Tag: rajnath singh

rajnath singh

  • Operation Sindoor: ‘‘যারা সিঁদুর মুছেছিল, ভারত তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে’’, বললেন রাজনাথ সিং

    Operation Sindoor: ‘‘যারা সিঁদুর মুছেছিল, ভারত তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে’’, বললেন রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রবিবারই তিনি লখনউতে ব্রহ্মস মিসাইলের নতুন একটি ইউনিটের উদ্বোধন করেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। সেখানেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে দেশবাসীর উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘‘সিঁদুর শুধু একটি সামরিক অপারেশন ছিল না, এটি একটি সংকল্প। যারা সিঁদুর মুছেছিল, অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে ভারত তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে।’’

    দেশ শক্তিশালী না হলে বিশ্বে কেউ সম্মান করে না

    এদিন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) আরও বলেন, ‘‘ভারত নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছে। দেশ শক্তিশালী না হলে বিশ্বে কেউ সম্মান করে না।’’ রাজনাথ সিংয়ের আরও সংযোজন, ‘‘ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল কেবলমাত্র একটি হাতিয়ার নয়, এটি বিশ্বকে দেওয়া ভারতের একটি বার্তা। ভারতের পরাক্রমের বার্তা বহন করছে এই মিসাইল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্ষমতার পরিচয় এই ব্রহ্মস মিসাইল। শত্রুর নিধনে ভারত কী ভূমিকা পালন করতে পারে, সেটিরও পরিচয় বহন করে এই মিসাইল।’’

    সীমান্তের ওপারেও জঙ্গিরা নিরাপদ ভাবে থাকতে পারবে না

    পাশাপাশি, রাজনাথের (Rajnath Singh) আরও বক্তব্য ‘‘অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) বুঝিয়েছে, সীমান্তের ওপারেও জঙ্গিরা নিরাপদ ভাবে থাকতে পারবে না।’’ অপারেশন সিঁদুরের ব্যাখ্যা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘অপারেশন সিঁদুর কেবলমাত্র একটি সামরিক পদক্ষেপ নয়। এটা ভারতের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং কূটনৈতিক শক্তির প্রদর্শন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতির পরিচয় দিয়েছে এই অপারেশন। ভারত দেখিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যখন আমরা কোনও অ্যাকশন নিই তখন সীমান্ত পারেও জঙ্গি এবং তাদের মদতদাতারা রেহাই পাবে না।’’

    ভারতীয় সেনার গর্জন রাওয়ালপিন্ডি পর্যন্ত শোনা গিয়েছে

    পাশাপাশি তিনি জানান, ভারত কোনও সাধারণ পাক নাগরিককে আক্রমণ করেনি। ভারতের লড়াই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে রাজনাথ বলেন, ‘‘ভারতীয় সেনার গর্জন রাওয়ালপিন্ডিতে পাক সেনার সদর দফতর পর্যন্ত শোনা গিয়েছে। কিন্তু আমরা পাকিস্তানের কোনও নাগরিককে আক্রমণ করিনি।’’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তান নিরীহ ভারতীয় নাগরিকদের আক্রমণের পাশাপাশি বহু মন্দির, গুরুদ্বার এবং গির্জাগুলিতে হামলা চালিয়েছে।’

  • Russia’s Victory Day Parade: সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি! মোদির পর রাশিয়া সফর বাতিল রাজনাথের, ভারত থেকে যাচ্ছেন কে?

    Russia’s Victory Day Parade: সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি! মোদির পর রাশিয়া সফর বাতিল রাজনাথের, ভারত থেকে যাচ্ছেন কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে আগেই রুশ সফর বাতিল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদির পরিবর্তে রাজনাথের ৯ মে মস্কো সফরে যাওয়ার কথা ছিল। এবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও রাশিয়ার বিজয় দিবসের (Russia’s Victory Day Parade) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মস্কো যাচ্ছেন না। অন্তত সূত্রের খবর এমনই। আগামী সপ্তাহেই রাশিয়ায় বিজয় দিবস পালন করার কথা। ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য রাশিয়ার তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। প্রধানমন্ত্রীর যাওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়। জানানো হয়, ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সূত্রের খবর, এই সফর বাতিল করতে চলেছেন রাজনাথ সিং। তাঁর জায়গায় কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন বলেও খবর। জানা গিয়েছে, পহেলগাঁও হামলার পরে উদ্ভূত পরিস্থিতির জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

    রাশিয়ায় বিজয় দিবসের গুরুত্ব

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী (MoS) সঞ্জয় শেঠ। মস্কোর ওই অনুষ্ঠানে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-সহ বিশ্বের প্রায় ২০ দেশের প্রতিনিধির উপস্থিত থাকার কথা আছে। পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার পরেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। যে কোনও সময় পাল্টা জবাব দিতে পারে নয়াদিল্লি। মনে করা হচ্ছে, সেই কারণেই রাজনাথও তাঁর মস্কো সফর বাতিল করতে চলেছেন। ইতিমধ্য়েই পহেলগাঁও হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এই হামলাকে নৃশংস অপরাধ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। এছাড়াও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়ার সমর্থন যে ভারতের সঙ্গে রয়েছে সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন পুতিন।

    ভারতের পাশে রাশিয়া

    প্রধানমন্ত্রী মোদির মস্কো সফর না করার সিদ্ধান্তের কারণ স্পষ্ট করেনি রাশিয়া (Russia’s Victory Day Parade)। রাশিয়ার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান ও কুচকাওয়াজে বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা এবং সামরিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি গত বছর দুবার রাশিয়া সফর করেছিলেন। একবার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য এবং দ্বিতীয়বার কাজানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য। এই বছরের শেষের দিকে পুতিন দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত আসতে পারেন।

    যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের

    সীমান্তে বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। এই নিয়ে টানা নবমবার বিনা প্ররোচনায় সীমান্তে গুলি ছুড়ল পড়শি দেশ। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শুক্রবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা, উরি এবং আখনুর সেক্টরে গুলি ছুড়তে শুরু করে পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। পহেলগাঁও হামলার পরও নাগাড়ে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। এই নিয়ে দিন তিনেক আগেই সতর্ক করেছে ভারত। তবে সোজা পথে আসার বান্দা নয় পড়শি দেশ। ফের চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালিয়েছে সে দেশের সেনা।

