Tag: Ram Mandir

Ram Mandir

  • Ram Navami 2024: সফলভাবে সম্পন্ন ট্রায়াল, রাম নবমীর দ্বিপ্রহরে রামলালার সূর্যাভিষেক

    Ram Navami 2024: সফলভাবে সম্পন্ন ট্রায়াল, রাম নবমীর দ্বিপ্রহরে রামলালার সূর্যাভিষেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম নবমীর (Ram Navami 2024) দিন দুপুর বেলায় সূর্য রশ্মির তিলকে সেজে উঠবেন রামলালা। ১৭ এপ্রিল ঠিক দুপুর ১২:১৬ থেকে ১২:২১ পর্যন্ত সূর্য রশ্মি তিলক এঁকে দেবে রামলালার কপালে। ঠিক তারই আগে গত ১২ এপ্রিল দারুণ ভাবে সফল হল রামলালার কপালে সূর্য তিলকের ট্রায়াল রান। সম্ভব করলেন বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে সূর্য তিলকের ট্রায়াল রানের ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সূর্য তিলকের এই ছবি শেয়ার করেছেন।

    কী বলছেন রাম মন্দির নির্মাণ সমিতির চেয়ারম্যান

    রামলালার সূর্য তিলক-এর প্রসঙ্গে রাম মন্দির নির্মাণ (Ram Navami 2024) সমিতির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেন, ‘‘আমরা অভ্যাস করেছি ভগবান রামের কপালে দুপুর ১২টা ১৬ থেকে ৫ মিনিটের জন্য কিভাবে সূর্যরশ্মির তিলক এঁকে দেওয়া যায়। এ বিষয়ে আমরা বিভিন্ন প্রযুক্তিরও সাহায্য নিচ্ছি। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্যরা এবং বিজ্ঞানীরা একসঙ্গে কাজ করছেন সূর্য তিলক অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য।’’ রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট সূত্রে খবর, সূর্য তিলক এর পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল মন্দির নির্মাণের কাল থেকেই।

    অযোধ্যায় একশোর বেশি স্থানে সম্প্রচারিত হবে অনুষ্ঠান 

    প্রতিবছর রাম নবমী (Ram Navami 2024) একই তারিখে পড়ে না। তাই আলাদা আলাদা সময়ে সূর্যের অবস্থান খানিকটা বদলে যায়। প্রতিবছর যে বিজ্ঞানীদের সূর্য তিলক অনুষ্ঠান করতে আলাদাভাবে ভাবতে হবে এ কথা বলাই যায়। চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল এই অনুষ্ঠানকে সফল করতে ইতিমধ্যেই বিশেষ ‘অপটো মেকানিক্যাল সিস্টেম’ তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এতে সামিল হয়েছেন আইআইটি রুরকির বিজ্ঞানীরাও। সূর্য তিলক অনুষ্ঠানে অযোধ্যায় ১০০-এরও বেশি জায়গায় এলইডি স্ক্রিনে বসানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সূর্য তিলক অনুষ্ঠানকে (Ram Navami 2024) সফল করতে বিজ্ঞানীরা সৌর্য এবং চন্দ্র ক্যালেন্ডার অধ্যয়ন করেছেন এবং সেই মোতাবেক গণনাও করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: রাত পোহালেই রাম নবমী! কীভাবে করবেন দশরথ নন্দনের পুজো? জেনে নিন

    Ram Navami 2024: রাত পোহালেই রাম নবমী! কীভাবে করবেন দশরথ নন্দনের পুজো? জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলছে চৈত্র নবরাত্রি। আজকে অষ্টমী। এদিন পুজো হয় অন্নপূর্ণা মাতার। একদিন পরেই  নবমী। এদিন দেশ-বিদেশের একাধিক জায়গাতে হিন্দুরা মেতে ওঠেন রাম নবমী (Ram Navami 2024) উৎসব পালনে। ২০২৪ সালের রামনবমীর গুরুত্ব অন্যান্য বছরের থেকে আলাদাও বটে। কারণ চলতি বছরে প্রথমবারের জন্য রাম জন্মভূমি অযোধ্যার রাম মন্দিরে সাদরে পালিত হবে রাম নবমী। অনেকেই চৈত্র নবরাত্রিতে ব্রত পালন করেন ৯ দিন ধরেই। আবার রাম নবমীর দিনেও পাড়ায় পাড়ায় রাম পুজোর চল রয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এদিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভগবান রামচন্দ্র। রাম নবমীর (Ram Navami 2024) দিনে সঠিক প্রথা মেনে উপবাস এবং উপাসনা করলে অত্যন্ত শুভ ফল পাওয়া যায় বলে হিন্দুদের বিশ্বাস রয়েছে। শাস্ত্রবিদরা বলছেন, এই দিনে ভগবান রামের পুজো-জপ নিয়ম মেনেই করা উচিত। শাস্ত্রবিদদের মতে, জীবনে যে কোনও রকমের সমস্যা, গুরুতর রোগ অথবা সংকট থাকলে রাম নবমীর দিনে রাম রক্ষা স্তোত্র পাঠ করুন। এতে সমস্ত বিপদ থেকে মুক্ত হবেন। 

