Tag: Ram Navami

Ram Navami

  • Ram Navami: ‘‘যারা পাথর ছুড়েছিল, তাদের বুকের ওপর দাঁড়িয়ে রামনবমী করছি’’, হাওড়াতে হুঙ্কার সুকান্তর

    Ram Navami: ‘‘যারা পাথর ছুড়েছিল, তাদের বুকের ওপর দাঁড়িয়ে রামনবমী করছি’’, হাওড়াতে হুঙ্কার সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ধাতব অস্ত্র ছাড়াই সম্পন্ন হয় হাওড়ায় রামনবমীর (Ramnavami 2025) মিছিল। মিছিলের আয়োজন করেছিল অঞ্জনিপুত্র সেনা। সেখানেই যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সেই মিছিল থেকেই বিরোধীদের কার্যত হুঙ্কার দিলেন তিনি। তিনি বললেন, অতীতে যাঁরা তাঁদের মিছিলে বাধা দিয়েছিল, আজ তাঁদেরই বুকের ওপর দাঁড়িয়ে রামনবমী পালন করছেন তাঁরা!

    সুকান্ত মজুমদারের হুঁশিয়ারি (Ramnavami 2025)

    প্রসঙ্গত, সকাল থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্তে রামনবমীর মিছিল বের হয়। সব মিলিয়ে রবিবার কার্যত গেরুয়া রঙে ছেয়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য। অনেক জায়গার মতো হাওড়াতেও এদিন রামনবমীর মিছিল হয় এবং তাতেই যোগ দিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। গতবারই এই অঞ্চলে মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনেই তিনি বলেন, ‘‘গতবার যারা পাথর মেরেছিল, এবার তাদের বুকের ওপর দিয়ে হেঁটে আমরা রামনবমী করেছি। আমাদের যারা বাধা দেবে তাদের উচিত শিক্ষা এভাবেই দেওয়া হবে।’’

    নিশানা তৃণমূল কংগ্রেসকে

    অন্যদিকে রামনবমীর মিছিলে এবারেও সওকত মোল্লা ও কুণাল ঘোষদের হাঁটতে দেখা যায়। এনিয়ে সুকান্তর কটাক্ষ, ‘‘ভোটব্যাঙ্কের জন্য রামনবমী পালন করতে হচ্ছে শাসক শিবিরকে। এমনি সময় তো জয় শ্রীরাম স্লোগানে তাঁদের সমস্যা হয়। তবে আমরা শুরু থেকেই হিন্দু এবং রামনবমী পালন করে আসছে।’’ বিজেপি (Ramnavami 2025) নেতার কথায়, তিনি পাগল হিন্দু! যতদিন শরীরে শক্তি থাকবে, প্রতিবছর রামনবমী পালন করবেন।

    পুলিশের ওপর ভরসা নেই সুকান্তর (Sukanta Majumder)

    সুকান্ত অবশ্য পুলিশের ওপর বিশেষ ভরসা রাখতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুলিশ আমাদের থামাতে চায়। অথচ আমরা দেশের আইন মেনেই চলি। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই মিছিল হচ্ছে। তবুও অনেক জায়গায় পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করেছে তাঁদের।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘সরকার সবসময় রাজনৈতিক স্বার্থে কাজ করে।’’ প্রসঙ্গত, রামনবমী নিয়ে কয়েকদিন ধরেই চাপানউতোর চলছে রাজ্যের শাসক দল ও বিরোধী দলের সদস্যদের মধ্যে। এই আবহে রাজ্যজুড়ে রামনবমীর মিছিলে ঢল নামতে দেখা গেল।

  • Ram Navami: নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হল রামের পুজো, ইফতার পার্টির বদলি!

    Ram Navami: নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হল রামের পুজো, ইফতার পার্টির বদলি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতবার রামনবমী (Ram Navami) পালনের অনুমতি দিয়েও, পরে তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। আর এবার অনুমতিই মেলেনি। তবে রামনবমী পালন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন হিন্দু পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ। রবিবার তাঁরাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) ক্যাম্পাসে রামনবমী পালন করলেন ঘটা করে। রীতিমতো রামচন্দ্রের প্রতিমা বসিয়ে পুজোও হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনোলজি ভবনের নীচে দেওয়ালে লেখা ‘আজাদ কাশ্মীর’। তার পাশেই ব্যানার টাঙিয়ে দিল ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর মুখরিত হল ‘জয় শ্রীরাম’, ‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগানে।

    রামের পুজো (Ram Navami)

    বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রামনবমী পালনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। উপাচার্য নেই, এই ‘অজুহাতে’ অনুমতি দেওয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। তখনই হিন্দু ছাত্রগোষ্ঠী প্রশ্ন তুলেছিল, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যদি ইফতার পার্টির আয়োজন করা যায়, তাহলে রামনবমী পালন করা যাবে না কেন? সেই সময়ই তারা জানিয়েছিল, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে হবে রামের পুজো। সেই মতো এদিন সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভিড় করেছিলেন পড়ুয়ারা। ছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। সবার উপস্থিতিতেই পুজো হয় রামের।

    এবিভিপির বক্তব্য

    এবিভিপির কলকাতা জেলা সম্পাদক দেবাঞ্জন পাল বলেন, “ইফতার পার্টির আয়োজন করা গেলে ক্যাম্পাসে রামনবমী পালন করা যাবে না কেন?” তাঁর অভিযোগ, ‘ইফতার পার্টিতে কোনওরকমের নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করেই সবাইকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। আর এদিন আইকার্ড দেখে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, “আমরা তো শুধু আমাদের আরাধ্য ভগবান রামের (Ram Navami) আরাধনা করেছি। যাদবপুর তো পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নয়! এখানে যদি ইফতার বা সরস্বতী পুজো হতে পারে, তাহলে রামের পুজো নয় কেন?” এবিভিপির দক্ষিণবঙ্গের রাজ্য সম্পাদক অনিরুদ্ধ সরকার বলেন, “এর আগের বছরও আমরা শোভাযাত্রা করতে গিয়েছিলাম। বামেরা হামলা করেছিল। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম, যা-ই হোক না কেন, এবার আমরা করবই। করেওছি।”

