Tag: rajnath singh

rajnath singh

  • Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ একদিন ভারতেই ফিরে আসবেন,” প্রত্যয়ী রাজনাথ

    Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ একদিন ভারতেই ফিরে আসবেন,” প্রত্যয়ী রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) মানুষ ভারতীয় পরিবারের অঙ্গ। নিজে থেকেই তাঁরা একদিন ভারতে ফিরে আসবেন।” বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানকেও নিশানা করেন তিনি। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ইসলামাবাদের সঙ্গে একমাত্র কথা হতে পারে সন্ত্রাসবাদ ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে।

    সন্ত্রাসবাদ ও কাশ্মীর সমস্যা (Rajnath Singh)

    প্রসঙ্গত, ভারত বার বার দাবি করেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসলে কেবল দুটি বিষয়েই আলোচনা হতে পারে –সন্ত্রাসবাদ ও কাশ্মীর সমস্যা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও নয়াদিল্লির সঙ্গে বৈঠকে বসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “বাণিজ্য এবং সন্ত্রাসবাদ পাশাপাশি চলতে পারে না। জল ও রক্ত পাশাপাশি বইতে পারে না।” এদিন সিআইআই বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন রাজনাথ। সেখানেই তিনি বলেন, “আমি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষদের আপন বলেই মনে করি। ওঁরা আমাদের পরিবারেরই অঙ্গ। আমার বিশ্বাস, আমাদের যে ভাইরা ভৌগোলিক ও রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন, একদিন তাঁরা নিজেদের মনের তাগিদেই ভারতের মূল স্রোতে ফিরে আসবেন।”

    রাজনাথের বক্তব্য

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সিংহভাগ মানুষই যে ভারতের সঙ্গে গভীর সংযোগ অনুভব করেন, এদিন তাও জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “সেখানকার কিছু মানুষকেও ভুল বোঝানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরাও সঠিক পরিস্থিতি বুঝতে পারবেন এবং ভারতে ফিরে আসবেন।” রাজনাথ বলেন, “ভারত সব সময় হৃদয়ের বন্ধনের কথা বলে। আমাদের বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং সত্যের পথে হেঁটেই একদিন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ ভারতে ফিরবেন এবং বলবেন, আমরা ভারতীয়। সেই দিন খুব বেশি দূরে নেই (Rajnath Singh)।” এদিন সন্ত্রাসবাদ নিয়েও পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের জন্য চড়া মূল্য চোকাতে হবে পাকিস্তানকে। অপারেশন সিঁদুরের পর সেটা উপলব্ধি করেছে ইসলামাবাদ। ভারতের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরিচয়ও এই অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তান-সহ গোটা বিশ্ব পেয়ে গিয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৭ জন হিন্দুর। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদেরই হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এরপর প্রত্যাঘাত করে ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অভিযানেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত (Rajnath Singh)।

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুর’ পড়ানো হবে উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসায়, তুলে ধরা হবে ভারতীয় সেনার বিজয়গাথা

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুর’ পড়ানো হবে উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসায়, তুলে ধরা হবে ভারতীয় সেনার বিজয়গাথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) ঘটনা জানবে স্কুলের পড়ুয়ারাও। উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে থাকা মাদ্রাসাগুলিতে পড়ানো হবে অপারেশন সিঁদুরের ঘটনা। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ। সে রাজ্যের নথিভুক্ত অন্তত ৪৫০টি মাদ্রাসার সিলেবাসে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে পড়ানো হবে। আলিয়া (ইন্টারমিডিয়েট) লেভেল পর্যন্ত পড়ানো হবে এই বিষয়টি। সেই মতো সিলেবাসে বদল আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন এই অধ্যায়টি পড়ানো হবে মাদ্রাসায় (Uttarakhand Madrasas Board)।

    কবে থেকে, কোন ক্লাস পর্যন্ত পড়ানো হবে

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করার পর এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন পর্ষদের (Uttarakhand Madrasas Board) চেয়ারম্যান মুফতি শামুন কাশমি। তিনি জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসলমানদের একটি প্রতিনিধি দল প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথের সঙ্গে দেখা করার পর অপারেশন সিঁদুরের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কাশমি বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছি যে আমরা তাঁর সঙ্গে রয়েছি। ১৪০ কোটি মানুষের দেশ তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে আছে।’ তিনি জানান অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে মাদ্রাসায় আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে পাঠ্যক্রমে এই অভিযানটি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে থাকবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাহসিকতা এবং দেশের প্রতি তাঁদের নিষ্ঠার অনুপ্রেরণামূলক গল্প। উত্তরাখণ্ডজুড়ে ৪৫১টি নিবন্ধিত মাদ্রাসায় ৫০,০০০ এরও বেশি পড়ুয়া রয়েছে। তাঁদের অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে পড়ানো হবে। দ্রুতই উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসাগুলির পাঠ্যক্রমে এই অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ক্লাসে অপারেশন সিঁদুর অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এপ্রসঙ্গে পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ করে ‘অপবিত্র দেশ’ বলে উল্লেখ করেন কাশমি। তিনি বলেন, ‘যেভাবে পাকিস্তানের জঙ্গিরা পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়েছে, নিরস্ত্র পর্যটকদের হত্যা করেছে, তার জন্য তাদেরকে একটি শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন ছিল।’

