Tag: rain

rain

  • Weather Update: বর্ষশেষ ও নববর্ষে শীত অধরাই, তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নীচে নামার সম্ভাবনা নেই

    Weather Update: বর্ষশেষ ও নববর্ষে শীত অধরাই, তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নীচে নামার সম্ভাবনা নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠান্ডার কামড় কী, তা এই ভরা শীতের মরশুমেও মানুষ ভুলতে বসেছে। বাতাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ১৫ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। মাঝে আর মাত্র একটা দিন। তার পরই বর্ষশেষের উন্মাদনায় গা ভাসিয়ে দেবে আপামর জনতা। একই সঙ্গে চলবে ইংরাজি নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পালা। সবার মনেই একটা প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। তা হল, ওই সময় কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া (Weather Update)। শীত কি ফের ঘুরে দাঁড়াবে, নাকি এমনটাই চলবে আরও কয়েক দিন। এসবেরই উত্তর মিলেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।

    কী জানালেন আবহাওয়া অফিসের কর্তা? (Weather Update)

    সঞ্জীববাবু যা জানিয়েছেন, তাতে আপাতত দক্ষিণবঙ্গে আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না (Weather Update)। আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক, অর্থাৎ বৃষ্টি হবে না। ওই ৫ দিন পর সামান্য তাপমাত্রা বাড়তে পারে। ৩১ শে ডিসেম্বর থেকে ১ লা জানুয়ারির মধ্যে রাতের তাপমাত্রা খুব সামান্য কমতে পারে। সেটা এক ডিগ্রির বেশি নয়। মোটের উপর একই রকম আবহাওয়া থাকবে আগামী সাতদিন। একই সঙ্গে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে আটকে উত্তর-পশ্চিমের শীতল হাওয়া। তাই আগামী ৭ দিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামার সম্ভাবনা নেই। কলকাতায় দিনের তাপমাত্রাও বেশি থাকার কারণে শীতের পোশাক হয়তো গায়ে তুলতে হবে না। এর পাশাপাশি পূবালি হাওয়ায় জলীয় বাষ্প ঢুকছে। আর তার ফলে খুব ভোরে বা সকালের দিকে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা (Weather Update) থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গে।

    ফের তুষারপাতের সম্ভাবনা দার্জিলিঙে (Weather Update)

    উত্তরবঙ্গেও দুটি জেলা ছাড়া সর্বত্র আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক। তবে রবিবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে তুষারপাতের সম্ভাবনা (Weather Update) রয়েছে দার্জিলিঙে। হালকা বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং এবং কালিম্পয়ে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণেই দার্জিলিঙের উঁচু পার্বত্য এলাকায় হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: শীত পড়ার আগে ফের নিম্নচাপ! ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, কী বলছে আবহাওয়া দফতর

    Weather Update: শীত পড়ার আগে ফের নিম্নচাপ! ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, কী বলছে আবহাওয়া দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের পথে কাঁটা নিম্নচাপ। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই সপ্তাহে হালকা শীতের আমেজ থাকলেও, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই হাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে। প্রাথমিকভাবে এর অভিমুখ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল। এরপর গতিপথ পরিবর্তন করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিগজাউম’ (Michaung)।  এর প্রভাবে বাংলাদেশে উপকূল ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে, মিধিলির পর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে চলেছে ‘মিগজাউম’ নামের আরেকটি ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশ, ভারত এবং মায়ানমারের উপকূলে। এটা হবে চলতি বছরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া চতুর্থ ঘূর্ণিঝড়। এই ঝড়ের জেরে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়ের দাপটে সাফ হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ উপকূলের একাংশ বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ২৭ নভেম্বর থাইল্যান্ড উপসাগর থেকে বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত প্রবেশ করবে। ক্রমশ উত্তর পশ্চিমদিকে এগিয়ে শক্তি সঞ্চয় করবে। শক্তি বাড়িয়ে ২৯ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে ঘূর্ণাবর্তটি। রবিবার তা প্রবেশ করবে পূর্ব আন্দামান এলাকায়। ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ৩০ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে সেটা। ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের কাছ গিয়ে ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারে ওই ঝড়টি। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউময়ের কেন্দ্রে হাওয়ার গতি ঘণ্টায় ১৫০ কিমি অতিক্রম করতে পারে। 

