Tag: Ram Mandir

Ram Mandir

  • Amit Shah: বাংলায় পরিবর্তন আনাই লক্ষ্য! ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: বাংলায় পরিবর্তন আনাই লক্ষ্য! ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতিমুক্ত বাংলা চান, তার জন্যই দেবী দুর্গার আশীর্বাদ গ্রহণ করতে গুজরাট থেকে ছত্তিসগড় হয়ে কলকাতায় এসেছেন বলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে এসে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন আনতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করব। বাংলা থেকে দুর্নীতি, অন্যায়, অত্যাচার দ্রুত শেষ হোক, এই শক্তি মা আমাদের দিন, এই প্রার্থনা জানাই।”

    কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    শিয়ালদহের কাছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার অর্থাৎ লেবুতলা পার্কে এবারের পুজোর মণ্ডপ তৈরি হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের আদলে। সেই মণ্ডপের উদ্বোধন করতে দ্বিতীয়ার সন্ধ্যায় ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসেছিলেন অমিত শাহ। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ওই পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। ছিলেন মঠ ও মন্দিরের সাধু – সন্তরা। এদিন ফিতে কাটার কিছুক্ষণ  পরেই দিল্লির বিমান ধরার উদ্দেশে রওনা হয়ে যান অমিত শাহ। 

    বঙ্গবাসীকে শুভেচ্ছা 

    শুধুমাত্র মা দুর্গার আশীর্বাদ নেওয়ার জন্যই এদিন বাংলায় এসেছেন বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। “রামমন্দির উদ্বোধনের আগে, আজ উত্তর কলকাতার এই মণ্ডপ গোটা বিশ্বের কাছে রাম জন্মভূমির বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে” দাবি শাহের। তিনি বলেন, “আজ আমি কোনও রাজনীতির কথা বলতে আসিনি। আমি পশ্চিমবঙ্গে আসব, রাজনীতির কথাও বলব, আর এখানে পরিবর্তন আনতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করব। জানুয়ারিতে রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগেই উত্তর কলকাতার মানুষ রাম মন্দিরের উদ্বোধন করে দিয়েছেন। সেজন্য আমি তাঁদের শুভেচ্ছা জানাই। প্যান্ডেলে মায়ের সামনে গিয়ে গোটা দেশের জন্য সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রার্থনা করব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: সোমবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয় ‘রাম মন্দির’ উদ্বোধনে অমিত শাহ, সাজো সাজো রব

    Amit Shah: সোমবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয় ‘রাম মন্দির’ উদ্বোধনে অমিত শাহ, সাজো সাজো রব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই উদ্বোধন হচ্ছে রামমন্দিরের! প্রধানমন্ত্রী নন, উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তবে এই রামমন্দির সত্যিকারের নয়, নকল। বিষয়টি তাহলে খুলেই বলা যাক। এবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের মণ্ডপ হচ্ছে রামমন্দিরের আদলে। এই মণ্ডপেরই উদ্বোধন করবেন অমিত শাহ। সোমবার উদ্বোধন হবে মণ্ডপের।

    মণ্ডপে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    শনিবার থেকেই মণ্ডপ চত্বরের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। এই পুজোর উদ্বোধনের পাশাপাশি রাজ্যে তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে রাজ্যের দুর্নীতি, আইন-শৃঙ্খলা সহ নানা বিষয়ে তাঁকে (Amit Shah) রিপোর্ট দিতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। শাহের সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের বৈঠকও হতে পারে। এদিন শাহের সঙ্গে পুজো মণ্ডপে থাকা এবং ফিরে যাওয়ার সময় বিমানবন্দর পর্যন্ত পুরো পথেই দেখা যাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এই সময় রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি, সাংগঠনিক অবস্থা সব বিষয়েই তাঁদের কাছ থেকে অবহিত হতে পারেন শাহ। শাহকে কে, কী বলবেন, তা ঠিক করতে সল্টলেকের অফিসে বৈঠকে বসেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গেই রয়েছেন শুভেন্দু, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা।

