Tag: Rajasthan

Rajasthan

  • Rajasthan: সত্যিই বইত সরস্বতী! ঋগ্বেদে উল্লিখিত নদীর হদিশ পেলেন পুরাতত্ত্ববিদরা, জানুন বিশদে

    Rajasthan: সত্যিই বইত সরস্বতী! ঋগ্বেদে উল্লিখিত নদীর হদিশ পেলেন পুরাতত্ত্ববিদরা, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হদিশ মিলল ঋগ্বেদে উল্লিখিত সরস্বতী নদীর! ভারতের পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ (এএসআই) রাজস্থানের দীগ জেলার বাহাজ গ্রামে ২৩ মিটার গভীরে একটি পুরানো নদীধারা (এএসআইয়ের ভাষায়, পালিওচ্যানেল) খুঁড়ে বের করেছে। ইতিহাসবিদ এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের একাংশ একে ঋগ্বেদে উল্লিখিত (Rajasthan) পৌরাণিক সরস্বতী নদী বলে উল্লেখ করেছেন। খনন কার্য শুরু হয় ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে। শেষ হয় চলতি (Saraswati River) বছরের মে মাসে। এই খনন কার্যের ফলে ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সময়ে এই নদীর তীরে জনবসতিরও প্রমাণ মিলেছে।

    সরস্বতী অববাহিকা (Rajasthan)

    এখানে যেসব নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে, তার অধিকাংশই কুষাণ, মগধ এবং শুঙ্গ রাজবংশের সময়ের। এদের মধ্যে সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হল পালিওচ্যানেলটি। এএসআইয়ের জয়পুর বিভাগের সুপারিনটেন্ডিং আর্কিওলজিস্ট বিনয় গুপ্ত বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে বলেন, “এই প্রাচীন নদী ব্যবস্থা প্রাথমিক মানব বসতিগুলিকে পুষ্টি জুগিয়েছিল এবং বাহাজকে বৃহত্তর সরস্বতী অববাহিকা সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত করেছিল।” পালিওচ্যানেলটিকে একটি অভূতপূর্ব আবিষ্কার হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “এটি প্রমাণ করে যে এই অঞ্চলে প্রাচীন জল ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে একটি সভ্যতা বিকাশ লাভ করেছিল।”

    কী বলছেন ইতিহাসবিদরা

    মথুরা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে বাহাজ গ্রাম। এই জায়গার সংরক্ষণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সংস্কৃতিমন্ত্রকে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে এএসআই। অন্যান্য আবিষ্কারের মধ্যে রয়েছে মাটির খুঁটি সহ আবাসিক কাঠামোর অবশিষ্টাংশ, প্রাচীরযুক্ত খাত, চুল্লি এবং নানা ধরণের লোহা ও তামার নিদর্শন। ইতিহাসবিদদের মতে, মাইক্রোলিথিক সরঞ্জাম বা ক্ষুদ্র পাথরের যন্ত্রপাতি থেকে বোঝা যায় যে এই বসতির শেকড় প্রাক-হোলোসিন যুগ পর্যন্ত বিস্তৃত (Rajasthan)। গত মাসে দীগে এক প্রত্নবস্তুর প্রদর্শনী চলাকালীন গুপ্ত বলেন, “চুল্লি ও ধাতব বস্তু আবিষ্কারের মাধ্যমে বোঝা যায়, এখানকার বাসিন্দারা ধাতুবিদ্যায় যথেষ্ট উন্নত জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন।”

    খননকারী দলের খুঁজে পাওয়া আধ্যাত্মিক নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে ১৫টি যজ্ঞকুণ্ড, শক্তি উপাসনার জন্য উৎসর্গীকৃত মানতের জলাধার এবং শিব ও পার্বতীর টেরাকোটার মূর্তি, যেগুলির ইতিহাস কমপক্ষে খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ সাল পর্যন্ত প্রসারিত। পুরাতত্ত্ববিদরা চারটি সিলও খুঁজে পেয়েছেন। এর মধ্যে দুটি ব্রাহ্মী লিপিতে (Saraswati River) খোদাই করা। এগুলিকে উপমহাদেশে ব্রাহ্মী লিপির সবচেয়ে প্রাচীন নিদর্শন বলে মনে করা হয়। গুপ্ত বলেন, “বাহাজের এই খননকার্য ভারতের প্রাচীন ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোকে ফের লেখার দাবি রাখে (Rajasthan)।”

  • Indus River: পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানায় ব্যবহার হবে সিন্ধুর জল! ১১৩ কিমি খাল তৈরি করবে কেন্দ্র

    Indus River: পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানায় ব্যবহার হবে সিন্ধুর জল! ১১৩ কিমি খাল তৈরি করবে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পরেই সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে ভারত সরকার। এর পরেই এই নদীর জলকে (Indus River) কীভাবে দেশের কাজে আরও বেশি করে লাগানো যায়, সে পরিকল্পনাই করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে এনিয়ে একাধিক পদক্ষেপও গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে দিল্লিকে। এই আবহে আরও এক পরিকল্পনার কথা সামনে এসেছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, এবার পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে সিন্ধু নদের জলকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে চাইছে ভারত সরকার। এজন্য ১১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি খাল তৈরি করার পরিকল্পনা চলছে। এ নিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। এই খালটি চেনাব নদীকে সিন্ধুর অন্যান্য উপনদীর সঙ্গে যুক্ত করবে।

    কী বলছেন অমিত শাহ?

