Tag: rain

rain

  • Cloud Burst: মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যন্ত তেলঙ্গানা, কী এই ক্লাউড বার্স্ট? কীভাবে হয়?

    Cloud Burst: মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যন্ত তেলঙ্গানা, কী এই ক্লাউড বার্স্ট? কীভাবে হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো বছরের রেকর্ড মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে (Cloud Burst) বিপর্যস্ত তেলঙ্গানা (Telangana)৷ একাধিক নদী প্লাবিত হওয়ায় ভেসে গিয়েছে বহু এলাকা৷ চরম হয়রানির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বহু মানুষ৷ টানা বৃষ্টিতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে জয়শঙ্কর ভুপালাপাল্লি জেলার পালিমেলা এলাকা ৷ অন্য কয়েকটি জায়গার অবস্থাও প্রায় একইরকম ৷ হায়দ্রাবাদসহ কয়েকটি শহরের যানচলাচল ব্যাহত হয়েছে৷ জলমগ্ন রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সরকার৷ নির্মল জেলায় বাড়ি ভেঙে ইয়েদুলা চিন্নায়া নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যুও হয়েছে। জলের তলায় চলে গিয়েছে নিজামাবাদ জেলার ২৭ হাজার একরেরও বেশি কৃষি জমি ৷ বৃষ্টি এবং জমা জলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বহু বাড়ি ৷  

    আরও পড়ুন: লক্ষ্যে অবিচল! মা ঝাড়ুদার, বাবা দিনমজুর, ছেলে আইএএস অফিসার!

    এ অবস্থায় রবিবার এক বিস্ফোরক বিবৃতি দিয়েছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দশেখর রাও। তিনি বলেন, “ক্লাউডবার্স্ট বা মেঘ ভাঙা বৃষ্টি নামে একটি নতুন শব্দ এসেছে। শোনা যাচ্ছে এর পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। রয়েছে বিদেশি চক্রান্ত। আমরা জানি না এটি কতদূর সত্য। কিছু বিদেশি দেশ ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের দেশে ক্লাউডবার্স্ট করছে। এর আগে লেহ-লাদাখেও তাই করেছিল। পরে একই ঘটনা ঘটে উত্তরাখণ্ডে। আমরা জানতে পেরেছি যে গোদাবরীর  অববাহিকাতেও একই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই ধরণের বিপর্যয় ঘটে। তাই আমাদের জনগণকে রক্ষা করা দরকার।” 

    আরও পড়ুন: আবেদনপত্রে কোনও ভুল আছে? এখনই ঠিক করুন, জানুন কীভাবে

    সত্যিই কী মেঘ ভাঙা বৃষ্টি বা ক্লাউড বার্স্ট বিদেশি চক্রান্ত? 

    আবহাওয়া দফতরের মতে, অতিভারী বৃষ্টিকেই মেঘ ভাঙা বৃষ্টি বলে। এক ঘণ্টায় কোনও এলাকায় যদি ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়, তাহলেই তাকে ক্লাউড বার্স্ট ধরে নেওয়া হবে। এক আবহাওয়া দফতরের আদিকারিকের বক্তব্য, যখন উষ্ণ মৌসুমি বায়ু ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে মিশে প্রতিক্রিয়া তৈরি করে তখন এটি বিশাল মেঘের সৃষ্টি হয়। টপোগ্রাফি বা অরোগ্রাফিক কারণেও হতে পারে। যদি এক ঘন্টায় একটি স্টেশনে ১০০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়, তবে বৃষ্টির ঘটনাটিকে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি বলা হবে। 
      
    ক্লাউড বার্স্টের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব?

    ঠিক কখন মেঘ বিস্ফোরণ ঘটবে তা অনুমান করা কঠিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, খুব ছোট এলাকায় ঘটে ঘটনাটি। তাই দ্রুত মেঘ বিস্ফোরণের সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করা এবং সনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন। তবে, প্রধানত ভূখণ্ড এবং উচ্চতার কারণে পাহাড়ি অঞ্চলে মেঘ বিস্ফোরণের সম্ভাবনা বেশি। যদিও মেঘ ভাঙা বৃষ্টির আগাম সতর্কতা দেওয়া যায় না, তবে আবহাওয়া স্টেশনগুলি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা পাঠায়।

    ক্লাউড বার্স্টের সময় কী হয়? 

    পাহাড়ি অঞ্চলে, কখনও কখনও বৃষ্টিতে ঘনীভূত হতে প্রস্তুত মেঘ, উষ্ণ বায়ুর ঊর্ধ্বগতির কারণে বৃষ্টি তৈরি করতে পারে না। বৃষ্টির ফোঁটা নিচের দিকে পড়ার পরিবর্তে হাওয়ার প্রবাহের কারণে উপরের দিকে উঠে যায়। একটা সময় পরে, সেই মেঘের জন্য বৃষ্টির ফোটাগুলি খুব ভারী হয়ে যায় এবং এক ঝটকায় নীচে নেমে আসে। 

  • Rain in Kolkata: সোমবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শহরজুড়ে, জল জমল দক্ষিণ থেকে উত্তরে

    Rain in Kolkata: সোমবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শহরজুড়ে, জল জমল দক্ষিণ থেকে উত্তরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকালে রোদের দেখা মিলেছিল। মুহূর্তে তিলোত্তমার আবহাওয়া পরিবর্তন। কলকাতায় (Kolkata) জুড়ে তুমুল বৃষ্টি (Rain in Kolkata)। ইতিমধ্য়েই, মহানগরীর একাধিক রাস্তায় জল জমে যাওয়ার খবর মিলেছে। দক্ষিণ-পূর্ব ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) অবস্থিত নিম্নচাপের জেরে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বঙ্গে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (IMD) সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টি জারি থাকবে। ঘূর্ণিঝড় অশনি (Cyclone Asani) আসার আগেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও। মনে করা হচ্ছে, প্রত্যক্ষ না হলেও সাইক্লোন অশনির পরোক্ষ প্রভাবেই বৃষ্টি শহর কলকাতায়। শহরের বিভিন্ন এলাকায় জল জমেছে বলে খবর। সায়েন্স সিটি গামী রাস্তায় জল জমেছে। যার জেরে দিনের ব্যস্ত সময়ে যান চলাচল খানিকটা শ্লথ হয়েছে। অফিস টাইমে বৃষ্টিতে নাকাল হতে হয় শহরবাসীকে। আধঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পরে শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট। জলমগ্ন বিদ্যাসাগর সেতুতে শুরু হয়ে যায় যানজট। বৃষ্টিতে জলমগ্ন সেন্ট্রাল এভিনিউ, সেক্টর ফাইভের বেশ কিছু এলাকা।

    ‘অশনি’ (Asani) সংকেতের মাঝেই কালো মেঘে ঢাকল কলকাতার আকাশ। শহরজুড়ে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় সোমবার সকাল থেকেই। পুরসভা (KMC) সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতার বালিগঞ্জে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বালিগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে ৫৭ মিমি। মোমিনপুরে বৃষ্টির পরিমাণ ৫৫ মিমি। সার্দার্ন অ্যাভিনিউতে বৃষ্টি হয়েছে ৫৩ মিমি।

    অশনির প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগণায়  আজ, সোমবার বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ৷ আগামী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ বাসিন্দাদের বলা হয়েছে নিরাপদ স্থানে থাকতে ৷ ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই বুধ ও বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। শুক্রবার পর্যন্ত আকাশ মেঘলা থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

     

LinkedIn
Share