Tag: Ram Mandir

Ram Mandir

  • Ram Mandir: আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার উদ্বোধন করলেন ‘জয় সিয়ারাম শবরী এপিসোড’ গান

    Ram Mandir: আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার উদ্বোধন করলেন ‘জয় সিয়ারাম শবরী এপিসোড’ গান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে সাজো সাজো রব গোটা অযোধ্যাজুড়ে। প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে ভারতের আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক জগতে নতুন অধ্যায় সূচনা হতে চলেছে। ঠিক এই আবহে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য ইন্দ্রেশ কুমারের নতুন গানের উদ্বোধন করলেন। নাম ‘জয় সিয়ারাম শবরী এপিসোড’। গানটি গেয়েছেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী মন্দাকিনী বোরা।

    রাম মন্দিরের উদ্বোধনে প্রস্তুতি তুঙ্গে

    রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনকে ঘিরে প্রস্তুতিও তুঙ্গে চলছে। ইতিমধ্যে নিমন্ত্রিতদের কাছে পত্র পাঠানোর কাজ সম্পন্ন হচ্ছে জোর কদমে। নিমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন বলিউডের মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। জনপ্রিয় পরিচালক সুভাষ ঘাই, অক্ষয় কুমার সহ  অন্যান্যরা। পরিচালক সুভাষ ঘাই তাঁর আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়ে বলেছেন, ‘‘রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারব আমি, এটা ভেবে আমার খুব ভালো লাগছে। রাম মন্দিরের নির্মাণ শুধুমাত্র ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক দিক থেকে একটি মাইলস্টোন নয় বরং তা ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য এবং আধ্যাত্মিকতারও একটা মেলবন্ধন।’’ আমন্ত্রিতদের তালিকায় বলিউডের একাধিক শিল্পী রয়েছেন। এর পাশাপাশি দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তও আমন্ত্রিত রয়েছেন। বলিউডের শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন মাধুরী দীক্ষিত, অনুপম খের, অক্ষয় কুমার। এর পাশাপাশি পরিচালক রাজকুমার হিরানী, সঞ্জয় লীলা বানসালি, রোহিত শেঠি সমেত অন্যান্যরা।

    কী বলছেন রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত

    রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ দাস এ বিষয়ে বলেন, ‘‘অনুষ্ঠানের দিন এখানে আসবেন অক্ষয় কুমার, অমিতাভ বচ্চন সমেত অন্যান্যরা। প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন তাঁরা সকলেই আমন্ত্রিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজিও আসছেন। প্রত্যেক শিল্পীকেই অযোধ্যা স্বাগত জানাচ্ছে।’’ রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ২২ জানুয়ারির মূল অনুষ্ঠানে মন্দিরের গর্ভগৃহে যাবতীয় আচার অনুষ্ঠান করবেন বারানসির পুরোহিত লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: “গোয়া নয়, মানুষজন ঘুরতে আসছেন অযোধ্যায়”, উচ্ছ্বসিত রামনগরীর হোটেল ব্যবসায়ী

    Ram Mandir: “গোয়া নয়, মানুষজন ঘুরতে আসছেন অযোধ্যায়”, উচ্ছ্বসিত রামনগরীর হোটেল ব্যবসায়ী

    রামনগরী অযোধ্যা-চার

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: বড়দিনের দুপুর নাগাদ পা পড়ল অযোধ্যায় (Ram Mandir)। তবে কলকাতার মতো বড়দিন ঘিরে কোনও অনুষ্ঠানই নজরে পড়ল না। রাস্তার দোকানগুলিতে নেই সান্তার টুপিও। বদলে হনুমানের গদা, জয় শ্রীরাম লেখা পতাকা বিক্রি হচ্ছে। রাম মন্দির থেকে সরযূ নদী পর্যন্ত রাস্তার নাম রামপথ। আগে সংকীর্ণ রাস্তা থাকলেও বর্তমানে তা বেশ চওড়া করেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। রামপথের পাশেই নজরে পড়ল বিরাট পার্ক। শিশুদের খেলাধূলা ও বড়দের শরীরচর্চার জন্য নির্মিত ওই পার্কের গেট থেকে দেওয়াল, ভিতরে বসার জায়গাতেও রয়েছে সনাতন সংস্কৃতির ছোঁয়া। পার্কের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে মন্দিরের মতো একটি নির্মাণ। সেখানেই বসানো হয়েছে ধ্যানরত এক মুনির মূর্তি। পার্কের পিছনেই ছিল আমাদের হোটেল ‘প্রেমসি গেস্ট হাউস’। আমাদের থাকার ব্যবস্থা ছিল গেস্ট হাউসের দ্বিতীয় তলে। রাম মন্দির থেকে দূরত্ব ১ কিমির মধ্যেই। হোটেল মালিক ধর্মেন্দ্র মিশ্র। পেশায় দিল্লিতে ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন বলে জানা গেল। ৩৬ বছর বয়সী ধর্মেন্দ্র মিশ্র জানালেন, অযোধ্যায় ভিড় আগের থেকে অনেক বেড়েছে। রাম ভক্তদের পা পড়ছে তাঁর হোটেলেও।

