Tag: Rape

Rape

  • Durgapur Gangrape: “সর্বস্তরে চাপ সৃষ্টি করা হবে”, দুর্গাপুরের নির্যাতিতার পরিবারকে আশ্বাস ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর

    Durgapur Gangrape: “সর্বস্তরে চাপ সৃষ্টি করা হবে”, দুর্গাপুরের নির্যাতিতার পরিবারকে আশ্বাস ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চিন্তা করবেন না। ওড়িশা সরকার আপনাদের পাশে আছে। আমরা সবরকমভাবে সাহায্য করব। ধৈর্য রাখুন, সাহস হারাবেন না।” সোমবার ফোনে দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে (Durgapur Gangrape) নির্যাতিতার পরিবারকে এই বার্তাই দিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী (Odisha CM) বিজেপির মোহন চরণ মাঝি। বিরোধীদের দাবি, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নির্যাতিতার পরিবারকে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেও, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেননি। উল্টে তিনি ঘটনার দায় চাপিয়েছেন ওই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে।

    দুর্গাপুরে ওড়িশা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন

    সোমবারই দুর্গাপুরে গিয়ে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ওড়িশা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন শোভনা মোহান্তি। তখনই ফোনে নির্যাতিতা ও তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। মেডিক্যাল কলেজের ওই নির্যাতিতা (Durgapur Gangrape) ছাত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে তিনি বলেন, “তোমার পড়াশোনা যেন কোনওভাবে বন্ধ না হয়, তার জন্য সব ব্যবস্থা করা হবে।” অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলতে সর্বস্তরে চাপ সৃষ্টি করা হবে।”

    ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস

    জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কলেজ পরিবর্তনের আবেদন জানিয়েছেন। তিনি চান, ওড়িশার কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলজে স্থানান্তরিত হতে। প্রত্যুত্তরে মোহন তাঁকে বলেন, “আপনি বেসরকারি কলেজের ছাত্রী, তাই নিয়মকানুন দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।” তরুণীর মাকে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, এই নৃশংস অপরাধের জন্য দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে। ওড়িশা সরকার ন্যায়বিচার আদায়ের জন্য সব দিক থেকে চাপ সৃষ্টি করবে (Odisha CM)। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, ওড়িশা মহিলা কমিশনের প্রধান যেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিষয়টি নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করেন, সে-ই নির্দেশও দেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী জানান, নির্যাতিতার (Durgapur Gangrape)পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হবে। তিনি নিজে নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন, আশ্বাস দিয়েছেন পূর্ণ সহযোগিতার।

    হাসপাতালে ঢুকতে বাধা মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের

    এদিকে, দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নির্যাতিতা। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করে গোটা ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিতে গিয়েছিলেন ওড়িশার মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। কিন্তু হাসপাতালে ঢোকার ক্ষেত্রে তাঁদের বাধার মুখে পড়তে হয়। বাধা দেন হাসপাতালের (Odisha CM) কর্মীরাই। মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের আটকে দেওয়া হয় হাসপাতালের বাইরে ব্যারিকেডেই (Durgapur Gangrape)। হাসপাতালের তরফে তাঁদের জানানো হয়, ভেতরে রাজ্যপাল রয়েছেন। তাই তাঁদের বাইরেই অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু এত বড় একটা হাসপাতালে কেন ভিন রাজ্য থেকে আসা প্রতিনিধিদলের সদস্যদের ভেতরে পর্যন্ত ঢুকতে দেওয়া হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বেশ খানিকক্ষণ রাস্তায়ই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ওড়িশার ওই প্রতিনিধিদের। ওড়িশা মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দলের এক সদস্য বলেন, “আমার এলাকার মেয়ে, আমার রাজ্যের মেয়ে, তার সঙ্গে এমনটা হয়েছে। আমরা বাইরে দাঁড়িয়েই অপেক্ষা করব।”

    দুর্গাপুরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও

    এদিকে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করেন তিনি। দুর্গাপুর যাওয়ার আগে রাজ্যপাল সাংবাদিকদের জানান, আগে তিনি নির্যাতিতার (Durgapur Gangrape) সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি আক্রান্ত এবং তাঁর বাবা-মায়ের পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন। যারা এ কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানান তিনি। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে কিনা, এ প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল জানান, আগে তিনি ওই মেডিক্যাল ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন (Odisha CM)। তাঁর কাছ থেকে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করবেন। এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই পাঁচজনের বিরুদ্ধেই দায়ের হয়েছিল অভিযোগ। ঘটনায় তৃণমূল যোগের তত্ত্বও খাড়া করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের ক্যাডার। তাঁর বাবা দলের পদাধিকারী। শুভেন্দুর কথায়, “আজ (সোমবার) যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি দুর্গাপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী, তৃণমূলের ক্যাডার। ওঁর বাবা পার্টির পোর্টফোলিও হোল্ডার। এই গণধর্ষণের সঙ্গে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারী জড়িত। শাসক যেখানে শোষক, সেখানে আইনের শাসন ও বিচার পাওয়ার কোনও জায়গা নেই।”

