Tag: rajnath singh

rajnath singh

  • Rajnath Singh: সীমান্ত নিয়ে চিনকে কড়া হুঁশিয়ারি রাজনাথ সিংয়ের

    Rajnath Singh: সীমান্ত নিয়ে চিনকে কড়া হুঁশিয়ারি রাজনাথ সিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন সীমান্তে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে ভারতীয় সেনা, তারা যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। বুধবার ভারতীয় সেনার একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় এমনই মন্তব্য করলেন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। শান্তি আলোচনার মধ্যে চিনের বিরুদ্ধে সীমান্তে উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগও আনেন তিনি। কয়েকদিন আগে অরুণাচল প্রদেশের বেশ কয়েকটি স্থানের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দেয় বেজিং। নতুন নামের স্থানগুলি তিব্বতে অংশ বলে দাবি করে শি জিনপিংয়ের দেশ। যদিও চিনের এই চেষ্টার তীব্র নিন্দা করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। অরুণাচল ভারতের অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে বলে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছিল। আবার ডোকলাম নিয়েও বিবাদ কম নয়। এই আবহে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর (Rajnath Singh) এই হুঁশিয়ারি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী বললেন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)?

    চিনের আগ্রাসন বারবার চললে, ভারত মুখ বুজে থাকবে না বলেও হঁশিয়ারি দেন। রাজনাথ (Rajnath Singh) বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে আগ্রহী ভারত। আর সেই লক্ষ্যে সীমান্তে শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)। প্রসঙ্গত, গালওয়ানে সেনা সংঘর্ষের পর সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশের সামরিক পর্যায়ে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত ১৭টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। লাদাখ সীমান্তে বেশ কয়েকটি অঞ্চল থেকে দুই দেশের সেনা প্রত্যাহারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, এখনও বেশ কয়েকটি অঞ্চলের রফাসূত্র বের হয়নি।

    যুদ্ধ কখনও সমস্যা সমাধানের পথ নয় বলে মনে করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সেনার প্রশংসা করে তিনি বলেন, দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় এবং প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও ভারতীয় জওয়ানরা দৃঢ়তার সঙ্গে তাঁদের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। সে কোনও আগ্রাসনের মোকাবিলায় সেনাদের হাতে সেরা অস্ত্র, সরঞ্জাম তুলে দেওয়াই কেন্দ্রের প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: ‘‘তৃতীয় বা দ্বিতীয় নয়, ২০৪৭ সালে ‘টপ ইকোনমি’ হবে ভারত’’, বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে রাজনাথ

    Rajnath Singh: ‘‘তৃতীয় বা দ্বিতীয় নয়, ২০৪৭ সালে ‘টপ ইকোনমি’ হবে ভারত’’, বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমার মনে হয় ২০৪৭ সালের মধ্যে আমাদের দেশ তৃতীয় বা দ্বিতীয় নয়, টপ ইকোনমি হবে ভারত (India)। শুক্রবার বিশ্বভারতীর সমাবর্তন (Viswa Bharati Convocation) অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। বর্তমানে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হল ভারত। দীর্ঘদিন এই জায়গাটা দখল করে রেখেছিল ব্রিটেন। সম্প্রতি ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে জায়গাটি দখল করে মোদির ভারত। দেশের অর্থনীতি যে ক্রমেই ফুলে ফেঁপে উঠছে, এদিন সেকথাই প্রকাশ পেয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায়।

    রাজনাথ বলেন…

    এদিনের অনুষ্ঠানে রাজনাথ (Rajnath Singh) বলেন, বিশ্বভারতী এমন শব্দ, যেখানে বিশ্বও আছে, ভারতীও আছে। তিনি বলেন, বিশ্বভারতী তীর্থের থেকে কোনও অংশে কম নয়। পশ্চিমবঙ্গের একটা ধর্মীয় তীর্থস্থান যদি গঙ্গাসাগর হয়, তবে শিক্ষার তীর্থস্থান এই শান্তিনিকেতন। তফাত এটুকুই, গঙ্গাসাগরে দূর থেকে গঙ্গা এসে সাগরে বিলীন হয়। আর শান্তিনিকেতন থেকে পড়ুয়াদের রূপে বের হওয়া জ্ঞান গঙ্গা দূরে দূরে যায়, নিজেদের জ্ঞানে অনেক ক্ষেত্রকে সিঞ্চিত করে। তিনি বলেন, বিশ্বভারতী শিক্ষার মন্দির। গুরুদেবের জ্ঞানের মূর্ত স্বরূপ।  

