Tag: rajnath singh

rajnath singh

  • Dharmendra Pradhan: পড়ুয়ারা পড়বে দেশের সেনা জওয়ানদের বীরত্বের কাহিনী, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান

    Dharmendra Pradhan: পড়ুয়ারা পড়বে দেশের সেনা জওয়ানদের বীরত্বের কাহিনী, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে স্কুলের পাঠ্যসূচি সম্পর্কে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। স্কুলের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের বীরত্বের কাহিনী। একথা জানিয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। তবে কেন এমন দাবি করলেন তিনি, এই নিয়ে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে।

    জানা গিয়েছে, খুব কম বয়স থেকেই শিশুরা যাতে দেশের সেনা জওয়ান, তাঁদের বীরত্ব, আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারে তার জন্যই এই পদক্ষেপ। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের “বীর গাথা” (Veer Gatha) প্রজেক্টে বক্তব্য রাখার সময়েই এই বড়সড় সিদ্ধান্তের কথা জানান কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। তিনি সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “দেশের প্রতি সন্তানদের যাতে খুব কম বয়সেই দায়িত্ববোধ এসে যায় সেই দিকে ভেবেই শিক্ষা মন্ত্রক ও প্রতিরক্ষামন্ত্রক এই আলোচনা করছে। শিশুদের পাঠ্যক্রমে ভারতের সেনা জওয়ানদের বীরত্ব ও গত ৭৫ বছরে ভারতের বীর গাথার কাহিনি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন? জানুন কী করবেন আর কী করবেন না

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বীর গাঁথা প্রজেক্টটি ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ (‘Azadi Ka Amrit Mahotsav’)-এর একটি অংশ হিসাবে চালু করা প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল দেশের সেনা বাহিনীর বীরত্বপূর্ণ কাজ এবং আত্মত্যাগ সম্পর্কে শিশুদের সচেতন করা ও তাদের অনুপ্রাণিত করা। গত বছর অর্থাৎ ২০২১-এর অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত আয়োজন করা হয়েছিল ‘বীর গাথা প্রতিযোগিতা’-র। যেখানে দেশের মোট ৪,৭৮৮ টি স্কুল থেকে প্রায় ৮.০৪ লক্ষ পড়ুয়া উৎসাহিত ছিল তাদের অনুপ্রেরণামূলক গল্প, বিভিন্ন প্রবন্ধ, কবিতা, ছবি আঁকা এবং মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য। এদের মধ্যে ২৫ জন পড়ুয়াকে বেছে নেওয়া হয়েছে ও তাদের “সুপার ২৫” হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। যে সকল পড়ুয়া এই প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেয়েছে তাদের “সুপার সেনা”-র তকমা দেওয়া হয়েছে। যদিও পরে শিক্ষামন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন যে, দেশের সেনাদের সম্মানে এই প্রতিযোগিতার নাম পরিবর্তন করে ‘সেনা সুপার ২৫’ করা উচিত। এই অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ‘বীরগাথা’ প্রতিযোগিতার ২৫ জনকে বিশেষ পুরষ্কারে ভূষিত করেন।

     

  • Rajnath Singh: ছোট থেকেই সেনায় যোগ দিতে চাইতাম! আবেগপ্রবণ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

    Rajnath Singh: ছোট থেকেই সেনায় যোগ দিতে চাইতাম! আবেগপ্রবণ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছোটবেলা থেকেই ভারতীয় সেনায় যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। পরীক্ষাও দিয়েছিলেন। কিন্তু পারিবারিক অসুবিধার কারণে শেষ পর্যন্ত আর সেনায় যোগ দেওয়া হয়ে ওঠেনি। শুক্রবার মণিপুরের লেইমাখোংয়ে সেনার ৫৭ নম্বর মাউন্টেন ডিভিশন এবং অসম রাইফেলসের একটি যৌথ কর্মসূচিতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

