Tag: Rajasthan

Rajasthan

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, পাঞ্জাব-গুজরাট-রাজস্থানে জারি হাই অ্যালার্ট

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, পাঞ্জাব-গুজরাট-রাজস্থানে জারি হাই অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র (Operation Sindoor) পর কমপক্ষে তিনটি সীমান্তবর্তী রাজ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে (Air Defence)। এই রাজ্যগুলি হল পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাট। এই রাজ্যগুলিতে সব সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে স্পর্শকাতর বিভিন্ন এলাকায়।

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। এই যে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে ভারত হামলা চালিয়েছে, সেগুলির মধ্যে কয়েকটি সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাডও রয়েছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে জৈশ-ই-মহম্মদ ও মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে  টার্গেট করে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত।

    পাঞ্জাবে সতর্কতা জারি (Operation Sindoor)

    ৫৩২ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্তবিশিষ্ট পাঞ্জাব প্রথম থেকেই কড়া সতর্কতার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার মন্ত্রী অমান আরোরা ঘোষণা করেন, সমস্ত সীমান্তবর্তী জেলাকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে এবং সাবধানতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকারি অনুষ্ঠান-সহ সব ধরনের জনসমাবেশ বাতিল করা হচ্ছে। বিবৃতি জারি করে তিনি বলেন, “পাঞ্জাবের মানুষ সেনার পিছনে একজোট হয়ে রয়েছে। জাতির অখণ্ডতা যখনই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে, পাঞ্জাবিরা জীবন দিতেও পিছপা হয় না।”

    পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এসবিএস নগর ও জলন্ধরে তাঁর নির্ধারিত মাদকবিরোধী কর্মসূচি বাতিল করেছেন। এদিকে, পাঞ্জাব পুলিশকে দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা সারি হিসেবে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। কোনও আকস্মিক ঘটনার মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাঞ্জাব সমন্বয় রেখে চলছে বলেও জানান প্রশাসনের কর্তারা। আরোরা বাসিন্দাদের প্রতি সরকারি নির্দেশ সাবধানে মেনে চলতে এবং বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়ানো এড়াতে অনুরোধ করেছেন (Air Defence)।

    ধ্বংসাবশেষ মিলেছে পাঞ্জাবের গ্রামে

    এদিকে, পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। এর পরপরই ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা সন্দেহভাজন পাকিস্তানি প্রজেক্টাইলগুলিকে সফলভাবে প্রতিহত করেছে। পাক ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষগুলি পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী গ্রামে এসে পড়েছে। প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব রাজ্যটি পাক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার একেবারে গোড়ায় অবস্থিত। ফলে, এখানে হামলার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

    ছুটি বাতিল

    এদিকে, রাজ্য পুলিশ সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে পাঞ্জাব। রাজ্য সরকার ছ’টি সীমান্তবর্তী জেলায় স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী ৬টি জেলা – ফিরোজপুর, পাঠানকোট, ফাজিলকা, অমৃতসর, গুরুদাসপুর এবং তারন তারানের সমস্ত স্কুল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে (Operation Sindoor)। রাজস্থানে, পাকিস্তানের সঙ্গে ১,০৩৭ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে রাজ্য প্রশাসন জরুরি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ১০ মে পর্যন্ত কিশানগড় ও যোধপুর বিমানবন্দর বন্ধ রাখার পাশাপাশি বিএসএফের শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সক্রিয় করা হয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট (Air Defence)।

    ৪ ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাকআউট

    বারমের, জয়সলমির, যোধপুর, বিকানের ও শ্রী গঙ্গানগর জেলার সব স্কুল, অঙ্গনওয়াডি ও কোচিং সেন্টার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জয়সলমিরে মধ্যরাত থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাকআউট করা হয়। এদিনের সমস্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে এবং সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে সদর দফতরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। রাজ্যের হাসপাতালগুলিকে রক্ত ও জরুরি ওষুধ মজুত রাখতে বলা হয়েছে। জ্বালানি স্টেশনগুলিকে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামগুলি খালি করার পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা কালেক্টরদের সীমান্তবর্তী সংবেদনশীল স্থান চিহ্নিত করে সুরক্ষিত করতে এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখতে বলা হয়েছে (Operation Sindoor)।

    গুজরাটেও জারি হাই অ্যালার্ট

    গুজরাটের কচ্ছ জেলা-সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ভুজ ও রাজকোট বিমানবন্দর থেকে সব অসামরিক বিমান পরিষেবা তিনদিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এবং এখন কেবলমাত্র সামরিক বিমান ব্যবহার করছে এই এয়ারবেসগুলি। জামনগর, হালার সৈকত এবং অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় মেরিন পুলিশ, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ, টাস্কফোর্স কমান্ডোদের মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি স্পর্শকাতর এলাকায় চলছে নিরাপত্তা তল্লাশি (Operation Sindoor)। আহমেদাবাদ রেল স্টেশনেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রেলওয়ে প্রোটকশন ফোর্স, সরকারি রেল পুলিশ এবং কুইক রিঅ্যাকশন টিম যৌথ টহল দিচ্ছে। লাগেজ স্ক্রিনিং, অ্যান্টি-সাবোটাজ ড্রিল এবং ফ্ল্যাগ মার্চ চালানো হয়েছে (Air Defence)।

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরকে ভারতের একটি কৌশলগত সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এর জেরে দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চরম সতর্কতা বজায় রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার (Operation Sindoor)।

  • Pakistan Ranger: সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ, রাজস্থানে আটক পাকিস্তানি সেনা

    Pakistan Ranger: সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ, রাজস্থানে আটক পাকিস্তানি সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানে ভারতীয় জওয়ানদের হাতে আটক একজন পাকিস্তানি রেঞ্জার (Pakistan Ranger)। আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করার জন্যই ওই পাক রেঞ্জারকে আটক করেছে বিএসএফ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে পাক বাহনীর হাতে আটক রয়েছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফের ২৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল পূর্ণম। গত ২৩ এপ্রিল অসাবধানতাবশত আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরতেই তাঁকে আটক করে পাক রেঞ্জাররা। এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলেও পূর্ণমকে এখনও ছাড়েনি পাক বাহিনী। এবার পূর্ণমের পাল্টা হিসেবেই বিএসএফ আটক করল এক পাক রেঞ্জারকে (Pakistan Ranger)।