    এই প্রকল্পের (Indus River) লক্ষ্য হল সিন্ধুর জলকেব্যাপকভাবে কাজে লাগানো এবং পাকিস্তানে অতিরিক্ত জলপ্রবাহ রোধ করা। শনিবারই রাজস্থানে বিজেপির একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই তিনি এই পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে এই খালের মাধ্যমে রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরে সিন্ধুর জল নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি আরও জানান, পাকিস্তান সিন্ধুর প্রতিটি বিন্দু জলের জন্য আকুলভাবে প্রার্থনা করবে।

    অন্যান্য ১৩টি খালের সঙ্গে যুক্ত করা হবে (Indus River)

    প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, এই প্রস্তাবিত খাল জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থান জুড়ে বিস্তৃত অন্যান্য ১৩টি খালের সঙ্গে যুক্ত হবে। মনোহর পারিক্কর ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালিসিস-এর একজন সিনিয়র ফেলো উত্তম সিনহা এই বিষয়ে বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনশীলতা এবং পরিবর্তিত বৃষ্টিপাতের ধরন মোকাবিলায় এই খাল কার্যকরী হবে। একইসঙ্গে ওই বিশেষজ্ঞ আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) এমন উদ্যোগের ফলে আঞ্চলিক যে বৈষম্যতা তাও দূর হবে। জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার রণবীর খালের দৈর্ঘ্য ৬০ কিলোমিটার থেকে ১২০ কিলোমিটার (Indus River) করার কথাও ভাবনা-চিন্তা করছে।

  • Smart City: ভুয়ো কোম্পানি খুলে ২,৬৭৬ কোটি টাকার প্রতারণা, দুই ভাইয়ের খোঁজে হন্যে পুলিশ

    Smart City: ভুয়ো কোম্পানি খুলে ২,৬৭৬ কোটি টাকার প্রতারণা, দুই ভাইয়ের খোঁজে হন্যে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেক্সা এভারগ্রিনকাণ্ডে ২ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। স্বল্প বিনিয়োগে বড় অঙ্কের আর্থিক লাভ এবং ফ্ল্যাটের টোপ দিয়ে ৭০ হাজার মানুষকে প্রতারণার অভিযোগ (Smart City) রাজস্থানের (Rajasthan) সুভাষ বিজারানি এবং রণবীর বিজারানির বিরুদ্ধে। এই দুই ভাইয়ের খোঁজে হন্যে পুলিশ।

    ভুয়ো সংস্থা (Smart City)

    জানা গিয়েছে, নেক্সা এভারগ্রিন নামে একটি ভুয়ো সংস্থা খোলে বিজারানি ভ্রাতৃদ্বয়। এই কোম্পানির বিরুদ্ধে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার মামলা রুজু করেছিল রাজস্থান পুলিশ। তার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি গুজরাট ও রাজস্থানের ২৪টি জায়গায় এক সঙ্গে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। তার পরেই ফাঁস হয়ে যায় বিজারানি ভাইদের কীর্তিকলাপ। জানা গিয়েছে, বড় অঙ্কের আর্থিক লাভ ও গুজরাটের ঢোলেরা শহরে স্মার্ট সিটি প্রজেক্টে জমি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে লগ্নিকারী ও আমানতকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন বিজারানি ভ্রাতৃদ্বয় ও তাদের শাগরেদরা। কয়েক বছর আগে সীকর জেলার বাসিন্দা ওই দুই ভাই ভুয়ো কোম্পানিটি খোলেন। তার পরেই পাতা হয় ফাঁদ। যে ফাঁদে ধরা দিয়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন ৭০ হাজার মানুষ। অভিযোগ, অন্যের হাউসিং প্রজেক্টের ছবি দেখিয়ে বিজারানি ভাইয়েরা দাবি করে, এগুলিই তাদের আগামী দিনের প্রকল্প।

    ফ্ল্যাট এবং জমির টোপ

    তুলনামূলকভাবে সস্তায় ভালো মানের ফ্ল্যাট এবং জমির লোভে প্রচুর মানুষ বিনিয়োগ করতে থাকেন এই দুই ভাইয়ের সংস্থায়। শুধু জমি-বাড়িই নয়, স্বল্প বিনিয়োগে বড় লভ্যাংশের টোপও দেওয়া হয়েছিল বিনিয়োগকারীদের। অভিযোগ (Smart City), এভাবে এজেন্টদের দিয়ে ২ হাজার ৬৭৬ কোটি তোলে ওই সংস্থা। এজেন্টদের কমিশন বাবদ দেওয়া হয় প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা। এরপর প্রতারণার অর্থে অভিযুক্ত সহোদররা কেনে ১৩০০ বিঘে জমি। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা গত কয়েক বছরে দামি দামি গাড়ি কিনেছে। রাজস্থানে হোটেল করেছে। আমেদাবাদ এবং গোয়ায় অন্তত ২৫টি রিসর্ট গড়েছে। নগদে নেওয়া ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বিভিন্ন ভুয়ো কোম্পানিতে। তার পর আচমকাই ঝাঁপ ফেলে দেওয়া হয় নেক্সা এভারগ্রিনের।

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্র ও গুজরাট সরকার যৌথভাবে তৈরি করছে ঢোলেরা স্মার্ট সিটি। এই প্রকল্পটি (Rajasthan) হতে চলেছে ভারতের বৃহত্তম গ্রিনফিল্ড স্মার্ট সিটি (Smart City)।

  • Pak Spy in India: হিমাচলে ধৃত যুবক, পাক গুপ্তচর সন্দেহে রাজস্থানে আটক প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক

