Tag: Rape Case

Rape Case

  • Baewar Rape Case: “রাজস্থানের বিজয়নগরে ধর্ষণের ঘটনা সুপরিকল্পিত অপরাধ”, বলছেন আইনজীবী

    Baewar Rape Case: “রাজস্থানের বিজয়নগরে ধর্ষণের ঘটনা সুপরিকল্পিত অপরাধ”, বলছেন আইনজীবী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজস্থানের বেয়ারের বিজয়নগর এলাকার ধর্ষণের ঘটনা (Baewar Rape Case) একটি সুপরিকল্পিত অপরাধ।” অন্তত এমনই দাবি ওই মামলার এক আইনজীবীর। সম্প্রতি ওই এলাকার একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে (Organised Crime)। ঘটনাটি হল দশম শ্রেণীর অপ্রাপ্তবয়স্ক কয়েকজন হিন্দু মেয়েকে ফাঁসিয়ে কয়েকজন মুসলিম ছেলে ধর্ষণ করেছে। অশ্লীল ছবি দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেলও করা হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, হিন্দু এই মেয়েদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতে বাধ্য করা ও পরে বিয়ে করা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ৪ নাবালক-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪ জন অভিযুক্তকে।

    নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আইনজীবী (Baewar Rape Case)

    নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আইনজীবী গোপাল নারায়ণ শর্মা। তিনি বলেন, “সমাজের সর্বস্তরের মানুষদের নিয়ে একটি সমাবেশ হয়। এই সমাবেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১,০০০ থেকে ১,৫০০ মানুষ অংশ নেন। সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও তাদের পক্ষে ন্যায়বিচার আদায়ের জন্য সর্ব সমাজ সংগ্রাম সমিতি নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়। আমিও এই কমিটির সদস্য হই। বর্তমানে এই মেয়েদের আইনি সহায়তা দেওয়া, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং মামলাগুলির তদন্তে সহায়তায় এই কমিটি সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।” ওই আইনজীবী বলেন, “অভিযুক্তরা (মুসলিম) সব মেয়েকে এক সঙ্গে ফাঁদে ফেলেনি। প্রথমে তাদের এক একজন এক একটি মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার পথে বাইকে চড়ে পিছু নিত। এই সময় কাগজের চিরকুট ফেলতে ফেলতে যেত। বন্ধুত্বের জন্য বারবার তাদের আবেদন নিবেদন করত। কিশোরীরা একবার তাদের জালে আটকা পড়লে, তাদের ক্যাফেতে নিয়ে গিয়ে খাবার খাওয়ানো হত। তাতে মেশানো হত মাদক। তোলা হত ছবি। সেই সব ছবি দেখিয়ে অন্য মেয়েদেরও ফাঁদে ফেলা হত। এভাবেই এই চক্র চলানো হত।”

    মহিলাদের আকর্ষণ করতে দাঁড়কাকের ময়ূর সাজা!

    এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত (Baewar Rape Case) পাঁচ কিশোরী এগিয়ে এসেছে। আরও অনেক মেয়েই রয়েছে যারা মান-সম্মান খোয়ানোর ভয়ে কথা বলতে চাইছে না। তাদের (Organised Crime) পরিবারও ভীত-সন্ত্রস্ত্র। অপরাধীরা প্রত্যেকেই শ্রমিক শ্রেণির। আর মেয়েরা সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য, পড়াশোনায়ও বেশ ভালো। শর্মা বলেন, “অভিযুক্তরা সাধারণ পারিবারিক পটভূমি থেকে উঠে আসা সত্ত্বেও, তারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করে — দামি পোশাক, হাই-এন্ড জুতো, ডিজাইনার সানগ্লাস ও বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করে। মেয়েদের আকর্ষণ করতে তারা এগুলো করে। একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের সংগঠন সিস্টেমেটিকভাবে হিন্দু মেয়ে ও মহিলাদের টার্গেট করে এবং এই যুবকদের মাধ্যমে তাদের প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে।” তিনি জানান, ওই মেয়েদের জোরপূর্বক হিজাব পরতে বাধ্য করা হয়েছিল, রমজানে রোজা রাখতেও চাপ দেওয়া হয়েছিল। বিয়ে করার অজুহাতে তাদের ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করা হয়েছিল। কোনও মেয়ে প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা তাদের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলার হুমকি দিত। তাদের পরিবারেরও একই পরিণতি হবে বলেও ভয় দেখাত।