    শল্যচিকিৎসকের মতো নির্ভুল

    ‘অপারেশন সিঁদুরে’র (Operation Sindoor) সময়ে দক্ষ শল্যচিকিৎসকের মতো নির্ভুল ভাবে অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। মঙ্গলবার কে এন মেমোরিয়াল হাসপাতালের ২৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের ভাষণে এ কথা বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, “আমাদের বাহিনী শল্যচিকিৎসকদের মতোই নিখুঁত কাজ করেছে। এক জন শল্যচিকিৎসক রোগীর কোন জায়গায় সমস্যা, সেটা বুঝে ছুরিকাঁচি চালান। ভারতীয় বাহিনীও একই কাজ করেছে। সন্ত্রাসবাদের শিকড়ে নির্ভুল ভাবে আঘাত করেছে তারা।”

  • Rajnath Singh: ‘পাকিস্তানকে সাহায্য করার মানে সরাসরি সন্ত্রাসবাদীদের অর্থসাহায্য’, আইএফমএফ-এর ঋণ নিয়ে সরব রাজনাথ

    Rajnath Singh: ‘পাকিস্তানকে সাহায্য করার মানে সরাসরি সন্ত্রাসবাদীদের অর্থসাহায্য’, আইএফমএফ-এর ঋণ নিয়ে সরব রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার আইএমএফ-এর উচিত পাকিস্তানেকে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা। যে ঋণ আইএমএফ (Rajnath to IMF) ইসলামাবাদকে দিচ্ছে তা দিয়ে জঙ্গি নেটওয়ার্ক পুনরায় গড়ে তোলার চেষ্টা করবে পাকিস্তান। সাহায্য করা হবে জঙ্গি মাসুদ আজহারকে। আন্তর্জাতিক মহল যদি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করতে চায়, তাহলে কখনওই পাকিস্তানকে ঋণদান সঠিক নয়। শুক্রবার ভুজের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে দাঁড়িয়ে এই দাবি করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)।

    জঙ্গিদের মদতেই ব্যবহৃত হবে টাকা

    ‘জঙ্গিদের মদতদাতা’ পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলার ঋণ মঞ্জুর করেছে আইএমএফ। এবার সেই ঋণ নিয়ে সরব হলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। গুজরাটের ভুজ এয়ারবেসে দাঁড়িয়ে রাজনাথ (Rajnath Singh) বললেন, “আইএমএফ পাকিস্তানকে অর্থসাহায্য করছে মানে পরোক্ষে সেই সন্ত্রাসবাদকেই মদত দেওয়া হচ্ছে।” প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাফ কথা, “পাকিস্তানকে যে কোনও ধরনের সাহায্য করার অর্থ সরাসরি সন্ত্রাসবাদীদের অর্থসাহায্য করা। ওরা সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো পুনর্গঠনের জন্য মাসুদ আজহারকেও অর্থ সাহায্য ঘোষণা করেছে। ভারত চায়, নিজেদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুক আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার।” পাকিস্তানকে আইএমএফের ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে রাজনাথের দাবি, ‘‘পাক সরকার মুরিদ এবং বহাওয়ালপুরের দুই জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি পুনর্নিমাণের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। আইএমএফ থেকে পাওয়া অর্থের একটা বড় অংশ অবশ্যই ওই ঘাঁটি পুনর্নিমাণের জন্য ব্যবহার করা হবে।’’ রাজনাথ আরও বলেন, ‘‘পাক সরকার সাধারণ করদাতাদের ১৪ কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে তাও সেটা মাসুদ আজহারের পরিবারকে দেওয়ার জন্য। যে কি না রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকায় থাকা আন্তর্জাতিক জঙ্গি। সেই পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়া কি ঠিক?’’

    কেন টাকা নিয়ে আপত্তি ভারতের

    পাকিস্তানের অর্থনীতির কোমর ভেঙেছে বহু আগেই। গত কয়েক বছর ধরে আইএমএফের ঋণের উপর টিকে রয়েছে শাহবাজের দেশ। সেই ধারা অব্যাহত রেখে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ফের আইএমএফের কাছে যায় ইসলামাবাদ। তবে সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তানকে যাতে এই ঋণ না দেওয়া হয় তার জন্য স্পষ্ট যুক্তি দেওয়া হয় ভারতের তরফে। উল্লেখ্য, গত ৯ মে ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসেছিল আইএমএফের ঋণ সংক্রান্ত বোর্ড। সেখানেই ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, আইএমএফের ঋণ পাওয়ার যে শর্ত থাকে, তা মানতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। অভিযোগ করা হয়, অতীতেও একাধিকবার ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। তবে সেই অর্থ তারা সঠিক কাজে ব্যবহার করেনি। সরাসরি সন্ত্রাসবাদে অর্থ যোগানের আশঙ্কা প্রকাশ করে ভারত জানায়, এই অর্থ পাকিস্তান আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদে অপব্যবহার করতে পারে ফলে এই ঋণ কোনওভাবেই দেওয়া উচিত নয়। তবে, শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলার ঋণ মঞ্জুর করেছে আইএমএফ। অনেকে এর নেপথ্যে আমেরিকার হাত দেখছে। ভারত ফের ওই ঋণ নিয়ে আপত্তি জানাল। আগামী দিনে আন্তর্জাতিক মহলেও এ নিয়ে সরব হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