    আরও পড়ুুন: জাল পাসপোর্ট কাণ্ডের সিবিআই তদন্তে এবার হদিশ মিলল আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের

    এদিকে, সোমবার একদিনের জন্য বসছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। আগে অধিবেশনে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছিল বিজেপি। শেষ মুহূর্তে বদলানো হয়েছে সিদ্ধান্ত। পদ্ম শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, বিধানসভার এই বিশেষ অধিবেশনে যোগ দেবে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমরা ১১টায় সকলকে ডেকেছি, আমরা ভিতরে ঢুকব। বিরোধিতা করব, জোরালোভাবে এর বিরোধিতা করব।”

    বিধানসভায় যাবে বিজেপি

    বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে মন্ত্রীদের বেতন বৃদ্ধি করতে ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল স্যালারিজ অ্যান্ড অ্যালায়েন্স অ্যাক্ট ১৯৫২’ ও বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করতে ‘বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি অ্যাক্ট ১৯৩৭’ সংশোধন করা হবে। এটা জানতে পেরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, “ওই দিন আমরা থাকব না। বিধায়করা সকলেই পুজোয় ব্যস্ত থাকবেন। আমাদের এই বিল নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই। ওরা আনছে, ওরা ওদের মতোই পাশ করাবে।” বিজেপি নীতিগতভাবে এই (Amit Shah) মুহুর্তে মন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির পক্ষপাতী নয়। পদ্ম শিবিরের এক বিধায়ক বলেন, “বিজেপি যে দলগতভাবে মন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে, জনমানসে এই বার্তা দিতেই আমরা সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন রাম মন্দিরের, প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী

    Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন রাম মন্দিরের, প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালে নভেম্বরের সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের পক্ষে। এরপরেই তোড়জোড় শুরু হয় মন্দির নির্মাণের। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট মন্দিরের ভূমি পূজন করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর থেকেই আগ্রহ এবং কৌতূহল দুটোই বাড়ছিল যে কবে উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের! এবার নির্মিত রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনক্ষণও স্থির হয়ে গেল। রাম মন্দির (Ram Mandir) কনস্ট্রাকশন কমিটির চেয়ারপার্সন নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে এবং রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিতর্কের অবসান আগেই করেছিল সুপ্রিম কোর্ট, রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায়দানের মাধ্যমে, এবার মন্দির উদ্বোধন হলে পূর্ণতা পাবে সুপ্রিম কোর্টের রায়, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠা

    রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে যে কোনও শুভ মুহূর্তে হবে বলে জানিয়েছেন মন্দির কমিটির চেয়ারম্যান। প্রসঙ্গত, ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি, সেদিন গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি স্থাপন করা হবে। এরপর ১০ দিন ধরে চলবে আচার-অনুষ্ঠান। রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণ কমিটির চেয়ারপার্সন আরও জানিয়েছেন চলতি বছরের ডিসেম্বরেই তিন তলা মন্দিরের  একতলার কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। 

    কবে খুলছে রাম মন্দিরের দরজা 

    রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্মাণশৈলী বিশেষভাবে করা হয়েছে। নৃপেন্দ্র মিশ্র আরও জানিয়েছেন যে মন্দিরের শিখরে এমন একটি জিনিস বসানো হচ্ছে যাতে প্রতি বছর রামনবমীর দিন সূর্যের আলো ঠিক রামের মূর্তির মাথায় পড়বে। এটির নির্মাণকার্য ইতিমধ্যে চলছে বেঙ্গালুরুতে। ২০২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি সাধারণ মানুষের জন্য রাম মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে আড়াই একর জমির উপরে। মন্দির প্রাঙ্গণে রয়েছে প্রায় আট একর জায়গায়।

     

    আরও পড়ুুন: রোজগার মেলায় ফের চাকরি বিলি, প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়োগপত্র নিলেন ৫১ হাজার জন

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: মকর সংক্রান্তির দিন অযোধ্যার রামমন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালা, আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীকে

    Ram Mandir: মকর সংক্রান্তির দিন অযোধ্যার রামমন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালা, আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি। হিন্দুদের কাছে দিনটি অত্যন্ত পবিত্র। পবিত্র এই দিনেই অযোধ্যার রামমন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহে স্থাপন করা হবে রামলালার মূর্তি। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য রামমন্দির নির্মাণ ট্রাস্টের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। মঙ্গলবার এ কথা জানান ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র। তিনি বলেন, ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ওই অনুষ্ঠান চলবে ১০ দিন ধরে। ভক্তদের কথা মাথায় রেখে মূর্তি স্থাপনের এই অনুষ্ঠান যাতে দেশ-বিদেশে সম্প্রচার করা হয়, তার চেষ্টাও হবে বলে জানান নৃপেন।  

    মন্দির নির্মাণের অগ্রগতি

    অক্টোবরের মধ্যেই মন্দির নির্মাণের সিংহভাগ কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি। মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজ যে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হয়ে যাবে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ত্রিপুরা সফরে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, রামমন্দির নির্মাণের কাজ ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যেই সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে যাবে। চারতলার ওই মন্দিরের একতলার কাজ চলতি মাসেই শেষ হয়েছে বলেও জানান নৃপেন্দ্র। তিনি বলেন, এই তলটি রাম কথা শোনানোর জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হবে।

    মন্দিরের নকশা

    ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট রামমন্দিরের শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চলতি বছর মোদি সরকারের ৯ বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় নির্মীয়মাণ রামমন্দিরের ছবি দেখিয়ে জানানো হয়েছিল, আগামী বছরই মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হবে। সেই মতোই জোরকদমে চলছে কাজ। মন্দিরের নকশা দেখিয়ে নৃপেন্দ্র জানান, ৩৬০*২৩৫ ফুটের রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রথম তলে স্তম্ভ থাকবে ১৬০টি। দ্বিতীয় তলে স্তম্ভের সংখ্যা ১৩২টি। আর তৃতীয় তলে স্তম্ভ থাকবে ৭৪টি। মন্দিরে মণ্ডপ থাকবে পাঁচটি।

    আরও পড়ুুন: “২০১৩-র চেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট”, কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

    সেগুন কাঠের দরজা থাকবে ৪৬টি। মন্দিরে ইট কিংবা স্টিল ব্যবহার করা হচ্ছে না। রাজস্থান থেকে আনানো গোলাপি রংয়ের বেলেপাথর ও মার্বেল বসানো হচ্ছে দেওয়ালে। মন্দিরের জন্য কর্নাটক থেকে আনানো হয়েছে গ্রানাইট। মন্দিরের গর্ভগৃহে ব্যবহার করা হচ্ছে রাজস্থান থেকে আনা সাদা মার্বেল পাথর। গর্ভগৃহের দরজাটি হবে সোনায় মোড়ানো। মন্দিরের দেওয়ালে আঁকা থাকবে রামায়নের কাহিনি। তিনটি দরজা ও মন্দিরের চূড়াও হবে সোনায় মোড়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Ram Mandir: নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ! আগামী বছরেই খুলছে রামন্দিরের দ্বার, কবে জানেন?

    Ram Mandir: নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ! আগামী বছরেই খুলছে রামন্দিরের দ্বার, কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির সবথেকে বড় দুটো অ্যাজেন্ডা ছিল, রামমন্দির (Ram Mandir) নির্মাণ এবং ৩৭০ ধারার বিলোপ। মোদি জমানায় দুটোই সফল। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈদিক মন্ত্রের ধ্বনিতে সেদিন গমগম করছিল দশরথ নন্দনের জন্মভিটে। মন্দিরের একতলা নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। অক্টোবর মাসেই সম্পূর্ণ হবে নির্মাণ প্রক্রিয়া। আগামী বছরেই উদ্বোধন হবে রামমন্দিরের। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ত্রিপুরা সফরে গিয়ে বলেছিলেন, ‘‘রামমন্দির নির্মাণের কাজ ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে যাবে।’’