    বামঘেঁষা যাদবপুরে সফলভাবে রামের পুজো হওয়ার ঘটনাটিকে বিশেষজ্ঞরা ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বলে অভিহিত করেছেন (Jadavpur University)। তাঁদের বক্তব্য, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রছাত্রীদের (Ram Navami) একটা অংশের মধ্যে এবিভিপির প্রভাব রয়েছে। এবার সেটাকেই সংগঠিত রূপ দিতে পেরেছে তারা।

  • Ram Navami: বাংলায় রামনবমী পালনে বাধা! মমতা সরকারকে তোপ বিজেপি নেতা মহসিন রাজার

    Ram Navami: বাংলায় রামনবমী পালনে বাধা! মমতা সরকারকে তোপ বিজেপি নেতা মহসিন রাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে রামনবমী পালনে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে একাধিক হিন্দু সংগঠন। এই আবহে তৃণমূল সরকারকে একহাত নিলেন বিজেপি (BJP) নেতা মহসিন রাজা। এনিয়ে মহসিন রাজা বলেন, ‘‘এটা সত্যিই খুব দুর্ভাগ্যজনক যে পশ্চিমবঙ্গের রামভক্তদের রামনবমী (Ram Navami) পালনের জন্য কোর্টের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। তার কারণ হল পশ্চিমবঙ্গে যে সরকার রয়েছে, তারা অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে ও রোহিঙ্গাদের থাকতে দিচ্ছে।’’

    মূর্তি তৈরিতেও বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে

    পশ্চিমবঙ্গে রামের মূর্তি তৈরি করতেও ভয় দেখানোর অভিযোগও উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। রামনবমীর (Ram Navami) এক উদ্যোক্তা বলছেন, ‘‘রামের মূর্তি তৈরির জন্য, এবার শিল্পী খুঁজতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। অনেকেই আমাদের মূর্তির অর্ডার নিতে চাইছিল না। কিন্তু শেষমেশ রুদ্র পাল নামের একজন আমাদের মূর্তি করছেন। অনেকেই নিতে চাইছে না। তাঁরা বলছেন এই সময় করতে পারব না। সরাসরি তো কেউ বলতে পারে না। কিন্তু যেটা বোঝা যাচ্ছে যে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। আমরা তো ৬ বছর ধরে পুজো করে আসছি কিন্তু এ বছর এখনও পর্যন্ত আমরা সিপি অফিস, পিডাব্লুডি অফিস, ডিএম অফিস, আমাদের লোকাল পুলিশ স্টেশন ও থানাগুলোতে ঘুরে যাচ্ছি। এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার করে আমাদের কোনও অনুমতি এখনও দেওয়া হয়নি।’’ কুমোরটুলির শিল্পী মালা পাল বলেন, ‘‘রামের অর্ডার এসেছিল। তা একটু রাজনীতির মধ্যে চলে গেছে বলে ওই জন্য রামটা আর এবছর করলাম না। মানে অনেকটা রাজনীতির মধ্যে চলে গেছে বলে অনেকে একটু নিতে ভয়ও পাচ্ছে। আমাদের এটা পেশা। বানাতেও ভয় লাগে। কে যে কী বলবে না বলবে।’’

    গোরক্ষপুরে কুমারী পুজো যোগী আদিত্যনাথের (Ram Navami)

    প্রসঙ্গত, রবিবার সকালেই অযোধ্যায় সূর্য তিলক অনুষ্ঠান হয় অযোধ্যায়। এই সূর্য তিলক অনুষ্ঠানে সূর্য রশ্মিকে রামলালার (Ram Navami) কপালে ফেলা হয়। এরপরেই রামলালার পুজো করেন পুরোহিতরা। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কন্যা পুজো করেন এদিন গোরক্ষনাথ মন্দিরে। এরপরে নিজের ভাষণে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ভারতীয় সংস্কৃতিতে মাতৃজাতির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। প্রসঙ্গত, এদিনই হল চৈত্র নবরাত্রির শেষ দিন।

  • Ram Navami: “প্রেতাত্মাদের রামের নাম সহ্য হয় না,” নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা সজল ঘোষের  

    Ram Navami: “প্রেতাত্মাদের রামের নাম সহ্য হয় না,” নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা সজল ঘোষের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমী (Ram Navami) উৎসব উপলক্ষে ব্যাপক উন্মাদনা রাজ্যে। রবিবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর মিছিল বেরনোর কথা। এদিন মধ্য হাওড়ার রামরাজাতলায় রামনবমীর শোভাযাত্রা (BJP) বের হয়। এই শোভাযাত্রার পুরোভাগে ছিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ।

    অস্ত্র মিছিলের পক্ষে সওয়াল সজলের (Ram Navami)

    রামনবমীতে অস্ত্র মিছিলের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। বলেন, “কোনও কোনও সময় ধর্মকে রক্ষা করতে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।” তৃণমূলকে নিশানা করে তিনি বলেন, “মানুষের মনে দাঙ্গার বীজ বপন করে দেওয়া হয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করেই তিনি বলেন, “তোষণের রাজনীতিই ওঁর কাল হবে। প্রেতাত্মাদের রামের নাম সহ্য হয় না।” এদিন সকালে মধ্য হাওড়ার কদমতলা এলাকা থেকেও একটি মিছিল হয় রামনবমী। মিছিল আসে রামরাজাতলায়, রামমন্দির পর্যন্ত।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

