Tag: Ram Mandir

Ram Mandir

  • Ram Mandir: ‘‘রামের যারা বিরোধিতা করত, মোদি জমানায় তারাই ভজন শুরু করেছে’’, মন্তব্য রাজনাথের

    Ram Mandir: ‘‘রামের যারা বিরোধিতা করত, মোদি জমানায় তারাই ভজন শুরু করেছে’’, মন্তব্য রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ভগবান রামের যারা বিরোধিতা করত, মোদি জমানায় তারাই রামের ভজন (Ram Mandir) শুরু করেছে।’’, শনিবার ঠিক এই ভাষাতেই ভণ্ড ধর্মনিরপেক্ষদের একহাত নিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শনিবারই প্রতিরক্ষামন্ত্রী হাজির ছিলেন বলবীর পুঞ্জের লেখা একটি বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। সেখানেই এই কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে।

    আরও পড়ুন: ‘‘রাম নয়, ওরা ভালোবাসে বাবরকে’’, কংগ্রেসকে তোপ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    রাম বিরোধীরাও করছে রামের নাম

    শনিবার রাজনাথ সিং বলেন, ‘‘এই দেশে কিছু মানুষ ছিলেন যাঁরা ভগবান রামের অস্তিত্ব (Ram Mandir) সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতেন। তাঁর প্রশ্ন তুলেছিলেন ভগবান রামের জন্মভূমি নিয়েও। সেই সমস্ত মানুষগুলিকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে কিছু মানুষ রামের ভজনা শুরু করেছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বড় সাফল্য যে ভগবান রামচন্দ্রের অস্তিত্ব সম্পর্কে যাঁরা প্রশ্ন তুলতেন, তাঁরাই আজ বাধ্য হয়ে রামের ভজন করছেন।’’

    মর্যাদা পুরুষোত্তম রামচন্দ্র

    কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘‘রামজন্মভূমি (Ram Mandir) নিয়ে ৫০০ বছরের সংঘর্ষের পরে সুবিচার পাওয়া গিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি এটাই ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক পুনরুত্থানের  সময়। রাম মন্দিরের উদ্বোধন দেশের জাতীয় গর্বকে  প্রতিষ্ঠিত করবে। সারা ভারতের চেতনা হল রাম এবং অযোধ্যা হল তার নিউক্লিয়াস। ৫০০ বছরেরও বেশি এই সংঘর্ষে আমরা জিতেছি এবং প্রভু রামের জন্মস্থানকে অনেক ষড়যন্ত্রের পরেও ছিনিয়ে নেওয়া যায়নি।’’ রাম মন্দিরের (Ram Mandir) নির্মাণ দেশে তোষণের রাজনীতিকেও শেষ করবে বলে জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ভগবান রামচন্দ্রকে কেন মর্যাদা পুরুষোত্তম বলা হয়, সে বিষয়েও তিনি নিজের মত রাখেন। তিনি বলেন, ‘‘রামচন্দ্র (Ram Mandir) একজনই কিন্তু তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি অনেক ছিল। তিনি সমস্ত জাতি, বর্ণ, ধর্মের উর্দ্ধে ছিলেন। এমন একজন প্রজাপালক রাজা যিনি মানুষ থেকে পশু সকলের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রাখতেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের নিরাপত্তায় যোগী পুলিশই, ব্ল্যাক ক্যাটের ধাঁচে হরিয়ানায় প্রশিক্ষণ ২০০ অফিসারকে

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের নিরাপত্তায় যোগী পুলিশই, ব্ল্যাক ক্যাটের ধাঁচে হরিয়ানায় প্রশিক্ষণ ২০০ অফিসারকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন রয়েছে ২২ জানুয়ারি। তার আগে নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনিতে মুড়ে ফেলা হচ্ছে রাম নগরীকে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যেই ওই বিশেষ দিনে জঙ্গি হামলার আশহ্কার কথা জানিয়েছে। মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে অযোধ্যায় নিরাপত্তার জন্য বিশেষ বাহিনী গড়ল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। জানা গিয়েছে, এই উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড’ (এনএসজি)-এর তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বাছাই করা ২০০ অফিসারকে। আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগেই রাম মন্দিরের (Ram Mandir) দায়িত্ব যাবে ওই বাহিনীর হাতে। জানা গিয়েছে প্রত্যেক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত অফিসারেরই বয়স ৩৫ এর নীচে। দলটিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, কীভাবে কুইক রেসপন্স টিমের নির্দেশে কাজ করতে হবে, হামলার সময় ভিভিআইপি ব্যক্তিদের কীভাবে উদ্ধার করতে হবে, শত্রুপক্ষের ওপর কীভাবে আঘাত হানতে হবে, পণবন্দিদের কীভাবে উদ্ধার করতে হবে এই সমস্ত বিষয়ে। এর পাশাপাশি মোটর সাইকেলে চেপে অপারেশন চালানোর প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।