    Pak Spy in India: হিমাচলে ধৃত যুবক, পাক গুপ্তচর সন্দেহে রাজস্থানে আটক প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে (Spying for Pakistan) আটক করা হল রাজস্থানের (Rajasthan) সরকারি কর্মচারী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতার প্রাক্তন আপ্তসহায়ককে। ধৃত ব্যক্তির নাম সাকুর খান মাঙ্গালিয়া (Sakur Khan Mangaliya)। বুধবার রাজস্থানের সিআইডি এবং জয়পুরের অন্যান্য বিশেষ গোয়েন্দা দল জয়সলমেরের এক সরকারি দফতর থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে। পাক গুপ্তচর (Pak Spy in India) সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে হিমাচলপ্রদেশের এক যুবককেও। নাম অভিষেক, হিমাচলেরই দেহরা এলাকার বাসিন্দা।

    প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক

    সূত্রের খবর, ধৃত সাকুর খান মাঙ্গালিয়া জয়সলমেরের বাসিন্দা। বর্তমানে রাজস্থানের কর্মসংস্থান দফতরে কর্মরত তিনি। পূর্বে তিনি কংগ্রেস সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী শালে মোহাম্মদের আপ্তসহায়ক হিসেবে কাজ করেছেন। ধৃত ব্যক্তি সন্দেহজনক কার্যকলাপে জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। গোপন সূত্রে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিলেন, পাক দূতাবাসের এক আধিকারিকের পাশাপাশি আইএসআইয়ের সঙ্গেও সম্ভাব্য যোগসূত্র রয়েছে সাকুরের। এই তথ্য পাওয়ার পর থেকেই তাঁর উপর নজর রাখছিল বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সাকুরের মোবাইলে একাধিক পাকিস্তানি নম্বর পেয়েছে তদন্তকারীরা। নম্বরগুলি তাঁর মোবাইলে কী করছে, সেই ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি বলেই খবর। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় অতীতে ৬-৭ বার পাকিস্তানে যাওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন সাকুর।

    সাকুরের ফোন বাজেয়াপ্ত

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ছদ্মবেশধারী পাক গুপ্তচরদের অনুসন্ধান। প্রতিদিনই দেশের কোন না কোনও প্রান্তে পাকড়াও হচ্ছে পাক গুপ্তচররা। তবে সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত তাঁর মোবাইলে কোনও সামরিক সম্পর্কিত ভিডিও বা সংবেদনশীল বিষয়বস্তু পাওয়া যায়নি। তবে দাবি, ডিভাইসে থাকা অনেক তথ্যই মুছে ফেলা হয়েছে। সাকুরের দু’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সহ আর্থিক লেনদেনের রেকর্ডও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সাকুরকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার সুধীর চৌধুরী বলেন, ‘সন্দেহজনক কার্যকলাপে জড়িত থাকার বিষয়ে সদর দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা সাকুরকে আটক করেছি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’ তদন্তের স্বার্থে তাঁর ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অপারেশন সিঁদুর অভিযানের সময় সাকুর জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমে ছিলেন। তাঁর আচরণ সন্দেহজনক বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

    হিমাচল প্রদেশের এক যুবককে গ্রেফতার

    পাক গুপ্তচর (Pakistani Spy) সন্দেহে অভিষেক নামে হিমাচল প্রদেশের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, এই ব্যক্তি বিভিন্ন সংবেদনশীল তথ্য পাকিস্তানের কাছে পাচার করছিলেন। বুধবার কাংড়া জেলার উনা-কাংড়া সীমান্তবর্তী এলাকায়, শ্রীমাতা চিন্তাপূর্ণী মন্দির থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দেহরা সিটি পুলিশের এসপি ময়ঙ্ক চৌধুরী জানান, “গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযানে নেমেছিলাম এবং সফলভাবে অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়েছে। তাঁর মোবাইল ফোন থেকে গুপ্তচরবৃত্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।” এসপি আরও জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita)-এর ধারা ১৫২-এর অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁর মোবাইল ফোনটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, যাতে আরও তথ্য উঠে আসে।

    সাধারণের ভিতরেই চর

    অভিযুক্ত অভিষেক স্থানীয়দের কাছে একজন সাধারণ যুবক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কোনও রাজনৈতিক বা উগ্রপন্থী সংগঠনের সঙ্গে তাঁর প্রত্যক্ষ যোগাযোগের প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিষেক বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ও যোগাযোগ যন্ত্র সম্পর্কে ভাল জানতেন এবং ফোন ও ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহারেও দক্ষ ছিলেন। পুলিশের ধারণা, এই প্রযুক্তিগত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়েই তিনি ভারতের সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা কাঠামো সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে পাকিস্তানে পাচার করছিলেন। ঠিক কী ধরনের তথ্য পাঠানো হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত এখনও চলছে।

    পাক চরের নেটওয়ার্ক

    এই গ্রেফতারির পর হিমাচলপ্রদেশে পাক গুপ্তচর চক্রের বিস্তৃতি নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিষেক একা নয়। তাঁর সঙ্গে আরও কিছু লোক যোগাযোগ রাখত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তদন্তকারীরা এখন তাঁর কল রেকর্ড, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম খতিয়ে দেখছেন। এই ঘটনার পর হিমাচলপ্রদেশ প্রশাসন নাগরিকদের প্রতি সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সন্দেহভাজন কোনও কার্যকলাপ চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। এসপি চৌধুরী বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আমরা কোনও রকম গাফিলতি সহ্য করব না। দেশের প্রতি দায়িত্ব পালনে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।”

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, পাঞ্জাব-গুজরাট-রাজস্থানে জারি হাই অ্যালার্ট

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, পাঞ্জাব-গুজরাট-রাজস্থানে জারি হাই অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র (Operation Sindoor) পর কমপক্ষে তিনটি সীমান্তবর্তী রাজ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে (Air Defence)। এই রাজ্যগুলি হল পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাট। এই রাজ্যগুলিতে সব সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে স্পর্শকাতর বিভিন্ন এলাকায়।

