Tag: Ram

Ram

  • Ram Mandir: পৃথিবীর অর্ধেক বয়সের ইতিহাসের সাক্ষী রামলালার শরীরের পাথর!

    Ram Mandir: পৃথিবীর অর্ধেক বয়সের ইতিহাসের সাক্ষী রামলালার শরীরের পাথর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রস্তর কুঁদে তৈরি হবে তাঁর মূর্তি। তাই শালগ্রাম শিলা যে পাথরের হয়, অযোধ্যায় ভগবান রামের মূর্তি গড়তে সেই পাথর পাঠানো হয়েছিল তাঁর শ্বশুরবাড়ির দেশ নেপাল থেকে। তবে মূর্তি তৈরি করতে গিয়ে দেখা গেল, বারে বারে ফেটে যাচ্ছে সেই শিলা (Ram Mandir)। অগত্যা দেশীয় শিলা কুঁদেই তৈরি হল রামলালার মূর্তি।

    ‘রাম-শিলা’

    সোমবার মহা সমারোহে প্রাণপ্রতিষ্ঠাও হল সেই প্রস্তরমূর্তির। প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন প্রধান যজমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানা গিয়েছে, অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে যে মূর্তি শোভা পাচ্ছে, সেই ৫১ ইঞ্চির মূর্তি তৈরি হয়েছে বিশেষ ধরনের কালো গ্রানাইট পাথর থেকে। মন্দির কর্তৃপক্ষ এই পাথর আনিয়েছিলেন কর্নাটক থেকে। যে শিলা থেকে একটু একটু করে গড়ে উঠেছে ভগবান রামের বালক মূর্তি, সেই পাথর ২৫০ কোটি বছরের পুরানো। বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইনসস্টিটিউট অফ রক মেকানিক্সের ডিরেক্টর এইচএস ভেঙ্কটেশই জানাচ্ছেন শিলার বয়স। মূর্তি (Ram Mandir) খোদাইয়ের আগে এই প্রতিষ্ঠানেই পরীক্ষা করা হয়েছিল শিলার বয়স। তখনই জানা যায় প্রস্তরখণ্ডটির প্রাচীনত্ব সম্পর্কে। ভেঙ্কটেশ বলেন, “এই পাথর দারুন টেকসই। জলবায়ুর পরিবর্তন সহনশীল। সাধারণভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করলেই হাজার বছর টিকে থাকবে।”

    রাম মন্দির

    যে মন্দিরে ২২ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন ভাগবান রাম, সেই মন্দিরটিও তৈরি হয়েছে সব চেয়ে দামি পাথরে। আধুনিক বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে মন্দিরের আয়ু বাড়াতে। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ বলেন, “মন্দিরের আয়ু যাতে হাজার বছর হয়, সেভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে।” বিগ্রহের পাথর আনা হয়েছে মাইসুরু জেলার জয়াপুরা হোবলি জেলা থেকে। ভারতের এই অঞ্চলেই মেলে সব চেয়ে উচ্চ মানের গ্রানাইট পাথর। পাথরটি প্রাক ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের। চারশো কোটি বছর আগে সূচনা হয়েছিল যে যুগের।

    আরও পড়ুুন: রেশন বিলি মামলায় শঙ্করের ভাই মলয়কে ফের তলব ইডির

    ধরা হয় পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল সাড়ে চারশো কোটি বছর আগে। প্রস্তর বিশেষজ্ঞদের মতে, যে শিলায় রামলালার মূর্তি খোদাই হয়েছে, সেটি পৃথিবীর অর্ধেক বয়সের ইতিহাসের সাক্ষী। পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব ঘটে প্রায় ১.৪ কোটি বছর আগে। আর আজ যে মানুষ আমরা দেখছি, সেই হোমো সাপিয়েন্সের আবির্ভাব মাত্র তিন লক্ষ বছর আগে। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীতে (Ram Mandir) প্রাণের সৃষ্টি হয়েছিল ৪০০ কোটি বছর আগে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “আমাদের প্রভু রাম এলেন”, প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান শেষে বললেন মোদি

    PM Modi: “আমাদের প্রভু রাম এলেন”, প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান শেষে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনগরী অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠিত হলেন রামলালা। প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে (PM Modi) সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনুষ্ঠান শেষে মন্দির থেকে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রভু রাম এলেন।” পরে এক জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর আগে বক্তৃতা করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, মোহন ভাগবত।

