Tag: rajnath singh

rajnath singh

  • Agnipath scheme: নিয়ম শিথিল! অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বেড়ে ২৩

    Agnipath scheme: নিয়ম শিথিল! অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বেড়ে ২৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিপথ প্রকল্পে (Agnipath scheme) নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা (upper age limit) বাড়াল কেন্দ্র। এই প্রকল্পের মাধ্যমে চলতি বছর ভারতীয় সেনার (Indian Army) তিন বিভাগে ৪৬ হাজার তরুণ-তরুণীকে নিয়োগ করা হবে। মাধ্যমিক পাশের পরই এই পদের জন্য আবেদন করা যাবে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরও ছেলে-মেয়েরা অগ্নিবীর হিসেবে দেশসেবায় নিয়োজিত হতে পারবেন।

    তবে এই পদে আবেদনের ক্ষেত্রে বয়স হতে নূন্যতম সাড়ে ১৭ বছর। গত মঙ্গলবার ভারতীয় সেনার তিন বিভাগের প্রধান অর্থাৎ সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে (General Manoj Pande), নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার (Admiral R Hari Kumar), এবং বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরীর (ACM V R Choudhury) উপস্থিতিতে এই অগ্নিপথ স্কিমের ঘোষণা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। জানানো হয়, ১৭ বছর ৬ মাস থেকে ২১ বছর পর্যন্ত যুবক-যুবতীরা চার বছরের চুক্তিতে সেনায় নিযুক্ত হতে পারবেন। তবে, বৃহস্পতিবার বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ করার কথা জানায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: বিপুল বেতন পাবেন ‘অগ্নিবীর’রা! মেয়াদ শেষে এককালীন করমুক্ত টাকার প্রস্তাবও

    কেন্দ্র এদিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত দু’বছরে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। এই বিষয়টি সম্পর্কে সরকার যথেষ্ট সচেতন। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০২২ সালে প্রস্তাবিত অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের ক্ষেত্রে এককালীন ছাড় দেওয়া হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২৩ করা হচ্ছে। করোনার জন্য গত দু’বছর সেনায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। ফলে অনেক যুবক-যুবতীই বঞ্চিত হয়েছেন। সেনাতেও শূন্যপদের সৃষ্টি হয়েছে। একথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক।

    চুক্তির ভিত্তিতে সেনাবাহিনীতে নিয়োগের বিরুদ্ধে দেশের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতে আমল দিতে নারাজ সরকার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence) সূত্রে জানানো হয়েছে, এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) একটি দূরদর্শী প্রকল্প। চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে ‘অগ্নিবীর‘রা (Agniveer) বহু জায়গা থেকেই কাজের সুযোগ পাবেন। সরকারি সংস্থা, রাজ্য পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনী, বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা প্রতিটি ক্ষেত্রেই অগ্রাধিকার পাবেন ‘অগ্নিবীর’রা।

     

  • Chief of Defence Staff: রাওয়াতের জায়গায় নতুন সিডিএস নিয়োগ শীঘ্রই! কী বললেন রাজনাথ?

    Chief of Defence Staff: রাওয়াতের জায়গায় নতুন সিডিএস নিয়োগ শীঘ্রই! কী বললেন রাজনাথ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই নতুন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (Chief of Defence Staff) নিয়োগ করা হবে। জেনারেল বিপিন রাওয়াতের (General Bipin Rawat) মৃত্যুর পর ৬ মাস ফাঁকা পড়ে ছিল এই পদ। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে শীঘ্রই এই পদে পুনর্নিয়োগ করা হবে। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানালেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Defence Minister Rajnath Singh)। তিনি জানিয়েছেন, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ নিয়োগ প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই শুরু হবে। যাবতীয় প্রক্রিয়া চলছে। 

    আরও পড়ুন: ১১৪ যুদ্ধবিমান কেনার পথে বায়ুসেনা, ৯৬টি তৈরি হবে ভারতেই

    ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ভারতের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ সংক্ষেপে সিডিএস (CDS) জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তাঁর মৃত্যুর পর প্রায় ৬ মাস কেটে গিয়েছে। এখনও শূন্যই রয়ে গিয়েছে সেই পদ। আবার এক নতুন সিডিএস পাবে ভারত। দেশের পরবর্তী চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ কে হবেন, তা এখনও জানা যায়নি।   

    চলতি মাসের শুরুর দিকেই কেন্দ্র এই পদের জন্য বিজ্ঞপ্তির ঘোষণা করেছিল। সম্প্রতি কেন্দ্র প্রতিরক্ষা বিষয়ক বেশ কিছু আইনে পরিবর্তন এনেছে। পরিবর্তিত আইন অনুযায়ী, চাকরি করছেন বা অবসরপ্রাপ্ত যেকোনও লেফটেন্যান্ট জেনারেল, এয়ার মর্শাল এবং ৬২ বছরের কম হলে ভাইস অ্যাডমিরল সিডিএস পদের আবেদন করতে পারবেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিকরা এই সিডিএস পদে আবেদন করতে পারেন। 