    হরিয়ানার মানেসরে প্রশিক্ষণ নিয়েছে এই বিশেষ বাহিনী

    যোগী আদিত্যনাথ সরকার (Ram Mandir) এক্ষেত্রে ভরসা রেখেছে রাজ্য পুলিশের ইনস্পেক্টর, সাব ইনস্পেক্টর এবং কনস্টেবলদের ওপরে। ভিভিআইপি নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসদমন অভিযানে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এনএসজি-এর কমান্ডোদের বলা হয় ‘ব্ল্যাক ক্যাট’ বাহিনী। হরিয়ানার মানেসরে সেই বাহিনীর প্রশিক্ষণ চলছে। জানা গিয়েছে, এই শিবিরেই যোগী পুলিশের বিশেষ বাহিনী প্রশিক্ষিত হয়েছে। খাকি ড্রেসের বদলে তারা পরবে ‘ব্ল্যাক ক্যাট’ কমান্ডোদের মতোই পোশাক।

    রাজ্য পুলিশেই ভরসা

    ২০০৮ সালে যখন মুম্বইয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী হামলা ঘটে, তখন তুকারাম নামের এক কনস্টেবলই কাসভকে ধরে ফেলে। অর্থাৎ রাজ্য পুলিশও যে সন্ত্রাসবাদীদের মোকাবিলা করতে সিদ্ধহস্ত, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল মুম্বইয়ে। এবার সেই মডেলই কাজ করবে রাম মন্দির রক্ষায়। তবে শুধুমাত্র রাম মন্দিরই নয় সমগ্র রাম নগরীর (Ram Mandir) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে যোগী পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এতদিন পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করতো সিআরপিএফ। এবার থেকে মন্দির রক্ষার দায়িত্বে দেখা যাবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: নিজে হাতে মন্দির সাফ করলেন প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় যুব দিবসে শোনালেন বিবেক বাণী

    Narendra Modi: নিজে হাতে মন্দির সাফ করলেন প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় যুব দিবসে শোনালেন বিবেক বাণী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  জাতীয় যুব দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) জঞ্জাল সাফাই করতে দেখা গেল। মহারাষ্ট্রের কলারাম মন্দির প্রাঙ্গণ এদিন নিজের হাতেই সাফ করতে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত শুক্রবার সকালেই রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে ১১ দিন নিজের ব্রত পালনের কথা বলেন মোদি। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে আবেগপ্রবণ হয়ে  অডিও বার্তা দেন তিনি। করেন ট্যুইটও। জাতীয় যুব দিবসে নাসিকে বক্তব্যও রাখেন প্রধানমন্ত্রী। শোনান বিবেক বাণীও।

    রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে দেশের ধর্মস্থানগুলিকে পরিষ্কার রাখার আর্জি প্রধানমন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) দেশবাসীর কাছে আর্জি রেখেছিলেন, রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে দেশের সমস্ত মন্দির প্রাঙ্গণ এবং তীর্থস্থান পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এর জন্য বিশেষভাবে স্বচ্ছতা অভিযানে নামার অনুরোধও করেন তিনি দেশের মানুষকে। সেই মতো শুক্রবার নিজেই শুরু করলেন ধর্মস্থান স্বচ্ছতা অভিযান। নাসিকের কলারাম মন্দিরে এদিন প্রথমে  তিনি মারাঠি সন্ত একনাথের ভবার্থ রামায়ণ গাঁথা শোনেন। তারপর ওই মন্দিরেই ঝাঁটা, বালতি হাতে নেমে পড়েন নমো। সাফাই অভিযানের ছবি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়।

    জাতীয় যুব দিবসে বিবেকানন্দ স্মরণ

    শুক্রবার তিনি ভারতের দীর্ঘতম অটল সেতুরও উদ্বোধনও করবেন। তার আগে যুব দিবসে সকালে নাসিকের যুব সমাজের উদ্দেশ্যে বক্তব্যও রাখেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, ‘‘মহর্ষি অরবিন্দ এবং স্বামী বিবেকানন্দ বলতেন যে তরুণদের স্বাধীন চিন্তা ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। আজকের তরুণ প্রজন্ম উন্নয়ন ও উত্তরাধিকার দুটোই চায়। আজকের তরুণ প্রজন্ম দাসত্বের প্রভাব থেকে মুক্ত।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: এক পায়ে সাইকেল চড়ে অযোধ্যার রাম মন্দিরের পথে ক্যান্সার আক্রান্ত যুবক

    Ram Mandir: এক পায়ে সাইকেল চড়ে অযোধ্যার রাম মন্দিরের পথে ক্যান্সার আক্রান্ত যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের জন্য সমস্ত রকম প্রস্তুতি চলছে। ২২ জানুয়ারি মন্দিরের উদ্বোধন হবে। সেই মাহেন্দ্রক্ষণে উপস্থিত হওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা সামিল হচ্ছেন। অযোধ্যার সেই কর্মযজ্ঞের সাক্ষী হতে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা থেকে সৌমিক গোলদার নামে এক যুবক এক পায়ে সাইকেল চালিয়ে পাড়ি দিলেন। তাঁর এই অদ্যম ইচ্ছাশক্তিকে কুর্ণিশ জানিয়েছে পরিবার, পরিচিত এবং এলাকার বাসিন্দারা। সাহায্যের জন্য সঙ্গে একজন বন্ধু নিয়ে মঙ্গলবার তিনি রওনা দিয়েছেন।

