Tag: Ram Mandir

Ram Mandir

  • Ram Mandir: ‘‘রাম ও রামায়ণ থেকে আলাদা দেশ কল্পনা করা অসম্ভব’’, সংসদে বললেন অমিত শাহ

    Ram Mandir: ‘‘রাম ও রামায়ণ থেকে আলাদা দেশ কল্পনা করা অসম্ভব’’, সংসদে বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সংসদের বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে রাম মন্দির (Ram Mandir) নিয়ে ধন্যবাদ প্রস্তাব আনল মোদি সরকার। এই প্রস্তাবের জন্য চার ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। রাম মন্দিরের নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হবে। রাম মন্দিরকে (Ram Mandir) ভারতের প্রাচীন ও মহান সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে এই বর্ণনা করা হবে এই প্রস্তাবে। এক এক করে বিজেপি সাংসদরা নিজেদের বক্তব্য পেশ করছেন প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত। বিকাল পাঁচটায় ধন্যবাদ প্রস্তাবে দুই কক্ষে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জানা গিয়েছে এই ধন্যবাদ প্রস্তাবে থিম রাখা হয়েছে ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ বিজেপি সাংসদ সত্যপাল সিং লোকসভায় এই প্রস্তাব আনেন। ইতিমধ্যে এই প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য রেখেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    হাজার বছরের ইতিহাসে লেখা থাকবে রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনটি 

    লোকসভায় রাম মন্দির (Ram Mandir) নিয়ে আলোচনা চলাকালীন এদিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অমিত শাহ সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘২২ শে জানুয়ারি দিনটি আগামী হাজার হাজার বছর পর ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। কারণ এই দিনেই সমস্ত রাম ভক্তদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে।’’ অমিত শাহ এদিনের ভাষণে আরও বলেন, ‘‘রাম জন্মভূমির ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। ১৫২৮ সাল থেকে এই যুদ্ধ চলছে। প্রায় ৫০০ বছর পর আইনি লড়াই শেষ হয়েছে। আমি স্মরণ করতে চাই সমস্ত যোদ্ধাদের যারা রাম মন্দির আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এই স্বপ্ন মোদিজির আমলেই পূরণ হওয়ার কথা ছিল। রাম মন্দির নির্মাণকে ধর্মের সঙ্গে যুক্ত করা উচিত নয়’। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘রাম ও রামায়ণ ছাড়া দেশ কল্পনা করা যায় না। দেশের সংবিধানের থেকে শুরু করে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ ভারতের স্বপ্ন পর্যন্ত রামের নামেই গড়ে উঠেছে।’’

    ৩৩০ বছর পরে আইনি লড়াই শেষ হয়েছে

    অমিত শাহ এদিন আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতি এবং রামায়ণকে কখনও আলাদাভাবে দেখা হয়নি। রামায়ণ অনেক ভাষা, সংস্কৃতি এবং ধর্মে উল্লেখ আছে। রাম ও রামায়ণ থেকে আলাদা দেশ কল্পনা করা অসম্ভব। ১৫২৮ সাল থেকে এই যুদ্ধ চলছে। কয়েক দশক ধরে লড়াই চলে আসছে । ১৮৫৮ সাল থেকে আইনি লড়াই চলছিল। ৩৩০ বছর পর, আইনি লড়াই আজ শেষ হয়েছে এবং রামলালা (Ram Mandir) তাঁর গর্ভগৃহের ভিতরে বসে আছেন। বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী মোদি যা বলেন তাই বাস্তবে করে দেখান।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ১১ দিনে অযোধ্যা ধামে পা পড়েছে ২৫ লাখ ভক্তের, দক্ষিণা প্রাপ্তি ১১ কোটি টাকা