    পায়ে কালো সুতো বাঁধা

    শর্মা বলেন, “ওই মেয়েদের মোবাইল ফোন ছিল না। তারা তাদের বাবা-মায়ের ফোন ব্যবহার করত। তবে মুসলিম যুবকেরা তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছোট চিনা মোবাইল ফোন কিনে দিত। এই ফোন এতই ছোট যে সহজে চোখে পড়ে না। সব মেয়েকে একই ব্র্যান্ড ও মডেলের ফোন দেওয়া হয়েছিল, যাতে তারা একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে। মেয়েদের হাত ও পায়ে কালো সুতো বাঁধা থাকত। এই সুতো তাদের মানসিক অবস্থাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করত। সুতো খুলে নেওয়ার পর তারা স্বাভাবিক হয়ে যেত (Baewar Rape Case)।”

    ক্যাফেতে যৌন নির্যাতন

    শর্মা জানান, যে মেয়েদের ক্যাফেতে ডাকা হয়েছিল, তাদের যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমরা আরও কয়েকজন নির্যাতিতার মা-বাবার কাছ থেকে তথ্য পেয়েছি। আমাদের কমিটির সদস্যরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাঁরা সবাই অত্যন্ত ভীত। মুসলিম ছেলেদের পিছনে একটি গোষ্ঠী আছে, যারা তাদের বিলাসবহুল জীবনযাত্রায় অর্থায়ন করছে। তারা এই মেয়েদের বলত যে একজন ব্রাহ্মণ মেয়েকে হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করলে ২০ লাখ টাকা পাওয়া যাবে, আর এসসি-এসটি বা ওবিসি পরিবারের মেয়েকে ধর্মান্তরিত করলে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। সংগঠনটি এই অর্থকে পুরস্কার হিসেবে টোপ দিয়ে তাদের উৎসাহিত করত।” তিনি ঘটনাটিকে সংঘবদ্ধ অপরাধ বলে উল্লেখ করে জানান, এ বিষয়ে কোনও তদন্ত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। কারা অর্থায়ন করছে তা নিয়েও অনুসন্ধানের অভাব রয়েছে। তিনি বলেন, “তদন্তে ওয়াসিমের ছেলে রেহানের নাম উঠে আসে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে। তবে যেসব মেয়ের সঙ্গে সে কথা বলছিল, তারা সাহস করে এগিয়ে না আসায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই সুযোগে সে অন্য নির্যাতিতাদের পরিবারকেও ভয় দেখাচ্ছে।”

    মামলা প্রত্যাহারে চাপ!

    শর্মা জানান, নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়ানো এবং মামলায় জড়িত ব্যক্তিরা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে পারেন এমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। মেয়েদের পরিবারকেও মামলা প্রত্যাহারে চাপ দেওয়া হচ্ছে (Organised Crime)। তিনি বলেন, “আমাদের দাবি হল তদন্তকে সংঘবদ্ধ অপরাধের দিকে নিয়ে যাওয়া (Baewar Rape Case)। যেসব যুবককে আটক করা হয়েছে, তারা একটি বৃহত্তর অপারেশনের কয়েকটি গুটি মাত্র। আশ্চর্যের বিষয়, কর্তৃপক্ষ সংগঠন চালানো মূল হোতাদের বা অর্থায়নকারীদের প্রকাশ্যে আনছেন না।”  নির্যাতিতাদের আইনজীবী বলেন, “কাফেতে যাতে হঠাৎ করে কেউ ঢুকে পড়তে না পারে, তাই ফুটপাথে বাঁশের লাঠি ও অন্যান্য জিনিসপত্র ডাঁই করে রাখা হয়েছিল। রাস্তায় রাখা হয়েছিল একটি বিরাট বুলডোজার। এলাকাটি বুলডোজার দিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছিল, যদিও সেটি হাতে করেই পরিষ্কার করা যেত। এটি করা হয়েছিল সাধারণ মানুষের চোখে ধুলো দিতে।” মামলাটিকে তিনি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানান। তাঁর মতে, এতে করে মূল ফোকাস থাকবে সংগঠিত অপরাধের ওপর।

    লাভ জিহাদ” ও “গ্রুমিং জিহাদ”!