    রমরমিয়ে চলছে হোটেল ব্যবসা (Ram Mandir)

    প্রসঙ্গত, অযোধ্যায় রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে হোটেল ব্যবসায়ীদের যে বিপুল লক্ষ্মীলাভ হতে চলেছে, তা বোঝাই যায়। ইতিমধ্য়ে অযোধ্যার স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, মন্দির উদ্বোধনের পর গড়ে ৩ লাখ মানুষের পা পড়তে চলেছে অযোধ্যায় (Ram Mandir)। হোটেল ব্যবসা যে রমরমিয়ে চলবে, তা বোঝা যায় ধর্মেন্দ্র মিশ্রদের দেখেই। যাঁরা ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ছেড়ে এসে হোটেল ব্যবসায় মনোনিবেশ করেছেন। ধর্মেন্দ্র মিশ্রর সঙ্গে কথোপথনের সময় জানা গেল, রাম মন্দির উদ্বোধনের সময় তাঁর গেস্ট হাউসে এসে থাকবেন দূরদর্শনের মহাভারত সিরিয়ালের যুধিষ্ঠির গজেন্দ্র চৌহান। অযোধ্যার বিপুল উন্নয়নের জন্য মোদি-যোগীর ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল ধর্মেন্দ্র মিশ্রর গলায়।

    কী বলছেন ধর্মেন্দ্র মিশ্র? (Ram Mandir)

    তাঁর নিজের ভাষায়, ‘‘রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন এগিয়ে আসছে। ভগবান রামচন্দ্র আমাদের আদর্শ। তাঁর মন্দিরে ফেরার দিনক্ষণ স্থির হয়েছে। এতে আমি একদিকে খুশি এবং তার সঙ্গে গর্বিত। মোদিজি ও যোগীজির নেতৃত্বে উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে অযোধ্যা। অযোধ্যা বর্তমানে আগের থেকে অনেক বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়েছে। আগে গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থাও ছিল না। এখন উন্নত গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থার কারণে যানজট হয় না। রাস্তাও চওড়া হয়েছে।’’ ধর্মেন্দ্র মিশ্রর আরও সংযোজন, ‘‘আগে মানুষজন ছুটি কাটাতে গোয়া যেত। সমুদ্র সৈকতে সময় কাটাত। এখন মানুষজন অযোধ্যায় আসছেন। সন্তানরা সংস্কার পাচ্ছেন অযোধ্যায় এসে।’’ তাঁর কাছ থেকেই জানা গেল ২২ জানুয়ারি কতটা আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের। ধর্মেন্দ্র মিশ্র জানালেন, আমাদের ‘‘আমাদের মতো হোটেল ব্যবসায়ীদের নিয়ে ইতিমধ্যে অযোধ্যার প্রশাসন একটি বৈঠক সম্পন্ন করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে ১৮ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত হোটেলের ঘর দিতে হবে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট অথবা প্রধানমন্ত্রীর দফতরের চিঠি সঙ্গে থাকলে তবেই মিলবে হোটেলের ঘর।’’ ধর্মেন্দ্র মিশ্রদের মতো আরও হাজারো হোটেল ব্যবসায়ী লক্ষ্মীলাভের আশায়  মন্দির উদ্বোধনের জন্য দিন গুনছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: রাম মন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র পেয়ে উচ্ছ্বসিত গঙ্গাসাগরের সাধু-সন্ন্যাসীরা

    South 24 Parganas: রাম মন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র পেয়ে উচ্ছ্বসিত গঙ্গাসাগরের সাধু-সন্ন্যাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরাণ অনুযায়ী সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর, কলি-এই চার যুগের মধ্যে দ্বাপর যুগের শ্রেষ্ঠ পীঠস্থান কুরুক্ষেত্র। একই ভাবে কলি যুগের শ্রেষ্ঠ পীঠস্থান হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গঙ্গাসাগর। এই গঙ্গাসাগরেই গঙ্গা এবং বঙ্গোপসাগরের মিলন সঙ্গমস্থল পুণ্য তীর্থক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিনের পরই মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সন্ন্যাসীরা এসে ভিড় জমাবেন। লক্ষ লক্ষ ভক্তদের সমাগম হবে এই তীর্থধামে। এবার অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনের নিমন্ত্রণপত্র পেয়ে সাধু সন্ন্যাসীদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    কী বলেন গঙ্গাসাগরের সন্ন্যাসীরা (South 24 Parganas)?