    প্রত্যাঘাতের দাবি

    পহেলগাঁওয়ে হত্য়ালীলার (Pahalgam Terror Attack) পর প্রত্যাঘাতের দাবি দেশজুড়ে। তিন বাহিনীও বুঝিয়ে দিচ্ছে তারা আঘাত হানতে প্রস্তুত। নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দিচ্ছেন, কল্পনাতীত শাস্তি হবে। বিরোধীরাও জোটবদ্ধ হয়ে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার পক্ষে!প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁপছে পাকিস্তানও। অজ্ঞাতবাস নিয়ে হইচই পড়ে যাওয়ার পর আচমকা প্রকাশ্য়ে এসে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানও বোঝানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা প্রস্তুত। এদিকে, পহেলগাঁও সন্ত্রাসের ১১ দিন পরেও অধরা হামলাকারী জঙ্গিরা। কিন্তু কোনওভাবেই কাউকে যে ছাড়া হবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়ে জঙ্গিদের খোঁজে উপত্যকা জুড়ে চলছে চিরুনি তল্লাশি। বিভিন্ন জঙ্গলে ও দুর্গম এলাকায় যৌথ অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। শ্রীনগরের আকাশ দিয়ে দক্ষিণ কাশ্মীরের দিকে ঘন ঘন উড়ছে সেনাবাহিনীর চপার! শুক্রবারও উপত্যকায় ছিলেন এনআইএ-র ডিজি সদানন্দ দাতে। এদিনও তিনি যান ঘটনাস্থলে। জরুরি বৈঠক করেন তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে।

    সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি

    ইতিমধ্যেই কাশ্মীর ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মানুষ যুদ্ধের ‘প্রস্তুতি’ শুরু করেছেন। উভয় পক্ষই নিজেদের বাঁচানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারতের দিকে চুরান্ডা এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের চাকোঠির মতো গ্রামগুলি সম্ভাব্য সংঘাতের আশঙ্কায় বাঙ্কার এবং সুরক্ষিত আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করছে। জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের স্থানীয় প্রশাসন সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারীদের দুই মাসের জন্য খাদ্যশস্য মজুত করার আহ্বান জানিয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় বিধানসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ার-উল-হক বলেন, নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে অবস্থিত ১৩টি নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের দু’মাস খাদ্যশস্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের মৌলিক চাহিদার কথা মাথায় রেখে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ তহবিলও গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকার রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকেও মোতায়েন করা হচ্ছে। কার্যত সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলছে প্রশাসন। পাকিস্তানে আতঙ্কের পরিস্থিতি এমন যে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ১০০০ জঙ্গি ঘাঁটি বন্ধ করেছে পাকিস্তান। জঙ্গিদের সেখান থেকে সরানো হয়েছে। এছাড়া পাঞ্জাব থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। বড় শহরগুলির আকাশসীমাও প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পর্বে সাইরেনও লাগানো হচ্ছে। সদা সতর্ক রয়েছে ভারতীয় সেনাও।

  • Rajnath Singh: রাজনাথের সঙ্গে চল্লিশ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, দুয়ারে যুদ্ধ!

    Rajnath Singh: রাজনাথের সঙ্গে চল্লিশ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, দুয়ারে যুদ্ধ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই দেশের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। ঠিক তার পরের দিনই রাজনাথ গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। ২২ এপ্রিল, মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) জম্মু-কাশ্মীরে যে সেনা অভিযান চলছে সেই ব্যাপারে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁকে ব্রিফিং দেন। পহেলগাঁওয়ের ওই হামলায় জঙ্গিরা বেছে বেছে খুন করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির কাছ থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন হন স্থানীয় এক কাশ্মীরি মুসলমান। এদিন প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হয় মিনিট চল্লিশেক।

    রুদ্ধদ্বার বৈঠক (Rajnath Singh)

    রুদ্ধদ্বার ওই কক্ষে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে রাজনাথ দক্ষিণ ব্লকে যান, যেখানে সেনাপ্রধান তাঁকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি, বিশেষত পহেলগাঁওয়ে সর্বশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু হওয়া অঞ্চলটি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্রিফিং দেন। পহেলগাঁওয়ের ওই ঘটনার জেরে ভারতে তো বটেই, আন্তর্জাতিকভাবেও ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভারত সরকার এই হামলার সীমান্ত-পার্শ্ববর্তী সংযোগের কথা উল্লেখ করে জোরালো ও সুনির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’

    রবিবারই তাঁর ১২১তম ‘মন কি বাতে’ দেশবাসীকে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পহেলগাঁও হামলায় অপরাধী ও ষড়যন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সব চেয়ে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ‘মন কি বাতে’ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে সমগ্র বিশ্ব ১৪০ কোটি (Rajnath Singh) ভারতবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আমি আবারও আশ্বাস দিচ্ছি, তারা ন্যায়বিচার পাবে। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে।” ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে বলেন, “এটি কাশ্মীর ও দেশের শত্রুদের একটি হতাশাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যারা এই অঞ্চলের অসাধারণ অগ্রগতিকে ব্যাহত করতে চায়।”

    এই হামলাকে “সন্ত্রাসবাদে প্রশ্রয়দানকারীদের” হতাশার প্রতিফলন বলেও উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যে সময়ে কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসছিল, স্কুল-কলেজে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছিল, গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়ে উঠছিল, পর্যটন বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং যুবসমাজের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছিল, সেই (Pahalgam Attack) সময়ে জম্মু-কাশ্মীর ও দেশের শত্রুরা এটিকে মেনে নিতে পারেনি। জঙ্গিরা আবারও কাশ্মীরকে ধ্বংস করতে চায় (Rajnath Singh)।”

  • Rajnath Singh: বাড়বে প্রত্যাঘাত? প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দেশের সিডিএস অনিল চৌহান

    Rajnath Singh: বাড়বে প্রত্যাঘাত? প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দেশের সিডিএস অনিল চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান তথা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আরও বড় প্রত্যাঘাতের খবর কি সামনে আসতে চলেছে? এমন জল্পনাই শুরু হয়েছে। কারণ রবিবার বিকালেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) বাড়িতে তাঁর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছেন দেশের সিডিএস অনিল চৌহান। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর উপত্যকায় ‘অ্যাকশনে’ নেমেছে ভারতীয় সেনা। প্রশাসন শুরু করেছে অভিযান। ইতিমধ্যে প্রায় ১০ জঙ্গি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনা। এবার এই আবহেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন সিডিএস অনিল চৌহান (CDS Anil Chauhan)।