    শর্মা বলেন, এই মামলাটির সঙ্গে ১৯৯২ সালের আজমেঢ় ধর্ষণ মামলার লক্ষণীয় মিল রয়েছে। দুটিরই প্যাটার্ন একই। এই ঘটনায় মেয়েরা অসাধারণ সাহস দেখিয়েছ। যার জন্য ভিলওয়াড়ার এক মহিলাও এগিয়ে আসতে উৎসাহিত হয়েছিলেন। তাঁকেও আটজন মুসলিম যুবক একই রকমভাবে নির্যাতন করেছিল। তাঁকেও মাদক সেবন করানো হয়েছিল। তাঁরও ছবি তোলা হয়েছিল এবং তারপর তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছিল। এই পুনরাবৃত্ত প্যাটার্নটি ইঙ্গিত করে যে আমরা সংগঠিত অপরাধের মুখোমুখি হয়েছি, যার পেছনে একটি সংগঠন কাজ করছে।” শর্মা এই ঘটনাকে (Organised Crime) “লাভ জিহাদ” ও “গ্রুমিং জিহাদ” হিসাবে বর্ণনা করেন। তাঁর দাবি, অভিযুক্ত যুবকরা মেয়েদের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রলুব্ধ করেছিল এবং তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল মেয়েদের ধর্মান্তরিত করে জোরপূর্বক বিয়ে করতে বাধ্য করা (Baewar Rape Case)।

  • RG Kar Rape Case: এক মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে আরজি কর ধর্ষণ মামলার শুনানি!

    RG Kar Rape Case: এক মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে আরজি কর ধর্ষণ মামলার শুনানি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মাসের মধ্যেই নিম্ন আদালতে (Sealdah Court) শেষ হয়ে যেতে পারে আরজি কর ধর্ষণ (RG Kar Rape Case) মামলার শুনানি। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানিতে ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না জানান, সিবিআই স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ৪৩ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।

    ধর্ষণ মামলার শুনানি (RG Kar Rape Case)

    সোম থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতিদিন নিম্ন আদালতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ মামলার শুনানি হচ্ছে। সেই শুনানি প্রক্রিয়া আগামী মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই মামলায় মোট ৫২ জন সাক্ষী রয়েছেন বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। শিয়ালদা আদালতে ওই মামলার বিচার শেষ হওয়ার পরে অভিযুক্ত বা অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করা হবে। তার পরেই সাজা ঘোষণা করবে আদালত।

    কী বলল সিবিআই?

    এদিন সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, আরজি কর মামলার ক্ষেত্রে তিনটি দিক রয়েছে। এক, ধর্ষণ ও খুনের মামলা, দুই তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং তিন, দুর্নীতি। খুন হওয়া তরুণী চিকিৎসকের পরিবারের আইনজীবীর আশা (RG Kar Rape Case), সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করা হবে। তিনি জানান, মৃতের বাবা-মা ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন। আশা করা হচ্ছে, অন্য কারও ভূমিকা থাকলে তার স্বরূপ ফাঁস করে দিতে পারবে সিবিআই। আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে দুজন সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতির অপেক্ষা করা হচ্ছে। গত ২৭ নভেম্বর সেই অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: হিন্দুদের ওপর অত্যাচার! ইউনূসকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ কৈলাস সত্যার্থীর

    সিবিআইয়ের প্রত্যাশা মতো যদি শিয়ালদা আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায়, তাহলে সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির আগে পুরো প্রক্রিয়াটা শেষ হয়ে যেতে পারে। ২০২৫ সালের ১৭ মার্চ ফের আরজি কর মামলার শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সেই সময়ের মধ্যে যদি কারও মনে হয় যে নিম্ন আদালতে ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে, তাহলে (Sealdah Court) তিনি সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করতে পারবেন (RG Kar Rape Case)।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Medical: আরজি কর কাণ্ডে দেশজুড়ে প্রতিবাদ চিকিৎসকদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি

    RG Kar Medical: আরজি কর কাণ্ডে দেশজুড়ে প্রতিবাদ চিকিৎসকদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar Medical) কতর্ব্যরত ডাক্তারি পড়ুয়াকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় তোলপাড় সারা দেশের চিকিৎসক সংগঠন (Doctors Organization)। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে সারা দেশের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইন লাগু করার দাবি জানিয়েছিল ন্যাশনাল মেডিক্য়াল অর্গানাইজেশন। ঘটনার (RG Kar Medical) প্রতিবাদে সোমবার থেকে দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিল ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার দেশের হাসপাতালগুলিতে একাধিক পরিষেবা বন্ধ রেখেছে এই সংগঠন। জানানো হয়েছে, ‘ইলেক্টিভ সার্ভিস’ অর্থাৎ জরুরি নয় এমন অস্ত্রোপচার-সহ বিভিন্ন পরিষেবা, বন্ধ রাখা হয়েছে।

