Tag: ramakrishna

ramakrishna

  • Ramakrishna 64: “ভক্তিই সার, তাঁকে ভালবাসলে বিবেক বৈরাগ্য আপনি আসে”

    Ramakrishna 64: “ভক্তিই সার, তাঁকে ভালবাসলে বিবেক বৈরাগ্য আপনি আসে”

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    কীর্তনানন্দে নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে—নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন

     

    এদিকে কাঁলীমন্দিরে ও রাঁধাকান্তের মন্দিরে মঙ্গল আরতি হইতেছে ও শাঁখঘন্টা বাজিতেছে। ভক্তেরা উঠিয়া দেখিতেছেন কালীবাড়ির পুষ্পোদ্যানে ঠাকুরদের পূজার্থ পুষ্পচয়ন আরম্ভ হইয়াছে ও প্রভাতী রাগের লহরী উঠাইয়া নহবত বাজিতেছে।

    নরেন্দ্রাদি ভক্তগণ প্রাতঃকৃত্য সমাপন করিয়া ঠাকুরের কাছে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। ঠাকুর হাস্যমুখ, উত্তর-পূর্ব বারান্দার পশ্চিমাংশে দাঁড়াইয়া আছেন।

    নরেন্দ্র—পঞ্চবটীতে কয়েকজন নানাকপন্থী সাধু বসে আছে দেখলুম।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, তারা কাল এসেছিল! (নরেন্দ্রকে) তোমরা সকলে একসঙ্গে মাদুরে বস, আমি দেখি।

    ভক্তেরা সকলে মাদুরে বসিলে ঠাকুর আনন্দে দেখিতে লাগিলেন ও তাঁহাদের সহিত গল্প করিতে লাগিলেন। নরেন্দ্র সাধনের কথা (Kathamrita) তুলিলেন।

    নরেন্দ্রাদিকে স্ত্রীলোক নিয়ে সাধন নিষেধ—সন্তানভাব অতি শুদ্ধ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (নরেন্দ্রাদির প্রতি)—ভক্তিই সার। তাঁকে ভালবাসলে বিবেক বৈরাগ্য আপনি আসে।

    নরেন্দ্র—আচ্ছা, স্ত্রীলোক নিয়ে সাধন তন্ত্রে আছে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ও-সব ভাল পথ নয়, বড় কঠিন, আর পতন প্রায়ই হয়। বীরভাবে সাধন, দাসীভাবে সাধন, আর মাতৃভাবে সাধন! আমার মাতৃভাব। দাসীভাবও ভাল। বীরভাবে সাধন বড় কঠিন। সন্তানভাব বড় শুদ্ধভাব।

    নানাকপন্থী সাধুরা ঠাকুরকে অভিবাদন করিয়া বলিলেন (Kathamrita), নমো নারায়ণায়। ঠাকুর তাঁহাদের আসন গ্রহণ করিতে বলিলেন।

    ঈশ্বরে সব সম্ভব

    ঠাকুর বলিতেছেন, ঈশ্বরের পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়। তাঁর স্বরূপ কেউ মুখে বলতে পারে না। সকলেই সম্ভব। দুজন যোগী ছিল, ঈশ্বরের সাধনা করে। নারদ ঋষি যাচ্ছিলেন। একজন পরিচয় পেয়ে বললেন, তুমি নারায়ণের কাছ থেকে আসছ, তিনি কি করছেন? নারদ বললেন, দেখে এলাম, তিনি ছুচের ভেতর দিয়ে উট হাতি প্রবেশ করাচ্ছেন, আবার বার করছেন। একজন বললে, তার আর আশ্চর্য কি! তার পক্ষে সবই সম্ভব। কিন্তু অপরটি বললে, তাও কি হতে পারে! তুমি কখনও সেখানে যাও নাই।

    আরও পড়ুনঃ “ঠাকুর একটি ভক্তকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি স্বপ্ন-টপ্ন দেখ?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 63: “ঠাকুর একটি ভক্তকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি স্বপ্ন-টপ্ন দেখ?”

    Ramakrishna 63: “ঠাকুর একটি ভক্তকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি স্বপ্ন-টপ্ন দেখ?”

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    কীর্তনানন্দে নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে—নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন

    কীর্তনান্তে ঠাকুর উত্তর-পূর্ব বারান্দায় বেড়াইতেছেন। হাজরা মহাশয় বারান্দার উত্তরাংশে বসিয়া আছেন। ঠাকুর সেখানে গিয়া বসিলেন; মাস্টার সেইখানে বসিয়াছেন ও হাজরার সঙ্গে কথা কহিতেছেন। ঠাকুর একটি ভক্তকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি স্বপ্ন-টপ্ন দেখ?