    রাম মন্দিরের নিমন্ত্রণ পেয়ে গঙ্গাসাগরের (South 24 Parganas) সন্ন্যাসী কৃষ্ণানন্দ গিরি বলেন, “রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে, এটা আমাদের কাছে খুশির খবর। হিন্দু সমাজের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এই মন্দির দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের ফসল। অনেক সাধু, সন্ন্যাসী আগেও মন্দিরের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন। একটা সময় ‘কর সেবকরা’ মন্দির নির্মাণের জন্য ইট নিয়ে গিয়েছিলেন। শিলাপুজো করে অনেক আগেই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনা করা হয়েছিল। সময় বদলে যাবে, মানুষ বদলে গেলেও অযোধ্যা শ্রীরামের অযোধ্যা হিসাবেই থাকবে। ঈশ্বরের বিগ্রহ নির্মাণের খবরে আমরা অনেক খুশি। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন, এটা খুব আনন্দের কথা। তবে সামনেই মেলা, ফলে মেলার ব্যস্ততা রয়েছে। আমাদের নিমন্ত্রণপত্র এবং প্রসাদী চাল দিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।”

    আগামী ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন রাম মন্দিরের

    ২২ শে জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে গঙ্গাসাগর মেলায় আসা সাধু-সন্ন্যাসীদের হাতে এসে পৌঁছাল মন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র। আমন্ত্রণপত্র পেয়ে খুশি গঙ্গাসাগর মেলায় আসা সাধু-সন্ন্যাসীরা। গঙ্গাসাগরকে নিয়ে যেমন রয়েছে হিন্দুদের একাধিক পৌরাণিক কাহিনী, ঠিক তেমনি অন্যতম পীঠস্থান অযোধ্যার শ্রীরামকে ঘিরে রয়েছে ঐতিহাসিক নানান কাহিনী। হিন্দু ধর্ম চেতনায় একে অপরের সাথে যেন অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। সমানেই গঙ্গাসাগর (South 24 Parganas) মেলা। কিন্তু তাঁরা সেই অযোধ্যায় গিয়ে পৌঁছাতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে অনেকটাই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তবে এমন আমন্ত্রণপত্র তাঁদের  কাছে অনেকটাই গর্বের বলে জানাচ্ছেন সাধু-সন্ন্যাসীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম জন্মভূমি চত্বরে কুবের টিলার ওপর গড়ে উঠছে জটায়ুর মন্দিরও, ব্যস্ততা তুঙ্গে

    Ram Mandir: রাম জন্মভূমি চত্বরে কুবের টিলার ওপর গড়ে উঠছে জটায়ুর মন্দিরও, ব্যস্ততা তুঙ্গে

    রামনগরী অযোধ্যা-তিন

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সম্পাদক চম্পত রাই সবার সামনে। পথ দেখিয়ে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা সাংবাদিকদের নিয়ে যেতে থাকলেন রাম জন্মভূমি চত্বরে। ঠিক যেন ছোটখাট মিছিল মনে হচ্ছিল। পিছনে পুলিশের গাড়ি। বুম, ক্যামেরা হাতে সবাই হাঁটছে। দুপুর বেলায় মাথার ওপরে তখন সূর্য। গিয়ে দেখা গেল, রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে পূর্ব-পশ্চিমে। মন্দিরের দক্ষিণ দিকেই তৈরি হচ্ছে আরও সাত মন্দির। রামের জীবনে অবদান রয়েছে, এমন চরিত্রদের মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজও চলছে গড়গড়িয়ে। মন্দির নির্মাণ হচ্ছে বাল্মিকী, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, অগস্ত্য, নিষাদ রাজ গুহ, শবরী মাতা, অহল্যার। রামায়ণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র জটায়ু। রাবণ সীতাকে হরণ করে নিয়ে যেতে চাইলে জটায়ু বাধা দেন। রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ বাধে তাঁর। তাঁর মন্দিরও ভক্তরা পাবেন রাম মন্দির (Ram Mandir) চত্বরে। রাম জন্মভূমি চত্বরের দক্ষিণ দিকেই রয়েছে প্রাকৃতিক একটি টিলা। যার নামকরণ হয়েছে কুবের টিলা। সেখানেই গড়ে উঠছে জটায়ুর মন্দির। ভক্তরা এবার রাম জন্মভূমিতে গিয়ে পুজো দিতে পারবেন জটায়ুর।

    আর্যাবর্ত ও দাক্ষিণাত্যের মেলবন্ধন

    এক কথায়, গোটা রামায়ণ যেন মূর্ত হয়ে উঠবে রাম মন্দির চত্বরে। জটায়ুর মন্দির এতদিন পর্যন্ত দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেই দেখা যেত। ভক্তদের বিশ্বাস অনুযায়ী, যে স্থানে জটায়ুর সঙ্গে রাবণের যুদ্ধ হয়েছিল, সেই স্থানকে ঘিরেই গড়ে ওঠে জটায়ুর মন্দির (Ram Mandir)। তবে এনিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন মত রয়েছে। কেউ বলেন, জটায়ু পতিত হয়েছিলেন কেরলে, কেউ বা বলেন অন্ধ্রপ্রদেশে, কেউ আবার বলেন মহারাষ্ট্রে। জনশ্রুতি অনুযায়ী, এটা বিশ্বাস করা হয় যে রাবণ জটায়ুর পক্ষচ্ছেদ ঘটালে তিনি বর্তমান ভারতের কেরল রাজ্যের জটায়ুমঙ্গলম নামক স্থানে একটি পাথরের ওপর এসে পতিত হলে স্থানটির এরূপ নাম হয়৷ যদিও স্থানীয় উচ্চারণে এটি “চডয়মঙ্গলম” নামে পরিচিত৷ এই গ্রামের যে স্থানে শিলার ওপর জটায়ু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন, সেই স্থান এক তীর্থস্থলের মতোই। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতের পরে জটায়ু এবার স্থান পেতে চলেছেন উত্তর ভারতে রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে। অযোধ্যার রাম মন্দির যেন আর্যাবর্ত ও দাক্ষিণাত্যের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করছে।

