Tag: Ram Mandir

Ram Mandir

  • PM On Ram Temple: “মনে হল রামলালা আমায় বলছেন, দেশের স্বর্ণযুগ শুরু হয়েছে”, বললেন মোদি

    PM On Ram Temple: “মনে হল রামলালা আমায় বলছেন, দেশের স্বর্ণযুগ শুরু হয়েছে”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রাণপ্রতিষ্ঠার সময় রামলালা আমায় বললেন দেশের স্বর্ণযুগ শুরু হয়েছে। ভারতের সেই সুদিন এসেছে। দেশ এগোচ্ছে।” একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM On Ram Temple)। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় অযোধ্যার রাম মন্দিরের। এদিনই মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় বিগ্রহের। প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে আগাগোড়া উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই মন্দিরের বিগ্রহ রামলালা তাঁকে ওই কথাগুলি বলেন বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM On Ram Temple)

    তিনি বলেন, “গত দশ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বকালে অনেক জায়গা থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছি। কিন্তু শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে যখন আমায় প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হল, তখন অন্তরের অন্তঃস্থলে থেকে বিচলিত হয়েছিলাম।” প্রধানমন্ত্রী (PM On Ram Temple) বলেন, “ওঁদের (শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের) আমন্ত্রণ পাওয়ার পরে আমি যেন কোনও এক আধ্যাত্মিক জগতের বাসিন্দা হয়ে গেলাম। আমি যেন কোনও কিছুর অস্তিত্ব অনুভব করতে শুরু করলাম। আমার কাছে সেই আধ্যাত্মিক সত্তা যেন জীবন্ত হয়ে উঠল।” তিনি বলেন, “তখনই আমি ঠিক করলাম যে আমি প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে ১১ দিনের যে সংযমী জীবন যাপন করতে হয়, তা করব। এই সময় আমি এও স্থির করলাম, ভগবান রামের সঙ্গে যুক্ত দেশের যেসব জায়গা, সেগুলোতে গিয়ে কিছুটা করে সময় কাটাব, বিশেষত দক্ষিণ ভারতে।”

    সংযমী জীবন যাপন প্রধানমন্ত্রীর

    জানা গিয়েছে, ১১ দিনের যে সংযমী জীবন প্রধানমন্ত্রী কাটিয়েছেন, সেই সময় তিনি ঘুমিয়েছেন মেঝেয়। কঠোর উপোস করেছেন। এই পুরো পর্বটায় তিনি খেয়েছেন কেবল ডাবের জল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই ক’দিন আমি কেবল আমার অন্তরেই ডুবেছিলাম। শেষমেশ যখন অযোধ্যায় পৌঁছলাম এবং মন্দিরের সিঁড়ির প্রথম ধাপে পা রাখলাম, মনে হল আমি কি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এখানে এসেছি, নাকি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে দেবদর্শনে এসেছি? আমার মন বলছিল, আমি একজন সাধারণ ভক্ত হিসেবে অযোধ্যায় এসেছি। এ দেশের ১৪০ কোটি মানুষের মতো।”

    ‘বিগ্রহের দু’চোখে ভারতবাসীকে দেখেছি’

    তিনি (PM On Ram Temple) বলেন, “রামলালার মূর্তির দিকে চোখ পড়তেই আমি কেমন ঘোরের মধ্যে চলে গেলাম। পুরোহিতরা আমায় কী করতে বলছেন, সে ব্যাপারে আমার খেয়াল ছিল না। সেই ঘোরের মধ্যেই আমার মনে হল, রামলালা আমায় বলছেন, ভারতের সুবর্ণ যুগ শুরু হয়েছে। সেদিন বিগ্রহের দুচোখে আমি কেবল আমার দেশের ১৪০ কোটি বাসিন্দাকেই দেখেছি।”

    আরও পড়ুুন: জ্ঞানবাপী চত্বরে পুজো-আরতি চলবে, মসজিদ কমিটির আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Navami: রামনবমীতে কী হবে? কী বলছেন অযোধ্যার রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ?