    ‘ভগবান এলেন’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি গর্ভগৃহে ছিলাম। এই ঐশ্বরিক মুহূর্ত দেখে আবেগে আমার গলা ধরে আসছিল। এতদিনের অপেক্ষার পর ভগবান রাম আমাদের কাছে এলেন। মনে রাখবেন, আমাদের প্রভু রাম তাঁবুতে থাকবেন না। এতদিনে সেই অপেক্ষার অবসান হল। শুধু এ দেশের মানুষরা নন, গোটা পৃথিবীর রামভক্তরা আজ অনুষ্ঠানটি দেখছেন।” তিনি বলেন, “আমাদের নিশ্চিত কোনও একটা ত্রুটি ছিল। যাঁর জন্য প্রভু শ্রীরামকে অপেক্ষা করতে হয়েছে। কিন্তু আমাদের সেই অপেক্ষার দিন শেষ হয়েছে। ২২ জানুয়ারি নতুন সূর্যের কিরণ এসেছে। হাজার হাজার বছর পরেও আজকের দিনের কথা আলোচিত হবে। আমি বিচার ব্যবস্থার কাছেও কৃতজ্ঞ। তাঁরা আইনের মান রেখেছেন।”

    তাঁবুতে নয়, মন্দিরে থাকবেন রামলালা

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকের দিনে উৎসব পালিত হচ্ছে দেশের প্রতিটি গ্রামে। গোটা দেশে আজ প্রদীপ জ্বালানো হবে সন্ধ্যার পর। দিনটি পালিত হবে। আমাদের মন এখনও এতে আটকে রয়েছে। অনেক কথাই বলার আছে, কিন্তু আমার গলা অবরুদ্ধ হয়ে আসছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রামলালা আর তাঁবুতে নয়, থাকবেন মন্দিরে (PM Modi)। অনেক কিছু বলার আছে। কিন্তু কণ্ঠ অবরুদ্ধ। ২২ জানুয়ারি ক্যালেন্ডারের তারিখ নয়, নতুন কালের শুরু। আমাদের তপস্যায় কিছু খামতি ছিল। আজ তা পূরণ হল। এজন্য প্রভু রামচন্দ্রের কাছে আমরা ক্ষমা চাইছি। গর্ভগৃহে ঐশ্বরিক চেতনার সাক্ষী হতে পেরেছি।”

    আরও পড়ুুন: প্রতীক্ষার অবসান, রামলালা প্রতিষ্ঠিত হলেন জন্মভূমিতেই

    তিনি বলেন, “রাম মন্দিরই ভারতের উন্নয়নের সাক্ষী হবে। লক্ষ্য যদি সত্য হয়, তা পূরণ হবেই। এই মন্দিরই তার প্রমাণ। কয়েক শতাব্দী প্রতীক্ষার পর আজ আমরা এখানে পৌঁছেছি। আমরা সবাই এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। আমরা আর থামব না, এবার উন্নয়নের শিখরে পৌঁছেই থামব।” নাম না করে এদিন বিরোধীদেরও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কেউ কেউ বলেছিলেন রাম মন্দির হলে আগুন জ্বলবে। তাই আজকের দিন শুধু বিজয়ের নয়, বিনয়ের দিন। ভারতের শান্তি, ধৈর্য, সমন্বয়ের প্রতীক। রাম মন্দির নতুন শক্তির পরিচয়। সবাইকে বলব, আসুন, বিবেচনা করুন, রাম আগুন নয়, রাম শক্তি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     
  • Ram Mandir: রামলালাকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে ১১ দিনের ব্রত ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী

    Ram Mandir: রামলালাকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে ১১ দিনের ব্রত ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোম-শুভক্ষণে অযোধ্যার মন্দিরে (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠিত হলেন রামলালা। এই মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী রইল তামাম ভারত। পূর্ব নির্ধারিত সময়েই মন্দির প্রাঙ্গনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। অংশ নিলেন রামলালার বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে। রামলালার মূর্তিতে সোনার কাঠি দিয়ে কাজল পরিয়ে চক্ষুদান করলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বিগ্রহকে দর্শন করান দর্পন। রামলালাকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে গর্ভগৃহ থেকে বেরিয়ে ১১ দিনের ব্রত ভাঙেন প্রধানমন্ত্রী।

    যজমান প্রধানমন্ত্রী

    প্রধান যজমান মোদি পরেছিলেন ঘিয়ে রংয়ের গরদের পাঞ্জাবী। ওপরে সাদা গলাবন্ধ। সঙ্গে সাদা ধুতি ও সোনালি পাড়ের সাদা উত্তরীয়। হাতে ছিল লাল বাঁধনি ওড়নি, রামলালার জন্য রুপোর ছাতা। প্রাণপ্রতিষ্ঠার মাহেন্দ্রক্ষণে প্রধানমন্ত্রীর চোখের কোণে চিকচিক করতে দেখা গিয়েছে আনন্দাশ্রু। পুজো শেষে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করতেও দেখা যায় তাঁকে। প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান হয়েছে মৃগশিরা নক্ষত্রে। অনুষ্ঠান শেষে আবেগঘন কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, রামলালাকে (Ram Mandir) আর তাঁবুর নীচে দিন কাটাতে হবে না।