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। এই যে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে ভারত হামলা চালিয়েছে, সেগুলির মধ্যে কয়েকটি সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাডও রয়েছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে জৈশ-ই-মহম্মদ ও মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে  টার্গেট করে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত।

    পাঞ্জাবে সতর্কতা জারি (Operation Sindoor)

    ৫৩২ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্তবিশিষ্ট পাঞ্জাব প্রথম থেকেই কড়া সতর্কতার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার মন্ত্রী অমান আরোরা ঘোষণা করেন, সমস্ত সীমান্তবর্তী জেলাকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে এবং সাবধানতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকারি অনুষ্ঠান-সহ সব ধরনের জনসমাবেশ বাতিল করা হচ্ছে। বিবৃতি জারি করে তিনি বলেন, “পাঞ্জাবের মানুষ সেনার পিছনে একজোট হয়ে রয়েছে। জাতির অখণ্ডতা যখনই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে, পাঞ্জাবিরা জীবন দিতেও পিছপা হয় না।”

    পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এসবিএস নগর ও জলন্ধরে তাঁর নির্ধারিত মাদকবিরোধী কর্মসূচি বাতিল করেছেন। এদিকে, পাঞ্জাব পুলিশকে দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা সারি হিসেবে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। কোনও আকস্মিক ঘটনার মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাঞ্জাব সমন্বয় রেখে চলছে বলেও জানান প্রশাসনের কর্তারা। আরোরা বাসিন্দাদের প্রতি সরকারি নির্দেশ সাবধানে মেনে চলতে এবং বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়ানো এড়াতে অনুরোধ করেছেন (Air Defence)।

    ধ্বংসাবশেষ মিলেছে পাঞ্জাবের গ্রামে

    এদিকে, পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। এর পরপরই ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা সন্দেহভাজন পাকিস্তানি প্রজেক্টাইলগুলিকে সফলভাবে প্রতিহত করেছে। পাক ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষগুলি পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী গ্রামে এসে পড়েছে। প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব রাজ্যটি পাক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার একেবারে গোড়ায় অবস্থিত। ফলে, এখানে হামলার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

    ছুটি বাতিল

    এদিকে, রাজ্য পুলিশ সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে পাঞ্জাব। রাজ্য সরকার ছ’টি সীমান্তবর্তী জেলায় স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী ৬টি জেলা – ফিরোজপুর, পাঠানকোট, ফাজিলকা, অমৃতসর, গুরুদাসপুর এবং তারন তারানের সমস্ত স্কুল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে (Operation Sindoor)। রাজস্থানে, পাকিস্তানের সঙ্গে ১,০৩৭ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে রাজ্য প্রশাসন জরুরি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ১০ মে পর্যন্ত কিশানগড় ও যোধপুর বিমানবন্দর বন্ধ রাখার পাশাপাশি বিএসএফের শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সক্রিয় করা হয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট (Air Defence)।

    ৪ ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাকআউট

    বারমের, জয়সলমির, যোধপুর, বিকানের ও শ্রী গঙ্গানগর জেলার সব স্কুল, অঙ্গনওয়াডি ও কোচিং সেন্টার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জয়সলমিরে মধ্যরাত থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাকআউট করা হয়। এদিনের সমস্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে এবং সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে সদর দফতরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। রাজ্যের হাসপাতালগুলিকে রক্ত ও জরুরি ওষুধ মজুত রাখতে বলা হয়েছে। জ্বালানি স্টেশনগুলিকে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামগুলি খালি করার পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা কালেক্টরদের সীমান্তবর্তী সংবেদনশীল স্থান চিহ্নিত করে সুরক্ষিত করতে এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখতে বলা হয়েছে (Operation Sindoor)।

    গুজরাটেও জারি হাই অ্যালার্ট

    গুজরাটের কচ্ছ জেলা-সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ভুজ ও রাজকোট বিমানবন্দর থেকে সব অসামরিক বিমান পরিষেবা তিনদিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এবং এখন কেবলমাত্র সামরিক বিমান ব্যবহার করছে এই এয়ারবেসগুলি। জামনগর, হালার সৈকত এবং অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় মেরিন পুলিশ, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ, টাস্কফোর্স কমান্ডোদের মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি স্পর্শকাতর এলাকায় চলছে নিরাপত্তা তল্লাশি (Operation Sindoor)। আহমেদাবাদ রেল স্টেশনেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রেলওয়ে প্রোটকশন ফোর্স, সরকারি রেল পুলিশ এবং কুইক রিঅ্যাকশন টিম যৌথ টহল দিচ্ছে। লাগেজ স্ক্রিনিং, অ্যান্টি-সাবোটাজ ড্রিল এবং ফ্ল্যাগ মার্চ চালানো হয়েছে (Air Defence)।

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরকে ভারতের একটি কৌশলগত সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এর জেরে দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চরম সতর্কতা বজায় রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার (Operation Sindoor)।

  • Pakistan Ranger: সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ, রাজস্থানে আটক পাকিস্তানি সেনা

    Pakistan Ranger: সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ, রাজস্থানে আটক পাকিস্তানি সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানে ভারতীয় জওয়ানদের হাতে আটক একজন পাকিস্তানি রেঞ্জার (Pakistan Ranger)। আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করার জন্যই ওই পাক রেঞ্জারকে আটক করেছে বিএসএফ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে পাক বাহনীর হাতে আটক রয়েছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফের ২৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল পূর্ণম। গত ২৩ এপ্রিল অসাবধানতাবশত আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরতেই তাঁকে আটক করে পাক রেঞ্জাররা। এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলেও পূর্ণমকে এখনও ছাড়েনি পাক বাহিনী। এবার পূর্ণমের পাল্টা হিসেবেই বিএসএফ আটক করল এক পাক রেঞ্জারকে (Pakistan Ranger)।