    ভক্ত—একটি আশ্চর্য স্বপ্ন দেখেছি; এই জগৎ জলে জল। অনন্ত জলরাশি! কয়েকখানা নৌকা ভাসিতেছিল; হঠাৎ জলোচ্ছ্বাসে ডুবে গেল। আমি আর কয়টি লোক জাহাজে উঠেছি; এমন সময়ে সেই অকূল সমুদ্রের উপর দিয়ে এক ব্রাহ্মণ চলে যাচ্ছেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কেমন করে যাচ্ছেন? ব্রাহ্মণটি একটু হেসে বললেন, এখানে কোন কষ্ট নাই; জলের নিচে বরাবর সাঁকো আছে। জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কোথায় যাচ্ছেন? তিনি বললেন (Kathamrita), ভবানীপুর যাচ্ছি। আমি বললাম, একটু দাঁড়ান; আমিও আপনার সঙ্গে যাব।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আমার এ-কথা শুনে রোমাঞ্চ হচ্ছে!

    ভক্ত—ব্রাহ্মণটি বললেন, আমার এখন তাড়াতাড়ি; তোমার নামেতে দেরি! এখন আসি। এই পথ দেখে রাখ, তুমি তারপর এস।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আমার রোমাঞ্চ হচ্ছে! তুমি শীঘ্র মন্ত্র লও।

    রাত এগারটা হইয়াছে। নরেন্দ্রাদি ভক্তগণ ঠাকুরের ঘরের মেঝেতে বিছানা করিয়া শয়ন করিলেন।

    নিদ্রাভঙ্গের পর ভক্তেরা কেউ কেউ দেখিতেছেন যে, প্রভাত হইয়াছে (১৭ই অক্টোবর, ১৮৮২; মঙ্গলবার, ১ লা কার্তিক, শুক্লা পঞ্চমী)। শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বালকের ন্যায় দিগম্বর, ঠাকুরদের নাম করিতে করিতে ঘরে বেড়াইতেছেন। কখন গঙ্গাদর্শন, কখন ঠাকুরদের ছবির কাছে গিয়া প্রণাম, কখন বা মধুর স্বরে নামকীর্তন। কখন বলিতেছেন, বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, গীতা, গায়েত্রী, ভগবত-ভক্ত-ভগবান। গীতা উদ্দেশ করিয়া অনেকবার বলিতেছেন, ত্যাগী ত্যাগী ত্যাগী ত্যাগী। কখন বা—তুমিই ব্রহ্ম, তুমিই শক্তি; তুমিই পুরুষ, তুমিই প্রকৃতি, তুমিই বিরাট, তুমিই স্বরাট; তুমিই নিত্য, তুমিই লীলাময়ী; তুমিই চতুর্বিংশতি তত্ত্ব।

    আরও পড়ুনঃ “নরেন্দ্রকে ঠাকুর বলিতেছেন, চিদাকাশে হল পূর্ণ প্রেমচন্দ্রোদয় হে, এই গানটি একবার গা না”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 61: “আজ ঠাকুরের হৃদয়মধ্যস্থ প্রেমের উৎস উচ্ছ্বসিত হইয়াছে”

    Ramakrishna 61: “আজ ঠাকুরের হৃদয়মধ্যস্থ প্রেমের উৎস উচ্ছ্বসিত হইয়াছে”

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    কীর্তনানন্দ নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে—নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন

    আজ ঠাকুরের (Ramakrishna) হৃদয়মধ্যস্থ প্রেমের উৎস উচ্ছ্বসিত হইয়াছে। রাত প্রায় আটটা। তথাপি প্রেমোন্মত্ত হইয়া একাকী বারান্দায় বিচরণ করিতেছেন। উত্তরের লম্বা বারান্দায় আসিয়াছেন ও দ্রুতপদে বারান্দায় এক সীমা হইতে অন্য সীমা পর্যন্ত পদাচারণ করিতেছেন। মাঝে মাঝে সঙ্গে কি কথা কহিতেছেন। হঠাৎ উন্মমত্তের ন্যায় বলিয়া উঠিলেন, তুই আমার কি করবি?

    মা যার সহায় তার মায়া কি করিতে পারে। এই কথা কি বলিতেছেন?

