Tag: rajnath singh

rajnath singh

  • Rajnath Singh: জম্মু-কাশ্মীর থেকে কাউকে বিতাড়িত হতে দেব না, আশ্বাস রাজনাথের

    Rajnath Singh: জম্মু-কাশ্মীর থেকে কাউকে বিতাড়িত হতে দেব না, আশ্বাস রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) থেকে কাউকে জোর করে তাড়ানো হলে আমরা তা মেনে নেব না। জম্মুর (Jammu) একটি অনুষ্ঠান যোগ দিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এই হুঁশিয়ারি দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)।

    দু দিনের সফরে জম্মু-কাশ্মীরে গিয়েছেন রাজনাথ। এদিন যোগ দিয়েছিলেন হরি সিং নিবাস প্যালেসে মহারাজা গুলাব সিংয়ের রাজপদে অভিষিক্ত হওয়ার দুশো বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে। সেখানেই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পাশাপাশি নাম না করে হুঁশিয়ারি দেন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানকেও।

    আরও পড়ুন : জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সেনা এনকাউন্টারে খতম দুই লস্কর জঙ্গি

    নয়ের দশক থেকে বারবার রক্তাক্ত হয়েছে ভূস্বর্গ। বেছে বেছে ভিটেমাটি ছাড়া করা হয়েছে কাশ্মীরি হিন্দু পণ্ডিতদের। ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পরেই কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে প্রতিহত করতে মাঠে নামেন তিনি। জম্মু-কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। ভেঙে দেওয়া হয় বিধানসভা। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন করতে উদ্যোগী হয়েছে মোদি সরকার। শেষ হয়েছে ডিলিমিটেশনের কাজ। দ্রুত শুরু হয়ে যাবে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজও।

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীরে ডিলিমিটেশন নিয়ে পাকিস্তানের ‘প্রহসনমূলক’ প্রস্তাব খারিজ ভারতের

    শান্তির ভূস্বর্গে সম্প্রতি শুরু হয়েছে টার্গেট কিংলিং। বেছে বেছে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকজনকে খুন করা হচ্ছে নৃশংসভাবে। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে রাজনাথ বলেন, জম্মু-কাশ্মীর থেকে কাউকে জোর করে তাড়ানো হলে তা মেনে নেব না। তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীর অভিবাসনের কষ্ট পেয়েছে। কোনও পরিস্থিতিতেই আর তা হতে দেব না। আর কোনও সম্প্রদায়কে জম্মু-কাশ্মীরের কোনও অংশ থেকে তাড়ানো হলে, তা মেনে নেব না।

    তিনি বলেন, সম্প্রতি উপত্যকায় ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। ভাদরবা এলাকায় যা ঘটে গিয়েছে, তা জম্মু-কাশ্মীরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পরিপন্থী। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, সত্তর বছর ধরে যন্ত্রণাবিদ্ধ হয়েছে কাশ্মীর। রোগমুক্তি ঘটেছে। এখন যে জম্মু-কাশ্মীর দেখছেন, তা নতুন। আত্মনির্ভর। নবকলেবরের এই জম্মু-কাশ্মীর কেবল ভারত নয়, গোটা এশিয়া মহাদেশেই একটি ঈর্ষনীয় মডেল।

    এদিন নাম না করে পাকিস্তানকেও নিশানা করেছেন রাজনাথ। বলেন, আমাদের এক প্রতিবেশী দেশ জম্মু-কাশ্মীরে ঘৃণার বীজ বপন করে চলেছে। ১৯৪৭-৪৮ সালের কাবাইলি হামলা থেকে সম্প্রতি শুরু হওয়া টার্গেট কিলিংয়ের ষড়যন্ত্র করে চলেছে তারা।

     

  • Defence Recruitment “Agnipath”: সেনায় ৪ বছর দিক যুবারা, “অগ্নিপথ” প্রকল্পের ঘোষণা রাজনাথের

