Tag: Ram Mandir

Ram Mandir

  • RSS: জানুয়ারিতে দেশের ৫ লাখ গ্রামে রামমন্দিরের ছবি নিয়ে জনসংযোগ করবে আরএসএস

    RSS: জানুয়ারিতে দেশের ৫ লাখ গ্রামে রামমন্দিরের ছবি নিয়ে জনসংযোগ করবে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের জানুয়ারিতেই ভক্তদের জন্য খুলে যাচ্ছে রামমন্দিরের দরজা। ঠিক তার আগে ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি দেশের গ্রামে গ্রামে নির্মিত রামমন্দিরের ছবি নিয়ে জনসংযোগ করবেন স্বয়ংসেবকরা। জানা গিয়েছে, দেশের প্রায় ৫ লাখ গ্রামে চলবে এই প্রচারাভিযান। গুজরাটের ভুজে মঙ্গলবার এই ঘোষণা করতে শোনা গেল সঙ্ঘ নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলেকে। প্রসঙ্গত, রবিবার ৫ নভেম্বর গুজরাটের ভুজে শুরু রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সর্বভারতীয় কার্যকারিণী বৈঠক ছিল। মঙ্গলবার শেষ হয় বৈঠক। এদিনই সাংবাদিক সম্মেলন করেন সঙ্ঘের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে এবং প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর। প্রসঙ্গত, আগেই সঙ্ঘের তরফে জানানো হয়েছিল গুজরাটের কার্যকারিণী বৈঠকের মূল অ্যাজেন্ডা হতে চলেছে রামমন্দির। এছাড়াও দত্তাত্রেয় হোসাবলের সাংবাদিক বৈঠকে আরও বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।

    বাড়ছে সঙ্ঘের কাজ, সারা দেশে শাখা রয়েছে ৯৫,৫২৮

    সঙ্ঘ নেতা (RSS) দত্তাত্রেয় হোসাবলে এদিন পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, দেশে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে সঙ্ঘের কাজ। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সাংগঠনিক দৃষ্টিতে দেশে বর্তমানে ৫৯,০৬০ মণ্ডল রয়েছে, যার মধ্যে ৩৮ হাজার মণ্ডলে বর্তমানে সঙ্ঘের কাজ পৌঁছেছে বলে জানান দত্তাত্রেয়। ২০২৫ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ১০০ বছরে পা দিচ্ছে, সেসময় দেশের প্রতিটি মণ্ডলে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান দত্তাত্রেয়। সারাদেশে বর্তমানে ৯৫,৫২৮টি শাখা চলছে বলে জানান সঙ্ঘের সরকার্যবাহ।

    সঙ্ঘের বর্তমান সদস্য কত? 

    দত্তাত্রেয় হোসবালে এদিন বলেন, ‘‘সঙ্ঘের কোনও সদস্যতা হয়না। শাখায় যাঁরা আসেন তাঁরাই স্বয়ংসেবক (RSS)। আবার বেশ কিছু সঙ্ঘের আয়াম রয়েছে সেগুলিও দেশজুড়ে সেবাকাজ চালিয়ে থাকে। তবে প্রতিবছর গুরু পূজনে স্বয়ংসেবকরা অংশগ্রহণ করে থাকেন। চলতি বছরে গুরুপূজনে অংশ নিয়েছেন ৩৭ লাখেরও বেশি স্বয়ংসেবক।’’

    প্রসঙ্গ হিন্দুরাষ্ট্র

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দত্তাত্রেয় হোসাবলে এদিন বলেন, ‘‘ভারত প্রথম থেকেই হিন্দুরাষ্ট্র। আলাদাভাবে ঘোষণার কোনও দরকার নেই। সংবিধান State-এর কথা বলে। অন্যদিকে রাষ্ট্র হল সাংস্কৃতিক ধারনা। দেশে যখন ব্রিটিশরাজ চলতো তখনও ভারত হিন্দুরাষ্ট্র ছিল।’’ বিশেষজ্ঞ মহল এক্ষেত্রে মান্যতা দিচ্ছেন দত্তাত্রেয়র মতকেই। কারণ রাষ্ট্রবিজ্ঞানে State হল Sovereign Authority, এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। অন্যদিকে, ভারতের ক্ষেত্রে ‘রাষ্ট্র’ সাংস্কৃতিক ধারনা বলা যেতেই পারে। তাই ব্রিটিশ শাসনকে State বলেছেন দত্তাত্রেয় এবং ভারত হল রাষ্ট্র। State রাজনৈতিক ক্ষমতা, এরফলে ভারত রাষ্ট্রের হিন্দুত্ব বৈশিষ্ট্যের কোনও বদল হয়না।