    জটায়ুর আখ্যান

    রামায়ণ অনুসারে জটায়ু ছিল একটি দৈবপক্ষী এবং সূর্যদেবের অশ্বচালক অরুণের কনিষ্ঠ পুত্র। তাঁর জ্যেষ্ঠভ্রাতা সম্পাতি ছিলেন একজন অর্ধদেহী দেবতা এবং রামের পিতা দশরথের পরমমিত্র। রাবণের সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরে জটায়ু মূর্চ্ছিত হয়ে মাটি পড়ে থাকা অবস্থায় রামের সাক্ষাৎ পান। সমস্ত ঘটনা শুনে রাম তাঁকে তাঁর মোক্ষ লাভের কথা বলেন। জটায়ু সীতার বিরহে বিব্রত রামকে সান্ত্বনা দিয়ে আশ্বস্ত করেন যে সীতার কোনও ক্ষতি হবে না এবং শীঘ্রই তাঁরা তাঁকে খুঁজে পাবেন। তাঁর মুখে সীতার কুশল সংবাদ ও আশ্বস্তবাণী শুনে রাম জটায়ুকে আলিঙ্গন করেন। জটায়ু মারা যান। জটায়ুর মৃত্যতে সীতার বিরহের থেকেও রাম অধিক মর্মাহত হন। রাম (Ram Mandir) জটায়ুকে নিজের পিতার সমান ও পিতৃতুল্য মনে করে তাঁর অন্ত্যেষ্টি ও প্রয়োজনীয় শ্রাদ্ধশান্তি নিষ্ঠাসহ সম্পন্ন করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের উদ্বোধন, বিলি হবে ৫ লাখ প্রসাদের প্যাকেট, অর্ডার পেল কোন সংস্থা?

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের উদ্বোধন, বিলি হবে ৫ লাখ প্রসাদের প্যাকেট, অর্ডার পেল কোন সংস্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন। তারপরেই খুলে যাবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) দ্বার। ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এখন থেকেই উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে গোটা অযোধ্যা নগরী। বাড়ির ছাদে ছাদে উড়ছে জয় শ্রীরাম পতাকা। নবনির্মিত মন্দিরের উদ্বোধনের পরে প্রসাদও বিতরণ করা হবে ভক্তদের মধ্যে। যার জন্য পাঁচ লাখ প্যাকেটের অর্ডার দেওয়া হয়েছে একটি সংস্থাকে।

    কোন সংস্থা পেল প্রসাদের অর্ডার?

    জানা গিয়েছে, রাম বিলাস অ্যান্ড সন্স নামের এক সংস্থাকে ওই প্রসাদের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের (Ram Mandir) তরফে এক শীর্ষ পদাধিকারী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২২ জানুয়ারির আগেই সমস্ত প্রসাদের প্যাকেট মন্দির (Ram Mandir) প্রাঙ্গণে চলে আসবে। জানা যাচ্ছে ওই বিপুল পরিমাণ প্যাকেট অর্ডার করতে চরম ব্যস্ততা চলছে রামবিলাস অ্যান্ড সন্সে। দিনরাত কাজ করছেন কর্মীরা। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত কর্মীও তাদেরকে নিয়োগ করতে হয়েছে, শুধুমাত্র রাম মন্দিরের উদ্বোধনের অর্ডারের কথা মাথায় রেখে।

    প্রসাদে কী থাকবে? 

    জানা গিয়েছে, ভক্তদের যে প্রসাদ দেওয়া হবে তা হল আসলে এলাচের বীজ। রাম বিলাস অ্যান্ড সন্স-এর অন্যতম কর্ণধার চন্দ্রগুপ্ত মতে, ‘‘এলাচের বীজে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং অনেক খনিজ রয়েছে। এটি পেটের সমস্যায় খুবই উপকারী, যা ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। তৈরি করা হচ্ছে মোট ৫ লক্ষ প্রসাদের প্যাকেট। সংস্থার ২২ জন কর্মী নিরন্তর সেই কাজ করে চলেছেন।’’