    রামলালার বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে 

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের। মন্দির নির্মাণের জন্য ২০২০-র ৬ ফেব্রুয়ারি ট্রাস্ট গড়েছিল মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালেই ভক্তদের জন্য খুলে যাবে মন্দিরের দ্বার। রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সদস্য নৃপেন্দ্র মিশ্র সোমবার নির্মাণ পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর জানান, ১ তলার কাজ প্রায় শেষ। মন্দির উদ্বোধনের জন্য তিনটি তারিখ নিয়ে আলোচনা চলছে। ১৭ থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে যেকোনও দিন খুলে যাবে শ্রী রামের মন্দির। এই দিনগুলির মধ্যে পবিত্র তিথি বাছার কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রামলালার (শিশু রাম)বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুরোধ জানিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছেন মহন্ত নিত্য গোপাল দাস। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে গিয়ে আমন্ত্রণ পত্র দিয়ে আসেন নৃপেন্দ্র মিশ্র।

    আরও পড়ুন: মোদির হাতে সেঙ্গল তুলে দেন অধিনমকর্তা! জানুন তাঁদের ইতিহাস

    রামমন্দিরের (Ram Mandir) অন্দরসজ্জা

    রামমন্দির ট্রাস্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরের দেওয়ালে বসানো হচ্ছে রাজস্থানের গোলাপি রঙের বেলেপাথর। কর্নাটক থেকে এসেছে গ্রানাইট। উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর থেকে এসেছে বেলেপাথর। মন্দিরের গর্ভগৃহের কাজের জন্য রাজস্থান থেকে এসেছে সাদা মার্বেল পাথর। গর্ভগৃহের কোথাও ইট বা ইস্পাত ব্যবহার করা হচ্ছে না। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই নেপাল থেকে এসেছে শিলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: সনাতন ধর্মই ভারতের রাষ্ট্রীয় ধর্ম, সাফ জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    Yogi Adityanath: সনাতন ধর্মই ভারতের রাষ্ট্রীয় ধর্ম, সাফ জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্মই (Sanatan Dharma) ভারতের (India) রাষ্ট্রীয় ধর্ম। রাজস্থানের ভিনমলে নীলকণ্ঠ মহাদেব মন্দিরের পুননির্মাণ ও মূর্তি প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। ওই অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে হাজির ছিলেন তিনি।

    আদিত্যনাথ উবাচ…

    বক্তৃতা দিতে গিয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সনাতন ধর্মই ভারতের রাষ্ট্রীয় ধর্ম। যখন আমরা স্বার্থপরতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারি, কেবল তখনই আমরা রাষ্ট্রীয় ধর্মের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারি। তিনি বলেন, আমরা যখন জাতীয় ধর্মের সঙ্গে একাত্মবোধ করি, তখন আমাদের দেশও সুরক্ষিত থাকে। এদিনের অনুষ্ঠানে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, অতীতে কখনও যদি আমাদের ধর্মীয় স্থানকে ধ্বংস করা হয়ে থাকে বা তাকে অপবিত্র করা হয়ে থাকে, তাহলে সেই স্থানগুলিকে পুরনো মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রচার অভিযান চালানো জরুরি। ঠিক যেমন অযোধ্যার রাম মন্দিরের ক্ষেত্রে হয়েছে। তিনি (Yogi Adityanath) বলেন, ৫০০ বছর ধরে লড়াই চালানোর পর সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দক্ষতায় সুউচ্চ, সুরম্য রামমন্দির তৈরি হচ্ছে। আপনারা সবাই তাতে সাধ্য মতো দান করেছেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জলবিদ্যুৎ মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতও। মন্দির উদ্বোধনের পর লাগোয়া এলাকায় একটি রুদ্রাক্ষ বৃক্ষ রোপণ করেন আদিত্যনাথ ও শেখাওয়াত।