    ব্রহ্মসের ক্ষমতা দেখল পাকিস্তান

    শুধু তা-ই নয়, রাজনাথের (Rajnath Singh) আরও দাবি, ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের শক্তির কাছে মাথা নত করেছে পাকিস্তান। তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তান ব্রহ্মসের ক্ষমতা মেনে নিয়েছে। আমাদের দেশে একটা কথা রয়েছে, ‘দিনে তারা দেখা’। ভারতে তৈরি ব্রহ্মস পাকিস্তানকে দেখিয়েছে রাতের অন্ধকারে কেমন আলো।’’ অনেকের মতে, গত ৭ মে রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালানো হয়, সেখানে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের কথা স্বীকার করলেন রাজনাথ। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জন্য বিমানবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজনাথ। তিনি বলেন, ‘‘অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি, যা ঘটেছে তা কেবল ট্রেলার ছিল।’’

    ২৩ মিনিটই যথেষ্ট

    বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকেই পাকিস্তানকে নিশানা করে সেনার উদ্দেশ্যে রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, ‘‘২৩ মিনিটই যথেষ্ট ছিল। যতক্ষণে মানুষ প্রাতঃরাশ করেন, ততক্ষণে ভারতীয় বায়ুসেনা দেশের শত্রুদের শেষ করে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জমানায় প্রতিরক্ষা বিষয়ে ভারতের ভাবনা ও কার্যক্ষমতার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এই ক্ষেত্রে আমরা ভগবান রামের আদর্শেই চলি। আপনারা শত্রুদের দেশে গিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছেন। এর প্রতিধ্বনি কেবল ভারতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, সমগ্র বিশ্ব তা শুনেছে। সেই প্রতিধ্বনি কেবল ক্ষেপণাস্ত্রের নয় বরং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানদের বীরত্বেরও ছিল।’’

     

     

     

     

  • Rajnath Singh: পাকিস্তানের কাছে পরমাণু অস্ত্র কি আদৌ নিরাপদ! কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন রাজনাথের

    Rajnath Singh: পাকিস্তানের কাছে পরমাণু অস্ত্র কি আদৌ নিরাপদ! কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের মতো দেশের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকা কি আদৌ নিরাপদ? শ্রীনগরে দাঁড়িয়ে এই প্রশ্ন তুললেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। বৃহস্পতিবার বেলার দিকে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে যান তিনি। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পর রাজনাথ এই প্রথম উপত্যকায় গেলেন। ভারতীয় সেনার চিনার কর্পসের সদর দফতরে গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।

    পাকিস্তানের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন

    জওয়ানদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, “আজ শ্রীনগরের মাটিতে দাঁড়িয়ে গোটা বিশ্বের কাছে একটা প্রশ্ন করতে চাই। দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং দুর্বৃত্ত মানসিকতাসম্পন্ন কোনও দেশের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকাটা কি আদৌ নিরাপদ? আমার মনে হয় আইএইএ (ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি)র উচিত পাকিস্তানের সমস্ত পারমাণবিক অস্ত্রের উপর নজর রাখা।” প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক এই সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পারমাণবিক কার্যকলাপের উপর নজরদারি চালিয়ে থাকে। উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বলেছিলেন যে পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি আর মোটেও মেনে নেবে না ভারত। উল্লেখ্য, পাক সেনাবাহিনী ভেঙে পড়লে পারমাণবিক অস্ত্রের অপব্যবহার হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে গোটা দুনিয়া। তাই রাজনাথের দাবি, পরমাণু ভাণ্ডারের উপর নজরদারি চালানো সংস্থা বিশেষ করে সতর্ক হোক পাকিস্তানকে নিয়ে।

    সেনাবাহিনীর সাহসিকতার প্রশংসা

    এদিন সেনাবাহিনীর সাহসিকতারও ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজনাথ। সেনার উদ্দেশে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “অপারেশন সিঁদুরে আপনারা যা করেছেন, তার জন্য গোটা দেশ গর্বিত।” বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের বাদামিবাগ সেনাছাউনি ঘুরে দেখেন রাজনাথ। এই সেনাছাউনিতেই ধেয়ে এসেছিল পাকিস্তানের গোলা। সেই গোলার অংশ দেখেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। কাশ্মীরকে ভারতের মাথা বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের মাথায় মেরেছিল, আমরা ওদের ছাতি ফালাফালা করে দিয়েছি।”

    সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করাই লক্ষ্য

    সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বীর জওয়ানদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজনাথ বলেন, “পহেলগাঁওয়ে নিহত সাধারণ নাগরিকদের প্রতি আমি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করি। অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) একটা অঙ্গীকার। ওরা ধর্ম দেখে নিরীহ মানুষদের মেরেছে কিন্তু আমরা কর্ম দেখে জঙ্গিদের মেরেছি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এটি ভারতের সবচেয়ে বড় অভিযান। সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে আমরা যে কোনও সীমা পর্যন্ত যাব। পাকিস্তানকে অবিলম্বে জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া বন্ধ করতে হবে।” ইসলামাবাদের দাবি মোতাবেক, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ক‌োনও আলোচনা হবে না বলেও স্পষ্ট করে দেন রাজনাথ। বলেন, “কথা হবে সন্ত্রাসবাদ আর পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) নিয়ে।”

  • Operation Sindoor: ‘‘যারা সিঁদুর মুছেছিল, ভারত তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে’’, বললেন রাজনাথ সিং

    Operation Sindoor: ‘‘যারা সিঁদুর মুছেছিল, ভারত তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে’’, বললেন রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রবিবারই তিনি লখনউতে ব্রহ্মস মিসাইলের নতুন একটি ইউনিটের উদ্বোধন করেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। সেখানেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে দেশবাসীর উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘‘সিঁদুর শুধু একটি সামরিক অপারেশন ছিল না, এটি একটি সংকল্প। যারা সিঁদুর মুছেছিল, অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে ভারত তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে।’’