    রাম নবমীর তাৎপর্য

    – ভগবান রামচন্দ্রের ভক্তরা রাম নবমীকে (Ram Navami 2024) অত্যন্ত শুভ দিন হিসেবে বিবেচনা করেন এবং তাঁরা সারাদিনব্যাপী রামচন্দ্রের কাহিনী শোনেন
    – ভগবান রামচন্দ্রকে সন্তুষ্ট রাখতে তাঁর কাছে নিজেকে উৎসর্গ করতে ভক্তরা নানা ধরনের কৃচ্ছ্বসাধন এবং উপবাস করেন
    – এই দিনে রামের কীর্তন এবং ভজনে উপস্থিত থাকেন ভক্তরা
    – ভগবান রামের জন্মস্থান অযধ্যাতে এই দিনটি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে উদযাপিত হয়

    রাম নবমীর পূজা পদ্ধতি

    – প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, রাম নবমীতে (Ram Navami 2024) ভগবান রামকে হলুদ বস্ত্র হলুদ ফুল এবং হলুদ চন্দন অর্পণ করা উচিত।
    – ভগবান রামকে বিষ্ণুর অবতার মানা হয়। বিষ্ণুর পূজা তুলসী ছাড়া অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। সেজন্য ভগবান রামের উদ্দেশে অর্পিত ভোগে অবশ্যই তুলসী পাতা রাখুন।
    – রাম নবমীতে (Ram Navami 2024) ভগবান রামের নাম জপ করলে সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয় বলে হিন্দুদের বিশ্বাস রয়েছে। তাই এদিন সারাক্ষণ মনে মনে রামের নাম জপ করতে থাকুন।
    – রাম নবমীর দিনে নদীতে স্নান করা এবং দান করা গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। এই দিন সম্ভব হলে নদীতে স্নান করুন এবং সামর্থ্য অনুযায়ী দান করুন। 
    – রাম নবমীর দিনটিকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয় তাই যে কোনও নতুন কাজ রাম নবমীর দিন থেকে শুরু করা যেতে পারে। 

    কোন কোন বিষয়ে মাথায় রাখবেন

    – রাম নবমীর (Ram Navami 2024) দিনে সর্বদা পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করুন। শুদ্ধ এবং শান্ত মনে ভগবান রামচন্দ্রকে স্মরণ করুন।
    – ভগবান রামের পুজোতে কোনওভাবেই বাসি প্রসাদ বা শুকনো ফুল দেবেন না।
    – যদি কখনও পুজো করতে করতে প্রদীপ নিভে যায় তাহলে সেই প্রদীপ না জ্বালিয়ে নতুন প্রদীপ জ্বালান
    – রাম নবমীর দিন যেকোনও ধরনের তামসিক খাবার, যথা পেঁয়াজ রসুন মাংস অথবা মদ এ সমস্ত থেকে দূরে থাকুন
    – রাম নবমীতে (Ram Navami 2024) যদি উপবাস করেন তাহলে শাস্ত্রমতে এদিন আপনার রাগ, কাম, অশ্লীলতা, ঝগড়া করার মানসিকতা কমে যায়

    কী কী করবেন

    – অনেকেই এদিন দোলনার উপরে রামচন্দ্রকে স্থাপন করে পুজো করেন। এটিকে শুভ বলে মনে করা হয়।
    – ঘুম থেকে ওঠার পরেই ভগবান রামের উদ্দেশে অর্ঘ্য নিবেদন করলে জীবনের সুখ শান্তি নেমে আসে।
    – রাম নবমীর দিনে অনেকেই রামচরিত মানস, রাম চল্লিশা, শ্রী রাম রক্ষা স্তোত্র পাঠ করেন।
    – এই দিনে হনুমান চল্লিশা পাঠ করে দরিদ্রদের দান করা উচিত।

    কী কী করবেন না

    – চৈত্র নবরাত্রি সময়তে এবং রাম নবমীতে (Ram Navami 2024) কোনওভাবেই চুল দাড়ি কিছু কাটবেন না।
    – তরকারিতে পেঁয়াজ বা আদা দেবেন না।
    – রাম নবমীর দিনে যেকোনও ধরনের অশুভ চিন্তা থেকে দূরে থাকুন।
    – রাম নবমীর দিনে কাউকে কোনও রকম কটু কথা বলবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: অভিষেকের পর অযোধ্যায় প্রথম রাম নবমীতে পূজিত হবেন রামলালা, চলছে বিশেষ প্রস্তুতি