    Ram Mandir: ১১ দিনে অযোধ্যা ধামে পা পড়েছে ২৫ লাখ ভক্তের, দক্ষিণা প্রাপ্তি ১১ কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই ভক্তদের ঢল নেমেছে অযোধ্যায়। হিসাব বলছে, বিগত ১১ দিনে ২৫ লাখ ভক্তের পা পড়েছে রাম জন্মভূমিতে এবং মোট প্রণামী সংগৃহীত হয়েছে ১১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৮ কোটি টাকা এসেছে শুধু প্রণামী বাক্স থেকেই এবং অনলাইনের মাধ্যমে প্রণামী পাঠানো হয়েছে সাড়ে তিন কোটি টাকা।

    প্রত্যহ সন্ধ্যায় গোনা হয় প্রণামী

    তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য প্রকাশ গুপ্তা জানিয়েছেন, প্রতিদিনই গড়ে দু লাখেরও বেশি রামভক্ত (Ram Mandir) এসেছেন মন্দির দর্শনে। তিনি আরও জানিয়েছেন, মন্দিরের গর্ভগৃহের সামনে চারটি বড় আকারের প্রণামী বাক্স রাখা হয়েছে। এগুলি রয়েছে দর্শন পথের সামনেই। যেখানে ভক্তরা তাঁদের দান করছেন। এর পাশাপাশি দশটি কম্পিউটারাইজ কাউন্টারও খোলা হয়েছে প্রণামীর জন্য। জানা গিয়েছে, রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট ইতিমধ্যে কর্মী নিয়োগও করেছে এই ডোনেশন কাউন্টারগুলির জন্য। প্রণামী থেকে প্রাপ্ত অর্থ ট্রাস্ট অফিসে জমা পড়ে প্রত্যহ সন্ধ্যায়। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন রুটিন মাফিক প্রণামী বাবদ প্রাপ্ত অর্থ গোনা হয় রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট-এর (Ram Mandir) অফিসে। এ কাজে লেগে রয়েছেন ১৪ জন। যাঁদের মধ্যে ১১ জনই হলেন ব্যাঙ্ক কর্মী এবং ৩ জন হলেন ট্রাস্ট এর সদস্য। প্রণামী গোনার কাজ সম্পন্ন হয় সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতেই।

    ১১ দিনে পর্যটকরা ব্যয় করেছেন ৪ হাজার ৮২৫ কোটি টাকারও বেশি

    উত্তরপ্রদেশের স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ইতিমধ্যে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের সময় থেকে ৪ হাজার ৮২৫ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করেছেন পর্যটকরা। এর মধ্যে যেমন দেশীয় পর্যটক রয়েছে, তেমনি বিদেশের পর্যটকরাও রয়েছেন। তাই স্বাভাবিকভাবে আধ্যাত্মিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রাম মন্দির যথেষ্ট সফল, তা বলাই যায়। প্রসঙ্গত আধ্যাত্মিক পর্যটনের কথা গতকাল উঠে এসেছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের বাজেট ভাষণেও। তিনি বলেন যে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে দেশের আধ্যাত্মিক পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে উন্নত করার জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের গর্ভগৃহ পরিষ্কারের কাজে ভক্তরা উপহার দিল রুপোর ঝাঁটা

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের গর্ভগৃহ পরিষ্কারের কাজে ভক্তরা উপহার দিল রুপোর ঝাঁটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সপ্তাহেরও বেশি হয়ে গেল, রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন হয়েছে। তারপর ভক্তদের কাছ থেকে রাম মন্দিরে আসছে একের পর এক উপহার। এবারে ‘অখিল ভারতীয় মঙ্গ সমাজে’র তরফ থেকে দেড় কেজিরও বেশি ওজনের রুপোর ঝাঁটা রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের হাতে তুলে দেওয়া হল, গর্ভগৃহ পরিষ্কার করার জন্য।