    দেশ শক্তিশালী না হলে বিশ্বে কেউ সম্মান করে না

    এদিন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) আরও বলেন, ‘‘ভারত নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছে। দেশ শক্তিশালী না হলে বিশ্বে কেউ সম্মান করে না।’’ রাজনাথ সিংয়ের আরও সংযোজন, ‘‘ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল কেবলমাত্র একটি হাতিয়ার নয়, এটি বিশ্বকে দেওয়া ভারতের একটি বার্তা। ভারতের পরাক্রমের বার্তা বহন করছে এই মিসাইল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্ষমতার পরিচয় এই ব্রহ্মস মিসাইল। শত্রুর নিধনে ভারত কী ভূমিকা পালন করতে পারে, সেটিরও পরিচয় বহন করে এই মিসাইল।’’

    সীমান্তের ওপারেও জঙ্গিরা নিরাপদ ভাবে থাকতে পারবে না

    পাশাপাশি, রাজনাথের (Rajnath Singh) আরও বক্তব্য ‘‘অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) বুঝিয়েছে, সীমান্তের ওপারেও জঙ্গিরা নিরাপদ ভাবে থাকতে পারবে না।’’ অপারেশন সিঁদুরের ব্যাখ্যা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘অপারেশন সিঁদুর কেবলমাত্র একটি সামরিক পদক্ষেপ নয়। এটা ভারতের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং কূটনৈতিক শক্তির প্রদর্শন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতির পরিচয় দিয়েছে এই অপারেশন। ভারত দেখিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যখন আমরা কোনও অ্যাকশন নিই তখন সীমান্ত পারেও জঙ্গি এবং তাদের মদতদাতারা রেহাই পাবে না।’’

    ভারতীয় সেনার গর্জন রাওয়ালপিন্ডি পর্যন্ত শোনা গিয়েছে

    পাশাপাশি তিনি জানান, ভারত কোনও সাধারণ পাক নাগরিককে আক্রমণ করেনি। ভারতের লড়াই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে রাজনাথ বলেন, ‘‘ভারতীয় সেনার গর্জন রাওয়ালপিন্ডিতে পাক সেনার সদর দফতর পর্যন্ত শোনা গিয়েছে। কিন্তু আমরা পাকিস্তানের কোনও নাগরিককে আক্রমণ করিনি।’’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তান নিরীহ ভারতীয় নাগরিকদের আক্রমণের পাশাপাশি বহু মন্দির, গুরুদ্বার এবং গির্জাগুলিতে হামলা চালিয়েছে।’

  • Russia’s Victory Day Parade: সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি! মোদির পর রাশিয়া সফর বাতিল রাজনাথের, ভারত থেকে যাচ্ছেন কে?

    Russia’s Victory Day Parade: সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি! মোদির পর রাশিয়া সফর বাতিল রাজনাথের, ভারত থেকে যাচ্ছেন কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে আগেই রুশ সফর বাতিল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদির পরিবর্তে রাজনাথের ৯ মে মস্কো সফরে যাওয়ার কথা ছিল। এবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও রাশিয়ার বিজয় দিবসের (Russia’s Victory Day Parade) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মস্কো যাচ্ছেন না। অন্তত সূত্রের খবর এমনই। আগামী সপ্তাহেই রাশিয়ায় বিজয় দিবস পালন করার কথা। ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য রাশিয়ার তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। প্রধানমন্ত্রীর যাওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়। জানানো হয়, ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সূত্রের খবর, এই সফর বাতিল করতে চলেছেন রাজনাথ সিং। তাঁর জায়গায় কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন বলেও খবর। জানা গিয়েছে, পহেলগাঁও হামলার পরে উদ্ভূত পরিস্থিতির জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

    রাশিয়ায় বিজয় দিবসের গুরুত্ব

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী (MoS) সঞ্জয় শেঠ। মস্কোর ওই অনুষ্ঠানে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-সহ বিশ্বের প্রায় ২০ দেশের প্রতিনিধির উপস্থিত থাকার কথা আছে। পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার পরেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। যে কোনও সময় পাল্টা জবাব দিতে পারে নয়াদিল্লি। মনে করা হচ্ছে, সেই কারণেই রাজনাথও তাঁর মস্কো সফর বাতিল করতে চলেছেন। ইতিমধ্য়েই পহেলগাঁও হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এই হামলাকে নৃশংস অপরাধ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। এছাড়াও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়ার সমর্থন যে ভারতের সঙ্গে রয়েছে সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন পুতিন।

    ভারতের পাশে রাশিয়া

    প্রধানমন্ত্রী মোদির মস্কো সফর না করার সিদ্ধান্তের কারণ স্পষ্ট করেনি রাশিয়া (Russia’s Victory Day Parade)। রাশিয়ার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান ও কুচকাওয়াজে বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা এবং সামরিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি গত বছর দুবার রাশিয়া সফর করেছিলেন। একবার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য এবং দ্বিতীয়বার কাজানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য। এই বছরের শেষের দিকে পুতিন দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত আসতে পারেন।

    যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের

    সীমান্তে বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। এই নিয়ে টানা নবমবার বিনা প্ররোচনায় সীমান্তে গুলি ছুড়ল পড়শি দেশ। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শুক্রবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা, উরি এবং আখনুর সেক্টরে গুলি ছুড়তে শুরু করে পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। পহেলগাঁও হামলার পরও নাগাড়ে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। এই নিয়ে দিন তিনেক আগেই সতর্ক করেছে ভারত। তবে সোজা পথে আসার বান্দা নয় পড়শি দেশ। ফের চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালিয়েছে সে দেশের সেনা।