    Defence Recruitment “Agnipath”: সেনায় ৪ বছর দিক যুবারা, “অগ্নিপথ” প্রকল্পের ঘোষণা রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেনাবাহিনীর অগ্নিপথে দেশের তরুণরা। সেনার (Army) তিন বিভাগে চাকরি নিয়ে মঙ্গলবার “অগ্নিপথ প্রকল্পের” ঘোষণা করলেন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগাতে এবং কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক অ্যাখ্যা দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Defence Minister)। এই প্রকল্পের আওতায় ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সী তরুণরা দেশের সেনাবাহিনীতে সাময়িকভাবে ” অগ্নিবীর” (Agniveer) হিসেবে কাজে যোগ দিতে পারবেন। ৪ বছরের চুক্তিভিত্তিক এই নিয়োগে মিলবে আকর্ষণীয় বেতন সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা।

    [tw]


    [/tw]

    জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্যই হল বেতন, পেনশন বিল কমানো এবং অস্ত্রের জরুরি সংগ্রহের জন্য তহবিল খালি করা। এই প্রকল্পের অধীনে চার বছরের জন্য সেনাতে লোক নিয়োগ করা হবে। এই চার বছরের কাজের মধ্যে চাকরি প্রার্থীদের প্রথম ছয় মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নিয়োগের প্রথম কিস্তিতে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিন শাখায় ৪৫,০০০ এর বেশি নিয়োগ হবে। সরকারি তরফে তাঁদের জন্য ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা বেতন বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও চিকিৎসা, বিমা সহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা পাবেন তাঁরা। 

    চার বছর পর এই সৈন্যদের মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশকে স্থায়ীভাবে কাজে বহাল রাখা হবে। তাঁরা ক্যাডারে নিযুক্ত হয়ে আরও ১৫ বছর নন-অফিসার পদে চাকরি করতে পারবেন।জানা গিয়েছে, চার বছরের মেয়াদে চাকরি চলে যাওয়ার আনুমানিক ৩০ দিনের মধ্যে ২৫ শতাংশ সেনাকে চাকরিতে ফিরিয়ে আনা হবে। চাকরিতে যোগ দেওয়ার নয়া তারিখ ধরে তাঁদের নিয়োগ করা হবে। সেই তারিখের ভিত্তিতেই বেতন এবং পেনশন পাবেন সেনারা। এই পদ্ধতিতে নিয়োগ চালু হলে সেনাদের প্রথম চার বছরের পেনশনের ভার বহন করতে হবে না কেন্দ্রকে। তার ফলে প্রচুর ৫.২ কোটি টাকা বাঁচবে সরকারের।

    [tw]


    [/tw]

    চার বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে থাকবেন যাঁরা ‘সেবা নিধি প্যাকেজ’ এর অন্তর্ভুক্ত হবেন সৈনিকরা। তাঁদের বেতনের ৩০ শতাংশ প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য কাটা হবে তাতে সরকারও সমান অবদান রাখবে। এর ফলে সৈন্যরা চার বছরের চাকরির পরে তাদের অবসর গ্রহণের সময় এককালীন ১০ লাখ টাকা পাবে। যদিও চাকরি ছাড়ার পর তাঁরা আর পেনশন যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।  

    দিন কয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) সঙ্গে স্বল্পমেয়াদী নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠকে বসেছিল দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)। এবার পরিকল্পনাটি সামরিক বিষয়ক বিভাগ দ্বারা বাস্তবায়ন হতে চলেছে। এবার থেকে সামরিক বাহিনীতে স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে নিয়োগ চলবে। এই প্রকল্পের ফলে প্রতিরক্ষা খাতে সরকারের ব্যায়ও কিছুটা কমবে। আর্থিক সাশ্রয়ের জন‌্যই জওয়ান ও অফিসার নিয়োগে এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ভাবনা কেন্দ্রের। 

    এই প্রকল্পকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিন বিভাগের প্রধানেরা। সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে জানান, এই প্রকল্পের ফলে সেনাবাহিনীতে তরুণ এবং অভিজ্ঞ সেনাদের যথোপযুক্ত সংমিশ্রণ ঘটবে। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী বলেন, বিমানবাহিনীতে আধুনিক-প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটাতে তরুণ সম্প্রদায় বড় ভূমিকা নেবে। নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার জানান, মহিলারাও এই প্রকল্পে সমান সুবিধা পাবেন। মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের নিয়োগ সম্পূর্ণ হবে। প্রশিক্ষণের পর ২০২৩ সালের জুলাইয়ে প্রথম দফায় কাজ শুরু করবে ‘অগ্নিবীর’রা।