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, সাধারণত এই ধরনের অনুষ্ঠানে আমি একদিনেই ফিরে যাই। কিন্তু বিশ্বভারতী ও গুরুদেবকে জানব বলে আমি একদিন অতিরিক্ত রেখেছি। তবে এটাও ঠিক, এক-দু দিনে বিশ্বভারতী বা গুরুদেবকে জানা সম্ভব নয়। ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জীবনে যে কাজই করবেন, সেরাটা দিন। চেষ্টার কোনও শেষ হয় না। লক্ষ্যে পৌঁছতে সব সময় চেষ্টা করে যেতে হয়। কখনও নিরাশ হবেন না।

    আরও পড়ুুন: ‘মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে দুর্নীতির কারণেই’, দাবি সুকান্তের

    দেশের প্রগতি যে ক্রমেই উন্নত হচ্ছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, এখন দেশ প্রগতির পথে এগোচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্বের দরবারে নিজের ছাপ রাখছে। মেক ইন ইন্ডিয়া থেকে মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ডের দিকে এগোচ্ছে। তিনি বলেন, এটা গুরুদেবের লক্ষ্যের পথে এগোনো। এর পরেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, এভাবে এগোতে থাকলে সেদিন খুব বেশি দূরে নয় যেদিন আমাদের দেশের অর্থনীতি অন্যতম দেশ হিসেবে শীর্ষে পৌঁছে যাবে। ২০৪৭ সালের মধ্যে আমাদের দেশ তৃতীয় বা দ্বিতীয় নয়, টপ ইকোনমি হবে ভারত। তিনি বলেন, কোনও কাজ করতে চাইলে বড় মনে কাজ করুন। কোনও ইগো রাখবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Rajnath Singh: দেশের সুরক্ষায় এক কদম এগোলে সরকার ১০টি পদক্ষেপ নেবে! ঘোষণা রাজনাথের

    Rajnath Singh: দেশের সুরক্ষায় এক কদম এগোলে সরকার ১০টি পদক্ষেপ নেবে! ঘোষণা রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতের উপর ভরসা। প্রধানমন্ত্রীর মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পকে আরও অগ্রাধিকার দিতে ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বললেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।  অ্যারো ইন্ডিয়া শো-২০২৩ (Aero India Show 2023)এর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে রাজনাথ জানান, দেশের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ৭৫ শতাংশ সামরিক সরঞ্জাম দেশীয় প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলি থেকে সংগ্রহ করা হবে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে একথা বলেন তিনি।

    কী বললেন রাজনাথ

    ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি প্রদর্শনে এবারও তাক লাগালো ‘অ্যারো ইন্ডিয়া’। বেঙ্গালুরুতে বায়ুসেনার ইয়েলেহাঙ্কাতে প্রতিবারের মতো এবারেও বর্ণাঢ্য আয়োজন হয় এই সমাহোরহ ঘিরে। মুখ্য অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমন্ত্রিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ভারত যেখানে প্রতিরক্ষা অস্ত্র রফতানির দিকে ফোকাস বাড়াচ্ছে, সেখানে দেশে নির্মিত এলসিএ যুদ্ধবিমানের নাম বারবার উঠছে। LCA Mk-2দেশের মাটিতে তৈরির ছাড়পত্র গত বছরই দিয়েছে কেন্দ্র। যা ভবিষ্যতের যুদ্ধে একটি কার্যকরী যুদ্ধবিমান বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের মাটিতে যে সমস্ত অস্ত্র তৈরি হচ্ছে, তার মধ্যে এলসিএ ছাড়াও আকাশ থেকে আকাশ মিসাইল ‘অস্ত্র’, ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ‘আকাশ’, ট্যাঙ্ক, ব়্যাডারের মতো সমরাস্ত্র যা ভারতের মাটিতে তৈরি হয়েছে, তা রফতানির ভাবনা নিয়ে এগোচ্ছে দেশ। সেই জায়গা থেকে বেঙ্গালুরুর ‘অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৩’ এর প্রদর্শন বেশ প্রাসঙ্গিক।