    ছত্তিসগড় থেকে এল চাল

    অন্যদিকে, রাম মন্দিরের জন্য ১০০ টন চালও ইতিমধ্যে ছত্তিসগড় থেকে চলে এসেছে বলে খবর রয়েছে। সূত্রের খবর, অযোধ্যার রামসেবকপুরম এলাকায় রামমন্দির ট্রাস্টের তৈরি কেন্দ্রীয় স্টোরে এই চাল রাখা হয়েছে। দেশের প্রতিটি কোণ থেকে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্দেশে আসা খাদ্য সামগ্রী এখানে মজুত করা হচ্ছে। এই চাল অযোধ্যায় আগত ভক্তদের খাবারের জন্য ব্যবহার করা হবে বলে খবর। অন্যদিকে, রাম মন্দির চত্বরের সবুজায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মধ্য় প্রদেশের ভোপালের একটি নার্সারিকে। প্রাঙ্গণের ভিতরে ৩৫ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: তৃণমূলেও রাম নাম! মেদিনীপুরে রাম মন্দির সংস্কার করল শাসকদলের পুর-বোর্ড

    Ram Mandir: তৃণমূলেও রাম নাম! মেদিনীপুরে রাম মন্দির সংস্কার করল শাসকদলের পুর-বোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের জন্য জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে। ২২ জানুয়ারি মন্দির উদ্বোধন হবে। ঠিক এই সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরে কয়েক দশকের পুরানো মন্দিরের সংস্কার করা হল। সেই মন্দিরে হনুমানের সঙ্গে ছিল রাম-সীতার মূর্তিও। যদিও পুজো মিলত মূলত রামভক্তেরই। স্থানীয়রা মহাবীর মন্দির বলেন। অনেকে আবার রাম মন্দিরও বলতেন। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে মন্দিরটি বেহাল হয়ে পড়েছিল। তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার টাকায় সেই মন্দির নতুন করে সেজে উঠেছে। জনগণের উন্নয়নের টাকায় মন্দির সংস্কার করা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঠএক একইভাবে এর আগে প্রশ্ন উঠেছিল, পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় রাজ্যের টাকায় এবং হিডকোর তত্ত্বাবধানে জগন্নাথ মন্দির গড়া নিয়েও।

    পুর-প্রধান কী বললেন? (Ram Mandir)

    মেদিনীপুর শহরের একপাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে কংসাবতী নদী। ইতিহাস ঘেঁটে জানা গিয়েছে, ১৯৪৮ সালে এখানে গান্ধীজি-র চিতাভস্ম ভাসানো হয়। তাই এই নদীঘাটের নাম গান্ধীঘাট। আগে থেকেই এখানে রাম-সীতা ও মহাবীর হনুমানের ছোট মন্দির ছিল। সেই মন্দিরটি (Ram Mandir) আরও বড় আকারে নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। পুরসভার বক্তব্য, এখানকার ইতিহাস বাঁচিয়ে রাখতেই মন্দির তৈরিতে ‘সহযোগিতা’ করা হয়েছে। মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, গান্ধীঘাটের কাছে রাম-সীতা, মহাবীর মন্দির নির্মাণ করেছি আমরা। ১৫ জানুয়ারি পৌষ সংক্রান্তি  আমাদের কাছে একটি পবিত্র দিন। ওই দিনই আমরা মন্দির প্রতিষ্ঠা করব। তবে, শুধু মন্দির নয়, কারবালা মাঠের উন্নয়ন করেছি। গির্জার কাছে আলো লাগিয়েছি। রাস্তা করেছি। মন্দির নির্মাণেও সহযোগিতা করেছি।

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, সারা দেশে রাম মন্দির (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠা হোক, এত দিন আমরাই চেয়েছি। মানুষের সমর্থন পেতে এখন সেই পথ সকলে অবলম্বন করছে। ভালো উদ্যোগ। তবে, আগে সংস্কার করা হলে আরও ভালো লাগত। তাঁর আরও দাবি, রাজ্যের নয়, কেন্দ্রের টাকাতেই সেজে উঠেছে গান্ধীঘাট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: লক্ষ্য ২২ জানুয়ারি, মন্দির চত্বর ছয়লাপ হলুদ হেলমেট আর কমলা জ্যাকেট পরা শ্রমিকে

    Ram Mandir: লক্ষ্য ২২ জানুয়ারি, মন্দির চত্বর ছয়লাপ হলুদ হেলমেট আর কমলা জ্যাকেট পরা শ্রমিকে