     

  • Indian Defence: প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভর! ৭৬ হাজার কোটি টাকার সমরাস্ত্র কেনায় সায় কেন্দ্রের

    Indian Defence: প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভর! ৭৬ হাজার কোটি টাকার সমরাস্ত্র কেনায় সায় কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতা বাড়াতে নয়া পদক্ষেপ প্রতিরক্ষামন্ত্রকের। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সমরাস্ত্র কেনায় মিলল ছাড়পত্র। সায় দিল প্রতিরক্ষামন্ত্রক (Ministry of defence)। এজন্য অনুমোদন করা হয়েছে ৭৬ হাজার কোটি টাকা। ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের (defence acquisition council) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath singh) এর সভাপতিত্বে ওই বৈঠক হয়।

    জানা গিয়েছে, এই অর্থে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য রাফ টেরেন ফর্ক লিফ্ট ট্রাক (RTFLT), ব্রিজ লেইং ট্যাঙ্ক (BLT), হুইলড্ আর্মার্ড ফাইটিং ভেহিকল (WhAFV), অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (ATGM) কেনা হবে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি উয়েপন লোকেটিং রাডারও (WLR) কেনা হবে। ৩৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নৌবাহিনীর জন্য পরবর্তী প্রজন্মের করভেট (NGC) যুদ্ধজাহাজ কেনায়ও মিলেছে সায়। মোট ৮টি করভেট (Corvette) নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি, নজরদারি এবং এসকর্ট অপারেশনকে আরও অত্যাধুনিক করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে।

    আরও পড়ুন : সফল উৎক্ষেপণ অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের, আওতায় ভারতের প্রতিবেশীরা

    উপকূলরক্ষী বাহিনী (Coast Guard) অত্যাধুনিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এজন্য একটি প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় বাহিনীর নানা সারফেস ও অ্যাভিয়েশন অপারেশন, লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এবং এইচআর প্রক্রিয়াগুলি জিডিটাইজ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে।

    প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। আত্মনির্ভরতার পথে চলতি বছর বিপুল পরিমাণ অস্ত্র রফতানি করে ভারত। লোকসভায় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি বেড়েছে প্রায় ৬ গুণ। চলতি অর্থবর্ষের ২১ মার্চ পর্যন্ত ১১ হাজার ৬০৭ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করেছে ভারত।

    আরও পড়ুন : হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

    আত্মনির্ভর ভারত গড়তে প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তার প্রমাণ মিলেছে নানা সময়। ২০২১ সালে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আকাশ (Akash) মিসাইল রফতানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজনাথ জানান, ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে মহাকাশ গবেষণা ও প্রতিরক্ষা সংস্থার সঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার সরঞ্জাম রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

     

     

  • India-Israel Defence: ভবিষ্যৎ সামরিক প্রযুক্তি নিয়ে যৌথ গবেষণা, উৎপাদন করবে ভারত-ইজরায়েল?

    India-Israel Defence: ভবিষ্যৎ সামরিক প্রযুক্তি নিয়ে যৌথ গবেষণা, উৎপাদন করবে ভারত-ইজরায়েল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নতুন চুক্তি করল ভারত ও ইজরায়েল। এই চুক্তির মূল লক্ষ্য হল ভবিষ্যতের সামরিক প্রযুক্তি এবং অস্ত্র ও সিস্টেমের সহ-উৎপাদনের ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়ন করা এবং একইসঙ্গে সামরিক সহযোগিতা আরও গভীর করার দিকে মনোনিবেশ করা।

    প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত-ইজরায়েল সহযোগিতা (India Israel Defence cooperation) নিয়ে আলোচনা করলেন দু’দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। বৃহস্পতিবার দুই দিনের সফরে ভারতে এসেছেন করেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেঞ্জামিন গ্যান্টজ। নয়াদিল্লি সফরে এসে প্রথমদিনই তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। দুই দেশ একে অপরকে সহযোগিতা করতে বদ্ধপরিকর বলে ট্যুইট করেন রাজনাথ। তিনি জানান, ‘India-Israel Vision on Defence Cooperation’ নিয়ে চুক্তিবদ্ধ হয় দুই দেশ।