    প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বারাণসীর জ্ঞানবাপী ও মথুরার শাহি ইদগা মসজিদ নিয়েও অযোধ্যার মতোই দাবি তুলেছে হিন্দুত্ববাদী নানা সংগঠন। বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কের আঁচ গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে মসজিদটির বাইরের দেওয়াল সংলগ্ন এলাকায় মা শৃঙ্গার গৌরী স্থল বলে দাবি করেছেন হিন্দুরা। মা শৃঙ্গার গৌরীর কাছে প্রার্থনা করার দাবি জানিয়ে আদালতে আবেদন করেছেন পাঁচ হিন্দু মহিলা। এদিকে, মসজিদের ওজুখানায় শিবলিঙ্গ রয়েছে বলে দাবি করে হিন্দত্ববাদী সংগঠন। তাঁদের এও দাবি, আদালতের নির্দেশে ভিডিওগ্রাফি করার সময় ওজুখানায় শিবলিঙ্গ দেখা গিয়েছে। যদিও মসজিদ কমিটির দাবি, ওজুখানায় থাকা বস্তুটি শিবলিঙ্গ নয়, সেটি আদতে একটি ফোয়ারা।

    আরও পড়ুুন: আরএসএস, বিজেপি নেতাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে ফলওয়ালাকে রিপোর্টার নিয়োগ করেছিল পিএফআই!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

     

  • Ram Mandir: চলতি বছরের অক্টোবরেই সম্পন্ন হবে রাম মন্দিরের প্রথম তলার নির্মাণ!

    Ram Mandir: চলতি বছরের অক্টোবরেই সম্পন্ন হবে রাম মন্দিরের প্রথম তলার নির্মাণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রথম তলার নির্মাণ সম্পন্ন হয়ে যাবে। এমনটাই জানালেন শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রায়। তিনি আরও বলেন যে নির্মাণ কাজ যেভাবে চলছে সেটা যথেষ্ট সন্তোষজনক। শোনা যাচ্ছে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে কিংবা আগামী বছরের মকর সংক্রান্তির মধ্যে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। সেই লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছে ট্রাস্ট। রাম- জন্ম ভূমি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন যে মন্দিরের নির্মাণ কাজ অতি দ্রুততার সঙ্গে চলছে, এক কথায় বলতে পারেন যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে আমরা এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। 
    ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসেই প্রথম তল নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হবে, ২০২৪ সালের মকর সংক্রান্তিতে মন্দিরের (Ram Mandir)  গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হবে। শ্রীরাম জন্মভূমি ট্রাস্টের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

    মন্দিরে শ্রীরামের মূর্তি কেমন হবে ?

     রামলালার মূর্তি ৫ বছর থেকে ৭ বছরের বালকের স্বরূপে থাকবে। অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir)  রামের পুজো বালক রামের রূপেই সম্পন্ন হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন যে মূর্তির জন্য এমন পাথর বাছা হয়েছে যেটি আকাশী বর্ণের হবে। জানা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্র এবং ওড়িশার  শিল্পীরা বলেছেন যে এই পাথর তাঁদের সংগ্রহে রয়েছে।

    কারা তৈরি করছেন রামলালার মূর্তি

    রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট সূত্রে জানা গেছে ওড়িশার শিল্পী সুদর্শন সাহু, বাসুদেব কামাত এবং কর্নাটকের শিল্পী রমেয়া বাদেকর রামলালার এই মূর্তি তৈরি করবেন। শিল্পীদের মূর্তির স্কেচ তৈরি করতে বলা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন যে গর্ভগৃহের যে দেওয়াল সেখানে মার্বেল লাগানো হবে। মন্দিরের (Ram Mandir) প্রথম তলায় পাঁচটি মন্ডপ তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ayodhya Ram Temple: টার্গেট অযোধ্যার রাম মন্দির! কোন পথে হামলার ছক জঙ্গিদের? গোয়েন্দা রিপোর্টে চাঞ্চল্য