    আরও পড়ুুন: ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের! শুভেন্দুর মামলায় স্থগিতাদেশ বহাল

    অ্যারো ইন্ডিয়া শো-২০২৩ (Aero India Show 2023)এর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে রাজনাথ বলেন, “দেশের নিরাপত্তা জোরদারের দিকে এক কদম এগোলে সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে ১০টি পদক্ষেপ নেবে। শিল্প জমি চেয়েছে, আমরা পূর্ণ আস্থা রেখে বিশাল আকাশ দিয়েছি।” উল্লেখ্য, বাজেটে প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য ৭৫ শতাংশ মঞ্জুর করা হয়েছে। বিগত বছরে তা ছিল ৬৮ শতাংশ। অ্যারো ইন্ডিয়া শো ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করতে অনেক দূর এগিয়ে যাবে, বলেও আশ্বাস প্রকাশ করেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “এটি একটি নতুন সূচনা। এটি দেখিয়েছে যে ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্প বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। শোতে দেড় হাজার মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ডিআরডিও-র প্রযুক্তি হস্তান্তর চুক্তি হয়েছে। বেসরকারি এবং সরকারি খাতে শিল্প উৎপাদন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Aero India 2023: এশিয়ার বৃহত্তম এরো শো! বেঙ্গালুরুতে এরো ইন্ডিয়া ২০২৩-এর সূচনা প্রধানমন্ত্রীর

    Aero India 2023: এশিয়ার বৃহত্তম এরো শো! বেঙ্গালুরুতে এরো ইন্ডিয়া ২০২৩-এর সূচনা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার সকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেঙ্গালুরুতে এরো ইন্ডিয়া ২০২৩-এর ১৪ তম সংস্করণের উদ্বোধন করলেন। এটি এশিয়ার বৃহত্তম এরো শো। কর্ণাটকের ইয়েলাহানকার বায়ুসেনা ঘাঁটিতে এই এয়ার শোয়ের আয়োজন করা হয়েছে। এই শোয়ের মাধ্যমে ভারতের মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতার কথা তুলে ধরা হবে। অফিসাল বিবৃতি অনুসারে, অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৩-র মূল ফোকাস হল দেশীয় সরঞ্জাম ও প্রযুক্তির প্রদর্শন। মেক ইন ইন্ডিয়া, মেক ফর দ্যা ওয়ার্ল্ড ভিশনের সঙ্গে তাল মিলিয়েই এই প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই শোয়ের থিম হল ‘দ্যা রানওয়ে টু এ বিলিয়ন অপারচুনিটিস’। এরো শোতে ৮০টিরও বেশি দেশ অংশগ্রহণ করেছে।

    বেঙ্গালুরুতে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    চার দিনের ব্যস্ত কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তারই মধ্যে রবিবার সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরু পৌঁছে যান তিনি। রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট এবং মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। আর আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকাল ৯.৩০ টায় বেঙ্গালুরুর ইয়েলাহাঙ্কায় বিমান বাহিনী স্টেশনে ‘Aero India 2023’-এর ১৪ তম সংস্করণের উদ্বোধন করেন। সকাল ৯.৪০ থেকে ১০.৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রী মোদি এই শোয়ে একটি ‘স্মারক ডাকটিকিট’ও প্রকাশ করেছেন।