    রামনবমীতে অস্ত্র নিয়ে বেরলে কোনও সমস্যা নেই বলেই মনে করে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “রামনবমীতে অস্ত্র নিয়ে বেরবো, এতে সমস্যা কোথায়…ভগবান রামের ছবি তো অস্ত্র ছাড়া হয় না। ভগবান অস্ত্র নিয়ে না বেরলে এত রাক্ষসকে মারলেন কীভাবে?” তিনি বলেন, “নতুন রাক্ষসরা অস্ত্র দেখে ভয় পাচ্ছে। ভয় পাওয়ার কারণ নেই। বিনা কারণে অস্ত্র বেরোবে না।” তিনি বলেন, “রামের নামেই মুক্তি। তাই সকলে জয় শ্রীরাম বলুন। রামনবমী হলে অনেকের বুক দুরদুর করে। যাদের বুক দুরদুর করে, তারা যেন রাস্তায় না বের হয়।” দিলীপ বলেন, “রামের ইচ্ছেতেই এই জাগরণ।”

    অন্যদিকে, রামনবমী (Ram Navami) উপলক্ষে এদিন দেড় কোটি হিন্দুকে রাস্তায় নামার ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ছোটবড় মিলিয়ে এদিন রাজ্যে প্রায় আড়াই হাজার শোভাযাত্রা বের হওয়ার কথা। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ব্যাপক পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংবেদনশীল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে ১০ পুলিশ জেলা ও পুলিশ কমিশনারেটকে। এই সব এলাকার দায়িত্বে থাকছেন ২৯ জন আইপিএস। বড় মিছিলগুলির ওপর নজরদারি চালানো হবে ড্রোন দিয়ে। বিশেষ কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতি তদারকি (Ram Navami) করবেন খোদ এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম (BJP)।

  • PM Modi: দেশবাসীকে রামনবমীর শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির, অযোধ্যায় ভক্তের ঢল

    PM Modi: দেশবাসীকে রামনবমীর শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির, অযোধ্যায় ভক্তের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শুভেচ্ছা জানিয়ে দেশবাসীর জীবনে নতুন উদ্দীপনা কামনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “রামনবমী উপলক্ষে সমস্ত দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। ভগবান শ্রী রামের জন্মোৎসবের এই পবিত্র সময় যেন আপনাদের সকলের জীবনে নয়া চেতনা ও সজীব উদ্দীপনা আনে এবং একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ ও সক্ষম ভারত গঠনের সঙ্কল্পকে অবিরাম নতুন শক্তি প্রদান করে। জয় শ্রী রাম।” এদিন, রাম নবমী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী যাবেন তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমের রামনাথস্বামীর মন্দিরে। পরে সেখানে তিনি একটি সেতুর উদ্বোধন করবেন।

    দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতিরও

    দেশবাসীকে রামনবমীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “রামনবমীর পবিত্র উৎসবে দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। এই উৎসব ধর্ম, ন্যায় ও কর্তব্যবোধের বার্তা বহন করে।” তিনি লিখেছেন, “মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম মানবজাতির জন্য ত্যাগ, প্রতিশ্রুতি, সম্প্রীতি ও বীরত্বের সর্বোচ্চ আদর্শ (PM Modi) উপস্থাপন করেছেন। তাঁর সুশাসনের ধারণা, যা রামরাজ্য নামে পরিচিত, তা আদর্শ হিসেবে বিবেচিত। আমার শুভ কামনা যে এই শুভদিন উপলক্ষে সব দেশবাসী একটি উন্নত ভারত গঠনের জন্য একত্রিত হয়ে কাজ করার সঙ্কল্প গ্রহণ করবেন।”

    এদিকে, রামনবমী উপলক্ষে অযোধ্যার রাম মন্দিরে কার্যত ঢল নেমেছে ভক্তদের। সরযূ নদীতে স্নান সেরে পুণ্যার্থীরা লাইন দিয়েছেন দেবদর্শন করতে। ব্যাপক ভিড় হয়েছে অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দিরেও। এই মন্দিরের পুরোহিত মহন্ত রাজু দাস বলেন, “রামনবমী উপলক্ষে আমি সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। এদিন ভোর ৩টেয় মঙ্গল আরতি হয়েছে। রামনবমী উপলক্ষে মন্দিরে ব্যাপক ভক্ত সমাগম হয়েছে। ভক্তরা পুজো দিচ্ছেন। আজ ভগবান শ্রী রামের জন্মদিন। আমি সমস্ত ভক্তকে শুভকামনা জানাই। আমি বিশ্বের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করব।”

    এদিন ভোর থেকে বেলা ৯টা পর্যন্ত লাইনে ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন এক ভক্ত। তিনি বলেন, “এখানে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। ব্যবস্থাপনা খুব ভালো।” বারাণসী থেকে আসা আর এক পুণ্যার্থী বলেন, “আমি রামনবমী (Ram Navami) উপলক্ষে শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরে পুজো দিতে এসেছি। খুব ভালো লাগছে। দেবদর্শনের পর মনে প্রশান্তি এসেছে (PM Modi)।”

  • Ram Navami: একাধিক শুভ যোগ রাম নবমীতে, কোন কোন রাশির ভাগ্য ফিরছে?