    এদিন নিজের জীবনের এক অজানা অধ্যায় তুলে ধরেন রাজনাথ। তিনি বলেন, বরাবরই সেনাবাহিনীর উর্দি তাঁকে আকর্ষণ করে। এক বার সেনার শর্ট সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম। লিখিত পরীক্ষাও দিয়েছিলাম। কিন্তু, পারিবারিক কিছু পরিস্থিতি এবং আমার বাবার মৃত্যুর কারণে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারিনি।” প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায়, “আপনারা দেখবেন, কোনও শিশুকে সেনাবাহিনীর উর্দি দিলেই তার ব্যক্তিত্ব বদলে যায়। এই উর্দির একটা ক্যারিশমা আছে।”

    প্রসঙ্গত, ছাত্রাবস্থা থেকে সক্রিয় রাজনীতি করা রাজনাথ পেশাগত ভাবে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের একটি কলেজের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক। সেনাদের কাজ যে কোনও পেশা ও পরিষেবার থেকে আলাদা বলেও দাবি করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টরা নিজেদের মতো করে দেশের জন্য অবদান রাখেন। তবে, আমি মনে করি আপনাদের পেশা যে কোনও পেশার এবং পরিষেবার থেকেও বেশি কিছু।” 

    আরও পড়ুন: সরকার গঠন সহজ কিন্তু দেশ গঠন…! জানুন কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    দুদিনের সফরে মণিপুরে এসেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এদিন তিনি অসম রাইফেলসের (দক্ষিণ) ইন্সপেক্টর জেনারেলের সদর দফতর পরিদর্শনে আসেন। তাঁর সফরসঙ্গী হয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ পান্ডে। অসম রাইফেলসের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বহু মানুষকে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে প্রধান ভূমিকা নিয়েছে অসম রাইফেলস। তাই যথার্থই এই বাহিনী উত্তর-পূর্ব ভারতের ‘সেন্টিনেল’।

  • Jagdeep Dhankhar: কৃষক-পুত্র জগদীপ ধনখড়কে শুভেচ্ছা নরেন্দ্র মোদি সহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীদের

    Jagdeep Dhankhar: কৃষক-পুত্র জগদীপ ধনখড়কে শুভেচ্ছা নরেন্দ্র মোদি সহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এবং এনডিএ মনোনীত প্রার্থী জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। সদ্যনির্বাচিত উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনগড়ের জয়ের পরেই শুভেচ্ছা বার্তা জানান রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্ত্রীরা। তিনি ভারতের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) নির্বাচিত হলেন। ধনখড় পেয়েছেন ৫২৮টি ভোট যা মোট ভোটের ৭০ শতাংশ। শনিবার তিনি ইউপিএ প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন। এদিন বিকেলে ফল ঘোষণার পর থেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নায়ডু (M Venkaiah Naidu), কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi), দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (rahul Gandhi)-সহ বহু নেতানেত্রী।

    রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) টুইট করে তাঁকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

    [tw]


    [/tw]

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেন ও তাঁকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান। মোদি টুইট করে বলেছেন, “আমি সেই সমস্ত সাংসদদের ধন্যবাদ জানাই যাঁরা শ্রী জগদীপ ধনখড়কে ভোট দিয়েছেন ৷  যখন ভারত আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালন করছে, তখন আমরা একজন কৃষক পুত্রকে উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে পেয়ে গর্বিত।“

    [tw]


    [/tw]

    বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা টুইট করে লিখেছেন যে, একজন কৃষক পুত্রকে উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে পেয়ে দেশ গর্বিত।

    [tw]


    [/tw]

    জগদীপ ধনখড়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইট করেন, “আমি নিশ্চিত যে উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসাবে ধনখড়জি সংবিধানের একজন আদর্শ অভিভাবক হিসেবে প্রমাণিত হবেন। আমি তাঁকে এই বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানাই।“  

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী জগদীপ ধনখড়, জানেন তিনি কত ভোট পেলেন?

    কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীও এদিন জগদীপ ধনখড়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। রাহুল ধনকড়কে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি আলভাকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিরোধী দলের হয়ে লড়াই করার জন্য।

    [tw]


    [/tw]

    দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

    [tw]


    [/tw]

    আবার বিরোধীদের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী মার্গারেট আলভা (Margarate Alva) ধনখড়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং যারা তাঁকে নির্বাচনে ভোট  দিয়েছেন তাঁদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

    [tw]


    [/tw]

    এছাড়াও এদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন টুইটে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

     

  • PoK: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই! জানুন কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    PoK: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই! জানুন কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (Pakistan-Occupied Kashmir) ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কার্গিল বিজয় দিবসে (Kargil Vijay Divas) বললেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। জম্মুতে ২৩ তম কার্গিল দিবসের অনুষ্ঠানে রাজনাথ বলেন, ‘‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে সংসদে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়িত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে এবং থাকবে। বাবা অমরনাথ ভারতে, আর মা সারদা শক্তি নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে, এটা হতে পারে নাকি!’’ প্রসঙ্গত, শারদাপীঠ হিন্দু দেবী সরস্বতীর মন্দির। এই মন্দির এখন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত।

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ৮ মে থেকে ২৬ জুলাই অবধি হয়েছিল কার্গিল যুদ্ধ। দুর্গম এলাকায় শীতের সুযোগে পাকিস্তানের সেনা ঢুকে পড়েছিল ভারতীয় ভূখণ্ডে। পাক সেনাবাহিনীর সেই অসৎ উদ্দেশ্যকে প্রতিহত করেছিলেন ভারতীয় সেনারা। দুর্গম এলাকায়, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে প্রচুর প্রাণের বিনিময়ে পাক বাহিনীকে হঠাতে সমর্থ হয়েছিল ভারত। তার পর থেকেই পালন করা হয় কার্গিল বিজয় দিবস।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    কার্গিল বিজয় দিবসে যুদ্ধ জয়ের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে রাজনাথের কথায়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্বের কথাও স্বাভাবিক ভাবেই আলোচিত হয়েছে। এ ব্যাপারে রাজনাথ বলেছেন, “আমাদের সেনারা দেশের জন্য সবথেকে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন। প্রচুর সাহসী সেনা ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে নিজেদের জীবন দিয়েছেন। আমি তাঁদের নতমস্তকে প্রণাম জানাই।” পাশাপাশি জম্মুতে যে সব নিরাপত্তারক্ষী দেশের জন্য প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের লোকেদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। 

  • All Party Meeting: সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন, কী বললেন প্রহ্লাদ যোশী?

    All Party Meeting: সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন, কী বললেন প্রহ্লাদ যোশী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন (Monsoon session)। তার আগে রবিবার সর্বদলীয় বৈঠকে (All Party Meeting) বসল সরকার। রবিবার সকাল ১১টায় সংসদের অ্যানেক্স ভবনে বসে বৈঠক। সরকার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh), সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী (Pralhad Joshi)। শনিবার স্পিকার ওম বিড়লার (Om Birla) ডাকা বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল। তবে এদিন তৃণমূলের তরফে সর্বদল বৈঠকে হাজির ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসের তরফে হাজির ছিলেন জয়রাম রমেশ, মল্লিকার্জুন খাড়গে।

    প্রথা মাফিক সংসদে প্রতিটি অধিবেশন শুরুর একদিন আগে সর্বদল বৈঠক ডাকে সরকার। রীতি মেনে ওই বৈঠকে হাজির হয় সব দলই। সংসদের কাজকর্ম স্বাভাবিক এবং সচল রাখতে বৈঠকে বিরোধীদের সহযোগিতা চায় সরকার। এদিনের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। এ নিয়ে ট্যুইট বার্তায় কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ। তিনি লেখেন, সংসদে চলছে সর্বদল বৈঠক। অথচ প্রধানমন্ত্রীই সেই বৈঠকে নেই। এটা কী অসংসদীয় আচরণ নয়?