    দেবী লক্ষ্মীর প্রতিমা রয়েছে ঝাঁটার মাথায়

    ওই ঝাঁটাটি বেশ কারুকার্য করা হয়েছে। উপরে বসানো হয়েছে দেবী লক্ষ্মীর প্রতিমা। জানা গিয়েছে এটি তৈরি করতে ১১ দিন সময় লেগেছে। ভক্তরা আবেদন জানিয়েছেন যেন এই ঝাঁটা দিয়ে গর্ভগৃহকে পরিষ্কার করা হয়। প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি সারা বিশ্বব্যাপী দীপাবলি উৎসব পালন হয় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে (Ram Mandir) কেন্দ্র করে। সাধারণভাবে দীপাবলিতে ঝাঁটাও পুজো করা হয়, তা দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক মানা হয়। তাই ‘অখিল ভারতীয় মঙ্গ সমাজ’-এর তরফ থেকে এমন একটি উপহার শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

    ঝাঁটাতে রয়েছে ১০৮টি রুপোর কাঠি

    ওই ঝাঁটাতে মোট ১০৮টি রুপোর কাঠি রয়েছে। মধ্যপ্রদেশের বেতুল থেকে আগত ওই সংস্থার প্রতিনিধি মধুকর রাও বলেন, ‘‘আমরা রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের (Ram Mandir) কাছে আবেদন রেখেছি, ওই ঝাঁটা দিয়ে যেন গর্ভগৃহ পরিষ্কার করা হয়।’’ প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বালক রামকে একটি হীরের তৈরি ১১ কোটি টাকার দামের মুকুট উপহার দেন গুজরাতের এক ব্যবসায়ী। তারপরে আবার ফের এমন উপহার সামনে এল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: “দয়া করে পাকিস্তানে চলে যান”, বললেন ফতোয়া পাওয়া সেই ইমাম

    Ram Mandir: “দয়া করে পাকিস্তানে চলে যান”, বললেন ফতোয়া পাওয়া সেই ইমাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর অপরাধ মুসলমান হয়েও যোগ দিয়েছিলেন অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে। তাই ফতোয়া জারি করা হল অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান উমর আহমেদ ইলিয়াসির বিরুদ্ধে। ফতোয়ায় তাঁকে ‘কাফের’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ফতোয়া জারি করেছে মুফতি সাবির হুসেইনির নেতৃত্বাধীন মুফতি ক্লাসেস নামে একটি দল।

    লাগাতার হুমকি ফোন

    ইলয়াসির অভিযোগ, রবিবার থেকে তাঁর ওপর এই ফতোয়া জারি করা হয়েছে। রাম মন্দির উদ্বোধন অনু্ষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর থেকে লাগাতার হুমকি ফোনও তিনি পাচ্ছেন। দেওয়া হচ্ছে প্রাণনাশের হুমকি। বিষয়টি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন ইমাম। দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি দায়ের করেছেন এফআইআরও। ইমাম বলেন, “যাঁরা (Ram Mandir) আমায় ভালোবাসেন, দেশকে ভালোবাসেন, তাঁরা অবশ্যই আমায় সমর্থন করবেন। আর যাঁরা রাম মন্দিরের ইভেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য আমায় ঘৃণা করছেন, তাঁরা দয়া করে পাকিস্তানে চলে যান।”

    ‘মনুষ্যত্বই আমাদের এক করে’

    ইমাম বলেন, “রাম মন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পাওয়ার পর আমি দু’ দিন বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করি। তারপর অযোধ্যা যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিই। এটা আমার জীবনের সব চেয়ে বড় সিদ্ধান্ত ছিল। দেশের সম্প্রীতি রক্ষার্থে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান ইমাম হিসেবে আমাকে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানে উষ্ণ অভ্যর্থনায় স্বাগত জানানো হয় আমাকে। সেদিন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর আমার মনে হয়েছিল, দুটি ধর্মের বিশ্বাস আলাদা হতে পারে, কিন্তু মনুষ্যত্বই আমাদের এক করে।”

    আরও পড়ুুন: চিনপন্থী মুইজ্জুকে গদিচ্যুত করতে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু মলদ্বীপে!