    Ram Navami: একাধিক শুভ যোগ রাম নবমীতে, কোন কোন রাশির ভাগ্য ফিরছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবছর চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের নবমী তিথিতে পালিত হয়ে রাম নবমী (Ram Navami)। জ্য়োতিষীরা বলছেন, ২০২৫ সালের রাম নবমীতে (Ram Navami 2025) বিরলযোগ তৈরি হয়েছে। যা অত্যন্ত শুভ ফল দায়ী। এদিনে শ্রীরামের পুজো করলে ভক্তদের মনোবাসনা পূরণ হবে বলে জানাচ্ছেন জ্যোতিষীরা। জানা যাচ্ছে এবারের রাম নবমীতে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ, অমৃত সিদ্ধি যোগ ও রবি যোগ- এই তিন যোগ তৈরি হয়েছে। অত্যন্ত বিরল এই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। এই সময় যেকোনও শুভ কাজ করলে, মিলবে শুভ ফল, আসবে টাকা।

    রবি পুষ্য যোগের কাকতালীয় সংযোগ ১৩ বছর পরে

    জ্যোতিষীরা জানাচ্ছেন, রাম নবমীতে (Ram Navami) রবি পুষ্য যোগের কাকতালীয় সংযোগের ঘটনা একেবারে ১৩ বছর পর ঘটছে। পুষ্য নক্ষত্রকে সৌভাগ্য এবং সম্পদ এর নক্ষত্র বলে মানা হয়। এর শুভ প্রভাবে বিপুল লক্ষ্মীলাভ হয়। বৃষ, মকর ও কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকারা রাম নবমীতে রবি পুষ্য নক্ষত্রের শুভ প্রভাবের সুবিধা পাবেন। এরফলে চাকরি পাওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

    রামনবমীর পুজোর শুভ সময়

    চলতি বছর চৈত্র মাসের শুক্লাপক্ষের নবমী (Ram Navami) তিথি শুরু হয়েছে ৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭ টা ২৬ মিনিট থেকে। চলবে আজ রবিবার ৬ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭ টা ২২ মিনিট পর্যন্ত। রাম নবমীতে রামলালার পুজোর শুভ সময় হল সকাল ১১ টা ০৮ মিনিট থেকে দুপুর ১ টা ৩৯ মিনিট পর্যন্ত। শাস্ত্রবিদরা বলছেন, রাম নবমীর (Ram Navami 2025) দিনে নিয়ম মেনে পুজো করলে জীবনে সফলতা চলতেই থাকবে। এতে আপনার আর্থিক দিকে যথেষ্ট লাভ হবে। রাম নবমীর দিন সকালে উঠেই প্রথমে বাসি ঘর পরিষ্কার করুন। তারপরে স্নান করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জামা কাপড় পরুন। এরপর বাড়ির কাছে রামের মন্দিরে যান। এই বিশেষ দিনে রামের পাশাপাশি সীতা, লক্ষণ ও হনুমানজির পুজো করুন।

  • Ram Navami: ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে আবির্ভূত হন বিষ্ণুর সপ্তম অবতার, জানুন রাম নবমীর মাহাত্ম্য

    Ram Navami: ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে আবির্ভূত হন বিষ্ণুর সপ্তম অবতার, জানুন রাম নবমীর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব রাম নবমী (Ram Navami 2025)। ধর্মীয় ধারণা অনুযায়ী এই তিথিতে রামচন্দ্রের জন্মোৎসব পালিত হয়। শাস্ত্র মতে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাম। তাই এই তিথিটি রাম নবমী নামে পরিচিত। এ বছর চৈত্র মাসের শুক্লাপক্ষের নবমী (Ram Navami) তিথি শুরু হয়েছে ৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭ টা ২৬ মিনিট থেকে। চলবে আজ রবিরার ৬ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭ টা ২২ মিনিট পর্যন্ত। রাম নবমীতে পুজোর শুভ সময় হল সকাল ১১ টা ০৮ মিনিট থেকে দুপুর ১ টা ৩৯ মিনিট পর্যন্ত।

    রাম নবমীর গুরুত্ব

    শাস্ত্র মতে ভগবান বিষ্ণু বিভিন্ন যুগে নানা অবতারে মর্তে আবির্ভুত হয়েছিলেন। ত্রেতা যুগে তিনি ভগবান রামের (Ram Navami 2025) অবতারে অযোধ্যার রাজা দশরথ ও রানি কৌশল্যার ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন। সংসারকে নানা বিষয়ে শিক্ষাদান করতেই তিনি মর্তে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। অধর্মকে নাশ করে ধর্মকে স্থাপন করা, অশুভ শক্তির বিনাশ করে শুভশক্তি সূচনাই হল রাম নবমীর (Ram Navami 2025) মূল উদ্দেশ্য। প্রাচীন ভারতের হিন্দু ধর্মগ্রন্থনুযায়ী ভগবান বিষ্ণু হলেন বিশ্ব সংসারের পালক। বিশ্ব সংসারের সকল মানুষকে ন্যায়পরায়ণতা ও সত্যের পথ প্রদর্শন করতে এবং মিথ্যার উপর সত্যের জয় প্রতিষ্ঠা করতে শিখিয়েছেন ভগবান রাম। ভগবান রামের উল্লেখ যে শুধুমাত্র প্রাচীন ধর্ম গ্রন্থে পাওয়া যায় তা নয়, জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থেও শ্রীরামের উল্লেখ রয়েছে।

    কেন পালন করা হয় রাম নবমী

    রাম নবমী (Ram Navami 2025) হিন্দুধর্মের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। মন, প্রাণ ও দেহকে পবিত্র করার জন্য এই উৎসবটি পালন করা হয়। অশুভ শক্তির অপসারণ ও ঐশ্বরিক শক্তির আগমনের জন্য রামনবমী উৎসব পালিত হয়। ভগবান রাম অত্যাচারী রাক্ষসরাজ রাবণকে বধ করার জন্য পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শত্রুদের বিনাশ করে, অধর্মকে ধ্বংস করে পৃথিবীতে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শ্রীরাম। তিনি তাঁর পিতার নির্দেশে রাজবাড়ির ঐশ্বর্য ও প্রাচুর্য ত্যাগ করে বনবাসী হয়েছিলেন। পিতৃসত্য পালনের জন্য চোদ্দ বছর বনবাসে থেকে তিনি রাবণকে বধ করে অযোধ্যায় ফিরেছিলেন। এই চোদ্দ বছর শ্রীরামের জীবনে নানা ঝড়, বাধা, বিপত্তির, ঘাত-প্রতিঘাত সহ প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে থেকেও তিনি নিজ লক্ষ্যে স্থির ছিলেন। তাঁর রাজ্যে প্রজারা সুখে শান্তিতে বাস করত এবং সেই রাজ্যের সমৃদ্ধি ও ন্যায়বিচার অব্যাহত ছিল। এই জন্য রামের শাসনের অনুসরণে সুশাসিত রাজ্যকে ‘রামরাজ্য’ বলা হয়।