    আরও পড়ুন : উপরাষ্ট্রপতি পদে বিজেপির বাজি বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়

    কংগ্রেসের এই প্রশ্ন-বাণের উত্তর দিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের আগেও সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিতেন না প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, মনমোহন সিংজি কতবার সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নিয়েছেন?  যোশী জানান, চলতি অধিবেশনে ৩২টি বিল আনবে সরকার। যার মধ্যে ১৪টি বিলই প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। তবে আলোচনা ছাড়া যে সরকার পক্ষ বিল পাশ করাবে না এদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী।

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে শুরু হতে চলা বাদল অধিবেশন চলবে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত। এই অধিবেশন পর্ব চলাকালীনই হবে রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন।

     

  • Indian Navy: শুক্রবার কলকাতার গার্ডেনরিচে অত্যাধুনিক স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন, থাকবেন রাজনাথ, নৌসেনা প্রধান

    Indian Navy: শুক্রবার কলকাতার গার্ডেনরিচে অত্যাধুনিক স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন, থাকবেন রাজনাথ, নৌসেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার, কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স (Garden Reach Shipbuilders and Engineers) নির্মিত নৌসেনার (Indian Navy) নতুন স্টেলথ ফ্রিগেট (Stealth Frigate) শ্রেণির যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। উপস্থিত থাকবেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার (Admiral R. Hari Kumar) সহ নৌসেনা, প্রতিরক্ষামন্ত্রক (Ministry of Defence) ও গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্সের শীর্ষ পদাধিকারীরা।

    প্রোজেক্ট ১৭-আলফা (Project 17-Alpha) প্রকল্পের আওতায় থাকা স্টেলথ ফ্রিগেটের নকশা করেছে নৌসেনার আওতাধীন সংস্থা ডিরেক্টরেট অফ নেভাল ডিজাইন। এই সংস্থাই দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রান্ত’-এর নকশাও করেছে। প্রোজেক্ট ১৭-আলফা প্রকল্পের প্রথম স্টেলথ ফ্রিগেটের নাম ‘আইএনএস নিলগিরি’। পি ১৭-এ (P-17A) ফ্রিগেট ঘরানার এটি হতে চলেছে চতুর্থ জাহাজ। এই প্রকল্পের আওকায় মোট সাতটি জাহাজ তৈরি হচ্ছে। জাহাজগুলি নির্মাণ করছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও ডক লিমিটেডে (MDL) ও কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স (GRSE)। 

    নৌনেসার নিয়মানুসারে, যে কোনও প্রকল্পের প্রথম জাহাজের নামকে সেই প্রকল্পের শ্রেণি হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। যে কারণে, এই প্রকল্পের বাকি ৬টি জাহাজগুলিকে “নিলগিরি-শ্রেণি” ফ্রিগেট হিসেবেও উল্লেখ করা হচ্ছে। আগামীকাল, যে জাহাজটির উদ্বোধন হবে, সেটি হবে গার্ডেনরিচে নির্মিত এই প্রকল্পের আওতায় থাকা দ্বিতীয় জাহাজ। এর আগে, ২০২০ সালে প্রথম জাহাজ গার্ডেনরিচে তৈরি হওয়া এই প্রকল্পের দ্বিতীয় জাহাজ ‘আইএনএস হিমগিরি’ (INS Himgiri) স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: মার্কিন এফ-১৮ না ফরাসি রাফাল! শীঘ্রই সিদ্ধান্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর

    আগামীকালের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তবে, নৌসেনার ঐহিত্য অনুসারে, জাহাজের নামকরণ ও উদ্বোধন করবেন দেশের নৌপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমারের স্ত্রী শ্রমতী কলা হরি কুমার। এই জাহাজের নাম হতে চলেছে ‘আইএনএস দুনাগিরি’ (INS Dunagiri)।

    এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই জাহাজের বৈশিষ্ট্য—

    প্রোজেক্ট ১৭-এ প্রকল্পের আওতায় থাকা ফ্রিগেটগুলি স্টেলথ। অর্থাৎ, এক কথায় এই জাহাজের ওপর এমন আস্তরণ রয়েছে, যাতে এর রেডার সিগনেচার (Radar signature) কমে যায়। এক কথায়, শত্রুর রেডারে ধরা পড়বে না। মূলত, এই জাহাজগুলির প্রধান নকশা প্রোজেক্ট-১৭ শ্রেণি থেকে নেওয়া। তবে, তাতে অনেক আধুনীকিকরণ করা হয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (Surface to Air Missile)-এর ভার্টিকাল লঞ্চ সিস্টেম (VLS) বা লম্বালম্বি নিক্ষেপ-ব্যবস্থা।

