড়ছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের দিকে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও ইঙ্গিত নেই। সকাল এবং সন্ধ্যায় কুয়াশার ইঙ্গিত রয়েছে। গাঙ্গেয় জেলাগুলির তেমন তাপমাত্রা পরিবর্তনের ইঙ্গিত নেই। আবার দার্জিলিং, কালিম্পঙে বৃষ্টিপাত হতে পারে। পর্যটকের কাছে আনন্দের খবর— আগামী সোমবার থেকে দার্জিলিঙে তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    উত্তর ভারতে লাল সতর্কতা জারি

    দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, সোমবার পাঞ্জাবের অমৃতসর, ফতেগড়, সাহিব, গুরুদাসপুর, জলন্ধর, লুধিয়ানা, পাঠানকোট, রূপনগর ইত্যাদি জেলায় ঘন কুয়াশা (Weather Update) থাকবে। দৃশ্যমান কম হতে পারে কুয়াশার কারণে। রেল, বিমান, সড়কপথে যাতায়াত ব্যাহত হতে পারে। হরিয়ানার আম্বালায় দৃশ্যমানতা কমে গিয়েছে ২৫-এর নীচে। ফলে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকার ইঙ্গিত রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর লাল সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়াও রাজস্থান, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যেপ্রদেশে শীতের কারণে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কনকনে ঠান্ডা এবং ঘন কুয়াশার কারণে দিল্লির অনেক বিমান বাতিল করা হয়েছে। অনেক বিমান দিল্লির বদলে অন্যত্র অবতরণ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী কয়েক দিনে কুয়াশার পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা নেই বলে জানা গিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বর্ষশেষ ও নববর্ষে শীত অধরাই, তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নীচে নামার সম্ভাবনা নেই

    Weather Update: বর্ষশেষ ও নববর্ষে শীত অধরাই, তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নীচে নামার সম্ভাবনা নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠান্ডার কামড় কী, তা এই ভরা শীতের মরশুমেও মানুষ ভুলতে বসেছে। বাতাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ১৫ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। মাঝে আর মাত্র একটা দিন। তার পরই বর্ষশেষের উন্মাদনায় গা ভাসিয়ে দেবে আপামর জনতা। একই সঙ্গে চলবে ইংরাজি নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পালা। সবার মনেই একটা প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। তা হল, ওই সময় কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া (Weather Update)। শীত কি ফের ঘুরে দাঁড়াবে, নাকি এমনটাই চলবে আরও কয়েক দিন। এসবেরই উত্তর মিলেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।

    কী জানালেন আবহাওয়া অফিসের কর্তা? (Weather Update)

    সঞ্জীববাবু যা জানিয়েছেন, তাতে আপাতত দক্ষিণবঙ্গে আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না (Weather Update)। আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক, অর্থাৎ বৃষ্টি হবে না। ওই ৫ দিন পর সামান্য তাপমাত্রা বাড়তে পারে। ৩১ শে ডিসেম্বর থেকে ১ লা জানুয়ারির মধ্যে রাতের তাপমাত্রা খুব সামান্য কমতে পারে। সেটা এক ডিগ্রির বেশি নয়। মোটের উপর একই রকম আবহাওয়া থাকবে আগামী সাতদিন। একই সঙ্গে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে আটকে উত্তর-পশ্চিমের শীতল হাওয়া। তাই আগামী ৭ দিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামার সম্ভাবনা নেই। কলকাতায় দিনের তাপমাত্রাও বেশি থাকার কারণে শীতের পোশাক হয়তো গায়ে তুলতে হবে না। এর পাশাপাশি পূবালি হাওয়ায় জলীয় বাষ্প ঢুকছে। আর তার ফলে খুব ভোরে বা সকালের দিকে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা (Weather Update) থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গে।

    ফের তুষারপাতের সম্ভাবনা দার্জিলিঙে (Weather Update)

    উত্তরবঙ্গেও দুটি জেলা ছাড়া সর্বত্র আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক। তবে রবিবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে তুষারপাতের সম্ভাবনা (Weather Update) রয়েছে দার্জিলিঙে। হালকা বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং এবং কালিম্পয়ে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণেই দার্জিলিঙের উঁচু পার্বত্য এলাকায় হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: শীত পড়ার আগে ফের নিম্নচাপ! ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, কী বলছে আবহাওয়া দফতর