    আরও পড়ুন: সেবিকে ছাড়! আদানি-হিন্ডেনবার্গকাণ্ডের রায় সংরক্ষিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    শহরে শীতের আমেজ

    এই নিম্নচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে তাপমাত্রা বাড়বে। রবিবার শহর কলকাতার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। তাপমাত্রা থাকবে ২০ ডিগ্রির নীচে। সকাল সন্ধ্যা শীতের হালকা আমেজ থাকলেও বেলার দিকে গরম বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শীতের আমেজ স্পষ্ট। ১৫ ডিগ্রির আশেপাশে ঘুরছে তাপমাত্রা। কলকাতাতেও ২০র নিচে নেমেছে পারদ। ১৫-১৬ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সহ পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কিছু জেলায়। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rain: বৃষ্টি আর কোটালের জেরে ভাঙল নদীবাঁধ, প্লাবিত এলাকা, জলমগ্ন সাগরের কপিলমুনির আশ্রম

    Rain: বৃষ্টি আর কোটালের জেরে ভাঙল নদীবাঁধ, প্লাবিত এলাকা, জলমগ্ন সাগরের কপিলমুনির আশ্রম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সকাল থেকে মেঘলা আকাশ আর দফায় দফায় বৃষ্টি। আর এই বৃষ্টি (Rain) শুরু হয়েছিল মঙ্গলবার রাত থেকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বহু জায়গায় বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে শুরু করেছে। বৃষ্টির সঙ্গে দোসর হয়েছে পূর্ণিমার কোটাল। ফলে, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দারা।

    কোন কোন এলাকা জলমগ্ন হতে শুরু করেছে?

    বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার কোটালের জেরে উত্তাল গঙ্গাসাগরের সমুদ্র। সকাল থেকে শুরু বৃষ্টির (Rain) সঙ্গে ঝড়ো হওয়া। ফুলে ফেঁপে উঠছে নদীর জল। নদী বাঁধ উপচে জল ঢুকেছে কপিলমুনি আশ্রমের পাশে মেলার মাঠ এলাকায়। গঙ্গাসাগরের পয়লা ঘেরি, মন্দিরতলা চক, ফুলডুবি এলাকা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ঢুকতে শুরু করেছে সমুদ্রের নোনা জল। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে গঙ্গাসাগরের সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদেরকে মাইকিং এর মাধ্যমে সতর্কবার্তা দিচ্ছে প্রশাসন। গঙ্গাসাগরের পাশাপাশি কুলপির রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রত্নেশ্বরপুর এলাকায় প্রায় ১০০ মিটারেরও বেশি নদী বাঁধ ভেঙে হুহু করে ঢুকছে জল। আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন এলাকার মানুষজন। পাশাপাশি বাঁধ ভেঙেছে মৌসুনের বালিয়াড়ি এলাকায়। সকাল থেকেই নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি ও পূর্ণিমার ভরা কোটালে বালিয়াড়ি এলাকায় নদী বাঁধ ভেঙে ঢুকছে জল। একই ছবি দেখা গেল ডায়মন্ড হারবারেও নদীর জলস্ফীতিতে ডুবল পর্যটকদের কেল্লার মাঠ। নামখানা একাধিক জায়গায় নদী বাঁধ ভাঙ্গনের ফলে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন এলাকার মানুষ।

    কী বললেন পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ?

    ইতিমধ্যে নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন গঙ্গাসাগর পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল সামির শাহ ও মুড়িগঙ্গা দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান গোবিন্দ মণ্ডল। তাঁদের বক্তব্য, আমরা সব সময় নজরদারি চালাচ্ছি। প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।

    ফুঁসছে দিঘার সমুদ্র, পর্যটকদের জলে নামতে নিষেধাজ্ঞা

    মঙ্গলবার থেকেই দিঘার আবহাওয়া পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। বুধবার সকাল থেকে ঘন কালো মেঘে ঢেকেছে আকাশ। শুধু দিঘা নয়, তাজপুর, মন্দারমণি, শঙ্করপুর সহ উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টির (Rain) সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। আর পূর্ণিমার কোটালের সঙ্গে সমুদ্রের জসস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শ্যামসুন্দর দাস বলেন, আবহাওয়ার কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। আরা যারা আগে গিয়েছেন তাদের দ্রুত ফিরে আসতে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: টানা বৃষ্টিতে বন্যার পরিস্থিতি জলপাইগুড়িতে, কিছু জায়গায় জারি লাল সতর্কতা