    কোথায় নিরাপত্তা

    ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের চিকিৎসকদের (Doctors Organization) মতে, দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের চেয়েও এই ঘটনা নৃশংস। তাঁদের কথায়, আরজি করে (RG Kar Medical) যা ঘটল, তারপরে তো চিকিৎসকদের কাছে তাঁদের কর্মস্থলও নিরাপদ নয়। আরজি করের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন চণ্ডীগড়ের চিকিৎসকরা। সারা দেশের চিকিৎসক সংগঠনগুলির অভিযোগ, এ ঘটনা রাতারাতি ঘটেনি। দীর্ঘদিন ধরেই নিরাপত্তায় গলদ ছিল।

    চিকিৎসক সংগঠনের দাবি

    নির্বাচিত পরিষেবা, যা জরুরি নয় এবং অগ্রাধিকারমূলক চিকিৎসার আওতায় পড়ে না, সেগুলি এই ধর্মঘটের অংশ হিসাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। এই ধর্মঘটের নেতৃত্ব দিচ্ছে ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (FORDA), যারা সোমবার থেকে সারা দেশে নির্বাচিত পরিষেবা বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে। চিকিৎসকরা তাদের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রককে জানিয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়বিচারের আর্জি জানানো হয়েছে।

    সংগঠনের তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দেওয়া চিঠিতে পাঁচটি মূল দাবি জানানো হয়েছে— চিকিৎসকদের দাবিগুলি গ্রহণ, দায়িত্বশীল সমস্ত কর্তৃপক্ষের পদত্যাগ (যার মধ্যে আছেন প্রিন্সিপাল, ডিন, পালমোনারি মেডিসিনের প্রধান, এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (RG Kar Medical) পুলিশ আউটপোস্টের এএসপি), পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ, মৃত চিকিৎসকের জন্য দ্রুত ন্যায়বিচার, এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা প্রোটোকল প্রবর্তন। এছাড়াও, একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।

    দিল্লিতে অন্তত ১০টি সরকারি হাসপাতাল, যার মধ্যে রয়েছে আরএমএল হাসপাতাল, সাফদারজং হাসপাতাল এবং মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজ, এই ধর্মঘটে যোগ দিয়েছে এবং সমস্ত বহির্বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার এবং ওয়ার্ড পরিষেবা স্থগিত রেখেছে। তবে জরুরি পরিষেবা অব্যাহত রয়েছে।

    মহারাষ্ট্রে, মহারাষ্ট্র অ্যাসোসিয়েশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস (BMC MARD) ১৩ অগাস্ট মঙ্গলবার থেকে নির্বাচিত পরিষেবা স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে। কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar Medical) চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে চণ্ডীগড় এবং লখনউ সহ অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভ লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    এ রাজ্যেও বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করেন চিকিৎসকরা। কল্যাণী এইমস থেকে শুরু করে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রবল প্রতিবাদে সামিল হন জুনিয়র ডাক্তাররা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jalpaiguri: রক্ষকই ভক্ষক! ধর্ষণের অভিযোগ খোদ পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধেই, গ্রেফতার এএসআই

    Jalpaiguri: রক্ষকই ভক্ষক! ধর্ষণের অভিযোগ খোদ পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধেই, গ্রেফতার এএসআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তের নামে ধর্ষণের অভিযোগ খোদ পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধেই। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার মায়নাগুড়ি থানা এলাকায়। জানা গিয়েছে, ৫ বছর আগে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানায় কর্তব্যরত ছিলেন ওই অফিসার। একটি চুরির মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে এলাকার এক মহিলা বাসিন্দার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেন তিনি। 

    উল্লেখ্য রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ নতুন নয়। রক্ষকই যেন ভক্ষক, এমন অভিযোগ আগেও উঠেছে। জলপাইগুড়িতে অভয়ারণ্যে ঘুরতে গিয়ে রাতের বেলায় পর্যটকদের অহেতুক হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। তাছাড়া বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি বার বার তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি সন্দেশখালি ইস্যুতে পুলিশের অসহযোগিতা এবং অভিযোগ না নেওয়ার ঘটনায় এলাকার মানুষের সোচ্চার হওয়ার কথা সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে।

    পুলিশ সূত্রে খবর (Jalpaiguri)