    দুর্ঘটনায় একটি পা খুইয়েছিলেন গোবরডাঙার সৌমিক (Ram Mandir)

    স্থানীয় এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গোবরডাঙার বাবুপাড়ার বাসিন্দা সৌমিকের ২০২০ সালে ডান পায়ে ক্যান্সার ধরা পড়ে। তারপর দীর্ঘ দু’বছর ধরে চলা চিকিৎসায় সাড়াও মিলছিল। কিন্তু, ২০২২ সালে স্কুটি করে যাওয়ার সময় তিনি পড়ে যাওয়ায় ঘটে বিপত্তি। আঘাত লাগে পায়ে বসানো প্লেটে। সেখানে ইনফেকশন হয়ে তা গোটা পায়ে ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসকরা কোনও উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে সৌমিকের ডান পা বাদ দেন। তারপর থেকে বাঁ পায়ের উপর ভরসা করেই শুরু হয় যুবকের বাকি জীবনের পথ চলা। এদিকে, অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) তৈরি হওয়ার ছবি দেখে গোবরডাঙার এই যুবকের সেখানে যাওয়ার ইচ্ছে জাগে। পরিচিত এবং বন্ধুরাও তাঁকে উৎসাহ দেন। কিন্তু, এতটা পথ এক পায়ে সাইকেল চালিয়ে কীভাবে যাবে, তা ভেবে বাবা বাসুদেব গোলদার এবং মা ইতিকাদেবী ছেলেকে বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, ছেলের প্রবল ইচ্ছেশক্তির কাছে হার মানেন তাঁরা। সৌমিক তাঁর মা-বাবাকে বোঝাতে সক্ষম হন। কলকাতায় লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠেও এক পায়ে স্কুটি চালিয়ে তিনি গিয়েছিলেন। তারপরই তিনি ঠিক করেন, ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার অযোধ্যার উদ্দেশে পাড়ি দেবেন।

    পরিবেশ দূষণ রোধের বার্তা দিতেই সাইকেলে অযোধ্যা

    সৌমিক বলেন, প্রায় ৯৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথ যেতে সময় লেগে যাবে ১১ দিন। মূলত দিনের আলোতেই প্রতিদিন ৮০ কিমির বেশি পথ যাব। রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের ঐতিহাসিক এই মুহূর্তের সাক্ষী থেকে পূণ্য লাভের জন্য পাড়ি দিচ্ছি অযোধ্যায়। পরিবেশ দূষণ রোধের বার্তা দিতেই সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি সাইকেল চালালে শরীর সুস্থও থাকে। এক পায়ে সাইকেল চালিয়ে যাব ঠিক করার পর পরিবার প্রথমে চায়নি। কিন্তু, বোঝানোর পর পরিবারই আমাকে উৎসাহ দিয়েছে। গোবরডাঙাবাসীর থেকেও উৎসাহ পেয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যার পুকুরগুলিতেও আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া, রাম-সীতার মূর্তির চাহিদা তুঙ্গে

    Ram Mandir: অযোধ্যার পুকুরগুলিতেও আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া, রাম-সীতার মূর্তির চাহিদা তুঙ্গে

    রামনগরী অযোধ্যা-আট

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: জোরকদমে চলছে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের প্রস্তুতি। তাই সরাসরি কোনও ট্রেনই ঢুকছিল না অযোধ্যায়। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বারাণসীতে নেমে সড়ক পথেই অযোধ্যায় রওনা দিয়েছিলাম আমরা। উদ্দেশ্য রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাংবাদিক বৈঠক। প্রায় ৪ ঘণ্টা চলার পরে গাড়ি ঢুকল অযোধ্যার শহরতলিতে। তখন থেকেই চোখে পড়তে থাকল স্বাগত জানানোর প্ল্যাকার্ড। পদ্মফুলের ওপরে জোড়হাতের প্রতীক। শহরে প্রবেশের আগেই একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড জানান দিল নিরাপত্তার আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা। শহরে প্রবেশ করতেই বাঁদিকে বড় পুকুর। তার চারপাশে তৈরি হয়েছে মন্দিরের মতো ধাঁচা। পুকুরের পাড় ইঁট দিয়ে সুন্দরভাবে বাঁধানো রয়েছে। তার ওপর প্লাস্টার। প্লাস্টারের ওপর রংবেরঙের চোখ ধাঁধানো কারুকার্য।