    ইলিয়াসি বলেন, “আমায় এবং আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ভারত ইসলামিক দেশ নয়। ফলে এই সব ফতোয়া এখানে চলবে না। আমি যে ভালোবাসা ও সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দিচ্ছি, তা কারও পছন্দ না হলে সে পাকিস্তানে চলে যেতে পারে। আমি কোনও ভুল করিনি। প্রাণপ্রতিষ্ঠা উৎসবে অংশ নেওয়ার জন্য আমি ক্ষমা চাইব না। পদ থেকেও ইস্তফা দেব না।” প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের। এদিনই প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় বালক রামের মূর্তির। উৎসবে (Ram Mandir) উপস্থিত ছিলেন দেশ-বিদেশের বহু মানুষ। ছিলেন এই ইমামও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

      

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের ফলে অযোধ্যায় পর্যটন শিল্পে জোয়ার! ২ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের ফলে অযোধ্যায় পর্যটন শিল্পে জোয়ার! ২ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরকে (Ram Mandir) কেন্দ্র করে অযোধ্যার পর্যটন শিল্পে জোয়ার। যা থেকে হতে পারে বিপুল কর্মসংস্থান।

    গত ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অযোধ্যায় লক্ষ লক্ষ ভাক্তদের সমাগম শুরু হয়েছে। আগামী দিনে এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে বিরাট পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই এলাকার সামাজিক, আর্থিক, সংস্কৃতিক, পর্যটন শিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে অযোধ্যা শহরকে ঘিরে আশেপাশের ছোট, বড় শহরগুলি দ্রুত মানব সম্পদ বিকাশের সমৃদ্ধশীল নগরে পরিণত হবে। অনুমান করা হচ্ছে, এর ফলে সেখানে ১.৫ থেকে ২ লক্ষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে। একথা জানিয়েছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি বেটারপ্লেস সংস্থার সহকারী প্রতিষ্ঠাতা এবং গ্রুপের সিইও প্রবীণ আগরওয়াল। 

    কী বললেন প্রবীণ আগরওয়াল (Ram Mandir)

    প্রবীণ আগরওয়াল বলেছেন, “এই মন্দিরকে (Ram Mandir) কেন্দ্র করে অযোধ্যায় বিরাট অঞ্চল জুড়ে নির্মাণ কাজের ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে আগামী দিনে। এখানে হোটেল চেইন, অ্যাপার্টমেন্ট ইউনিট, স্বাস্থ্যসেবার মতো সুবিধাগুলির সম্প্রসারণ দ্রুত হবে। ফলে গোটা অঞ্চল জুড়ে উন্নয়নের পরিকাঠামোকে ঘিরে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এই অঞ্চলে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ অস্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটবে। হোটেল, আতিথেয়তা, পর্যটন, খাদ্য ও পানীয়, দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, পণ্য সমগ্রী, স্বাস্থ্যসেবা, ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার নির্মাণের ফলে জনশক্তির চাহিদা আরও বাড়বে। অঞ্চলটি ধর্মীয় পর্যটনের জন্য একটি হটস্পটে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”

    দৈনিক ১০ থেকে ৩০ হাজার কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা

    অর্থনীতিবিদ এবং চাকরির বাজার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই দৈনিক ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে। এর ফলে প্রায় কমপক্ষে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার মানুষের তাৎক্ষণিক কর্মসংস্থান হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও ভোগ্যপণ্য এবং খাদ্য পরিষেবার  সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলি এই এলাকায় ক্রমবর্ধমানভাবে তাদের উপস্থিতি ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করছে। অযোধ্যাকে একটি ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিং হটস্পট হিসাবে সকল বিনিয়োগকারীরা দেখেছেন বলে একাংশ মানুষ মনে করছেন।

    বিশেষজ্ঞরা কী বলেছেন?