    ফোর্ট আব্বাস এলাকা থেকে গ্রেফতার (Pakistan Ranger)

    জানা গিয়েছে, রাজস্থানের সীমান্তবর্তী এলাকা ফোর্ট আব্বাস থেকে ওই পাকিস্তান রেঞ্জার্সের জওয়ানকে ধরা হয়েছে। বিএসফের অভিযোগ, এ দিন ইচ্ছা করেই ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন ওই পাক রেঞ্জার্স জওয়ান। ওই পাক জওয়ানের কোনও কুমতলব ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

    সীমান্তে উত্তেজনা

    সেনা বা সাধারণ নাগরিকরা অনেক সময়ই অসাবধানতায় সীমান্ত অতিক্রম করে ফেলেন। এই ঘটনাগুলি সাধারণত আলোচনা করেই মেটানো হয়। জড়িত ব্যক্তিদের সাধারণত আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পরে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু পহেলগাঁও হামলার পরে উত্তেজনা চলছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সীমান্তে (Pakistan Ranger)।

    গত সোমবারই পাঠানকোটে যান পূর্ণমের স্ত্রী

    প্রসঙ্গত, কনস্টেবল পূর্ণমের স্ত্রী রজনী গত সোমবারই পশ্চিমবঙ্গের রিষরার তাঁর বাড়ি থেকে পাঠানকোটে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পূর্ণমের বিষয়ে খোঁজখবর করতেই গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। জানা গিয়েছে, বিএসএফ অফিসাররা তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে, পূর্ণমের নিরাপদ মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য ভারতীয় সেনা যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। সেনার তরফ থেকে এমন আশ্বাসের পরই, পূর্ণমের স্ত্রী অমৃতসর থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন বলে জানা গিয়েছে। বিএসএফ-ই (BSF) তাঁর ফিরোজপুর থেকে অমৃতসর যাওয়ার ব্যবস্থা করে।

  • Rajasthan: মুঘলদের পরাস্ত করার আনন্দ! রঙের নয়, রাজস্থানের এই গ্রামে হয় ‘বারুদের হোলি’

    Rajasthan: মুঘলদের পরাস্ত করার আনন্দ! রঙের নয়, রাজস্থানের এই গ্রামে হয় ‘বারুদের হোলি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রঙের বদলে বারুদ দিয়ে হোলি খেলার রীতি রয়েছে রাজস্থানের (Rajasthan) এই গ্রামে। ৫০০ বছর ধরে এমন ঐতিহ্য চলে আসছে রাজস্থানের উদয়পুর জেলার মেনার গ্রামে। রঙ দিয়ে নয় বরং আতশবাজি, কামানের গোলা এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে উদযাপন করা হয় হোলি। এই হোলি বারুদ হোলি (Gunpowder Holi) নামে পরিচিত। স্থানীয়দের বিশ্বাস, মুঘলদের পরাজিত করার পর গ্রামের মানুষজন এভাবেই তাঁদের জয়ের আনন্দে মেতেছিলেন।

    কী বলছেন গবেষক?

    এনিয়ে গবেষক চন্দ্রশেখর শর্মা বলেন, ‘‘মহারাণা প্রতাপ মুঘল বাহিনীর বিরুদ্ধে হলদিঘাটির যুদ্ধ শুরু করেন। সেইসময় তিনি মেওয়ারের প্রতিটি মানুষকে আত্মসম্মান ও সাহসিকতা শিক্ষা দিয়েছিলেন। এর পরে, মহারাণা প্রতাপের পুত্র অমর সিংহের নেতৃত্বে চলে মুঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই। সেসময় মেনারের কাছে একটি মুঘল শিবির (Rajasthan) ছিল। গ্রামবাসীরা সেখানে আক্রমণ করে এবং মুঘল সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে। তারপর থেকেই এভাবেই পালিত হয়ে আসছে হোলি। রঙ নয় বারুদের হোলি।’’

    বীরত্বের গানের মধ্য দিয়েই পালিত হয় এই উৎসব (Rajasthan)

    হোলির (Rajasthan) এক সপ্তাহ আগে থেকেই এই গ্রামে শুরু হয়ে যায় উৎসব। হোলির আর কয়েকদিন বাকি। এখন থেকেই সারারাত গ্রামে কামান, আতশবাজি এবং আগ্নেয়াস্ত্রের শব্দ শোনা যাচ্ছে।এনিয়ে গবেষক চন্দ্রশেখর শর্মা বলেন, ‘‘মেনার গ্রামের মানুষ এই উৎসবের জন্য সারাবছর অপেক্ষা করে থাকে। আশেপাশের প্রচুর মানুষজন এখানে হোলির উদযাপন দেখতে আসেন।’’ সংবাদমাধ্যমকে তিনি আরও জানান, বীরত্বের গানের মধ্য দিয়েই পালিত হয় এই উৎসব।

    উদয়পুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হল এই গ্রাম

    উদয়পুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হল এই মেনার গ্রাম। হোলির সাতদিন আগে থেকেই রাত ৯টার পর, সমস্ত গ্রামবাসী প্রাচীন ভারতীয় সৈন্যদের পোশাক এবং ঐতিহ্যবাহী রাজস্থানী পোশাক পরেন। এরপরেই শুরু হয় শোভা যাত্রা (Rajasthan)। প্রথা অনুযায়ী থাকে সঙ্গে থাকে বন্দুক এবং তরোয়ারি।

  • Beawar Sexual Exploitation Case: আজমেরের পুনরাবৃত্তি! হিন্দু কিশোরীদের ধর্ষণ, ধর্মান্তরণের চাপ জিহাদি গ্যাংয়ের