    এই জাহাজগুলি অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত। অ্যান্টি-সারফেস ওয়ারফেয়ার (anti-surface warfare) সক্ষমতার অঙ্গ হিসবে এতে রয়েছে ৮টি ব্রহ্মোস (BrahMos) জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র (anti-ship cruise missiles)। এই মিসাইলের সর্বোচ্চ গতি ‘মাক ৩’, অর্থাৎ শব্দের গতির তিনগুণ। পাশাপাশি, এতে রয়েছে ৭৬ মিমি নেভাল গান (OTO Melara 76 mm naval gun)। 

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি নৌসেনার, জেনে নিন নিয়োগ প্রক্রিয়া

    অ্যান্টি-এয়ার ওয়ারফেয়ার (anti-air warfare) সক্ষমতার অঙ্গ হিসবে এতে রয়েছে ৩২টি বারাক ৮ইআর (Barak 8ER) দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (LR-SAM)। এর পাল্লা প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। আকাশপথে আসা শত্রুর যে কোনও বিপদ যেমন যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং মানবহীন বিমান বা ড্রোন— সবকিছুকে ধ্বংস করতে জুড়িহীন এই ইজরায়েলি-জাত ক্ষেপণাস্ত্রের।

    অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার (anti-submarine warfare) সক্ষমতার অঙ্গ হিসবে এতে রয়েছে দুটি টর্পেডো লঞ্চার। এক-একটি থেকে তিনটি করে টর্পেডো নিক্ষেপ করা যায়। এতে রয়েছে ২টি সাবমেরিন-বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার (anti-submarine rocket launchers) যার মধ্য দিয়ে রুশ নির্মিত ১ কিমি পাল্লার আরবিইউ-৬০০০ স্মার্চ-২ (RBU-6000 Smerch-2) রকেট নিক্ষেপ করা যায়। এছাড়া, শত্রুর ছোঁড়া টর্পেডোকে বিভ্রান্ত করতে এতে রয়েছে ২টি অ্যান্টি-টর্পেডো ডিকয় সিস্টেম (anti-torpedo decoy system) এবং ৪টি ডিকয় লঞ্চার (Kavach anti-missile decoy launchers)। 

    এই জাহাজের ডেক থেকে দেশীয় এএলএইচ ধ্রুব মার্ক-৩ (ALH Dhruv MK-III) জলপথ নজরদারি কপ্টার এবং ওয়েস্টল্যান্ড সি-কিং (Westland Sea King) জাহাজ ও সাবমেরিন-বিধ্বংসে পারদর্শী হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা থাকবে। 

  • Modi meets Droupadi Murmu: ভারতের উন্নয়ন সম্পর্কে দ্রৌপদীর উপলব্ধি অসাধারণ: মোদি 

    Modi meets Droupadi Murmu: ভারতের উন্নয়ন সম্পর্কে দ্রৌপদীর উপলব্ধি অসাধারণ: মোদি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি (NDA) পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupadi Murmu) সঙ্গে গতকাল দিল্লিতে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। আজ, শুক্রবার নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) এবং বিজেপি ও এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে মনোনয়ন জমা দিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। দিল্লিতে বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদি। তিনি বলেন, স্থল সমস্যা এবং ভারতের উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে দ্রৌপদীর উপলব্ধি অসাধারণ।

    আরও পড়ুন: রাজনৈতিক থেকে প্রশাসনিক— একনজরে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর জীবন  

    ট্যুইটারে দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি শেয়ার করে মোদি লেখেন, “দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা হল। এনডিএ- র দ্রৌপদী মুর্মুকে দেশের রাষ্ট্রপতির প্রার্থী করার সিদ্ধান্তে খুশি গোটা দেশ। স্থল সমস্যা এবং ভারতের উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে দ্রৌপদীর উপলব্ধি অসাধারণ।”   