    প্রসঙ্গত, দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের নির্যাতিতা ওড়িশার ওই ছাত্রীর অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে তিনি গণধর্ষণের শিকার হন (Odisha CM)। ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। আটক করা হয়েছে ওই তরুণীর সহপাঠীকেও (Durgapur Gangrape)।

  • Durgapur Gangrape: কেউ তৃণমূল নেতার ছেলে, কেউ ওই হাসপাতালেরই অস্থায়ী কর্মী! দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে ধৃতদের পরিচয় জানুন

    Durgapur Gangrape: কেউ তৃণমূল নেতার ছেলে, কেউ ওই হাসপাতালেরই অস্থায়ী কর্মী! দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে ধৃতদের পরিচয় জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ওড়িশা থেকে পড়তে আসা এক তরুণীকে ক্যাম্পাসের মধ্যেই গণধর্ষণের অভিযোগে (Durgapur Gangrape) তোলপাড় গোটা রাজ্য। ওই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা সকলেই ওই বেসরকারি কলেজ লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দা। ধৃতদের মধ্যে একজন আবার ওই হাসপাতালেরই প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী। আর একজন দুর্গাপুরেরই একটি হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী। আর একজন আবার স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে! এবার আসুন, অভিযুক্তদের চিনে নিই। প্রসঙ্গত, গণধর্ষণকাণ্ডে (Durgapur Gangrape) রবিবার গ্রেফতার করা হয় শেখ রেয়াজউদ্দিন, অপু বাউড়ি এবং ফিরদৌস শেখকে। পরের দিন পুলিশ গ্রেফতার করে শেখ নাসিরউদ্দিন এবং সফিক শেখকে।

    হাসপাতালেরই প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী ররেয়াজউদ্দিন 

    বছর একত্রিশের রেয়াজউদ্দিনের বাড়ি ওই মেডিক্যাল কলেজের পাশেই দুর্গাপুর বি জোনের বিজড়া ডাঙাপাড়ায়। বছর কয়েক আগে এই কলেজ হাসপাতালেই নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত সে। রেয়াজউদ্দিনের বৌদি বলেন, “পুলিশ এসে দেওরকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। ও নিজের ইচ্ছেয় কাজ ছেড়ে দিয়েছিল। এখন কিছু করে না। এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ায়।”

    হাসপাতালেরই অস্থায়ী কর্মী ফিরদৌস শেখ

    দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালে জেনারেল ডিউটি অ্যাটেনডেন্টের কাজ করত বছর তেইশের ফিরদৌস শেখ। গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সে-ও। ঘটনার দিনও মর্নিং শিফটে কাজ করেছিল। তার কাছ থেকেই উদ্ধার হয় নির্যাতিতার মোবাইল ফোন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এজেন্সির মাধ্যমে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয় (Durgapur Gangrape)। তাই তারা এ ব্যাপারে কিছু জানে না।

    তৃণমূল নেতার পুরকর্মী ছেলে নাসিরউদ্দিন!

    বিজড়া ডাঙাপাড়ারই বাসিন্দা আর এক অভিযুক্ত বছর একুশের অপু বাউড়ি। পরিবারের দাবি, সে পেশায় দিনমজুর। তার স্ত্রী মামণির দাবি, তাঁরা এক সঙ্গেই ঘুমোচ্ছিলেন, ফাঁসানো হয়েছে তাঁর স্বামীকে। গ্রেফতার করা হয়েছে শেখ নাসিরউদ্দিনকেও। বছর তেইশের নাসিরউদ্দিন দুর্গাপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। তার বাবা তৃণমূল করেন। গ্রেফতার করা হয়েছে সফিক শেখকেও। তার বয়স তিরিশের কাছাকাছি। সে-ও এলাকারই বাসিন্দা।

    প্রসঙ্গত, সোমবারই দুর্গাপুরের এই ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে তৃণমূল-যোগের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেছিলেন, “আজকে (সোমবার) যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি দুর্গাপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী, তৃণমূলের ক্যাডার। ওঁর বাবা পার্টির পোর্টফোলিও হোল্ডার।” শুভেন্দু এও বলেছিলেন, “এই গণধর্ষণের সঙ্গে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারী জড়িত। শাসক যেখানে শোষক, সেখানে আইনের শাসন ও বিচার পাওয়ার কোনও জায়গা নেই (Durgapur Gangrape)।”