    শেষ হল সংযমব্রত

    যেহেতু প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং যজমান, তাই গত এগারো দিন ধরে সংযমব্রত পালন করছিলেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে সেকথা জানিয়েওছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ১২ জানুয়ারি তিনি লিখেছিলেন, “অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার আর মাত্র এগারো দিন বাকি। আমি সৌভাগ্যবান যে আমিও এই অনুষ্ঠানের সাক্ষী হতে পারছি। ভগবান আমায় প্রাণপ্রতিষ্ঠার সময় ভারতের সমস্ত মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দিয়েছেন। এ কথা মাথায় রেখে আমি আজ থেকে এগারো দিনের একটি বিশেষ আচার শুরু করছি। আমি সমস্ত মানুষের কাছে আশীর্বাদ চাইছি। এই মুহূ্র্তে আমি আমার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।”

    পরে এক ভিডিও-অডিও বার্তায় তিনি বলেছিলেন, “এর জন্য (মূর্তি প্রতিষ্ঠা) বিশদ নিয়ম রয়েছে। প্রাণপ্রতিষ্ঠার বেশ কয়েকদিন আগে থেকে সেগুলি অনুসরণ করতে হয়। আমি আজ থেকে প্রাণপ্রতিষ্ঠার (Ram Mandir) দিন পর্যন্ত শাস্ত্র নির্দেশিত সমস্ত নিয়ম ও তপস্যা কঠোরভাবে পালন করব।”

    আরও পড়ুুন: প্রতীক্ষার অবসান, রামলালা প্রতিষ্ঠিত হলেন জন্মভূমিতেই

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: প্রতীক্ষার অবসান, রামলালা প্রতিষ্ঠিত হলেন জন্মভূমিতেই

    Ram Mandir: প্রতীক্ষার অবসান, রামলালা প্রতিষ্ঠিত হলেন জন্মভূমিতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতীক্ষার অবসান। রামলালার মূর্তিতে হল প্রাণপ্রতিষ্ঠা। জন্মভূমি অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠিত হলেন রামলালা। বালক রামের এই মূর্তিটি বসানো হয়েছিল শুক্রবার। সোমবার শুভক্ষণে মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন প্রধান পুরোহিত। তার আগে পুজোর ডালা নিয়ে গর্ভগৃহে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেন পুষ্পাঞ্জলিও। বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠার সময় ফের এক প্রস্ত হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি করা হয় মন্দিরের ওপর। ব্যাগগ্রাউন্ডে বাজছিল রাম গান। মন্দিরের অদূরে শিল্পীরা উদাত্ত কণ্ঠে গাইছিলেন রামগীতি। লোকমুখে ফিরছিল রামচরিত মানসের কলি। 

    প্রাণপ্রতিষ্ঠা

    প্রধানমন্ত্রী গর্ভগৃহে প্রবেশের পরেই খোলা হয় বিগ্রহের আবরণ। তার পরে হয় প্রাণপ্রতিষ্ঠা। রামলালাকে যে রুপোর মুকুট পরানো হবে, মন্দিরে সেটি নিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। মন্দিরে (Ram Mandir) প্রবেশের সময় প্রধানমন্ত্রীকে তিলক পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। তার পরেই শুরু করেন পুজো। তাঁকে পুজোয় সাহায্য করেন প্রধান পুরোহিত। পুজো শুরুর আগে সংকল্প করানো হয় প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে। পুজো শেষে তাঁর মাথায় ছিটানো হয় শান্তিজল।

    প্রধানমন্ত্রীর পুজো

    হাতে পদ্মফুল নিয়ে মন্ত্রপাঠ করে সেটি বিগ্রহের পায়ে অর্পণ করেন প্রধান যজমান প্রধানমন্ত্রী। প্রাণপ্রতিষ্ঠার যে পর্বে মন্দিরের গর্ভগৃহে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, সেখানে তখন উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল। পুজোয় অংশ নেন তাঁরাও। বিগ্রহের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন প্রধানমন্ত্রী। করেন আরতিও। আরতির পবিত্র তাপও নিতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। পরে হাতজোড় করে করেন প্রার্থনা।

    আরও পড়ুুন: রাম মন্দির উদ্বোধন স্মরণে শান্তিপুরের গির্জায়-মসজিদে জ্বলবে প্রদীপ

    রাম মন্দিরে (Ram Mandir) বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠা উপলক্ষে গত এগারো দিন ধরে কঠিন সংযমব্রত পালন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর পুজো শেষে ব্রত ভঙ্গ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে এক চামচ তরল খাইয়ে দেন ট্রাস্টের গোবিন্দদাস গিরি মহারাজ। এর পর সভাস্থলের দিকে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রামময় অযোধ্যা, মহোৎসবের অনুষ্ঠানে এলেন যজমান নরেন্দ্র মোদি