    Jalpaiguri: টানা বৃষ্টিতে বন্যার পরিস্থিতি জলপাইগুড়িতে, কিছু জায়গায় জারি লাল সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতভর চলা অবিরাম বৃষ্টির জেরে কার্যত বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বানারহাট ব্লকে। বানারহাটের বিভিন্ন এলাকায় জল জমতে শুরু করেছে। পাশাপাশি হাতিনালা এবং আংরাভাষা নদীর জল ঢুকেছে পার্শ্ববর্তী এলাকায়। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে তোতাপাড়া, বানারহাট, বিন্নাগুড়ির এসএম কলোনি, নেতাজিপাড়া। সাধারণ মানুষের জনজীবন বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত। বেশ কিছু এলাকায় জারি লাল সঙ্কেত!

    বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন (Jalpaiguri)

    মূলত বৃষ্টিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন কার্যত ঘরবন্দি। বানাহাটের (Jalpaiguri) দুরামারির চানাডিপা এলাকায় ৪০ টির উপরে বাড়ি জলমগ্ন। আগামী দু’দিন আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    এলাকার মানুষের অভিযোগ

    এদিকে দূর্গতদের উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এলাকার মানুষের জন্য খাবার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যায়নি প্রশাসন। বানারহাটের (Jalpaiguri) বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দাকে খাবারের ব্যবস্থা এবং উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয়ের জন্য রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। কিন্তু তারপরে বেলা গড়িয়ে গেলেও দূর্গতদের জন্য কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। গত বছরেও বর্ষায় এই এলাকাগুলি জলের তলায় ছিল। এই এলাকার মানুষ একপ্রকার নরক যন্ত্রণা ভোগ করেন বর্ষায় সময়। প্রতি বছর এলাকায় সঠিক ভাবে নিকাশি ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলেও এলাকার বাসিন্দারা সেই তিমিরেই রয়ে যান।

    হয়নি নদীতে বাঁধ নির্মাণ

    এর পাশাপাশি আংড়াভাষা নদীতে বাঁধের প্রতিশ্রুতি দিয়েও আজ পর্যন্ত সেই কাজ হয়নি। যার ফলে বিঘার পর বিঘা জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। এদিকে ময়নাগুড়ি (Jalpaiguri) ব্লকের আমগুড়ি এলাকায় জলঢাকা নদীর বাঁধ উপচে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, নদীর মূল বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। যার ফলে গ্রামে  জল ঢুকতে শুরু করেছে।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জলঢাকা নদীতে সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা এবং অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেলার আরেকটি নদী তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক (Jalpaiguri) মৌমিতা গোদারা বসুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, তিনি ফোন ধরেননি। তবে প্রশাসনের একটি সুত্রের খবর বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য জেলায় এনডিআরএফ এবং সিভিল ডিফেন্সের দল তৈরি করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Vegetables: অনাবৃষ্টিতে গাছেই শুকিয়ে যাচ্ছে সবজি, দাম বাড়ছে হু হু করে

    Vegetables: অনাবৃষ্টিতে গাছেই শুকিয়ে যাচ্ছে সবজি, দাম বাড়ছে হু হু করে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে কখনও প্রচণ্ড গরম, আবার কখনও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। বর্ষা এক সপ্তাহ আগে ঢুকে গেলেও এখনও পর্যাপ্ত বৃষ্টি নেই। গাছেই সবজি শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। এর ফলে দাম বাড়ছে সবজির (Vegetables)। ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্তের পকেটে। গত এক সপ্তাহে টমেটো, ঝিঙে, ঢেঁড়স বেগুন সহ বিভিন্ন সবজির দাম হু হু করে বেড়ে গেছে।

    কী পরিস্থিতি হাওড়ার পাইকারি বাজারের (Vegetables)?

    হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন পাইকারি সবজি বাজারে গিয়ে দেখা গেল, দাম আকাশছোঁয়া। খুচরো বাজারে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। হাওড়া সবজি বাজারের (Vegetables) পাইকারি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে সবজি গাছ মাঠেই নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে অনেকটাই। হাওড়া স্টেশন লাগোয়া এই পাইকারি সবজি বাজারে বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েকশো ব্যবসায়ী কাঁচা আনাজ সহ বিভিন্ন সবজি নিয়ে আসেন। হাওড়া ছাড়াও হুগলি, বর্ধমান, উত্তর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন জায়গা থেকে সবজি ব্যবসায়ীরা হরেক রকম সবজি এই পাইকারি বাজারে বিক্রি করেন। এখান থেকে সবজি সরাসরি চলে যায় কলকাতা, হাওড়া ও হুগলির বড় বড় বাজারে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, প্রচণ্ড গরমে অনাবৃষ্টির কারণে সবজি গাছ মাঠেই শুকিয়ে গেছে। এর ফলে ঝিঙে, ঢেঁড়স, শসা, বেগুন, লাউ, করোলা, বরবটি, কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা, ফুলকপি, বাঁধাকপি সহ বিভিন্ন সবজির দাম বেড়ে গেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহে সবজির দাম কিলো প্রতি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। হাওড়া ভেজিটেবল মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিনয় শোনকার জানিয়েছেন, এ বছরে বর্ষা পিছিয়ে গেছে। এখনও পর্যন্ত সেভাবে বৃষ্টির দেখা নেই। তাই মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। চাহিদা অনুযায়ী সবজির সরবরাহ না থাকায় বাজারে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। তবে বৃষ্টি শুরু হলে সবজির দাম কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।  বাজারের খুচরো বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে যে দামে কেনা তার থেকে গড়ে ১০ থেকে  ৩০ টাকা বেশি দরে তাঁরা খুচরো বাজারে বিক্রি করবেন। এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের। বাজারে বিক্রিবাটা কমেছে। তাই আপাতত সবজি ব্যবসায়ীরা তাকিয়ে আছেন আকাশের দিকে। কখন মুষলধারে নামবে বর্ষার বৃষ্টি।

    সবজি (Vegetables) বিক্রেতারা কী জানাচ্ছেন?

    এক সবজি বিক্রেতা মন্টু সাউ হাওড়া সবজি বাজারে এসেছিলেন সবজি (Vegetables) কিনতে। তিনি বলেন, যেখানে এক সপ্তাহ আগেও কুঁদরি ছিল ৫০ টাকা পাল্লা, লোকে খেত না৷ এখন সেই কুঁদরি ১৫০ টাকা পাল্লা। ২০ টাকা কিলো এক সপ্তাহ আগে ছিল। সেটা ৬০ টাকা কিলতে বিক্রি করতে হচ্ছে। ঢেঁড়স যেখানে এক সপ্তাহ আগে ১৫০ টাকা পাল্লা ছিল এখন ৩৫০ টাকা পাল্লা। তার উপর বৃষ্টি না হওয়ার কারনে ঢেঁড়শ শুকিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে করলা আগে যেখানে ২০০ টাকা পাল্লা ছিল এখন ৪০০ টাকা পাল্লা। বিনয় সাউ নামে আর এক সবজি বিক্রেতা বলেন, বর্ষায় এই সময় যে পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। তাই সবজি গাছেই শুকিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে দাম বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিটা ঠিকঠাক হলে আবার দাম কমবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: আজ থেকেই রাজ্যে দুর্যোগ! দক্ষিণবঙ্গে জারি কমলা সতর্কতা, চলবে কতদিন?

    Weather Report: আজ থেকেই রাজ্যে দুর্যোগ! দক্ষিণবঙ্গে জারি কমলা সতর্কতা, চলবে কতদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তাপপ্রবাহের জেরে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছিল রাজ্যবাসীর। পরে বৃষ্টির সৌজন্যে কিছুটা কমে পারদ। এবার রবি ও সোমবার রাজ্যজুড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস (Weather Report)। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে বইবে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। থাকছে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা, রয়েছে বজ্রপাতের আশঙ্কা। আগামী পাঁচদিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি রাজ্যে। হাওয়া অফিসের এমনটাই পূর্বাভাস।

    কী জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর?