    Beawar Sexual Exploitation Case: আজমেরের পুনরাবৃত্তি! হিন্দু কিশোরীদের ধর্ষণ, ধর্মান্তরণের চাপ জিহাদি গ্যাংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেল করে দিনের পর দিন গণধর্ষণ। মুখ বন্ধ করতে অশালীন ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল। ৩০ বছর আগের এই ঘটনায় নড়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। ১০০ জনেরও বেশি কিশোরীকে এ ভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল। ঘটনাস্থল রাজস্থানের আজমের। এবার তারই প্রতিফলন ঘটল বেওয়ারে (Beawar Sexual Exploitation Case)। মুসলিম গ্রুমিং গ্যাং কর্তৃক যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে নাবালিকা হিন্দু মেয়েরা। পরিকল্পিতভাবে সাজগোজ, ব্ল্যাকমেল, ধর্ষণ এবং জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল তাদের।

    কী হয়েছিল, মামলা দায়ের

    ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে, বেওয়ার (Beawar Sexual Exploitation Case) পুলিশ অল্প শিক্ষিত মুসলিম যুবক রেহান মহম্মদ (২০), সোহেল মনসুরি (১৯), লুকমান (২০), আরমান পাঠান (১৯), সাহিল কুরেশি (১৯) এবং দুই নাবালককে গ্রেফতার করে, যারা হিন্দু মেয়েদের ফাঁদে ফেলে, ধর্ষণ করে এবং বলপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করছিল। এই ধর্ষক জিহাদিরা হিন্দু মেয়েদের নামাজ, রোজা এবং কলমা (ইসলামিক বিশ্বাসের ঘোষণা) পাঠ করাচ্ছিল। তাছাড়া, তারা মেয়েদের বোরখা পরতে, নামাজ পড়তে, রোজা (রোজা) পালন করতে এবং ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য ব্রেনওয়াশ করতে চাপ দেয়। অভিযুক্ত ধর্ষণ জিহাদিদের বিরুদ্ধে পকসো আইন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ধারার অধীনে মামলা করা হয়েছে।

    ব্রাহ্মণ হলে ২০ লক্ষ টাকা, দলিত ১০ লক্ষ

    এক নির্যাতিতার সাক্ষ্য অনুসারে, এই ধর্ষক জিহাদিরা বেওয়ারের বিজয়নগরের একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া হিন্দু মেয়েদের অনুসরণ করত। মোবাইল ফোনে মেয়েদের সংস্পর্শে আসার পর তারা মেয়েদের যৌন নির্যাতন করত, অপরাধের স্পষ্ট ছবি এবং ভিডিও তুলত এবং তারপর তাদের আরও নির্যাতনের জন্য এটি ব্যবহার করত। অভিযুক্তরা নির্যাতিতাদের ছোট ছোট মোবাইল ফোন দিত। অভিযুক্ত সোহেল মনসুরি এক নির্যাতিতাকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য একটি ছোট মোবাইল ফোন দিয়েছিল। সে তাকে ক্রমাগত হুমকি দিত। নির্যাতিতাকে জোর করা হত। যেন, সে তার বন্ধুদের সোহেলের বন্ধু, রিয়ান, জাভেদ এবং আরমানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। সোহেল হিন্দু মেয়েটিকে বোরখা পরতে বাধ্য করত এবং রমজান ও রোজা সম্পর্কে শিক্ষা দিত। জানা গিয়েছে, সে তাকে রোজা রাখার জন্য ব্রেনওয়াশ করত। সে ব্লেড দিয়ে তার হাতও কেটে দিয়েছিল। হিন্দু মেয়েটির উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত সোহেল। তাকে কলমা পড়তে চাপ দিত। ভুক্তভোগীরা বলেছিল যে পুরুষরা বুলেট মোটরসাইকেল এবং অন্যান্য গাড়ি সহ নতুন গাড়িতে আসত এবং তাদের নিয়ে যেত। ভুক্তভোগীদের একজন বলেছিল, “তারা একবার আমাকে বলেছিল যে একজন ব্রাহ্মণ মেয়ে বিক্রি করলে ২০ লক্ষ টাকা পাবে, আর তুমি (একজন দলিত) পাবে ১০ লক্ষ টাকা।” মেয়েরা তাদের জবানবন্দিতে বলেছিল যে তাদের ক্রমাগত অশ্লীল ছবি এবং ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছিল এবং অন্য মেয়েদের আনতে বাধ্য করা হয়েছিল।

    তদন্তে পুলিশ

    একজন মেয়ের কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যাওয়ার পরে মামলাটি উন্মোচিত হয়। পরিবার যখন একজন মুসলিম পুরুষকে ফোন করে, তখন সে গালিগালাজ এবং হুমকি দেয়। ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় ছুটে যায় এবং বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করে, যার পরে মামলাটি স্তরে স্তরে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানতে পারে যে কেবল একজন নয়, একাধিক মেয়েই এই ঘটনার শিকার হয়েছে। বেশ কয়েকজন মুসলিম ছেলে এই ঘটনায় জড়িত ছিল। তারা মেয়েদের কাছ থেকে টাকাও আদায় করত এবং তাদের বাড়ি থেকে নগদ টাকা চুরি করতে বাধ্য করত। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার গুন্ডাদের হাতে নির্যাতিত হচ্ছে স্কুলের মেয়েরা। প্রথমে স্কুলের মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা হত। অভিযুক্তেরা তার পর প্রলোভন দিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করত। গণধর্ষণ করা হত। ধর্ষণের সময়কার ছবিও তোলা হত। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছিল, ছবি দেখিয়ে ওই ছাত্রীদেরকে ব্ল্যাকমেল করা হত। ব্ল্যাকমেল করে নির্যাতিতা ছাত্রীকে বলা হত সে যেন তার বান্ধবীদেরও নিয়ে আসে। এ ভাবেই একাধিক ছাত্রীর উপর অত্যাচার করা হয়েছিল।