    Ram Navami 2024: অভিষেকের পর অযোধ্যায় প্রথম রাম নবমীতে পূজিত হবেন রামলালা, চলছে বিশেষ প্রস্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেকের পর এবার প্রথম অযোধ্যায় রাম নবমীতে (Ram Navami  2024) পূজিত হবেন রামলালা। গত ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরে এই কয়েকমাসে এত বড় ইভেন্ট আর আসেনি। সেই হিসেবে মন্দির-কমিটি, রামভক্তগণ, অযোধ্যাবাসী (Ayodhya Ram Temple) তো বটেই সারা দেশই গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে! পুরাণ অনুযায়ী, দশরথপুত্র শ্রীরাম, যিনি আবার শ্রীবিষ্ণুর অংশজাত পূর্ণাবতার, তিনি চৈত্র নবরাত্রির শেষ দিনেই, নবমীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেই হিসেবে দিনটি রামের জন্মদিন, যেটি ‘রামনবমী’ বলে চিহ্নিত ও পরিচিত। 

    ৪০ লাখ ভক্ত সমাগম

    রাম নবমীতে (Ram Navami  2024) ৪০ লাখ ভক্তের সমাগম হতে পারে অযোধ্যায়। ফৈজাবাদ জেলা প্রশাসন এবং উত্তরপ্রদেশ সরকার এই বৃহৎ অনুষ্ঠানের আগে চূড়ান্ত প্রস্তুতি দিচ্ছে। মন্দির চত্বরে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।  ইতিমধ্যে, নয়া ঘাট জোন, নাগেশ্বরনাথ জোন, হনুমানগড়ী মন্দির জোন, কনক ভবন মন্দির জোনে যথাযথ নিরাপত্তা নিয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং অন্যান্য আধিকারিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ১৬, ১৭ এবং ১৮ এপ্রিল মন্দির ২০ ঘণ্টা করে দর্শনের জন্য খোলা থাকবে রামলালার দরজা। প্রত্যাশিত ভক্তের সংখ্যা বিবেচনা করে ট্রাস্টের তরফে সাতটি সারি করে দর্শকদের দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

    রাম নবমীর দিন কখন কী 

    রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ওইদিন ভোর সাড়ে তিনটে মঙ্গল আরতির মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিশেষ পুজো৷ এরপর রাত ১১টা পর্যন্ত অর্থাৎ, ১৯ ঘণ্টা দর্শনার্থীদের (Ayodhya Ram Temple) জন্য মন্দিরের দরজা খোলা থাকবে। এর মধ্যে ভগবানকে চারবার ভোগ নিবেদনের সময় মন্দিরের পর্দা পাঁচ মিনিটের জন্য শুধু বন্ধ হবে। রাম নবমীর দিন ব্রাহ্ম মুহূর্ত সাড়ে তিনটেয় বিশেষ পুজো শুরু হবে (Ram Navami  2024)৷ ভক্তদের দর্শনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও করা হচ্ছে ৷ দর্শনের সময় ভক্তদের তাদের মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র সঙ্গে না রাখতে বলা হয়েছে৷ সুগ্রীব কুইলায় ট্রাস্টের তরফে তীর্থযাত্রীদের জন্য একটি পরিষেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সরযূ নদীতে স্নানের ক্ষেত্রেও নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন৷ পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে দুই হাজার কর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে।

    সূর্য তিলক

    রামলালার কপালে ঠিক দুপুর ১২টার সময় এসে পড়বে সূর্যের আলো। যা ললাটে এঁকে দেবে সূর্যতিলক। সূত্রের খবর, প্রতি রাম নবমীর দুপুরেই সূর্যের আলোর একটি রশ্মি সরাসরি রামলালার মূর্তির কপালে এসে পড়বে (Ram Navami  2024)। আর এই কাজ সম্ভব হবে বহু বিজ্ঞানীর অক্লান্ত গবেষণায়। কারণ সূর্যরশ্মিকে প্রতিফলিত করাতে হবে রামলালার কপালে। আবার ওই নির্দিষ্ট সময়েই। মাত্র ৪ মিনিটের জন্য থাকবে এই তিলক। সূর্যের আলোর তিলক পরবেন রামলালা।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্রে’ করা হয়েছে কোন কোন সঙ্কল্প, জানেন?