    কোন কোন ইস্যুতে বৈঠক জানা যায়নি

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Rajnath Singh) সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার বিকাল ৫টা নাগাদ শুরু হয় এই বিশেষ বৈঠক। তবে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হবে সেই নিয়ে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Rajnath Singh) তরফে। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারনা, মূলত কোন লাইনে এগোবে ভারত সে নিয়েই আলোচনা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরনের হামলার পর থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতার অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। জঙ্গিদের সন্ধানে চলছে চিরুনি তল্লাশি। একাধিক লস্কর জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও জঙ্গির বাড়িতে বিস্ফোরণ করা হয়েছে, তো কোনও জঙ্গির বাড়িতে চালানো হয় বুলডোজার।

    শনিবার মধ্যরাতেও নিয়্ন্ত্রণ রেখায় গুলি চালায় পাকিস্তান, পাল্টা জবাব দেয় ভারত

    শনিবার মধ্যরাতে জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। রবিবারই এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে ভারতের সেনা। নিজেদের বিবৃতিতে ভারতীয় সেনা  জানায়, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনারা বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। ভারতীয় সেনা এর পাল্টা জবাব দিয়েছে। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পরে এটা ছিল তৃতীয় রাত, যখন পাকিস্তান (Pakistan) নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায়। ভারতীয় সেনা নিজেদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘২৬-২৭ এপ্রিলের মধ্যবর্তী রাতে, পাকিস্তানি সেনা তুতমারি গালি এবং রামপুর সেক্টরের বিপরীতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলিবর্ষণ করে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।’’

  • Hypersonic Cruise Missile: স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিনের পরীক্ষায় সাফল্য, হাইপারসনিক মিসাইলের নতুন যুগে প্রবেশ করল ভারত

    Hypersonic Cruise Missile: স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিনের পরীক্ষায় সাফল্য, হাইপারসনিক মিসাইলের নতুন যুগে প্রবেশ করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) হাইপারসোনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক বিশাল সাফল্য অর্জন করল। শুক্রবার ডিআরডিও জানিয়েছে, নতুন প্রজন্মের হাইপারসোনিক মিসাইল (Hypersonic Cruise Missile) সিস্টেমের জন্য তৈরি স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিনের দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই পরীক্ষায় ইঞ্জিনটি একটানা ১০০০ সেকেন্ড (প্রায় ১৭ মিনিট) চালানো হয়। যা পূর্বে জানুয়ারি ২০২৫-এর পরীক্ষায় মাত্র ১২০ সেকেন্ড পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। এই সাফল্যের মাধ্যমে ভারত এখন হাইপারসোনিক ক্রুজ মিসাইল প্রযুক্তিতে আরও একধাপ এগিয়ে গেল।

    কী এই হাইপারসোনিক ক্রুজ মিসাইল?

    হাইপারসোনিক ক্রুজ মিসাইল (HCM) এমন একধরনের অস্ত্র যা ন্যূনতম মাক ৬ বা শব্দের গতি থেকে ছয়গুণেরও বেশি বেগে দীর্ঘ সময় ধরে চলতে সক্ষম। এই মিসাইলে ব্যবহৃত হয় এয়ার ব্রিদিং স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন, যার মাধ্যমে বায়ুর মধ্যেই ইঞ্জিন জ্বালানী পায় এবং উচ্চ গতিতে জ্বলন (combustion) সম্পন্ন হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিনের দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্ষমতা ও টেস্ট ফ্যাসিলিটির ডিজাইন সফলভাবে যাচাই করা হয়েছে। ডিআরডিও জানিয়েছে, এই পরীক্ষার ফলে এখন পুরোপুরি ফ্লাইট-যোগ্য কমবাস্টার টেস্টিংয়ের পথ খুলে গেল।

    কেন তাৎপর্যপূর্ণ এই পরীক্ষা?

    বিশ্বের যেখানে আজও স্ক্র্যামজেট প্রযুক্তি সীমিত কয়েক মিনিটের পরীক্ষায় আবদ্ধ, সেখানে ভারত ১০০০ সেকেন্ডের এক বিরাট মাইলফলক স্পর্শ করল। ডিআরডিও-র ল্যাবে এই দীর্ঘসময় ধরে সফলভাবে অ্যাকটিভ কুলড্ স্ক্র্যামজেট কমবাস্টর গ্রাউন্ড টেস্ট করে এমন একটি রেকর্ড স্থাপন করল, যা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন অপারেশন হিসেবেই ধরা হচ্ছে। এই সাফল্য শুধু একটি ইঞ্জিন টেস্ট নয়, বরং এটি হতে চলেছে ভারতের হাইপারসনিক প্রপালশনের পরবর্তী বড় প্রকল্প— প্রোজেক্ট বিষ্ণু-র মূল ভিত্তি।

    প্রোজেক্ট বিষ্ণু-র গুরুত্ব কোথায়?

    এই ১০০০ সেকেন্ডের স্ক্র্যামজেট টেস্টের ফলস্বরূপ ভারত যা পেতে চলেছে তা সত্যিই বৈপ্লবিক—

    ● বিশাল হাইপারসনিক রেঞ্জ:
    ভারত এখন ২০০০–৩০০০ কিমি রেঞ্জের হাইপারসনিক ল্যান্ড অ্যাটাক ও জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে পারবে, যেগুলো কয়েক মিনিটেই লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম।

    ● বিমানবাহী রণতরী ধ্বংসের ক্ষমতা:
    এতদূর থেকে ছোঁড়া হাইপারসনিক অ্যান্টি-শিপ মিসাইল সহজেই বিমানবাহী রণতরী সহ গোটা ব্যাটল গ্রুপকে ধ্বংস করতে পারবে — শত্রুপক্ষ প্রতিরোধ করার আগেই লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস।

    ● ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে টেক্কা:
    এত উচ্চ গতিতে (মাক ৬-৮), এই মিসাইলগুলো পাশ্চাত্য দেশগুলির থাড, এস-৪০০ বা এইজিসের মতো শীর্ষস্থানীয় ডিফেন্স সিস্টেমও অতিক্রম করে ফেলতে পারবে — প্রতিরোধ কার্যত অসম্ভব।