    Ram Navami: রামনবমীতে কী হবে? কী বলছেন অযোধ্যার রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই রামনবমী (Ram Navami)। কয়েক লক্ষ ভক্তের সমাগম হবে অযোধ্যায়, রামলালাকে দর্শন করতে। রাম মন্দির তীর্থ ক্ষেত্রের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানান, রামনবমী উপলক্ষে অযোধ্যায় ভক্ত সমাগম হবে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। তিনি বলেন, “২৫ থেকে ৩০ লাখ ভক্ত আসবেন বলে আশা করছি। তাই ভাবছি কীভাবে পাঁচ বছরের রামলালাকে বেশিক্ষণ জাগিয়ে রাখা যায়। ভক্তরা তাঁদের এলাকায়ও রামনবমী উৎসব করতে পারেন।”

    কী বলছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ? (Ram Navami)

    দাবদাহে পুড়ছে দেশ। প্রখর গ্রীষ্মে তপ্ত উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা নগরীও। তাই ভক্তদের নিয়ে চিন্তিত রাম মন্দির তীর্থ ক্ষেত্রের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, “গরমই আমাদের সামনে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ভক্তদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। বিশেষ করে তাঁরা যাতে খাদ্য ও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান, তা আমাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে। জলের সমস্যা হবে না। কিন্তু খাবারের ব্যবস্থা করা একটা চ্যালেঞ্জ। অযোধ্যায় দর্শনার্থীদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত পদদলিত হওয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। আশা করি, ভবিষ্যতেও ঘটবে (Ram Navami) না।” তিনি বলেন, “আমি দর্শকদের অনুরোধ করব, নিজের নিরাপত্তার কারণে রাম মন্দির পরিদর্শন করার সময় দলবদ্ধভাবে থাকুন। আগত ভক্তদের আমি সঙ্গে ছাতু আনার অনুরোধ করছি। ছাতু খেলে তাঁরা গরমের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।”

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতিবাজরা এখন কারাগারের পিছনে”, মিরাটের জনসভায় বললেন মোদি

    রামনবমীর তাৎপর্য 

    চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিই হল রামনবমী। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, এদিনই ধরাধামে অবতীর্ণ হয়েছিলেন ভগবান বিষ্ণুর অবতার রাম। তাই এদিন রামের বিগ্রহ দর্শন করলে পুণ্য লাভ হয় বলে লোকবিশ্বাস। সেই কারণেই এদিন অযোধ্যায় ভিড় করবেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত। এই ভক্তদের সামাল দেওয়াটাই মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ দিন কয়েক আগে প্রচণ্ড গরমে রামলালা দর্শনে এসে অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন কয়েকজন ভক্ত। সেই কারণেই মন্দির কর্তৃপক্ষের চিন্তা আরও বেড়েছে। আরও একটি কারণে মন্দির কমিটির কপালে চিন্তার ভাঁজ। সেটি হল, এই বিপুল সংখ্যক ভক্তকে রামনবমীর দিনই বিগ্রহ দর্শন করতে দিতে হলে, মন্দিরের দ্বার খোলা রাখতে হবে ২৪ ঘণ্টাই। যেটা দেবতার পক্ষেও কষ্টকর বলে মনে করে মন্দির কমিটি। তাই কীভাবে আগত ভক্তরা এদিন রামলালার দর্শন করবেন, তা নিয়েও ভাবনা চিন্তা করছে মন্দির কমিটি (Ram Navami)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Ram Navami: ঠেলার নাম বাবাজি! ভোটের মুখে রামনবমীতেও ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হলেন মমতা

    Ram Navami: ঠেলার নাম বাবাজি! ভোটের মুখে রামনবমীতেও ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হলেন মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমবার রামনবমীতে (Ram Navami) ছুটি ঘোষণা হল পশ্চিমবঙ্গে। শনিবারই নবান্ন এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের রামনবমী অনুষ্ঠিত হবে ১৭ এপ্রিল। ওই দিন জরুরী পরিষেবা বাদ দিয়ে রাজ্যের সরকারি এবং সরকার পোষিত সমস্ত প্রতিষ্ঠানের ছুটি থাকবে। অর্থাৎ স্কুল, কলেজ অফিস কাছারি সবকিছুই বন্ধ থাকবে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, যেভাবে রামের নামে মেতেছে সারা দেশ, তাতে একপ্রকার বাধ্য হয়েই ছুটি দিল মমতা সরকার।