    বিশেষ লাড্ডু নিবেদন

    আগামী ১৭ এপ্রিল রাম নবমীতেই বিশেষ রেকর্ড গড়তে চলেছে রাম মন্দির। ওই দিন রাম মন্দিরে পাঠানো হবে ১,১১,১১১ কেজি লাড্ডু। তা রামলালাকে নিবেদন করা হবে। তারপর তা প্রসাদ হিসেবে ভক্তদের মধ্যে বিলি করা হবে! দেবরাহা হংস বাবা ট্রাস্টের তরফে রাম মন্দিরে রাম নবমীতে (Ram Navami) পাঠানো হবে এই ১ লক্ষ ১১ হাজার ১১১ কেজি লাড্ডু! হংস ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, তারা প্রতি সপ্তাহেই দেশের কোনও না কোনও বিখ্যাত মন্দিরে লাড্ডু পাঠান বিগ্রহকে নিবেদন করার জন্য। এর আগে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির, তিরুপতি বালাজি মন্দিরেও এই রকম লাড্ডু পাঠানো হয়েছে। এবার পাঠানো হচ্ছে অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালার উদ্দেশে।

    ঘরে বসেই দর্শন

    তবে যাঁরা কষ্ট করে মন্দিরে (Ayodhya Ram Temple) উপস্থিত থাকতে পারছেন না তাঁদের জন্য ঘরে বসেই রামলালার দর্শন মিলবে। প্রসার ভারতী এর লাইভ টেলিকাস্ট করবে। এদিনের জন্য অযোধ্যায় ১০০ টিরও বেশি জায়গায় এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Mandir: ‘ছাতু সঙ্গে রাখুন’! গ্রীষ্মে পুণ্যার্থীদের পরামর্শ রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের, বিশেষ ব্যবস্থা কাশীতেও

    Ram Mandir: ‘ছাতু সঙ্গে রাখুন’! গ্রীষ্মে পুণ্যার্থীদের পরামর্শ রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের, বিশেষ ব্যবস্থা কাশীতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্তের পা পড়ছে অযোধ্যার তীর্থভূমিতে। রাম জন্মভূমি (Ram Mandir) তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ১ লক্ষ করে ভক্ত সমাগম হচ্ছে অযোধ্যাতে। ১৭ এপ্রিল সারা দেশে পালিত হবে রামনবমী। এই সময় অযোধ্যাতে ভক্তদের ভিড় খুবই বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এপ্রিলের শুরুতেই তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছেন মানুষজন। এই আবহে রাম নবমীতে গরম খুব বাড়বে বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এমন সময় লক্ষ লক্ষ ভক্তদের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দিতে দেখা গেল রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টকে। প্রখর গ্রীষ্মের মোকাবিলা করার জন্য রাম মন্দিরে সঙ্গে করে ছাতু আনার পরামর্শ দিলেন ট্রাস্টের (Ram Mandir) সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই। অন্যদিকে, তীব্র দাবদাহে বারাণসীর পারদও ছুঁয়েছে ৩৮° সেন্টিগ্রেডে। সারা বছর ধরেই বারাণসীতে ভক্তদের ভিড় জমলেও চৈত্র- বৈশাখ মাসে এই ভিড় সব থেকে বেশি হয়। গরমের মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত হয়েছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরও। 

    কী বলছেন রাম মন্দির ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক?

    চম্পত রাই বলেন, “সামনে রাম নবমী (Ram Mandir) আসছে। এই সময় ২ লক্ষেরও বেশি দর্শনার্থী আসবেন বলে আশা করছি। কিন্তু, অযোধ্যা কি এই বিপুল সংখ্যক অতিথিকে স্বাগত জানাতে পারবে? গরমই আমাদের সামনে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। ভক্তদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। বিশেষ করে তারা যাতে খাদ্য এবং জল পর্যাপ্ত পরিমাণে পায়, তা আমাদের অগ্রাধিকার। জলের সমস্যা হবে না। কিন্তু খাদ্যের ব্যবস্থা করা একটা চ্যালেঞ্জ। অযোধ্যা দর্শনার্থীদের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। তা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত কোনও পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। আশা করছি ভবিষ্যতেও ঘটবে না। আমি দর্শকদের অনুরোধ করব, নিজেদের নিরাপত্তার কারণে, রাম মন্দির (Ram Mandir) পরিদর্শন করার সময় দলবদ্ধভাবে থাকুন। আগত ভক্তদের আমি তাদের সঙ্গে ছাতু আনতে অনুরোধ করছি। ছাতু খেলে তাঁরা গরমের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।”

    বিশেষ ব্যবস্থা কাশীতেও

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রধান নির্বাহী বিশ্বভূষণ মিশ্র জানিয়েছেন, মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের জন্য জলের কুলার, ভেজা পাটের মাদুর ও ছায়ার জন্য জার্মান হ্যাঙারের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া ভক্তরা যাতে গরমে কষ্ট না পান সেজন্য সমস্ত রকমের বন্দোবস্ত ইতিমধ্যে শুরু করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। গরমের কারণে দর্শনার্থীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতেও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে কাশি বিশ্বনাথ মন্দিরে। এর জন্য মন্দিরের কাছাকাছি অস্থায়ী হাসপাতাল খোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM On Ram Temple: “মনে হল রামলালা আমায় বলছেন, দেশের স্বর্ণযুগ শুরু হয়েছে”, বললেন মোদি