    ● প্রতিক্রিয়ার সময় পাবে না শত্রু:
    স্যাটেলাইট বা রেডারে ডিটেকশন হলেও প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় পাওয়া যাবে না, কারণ এই গতি ও রেঞ্জে প্রতিক্রিয়ার সময় খুবই কম।

    ● যুদ্ধে গেমচেঞ্জার:
    এতদূর থেকে, এত দ্রুত, এত শক্তিশালী আঘাত ভারতের কাছে থাকলে — যেকোনও যুদ্ধক্ষেত্রে বা জলসীমায় ভারত গেমচেঞ্জার হয়ে উঠবে।

    প্রোজেক্ট বিষ্ণু-র সম্ভাব্য রেঞ্জ

    যদি আমরা প্রোজেক্ট বিষ্ণু-র জন্য মাক ৬ গতি ধরি (যা স্ক্র্যামজেটের বেসিক ন্যূনতম), তাহলে ১০০০ সেকেন্ড ধরে এই গতি ধরে রাখলে দাঁড়ায় সেকেন্ড প্রতি ২.০৫৮ কিমি। অর্থাৎ, ১০০০ সেকেন্ড ধরে ইঞ্জিন চললে, এর পাল্লা দাঁড়াবে ২০৫৮ কিমি। অর্থাৎ, শুধুমাত্র স্ক্র্যামজেট ফেজেই এর সম্ভাব্য কার্যক্ষমতা হতে পারে ২০০০ কিমি পার করে দেবে ক্ষেপণাস্ত্র। আর যদি মাক ৭ বা মাক ৮ হয়, তাহলে এই পাল্লা বেড়ে হবে ২৫০০-৩০০০ কিমি।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অভিনন্দন

    এই পরীক্ষাটি হায়দরাবাদের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (DRDO) পরীক্ষাগার ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরিতে (ডিআরডিএল)সম্পন্ন হয়েছে। এটি ডিআরডিও, বিভিন্ন শিল্প সংস্থা ও শিক্ষাবিদদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। ভারতের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে এই অগ্রগতি ভবিষ্যতের হাইপারসোনিক অস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য মজবুত ভিত গড়ে তুলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই অসাধারণ সাফল্যের জন্য ডিআরডিও, শিল্প অংশীদার এবং শিক্ষাবিদদের প্রশংসা করেছেন। তিনি জানান, এই সাফল্য জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হাইপারসনিক অস্ত্র প্রযুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের ফল। এই পরীক্ষাটি দীর্ঘমেয়াদী স্ক্র্যামজেট কম্বাস্টারের নকশার পাশাপাশি পরীক্ষার সুবিধার বৈধতা দেয়। এটি শিল্প ও একাডেমিয়ার সাথে ডিআরডিও ল্যাবগুলির দ্বারা প্রদত্ত একটি সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলাফল। এই সাফল্য দেশের হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র (Hypersonic Cruise Missile) উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করে।

  • Rajnath Singh: ‘‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরিরা শীঘ্রই চাইবেন ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে’’, বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: ‘‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরিরা শীঘ্রই চাইবেন ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে’’, বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (Pak Occupied Kashmir) বাসিন্দারাই খুব শীঘ্র ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইবে। মোদি সরকারের সাফল্যে ভারতে এখন ‘আচ্ছে দিন’। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) লখনউয়ে এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “ভারতের অর্থনীতি এখন বিশ্বের মধ্যে দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলোর একটি। আগে বিশ্বে ভারতের পরিচয় ছিল দরিদ্র দেশ হিসেবে, কিন্তু আজ এই চিত্র বদলে গিয়েছে। ভারতের অর্থনীতি এখন বিশ্বে পঞ্চম স্থানে, যা এক সময় একাদশ স্থানে ছিল। আগামী দুই বছরের মধ্যে ভারত শীর্ষ তিন অর্থনীতির মধ্যে স্থান পাবে বলে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলি দাবি করছে।”

    ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা

    লখনউয়ের মহর্ষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সভায় রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, “১১ বছর আগে ভারতে মাত্র দুটি মোবাইল ফোন কারখানা ছিল, আর আজ তা বেড়ে হয়েছে ২৭০টি। এছাড়াও, ডিজিটাল লেনদেনে ভারত এখন বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে। লখনউ থেকেই এক সময় মুসলিম লিগ পাকিস্তান গঠনের দাবি তুলেছিল। আর আজ সময় এসেছে এখান থেকেই ভারতের সঙ্গে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সংযুক্তিকরণের দাবি তোলার। আমি বিশ্বাস করি, খুব শীঘ্রই পিওকে-র মানুষ নিজেরাই বলবে— ‘‘আমাদের ভারতেই যুক্ত করে দিন।’’

    জন সংলাপ কর্মসূচিতে রাজনাথ

    লখনউয়ের এই সভায় কেশব নগরে একটি সড়ক নির্মাণের দাবি উঠলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট বিধায়ক ডঃ নীরজ বোরাকে নির্দেশ দেন সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে। এই অনুষ্ঠানে উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেন, “এক সময় ফৈজুল্লাগঞ্জ সংক্রামক রোগে ভোগা একটি এলাকা ছিল। সেখান থেকেই রাজ্য সরকার সংক্রামক রোগ বিরোধী অভিযান শুরু করেছিল। আজ আমরা বলতে পারি, এই রোগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।” এই জন সংলাপ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নগর সভাপতি আনন্দ দ্বিবেদী, এমএলসি মুকেশ শর্মা, রামচন্দ্র প্রধান, দিবাকর ত্রিপাঠী, পুষ্কর শুক্লা, ত্রিলোক অধিকারী, মিডিয়া ইনচার্জ প্রবীণ গার্গ, ঘনশ্যাম আগরওয়াল, শৈলেন্দ্র শর্মা অতল, মণ্ডল সভাপতি শৈলেন্দ্র মৌর্য, কাউন্সিলর রশ্মি সিং, প্রদীপ শুক্লা, প্রিয়াঙ্কা বাজপেয়ী, রামদাস কনৌজিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নগর সহ-সভাপতি ডঃ বিবেক সিং তোমর।