    কীভাবে পালন করবেন রাম নবমী

    চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের ব্রহ্ম মুহূর্তে উঠে রাম ও সীতাকে প্রণাম করে দিন শুরু করুন। ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে বাড়ির প্রবেশদ্বারে আমপাতার তোরণ টাঙান। রঙ্গোলি বানাতে পারেন। এই তিথিতে ধ্বজা লাগানো শুভ। এর পর স্নান করে ব্রতর সংকল্প গ্রহণ করুন। এই তিথিতে হলুদ রঙের নতুন পোশাক পরে পুজো করা শুভ ফলদায়ী। এর পর সূর্যকে জলের অর্ঘ্য প্রদান করুন। ঠাকুরঘরে একটি চৌকিতে লাল বা হলুদ আসন বিছিয়ে রাম পরিবারের প্রতিমা বা ছবি স্থাপন করুন। এর পর আহ্বান মন্ত্র উচ্চারণ করে রামচন্দ্রের ধ্যান করুন। পঞ্চোপচার নিয়মে রাম, লক্ষ্মণ, সীতা ও বজরংবলীর পুজো করুন। এ সময়ে রাম চালিসা বা রাম স্তোত্র পাঠ করতে ভুলবেন না। অবশেষে আরতী করে রামচন্দ্রের কাছে সুখ-সমৃদ্ধি ও ধন লাভের প্রার্থনা করুন।

    ধর্মের প্রতিষ্ঠা

    এই উৎসবের দিন সকালে হিন্দুদের আদি দেবতা সূর্য দেবকে জল প্রদান করে, সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী সূর্য দেবতার আশীর্বাদ গ্রহণ করা হয়। রাম নবমী (Ram Navami 2024) উপলক্ষ্যে ধার্মিক ব্যক্তিরা সমগ্র দিন জুড়ে বৈদিক মন্ত্র পাঠ করেন।  এই দিনটিতে রাম কথার বর্ণনা করে, রাম কাহিনী পড়ে দিনটি পালন করা হয়। অনেকে মন্দিরে যান, অনেকে বাড়িতে রামের মূর্তিতে পুজো করেন। এদিন মন্দ শক্তিকে পরাজিত করে ভালোর প্রতিষ্ঠা করা হয়, অর্ধমকে নিক্ষেপ করে ধর্মের প্রতিষ্ঠা করা হয়। এদিন নিষ্ঠা নিয়ে পুজো করলে মনের অনেক আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়। ভগবানের কৃপায় সব ধরনের সংকট থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। অনেকে রাম নবমীর দিন ভগবান রামের সঙ্গেই দেবী দুর্গারও পুজো করেন।

    শপথ নেওয়ার দিন রাম নবমী (Ram Navami)

    ভগবান বিষ্ণুর সপ্তম অবতার রাম। হিন্দুধর্মে রাম অন্তঃহীন প্রেম, সাহস, শান্তি, শক্তি, ভক্তি, কর্তব্য ও মূল্যবোধের দেবতা। তিনি শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মেরই নন। তিনি হলেন ভারতীয় ভূখণ্ডের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। এই ঐতিহ্যকে ভাগ করা সম্ভব নয়। রামের নাম ভারতে বসবাসকারী কোটি কোটি নাগরিককে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত করে। বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক চেতনার মহান দূত হলেন ‘শ্রীরাম’। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, ‘রামচন্দ্র হলেন আদর্শ পুত্র, আদর্শ স্বামী, আদর্শ পিতা সর্বোপরি আদর্শ নৃপতি’। তাই শ্রীরামচন্দ্রের জন্মদিনটি ভারতবাসী তথা হিন্দুদের কাছে পবিত্র দিন, শপথ নেওয়ার দিন। ‘রাম নবমী’ (Ram Navami 2025) উৎসব হল মিলনের উৎসব, ভালোবাসার উৎসব, পবিত্রতার উৎসব, সত্য ও ধর্মস্থাপনের উৎসব।

  • Ram Navami: মমতা জমানায় রামনবমী পালনে বাধা? মূর্তি তৈরিতে ভয় পাচ্ছেন শিল্পীরা, বিধিনিষেধে জেরবার উদ্যোক্তারা

    Ram Navami: মমতা জমানায় রামনবমী পালনে বাধা? মূর্তি তৈরিতে ভয় পাচ্ছেন শিল্পীরা, বিধিনিষেধে জেরবার উদ্যোক্তারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রামনবমী। দেশ জুড়ে ভক্তরা মেতে উঠবেন শ্রী রামের আরাধনায় (Ram Navami)। পশ্চিমবঙ্গের রামনবমী নিয়েও চড়ছে রাজনীতির পারদ। এই আবহে মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে রামনবমীর শোভাযাত্রায় বাধা দেওয়ার। স্বরাজ্য পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরকার হিন্দু সংগঠনগুলির ওপর ব্যাপক বিধিনিষেধ জারি করেছে রামনবমী পালনের বিষয়ে। এক বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীর কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার কখনও চায় না যাতে আমরা রামনবমী পালন করতে পারি।’’

    হুমকি-হুঁশিয়ারি কুমোরটুলিতে! কী বলছেন শিল্পী?