    [tw]


    [/tw]

    আগামী ১৮ জুলাই দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তাতে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছেন দ্রৌপদী মুর্মু এবং যশবন্ত সিনহা। ২৪ জুলাই রাষ্ট্রপতি পদে মেয়াদ শেষ হচ্ছে বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ramnath Kovind)। তার আগে, ২১ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগণনা সম্পন্ন হবে। তবে রাইসিনা হিল দখলের লড়াইয়ে কে শেষ হাসিটি হাসে তাই এখন দেখার অপেক্ষা। দ্রৌপদী মুর্মুর নাম প্রস্তাব করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আরও পড়ুন: “ওনাকে সম্মান করি, তবে…”, দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে কী বললেন প্রতিদ্বন্দ্বী যশবন্ত? 

    ওড়িশার রাইরাংপুরের প্রথম কাউন্সিলর ছিলেন দ্রৌপদী। তিনি ঝাড়খণ্ডের নবম রাজ্যপালের দায়িত্বও সামলেছেন। তিনিই ঝাড়খণ্ডের প্রথম রাজ্যপাল যিনি তাঁর কার্যকালীন মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পেরেছিলেন। এছাড়াও ২০০০ এবং ২০০৪ সালে তিনি বিজেডি এবং বিজেপির জোট সরকারে পরিবহণ, পশুপালন এবং মৎস্য দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর সামলেছেন। রাইসিনা দখলের পথে তিনি যশবন্ত সিনহার থেকে অনেকটাই এগিয়ে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।  

    দ্রৌপদী মুর্মু ইতিহাস তৈরি করতে চলেছেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হলে, আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে তিনিই প্রথম ভারতের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে বসবেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি মনোনয়নে প্রস্তাবক বা সমর্থক হিসাবে অনেক আদিবাসী সাংসদ ও বিধায়ককে দিয়ে সই করানো হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার তিন জন। ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম, মালদহের হবিবপুরের বিধায়ক জোয়েল মুর্মু এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের বিধায়ক বুধুরাই টুডু। 

     

  • Agnipath Scheme: আরও বাড়ল বয়সের ঊর্ধ্বসীমা! ১০ শতাংশ সংরক্ষণ কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীতে

    Agnipath Scheme: আরও বাড়ল বয়সের ঊর্ধ্বসীমা! ১০ শতাংশ সংরক্ষণ কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:অগ্নিপথ প্রকল্প’ (Agnipath Scheme) ঘোষণার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নিয়ম শিথিল করল কেন্দ্র। অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং অসম রাইফেলসে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকেও অগ্নিবীরদের (Agniveers) জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বাড়ছে নিয়োগের ঊর্ধ্বসীমাও।

    [tw]


    [/tw]

    শনিবার কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীরদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা আরও ৫ বছর বাড়ানো হল। গত দুবছর করোনা মহামারীর কারণে সেনায় নিয়োগ বন্ধ ছিল। তাই প্রথম বছরে বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। প্রথমে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ছিল ২১ বছর, পরে তা ২৩ বছর করা হয়। এ বার আরও বাড়ল নিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা। তবে এটা শুধু প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীরদের জন্য। তা ছাড়াও, অগ্নিবীররা অবসরের পর কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং অসম রাইফেলসে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, সিআরপিএফে ‘অগ্নিবীর’দের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তার পর দিনই সামনে এল এই ঘোষণা। এর ফলে চার দিন ধরে চলা বিক্ষোভের প্রশমন হবে বলে আশা করছে ওয়কিবহাল মহল।

    আরও পড়ুন: পরিস্থিতি এমন হবে বুঝিনি! একথা কেন বললেন নৌসেনা প্রধান?