    নরেন্দ্র, মাস্টার, প্রিয় রাত্রে থাকিবেন। নরেন্দ্র থাকিবেন; ঠাকুরের (Ramakrishna) আনন্দের সীমা নাই। রাত্রিকালীন আহার প্রস্তুত। শ্রীশ্রীমা নহবতে আছেন। রুটি ছোলার ডাল ইত্যাদি প্রস্তুত করিয়া ভক্তেরা খাইবেন বলিয়া পাঠাইয়াছেন। ভক্তের মাঝে মাঝে থাকেন; সুরেন্দ্র মাসে মাসে কিছু খরচ দেন।

    আহার প্রস্তুত। ঠাকুর ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব বারান্দায় জায়গা হইতেছে।

    নরেন্দ্র প্রভৃতিকে স্কুল ও অন্যান্য বিষয়কথা কহিতে নিষেধ

    ঘরের পূর্বদিকের দরজায় কাছে নরেন্দ্রাদি গল্প করিতেছেন।

    নরেন্দ্র—আজকাল ছোকরারা কি রকম দেখছেন?

    মাস্টার—মন্দ নয়, তবে ধর্মোপদেশ কিছু হয় না।

    নরেন্দ্র—নিজে যা দেখছি, তাতে বোধ হয় সব অধঃপাতে যাচ্ছে। বার্ডসাই, ইয়ার্কি, বাবুয়ানা, স্কুল পালানো-এসব সর্বদা দেখা যায়। এমন কি দেখেছি যে, কুস্থানেও যায়।

    মাস্টার—যখন পড়াশুনা করতাম, আমরা তো এরূপ দেখি নাই, শুনি নাই।

    নরেন্দ্র—আপনি বোধহয় তত মিশিতেন না। এমন দেখেছি যে, খারাপ লোকে নাম ধরে ডাকে, কখন আলাপ করেছে কে জানে!

    মাস্টার—কি আশ্চর্য!

    নরেন্দ্র—আমি জানি, অনেকের চরিত্র খারাপ হয়ে গেছে। স্কুলের কর্তৃপক্ষীয়েরা ও ছেলেদের অভিভাবকেরা এ-সব বিষয়ে দেখেন তো ভাল হয়।

    আরও পড়ুনঃ”হৃদি-কমলাসনে ভাব তাঁর চরণ, দেখ শান্ত মনে, প্রেমনয়নে, অপরূপ প্রিয়দর্শন”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 60: “হৃদি-কমলাসনে ভাব তাঁর চরণ,  দেখ শান্ত মনে, প্রেমনয়নে, অপরূপ প্রিয়দর্শন”

    Ramakrishna 60: “হৃদি-কমলাসনে ভাব তাঁর চরণ, দেখ শান্ত মনে, প্রেমনয়নে, অপরূপ প্রিয়দর্শন”

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    কীর্তনানন্দ নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে—নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন

    বৈকাল হইয়াছে—নরেন্দ্র (Ramakrishna) গান গাহিতেছেন—রাখাল, লাটু, মাস্টার, নরেন্দ্র ব্রাহ্মবন্ধু প্রিয়, হাজরা—সকলে আছেন।

    নরেন্দ্র কীর্তন গাহিলেন, খোল বাজিতে লাগিলঃ

    চিন্তয় মম মানস হরি চিদঘন নিরঞ্জন;

    কিবা অনুপম ভাতি, মোহন মূরতি, ভকত-হৃদ্য-রঞ্জন

    নবরাগে রঞ্জিত, কোটি শশী-বিনিন্দিত,

    (কিবা) বিজলি চমকে, সেরূপ আলোকে, পুলকে শিহরে জীবন।

    হৃদি-কমলাসনে ভাব তাঁর চরণ,

    দেখ শান্ত মনে, প্রেমনয়নে, অপরূপ প্রিয়দর্শন।

    চিদানন্দরসে, ভক্তিযোগাবেশে, হও রে চিরগমন।

    নরেন্দ্র আবার গাহিলেনঃ

    সত্যং শিব সুন্দর ভাতি হৃদি মন্দিরে।

    নিরখি নিরখি অনুদিন মোর ডুবিব রূপসাগরে।

    (সেদিন কবে হবে) (দীনজনের ভাগ্যে নাথ)।

    জ্ঞান-অনন্তরূপে পশিবে নাম মম হৃদে,

    অবাক্‌ হইয়ে অধীর মন শরণ লইবে শ্রীপদে।

    আনন্দ-অমৃতরূপে উদিবে হৃদয়-আকাশে,

    চন্দ উদিলে চকোর যেমন ক্রীড়য়ে মন হরষে,

    আমরাও নাথ, তেমনি করে মাতিব তব প্রকাশে।

    শান্তং শিব অদ্বিতীয় রাজ-রাজ চরণে,

    বিকাইব ওহে প্রাণসখা, সকল করিব জীবন।

    এমন অধিকার, কোথা পাব আর, স্বর্গভোগ জীবনে (সশরীরে)