    ৯৮ টি দেশের অংশগ্রহণ

    সূত্রের খবর অনুযায়ী,  এখনও পর্যন্ত এটাই সবথেকে বড় ইভেন্ট এরো ইন্ডিয়া শো-র। কারণ এই প্রথম ৯৮টি দেশ এই প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে। ৯৮ টি দেশের মোট ৮০৯ টি কোম্পানি এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবে বলে জানা গিয়েছে। এই অনুষ্ঠানে ৩২টি দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, ২৯টি দেশের বিমান বাহিনী প্রধান, ১০০টি বিদেশী এবং ৭০০টি ভারতীয় কোম্পানি সহ ৮০০টিরও বেশি প্রতিরক্ষা সংস্থার অংশগ্রহণ দেখা যাবে। প্রায় ৩৫,০০০ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে আয়োজিত করা হয়েছে এই অনুষ্ঠান। রিপোর্ট অনুসারে, ৮০৯ টি প্রতিরক্ষা সংস্থা সহ এমএসএমই এবং স্টার্ট-আপগুলি বিশেষ প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের দক্ষতা বৃদ্ধি প্রদর্শন করবে এই শোতে।

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য

    প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন বলেন, “এরো ইন্ডিয়ার এই ইভেন্ট ভারতের ক্রমবর্ধমান সম্ভাবনার প্রমাণ, তেজস বিমান তার উদাহরণ। ভারত ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায়। এতে বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশের উপস্থিতি প্রমাণ করে যে ভারতের প্রতি বিশ্বের বিশ্বাস কতটা বেড়েছে।”

    ইভেন্টের লক্ষ্য

    বায়ুসেনা সূত্রে খবর, এরো ইন্ডিয়া  প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা খাতে দেশের সক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী এবং আত্মনির্ভরশীল ‘নতুন ভারত’-এর উত্থানকে উন্নীত করাই এর লক্ষ্য। এছাড়াও ভবিষ্যতে কী কী অস্ত্র পাবে বায়ুসেনা, তারও ঝলক দেখা যাবে এই এয়ার শোয়ে। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য হল, লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট (এলসিএ)-তেজস, এইচটিটি-৪০, ডর্নিয়ার লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার (এলইউএইচ), লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (এলসিএইচ) এবং অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (এএলএইচ) এর মত দেশীয় বিমানের রপ্তানি আরও বাড়ানো।

    প্রধান প্রদর্শক

    প্রধান প্রদর্শকদের মধ্যে রয়েছে, এয়ারবাস, বোয়িং, ড্যাসল্ট এভিয়েশন, লকহিড মার্টিন, ইসরায়েল এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি, ব্রহ্মোস এরোস্পেস, আর্মি এভিয়েশন, এইচসি রোবোটিক্স, এসএএবি, সাফরান, রোলস রয়েস, লারসেন অ্যান্ড টুব্রো, ভারত ফোর্জ লিমিটেড, হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড, ভারত লিমিটেড। ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (বিইএল), ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড (বিডিএল) এবং বিইএমএল লিমিটেড। সূত্রের খবর, প্রায় ৫ লক্ষ দর্শক এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং আরও লক্ষাধিক দর্শক ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত হবেন। ফলে মনে করা হচ্ছে, পাঁচদিনব্যাপী এরো ইন্ডিয়ার শো দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করবে।

  • Rajnath Singh: সীমান্ত সুরক্ষিত, ভয় নেই! সর্বদলীয় বৈঠকে বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: সীমান্ত সুরক্ষিত, ভয় নেই! সর্বদলীয় বৈঠকে বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সদা সজাগ ভারতীয় সেনা। তাই কোনও ভয়ের কারণ নেই। দেশবাসী নিরাপদ রয়েছে সীমান্ত সুরক্ষিত রয়েছে, বলে জানালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বাজেট অধিবেশনের আগে সোমবার সর্বদলীয় বৈঠকে রাজনাথ বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি-পরিকল্পনার জন্য আজ দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত। যার ফলে দেশের মানুষ অনেক শান্তিতে রয়েছেন।”