  • TMC: কসবার পর এবার হরিদেবপুর, গণধর্ষণকাণ্ডে ফের কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা

    TMC: কসবার পর এবার হরিদেবপুর, গণধর্ষণকাণ্ডে ফের কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি তৃণমূলের (TMC) নেতা। একুশে জুলাই তৃণমূলের পোস্টারেও তাঁকে দেখা গিয়েছে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তৃণমূলের সেই তরুণ তুর্কি নেতা দেবাংশু বিশ্বাস (Debangshu Biswas) ওরফে দীপই এবার গণধর্ষণের অভিযোগে কাঠগড়ায়। অভিযোগ, গত ৫ সেপ্টেম্বর কলকাতার হরিদেবপুর এলাকায় বছর কুড়ির এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন দেবাংশু ও তাঁর সহকারী চন্দন মালিক। জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত পার্টিতে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে দেবাংশুর ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া হয়।

    ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ (TMC)

    দু’জনেই পূর্ব পরিচিত হওয়ায় সরল বিশ্বাসে ওই তরুণী হাজির হন দেবাংশুর ফ্ল্যাটে। সেখানে তখন উপস্থিত কেবল দেবাংশু। অভিযোগ, এর পরেই দেবাংশু ও চন্দন তাঁকে ধর্ষণ করেন। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “শুক্রবার ওই তরুণীর জন্মদিন ছিল। ওই দিন অভিযুক্ত চন্দন ও দেবাংশু তাঁকে দেবাংশুর ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানে তারা এক সঙ্গে খাবার খায়। খাওয়া শেষে তরুণী চলে যেতে চাইলে অভিযুক্তরা তাঁকে যেতে বাধা দেয়। দরজা বন্ধ করে দিয়ে গ্যাং-রেপ করে ওই তরুণীকে।” পরের দিন ওই তরুণী অভিযোগ দায়ের করেন হরিদেবপুর থানায়। ঘটনার পর গা-ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও তার সহকারী। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা পলাতক। তাঁদের ধরতে চলছে তল্লাশি অভিযান।

    দেবাংশুর আরও একটি পরিচয়

    দেবাংশু কেবল তৃণমূলের নেতাই নন, তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমি সংস্কার বিভাগে রেভেনিউ ইনসপেক্টর হিসেবে কর্মরত। যে ফ্ল্যাটে দেবাংশু ও তাঁর সহকারী এই দুষ্কর্মটি করেছেন বলে অভিযোগ, সেই ফ্ল্যাটের মালিক জানান, তিনি নীচের তলাটা তৃণমূল কর্মী দেবাংশু বিশ্বাসকে ভাড়া দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, দেবাংশু নিজেকে সরকারি কর্মচারী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, তিনি তাঁর মায়ের সঙ্গে সেখানে থাকবেন (TMC)।

    ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ কসবায়ও 

    প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভেতর রক্ষীর ঘরে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের তিন নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় কলেজেরই দুই ছাত্র এবং এক প্রাক্তনীকে। গ্রেফতার করা হয়েছিল কলেজের নিরাপত্তারক্ষীকেও। ওই ঘটনায় মূল তিন অভিযুক্তই তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি। নির্যাতিতা নিজেও টিএমসিপির সদস্য ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৫ জুন বুধবার সন্ধে সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিটের মধ্যে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতিতা অভিযোগপত্রে মূল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছেন ‘জে’ নামে। অভিযোগ দায়ের করা হয় ‘এম’ এবং ‘পি’ নামের দু’জনের বিরুদ্ধেও। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, প্রথমে ইউনিয়ন রুমের ভেতর তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে রক্ষীর ঘরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন ‘জে’। বাইরে পাহারায় ছিলেন বাকি দু’জন (Debangshu Biswas)। কলেজের মেন গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ছাত্রীকে বেরতে দেওয়া হয়নি। রক্ষীর কাছে সাহায্য চেয়েও তিনি পাননি (TMC)।

    কাঠগড়ায় সেই তৃণমূলের তিন তুর্কি

    সেই সময় নির্যাতিতা জানিয়েছিলেন, শাসকদলের ছাত্র পরিষদের নেতা হওয়ায় কলেজে দাপট ছিল অভিযুক্তদের। তাই কলেজের রক্ষীও ছিলেন অসহায়। অভিযোগ, ধর্ষণের কথা পুলিশকে জানালে তাঁর প্রেমিককে খুন করিয়ে দেওয়ার এবং বাবা-মাকে গ্রেফতার করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে। তৃণমূলের ওই তিন অভিযুক্ত এও জানিয়েছিলেন, এ সব তাঁরা আগেও করেছেন। ইউনিয়ন রুমে সেদিন হকি স্টিক দিয়ে নির্যাতিতাকে মারধরের চেষ্টাও করা হয়েছিল। পরে রক্ষী-সহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তদন্তকারীরা এই (Debangshu Biswas) ঘটনার চার্জশিটও জমা দিয়েছেন। কসবার পর এবার হরিদেবপুরেও উঠল গণধর্ষণের অভিযোগ। এবং কাঠগড়ায় সেই শাসক দলেরই নেতা (TMC)।

    নেত্রীর আস্কারা!