    ফোর্ট আব্বাস এলাকা থেকে গ্রেফতার (Pakistan Ranger)

    জানা গিয়েছে, রাজস্থানের সীমান্তবর্তী এলাকা ফোর্ট আব্বাস থেকে ওই পাকিস্তান রেঞ্জার্সের জওয়ানকে ধরা হয়েছে। বিএসফের অভিযোগ, এ দিন ইচ্ছা করেই ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন ওই পাক রেঞ্জার্স জওয়ান। ওই পাক জওয়ানের কোনও কুমতলব ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

    সীমান্তে উত্তেজনা

    সেনা বা সাধারণ নাগরিকরা অনেক সময়ই অসাবধানতায় সীমান্ত অতিক্রম করে ফেলেন। এই ঘটনাগুলি সাধারণত আলোচনা করেই মেটানো হয়। জড়িত ব্যক্তিদের সাধারণত আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পরে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু পহেলগাঁও হামলার পরে উত্তেজনা চলছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সীমান্তে (Pakistan Ranger)।

    গত সোমবারই পাঠানকোটে যান পূর্ণমের স্ত্রী

    প্রসঙ্গত, কনস্টেবল পূর্ণমের স্ত্রী রজনী গত সোমবারই পশ্চিমবঙ্গের রিষরার তাঁর বাড়ি থেকে পাঠানকোটে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পূর্ণমের বিষয়ে খোঁজখবর করতেই গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। জানা গিয়েছে, বিএসএফ অফিসাররা তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে, পূর্ণমের নিরাপদ মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য ভারতীয় সেনা যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। সেনার তরফ থেকে এমন আশ্বাসের পরই, পূর্ণমের স্ত্রী অমৃতসর থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন বলে জানা গিয়েছে। বিএসএফ-ই (BSF) তাঁর ফিরোজপুর থেকে অমৃতসর যাওয়ার ব্যবস্থা করে।

  • Rajasthan: মুঘলদের পরাস্ত করার আনন্দ! রঙের নয়, রাজস্থানের এই গ্রামে হয় ‘বারুদের হোলি’

    Rajasthan: মুঘলদের পরাস্ত করার আনন্দ! রঙের নয়, রাজস্থানের এই গ্রামে হয় ‘বারুদের হোলি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রঙের বদলে বারুদ দিয়ে হোলি খেলার রীতি রয়েছে রাজস্থানের (Rajasthan) এই গ্রামে। ৫০০ বছর ধরে এমন ঐতিহ্য চলে আসছে রাজস্থানের উদয়পুর জেলার মেনার গ্রামে। রঙ দিয়ে নয় বরং আতশবাজি, কামানের গোলা এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে উদযাপন করা হয় হোলি। এই হোলি বারুদ হোলি (Gunpowder Holi) নামে পরিচিত। স্থানীয়দের বিশ্বাস, মুঘলদের পরাজিত করার পর গ্রামের মানুষজন এভাবেই তাঁদের জয়ের আনন্দে মেতেছিলেন।

    কী বলছেন গবেষক?

    এনিয়ে গবেষক চন্দ্রশেখর শর্মা বলেন, ‘‘মহারাণা প্রতাপ মুঘল বাহিনীর বিরুদ্ধে হলদিঘাটির যুদ্ধ শুরু করেন। সেইসময় তিনি মেওয়ারের প্রতিটি মানুষকে আত্মসম্মান ও সাহসিকতা শিক্ষা দিয়েছিলেন। এর পরে, মহারাণা প্রতাপের পুত্র অমর সিংহের নেতৃত্বে চলে মুঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই। সেসময় মেনারের কাছে একটি মুঘল শিবির (Rajasthan) ছিল। গ্রামবাসীরা সেখানে আক্রমণ করে এবং মুঘল সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে। তারপর থেকেই এভাবেই পালিত হয়ে আসছে হোলি। রঙ নয় বারুদের হোলি।’’

    বীরত্বের গানের মধ্য দিয়েই পালিত হয় এই উৎসব (Rajasthan)

    হোলির (Rajasthan) এক সপ্তাহ আগে থেকেই এই গ্রামে শুরু হয়ে যায় উৎসব। হোলির আর কয়েকদিন বাকি। এখন থেকেই সারারাত গ্রামে কামান, আতশবাজি এবং আগ্নেয়াস্ত্রের শব্দ শোনা যাচ্ছে।এনিয়ে গবেষক চন্দ্রশেখর শর্মা বলেন, ‘‘মেনার গ্রামের মানুষ এই উৎসবের জন্য সারাবছর অপেক্ষা করে থাকে। আশেপাশের প্রচুর মানুষজন এখানে হোলির উদযাপন দেখতে আসেন।’’ সংবাদমাধ্যমকে তিনি আরও জানান, বীরত্বের গানের মধ্য দিয়েই পালিত হয় এই উৎসব।

    উদয়পুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হল এই গ্রাম

    উদয়পুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হল এই মেনার গ্রাম। হোলির সাতদিন আগে থেকেই রাত ৯টার পর, সমস্ত গ্রামবাসী প্রাচীন ভারতীয় সৈন্যদের পোশাক এবং ঐতিহ্যবাহী রাজস্থানী পোশাক পরেন। এরপরেই শুরু হয় শোভা যাত্রা (Rajasthan)। প্রথা অনুযায়ী থাকে সঙ্গে থাকে বন্দুক এবং তরোয়ারি।

  • Beawar Sexual Exploitation Case: আজমেরের পুনরাবৃত্তি! হিন্দু কিশোরীদের ধর্ষণ, ধর্মান্তরণের চাপ জিহাদি গ্যাংয়ের