    Ram Mandir: রামময় অযোধ্যা, মহোৎসবের অনুষ্ঠানে এলেন যজমান নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ু থেকে তিনি উড়ে এলেন অযোধ্যা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে তিনি এলেন রাম জন্মভূমি অযোধ্যায়। গত এগারো দিন ধরে কঠোর সংযমব্রত পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার রামলালার (Ram Mandir) প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে তিনিই মুখ্য যজমানের ভূমিকায়। সেই তিনিই এসে পৌঁছলেন অযোধ্যায় রাম মন্দিরে। প্রধানমন্ত্রী ঢুকতেই উদ্বেলিত জনতার জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে কেঁপে উঠল অযোধ্যার আকাশ। শোনা গেল, মোদি, মোদি স্লোগানও। পুলিশ ব্যান্ডেও বাজানো হতে থাকে ভক্তিগীতি। বেলা বারোটা বাজার কিছু আগে হেলিকপ্টার থেকে মন্দিরের ওপর পুষ্পবৃষ্টি করা হতে থাকে। 

    অযোধ্যায় চাঁদের হাট

    এদিন সকাল থেকেই অযোধ্যা কার্যত রামময়। চারদিকে লাউড স্পিকারে বাজছে রামগান। ভক্তদের মুখেও শোনা যাচ্ছে রামায়ন গান, রামচরিত মানসের ছন্দ। এহেন আবহে সাত সকালে অযোধ্যায় চলে এসেছেন অমিতাভ বচ্চন ও তাঁর ছেলে অভিষেক। কাকভোরে মন্দির প্রাঙ্গনে চলে আসেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তার কিছু পরে আসেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত। বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ এসে পৌঁছান অভিনেতা জ্যাকি শ্রফ। তার আগে চলে এসেছেন রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট, মাধুরী দীক্ষিত, ভিকি কৌশল, ক্যাটরিনা কাইফ, আয়ুষ্মান খুরানা, চিরঞ্জীবী, রামচরণ, বিবেক ওবেরয়, মধুর ভাণ্ডারকর, রজনীকান্ত এবং সোনু নিগম প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তি। ভক্তিগীতি পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী অনুরাধা পাড়োয়াল। রামমন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেলার দিকে পৌঁছন শিল্পপতি মুকেশ অম্বানী ও নীতা অম্বানি। পৌঁছন ব্যাডমিন্টন তারকা সাইনা নেহওয়ালও।

    আরও পড়ুুন: “এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নকে নিয়ে যাবে নয়া উচ্চতায়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচাতে অনুষ্ঠান এড়ালেন যাঁরা 

    অযোধ্যার আকাশ রয়েছে ঝলমলে। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকলেও, বেলার দিকে তা কেটে যায়। অযোধ্যায় এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অযোধ্যার অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েও উপস্থিত হননি কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, অধীর চৌধুরী, তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি (Ram Mandir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: “এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নকে নিয়ে যাবে নয়া উচ্চতায়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Ram Mandir: “এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নকে নিয়ে যাবে নয়া উচ্চতায়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নের যাত্রাকে নিয়ে যাবে নয়া উচ্চতায়।” রবিবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রাণ প্রতিষ্ঠার (Ram Mandir) অনুষ্ঠানকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলেও আখ্যায়িত করলেন তিনি।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী?

    সোমবার, ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের। এদিন মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবেন ভগবান রাম। এই অনুষ্ঠানে যজমানের ভূমিকা পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে তাঁকে শুভেচ্ছা-বার্তা পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতির চিঠির জবাব দিতে গিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “অযোধ্যা ধামে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার উৎসবে শুভকামনার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমার বিশ্বাস, এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নের যাত্রাকে পৌঁছে দেবে নতুন উচ্চতায়।”

    কী লিখেছিলেন রাষ্ট্রপতি?

    প্রধানমন্ত্রীকে লেখা রাষ্ট্রপতির চিঠিতে ছিল ব্রতচারণে মোদির অটুট নিষ্ঠার ভূয়সী প্রশাংসার কথা। রাষ্ট্রপতি লিখেছেন, “আপনি ১১ দিন ধরে যা ব্রত পালন (Ram Mandir) করেছেন, তা শুধু পবিত্র আচারই নয়, ভগবান শ্রীরামের প্রতি আত্মত্যাগ এবং তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করাও।” মহাত্মা গান্ধীর উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি লিখেছেন, “গান্ধীজিও ভাগবান রামের বড় ভক্ত ছিলেন। অযোধ্যার মহোৎসব ভারতের চিরন্তন আত্মার বহিঃপ্রকাশ।”

    তিনি লিখেছেন, “আপনি ভগবান রামের জন্মভূমিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে নবনির্মিত মন্দিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। আমি মনে করতে পারি কীভাবে ধাপে ধাপে আজ আপনি পবিত্রভূমে পৌঁছচ্ছেন।” তিনি আরও লিখেছেন, “আমাদের জাতির এই পুনরুত্থানের সাক্ষী হতে পারায় আমরা খুব ভাগ্যবান।”