    রামনগরী অযোধ্যা-দুই

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: রাম মন্দির (Ram Mandir) চত্বরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল, মহা কর্মযজ্ঞ চলছে। যে দিকেই তাকাই, শুধু হলুদ হেলমেট আর কমলা জ্যাকেট পরা শ্রমিকরা কাজ করে চলেছেন। বড় সাইজের দুটো রোলার তখন উঁচু-নীচু জায়গা সমতল করতে ব্যস্ত। রোলার নিয়ন্ত্রণ করছেন একজন, নির্দেশ দিচ্ছেন অপরজন। বাঁশের তৈরি পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে পুরো মন্দিরের পাশে উলম্বভাবে। তাতেও অজস্র শ্রমিক শেষ মুহূর্তের ছোঁয়া দিচ্ছেন। শুকনো শীতকাল, তাই প্রচুর ধুলো। অনেকের মতো তাই মুখে মাস্ক বেঁধে ফেলতে হল। মন্দিরের ঠিক বাঁদিকেই আমরা দাঁড়িয়ে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ক্যামেরার ফোকাস ততক্ষণে আটকে গিয়েছে নব নির্মিত রাম মন্দিরের দেওয়ালে। গোটা চত্বর ঘুরে দেখাচ্ছেন ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর সদস্যরা। হাজির রয়েছেন সম্পাদক চম্পত রাই সমেত উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্য়মন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য। মন্দির প্রাঙ্গণে আসার আগেই অবশ্য জানা গিয়েছিল, রাম মন্দির চত্বরে নির্মাণ হবে আরও ৭টি মন্দির (Ram Mandir)। ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর ভবনেই সেকথা জানিয়েছিলেন ট্রাস্টের সম্পাদক চম্পত রাই। এবার ঘুরিয়ে দেখালেন মন্দিরগুলি ঠিক কোথায় গড়ে উঠবে। পাঠকের মনে এতক্ষণে প্রশ্ন জাগছে, রাম মন্দির চত্বরে আরও ৭টি মন্দির কার কার তৈরি হবে! এর উত্তর সেদিন সাংবাদিক বৈঠকেই জানিয়ে দেয় ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’। রামচন্দ্রের জীবনে অবদান রয়েছে, এমন ৭ জনের মন্দির তৈরি হচ্ছে প্রাঙ্গণে। তাঁরা হলেন, বাল্মিকী, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, অগস্ত্য, মাতা শবরী, নিষাদরাজ গোহু, অহল্যা।

    রাম মন্দির চত্বরে মূর্ত রামায়ণ

    যুগ বদলাচ্ছে, বদলেছে দেশ। বাংলার কথা বলতে গেলে, রোজ দুপুরে ভাতঘুমের বদলে বড়রা রামায়ণ পাঠ করতেন এবং ছোটরা তা শুনত। সে অবশ্য অনেক আগের কথা। তারপর রামায়ণ টিভিতে এল। রামানন্দ সাগরের ‘শো’ দেখতে সাদাকালো টিভির সামনে বসত সবাই। এরপরে অবশ্য কার্টুনে রামায়ণ, ছোটদের রামায়ণ, সিনেমাতে রামায়ণ এসেছে। এবার গোটা রামায়ণ যেন মূর্ত হয়ে উঠবে রাম মন্দির (Ram Mandir) চত্বরেই। মহাকাব্যের স্রষ্টা থেকে বনবাসে বিষ্ণুর অবতারের সঙ্গীরা সকলেই স্থান পেতে চলেছেন রাম মন্দির চত্বরে। 

    ৭ মন্দির যাঁদের তৈরি হবে, রামের জীবনে তাঁদের অবদানগুলি একনজরে দেখে নেব আমরা  

    বাল্মিকী: প্রথম জীবনে দস্যু রত্নাকর পরবর্তীকালে বাল্মিকী মুনি হয়ে ওঠেন। রামায়ণ মহাকাব্যের রচনা তিনিই করেছিলেন।

    বশিষ্ট: রামের গুরু ছিলেন বশিষ্ঠ। 
     
    বিশ্বামিত্র: রামের অপর গুরু ছিলেন বিশ্বামিত্র। ধর্মোপদেশ ছাড়াও সীতার স্বয়ম্ভর সভায় তিনি অযোধ্যার রাজপুত্রকে নিয়ে গিয়েছিলেন।

    অগস্ত্য মুনি: রাবণের আসুরিক চরিত্র সম্পর্কে রামকে প্রথম উপদেশ দেন অগস্ত্য মুনি। মুনির পরামর্শ মতোই রাম গোদাবরীর তীরে পঞ্চবটি নির্মাণ করেন।

    মাতা শবরী: দক্ষিণ ভারতের অচ্ছুত আদিবাসী এই পৌরাণিক চরিত্রের কুটিরে পৌঁছে রাম ও লক্ষণ জল খান। শবরী মাতার এঁটো ফল খেয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন রামচন্দ্র।

    নিষাদরাজ গোহু: বনবাসের সময় রাম-সীতা-লক্ষণকে গঙ্গাপার করেছিলেন নিষাদরাজ গোহু। তিনিও স্থান পাচ্ছেন রাম মন্দিরে।

    অহল্যা: রামের উপস্থিতিতে শাপমুক্ত হয়েছিলেন মহর্ষি গৌতমের পত্নী অহল্যা। তাঁর মন্দিরও থাকছে রাম মন্দিরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন মোদি, দাবি রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের

    Ram Mandir: ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন মোদি, দাবি রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম রাজ্য আসছে আর তারই সঙ্গে লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদির সমালোচকদের পরাজয়ও নিশ্চিত। এমন কথাই বলতে শোনা গেল অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ দাসকে। তাঁর মতে, ‘‘রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠা হলে সারা দেশবাসী সুখে বাঁচবে। ২০২৪ সালে অনেকগুলি কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। একটি তো হল রামলালা তাঁর নিজের গর্ভগৃহে অধিষ্ঠান করবেন এবং অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই বছরেই এই সব কিছুই শুভভাবে সম্পন্ন হবে।’’ অযোধ্যার মন্দিরের (Ram Mandir) প্রধান পুরোহিত দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন।

    ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    রামলালাকে ছাপান্নভোগ নিবেদন করা হয় বিশেষ উৎসবগুলিতে। যেমন, হোলি, রামনবমী, বসন্ত পঞ্চমী, নতুন বছর, স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন। সে অনুযায়ী নতুন বছর শুরু হতেই তাঁকে ছাপান্ন ভোগ নিবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান পুরোহিত। এদিন রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আরও জানিয়েছেন যে ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি (মোদি) সবকা সাথ, সবকা বিকাশ এই নীতিতে চলছেন। অন্যদিকে বিরোধীরা দেশের জনগণকে নিয়ে মোটেও আগ্রহী নয়, তাঁরা শুধু ক্ষমতা দখল করতেই চিন্তিত এবং তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনার মাধ্যমে। তবে এটা সম্ভব নয়।

    মোদির তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রীত্ব

    প্রসঙ্গত, মোদির ক্ষমতায় ফেরা যে নিশ্চিত, তা বিভিন্ন অরাজনৈতিক মহল থেকেই বলা হচ্ছে। দু’দিন আগেই ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘দ্য গার্ডিয়ান’ প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানিয়েছে যে ২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ফের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। অন্যদিকে একই সুর শোনা যাচ্ছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) পুরোহিতদের মুখে।

    স্মার্ট সিটি অযোধ্যা

    অযোধ্যাতে যেন উন্নয়নের জোয়ার বইছে। ১৭৮টি প্রকল্প চলছে সেখানে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, স্মার্ট সিটি করার লক্ষ্যে ৮৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে আগামী ১০ বছরে। অযোধ্যাতে বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী গত ৩০ ডিসেম্বর। নতুনভাবে সেজে উঠছে অযোধ্যার রেলওয়ে স্টেশন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের স্বপ্ন সফল হচ্ছে, ৭৫ বছর বয়সেও নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন চম্পত রাই

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের স্বপ্ন সফল হচ্ছে, ৭৫ বছর বয়সেও নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন চম্পত রাই

    রামনগরী অযোধ্যা-এক

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: রাম রাজ্যের ধারণা ছোট থেকেই শুনে আসছি। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অযোধ্যায় পা রাখতেই স্বচক্ষে দেখলাম রামের রাজত্ব। রামনগরীর প্রতিটি ইট থেকে সরযূ নদীর জল, সবটাই রামচন্দ্রময়। লঙ্কাজয়ের পর রামচন্দ্রের ঘরে ফেরার সময় অযোধ্যানগরী কেমন সেজে উঠেছিল, তা জানার উপায় নেই। তবে ২২ জানুয়ারি রামের মন্দিরে (Ram Mandir) ফেরার আগে উত্তেজনার পারদে যে ফুটছে অযোধ্যা, তা বোঝাই গেল। সব থেকে কর্মব্যস্ততা রয়েছে ‘রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর। নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন কর্তারা। মন্দির কমিটির তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে ‘তীর্থ ক্ষেত্র ভবন’। রাম মন্দির (Ram Mandir) থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। সেখান থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে কড়া নিরাপত্তার বলয়।

    ৭৫ বছরের বৃদ্ধ চম্পত রাই। যুবক বয়স থেকেই যুক্ত রাম মন্দির আন্দোলনের সঙ্গে। বর্তমানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্বে তিনি। পাশাপাশি গুরুদায়িত্ব রয়েছে ‘রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর। তিনি ট্রাস্টের সম্পাদক। সব কিছুই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ভার তাঁর ওপরেই। সাদা ধুতি, খাদির পাঞ্জাবির ওপর শীত আটকাতে জ্যাকেট। কপালে তিলক আঁকা বৃদ্ধ হাতে মাইক নিয়ে শুরু করলে সাংবাদিক বৈঠক। পিছনে রামমন্দিরের ৭০ একর জায়গার ম্যাপ। চেয়ারে বসে ম্যাপ দেখাতে অসুবিধা হচ্ছিল, তাই উঠে দাঁড়ালেন সত্তরোর্দ্ধ বৃদ্ধ। চম্পত রাইয়ের নিঁখুত বর্ণনায় উঠে এল সামগ্রিক রাম মন্দির (Ram Mandir)। জানা গেল মন্দির তৈরি হচ্ছে জগদ্গুরু আদি শঙ্করাচার্যের ভাবনায়। কী সেই ভাবনা?