    PM On Ram Temple: “মনে হল রামলালা আমায় বলছেন, দেশের স্বর্ণযুগ শুরু হয়েছে”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রাণপ্রতিষ্ঠার সময় রামলালা আমায় বললেন দেশের স্বর্ণযুগ শুরু হয়েছে। ভারতের সেই সুদিন এসেছে। দেশ এগোচ্ছে।” একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM On Ram Temple)। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় অযোধ্যার রাম মন্দিরের। এদিনই মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় বিগ্রহের। প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে আগাগোড়া উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই মন্দিরের বিগ্রহ রামলালা তাঁকে ওই কথাগুলি বলেন বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM On Ram Temple)

    তিনি বলেন, “গত দশ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বকালে অনেক জায়গা থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছি। কিন্তু শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে যখন আমায় প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হল, তখন অন্তরের অন্তঃস্থলে থেকে বিচলিত হয়েছিলাম।” প্রধানমন্ত্রী (PM On Ram Temple) বলেন, “ওঁদের (শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের) আমন্ত্রণ পাওয়ার পরে আমি যেন কোনও এক আধ্যাত্মিক জগতের বাসিন্দা হয়ে গেলাম। আমি যেন কোনও কিছুর অস্তিত্ব অনুভব করতে শুরু করলাম। আমার কাছে সেই আধ্যাত্মিক সত্তা যেন জীবন্ত হয়ে উঠল।” তিনি বলেন, “তখনই আমি ঠিক করলাম যে আমি প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে ১১ দিনের যে সংযমী জীবন যাপন করতে হয়, তা করব। এই সময় আমি এও স্থির করলাম, ভগবান রামের সঙ্গে যুক্ত দেশের যেসব জায়গা, সেগুলোতে গিয়ে কিছুটা করে সময় কাটাব, বিশেষত দক্ষিণ ভারতে।”

    সংযমী জীবন যাপন প্রধানমন্ত্রীর

    জানা গিয়েছে, ১১ দিনের যে সংযমী জীবন প্রধানমন্ত্রী কাটিয়েছেন, সেই সময় তিনি ঘুমিয়েছেন মেঝেয়। কঠোর উপোস করেছেন। এই পুরো পর্বটায় তিনি খেয়েছেন কেবল ডাবের জল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই ক’দিন আমি কেবল আমার অন্তরেই ডুবেছিলাম। শেষমেশ যখন অযোধ্যায় পৌঁছলাম এবং মন্দিরের সিঁড়ির প্রথম ধাপে পা রাখলাম, মনে হল আমি কি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এখানে এসেছি, নাকি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে দেবদর্শনে এসেছি? আমার মন বলছিল, আমি একজন সাধারণ ভক্ত হিসেবে অযোধ্যায় এসেছি। এ দেশের ১৪০ কোটি মানুষের মতো।”

    ‘বিগ্রহের দু’চোখে ভারতবাসীকে দেখেছি’

    তিনি (PM On Ram Temple) বলেন, “রামলালার মূর্তির দিকে চোখ পড়তেই আমি কেমন ঘোরের মধ্যে চলে গেলাম। পুরোহিতরা আমায় কী করতে বলছেন, সে ব্যাপারে আমার খেয়াল ছিল না। সেই ঘোরের মধ্যেই আমার মনে হল, রামলালা আমায় বলছেন, ভারতের সুবর্ণ যুগ শুরু হয়েছে। সেদিন বিগ্রহের দুচোখে আমি কেবল আমার দেশের ১৪০ কোটি বাসিন্দাকেই দেখেছি।”

    আরও পড়ুুন: জ্ঞানবাপী চত্বরে পুজো-আরতি চলবে, মসজিদ কমিটির আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Navami: রামনবমীতে কী হবে? কী বলছেন অযোধ্যার রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ?

    Ram Navami: রামনবমীতে কী হবে? কী বলছেন অযোধ্যার রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই রামনবমী (Ram Navami)। কয়েক লক্ষ ভক্তের সমাগম হবে অযোধ্যায়, রামলালাকে দর্শন করতে। রাম মন্দির তীর্থ ক্ষেত্রের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানান, রামনবমী উপলক্ষে অযোধ্যায় ভক্ত সমাগম হবে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। তিনি বলেন, “২৫ থেকে ৩০ লাখ ভক্ত আসবেন বলে আশা করছি। তাই ভাবছি কীভাবে পাঁচ বছরের রামলালাকে বেশিক্ষণ জাগিয়ে রাখা যায়। ভক্তরা তাঁদের এলাকায়ও রামনবমী উৎসব করতে পারেন।”

    কী বলছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ? (Ram Navami)