    হাওয়া অফিসের রিপোর্টে (Weather Report) জানা গিয়েছে, শনিবার বিকাল থেকেই দুর্যোগ শুরু হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইবে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে। রবিবার এবং সোমবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের প্রাবল্য আরও বৃদ্ধি পাবে। আরও জোরে ঝাপটা মারবে ঝোড়ো হাওয়া। এই কারণে রবিবার এবং সোমবারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। শনিবার বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি।

    রবিবার বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা। বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলাতে সম্ভাবনা বেশি। সোমবারেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হবে বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলাতে। মঙ্গল ও বুধবারেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে, তবে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমবে। বৃহস্পতিবার রাজ্যে বাজ পড়ে মারা গিয়েছেন ১৬ জন। পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়ায় এই মৃত্যু হয়েছে। তাই আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির সময় সাধারণ মানুষকে ঘরের ভিতরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আবহবিদরা।

    ঝঞ্ঝার পূর্বাভাস উত্তরেও

    দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেও ঝড়বৃষ্টির কারণে রবিবার কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস (Weather Report)। সোমবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হলেও মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমবে। পার্বত্য এলাকার ৫ জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। শনিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলাতে। ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। রবিবারেও ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পং-এ। সোমবারেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলাতে।

    সক্রিয় নিম্নচাপ অক্ষরেখা

    আলিপুর হাওয়া অফিসের (Weather Report) আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাজ্য জুড়ে সক্রিয় রয়েছে নিম্নচাপ অক্ষরেখা। নিম্নচাপ অক্ষরেখার জন্য ঠান্ডা হাওয়া এবং বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ উষ্ণ হাওয়ার ফলে রাজ্যে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হবে এবং এতেই বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে। বাতাসের উপরিভাগে এখন পশ্চিমী গরম হাওয়া বইছে। ওদিকে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। সাগরের সেই শীতল ভারী হাওয়ার সঙ্গে পশ্চিমের গরম হাওয়ার সংস্পর্শে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হচ্ছে। আর সেই কারণেই দু’দিন ধরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতে ভিজবে সারা রাজ্য। কয়েকটি জেলায় শিলাবৃষ্টিরও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। 

    সতর্কতা জারি প্রশাসনের

    উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি এবং দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের সম্ভাবনা থাকায় শস্যের ক্ষতি হতে পারে, উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ এলাকায় দৃশ্যমানতা অনেকটা কমে যেতে পারে। একইসঙ্গে কাঁচা বাড়িঘরেরও ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের (Weather Report)। এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বৃষ্টির সময়ে ঘরের বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বজ্রবিদ্যুতের সময়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat Heat wave: ৪১ ডিগ্রিতে জ্বলছে শহর, একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে তাপমাত্রার পারদ

    Balurghat Heat wave: ৪১ ডিগ্রিতে জ্বলছে শহর, একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে তাপমাত্রার পারদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকে দুপুর। বালুরঘাটের রাস্তাঘাট ফাঁকা। শহরে বিগত প্রায় দেড় মাস বৃষ্টির দেখা নেই। তীব্র তাপপ্রবাহে (Balurghat Heat wave) কার্যত ধুঁকছেন জেলাবাসী। বৃষ্টির অভাবে একদিকে যেমন চাষবাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে, অন্যদিকে খুব প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরোচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। সমস্যায় শহরবাসী। সকাল থেকেই সূর্যের চোখরাঙানি। তাপমাত্রার পারদ দুপুরে গিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে চল্লিশের কাছাকাছি। 

    এমন আবহাওয়া কবে দেখেছেন, মনে করতে পারছেন না কেউ

    বালুরঘাটে সাধারণ মানুষের কাছে এইরকম আবহাওয়া স্মরণাতীত। ছোট থেকে যাঁরা বালুরঘাটে বড় হয়েছেন, তাঁরাও মনে করতে পারছেন না, এত দীর্ঘ সময় বৃষ্টিবিহীন বালুরঘাট কবে ছিল। এত গরম (Balurghat Heat wave) এর আগে কখনও হয়েছে বলে তাঁদের জানা নেই। সকাল থেকেই রাস্তাঘাট ফাঁকা। অফিসপাড়াতেও সেভাবে ব্যস্ততা চোখে পড়ছে না। জেলাবাসী তাকিয়ে রয়েছেন আকাশের দিকে এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য।

    কংক্রিটের বহুতলই কি এর কারণ?