    পরিবেশ রক্ষায় সঙ্ঘ, বদল হচ্ছে প্রশিক্ষণবর্গেও

    পরিবেশ রক্ষায় সঙ্ঘের (RSS) বিশেষ অভিযান চলছে বলে জানান দত্তাত্রেয়। তিনি বলেন, ‘‘রাজস্থানে ইতিমধ্যে স্বয়ংসেবকরা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। পরিবেশ যাত্রায় ১৪ হাজার কিমি পথ অতিক্রমও করেছেন রাজস্থানের স্বয়ংসেবকরা। কর্নাটকের সঙ্ঘ কার্যকর্তারা ১ কোটি বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি নিয়েছেন।’’ এদিন পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করতেও নিষেধ করেন এই সঙ্ঘনেতা। অন্যদিকে, সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ বর্গগুলিতে বিষয়বস্তুর বদল হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দত্তাত্রেয় হোসাবলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: রবিবার শুরু হচ্ছে সঙ্ঘের কার্যকারিণী বৈঠক, রামমন্দিরই প্রধান অ্যাজেন্ডা

    RSS: রবিবার শুরু হচ্ছে সঙ্ঘের কার্যকারিণী বৈঠক, রামমন্দিরই প্রধান অ্যাজেন্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সর্বভারতীয় কার্যকারিণী মণ্ডলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫-৭ নভেম্বর গুজরাতের ভুজে। এর আগেই সঙ্ঘের তরফে জানানো হয়েছিল, বৈঠকে প্রধান ইস্যু হিসাবে থাকতে চলেছে রামমন্দির। প্রসঙ্গত, রামের বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে আগামী ২২ জানুয়ারি। সেদিন দেশের প্রতিটি ছোট বড় ধর্মস্থানে উৎসব করার কথা ইতিমধ্যে বিজয়া দশমীর ভাষণেই ঘোষণা করেছেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এই বৈঠক খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    সুনীল আম্বেকরের সাংবাদিক সম্মেলন

    রবিবার থেকে শুরু হতে চলা এই বৈঠকের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলন করলেন সঙ্ঘের (RSS) সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর। আলোচনা করলেন বৈঠকের প্রধান অ্যাজেন্ডাগুলি নিয়ে। সুনীল আম্বেকর এদিন জানান, নাগপুরে চলতি বছরের বিজয়া দশমীর ভাষণে মোহন ভাগবত যে বিষয়গুলি তুলে ধরেছিলেন, সেগুলি নিয়েই আলোচনা হবে। এছাড়াও গত সেপ্টেম্বরে পুনেতে সঙ্ঘের সর্বভারতীয় সমন্বয় বৈঠকে যে বিষয়গুলি উঠে এসেছিল সেগুলিও বিশ্লেষণ করা হবে কার্যকারিণী বৈঠকে। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের যাত্রাপথ শুরু হয়েছিল ১৯২৫ সাল থেকে। সেই হিসাবে ২০২৫ সালে ১০০ বছরে পদার্পণ করছে সঙ্ঘ। আগামী ৫-৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলা বৈঠকে সঙ্ঘের শততম বর্ষপূর্তির রূপরেখাও তৈরি করা হবে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) প্রশিক্ষণ শিবিরের বিষয়বস্তুতেও বদল আনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আম্বেকর।

    সারা দেশ থেকে প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন এই বৈঠকে

    সঙ্ঘ সূত্রে জানা গিয়েছে, অখিল ভারতীয় কার্যকারিণী মণ্ডলের অংশ নেবেন সারাদেশের প্রতিটি রাজ্যের প্রতিনিধিরাই। সাংগঠনিক ৪৫টি প্রদেশ থেকেই প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে অংশ নেবেন। প্রতিটি প্রদেশের সঙ্ঘচালক, কার্যবাহ ও প্রান্ত প্রচারক ছাড়াও সহ-সঙ্ঘচালক, সহ কার্যবাহ, সহ-প্রান্ত প্রচারকরা হাজির থাকবেন এই বৈঠকে। সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত, সর কার্যবাহ শ্রী দত্তাত্রেয় হোসাবলের উপস্থিতিতে এই বৈঠক হবে। এছাড়াও সঙ্ঘের বিবিধ ক্ষেত্রের সংগঠন সম্পাদকরা এই বৈঠকে অংশ নেবেন। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতির সাপেক্ষে অখিল ভারতীয় কার্যকারিণী মণ্ডলের (RSS) বৈঠক  অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।  এই বৈঠকেই আগামী দিনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ কোন পথে চলবে তার রূপরেখা নির্ণয় করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি রামমূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা, বিগ্রহ হাতে ৫০০ মিটার পথ হেঁটে মন্দিরে ঢুকবেন মোদি

    Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি রামমূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা, বিগ্রহ হাতে ৫০০ মিটার পথ হেঁটে মন্দিরে ঢুকবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামমূর্তির (Ram Mandir) প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে আগামী ২২ জানুয়ারি। সেদিন সমস্ত প্রোটোকল ভেঙে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রায় ৫০০ মিটারেরও বেশি পথ খালি পায়ে হাঁটতে দেখা যাবে। রামলালার বিগ্রহকে প্রধানমন্ত্রী নিজে হাতে নবনির্মিত রামমন্দিরে প্রবেশ করাবেন। ট্রাস্টের তরফ থেকে এই ঘোষণায় খুশির মহল তৈরি হয়েছে রামভক্তদের মধ্যে। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে মূল অনুষ্ঠানটি ২২ জানুয়ারি সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটার মধ্যে সম্পন্ন হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা যাবে উত্তরপ্রদেশের গেরুয়া বসনধারী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবতকেও।

    সারা দেশ থেকে আমন্ত্রিত ৮ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তি

    জানা গিয়েছে, সারা দেশের বিখ্যাত মঠ ও মন্দিরের পুরোহিতরাও সামিল হবেন রামমূর্তির (Ram Mandir) প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে। সারা দেশ থেকে ৮ হাজার বিশিষ্ট জনকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে রাম মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন। যাঁদের মধ্যে সাড়ে তিন হাজার জন বিভিন্ন মঠ এবং মন্দিরের প্রধান। এছাড়াও ধর্মীয় সংগঠনের সদস্যদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষই অংশগ্রহণ করবেন রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার দিন। এমনটাই জানিয়েছে ট্রাস্ট। ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, আইনজীবীরা থাকবেন এই অনুষ্ঠানে। বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও সেদিন হাজির থাকতে দেখা যাবে। রামমন্দির (Ram Mandir) আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত করসেবকদের পরিবারও সেদিন উপস্থিত থাকবে বলে জানিয়েছে ট্রাস্ট। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট ইতিমধ্যে ৮ হাজার জন আমন্ত্রিত অতিথির বসার ব্যবস্থার করতে শুরু করেছে।

    সরযূ নদীর জলে স্নান করানো হবে রামলালাকে 

    ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তিনজন ভাস্কর তিনটি আলাদা আলাদা রামলালার মূর্তি তৈরির কাজে লেগে রয়েছেন। এই তিনটি মূর্তির মধ্যে থেকে একটিকে বাছা হবে, যেটি রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে স্থাপন করা হবে। জানা গিয়েছে, রামমূর্তিগুলি তৈরি হচ্ছে রাজস্থান থেকে আনা মার্বেল এবং কর্ণাটকের কালো গ্রানাইট-এর দ্বারা। বাকি দুটি মূর্তির মধ্যে একটি স্থাপন করা হবে প্রথম তলায়। রামমূর্তিকে (Ram Mandir) স্নান করানো হবে সরযূ নদীর জল দিয়ে। এর পাশাপাশি অন্যান্য পবিত্র নদীর জলও থাকবে সেখানে। এজন্য পবিত্র মকর সংক্রান্তির দিন থেকেই শুরু হবে অনুষ্ঠান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রামমূর্তির অধিষ্ঠান হবে সোনার প্রলেপ দেওয়া সিংহাসনে, তৈরি হচ্ছে রাজস্থানে

    Ram Mandir: রামমূর্তির অধিষ্ঠান হবে সোনার প্রলেপ দেওয়া সিংহাসনে, তৈরি হচ্ছে রাজস্থানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’ ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে যে রামমন্দিরের (Ram Mandir) রামলালা বিরাজমান থাকবে ৮ফুট লম্বা এবং ৪ ফুট চওড়া সিংহাসনের ওপর। জানা গিয়েছে, মার্বেল পাথরের তৈরি এই সিংহাসনে থাকবে সোনার প্রলেপ দেওয়া। সূত্রের খবর, এই সিংহাসনটি বর্তমানে তৈরি হচ্ছে রাজস্থানে এবং অযোধ্যা পৌঁছাবে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে।

    ২২ ডিসেম্বর রামমূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা, তার আগেই সম্পূর্ণ হবে মন্দির নির্মাণ

    প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’ রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার (Ram Mandir) দিনক্ষণও স্থির করে ফেলেছে। আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি হবে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। ওই দিনের অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’ আমন্ত্রণ জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’ জানিয়েছে, মন্দিরের নির্মাণ কাজ খুব দ্রুতগতিতেই চলছে। মনে করা হচ্ছে যে মন্দিরের নীচের তলার সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে ডিসেম্বর মাসের ১৫ তারিখের মধ্যেই। এই সময়ের মধ্যেই সোনার প্রলেপ দেওয়া সিংহাসনও পৌঁছাবে অযোধ্যায়। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের ভিত্তিতেই অযোধ্যায় তৈরি হচ্ছে রামমন্দির। সুপ্রিম নির্দেশের পরেই তৈরি হয় ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট রামমন্দিরের ভূমি পূজন করেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি।

    ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’ কী বলছে?

    ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’ তৈরি হওয়ার আগে থেকেই সারাদেশের ভক্তরা শুধু অর্থই নয় সোনা এবং রূপোও দান হিসেবে দিয়েছেন। সোনা এবং রুপোর কয়েন এবং ইঁট দিতে দেখা গিয়েছে ভক্তদের। এই সমস্ত দানের জিনিস নিরাপদে রাখাটাও বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল বলে জানিয়েছেন ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর অন্যতম সদস্য অনিল মিশ্র। অনিল মিশ্রের কথায়, ‘‘রামমন্দিরের নীচের তলায় আশি শতাংশ কাজই সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে প্রয়োজন অনুসারে।’’ রামমন্দিরের মূলদ্বার তৈরির কাজও একেবারে শেষ মুহূর্তে বলেই জানা গিয়েছে। চলতি নভেম্বর মাসেই তা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। প্রথম তলায় ১৯টি স্তম্ভ থাকবে। যার মধ্যে ১৭ টি স্তম্ভই বসানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: নভেম্বরের প্রথমেই বসছে সঙ্ঘের সর্বভারতীয় বৈঠক, মূল অ্যাজেন্ডা রামমন্দির

    RSS: নভেম্বরের প্রথমেই বসছে সঙ্ঘের সর্বভারতীয় বৈঠক, মূল অ্যাজেন্ডা রামমন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৫-৭ নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) অখিল ভারতীয় কার্যকারিণী মণ্ডলের বৈঠক বসছে গুজরাট রাজ্যের ভুজে। সূত্রের খবর, সঙ্ঘের বিভিন্ন ক্ষেত্রের কার্যপ্রণালীর বিশ্লেষণ যেমন চলবে এই বৈঠকে তেমনই জাতীয় স্তরের নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুও ঠাঁই পাবে আলোচনায়। জানা গিয়েছে, সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হতে চলেছে অযোধ্যায় রামের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার দিনটিকে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে রামমন্দিরে রামের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার দিনক্ষণও স্থির হয়ে গিয়েছে। 

    ২২ জানুয়ারি রামের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা হবে অযোধ্যায়

    আগামী জানুয়ারির ২২ তারিখে অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে রামলালার মূর্তি। ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার দিন অযোধ্যায় হাজির থাকতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র মোদিকে। চলতি বছরে মোহন ভাগবতের বিজয়া দশমীর ভাষণে উঠে আসে রামের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার দিনের প্রসঙ্গও। সঙ্ঘ প্রধান (RSS) ওইদিন বলেন, ‘‘২২ জানুয়ারি অযোধ্য়ায় স্থাপিত হবে রামের মূর্তি। ওই দিন দেশব্যাপী মন্দির বা ধর্মস্থানগুলিতে ছোট বড় নানা কার্যক্রম আমরা করতেই পারি।’’ সঙ্ঘের কার্যকারিণী মণ্ডলের বৈঠক তাই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বা অ্যাজেন্ডা হতে চলেছে রামের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার দিনটি। ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ঠিক কী কী কর্মসূচি নেবে সঙ্ঘ, ভুজের বৈঠকে সে নিয়েই চর্চা চলবে বলে জানা গিয়েছে। চলতি বছরে সেপ্টেম্বরে পুনেতে বসেছিল সঙ্ঘের (RSS) সমন্বয়ে বৈঠক। সেই বৈঠকে আলোচিত বিভিন্ন ইস্যুগুলিও এখানে আর একবার বিশ্লেষণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    সারা দেশ থেকে প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন এই বৈঠকে