    আলাপচারিতা

    আগামী বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারি সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। আগামী বছর, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এটাই নরেন্দ্র মোদি সরকারের পূর্ণাঙ্গ বাজেট। বাজেট অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এদিন সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। এদিন দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ সংসদ ভবনেই সর্বদলীয় বৈঠক হয়। বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিরা যেমন বাজেট অধিবেশন নিয়ে তাঁদের প্রত্যাশা প্রকাশ করেন, তেমনই সুষ্ঠুভাবে বৈঠক করার জন্য বিরোধীদের কাছে আবেদন করেন সংসদীয় মন্ত্রী। ২৭ টি রাজনৈতিক দলের মোট ৩৭ জন নেতা যোগ দিয়েছিলেন এদিনের সর্বদল বৈঠকে। 

    আরও পড়ুন:মমতার পাশে নেই কেষ্ট! অনুব্রত-হীন বীরভূমে মুখ বাঁচাতে নয়া কৌশল তৃণমূলের?

    ছিল না কংগ্রেস

    সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংসদ উপনেতা রাজনাথ সিং, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী, পীযূষ গোয়াল, ভি মুরালিধরন প্রমুখরা। তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দু শেখর রায় সহ প্রমুখ বিরোধী নেতাদের উপস্থিতিতে এদিনের বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস থেকে কোনও নেতাই উপস্থিত ছিলেন না বৈঠকে।  ফলে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। এদিনের সর্বদলীয় বৈঠকে সমস্ত দল যোগ দিলেও হাজির ছিলেন না মল্লিকার্জুন খাড়্গে, অধীর চৌধুরী সহ কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি। যদিও এদিনের সর্বদলীয় বৈঠক তাঁরা বয়কট করেননি, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত জোড়ো আন্দোলন নিয়েই ব্যস্ত,তাই যোগ দেয়নি কংগ্রেস, এমনটাই জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rajnath Singh: সংবাদমাধ্যমের ওপর কখনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি বিজেপি সরকার, বললেন রাজনাথ সিং

    Rajnath Singh: সংবাদমাধ্যমের ওপর কখনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি বিজেপি সরকার, বললেন রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগ করছেন তাঁদের জানাতে চাই, আমাদের দলের সরকার কোনও সংবাদ সংস্থার ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। বা কারো বাক স্বাধীনতার অধিকারকে খর্ব করেনি।”, রবিবার আরএসএস -এর সাপ্তাহিক ‘পাঞ্চজন্য’- এর আয়োজিত একটি কনক্লেভে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এমনটাই জানালেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)।

    কী বলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী? 

    তিনি প্রাক্তন কংগ্রেস সরকারের ১৯৫১ সালে ১৯ ধারার সংশোধনীর (Rajnath Singh) কথা উল্লেখ করে বলেন, “কংগ্রেস সরকার বাকস্বাধীনতা রোধ করার জন্য সংবিধান সংশোধন করেছিল। দেশে আবারও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।” 

    তিনি (Rajnath Singh) এদিন আরও বলেন, “মজার বিষয় হল, যে যারা আজ মিডিয়ার স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগ করছেন তারা ভুলে গেছেন যে এটি অটলজির সরকার হোক বা মোদিজির সরকার, আমরা কখনই কোনও মিডিয়া হাউসের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করিনি, বা কোনোভাবেই কারো বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব করা হয়নি।”

    আরও পড়ুন: গত পাঁচ বছরে বিমান দুর্ঘটনার খতিয়ান, জেনে নিন মৃত্যুর পরিসংখ্যানও

    কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী (Rajnath Singh) বলেন, “আগের সরকারের ইতিহাস সব ধরনের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ঘটনা দিয়ে পরিপূর্ণ। কংগ্রেস সরকার বাকস্বাধীনতা খর্ব করার জন্য সংবিধান সংশোধন করেছে। কাঁচের ঘরে যারা বাস করে তাদের অন্যের দিকে পাথর ছোড়া উচিত নয়।” 

    রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) আরও বলেন, “সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ এবং এর স্বাধীনতা একটি শক্তিশালী এবং প্রাণবন্ত গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

    অতীতে “পাঞ্চজন্য” এর উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এবং বিধিনিষেধ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) বলেন, “রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ- এর সঙ্গে যুক্ত সাপ্তাহিকের উপর বারবার ক্র্যাকডাউন কেবল জাতীয়তাবাদী সাংবাদিকতার উপর আক্রমণ নয়, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার লঙ্ঘনও বটে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • INS Mormugao: নৌসেনায় অন্তর্ভুক্তি রবিবার, কতটা শক্তিশালী ডেস্ট্রয়ার আইএনএস মর্মুগাও?