    দাবদাহে পুড়ছে দেশ। প্রখর গ্রীষ্মে তপ্ত উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা নগরীও। তাই ভক্তদের নিয়ে চিন্তিত রাম মন্দির তীর্থ ক্ষেত্রের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, “গরমই আমাদের সামনে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ভক্তদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। বিশেষ করে তাঁরা যাতে খাদ্য ও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান, তা আমাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে। জলের সমস্যা হবে না। কিন্তু খাবারের ব্যবস্থা করা একটা চ্যালেঞ্জ। অযোধ্যায় দর্শনার্থীদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত পদদলিত হওয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। আশা করি, ভবিষ্যতেও ঘটবে (Ram Navami) না।” তিনি বলেন, “আমি দর্শকদের অনুরোধ করব, নিজের নিরাপত্তার কারণে রাম মন্দির পরিদর্শন করার সময় দলবদ্ধভাবে থাকুন। আগত ভক্তদের আমি সঙ্গে ছাতু আনার অনুরোধ করছি। ছাতু খেলে তাঁরা গরমের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।”

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতিবাজরা এখন কারাগারের পিছনে”, মিরাটের জনসভায় বললেন মোদি

    রামনবমীর তাৎপর্য 

    চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিই হল রামনবমী। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, এদিনই ধরাধামে অবতীর্ণ হয়েছিলেন ভগবান বিষ্ণুর অবতার রাম। তাই এদিন রামের বিগ্রহ দর্শন করলে পুণ্য লাভ হয় বলে লোকবিশ্বাস। সেই কারণেই এদিন অযোধ্যায় ভিড় করবেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত। এই ভক্তদের সামাল দেওয়াটাই মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ দিন কয়েক আগে প্রচণ্ড গরমে রামলালা দর্শনে এসে অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন কয়েকজন ভক্ত। সেই কারণেই মন্দির কর্তৃপক্ষের চিন্তা আরও বেড়েছে। আরও একটি কারণে মন্দির কমিটির কপালে চিন্তার ভাঁজ। সেটি হল, এই বিপুল সংখ্যক ভক্তকে রামনবমীর দিনই বিগ্রহ দর্শন করতে দিতে হলে, মন্দিরের দ্বার খোলা রাখতে হবে ২৪ ঘণ্টাই। যেটা দেবতার পক্ষেও কষ্টকর বলে মনে করে মন্দির কমিটি। তাই কীভাবে আগত ভক্তরা এদিন রামলালার দর্শন করবেন, তা নিয়েও ভাবনা চিন্তা করছে মন্দির কমিটি (Ram Navami)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Ram Navami: ঠেলার নাম বাবাজি! ভোটের মুখে রামনবমীতেও ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হলেন মমতা

    Ram Navami: ঠেলার নাম বাবাজি! ভোটের মুখে রামনবমীতেও ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হলেন মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমবার রামনবমীতে (Ram Navami) ছুটি ঘোষণা হল পশ্চিমবঙ্গে। শনিবারই নবান্ন এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের রামনবমী অনুষ্ঠিত হবে ১৭ এপ্রিল। ওই দিন জরুরী পরিষেবা বাদ দিয়ে রাজ্যের সরকারি এবং সরকার পোষিত সমস্ত প্রতিষ্ঠানের ছুটি থাকবে। অর্থাৎ স্কুল, কলেজ অফিস কাছারি সবকিছুই বন্ধ থাকবে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, যেভাবে রামের নামে মেতেছে সারা দেশ, তাতে একপ্রকার বাধ্য হয়েই ছুটি দিল মমতা সরকার।

    রামনবমীকে কেন্দ্র করে বাংলায় জনজোয়ার

    রামনবমীকে (Ram Navami) কেন্দ্র করে বাংলাতে জনজোয়ার বিগত বছরগুলোতেই দেখা গিয়েছিল। দলে দলে ভক্তরা রাস্তায় নেমে রামের নামে মেতে ওঠে। যুব সমাজ মাথায় গেরুয়া ফেট্টি পরে রাম গানে নাচতে থাকে। ২০১৮ সালে পাল্টা রাম নবমীর ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তা একেবারেই ফ্লপ হয়ে যায়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ উদ্বোধন হয়েছে রাম মন্দিরের। দেশজুড়ে ভক্তরা উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। উদ্বোধনের দিন দেশের অনেক রাজ্যেই ছুটির ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট সরকার। বিজেপি সমেত একাধিক সংগঠন সেসময় পশ্চিমবঙ্গেও ছুটির আবেদন করে। কিন্তু তা মানেনি তৃণমূল সরকার। পাল্টা তৃণমূলের তরফে ভেসে আসে নানা মন্তব্য। অবশেষে রামনবমীতে ছুটি দিতে বাধ্য হল তৃণমূল সরকার।

    কী বলছে বিজেপি? 