    Beawar Sexual Exploitation Case: আজমেরের পুনরাবৃত্তি! হিন্দু কিশোরীদের ধর্ষণ, ধর্মান্তরণের চাপ জিহাদি গ্যাংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেল করে দিনের পর দিন গণধর্ষণ। মুখ বন্ধ করতে অশালীন ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল। ৩০ বছর আগের এই ঘটনায় নড়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। ১০০ জনেরও বেশি কিশোরীকে এ ভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল। ঘটনাস্থল রাজস্থানের আজমের। এবার তারই প্রতিফলন ঘটল বেওয়ারে (Beawar Sexual Exploitation Case)। মুসলিম গ্রুমিং গ্যাং কর্তৃক যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে নাবালিকা হিন্দু মেয়েরা। পরিকল্পিতভাবে সাজগোজ, ব্ল্যাকমেল, ধর্ষণ এবং জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল তাদের।

    কী হয়েছিল, মামলা দায়ের

    ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে, বেওয়ার (Beawar Sexual Exploitation Case) পুলিশ অল্প শিক্ষিত মুসলিম যুবক রেহান মহম্মদ (২০), সোহেল মনসুরি (১৯), লুকমান (২০), আরমান পাঠান (১৯), সাহিল কুরেশি (১৯) এবং দুই নাবালককে গ্রেফতার করে, যারা হিন্দু মেয়েদের ফাঁদে ফেলে, ধর্ষণ করে এবং বলপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করছিল। এই ধর্ষক জিহাদিরা হিন্দু মেয়েদের নামাজ, রোজা এবং কলমা (ইসলামিক বিশ্বাসের ঘোষণা) পাঠ করাচ্ছিল। তাছাড়া, তারা মেয়েদের বোরখা পরতে, নামাজ পড়তে, রোজা (রোজা) পালন করতে এবং ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য ব্রেনওয়াশ করতে চাপ দেয়। অভিযুক্ত ধর্ষণ জিহাদিদের বিরুদ্ধে পকসো আইন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ধারার অধীনে মামলা করা হয়েছে।

    ব্রাহ্মণ হলে ২০ লক্ষ টাকা, দলিত ১০ লক্ষ

    এক নির্যাতিতার সাক্ষ্য অনুসারে, এই ধর্ষক জিহাদিরা বেওয়ারের বিজয়নগরের একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া হিন্দু মেয়েদের অনুসরণ করত। মোবাইল ফোনে মেয়েদের সংস্পর্শে আসার পর তারা মেয়েদের যৌন নির্যাতন করত, অপরাধের স্পষ্ট ছবি এবং ভিডিও তুলত এবং তারপর তাদের আরও নির্যাতনের জন্য এটি ব্যবহার করত। অভিযুক্তরা নির্যাতিতাদের ছোট ছোট মোবাইল ফোন দিত। অভিযুক্ত সোহেল মনসুরি এক নির্যাতিতাকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য একটি ছোট মোবাইল ফোন দিয়েছিল। সে তাকে ক্রমাগত হুমকি দিত। নির্যাতিতাকে জোর করা হত। যেন, সে তার বন্ধুদের সোহেলের বন্ধু, রিয়ান, জাভেদ এবং আরমানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। সোহেল হিন্দু মেয়েটিকে বোরখা পরতে বাধ্য করত এবং রমজান ও রোজা সম্পর্কে শিক্ষা দিত। জানা গিয়েছে, সে তাকে রোজা রাখার জন্য ব্রেনওয়াশ করত। সে ব্লেড দিয়ে তার হাতও কেটে দিয়েছিল। হিন্দু মেয়েটির উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত সোহেল। তাকে কলমা পড়তে চাপ দিত। ভুক্তভোগীরা বলেছিল যে পুরুষরা বুলেট মোটরসাইকেল এবং অন্যান্য গাড়ি সহ নতুন গাড়িতে আসত এবং তাদের নিয়ে যেত। ভুক্তভোগীদের একজন বলেছিল, “তারা একবার আমাকে বলেছিল যে একজন ব্রাহ্মণ মেয়ে বিক্রি করলে ২০ লক্ষ টাকা পাবে, আর তুমি (একজন দলিত) পাবে ১০ লক্ষ টাকা।” মেয়েরা তাদের জবানবন্দিতে বলেছিল যে তাদের ক্রমাগত অশ্লীল ছবি এবং ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছিল এবং অন্য মেয়েদের আনতে বাধ্য করা হয়েছিল।

    তদন্তে পুলিশ

    একজন মেয়ের কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যাওয়ার পরে মামলাটি উন্মোচিত হয়। পরিবার যখন একজন মুসলিম পুরুষকে ফোন করে, তখন সে গালিগালাজ এবং হুমকি দেয়। ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় ছুটে যায় এবং বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করে, যার পরে মামলাটি স্তরে স্তরে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানতে পারে যে কেবল একজন নয়, একাধিক মেয়েই এই ঘটনার শিকার হয়েছে। বেশ কয়েকজন মুসলিম ছেলে এই ঘটনায় জড়িত ছিল। তারা মেয়েদের কাছ থেকে টাকাও আদায় করত এবং তাদের বাড়ি থেকে নগদ টাকা চুরি করতে বাধ্য করত। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার গুন্ডাদের হাতে নির্যাতিত হচ্ছে স্কুলের মেয়েরা। প্রথমে স্কুলের মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা হত। অভিযুক্তেরা তার পর প্রলোভন দিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করত। গণধর্ষণ করা হত। ধর্ষণের সময়কার ছবিও তোলা হত। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছিল, ছবি দেখিয়ে ওই ছাত্রীদেরকে ব্ল্যাকমেল করা হত। ব্ল্যাকমেল করে নির্যাতিতা ছাত্রীকে বলা হত সে যেন তার বান্ধবীদেরও নিয়ে আসে। এ ভাবেই একাধিক ছাত্রীর উপর অত্যাচার করা হয়েছিল।