    এদিকে হুমকি ও ভয়ের কারণে কুমোরটুলির শিল্পীরা রামের (Ram Navami) মূর্তি তৈরি করতে ভয় পাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কুমোরটুলির শিল্পী মালা পাল বলেন, ‘‘রামের অর্ডার এসেছিল। তা একটু রাজনীতির মধ্যে চলে গেছে বলে ওই জন্য রামটা আর এবছর করলাম না। মানে অনেকটা রাজনীতির মধ্যে চলে গেছে বলে অনেকে একটু নিতে ভয়ও পাচ্ছে। আমাদের এটা পেশা। বানাতেও ভয় লাগে। কে যে কী বলবে না বলবে।’’

    কী বলছেন রামনবমীর (Ram Navami) উদ্যোক্তা

    রামনবমীর (Ram Navami) এক উদ্যোক্তা বলছেন, ‘‘রামের মূর্তি তৈরির জন্য, এবার শিল্পী খুঁজতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। অনেকেই আমাদের মূর্তির অর্ডার নিতে চাইছিল না। কিন্তু শেষমেশ রুদ্র পাল নামের একজন আমাদের মূর্তি করছেন। অনেকেই নিতে চাইছে না। তাঁরা বলছেন এই সময় করতে পারব না। সরাসরি তো কেউ বলতে পারে না। কিন্তু যেটা বোঝা যাচ্ছে যে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। আমরা তো ৬ বছর ধরে পুজো করে আসছি কিন্তু এ বছর এখনও পর্যন্ত আমরা সিপি অফিস, পিডাব্লুডি অফিস, ডিএম অফিস, আমাদের লোকাল পুলিশ স্টেশন ও থানাগুলোতে ঘুরে যাচ্ছি। এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার করে আমাদের কোনও অনুমতি এখনও দেওয়া হয়নি।’’

    ভক্তিমূলক গান খুব জোরে বাজানো যাবে না

    স্বরাজ্য পত্রিকার মতে, রামনবমী সমাবেশে যাঁরা উদ্যোক্তা এবং আয়োজক তাঁদের কাছ থেকে প্রশাসনের কর্তারা প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন। যেকোনও শোভাযাত্রায় ২০০ জনের বেশি রামভক্ত অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এর পাশাপাশি শ্রীরামের পতাকা উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত লাঠি যেন লম্বা না হয়। কোনও অস্ত্র যেন না থাকে সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। স্বরাজ্য পত্রিকা আরও লিখছে, রামনবমীর সমাবেশগুলি সেই সমস্ত রাস্তা দিয়ে যেতে দেওয়া হবে না যেখানে মসজিদ রয়েছে। এর পাশাপাশি, একাধিক রামনবমীর শোভাযাত্রাকে একত্রিত হতে দেওয়া হবে না। পুলিশ নির্ধারিত রুটগুলিকে কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। মিছিল চলাকালীন ভক্তিমূলক গান খুব জোরে বাজানো যাবে না। এমনও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে স্বরাজ্য পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে।

    কী বলছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতা, হাওড়া, বর্ধমান, শিলিগুড়ি সমেত রাজ্যের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রামনবমীর সমাবেশের আয়োজকদেরকে প্রশাসন তলব করেছে। তাঁদের বলা হয়েছে, সমাবেশের আকার যেন খুব বড় না হয়। সেই জন্য তাদের ওপরে চাপ প্রয়োগ করারও অভিযোগ উঠেছে। স্বরাজ্য পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক নেতা। যিনি উত্তর কলকাতার একটি বড় রামনবমীর (Ram Navami) আয়োজক। তিনি বলেন, ‘‘এত বিধি নিষেধ এবং সতর্কতা দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে রাজ্য প্রশাসন কখনও চায় না আমরা যাতে রামনবমী উদযাপন করি। প্রশাসনের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে সমাবেশ চলাকালীন কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী করা হবে আয়োজকদের।’’

    বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস, অভিযোগ শুভেন্দুর

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, গত ২৬ মার্চ হিংসা ছড়ায় মালদার মোথাবাড়িতে। এ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্বরাজ্য পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘মোথাবাড়ির এই অঞ্চলগুলিতে এবং রাজ্যের অন্যান্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে অবৈধ বাংলাদেশি মুসলিমদের ব্যাপক অনুপ্রবেশের ফলে জনবিন্যাসের পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সকলেই জানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার এবং অতীতের বামফ্রন্ট সরকার এদেরকে (বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারী) ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে।’’

    শঙ্খ বাজানো, ঢোল বাজানোতে আপত্তি তুলছে মৌলবাদীরা, অভিযোগ দিলীপের

    শুভেন্দু অধিকারীর মতো একই অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গের মৌলবাদীরা হিন্দুদের ধর্মীয় শোভাযাত্রার বিষয়ে নানা জায়গায় আপত্তি জানাচ্ছে। একইসঙ্গে শঙ্খ বাজানো, ঢোল বাজানো, ঘণ্টা বাজানো, ভজন-কীর্তন করা এ বিষয়ে তাদের (মৌলবাদীদের) আপত্তি রয়েছে। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে নিশানা করেন এবং তিনি বলেন, ‘‘সংখ্যালঘুদের তোষণ করতেই ব্যস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।’’

  • Ram Navami in Ayodhya: ড্রোন দিয়ে ভক্তদের উপর ছেটানো হবে সরযূর জল, ২ লক্ষ প্রদীপের আলোয় ঝলমলে রামনবমীর অযোধ্যা