    গত বছর এই মরশুমে বালুরঘাটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৫° সেলসিয়াস, এদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১°। যা গরমের মরশুমের রেকর্ড তাপমাত্রা (Balurghat Heat wave)। বালুরঘাট শহরের এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ গাছ কেটে, জলাশয় ভরাট করে কংক্রিটের বহুতল গড়ে তোলা বলে জানান পরিবেশপ্রেমী তুহিনশুভ্র মন্ডল। তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষায় পুরসভা, প্রশাসন সহ শহরের মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে।

    তিনি বলেন, আসলে বালুরঘাটের মতো আপাত দূষণহীন একটা শহরে, বালুরঘাটের মতো সবুজ একটা শহরে কেন হঠাৎ এত গরম বাড়ছে? আমরা একটা সমীক্ষা করে দেখেছি, প্রতি বছর শহরে গাছের সংখ্যা কমছে। প্রতি বছর ক্রমশ হাইরাইজের সংখ্যা বাড়ছে, জলাভূমিকে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। এ নিয়ে আমরা অনেকবার পৌরসভা এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। সচেতনতার বার্তা নিয়ে আমরা মানুষের কাছে পৌঁছেছি। বিপদ আমাদের ঘরের দুয়ারে চলে এসেছে। পরিবেশকে বাঁচাতে না পারলে আমরা কেউ বাঁচবো না। এটা বোঝার সময় হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ভরা বসন্তে ঝড়-শিলাবৃষ্টির ভ্রুকুটি রাজ্যে, জানুন কখন, কোথায়

    Weather Update: ভরা বসন্তে ঝড়-শিলাবৃষ্টির ভ্রুকুটি রাজ্যে, জানুন কখন, কোথায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ওপর সক্রিয় রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। তার জেরে ভোল বদলেছে বসন্তের (Weather Update)। ভরা বসন্তে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আজ, বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যের সব জেলায়ই। বৃষ্টির সঙ্গে কোনও কোনও জেলায় বইতে পারে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হওয়া। দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায় শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছ। এদিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে কলকাতাতেও। বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও।

    উপভোগ্য হবে বসন্ত?

    তবে বৃষ্টি (Weather Update) হলেও, এখন আর কমবে না তাপমাত্রা। তাই উপভোগ্য হবে বসন্ত। বৃহস্পতিবার রাজ্যের গড় তাপমাত্রা থাকবে ৩০ ডিগ্রির কাছাকাছি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ৩২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ২৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহরের আকাশ থাকবে মেঘাচ্ছন্ন। বৃষ্টি হতে পারে দফায় দফায়। আগামী পাঁচদিন রাজ্যের তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না। তাই গ্রীষ্মের ভ্রুকুটি নয়, বসন্তই উপভোগ করবেন বঙ্গবাসী।

    রাজ্যে শিলাবৃষ্টি 

    পূর্বাভাস মতো রাজ্যের প্রায় সবকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে বুধবারও। উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় হয়েছে শিলাবৃষ্টিও। শুক্রবার পর্যন্ত আবহাওয়া এরকমই থাকবে বলে পূর্বাভাস ছিল হাওয়া অফিসের। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকবে। তার জেরেই পরিবর্তন হবে আবহাওয়ার। আবহবিদদের একাংশের মতে, বৃষ্টির কারণও এটাই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মমতার বিবেকের মৃত্যু হয়েছে’’, সন্দেশখালিকাণ্ডে তীব্র আক্রমণ রবিশঙ্করের

    পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সঙ্গে পূবালি হাওয়ার সংঘাতের ফলেরই বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। অসমের ওপরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এগোচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারতের দিকে। শনিবার আরও একটি ঢুকবে বলেও পূর্বাভাস। তার জেরেই এই অকাল বর্ষণ। আজ শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলার কিছু অংশে। শিলাবৃষ্টি হতে পারে মালদা, দুই দিনাজপুর, দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার কিছু অংশে (Weather Update)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Weather Update: বসন্তেই রাজ্যে ‘হাওয়া’ বদল, কবে কোথায় বৃষ্টি জানেন?