    শুদ্ধমপাপবিদ্ধিবং রূপ, হেরিয়ে নাথ তোমার,

    আলোক দেখিলে আঁধার যেমন যায় পলাইয়ে সত্ত্বর;

    তেমনি নাথ তোমার প্রকাশে পালাইবে পাপা-আঁধার।

    ওহে ধ্রুবতারা সম হৃদে জলন্ত বিশ্বাস হে;

    জ্বলি দিয়ে দীনবন্ধু পুরাও মনের আশ;

    আমি নিশিদিন প্রমানন্দে মগন হইয়ে হে;

    আপনার ভুলে যাব, তোমারে পাইয়ে হে।

    (সেদিন কবে হবে হে)

    আনন্দবনে মল মধুর ব্রহ্মনাম (Ramakrishna)।

    নামে উথলিবে সুধাসিন্ধু পিয় অবিরাম। (পান কর আর দান কর হে)।

    যদি হয় কখন শুদ্ধ হৃদয়, কর নামগান।

    (বিষয়-মরীচিকায় পড়ে হে) (প্রেমে হৃদয়, সরস হবে হে)

    (দেখ যেন ভুল না রে সেই মহামন্ত্র)

    সবে হুঙ্কারিয়ে ছিন্ন কর পাপের বন্ধন। (জয় ব্রহ্ম জয় বল হে)

    এস ব্রহ্মানন্দ বাতি সবে হই পূর্ণকাম।(প্রেমযোগে যোগী হয়ে হে)

    খোল করতাল লইয়া কীর্তন হইতেছে। নরেন্দ্রাদি ভক্তেরা ঠাকুরকে বেড়িয়া বেড়িয়া কীর্তন করিতেছেন। কখন গাহিতেছেন, প্রেমানন্দ রসে হও রে চিরগমন! আবার কখন গাহিতেছেন, সত্যং শিব সুন্দররূপ ভাতি হৃদিমন্দিরে।

    কীর্তনান্তে নরেন্দ্রকে ঠাকুর অনেকক্ষণ (Ramakrishna) করিয়া বারবার আলিঙ্গন করিলেন! বলিতেছেন, তুমি আজ আমায় আনন্দ দিলে !!!

    আরও পড়ুনঃ “মা, কোথায় আনলে! আমি যে রাসমণির মন্দিরে খুব ভাল ছিলাম”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 59: “মা, কোথায় আনলে! আমি যে রাসমণির মন্দিরে খুব ভাল ছিলাম”

    Ramakrishna 59: “মা, কোথায় আনলে! আমি যে রাসমণির মন্দিরে খুব ভাল ছিলাম”

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা—১৮৫৮

    অনেকদিন পরে কাপ্তেনের সঙ্গে সৌরীন্দ্র ঠাকুরের বাড়িতে গিছলাম। তাকে দেখে বললাম, তোমাকে রাজা-টাজা বলতে পারব না, কেননা, সেটা মিথ্যাকথা হবে। আমার সঙ্গে খানিকটা কথা কইলে। তারপর দেখলাম, সাহেব-টাহেব আনাগোনা করতে লাগল। রজোগুণী লোক, নানা কাজ লয়ে আছে। যতীন্দ্রকে খবর পাঠানো হল। সে বলে পাঠালে, আমার গলায় বেদনা হয়েছে।

    সেই উন্মাদ (Ramakrishna) অবস্থায় একদিন বরানগরে ঘাটে দেখলাম, জয় মুখুজ্জে জপ করছে, কিন্তু অন্যমনস্ক! তখন কাছে গিয়ে দুই চাপড় দিলাম।

    একদিন রাসমণি ঠাকুরবাড়িতে এসেছে। কালীঘরে এল। পূজার সময় আসত আর দুই-একটা গান গাইতে বলত। গান গাচ্ছি, দেখি যে অন্যমনস্ক হয়ে ফুল বাচ্ছে। অমনি দুই চাপড়। তখন ব্যস্তসমস্ত হয়ে হাতজোড় করে রইল।

    হলধারীকে বললাম, দাদা একি স্বভাব হল! কি উপায় করি, তখন মাকে ডাকতে ডাকতে ও-স্বভাব গেল।