    বিশিষ্ট বিনিয়োগকারী এইচএউএল-সংস্থার প্রাক্তন সিও সঞ্জীব মেহতা বলেছেন, “অযোধ্যা একটি প্রধান তীর্থস্থানে পরিণত হবে এবং প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ আসবেন এখানে। এটি সৃজনশীলতা এবং নতুন উপভোক্তা তৈরির সুযোগ প্রদান করবে।” আবার স্টাফিং অ্যান্ড রিন্ডস্ট্যাড টেকনোলজিসের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ইয়েশাব গিরি বলেছেন, “অযোধ্যায় প্রচুর ভক্ত আগমনের ফলে বোতলজাত জল, স্ন্যাকিং পণ্য, রিফ্রেশমেন্ট সহ পানীয় ইত্যাদির চাহিদা ব্যাপক ভাবে বেড়েছে। ফলে ব্যবসার এক অপার সম্ভাবনা তৈরি হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: বালক রাম দর্শনের ভিড় সামলাতে অযোধ্যায় ৩৭৫০ কোটির প্রকল্প ঘোষণা কেন্দ্রের

    Ram Mandir: বালক রাম দর্শনের ভিড় সামলাতে অযোধ্যায় ৩৭৫০ কোটির প্রকল্প ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর এবং মন্দিরে উদ্বোধনের পর থেকেই উপচে পড়া ভিড় দর্শনার্থীদের। বালক রামের দর্শন পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন ভক্তরা। ৫০০ বছর পর প্রভু রাম তাঁর নিজের জন্মভূমির উপর নির্মিত মন্দিরের গর্ভগৃহে বিরাজমান হয়েছেন। তাই অগণিত রামভক্তের দেখা মিলছে রাম মন্দির প্রাঙ্গনে। ইতিমধ্যে মন্দির কর্তৃপক্ষ আগত ভক্তদের উদ্দেশে মন্দির দর্শন এবং আরতির নতুন সময়সূচি প্রকাশ করেছে। অপর দিকে, অযোধ্যায় ভিড় সামলাতে ৩৭৫০ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার।

    রামলালা দর্শনের সময়সূচি (Ram Mandir)

    মন্দির সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কয়েক লক্ষ মানুষ রাম মন্দির (Ram Mandir) দর্শন করেছেন। দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রভু রামলালার দর্শনে ছুটে আসছেন ভক্তরা। ভক্তদের সুবিধার্থে শ্রীরাম জন্মভূমিত তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে আরতি ও দর্শনের নতুন সময় প্রকাশ করেছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজ্য মুখপাত্র এবং মিডিয়া ইনচার্জ শরদ শর্মা বলেছেন, “প্রভু শ্রীরামলালার শৃঙ্গার আরতি হবে ভোর সাড়ে ৪টায়। সেই সঙ্গে মঙ্গল আরতি হবে সকাল সাড়ে ৬টায়। এরপর সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ভক্তদের দর্শন পর্ব। দুপুর ১২টায় হবে ভোগ আরতি, এই সময় প্রভুকে ভোগ নিবেদন করা হবে। এরপর কিছুক্ষণ বিশ্রামের জন্য বন্ধ থাকবে গর্ভগৃহ। আবার দুপুর ২টো থেকে দরজা খুলে যাবে। সন্ধ্যার সময় হবে প্রভু রামের সন্ধ্যা আরতি। এরপর ভোগ নিবেদন করে ভোগের আরতি করা হবে। রাত্রি ১০টায় হবে শয়ন আরতি।”

    কেন্দ্র সরকারের বিরাট প্রকল্পের ঘোষণা

    মন্দির(Ram Mandir) উদ্বোধনের পর থেকেই রাম মন্দিরে ব্যাপক ভক্তের সমাগম। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো নাজেহাল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। মধ্যে রাত থেকেই মন্দির দর্শনের জন্য পড়ছে লম্বা লাইন। আগামী দিনে প্রভু বালক রামের দর্শনের জন্য আরও ভিড় বাড়বে। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই ৩ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করেছে। ৬৮ কিমি বাইপাস তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক বিশেষ ঘোষণা করেছে। ৬ লেনের হাইওয়ে রাস্তা যাবে লখনউ, বাস্তি, গোন্ডা জেলার উপর দিয়ে। উত্তর অযোধ্যা এবং দক্ষিণ অযোধ্যা দুই ভাগে প্রকল্পের কাজ ঘোষণা করা হয়েছে। মন্দিরে যেতে যাতে যানজট কম হয় তাই এই ব্যবস্থা করা হবে। বর্তমানে ৮৯ হাজার ২৩টি গাড়ি রোজ গড়ে যাতায়াত করছে। ২০৩৩ সালের মধ্যে এই সংখ্যা পৌঁছাতে পারে আনুমানিক ২ লক্ষ ১৭ হাজারে। এই রাস্তা মূলত পিপিপি মডেলে নির্মাণ করা হবে। আগামী আড়াই বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: প্রজাতন্ত্র দিবসে অযোধ্যায় পা পড়ল ৩ লাখ ২৫ হাজার ভক্তের