    মসজিদে যাওয়ার জন্য চাপ

    বেওয়ারের এক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন যে ‘মুসলিম গ্যাং’ তাকে স্থানীয় মসজিদে যাওয়ার জন্য চাপ দিত। এই মামলায় ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ বিজয়নগরের প্রাক্তন কাউন্সিলর হাকিম কুরেশিকে গ্রেফতার করে। এই গ্যাংয়ে বেশ কয়েকটি মুসলিম গোষ্ঠীর জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। তাকে একই দিনে কোটদার পকসো আদালতের বিচারকের বাসভবনে হাজির করা হয় এবং ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠানো হয়। পরে, তাকে ১১ মার্চ পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। কুরেশি অন্যান্য অভিযুক্ত এবং ধর্ষণ জিহাদিদের সহায়তা করার অভিযোগে অভিযুক্ত।

    কতজন গ্রেফতার

    এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজন প্রাক্তন কাউন্সিলর সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনজন নাবালিকাকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করার সময়, বেওয়ারে উত্তেজনা বিরাজ করছে কারণ স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। ২৪ ফেব্রুয়ারি আজমের, বেওয়ার এবং ভিলওয়ারা জেলায় এই অপরাধের প্রতিবাদে মানুষ বন্ধের ডাক দেয়। মানুষ এই অপরাধে জড়িত সকল দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে আন্দোলন করছে। শনিবার (১ মার্চ) বেওয়ার ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেল মামলার প্রতিবাদে আজমিরে সম্পূর্ণ বন্ধ পালিত হয়। স্থানীয়দের সঙ্গে যোগ দিয়ে হিন্দু সংগঠনগুলিও। জেলা কালেক্টরের অফিসে “আক্রোশ” সমাবেশ করে তারা। এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়। প্রতিবাদী হিন্দু অধিকার কর্মীরা কালেক্টরের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন। হিন্দু অধিকার সংগঠনগুলি ছাড়াও, প্রায় ১২৪টি বাজার সমিতিও আজমের জুড়ে “বন‍্‍ধ”-কে সমর্থন জানিয়েছে এবং ব্যবসায়ীদের তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    দ্রুত বিচারের দাবি

    গ্রুমিং গ্যাং মামলা প্রসঙ্গে আজমিরের ডেপুটি মেয়র নীরজ জৈন বলেন, “আমরা চাই মামলাটি সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হোক। এটি কেবল ব্ল্যাকমেল বা ধর্ষণের ঘটনা নয় – হিন্দু নাবালিকা মেয়েদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এটি লাভ জিহাদের একটি স্পষ্ট ঘটনা। ন্যায়বিচার বিলম্বিত করা উচিত নয়, যেমনটি আজমের ব্ল্যাকমেল মামলায় দেখা গিয়েছে, যেখানে ৩৩ বছর পর দোষীদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সময়মতো ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য এই মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি করা উচিত।”

  • Dedicated Railway Test Track: বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা! রাজস্থানে তৈরি হচ্ছে ভারতের প্রথম “ডেডিকেটেড রেলওয়ে টেস্ট ট্র্যাক’

    Dedicated Railway Test Track: বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা! রাজস্থানে তৈরি হচ্ছে ভারতের প্রথম “ডেডিকেটেড রেলওয়ে টেস্ট ট্র্যাক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রথম ডেডিকেটেড রেলওয়ে টেস্ট ট্র্যাক (Dedicated Railway Test Track) তৈরি হচ্ছে রাজস্থানে। ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টেস্ট ট্র্যাকটি আকারে সম্পূর্ণ সোজা নয়, থাকছে অনেকগুলি বাঁক। আগামী নতুন বছর শেষ হওয়ার আগেই সম্পন্ন হবে এই ট্র্যাকের কাজ। রেলের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে এই ট্র্যাকের ওপর। ফলে ভবিষ্যৎ সুরক্ষা এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    টেস্ট ট্র্যাকে একাধিক বাঁক (Dedicated Railway Test Track)

    মূলত রোলিং স্টক পরীক্ষার জন্যই এই জাতীয় টেস্ট ট্র্যাক তৈরি করা হয়। ট্র্যাকের কয়েকটি জায়গায় রয়েছে বাঁক। এসব বাঁক রাখার অর্থ, গতি না কমিয়ে বাঁকা ট্র্যাকের ওপর দিয়ে ট্রেন কীভাবে যায়, তা পরীক্ষা করা। এই ট্র্যাকের কাজ শেষ হলে তার ওপর ঘণ্টা প্রতি ২৩০ কিলোমিটার বেগে চলে এমন ট্রেনের গতি পরীক্ষা করা হবে। রেল সূত্রে খবর, ৬০ কিমি দীর্ঘ এই ট্র্যাক কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা ডেডিকেটেড টেস্ট ট্র্যাক হতে চলেছে। ট্র্যাকটি তৈরির প্রকল্প ব্যয় ৮২০ কোটি টাকা। ট্র্যাকটি তৈরি হবে দুটি পর্যায়ে। থাকবে অত্যাধুনিক সিগন্যাল-সহ সব বিষয়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার।