    মথুরের সঙ্গে তীর্থ ১৮৬৮—কাশীতে বিষয় কথা শ্রবণ ঠাকুরের রোদন

    ওই অবস্থায় ঈশ্বরকথা (Ramakrishna) বই আর কিছু ভাল লাগে না। বিষয়ে কথা হচ্ছে শুনলে বসে বসে কাঁদতাম। মথুরবাবু যখন সঙ্গে করে তীর্থে লয়ে গেলে, তখন কাশীতে রাজাবাবুর বাড়িতে কয়দিন আমরা ছিলাম। মথুরাবাবুর সঙ্গে বৈঠকখানায় বসে আছি, রাজাবাবুরাও বসে আছে। দেখি তারা বিষয়ের কথা কইছে। এত টাকা লোকসান হয়েছে—এই সব কথা। আমি কাঁদতে লাগলাম, বললাম, মা, কোথায় আনলে! আমি যে রাসমণির মন্দিরে খুব ভাল ছিলাম, তীর্থ করতে এসেও সেই কামিনী-কাঞ্চনের কথা। কিন্তু সেখানে (দক্ষিণেশ্বরে) তো বিষয়ের কথা শুনতে হয় নাই।

    ঠাকুরের ভক্তদের, বিশেষঃ নরেন্দ্রকে, একটু বিশ্রাম করিতে বলিলেন। নিজেও ছোট খাটটিতে একটু বিশ্রাম করিতে গেলেন।

    হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 58: তুমি কি রকম লোক গা! যুধিষ্ঠিরের কেবল নরকদর্শনই মনে রেখেছ?

    Ramakrishna 58: তুমি কি রকম লোক গা! যুধিষ্ঠিরের কেবল নরকদর্শনই মনে রেখেছ?

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা—১৮৫৮

    আমায় বলেছিল, পৈতেটা ফেললে কেন? যখন আমার এই অবস্থা হল, তখন আশ্বিনের ঝড়ের মতো একটা কি এসে কোথায় কি উড়িয়ে লয়ে গেল! আগেকার চিহ্ন কিছুই রইল না। হুঁশ নাই! কাপড় পড়ে যাচ্ছে, তা পৈতে থাকবে কেমন করে! আমি বললাম, তোমার একবার উন্মাদ (Ramakrishna) হয়, তাহলে তুমি বোঝ!

    তাই হল! তার নিজের উন্মাদ হল। তখন সে কেবল ওঁ ওঁ বলত আর একঘরে চুপ করে বসে থাকত। সকলে মাথা গরম হয়েছে বলে কবিরাজ ডাকলে। নাটাগড়ের রাম কবিরাজ এল। কৃষ্ণকিশোর তাকে বললে, ওগো আমার রোগ আরাম কর, কিন্তু দেখো, যেন আমার ওঁকারটি আরাম করো না। (সকলের হাস্য)

    একদিন গিয়ে দেখি, বসে ভাবছে (Ramakrishna)। জিজ্ঞাসা করলাম, কি হয়েছে? বললে টেক্সোয়ালা এসেছিল—তাই ভাবছি। বলেছে টাকা না দিলে ঘটি-বাটি বেচে লবে। আমি বললাম, কি হবে ভেবে? না হয় ঘটি-বাটি লয়ে যাবে। যদি বেঁধে লয়ে যায় তোমাকে তো লয়ে যেতে পারবে না। তুমি তো ‘খ’ গো! (নরেন্দ্রাদির হাস্য) কৃষ্ণকিশোর বলত, আমি আকাশবৎ। আধাত্ম পড়ত কিনা। মাঝে মাঝে তুমি খ বলে, ঠাট্টা করতাম। হেসে বললাম, তুমি খ টেক্স তোমাকে তো টানতে পারবে না।

    উন্মাদ অবস্থায় লোককে ঠিক ঠিক কথা, হক কথা, বলতু! কারুকে মানতাম না। বড়লোক দেখালে ভয় হত না।

    যদু মল্লিকের বাগানে যতীন্দ্র এসেছিল। আমিও সেখানে ছিলাম। আমি তাকে বললাম, কর্তব্য কি? ঈশ্বরচিন্তা করাই আমদের কর্তব্য কি না? যতীন্দ্র বললে, আমরা সংসারী লোক। আমাদের কি আর মুক্তি আছে! রাজা যুধিষ্ঠিরই নরক দর্শন করেছিলেন। তখন আমার বড় রাগ হল। বললাম, তুমি কি রকম লোক গা! যুধিষ্ঠিরের কেবল নরকদর্শনই মনে রেখেছ? যুধিষ্ঠিরের সত্যকথা ক্ষমা, ধৈর্য, বিবেক, বৈরাগ্য, ঈশ্বরের (Ramakrishna) ভক্তি—এ-সব কিছু মনে হয় না। আর কত কি বলতে যাচ্ছিলাম। হৃদে আমার মুখ চেপে ধরলে। যতীন্দ্র একটু পরেই আমার একটি কাজ আছে বলে চলে গেল।  

    আরও পড়ুনঃ “সে শিব শিব বলে জল তুলে দিলে, অমন আচারী ব্রাহ্মণ সেই জল খেলে!”

    হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 57: “সে শিব শিব বলে জল তুলে দিলে, অমন আচারী ব্রাহ্মণ সেই জল খেলে!”

    Ramakrishna 57: “সে শিব শিব বলে জল তুলে দিলে, অমন আচারী ব্রাহ্মণ সেই জল খেলে!”

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা—১৮৫৮

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) নরেন্দ্রাদি ভক্তের প্রতি—আমার এই অবস্থার পর কেবল ঈশ্বরের কথা শুনিবার জন্য ব্যাকুলতা হত। কোথায় ভগবত, কোথায় আধাত্ম্য, কোথায় মহাভারত খুঁজে বেড়াতাম। এঁড়েদার কৃষ্ণকিশোরের কাছে আধ্যাত্ম শুনতে যেতাম।

    কৃষ্ণকিশোরের কি বিশ্বাস! বৃন্দাবনে গিছিল, সেখানে একদিন জলতৃষ্ণা পেয়েছিল। কুয়ার কাছে গিয়ে দেখে, একজন দাঁড়িয়ে রয়েছে। জিজ্ঞাসা করাতে সে বললে, আমি নীচ জাতি, আপনি ব্রাহ্মণ; কেমন করে আপনার জল তুলে দেব? কৃষ্ণকিশোর বললে, তুই বল শিব। শিব শিব বললেই তুই শুদ্ধ হয়ে যাবি। সে শিব শিব বলে জল তুলে দিলে। অমন আচারী ব্রাহ্মণ সেই জল খেলে! কি বিশ্বাস!

    এঁড়েদার ঘাটে একটি সাধু এসেছিল। আমরা একদিন দেখতে যাব ভাবলুম। আমি কালীবাড়িতে হলধারীকে বললাম, কৃষ্ণকিশোর আর আমি সাধু দেখতে যাব। তুমি যাবে? হলধারী বললে, একটা মাটির খাঁচা দেখতে গিয়ে কি হবে? হলধারী গীতা-বেদান্ত পড়ে কি না! তাই সাধুকে বললে মাটির খাঁচা। কৃষ্ণকিশোরকে গিয়ে আমি ওই-কথা বললাম। সে মহা রেগে গেল। আর বললে, কি! হলধারী এমন কথা বলেছে? যে ঈশ্বর (Ramakrishna) চিন্তা করে, যে রাম চিন্তা করে, আর সেইজন্য সর্বত্যাগ করেছে, তার দেহ মাটির খাঁচা। সে জানে না যে, ভক্তের দেহ চিন্ময়। এত রাগ-কালীবাড়িতে ফুল তুলতে আসত, হলধারীর সঙ্গে দেখা হলে মুখ ফিরিয়ে নিত! কথা কইবে না!

    আমায় বলেছিল, পৈতেটা ফেললে কেন? যখন আমার এই অবস্থা হল, তখন আশ্বিনের ঝড়ের মতো একটা কি এসে কোথায় কি উড়িয়ে লয়ে গেল! আগেকার চিহ্ন কিছুই রইল না। হুঁশ নাই! কাপড় পড়ে যাচ্ছে, তা পৈতে থাকবে কেমন করে! আমি বললাম, তোমার একবার উন্মাদ হয়, তাহলে তুমি বোঝ!

    হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 56: হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    Ramakrishna 56: হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ ও অন্যান্য ভক্তসঙ্গে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    গুরুশিষ্য-সংবাদ—গুহ্য কথা

    সাত্ত্বিক ও রাজসিক জ্ঞান

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ঈশ্বরলাভ করলে তাঁর বাহিরের ঐশ্বর্য, তাঁর জগতের ঐশ্বর্য ভুল হয়ে যায়; তাঁকে দেখলে তাঁর ঐশ্বর্য মনে থাকে না। ঈশ্বরের আনন্দ মগ্ন হলে ভক্তের আর হিসাব থাকে না। নরেন্দ্রকে দেখলে, তোর নাম কি; তোর বাড়ি কোথা—এ-সব জিজ্ঞাসা করার দরকার হয় না। জিজ্ঞাসা করবার অবসর কই? হনুমানকে একজন জিজ্ঞাসা করেছিল, আজ কি তিথি? হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এ-সব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি।”