    রামনবমীকে কেন্দ্র করে বাংলায় জনজোয়ার

    রামনবমীকে (Ram Navami) কেন্দ্র করে বাংলাতে জনজোয়ার বিগত বছরগুলোতেই দেখা গিয়েছিল। দলে দলে ভক্তরা রাস্তায় নেমে রামের নামে মেতে ওঠে। যুব সমাজ মাথায় গেরুয়া ফেট্টি পরে রাম গানে নাচতে থাকে। ২০১৮ সালে পাল্টা রাম নবমীর ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তা একেবারেই ফ্লপ হয়ে যায়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ উদ্বোধন হয়েছে রাম মন্দিরের। দেশজুড়ে ভক্তরা উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। উদ্বোধনের দিন দেশের অনেক রাজ্যেই ছুটির ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট সরকার। বিজেপি সমেত একাধিক সংগঠন সেসময় পশ্চিমবঙ্গেও ছুটির আবেদন করে। কিন্তু তা মানেনি তৃণমূল সরকার। পাল্টা তৃণমূলের তরফে ভেসে আসে নানা মন্তব্য। অবশেষে রামনবমীতে ছুটি দিতে বাধ্য হল তৃণমূল সরকার।

    কী বলছে বিজেপি? 

    এনিয়ে কটাক্ষ ভেসে এসেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টে। রামনবমীর (Ram Navami) ছুটি ঘোষণা নিয়ে তিনি লেখেন, ‘‘ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না।’’ শুভেন্দু লেখেন, ‘‘চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে শ্রী রাম নবমী উৎসবের দিন মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রী রামচন্দ্রের সম্মানে এই প্রথম বার রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করল। আমি জানুয়ারি মাসে রাম নবমীর দিন ছুটি না দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছিলাম, আজ রাজ্য সরকার বাধ্য হয়ে ছুটি ঘোষণা করল। জয় শ্রীরাম।’’ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ভোটের আগে কেন এই ঘোষণা নবান্ন করল, তা সবাই বুঝতে পারছে। মানুষ অত বোকা নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Vote: ২০১৯ সালে পরাস্ত হন রাহুল, আমেথি কেন্দ্র থেকে ফের বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি

    Loksabha Vote: ২০১৯ সালে পরাস্ত হন রাহুল, আমেথি কেন্দ্র থেকে ফের বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয়বারের জন্য আমেথি কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। ২০১৪ সালে প্রথমবারের জন্য তিনি ভোটে দাঁড়ান একদা কংগ্রেসের ঘাঁটি বলে পরিচিত আমেথি কেন্দ্র (Loksabha Vote) থেকে। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে সেবার জোর টক্কর দেন তিনি। হারেন অল্প ব্যবধানে। ২০১৯ সালে শীর্ষ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী পরাস্ত হন স্মৃতি ইরানির কাছে, আমেথি কেন্দ্র থেকে। প্রসঙ্গত, আমেথিতে নিজের জন্য একটি বাড়িও তৈরি করেছেন স্মৃতি ইরানি। সম্প্রতি সেই বাড়ির গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন স্মৃতি।