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীরদের জন্য অগ্নিপথ

    ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বা সিডিএস পদটি তৈরি করা হয়। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি ভারতের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ হিসেবে যোগদান করেন জেনারাল বিপিন রাওয়াত। সিডিএস হওয়ার পর বিপিন রাওয়াত এয়ার ডিফেন্স কমান্ড (Air Defence Command) তৈরি করেন। অতিমারীর পর সিডিএস হিসেবে বিপিন রাওয়াত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রতিরক্ষা বিষয়ক আমদানি (Defence Imports) কমিয়ে আনার ওপর জোর দিয়েছিলেন তিনি। দেশেই সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের ওপর জোর দেন।  

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মত প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব নাড্ডা, রাজনাথকে

    ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের পর দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করতে একটি উচ্চ পর্যায়ে কমিটি গঠন করার সুপারিশ করা হয়। সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ নিয়োগের পরিকল্পনা নেয় ভারত। ২০১৯ সালের ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) ফের বিষয়টিকে উত্থাপন করেন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২৩ অগাস্ট জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার (NSA) অজিত ডোভালের (Ajit Doval) অধীনে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিতে ছিলেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব, প্রতিরক্ষা সচিবসহ কেন্দ্র সরকারের শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিকরা। এরপর ২৪ ডিসেম্বর নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের পদ প্রতিষ্ঠা করে। 

     

  • Presdential Elections: রাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মত প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব নাড্ডা, রাজনাথকে

    Presdential Elections: রাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মত প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব নাড্ডা, রাজনাথকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presdential polls)। শাসক-বিরোধী দুই শিবিরেই ব্যস্ততা তুঙ্গে।এমতাবস্থায় সর্বসম্মত প্রার্থী বাছাইয়ের ওপর জোর দিচ্ছে বিজেপি। সেই কারণে বিজেপির তরফে এনডিএ, ইউপিএ এবং নির্দলদের সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (jp nadda) এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে (Rajnath singh)।

    ভারতে রাষ্ট্রপতি পদটি আলঙ্কারিক। রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয়। আমেরিকায় জনগণই ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেন। আর ভারতে জনগণের হয়ে ভোট দেন বিধায়ক, সাংসদরা। তাই রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চাইছেন না পদ্ম নেতৃত্ব। বরং তাঁরা চাইছেন, রাষ্ট্রপতি মনোনীত হোন ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে। সেই জন্যই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নাড্ডা এবং রাজনাথকে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং বলেন, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং খুব শীঘ্রই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করতে এনডিএ, ইউপিএ এবং নির্দলদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবেন।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, কার আস্তিনে কোন অস্ত্র?

    ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি পদে রামনাথ কোবিন্দ বসার আগেও বিজেপির তরফে বিরোধীদের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য গঠন করা হয়েছিল দুজনের কমিটি। সেবার অবশ্য ঐক্যমত্য হয়নি। কোবিন্দকে সমর্থন করেছিল ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং বিজু জনতা দল। ৬৫ শতাংশ ভোট পেয়ে রাইসিনা হিলসে যান কোবিন্দ। এবার বিজেপির তরফে আসরে নামানো হয়েছে বেঙ্কাইয়া ও রাজনাথকে। কোবিন্দের ক্ষেত্রে না হলেও, হয়েছিল আবদুল কালামের ক্ষেত্রে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন তিনি।  

    এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট হতেই কোমর কষে পথে নেমে পড়েছে বিজেপি। তবে বিরোধীরা এখনও ছন্নছাড়া। ১৫ জুন দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিরোধী জোটের বৈঠক করতে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলকে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকেই বিরোধীদের তরফে একজনকে দাঁড় করনোর চেষ্টা হতে পারে রাষ্ট্রপতি পদে।

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির ঝুলিতে ভোট রয়েছে ৪৮.৯ শতাংশ। আর সম্মিলিত বিরোধী জোটের ঝুলিতে রয়েছে ৫১.১ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ বিজেপি এবং বিরোধীদের ভোটের ব্যবধান ২.২ শতাংশের মতো।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৮ জুলাই, প্রার্থী কারা? তুমুল জল্পনা

    সূত্রের খবর, গতবারের মতো এবারও বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারে ওড়িশার বিজেডি এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বিষয়টি নিয়ে চলতি মাসের প্রথম দিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তবে নীতিশের দল কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা জানা যায়নি। স্বভাবতই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে টানটান উত্তেজনা শাসক বিরোধী দুই শিবিরেই।

     