    সঙ্ঘ সূত্রে জানা গিয়েছে, অখিল ভারতীয় কার্যকারিণী মণ্ডলের অংশ নেবেন সারাদেশের প্রতিটি রাজ্যের প্রতিনিধিরাই। সাংগঠনিক ৪৫টি প্রদেশ থেকেই প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে অংশ নেবেন। প্রতিটি প্রদেশের সঙ্ঘচালক, কার্যবাহ ও প্রান্ত প্রচারক ছাড়াও সহ-সঙ্ঘচালক, সহ কার্যবাহ, সহ-প্রান্ত প্রচারকরা হাজির থাকবেন এই বৈঠকে। সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত, সর কার্যবাহ শ্রী দত্তাত্রেয় হোসাবলের উপস্থিতিতে এই বৈঠক হবে। এছাড়াও সঙ্ঘের বিবিধ ক্ষেত্রের সংগঠন সম্পাদকরা এই বৈঠকে অংশ নেবেন। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতির সাপেক্ষে অখিল ভারতীয় কার্যকারিণী মণ্ডলের (RSS) বৈঠক  অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।  এই বৈঠকেই আগামী দিনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ কোন পথে চলবে তার রূপরেখা নির্ণয় করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরে মূর্তি প্রতিষ্ঠা, আমন্ত্রণ মোদিকে, ‘‘আমি ধন্য’’, ট্যুইট প্রধানমন্ত্রীর

    Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরে মূর্তি প্রতিষ্ঠা, আমন্ত্রণ মোদিকে, ‘‘আমি ধন্য’’, ট্যুইট প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরে (Ram Mandir) বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা হবে। বুধবার ‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাড়িতে ‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর সদস্যরা হাজির হন আমন্ত্রণপত্র নিয়ে। যা নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর

    রামমন্দিরের (Ram Mandir) বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে অভিভূত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “জয় সিয়ারাম! আজ খুবই আবেগঘন দিন। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের আধিকারিক আমার বাসভবনে এসে আমার সঙ্গে দেখা করেন। তিনি অযোধ্যায় শ্রী রাম মন্দিরে (Ram Mandir) বিগ্রহ অধিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমি নিজেকে খুব আশীর্বাদধন্য মনে করছি। এটা আমার সারাজীবনের সৌভাগ্য যে, এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে আমি সাক্ষ্য থাকব।”

    প্রসঙ্গ রামমন্দির

    প্রসঙ্গত, গত ২১ অক্টোবর রামজন্মভূমি (Ram Mandir) প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ওই দিন তিনি নির্মাণকার্য তত্ত্বাবধান করেন। সেখানেই যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘জানুয়ারি মাসে মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। আমরা এই মন্দির নির্মাণের সবকিছু দীপাবলির আগেই শেষ করতে চেষ্টা করছি। দেশবাসীর জন্য গর্বের মুহূর্ত আসতে চলেছে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে।’’ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামমন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন করবেন বলেও জানান যোগী আদিত্যনাথ। প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই ত্রিপুরা রাজ্যে ভোট প্রচারে গিয়ে অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, অযোধ্যার রামমন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে রামমন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট রামমন্দিরের ভূমি পুজো করেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ২০২৪ সালে দরজা খুলে যাচ্ছে মন্দিরের।

    মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুরোধ মোদিকে

    জানুয়ারি মাসেই রামমন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে ওই দিনই অযোধ্যাতে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাল মুসলিম পক্ষ। প্রসঙ্গত, অযোধ্যার ধন্নিপুরে তৈরি হবে ওই মসজিদ। রাম মন্দির থেকে মসজিদের দূরত্ব হবে ২০ কিলোমিটার। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় মুসলিম লিগের সভাপতি মহম্মদ ইসমাইল আনসারি বলেন, ‘‘অযোধ্যায় একটি শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে আসছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেই কারণে ওই দিনই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে তাঁকে অনুরোধ জানিয়েছি, এটাই আমাদের আন্তরিক ইচ্ছা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Ram Mandir: ‘‘অযোধ্যায় রামের মূর্তি স্থাপিত হবে আগামী ২২ জানুয়ারি’’, বড় ঘোষণা সঙ্ঘ প্রধানের

    Ram Mandir: ‘‘অযোধ্যায় রামের মূর্তি স্থাপিত হবে আগামী ২২ জানুয়ারি’’, বড় ঘোষণা সঙ্ঘ প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বিজয়া সম্মেলন থেকে বড় ঘোষণা করলেন সর-সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখে রামমন্দিরে মূর্তি স্থাপিত হবে রামলালার (Ram Mandir)। প্রসঙ্গত, কয়েকমাস আগেই ত্রিপুরাতে গিয়ে অমিত শাহ মন্তব্য করেছিলেন অযোধ্যার মন্দিরর কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হবে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে। এবার মোহন ভাগবতের কণ্ঠেও শোনা গেল একই কথা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে গতকাল দিল্লির রামলীলা ময়দানে রাবণ দহন উৎসবে একই রকমের ঘোষণা করতে শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও।