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চুরির মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে থানার এএসআই এলাকার এক গৃহবধূর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেন। সেই সঙ্গে ওই বধূকে তদন্তের নামে মানসিক অত্যাচার এবং ধর্ষণ করা হয়। দিনের পর দিন মানসিক ভাবে অত্যাচার করেন এই পুলিশ আধিকারিক। এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের নাম এএসআই রাজনারায়ণ রায়। এরপর তাঁকে বিশেষ মামলার ধারায় গ্রেফতার করেছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ। তাঁকে রবিবার আদালতে তোলা হয়। এই পুলিশ আধিকারিক আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বিচারক তাঁর আবেদন খারিজ করে ১৪ দিনের জন্য জেলা হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

    গৃহবধূর লিখিত অভিযোগ

    ঘটনায় গৃহবধূ লিখিত অভিযোগ করে জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছর আগে একটি চুরির তদন্ত করতে গিয়ে আমার সঙ্গে জোর করে সম্পর্ক স্থাপন করেন ওই পুলিশ অফিসার। এরপর থেকে তদন্তের নামে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে আমার উপর নির্যাতন শুরু করেন। আমাকে জোর করে ধর্ষণ করেছেন ওই পুলিশ অফিসার। আমি একাধিকবার পুলিশকে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছি, কিন্তু লাভ হয়নি। আমি এবার লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি। তাঁকে গত কাল রবিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আমি ওর কঠিন শাস্তি চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: স্কুল থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নামে ছাত্রীর গণধর্ষণ! গ্রেফতার তৃণমূল নেত্রীর ছেলে

    Birbhum: স্কুল থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নামে ছাত্রীর গণধর্ষণ! গ্রেফতার তৃণমূল নেত্রীর ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার স্কুল থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নামে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। মূল অভিযুক্ত এলাকার তৃণমূল নেত্রীর ছেলে এবং আরও দুই জন। এই তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে বীরভূম পুলিশ। ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) পাইকর থানার নতুনপুকুর গ্রামে। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে। যদিও তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ অস্বীকার করছেন।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Birbhum)?

    স্থানীয় (Birbhum) সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে গিয়ে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এলাকার এক তৃণমূল নেত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় পাইকর থানার পুলিশ তিনজকে গ্রেফতার করেছে। বীরভূমের (Birbhum) ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, “মঙ্গলবার বিকেল ৪ টে নাগাদ স্কুল থেকে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল আমাদের মেয়ে। মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। বাড়ি পৌছে দেওয়ার নাম করে তাঁকে তিন যুবক বাইকে করে নিয়ে যায়। এরপর ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। সেই সময় এলাকার কয়েকজন মানুষ পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ তাঁরা আড়ালে চিৎকার এবং কান্নার শব্দ শুনে তিন যুবককে ধরে ফেলে পুলিশে খবর দেন। এরপর অত্যাচারের শিকার হওয়া আমাদের মেয়েকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা ওই অভিযুক্তের ফাঁসি চাই।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ধৃতদের আজ রামপুরহাট (Birbhum) মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই বিষয়ে অভিযুক্ত যুবকের মা তথা ব্লক সভাপতি তৃণমূল নেত্রী বলেন, “ছেলে সেই দিন আমার ঘরে ছিল না। বাইক নিয়ে বেরিয়েছিল। একটি মেয়ে ফোন করে বলে বিপদে পড়েছে এবং তাকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। আর ওকে বাঁচাতে গিয়ে লোকজন খুব মারধর করে আমার ছেলেকে। ওর বাইক আটকে রেখে দেয়। এই সবের মধ্যে আমার ছেলে ছিল না। বাইক ফেরত চাইলে আরও মারধর করে। ও নির্দোষ।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: স্কুলের ভিতরেই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ! রাজ্যে পড়ুয়াদের সুরক্ষা কোথায়?

    North 24 Parganas: স্কুলের ভিতরেই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ! রাজ্যে পড়ুয়াদের সুরক্ষা কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুলের ভিতরেই ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্কুলেরই এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁয়। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে। স্কুলের শিক্ষকের হাতেই যদি ছাত্রী নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটে, তাহলে পড়ুয়াদের সুরক্ষা কোথায়? এইরকম মন্তব্য শোনা গেল অভিভাবকদের মুখে।

    পুলিশ সূত্রে খবর (North 24 Parganas)