    Ayodhya Ram Temple: টার্গেট অযোধ্যার রাম মন্দির! কোন পথে হামলার ছক জঙ্গিদের? গোয়েন্দা রিপোর্টে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে অযোধ্যার রাম মন্দিরে হতে পারে জঙ্গি হামলা! এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্রের খবর অনুযায়ী। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন এবার অযোধ্যার রাম জন্মভূমি মন্দিরে হামলার ছক কষছে৷ জইশ-এ-মহম্মদ এবং লস্কর ই তৈবা সেই আতঙ্ক সংগঠনগুলির মধ্যে অন্যতম, যারা অযোধ্যায় এই বড় হামলার ছক কষছে৷ বিশেষভাবে রামমন্দিরে হামলার ছক কষা হচ্ছে৷ গোপন সূত্রের খবর অনুযায়ী, জঙ্গি সংগঠন নেপালের পথ দিয়ে গুলি-বারুদ এবং আত্মঘাতী জঙ্গি পাঠানোর ব্যবস্থা করছে৷

    রাম মন্দিরে হামলার ছক

    সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাবরি মসজিদ ভেঙে সেখানে রাম মন্দির নির্মাণের পর থেকেই জঙ্গিদের থেকে একাধিকবার হুমকি মিলছে। একাধিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী অযোধ্যার রাম মন্দিরে বিস্ফোরণ ঘটানো এবং ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এইসবের মধ্যেই আজ হামলার ব্যাপারে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

    কোন পথে হামলা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, নেপাল হয়ে এই হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নেপাল থেকে ভারতের পথে বিস্ফোরক ও আত্মঘাতী বোমা আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই হামলা করার পিছনে জইশের পাশাপাশি লস্কর জঙ্গিরাও রয়েছে বলে এক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের সীমানায় রয়েছে কড়া নিরাপত্তা। তার তুলনায় নেপাল-ভারত সীমান্তে তেমন নিরাপত্তা নেই। সেজন্যই এই পথকে বেছে নিয়ে হামলার ছক সাজিয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলি।

    আরও পড়ুন: বোকা বনল পুলিশ! বাবুঘাটেই গঙ্গারতি বিজেপির, আটক রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার

    ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত ও অন্যান্য সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা রয়েছে। অনুপ্রবেশের সুড়ঙ্গগুলি চিহ্নিত করে বন্ধ করা হয়েছে, এবং মাদক চোরাচালানও বন্ধ করা হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরে তেমন কিছু করে উঠতে পারেনি। ফলে আইএসআই তাদের অবস্থান ক্রমাগত হারিয়ে চলেছে ভারতে। ফলে নিজেদেরকে ফের প্রাসঙ্গিক করে তুলতে এই পরিকল্পনা করছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কেন এই পরিকল্পনা?

    অযোধ্যা রাম মন্দির নিয়ে সবসময়ই বিতর্ক লেগে রয়েছে। এটি নির্ধারিত সময়ের আগে তৈরি করাই হল প্রধান লক্ষ্য। জানা গিয়েছে, রামমন্দিরেই হামলা চালিয়ে দেশের অভ্যন্তরে হিন্দু-মুসলিম বিবাদকে উস্কে দেওয়ার জন্যই ছক সাজিয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলি। যেহেতু রাম মন্দির হিন্দু এবং ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার উভয়ের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আইএসআই তাই মনে করেছে যে, যে কোনও বড় বা ছোট হামলাই তাদের আবার প্রাসঙ্গিক করে তুলতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে রাম মন্দিরের দরজা। আর তার আগেই এই হামলার পরিকল্পনা করেছে পাক জঙ্গি গোষ্ঠী।

  • Ram Mandir: ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যেই হয়ে যাবে রাম মন্দির, ত্রিপুরায় ঘোষণা শাহের

    Ram Mandir: ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যেই হয়ে যাবে রাম মন্দির, ত্রিপুরায় ঘোষণা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে রাম মন্দির (Ram Mandir)। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা সফরে গিয়ে এ কথা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে যে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে তা নিয়ে জল্পনা ছিলই। এদিন তাতেই শিলমোহর দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এবং এজন্য তিনি বেছে নিলেন ত্রিপুরার মাটিকে। কারণ চলতি বছরই রয়েছে ত্রিপুরা (Tripura) বিধানসভার নির্বাচন।