    Ram Mandir: প্রজাতন্ত্র দিবসে অযোধ্যায় পা পড়ল ৩ লাখ ২৫ হাজার ভক্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের পরে অযোধ্যায় ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ছে। তথ্য বলছে, গতকালই অর্থাৎ প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ৩ লাখ ২৫ হাজার ভক্তের পা পড়েছিল পবিত্র অযোধ্যা ধামে। বালক রামের মূর্তি দর্শনে ইতিমধ্যে সময়সীমা বাড়িয়েছে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। যার ফলে বিপুল সংখ্যক ভক্তের রাম মন্দির দর্শন করতে কোনওরকম অসুবিধা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, মন্দির প্রাঙ্গণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে এগিয়ে এসেছেন স্বয়ংসেবকরাও। আরএসএস নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে ইতিমধ্যে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেছেন এব্যাপারে।

    ২৬ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র সচিব হাজির ছিলেন অযোধ্যায়

    যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশ মতো, ২৬ জানুয়ারিও উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র সচিব সঞ্জয় প্রসাদ, আইনশৃঙ্খলার ডিজি প্রশান্ত কুমার অযোধ্যা পৌঁছে যান এবং সমস্ত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। দিনভর ভক্তদের ভিড় সামলে দুই শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকর্তা লখনউতে ফেরেন সন্ধ্যাবেলায় এবং দিনের শেষে রিপোর্ট দেন মুখ্যমন্ত্রীকে। এই দুই শীর্ষ প্রশাসনিক আমলার সঙ্গে অযোধ্যা ধামে (Ram Mandir) সর্বক্ষণই ছিলেন পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল, ডিভিশনাল কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপার।

    ভোরের মঙ্গল-আরতি ও রাতে শয়ন-আরতির সময়

    ২৬ জানুয়ারি সকাল নাগাদ মন্দির (Ram Mandir) প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখে অযোধ্যার স্থানীয় প্রশাসনও। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র শরদ শর্মা জানিয়েছেন, মঙ্গল আরতির জন্য বালক রামের গর্ভগৃহের দরজা খোলা হয় ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ। এরপরে শ্রীঙ্গার আরতির জন্য পরবর্তীকালে দরজা খোলা হয় সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ। ভক্তদের দর্শন শুরু হয় সকাল সাতটা থেকে। দুপুর ১২টা নাগাদ ভোগ আরতি হয় এবং সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় সন্ধ্যা আরতি হয়। পরবর্তীকালে রাত্রিতে আবার নটার সময় ভোগ আরতি হয়। রাত্রি দশটা নাগাদ শয়ন আরতি হয়। সকালের মঙ্গল আরতির সময় অবশ্য ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: লোকসভার ঢাকে কাঠি! কেন দেশের মানুষ মোদিকে পছন্দ করেন? নয়া থিম সং বিজেপির

    PM Modi: লোকসভার ঢাকে কাঠি! কেন দেশের মানুষ মোদিকে পছন্দ করেন? নয়া থিম সং বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের। আজ ২৫ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর থেকে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ঠিক এই আবহে বৃহস্পতিবারই বিজেপির তরফে একটি গান প্রকাশ করা হল। গানের নির্যাস, ‘‘কেন জনগণ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে পছন্দ করেন এবং তাঁকে বারবার নির্বাচিত করেন?’’ ২ মিনিট ১০ সেকেন্ডের এই গানটির নামও দেওয়া হয়েছে ‘তাবহি তো সব মোদি কো চুনতে হ্যায়’। গানের মধ্যেই রয়েছে ‘স্বপ্নে নেহি হকিকত বুনতে হ্যায়, ইস লিয়ে তো সব মোদি (PM Modi) কো চুনতে হ্যায়’ এই নতুন স্লোগানও।