    প্রত্যাঘাতের দাবি

    পহেলগাঁওয়ে হত্য়ালীলার (Pahalgam Terror Attack) পর প্রত্যাঘাতের দাবি দেশজুড়ে। তিন বাহিনীও বুঝিয়ে দিচ্ছে তারা আঘাত হানতে প্রস্তুত। নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দিচ্ছেন, কল্পনাতীত শাস্তি হবে। বিরোধীরাও জোটবদ্ধ হয়ে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার পক্ষে!প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁপছে পাকিস্তানও। অজ্ঞাতবাস নিয়ে হইচই পড়ে যাওয়ার পর আচমকা প্রকাশ্য়ে এসে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানও বোঝানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা প্রস্তুত। এদিকে, পহেলগাঁও সন্ত্রাসের ১১ দিন পরেও অধরা হামলাকারী জঙ্গিরা। কিন্তু কোনওভাবেই কাউকে যে ছাড়া হবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়ে জঙ্গিদের খোঁজে উপত্যকা জুড়ে চলছে চিরুনি তল্লাশি। বিভিন্ন জঙ্গলে ও দুর্গম এলাকায় যৌথ অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। শ্রীনগরের আকাশ দিয়ে দক্ষিণ কাশ্মীরের দিকে ঘন ঘন উড়ছে সেনাবাহিনীর চপার! শুক্রবারও উপত্যকায় ছিলেন এনআইএ-র ডিজি সদানন্দ দাতে। এদিনও তিনি যান ঘটনাস্থলে। জরুরি বৈঠক করেন তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে।

    সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি

    ইতিমধ্যেই কাশ্মীর ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মানুষ যুদ্ধের ‘প্রস্তুতি’ শুরু করেছেন। উভয় পক্ষই নিজেদের বাঁচানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারতের দিকে চুরান্ডা এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের চাকোঠির মতো গ্রামগুলি সম্ভাব্য সংঘাতের আশঙ্কায় বাঙ্কার এবং সুরক্ষিত আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করছে। জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের স্থানীয় প্রশাসন সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারীদের দুই মাসের জন্য খাদ্যশস্য মজুত করার আহ্বান জানিয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় বিধানসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ার-উল-হক বলেন, নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে অবস্থিত ১৩টি নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের দু’মাস খাদ্যশস্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের মৌলিক চাহিদার কথা মাথায় রেখে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ তহবিলও গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকার রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকেও মোতায়েন করা হচ্ছে। কার্যত সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলছে প্রশাসন। পাকিস্তানে আতঙ্কের পরিস্থিতি এমন যে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ১০০০ জঙ্গি ঘাঁটি বন্ধ করেছে পাকিস্তান। জঙ্গিদের সেখান থেকে সরানো হয়েছে। এছাড়া পাঞ্জাব থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। বড় শহরগুলির আকাশসীমাও প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পর্বে সাইরেনও লাগানো হচ্ছে। সদা সতর্ক রয়েছে ভারতীয় সেনাও।

  • Rajnath Singh: রাজনাথের সঙ্গে চল্লিশ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, দুয়ারে যুদ্ধ!

    Rajnath Singh: রাজনাথের সঙ্গে চল্লিশ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, দুয়ারে যুদ্ধ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই দেশের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। ঠিক তার পরের দিনই রাজনাথ গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। ২২ এপ্রিল, মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) জম্মু-কাশ্মীরে যে সেনা অভিযান চলছে সেই ব্যাপারে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁকে ব্রিফিং দেন। পহেলগাঁওয়ের ওই হামলায় জঙ্গিরা বেছে বেছে খুন করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির কাছ থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন হন স্থানীয় এক কাশ্মীরি মুসলমান। এদিন প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হয় মিনিট চল্লিশেক।

    রুদ্ধদ্বার বৈঠক (Rajnath Singh)

    রুদ্ধদ্বার ওই কক্ষে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে রাজনাথ দক্ষিণ ব্লকে যান, যেখানে সেনাপ্রধান তাঁকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি, বিশেষত পহেলগাঁওয়ে সর্বশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু হওয়া অঞ্চলটি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্রিফিং দেন। পহেলগাঁওয়ের ওই ঘটনার জেরে ভারতে তো বটেই, আন্তর্জাতিকভাবেও ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভারত সরকার এই হামলার সীমান্ত-পার্শ্ববর্তী সংযোগের কথা উল্লেখ করে জোরালো ও সুনির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’

    রবিবারই তাঁর ১২১তম ‘মন কি বাতে’ দেশবাসীকে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পহেলগাঁও হামলায় অপরাধী ও ষড়যন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সব চেয়ে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ‘মন কি বাতে’ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে সমগ্র বিশ্ব ১৪০ কোটি (Rajnath Singh) ভারতবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আমি আবারও আশ্বাস দিচ্ছি, তারা ন্যায়বিচার পাবে। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে।” ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে বলেন, “এটি কাশ্মীর ও দেশের শত্রুদের একটি হতাশাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যারা এই অঞ্চলের অসাধারণ অগ্রগতিকে ব্যাহত করতে চায়।”

    এই হামলাকে “সন্ত্রাসবাদে প্রশ্রয়দানকারীদের” হতাশার প্রতিফলন বলেও উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যে সময়ে কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসছিল, স্কুল-কলেজে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছিল, গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়ে উঠছিল, পর্যটন বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং যুবসমাজের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছিল, সেই (Pahalgam Attack) সময়ে জম্মু-কাশ্মীর ও দেশের শত্রুরা এটিকে মেনে নিতে পারেনি। জঙ্গিরা আবারও কাশ্মীরকে ধ্বংস করতে চায় (Rajnath Singh)।”