    একদা কংগ্রেসের গড় আমেথির পতন

    জানা যায়, ১৯৬৭ সালে আমেথি লোকসভা কেন্দ্র তৈরি হয়। পরবর্তীকালে যা হয়ে ওঠে গান্ধী নেহেরু পরিবারের ঘাঁটি। ইন্দিরাপুত্র সঞ্জয় গান্ধী, রাজীব গান্ধী, রাহুল গান্ধীর মা সোনিয়া গান্ধী প্রত্যেকেই আমেথি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু ২০১৯ সালেই সেই গড় মোদি ঝড়ে কার্যত ধূলিস্যাৎ হয়ে যায়। প্রায় ৫৫ হাজার ভোটে স্মৃতি ইরানির কাছে পরাস্ত হন রাহুল গান্ধী।  রাহুল গান্ধী প্রথমবার জন্য আমেথিতে আত্মপ্রকাশ (Loksabha Vote) করেন ২০০৪ সালে। এবং সে বছর ভালো ব্যবধানে জেতেন তিনি। কিন্তু ২০১৪ সালে প্রথম বারের জন্য তাঁর জয়ের মার্জিন অনেকটাই কমে যায়। পরাস্ত হন ২০১৯ সালে। তৃতীয়বারের জন্য মোদি সরকারের ক্ষমতায় (Loksabha Vote) ফেরা সময়ের অপেক্ষা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। রাম মন্দির উদ্বোধনের পরে দেশজুড়ে বইছে গেরুয়া ঝড়। এক্ষেত্রে আমেথি কেন্দ্র বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া কংগ্রেসের পক্ষে সম্ভব হবে না বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    শনিবার বিজেপি প্রকাশ করে ১৯৫ প্রার্থীর নাম

    বিজেপি শনিবার যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে ঠাঁই হয়েছে ৩৪জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। প্রার্থী করা হয়েছে ৪৭ জন তরুণ তুর্কিকেও। এদিন গেরুয়া শিবিরের যে ১৯৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ২৮ জন মহিলাও রয়েছেন। এই ১৯৫ জন প্রার্থী ১৬টি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: আস্থা স্পেশালে ভক্তরা রওনা দিলেন রামমন্দির, স্টেশনে শুভেচ্ছা জানালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: আস্থা স্পেশালে ভক্তরা রওনা দিলেন রামমন্দির, স্টেশনে শুভেচ্ছা জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট রেল স্টেশন থেকে বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) উপস্থিতিতে অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দিল আস্থা স্পেশাল ট্রেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাম মন্দির ও অযোধ্যা একটা বড়সড় রাজনৈতিক হাতিয়ার বিজেপির কাছে। বুধবার সন্ধ্যায় বালুরঘাট স্টেশনে আস্থা স্পেশাল ট্রেনকে রওনা করানোর উদ্দেশ্যে প্রায় দেড় হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল। যাত্রীদের মধ্যে থেকেই বারবার জয় শ্রীরাম ধ্বনি ওঠে। বালুরঘাট প্ল্যাটফর্মে রেলের পক্ষ থেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে ১৪৭০ জন তীর্থযাত্রীকে  নিয়ে বুধবার রাত আটটায় অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দেয় স্পেশাল ট্রেন।

    বিশেষ ট্রেন নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    রেলের আয়োজিত এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, জেলা থেকে যে পরিমাণ দর্শনার্থীর আশা আমরা করেছিলাম, তার থেকে বেশ কয়েক গুণ মানুষ যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সবাইকে সুযোগ দেওয়া যায়নি। আগামীতে যাতে সবাইকে সুযোগ দেওয়া যায় তার জন্য রেলের কাছে আবার আবেদন জানানো হবে। ভোটের আগেই আরও একবার ট্রেন বালুরঘাট থেকে অযোধ্যায় নিয়ে যাওয়া যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

    বিশেষ ট্রেনের যাত্রীরা কী বললেন?