    বনগাঁ (North 24 Parganas) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার রাতে বনগাঁ থানায় একটি অভিযোগ জানানো হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয় যে স্কুলের মধ্যে স্কুলেরই এক শিক্ষক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। ছাত্রীর বাড়ি বনগাঁ স্টেশনের কাছেই। আর অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ি বনগাঁ শহরে। শিক্ষককে গ্রেফতার করে আজ বুধবার আদালতে তোলা হয়েছে। বিচারক তাকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার কথা জানিয়েছেন।

    পরিবারের বক্তব্য

    নির্যাতিতা তরুণীর পরিবার সূত্রে বলা হয়, “ওই কিশোরী সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশুনা করছে। গত মঙ্গলবার স্কুলের ভিতরেই এক ক্লাসরুমে তাকে নির্যাতন করা হয়। আমরা অত্যন্ত অসুরক্ষিত বোধ করছি। যে স্কুলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনার জন্য পাঠাই, সেখানেই আমাদের ছেলে-মেয়েরা সুরক্ষিত নয়। দোষী অপরাধী শিক্ষকের কঠোর শাস্তি চাই। ঘটনার দিন রাতেই স্থানীয় বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরপর অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। তারপরে আজ বুধবার আবার অভিযুক্ত শিক্ষককে বনগাঁ (North 24 Parganas) কোর্টে তোলা হয়।” যদিও ঘটনায় স্কুলের তরফ থেকে এখনও কিছু মন্তব্য পাওয়া যায়নি। স্কুলের প্রধান শিক্ষকও ঘটনায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    আগেও ঘটেছে ঘটনা

    উল্লেখ্য দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একই রকম ভাবে কিছুদিন আগে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাথরুমের ভিতরে ঢুকিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল। নির্যাতনের পরও ছাত্রীকে বাইরে বের হতে দেয়নি। বাথরুমেই আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখানেও অভিযুক্ত ছিলেন স্কুলের এক শিক্ষক। আবার এই জেলার ঢোলাহাট থানার এক স্কুলের শিক্ষক ফয়জুদ্দিন মোল্লাকে স্কুলের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করা হয়। ঠিক একই রকম ভাবে উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) ফের স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটল। স্কুলে ছাত্রীদের নিরপত্তা এবং সুরক্ষা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: লালবাগ ধর্ষণকাণ্ডে ৪ দোষীকে যাবজ্জীবন শাস্তির নির্দেশ, পুজোর মুখে খুশি নির্যাতিতা

    Murshidabad: লালবাগ ধর্ষণকাণ্ডে ৪ দোষীকে যাবজ্জীবন শাস্তির নির্দেশ, পুজোর মুখে খুশি নির্যাতিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ দুই বছর ধরে মামলা চলছিল। অবশেষে চার অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করলেন আদালত। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) গণধর্ষণ মামলায় চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। গত দুই বছর আগেও এমন সময় ছিল পুজোর সময়, দুষ্কৃতীরা দাঁতের আচর দিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করে কার্যত জীবনকে অন্ধকারের মুখে ঠেলে দিয়েছিল। এই অত্যাচারে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন নির্যাতিতা। কিন্তু এতো কিছুর পরেও নির্যাতিতা কোন ভাবেই হার মানেন নি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিন লালাবাগ মহকুমা আদালতে বিচারেকের শুনানিতে এই শাস্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।

    ২ বছর আগে ঘটেছিল ধর্ষণের ঘটনা (Murshidabad)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের দুর্গা পুজোর আগে লালবাগ (Murshidabad) এলাকায় একটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। নির্যাতনের কথা সামজিক মাধ্যমে তুলে ধরে ভাইরাল করার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিল এই দুষ্কৃতীরা।কিন্তু ঘটনার পরে ভয় পাননি নির্যাতিতা নারী। তিনি থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে নির্যাতনের বিবরণ দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এরপর পুলিশ ৪ জন প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল। তারপর থেকে মামলা চলে কোর্টে। দীর্ঘদিন কোর্টে মামলার শুনানিও চলছিল। ঘটনার কথা জানিয়ে ইতিমধ্যে মোট ১২ জন সাক্ষী প্রদান করেন। অবশেষে মহকুমা আদালতের বিচারক, দোষীদের ২ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং যাব্বজীবন শাস্তির রায় ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে নির্যাতিতাকে ৪ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।

    আইনজীবীর বক্তব্য

    এই মামলার আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গতকাল বৃহস্পতিবার দোষীদের আদলাত (Murshidabad) শাস্তি ঘোষণা করেছেন। তবে দোষীদের ১৪ বছর সাজা হয়নি। আজীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। দোষীরা যতদিন বেঁচে থাকবেন, ঠিক ততদিনই জেলে থাকবেন। দোষীদের যে টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে, সেই টাকা নির্যাতিতাকে প্রদান করার স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় ধর্ষণের মামলা দায়ের করল পুলিশ