    Ram Navami in Ayodhya: ড্রোন দিয়ে ভক্তদের উপর ছেটানো হবে সরযূর জল, ২ লক্ষ প্রদীপের আলোয় ঝলমলে রামনবমীর অযোধ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার রামনবমী। পালিত হবে রামলালার জন্মদিন। তার আগে সেজে উঠছে অযোধ্যা (Ram Navami in Ayodhya)। লক্ষাধিক ভক্তের ভিড়ে সরগরম সরযূ নদীর ধার। অযোধ্যায় রামনবমী উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। ত্রেতা যুগে অযোধ্যায় সূর্যবংশীয় রাজা দশরথ এবং রানী কৌশল্যার পুত্র রূপে, পবিত্র চৈত্র শুক্ল নবমী তিথিতে ভগবান বিষ্ণুর অবতার রূপে শ্রীরামচন্দ্র অধর্মের বিনাশ এবং ধর্ম স্থাপনের উদ্দেশ্যে ধরাধামে অবতীর্ণ হন। তাই চৈত্র শুক্ল নবমী তিথিটি হিন্দুদের কাছে পবিত্র রামনবমী হিসাবে খ্যাত। রামজন্মভূমি অযোধ্যা এই সময় আনন্দে মেতে ওঠে।

    সেজে উঠেছে পথ-ঘাট

    রামনবমী (Ram Navami in Ayodhya) উপলক্ষে সাজ সাজ রব অযোধ্যায়। শহরের প্রধান মন্দির এবং রাস্তাগুলি বর্ণিল ফুল ও আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে, যা ভক্তদের মনে আনন্দের সঞ্চার করছে।​ চলতি বছর রামনবমী পালিত হবে ৬ এপ্রিল রবিবার। এই দিনে ভগবান শ্রী রামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ভক্তরা বিশেষ পুজো ও উপবাস পালন করেন। পূজার শুভ মুহূর্ত বেলা ১১টা ০৮ থেকে দুপুর ১টা ৩৯ পর্যন্ত নির্ধারিত হয়েছে। রামনবমী উপলক্ষে এদিন ১৮ ঘণ্টা ধরে ভক্তরা রামলালার মূর্তি দর্শন করতে পারবেন। ২০ লাখ ভক্ত সমাগম হবে, বলে মনে করছে অযোধ্যা মন্দির ট্রাস্ট।

    ড্রোন দিয়ে সরযূর জল

    রামনবমী উপলক্ষে অযোধ্যার (Ram Navami in Ayodhya) শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দির বিশেষভাবে সজ্জিত হয়েছে। মন্দিরের প্রধান ফটক ও গর্ভগৃহে ভগবান রামের সিংহাসনকে আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো হয়েছে, যা ভক্তদের মধ্যে ভক্তি ও উচ্ছ্বাস বাড়িয়ে তুলেছে।​ সমগ্র অযোধ্যা শহরটি উৎসবের রঙে রঙিন হয়েছে। রাস্তায় ঝলমলে আলোকসজ্জা, পরিষ্কার ও প্রশস্ত রাস্তা, সরযূ নদীর তীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। ভক্তদের উপর সরযূর জল ছেটানোর জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হবে। অযোধ্যার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চন্দ্র বিজয় সিং শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, “রাম নবমীতে আগত ভক্তদের উপর সরযূ নদীর পবিত্র জল ছেটানো হবে। এর জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হবে। মা সরযূর প্রতি ভক্তদের গভীর বিশ্বাসের কথা মাথায় রেখে এই আয়োজন করা হয়েছে। এটি প্রযুক্তি এবং ঐতিহ্যের এক অনন্য সঙ্গম।”

    দুই লক্ষ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন

    উত্তরপ্রদেশ সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রামনবমী (Ram Navami in Ayodhya) উপলক্ষে দুই লক্ষেরও বেশি প্রদীপ জ্বালানো হবে সরযূর তীরে। এই দীপোৎসব কেবল আধ্যাত্মিকতার প্রতীকই নয়, পর্যটকদের জন্য একটি অনন্য দৃশ্যও উপস্থাপন করবে। এ ছাড়া, অষ্টমীর দিন কনক ভবন থেকে একটি ঐতিহ্য পদযাত্রার আয়োজন করা হবে, যা রাম কথা পার্কে শেষ হবে। রাম কথা পার্কে নৃত্য, সঙ্গীত এবং নাটকের মতো পরিবেশনা সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন স্থানে ভজন ও কীর্তনের ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে, যা ভক্তদের মনে ভক্তি ও আনন্দের সঞ্চার করছে।​

    সূর্যতিলক কখন

    এইদিন পুজোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আচারগুলির মধ্যে একটি হল সূর্য তিলক। সূর্যের রশ্মি দিয়ে রামলালা মূর্তির প্রতীকী অভিষেক করা হয় বছরের এই দিনে। গত বছর, অযোধ্যায় (Ram Navami in Ayodhya)  নব উদ্বোধন হওয়া রাম মন্দিরে প্রথমবারের মতো এই ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল গোটা বিশ্ব। এই ঘটনাকে সূর্যের আশীর্বাদের প্রতীক বলে ধরে নেওয়া হয়। যেহেতু রামচন্দ্র সূর্যবংশী রাজবংশের বংশধর তাই এই সূর্য তিলকের আয়োজন। এই অনুষ্ঠান কেবল তিলকের আকারে সূর্যের শক্তির শারীরিক রূপকেই সম্মান করে না বরং রামের মধ্যে বিদ্যমান সূর্যের গুণাবলী – তেজ, শক্তি এবং নির্দেশনার মূর্ত প্রতীক। রাম নবমীর দিন ঠিক দুপুর ১২টায় সূর্য তিলকের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। সূর্য দেবতার আশীর্বাদের প্রতীক হিসেবে সূর্যের আলো সরাসরি দেবতার কপালে পড়ার জন্য এই নির্দিষ্ট মুহূর্তটি বেছে নেওয়া হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি প্রায় ৫ মিনিট স্থায়ী হবে।