    নাগপুরে সঙ্ঘের বিজয়া সম্মেলন

    বিজয়া দশমীতে সঙ্ঘের বিজয়া সম্মেলনের এক অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার নাগপুরে উপস্থিত ছিলেন মোহন ভাগবত। বিশ্বের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মানচিত্রে যে ভারতের গুরুত্ব ক্রমশই বাড়ছে, একথাও এদিন বলেন সঙ্ঘ প্রধান। তাঁর বক্তব্যে এরপরই উঠে আসে রামমন্দির (Ram Mandir) প্রসঙ্গ। মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে অযোধ্যাতে। রামলালার মূর্তি সেখানে স্থাপিত হবে আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি। ঐদিন আমরা আমাদের ছোটখাট মন্দিরগুলিতে উৎসবের আয়োজন করতেই পারি।’’

    ২১ অক্টোবর রামজন্মভূমি পরিদর্শন যোগী আদিত্যনাথের

    প্রসঙ্গত, গত ২১ অক্টোবর রামজন্মভূমি (Ram Mandir) প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ওই দিন তিনি নির্মাণকার্য তত্ত্বাবধান করেন। সেখানেই যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘জানুয়ারি মাসে মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। আমরা এই মন্দির নির্মাণের যাবতীয় সবকিছু দীপাবলীর আগেই শেষ করতে চেষ্টা করছি। দেশবাসীর জন্য গর্বের মুহূর্ত আসতে চলেছে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে।’’ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন বলেও জানান যোগী আদিত্যনাথ। প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই ত্রিপুরা রাজ্যে ভোট প্রচারে গিয়ে অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে।  ২০১৯ সালের নভেম্বরে রামমন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট রামমন্দিরের ভূমি পুজো করেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ২০২৪ সালে দরজা খুলে যাচ্ছে মন্দিরের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Ram Mandir: বিদেশি অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র পেল রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ

    Ram Mandir: বিদেশি অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র পেল রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের জানুয়ারি মাসেই ভক্তদের জন্য খুলে যাচ্ছে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) দরজা। তার আগেই, ২০১০ বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন সংক্রান্ত লাইসেন্স রাম মন্দির কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে বিদেশি কোনও অনুদান পেতে রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের আর বাধা রইল না বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার বিদেশি অনুদানের লাইসেন্স পাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই।

    কী বলছে রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট

    এ বিষয়ে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই বলেন, ‘‘বিদেশি অনুদান দিল্লির স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মূল শাখায় রাম মন্দির ট্রাস্টের ব্যাঙ্ক অকাউন্টে পাঠাতে হবে।’’ প্রসঙ্গত, বিদেশে বসবাসকারী বহু প্রবাসী ভারতীয় হিন্দুর রাম মন্দির নির্মাণ প্রকল্পে অনুদানকে নিশ্চয়তা দিতেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    আগামী বছরেই খুলে যাচ্ছে রাম মন্দিরের দরজা

    ২০১৯ সালে নভেম্বরের সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের পক্ষে। এরপরেই তোড়জোড় শুরু হয় মন্দির নির্মাণের। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট মন্দিরের ভূমি পূজন করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর থেকেই আগ্রহ এবং কৌতূহল দুটোই বাড়ছিল যে কবে উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের! এবার নির্মিত রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনক্ষণও স্থির হয়ে গেল। রাম মন্দির (Ram Mandir) কনস্ট্রাকশন কমিটির চেয়ারপার্সন নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে এবং রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিতর্কের অবসান আগেই করেছিল সুপ্রিম কোর্ট, রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায়দানের মাধ্যমে, এবার মন্দির উদ্বোধন হলে পূর্ণতা পাবে সুপ্রিম কোর্টের রায়, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে আড়াই একর জমির উপরে। মন্দির প্রাঙ্গণে রয়েছে প্রায় আট একর জায়গায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: ‘জাতীয় পুনরুত্থানে রাম মন্দির’, প্রস্তাব পাশ নাগপুরে আরএসএস-এর সর্বভারতীয় বৈঠকে

    RSS: ‘জাতীয় পুনরুত্থানে রাম মন্দির’, প্রস্তাব পাশ নাগপুরে আরএসএস-এর সর্বভারতীয় বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগপুরে অনুষ্ঠিত আরএসএস-এর (RSS) অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠকে ‘জাতীয় পুনরুত্থানে রাম মন্দির’ প্রস্তাব গৃহীত হল। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘রাম মন্দিরের নির্মাণ বিশ্বের ইতিহাসে সোনালী অধ্যায়ে লেখা থাকবে।’’ ওই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ‘‘শত বছরেরও বেশি সময় ধরে হিন্দু সমাজের সংঘর্ষ এবং আত্মত্যাগের ফলে নির্মাণ সম্ভব হয়েছে রাম মন্দিরের।’’