    INS Mormugao: নৌসেনায় অন্তর্ভুক্তি রবিবার, কতটা শক্তিশালী ডেস্ট্রয়ার আইএনএস মর্মুগাও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে ভারত তৈরি করল যুদ্ধজাহাজ আইএনএস মর্মুগাও (INS Mormugao)। বিশ্বের শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজগুলিকে মাত করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে ভারতের এই রণতরী। রবিবার নৌসেনার অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে আইএনএস মর্মুগাও। 

    আইএনএস মর্মুগাও-এর বৈশিষ্ট্য

    অত্যাধুনিক এই ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ (INS Mormugao) নির্মাণ করেছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও শিপবিল্ডার্স লিমিটেড। এর নকশা তৈরি করেছে ভারতীয় নৌসেনার ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো। রবিবার মুম্বইয়ের নেভাল ডকইয়ার্ডে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের উপস্থিতিতে নৌসেনার হাতে আসবে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই রণতরী। এই জাহাজ নিঃসন্দেহে জলসীমায় আরও শক্তিশালী করবে দেশকে। এর জেরে ভারত মহাসাগর সহ অন্যান্য অঞ্চলে নৌবাহিনীর গতিশীলতা আরও বাড়বে। গোয়ার ঐতিহাসিক বন্দর শহর মর্মুগাওয়ের নামে তৈরি এই রণতরী জৈব, পারমাণবিক ও রাসায়নিক— তিন ধরনের যুদ্ধ পরিস্থিতিতেই শত্রুপক্ষকে টেক্কা দিতে সক্ষম। তাৎপর্যপূর্ণভাবে গোয়া মুক্তি দিবসের একদিন আগেই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে এটি। 

    আরও পড়ুন: বিরাট বিক্রান্ত! প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আজই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্তি দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরীর

    চারটি শক্তিশালী গ্যাস টার্বাইন দ্বারা চালিত এই রণতরীর সর্বোচ্চ গতি ৩০ নটের বেশি। পাশাপাশি ‘স্টেলথ’ প্রযুক্তি থাকায় শত্রু শিবিরের জাহাজের রেডার এড়িয়ে চলতে সক্ষম ১৬৩ মিটার লম্বা ও ১৭ মিটার চওড়া আইএনএস মর্মুগাও (INS Mormugao)। শত্রুপক্ষকে ধ্বংস করতে রণতরীতে রয়েছে একগুচ্ছ অত্যাধুনিক অস্ত্রসম্ভার। এগুলির মধ্যে রয়েছে ভূমি থেকে ভূমি এবং ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। থাকবে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিকতম সংস্করণ, যার পাল্লা বলা হচ্ছে আনুমানিক ৪৫০ কিলোমিটার। ডুবোজাহাজের মোকাবিলা করতেও প্রস্তুত আইএনএস মর্মুগাও। জলের নীচে থাকা শত্রু নিধনের জন্য এতে রয়েছে টর্পেডো ও রকেট লঞ্চার। উন্নত মানের রেডার থাকায় লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হবে এই রণতরী। ২০১৫ সালের জুন মাস থেকে এই জাহাজ তৈরির কাজ শুরু হয়। এরপর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এটির কাজ শেষ হয়েছিল। এরপর গতবছর গোয়া লিবারেশন ডে অ্যানিভার্সারিতে এটির মহড়া হয়। এবার ভারত মহাসাগর অঞ্চলে কার্যত রাজ করবে ভারতের এই যুদ্ধ জাহাজ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rajnath Singh: চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা, বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা, বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যতদিন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, ততদিন দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও কেউ দখল করতে পারবে না। তাওয়াঙে (Tawang) ভারত-চিন সংঘর্ষ (Indo China Clash) নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন ভারতীয় সেনার অবদানকে কুর্নিশও জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ৮-৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় সেনাবাহিনী যে বীরত্ব দেখিয়েছে, তাকে স্যালুট জানাই। চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা, বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