    মসজিদে যাওয়ার জন্য চাপ

    বেওয়ারের এক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন যে ‘মুসলিম গ্যাং’ তাকে স্থানীয় মসজিদে যাওয়ার জন্য চাপ দিত। এই মামলায় ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ বিজয়নগরের প্রাক্তন কাউন্সিলর হাকিম কুরেশিকে গ্রেফতার করে। এই গ্যাংয়ে বেশ কয়েকটি মুসলিম গোষ্ঠীর জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। তাকে একই দিনে কোটদার পকসো আদালতের বিচারকের বাসভবনে হাজির করা হয় এবং ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠানো হয়। পরে, তাকে ১১ মার্চ পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। কুরেশি অন্যান্য অভিযুক্ত এবং ধর্ষণ জিহাদিদের সহায়তা করার অভিযোগে অভিযুক্ত।

    কতজন গ্রেফতার

    এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজন প্রাক্তন কাউন্সিলর সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনজন নাবালিকাকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করার সময়, বেওয়ারে উত্তেজনা বিরাজ করছে কারণ স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। ২৪ ফেব্রুয়ারি আজমের, বেওয়ার এবং ভিলওয়ারা জেলায় এই অপরাধের প্রতিবাদে মানুষ বন্ধের ডাক দেয়। মানুষ এই অপরাধে জড়িত সকল দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে আন্দোলন করছে। শনিবার (১ মার্চ) বেওয়ার ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেল মামলার প্রতিবাদে আজমিরে সম্পূর্ণ বন্ধ পালিত হয়। স্থানীয়দের সঙ্গে যোগ দিয়ে হিন্দু সংগঠনগুলিও। জেলা কালেক্টরের অফিসে “আক্রোশ” সমাবেশ করে তারা। এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়। প্রতিবাদী হিন্দু অধিকার কর্মীরা কালেক্টরের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন। হিন্দু অধিকার সংগঠনগুলি ছাড়াও, প্রায় ১২৪টি বাজার সমিতিও আজমের জুড়ে “বন‍্‍ধ”-কে সমর্থন জানিয়েছে এবং ব্যবসায়ীদের তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    দ্রুত বিচারের দাবি

    গ্রুমিং গ্যাং মামলা প্রসঙ্গে আজমিরের ডেপুটি মেয়র নীরজ জৈন বলেন, “আমরা চাই মামলাটি সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হোক। এটি কেবল ব্ল্যাকমেল বা ধর্ষণের ঘটনা নয় – হিন্দু নাবালিকা মেয়েদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এটি লাভ জিহাদের একটি স্পষ্ট ঘটনা। ন্যায়বিচার বিলম্বিত করা উচিত নয়, যেমনটি আজমের ব্ল্যাকমেল মামলায় দেখা গিয়েছে, যেখানে ৩৩ বছর পর দোষীদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সময়মতো ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য এই মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি করা উচিত।”

  • Dedicated Railway Test Track: বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা! রাজস্থানে তৈরি হচ্ছে ভারতের প্রথম “ডেডিকেটেড রেলওয়ে টেস্ট ট্র্যাক’

    Dedicated Railway Test Track: বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা! রাজস্থানে তৈরি হচ্ছে ভারতের প্রথম “ডেডিকেটেড রেলওয়ে টেস্ট ট্র্যাক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রথম ডেডিকেটেড রেলওয়ে টেস্ট ট্র্যাক (Dedicated Railway Test Track) তৈরি হচ্ছে রাজস্থানে। ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টেস্ট ট্র্যাকটি আকারে সম্পূর্ণ সোজা নয়, থাকছে অনেকগুলি বাঁক। আগামী নতুন বছর শেষ হওয়ার আগেই সম্পন্ন হবে এই ট্র্যাকের কাজ। রেলের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে এই ট্র্যাকের ওপর। ফলে ভবিষ্যৎ সুরক্ষা এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    টেস্ট ট্র্যাকে একাধিক বাঁক (Dedicated Railway Test Track)

    মূলত রোলিং স্টক পরীক্ষার জন্যই এই জাতীয় টেস্ট ট্র্যাক তৈরি করা হয়। ট্র্যাকের কয়েকটি জায়গায় রয়েছে বাঁক। এসব বাঁক রাখার অর্থ, গতি না কমিয়ে বাঁকা ট্র্যাকের ওপর দিয়ে ট্রেন কীভাবে যায়, তা পরীক্ষা করা। এই ট্র্যাকের কাজ শেষ হলে তার ওপর ঘণ্টা প্রতি ২৩০ কিলোমিটার বেগে চলে এমন ট্রেনের গতি পরীক্ষা করা হবে। রেল সূত্রে খবর, ৬০ কিমি দীর্ঘ এই ট্র্যাক কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা ডেডিকেটেড টেস্ট ট্র্যাক হতে চলেছে। ট্র্যাকটি তৈরির প্রকল্প ব্যয় ৮২০ কোটি টাকা। ট্র্যাকটি তৈরি হবে দুটি পর্যায়ে। থাকবে অত্যাধুনিক সিগন্যাল-সহ সব বিষয়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার।

    কী কী রয়েছে ট্র্যাকে

    ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ট্র্যাকে রয়েছে সাতটি বড় সেতু, ১২৯টি ছোট সেতু এবং চারটি স্টেশন। এই স্টেশনগুলি হল, গুঢ়া, জবদিনগর, নাওয়ান এবং মিঠাদি। প্রকল্পের আওতায় ২৭ কিমি রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পুরো কাজ ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। উচ্চগতির রোলিং স্টক এবং অন্যান্য সামগ্রীর ব্যাপক পরীক্ষার সুবিধাগুলোও এই প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা হচ্ছে। এর মধ্যে গতি পরীক্ষা, স্থিতিশীলতা, সুরক্ষা, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ক্ষমতা, রোলিং স্টকের গুণমান ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই নির্দিষ্ট পরীক্ষা ট্র্যাকের উপাদান, সেতু, টিআরডি সরঞ্জাম, সিগন্যালিং যন্ত্রপাতি এবং ভূ-প্রযুক্তিগত স্টাডিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ট্র্যাকের (Dedicated Railway Test Track) ওপর বিভিন্ন কাঠামো যেমন সেতু, আন্ডার ব্রিজ এবং ওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “প্রকাশিত ‘সঙ্কল্পপত্র’ মহারাষ্ট্রের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন”, বললেন শাহ