    রাম মন্দির আন্দোলনে যুক্ত প্রত্যেককে সম্মান জানানো হয়েছে 

    প্রস্তাবে রাম মন্দির আন্দোলনে সমাজের সেই সমস্ত ব্যক্তিকে সম্মান জানানো হয়েছে, যাঁরা রাম মন্দির নির্মাণের আন্দোলনে কোনও না কোনওভাবে যুক্ত ছিলেন (RSS)। যেমন, আইন বিশেষজ্ঞ, সংবাদমাধ্যম, গবেষক প্রভৃতি। এর পাশাপাশি স্মরণ করা হয়েছে আন্দোলন করতে গিয়ে যাঁরা নিজের প্রাণ বলিদান দিয়েছেন তাঁদেরকেও। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা (RSS) তাঁদের প্রত্যেককে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে যাঁরা এই আন্দোলন করতে গিয়ে নিজের জীবন আহুতি দিয়েছেন।’’

    প্রস্তাবে স্থান পেয়েছে অক্ষত চাল বিতরণ কর্মসূচি 

    রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগে অক্ষত চাল দেশের প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় আরএসএস (RSS)। সেই কর্মসূচির সাফল্যও স্থান পেয়েছে প্রস্তাবে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘সমগ্র সমাজ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন রাম মন্দিরের অক্ষত চাল বিতরণের অনুষ্ঠানে। লক্ষ লক্ষ রামভক্ত সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন কোটি কোটি পরিবারের সঙ্গে গ্রাম এবং শহর মিলিয়ে।’’

    দেশ এবং দেশের বাইরে দীপোৎসব অনুষ্ঠান

    প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ‘‘২২ জানুয়ারি ভারতবর্ষ এবং দেশের বাইরেও প্রতিটি প্রান্তে দীপোৎসব অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। গৈরিক ধ্বজ প্রত্যেক বাড়িতে উড়েছে। মন্দির এবং ধর্মস্থান গুলিতেও দেখা গিয়েছে একই চিত্র।’’ প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে অযোধ্যা সাক্ষী থেকেছে বিশ্বের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক নেতাদের অংশগ্রহণে। এর পাশাপাশি সমাজের অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রের এবং অন্য বিশ্বাসের মানুষরাও সেদিন এসেছেন অযোধ্যায়।’’

    রাম মন্দিরের নির্মাণ সমাজে একটি সম্প্রীতির পরিবেশ নির্মাণ করতে পেরেছে

    ‘‘রাম মন্দিরের নির্মাণ সমাজে একটি সম্প্রীতির পরিবেশ নির্মাণ করতে পেরেছে।’’-এমনটাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবে। এর পাশাপাশি রাম মন্দিরের উদ্বোধন জাতীয় জীবনকে সংগঠিত করতে পেরেছে বলেও মত রাখা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। শ্রী রামচন্দ্রের মূল্যবোধের উপর নির্মিত রাম মন্দিরের উদ্বোধন ভারতবর্ষের জাতীয় পুনরুত্থানের সূচনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। পাশাপাশি প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ‘‘রাম মন্দিরের নির্মাণের মাধ্যমে সমাজ বিদেশি শাসনের সময়ে যেভাবে আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগত সেখান থেকেও বেরিয়ে আসতে পেরেছে।’’

    ভগবান রামচন্দ্র সকলের কাছে প্রেরণার স্রোত 

    ওই প্রস্তাব অনুযায়ী, ‘‘ভগবান রামচন্দ্র সকলের কাছে প্রেরণার স্রোত। ভগবান রামচন্দ্রের সুশাসন সারা পৃথিবী জুড়ে খ্যাত। রাম রাজ্যের নীতি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।’’ অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার মতে, ‘‘ভগবান রামের আদর্শ থেকে সকলকে প্রেরণা নেওয়া দরকার। সমাজের মধ্যে ধর্মের মূল্যবোধ জেগে ওঠা দরকার। আত্মত্যাগ, বিচারবোধ, সদিচ্ছা, সততা- এই সমস্ত কিছুই প্রতিফলিত হয় ভগবান শ্রী রামের জীবনে।’’