    জন বিশ্বাস যাত্রা…

    উপজাতি অধ্যুষিত ত্রিপুরার ধর্মনগরে বৃহস্পতিবার জন বিশ্বাস যাত্রার উদ্বোধন করতে বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে আসেন শাহ। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন রাম মন্দির নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে। এদিন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাহুল বাবা শুনুন, আমি রাম মন্দির তৈরি হয়ে যাওয়ার দিনক্ষণ ঘোষণা করছি। এর পরেই শাহ বলেন, অযোধ্যার রাম মন্দির তৈরি হয়ে যাবে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারিতেই।

    গত বছরের অক্টোবরের প্রথম দিকেই জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়ে দিয়েছিল, অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজ অর্ধেকেরও বেশি এগিয়ে গিয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে তা পর্যটকদের জন্য খুলে যাবে বলেও জানানো হয়েছিল ওই ট্রাস্টের তরফে। ট্রাস্ট সূত্রে খবর, ওই সময়ের মধ্যে মন্দিরে মূর্তি বসানোর কাজও শেষ হয়ে যাবে। অযোধ্যায় ২.৭৭ একর জমিতে মূলত গ্রানাইট পাথর দিয়ে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির। মন্দিরে থাকবে সিংহ দরজা। তা ছাড়াও থাকবে আরও ১২টি দরজা। স্তম্ভ থাকবে ৩৯২টি। মন্দিরে ভূমিকম্পের কোনও প্রভাব পড়বে না বলেও ট্রাস্ট সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুুন: সন্ত্রাসবাদীদের মদতদাতাদেরও নির্মূল করতে হবে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বৈঠকে অমিত শাহ

    এদিকে, এদিন জন বিশ্বাস যাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাহ বলেন, ২০২৩ সালের ভোটে ত্রিপুরা থেকে কমিউনিস্টদের উৎখাত করাই হবে প্রধান কাজ। তিনি বলেন, আগে এখানে সাধারণ মানুষকে দিনের প্রতিটি কাজের আগে কোনও ক্যাডারের অনুমতি নিতে হত। এখন দেখুন, কোথাও কমিউনিস্টদের টিকিটি মিলবে না। শাহ বলেন, ত্রিপুরা থেকে সন্ত্রাসবাদ মুছে দিয়েছে বিজেপি। উত্তর-পূর্ব ভারতের সার্বিক উন্নতির জন্য কাজ করে চলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। ত্রিপুরাকে আগে মানুষ মাদক পাচার, হিংসা, দেশবিরোধী কার্যকলাপের জন্য চিনত। এখন এই রাজ্যকে উন্নয়ন, অসাধারণ পরিকাঠামো, ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্য, বিনিয়োগ এবং জৈব খামারের জন্য প্রশংসা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ram Temple: তিন বছর আগে এদিনই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় শীর্ষ আদালত! জেনে নিন দ্বন্দ্বের শুরু থেকে শেষ

    Ram Temple: তিন বছর আগে এদিনই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় শীর্ষ আদালত! জেনে নিন দ্বন্দ্বের শুরু থেকে শেষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনবছর আগে আজকের দিনেই রাম মন্দির (Ram Temple) নির্মাণের ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ৯ই নভেম্বর ২০১৯ সালে সুপ্রিম রায়ে নিষ্পত্তি হয়েছিল রামমন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্কের। ইতিমধ্যে রামমন্দির নির্মাণের কাজ চলছে। এরমধ্যে , এই মেগা মন্দির প্রজেক্টের উদ্বোধনের দিনক্ষণও স্থির হয়ে গিয়েছে। ১৪ই জানুয়ারি ২০২৪ এই মন্দির উদ্বোধনের কথা রয়েছে।  প্রসঙ্গত , ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর ভেঙে ফেলা হয়েছিল বিতর্কিত ধাঁচা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস ছিল, ওই স্থান ভগবান রামচন্দ্রের জন্মস্থান এবং জোরপূর্বক তা দখল করে ওখানে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করা হয়।