    নাওয়া স্টেশনে একটি দ্রুত পরীক্ষা লুপ ৩ কিলোমিটার এবং মিঠাদিতে একটি ২০ কিলোমিটারের বাঁকানো পরীক্ষা লুপ তৈরি করা হয়েছে। এই লুপগুলো বিভিন্ন ডিগ্রির বাঁকে তৈরি করা হয়েছে। খারাপ ট্র্যাকে ট্রেন কাঁপতে ও ঝাঁকুনি দিতে শুরু করে। যদি ট্র্যাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে সেই অবস্থায় ট্রেনের গতি কী হওয়া উচিত এবং তার প্রভাব কী হবে তা পরীক্ষা করা হবে (Dedicated Railway Test Track)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Tigers Missing: রণথম্বোরের জঙ্গল থেকে উধাও ২৫টি বাঘ, খোঁজ পেতে কমিটি গড়ল রাজস্থান

    Tigers Missing: রণথম্বোরের জঙ্গল থেকে উধাও ২৫টি বাঘ, খোঁজ পেতে কমিটি গড়ল রাজস্থান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুটো-পাঁচটা নয়, জঙ্গল থেকে নিখোঁজ ২৫টি বাঘ (Tigers Missing)। নিখোঁজ ‘মামা’দের খোঁজ পেতে তিন সদস্যের কমিটি গড়লেন রাজস্থানের মুখ্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষক। বাঘ খোয়া গিয়েছে রণথম্ভোর টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে।

    মুখ্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষকের অভিযোগ (Tigers Missing)

    ৪ নভেম্বর তারিখের একটি আদেশে মুখ্য বন সংরক্ষক (বন্যপ্রাণী) এবং মুখ্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষক পবন কুমার উপাধ্যায় জানিয়েছেন, রণথম্ভোর টাইগার রিজার্ভে বাঘের নিখোঁজ হওয়া সম্পর্কে তথ্য দীর্ঘদিন ধরেই টাইগার মনিটরিং রিপোর্টে আসছে। তিনি বলেন, “এই বিষয়ে রণথম্ভোর টাইগার রিজার্ভের ফিল্ড ডিরেক্টরকে একাধিকবার চিঠিও পাঠানো হয়েছে। তার পরেও পরিস্থিতির কোনও সন্তোষজনক পরিবর্তন হয়নি।” উপাধ্যায়ের মতে, রণথম্ভোরে আনুমানিক ৭৫টি বাঘ রয়েছে। এর মধ্যে টি-৫৮ এবং টি-৮৬ বাঘ দু’টি সম্প্রতি মারা গিয়েছে। তাই এগুলি গণনার মধ্যে ধরা হচ্ছে না।

    বাঘের খোঁজে কমিটি

    তাঁর আদেশে ১৪ অক্টোবরের একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ১১টি বাঘকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পাওয়া যায়নি (Tigers Missing)। আরও ১৪টি বাঘের অস্তিত্বও টের পাওয়া যায়নি। উপাধ্যায়ের মতে, এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। এই কমিটি নিখোঁজ বাঘগুলির বিষয়ে তদন্ত করবে এবং তাঁর কাছে রিপোর্ট দাখিল করবে। তিন সদস্যের এই কমিটিতে রয়েছেন এপিসিসিএফ (বন্যপ্রাণী) রাজেশ কুমার গুপ্ত এবং বন বিভাগের দুই কর্মকর্তা টি মোহন রাজ এবং মনস সিং। দু’মাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে তাঁদের।

    আরও পড়ুন: ‘মাধ্যম’ অফিসে পুলিশি হানা, কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত-ভারতী

    উপাধ্যায় বলেন, “যখন আমি প্রধান বন্যপ্রাণী রক্ষক হলাম, তখন আমি বাঘ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনগুলো স্টাডি করতে শুরু করি। আমি এই বিষয়ে প্রথম চিঠি লিখেছিলাম ২০২৪ সালের এপ্রিলে… কিন্তু উত্তরটি সন্তোষজনক ছিল না।” তিনি বলেন, “গত এক বছরের মধ্যে ১৪টি নিখোঁজ বাঘের মধ্যে একটি বাঘের সবচেয়ে পুরনো ছবি ২০২৪ সালের ১৭ মে এবং সর্বশেষ ছবি ৩০ সেপ্টেম্বরের।” তিনি বলেন, “এই বাঘগুলির খোঁজ মেলেনি মানে এই নয় যে, সেগুলিকে হত্যা করা হয়েছে অথবা চোরাশিকারিদের খপ্পরে পড়েছে। এমন হতেই পারে সেগুলি ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েনি (Tigers Missing)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: “ভাষা, বর্ণ, প্রদেশের মতভেদকে দূর করে হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে”, বার্তা ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: “ভাষা, বর্ণ, প্রদেশের মতভেদকে দূর করে হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে”, বার্তা ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবাসীদের ভাষা, বর্ণ, প্রদেশের মতভেদের মতো বিষয়কে দূর করে হিন্দু সমাজকে (Hindu Society) ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর তা করতে পারলেই দেশ বিশ্ববাসীর কাছে বিশ্বগুরুর আসন লাভ করবে। আমরা সব সময় বিভেদ নয়, একতার লক্ষ্যেই এগিয়ে যাব। রাষ্ট্রের জন্য নাগরিক সমাজকে কর্তব্য পালন করে যেতে হবে। শনিবার রাজস্থানের বরান নগরে কৃষি উপজ মান্ডির একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সর সঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) এই কথা বলেন। তিনি এখানে স্বয়ং সেবকদের উদ্দেশে বলেন, “রাষ্ট্রের প্রতি সমর্পণ হতে হবে কর্তব্যবোধ দিয়ে। সমাজকে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোই আমাদের কাজ।”

    আচরণে শৃঙ্খলা আনতে হবে (Mohan Bhagwat)

    আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “সমগ্র হিন্দু সমাজকে (Hindu Society) ভাষা, বর্ণ, খাদ্য, পোশাক সহ প্রাদেশিক বিভিন্নতাকে সম্পূর্ণ ভাবে দূর করতে হবে। সমাজকে একত্রিত হওয়ার ভাবনায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সমাজ এমন হতে হবে যেখানে সংগঠন, সদিচ্ছা, অন্তরঙ্গতার মতো চর্চার পরিসর থাকবে। আচরণে শৃঙ্খলা আনতে হবে। রাষ্ট্রভক্তি মনে জাগ্রত করতে হবে। সমাজ কেবলমাত্র আমি বা আমার পরিবারের দ্বারা হবে না, সমাজের জন্য আমাদের সর্বাত্মক ভাবনা দিয়ে সকলের জন্য ঈশ্বর প্রাপ্তির কথা সব সময় মনে রাখতে হবে। ভারতে বসবাসকারী সকলেই হিন্দু জাতির অন্তর্ভুক্ত, সকলেই হিন্দু, সমাজের সকল সম্প্রদায়ের জন্য একটাই পরিচয়।”

    আরও পড়ুনঃ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যন্ত স্বল্প দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় সফল ভারত

    সংঘের কাজ যন্ত্রনির্ভর নয়

    মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, “আরএসএস-এর কাজ যন্ত্রনির্ভর নয়। সমাজ-দেশ এবং রাষ্ট্রের জন্য চিন্তা, মনন এবং অনুভূতি দিয়ে মতামত গ্রহণ করে কাজ করতে হয়। বিশ্বের এমন কোনও বিষয় নেই যা সঙ্ঘের কাজের মধ্যে পড়ে না। সমাজ জীবনের মানুষের ব্যক্তিত্বের বিকাশে চরিত্র নির্মাণ করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এই ভাবেই সামাজিক চরিত্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে ভারত রাষ্ট্রের পুনর্নির্মাণ হবে। আমাদের স্বয়ং সেবকরা এই সংকল্প নিয়েই প্রত্যেক পরিবারের মধ্যে গিয়ে কাজ করে থাকেন।” এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থান প্রদেশের সঙ্ঘ চালক রমেশ আগরওয়াল, চিতোরের সঙ্ঘ চালক জগদীশ সিং রানা, বরান বিভাগের সঙ্ঘ চালক রমেশ চাঁদ সহ আরও প্রমুখ ব্যক্তি।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajasthan: থর মরুভূমির বুকে ৮০ মিটার উঁচু, ৯৯টি বুরুজের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে সোনার কেল্লা!

    Rajasthan: থর মরুভূমির বুকে ৮০ মিটার উঁচু, ৯৯টি বুরুজের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে সোনার কেল্লা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের থর মরুভূমির বুকে এক সোনালি শহর জয়সলমের (Rajasthan)। কথিত আছে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যে কোনও সময় যাদবকুলের কোনও এক বংশধর এখানে এই ত্রিকূট পাহাড়ের ওপর তাঁর রাজধানী স্থাপন করবেন। পরবর্তী কালে যাদব বংশীয়া রাজপুত রাজা রাওয়াল জয়সওয়াল তাঁর প্রাচীন লোদাবার দূর্গ পরিত্যাগ করে এখানে ত্রিকুট পাহাড়ের ওপর রাজধানী নির্মাণ করেন। এই জয়সওয়াল নাম থেকেই স্থানের নাম হয়েছে জয়সলমের। তৎকালীন সময়ে এই কেল্লার নাম ছিল জয়সলমের কেল্লা। বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত ছবি ‘সোনার কেল্লা’-র পরেই এই কেল্লা ‘সোনার কেল্লা’ নামে পরিচিতি লাভ করে।

    বাস করেন রাজ পরিবারের সদস্যরা (Rajasthan)

    বালিপাথরে তৈরি বলেই দিনের বেলায় সূর্যের আলোয় কেল্লার দেওয়াল সহ অন্যান্য অংশ সোনার মতো উজ্জ্বল দেখায়। তাই এর নাম হয়েছে সোনার কেল্লা। কেল্লাটি ৮০ মিটার উঁচু, ৯৯টি বুরুজের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে। কেল্লায় প্রবেশের জন্য চারটি প্রকাণ্ড প্রবেশপথ আছে (Jaisalmer)। সেগুলি হল ১) অক্ষয় পোল ২) গণেশ পোল ৩) হাওয়া পোল এবং ৪) সুরজ পোল। রাজ পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে বাস করেন বাদল মহল, রানা মহল, গজবিলাস এবং মোতি মহলে। বাদল মহল থেকেই দেখা যায় এক সুন্দর পাথরের স্তম্ভ। এখানে রয়েছে প্রাচীন এবং বর্ণাঢ্য তাজিয়া। এছাড়াও দেখে নেওয়া যায় ৩০০ বছরের প্রাচীন মহারাজ রাওয়াল গজ সিংয়ের মন্ত্রী সেলিম সিং-এর হাভেলি, পাটোয়া কি হাভেলি প্রভৃতি।

    স্যাম স্যান্ড ডিউনস

    ইচ্ছে হলে আর হাতে সময় থাকলে ঘুরে নেওয়া যায় জয়সলমের (Rajasthan) থেকে প্রায় ৪২ কিমি দূরে একেবারে থর মরুভূমির বুকে স্যাম স্যান্ড ডিউনস থেকেও। উটের পিঠে চড়ে এসে এই স্যামে টেন্টে থেকে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় আঞ্চলিক নৃত্যগীতের অনুষ্ঠান দেখতে আনন্দ অনুভব করবেনই।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

    যাতায়াত –কলকাতা থেকে সরাসরি জয়সলমের যাচ্ছে হাওড়া-জয়সলমের (Rajasthan) এক্সপ্রেস। এছাড়াও বাস আসছে ২৮৫ কিমি দূরের যোধপুর, ৩৩৩ কিমি দূরের বিকানীর থেকেও। থাকা খাওয়া-জয়সলমেরে আছে আরটিডিসি (R.T.D.C)-র দুটি হোটেল, ১) হোটেল মুনাল, ফোন-০২৯৯২-২৫২৩৯২, ০৯৪৬৮৫৫৬৩৩৪ এবং ২) হোটেল শ্যামধানী (ফোন ০৯৪৬৮৫৫৬৩৩৪)। এছাড়াও রয়েছে সত্যজিৎ রায়, জে পি দত্ত সহ বলিউড, টলিউড এবং দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্র জগতের বহু বিখ্যাত মানুষের পদধূলিধন্য হোটেল প্রিন্স (Hotel Prince)। এদের সম্পূর্ণ বাঙালি পরিচালিত রেস্তোরাঁ এবং স্যামে থাকার জন্য টেন্ট আছে। যোগাযোগ-০৯৪১৪১৪৯১০৫, ০৭০১৪৩৯৭০০৯, ০৯৯২৮২৭৩০৩০), কিলা ভবন (০২৯৯২২৫১২০৮), হোটেল অশোক (০৩৯৯২২৫৬০২১)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ

  • Train Accident: লাইনে মোটর সাইকেলের স্ক্র্যাপ, রাজস্থানে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ট্রেন, নাশকতার ছক?