    ঘোষণা ৬ সহ-সরকার্যবাহের

    নাগপুরে অনুষ্ঠিত আরএসএস-এর (RSS) অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভায় ফের একবার সরকার্যবাহ পদে নির্বাচিত হলেন দত্তাত্রেয় হোসাবলে। এর পাশাপাশি তিনি ৬ জন সহ-সরকার্যবাহকে নিয়োগও করেন ২০২৪ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত সাংগঠনিক বর্ষে। ২০২১ সালের প্রতিনিধি সভার বৈঠকে সহ-সরকার্যবাহ ছিলেন ৫ জন। এবারে তা বেড়ে ৬ হল। ৬ জন সহ-সরকার্যবাহ হলেন— কৃষ্ণ গোপাল, সি আর মুকুন্দ, অরুণ কুমার, রাম দত্ত চক্রধর, অতুল লিমায়ে এবং অলোক কুমার। মনমোহন বৈদ্য এর আগে সহ-সরকার্যবাহের দায়িত্বে ছিলেন, প্রতিনিধি সভার বৈঠকে তাঁকে দায়িত্ব মুক্ত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: রামনবমীতে রেকর্ড ভিড়ের প্রত্যাশা, গুচ্ছ নিয়ম লাগু রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের

    Ram Temple: রামনবমীতে রেকর্ড ভিড়ের প্রত্যাশা, গুচ্ছ নিয়ম লাগু রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় রামনবমী। তার আগেই অযোধ্যার রাম মন্দিরে ভক্তের ঢল। রামজন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট (মন্দিরের দায়িত্বে রয়েছে এই ট্রাস্টই) জানিয়েছে, প্রতিদিন এক থেকে দেড় লক্ষ মানুষ অযোধ্যায় আসছেন রাম মন্দির (Ram Temple) দর্শনে। রামনবমীতে সেই ভিড় ছাপিয়ে যাবে বলে ধারণা মন্দির কর্তৃপক্ষের। ফলে, আগাম কিছু নিয়ম লাগু করা হয়েছে রাম মন্দিরে। 

    ভিড় বাড়বে রামনবমীতে

    এপ্রিল মাসের ১৭ তারিখে রামনবমী। তাই এপ্রিল শুরু হলেই ভক্ত সংখ্যা বেড়ে ফি-দিন দু’লক্ষ বা তার বেশি হয়ে যাবে। ভক্তের ভিড় সামলাতে বেশ কিছু নিয়ম চালু করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। এগুলি হল, দেব দর্শন করা যাবে সকাল সাড়ে ছ’টা থেকে রাত সাড়ে ন’টা পর্যন্ত। মন্দিরে ঢোকার আগে ভক্তদের জুতো, মোবাইল ফোন, পার্স বাইরে রেখে আসতে হবে। ফুল-মালা কিংবা প্রসাদ নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না। বিগ্রহের শৃঙ্গার আরতি হবে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে। শয়ন আরতি রাত ১০টায়।

    জারি গুচ্ছ নিয়ম

    শৃঙ্গার আরতি দেখতে হলে সংগ্রহ করতে হবে এন্ট্রি পাস। অন্য আরতি (Ram Temple) দেখার জন্য কোনও পাস লাগবে না। ট্রাস্টের ওয়েবসাইট থেকে এন্ট্রি পাস সংগ্রহ করতে হবে। এই পাসের জন্য প্রয়োজন হবে নাম, মোবাইল নম্বর ও আধারকার্ড। দেব দর্শন করতে হবে লাইন দিয়ে। অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে কেউ আগেভাগে দর্শন করতে পারবেন না। দেব দর্শন করতে হবে ৬০ থেকে ৭৫ মিনিটের মধ্যে। শারীরিকভাবে অসুস্থরা হুইল চেয়ারে বসে বিগ্রহ দর্শন করতে পারবেন।

    প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিনই বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠাও করা হয়। তার পরের দিন থেকেই আমজনতার জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দ্বার। সেদিন থেকেই মন্দির প্রাঙ্গনে তিল ধারণের জায়গা নেই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আমি ইস্তফা দেব, আপনি দেবেন তো?’’ সিএএ ইস্যুতে মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    এদিকে, ভিড়ের কারণে যাঁরা অযোধ্যায় গিয়ে বালক রামের দর্শন করতে পারবেন না, তাঁদের জন্য সুখবর শুনিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, দূরদর্শনে অযোধ্যার রাম মন্দিরের আরতি লাইভ সম্প্রচার করা হবে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ছ’টা থেকে আধঘণ্টা ধরে দেখানো হবে ওই আরতি। রামনবমীর দিন থেকেই দূরদর্শনে লাইভ সম্প্রচার শুরু হবে আরতির। তাই অযোধ্যায় সশরীরে না গিয়েও রামলালার শৃঙ্গার আরতি ঘরে বসেই দর্শন করতে পারবেন ভক্তরা (Ram Temple)।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share