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা লঞ্চ করেন এই গান

    বৃহস্পতিবার এই স্লোগানটি আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারনা, ২৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সভা এবং একইসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির থিম সং এর লঞ্চ হওয়াতেই লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিল গেরুয়া শিবির। গোটা মিউজিক ভিডিওতে তুলে ধরা হয়েছে কিভাবে প্রধানমন্ত্রী কোটি কোটি ভারতীয় স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করেছেন। প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়েছে রাম মন্দিরের। মিলেছে ৫০০ বছরের সংঘর্ষের সাফল্য। রাম মন্দিরের স্বপ্ন রূপ পেয়েছে বাস্তবে, একইভাবে দেশের কয়েক কোটি মানুষের পাকা বাড়ির স্বপ্ন পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। রান্নার গ্যাসও বাড়ি বাড়ি সাপ্লাই দিয়েছেন তিনি। ভারত বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ বিগত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত বিশ্বের উন্নয়নের মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে। এরই প্রতিফলন দেখা গেল বিজেপির ওই থিম সং-এ।

     

    বন্দে ভারত থেকে চন্দ্রযান, সবকিছুই রয়েছে এই থিম সং-এ

    গানটি শুরুতেই বর্ণনা করা হয়েছে কংগ্রেস আমলে দেশের কী বেহাল অবস্থা হয়েছিল। কীভাবে উন্নয়নের গতি থমকে গিয়েছিল। এরপরেই দেশবাসী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) নির্বাচিত করেন। বাড়ি, বিদ্যুৎ, জল, গ্যাসের সংযোগ, নারীর ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থানের মতো যাবতীয় প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী পূরণ করেছেন। আত্মপ্রচারের বদলে প্রধানমন্ত্রী যে কাজকেই প্রাধান্য দেন সে কথা বলা হয়েছে ওই গানে। এবং বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্র নেতারাও তাঁর কথা শোনেন, তারও উল্লেখ করা হয়েছে ওই গানে। দ্রুতগতির বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এর পরিষেবা থেকে শুরু করে চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যও স্থান পেয়েছে গানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: উদ্বোধনের পরের দিনই বিপুল অনলাইন প্রণামী পড়ল রাম মন্দিরে, কত জানেন?

    Ram Mandir: উদ্বোধনের পরের দিনই বিপুল অনলাইন প্রণামী পড়ল রাম মন্দিরে, কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালক রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ram Mandir) হয়েছে ২২ জানুয়ারি সোমবার। ঠিক তার একদিন পরেই অনলাইনে প্রণামী পড়েছে ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এমনই তথ্য পাওয়া গেল রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে। ট্রাস্টের সদস্য অনিল মিশ্র জানিয়েছেন, প্রণামীর জন্য দশটি কাউন্টার খোলা হয়েছিল বালক রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে। অনেক ভক্ত সারা দেশ থেকে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে তাঁদের প্রণামী পাঠিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ৫ লাখ ভক্ত রাম মন্দির (Ram Mandir) দর্শন করেছেন মঙ্গলবার অর্থাৎ মন্দির উদ্বোধনের ঠিক একদিন পরেই। একই সংখ্যক ভক্তদের দেখা গিয়েছে বুধবারও। অনিল মিশ্রের কথায়, ‘‘তিন কোটি সতেরো লাখ টাকা প্রণামী অনলাইনের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রণামী এসেছে শুধু মঙ্গলবারই।