    তপনের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে আসা মণিরাম টুডু বলেন, দীর্ঘদিনের আশা ছিল তীর্থ ভ্রমণ করার, এবার সেই সুযোগ হাতের কাছে পাওয়া গেছে। মাথাপিছু ১৬০০ টাকা দিয়ে অযোধ্যা ঘুরে আসতে পারবো, তা কখনও ভাবিনি। অনেক দিনের স্বপ্ন পূরণ হল। আস্থা স্পেশাল ট্রেনের যাত্রী নারায়ণ কামেথ বলেন, রাম মন্দির আন্দোলনের প্রথম দিক থেকেই এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। একসময় স্বপ্ন দেখতাম মন্দির  তৈরি হবে। আজ সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে। অযোধ্যা নিয়ে  যাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য স্থানীয় সাংসদকে (Sukanta Majumdar) ধন্যবাদ জানাই।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের কোর কমিটি সদস্য সুভাষ চাকি এই ঘটনাকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ধর্ম বহিঃপ্রকাশ ভারতীয় সংস্কৃতি নয়, সে যে কেউ তীর্থ করতে যেতেই পারেন। কিন্তু ধর্মীয় আবেগকে নিয়ে যে রাজনীতি বিজেপি করছে তার পরিণাম ভালো হবে না ভবিষ্যতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: বিশেষ ট্রেনে সিউড়ি থেকে দেড় হাজার রামভক্ত গেলেন রাম মন্দির দর্শনে

    Ram Mandir: বিশেষ ট্রেনে সিউড়ি থেকে দেড় হাজার রামভক্ত গেলেন রাম মন্দির দর্শনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির (Ram Mandir) দর্শনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রেল। দেশজু়ড়ে ‘আস্থা’ নামে বিশেষ ট্রেন চালাচ্ছে রেল। বীরভূমের সিউড়ি বিধানসভা এলাকার বাসিন্দাদের জন্য রেলের এই বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোমবার রেলের এই বিশেষ ট্রেনে করে রামভক্তরা অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দেন। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ মার্চ রামপুরহাট থেকেও অযোধ্যাগামী একটি ট্রেন ছাড়বে।

     ‘আস্থা ট্রেন রাম মন্দির যেতে খরচ কত? (Ram Mandir)

    সোমবার দুপুর থেকে সিউড়ি স্টেশনে রামভক্ত এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ভিড় করতে শুরু করেন। বিজেপির পক্ষ থেকে কপালে তিলক কেটে সম্বর্ধিত করার পাশাপাশি তাঁদের থাকা- খাওয়ার জন্য দলের কর্মীদের প্রতিটি কোচে পাঠানো হয়েছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে রওনা হয়ে মঙ্গলবার ২৮ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যায় পৌঁছবে ট্রেন। রাম মন্দির (Ram Mandir) দর্শন সেরে বুধবারেই সিউড়ির উদ্দেশ্যে ফিরতি ট্রেনে রওনা হবেন বীরভূমের বাসিন্দারা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেন ভাড়া বাবদ ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে প্রত্যেককে। রামমন্দির উদ্বোধনের আগে থেকেই মন্দির নিয়ে প্রচার কর্মসূচি নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। ৫ ফেব্রুয়ারি রামমন্দির দর্শনে বীরভূম থেকে অযোধ্যায় গিয়েছিলেন করসেবক ও স্বয়ংসেবক মিলিয়ে প্রায় শ’দুয়েক জেলাবাসী।

    সাধারণ মানুষও নিজেদের খরচে রাম মন্দিরে যাচ্ছেন

    বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় নিজে ট্রেন ছাড়ার সময় স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন। রামভক্তদের তিনি স্বাগত জানান। তিনি বলেন, দেশজুড়ে আস্থা ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে রেল। এবার শুধু সিউড়ি বিধানসভার জন্যই এই বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইআরসিটিসির আস্থা প্রকল্প থেকে এককালীন দেড় হাজার যাত্রীর টিকিট বুকিং করা হয়েছে অযোধ্যার জন্য। দলীয় তৎপরতায় এটা সম্ভব হয়েছে। কেবল বিজেপির সদস্যরা নন, নিজেদের খরচে সপরিবার অযোধ্যা যাচ্ছেন সাধারণ মানুষও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Digha: দিঘায় তৈরি করা হবে রাম মন্দির! শুরু হল জোর তৎপরতা