    জগদ্গুরু আদি শঙ্করাচার্যের ভাবনা

    হিন্দু ধর্মের পুনরুত্থানে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন আদতে কেরলে জন্মগ্রহণ করা আদিগুরু শঙ্করাচার্য। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ রচনা থেকে দেবদেবীর স্তোত্রের সংকলন, সবটাই করেছিলেন তিনি। গীতার ভাষ্য তিনিই রচনা করেছেন। পূজা পদ্ধতি, আচার অনুষ্ঠানের বিধি ও নিয়মও লিখে গিয়েছিলেন তিনি। জগদ্গুরু শঙ্করাচার্যের ‘পঞ্চায়তন’ ভাবনার ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠছে রাম মন্দির। ‘পঞ্চায়তন’ কথার আক্ষরিক মানে হল পাঁচ দেবদেবীর পুজো। হিন্দু ধর্ম অনুসারে, প্রতিটি ধর্মস্থানে বা মন্দিরে পাঁচ দেবদেবীর পুজোর বিধান দিয়ে গিয়েছিলেন জগদ্গুরু শঙ্করাচার্য। কোন পাঁচ দেবদেবী? এঁরা হলেন সূর্য, শঙ্কর, গণপতি, ভগবতী ও বিষ্ণু। ভক্তদের বিশ্বাস, এই পাঁচদেব দেবীর আরাধনা করলেই সম্পন্ন করা যায় সম্পূর্ণ পুজো। রাম মন্দিরেরও থাকবেন এই পাঁচ দেবদেবী। ভক্তদের বিশ্বাস মতে, রামচন্দ্র হলেন বিষ্ণুর অবতার। তাই রাম মন্দিরে আলাদাভাবে কোনও বিষ্ণু মূর্তি থাকবে না বলেই সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন চম্পত রাই। হিন্দু ধর্মের পবিত্র তীর্থস্থল ইতিমধ্যেই হয়ে উঠেছে অযোধ্যা।

    রাম মন্দিরে জগদ্গুরুর ছোঁয়া

    ২২ জানুয়ারি মন্দির উদ্বোধনের পর সেখানে প্রতিদিন গড়ে ৩ লাখ তীর্থযাত্রীর পা পড়বে বলে অনুমান মন্দির কমিটির। তাই সব দিক থেকেই নিঁখুতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে রাম মন্দিরকে (Ram Mandir)। প্রাচীন ভারতের ধর্মগুরু শঙ্করাচার্যের ভাবনাই প্রতিফলিত হচ্ছে রাম মন্দিরে। হিন্দু ধর্মের প্রতিটি রীতিই পালন করা হচ্ছে মন্দির নির্মাণে। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের গঠন প্রণালীরও মেলবন্ধন দেখা যাবে রাম মন্দিরে। দেশের চার কোনায় চারটি মঠ স্থাপন করে গিয়েছিলেন শঙ্করাচার্য। চারধাম যাত্রায় প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পুণার্থী রওনা হন। তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয় শঙ্করাচার্যের ভাবনা ও ধারণার। এবার রাম মন্দিরেও মিলবে জগদ্গুরুর ছোঁয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘প্রতি মাসে ১০০ জন নন্দীগ্রামবাসীকে রাম মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হবে’, ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘প্রতি মাসে ১০০ জন নন্দীগ্রামবাসীকে রাম মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হবে’, ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় অর্ধশতকের আইনি লড়াইয়ের পর অযোধ্যার বিতর্কিত প্রাঙ্গনে রাম মন্দির তৈরির অনুমতি দেয় আদালত। রাম মন্দিরে জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। আগামী ২২ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় উদ্বোধন হতে চলেছে রাম মন্দিরের। স্বাভাবিকভাবে ঐতিহাসিক এই দিনের সাক্ষী থাকতে চাইছেন দেশবাসী। রেলের পক্ষ থেকে দেশের সমস্ত প্রান্তের মানুষদের নিয়ে যাওযার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নন্দীগ্রামের মানুষদের রাম মন্দির দর্শনে নিয়ে যাবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই আশ্বাস দিয়েছেন শুভেন্দু।

    রাম মন্দির দর্শন নিয়ে ঠিক কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    রবিবার বছরের শেষ দিন নন্দীগ্রাম বজরং কমিটি আয়োজিত হনুমান পুজোয় অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। স্থানীয়দের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, যাঁরা নিজের টাকায় রাম মন্দির দর্শনে যেতে পারবেন না, তাঁদের সঙ্গে সেবক শুভেন্দু সব সময় আছে। রাম মন্দির দর্শনের জন্য গোটা দেশ থেকে ৭০০ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে ভারতীয় রেল। সেই সব ট্রেনে টিকিট কেটে উঠতে হবে। নন্দীগ্রামের যাঁরা টিকিট কেটে রাম মন্দির দর্শনে যেতে পারবেন না, প্রতি মাসে আমি ১০০ জন করে ট্রেনে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেব। জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখের পর থেকে নন্দীগ্রামে রাম মন্দির দর্শন কর্মসূচি শুরু হবে। যাঁরা নিজেদের ক্ষমতায় যেতে পারবেন যাবেন, যাঁরা পারবেন না তাঁদের রাম মন্দির নিয়ে যাওয়ার সমরকম ব্যবস্থা আমি করে দেব।

    রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি করা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, রাম মন্দির তৈরি হয়েছে সনাতনীদের দেওয়া অর্থ দিয়ে। সনাতনীরা বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে যে টাকা দিয়েছেন, তা দিয়ে তৈরি হয়েছে এই রাম মন্দির। দিঘার জগন্নাথ কালচারাল সেন্টারের মতো সরকারি টাকায় তৈরি নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share