    আরও পড়ুুন: “মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আত্মমর্যাদা বেড়েছে হিন্দুদের”, বললেন শঙ্করাচার্য

    সোমবার, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার মন্দিরে শুরু হয়েছে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। আচার পালন শুরু হয়েছে ১৬ তারিখ থেকে। এদিন হবে মূল পর্বের অনুষ্ঠান। প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানটি শুরু হবে এদিন দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে। তার আগে থেকেই চলছে পুজোআচ্চা। প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে (Ram Mandir) উপস্থিত থাকার কথা হাজার তিনেক ভিভিআইপির। তাঁদের নিরাপত্তায় সতর্ক প্রশাসন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Temple: অযোধ্যায় ফিরছেন রাম, পুরুষোত্তমের পদধূলি ধন্য জায়গাগুলি জানেন?

    Ram Temple: অযোধ্যায় ফিরছেন রাম, পুরুষোত্তমের পদধূলি ধন্য জায়গাগুলি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি পুরুষোত্তম। তিনি (Ram Temple) অবতার। দুষ্ট দমন করে শিষ্ট পালন করতেই তিনি ধারণ করেছিলেন পার্থিব দেহ। যে শরীর ধারণ করলে কষ্ট পায় জীব, সেই পঞ্চভৌতিক শরীর ধারণ করে দুঃখ-কষ্ট-বিরহ-দহনজ্বালা তিনি সয়েছেন আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো।

    ভগবান রাম

    ভারতভূমে প্রতিষ্ঠা করেছেন রামরাজ্য। তাই তিনি হয়েছেন মহাকাব্যের কেন্দ্রীয় চরিত্র। এই চরিত্রের পায়েই প্রণতি স্বীকার করেন আসমুদ্রহিমাচলবাসী। আবার নিছকই মহাকাব্যীয় কল্প-চরিত্র বলে গল্পকথা রটিয়ে দেয় অর্বাচিনের দল। এহেন মর্যাদা পুরুষোত্তম রামের জন্য তৈরি হয়েছে আস্ত একটি মন্দির। বানর সেনার সেতু বন্ধনের মতো যে মন্দির তৈরিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য করেছেন তামাম ভারতবাসী। যে মন্দিরে ২২ জানুয়ারি, সোমবার প্রতিষ্ঠিত হবে তাঁর বালকরূপের প্রতিমূর্তি। রচনা হবে নয়া ইতিহাস। যে ইতিহাসের সাক্ষী থাকবেন দেশ-বিদেশের হাজার আটেক মানুষ। তাঁরা সবাই (Ram Temple) যে ভক্ত, তা নন। তবে তাঁদের প্রত্যেকের কাছে রাম মর্যাদা পুরুষোত্তম।

    পুরুষোত্তমের পদধূলি ধন্য ‘মহাভারত’

    এহেন অবতার পুরুষোত্তমের পদধূলিতে ধন্য হয়েছে ‘মহাভারত’। অযোধ্যায় তিনি প্রকাশিত হন সেই কোন ইতিহাসের কালে। তারপর তাঁর দৃপ্ত পদচারণা অখণ্ড ভারতে। যে ভারতভূম ছিল তাঁর এক সময়ের লীলাভূমি, সেখানেই তিনি ছিলেন নিজ ভূমে পরদেশির মতো। তারপর সরযূ নদী দিয়ে বয়ে গিয়েছে সময়ের স্রোত। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। আক্ষরিক অর্থেই এবার রাজপ্রাসাদে ঠাঁই পেতে চলেছেন ভগবান রাম।

    অযোধ্যা

    তাঁর শৈশবের লীলাভূমি অযোধ্যা (Ram Temple) এখন ফৈজাবাদ জেলার অন্তর্ভুক্ত। এই অযোধ্যায়ই কেটেছিল তাঁর শৈশব-বাল্য-কৈশোর। পরে বিয়ে হয় তাঁর। সীতাকে বিয়ে করতে তিনি গিয়েছিলেন নেপালের জনকপুরে। পরে পিতা দশরথের প্রতিজ্ঞা পালনে তিনি হন বনবাসী। তাঁর সঙ্গ নেন স্ত্রী সীতা ও ভাই লক্ষ্মণ। এর পর লঙ্কার রাবণ কর্তৃক অপহৃত হন সীতা।

    অশোকবন

    একদা রাজনন্দিনীর ঠাঁই হয় রাবণের অশোক বনে। বানর সেনার সহায়তায় সেখানে গিয়ে সীতাকে উদ্ধার করেন রাম। এজন্য তুমুল যুদ্ধ হয় লঙ্কায়। যে যুদ্ধে হত হন রাবণ। আসুরিক শক্তি অবনত হয় পুরুষোত্তম রামের পায়ে। সীতা এলিয়ার গ্রামের এই অশোক বনে রয়েছে সীতা আম্মার মন্দির।