    কী কী রয়েছে ট্র্যাকে

    ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ট্র্যাকে রয়েছে সাতটি বড় সেতু, ১২৯টি ছোট সেতু এবং চারটি স্টেশন। এই স্টেশনগুলি হল, গুঢ়া, জবদিনগর, নাওয়ান এবং মিঠাদি। প্রকল্পের আওতায় ২৭ কিমি রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পুরো কাজ ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। উচ্চগতির রোলিং স্টক এবং অন্যান্য সামগ্রীর ব্যাপক পরীক্ষার সুবিধাগুলোও এই প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা হচ্ছে। এর মধ্যে গতি পরীক্ষা, স্থিতিশীলতা, সুরক্ষা, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ক্ষমতা, রোলিং স্টকের গুণমান ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই নির্দিষ্ট পরীক্ষা ট্র্যাকের উপাদান, সেতু, টিআরডি সরঞ্জাম, সিগন্যালিং যন্ত্রপাতি এবং ভূ-প্রযুক্তিগত স্টাডিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ট্র্যাকের (Dedicated Railway Test Track) ওপর বিভিন্ন কাঠামো যেমন সেতু, আন্ডার ব্রিজ এবং ওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “প্রকাশিত ‘সঙ্কল্পপত্র’ মহারাষ্ট্রের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন”, বললেন শাহ

    নাওয়া স্টেশনে একটি দ্রুত পরীক্ষা লুপ ৩ কিলোমিটার এবং মিঠাদিতে একটি ২০ কিলোমিটারের বাঁকানো পরীক্ষা লুপ তৈরি করা হয়েছে। এই লুপগুলো বিভিন্ন ডিগ্রির বাঁকে তৈরি করা হয়েছে। খারাপ ট্র্যাকে ট্রেন কাঁপতে ও ঝাঁকুনি দিতে শুরু করে। যদি ট্র্যাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে সেই অবস্থায় ট্রেনের গতি কী হওয়া উচিত এবং তার প্রভাব কী হবে তা পরীক্ষা করা হবে (Dedicated Railway Test Track)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Tigers Missing: রণথম্বোরের জঙ্গল থেকে উধাও ২৫টি বাঘ, খোঁজ পেতে কমিটি গড়ল রাজস্থান

    Tigers Missing: রণথম্বোরের জঙ্গল থেকে উধাও ২৫টি বাঘ, খোঁজ পেতে কমিটি গড়ল রাজস্থান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুটো-পাঁচটা নয়, জঙ্গল থেকে নিখোঁজ ২৫টি বাঘ (Tigers Missing)। নিখোঁজ ‘মামা’দের খোঁজ পেতে তিন সদস্যের কমিটি গড়লেন রাজস্থানের মুখ্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষক। বাঘ খোয়া গিয়েছে রণথম্ভোর টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে।

    মুখ্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষকের অভিযোগ (Tigers Missing)

    ৪ নভেম্বর তারিখের একটি আদেশে মুখ্য বন সংরক্ষক (বন্যপ্রাণী) এবং মুখ্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষক পবন কুমার উপাধ্যায় জানিয়েছেন, রণথম্ভোর টাইগার রিজার্ভে বাঘের নিখোঁজ হওয়া সম্পর্কে তথ্য দীর্ঘদিন ধরেই টাইগার মনিটরিং রিপোর্টে আসছে। তিনি বলেন, “এই বিষয়ে রণথম্ভোর টাইগার রিজার্ভের ফিল্ড ডিরেক্টরকে একাধিকবার চিঠিও পাঠানো হয়েছে। তার পরেও পরিস্থিতির কোনও সন্তোষজনক পরিবর্তন হয়নি।” উপাধ্যায়ের মতে, রণথম্ভোরে আনুমানিক ৭৫টি বাঘ রয়েছে। এর মধ্যে টি-৫৮ এবং টি-৮৬ বাঘ দু’টি সম্প্রতি মারা গিয়েছে। তাই এগুলি গণনার মধ্যে ধরা হচ্ছে না।

    বাঘের খোঁজে কমিটি

    তাঁর আদেশে ১৪ অক্টোবরের একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ১১টি বাঘকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পাওয়া যায়নি (Tigers Missing)। আরও ১৪টি বাঘের অস্তিত্বও টের পাওয়া যায়নি। উপাধ্যায়ের মতে, এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। এই কমিটি নিখোঁজ বাঘগুলির বিষয়ে তদন্ত করবে এবং তাঁর কাছে রিপোর্ট দাখিল করবে। তিন সদস্যের এই কমিটিতে রয়েছেন এপিসিসিএফ (বন্যপ্রাণী) রাজেশ কুমার গুপ্ত এবং বন বিভাগের দুই কর্মকর্তা টি মোহন রাজ এবং মনস সিং। দু’মাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে তাঁদের।

    আরও পড়ুন: ‘মাধ্যম’ অফিসে পুলিশি হানা, কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত-ভারতী

    উপাধ্যায় বলেন, “যখন আমি প্রধান বন্যপ্রাণী রক্ষক হলাম, তখন আমি বাঘ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনগুলো স্টাডি করতে শুরু করি। আমি এই বিষয়ে প্রথম চিঠি লিখেছিলাম ২০২৪ সালের এপ্রিলে… কিন্তু উত্তরটি সন্তোষজনক ছিল না।” তিনি বলেন, “গত এক বছরের মধ্যে ১৪টি নিখোঁজ বাঘের মধ্যে একটি বাঘের সবচেয়ে পুরনো ছবি ২০২৪ সালের ১৭ মে এবং সর্বশেষ ছবি ৩০ সেপ্টেম্বরের।” তিনি বলেন, “এই বাঘগুলির খোঁজ মেলেনি মানে এই নয় যে, সেগুলিকে হত্যা করা হয়েছে অথবা চোরাশিকারিদের খপ্পরে পড়েছে। এমন হতেই পারে সেগুলি ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েনি (Tigers Missing)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share