    Train Accident: লাইনে মোটর সাইকেলের স্ক্র্যাপ, রাজস্থানে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ট্রেন, নাশকতার ছক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকো পাইলটের তৎপরতায় বড়সড় রেল দুর্ঘটনা (Train Accident) এড়ানো সম্ভব হল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের (Rajasthan) বারান জেলায়। কী কারণে রেলওয়ে ট্র্যাকে দুর্ঘটনা ঘটার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা রেলের আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন। আরপিএফের পক্ষ থেকে এই ঘটনার পরই মামলা রুজু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Train Accident)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ২৯ অগাস্ট রাতে। রাজস্থানের (Rajasthan) ছাবড়া এলাকার চাচাউদা গ্রামের কাছে রেলওয়ে ট্র্যাকে কে বা কারা বাইকের স্ক্র্যাপ রেখেছিল। রাজস্থানের কোটা-বিনা রেললাইনের ট্র্যাক দিয়ে যাওয়া একটি পণ্যবাহী ট্রেনের লাইনে থাকা একটি মোটর সাইকেলের স্ক্র্যাপের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ট্রেনের লোকো পাইলট বিনোদ মীনা জরুরি ব্রেক কষায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তবে, অসাবধানতবশত এই ঘটনা ঘটেছে, না এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে, তা আরপিএফের পক্ষ থেকে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: আরজি করের ‘সন্দেহজনক’ মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    আরপিএফের আধিকারিক কী বললেন?

    আরপিএফ কমান্ড্যান্ট এ নবীন কুমার বলেন, কোটা-বিনা রেললাইনে ট্রেনের লোকো পাইলট ছাবরা (Rajasthan) এলাকার চাচাউদা গ্রামের কাছে ট্র্যাকের ওপর মোটর সাইকেলের স্ক্র্যাপটি দেখতে পান। কে বা কারা  রেললাইনের ওপর একটি মোটর সাইকেলের স্ক্র্যাপ রেখে কাদা দিয়ে ঢেকে দেয়। একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় লোকো পাইলট বিনোদ মীনা বুদ্ধিমানের সঙ্গে জরুরি ব্রেক করে ট্রেনটি থামিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, রেলওয়ে আইন ১৯৮৯ -এর ১৪৭, ১৫৩, ১৭৪ ধারায় সিআর নম্বর ২৮৪/২০২৪-এর অধীনে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জিআরপি এবং স্থানীয় পুলিশ এবং রেলওয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকজনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ট্র্যাকে যে মোটরসাইকেলের স্ক্র্যাপ পাওয়া গিয়েছে, চেসিস নম্বরের ভিত্তিতে তার মালিককেও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। পালিতেও একই রকম ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে দুর্বৃত্তরা বন্দে ভারত ট্রেন লাইনচ্যুত করার জন্য রেলপথে কংক্রিট ব্লক রেখেছিল।

    পাকিস্তানি জঙ্গির ভিডিও ঘিরে শোরগোল!

    সাম্প্রতিক মাসগুলিতে দেশে ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে ট্রেন লাইনচ্যুত করার একাধিক নাশকতা ঘটানোর চেষ্টার খবর পাওয়া গিয়েছে। পাকিস্তানি জঙ্গিরা ভারতের প্রধান শহরগুলিতে বড় আকারের ট্রেন লাইনচ্যুত করার জন্য জিহাদিদের প্ররোচিত করছে বলে অভিযোগ। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বর্তমানে ট্রেন লাইনচ্যুত (Train Accident) হওয়ার ঘটনা পর্যালোচনা করছে যা সাম্প্রতিক অতীতে পাকিস্তানি জঙ্গি ফারহাতুল্লাহ ঘোরির একটি ভিডিও অনলাইনে প্রকাশের পর ঘটেছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে, পাকিস্তানি জঙ্গি টেলিগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে, যা তার সমর্থকদের বড় আকারে চালাতে প্ররোচিত করেছে। দিল্লি, মুম্বই এবং অন্যান্য স্থানে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। জিহাদিদের রেললাইন এবং তাদের পরিবহণ ব্যবস্থায় বাধা দেওয়ার জন্য উস্কানি দিয়ে ঘোরি বলেছিলেন যে এটি ভারতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। গোয়েন্দা সংস্থার মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় জঙ্গি নিয়োগকারী বলেছেন, “সরকার ইডি এবং এনআইএ-এর মাধ্যমে আমাদের সম্পত্তিগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করছে, তবে আমরা অবিচল থাকব এবং শীঘ্রই বা পরে ক্ষমতা দখল করব।”

    ভারতে সন্ত্রাসী হামলায় যুক্ত

    তিন সপ্তাহ আগে পোস্ট করা তিন মিনিটের ভিডিওতে ঘোরি মুজাহিদিনদেরকে হিন্দু নেতা ও পুলিশের বিরুদ্ধে “ইশতিশাদি জঙ্গ” বা “ফিদায়েন যুদ্ধ” শুরু করতে বলেছিলেন।” গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে ভিডিওটি এক-দু সপ্তাহ ধরে প্রচারিত হয়েছিল। উল্লেখ্য, ফারহাতুল্লাহ ঘোরিকে ২০২০ সালে জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভারতে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলায় তিনি যুক্ত রয়েছেন। ২০০৪ সালে হায়দরাবাদে টাস্কফোর্স অফিসে আত্মঘাতী হামলার ঘটনা এবং ২০২৩ সালে রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ মামলায় যুক্ত রয়েছে ঘোরি।

    ভারতে ট্রেনে নাশকতার চেষ্টার ঘটনা বাড়ছে!