    [tw]


    [/tw]

    বালাকোটের এয়ার স্ট্রাইক (Balakote Air Strike) থেকে পূর্ব লাদাখে (Ladakh) চিনা বাহিনীর (PLA) উপর নজরদারি, শত্রুপক্ষকে ধরাশায়ী করার যুদ্ধাস্ত্র তৈরির প্রযুক্তিতে বরাবরই ইজরায়েলি নির্ভরতা নজরে এসেছে। হেরন টিপি ড্রোন (Heron TP Drone) থেকে শুরু করে ফ্যালকন (Falcon)— শত্রুসেনার ওপর আক্রমণ শানানোর মতো সামরাস্ত্র ইজরায়েলের (Israel) থেকেই কিনেছে ভারত (India)। প্রতিরক্ষার কৌশল (Defence strategy) হোক বা সামরাস্ত্র তৈরির প্রযুক্তির আদানপ্রদান (Defence technology), ইজরায়েলকে সবসময়েই পাশে পেয়েছে ভারত। এবার সামরিক ক্ষেত্রে এই পারস্পরিক সহযোগিতাকেই অন্য মাত্রা দিতে চলেছে দুই দেশ।

    চলতি বছর ভারত-ইজরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩০ তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত হচ্ছে। এই তিন দশকে দুদেশের মধ্যে  দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র, রাডার, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য অস্ত্র ও সরঞ্জামের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির আদানপ্রদান হয়েছে। ভারত ও ইজরায়েল যৌথভাবে মাঝারি-পাল্লার সারফেস-টু-এয়ার-মিসাইল (MRSAM) বারাক 8 (Barak 8) এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তৈরি করেছে। গত সেপ্টেম্বরে, ভারতীয় বায়ুসেনা এই সিস্টেমকে অন্তর্ভুক্ত করেছে যা ৭০ কিলোমিটার পাল্লা পর্যন্ত শত্রুর যে কোনও যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার এবং আনম্যানড্ এরিয়াল ভেহিকল (ইউএভি) যানের মতো বায়বীয় হুমকিকে ছিটকে দিতে সক্ষম।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর,  নিরাপত্তা সংক্রান্ত ওই বিশেষ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন দুই দেশের মন্ত্রী। ভারত-ইজরায়েলের মধ্যে ৩০ বছরের নিরাপত্তা সম্পর্ক আরও জোরদার করতে নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি সহযোগিতা সম্প্রসারণ নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে দু’পক্ষ। ভারত ও ইজরায়েল উভয় দেশই সীমান্ত নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে পারি এবং উভয় দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থ নিশ্চিত করতে পারি।”

    প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত ও ইজরায়েলের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রথম নয়। যৌথ উদ্যোগে অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম তৈরির জন্য সাব-ওয়ার্কিং গ্রুপও তৈরি করেছে ভারত-ইজরায়েল। দুই দেশের প্রতিরক্ষা সচিব ও সমরাস্ত্র নির্মাতা সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা ওই গ্রুপে রয়েছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উৎপাদিত অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম অন্য দেশে বিক্রিও ওই গ্রুপের অন্যতম লক্ষ্য। আগামী দিনেও যুদ্ধাস্ত্র তৈরির প্রযুক্তি আদানপ্রদান করবে দুই দেশ।

    ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) এবং ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা সংস্থা ডিরেক্টরেট অব ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (DDR and D)-এর মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশই প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে তাদের আধুনিক প্রযুক্তির আদানপ্রদান করবে বলেও স্থির হয়েছে।

  • Rajnath Singh: ভিয়েতনামকে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ১২টি গার্ড বোট উপহার ভারতের