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রীর আশীর্বাদী হাত মাথায় থাকায় বার বার অপরাধ করতে সাহস পাচ্ছেন দলের নেতারা। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগে যোগ্য-অযোগ্য নিয়ে বিতর্কের জেরে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন, “আমরা অযোগ্যদের পাশে আছি”। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, খোদ দলনেত্রীর এই অস্কারা পেয়েই নানা ক্ষেত্রে একের পর এক কুকীর্তি করে চলেছেন তৃণমূলের ছোট-বড়-মেজ নেতারা। কারও নাম জড়িয়েছে কয়লা কেলেঙ্কারিতে, কেউ আবার কাঠগড়ায় উঠেছেন রেশনসামগ্রী পাচারের অভিযোগে। বালি চুরির কলঙ্কও লেগেছে কারও গায়ে। ধর্ষণে অভিযুক্তের সংখ্যা তো বোধহয় গুণেও শেষ করা যাবে না। খুন-জখম-রাহাজানির ঘটনায়ও (Debangshu Biswas) অভিযুক্ত বহু তৃণমূল নেতা। এই তালিকায়ই সর্ব শেষ সংযোজন হরিদেবপুরের দেবাংশু বিশ্বাস ও তাঁর সাগরেদ (TMC)।

  • Bangladesh Crisis: কুমিল্লায় হিন্দু বধূকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশ

    Bangladesh Crisis: কুমিল্লায় হিন্দু বধূকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লায় হিন্দু বধূকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় বিএনপি নেতা ফজর আলির গ্রেফতারির দাবিতে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) পড়ুয়ারা। ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে উত্তাল বাংলাদেশের রাজধানী। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরাসরি পদক্ষেপের দাবিতে সরব হয়েছেন প্রতিবাদীরা। ঘটনার প্রতিবাদে রবিরার রাতে মশাল হাতে মিছিল করেন তাঁরা।

    দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি (Bangladesh Crisis)

    মিছিল থেকে ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়ার আওয়াজ ওঠে। মিছিল শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে। শাহবাগ প্রদক্ষিণ করে মিছিল শেষ হয় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে। কেন্দ্রীয় ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সলমান সিদ্দিকি বলেন, “বিগত আওয়ামি লিগের আমলে তনু, খাদিজা-সহ অসংখ্যা নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের বিচার হয়নি। আমরা আশা করেছিলাম, ৫ অগাস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার নারীদের সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কিন্তু এই সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরেও দেখলাম নারীরা ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপদ নন।” ইউনূস সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এই সরকারের আমলেও আছিয়া, লামিয়া এবং কুমিল্লার মুরাদনগরের ঘটনা-সহ অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে।” সিদ্দিকি বলেন, “এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”

    ধর্ষণে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা

    প্রসঙ্গত, কুমিল্লার রামচন্দ্রপুর পচকিট্টা গ্রামের বাসিন্দা তথা স্থানীয় বিএনপি নেতা ফজর আলির বিরুদ্ধে অভিযোগ সে এক হিন্দু তরুণী বধূকে বাড়িতে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণ করে। দুই সন্তানের মা ওই বধূর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে ফজরকে ধরে ফেলে। যদিও পরে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় সে। পরে সায়েদাবাদ এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে (Bangladesh Crisis)। এই ঘটনার পর কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফজর-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে তিনজন ঘটনার ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বাংলাদেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও (Dhaka University) এই ঘটনার প্রতিবাদে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভের আগুন। ঘটনায় মুখ খুলেছে ভারত সরকারও (Bangladesh Crisis)।

  • Bangladesh Crisis: ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে রেখে ধর্ষণ বধূকে, কাঠগড়ায় বিএনপি নেতা

    Bangladesh Crisis: ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে রেখে ধর্ষণ বধূকে, কাঠগড়ায় বিএনপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ধর্ষিতা হিন্দু বধূ। ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে রেখে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) জাতীয়তাবাদী দল (বিএমপি)-এর প্রভাবশালী নেতা ফজর আলি। কুমিল্লা জেলার (Hindu Woman Raped) মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর পাঁচকিট্টা গ্রামের ঘটনা। বছর একুশের ওই বধূর দুটি সন্তানও রয়েছে। তাঁর স্বামী দুবাইয়ে কাজ করেন। সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই বধূ সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান। তার পর থেকেই তাঁর ওপর নজর পড়েছিল ফজরের।