    প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে আত্মনির্ভর

    প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে ক্রমশ আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে ভারত। শুধু আত্মনির্ভরই হচ্ছে না। বিদেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানিও বেড়েছে। আর কয়েক বছরের মধ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকার গণ্ডী পার করবে বলে আশাবাদী প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ২০১৪ সালের পর থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি বেড়েছে। বর্তমানে বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করা হয়। তিনি আশাবাদী, ২০২৯-৩০ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি বেড়ে ৫০ হাজার কোটি টাকা হবে। প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ২৩ হাজার ৬২২ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করেছে ভারত।

    পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের জমিতে সন্ত্রাসের আখড়া

    ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর (Rajnath Singh) সাফ কথা, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (Pak Occupied Kashmir) জমি সন্ত্রাসবাদের ব্যবসা চালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প, সীমার কাছে লঞ্চ প্যাড যে রয়েছে তার খবর ভারত সরকারের কাছে রয়েছে। রাজনাথ সিং বলেন,’ জম্মু ও কাশ্মীর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ছাড়া অসম্পূর্ণ। ভারতের মাথার মুকুটমণি সেটি। আর তাছাড়াও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর পাকিস্তানের কাছে একটি বিদেশি এলাকা ছাড়া আর কিছুই নয়।’ উল্লেখ্য, পাক অধিকৃত কাশ্মীর জম্মু ও কাশ্মীরেরই অংশ, দেশ তো বটেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার এ কথা জানিয়ে এসেছে ভারত। এই ইস্যুতে মামলাও চলছে আন্তর্জাতিক আদালতে। সম্প্রতি কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করেছিলেন পাক সেনাপ্রধান।

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর অধিবাসীদের দাবি

    কাশ্মীর নাকি পাকিস্তানের ‘জুগুলার ভেইন’ অর্থাৎ প্রধান শিরা! পাক সেনাপ্রধানের বিস্ফোরক মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কড়া জবাব দেয় নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের হুঁশিয়ারি, “বেআইনিভাবে দখল করে রাখা অধিকৃত কাশ্মীর আগে খালি করুন। বিদেশি সম্পত্তি কী করে আপনার দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হতে পারে?” “কোনও বিদেশি জিনিস কীভাবোজনাথের দাবি আপনার প্রধান শিরা বা ‘জুগুলার ভেইন’ হতে পারে? এটা ভারতের একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। আর কাশ্মীরে পাকিস্তানের একটাই কাজ, সেটা হল বেআইনিভাবে দখল করে থাকা অংশটা ফাঁকা করে দেওয়া। সেখানকার বাসিন্দারাও ভারতের সঙ্গে জুড়তে চায়। তাঁদের দাবি, এই অঞ্চলের মাটিকে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ বা প্রক্সি ওয়ার চালাচ্ছে পাক সরকার। কিন্তু কাশ্মীর বাসীরা এই অঞ্চলের মাটিকে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য পাকিস্তান সরকার ও সেনাকে ব্যবহার করতে দিতে চান না। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কথায় এখানকার সাধারণ মানুষ খুব শীঘ্রই ভারতের সঙ্গে এক হতে চাইবে।

  • Tulsi Gabbard: বাংলাদেশে ‘হিন্দু নিধন নিয়ে উদ্বিগ্ন’, ভারতে এসে কী বললেন মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসি?

    Tulsi Gabbard: বাংলাদেশে ‘হিন্দু নিধন নিয়ে উদ্বিগ্ন’, ভারতে এসে কী বললেন মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হত্যা, নির্যাতন, হিন্দু নিধন’, নিয়ে উদ্বেগে আমেরিকা। ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট এই কথা জানালেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)। তিনি আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশে (Hindus in Bangladesh) ‘ইসলামিক সন্ত্রাস’ নিয়েও যথেষ্ট অস্বস্তি রয়েছে আমেরিকার। নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ভাবধারাকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর বলেও জানিয়েছেন তুলসি।

    হিন্দু-নির্যাতন দুর্ভাগ্যজনক

    সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-কে একটি সাক্ষাৎকার দেন তুলসি (Tulsi Gabbard)। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে দীর্ঘ দিন ধরে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ক্যাথলিক-সহ অন্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দুর্ভাগ্যজনক নির্যাতন, হত্যা, হেনস্থা আমেরিকা সরকার, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর প্রশাসনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে এই নিয়ে সবেমাত্র কথাবার্তা শুরু হলেও বিষয়টি উদ্বেগে রেখেছে তাঁদের। উল্লেখ্য, তুলসি গ্যাবার্ড নিজে হিন্দু। এই আবহে বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় তিনি সহানুভূতিশীল। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সর্বত্রই হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের বিষয়ে বরাবরই সরব থেকেছেন তুলসি। তিনি নিজে মার্কিন কংগ্রেসের প্রথম হিন্দু নির্বাচিত সদস্য।

    ইসলামিক সন্ত্রাস নিয়ে সরব তুলসি

    আমেরিকার গোয়েন্দা প্রধানের পদে বসার পরে দ্বিতীয় বার বিভিন্ন দেশের সফরে বেরিয়েছেন তুলসি (Tulsi Gabbard)। রবিবার ভারতে এসেছেন তিনি। সোমবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গেও বৈঠক করেন গ্যাবার্ড। এর পরে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর ভাবধারা এবং লক্ষ্য একই— ইসলামিক খলিফার নীতি এবং শাসন চালু করা।’’

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন

    গত বছর অগস্টে গণ আন্দোলনের পরে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। দেশ ছাড়েন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। তার পর থেকে সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা (Hindus in Bangladesh) নিশ্চিত করার কথাও বলেছে। গত ডিসেম্বরে নয়াদিল্লি জানায়, হাসিনা সরকারের পতনের পরে সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ২,২০০টি ঘটনা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে আগেই সরব হন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফরের সময় তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয় ট্রাম্পের। ট্রাম্প জানান, বাংলাদেশের বিষয়টি তিনি মোদির উপরেই ছাড়ছেন।