    বিপুল ভক্ত-সমাগমের প্রস্তুতি

    রামনবমী উপলক্ষে অযোধ্যায় (Ram Navami in Ayodhya) বিপুল ভক্ত সমাগম আশা করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। যাতে দর্শনার্থীরা কোনও ধরণের অসুবিধার সম্মুখীন না হন, তাই জন্য বিভিন্ন স্থানে ভাণ্ডার, পানীয় জল, স্বাস্থ্য শিবির এবং শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মানুষকে গরমের ক্লান্তি থেকে মুক্তি দিতে শহরের বিভিন্ন স্থানে চটির আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে থাকছে ঠান্ডা জলের ব্যবস্থা। এর আগে, উত্তরপ্রদেশ সরকার বলেছিল যে ভক্তদের সুবিধার্থে, শৃঙ্গারহাট থেকে রাম পথের ৩ নম্বর গেট পর্যন্ত মাদুর বিছানো হবে এবং নিয়মিত জল ছিটানো হবে। ধর্মপথের পাশে ছায়াযুক্ত অস্থায়ী শিবির স্থাপন করা হবে এবং ২৪৩টি স্থানে পানীয় জলের সুবিধা প্রদান করা হবে। ধর্মপথ, রামপথ, ভক্তিপথ, আরতি ঘাট, চৌধুরী চরণ সিং ঘাট এবং দর্শন পথ সহ গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলিতে তিন-পর্যায়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভক্তদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে রাম মন্দির ট্রাস্ট দর্শনের সময়কাল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্দির প্রাঙ্গণে ভিড় ব্যবস্থাপনার জন্য অতিরিক্ত কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও, শহরের বিভিন্ন স্থানে স্টল স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে স্থানীয় খাবার এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে। আরেকটি আকর্ষণ হবে সরস মেলা, যেখানে সারা দেশের হস্তশিল্প এবং ঐতিহ্যবাহী পণ্য প্রদর্শিত হবে। এখানে স্থানীয় কারিগরদের শিল্প প্রদর্শন করা হবে। রামনবমীর দিন যাঁরা অযোধ্যায় উপস্থিত হতে পারবেন না, তারা প্রসার ভারতীর সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে এই উৎসব উপভোগ করতে পারবেন।

  • Amitabh Bachchan: রামনবমীতে অযোধ্যায় ‘রামকথা’ শোনাবেন অমিতাভ বচ্চন! কখন, কোথায় দেখতে পাবেন জেনে নিন

    Amitabh Bachchan: রামনবমীতে অযোধ্যায় ‘রামকথা’ শোনাবেন অমিতাভ বচ্চন! কখন, কোথায় দেখতে পাবেন জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমী (Ram Navami) উপলক্ষে অযোধ্যায় ‘রামকথা’ (Ram Katha) শোনাবেন বলিউড শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। যে অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকবে গোটা দেশ। রামলালার প্রতি তাঁর অগাধ শ্রদ্ধা, ভক্তি, প্রেম। মন্দির প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই ঘন ঘন অযোধ্যায় পাড়ি দিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। রামলালার টানে একাধিক জমিও কিনেছেন অযোধ্যা নগরীতে। রামলালার জন্য গড়িয়ে দিয়েছেন সোনার হারও।

    রাম-নামে বিভোর অমিতাভ

    রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে ছেলে অভিষেক বচ্চনকে নিয়ে সশরীরে হাজিরও হয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। তারকাদের ভিড়ে একমাত্র বিগ বি’র সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কুশলমঙ্গল বিনিময় করতে দেখা গিয়েছিল। এবার রামনবমীর পুণ্যতিথিতে রামকথা পাঠ করার গুরুদায়িত্ব পড়ল বিগ বি’র কাঁধে। জানা গিয়েছে, এপ্রিল মাসের ৬ তারিখ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান হবে। জিও হটস্টার-এ লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন কোটি কোটি মানুষ। বিগ বি শিশুদের সঙ্গে একটি ইন্টারেক্টিভ সেশনও পরিচালনা করবেন, সেখানে রামায়ণের কিছু নির্বাচিত গল্প আরও আকর্ষণীয় ভাবে তাদের সামনে তুলে ধরা হবে। তাছাড়াও আযোধ্যার বিশেষ পুজো এবং মন্দিরগুলিতে অনুষ্ঠানের নানা দৃশ্য তুলে ধরা হবে। ভদ্রাচলম, পঞ্চবটি, চিত্রকূট এবং আযোধ্যার আরতি, ভজন দেখানো হবে। তাছাড়াও কৈলাশ খের এবং মালিনী অবস্থি সহ জনপ্রিয় শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।

    বিরাট সম্মান, বললেন বিগ বি

    এই পবিত্র অনুষ্ঠানে এহেন গুরুভার পেয়ে নিজের অনুভূতি ভাগ করে নিয়েছেন বিগ বি (Amitabh Bachchan)। সিনিয়র বচ্চনের কথায়, “এমন পবিত্র অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া জীবনের এক বিরাট সম্মান। রামনবমী শুধু উৎসব নয়, এক গভীর প্রতিফলনের মুহূর্ত। শ্রীরামের ধর্ম, ভক্তি এবং আদর্শ উদযাপনের সময়। প্রযুক্তির আশীর্বাদে জিও হটস্টার-এর দৌলতে সারা দেশ এদিন সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মিকতার এক অভূতপূর্ব উদযাপনে একত্রিত হবে।” প্রসঙ্গত, প্রতি বছর চৈত্র নবরাত্রির শেষ দিনে ভারত জুড়ে রাম নবমী উদযাপিত হয়। এদিন ভগবান রামের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়।

LinkedIn
Share