    Rajnath Singh: ভিয়েতনামকে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ১২টি গার্ড বোট উপহার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ভারত ও ভিয়েতনামের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তবে এই সম্পর্ক ক্রমাগত আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। কারণ  দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী (Defence Minister) রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বৃহস্পতিবার ভিয়েতনাম (Vietnam) কে ১২টি দ্রুতগতি সম্পন্ন গার্ড বোট (Guard Board) উপহার দেন। তুলে দেন ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চেক। সেদেশে এয়ারফোর্স অফিসারদের ট্রেনিং স্কুল তৈরির জন্য এই সাহায্য। বুধবারই তিনদিনের ভিয়েতনাম সফরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করতে সেখানে গিয়েই তিনি ভারতের তরফে এই উপহারের ডালি তুলে দেন ভিয়েতনামের হাতে। হোং হা শিপইয়ার্ডের (Hong Ha shipyard ) এক অনুষ্ঠানে  ভিয়েতনামকে দ্রুতগতি সম্পন্ন গার্ড বোর্ড উপহার দেন। এই বোটগুলি ভারত সরকারের অধীনে নির্মিত হয়েছে।  এর মধ্যে ৫টি বোট ভারতের এল অ্যান্ড টি শিপইয়ার্ডে (L&T Shipyard) তৈরি । বাকি ৭টি বোট হোং হা শিপইয়ার্ডে (Hong Ha Shipyard) তৈরি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আত্মনির্ভরতার পথে ভারতের জৈব প্রযুক্তি অর্থনীতি

    তিনি এদিন জানান, “কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বিভাগের অধীনে ১২টি দ্রুতগতি সম্পন্ন গার্ড বোট নির্মাণের প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি আত্মবিশ্বাসী যে এটি ভারত ও ভিয়েতনামের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।“

    রাজনাথ সিং বলেন, “প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) “মেক ইন ইন্ডিয়া (Make In India), মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড”(Make For The World) এর একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।“  তিনি আরও জানান, ভিয়েতনামের মতো অন্যান্য ঘনিষ্ঠ দেশগুলো যদি উন্নত ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্পের রূপান্তরের অংশ হয়ে ওঠে, তবে তাঁরা  অত্যন্ত আনন্দিত হবেন।

    আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভর! ৭৬ হাজার কোটি টাকার সমরাস্ত্র কেনায় সায় কেন্দ্রের

    এদিন ভারত ও ভিয়েতনামের মধ্যে একটি  নতুন চুক্তিও স্বাক্ষর করা হয় যা ২০৩০সালের মধ্যে  ভারত-ভিয়েতনামের  প্রতিরক্ষা বিভাগকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। দুই দেশের  প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে ২০৩০ সালের মধ্যে আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যেই এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। এই চুক্তিটি রাজনাথ সিং ও ফান ভ্যান গিয়াং (Phan Van Giang) -এর মধ্যে আলোচনার পরই স্বাক্ষর করা হয়। ভারত-ভিয়েতনামের মধ্যে এই চুক্তি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা বিভাগ আরও উন্নত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

  • Vice President Election: মোদিকে পাশে বসিয়ে মনোনয়নপত্র জমা জগদীপ ধনখড়ের

    Vice President Election: মোদিকে পাশে বসিয়ে মনোনয়নপত্র জমা জগদীপ ধনখড়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi)পাশে বসিয়ে উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) পদে মনোনয়নপত্র (Nomination) জমা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh), কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি (Nitin Gadkari), বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) এবং অন্যান্য বিজেপি নেতারা।  

    আরও পড়ুন: উৎসবের মেজাজে চলছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, দেখুন ভোট দিলেন কারা

    [tw]


    [/tw]

    জগদীপ ধনখড়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরেই ট্যুইট করেন মোদি। তিনি লেখেন, “বিভিন্ন দলের মন্ত্রী, সাংসদ, নেতারা শ্রী জগদীপ ধনখড়কে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গ দিয়েছেন। আমি নিশ্চিত যে তিনি একজন চমৎকার এবং অনুপ্রেরণাদায়ী উপরাষ্ট্রপতি হবেন।” 

    আরও পড়ুন: জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন বিজেডি-এআইএডিএমকের, ইস্তফা দিলেন রাজ্যপাল

    [tw]


    [/tw] 

    গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নাম ঘোষণা করে সবাইকে চমকে দেন। বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে জগদীপ ধনখড়ের নাম গত তিনবছরে বারবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। ধনখড়ের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কের তিক্ততা বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। অবশেষে সেই জটিলতার অবসান। রবিবার রাতে বাংলার রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। সাময়িকভাবে বাংলার রাজ্যপালের পদ সামলাবেন মণিপুরের রাজ্যপাল এল গণেশন। ২০১৯ সালে ৩০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ধনখড়। আগামী ৬ অগাস্ট হবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। বর্তমানে দেশের উপরাষ্ট্রপতির পদ সামলাচ্ছেন ভেঙ্কাইয়া নাইডু।   

  • Rajnath Singh: এধরনের যুদ্ধজাহাজ আত্মনির্ভরতার প্রতীক, স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধনে বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: এধরনের যুদ্ধজাহাজ আত্মনির্ভরতার প্রতীক, স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধনে বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভ্যন্তরীণ হোক বা আন্তর্জাতিক— ভারত মহাসাগর অঞ্চলে যে কোনও সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে দেশের নৌসেনাকে। শুক্রবার কলকাতায় যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধনে এসে এমনটাই জানালেন রাজনাথ সিং। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বললেন, গোটা মহাসাগরীয় অঞ্চলে সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। 

    গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স নির্মিত ভারতীয় নৌসেনার অত্যাধুনিক স্টেলথ ফ্রিগেট ‘আইএনএস দুনাগিরি’-র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ। তিনি বলেন, বিশ্বের পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। সেই অনুযায়ী, ভারতের পরিকাঠামো উন্নত করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্রমাগত প্রবর্তিত হচ্ছে। ভারত মহাসাগরীয় ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চান, দেশের জলসীমান্তকে সুরক্ষিত ও সংরক্ষিত রাখতে নৌসেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা ও পরিকাঠামো উন্নত থেকে উন্নততর করা হোক।

    আরও পড়ুন: শুক্রবার কলকাতার গার্ডেনরিচে অত্যাধুনিক স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন, থাকবেন রাজনাথ, নৌসেনা প্রধান

    রাজনাথ বলেন, এধরনের অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ভারতের আত্মনির্ভরতার প্রতীক। এই জাহাজ ভারতের সক্ষমতা প্রমাণ করে। নৌসেনার শক্তি প্রদর্শন করে। তিনি মনে করিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার সংকল্প নিয়েছেন, তা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর ফলে, দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে এক বিরাট পরিবর্তন আসবে।  

    এদিন যে জাহাজের উদ্বোধন হল, তা প্রোজেক্ট ১৭-আলফা (Project 17-Alpha)-র অন্তর্গত। প্রথম স্টেলথ ফ্রিগেটের নাম ‘আইএনএস নিলগিরি’। পি ১৭-এ (P-17A) ফ্রিগেট ঘরানার এটি হতে চলেছে চতুর্থ জাহাজ। এই প্রকল্পের আওকায় মোট সাতটি জাহাজ তৈরি হচ্ছে। জাহাজগুলি নির্মাণ করছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও ডক লিমিটেডে (MDL) ও কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স (GRSE)। এর আগে, ২০২০ সালে প্রথম জাহাজ গার্ডেনরিচে তৈরি হওয়া এই প্রকল্পের দ্বিতীয় জাহাজ ‘আইএনএস হিমগিরি’ (INS Himgiri) স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: মার্কিন এফ-১৮ না ফরাসি রাফাল! শীঘ্রই সিদ্ধান্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর

    রাজনাথের পাশাপাশি এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার। তিনি বলেন, ভারতীয় জলসীমা সুরক্ষিত করার পাশাপাশি ভারতীয় নৌসেনার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হল দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করা। তিনি মনে করিয়ে দেন, এই যুদ্ধজাহাজ তৈরি করতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৩ হাজার স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। 