    Sandeshkhali: শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় ধর্ষণের মামলা দায়ের করল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পলাতক তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় ধর্ষণের মামলা দায়ের করল পুলিশ। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন শিবু প্রসাদ। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আগেই ধর্ষণের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। বসিরহাট আদালতে আজ বুধবার একটি গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে নতুন করে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূলত আদালতে দায়ের করা হয়েছে মামলা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সঙ্গে আরও দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই নতুন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    গত শনিবার গ্রেফতার করা হয় (Sandeshkhali)

    গত শনিবার শিবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে বসিরহাটের ন্যাজাট এলাকা থেকে। তাঁর অবর্তমানে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিধায়ক সুকুমার মাহতো। গত ছয় বছর আগে দল, শিবুকে ব্লকের সভাপতি করেছিল। এরপর থেকেই তাঁর এলাকায় আধিপত্য বৃদ্ধি হতে শুরু করে। নানা দুর্নীতি, অসামাজিক কাজের প্রত্যক্ষ মদত দিতো শিবু। এরপর এলাকার নেতা শেখ শাহজাহানের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। অপর দিকে ইডি, শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে আক্রান্ত হতে হয়। এরপরেই জমি জোর করে দখল করা, মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচারের অভিযোগে ব্যাপক উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এরপর সেখানে শিবুর মুরগির খামারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এলাকার ক্ষিপ্ত মানুষ প্রতিবাদে ভাঙচুর করে শিবুর বাগান বাড়িও। অবশেষে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ আবার আদালতে পেশ করলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মানুষ। একইভাবে তাঁকে ঘিরে ‘চোর চোর’ শ্লোগান দেওয়া হয়। কিন্তু পলাতক নেতা শাহজাহান এখনও পুলিশের কাছে অধরা।

    পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন ডিজি

    অপর দিকে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আইন শৃঙ্খলার বিষয়কে খতিয়ে দেখতে পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তাঁর সঙ্গে থাকবেন এডিজি সুপ্রতিম সরকার এবং বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান। সেখানে করা হবে একধিক বৈঠক। পাঁচ জায়গায় মোট ১০টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশি নজরদারি ইতিমধ্যে বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sajjan Jindal: শিল্পপতি জিন্দালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ অভিনেত্রীর

    Sajjan Jindal: শিল্পপতি জিন্দালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ অভিনেত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেএসডব্লিউ গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শিল্পপতি সজ্জন জিন্দালের (Sajjan Jindal) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করলেন এক অভিনেত্রী। তাঁর অভিযোগ, এই নিয়ে ১০ মাস আগেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর কাছে নাকি ক্ষমা চেয়েছিলেন জিন্দল গোষ্ঠীর কর্ণধার। চেয়েছিলেন সব কিছু মিটমাট করে নিতে। কিন্তু অভিযোগকারিণী তাতে রাজি না-হওয়ায় শুরু হয়েছিল হুমকি দেওয়া। দায়ের হওয়া এফআইআর-এ তেমনটাই দাবি করেছেন ওই অভিনেত্রী। মুম্বাইয়ের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্স থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

    কী কী অভিযোগ

    পুলিশ সূত্রে খবর, অভিনেত্রীর বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬, ৩৫৪ ও ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। চিকিৎসক-অভিনেত্রীর অভিযোগ, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ঘটনাটি ঘটেছে। বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্সে সংস্থার সদর দফতরের পেন্টহাউসে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন সজ্জন। মুম্বইয়ের বাসিন্দা ওই অভিনেত্রীর অভিযোগ, ফেব্রুয়ারি মাসেই খ্যাতনামা শিল্পপতির বিরুদ্ধে থানায় গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু  পুলিশ সেই সময় তাঁর অভিযোগ নিতে চায়নি। এরপর একপ্রকার বাধ্য হয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালতের নির্দেশেই শেষ পর্যন্ত পুলিশ অভিযোগ নিতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারিণী। 

    কোথায় সাক্ষাত

    তাঁর দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে ২০২১ সালে দুবাইয়ে একটি আইপিএল ম্যাচের ভিআইপি বক্সে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল সজ্জনের। তারপর থেকেই আলাপ বাড়তে শুরু করে দুজনের। অভিনেত্রীর দাবি, শিল্পপতি তাঁকে বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন তাঁর সঙ্গে। কিন্তু পরে সেই প্রতিশ্রুতি রাখেননি। কিন্তু তিনি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি সজ্জন তাঁকে ধর্ষণ করেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, সেই ঘটনার জন্য জিন্দাল (Sajjan Jindal) পরে তাঁর কাছে ক্ষমা চাইলেও একই সঙ্গে ঘটনার কথা কাউকে বললে তার ফল একেবারেই ভাল হবে না বলে তাঁকে হুমকিও দেন। 

    আরও পড়ুন: প্রস্তুত অযোধ্যার বিমান বন্দর, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, কবে জানেন?