    এনিয়ে কটাক্ষ ভেসে এসেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টে। রামনবমীর (Ram Navami) ছুটি ঘোষণা নিয়ে তিনি লেখেন, ‘‘ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না।’’ শুভেন্দু লেখেন, ‘‘চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে শ্রী রাম নবমী উৎসবের দিন মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রী রামচন্দ্রের সম্মানে এই প্রথম বার রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করল। আমি জানুয়ারি মাসে রাম নবমীর দিন ছুটি না দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছিলাম, আজ রাজ্য সরকার বাধ্য হয়ে ছুটি ঘোষণা করল। জয় শ্রীরাম।’’ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ভোটের আগে কেন এই ঘোষণা নবান্ন করল, তা সবাই বুঝতে পারছে। মানুষ অত বোকা নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Vote: ২০১৯ সালে পরাস্ত হন রাহুল, আমেথি কেন্দ্র থেকে ফের বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি

    Loksabha Vote: ২০১৯ সালে পরাস্ত হন রাহুল, আমেথি কেন্দ্র থেকে ফের বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয়বারের জন্য আমেথি কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। ২০১৪ সালে প্রথমবারের জন্য তিনি ভোটে দাঁড়ান একদা কংগ্রেসের ঘাঁটি বলে পরিচিত আমেথি কেন্দ্র (Loksabha Vote) থেকে। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে সেবার জোর টক্কর দেন তিনি। হারেন অল্প ব্যবধানে। ২০১৯ সালে শীর্ষ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী পরাস্ত হন স্মৃতি ইরানির কাছে, আমেথি কেন্দ্র থেকে। প্রসঙ্গত, আমেথিতে নিজের জন্য একটি বাড়িও তৈরি করেছেন স্মৃতি ইরানি। সম্প্রতি সেই বাড়ির গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন স্মৃতি।

    একদা কংগ্রেসের গড় আমেথির পতন

    জানা যায়, ১৯৬৭ সালে আমেথি লোকসভা কেন্দ্র তৈরি হয়। পরবর্তীকালে যা হয়ে ওঠে গান্ধী নেহেরু পরিবারের ঘাঁটি। ইন্দিরাপুত্র সঞ্জয় গান্ধী, রাজীব গান্ধী, রাহুল গান্ধীর মা সোনিয়া গান্ধী প্রত্যেকেই আমেথি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু ২০১৯ সালেই সেই গড় মোদি ঝড়ে কার্যত ধূলিস্যাৎ হয়ে যায়। প্রায় ৫৫ হাজার ভোটে স্মৃতি ইরানির কাছে পরাস্ত হন রাহুল গান্ধী।  রাহুল গান্ধী প্রথমবার জন্য আমেথিতে আত্মপ্রকাশ (Loksabha Vote) করেন ২০০৪ সালে। এবং সে বছর ভালো ব্যবধানে জেতেন তিনি। কিন্তু ২০১৪ সালে প্রথম বারের জন্য তাঁর জয়ের মার্জিন অনেকটাই কমে যায়। পরাস্ত হন ২০১৯ সালে। তৃতীয়বারের জন্য মোদি সরকারের ক্ষমতায় (Loksabha Vote) ফেরা সময়ের অপেক্ষা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। রাম মন্দির উদ্বোধনের পরে দেশজুড়ে বইছে গেরুয়া ঝড়। এক্ষেত্রে আমেথি কেন্দ্র বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া কংগ্রেসের পক্ষে সম্ভব হবে না বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    শনিবার বিজেপি প্রকাশ করে ১৯৫ প্রার্থীর নাম

    বিজেপি শনিবার যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে ঠাঁই হয়েছে ৩৪জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। প্রার্থী করা হয়েছে ৪৭ জন তরুণ তুর্কিকেও। এদিন গেরুয়া শিবিরের যে ১৯৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ২৮ জন মহিলাও রয়েছেন। এই ১৯৫ জন প্রার্থী ১৬টি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: আস্থা স্পেশালে ভক্তরা রওনা দিলেন রামমন্দির, স্টেশনে শুভেচ্ছা জানালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: আস্থা স্পেশালে ভক্তরা রওনা দিলেন রামমন্দির, স্টেশনে শুভেচ্ছা জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট রেল স্টেশন থেকে বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) উপস্থিতিতে অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দিল আস্থা স্পেশাল ট্রেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাম মন্দির ও অযোধ্যা একটা বড়সড় রাজনৈতিক হাতিয়ার বিজেপির কাছে। বুধবার সন্ধ্যায় বালুরঘাট স্টেশনে আস্থা স্পেশাল ট্রেনকে রওনা করানোর উদ্দেশ্যে প্রায় দেড় হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল। যাত্রীদের মধ্যে থেকেই বারবার জয় শ্রীরাম ধ্বনি ওঠে। বালুরঘাট প্ল্যাটফর্মে রেলের পক্ষ থেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে ১৪৭০ জন তীর্থযাত্রীকে  নিয়ে বুধবার রাত আটটায় অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দেয় স্পেশাল ট্রেন।

    বিশেষ ট্রেন নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    রেলের আয়োজিত এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, জেলা থেকে যে পরিমাণ দর্শনার্থীর আশা আমরা করেছিলাম, তার থেকে বেশ কয়েক গুণ মানুষ যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সবাইকে সুযোগ দেওয়া যায়নি। আগামীতে যাতে সবাইকে সুযোগ দেওয়া যায় তার জন্য রেলের কাছে আবার আবেদন জানানো হবে। ভোটের আগেই আরও একবার ট্রেন বালুরঘাট থেকে অযোধ্যায় নিয়ে যাওয়া যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

    বিশেষ ট্রেনের যাত্রীরা কী বললেন?