    চিত্রকূট-পঞ্চবটী

    রামের (Ram Temple) পদধূলিতে ধন্য হয়েছে মধ্যপ্রদেশও। এখানে চিত্রকূট পাহাড়ের কাছে নদী তীরে লক্ষ্মণ তৈরি করেছিলেন কুটির। এখানেই রামের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল ভাই ভরতের। এখান থেকেই রামের পাদুকা নিয়ে ভারত ফিরে যান অযোধ্যায়। নাসিকের পঞ্চবটী বনে রাম-সীতার বসবাসের জন্য কুটির তৈরি করেছিলেন লক্ষ্মণ। এখান থেকেই অপহৃত হন সীতা। অন্ধ্রপ্রদেশের লেপাক্ষীও ধন্য হয়েছে রামের পদধূলিতে। এখানেই সীতা চুরির ঘটনার কথা রাম জানতে পারেন ভক্ত জটায়ূর কাছে। এখানেই ডানা কাটা অবস্থায় পড়েছিলেন জটায়ূ। এখানেই শাপোদ্ধার হয় শবরীর, রামের অপেক্ষায় এক যুগ ধরে পাথর হয়ে পড়েছিলেন যিনি।

    আরও পড়ুুন: গোধরা গণহত্যায় হত ৫৮ করসেবকের পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ অযোধ্যায়

    রামেশ্বরম

    তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম এবং ধনুষ্কোটিও রয়েছে রামের লীলাভূমির তালিকায়। ভক্ত হনুমান যখন সীতাকে অশোক বনে খুঁজে পেলেন, তখন রাম এই জায়গাটিতে একটি ধনুক পুঁতে রাখেন। সীতা উদ্ধারে লঙ্কায় যেতে বানর সেনার সাহায্যে এখানেই হয়েছিল সেতুবন্ধন। রাবণকে পরাস্ত করে দিভিরুমপোলা এলাকা থেকেই সীতাকে সঙ্গে নিয়ে অযোধ্যার দিকে রওনা দেন রাম। শ্রীঙ্গভেরপুরে গঙ্গা পার হন রাম-লক্ষ্মণ-সীতা। গঙ্গা পেরিয়ে রাম-লক্ষ্মণ-সীতা পৌঁছান প্রয়াগের ত্রিবেণী সঙ্গমে। এখানেই ভরদ্বাজ ঋষির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় রামের। পরে ভাই ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে রাম চলে যান চিত্রকূট পর্বতের দিকে। রামটেক এখানে ঋষি অগস্ত্যর কাছে ব্রহ্মাস্ত্রের বিষয়ে জানেন রাম।

    দণ্ডকারণ্য

    সেখান থেকে তাঁরা চলে যান ছত্তিশগড়ের দণ্ডকারণ্যে। আশীর্বাদ নেন অত্রি ঋষির। তাঁর স্ত্রী অনসূয়া সীতার হাতে তুলে দেন তাঁর হারানো গয়নার কয়েকটি। দণ্ডকারণ্যের পর তাঁরা যান কর্নাটকের কিষ্কিন্ধ্যায়। এখানেই রাম-লক্ষ্মণের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় বালি ও সুগ্রীবের। কিষ্কিন্ধ্যার হৃত সাম্রাজ্য ফেরত পেতে সুগ্রীবকে সাহায্যও করেছিলেন রাম। লঙ্কায় যাওয়ার যে সেতু তৈরি করা হয়েছিল, সেই সেতু রাম সেতু নামে পরিচিত। ভান্ডারদারা, তুলজাপুর, সুরিবানা, কোপ্পালের ধুলোয়ও রয়েছে মর্যাদা পুরুষোত্তমের পদচিহ্ন। তিরুচিরাপল্লি, রামপদ এবং রামনাথপূরম ধন্য হয়েছে তাঁর পদধূলিতে।  সুভেলায় সেনাদের একত্রিত করেছিলেন রাম।

    আলাইমান্নার

    শ্রীলঙ্কায় রয়েছে আলাইমান্নার সমুদ্র সৈকত। এখানেই ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হয়েছিল রাম-রাবণের। ব্রহ্মাস্ত্র দিয়ে এই জায়গায়ই দশানন বধ করেন রাম। দুষ্ট দমন শেষে শিষ্ট পালন করতে পুরুষোত্তম অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠা করেন রামরাজ্য। সোমবার তাঁর শৈশব-বাল্য-কৈশোরের সেই লীলাভূমিতেই প্রতিষ্ঠিত (Ram Temple) হবেন রামলালা। আবারও প্রতিষ্ঠা হবে রামরাজ্য। যে রাজ্যে সুখে কাল কাটাবেন ভারতবাসী। মন দেবেন রাম-নাম জপে। অস্ফুটে বলবেন, ‘মন জপ নাম…’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: দোরগোড়ায় রাম মন্দির উদ্বোধন, নেতিবাচক প্রচার শুরু পাকিস্তানের!