    Digha: দিঘায় তৈরি করা হবে রাম মন্দির! শুরু হল জোর তৎপরতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমুদ্রের টানে পর্যটকরা দিঘার ভিড় করেন। এবার সেখানে বাড়তি আকর্যণ হিসেবে গড়ে উঠেছে জগন্নাথ মন্দির। জোর কদমে এই মন্দির তৈরির কাজ চলছে। কিছুদিনের মধ্যেই দিঘায় বলেই জগন্নাথ দেবকে দর্শন করতে পারবেন পর্যটকরা। তবে, শুধু জগন্নাথ দেব নয়, এবার দিঘায় রাম মন্দিরও (Ram Mandir) গড়়ে তোলার জন্য জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। যা নিয়ে দিঘাজুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    রাম মন্দির তৈরির জন্য জমা পড়ল আবেদন (Ram Mandir)

    ড: শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ব্যবসায়ী কমিটি (দিঘা) ও সনাতনীবৃন্দের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কমিটির সদস্যরা দিঘায় মিছিল করে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা করেন। প্রশাসনের কাছে জমা পড়েছে রাম মন্দির তৈরির আবেদন। রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র দিঘায় যাতে রাম লালার মন্দির (Ram Mandir) তৈরি করা হয়, সেই আবেদন জানানো হয়েছে। কমিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, দিঘায় বহু ধর্মপ্রাণ মানুষের সমাগম ঘটে। তাঁদের কথা ভেবেই রাম মন্দির তৈরি করা হোক। দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা স্মারকলিপি গ্রহণ করেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা

    বিজেপি নেতা তপন মাইতি বলেন, দিঘায় জগন্নাথ দেবের মন্দির তৈরি হয়েছে। রাম লালার মন্দির তৈরি হলে পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়বে। কারণ, প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আসেন দিঘায়। অনেকেই সমুদ্রে স্নান করার পর মন্দিরে যেতে চান। সেই মন্দিরের জন্য দু একর জমির জন্য আবেদন জানিয়েছে ওই কমিটি। আমরা চাই, এই ধরনের উদ্যোগ কার্যকরী হোক। যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, রাম মন্দিরে (Ram Mandir) আপত্তি নেই। তবে, জগন্নাথ মন্দির তৈরি হওয়ার পর রাম মন্দিরের কথা ভাবা যাবে। এমনকী দিঘায় মসজিদ নির্মাণের দাবিও উঠেছে সম্প্রতি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ‘‘বর্তমান প্রজন্ম ভাগ্যবান, তাঁরা রামলালাকে মন্দিরে দেখতে পেলেন’’, মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    Ram Mandir: ‘‘বর্তমান প্রজন্ম ভাগ্যবান, তাঁরা রামলালাকে মন্দিরে দেখতে পেলেন’’, মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনকে ভগবানের আশীর্বাদ বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সর সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। প্রসঙ্গত ৫০০ বছরের সংঘর্ষের পর অযোধ্যায় স্থাপিত হয়েছে রাম মন্দির (Ram Mandir) । এই ঘটনাকে সর্বশক্তিমানের ইচ্ছা বলেও মন্তব্য করেন মোহন ভাগবত। সোমবারই মোহন ভাগবত হাজির ছিলেন মহারাষ্ট্রের পুনেতে। গীতা ভক্তি অমৃত মহোৎসব নামের একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে তিনি জানান, ভারতবর্ষের উত্থান হতেই হবে,  সারা পৃথিবীর মঙ্গলের জন্য। তিনি আরও বলেন, ‘‘২২ জানুয়ারি রাম লালা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন মন্দিরে, বহু সংঘর্ষের পরে এই সফলতা মিলেছে। বর্তমান প্রজন্ম ভাগ্যবান, তাঁরা রাম লালাকে মন্দিরে দেখতে পেলেন।’’

    শীঘ্রই শুরু হবে রামের দরবার নির্মাণের কাজ

    শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের নির্মাণকাজ। রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণ কমিটির তরফে জানানো হয়েছে রামের দরবার-এর প্রথম এবং দ্বিতীয় তলের নির্মাণকাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে। জানা গিয়েছে, প্রভু রামের দরবারে এই কাজ শেষ হয়ে যাবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস নাগাদ। নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র শনিবারই মন্দির চত্বর (Ram Mandir) পরিদর্শন করেন। তিনি জানিয়েছেন, গত ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন নির্মাণ কাজ শুরু হবে। একইসঙ্গে, ‘পরকোটা’-র কাজও শেষ করতে হবে। ৭৯৫ মিটার দীর্ঘ পরিক্রমা প্রাচীরের কাজও তাড়াতাড়ি সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে।