  • Defence ministry: গত আর্থিক বর্ষে ১৩ হাজার কোটি টাকা রেকর্ড রফতানি ভারতের

    Defence ministry: গত আর্থিক বর্ষে ১৩ হাজার কোটি টাকা রেকর্ড রফতানি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) স্বপ্নের আত্মনির্ভর ভারতের দিকে আরও এক ধাপ এগোল দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রক (Defence Ministry )। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফাতানিতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করল ভারত (India)। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত আর্থিক বর্ষে ১৩ হাজার কোটি টাকা রফতানি করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারতের দিকে লক্ষ্য রেখে কেন্দ্রের তরফে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। গত ২০২১-২২ আর্থিক বর্ষে ১৩ হাজার কোটি টাকা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করা হয়েছে বলে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। মোট রফতানি অর্থের বেসরকারি খাত থেকে এসেছে ৭০ শতাংশ এবং ৩০ শতাংশ এসেছে সরকারি খাত থেকে।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, আগের আর্থিক বছরগুলির তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রফতানি বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা রেকর্ড। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করা হয়। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানির বৃদ্ধির কথা জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় জাজু (Sanjay Jaju)।

    আরও পড়ুন: পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের যুদ্ধবিমান

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে আরও খবর, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রফতানি পরিমাণ বেড়েছে তার আগের বছরগুলির তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ। ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে রফতানির পরিমাণ ভারতীয় টাকায় ছিল প্রায় ৮ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ সালে ৯ হাজার ১১৫ কোটি এবং ২০১৫-১৬ সালে এই পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৯ কোটি। করোনা অতিমারির জন্যই ২০২০-২১ অর্থ বর্ষে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি কিছুটা কম হয়েছিল বলে মন্ত্রক জানিয়েছে।

    আরও পড়ুন: মোদি-আবে রসায়নই কি চিন্তা বাড়িয়েছিল চিনের? ইন্দো-জাপান মধুর সম্পর্কের স্থপতি শিনজো

    প্রসঙ্গত, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর,  যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করতে কলকাতায় আসছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ১৫ জুলাই গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সে একটি যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করবেন তিনি। গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স যে তিনটি ফ্রিগেজ জাহাজ নির্মাণের বরাত পেয়েছে তার মধ্যে দ্বিতীয় জাহাজ এটি। 

  • Modi Biden Virtual Meet: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধ হবে না, আমেরিকাকে সটান জবাব ভারতের 

    Modi Biden Virtual Meet: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধ হবে না, আমেরিকাকে সটান জবাব ভারতের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে(Russia Ukraine war) ফের একবার ভারসাম্যের নীতি নিল ভারত (India)। আমেরিকাকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ হোক চাইলেও, রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধ করবে না নয়াদিল্লি। ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় (India-US 2+2 dialogue) একথা সাফ জানিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে। এই যুদ্ধ নিয়ে গোটা বিশ্ব ভাগ হয়ে গিয়েছে দু ভাগে। এক দিকে রয়েছে রাশিয়ার মিত্র দেশগুলি। অন্য দিকে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে ন্যাটোভুক্ত (NATO) দেশগুলির পাশাপাশি আমেরিকাও (USA)। যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Russian President Vladimir Putin) দায়ী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US President Joe Biden)। 

    ভারত যেন রাশিয়ার কাছ থেকে তেল না কেনে, সে ব্যাপারেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন কর্তাব্যক্তিরা। তবে ভারত যে তাতে বিশেষ কান দেয়নি, তার প্রমাণ মেলে এই কিছু দিন আগেই রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কেনায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত যে কোনও একপক্ষ নেবে না, তা প্রথম থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। প্রত্যাশিতভাবেই আমেরিকার হুমকিও ধর্তব্যের মধ্যেই আনেনি নয়াদিল্লি।

    ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় জয়শঙ্করের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Defence Minister Rajnath Singh)। আর ব্লিঙ্কেন ছাড়া আমেরিকার পক্ষে হাজির ছিলেন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। জয়শঙ্কর মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে(Antony Blinken) সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ভারত যুদ্ধ চায় না। তবে রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধের কথাও আপাতত ভাবা হচ্ছে না। 

    জয়শঙ্কর বলেন, আপনারা যদি রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি কেনার বিষয়টি দেখেন, তবে আমি বলব আপনারা ইউরোপের দিকে তাকান। আমরা জ্বালানি কিনি প্রয়োজনের জন্য। তবে আমরা এক মাসে যে পরিমাণ জ্বালানি কিনি, সেই পরিমাণ জ্বালানি ইউরোপ কেনে এক বেলায়। ভারত যে যুদ্ধের বিপক্ষে,তা ফের একবার স্পষ্ট করে দেন বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্কর বলেন, আমরা যুদ্ধের বিরুদ্ধে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও কূটনৈতিকভাবে সমস্যার সমাধানে বিশ্বাসী আমরা। আমরা হিংসারও বিরুদ্ধে। হিংসা রুখতে যে কোনও পদক্ষেপ করতেও রাজি আমরা।