    কাঠগড়ায় বিএনপি নেতা (Bangladesh Crisis)

    সে তাঁকে অনুসরণ ও হয়রানি করছিল বলে অভিযোগ। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি মেলায় গিয়েছিলেন ওই বধূর পরিবারের লোকজন। বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন। অভিযোগ, সেই সুযোগে ওই বিএনপি নেতা তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। গলায় ছুরি ধরে রেখে ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। বধূর চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরা ফজরকে ধরেও ফেলেন। যদিও সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় সে। ওই বধূকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরের দিনই ওই তরুণীর পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের হয় মুরাদনগর থানায়।

    গ্রেফতার নেতা-সহ ৫

    ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রুজু করা (Bangladesh Crisis) হয় মামলা। রবিবার পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই বধূর অশ্লীল ভিডিও শেয়ার করার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। পরে গ্রেফতার করা হয় ফজরকেও। ধৃত পাঁচজনের বিরুদ্ধেই আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, ফজর মুরাদনগরের বাহেছাড় পূর্ব পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সে বিএনপির নেতা।

    গত বছর ৫ অগাস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগ সরকারের। তার পর বাংলাদেশের রাশ তুলে দেওয়া হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের হাতে। এই ইউনূস জমানায় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চরমে ওঠে। হিন্দুদের মন্দির-বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করার পাশাপাশি নির্যাতন চালানো হয় হিন্দু মহিলাদের ওপর। পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও প্রতিকার মেলে না বলে অভিযোগ (Hindu Woman Raped)। এখন দেখার, এই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করে বাংলাদেশ সরকার (Bangladesh Crisis)।

  • Jayanagar Rape: ৬২ দিনের মাথায় জয়নগরের নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় মুসলিম যুবককে ফাঁসির নির্দেশ

    Jayanagar Rape: ৬২ দিনের মাথায় জয়নগরের নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় মুসলিম যুবককে ফাঁসির নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়নগরে (Jayanagar Rape) নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ৬২ দিনের মাথায় ফাঁসির সাজা শোনাল বারুইপুর আদলাত। সেইসঙ্গে মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায়ও ঘোষণা করা হয়েছে। স্কুল পড়ুয়া নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করেছিল এক মুসলিম যুবক (Muslim Youth)। ঘটনা ঘটার পর থেকেই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা চোখে পড়ার মতো ছিল। ফলে স্থানীয় জনতা ব্যাপক ভাবে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রকাশ করে। এমনকী পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশকে ঝাঁটাপেটা পর্যন্ত করেন গ্রামবাসীরা।

    ওই নাবালিকা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল (Jayanagar Rape)!

    গত ৪ অক্টোবর জয়নগরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রাজ্যরাজনীতি ব্যাপক ভাবে উত্তাল হয়ে পড়েছিল। ওই নাবালিকা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। মূল অভিযুক্তের নাম মুস্তাকিন (Muslim Youth)। টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার সময় ওই ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে প্রথমে মুখ চেপে ধর্ষণ করা হয় এবং এরপর নির্মমভাবে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়। শরীরে মোট ৩৭টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা এবং রণক্ষেত্রের রূপ নিয়েছিল মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে স্থানীয় ফাঁড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে স্থানীয় জনতার বিরুদ্ধে। যদিও পাল্টা স্থানীয় জনতার দাবি, পুলিশ প্রথম থেকেই কেসটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছিল না। পুলিশ যদি আগেই করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঠিক করে পদক্ষেপ গ্রহণ করত, তাহলে হয়তো এমন পরিণতি হতো না। প্রতিবাদে মানুষের ক্ষোভের আগুনের আঁচ পড়ে থানার উপর। স্থানীয় জনতার দাবি, সবটাই ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই না।

    আরও পড়ুনঃ ক্ষমতা দেখালেন তৃণমূল নেত্রী! ছেলে- আত্মীয় পরিজন মিলে ৯ জনের আবাস যোজনার তালিকায় নাম, সরব বিজেপি

    নৃশংস-বিরল ঘটনা

    মামলার রায়দানের পর সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নৃশংস ঘটনা (Jayanagar Rape)। বিরল ঘটনা, তাই ফাঁসির আবেদন করেছিলাম আমরা। বিচারক দোষীকে ফাঁসির সাজাই দিয়েছেন। এই মামলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ডিএনএ প্রোফাইল মিলে গিয়েছে। ফলে সন্দেহের আর কোনও অবকাশই থাকে না।” ঘটনার তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত মুসলিম যুবককে গত ৫ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়েছিল। ৭ অক্টোবর তদন্ত সিট গঠন করা হয়। এরপর ২৫ দিনের মাথায় গত ৩০ অক্টোবর চার্জশিট গঠন করা হয়। অবশেষে ৫ ডিসেম্বর মুস্তাকিনকে দোষী সাবস্ত্য করা হয়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: কৃষ্ণনগরে তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন! সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে নির্যাতিতার মা