    প্রথম ১১ দিনে পা পড়েছে ২৫ লাখ ভক্তের

    প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন ৮ হাজার অতিথি সামিল হয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে। তারপর থেকেই ভক্তদের ঢল নেমেছে অযোধ্যায়। হিসাব বলছে, প্রথম ১১ দিনে ২৫ লাখ ভক্তের পা পড়েছে রাম জন্মভূমিতে এবং মোট প্রণামী সংগৃহীত হয়েছে ১১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৮ কোটি টাকা এসেছে শুধু প্রণামী বাক্স থেকেই এবং অনলাইনের মাধ্যমে প্রণামী পাঠানো হয়েছে সাড়ে তিন কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Case: সিল খোলা হোক জ্ঞানবাপীর ওজুখানার, উঠল এএসআই সমীক্ষার দাবিও

    Gyanvapi Case: সিল খোলা হোক জ্ঞানবাপীর ওজুখানার, উঠল এএসআই সমীক্ষার দাবিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্মাণ হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দির। প্রাণপ্রতিষ্ঠাও হয়েছে বিগ্রহের। এবার ফের জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Case) ওজুখানার সিল খুলে দেওয়ার দাবি হিন্দু পক্ষের। সোমবার এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।

    ওজুখানায় ‘শিবলিঙ্গ’

    ওজুখানায় ‘শিবলিঙ্গে’র অস্তিত্ব মেলার পর ২০২২ সালে সেটি সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বারাণসীর নিম্ন আদালত। সেই সিলই ফের খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে হিন্দু পক্ষের তরফে। ওজুখানার সিল খুলে দেওয়ার পাশাপাশি এএসআইকে সেখানে সমীক্ষা চালানোর অনুমতি দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে হিন্দু পক্ষ। হিন্দু পক্ষের দাবি, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Case) কাঠামোর নীচে বড় হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব ছিল। বারাণসী জেলা আদালতে জমা দেওয়া এএসআই রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে বলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি।

    এএসআইয়ের রিপোর্ট!

    এএসআইয়ের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে হিন্দু পক্ষের আরও দাবি, আওরঙ্গজেব ১৬১৯ সালের ২ নভেম্বর মন্দির ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন জানান, এএসআইয়ের রিপোর্টে হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব সম্পর্কে এ ধরনের মোট ৩২টি প্রামাণ মিলেছে। তিনি বলেন, “এএসআইয়ের রিপোর্ট বলছে, মসজিদ তৈরির সময় কাঠামোয় কিছু বদল আনা হয়েছিল। সামান্য বদল এনে মন্দিরের স্তম্ভ এবং অন্যান্য অংশ ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন কাঠামো তৈরি করতে হিন্দু মন্দিরের পিলারের চরিত্রে সামান্য বদল আনা হয়েছিল।” আইনজীবীর এহেন দাবির পরে পরেই ওজুখানার সিল খুলে দেওয়ার দাবি জানাল হিন্দু পক্ষ। জানানো হল এএসআইয়ের সমীক্ষার দাবিও।

    আরও পড়ুুন: “দয়া করে পাকিস্তানে চলে যান”, বললেন ফতোয়া পাওয়া সেই ইমাম

    প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই ওজুখানার ‘শিবলিঙ্গ’ পুজোর অধিকার চেয়েছিল হিন্দু পক্ষ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমার বলেন, “এএসআই কর্তৃক সংগ্রহীত প্রমাণ ও অনুসন্ধানগুলি প্রমাণ করে যে, এই উপাসনালয়ের ধর্মীয় চরিত্রটি ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট বিদ্যমান ছিল। বর্তমানে এটি একটি হিন্দু মন্দিরের আকারে রয়েছে। তাই উপাসনা স্থান আইন অনুসারে কাঠামোটিকে হিন্দু মন্দির ঘোষণা করা (Gyanvapi Case) উচিত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Smriti Irani: “রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন ঝামেলা হয়েছে মমতার জন্যই”, হাওড়ায় তোপ স্মৃতি ইরানির