    Ram Mandir: দোরগোড়ায় রাম মন্দির উদ্বোধন, নেতিবাচক প্রচার শুরু পাকিস্তানের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir)। মূল পর্বের এই অনুষ্ঠানের দিন সাতেক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে নানা আচার পালন। অযোধ্যার এই মন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে যখন উত্তেজনায় ফুটছে গোটা দেশ, তখন নেতিবাচক প্রচার করছে পাকিস্তান। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান সম্পর্ক নেতিবাচক প্রচার চালাচ্ছে সে দেশের বিভিন্ন গোষ্ঠী। ভারত-বিরোধী নানা সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়িও দিচ্ছে তারা।

    পাকিস্তানের নেতিবাচক প্রচার

    জানা গিয়েছে, রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন ঘোষণা হতেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের বাসিন্দাদের একটা অংশ। একাধিক পাকিস্তানি সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মে তারা রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে বিভিন্ন কু-মন্তব্য করছে। বাবরি মসজিদের সমর্থনেও বলা হচ্ছে নানা কথা। মূল রাম মন্দির থেকে তিন কিলোমিটার দূরে নয়া রাম মন্দির তৈরি করা হচ্ছে বলেও গুজব ছড়ানো হচ্ছে পাকিস্তানি সমাজমাধ্যমে। অবশ্য এই প্রথম (Ram Mandir) নয়, নানা সময়ে ভারত বিরোধী ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে পাকিস্তান। হ্যাশট্যাগ দিয়ে পাকিস্তানের এক্স হ্যান্ডেলে রাম মন্দির সংক্রান্ত ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। এরকম প্রায় ছটি গ্রুপ সক্রিয় বলে জানা গিয়েছে।

    বাবরি মসজিদের সমর্থনে প্রচার

    রাম মন্দির ভেঙে গড়ে উঠেছিল বাবরি মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের দাবি গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। দীর্ঘ সওয়াল যুদ্ধের পর সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে মান্যতা পায় হিন্দুদের দাবি। রাম মন্দিরের অদূরে জমি দেওয়া হয় বাবরি মসজিদ কর্তৃপক্ষকেও। তার পর শুরু হয় রাম মন্দিরের কাজ। সেই মন্দিরের একটা অংশের কাজ হয়েছে শেষ। শুরু হয়েছে মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। মূর্তিপ্রতিষ্ঠার মূল অনুষ্ঠানটি হবে চলতি মাসের ২২ তারিখে। ১৬ তারিখ থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে নানা আচার পালন।

    রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশ-বিদেশের সাত হাজার অতিথিকে। এঁদের মধ্যে তিন হাজার জনই ভিভিআইপি। অতিথিদের জন্য ইতিমধ্যেই অযোধ্যায় বুক করা হয়েছে হোটেল। তৈরি করা হয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা। উদ্বোধন করা হয়েছে বিমানবন্দরের। ঢেলে সাজানো হয়েছে অযোধ্যা রেল স্টেশনকে। এই রাজসূয় যজ্ঞে (Ram Mandir) জল ঢালতেই সক্রিয় পাকিস্তানের বাসিন্দাদের একাংশ। তারাই নেতিবাচক প্রচার করছে এক্স হ্যান্ডেলে।

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূল প্রধানের বাড়িতেই ছিলেন শাহজাহান’! বিস্ফোরক সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: লাখো প্রদীপের রঙিন আলোয় ভেসে উঠলেন ধনুর্ধর রাম-মন্দির-মোদি

    Ram Mandir: লাখো প্রদীপের রঙিন আলোয় ভেসে উঠলেন ধনুর্ধর রাম-মন্দির-মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজনের রাজত্বে সমাধান হয়েছে বিতর্কের। গড়ে উঠছে মন্দির। আর যাঁর জন্য তৈরি হচ্ছে মন্দির, তিনি প্রতিষ্ঠিত হবেন ওই মন্দিরে। তাই অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দুজনেই সমান গুরুত্বপূর্ণ। দুজনের মধ্যে অবশ্য ফারাক রয়েছে। একজন ভক্ত, অন্যজন ভগবান। একজন পার্থিব, অন্যজন অপার্থিব। অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে রং-বেরঙের মাটির প্রদীপ দিয়ে তৈরি হচ্ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রামলালার ছবি (Ram Mandir)। আলোকমালায় দেখা যাবে রাম জন্মভূমি মন্দিরের ছবিও।