    এখন আধাসামরিক বাহিনীর পাঁচটি শাখায় ৭৩ হাজারের বেশি পদ খালি রয়েছে। এগুলি হল বিএসএফ, কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ, ইন্দো তিব্বত বর্ডার পুলিশ (আইটিবিএফ), সশস্ত্র সীমা বল বা এসএসবি এবং সিআইএসএফ। পাশাপাশি, ৭৩,২১৯টি পদ খালি রয়েছে সিএপিএফ এবং অসম রাইফেলসে।

    [tw]


    [/tw]

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে কাজের ক্ষেত্রেও অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা জানানো হয় এদিন। সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেছেন, “নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের উর্ধ্বসীমা শিথিলকরণের মাধ্যমে আমরা যুবকদের প্রতি যত্নশীল মনোভাব পোষণ করেছি। তাঁদের জন্য সংরক্ষণের কথাও ভাবা হচ্ছে।” 

  • Agnipath scheme: বিপুল বেতন পাবেন ‘অগ্নিবীর’রা! মেয়াদ শেষে এককালীন করমুক্ত টাকাও

    Agnipath scheme: বিপুল বেতন পাবেন ‘অগ্নিবীর’রা! মেয়াদ শেষে এককালীন করমুক্ত টাকাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশসেবার জন্য সেনাবাহিনীতে (Indian Army) যোগ দিতে চায় বহু ছেলেমেয়ে। সামরিক বাহিনীতে (Armed Forces) কাজ মানেই একদিকে কঠোর চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে দুর্দান্ত কেরিয়ার। সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বা ‘অগ্নিপথ নিয়োগ যোজনা’-র (Agneepath Scheme) ঘোষণা করেন। এই স্বল্পমেয়াদী চুক্তিভিত্তিক ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পে নিয়োজিত জওয়ানদের পোশাকি নাম ‘অগ্নিবীর’ (Agniveer)। এই বিশেষ স্কিমের আওতায় ৪ বছরের চুক্তিতে নিয়োগ হবে সেনায়। 

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিন বিভাগে সর্বভারতীয় পরীক্ষার মাধ্যমে মোট ৪৬ হাজার পদে চলবে নিয়োগ। অফিসার পদ ছাড়া সেনায় সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। যদিও অনেকেই মনে করছেন, এই চুক্তিভিত্তিক চাকরির শেষে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগোবে ‘অগ্নিবীর’রা। মাত্র ২৫%-কে নিয়োগ করা হবে স্থায়ীপদে, বাকিদের চার বছর পরে অবসর। তবে বিদায়ী ‘অগ্নিবীর’রা অবসরকালে কেন্দ্রের থেকে এককালীন প্রায় ১২ লাখ করমুক্ত টাকা ভাতা পাবেন। এবার জেনে নেওয়া যাক কত বেতন পাবেন অগ্নিবীররা?

    আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে ভারতীয় সেনার অর্ধেক হবে অগ্নিবীর! দাবি সেনা উপপ্রধানের

    চুক্তিভিত্তিক হলেও প্রথম থেকেই ‘অগ্নিবীর’দের জন্য আকর্ষণীয় বেতনের প্যাকেজ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার (Modi govt)। প্রথম বছরে মাসিক ৩০ হাজার টাকা করে বেতন ধার্য করা হয়েছে। তার মধ্যে হাতে মিলবে ২১ হাজার টাকা। ৯ হাজার টাকা করে কেটে নেওয়া হবে। সরকারও সমপরিমাণ টাকা দেবে। অর্থাৎ প্রতিমাসে ১৮ হাজার টাকা করে জমবে ‘অগ্নিবীর’দের। ওই টাকা জমিয়ে চার বছর চাকরির শেষে ‘সেবা নিধি’ (Seva Nidhi) প্রকল্পের মাধ্যমে এককালীন ১১ থেকে ১২ লাখ টাকা পাবেন ‘অগ্নিবীর’রা। তবে কোনও প্রভিডেন্ট ফান্ড থাকবে না। যেহেতু এই সেবা নিধি তহবিলই প্রভিডেন্ট ফান্ডের অনুরূপ।