    অভিযোগ অস্বীকার

    অভিযোগকারিণীর সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন শিল্পপতি সজ্জন জিন্দাল (Sajjan Jindal) । তিনি বলেছেন, ‘‘সমস্ত অভিযোগই অসত্য এবং ভিত্তিহীন। এই তদন্তে তিনি সব রকম ভাবে সহযোগিতা করবেন।’’ তবে এ ব্যাপারে তিনি আর প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করবেন না বলেও জানিয়েছেন সজ্জন। তাঁর যুক্তি, যে হেতু মামলা দায়ের হয়েছে এবং তদন্ত চলছে, তাই বিষয়টি নিয়ে আর কথা না বলাই শ্রেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “রাজ্য কেন অভিযুক্তের হয়ে কথা বলছে?”, উলুবেড়িয়া ধর্ষণকাণ্ডে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “রাজ্য কেন অভিযুক্তের হয়ে কথা বলছে?”, উলুবেড়িয়া ধর্ষণকাণ্ডে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ধর্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য উলুবেড়িয়া থানাকে সিআইডির হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত। ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ধরা না পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। বিচারপতির প্রশ্ন, “কতবার তল্লাশি হয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কী কী চেষ্টা করেছে পুলিশ। আমি দেখতে চাই কেস ডায়েরি থেকে কী কী চেষ্টা হয়েছে গ্রেফতারের। মূল অভিযুক্ত যিনি তিনি কি খুব প্রভাবশালী?” সিআইডি তদন্তের পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ, নির্যাতিতার পরিবারকে সশস্ত্র পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে।

    নাবালিকা মেয়েকে গণধর্ষণ

    উলুবেড়িয়ায় সরকারি জায়গায় একটি ছোট চায়ের দোকান রয়েছে ওই নাবালিকার পরিবারের। মামলাকারীর অভিযোগ, স্থানীয় কয়েকজন দোকান বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তাঁদের চাপ দিচ্ছিল। তাঁর অভিযোগ, ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে তাঁর নাবালিকা মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়। মামলাকারীর দাবি, পুলিশ প্রথমে তাঁর অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। পরে অভিযোগ নিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করলেও, মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। এর পরেই আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁর দাবি, এর মধ্যেই সামাজিক চাপে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন তাঁর স্বামী। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, মূল অভিযুক্ত শেখ এক্রামূল তাঁদের হুমকি দিচ্ছে।

    ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ

    এদিনের শুনানিতে আদালতে হাজির ছিলেন উলুবেড়িয়ার আইসি রামেশ্বর ওঝা এবং আইও। ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পুলিশ। বিচারপতি বলেন, “রাজ্যের দেওয়া তদন্ত রিপোর্ট, কেস ডায়েরি দেখে আদালত মনে করছে পুলিশ কিছু নথি দেখে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছে। যার জন্য পুলিশ গণধর্ষণের অভিযোগও মানতে চাইছে না। মাস পিটিশনের সঙ্গে দশ টাকার স্ট্যাম্প পেপারের তথ্য দেখে পুলিশ তাতেই মান্যতা দিয়েছে।” আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, “রাজ্য কেন অভিযুক্তের হয়ে কথা বলছে, সেটাই তো পরিষ্কার নয়। এটা রাজ্যের লজ্জা। একজন নির্যাতিতার পাশে থাকা উচিত রাজ্যের। সেখানে রাজ্য পুলিশ থাকছে অভিযুক্তের পাশে। এটা চলতে পারে না।” বিচারপতি বলেন, “আদালত নিশ্চিত, মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পুলিশ ব্যর্থ। এটা রাজ্যের ব্যর্থতা। তাই সিআইডিকে তদন্ত হস্তান্তর করা হল।”

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়াল অভিষেকের নাম, শিরোনামে তৃণমূল কর্তার সংস্থাও

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share