  • Rajnath Singh: বাড়বে প্রত্যাঘাত? প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দেশের সিডিএস অনিল চৌহান

    Rajnath Singh: বাড়বে প্রত্যাঘাত? প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দেশের সিডিএস অনিল চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান তথা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আরও বড় প্রত্যাঘাতের খবর কি সামনে আসতে চলেছে? এমন জল্পনাই শুরু হয়েছে। কারণ রবিবার বিকালেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) বাড়িতে তাঁর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছেন দেশের সিডিএস অনিল চৌহান। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর উপত্যকায় ‘অ্যাকশনে’ নেমেছে ভারতীয় সেনা। প্রশাসন শুরু করেছে অভিযান। ইতিমধ্যে প্রায় ১০ জঙ্গি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনা। এবার এই আবহেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন সিডিএস অনিল চৌহান (CDS Anil Chauhan)।

    কোন কোন ইস্যুতে বৈঠক জানা যায়নি

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Rajnath Singh) সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার বিকাল ৫টা নাগাদ শুরু হয় এই বিশেষ বৈঠক। তবে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হবে সেই নিয়ে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Rajnath Singh) তরফে। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারনা, মূলত কোন লাইনে এগোবে ভারত সে নিয়েই আলোচনা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরনের হামলার পর থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতার অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। জঙ্গিদের সন্ধানে চলছে চিরুনি তল্লাশি। একাধিক লস্কর জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও জঙ্গির বাড়িতে বিস্ফোরণ করা হয়েছে, তো কোনও জঙ্গির বাড়িতে চালানো হয় বুলডোজার।

    শনিবার মধ্যরাতেও নিয়্ন্ত্রণ রেখায় গুলি চালায় পাকিস্তান, পাল্টা জবাব দেয় ভারত

    শনিবার মধ্যরাতে জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। রবিবারই এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে ভারতের সেনা। নিজেদের বিবৃতিতে ভারতীয় সেনা  জানায়, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনারা বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। ভারতীয় সেনা এর পাল্টা জবাব দিয়েছে। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পরে এটা ছিল তৃতীয় রাত, যখন পাকিস্তান (Pakistan) নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায়। ভারতীয় সেনা নিজেদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘২৬-২৭ এপ্রিলের মধ্যবর্তী রাতে, পাকিস্তানি সেনা তুতমারি গালি এবং রামপুর সেক্টরের বিপরীতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলিবর্ষণ করে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।’’

  • Hypersonic Cruise Missile: স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিনের পরীক্ষায় সাফল্য, হাইপারসনিক মিসাইলের নতুন যুগে প্রবেশ করল ভারত

    Hypersonic Cruise Missile: স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিনের পরীক্ষায় সাফল্য, হাইপারসনিক মিসাইলের নতুন যুগে প্রবেশ করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) হাইপারসোনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক বিশাল সাফল্য অর্জন করল। শুক্রবার ডিআরডিও জানিয়েছে, নতুন প্রজন্মের হাইপারসোনিক মিসাইল (Hypersonic Cruise Missile) সিস্টেমের জন্য তৈরি স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিনের দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই পরীক্ষায় ইঞ্জিনটি একটানা ১০০০ সেকেন্ড (প্রায় ১৭ মিনিট) চালানো হয়। যা পূর্বে জানুয়ারি ২০২৫-এর পরীক্ষায় মাত্র ১২০ সেকেন্ড পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। এই সাফল্যের মাধ্যমে ভারত এখন হাইপারসোনিক ক্রুজ মিসাইল প্রযুক্তিতে আরও একধাপ এগিয়ে গেল।

    কী এই হাইপারসোনিক ক্রুজ মিসাইল?

    হাইপারসোনিক ক্রুজ মিসাইল (HCM) এমন একধরনের অস্ত্র যা ন্যূনতম মাক ৬ বা শব্দের গতি থেকে ছয়গুণেরও বেশি বেগে দীর্ঘ সময় ধরে চলতে সক্ষম। এই মিসাইলে ব্যবহৃত হয় এয়ার ব্রিদিং স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন, যার মাধ্যমে বায়ুর মধ্যেই ইঞ্জিন জ্বালানী পায় এবং উচ্চ গতিতে জ্বলন (combustion) সম্পন্ন হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিনের দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্ষমতা ও টেস্ট ফ্যাসিলিটির ডিজাইন সফলভাবে যাচাই করা হয়েছে। ডিআরডিও জানিয়েছে, এই পরীক্ষার ফলে এখন পুরোপুরি ফ্লাইট-যোগ্য কমবাস্টার টেস্টিংয়ের পথ খুলে গেল।

    কেন তাৎপর্যপূর্ণ এই পরীক্ষা?

    বিশ্বের যেখানে আজও স্ক্র্যামজেট প্রযুক্তি সীমিত কয়েক মিনিটের পরীক্ষায় আবদ্ধ, সেখানে ভারত ১০০০ সেকেন্ডের এক বিরাট মাইলফলক স্পর্শ করল। ডিআরডিও-র ল্যাবে এই দীর্ঘসময় ধরে সফলভাবে অ্যাকটিভ কুলড্ স্ক্র্যামজেট কমবাস্টর গ্রাউন্ড টেস্ট করে এমন একটি রেকর্ড স্থাপন করল, যা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন অপারেশন হিসেবেই ধরা হচ্ছে। এই সাফল্য শুধু একটি ইঞ্জিন টেস্ট নয়, বরং এটি হতে চলেছে ভারতের হাইপারসনিক প্রপালশনের পরবর্তী বড় প্রকল্প— প্রোজেক্ট বিষ্ণু-র মূল ভিত্তি।

    প্রোজেক্ট বিষ্ণু-র গুরুত্ব কোথায়?