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা—১৮৫৮

    কৃষ্ণকিশোর এঁড়েদার সাধু, হলধারী, যতীন্দ্র, জয় মুখুজ্জে, রাসমাণি

    আজ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) মহানন্দে আছেন। দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে নরেন্দ্র আসিয়াছেন। আরও কয়েকটি অন্তরঙ্গ আছেন। নরেন্দ্র ঠাকুরবাড়িতে আসিয়া স্নান করিয়া প্রসাদ পাইয়াছেন।

    আজ (৩১ শে) আশ্বিন, শুক্লা চতুর্থী তিথি; ১৬ অক্টোবর ১৮৮২, সোমবার। আগামী বৃহস্পতিবার। সপ্তমী তিথিতে শ্রীশ্রীদুর্গাপূজা।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে রাখাল, রামলাল ও হাজরা আছেন। নরেন্দ্রের সঙ্গে আরও দুই একটি ব্রহ্মজ্ঞানী ছোকরা আসিয়াছেন। আজ মাস্টার আসিয়েছেন।

    নরেন্দ্র ঠাকুরের কাছেই আহার করিলেন। আহারান্তে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁহার ঘরের মেঝেতে বিছানা করিয়া দিতে বলিলেন, নরেন্দ্র আদি ভক্তেরা বিশেষতঃ নরেন্দ্র বিশ্রাম করিবেন। মাদুরের উপর লেপ ও বালিশ পাতা হইয়াছে। ঠাকুরও বালকের ন্যায় নরেন্দ্রের কাছে বিছানায় বসিলেন। ভক্তদের সহিত, বিশেষতঃ নরেন্দ্রের দিকে মুখ করিয়া হাসিমুখে মহা আনন্দে কথা কহিতেছেন। নিজের অবস্থা, নিজের চরিত্র, গল্পচ্ছলে বলিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

    আরও পড়ুনঃ “পাপ করলে তার ফল পেতে হবে! লঙ্কা খেলে তার ঝাল লাগবে না?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 55: “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    Ramakrishna 55: “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ ও অন্যান্য ভক্তসঙ্গে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    গুরুশিষ্য-সংবাদ—গুহ্য কথা

    আদ্যাশক্তি মহামায়া ও শক্তিসাধনা

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তাঁর কৃপা পেতে গেলে আদ্যাশক্তিরূপিণী তাঁকে প্রসন্ন করতে হয়। তিনি মহামায়া। জগৎকে মুগ্ধ করে সৃষ্টি স্থিতি প্রলয় করছেন। তিনি অজ্ঞান করে রেখে দিয়েছেন। সেই মহামায়া দ্বার ছেড়ে দিলে তবে অন্দরে যাওয়া যায়। বাহিরে পড়ে থাকলে বাহিরের জিনিস কেবল দেখা যায়।–সেই নিত্য সচ্চিদানন্দ পুরুষকে জানতে পারা যায় না। তাই পুরাণে কথা আছে—চণ্ডীতে—মধুকৈটভ বধের সময় ব্রহ্মাদি দেবতারা মহামায়ার স্তব করছেন।

    শক্তিই জগতের মূলাধার। সেই আদ্যাশক্তির (Ramakrishna) ভিতরে বিদ্যা ও অবিদ্যা দুই আছে,–অবিদ্যা—মুগ্ধ করে। অবিদ্যা—যা থেকে কামিনী-কাঞ্চন—মুগ্ধ করে। বিদ্যা-যা থেকে ভক্তি, দয়া, জ্ঞান, প্রেম–ঈশ্বরের পথে লয়ে যায়।  

    সেই অবিদ্যাকে প্রসন্ন করতে হবে। তাই শক্তির পূজা পদ্ধতি।

    তাঁকে প্রসন্ন করার জন্য নানাভাবে পূজা—দাসীভাব, বীরভাব, সন্তানভাব। বীরভাব-অর্থাৎ রমণ দ্বারা তাঁকে প্রসন্ন করা।

    শক্তিসাধনা—সব ভারী উৎকট সাধনা ছিল, চালাকি নয়।

    আমি মার দাসীভাবে, সখীভাবে দুই বৎসর ছিলাম। আমার কিন্তু সন্তানভাব, স্ত্রীলোকের স্তন মাতৃস্তন মনে করি।

    মেয়েরা এক একটি শক্তির রূপ। পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে; অর্থাৎ ওই শক্তিরূপা কন্যার সাহায্যে বর মায়াপাশ ছেদন করবে। এটি বীরভাব। আমি বীরভাবে পূজা করি নাই। আমার সন্তানভাব।

    কন্যা শক্তিরূপা (Ramakrishna)। বিবাহের সময় দেখে নাই—বর বোকাটি পিছনে বসে থাকে? কন্যা কিন্তু নিঃশঙ্ক।