    জলাশয়ের মধ্যেও আধ্যাত্মিকতার পরিবেশ

    মনে পড়ল অযোধ্যা (Ram Mandir) আগামী দিনে হতে চলেছে ভারতের আধ্যাত্মিকতার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। দেশ-বিদেশ থেকে ভক্তরা পা রাখবেন রামনগরীতে। তাই জলাশয়গুলিতেও আধ্যাত্মিকতার পরিবেশ ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। জনা তিরিশেক শ্রমিক কাজ করছেন। শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। তাই পুকুর বাঁধানোর মতো কাজেও শ্রমিকরা মাথায় হলুদ হেলমেট পরেছেন। এমন চিত্র পশ্চিমবঙ্গে দেখা যায় না বললেই চলে। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেই জানা গেল, জলাশয়ের নামকরণ করা হয়েছে দিব্য কুণ্ডু। পুকুরের সৌন্দর্যায়নের কাজ বিগত ১ বছর ধরেই চলছে বলে জানালেন শ্রমিকরা। দিব্য কুণ্ডু ছাড়িয়ে গাড়ি ছুটতে থাকল। ফের পুলিশের ব্যারিকেড। গাড়ির গতি কমে এল জ্যামের কারণে। নজরে পড়ল রাস্তার ডানদিকে দেবদেবীর মূর্তি নির্মাণের কাজ চলছে।

    কী বললেন অযোধ্যার মূর্তি নির্মাণকারী সঞ্জয় শর্মা?

    হনুমান, দুর্গা, রাম-সীতা-লক্ষণ প্রভৃতি দেবদেবীর বিভিন্ন আকারের মূর্তি নিয়ে বসে রয়েছেন বছর পঞ্চাশের এক প্রৌঢ়। ভিড় রাস্তায় গাড়ি থেকে নামার উপায় ছিল না। অগত্যা গাড়িতে থেকেই ইশারা করে ডাকা হল তাঁকে। সাংবাদিক পরিচয় দিলাম। ভদ্রলোক জানালেন, নাম সঞ্জয় শর্মা। ভিড় কমতেই গাড়িকে তাঁর দোকানের সামনে দাঁড় করালাম। মূর্তি কেমন বিক্রি হচ্ছে? প্রশ্ন শুনতেই সঞ্জয়বাবুর উত্তর, ‘‘এখন যেমন অযোধ্যা দেখছেন, কয়েক বছর আগেও এখানে এমন চিত্র ছিল না। বর্তমানে ভিড় লেগেই থাকে। রাম-সীতা (Ram Mandir) ছাড়াও অন্যান্য দেবদেবীর মূর্তিরও চাহিদা ভালোই রয়েছে।’’ ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিকতার রাজধানী বলা হয় বারাণসীকে। পৃথিবীর প্রাচীনতম শহরেরও স্বীকৃতি মিলেছে বারাণসীর। তবে আগামী দিনে অযোধ্যাকে কেন্দ্র করেই যে আধ্যাত্মিক ভারতের পরিবেশ নির্মাণ হতে চলেছে, অযোধ্যায় পা রাখতেই তা উপলব্ধি করা গেল। রাস্তার নামও রামপথ, সরযূ নদীও বয়ে চলেছে রামায়ণের ঐতিহ্যকে নিয়ে, পুকুরের নামও দিব্যকুণ্ডু। স্বাধীনতা দিবসের দিন যেমন প্রতিটি বাড়ির ছাদে জাতীয় পতাকা দেখা যায়, তেমনি পতপত করে অযোধ্যার বাড়ির ছাদগুলিতে উড়ছে জয় শ্রীরাম লেখা পতাকা। নজর কাড়ল দোকানের ওয়াল পেন্টিংগুলিও। সেখানেও তীরধনুক নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রভু রামচন্দ্র। এয়ারপোর্টের নামও মহর্ষি বাল্মিকীর নামে। সব মিলিয়ে অযোধ্যার অলিখিত নাম রামনগরী (Ram Mandir) যেন সার্থক হয়ে উঠেছে। (শেষ)

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রামলালার নগর পরিক্রমা অনুষ্ঠান বাতিল করল তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট, কেন জানেন?

    Ram Mandir: রামলালার নগর পরিক্রমা অনুষ্ঠান বাতিল করল তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন। সেদিন রামলালাকে কোলে নিয়ে গর্ভগৃহে প্রবেশ করবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই অবশ্য নগর পরিক্রমায় বেরনোর কথা ছিল ‘রামলালা’র। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ওই পরিকল্পনা বাতিল করল মন্দির প্রশাসন। আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৭ জানুয়ারি ‘রামলালা’র বিগ্রহ নিয়ে অযোধ্যা ভ্রমণে বেরনো হবে। এর ফলে মন্দিরে বিগ্রহ প্রবেশের আগেই ভক্তেরা বিগ্রহকে চাক্ষুষ করার সুযোগ পেতেন। ৮ দিন আগেই পরিকল্পনা বাতিল করল তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্যরা। রামলালার (Ram Mandir) নগর ভ্রমণের বিষয়ে সম্প্রতি বৈঠকে বসেন শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্যরা, সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    ভক্তদের ভিড় থেকে তৈরি হতে পারে বিশৃঙ্খলা

    ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, ভক্তদের ভিড় থেকে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়েছে সর্বসম্মতিক্রমে। প্রসঙ্গত, রামের মন্দিরে (Ram Mandir) ফেরা নিয়ে উন্মাদনা আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। এমতাবস্থায় অযোধ্যায় বিগত দুই মাস ধরেই উৎসবের মেজাজ রয়েছে। এমন সময়, রামলালাকে নগর পরিভ্রমণে বের করলে বিপুল ভক্ত সমাগম হতে পারে। সেখানে বিশৃঙ্খলাও হতে পারে। তাই এই সিদ্ধান্ত বদল। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন আগেই কাশীর আচার্য এবং জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা সেরে নেন ট্রাস্টের সদস্যেরা। সেখানেই জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, রামলালার বিগ্রহকে মন্দিরের বাইরে বের করে আনা হলে ভক্তদের ভিড় সামাল দিতে বেগ পেতে হতে পারে।

    কী বলছেন অযোধ্যার জেলাশাসক?

    অযোধ্যার জেলাশাসক এবিষয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘রামলালার দর্শন পেতে কেবলমাত্র স্থানীয়রাই নয়, দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসবেন রাম ভক্তরা (Ram Mandir)। ফলে মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, যে কোনও মুহূর্তে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে। পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা। ফলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ১৭ জানুয়ারি রামলালার অযোধ্যা সিটি ট্যুরের অনুষ্ঠান বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: বাবরি মসজিদের আইনজীবী ইকবালও বাড়িতে বসে বললেন, “রাম আমাদের সকলের’’

    Ram Mandir: বাবরি মসজিদের আইনজীবী ইকবালও বাড়িতে বসে বললেন, “রাম আমাদের সকলের’’

    রামনগরী অযোধ্যা-সাত

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে উৎসবের মেজাজে দেখছিলাম অযোধ্যাকে (Ram Mandir)। বাড়ির দেওয়াল থেকে দোকানের দরজা, সর্বত্র লেখা জয় শ্রীরাম। তরুণ প্রজন্ম স্মার্ট ফোনের গেম ভুলে মেতেছে রামের নামে। সকাল সন্ধ্যা কপালে তিলক এঁকে ঘুরছে তারা। কর্মযজ্ঞের অযোধ্যাকে পর্যবেক্ষণ করতে ভাড়া করলাম টোটো। গেলাম স্টেশন এবং এয়ারপোর্টে। সেখানেও তুঙ্গে ব্যস্ততা। রাম রাজ্যে রাম ফিরবেন। ব্যস্ততা তো স্বাভাবিক। নতুনভাবে সেজে উঠছে অযোধ্যা। মন্দির উদ্বোধন হলে ৩ লাখ ভক্তের পা পড়বে প্রতিদিন। বেশিরভাগ ভিড়ই সামাল দিতে হবে স্টেশন এবং বিমানবন্দরকে। তাই সাজো সাজো রব। স্টেশন দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটা রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম। দেখে মনে হচ্ছিল এ যেন আস্ত একটা বিশ্বমানের বিমানবন্দর। আধিকারিকরা বললেন, প্রতিদিন ৬০ হাজার মানুষ গড়ে যাতায়াত করতে পারবেন অযোধ্যা স্টেশনের মাধ্যমে। বিমানবন্দরে গিয়ে দেখলাম সেখানেও একই চিত্র। আমরা যখন গিয়েছিলান তখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেননি। হোটেলে ফেরার পথে টোটো চালক বললেন, সামনেই বাবরি মসজিদের আইনজীবী থাকেন, যাবেন সেখানে? আমরা উত্তর দিলাম, অবশ্যই। রাস্তার ধারে টোটো দাঁড়াল। আঙুল দিয়ে টোটো চালক দেখিয়ে দিলেন ইকবাল আনসারির বাড়ি।

    ইকবাল আনসারির বাড়িতে

    রামপথের (Ram Mandir) ঠিক বাঁদিকে যেখানে রাস্তা ভেঙে গিয়েছে, সেখানেই পড়ছে ইকবাল আনসারির বাড়ি। বাড়ির সামনে বেশ কয়েকটি গাড়ি মেরামতির দোকান। জানা গেল এগুলি তাঁরই (ইকবাল আনসারির)। বাড়ির অদূরে বর্জ্য পদার্থ ফেলার জায়গা। আমরা পৌঁছাতেই দেখলাম ইকবাল আনসারির বসার চেম্বারে সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের ভিড়। বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে মিডিয়ার গাড়ি। উত্তরপ্রদেশের স্থানীয় একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন ইকবাল। বয়স প্রায় ষাট ছুঁইছুঁই। শরীরে মেদ নেই বললেই চলে। মাঝারি উচ্চতার ইকবাল আনসারি স্বাগত জানালেন আমাদের। আলাপচারিতায় জানলেন, আমরা কোথা থেকে এসেছি। প্রসঙ্গত, ইকবাল আনসারির বাবা ছিলেন হাসিম আনসারি। যিনি বাবরি মসজিদের আইনজীবী ছিলেন প্রথম থেকেই। মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকার সময়ই মৃত্যু হয় হাসিম আনসারির। তার পর থেকেই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ইকবাল। সাক্ষাৎকার শুরুর প্রথমেই জিজ্ঞেস করলাম ‘‘শরীর কেমন রয়েছে?’’ স্মিত হেসে উত্তর দিলেন, কোনও অসুবিধা নেই। এবার আসল প্রসঙ্গে ঢুকলাম। রাম মন্দির (Ram Mandir) তৈরি হচ্ছে কেমন লাগছে? ইকবাল আনসারি জবাব দিলেন, ‘‘রামের মন্দির তৈরি হওয়াতে অযোধ্যার মুসলিম সমাজের মতো আমিও খুশি। রাম আমাদের সকলের।”