    এই ১০০০ সেকেন্ডের স্ক্র্যামজেট টেস্টের ফলস্বরূপ ভারত যা পেতে চলেছে তা সত্যিই বৈপ্লবিক—

    ● বিশাল হাইপারসনিক রেঞ্জ:
    ভারত এখন ২০০০–৩০০০ কিমি রেঞ্জের হাইপারসনিক ল্যান্ড অ্যাটাক ও জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে পারবে, যেগুলো কয়েক মিনিটেই লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম।

    ● বিমানবাহী রণতরী ধ্বংসের ক্ষমতা:
    এতদূর থেকে ছোঁড়া হাইপারসনিক অ্যান্টি-শিপ মিসাইল সহজেই বিমানবাহী রণতরী সহ গোটা ব্যাটল গ্রুপকে ধ্বংস করতে পারবে — শত্রুপক্ষ প্রতিরোধ করার আগেই লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস।

    ● ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে টেক্কা:
    এত উচ্চ গতিতে (মাক ৬-৮), এই মিসাইলগুলো পাশ্চাত্য দেশগুলির থাড, এস-৪০০ বা এইজিসের মতো শীর্ষস্থানীয় ডিফেন্স সিস্টেমও অতিক্রম করে ফেলতে পারবে — প্রতিরোধ কার্যত অসম্ভব।

    ● প্রতিক্রিয়ার সময় পাবে না শত্রু:
    স্যাটেলাইট বা রেডারে ডিটেকশন হলেও প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় পাওয়া যাবে না, কারণ এই গতি ও রেঞ্জে প্রতিক্রিয়ার সময় খুবই কম।

    ● যুদ্ধে গেমচেঞ্জার:
    এতদূর থেকে, এত দ্রুত, এত শক্তিশালী আঘাত ভারতের কাছে থাকলে — যেকোনও যুদ্ধক্ষেত্রে বা জলসীমায় ভারত গেমচেঞ্জার হয়ে উঠবে।

    প্রোজেক্ট বিষ্ণু-র সম্ভাব্য রেঞ্জ

    যদি আমরা প্রোজেক্ট বিষ্ণু-র জন্য মাক ৬ গতি ধরি (যা স্ক্র্যামজেটের বেসিক ন্যূনতম), তাহলে ১০০০ সেকেন্ড ধরে এই গতি ধরে রাখলে দাঁড়ায় সেকেন্ড প্রতি ২.০৫৮ কিমি। অর্থাৎ, ১০০০ সেকেন্ড ধরে ইঞ্জিন চললে, এর পাল্লা দাঁড়াবে ২০৫৮ কিমি। অর্থাৎ, শুধুমাত্র স্ক্র্যামজেট ফেজেই এর সম্ভাব্য কার্যক্ষমতা হতে পারে ২০০০ কিমি পার করে দেবে ক্ষেপণাস্ত্র। আর যদি মাক ৭ বা মাক ৮ হয়, তাহলে এই পাল্লা বেড়ে হবে ২৫০০-৩০০০ কিমি।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অভিনন্দন

    এই পরীক্ষাটি হায়দরাবাদের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (DRDO) পরীক্ষাগার ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরিতে (ডিআরডিএল)সম্পন্ন হয়েছে। এটি ডিআরডিও, বিভিন্ন শিল্প সংস্থা ও শিক্ষাবিদদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। ভারতের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে এই অগ্রগতি ভবিষ্যতের হাইপারসোনিক অস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য মজবুত ভিত গড়ে তুলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই অসাধারণ সাফল্যের জন্য ডিআরডিও, শিল্প অংশীদার এবং শিক্ষাবিদদের প্রশংসা করেছেন। তিনি জানান, এই সাফল্য জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হাইপারসনিক অস্ত্র প্রযুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের ফল। এই পরীক্ষাটি দীর্ঘমেয়াদী স্ক্র্যামজেট কম্বাস্টারের নকশার পাশাপাশি পরীক্ষার সুবিধার বৈধতা দেয়। এটি শিল্প ও একাডেমিয়ার সাথে ডিআরডিও ল্যাবগুলির দ্বারা প্রদত্ত একটি সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলাফল। এই সাফল্য দেশের হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র (Hypersonic Cruise Missile) উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করে।

  • Rajnath Singh: ‘‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরিরা শীঘ্রই চাইবেন ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে’’, বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: ‘‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরিরা শীঘ্রই চাইবেন ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে’’, বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (Pak Occupied Kashmir) বাসিন্দারাই খুব শীঘ্র ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইবে। মোদি সরকারের সাফল্যে ভারতে এখন ‘আচ্ছে দিন’। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) লখনউয়ে এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “ভারতের অর্থনীতি এখন বিশ্বের মধ্যে দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলোর একটি। আগে বিশ্বে ভারতের পরিচয় ছিল দরিদ্র দেশ হিসেবে, কিন্তু আজ এই চিত্র বদলে গিয়েছে। ভারতের অর্থনীতি এখন বিশ্বে পঞ্চম স্থানে, যা এক সময় একাদশ স্থানে ছিল। আগামী দুই বছরের মধ্যে ভারত শীর্ষ তিন অর্থনীতির মধ্যে স্থান পাবে বলে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলি দাবি করছে।”

    ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা

    লখনউয়ের মহর্ষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সভায় রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, “১১ বছর আগে ভারতে মাত্র দুটি মোবাইল ফোন কারখানা ছিল, আর আজ তা বেড়ে হয়েছে ২৭০টি। এছাড়াও, ডিজিটাল লেনদেনে ভারত এখন বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে। লখনউ থেকেই এক সময় মুসলিম লিগ পাকিস্তান গঠনের দাবি তুলেছিল। আর আজ সময় এসেছে এখান থেকেই ভারতের সঙ্গে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সংযুক্তিকরণের দাবি তোলার। আমি বিশ্বাস করি, খুব শীঘ্রই পিওকে-র মানুষ নিজেরাই বলবে— ‘‘আমাদের ভারতেই যুক্ত করে দিন।’’

    জন সংলাপ কর্মসূচিতে রাজনাথ

    লখনউয়ের এই সভায় কেশব নগরে একটি সড়ক নির্মাণের দাবি উঠলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট বিধায়ক ডঃ নীরজ বোরাকে নির্দেশ দেন সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে। এই অনুষ্ঠানে উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেন, “এক সময় ফৈজুল্লাগঞ্জ সংক্রামক রোগে ভোগা একটি এলাকা ছিল। সেখান থেকেই রাজ্য সরকার সংক্রামক রোগ বিরোধী অভিযান শুরু করেছিল। আজ আমরা বলতে পারি, এই রোগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।” এই জন সংলাপ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নগর সভাপতি আনন্দ দ্বিবেদী, এমএলসি মুকেশ শর্মা, রামচন্দ্র প্রধান, দিবাকর ত্রিপাঠী, পুষ্কর শুক্লা, ত্রিলোক অধিকারী, মিডিয়া ইনচার্জ প্রবীণ গার্গ, ঘনশ্যাম আগরওয়াল, শৈলেন্দ্র শর্মা অতল, মণ্ডল সভাপতি শৈলেন্দ্র মৌর্য, কাউন্সিলর রশ্মি সিং, প্রদীপ শুক্লা, প্রিয়াঙ্কা বাজপেয়ী, রামদাস কনৌজিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নগর সহ-সভাপতি ডঃ বিবেক সিং তোমর।

    প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে আত্মনির্ভর

    প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে ক্রমশ আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে ভারত। শুধু আত্মনির্ভরই হচ্ছে না। বিদেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানিও বেড়েছে। আর কয়েক বছরের মধ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকার গণ্ডী পার করবে বলে আশাবাদী প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ২০১৪ সালের পর থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি বেড়েছে। বর্তমানে বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করা হয়। তিনি আশাবাদী, ২০২৯-৩০ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি বেড়ে ৫০ হাজার কোটি টাকা হবে। প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ২৩ হাজার ৬২২ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করেছে ভারত।

    পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের জমিতে সন্ত্রাসের আখড়া

    ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর (Rajnath Singh) সাফ কথা, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (Pak Occupied Kashmir) জমি সন্ত্রাসবাদের ব্যবসা চালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প, সীমার কাছে লঞ্চ প্যাড যে রয়েছে তার খবর ভারত সরকারের কাছে রয়েছে। রাজনাথ সিং বলেন,’ জম্মু ও কাশ্মীর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ছাড়া অসম্পূর্ণ। ভারতের মাথার মুকুটমণি সেটি। আর তাছাড়াও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর পাকিস্তানের কাছে একটি বিদেশি এলাকা ছাড়া আর কিছুই নয়।’ উল্লেখ্য, পাক অধিকৃত কাশ্মীর জম্মু ও কাশ্মীরেরই অংশ, দেশ তো বটেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার এ কথা জানিয়ে এসেছে ভারত। এই ইস্যুতে মামলাও চলছে আন্তর্জাতিক আদালতে। সম্প্রতি কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করেছিলেন পাক সেনাপ্রধান।

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর অধিবাসীদের দাবি

    কাশ্মীর নাকি পাকিস্তানের ‘জুগুলার ভেইন’ অর্থাৎ প্রধান শিরা! পাক সেনাপ্রধানের বিস্ফোরক মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কড়া জবাব দেয় নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের হুঁশিয়ারি, “বেআইনিভাবে দখল করে রাখা অধিকৃত কাশ্মীর আগে খালি করুন। বিদেশি সম্পত্তি কী করে আপনার দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হতে পারে?” “কোনও বিদেশি জিনিস কীভাবোজনাথের দাবি আপনার প্রধান শিরা বা ‘জুগুলার ভেইন’ হতে পারে? এটা ভারতের একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। আর কাশ্মীরে পাকিস্তানের একটাই কাজ, সেটা হল বেআইনিভাবে দখল করে থাকা অংশটা ফাঁকা করে দেওয়া। সেখানকার বাসিন্দারাও ভারতের সঙ্গে জুড়তে চায়। তাঁদের দাবি, এই অঞ্চলের মাটিকে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ বা প্রক্সি ওয়ার চালাচ্ছে পাক সরকার। কিন্তু কাশ্মীর বাসীরা এই অঞ্চলের মাটিকে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য পাকিস্তান সরকার ও সেনাকে ব্যবহার করতে দিতে চান না। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কথায় এখানকার সাধারণ মানুষ খুব শীঘ্রই ভারতের সঙ্গে এক হতে চাইবে।

LinkedIn
Share