    Smriti Irani: “রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন ঝামেলা হয়েছে মমতার জন্যই”, হাওড়ায় তোপ স্মৃতি ইরানির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগবান রামের বিজয় হল অধর্ম ও অসত্যের বিনাশের সংকেত। যিনি রামচন্দ্রের অপমান করছেন, অধর্মের সাথ দিচ্ছেন, অসত্যের পথে হাঁটছেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশাসন কতদিন চলে দেখব। বৃহস্পতিবার হাওড়ায় সাংগঠনিক  বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি জুবিন ইরানি। মধ্য হাওড়ার সতেরো নম্বর ওয়ার্ডের অশান্তির ঘটনার জন্য কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Smriti Irani)। তিনি বলেন, অযোধ্যায় রামলালার মূর্তি স্থাপন নিয়ে যখন আনন্দ-সমারোহ হচ্ছিল, তখন হাওড়ায় এই ওয়ার্ডে শিব মন্দিরে পাথর ছোড়া হয়। রাম ভক্তদের ওপর হামলা হয়। রামের ছবি ছেঁড়া হয়। যে গুন্ডারা এই কাজ করেছে, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্রয় পায়।

    এটা কি মুখ্যমন্ত্রীর লোকতন্ত্র? প্রশ্ন স্মৃতি ইরানির (Smriti Irani)

    সনাতন ধর্মে ইন্ডি জোট ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থা নেই, রয়েছে বিদ্বেষ। হামলার সময় পুলিশ ছিল না। কিন্তু জাতীয় ভোটার দিবসে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবার সময় পুলিশ টিভি বন্ধ করতে হাজির হয়। এটা কি মুখ্যমন্ত্রীর লোকতন্ত্র? প্রশ্ন তোলেন স্মৃতি ইরানি। তিনি আরও বলেন, যেখানে যেখানে ইন্ডি জোটের নেতারা আছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছে, সেখানে রামচন্দ্রের প্রতি অপমান আছে, এটা পরিষ্কার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন ঝামেলা হয়েছে মমতার জন্যই। পুলিশ চুপচাপ তামাশা দেখেছে। কেন নরেন্দ্র মোদির প্রতি রাগ, কেন ভগবান রামের প্রতি অপমান-এর জবাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে হবে। এদিন ডুমুরজলার সাংগঠনিক বৈঠকে এসে টিকিয়াপাড়ার ঝামেলায় আক্রান্তদের সাথে কথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাদের পাশে থাকার ভরসা দেন। তাঁর (Smriti Irani) আশ্বাসে খুশি আক্রান্তরা।

    অযোধ্যা বিশ্বাসস্থল (Smriti Irani)

    স্মৃতি ইরানি বলেন, মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠার ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী শিখদের উৎসব উদযাপন করছিলেন। আমিও মদিনায় গিয়েছিলাম। অনেক অহিন্দু প্রাণপ্রতিষ্ঠা উৎসবে শামিল হয়েছিলেন। পার্সিদের প্রধান পুরোহিতও অযোধ্যায় ছিলেন। কিন্তু সনিয়া গান্ধী গেলেন না। স্মৃতি (Smriti Irani) বলেন, অযোধ্যা বিশ্বাসস্থল। ভারতীয় হিন্দুরা ১৮৮০র দশক থেকে এই নিয়ে লড়াই করেছেন। ঈশ্বরের ইচ্ছায় এই ভাবে রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হল। রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে সব হিন্দুই সুযোগ পেলে অযোধ্যা যেতেন। আস্থার এই জায়গাটিই কেউ কেউ বোঝেন না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share