    ১৫২৭ সালে ওই মসজিদ নির্মাণ করেন বাবরের সেনাপতি মীর বাকি। এই দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল , কিন্তু বিবাদ সব থেকে প্রকট আকার ধারণ করে স্বাধীনতার ঠিক দুই বছর পরে, ১৯৪৯ সালে যখন বিতর্কিত ধাঁচা থেকে পাওয়া যায় রামলালার মূর্তি। দেশের প্রধানমন্ত্রী তখন জওহরলাল নেহেরু। তিনি তৎকালীন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী গোবিন্দ বল্লভ পন্থকে ওই রামলালার মূর্তি অপসারণের নির্দেশ দেন।  দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ ছিল যে “ওখানে একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হচ্ছে”। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর এ নির্দেশ মানতে অস্বীকার করেন তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত ওখানে রিসিভার বসিয়ে দেয়। পুলিশি নিরাপত্তায় রামলালার মূর্তি পূজা চলতে থাকে ওখানে। মন্দিরের পূজারীকেও নিয়োগ করে আদালত। দেশে রাম মন্দির (Ram Temple) আন্দোলন তখন থেকেই বিস্তৃত হতে থাকে।

    রাম মন্দির আন্দোলন

    ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিতর্কিত এলাকার তালা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। কেন্দ্রে তখন রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বে সরকার চলছে। আদালতের এই নির্দেশের প্রতিবাদ জানায় বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি। তখন থেকেই শুরু হলো আইনি লড়াই। এতদিন যে মামলার পর্যবেক্ষণ করছিল জেলা আদালত ,সেই মামলা এবার পৌঁছলো লখনউ হাইকোর্টে। এর মধ্যে আবার , নির্বাচনে লাভ হতে পারে, এই সমীকরণকে মাথায় রেখে ,রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠার স্লোগান দিয়ে ,বিতর্কিত এলাকার খুব কাছেই রাম মন্দিরের শিলান্যাস করিয়ে দেন রাজীব গান্ধী। ১৯৮৯ এর লোকসভা নির্বাচনে হেরে গেলেন তিনি। এই সময় সর্বোচ্চ গতি ধারণ করল রাম মন্দির (Ram Temple) আন্দোলন।   এরপর ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ঘটলো বিতর্কিত ধাঁচার ধ্বংসকাণ্ড।

    আরও পড়ুন: ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বের লোগো, থিম এবং ওয়েবসাইটের প্রকাশ! জানেন কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    ২০০২ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টে শুরু হল মামলা। ২০০৩ সালে কোর্ট আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইণ্ডিয়াকে দায়িত্ব দেওয়ার পর  তারা যে রিপোর্ট জমা দিল তাতে বলা হল ‘বিতর্কিত স্থানে একটি পরিকাঠামো রয়েছে। যার সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে অতি প্রাচীনকালের হিন্দু মন্দিরের।’  মুসলিমরা এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিতর্কিত জমিকে তিনভাগে ভাগ করে দেয়। যার একটি ভাগ দেওয়া হয় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। একটি অংশ পায় নির্মোহী আখড়া। বাকি অংশ দেওয়া হয় রামলালাকে। যদিও এই রায়ে তিন বিচারপতি সহমত পোষণ করেননি। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় হিন্দু মহাসভা ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।

    সুপ্রিম নির্দেশ

    এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়ের ৯ বছর পরে, ৯ নভেম্বর ২০১৯। রাম জন্মভূমি মামলায় ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ছিলেন রঞ্জন গগৈ। অযোধ্যার যে ২.৭৭ একর জমিকে বিরোধের মূল কেন্দ্র বলে গণ্য করা হয়, তার মালিকানা দেওয়া হয় ‘রামলালা’কে। বলা হয় , “কোটি কোটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস রয়েছে যে ওই স্থান রামলালার”। আদালত এই বিশ্বাসকে মর্যাদা দিচ্ছে। অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় মুলসিমদের মসজিদ নির্মাণের জন্য। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ছাড়া বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা ছিলেন এস এ বোড়বে, চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ ও এস আবদুল নাজির। এই মন্দির ও মসজিদ বানানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি ট্রাস্ট গঠনেরও নির্দেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

     

LinkedIn
Share