    Nadia: কৃষ্ণনগরে তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন! সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে নির্যাতিতার মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের আবহে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে পুজো মণ্ডপের কাছে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে। তাই, রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না কৃষ্ণনগরের ‘নির্যাতিতা’ তরুণীর মা। তিনি চান সিবিআই মেয়ের মৃত্যুর তদন্ত করুক। আর্জি জানাতে বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Nadia)

    বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরে (Nadia) এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়েরাই দেহটি রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরিবারের অভিযোগ, দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। আঙুল ওঠে তরুণীর প্রেমিকের দিকে। প্রাথমিক তদন্তে নেমে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মেয়েটির সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরে সম্পর্ক ছিল অভিযুক্ত যুবকের। ওই যুবক ভিনরাজ্যে একটি হোটেলে কর্মরত ছিলেন। দুই পরিবারের সম্মতিতে তাঁদের বিয়ে হবে বলেও স্থির হয়। ওই যুবকের বাড়িতে মাঝে মধ্যেই যেতেন ওই তরুণী। তার পরেও এমন ঘটনা কেন, সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। প্রায় ২৪ ঘণ্টা কাটলেও কৃষ্ণনগরে তরুণীর দগ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় অনেক ধোঁয়াশাই কাটছে না।

    আরও পড়ুন: হাসিনার পরিবারের সঙ্গে যুক্ত আটটি জাতীয় দিবস বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশে

    ময়না তদন্তের রিপোর্ট কী বলছে?

    পরিবারের দাবি মেনে বৃহস্পতিবার কল্যাণীর (Nadia) জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ‘নির্যাতিতার’ দেহের ময়নাতদন্ত হয়। যদিও, ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এটাও মনে করছেন, অ্যাসিডে নয়, তরুণীকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন করা হতে পারে। কিছু নমুনা পরীক্ষার জন্য় বাইরে পাঠানো হচ্ছে। 

    পুলিশে আস্থা নেই, সিবিআই তদন্তের দাবি

    তার আগে মৃতার মা বলেন, ‘‘বুধবার সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত যে ঘটনাপ্রবাহ দেখেছি, তার পরে আর পুলিশের ওপরে আস্থা রাখতে পারছি না। পুলিশ এক জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এটা এক জনের কাজ হতে পারে না। বাকিদের ব্যাপারে পুলিশের কোন উৎসাহ নেই কেন?’’ তাঁর অভিযোগ, ’’পুলিশ একাধিক কাগজে সই করার জন্য চাপ দিয়েছে। এমনকী কাগজ না পড়িয়েই সই করানোর চেষ্টা করে। তাই, পুলিশের ওপর আমাদের আস্থা নেই। নিরপেক্ষ তদন্ত এবং যথোপযুক্ত সাজার জন্য মেয়ের খুনের তদন্ত করুক সিবিআই (CBI)। আইনজীবীর মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানাব। প্রয়োজনে বাড়ি বিক্রি করে এই লড়াই চালাব।’’

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    কৃষ্ণনগরের (Nadia) তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় এদিন দুপুরে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান এডিজি সিআইডি সোমা দাস এবং সুপ্রতিম সরকার এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ)। পাশাপাশি সঙ্গে ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার কে অমরনাথ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিত কুমার সহ জেলার অন্যান্য আধিকারিকরা। কৃষ্ণনগরকাণ্ডে সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল) গঠন করেছে রাজ্য পুলিশ। ওই ঘটনার তদন্তে সিআইডি (রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ)-র সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার জানালেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। তিনি বলেন, কৃষ্ণগর জেলা পুলিশ সর্বস্তরে মৃত যুবতীর পরিবারের সঙ্গে রয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত দ্রুত গতিতে চলছে। অভিযুক্ত রাহুল বোসকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছি এবং অনেক জিজ্ঞাসাবাদ বাকি রয়েছে। সেই কারণে আমরা অভিযুক্তকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়েছি। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হবে। পাশাপাশি, যুবতীর পরিবারের যে দাবি ছিল সেই অনুযায়ী ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার কাজ চলছে।

    হত্যার নেপথ্যে কী কারণ?

    ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত নেমে বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক লোকেশন ট্র্যাক করে খুনের কিনারা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, ঘটনার একদিন আগে একটি বাইকের শোরুমে যায় অভিযুক্ত ও নির্যাতিতা। নির্যাতিতা বাইক কেনার কিছু টাকা বাড়ি থেকে জোগাড় করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কথা রাখতে না পারা নিয়ে তীব্র গোলমাল হয় বলে দু’জনের মধ্যে।

    অন্য একটি সূত্রের খবর, ওই তরুণী তাঁর প্রেমিকের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। তরুণীর প্রেমিক হোটেলে কাজ পেয়ে বেঙ্গালুরুতে চলে যান। বাড়িতে না জানিয়ে দিন পনেরোর জন্য তরুণী প্রেমিকের কাছেও চলে গিয়েছিলেন। সে সময়ে তাঁর পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    সম্পর্কে টানাপোড়েন নাকি টাকা পয়সা নিয়ে বিবাদের জেরে খুন, সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীর মুখ থেঁতলে খুন, মুসলিম যুবককে ফাঁসির সাজা দিল শিলিগুড়ি আদালত

    Siliguri: ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীর মুখ থেঁতলে খুন, মুসলিম যুবককে ফাঁসির সাজা দিল শিলিগুড়ি আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির (Siliguri) মাটিগাড়ায় নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা দিল দার্জিলিং জেলা আদালত। ঠিক এক বছর ১৪ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা করা হল। শনিবার শিলিগুড়ির অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালতের বিচারক অনিতা মেহেত্রা মাথুর এই সাজা ঘোষণা করেন। পক্সো আইনে মামলা হয়েছিল। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। শনিবার সাজা শোনার জন্য মৃতার পরিবার এবং প্রতিবেশীরা আদালতে হাজির হয়েছিলেন। অপরাধীকে পুলিশ আদালতে নিয়ে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Siliguri)

    আদালত (Court) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে একদিন বিকেলের দিকে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথে মহম্মদ আব্বাস নামে এক যুবক তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। তাকে মাটিগাড়ার (Siliguri) জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ওই মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতাকে যাতে চেনা না যায়, সে জন্য ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল তার মুখ। ওই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার পর পরই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ রাজু বিস্তা, স্থানীয় বিধায়ক আনন্দ বর্মন সহ দলীয় নেতৃত্ব নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এমনকী রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে দোষীর শাস্তি হওয়ার আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন।

    আরও পড়ুন: চিনা রাষ্ট্রদূতের মুখে জামাত প্রশস্তি, বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা বেজিংয়ের!

    আদালতে কী হল?

    খুনের মামলায় একাধিক সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত (Siliguri)। অবশেষে সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে আব্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন ঘটনার নজির তুলে ধরে অপরাধীর ফাঁসির পক্ষে সওয়াল করেন। অন্যদিকে, অপরাধীর আইনজীবী বুলা রায় জানান, তাঁর মক্কেলের বাড়িতে বৃদ্ধা মা রয়েছেন। তাঁর পরিবারের কথা ভেবে ফাঁসির আবেদন বিবেচনা করার আর্জি রাখেন তিনি। আব্বাসের বিরুদ্ধে ওঠা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয় বৃহস্পতিবারই। এরপরই শনিবার বিচারক ফাঁসির রায় দেন। সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “খুব গুরুত্ব সহকারে প্রতিটি হাজিরায় আদালতে বোঝাবার চেষ্টা করেছি যে, এটা অন্যান্য মামলার তুলনায় ভিন্ন একটি মামলা। এই মামলায় দোষীর ফাঁসি হওয়া উচিত। আমরা ফাঁসির আবেদন জানিয়েছিলাম। আদালত মূলত দুটি বিষয়েব ওপর নজর দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দিল। প্রথমত খুন এবং দ্বিতীয়ত নাবালিকাকে ধর্ষণ।”

    নির্যাতিতার মা কী বললেন?

    সাজা ঘোষণার পরে নির্যাতিতার মা বলেন, “আদালতের এই রায়ে আমরা খুশি। আমার মেয়ে শান্তি পাবে। ওই লোকটির (দোষী) দু’জন স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছেন। তার পরেও এমন কাজ! ওর ফাঁসিই হওয়া উচিত। প্রথম থেকেই মাটিগাড়া থানা এবং আদালতের উপর আমাদের ভরসা ছিল। সেই ভরসাই আমার মেয়েকে আজ বিচার পাইয়ে দিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ধর্ষণে অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি, সুকান্তের নেতৃত্বে বিক্ষোভে ধুন্ধুমার

    Sukanta Majumdar: ধর্ষণে অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি, সুকান্তের নেতৃত্বে বিক্ষোভে ধুন্ধুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারিতে আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টায় অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি করেছে বিজেপি। আরজি করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও অভিযান কর্মসূচি ছিল। সেই অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বালুরঘাটে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে জেলা প্রশাসনিক ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ বাধা দিলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে।

    মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার (Sukanta Majumdar)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে এদিন বালুরঘাটে জেলা প্রশাসনিক ভবনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। বিজেপি কর্মীরা মিছিল করে এগোলে পুলিশ ব্যারিকেড করে তাঁদের বাধা দেয়। সেই ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগিয়ে যায়। একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীরা প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। তাতে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রতিবাদ সভাও হয়েছে। সেখানে প্রধান বক্তা ছিলেন সুকান্ত মজুমদার।

    আরও পড়ুন: সন্দীপ একা নন, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার তাঁর নিরাপত্তারক্ষী, ২ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীও

    ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে গেলে আমাদের পুলিশ আটকে দেয়। আমাদের কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে দিয়েছে। কর্মীদের না আটকালে আরও বড় গন্ডগোলে পরিণত হত। আমরা কোনও গন্ডগোল চাই না। গোটা রাজ্য জুড়ে আরজি কর শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের সব জায়গায় মহিলারা ধর্ষিত হচ্ছে। আমরা বংশীহারীর ধর্ষণ কাণ্ডের অভিযুক্তর ফাঁসির দাবিতে এই বিক্ষোভ করলাম।”

    বিধানসভায় আনা বিল নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    বিধানসভায় ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুর বিল নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “এই বিল লোক দেখানো বিল। আমরা এই বিল সমর্থন করেছি। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ খোলার জন্য। একইসঙ্গে আরজি কর ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানান সুকান্ত। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে আদিবাসী ওই স্কুল ছাত্রীর ঘরে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত। মেয়েটির পাশের ঘরে তার বাবা মা ঘুমোচ্ছিল। সেই সময় ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

    প্রমাণ না রাখার জন্য অভিযুক্ত প্যান্টের দড়ি দিয়ে তাকে খুন করার চেষ্টাও করে বলেও দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। মেয়েটির গলায় দাগ রয়েছে। তবে মেয়েটির চিৎকারে ছুটে আসে পরিবার ও প্রতিবেশীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। রাতেই নির্যাতিতাকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্তকে ধরে ফেলে পুলিশ। সেই অভিযুক্তর ফাঁসির দাবিতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও কর্মসূচি করে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam: পুলিশ থেকে বাঁচতে পুকুরে ঝাঁপ, মৃত্যু নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত মুসলিম যুবকের

    Assam: পুলিশ থেকে বাঁচতে পুকুরে ঝাঁপ, মৃত্যু নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত মুসলিম যুবকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যালে গণধর্ষণের ঘটনায় যখন তৃণমূল সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠছে। নির্যাতিতার বাবা পুলিশের ওপর আস্থা হারিয়ে সিবিআই তদন্তের ওপর ভরসা রাখছেন। এই আবহের মধ্যে অসমে হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকারের পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে মারা গেল এক গণধর্ষণে অভিযুক্ত। মৃতের নাম তফজ্জুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে ১৪ বছরের এক নাবালিকার গণধর্ষণে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। সেখানে অসম (Assam) পুলিশ যে এই ধরনের ঘটনায় অভিযুক্তকে রেয়াত করে না এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। এমনই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Assam)

    শুক্রবার সন্ধ্যায় অসমের নগাঁওয়ের  ধিং (Assam) এলাকায় গণধর্ষণের শিকার হয় ১৪ বছরের একটি নাবালিকা। গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ে বাড়ি ফেরার সময় স্থানীয় একটি পুকুর পাড়ে তাকে ধর্ষণ করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। কিছুক্ষণ পর তাকে রাস্তার পাশে নগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে নাবালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ তফজ্জুল ইসলাম নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পলাতক আরও দুই অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, শনিবার ভোর ৪টে নাগাদ ধৃতকে নগাঁওয়ের ধিং নামক এক জায়গায় নিয়ে যায় পুলিশ। ওই জায়গাতেই কিশোরীকে গণধর্ষণ (Rape) করেছিল অভিযুক্তরা। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতেই পুলিশ অভিযুক্তকে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে অভিযুক্ত সুযোগ বুঝে পুলিশকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দৌঁড়ে পুকুরে ঝাঁপ দেয় অভিযুক্ত। কিন্তু, আর পুকুর থেকে উঠতে পারেনি। পুকুরেই ডুবে মৃত্যু হয় অভিযুক্তের। দুই ঘণ্টা পরে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এসে দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের হাতে হাতকড়া পরানো ছিল। এক কন্সটেবলের হাত ছাড়িয়ে অভিযুক্ত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আহত হয়েছেন ওই পুলিশকর্মী।

    আরও পড়ুন: নেপালের বাস দুর্ঘটনায় মৃত ৪১ ভারতীয়, শোকবার্তা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে সরব হিমন্ত

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন, ‘‘এটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কাউকে ছাড়া হবে না। অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হবে। আমি অসম (Assam) পুলিশ প্রধানকে ঘটনাস্থলে যেতে বলেছি। অপরাধীদের যাতে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে বলেছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share