    চাকরি জীবনের দ্বিতীয় বছরে প্রতি মাসে বেতন হবে ৩৩ হাজার টাকা। তৃতীয় বছরে হবে সাড়ে ৩৬ হাজার টাকা এবং শেষ বছরে ওই বেতন গিয়ে দাঁড়াবে ৪০ হাজার টাকায়। তখন জওয়ানদের নেট পে হবে ২৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রথম বছরে ‘অগ্নিবীর’দের মোট বার্ষিক প্যাকেজ হবে ৪.৭৬ লাখ, এবং চার বছর শেষে তাদের মোট বার্ষিক প্যাকেজ হবে ৬.৯২ লাখ টাকা। এছাড়াও, মেয়াদ ফুরলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ থাকবে।

    এছাড়াও কর্মরত অগ্নি সেনাদের সুরক্ষার দায়িত্ব নেবে সরকার। চুক্তিভিত্তিক কর্মরত সেনাদের চাকরি করতে করতে মৃত্যু হলে পরিবারকে এক কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করবে কেন্দ্র। এছড়া অঙ্গহানি বা কোনওরকম দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৪৮ লাখ টাকা দেওয়া হবে।

  • Jammu-Kashmir Election: বছর শেষেই ভোট ভূস্বর্গে? কাশ্মীরে নির্বাচন নিয়ে বড় মন্তব্য রাজনাথের

    Jammu-Kashmir Election: বছর শেষেই ভোট ভূস্বর্গে? কাশ্মীরে নির্বাচন নিয়ে বড় মন্তব্য রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর শেষে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly polls) হতে পারে ভূস্বর্গে। দু’দিনের সফরে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) গিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। যোগ দেন জম্মুর (Jammu) একটি অনুষ্ঠানে। সেখানেই বছর শেষে বিধানসভা ভোটের ইঙ্গিত দেন রাজনাথ। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, সকলে প্রস্তুত থাকুন। বছর শেষে বিধানসভার ভোট করানোর ভাবনা আছে।

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীরে ভোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত নাড্ডার

    ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয় ৩৭০ ধারা (Article 370)। যার জেরে ভূস্বর্গ হারায় তার বিশেষ মর্যাদা। সেদিনই রাজ্যকে ভাগ করে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল— জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir) ও লাদাখ (Ladakh) গঠন করা হয়। সেখানে অবশ্য কোনও বিধানসভা রাখা হয়নি। এর পর নাশকতা দমনে কোমর কষে নামে কেন্দ্র। মেরুদণ্ড ভেঙে যায় জঙ্গিদের। বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা বাদ দিলে কাঙ্খিত শান্তি ফেরে কাশ্মীরে।

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীরে জামাত অনুমোদিত স্কুল বন্ধ করল সরকার, কেন জানেন?

    ভূস্বর্গে জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত কমতেই বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দেয় নরেন্দ্র মোদির (Modi) সরকার। সেইমতো শুরু হয় সীমানা পুনর্বিন্যাসের (Delimitation) কাজ। সম্প্রতি শেষ হয় সেই কাজ। জমা পড়েছে রিপোর্টও। উপত্যকায় বিধানসভার আসন সংখ্যা ৯০টি। এর মধ্যে জম্মুতে রয়েছে ৪৩টি, কাশ্মীরে ৪৭।

    ডিলিমিটেশন কমিশনের সুপারিশ মতো নির্বাচন কমিশন নতুন বিধানসভা ভিত্তিক মানচিত্র তৈরির কাজ শুরু করতে চলেছে। এই কাজ শেষ হওয়ার আগেই হয়ে যাবে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। সেই কাজটি যথেষ্টই কঠিন। কারণ আগের বিধানসভাগুলি লোপ পেয়েছে। তাই ওই বিধানসভাগুলির ভোটারদের নাম তুলতে হবে নয়া কেন্দ্রে।

    সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (Chief Election Commissioner) রাজীব কুমার। ওই কাজ শেষ হলেই হবে উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচন। যার ইঙ্গিত এদিন মিলল প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথাতেই।

    আরও পড়ুন : কাশ্মীরি পণ্ডিতদের অন্যত্র সরানোর দাবি খারিজ জম্মু-কাশ্মীর সরকারের

     

LinkedIn
Share