    তপনের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে আসা মণিরাম টুডু বলেন, দীর্ঘদিনের আশা ছিল তীর্থ ভ্রমণ করার, এবার সেই সুযোগ হাতের কাছে পাওয়া গেছে। মাথাপিছু ১৬০০ টাকা দিয়ে অযোধ্যা ঘুরে আসতে পারবো, তা কখনও ভাবিনি। অনেক দিনের স্বপ্ন পূরণ হল। আস্থা স্পেশাল ট্রেনের যাত্রী নারায়ণ কামেথ বলেন, রাম মন্দির আন্দোলনের প্রথম দিক থেকেই এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। একসময় স্বপ্ন দেখতাম মন্দির  তৈরি হবে। আজ সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে। অযোধ্যা নিয়ে  যাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য স্থানীয় সাংসদকে (Sukanta Majumdar) ধন্যবাদ জানাই।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের কোর কমিটি সদস্য সুভাষ চাকি এই ঘটনাকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ধর্ম বহিঃপ্রকাশ ভারতীয় সংস্কৃতি নয়, সে যে কেউ তীর্থ করতে যেতেই পারেন। কিন্তু ধর্মীয় আবেগকে নিয়ে যে রাজনীতি বিজেপি করছে তার পরিণাম ভালো হবে না ভবিষ্যতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: বিশেষ ট্রেনে সিউড়ি থেকে দেড় হাজার রামভক্ত গেলেন রাম মন্দির দর্শনে

    Ram Mandir: বিশেষ ট্রেনে সিউড়ি থেকে দেড় হাজার রামভক্ত গেলেন রাম মন্দির দর্শনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির (Ram Mandir) দর্শনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রেল। দেশজু়ড়ে ‘আস্থা’ নামে বিশেষ ট্রেন চালাচ্ছে রেল। বীরভূমের সিউড়ি বিধানসভা এলাকার বাসিন্দাদের জন্য রেলের এই বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোমবার রেলের এই বিশেষ ট্রেনে করে রামভক্তরা অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দেন। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ মার্চ রামপুরহাট থেকেও অযোধ্যাগামী একটি ট্রেন ছাড়বে।

     ‘আস্থা ট্রেন রাম মন্দির যেতে খরচ কত? (Ram Mandir)

    সোমবার দুপুর থেকে সিউড়ি স্টেশনে রামভক্ত এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ভিড় করতে শুরু করেন। বিজেপির পক্ষ থেকে কপালে তিলক কেটে সম্বর্ধিত করার পাশাপাশি তাঁদের থাকা- খাওয়ার জন্য দলের কর্মীদের প্রতিটি কোচে পাঠানো হয়েছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে রওনা হয়ে মঙ্গলবার ২৮ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যায় পৌঁছবে ট্রেন। রাম মন্দির (Ram Mandir) দর্শন সেরে বুধবারেই সিউড়ির উদ্দেশ্যে ফিরতি ট্রেনে রওনা হবেন বীরভূমের বাসিন্দারা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেন ভাড়া বাবদ ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে প্রত্যেককে। রামমন্দির উদ্বোধনের আগে থেকেই মন্দির নিয়ে প্রচার কর্মসূচি নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। ৫ ফেব্রুয়ারি রামমন্দির দর্শনে বীরভূম থেকে অযোধ্যায় গিয়েছিলেন করসেবক ও স্বয়ংসেবক মিলিয়ে প্রায় শ’দুয়েক জেলাবাসী।

    সাধারণ মানুষও নিজেদের খরচে রাম মন্দিরে যাচ্ছেন

    বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় নিজে ট্রেন ছাড়ার সময় স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন। রামভক্তদের তিনি স্বাগত জানান। তিনি বলেন, দেশজুড়ে আস্থা ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে রেল। এবার শুধু সিউড়ি বিধানসভার জন্যই এই বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইআরসিটিসির আস্থা প্রকল্প থেকে এককালীন দেড় হাজার যাত্রীর টিকিট বুকিং করা হয়েছে অযোধ্যার জন্য। দলীয় তৎপরতায় এটা সম্ভব হয়েছে। কেবল বিজেপির সদস্যরা নন, নিজেদের খরচে সপরিবার অযোধ্যা যাচ্ছেন সাধারণ মানুষও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share