    Weather Update: শীত পড়ার আগে ফের নিম্নচাপ! ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, কী বলছে আবহাওয়া দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের পথে কাঁটা নিম্নচাপ। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই সপ্তাহে হালকা শীতের আমেজ থাকলেও, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই হাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে। প্রাথমিকভাবে এর অভিমুখ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল। এরপর গতিপথ পরিবর্তন করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিগজাউম’ (Michaung)।  এর প্রভাবে বাংলাদেশে উপকূল ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে, মিধিলির পর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে চলেছে ‘মিগজাউম’ নামের আরেকটি ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশ, ভারত এবং মায়ানমারের উপকূলে। এটা হবে চলতি বছরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া চতুর্থ ঘূর্ণিঝড়। এই ঝড়ের জেরে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়ের দাপটে সাফ হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ উপকূলের একাংশ বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ২৭ নভেম্বর থাইল্যান্ড উপসাগর থেকে বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত প্রবেশ করবে। ক্রমশ উত্তর পশ্চিমদিকে এগিয়ে শক্তি সঞ্চয় করবে। শক্তি বাড়িয়ে ২৯ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে ঘূর্ণাবর্তটি। রবিবার তা প্রবেশ করবে পূর্ব আন্দামান এলাকায়। ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ৩০ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে সেটা। ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের কাছ গিয়ে ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারে ওই ঝড়টি। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউময়ের কেন্দ্রে হাওয়ার গতি ঘণ্টায় ১৫০ কিমি অতিক্রম করতে পারে। 

    আরও পড়ুন: সেবিকে ছাড়! আদানি-হিন্ডেনবার্গকাণ্ডের রায় সংরক্ষিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    শহরে শীতের আমেজ

    এই নিম্নচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে তাপমাত্রা বাড়বে। রবিবার শহর কলকাতার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। তাপমাত্রা থাকবে ২০ ডিগ্রির নীচে। সকাল সন্ধ্যা শীতের হালকা আমেজ থাকলেও বেলার দিকে গরম বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শীতের আমেজ স্পষ্ট। ১৫ ডিগ্রির আশেপাশে ঘুরছে তাপমাত্রা। কলকাতাতেও ২০র নিচে নেমেছে পারদ। ১৫-১৬ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সহ পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কিছু জেলায়। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rain: বৃষ্টি আর কোটালের জেরে ভাঙল নদীবাঁধ, প্লাবিত এলাকা, জলমগ্ন সাগরের কপিলমুনির আশ্রম

    Rain: বৃষ্টি আর কোটালের জেরে ভাঙল নদীবাঁধ, প্লাবিত এলাকা, জলমগ্ন সাগরের কপিলমুনির আশ্রম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সকাল থেকে মেঘলা আকাশ আর দফায় দফায় বৃষ্টি। আর এই বৃষ্টি (Rain) শুরু হয়েছিল মঙ্গলবার রাত থেকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বহু জায়গায় বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে শুরু করেছে। বৃষ্টির সঙ্গে দোসর হয়েছে পূর্ণিমার কোটাল। ফলে, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দারা।

    কোন কোন এলাকা জলমগ্ন হতে শুরু করেছে?

    বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার কোটালের জেরে উত্তাল গঙ্গাসাগরের সমুদ্র। সকাল থেকে শুরু বৃষ্টির (Rain) সঙ্গে ঝড়ো হওয়া। ফুলে ফেঁপে উঠছে নদীর জল। নদী বাঁধ উপচে জল ঢুকেছে কপিলমুনি আশ্রমের পাশে মেলার মাঠ এলাকায়। গঙ্গাসাগরের পয়লা ঘেরি, মন্দিরতলা চক, ফুলডুবি এলাকা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ঢুকতে শুরু করেছে সমুদ্রের নোনা জল। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে গঙ্গাসাগরের সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদেরকে মাইকিং এর মাধ্যমে সতর্কবার্তা দিচ্ছে প্রশাসন। গঙ্গাসাগরের পাশাপাশি কুলপির রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রত্নেশ্বরপুর এলাকায় প্রায় ১০০ মিটারেরও বেশি নদী বাঁধ ভেঙে হুহু করে ঢুকছে জল। আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন এলাকার মানুষজন। পাশাপাশি বাঁধ ভেঙেছে মৌসুনের বালিয়াড়ি এলাকায়। সকাল থেকেই নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি ও পূর্ণিমার ভরা কোটালে বালিয়াড়ি এলাকায় নদী বাঁধ ভেঙে ঢুকছে জল। একই ছবি দেখা গেল ডায়মন্ড হারবারেও নদীর জলস্ফীতিতে ডুবল পর্যটকদের কেল্লার মাঠ। নামখানা একাধিক জায়গায় নদী বাঁধ ভাঙ্গনের ফলে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন এলাকার মানুষ।

    কী বললেন পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ?