    দর্শনের পর ঐশ্বর্য ভুল হয়—নানা জ্ঞান, অপরা-বিদ্যা- “Religion and Science”—

    আরও পড়ুনঃ “ছেলেটি পেট ভরে খেলে তবেই মা সন্তুষ্ট, যশোদা কৃষ্ণ খাবে বলে ননী হাতে করে বেড়াতেন”

    আরও পড়ুনঃ “ঈশ্বরলাভ-এর মানে কি? ঈশ্বরদর্শন কাকে বলে? কেমন করে হয়?”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 54: “প্রদীপের শিখার দিকে যদি একদৃষ্টে চেয়ে থাক, তবে খানিকক্ষণ পরে চারিদিক শিখাময় দেখা যায়”

    Ramakrishna 54: “প্রদীপের শিখার দিকে যদি একদৃষ্টে চেয়ে থাক, তবে খানিকক্ষণ পরে চারিদিক শিখাময় দেখা যায়”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ ও অন্যান্য ভক্তসঙ্গে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    গুরুশিষ্য-সংবাদ—গুহ্য কথা

    তখন আবার তিনিই আমি এইটি বোধ হয়। মাতালের নেশা বেশি হলে বলে, আমিই কালী।

    গোপীরা প্রেমোন্মত্ত হয়ে বলতে লাগল আমিই কৃষ্ণ।

    তাঁকে রাতদিন চিন্তা করলে তাঁকে চারিদিকে দেখা যায়, যেমন—প্রদীপের শিখার দিকে যদি একদৃষ্টে চেয়ে থাক, তবে খানিকক্ষণ পরে চারিদিক শিখাময় দেখা যায়।

    ঈশ্বরদর্শন কি মস্তিস্কের ভুল? সংশয়াত্মা বিনশ্যতি

    মাণি ভাবিতেছেন যে, সে শিখা তো সত্যকার শিখা নয়।

    ঠাকুর (Ramakrishna) অন্তর্যামী, বলিতেছেন চৈতন্যকে চিন্তা করলে অচৈতন্য হয় না। শিবনাথ বলেছিল, ঈশ্বরকে একশোবার ভাবলে বেহেড হয়ে যায়। আমি তাকে বললাম, চৈতন্যকে চিন্তা করলে কি অচৈতন্য হয়?

    মণি—আজ্ঞা বুঝেছি। এ-তো অনিত্য কোন বিষয় চিন্তা করা নয়?—যিনি নিত্যচৈতন্যস্বরূপ তাঁতে মন লাগিয়ে দিলে মানুষ কেন অচৈতন্য কেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (প্রসন্ন হইয়া)—এইটি তাঁর কৃপা—তাঁর কৃপা—না হলে সন্দেহ ভঞ্জন হয় না।

    আত্মার সাক্ষাৎকার না হলে সন্দেহ ভঞ্জন হয় না।

    তাঁর কৃপা হলে আর ভয় নাই। বাপের হাত ধরে গেলেও ছেলে পড়তে পারে। কিন্তু ছেলের হাত যদি বাপ ধরে, আর ভয় নাই। তিনি কৃপা করে যদি সন্দেহ ভঞ্জন করেন, আর দেখা দেন আর কষ্ট নাই।–তবে তাঁকে পাবার জন্য খুব ব্যাকুল হয়ে ডাকতে ডাকতে—সাধনা করতে করতে তবে কৃপা হয়। ছেলে অনেক দৌড়াদৌড়ি কচ্ছে, দেখে মার দয়া হয়। মা লুকিয়ে ছিল, এসে দেখা দেয়।

    মণি ভাবিতেছেন, তিনি দৌড়াদৌড়ি কেন করান।–ঠাকুর অমনি বলিতেছেন, তাঁর ইচ্ছা যে খানি দৌড়াদৌড়ি হয়; তবে আমোদ হয়। তিনি লীলায় এই সংসার রচনা করেছেন। এরি নাম মহামায়া। তাই সেই শক্তিরূপিণী মার শরণাগত হতে হয়। মায়াপাশে বেঁধে ফলেছে, এই পাশ ছেদন করতে পারলে তবেই ঈশ্বরদর্শন (Ramakrishna) হতে পারে।

    আরও পড়ুনঃ “ছেলেটি পেট ভরে খেলে তবেই মা সন্তুষ্ট, যাশোদা কৃষ্ণ খাবে বলে ননী হাতে করে বেড়াতেন”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

    আরও পড়ুনঃ “পাপ করলে তার ফল পেতে হবে! লঙ্কা খেলে তার ঝাল লাগবে না?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share