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭ অগাস্ট রাতে কানপুরের গোবিন্দপুরী স্টেশনের কাছে সবরমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। এর পরেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, রেলপথে একটি বস্তু রাখায় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে। পরে জানা যায় দুর্ঘটনা (Train Accident) ঘটাতে রেললাইনের একটি ভাঙা টুকরো রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি, কাচ্ছপুরা স্টেশনের কাছে ট্র্যাকে রাখা লোহার রডের সঙ্গে নৈনপুর-জব্বলপুর ট্রেনের ইঞ্জিনটির সংঘর্ষের পরে সন্দেহজনক নাশকতার একটি তদন্ত শুরু হয়েছে। ২২ অগাস্ট আলিগড়ে একটি চলন্ত ট্রেন লাইনচ্যুত করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে রেলওয়ে ট্র্যাকে একটি অ্যালয় হুইল রাখা হয়েছিল। ২৩ অগাস্ট রাতে কাসগঞ্জ ও ফররুখাবাদের মধ্যে চলাচলকারী ফারুখাবাদ এক্সপ্রেস রেলওয়ে ট্র্যাকে রাখা একটি কাঠের সংস্পর্শে এসে বড় দুর্ঘটনা এড়াল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রেনটি হঠাৎ ঝাঁকুনি দেয়, লোকো পাইলট জরুরি ব্রেক কষে ট্রেন থামান। পরে জানা যায় কাঠের একটি অংশ ট্রেনের ইঞ্জিনে আটকে যায়। যদিও এই ঘটনায় স্থানীয় এক কৃষক নেতার ছেলেসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইভাবে, গত বছরের অক্টোবরে একটি বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছিল। কারণ উদয়পুর-জয়পুর বন্দে ভারত এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত করার সম্ভাব্য প্রচেষ্টায় রেল লাইনে পাথর এবং রড রাখা হয়েছিল। এই মাসের শুরুতে, গুলজার শেখ নামে একজন ইউটিউবারকে কনটেন্ট তৈরির নামে সাইকেল, সাবান, পাথর এবং আরও অনেক কিছু সহ রেলপথে বিভিন্ন জিনিস রাখার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagdeep Dhankhar: নিশানায় কংগ্রেস, ‘দেশ বিরোধী শক্তি’ নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করলেন ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: নিশানায় কংগ্রেস, ‘দেশ বিরোধী শক্তি’ নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করলেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দেশ বিরোধী শক্তি’ নিয়ে দেশবাসীকে সাবধান করে দিলেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। উপরাষ্ট্রপতি অবশ্য কংগ্রেসের (Congress) নাম নেননি। তবে তাঁর নিশানায় যে কংগ্রেসই, তা স্পষ্ট। ‘ভারতেও বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি হবে’। এমন ভয় দেখাচ্ছেন কিছু মানুষ। সেই বিষয়েই দেশবিরোধী শক্তি থেকে দেশবাসীকে সতর্ক করলেন ধনখড়।

    কী বললেন উপরাষ্ট্রপতি (Jagdeep Dhankhar)

    উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “সাবধান! অনেকে এমন একটা ন্যারেটিভ ছড়ানোর চেষ্টা করছেন যে, আমাদের প্রতিবেশী দেশে যেটা হয়েছে, তেমনটা ভারতেও হতে চলেছে। এটা খুবই উদ্বেগজনক।” শনিবার যোধপুরে রাজস্থান হাইকোর্টের প্ল্যাটিনাম জুবিলি উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন উপরাষ্ট্রপতি। সেখানেই সতর্ক করেন দেশবাসীকে। ধনখড় বলেন, “এই দেশের একজন নাগরিক, যিনি কিনা প্রাক্তন মন্ত্রী এবং বর্তমানে সাংসদ সদস্যও, এবং অন্য একজন, যিনি ফরেন সার্ভিসে দীর্ঘদিন চাকরি করেছেন, তাঁরা কীভাবে বলতে পারেন যে প্রতিবেশী দেশে যা ঘটেছে, তা ভারতেও ঘটবে? এরকম দায়িত্বশীল লোকজন কীভাবে এসব কথা বলতে পারেন?

    খুরশিদের বেফাঁস মন্তব্য

    সংরক্ষণকে ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ। নির্বিচারে চলছে হিন্দু নিধন। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ হিন্দু। এঁরা আওয়ামি লিগের সমর্থক। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তেই শুরু হয় হিন্দুমেধ যজ্ঞ। আন্দোলনকারীরা সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ‘গণভবন’ লুট করে। সে প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ বলেছিলেন, “ভারতে আপাতত স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকলেও, এখানেও বাংলাদেশের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।” প্রায় একই ধরনের কথা বলেছিলেন প্রাক্তন কূটনীতিক মণিশঙ্কর আইয়ারও।

    আরও পড়ুন: “মায়ের প্রাণ বাঁচানোয় মোদির কাছে কৃতজ্ঞ”, বললেন হাসিনা পুত্র

    উপরাষ্ট্রপতি (Jagdeep Dhankhar) বলেন, “এই সব দেশবিরোধী শক্তি সাংবিধানিক প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করে বৈধতা লাভ করছে।” তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো এই সব শক্তির দ্বারা নষ্ট হচ্ছে। তারা আমাদের দেশকে পথভ্রষ্ট করছে, বিপথে চালিত করছে গণতন্ত্রকে।” ধনখড় বলেন, “এই সব শক্তি ফেব্রিকেটেড ন্যারেটিভ তৈরি করে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করতে চাইছে। তবে জানেন কি, আমাদের কাছে জাতীয় স্বার্থ (Congress) সর্বাগ্রে। এর সঙ্গে কোনওভাবেই আপস করা যায় না (Jagdeep Dhankhar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share