    চিনা আগ্রাসন…

    এদিকে, অরুণাচল প্রদেশে চিনা আগ্রাসনের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে যে নিশানা করেছেন বিরোধীরা, এদিন তার জবাব দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তাঁর দাবি, ভারতীয় জওয়ানরা চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে। তাদের নিজেদের পোস্টেও ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সংসদে বলেন, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ের ঘটনা সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চাই। ৯ ডিসেম্বর, ২০২২-এ পিএলএ সৈন্যরা সীমান্তে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করে। আমাদের সেনাবাহিনী দৃঢ়তার সঙ্গে তার মোকাবিলা করে। দু পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। আমাদের জওয়ানরা চিনা সেনাদের বাধা দেয় এবং তাদের পোস্টে ফেরত পাঠায়। তিনি বলেন, আমাদের সেনাবাহিনীর কোনও জওয়ান নিহত বা আহত হয়নি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, এই ঘটনার পর স্থানীয় কমান্ডার ১১ ডিসেম্বর চিনের সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ঘটনাটি নিয়ে আলোচনাও করেন। চিনকে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: তাওয়াং সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করল চিন! জবাব ভারতীয় সেনার

    এদিকে, তাওয়াঙে ভারত-চিন সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধানরাও। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, উভয় পক্ষের সংঘর্ষ নিয়ে খবর নেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সূত্রের খবর, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াঙ সেক্টরে গত ৯ ডিসেম্বর উভয় পক্ষের সংঘর্ষে চিনা বাহিনীকে কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। সংঘর্ষে ভারতীয় জওয়ানদের থেকে চিনা জওয়ানদের জখম হওয়ার সংখ্যা বেশি।

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ানেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল চিনা সেনা ও ভারতীয় বাহিনী। ওই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসেও ওই একই এলাকায় ঢুকে পড়েছিল প্রচুর চিনা সেনা। সেই সময়ও দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rajnath Singh on Pok:পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি রাজনাথের

    Rajnath Singh on Pok:পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সেনার শৌর্য দিবস উপলক্ষে শ্রীনগরের একটি অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী (Defence Minister) রাজনাথ সিং বলেন যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে  নৃশংসতা চালাচ্ছে পাকিস্তান। এর পরিণতি তাদের ভোগ করতে হবে।

    [tw]


    [/tw]

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে পুনরুদ্ধার করার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি জানান যে, জন্মু কাশ্মীর ও লাদাখের উন্নয়নের ধারা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পৌঁছে দিতে ভারত সরকার বদ্ধপরিকর।এই উন্নয়ন কাজের পরিসমাপ্তি ঘটবে গিলগিট ও বালোচিস্তান অর্জনের পর।  ভারতীয় সেনাবাহিনী কাশ্মীর উপত্যকায় ১৯৪৭ সালের ২৭ অক্টোবর ভারতের মাটিতে প্রথম বহিরাগত আক্রমণ প্রতিহত করে। শিখ রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটেলিয়ান এই জয় এনে দেয়। সেই দিনটিকে স্মরণে রেখেই স্বাধীন ভারতের প্রথম সামরিক ইভেন্টের স্মরণে পদাতিক দিবস পালন করা হয়।

    [tw]


    [/tw]

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আরও বলেন, পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা কাশ্মীরে সব সময় অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাসবাদীদের কোনও ধর্ম হয় না। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ভারতকে টার্গেট করা। তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালে কাশ্মীরে ৩৭০ ও ৩৫ এ ধারা বাতিল করার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারা বইছে কাশ্মীর উপত্যকায়। আজ জন্মু কাশ্মীরের জনগণের প্রতি বৈষম্যেরও অবসান ঘটেছে এই ধারা গুলি অবসানের মাধ্যমে।