  • Indian Army: লাদাখে চিনকে টেক্কা দিতে নয়া হাতিয়ার!  দেশে তৈরি আধুনিক অস্ত্র সেনার হাতে

    Indian Army: লাদাখে চিনকে টেক্কা দিতে নয়া হাতিয়ার! দেশে তৈরি আধুনিক অস্ত্র সেনার হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখে (Ladkh) শক্তি বাড়ালো ভারতীয় সেনা (Indian Army)। চিনকে যোগ্য জবাব দিতে নতুন সমরাস্ত্র সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। মঙ্গলবার সেই ছবি ট্যুইট করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। অস্ত্রগুলি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। মূলত পূর্ব লাদাখে এই অস্ত্রগুলো ব্যাবহার করা হবে। ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ল্যান্ডিং ক্রাফট অ্যাসল্ট ভেসেল সীমান্ত (LAC) বারবার প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থাকে আরও উন্নত এবং শক্তিশালী করবে।  দিনে দিনে বদলে যাচ্ছে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের চেহারা। অনেক বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠছে সেনা। এইসঙ্গে আরও বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সেনা জওয়ানদের সুরক্ষার দিকটিতে। সেই সূত্রেই মঙ্গলবার ভারতীয় সেনার (Indian Army) হাতে ‘ফিউচার ইনফ্যান্ট্রি সোলজার অ্যাজ এ সিস্টেম’ অথবা এফ-ইনসাস (F-INSAS) তুলে দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।



    সেনা সূত্রে খবর, এই অস্ত্রগুলির মধ্যে আকাশপথে চালকহীন নজরদারি ব্যাবস্থা বাড়ানোর জন্য উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন অস্ত্র যেমন রয়েছে, তেমনি সার্ভিল্যান্স হার্ডওয়্যার, পেট্রলিং বোট, অ্যান্টি পার্সোনাল মাইন, নিপুন (Anti Personnel Mine Nipun), ইনফ্যান্ট্রি প্রোটেক্ট টিভ Mobility ভেহিকল হাতে পেলেন সেনা কর্তারা। যা দিয়ে ভবিষ্যতে লাদাখ সীমান্তে চিনের আস্ফালন ও অনুপ্রবেশ ঠেকানো আরও সহজ হবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে (Manoj Pande) এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরপাল সিং (Harpal Singh)। 

    আরও পড়ুন: লোকসভায় ৩৫টি আসন! জানুন কী ঠিক হল বিহার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে

    সেনা সূত্রে খবর, আগের তুলনায় এল সি এ নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে ধাপে ধাপে। তবে পূর্ব লাদাখে ভারতের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় পূর্ব লাধাখের বিস্তৃত জলাশয়। নতুন ভেসেল আসার ফলে সমস্যা দ্রুত মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • S Jaishankar Hits Back: মানবাধিকার প্রসঙ্গে আমেরিকাকে ‘দুসরা’ বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের 

    S Jaishankar Hits Back: মানবাধিকার প্রসঙ্গে আমেরিকাকে ‘দুসরা’ বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন বিদেশ সচিবকে ‘দুসরা’ দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (EAM S Jaishankar)। সম্প্রতি, ভারত-মার্কিন প্লাস-টু (India US 2+2 dialogue) বৈঠকে আমেরিকার বিদেশ সচিবের কাছে মানবাধিকার (Human Rights) নিয়ে খোঁচা শুনতে হয়েছিল ভারতকে। দু’দিন পর তারই পাল্টা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্কর বলেন, আপনাদের দেশে মানবাধিকার নিয়েও আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। সময় এলে মুখ খুলবে ভারত (India)।

    দিন কয়েক আগে প্লাস টু বৈঠকে বসে ভারত ও আমেরিকা। ভারতের পক্ষে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং(Defence Minister Rajnath Singh)। আর আমেরিকার তরফে ছিলেন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিকেন (US secretary of state Antony Blinken) এবং অস্টিন লয়েড। ওই বৈঠকেই বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হলেও, চোনা পড়ে যায় মার্কিন বিদেশ সচিবের একটি খোঁচায়। 

    ভারতের দুই প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, ভারতের ক্রমবর্ধমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলির ওপর নজর রাখছে আমেরিকা। কিছু সরকারি আধিকারিক, পুলিশ এবং জেল আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ উঠছে। আমরা নিয়মিত আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছি।
     
    মার্কিন খোঁচা নিঃশব্দে সেদিন সহ্য করে নেন জয়শঙ্কর। কিন্তু, দুদিন পরই মার্কিন-খোঁচার জবাবে তিনি বলেন, দেখুন কেউ ভারত সম্পর্কে নিজের মতামত দিতেই পারে। কিন্তু আমাদেরও মতামত রয়েছে। আমরা জানি ওরা কেন একথা বলছে। কোন লবি এবং ভোটব্যাঙ্ক রক্ষা করতে এই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে, সেসবও আমাদের জানা রয়েছে। আমি আপনাকে বলছি, যখন এনিয়ে আলোচনা হবে, তখন আমরাও মুখ খুলতে পিছপা হব না। 