    ইতিমধ্যে নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন গঙ্গাসাগর পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল সামির শাহ ও মুড়িগঙ্গা দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান গোবিন্দ মণ্ডল। তাঁদের বক্তব্য, আমরা সব সময় নজরদারি চালাচ্ছি। প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।

    ফুঁসছে দিঘার সমুদ্র, পর্যটকদের জলে নামতে নিষেধাজ্ঞা

    মঙ্গলবার থেকেই দিঘার আবহাওয়া পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। বুধবার সকাল থেকে ঘন কালো মেঘে ঢেকেছে আকাশ। শুধু দিঘা নয়, তাজপুর, মন্দারমণি, শঙ্করপুর সহ উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টির (Rain) সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। আর পূর্ণিমার কোটালের সঙ্গে সমুদ্রের জসস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শ্যামসুন্দর দাস বলেন, আবহাওয়ার কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। আরা যারা আগে গিয়েছেন তাদের দ্রুত ফিরে আসতে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: টানা বৃষ্টিতে বন্যার পরিস্থিতি জলপাইগুড়িতে, কিছু জায়গায় জারি লাল সতর্কতা

    Jalpaiguri: টানা বৃষ্টিতে বন্যার পরিস্থিতি জলপাইগুড়িতে, কিছু জায়গায় জারি লাল সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতভর চলা অবিরাম বৃষ্টির জেরে কার্যত বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বানারহাট ব্লকে। বানারহাটের বিভিন্ন এলাকায় জল জমতে শুরু করেছে। পাশাপাশি হাতিনালা এবং আংরাভাষা নদীর জল ঢুকেছে পার্শ্ববর্তী এলাকায়। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে তোতাপাড়া, বানারহাট, বিন্নাগুড়ির এসএম কলোনি, নেতাজিপাড়া। সাধারণ মানুষের জনজীবন বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত। বেশ কিছু এলাকায় জারি লাল সঙ্কেত!

    বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন (Jalpaiguri)

    মূলত বৃষ্টিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন কার্যত ঘরবন্দি। বানাহাটের (Jalpaiguri) দুরামারির চানাডিপা এলাকায় ৪০ টির উপরে বাড়ি জলমগ্ন। আগামী দু’দিন আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    এলাকার মানুষের অভিযোগ

    এদিকে দূর্গতদের উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এলাকার মানুষের জন্য খাবার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যায়নি প্রশাসন। বানারহাটের (Jalpaiguri) বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দাকে খাবারের ব্যবস্থা এবং উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয়ের জন্য রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। কিন্তু তারপরে বেলা গড়িয়ে গেলেও দূর্গতদের জন্য কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। গত বছরেও বর্ষায় এই এলাকাগুলি জলের তলায় ছিল। এই এলাকার মানুষ একপ্রকার নরক যন্ত্রণা ভোগ করেন বর্ষায় সময়। প্রতি বছর এলাকায় সঠিক ভাবে নিকাশি ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলেও এলাকার বাসিন্দারা সেই তিমিরেই রয়ে যান।

    হয়নি নদীতে বাঁধ নির্মাণ

    এর পাশাপাশি আংড়াভাষা নদীতে বাঁধের প্রতিশ্রুতি দিয়েও আজ পর্যন্ত সেই কাজ হয়নি। যার ফলে বিঘার পর বিঘা জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। এদিকে ময়নাগুড়ি (Jalpaiguri) ব্লকের আমগুড়ি এলাকায় জলঢাকা নদীর বাঁধ উপচে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, নদীর মূল বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। যার ফলে গ্রামে  জল ঢুকতে শুরু করেছে।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জলঢাকা নদীতে সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা এবং অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেলার আরেকটি নদী তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক (Jalpaiguri) মৌমিতা গোদারা বসুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, তিনি ফোন ধরেননি। তবে প্রশাসনের একটি সুত্রের খবর বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য জেলায় এনডিআরএফ এবং সিভিল ডিফেন্সের দল তৈরি করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share