    রাজনাথ আরও বলেন, জম্মু কাশ্মীরে যখন সন্ত্রাসবাদীদের নিকেশ করা হয়, তখন দেশের কিছু মানবাধিকার কর্মী কাঁদতে শুরু করে। কিন্তু সেই সন্ত্রাসবাদীরাই যখন জওয়ানদের আক্রমণ করে, তারা লুকিয়ে পড়ে। এভাবেই নব্বই দশকের শুরু থেকে এখানে অরাজকতা শুরু হয়েছিল। তবে উপত্যকায় ৩৭০ ধারা বাতিল করে পরিস্থিতির যে উন্নতি হচ্ছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Dirty Bomb: ‘ডার্টি বম্ব’ প্রসঙ্গে ভারতের সঙ্গে কথা রাশিয়ার, গণতান্ত্রিক উপায়ে সমাধানের পরামর্শ রাজনাথের

    Dirty Bomb: ‘ডার্টি বম্ব’ প্রসঙ্গে ভারতের সঙ্গে কথা রাশিয়ার, গণতান্ত্রিক উপায়ে সমাধানের পরামর্শ রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ডার্টি বম্ব’ প্রসঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে রাশিয়া। এমনটাই জানাল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে রাশিয়ার (Russia) প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর (Sergey Shoigu)। রাশিয়ার তরফ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, যেকোনও মুহূর্তে তেজক্রিয় বোমা ব্যবহার করতে পারে ইউক্রেন। আর সেই আশঙ্কা থেকেই গত রবিবার থেকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ন্য়াটো দেশভুক্ত দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলা শুরু করেছেন। যদিও ইউক্রেন এবং তার বন্ধু দেশগুলি পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের রাশিয়ার এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: প্লাজমার বদলে মুসাম্বির রস, অভিযুক্ত হাসপাতালকে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যোগী সরকারের 

    ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “রাশিয়ার অনুরোধে ২৬ অক্টোবর ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। দুপক্ষের সামরিক সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়েছে। ডার্টি বোম্ব ব্যবহার করতে পারে ইউক্রেন, সেব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাশিয়া। এনিয়ে ইউক্রেন উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে তারা। তবে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলোচনা ও গণতান্ত্রিক পথে এই সমস্যা দ্রুত মেটানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কেউ যেন পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে না পারে  সেব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তেজস্ক্রিয় অস্ত্র ব্যবহৃত হলে মানব সভ্যতার ভয়ঙ্কর ক্ষতি হবে।”   

    বেশ কিছুদিন ধরেই ডার্টি বম্ব প্রসঙ্গ নিয়ে উত্তাল গোটা বিশ্ব। সম্প্রতি আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন শোইগু। সবার সঙ্গেই ডার্টি বম্ব নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে। রাশিয়ার দাবি, পুতিনদের পরাস্ত্র করতে এই বিশেষ ধরনের বোমা ছোঁড়ার পরিকল্পনা করছে ইউক্রেন। এই দাবিকে যদিও একেবারে ‘অবাস্তব’ বলে উড়িয়ে দেয় পশ্চিমের তিন দেশ। ইউক্রেনের  বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা এ বিষয়ে বলেন, “আসলে ডার্টি বম্ব ফেলার পরিকল্পনা করছে রাশিয়াই। সেই জন্য আগে থেকে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করছে।”   

    কিন্তু তবুও নিজেদের অভিযোগ থেকে সরে আসেনি রাশিয়া। মঙ্গলবারই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও একই অভিযোগ তোলে রাশিয়া। ডার্টি বম্ব মেরে আক্রমণ করবে ইউক্রেন, এই অভিযোগ এনে ১৫ সদস্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা। সেই সঙ্গে দাবি করা হয়, ইতিমধ্যেই দুই সংস্থাকে ডার্টি বম্ব তৈরির বরাত দিয়েছে ইউক্রেন। যদিও এখন অবধি এই দাবির ষপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি পুতিনের দেশ। সেই কারণেই রাশিয়ার এই বক্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share