    জয়শংকর সাফ জানিয়ে দেন, ভারত-আমেরিকা টু প্লাস টু বৈঠকে মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়নি, তাই এনিয়ে ভারত কিছু বলেনি। পরে যখন এনিয়ে আলোচনা হবে তখন ভারত আমেরিকা প্রসঙ্গেও নিজেদের মতামত তুলে ধরবে। এর পরেই বিদেশমন্ত্রী বলেন, বহু মানুষের মানবাধিকার নিয়ে আমাদেরও মতামত রয়েছে। আমেরিকায় মানবাধিকার নিয়েও আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। 

    প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই নিউ ইয়র্কের (New york) রিচমন্ড হিলের কাছে হিংসার শিকার হয়েছেন দুই শিখ যুবক। এদিন সে প্রসঙ্গ তুলে আমেরিকাকে জয়শঙ্কর বুঝিয়ে দিলেন আমেরিকা যেমন ভারতের ওপর নজর রাখছে, তেমনি চোখ বুজে বসে নেই নয়াদিল্লিও (New Delhi)। সাউথ ব্লকের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রয়েছে আমেরিকার ওপর।

     

  • Rajnath Singh: আসতে চলেছে জয়েন্ট থিয়েটার কমান্ড! তিন বাহিনীর মধ্যে সংযোগ বাড়ানোই লক্ষ্য, জানালেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: আসতে চলেছে জয়েন্ট থিয়েটার কমান্ড! তিন বাহিনীর মধ্যে সংযোগ বাড়ানোই লক্ষ্য, জানালেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনায় তিন শক্তিকে একত্রিত করে আসতে চলেছে জয়েন্ট থিয়েটার কমান্ড। এর ভাবনা বহুদিন আগেই তৈরি হয়েছিল,তবে শীঘ্রই তা বাস্তব রূপ নেবে। জম্মু ও কাশ্মীরে কাশ্মীর পিপলস ফোরামে যোগ দিয়ে একথা জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেনার তিন বাহিনীর মধ্যে সংযোগ আরও দৃঢ় করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায়, দেশের সুরক্ষার্থে ট্রাই সার্ভিস ব্যবস্থাকে প্রস্তুত রাখতে তৎপর ভারত। 

    ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অন্দরে কান পাতলেই বেশ কয়েক বছর ধরে থিয়েটারাইজেশনের কথা শোনা যাচ্ছিল। এদিন অনুষ্ঠানে রাজনাথ বলেন, ‘পূর্ববর্তী ঘটনা (কার্গিলে অপারেশন বিজয়ে যে জয়েন্ট অপারেশন দেখা গিয়েছিল) মাথায় রেখে আমরা জয়েন্ট থিয়েটার কম্যান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ ২০২১ সালের জুন মাসে থিয়েটারাইজেশন প্ল্যান নিয়ে আলোচনার জন্য ৮ সদস্যের প্য়ানেল গঠন করে কেন্দ্র। সেই প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন সব স্টেক হোল্ডাররা। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, এই নতুন থিয়েটারাইজেশনে স্থিতিশীল হতে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। এই থিয়েটার কমান্ড তৈরি হলেই ভারতের সামরিক শক্তি চিন ,পাকিস্তানের বুকে কাঁপুনি ধরাতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

    আরও পড়ুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই! জানুন কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    এদিন শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগ দেশবাসী কখনও ভুলবে না। কখনও ভুলতে পারে না। তাঁর কথায়, সমাজ ও জনগণের কর্তব্য শহিদ ও তাঁদের পরিবারকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া। জনগনের উদ্দেশে রাজনাথ বলেন, “আপনি যা কিছু সহায়তা দিতে পারেন বা আপনার পক্ষে দেওয়া সম্ভব, সেটাই আপনি তাদের পরিবারের জন্য করুন। এটি প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব হওয়া উচিত।” 

    এদিন রাজনাথের মুখে উঠে এসেছিল ১৯৬২ সালের চিন যুদ্ধের প্রসঙ্গও। সে দিনের তুলনায় আজকের ভারত অনেক বেশি শক্তিশালী বলে দাবি করেন রাজনাথ। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, “১৯৬২ সালে চিন লাদাখ দখল করেছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জওহরলালা নেহেরু। আমি তাঁর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করতে চাই না। কিন্তু নীতির ব্যাপারে দুর্বলতা ছিল। যাই হোক, আজকের ভারত পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী দেশ। এখন যে কোনও শত্রুর মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা।”

LinkedIn
Share