    সকল ধর্মের মেলবন্ধন ঘটাচ্ছেন রামচন্দ্র

    এরপরেই তিনি নিজের মোবাইল বের করে দেখাতে থাকলেন, হিন্দুধর্মের বিভিন্ন উৎসবে তাঁর সামিল হওয়ার চিত্র। তাঁর সাক্ষাৎকারের সময় প্রশ্ন করেছিলাম, উদ্বোধনের দিন আমন্ত্রণ পেলে যাবেন? জানালেন, নিশ্চিত যাব। (প্রসঙ্গত জানুয়ারির প্রথমেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা-কর্মীরা ইকবাল আনসারির বাড়ি গিয়ে দিয়ে এসেছেন আমন্ত্রণপত্র)। অযোধ্যার হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতির কথাও শোনা গেল ষাট ছুঁইছুঁই ইকবালের মুখে। পরবর্তীকালে সংবাদমাধ্যমের সুবাদে জেনেছি, অযোধ্যার বিমান বন্দরের উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপরে ফুলও ছোড়েন তিনি। এবার রাম মন্দিরের উদ্বোধনে সামিল হবেন ইকবাল। রামের ঘরে ফেরা সত্যই তাৎপর্যপূর্ণ। জাতি-ধর্ম-বর্ণের মেলবন্ধন ঘটাচ্ছে রাম মন্দির (Ram Mandir)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: শীতের রাত ১০টা, অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে তিল ধারণের জায়গা নেই!

    Ram Mandir: শীতের রাত ১০টা, অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে তিল ধারণের জায়গা নেই!

    রামনগরী অযোধ্যা-ছয়

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: প্রভু রামের মন্দিরে ফেরা ২২ জানুয়ারি। তার আগেই অযোধ্যার উৎসবের ঢেউ গিয়ে পড়ছে আসমুদ্র হিমাচলে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী হোক, অথবা গুজরাট থেকে গুয়াহাটি। সর্বত্রই রামভক্তরা এখন থেকেই আনন্দে মেতেছেন। কেউ হায়দরাবাদ থেকে সোনার জুতো নিয়ে রামনগরীতে (Ram Mandir) পৌঁছাচ্ছেন, তো কোথা থেকে আসছে রামের রথ। তবে ভগবান রামের সব থেকে বড় শিষ্য রাম জন্মভূমির অদূরে তাঁর নিজের মন্দিরেই দীর্ঘকাল বিরাজমান রয়েছেন। অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দিরও ভক্তদের অন্যতম তীর্থস্থল হিসেবে পরিচিত। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে যখন মন্দির চত্বরে পৌঁছালাম, ঘড়ির কাঁটা তখন রাত ১০টা ছুঁয়েছে। শীতের রাতেও মন্দির প্রাঙ্গণে তিল ধারণের জায়গা নেই। ভক্তদের বিশ্বাস, প্রভু রামচন্দ্রের জন্মস্থানেই থাকেন বজরঙ্গবলী। হনুমানগড়ি মন্দির যেতে রামপথের ওপর দিয়ে সোজা হাঁটতে হবে ঠিক রাম মন্দিরের দিকে। তারপরেই ডানদিকে ভেঙে যাচ্ছে রামপথ। সেখানেই রয়েছে হনুমানগড়ি মন্দির। রাম মন্দিরের মতোই এখানেও ২৪ ঘণ্টাই পুলিশি ব্যারিকেড রয়েছে।

    টিলার ওপর বিরাজ করছেন বালক বজরঙ্গবলী (Ram Mandir)

    টিলার ওপর বিরাজ করছেন বালক বজরঙ্গবলী। হনুমানের দর্শন পেতে তাই ভাঙতে হবে ৭৬টি সিঁড়ি। হলুদ ধুতি পরা তরুণ পুরোহিতরা ভক্তদের পুজো পৌঁছে দিচ্ছেন হনুমানের চরণতলে। কপালে তিলকও এঁকে দিচ্ছেন তাঁরা। হনুমানের দর্শন পেতে সে কী হুড়োহুড়ি! বোঝাই গেল রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে হনুমানগড়িতে যদি এত ভিড় হয়, তাহলে ২২ জানুয়ারির পর ঠিক কী হতে চলেছে। ভগবান রামের পাশাপাশি অযোধ্য়ার উদ্দেশে যাওয়া তীর্থযাত্রীদের গন্তব্য যে হনুমানগড়ি হবে, একথা বলাই যায়। বিরাট মন্দিরকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে চারপাশে অনেক ছোট-বড় ব্যবসায়ী দোকান তৈরি করেছেন, বেশ কিছু নতুন দোকানও তৈরি হচ্ছে দেখা গেল। বোঝাই যাচ্ছে, ব্যবসায়ীরাও আশায় বুক বাঁধছেন রাম মন্দির উদ্বোধনের। মন্দিরের ডানদিক বরাবর সোজা গেলে পড়বে দশরথ ভবন। এই রাস্তাতেই পসরা সাজিয়ে বসেছেন অনেকে। গোটা রামায়ণ যেন মূর্ত হয়ে উঠেছে অযোধ্যার (Ram Mandir) কোনায় কোনায়, পথে পথে, সরযূর জলে।