    রাম মন্দির উদ্বোধন

    ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। এদিনই গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালার বিগ্রহ। মন্দির প্রতিষ্ঠার এই পুণ্যলগ্নের সপ্তাহখানেক আগেই শুরু হয়ে যাচ্ছে অনুষ্ঠান। ১৬ তারিখ থেকেই এই অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ভক্তরা সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন মাটির প্রদীপ (স্থানীয় ভাষায় দিয়া) হাতে (Ram Mandir)। তীর-ধনুক হাতে রাম এবং হিন্দিতে জয় শ্রীরাম লেখা জায়গায় প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন তাঁরা। প্রদীপ দিয়েই সাজানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ছবিও।

    রাম, রাম জন্মভূমি মন্দির…

    রাম, রাম জন্মভূমি মন্দির, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জয় শ্রীরামের ছবি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ প্রদীপ। এঁদের আঁকা ছবির রেখা বরাবরই জ্বালানো হয়েছিল প্রদীপ। ‘রাম পরাক্রমী রথযাত্রা’ শুরু হয়েছিল বিহার থেকে। রবিবার সেটি এসে পৌঁছানোর কথা অযোধ্যায়। এই সময় উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে। রাম জন্মভূমি মন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাবে ১৬ জানুয়ারি থেকে।

    আরও পড়ুুন: “বাবর একদিনে ১ লক্ষ ৮০ হাজার হিন্দুকে খুন করেছিল” মন্দির ইস্যুতে তোপ শুভেন্দুর

    অযোধ্যার চিত্রটা বদলাতে শুরু করেছে ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট থেকে। এদিনই ভূমি পূজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যার পর থেকেই ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে রাম মন্দির। রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের সাত হাজার মানুষ। এঁদের মধ্যে তিন হাজার জনই ভিভিআইপি। দশকের পর দশক ধরে যে অযোধ্যা পড়েছিল নিতান্তই অবহেলিত, সেই অযোধ্যারই ভোল বদলাচ্ছে রাতারাতি। যার মূলে রয়েছেন সেই ভগবান রাম (Ram Mandir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যায় যাচ্ছে ৪৫০ কেজির ধামসা, ৪,৬০০ কেজির ধ্বজ দণ্ড

    Ram Mandir: আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যায় যাচ্ছে ৪৫০ কেজির ধামসা, ৪,৬০০ কেজির ধ্বজ দণ্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিল ৪৫০ কেজি ওজনের একটি ধামসা এবং ৪,৬০০ কেজির ধ্বজ দণ্ড। যাত্রার সূচনা করেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। রাম মন্দিরের (Ram Mandir) জন্য এই সামগ্রী নিবেদন করা হয়েছে। এই বিরাট ধামসা এবং ধ্বজ দণ্ড স্থাপনা করা হবে রাম মন্দিরে।

    উল্লেখ্য, আগেও নানান সামগ্রী মন্দিরের উদ্দেশে পাঠানোর কথা জানা গিয়েছে। যেমন বিরাট মাপের ঘণ্টা, বিরাট মাপের তালা-চাবি, বিরাট মাপের ধুপকাঠি, এবং বাংলা থেকে বিরাট ফাইবারের রামের মূর্তি পাঠানোর কথা সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। এছাড়াও সীতার বাপের বাড়ি নেপাল থেকে আসবে শ্রীরাম লালার অভিষেকের গয়না, অলঙ্কার, সাজ এবং ভোগের সামগ্রী। রামনগরীতে এখন সাজো সাজো রব। মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিন পরেই মন্দিরের উদ্বোধন।

    ৭০০ কেজি ওজনের রথ

    সূত্রের খবর, সেই সঙ্গে এই বিরাট পতাকা এবং দণ্ড বহনকারী রথটির ওজন হবে ৭০০ কেজি। এগুলি অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) জন্য এই বিরাট নির্মাণ করেছেন ‘অল ইন্ডিয়া ডাবগার সমাজ’। আগামী ২২ জানুয়ায়রি রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা এবং অভিষেক সম্পন্ন হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশজুড়ে তাই প্রস্তুতি ব্যাপক তুঙ্গে। বারাণসীর পুরোহিত, লক্ষ্মী কান্ত দীক্ষিত রামলালার অভিষেক অনুষ্ঠানের মূল আচার অনুষ্ঠান করবেন। আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত অযোধ্যায় অমৃত মহোৎসব পালন করা হবে। একটি ১০০৮ হুন্ডি মহাযজ্ঞেরও আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে হাজার হাজার ভক্তকে প্রসাদ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হবে।

    হনুমানের দেশ থেকে আসবে মূর্তি

    কর্নাটকের ভাস্কর শিল্পী যোগীরাজ অরুণের খোদাই করা মূর্তিটি নির্বাচিত হয়েছে মন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহের জন্য। আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে স্থাপন করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে মূর্তিটির। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী সোমবার তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হনুমানের দেশ থেকে একজন প্রখ্যাত প্রতিমা নির্মাতার মূর্তি রাম মন্দিরে স্থাপনের স্বরূপটি সকলে দেখতে পাবেন। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share