    Weather Update: বসন্তেই রাজ্যে ‘হাওয়া’ বদল, কবে কোথায় বৃষ্টি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসন্তেই রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update)। বুধবার থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভবনা দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায়। বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গেও। অন্তত এমনই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ

    হাওয়া অফিসের খবর, বুধবার বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলা। এই জেলাগুলিতে হতে পারে হালকা বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়ই। বৃষ্টি হতে পারে হালকা থেকে মাঝারি। শুক্রবারও বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দুই চব্বিশ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরের কয়েকটি এলাকা।

    ভিজতে পারে উত্তরও

    হাওয়া অফিসের তরফে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। আজ, সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং জেলায়। বুধবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি জেলায়। হালকা বৃষ্টি হতে পারে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর ও মালদা জেলায়। বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের সব জেলায়। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে (Weather Update) বৃষ্টি হতে পারে শুক্রবার। তবে বৃষ্টি হলেও, আর ঠান্ডা পড়বে না। হাওয়া অফিসের খবর, আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে রাজ্যে তাপমাত্রার পারদ চড়তে পারে তিন থেকে চার ডিগ্রি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় অবশ্য বৃষ্টির কোনও সম্ভবনা নেই। আকাশ থাকবে পরিষ্কার।

    আরও পড়ুুন: ‘‘নির্ভয়ে কথা বলুক নির্যাতিতারা’’, সন্দেশখালিতে জাতীয় মহিলা কমিশন

    চড়ছে কলকাতার পারদ

    তাপমাত্রা যে বাড়তে চলেছে, তার আঁচ মিলেছে সোমবারই। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সেই তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার এটা হতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহেই রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হতে পারে। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছতে পারে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চৌকাঠ। পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রা আরও দু ডিগ্রি বেড়ে গিয়ে হতে পারে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (Weather Update)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Weather Update: জোড়া ঘূর্ণাবর্ত, মেঘলা আকাশ ভরা শীতে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Weather Update: জোড়া ঘূর্ণাবর্ত, মেঘলা আকাশ ভরা শীতে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহর থেকে জেলা, গত কয়েক দিনে শীতের কামড় টের পেয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে  বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে মেঘলা আকাশ। জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জের, ভরা শীতেও বৃষ্টির ভ্রূকুটি। শহরের কোথাও কোথাও বৃষ্টি শুরুও হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানিয়েছে, আজ কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়ায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। ভরা মাঘে ফের বৃষ্টি-শঙ্কা ঘুম কেড়েছে কৃষকদের। 

    ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব বঙ্গে

    বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এরই পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম ভারতে রয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট। উত্তুরে হাওয়া হাত গুটিয়ে নেওয়ায় বঙ্গে পূবালি হাওয়ার (Rain in Kolkata) দাপট বাড়ছে। বৃহস্পতিবার কলকাতা (Kolkata) শহরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মহানগরীতে শীতের দাপট কমবে। চড়বে তাপমাত্রা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার তাপমাত্রা আগামী কয়েকদিনে চার ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। কলকাতায় তাপমাত্রা এক ধাক্কায় ৩ ডিগ্রি বেড়ে আজ ১৬.৩। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। আগামীকাল সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি চলতে পারে, বেলার দিকে আবহাওয়ার উন্নতি। রাতের তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়বে। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা নিচে থাকবে। শীতের আমেজ থাকলেও কাঁপন কমবে। কলকাতার তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যেতে পারে। বৃষ্টির পরেও তাপমাত্রা খুব একটা নামার সম্ভাবনা কম। এবার ধীরে ধীরে শীতের দাপট কমবে, বাড়বে তাপমাত্রা, এমনই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।

    আরও পড়ুন: নজির রোহিতের, জোড়া সুপার ওভার, আফগানিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বরেকর্ড ভারতের

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মিলিয়ে গত কালই তুষারপাত হয়েছে দার্জিলিং জেলার কিছু অংশে। বরফে ঢেকেছে দার্জিলিং। শীতে কাঁপছে শৈলশহর। আবহাওয়া দফতর আরও জানায়, উত্তরবঙ্গে বিহার সংলগ্ন জেলায় ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে। ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। এছাড়াও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে। আজ দার্জিলিঙের তাপমাত্রা মাইনাসে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী দু-তিনদিন তুষারপাত হতে পারে। পার্বত্য এলাকায় শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share