    হনুমানগড়ির পৌরাণিক কথা (Ram Mandir)

    প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, অযোধ্যায় রামের দর্শনের (Ram Mandir) আগে তাঁর প্রিয় ভক্ত বজরঙ্গবলীর দর্শন ও আজ্ঞা নেওয়া জরুরি। হনুমানগড়ি মন্দির অযোধ্যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্দির। এই মন্দিরে ৬ ইঞ্চির বালক বজরঙ্গবলীর প্রতিমা রয়েছে। হনুমানের সঙ্গে তাঁর মা অঞ্জনীও আছেন এই মন্দিরে। মন্দির পরিসরে অঞ্জনীর কোলে দেখা যায় হনুমানকে। মন্দিরের চারপাশের দেওয়ালে হনুমান চালিশার পংক্তি লেখা রয়েছে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, হনুমানগড়িতে রাজা হিসেবে বজরঙ্গবলীর রাজতিলক করেন রাম। একটি গুহায় বসবাস করে বজরংবলী রামজন্মভূমি ও অযোধ্যাকে রক্ষা করেন। বজরঙ্গবলীর সেবা ও ভক্তিতে প্রসন্ন হয়ে রাম বলেন, যাঁরা অযোধ্যায় আমার দর্শনের জন্য আসবেন, তাঁদের সবার আগে হনুমানের দর্শন, পুজো ও অনুমতি নিতে হবে। হনুমানের অনুমতি না-নিয়ে ও পুজো না-করে রামের দর্শন ও পুজোর ফল পাওয়া যায় না। রামচরিত মানসের সুন্দরকাণ্ডে বলা হয়েছে, বজরংবলী রামের সবচেয়ে প্রিয় ভক্ত। তাই রামের দর্শন ও আশীর্বাদ লাভের জন্য বজরংবলীর দর্শন ও আশীর্বাদ নিতে হয়। এ কারণে হনুমানগড়িতে বজরঙ্গবলীর পুজোর পর রামের দর্শনের পরম্পরা প্রচলিত। রাম মন্দিরের ভূমি পূজনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বপ্রথম হনুমানগড়িতেই পুজো দেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ৮ হাজার কিমি হেঁটে রামের জন্য সোনার পাদুকা আনছেন হায়দরাবাদের চার্লা শ্রীনিবাস

    Ram Mandir: ৮ হাজার কিমি হেঁটে রামের জন্য সোনার পাদুকা আনছেন হায়দরাবাদের চার্লা শ্রীনিবাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হায়দরাবাদ থেকে চার্লা শ্রীনিবাস শাস্ত্রী (৬৪) আট হাজার কিলোমিটার তীর্থযাত্রা করে অযোধ্যা পৌঁছাতে চলেছেন দিন কয়েকের মধ্যেই। ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত রামের পাদুকা নিয়ে তিনি পৌঁছাবেন রামনগরীতে (Ram Mandir)। ওই পাদুকা দুটি রুপোর তৈরি এবং সোনা দিয়ে মোড়া বলে জানা গিয়েছে। এক একটির ওজন ১২ কেজি। এর আগে, রাম জন্মভূমিতে (Ram Mandir) আড়াই কোজি ওজনের পাঁচটি রুপোর ইট প্রদান করেছিলেন শাস্ত্রী। প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই অবশ্য অযোধ্যা পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর (শাস্ত্রী)।

    রামের বনবাসে যাওয়ার পথেই হাঁটছেন শাস্ত্রী

    জানা গিয়েছে, অযোধ্যা-রামেশ্বরমের পথেই হাঁটছেন শ্রীনিবাস শাস্ত্রী। প্রসঙ্গত এটাই হল রামচন্দ্রের বনবাসের পথ। তবে তিনি (শাস্ত্রী) দক্ষিণ থেকে উত্তরে আসছেন, এটাই পার্থক্য। গত বছরের ২০ জুলাই এই তীর্থযাত্রা শুরু করেন শাস্ত্রী। তীর্থপথের মাঝখানে প্রসিদ্ধ স্থান, যেখানে রামচন্দ্র শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের, সেখানেও গিয়েছেন তিনি। ওড়িশা রাজ্যের পুরী, মহারাষ্ট্রের ত্রিম্বক, গুজরাটের দ্বারকা এই সমস্ত তীর্থভূমি ঘুরে তিনি অযোধ্যার খুব কাছেই চলে এসেছেন। প্রতিদিন ৩৮ কিলোমিটার করে পথ হাঁটছেন।

    কী বলছেন চার্লা শ্রীনিবাস শাস্ত্রী?