    বাংলাদেশের অভিমত

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন (Hindus in Bangladesh) প্রসঙ্গে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসির (Tulsi Gabbard) কথায় ঘুম উড়েছে বাংলাদেশের। তুলসির এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। ১৭ মার্চ রাতেই এই নিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করে ইউনূসের সরকার বলে, ‘গভীর উদ্বেগ ও দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে এবং ইসলামি সন্ত্রাসীদের হুমকি রয়েছে।’ ঢাকার তরফ থেকে আরও বলা হয়, ‘আরও দুঃখজনকভাবে, তিনি এসব হুমকির শিকড় ইসলামি খিলাফতের শাসন ও পরিচালনার আদর্শের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। বাংলাদেশ বরাবরই শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলামের ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত। বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তুলসি গ্যাবার্ডের মন্তব্য নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ বা গ্রহণযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে নয়; বরং এটি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রকে অন্যায়ভাবে ভুলভাবে উপস্থাপন করে। বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও চরমপন্থার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, তবে এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সামাজিক সংস্কার ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যাচ্ছে।’

    বাংলাদেশের বাস্তব চিত্র

    তবে, ঢাকা যাই বলুক না কেন, বিগত দিনে বাংলাদেশে ক্রমেই বেড়েছে মৌলবাদ। হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চলেছে। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত দেখেছিল ‘আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র’। তবে কয়েক মাস যাওয়ার পরও সেই দেশে হিন্দুদের (Hindus in Bangladesh) ওপর অত্যাচার থামেনি। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয় সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে। এরই মাঝে চট্টগ্রামে হিন্দু এবং বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘু অত্যাচারে সেখানে অভিযুক্ত খোদ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে আরও উত্তাল হয় পরিস্থিতি। এদিকে সেখানে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা পথে নেমেছিল। ‘জুলাই বিল্পবের’ ছাত্র নেতারাও ইসকনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সারজিস আলম চট্টগ্রামে ইসকন এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দেন। সম্প্রতি বাংলাদেশে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহাসচিব ও অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি কপিল কৃষ্ণ মণ্ডলকে। এই আবহে বাংলাদেশে ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হত্যা, নির্যাতন’ নিয়ে উদ্বেগে আমেরিকা। বিশেষত, হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টানদের নিয়ে। ভারত সফরে এসে এবার এই কথাই ফের স্পষ্ট করেন তুলসি।

  • Tulsi Gabbard: ‘খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়েও তুলসীর সঙ্গে কথা রাজনাথের

    Tulsi Gabbard: ‘খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়েও তুলসীর সঙ্গে কথা রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইচ্ছাতে ভারতে এসেছেন তুলসি গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)। সোমবার তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সূত্রের খবর, সিং ও গ্যাবার্ডের মধ্যে বৈঠকে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্পর্ক বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এদিকে বৈঠকে নাকি রাজনাথ সিং দাবি করেন, মার্কিন নিবাসী খালিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের ‘শিখস ফর জাস্টিস’ সংগঠনটিকে জঙ্গি সংগঠনের তকমা দেওয়া হোক।

    দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় সাধন

    সূত্রের খবর, সিং এবং গ্যাবার্ডের মধ্যে এই বৈঠকে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সমন্বয় জোরদার করা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এই সফর এবং বৈঠক ভারত-মার্কিন সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্বকে আরও একবার তুলে ধরেছে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন বিশ্বব্যাপী ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। রবিবার ভারত সফরে এসেছেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড ৷ সেদিন রাতেই তিনি বৈঠকে বসেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার অজিত ডোভালের সঙ্গে। ওই বৈঠকে ডোভাল ও মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী ছাড়াও ছিলেন ভারতের গোয়েন্দা প্রধান, কানাডার গোয়েন্দা প্রধান, ব্রিটেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাও। সূত্রের খবর, অজিত ডোভালের সঙ্গে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা হয়েছে ৷ ভারতে রওনা দেওয়ার আগে এক্স হ্যান্ডেলে তুলসি লিখেছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের লক্ষ্যপূরণই হবে তাঁর এই সফরের উদ্দেশ্য।”

    ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা রক্ষা

    ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা গত দুই দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৫ সালে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব শুরু হয় এবং ২০২০ সালে ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় এটি একটি ব্যাপক গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপে উন্নীত হয়। গ্যাবার্ডের এই সফর এই সম্পর্কের ধারাবাহিকতা এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার একটি প্রতিফলন। রাজনাথ সিং এবং তুলসী গ্যাবার্ডের বৈঠকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়

    এই বৈঠকে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে যৌথ মহড়া, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়ের বিষয়েও কথা হয়েছে। ভারত সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে উন্নত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়ের দিকে ঝুঁকেছে। লজিস্টিকস এক্সচেঞ্জ মেমোরেন্ডাম অফ অ্যাগ্রিমেন্ট (LEMOA), কমিউনিকেশনস কম্প্যাটিবিলিটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাগ্রিমেন্ট (COMCASA) এবং বেসিক এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট (BECA)-এর মতো চুক্তিগুলি দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। গ্যাবার্ডের সঙ্গে এই আলোচনা এই সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে।

    তুলসী গ্যাবার্ড-এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির সম্পর্ক

    ৪৩ বছর বয়সী তুলসী গ্যাবার্ড মার্কিন কংগ্রেসের প্রথম হিন্দু সদস্য হিসেবে পরিচিত। তিনি হাওয়াই থেকে ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি হিসেবে কংগ্রেসে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২২ সালে তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ত্যাগ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করেন এবং এখন তাঁর প্রশাসনে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ভগবদ্গীতার হাতে শপথ নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন এবং ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সেই বইটি উপহার দিয়েছিলেন। গ্যাবার্ড ভারতের প্রতি তাঁর সমর্থনের জন্য পরিচিত। তিনি ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদির আমন্ত্রণে ভারত সফর করেছিলেন এবং আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের বিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন, যা ভারতীয়-মার্কিন সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে।

    খালিস্তান প্রসঙ্গ

    নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠী ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে) এবং তার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য আমেরিকার গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের কাছে দাবি জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সোমবার দিল্লিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে রাজনাথ-গ্যাবার্ড বৈঠকে খলিস্তান-প্রসঙ্গ এসেছে বলেও খবর। জো বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন খালিস্তান নিয়ে একাধিক বার নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছর নিখিল গুপ্ত নামে এক ভারতীয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল মার্কিন প্রশাসন। চেক প্রজাতন্ত্র থেকে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয়েছিল আমেরিকায়। এমনকি, ওই ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গত সেপ্টেম্বরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে তলব করেছিল আমেরিকার আদালত।

    একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা

    খালিস্তান প্রসঙ্গের পাশাপাশি, ডোভাল এবং রাজনাথের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের গোয়েন্দা প্রধানের বৈঠকে অবৈধ অভিবাসন, মাদক বিরোধিতা, সীমান্ত নিরাপত্তা, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মধ্যে সহযোগিতা, যৌনশোষণ রোধ, মানব পাচার, সাইবার নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলি এসেছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, ট্রাম্প দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম কোনও শীর্ষস্থানীয় মার্কিন আধিকারিক ভারত সফরে এলেন। আড়াই দিনের এই সফরে দিল্লিতে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বৈঠকে যোগদানের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্কে নিয়ে একাধিক বৈঠক করবেন গ্যাবার্ড। ভারত সফর শেষে তিনি যাবেন জাপান ও সেখান থেকে ফ্রান্সে পৌঁছবেন।

  • POK: ভারতের মাথার মুকুটমণি! পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে দখলমুক্ত করতে প্রস্তুতি শুরু, ইঙ্গিত রাজনাথের

    POK: ভারতের মাথার মুকুটমণি! পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে দখলমুক্ত করতে প্রস্তুতি শুরু, ইঙ্গিত রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশি শত্রুর দখলে যাওয়া নিজ জমি পুনর্দখল করতে গোপনে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারত। তাহলে কি অধিকৃত কাশ্মীরকে পাকিস্তানের দখলমুক্ত করতে গোপনে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে মোদি সরকার? প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর ইঙ্গিত তেমনই, মনে করছে কূটনৈতিক মহল। পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর (POK) সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর আগেও এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও  (Rajnath Singh) পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য সওয়াল করলেন।

     

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) ইতিহাস

    ভারত ক্রমাগত স্পষ্ট করছে যে, জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ একীকরণ, যেটা দেশ ভাগের সময়কার মতো ছিল, তা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে হওয়া উচিত। একত্রীভূত জম্মু ও কাশ্মীর ছিল একটি বৃহৎ রাজ্য, যার আয়তন ছিল প্রায় ২,১৮,৭৭৯ বর্গকিলোমিটার। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের সময়, জম্মু ও কাশ্মীরের শাসক মহারাজা হরি সিং ছিলেন হিন্দু, তবে কাশ্মীর উপত্যকা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। রাজ্যের সীমান্তে আরও নানা সংস্কৃতি ও ধর্মীয় গোষ্ঠী ছিল, যার মধ্যে ছিল লাদাখের বৌদ্ধরা, গিলগিট-বালতিস্তানের শিয়া ও ইসমাইলি মুসলিমরা।

     

    ভারতের সঙ্গে চুক্তি হরি সিংয়ের

    কাশ্মীরের ভারতের সঙ্গে যুক্তির ইতিহাসও অনেক পরিচিত। ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতার পর, জম্মু ও কাশ্মীরের শাসক মহারাজা হরি সিং স্বাধীনতার জন্য চেষ্টা করেন, কিন্তু পাকিস্তান কাশ্মীরকে (POK) তাদের অংশ হিসেবে দাবি করে এবং এর পরপরই পাকিস্তানী সেনারা কাশ্মীরে আক্রমণ শুরু করে। ১৯৪৭ সালের ২৪ অক্টোবর পাকিস্তানি সেনা এবং ট্রিবাল বাহিনী কাশ্মীরের বন্দরমুল্লা পর্যন্ত পৌঁছায়। এই আক্রমণের ফলে পরিস্থিতি সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে, এবং ২৬ অক্টোবর মহারাজা হরি সিং ভারতের সঙ্গে ‘ইনস্ট্রুমেন্ট অফ অ্যাকসেশন’ স্বাক্ষর করেন। এরপর ভারতীয় সেনা ২৭ অক্টোবর কাশ্মীরে এসে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও যুদ্ধ অব্যাহত ছিল, ১৯৪৮ সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রসংঘের শান্তি প্রস্তাবের পর, কাশ্মীরের সীমান্তে একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয়। এর ফলে ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের বেশ কিছু অংশ হারায়, বিশেষ করে পাকিস্তান-অধিকৃত উত্তরাঞ্চল, যাকে পাকিস্তান ‘আজাদ কাশ্মীর’ হিসেবে দাবি করে। পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (POK) আয়তন প্রায় ১৩,২৯৭ বর্গ কিলোমিটার, এবং সেখানে বসবাসকারী জনসংখ্যার প্রায় ৯৫% মুসলিম। এটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত।

     

    ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ

    গত ১২ জানুয়ারি সোনামার্গ টানেল উদ্বোধনের সময় জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের সবচেয়ে বড় সংযুক্ত রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাশ্মীরের উভয় পাশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা একীভূত হওয়ার জন্য ইচ্ছুক, যদিও এই অনুভূতি এখনও প্রকাশ্যে স্পষ্ট নয়। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়, যেখানে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছিল যে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ পুরোপুরি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে ভারতের রাজনৈতিক অবস্থান দৃঢ় হয়, যদিও জনগণের মধ্যে পুনঃএকীকরণের ব্যাপারে বড় কোনও বিতর্কের সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু, পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে কাশ্মীর-ভূমে অস্থিরতা এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর ফলে কাশ্মীর ইস্যুতে শান্তি প্রতিষ্ঠা আরও জটিল হচ্ছে। ভারত এই সংকটের সমাধান করার ক্ষেত্রে শক্তি ও ঐক্যবদ্ধতার পথে এগিয়ে যাচ্ছে, বলে জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ।

     

    সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প চলছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK)

    সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অধিবাসীদের ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বার্তা দেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “পাকিস্তান আপনাদের সঙ্গে বিদেশির মতো আচরণ করে। আমরা তা করব না। আমরা আপনাদের আপন করে নেব।” রাজনাথ জানান, পিওকে ছাড়া জম্মু ও কাশ্মীর অসম্পূর্ণ। রাজনাথ সিং বলেন, “অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অভিন্ন অঙ্গ। পাকিস্তান নিজেও জানে এই অংশ আসলে তাদের কাছে বিদেশের মাটি। তাই এই মাটিকে তারা সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করে। অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) ওরা জঙ্গি তৈরির কারখানা খুলেছে। সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প চলছে ওখানে।”