    প্রতি সোমবার গোনা হবে মন্দিরে প্রাপ্ত প্রণামী বাবদ টাকা

    রাম মন্দিরে (Ram Mandir)  যে সমস্ত ভক্তরা গিয়ে প্রণামী দিয়েছেন সেই তার মূল্য নির্ধারণ হবে আগামী সোমবার। তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্রতি সোমবারই প্রণামী বাবদ যত টাকা পড়বে তা গোনা হবে। জানা গিয়েছে, এরই মধ্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সহ-সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে রাম মন্দির ট্রাস্টের সমস্ত সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন। এবং সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে স্বয়ংসেবকরা মন্দির চত্বর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ভূমিকা পালন করবেন। রাম ভক্তদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় মন্দির দর্শনে তাও দেখবেন স্বয়ংসেবকরা।

    বালক রামের দর্শনের নতুন সময়

    রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এবার সকাল ৬টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এবং দুপুর ২টো থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বালক রামের দর্শন করা যাবে। অর্থাৎ কেবল ভোগদান ও সন্ধ্যা আরতির সময় মন্দিরের মূল দরজা সাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে। ভিড়ের চাপ সামলাতে এবং দর্শনার্থীদের সুবিধার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম ২ দিন সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত বিগ্রহ দর্শন করতে পারছিলেন দর্শনার্থীরা। কিন্তু, ভিড়ের চাপ সামাল দিতে এবার এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ajodhya Ram Temple: ১১ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যা যাচ্ছেন শুভেন্দু, রাম দর্শনে বাংলার বিজেপি বিধায়করাও

    Ajodhya Ram Temple: ১১ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যা যাচ্ছেন শুভেন্দু, রাম দর্শনে বাংলার বিজেপি বিধায়করাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম দর্শনে অযোধ্যা যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি একদিনের সফরে অযোধ্যা যাবেন তিনি। এই সফরে তাঁর সঙ্গী হবেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিজেপি বিধায়কেরা।  ওই দিনই আবার তাঁরা সকলে কলকাতায় ফিরবেন। সামনে লোকসভা নির্বাচন, তারপর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই শুরু হচ্ছে রাজ্য বাজেট অধিবেশন। তাই এই কর্মব্যস্ততার মধ্যে একদিনের সফরেই রামের আশীষ নিতে অযোধ্যা যাওয়ার ইচ্ছা বিরোধী দলনেতার।

    একদিনের ঝটিতি সফর

    দলীয় সূত্রের খবর, ১১ ফেব্রুয়ারি রবিবার রয়েছে। তাছাড়া ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। বাজেটে যোগ দিতে বিজেপির উত্তর ও দক্ষিণের সমস্ত বিধায়করা বিধানসভায় আসবেন। রবিবার ছুটির দিন থাকায় বিমান পথে সেদিনই অযোধ্যা গিয়ে আবার ফিরে আসার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। কারণ, পরের দিন আবার বাজেট অধিবেশন রয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘রামমন্দির আসলে হিন্দুদের আবেগ। ৫০০ বছরের বেশি সময় ধরে লড়াই করার পর সেই দিন এসেছে, তাই এমন একটি পবিত্র মন্দির দেখতে পাওয়া অনেক বড় বিষয়। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।’’

    আরও পড়ুন: বাণিজ্যের নতুন দিশা! রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে রেকর্ড আয়

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্দির উদ্বোধনের দিন দলীয় নেতাদের নিজ নিজ রাজ্যে থেকেই রামমন্দিরের সূচনাপর্ব উদ্‌যাপন করতে বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মেনে বিরোধী দলনেতা মঙ্গলবার তাঁর কর্মসূচি সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন কলকাতা ও হাওড়া জেলার মধ্যেই। এবার তিনি অযোধ্যা যাবেন রাম দর্শনের জন্য। সোমবার অযোধ্যার নবনির্মিত রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সেদিন ভিআইপি ছাড়া সাধারণের প্রবেশাধিকার ছিল না মন্দির চত্বরে। সেই অর্থে মঙ্গলবারই ছিল সর্বসাধারণের জন্য রাম দর্শনের প্রথম দিন। মন্দির কমিটির হিসেব অনুযায়ী, প্রথম দিনেই দর্শনার্থীদের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছে। আগামী কয়েকদিন এই জন জোয়ার আরও তীব্রতর হবে বলেই অনুমান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share