    শাস্ত্রীর সঙ্গে রয়েছে রামের পাদুকা (Ram Mandir) ছাড়াও পঞ্চধাতুর রামের মূর্তি। নিজের মাথায় তিনি তা বয়ে চলেছেন। পঞ্চধাতুর মূর্তি তিনি প্রদান করতে চান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। প্রসঙ্গত, তাঁর এই যাত্রার বিষয়ে শাস্ত্রী বলেন, ‘‘আমার বাবাও অযোধ্যাতে করসেবায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ভগবান হনুমানের ভক্ত ছিলেন। তাঁরও স্বপ্ন ছিল অযোধ্যার ভূমিতে রাম মন্দির দেখে যাওয়া। কিন্তু তিনি বর্তমানে বেঁচে নেই। তাই আমি স্থির করলাম তাঁর স্বপ্নকে পূরণ করার।’’ বর্তমানে তিনি চিত্রকোটে রয়েছেন, যেখান থেকে অযোধ্যা দূরত্ব ২৭২ কিলোমিটার। শাস্ত্রীর সঙ্গে আরও পাঁচজন রয়েছেন, যাঁরা তাঁর সঙ্গে তীর্থযাত্রা করছেন। তবে প্রথমে তাঁর সঙ্গে যাত্রায় সামিল হয়েছিলেন ২০ জন। তাঁরা ফিরে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে অযোধ্যাতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান শাস্ত্রী এবং সেখানে একটি বাড়িও নির্মাণ করতে চাইছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: যোগী রাজ্যের জেলগুলিতেও সরাসরি সম্প্রচারিত হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠান

    Ram Mandir: যোগী রাজ্যের জেলগুলিতেও সরাসরি সম্প্রচারিত হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উত্তরপ্রদেশের সমস্ত জেলগুলিতেও সরাসরিভাবে সম্প্রচার করা হবে। শনিবারই এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন যোগী সরকারের কারামন্ত্রী ধরমবীর প্রজাপতি। সে রাজ্যের বন্দীরাও সরাসরি দেখতে পাবেন রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার মুহূর্ত। উত্তরপ্রদেশের কারামন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘রাজ্যে মোট এক লাখ পাঁচ হাজার বন্দী রয়েছে। তারাও দেশের নাগরিক। তাই তাদের এই অনুষ্ঠান থেকে বাদ দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করি। সরাসরি সম্প্রচার করা হবে জেলগুলিতে রাম মন্দির (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘যারা বন্দী হয়ে রয়েছে, তারা প্রত্যেকেই পেশাদার অপরাধী নয়। যখন কোনও ঘটনা ঘটে তখনই তারা অপরাধী হয়ে যায়। তাই পবিত্র অনুষ্ঠানের সময় এদের এক ঘরে করে রাখার কোনও মানে হয় না। সে কথা মাথায় রেখে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।’’

    বুথে বুথে সম্প্রচারিত হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

    অন্যদিকে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রাম জন্মভূমির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রতিটা বুথস্তরে সরাসরি ভাবে সম্প্রচারিত করবে করা হবে। ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন ৫০০ মিটার হেঁটে রাম লালাকে (Ram Mandir) কোলে করে তা গর্ভগৃহে স্থাপন করবেন নরেন্দ্র মোদি। মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে নানা সামাজিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছে বিজেপি।

    রাম মন্দিরের উদ্বোধনে প্রস্তুতি তুঙ্গে

    রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনকে ঘিরে প্রস্তুতিও তুঙ্গে চলছে। ইতিমধ্যে নিমন্ত্রিতদের কাছে পত্র পাঠানোর কাজ সম্পন্ন হচ্ছে জোর কদমে। নিমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন বলিউডের মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। জনপ্রিয় পরিচালক সুভাষ ঘাই, অক্ষয় কুমার সহ  অন্যান্যরা। পরিচালক সুভাষ ঘাই তাঁর আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়ে বলেছেন, ‘‘রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারব আমি, এটা ভেবে আমার খুব ভালো লাগছে। রাম মন্দিরের নির্মাণ শুধুমাত্র ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক দিক থেকে একটি মাইলস্টোন নয় বরং তা ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য এবং আধ্যাত্মিকতারও একটা মেলবন্ধন।’’ আমন্ত্রিতদের তালিকায় বলিউডের একাধিক শিল্পী রয়েছেন। এর পাশাপাশি দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তও আমন্ত্রিত রয়েছেন। বলিউডের শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন মাধুরী দীক্ষিত, অনুপম খের, অক্ষয় কুমার। এর পাশাপাশি পরিচালক রাজকুমার হিরানী, সঞ্জয় লীলা বানসালি, রোহিত শেঠি সমেত অন্যান্যরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share