    ভারত যে রাশিয়া থেকে খুবই কম পরিমাণ জ্বালানি কেনে, গত সপ্তাহে তা জানিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসের (White House) প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি। তিনি জানিয়েছিলেন, রাশিয়া যে পরিমাণ জ্বালানি রফতানি করে, তার এক থেকে দু’শতাংশ কেনে ভারত। তবে মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাইডেন সরকার।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে তাঁদের দেশের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, আমরা ইউক্রেনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমিকতার পক্ষে। সে দেশের মূল্যবোধকেও গুরুত্ব দিই আমরা। দশকের পর দশক ধরে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের গভীর সম্পর্ক (India Russia friendship) গড়ে উঠেছে। সেই সময় আমেরিকা ভারতের বন্ধু দেশ ছিল না। তবে এখন আমরা ভারতের বন্ধু হতে উৎসাহী।

    চিন ও পাকিস্তানকে চাপে রাখতে আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্বেও আগ্রহী ভারত। তবে সেজন্য এখনই রাশিয়ার হাত ছাড়তে রাজি নয় সাউথ ব্লক। ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক (India-US bilateral relation) বৈঠকে ঠারে-ঠারে সেই কথাটাই আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন জয়শঙ্কর।

     

  • Rajnath at DefConnect 2.0: বিশ্বের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ভারতকে আরও শক্তিশালী হতেই হবে, বললেন রাজনাথ

    Rajnath at DefConnect 2.0: বিশ্বের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ভারতকে আরও শক্তিশালী হতেই হবে, বললেন রাজনাথ

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীজুড়ে ক্ষমতার ভরকেন্দ্রের সমীকরণ দ্রুত পাল্টাচ্ছে। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে প্রতিরক্ষা (defence) ও শান্তি বজায় নিশ্চিত করতে নিজেদের আরও শক্তিশালী রাষ্ট্র (powerful nation) হিসেবে গড়ে তোলা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই ভারতের (India)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russo-Ukrainian War) প্রেক্ষিতে এমনটাই জানালেন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। 

    প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত শিল্প সম্মেলন ‘ডেফকানেক্ট ২.০'(DefConnect 2.0) -এর উদ্বোধনে এসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী (defence minister) জানান, বিশ্বে এখন অনেক ঘটনাই ঘটছে যার ফলে ভারত প্রভাবিত হচ্ছে। তিনি বলেন, গত বছর (ফেব্রুয়ারি) এরো ইন্ডিয়ার সময় থেকে এখন এই একটা বছরে বিশ্ব অনেকটা পাল্টে গেছে। এতটাই যে, তা পরিমাপ করা অসম্ভব। এখন প্রত্যেকটি নতুন বিপদ আগের তুলনায় আরও জটিল, আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে।

    রাজনাথ বলেন, আমরা এখনও কোভিড বিপর্যয় থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারিনি। অথচ, বিশ্বের সামনে এসে উপস্থিত হয়েছে ইউক্রেন (ukraine) সমস্যা। বিশ্বের (শক্তির) ভারসাম্য যে হারে সময়ের সঙ্গে দ্রুত পাল্টাচ্ছে, নিজেদের শক্তিশালী করা ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় নেই। 

    রাজনাথ যোগ করেন, এর আগে, মধ্যপ্রাচ্য (Middle east) থেকে শুরু করে আফগানিস্তান (Afghanistan) ও পাকিস্তানে (Pakistan) অস্থিরতা দেখেছে বিশ্ব। এর পাশাপাশি, বিশ্বে এখন অনেক কিছুই ঘটে চলেছে, যার প্রভাব ভারতে পড়ছে। যে কারণে, নিজেদের ক্ষমতাবলে প্রতিরক্ষা, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। 

     

LinkedIn
Share