     

    ভারতের মাথার মুকুটমণি

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) জম্মু ও কাশ্মীরেরই অংশ, দেশ তো বটেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার এ কথা জানিয়ে এসেছে ভারত। এই ইস্যুতে মামলাও চলছে আন্তর্জাতিক আদালতে। সাম্প্রতিক সময়ে বারবার বিজেপি নেতাদের মুখে শোনা গিয়েছে অধিকৃত কাশ্মীরকে পাক দখলমুক্ত করার বার্তা। ভারতের দাবি, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) জমি সন্ত্রাসবাদের ব্যবসা চালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প, সীমার কাছে লঞ্চ প্যাড যে রয়েছে তার খবর ভারত সরকারের কাছে আছে। জম্মু ও কাশ্মীর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ছাড়া অসম্পূর্ণ। ভারতের মাথার মুকুটমণি এই অঞ্চল।

  • Mahakumbh Mela 2025: অমৃত স্নান করলেন রাজনাথ, মৌনী অমাবস্যায় সপরিবারে ডুব দেবেন অমিত শাহ

    Mahakumbh Mela 2025: অমৃত স্নান করলেন রাজনাথ, মৌনী অমাবস্যায় সপরিবারে ডুব দেবেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলায় (Mahakumbh Mela 2025) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) আগামী ২৭-২৮ জানুয়ারী ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র অমৃত স্নান করবেন। সূত্রের খবর, এই প্রবীণ বিজেপি নেতা নিজে সপরিবারে মেলায় যাবেন। শনিবার মহাকুম্ভের পুণ্যস্নান করেছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী। প্রসঙ্গত, মেলার প্রথম পুণ্যস্নান শুরু হয়েছে ১৪ জানুয়রি পৌষ পূর্ণিমার দিন। দ্বিতীয় পুণ্যস্নান হয়েছে মকর সংক্রান্তিতে। সামনে ২৯ জানুয়ারি হবে মৌনী অমাবস্যার অমৃতস্নান। ওইদিন ১০ কোটি মানুষের সমাগম হবে বলে আশা প্রশাসনের। এই মেলাকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে হিন্দু সমাজের মধ্যে আধাত্মভাবের উন্মাদনা এখন তুঙ্গে।

    আমি এই স্নানকে আমার সৌভাগ্য বলে মনে করি (Mahakumbh Mela 2025)

    শনিবার, ১৮ জানুয়ারি মহকুম্ভের ষষ্ঠদিনে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অমৃত স্নান করেছেন। তিনি গঙ্গার আরতিও করে পুজো দিয়েছেন। গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে তিনি বিশ্ববাসীর জন্য মঙ্গল কামনা করেছেন। স্নান করে বলেন, “আমি এই স্নানকে আমার সৌভাগ্য বলে মনে করি। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আমায় এই সুযোগ করে দিয়েছেন। আজ, সঙ্গমে স্নান করার পরে, আমি খুব পূর্ণ বোধ করছি। এই উৎসবটি ভারতীয় সংস্কৃতি এবং সনাতন ধর্মের আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। হিন্দুশাস্ত্র, ধর্মগ্রন্থ, পুরাণ, প্রাচীন বৈদিক জ্যোতির্বিদ্যার নানা ঘটনা এবং তিথির ওপর ভিত্তি করে আধ্যাত্মিক এবং বৈজ্ঞানিক গণনায় পূর্ণমহাকুম্ভের আয়োজন হয়ে থাকে। গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতীর সঙ্গম ধর্মের সঙ্গে সামাজিক সম্প্রীতির মহামিলন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিশেষ দক্ষতার সঙ্গে বিশ্বের বৃহত্তম জনসমাবেশ (Mahakumbh Mela 2025) পরিচালনা করেছেন। তার জন্য তাঁকে আমি অভিনন্দন জানাই। আগামী পুণ্যস্নান গুলিতেও এই পদ্ধতিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে।”

    ছ’দিনে সাত কোটি মানুষের স্নান

    মহাকুম্ভ মেলা (Mahakumbh Mela 2025) শুরু হওয়ার মাত্র ছদিনের মধ্যেই সাত কোটিরও বেশি ভক্ত, তীর্থযাত্রী, পুণ্যার্থী, সন্ন্যাসী, সাধু-সন্ত, যোগী-ঋষি এবং সাধারণ নাগরিক ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছেন। উত্তরপ্রদেশ সরকার আগেই জানিয়েছিল, এবার মহাকুম্ভে ৪৫ কোটিরও বেশি মানুষের সমাগম হবে। তাই প্রস্তুতিতেও বিরাট আয়োজন। আগামী মৌনী অমাবস্যায় যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি নিয়ে প্রশাসনকে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শুধু দেশেরই নয় বিদেশের সন্তসমাজ এবং আমজনতাও এই অমৃত স্নানে অংশ গ্রহণ করবেন। সব মিলিয়ে মহাকুম্ভ এখন মানব সভ্যতার এক আনন্দধামে পরিণত হয়েছে। উল্লেখ্য, মহাকুম্ভ হল ভারতের সমৃদ্ধ আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মহামিলন মেলা। প্রত্যেক হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এই পবিত্র সঙ্গমে স্নান করতে উন্মুখ হয়ে থাকেন।

    ভিড়ে নজরদারিতে আইসিসিসি-র বিশেষ ব্যবস্থা

    উত্তরপ্রদেশের একটি সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) এতো বিপুল পরিমাণ ভক্তের সমাগমে পুলিশের কাছে এই ভিড় সামাল দেওয়া একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু মেলায় সকল ভক্ত নিজের নিজের সুরক্ষা এবং ব্যবস্থা গ্রহণে কঠোর নিয়ম পালনে আশাব্যাঞ্জক সাড়া দিয়েছেন। মেলার মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার অর্থাৎ আইসিসিসি। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ভিড় সামলানো অনায়াস হয়েছে। শুধু নিয়ন্ত্রণ নয়, ভক্তদের ওপরে কড়া নজরদারিতেও বিরাট ফলপ্রসূ হয়েছে এই ব্যবস্থা। পৌষ পূর্ণিমা এবং মকর সংক্রান্তির স্নানে বিরাট ভিড় সুপরিকল্পিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share